Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - mosharraf.xm

Pages: 1 2 3 [4] 5 6
46
This is indeed a great news and achievement. Congratulation to our Honorable Chairman sir. We are proud of you.



News link: https://www.thedailystar.net/business/the-daily-star-ict-awards-2018-win-one-individual-4-it-firms-1661899

47
That is disappointing as well as expected. Because Facebook had already taken the entire platform. G+ couldn't add anything new that would stick people to it. However, mail and search engine are still the best.

48
IT Forum / Re: Microsoft Excel shortcut keys
« on: November 04, 2018, 11:05:44 AM »
Useful shortcuts.

However, Ctrl+F can be used now to bring up the search box. Only Ctrl+ can add a new row. Lots of things have been upgraded.

Still thanks for the useful post.

49
এসডি কার্ডে অনেক এপ ইনস্টল করা যায়না। সেক্ষেত্রে ফোন রূট করতে হয়। আর সি ক্লিনারের মত এপ গুলোও বেশ জায়গা নিয়ে ইনস্টল হয়। টিপসগুলো ভাল। ধন্যবাদ।

50
গরিলা গ্লাস ৬ উন্মোচন করেছে কর্নিং। আগের মডেলের চেয়ে এই গ্লাসটি বেশি টেকসই হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কর্নিংয়ের দাবি এক মিটার উচ্চতা থেকে ১৫ বার পড়লেও ভাঙবে না গরিলা গ্লাস ৬। আর এটি গরিলা গ্লাস ৫-এর চেয়ে “প্রায় দ্বিগুণ ভালো”, বলা হয়েছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জের প্রতিবেদনে।

কর্নিং গরিলা গ্লাস ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মহাব্যবস্থাপক জিন বেইন এক বিবৃতিতে বলেন, “বেশি উচ্চতা থেকে পড়লেও ভাঙবে না গরিলা গ্লাস ৬, যা গরিলা গ্লাস ৫ থেকে উন্নত, কিন্তু আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একধিকবার পড়লেও টিকে থাকবে এমনভাবে এটি তৈরি করা হয়েছে।”

ক্রমেই পাতলা করা হচ্ছে স্মার্টফোনের নকশা। আগের চেয়ে আরও পাতলা করা হচ্ছে কাঁচের পর্দা। এর আগে অনেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে স্মার্টফোনের নকশা পাতলা করায় গরিলা গ্লাসের উন্নতি থেমে যাচ্ছে, কারণ পাতলা কাঁচ হলো দুর্বল কাঁচ, এমনকি এটিকে যদি শক্তিশালী করা হয় তারপরও দুর্বল।

অন্যদিকে কর্নিংয়ের দাবি এজ-টু-এজ পর্দা আসলে স্মার্টফোনকে আরও মজবুত করছে। আগের বছরের স্মার্টফোনগুলোতে কিছু সময় দেখা গেছে প্রথমে বেজেলে ফাটল দেখা দেয়, এরপর কাঁচ দুর্বল হয়।

এর আগে কর্নিং স্বীকার করেছে যে কাঁচকে স্ক্র্যাচ নিরোধী করতে হলে কাঁচ ভাঙ্গার দিকে কিছুটা ছাড় দিতে হয়। আবার কাঁচ বেশি শক্ত করতে হলে স্ক্র্যাচ নিরোধীর দিক থেকে ছাড় দিতে হয়। এবার কর্নিং দাবি করেছে নতুন গরিলা গ্লাস ৬ আগের মতোই স্ক্র্যাচ নিরোধী হবে। তাই এটা ধারণা করা যাবে না যে, স্ক্র্যাচ নিরোধী হিসেবে গরিলা গ্লাস ৬ স্মার্টফোন আগের চেয়ে ভালো হবে।

ইতোমধ্যে গরিলা গ্লাস ৬-এর উৎপাদন শুরু করেছে কর্নিং। কয়েক মাসের মধ্যে এটি বাজারে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্রঃ ইন্টারনেট

51
Smartphone / এলো অ্যান্ড্রয়েড "পাই"
« on: August 08, 2018, 03:39:47 PM »
বাজার এসেছে গুগলের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড পাই।
নতুন এই সংস্করণে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে অ্যাপের ব্যবহার কতটুকু হচ্ছে তা শনাক্ত করার নতুন উপায় আনা হয়েছে। সেইসঙ্গে এই ব্যবহারের মাত্রা নিয়ে সীমাও নির্ধারণ করে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। দিনের কোনো একটি নির্ধারিত সময়ে স্ক্রিনের রঙ সরিয়ে দেওয়া যাবে এতে।

অ্যান্ড্রয়েডের নবম এই সংস্করণে নোটিফিকেশন আগে চেয়ে আরও উন্নত করা হয়েছে আর ব্যাটারির চার্জ বেশিক্ষণ রাখার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।

এদিকে এর আপডেট বিতরণ নিয়ে সমস্যা মোকাবেলা করেই যাচ্ছে গুগল। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্যমতে, বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশে সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ অরিও ব্যবহার করা হচ্ছে।

