Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Nazmul Hasan

Pages: 1 [2] 3 4 5
16
সাশ্রয়ী দামে ভালো পণ্য পৌঁছে দেবার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে জাপানের ফার্স্ট গ্রোয়িং ডিজাইনার স্টোর মিনিসো। ২০১৩ সালে টোকিওতে যাত্রা শুরু করলেও মিনিসো’র বর্তমানে ৪১টি দেশে তিন হাজারের বেশি স্টোর রয়েছে। বাংলাদেশে দ্রুত বাজার সম্প্রসারণের অংশ হিসাবে এবার যাত্রা শুরু করলো রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে। সুপরিচিত জাপানি লাইফস্টাইল ডিজাইনার ব্র্যান্ডটির এ স্টোরটিতে এলিভেশন ফ্র্যাঞ্চাইজি বিনিয়োগ করবে। যমুনা ফিউচার পার্ক ছাড়াও ঢাকায় মিনসোর আরও দুইটি শো-রুম রয়েছে।

গত ১৩ এপ্রিল মডেল-অভিনেত্রী মারিয়া নূরের উপস্থাপনায় আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে চালু হয় নতুন শো-রুমটি। জাপানি ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র টাইকো ড্রামিং এর বাজনা দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এর পরপরই ছিল ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু ও পরবর্তী সাংস্কৃতিক আয়োজন। পুরো আয়োজন জুড়ে উপস্থিত ছিলেন মিনিসো’র আন্তর্জাতিক অপারেশন ম্যানেজার অ্যালেন লিও, ফ্র্যাঞ্চাইজি’র চেয়ারম্যান এবং এক্সট্যাসির উদ্যোক্তা তানজীম হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহসিন হক, ক্রিকেটার সাব্বির রহমান, মোটিভেশনাল বক্তা সুলেমান সুখনসহ অনেকেই।

মিনিসো’র যমুনা ফিউচার পার্কের স্টোরটি নিয়ে তানজীম হক জানান, জাপানের ফার্স্ট-ফ্যাশন ডিজাইনার ব্র্যান্ড হিসেবে অল্প সময়েই এটি অনেক দেশেই ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে। মিনিসো’র মূল লক্ষ্য সাশ্রয়ী দামে উচ্চমানের জীবনযাপন করতে ভোক্তাদের সাহায্য করা। আমরা এই ফ্ল্যাগশিপ স্টোরটির সাহায্যে ক্রেতাদের সেই সেবা আরও কাছাকাছি থেকে দিতে পারব বলে আশা করছি।

উল্লেখ্য ক্রিয়েটিভ লাইফস্টাইল পণ্য, স্পোর্টস-ফিটনেস, গেজেটস, আইসিটি পণ্য, স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য, স্টেশনারি ও উপহার, খেলনাসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ জিনিসপত্র পাওয়া যাবে মিনিসোতে।

17
The Trump campaign ran on bringing jobs back to American shores, although mechanization has been the biggest reason for manufacturing jobs’ disappearance. Similar losses have led to populist movements in several other countries. But instead of a pro-job growth future, economists across the board predict further losses as AI, robotics, and other technologies continue to be ushered in. What is up for debate is how quickly this is likely to occur.

Now, an expert at the Wharton School of Business at the University of Pennsylvania is ringing the alarm bells. According to Art Bilger, venture capitalist and board member at the business school, all the developed nations on earth will see job loss rates of up to 47% within the next 25 years, according to a recent Oxford study. “No government is prepared,” The Economist reports. These include blue and white collar jobs. So far, the loss has been restricted to the blue collar variety, particularly in manufacturing.

To combat “structural unemployment” and the terrible blow it is bound to deal the American people, Bilger has formed a nonprofit called Working Nation, whose mission it is to warn the public and to help make plans to safeguard them from this worrisome trend. Not only is the entire concept of employment about to change in a dramatic fashion, the trend is irreversible. The venture capitalist called on corporations, academia, government, and nonprofits to cooperate in modernizing our workforce.

To be clear, mechanization has always cost us jobs. The mechanical loom for instance put weavers out of business. But it’s also created jobs. Mechanics had to keep the machines going, machinists had to make parts for them, and workers had to attend to them, and so on. A lot of times those in one profession could pivot to another. At the beginning of the 20th century for instance, automobiles were putting blacksmiths out of business. Who needed horseshoes anymore? But they soon became mechanics. And who was better suited?
A Toyota plant, Japan. Manufacturing is almost fully automated today and so many other jobs are not far behind.