বর্তমানে নতুন এই সংস্করণের আপডেট শুধু গুগল পিক্সেল ফোনেই পাওয়া যাবে।



মোবাইল ওএস-এর নামের জন্য গুগল সবসময়ই কোনো ডেজার্ট বা মিষ্টান্নের নাম বাছাই করে। আর এক্ষেত্রে প্রতিবার নামের প্রথম অক্ষর ইংরেজি বর্ণমালার ক্রমান্বয়ে আগায়। যেমন, জেলি বিন, কিট ক্যাট, ললিপপ এবং মার্শমেলো।

অরিও-এর পরের সংস্করণের নাম পিসতাচ্চিও আইস ক্রিম, পপ -টার্ট বা পাম্পকিন পাই রাখা হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েডের লন্ডন প্রকৌশল দলের প্রধান জানান, এক্ষেত্রে সহজ কিছু নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। নামটি সহজ রাখতে গিয়েই শুধু ‘পাই’ বেছে নিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

নিজেদের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড পাই এনেছে ওয়েব জায়ান্ট গুগল। এই নতুন সংস্করণে কী থাকছে? এ নিয়েই করা হয়েছে এই প্রতিবেদন।

ডিজিটাল ওয়েলবিইং কনট্রোল

গুগল এই সংস্করণের অন্যতম নতুন ফিচার হচ্ছে ডিজিটাল ওয়েলবিইং কনট্রোল। স্মার্ট ডিভাইসগুলো ব্যবহারকারীদের জন্য ‘আসক্তিমূলক’ আর তাদের ঘুমের অভ্যাস বিঘ্নকারী- এমন সমালোচনার জবাবে এই ফিচার আনা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবিসি’র প্রতিবেদনে।
এই ফিচারের মাধ্যমে একটি ড্যাশবোর্ডে একজন ব্যবহারকারী তার ডিভাইস ব্যবহারে কতক্ষণ সময় ব্যয় করছেন তা দেখানো হবে। এক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে পছন্দের অ্যাপগুলোর কোনটিতে কত ঘণ্টা কত মিনিট খরচ হচ্ছে তা বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে নির্ধারিত প্রোগ্রামের জন্য আগে থেকেই সময় বেঁধে দেওয়ারও সুযোগ রয়েছে। এই সময়সীমা শেষ হওয়ার কিছু আগে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করা হবে। সীমা শেষ হওয়ার সঙ্গে অ্যাপের আইকনটি ধূসর বর্ণ ধারণ করবে ও অ্যাপটি চালু হবে না। তবে, এই লকড অ্যাপ আবার খোলা যাবে।

উইন্ড ডাউন মোড

দিনশেষে দ্রুত ব্যবহারকারীকে স্মার্টফোন ছাড়তে সহায়তা করবে এই উইন্ড ডাউন মোড। আগে থেকে ঠিক করা সময়ে স্মার্টফোনের স্ক্রিন ধূসরের কাছাকাছি রঙ হয়ে যাবে। সঙ্গে সঙ্গে চালু হবে ডু নট ডিস্টার্ব মোড, সব ইনকামিং কলের অ্যালার্ট হয়ে যাবে সাইলেন্ট।

একই রকম লক্ষ্য নিয়ে আইওএস ১২-এ স্ক্রিন টাইম কনট্রোল নামের ফিচার আনছে টেক জায়ান্ট অ্যাপলও।

উন্নত হয়েছে নোটিফিকেশন

যে কোনো অ্যালার্ট দেওয়ার সঙ্গে পাইয়ে ছবিও দেখানো হবে। কোনো কলের নোটিফিকেশনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর সঙ্গে যিনি যোগাযোগ করেছেন তার একটি ছোট ছবি দেখানো হবে। কোনো কনটেন্ট শেয়ার করা হলে তার প্রিভিউ দেখা যাবে অ্যালার্টের সঙ্গে।

সেইসঙ্গে স্মার্ট রিপ্লাই ফিচারের মাধ্যমে নোটিফিকেশনগুলো থেকেই ব্যবহারকারীরা তাদের পাওয়া মেসেজের জবাব দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রত্যাশিত জবাবও দেখানো হবে, যা ব্যবহারকারীরা টাইপ না করেই পাঠিয়ে দিতে পারবেন।

ব্যাটারি আর চার্জের কী হলো?

অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর চার্জ খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায়- এমন অভিযোগের বিপরীতে দুইটি উপায় হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রথম ক্ষেত্রে ডিসপ্লে বন্ধ থাকলে ব্যাটারি ব্যবহার কমাতে আধুনিক মোবাইল প্রসেসরগুলোর একটি প্রচলিত ফিচারের সুবিধা কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছে গুগল। মূল সিপিইউ চিপগুলো এখন ‘বিগ-লিটল’ আর্কিটেকচার ব্যবহার করে, যেখানে কিছু প্রসেসর গতির দিকে নজর দিলেও অন্যগুলো শক্তি ব্যবহারে আরও কার্যকরী হতে জোর দিচ্ছে।   

দ্বিতীয় ক্ষেত্রে যে সমস্যা ঠেকাতে কাজ করা হচ্ছে সেটিকে গুগল ‘ব্যাড ব্যাটারি ডেইজ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এই ব্যবস্থা কোনো ব্যবহারকারী কখন কোনো অ্যাপ ব্যবহার করতে চান তা অনুমান করতে চেষ্টা করে। এটি সিপিইউ আর ব্যাটারি ব্যবহার করে নির্ধারিত অ্যাপগুলো চালু হওয়া ঠেকাবে, আর পরের বার চার্জ নেওয়ার আগ পর্যন্ত স্থগিত রাখবে।

ইতোমধ্যে হুয়াওয়ে তাদের কিছু ফোনে নিজস্ব মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই সেবা দিচ্ছে।

স্লাইসেস

গুগল পাইয়ের অন্যান্য উদ্ভাবনগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে স্লাইসেস, এটি ব্যবহারকারীর চালু করা ছাড়াই কোনো অ্যাপের ইউজার ইন্টারফেইস-এর কিছু অংশ সামনে নিয়ে আসে। যেমন, সার্চ বারে কোনো ট্যাক্সি অ্যাপের নাম দিলে হয়তো  ওই সেবার সবচেয়ে কাছের গাড়িটি কতদূরে আছে আর এর ব্যবহারকারীর গন্তব্যে পৌঁছাতে কত সময় লাগবে তা দেখানো হবে। তবে, এই সেবা পেতে চলতি বছরের শেষ অব্দি অপেক্ষা করতে হবে।

অ্যাপ অ্যাকশনস

গুগল ব্যবহারকারী তাদের স্মার্টফোনে পরবর্তী কোন কাজটি করবে তা অনুমান করবে এই ফিচার, যেমন, কোনো নির্দিষ্ট কনটাক্টে কল করা, কোনো নির্ধারিত নোট খোলা বা কোনো পছন্দের অ্যালবাম প্লে করা। এই কাজ অনুমানের পর ফিচারটি স্ক্রিনের একটি কোণায় এগুলো দেখাবে। ব্যবহারকারী একটি ট্যাপের মাধ্যমেই সেই কাজ করতে পারবেন।
এ ছাড়াও ব্যবহারকারীর পরিবেশ অনুয়ায়ী ডিসপ্লে ঠিক রাখা ও এক অ্যাপ থেকে অন্য অ্যাপে নড়াচড়ার মাধ্যমে যাওয়ার নতুন সুবিধা আনা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড পাইয়ে।

সূত্রঃ ইন্টারনেট

52
Story, Article & Poetry / ডলফিনের ‘সুখ’
« on: August 06, 2018, 11:24:31 AM »
প্যারিসের কাছে একটি মেরিন পার্কে গবেষকরা বন্দিদশায় ডলফিনদের সুখের অনুভূতি মাপার চেষ্টা করেছেন।

প্রাণিদের বন্দিদশা কেমন তা বোঝার জন্যই তারা এ প্রজেক্টে হাত দিয়েছেন। এর জন্য ডলফিনের প্রতিটি কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে।

বিবিসি ডটকম ওয়েবসাইটের বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিনিধি ভিক্টোরিয়া গিলের সোমবারে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে, অ্যাপ্লায়েড অ্যানিম্যাল বিহেভিয়ার সায়েন্সের একটি জার্নাল অনুসারে, তিন বছর ধরে এটি নিয়ে গবেষণা করছেন গবেষকেরা। তারা জানিয়েছেন, সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণিরা পরিচিত মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে চায়।     

গবেষণাটিকে পরিচালনা করেছেন ড. ইসাবেলা ক্লেগ যার নেতৃত্বে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা কাজ করেছেন। গবেষণাটি চলছে অ্যাস্টরেক্স পার্কে।   

ক্লেগ বলেন যে, ডলফিনেরা বন্দি অবস্থায় কেমন আচরণ বেশি পছন্দ করে সেটাই তারা জানতে চেয়েছেন।   

তিনটি কার্যকালাপের মাধ্যমে তারা ডলফিনের অনুভূতি জানার চেষ্টা করেছেন। প্রথমত, ট্রেইনারকে তাদের সাথে খেলতে দিয়েছেন। তারপরে পুলের বিভিন্ন খেলনা দিয়েছেন এবং সবশেষে তাদের একা থাকতে দেওয়া হয়েছে। 

এই গবেষণার পর ক্লেগ জানান, তারা একটি আকর্ষণীয় ফলাফল পেয়েছেন। ডলফিনেরা তাদের পরিচিতদের সাথে যোগাযোগ করতে গভীরভাবে অপেক্ষা করে। 

ডলফিনেরা পানির ঠিক নিচেই লুকিয়ে ভেসে থাকে এবং ট্রেইনার যেদিক থেকে আসে সেদিকেই তাকিয়ে থাকে। তারা পুলের কিনারেই বেশি সময় ধরে থাকে, যেন ট্রেইনার আসার সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পায়। 

ক্লেগ আরও বলেন যে তারা চিড়িয়াখানা এবং ফার্মের অন্যান্য প্রাণির মাঝেও একই বিষয় লক্ষ্য করেছেন।

 প্রাণিরা বন্দিদশায় ভালো না খারাপ আছে এ নিয়ে ফ্রান্সে প্রচুর সমোলচনা চলে।

সম্প্রতি ফ্রান্সের সরকার অ্যাস্টেরিক্স পার্কের মত পার্কে ডলফিনের প্রজনন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখান করেছে।এরপর অ্যাস্টেরিক্স পার্কের ডলফিনেরিয়ামের পরিচালক বিরজিট মারসারা বলেন যে, ডলফিনদের জাত আলাদা রাখতে দেওয়াটা তাদের সুখী জীবনের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ তারা বন্যজীবন থেকে আলাদাভাবে বাঁচছে।