Not so with this new trend. Unemployment today is significant in most developed nations and it’s only going to get worse. By 2034, just a few decades, mid-level jobs will be by and large obsolete. So far the benefits have only gone to the ultra-wealthy, the top 1%. This coming technological revolution is set to wipe out what looks to be the entire middle class. Not only will computers be able to perform tasks more cheaply than people, they’ll be more efficient too.
Accountants, doctors, lawyers, teachers, bureaucrats, and financial analysts beware: your jobs are not safe. According to The Economist, computers will be able to analyze and compare reams of data to make financial decisions or medical ones. There will be less of a chance of fraud or misdiagnosis, and the process will be more efficient. Not only are these folks in trouble, such a trend is likely to freeze salaries for those who remain employed, while income gaps only increase in size. You can imagine what this will do to politics and social stability.

Mechanization and computerization cannot cease. You can’t put the genie back in the bottle. And everyone must have it, eventually. The mindset is this: other countries would use such technology to gain a competitive advantage and therefore we must adopt it. Eventually, new tech startups and other business might absorb those who have been displaced. But the pace is sure to move far too slowly to avoid a major catastrophe.

According to Bilger, the problem has been going on for a long time. Take into account the longevity we are enjoying nowadays and the US’s broken education system and the problem is compounded. One proposed solution is a universal basic income doled out by the government, a sort of baseline one would receive for survival. After that, re-education programs could help people find new pursuits. Others would want to start businesses or take part in creative enterprises. It could even be a time of the flowering of humanity, when instead of chasing the almighty dollar, people would able to pursue their true passions.The first fully automated restaurant opens in San Francisco.

On a recent radio program, Bilger talked about retooling the education system in its entirety, including adding classes that are sure to transfer into the skills workers need for the jobs that will be there. He also discussed the need to retrain middle-aged workers so that they can participate in the economy, rather than be left behind. Bilger said that “projects are being developed for that.” Though he admits that many middle-aged workers are resistant to reentering the classroom, Bilger says it’s necessary. What’s more, they are looking at ways of making the classroom experience more dynamic, such as using augmented reality for retraining purposes, as well as to reinvent K-12 education. But such plans are in the seminal stages.

Widespread internships and apprenticeships are also on the agenda. Today, the problem, as some contend, is not that there aren’t enough jobs, but that there aren’t enough skilled workers to fill the positions that are available. Bilger seems to think that this problem will only grow more substantial.

But would those who drive for a living, say long haul truckers and cab drivers, really find a place in the new economy with retraining, once self-driving vehicles become pervasive? No one really knows. Like any major shift in society, there are likely to be winners and losers. This pivot point contains the seeds for a pragmatic utopia, or complete social upheaval, but is likely to fall somewhere between.

Bilger ended the interview saying, “What would our society be like with 25%, 30% or 35% unemployment? … I don’t know how you afford that, but even if you could afford it, there’s still the question of, what do people do with themselves? Having a purpose in life is, I think, an important piece of the stability of a society.”

To learn why employment should be a basic human right, click here:

  :)

18


    লিচুর ফুল থেকে মধু সংগ্রহের নীরব বিপ্লব দিনাজপুরে।
    গত বছর লিচুর ফুল থেকে মধু সংগ্রহ ২৩ হাজার ৩৬০ কেজি।
    মৌচাষিদের হিসাবে তা প্রায় দ্বিগুণ।
    মৌমাছি লিচুর ফুলে পরাগায়ন ঘটানোয় ফলন ভালো হয়।