মারসারা মনে করেন, বন্য ডলফিনরা বনে সুখী এবং বন্দি ডলফিনেরা বন্দিদশায়। বন্দি ডলফিনেরা এখানেই জন্ম নিয়েছে এবং তাদের দেখাশোনা করাটাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। 

মারসারা এবং অ্যাস্টোরিক্স পার্কের ট্রেইনারের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, ডলফিনরা সুখী এবং সহজ জীবনযাপন করছে।

কিন্তু ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. সুসান সুলেৎজ যিনি সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণিদের আচরণের ওপর পড়াশোনা করেছেন, তিনি বলেন যে, একটি গবেষণা কখনই বলতে পারবে না, ডলফিনরা বন্দি অবস্থায় সুখী না বন্য অবস্থায়।

তিনি আরও মনে করেন, এটি একটি মূল্যবান আবিষ্কার যে, বন্দিদশায় ডলফিনরা মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে চাচ্ছে। এটি অন্য বুদ্ধিমান প্রজাতিদের সাথে আমাদের আচরণের ওপর প্রয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু একটি ডলফিনের কারো  যোগাযোগ করতে চাওয়াটার মানে এই নয় যে, তার দেওয়া জীবনযাপন পদ্ধতি ডলফিনটির পছন্দ। 

যুক্তরাজ্যের দাতব্য সংস্থা, হোয়েল অ্যান্ড ডলফিন কনজারভেশন অনুসারে বিশ্বের প্রায় ৫০ টি দেশে কমপক্ষে তিন হাজার 'দাঁতওয়ালা তিমি' প্রজাতির প্রাণি বন্দিদশায় রয়েছে। ডলফিনও এই প্রজাতিগুলির মধ্যে একটি। কিন্তু ড. ক্লেগ বলেন যে, এই সংখ্যা তিন নয় পাঁচ হাজার। এর চেয়ে বেশিও হতে পারে, যেগুলি নিবন্ধিত নয়। 

তিনি বলেন যে, দেড়শ বছর ধরে তিমি এবং ডলফিনদের বন্য অবস্থা থেকে অ্যাকোরিয়ামে আনা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এ থেকে তাদের জীবনযাপন, আচরণ, বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারছেন।   

তিনি আরও জানান, বন্দিদশায় রাখা সঠিক না বেঠিক সেটার উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে তিনি বলতে চাইবেন, এই আবিষ্কারের ফলে হাজারো ডলফিন যারা ডলফিনেরিয়ামে রয়েছে তাদের জীবনব্যবস্থার উন্নতি হবে।

তিনি এটাও বলেন যে, প্রাণিদের বন্দিদশায় রাখা উচিত কি না এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং এটি এই মুহূর্তেই তুলে ধরা উচিত। এই প্রশ্নের দুটি ভাগ আছে। প্রথমত, সত্যিই কী প্রাণিরা ভালো আছে? তাদের উদ্দেশ্য কী? এর উত্তর জানতে তাদের আচরণ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

তিনি আরও যোগ করেন, যদি জানা যায় তারা সত্যিই ভালো আছে, তখন আরও কিছু গবেষণা করতে হবে। তারা কী আসলে মানুষের সাথে যোগাযোগে থাকছে এজন্য সুখী নাকি মানুষকে বিনোদন দিচ্ছে সেজন্য সুখী। যদি শুধুমাত্র তারা মানুষের বিনোদনের কারণে থেকে থাকে তাহলে এটা মোটেই ন্যায়সঙ্গত নয়।

সূত্রঃ ইন্টারনেট

53
Story, Article & Poetry / Re: A Man with a Lamp
« on: July 29, 2018, 11:54:57 AM »
Perspective. Thanks for sharing.

54
Story, Article & Poetry / ‘Whiskey war’ for barren island!
« on: July 29, 2018, 11:41:37 AM »
Canada and Denmark have been in an interesting clash since early 1930s over the Hans Island, the uninhabited half-square-mile island that has no apparent natural resources, located far in the Arctic North, reports Business Insider.

According to World Atlas, Hans Island is located in the middle of the 22-mile wide Nares Strait, which separates Greenland, an autonomous territory of Denmark, from Canada. Due to international law, all countries have the right to claim territory within 12 miles of their shore.

As such, Hans Island is technically located in both Danish and Canadian waters. World Atlas notes that the island was decided to be Danish territory by the Permanent Court of International Justice of the League of Nations in 1933.

However, as the League of Nations fell apart in the 1930's and was then replaced by the United Nations, the ruling on the status of Hans Island carries little to no weight.

The issue of Hans Island then loss traction in popular consciousness and the concerns of the Canadian and Danish governments throughout World War II and the heights of the Cold War, only to re-emerge in 1984.



On that year, Denmark's minister of Greenland affairs visited the island and planted a Danish flag. At the base of the flag, he left a note saying, "Welcome to the Danish island," along with a bottle of brandy, CBC reports.

And since then, the two countries have waged a not-quite-serious "whiskey war" over Hans Island.

Although the two countries have continued to disagree over the territorial status of the island, the governments have managed to continue the "whiskey war" and keep a good sense of humor over the incident.

Peter Takso Jensen, the Danish Ambassador to the US, said: "When Danish military go there, they leave a bottle of schnapps. And when [Canadian] military forces come there, they leave a bottle of Canadian Club and a sign saying, 'Welcome to Canada.'"

Currently, a plan is in the works that could turn Hans Island into a shared territory that would be jointly managed by the Canadian and Danish municipalities bordering it.

Source: Internet

55
এমন একটা শিরোনাম দেখেই হয়তো অনেকেই আন্দাজ করে নিয়েছেন বিষয়টা কি কারন জাপানীদের ব্যাপারে এটা অনেকেরই জানা। ইতোমধ্যে তারা এমন অনেক নজির সৃষ্টি করেছে এবং করে যাচ্ছে। যারা গত ০৩ জুলাই ২০১৮ এর ডেইলি স্টারের বাংলা অনলাইন সংস্করন পড়েছেন, খেলার পাতায় হয়তো বিস্তারিত জেনে থাকবেন।

এমন একট সংবাদ কি আমরা দেখেই, পড়েই তা শিকেয় তুলে রেখে দেব? যদিও আমরা তাই করি। ভাল জিনিস আমরা সহজে শিখতে চাইনা, মন্দ গুলোর দিকেই আমাদের বেশি ঝোঁক। পুরো দেশই এখন বিশ্বকাপ দেখায় মাতোয়ারা। আনেক তর্ক, বিতর্ক একে অপরকে একটু দেখে নেয়া পছন্দের দলেয় জয়ে কিন্তু তার মাঝেও এমন একটা সংবাদ দেখে আমাদের ভ্রূ একটু কুঁচকায় কিন্তু পরক্ষনেই মিলিয়ে যায়। সমস্যা ওই মিলিয়ে যাওয়াতেই।

আমাদের দেশ এমনিতেই খুব একটা পরিচ্ছন্ন নয়। ঢাকা নিয়েই বলছি যেহেতু এখানেই থাকা হয়। জলাবদ্ধতা খুব সাধারন একটা সমস্যা। কারনগুলোও আমাদের জানা। কিন্তু তার সমাধানে ব্যক্তি পর্যায়ে সচাতনতা খুব একটা দেখা যায়না। হোটেলে নাস্তা করতে গেলাম, নাস্তা সেরে মামার কাছে থেকে টিস্যু নিয়ে হাত মুছে বিল কত জিজ্ঞেস করতে করতে তা ছুঁড়ে ফেলি রাস্তায় অথচ হয়তো পাশেই রাখা আছে ময়লার ঝুড়িটা। তাহলে সমস্যা কোথায়, সমস্যা আমাদের মানসিকতায়। আমরা অলস একটা জাতি। আরেকজনের ফেলে যাওয়া ময়লা তো পরিস্কার করা দূরে থাক নিজেরটা নিজেই করতে চাইনা।

মাঝে মাঝে খুব কৌতুহল হয় জানতে, আমরা আমাদের নিজ নিজ বাসায় কি চিপ্স খেয়ে তার প্যাকেটটা ঘরের মেঝেতেই ফেলে দি এই মনে করে যে বাসার কাজের লোক তা পরিস্কার করবে, বা বাদাম খেলে তার খোসাটুকু কি আমরা কোন বাটিতে ফেলি যেন ঘর নোংরা না হয়। আমার মনে হয় এমন মানুষ হাতে গুনে কিছু পাওয়া যাবে, তাহলে শহরের রাস্তা বা পাব্লিক প্লেস গুলোর ক্ষেত্রে আমাদের এত্ত অনীহা বা আসচেতনতা কেন? আপনার ফেলে যাওয়া কলার খোসায় কেউ যদি পা পিছলে মাথা ফাটিয়ে ফেলে তাহলে কি আপনার বিবেক আপনাকে দংশন করবেনা? সিনেমা হল, শপিং মল, ফুটপাত, ইউনিভার্সিটির খেলার মাঠ, পিকনিক স্পট এসব জায়গায় গেলে দেখা যায় আমরা জাতি হিসেবে কতটা সভ্য।

চোখ উপরের দিকে থাকলেই উপরের দিকে যাওয়া সম্ভব। জাপানের মত একটা দেশের ফুটবল টিম বিশ্বকাপের মত একটা আসরে ড্রেসিং রুম যদি একটু ময়লা করে রেখেও যায় তার জন্য তাদেরকে কোন দোষই দেয়া যাবেনা কারন সেগুলো পরিস্কার করার জন্য লোক আছে। কিন্তু তারা কেন কাজটা করল, বিশেষ করে নক আঊট পর্বের ম্যাচ হেরে যাবার পর? কারন তারা সভ্য, কারন তারা পরিশ্রমী, কারন তারা জানে কিভাবে সম্মান অর্জন করতে হয়। তাদের দায়িত্ববোধ আসামান্য। আমার কারনে অপরিস্কার হওয়া একটা জায়গা কেন আরেকজন ব্যবহার করবে এমনটাই হয়তো তাদের ভাবনা আর আমরা সেখানে একটা পাবলিক টয়লেটে গিয়ে পানি ব্যবহার না করেই বের হয়ে চলে আসি। তাহলে আমাদের দেশ পরিচ্ছন্ন থাকবে কেন।