সুস্বাদু লিচুর জন্য বিখ্যাত উত্তরের জেলা দিনাজপুর। ভরা মৌসুমে যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু লিচু আর লিচু। পাকা লিচুর লাল রঙে পুরো জেলায় এক অপরূপ দৃশ্য ধরা দেয়। মনে হয় যেন লিচুর রাজ্য।
কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় বলছে, এই লিচুর ফুল থেকে মধু সংগ্রহের নীরব বিপ্লব ঘটেছে দিনাজপুরে। সরকারি হিসাবে গত বছর দিনাজপুরে লিচুর ফুল থেকে মধু সংগ্রহ হয়েছে ২৩ হাজার ৩৬০ কেজি। যদিও মৌচাষিদের হিসাবে তা প্রায় দ্বিগুণ। মৌমাছি লিচুর ফুলে পরাগায়ন ঘটানোয় ফলন ভালো হয়। এতে দিন দিন লিচুর উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি বিপুল পরিমাণ মধুও সংগ্রহ হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ বছর ধরে এই অঞ্চলে ব্যাপকভাবে লিচুর মধু সংগ্রহ চলছে। আর ২০১৫ সাল থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করে।
গত সপ্তাহে সরেজমিনে দিনাজপুর সদর, বিরল, চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক লিচুবাগানে রাখা হয়েছে মৌ-বাক্স। তার পাশে গাড়া তাঁবু। সেসব তাঁবুতে বসত গেড়েছেন মৌচাষিরা। তাঁদের বেশির ভাগই এসেছেন সিরাজগঞ্জ থেকে। কেউ কেউ বগুড়া, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার।
মৌচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার লিচুর ফুল ভালো হওয়ায় গত বছরের চেয়ে বেশি মৌচাষি দিনাজপুরে এসেছেন। সবচেয়ে বেশি চাষি এসেছেন বিরলে। সব মিলিয়ে কমপক্ষে ২০০ মৌচাষি এসেছেন দিনাজপুরে। প্রত্যেকে কমপক্ষে ১০০টি মৌ-বাক্স নিয়ে এসেছেন। ১০০ মৌ-বাক্স আছে এমন একজন চাষি কমপক্ষে ১ হাজার কেজি মধু সংগ্রহ করবেন।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ৫ হাজার ২৮১ হেক্টর জমিতে লিচুবাগান হয়েছে। এর মধ্যে বিরলে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে লিচুবাগান হয়েছে। গত বছর মধু সংগ্রহের জন্য ৪ হাজার ৯৫৪টি বাক্স স্থাপন করা হয়েছিল।

যেভাবে শুরু
উত্তরবঙ্গ মৌচাষি সমবায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ সাজেরুল ইসলামের কাছ থেকে জানা গেল, দিনাজপুরে লিচুবাগানে প্রথম মধু সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে আসেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচার ফাউন্ডেশনের সহসভাপতি আবদুর রশীদ। তিনি মৌচাষি সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি।
গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে আবদুর রশীদ জানান, ২০০৩ সালে বীরগঞ্জ উপজেলায় ব্র্যাকের উদ্যোগে কিছু চাষিকে মৌমাছি দিয়ে মুলা, পেঁয়াজ ও মিষ্টিকুমড়ার ফুলে পরাগায়নের মাধ্যমে চাষাবাদ শুরু হয়। সে সময় তিনি বীরগঞ্জের চাষিদের জন্য মৌমাছির বাক্স ভাড়া নিয়ে আসতেন। মুলা, পেঁয়াজ, আর মিষ্টিকুমড়ার পরাগায়ন শেষ হওয়ার পর রানি মৌমাছির খাবার নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান তিনি। তিনি জানতেনও না কোন কোন ফসলে মধু পাওয়া যায়। এ সময় বিসিকে কর্মরত এক ব্যক্তি আবদুর রশীদকে জানান যে লিচুর ফুলে মধু পাওয়া যায়।
এরপর বিরলে গিয়ে একটি বাগানে তাঁবু গাড়েন। কিন্তু লিচুর ফুল মৌমাছি খেয়ে ফেলবে—এ জন্য অনেকেই বাগানে মৌ-বাক্স স্থাপন করতে দিতে রাজি হননি। এ সময় এগিয়ে আসেন মাধববাটি এলাকার এক ব্যক্তি। মৌমাছি পরাগায়ন ঘটানোয় লিচুর উৎপাদন বেশি হওয়ার বিষয়টি জানালে তিনি আবদুর রশীদকে তাঁর বাগানে মৌ-বাক্স স্থাপন করতে দেন। এরপর ধীরে ধীরে অন্য বাগানমালিকেরা বিষয়টি জানার পর চাষিদের দিনাজপুরে আসা শুরু হয়।
বিরলের মহেশপুর এলাকার বাগানমালিক আফছার আলী প্রথম আলোকে বলেন, বিরলে তাঁর সাতটি লিচুবাগান রয়েছে। লিচুর ফুলের পরাগায়ন না হলে ফলন কম হয়। লিচুগাছে ফুল এলে তিনি নিজেই মৌচাষিদের ডেকে আনেন। একই কথা জানান মাধববাটি এলাকার বাগানমালিক আবদুল হাই।