এখান থেকে শেখার আছে, আছে অনুপ্রেরনা। একটু ইচ্ছা শক্তি কিন্তু এই পরিবর্তনটা আনতে পারে। নিজেই শুরু করি, নিজেই ঠিক করি যে আজ থেকে নিজের কারনে যেন রাস্তায় একটা কাগজের টুকরো না পড়ে, পানি খেয়ে পানির বোতলটা যেন রাস্তায় ছুঁড়ে না ফেলি, চিপ্সের প্যাকেটটা পকেটে করে নিয়ে কাছেই কোন ডাস্টবিনে ফেলে দিই।

সম্ভব।

সংবাদের লিংকঃ https://bit.ly/2IS1B5q

56
Use of Forum / Re: All Forum users, please note....
« on: July 02, 2018, 11:10:42 AM »
Noted sir. Thank you for the heads up. Sharing this link on Tweeter of Facebook will help it reach the maximum people. We should also give it a thought and implement it.

57
তথ্যবহুল পোষ্ট। তবে যাদের ওজন ইতোমধ্যেই অতিরিক্ত তাদের ডিমের কুসুম খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত বলেই অধিকাংশ ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞরা মনে করে থাকেন।

পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

58
Common Forum/Request/Suggestions / Re: Common Sense - Series
« on: July 02, 2018, 10:48:40 AM »
# Footpaths are for pedestrians. If you are a biker and you ride it on a footpath during heavy traffic, creating problems for the pedestrians, then you are devoid of common sense. It is BAD PRACTICE. Every biker should avoid it and restrain others from doing the same.
Makes sense? Let's do it.

59
ACADEMIC PROGRAMS AT DIU / Re: Student Attendance System Guide
« on: June 27, 2018, 03:11:03 PM »
Smart stuff.

60
ফ্লোরিডার সমুদ্র সৈকতে নাকি ইতিহাসের সাক্ষীর দেখা মিলে। সেই ইতিহাসের সাক্ষীকে দেখার জন্য যেকোনো সময়ে সেখান ঢুঁ মারলেই হবে না। সেজন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে পূর্ণিমার চাঁদের জন্য। জ্যোৎস্নার আলোয় স্নাত সেই সৈকতের চিকচিক করা বালিতে সেই ইতিহাসের সাক্ষীরা ধীরে ধীরে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়। প্রায় ৪৪৫ মিলিয়ন বছরের ইতিহাস প্রত্যক্ষ করে এসেছে এদের পূর্বপুরুষেরা। এদের চোখের সামনে পৃথিবীর বুকে দাপটের সাথে রাজত্ব করেছে বিশালদেহী ডায়নোসররা। এরা তখন নীরব দর্শক হিসেবে শুধু তাদের গর্জন শুনেছে। এরপর পৃথিবীর বুকে হাজারো প্রাণীর উত্থান আর পতন হয়েছে। যুগের আবর্তে পৃথিবীতে আসলো দু'পায়ে হাঁটা মানুষ। আদিম বন্য প্রাণী থেকে সেই মানুষ আজ সভ্যতার ভাস্কর হিসেবে পৃথিবীর সিংহাসনে আসীন হয়েছে। সবকিছু বদলে গেছে। শুধু বদলায়নি সেই ইতিহাসের সাক্ষী আর তার বংশধরেরা। অশ্বখুরের ন্যায় দেখতে উপবৃত্তাকার এই 'জীবন্ত ফসিল' খ্যাত ইতিহাসের সাক্ষীর নাম 'Horseshoe Crab' কিংবা নাল কাঁকড়া।

পৃথিবীর সৃষ্টির প্রথমদিকে আবির্ভূত হওয়া জীবগুলোর মাঝে এই প্রজাতির প্রাণীগুলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে নয়, এরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এদের রক্তের ঔষধি গুণে জীবন বাঁচছে লক্ষ লক্ষ মুমূর্ষ রোগীর। আমাদের আজকের আলোচনায় থাকছে সেই ঐতিহাসিক দর্শকদের জীবনবৃত্তান্ত।

নাল কাঁকড়া সমাচার
বিজ্ঞানীরা বলেন, নাল কাঁকড়া নাকি প্রজাতিগত দিক থেকে কাঁকড়ার চেয়ে বিভিন্ন মাকড়শা এবং বৃশ্চিকের সাথে বেশি সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু দেখতে সামুদ্রিক কাঁকড়ার সাথে অনেকটাই সাদৃশ্যপূর্ণ। এদের দেহ দেখতে অনেকটা সৈনিকের হেলম্যাটের ন্যায়। শক্ত খোলসের ভেতর থেকে বেড়িয়ে এসেছে দশটি পা। এগুলোর সাহায্যে এরা চলাচল করে থাকে। এর মাথা দেখতে অনেকটা অশ্বখুরের ন্যায় বলে ইংরেজিতে এর নাম রাখা হয় 'হর্স শু ক্র্যাব'। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, নাল কাঁকড়ার মাথায় সর্বমোট নয়টি চোখ থাকে। চোখগুলো পুরো দেহে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিস্তৃত রয়েছে। তবে এর প্রধান দুটো চোখ মাথার সম্মুখে থাকে যা দ্বারা সে সঙ্গীদের অনুসন্ধান করে থাকে। আর অন্যান্য চোখগুলো সাধারণত আলোর উৎস সন্ধানে সাহায্য করে।

নাল কাঁকড়ার গঠন; Source: Screa News
এছাড়া নাল কাঁকড়ার দেহে একটি সরু লেজও রয়েছে। দেখতে ভীতিকর হলেও এরা বেশ নিরীহ প্রাণী। সামুদ্রিক স্রোতের কারণে কাঁকড়া উল্টো হয়ে গেলে, তারা লেজের সাহায্যে সোজা হওয়ার চেষ্টা করে। স্ত্রী নাল কাঁকড়ারা পুরুষদের তুলনায় আকারে যথেষ্ট বড় হয়ে থাকে। এরা বসন্তের শেষদিকে সৈকতের বালিতে ডিম পাড়ে। সেখান থেকে জন্ম ন্যায় নতুন কাঁকড়া। পৃথিবীতে সর্বমোট চার প্রজাতির নাল কাঁকড়ার সন্ধান পাওয়া যায়। এদের প্রধান প্রজাতি Limulus polyphemus, যাদের আবাসস্থল উত্তর আমেরিকা মহাদেশ থেকে মেক্সিকো পর্যন্ত বিস্তৃত। বাকি তিন প্রজাতির কাঁকড়ার সন্ধান পেতে আপনাকে চলে আসতে হবে এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, এত লম্বা সময় ধরে পৃথিবীর বুকে বসবাস করার পরেও পূর্বপুরুষদের সাথে এদের শারীরিক গঠনে খুব কম পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা জানান, এদের বিরূপ পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই তেমন কোনো বিবর্তন হয়নি।

জীবনচক্র
বসন্তের শেষ দিকে পুরুষ কাঁকড়ারা সমুদ্রের গভীর থেকে উঠে এসে সৈকতে অবস্থান করে। এরপর শুরু হয় স্ত্রী কাঁকড়ার আগমনের অপেক্ষা। অপরদিকে স্ত্রী কাঁকড়ারা সৈকতে আগমনের পর নিজেদের দেহ থেকে ফেরোমোন নামক রাসায়নিক পদার্থ ক্ষরণ করে যা পুরুষদের আকৃষ্ট করতে সহায়তা করে। এরা সাধারণত সৈকতের বালিতে ছোট বাসা বানিয়ে ডিম পাড়ে এবং তা সংরক্ষণ করে। একটি স্ত্রী কাঁকড়া প্রায় দশ হাজার পর্যন্ত ডিম পাড়তে পারে।

লার্ভা থেকে সদ্য পরিণত নাল কাঁকড়া; Source: Big Ten Network
তবে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, বিভিন্ন ডিমখেকো পশু এবং পাখির আক্রমণের ফলে অধিকাংশ ডিমই নষ্ট হয়ে যায়। যদি ভাগ্যক্রমে কোনো ডিম বেঁচে যায়, সেক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ পরে তা লার্ভাতে পরিণত হয়। নির্দিষ্ট সময়ে লেজবিহীন বাচ্চা কাঁকড়ার ন্যায় দেখতে এই লার্ভা ডিম ফেটে বেরিয়ে আসে। তারপর শুরু হয় সমুদ্রযাত্রা। সমুদ্রের গভীরে সমতল স্থানে তারা নতুন আস্তানা গাড়ে। পরবর্তী দশ বছরে এরা পরিণত নাল কাঁকড়ায় রূপান্তরিত হয়। প্রাপ্তবয়স্ক কাঁকড়ার ন্যায় একটি লেজও জুড়ে যায় ততদিনে। এরা এই সময়ে বেশ কয়েকবার খোলস পরিবর্তন করে থাকে। একটি নাল কাঁকড়া গড়ে প্রায় বিশ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক কাঁকড়ারা বিভিন্ন সময় দল বেঁধে ডাঙায় উঠে আসে। বিশেষ করে আটলান্টিক উপকূলে নিউ জার্সি, ফ্লোরিডা এবং ডেলাওয়ার সমুদ্র সৈকতে এদের ভিড় জমে।



'দ্য ইনক্রেডিবল' নাল কাঁকড়া
প্রায় ৪৪৫ মিলিয়ন বছর ধরে বংশ পরম্পরায় পৃথিবীর বুকে টিকে থাকলে হলে যেকোনো প্রাণীর কিছু বিশেষ গুণ থাকা প্রয়োজন। নাল কাঁকড়ারা সকল বিপর্যয় এবং ভয়ংকর রোগ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে বেশ পটু। আর এই রহস্যময় প্রতিরোধের মূলে রয়েছে নাল কাঁকড়ার বিশেষ 'নীল রক্ত'। এই রক্তের অসাধারণ ক্ষমতাবলে নাল কাঁকড়ারা যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং বিষাক্ত পদার্থ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন করতে পারেন, এদের রক্তের রঙ নীল কেন? বিজ্ঞানীরা জানান, মেরুদণ্ডী প্রাণীরা সাধারণত হিমোগ্লোবিনে লৌহের উপস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে থাকে। কিন্তু এদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি সম্পূর্ণ আলাদা। এরা কপারভিত্তিক একপ্রকার হিমোসায়ানিনের সাহায্যে অক্সিজেন পরিবহন করে। এর উপস্থিতির কারণে নাল কাঁকড়ার রক্তের রঙ নীল দেখা যায়।