যেভাবে সংগ্রহ হয় মধু
বিরলের মাধববাটি গ্রামের আরিফুল ইসলামের বাগানে মধু সংগ্রহ করতে এসেছেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ইউনুস আলী শেখ, উল্লাপাড়া মারুফ হোসেন এবং কামারখন্দের সাজিরুল ইসলাম। ইউনুস আলী জানান, মধু সংগ্রহের জন্য তাঁরা ১৫ থেকে ২০ দিন একটি বাগানে থাকেন। প্রতিটি গাছের নিচে ১২-১৫টি মৌমাছির বাক্স রাখেন। এক চেম্বারের প্রতিটি বাক্সে ১০টি এবং দুই চেম্বারের একটি বাক্সে ২০টি ফ্রেম থাকে। ১০ ফ্রেমের একটি বাক্সে ২০ হাজার পর্যন্ত মৌমাছি থাকে। চার থেকে সাত দিন পর বাক্সগুলো থেকে ফ্রেমে থাকা মৌমাছিগুলো সরিয়ে মধু সংগ্রহ করা হয়।
মাধববাটির আবদুল হাইয়ের বাগানে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে মধু সংগ্রহে আসা রাজু আহমেদ জানান, এক চেম্বারের বাক্স থেকে পাঁচ থেকে সাত দিন পর ৩ থেকে ৫ কেজি এবং দুই চেম্বারের বাক্স থেকে ৭ থেকে ১০ কেজি মধু পাওয়া যায়। প্রতি কেজি মধুর পাইকারি মূল্য ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা।
উল্লাপাড়ার মৌচাষি ইব্রাহীম আলী জানান, আগে এসব মধু ভারতে যেত। এখন প্রাণ, প্রশিকাসহ বিভিন্ন কোম্পানি এসব মধু কিনে নেয়। কিছু মধু স্থানীয় দোকানিরা কিনে খুচরা বিক্রি করেন।

যা বললেন বিশেষজ্ঞরা
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, লিচু
একটি পরাগায়িত ফল। মৌমাছি দিয়ে পরাগায়ন
হলে লিচুগাছে ২০ ভাগ বেশি উৎপাদন হয়। বর্তমানে লিচুর ফুল থেকে সবচেয়ে বেশি মধু সংগ্রহ হচ্ছে। পুষ্টিগুণও অনেক ভালো। লিচুর ফুলের মধু জমাট বাঁধে না। তবে লিচুর পরাগায়ন নিয়ে এখনো দেশে গবেষণা হয়নি।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক তৌহিদুল ইকবাল বলেন, তিনি সম্প্রতি দিনাজপুরে যোগদান করে দেখেতে পেয়েছেন, মধু সংগ্রহে বিপ্লব ঘটেছে। স্থানীয় লোকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এ কাজে লাগাতে পারলে উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি বিপুল আয়ও হবে।

19


২০১৮ সালের শেষ নাগাদ ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা সম্ভব হবে: অর্থমন্ত্রী

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ খাতে ২১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেটের প্রায় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।

এই বরাদ্দ প্রস্তাব চলতি অর্থবছরের তুলনায় টাকার অঙ্কে ৬ হাজার ৫৫৭ কোটি এবং শতাংশের হিসাবে প্রায় ৩২ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ খাতে মোট ব্যয় ১৪ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত নীতি বিবৃতিতে বলেন, এই খাতের মোট ব্যয় প্রতিবছর ২০ দশমিক ৬ শতাংশ হারে বাড়িয়ে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ২৫ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকায় উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

মূল বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব হবে।

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে মোট বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ১৮ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন বরাদ্দ ১৮ হাজার ৮৪৫ কোটি এবং অনুন্নয়ন ব্যয় ৪৯ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন ব্যয় ১৩ হাজার ৪২১ কোটি এবং অনুন্নয়ন ব্যয় ২৯ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ খাতে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ২ হাজার ১১১ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ এবং ১১৩ কোটি টাকা অনুন্নয়ন ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এই ব্যয় যথাক্রমে ১ হাজার ৬৮ এবং ৪৩ কোটি টাকা।

নীতি বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রী রামপাল, মাতারবাড়ী, পায়রায় একটি করে, মহেশখালীতে আরও চারটি এবং বেসরকারি খাতে মোট ১ হাজার ৪২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এলএনজি আমদানির মাধ্যমে তিনি গ্যাস–সংকট মোকাবিলার কথাও নীতি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।

বাজেটের এই প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম বলেন, এই খাতের উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো খুবই দরকারি। তবে সরকার এই খাত থেকে মাত্রাতিরিক্ত হারে রাজস্ব আহরণ করছে। সে তুলনায় বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে না। তা ছাড়া শুধু বরাদ্দ বাড়ালে হবে না। এই খাতের উন্নয়ন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও প্রতিযোগিতা না থাকলে দুর্নীতির ঝুঁকি বাড়বে। সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তা–ও অর্জন করা কঠিন হবে।