নাল কাঁকড়ার নীল রক্ত; Source: Mapping Ignorance
বিভিন্ন অমেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহে শ্বেত রক্তকণিকার পরিবর্তে 'অ্যামিবোসাইট' নামক একপ্রকার বিশেষ কোষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। আশ্চর্যজনকভাবে নাল কাঁকড়ার রক্তে অ্যামিবোসাইটের উপস্থিতি রয়েছ। এই অ্যামিবোসাইট এদেরকে অদম্য করে তুলেছে। নাল কাঁকড়ার অ্যামিবোসাইটে মাত্র এক ট্রিলিয়ন ভাগের এক ভাগ ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিতে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে, স্তন্যপায়ী প্রাণীর ন্যায় এই বিক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৪৮ ঘণ্টার কোনো প্রয়োজন হয় না। মাত্র ৪৫ মিনিটে এরা রক্তে উপস্থিত যেকোনো জীবাণুর মোকাবেলা করতে পারে। কিন্তু এই বিশেষত্বের কারণ কী? বিজ্ঞানীরা জানান, এদের অ্যামিবোসাইটে 'Coagulon' নামক এক রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতির ফলেই এরূপ সম্ভব হয়েছে। মূলত, এ ধরনের সূক্ষ্ম রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাই নাল কাঁকড়াকে অদম্য করে তুলেছে।

মানুষের প্রাণ বাঁচাতে নাল কাঁকড়া
বিজ্ঞানী হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান গ্রাম ব্যাকটেরিয়াদের দু'ভাগে ভাগ করেছেন- গ্রাম পজিটিভ এবং গ্রাম নেগেটিভ। গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের গায়ে লেগে থাকে একধরনের শর্করা। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন 'Endotoxin' (এন্ডোটক্সিন)। বহু বছর ধরে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই এন্ডোটক্সিন এক 'জম্বি' হয়ে হুমকি দিচ্ছে শত শত মানুষের প্রাণকে। পরীক্ষা করে দেখা যায়, অতি উচ্চ তাপমাত্রায় এরা নষ্ট হয় না। তাই যখন চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীগণ যখন উচ্চ তাপমাত্রায় বিভিন্ন সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করেন, তখন এন্ডোটক্সিনের উপস্থিতি পুরো প্রক্রিয়াকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। এসব সরঞ্জাম ব্যবহারের মাধ্যমে রোগীর রক্তে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই যেকোনো প্রক্রিয়ার পূর্বে এর উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু বিজ্ঞানীদের নিকট তেমন কোনো সূক্ষ্ম পদ্ধতি জানা ছিল না। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে রক্ষাকর্তার মতো আবির্ভূত হলো নাল কাঁকড়া। এদের নীল রক্ত সামান্য পরিমাণ এন্ডোটক্সিনের উপস্থিতিতে জমাট বেঁধে যায়, যার দ্বারা চিকিৎসা সরঞ্জামের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা লাভ করা যায়। বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে LAL (Limulus Amoebocyte Lysate)-নামক একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। এই পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে বর্তমানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে সরঞ্জামের বিশুদ্ধতা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার (যেমন- ই কোলাই) উপস্থিতি নির্ণয় করতেও এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে।

গবেষণাগারে নাল কাঁকড়ার রক্ত সংগ্রহের দৃশ্য; Source: CNN
কিন্তু এখানেও সমস্যা দেখা দিলো। গবেষণাগারে নাল কাঁকড়ার অ্যামিবোসাইট প্রস্তুত করতে ব্যর্থ হলেন বিজ্ঞানীরা, যার খেসারত দিতে হচ্ছে এই অনন্য নাল কাঁকড়াদের। প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার নাল কাঁকড়া আটক করা হয় মানুষের জীবন রক্ষাকারী LAL তৈরির উদ্দেশ্যে। এর ফলে এদের পুরো অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে পড়েছে। ওদিকে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, খুব দ্রুত এই পদ্ধতির বিকল্প ব্যবস্থা আবিষ্কৃত না হলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে পুনরায় সেই এন্ডোটক্সিনের জম্বির হাতে ধরা পড়তে হবে আমাদের। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় এখনো জানা যায়নি। ঠিক কবে এর সমাধান বের হবে, সে সম্পর্কেও নিশ্চিত নয় কেউ।

হুমকির মুখে নাল কাঁকড়াদের অস্তিত্ব; Source: ThoughtCo
ফ্লোরিডার শান্ত সৈকতে হাজারো নাল কাঁকড়ার উপস্থিতিতে এক অপরূপ দৃশ্য অঙ্কিত হয়। এই নাল কাঁকড়াদের শুধু চিকিৎসা বিজ্ঞানেই ব্যবহার করা হয় না। বিবর্তনবাদ, ইতিহাসবিদ্যা থেকে শুরু করে সমুদ্রবিদ্যার নানা রহস্য উদ্ঘাটনে আমাদের সাহায্য করছে এরা। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা নাল কাঁকড়া নিধনের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারিত করে দিয়েছেন। নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত হয়তো মানুষ নামক এক প্রাণীর জীবন রক্ষায় জীবন দিতে হবে এই নাল কাঁকড়াদের।

সূত্রঃ ইন্টারনেট

Pages: 1 2 3 [4] 5 6