20
দেশের প্রধান বিমানবন্দর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে একটি বিপর্যয় হিসেবে অভিহিত করেছেন ব্যবসায়ীদের প্রভাবশালী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। তিনি বলেছেন, ‘আমি যদি বিদেশি বিনিয়োগকারী হতাম, তাহলে বিমানবন্দর থেকেই দেশে ফেরত যেতাম। বিমানবন্দরে নেমে আমাকে যদি ভিসা পেতে এক ঘণ্টার বেশি লাগত, ব্যাগ পেতে দুই ঘণ্টার বেশি লাগত, মশার কামড় খেতে হতো...এটা আমাদের দেশ সম্পর্কে ভালো পরিচয় নয়।’
রাজধানীতে গতকাল শনিবার ‘ব্যবসায় পরিবেশের উন্নয়ন: প্রধান নীতিগুলোর সংস্কার ও প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রাধিকার’ শীর্ষক এক সেমিনারে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এসব কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) সোনারগাঁও হোটেলে এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে নাসিম মঞ্জুর ছয়টি সুপারিশ তুলে ধরেন। এর মধ্যে পাঁচ নম্বরটি ছিল বিমানবন্দর-সংক্রান্ত। তিনি বলেন, ঢাকা বিমানবন্দরকে ঠিক করতেই হবে। তাঁর দেওয়া বাকি পাঁচ পরামর্শ হলো এ দেশে কর্মরত বিদেশি কোম্পানিগুলোর কয়েকটিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর (দূত) হিসেবে ব্যবহার করা; কিছু নির্দিষ্ট দেশকে ঠিক করা, যেখান থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারী আনতে বাংলাদেশ আগ্রহী; বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন না করা; বিশ্বব্যাংকের লজিস্টিক পারফরম্যান্স ইনডেক্সে (পণ্য পরিবহন-সংক্রান্ত সূচক) উন্নতি করা এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা আরও সহজ করা।
ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কয়েকটি কোম্পানির নামও উল্লেখ করেন নাসিম মঞ্জুর। এগুলো হলো ইউনিলিভার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, কোটস বাংলাদেশ, ম্যারিকো ও মার্ক অ্যান্ড স্পেনসার।
বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন না করার বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ করে নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘বহুজাতিক কোম্পানিগুলো যদি কর স্বর্গকে (ট্যাক্স হ্যাভেন) বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে, আমাদের জানতে চাওয়া উচিত হবে না যে অর্থের উৎস কী।’ এ সময় বিডার চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একমত।’
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিশ্বব্যাংকের ডুইং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশ ১৮৯টি দেশের মধ্যে ১৭৬তম অবস্থানে আছে। বাংলাদেশের বিদেশি বিনিয়োগের স্থিতি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ শতাংশ; যা দক্ষিণ এশিয়ার গড় হারের অর্ধেকের কম। যেসব দেশ ব্যবসায় পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে পেরেছে, তারা বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ যত বেশি আসে, তত ভালো—এ ধারণা ঠিক নয়। যেসব ক্ষেত্রে দেশিরা ভালো করছে, সেখানে বিদেশি বিনিয়োগের দরকার নেই। আবার বাজার যদি সুরক্ষিত হয়, সেখানে দেশিদের সুযোগ দেওয়া উচিত।
এমসিসিআইয়ের সভাপতি নিহাদ কবির একটি কোম্পানির যন্ত্রপাতি আমদানির ঘটনা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে বলেন, যন্ত্র আমদানিতে সরকার শুল্ক ছাড় দিয়েছে। কিন্তু তা পেতে নথিপত্র নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) আবেদন করতে হয়। প্রথমে ফাইলটি দ্বিতীয় সচিব, এরপর প্রথম সচিব, এরপর সদস্য, এরপর চেয়ারম্যানের কাছে যায়। চেয়ারম্যান অনুমোদন করার ফাইলটি আবার সদস্যের কাছে যায়। সদস্য ফাইলটি ট্যারিফ কমিশনের কাছে পাঠান। ট্যারিফ কমিশন সেটি নিয়ে একটি গণশুনানি করে। এরপর সেটি এনবিআর চেয়ারম্যানের সইয়ের জন্য পাঠানো হয়। এরপর ফাইলটি যায় অর্থমন্ত্রীর সইয়ের জন্য। সেখান থেকে আবার এনবিআরে আসে। এভাবে দীর্ঘ সময় চলে যায় উল্লেখ করে এমসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘এ ধরনের ফাইলে কেন অর্থমন্ত্রীর স্বাক্ষর লাগবে?’
এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, তিনি কখনো এ ধরনের ফাইল পাননি। জবাবে নিহাদ কবির বলেন, ‘কিন্তু এটাই তো প্রক্রিয়া। এ জন্যই আমরা বলছি সবকিছু সহজ করতে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ থেকে ২০ বছর ধরে আমরা বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস (এক দরজায় সব সেবা) দেওয়ার ওয়াদা করেছি। কিন্তু কখনোই এখানে ওয়াট স্টপ সেবা ছিল না।’ তিনি উল্লেখ করেন, ওয়ান স্টপ সার্ভিস দেওয়ার বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ের তদারকিতে আছে। এ নিয়ে বিডা কাজ করছে। অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের কিছু কিছু দাবি ও পরামর্শ লিখে নেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক আফতাব-উল ইসলাম, বিল্ডের প্রধান নির্বাহী ফেরদৌস আরা, বেজার সদস্য এমদাদুল হক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান িনর্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবরার এ আনোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

21
Common Forum / Game
« on: March 17, 2017, 07:32:58 PM »


হঠাৎ করে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢুকলে ভড়কে যেতে হবে এখন। কোথায় সেই সবুজ মাঠ! কোথায় হারাল ঘাসের কোমলতা! চারদিকে ধু ধু বালুচর। ক্রিকেট তো দূরের কথা, এখানে কখনো কোনো খেলা হতো, সেটাই কারও বিশ্বাস হবে না।

গত জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। আউটফিল্ড এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য মাঠের উপরিভাগ থেকে ছয় ইঞ্চির মতো মাটি তুলে ফেলা হয়েছে। মাঠের নিচ দিয়ে যেসব পাইপ বৃষ্টির পানি বাইরে সরিয়ে দেয় সেগুলো পরিষ্কার ও প্রয়োজনে মেরামত করে নতুন করে ফেলা হবে বালু মাটি (সিলেট স্যান্ড)। তার ওপর লাগানো হবে বারমুডা ঘাস। গঠন কাঠামো অনুযায়ী শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের তলার অংশে ৭৫ মিমি ঘনত্বে ছড়ানো আছে পাথর কণা। এর ওপর আরও ৭৫ মিমি ঘনত্ব নিয়ে আছে বালি ও মাটির (সিলেট ও অরগানিক স্যান্ড) স্তর।

এবার আউটফিল্ডের কাজে হাত দেওয়ার আগে নতুন করে কালো মাটি ফেলা হয়েছে উইকেটেও। পুরোনো মাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে দুই ইঞ্চির মতো। বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির ম্যানেজার সৈয়দ আবদুল বাতেন জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার ল্যাবোস্পোর্ট নামে একটি পরামর্শ দাতা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শে নিয়ে চলছে মাঠ উন্নয়নের কাজ। বিসিবির হয়ে কাজটি করছে অনীক ট্রেডার্স নামে স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হয় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের। ২০১১ সালেও ছয় মাসের মতো খেলা বন্ধ রেখে চলে এর সংস্কার কাজ। আধুনিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু হিসেবে শুরু থেকেই সুনাম কুড়ায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। তবে সংস্কার কাজের ভুল-ত্রুটির কারণে মাঝে এর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা কিছুটা খারাপ হয়ে যায়।

শুরু থেকে ধরলে এবারের মাঠ উন্নয়নের কাজ শেষ হতেও ছয় মাসের মতো লাগবে বলে জানিয়েছেন সৈয়দ আবদুল বাতেন। তার মানে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগস্টের আগে আর ক্রিকেট গড়াচ্ছে না। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়ায় প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ভেন্যু তালিকায় সে কারণেই নেই এই মাঠ। লিগের খেলা হবে বিকেএসপির দুটি মাঠ ও ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে।
 :'( :'( :'( :'(

22
Common Forum / Story
« on: March 15, 2017, 09:26:40 AM »
একবার সংখ্যা ৯, ৮- কে জোরে এক থাপ্পড় মারল!
.
তখন কাঁদতে কাঁদতে ৮ জিজ্ঞাসা করলো,
.
"আমাকে মারলে কেন ?"
.
৯ বলল আমি বড় তাই মেরেছি!
.
এ কথা শুনে ৮, ৭- কে জোরে এক থাপ্পড় বসিয়ে দিল!
.
৭ যখন ওকে মারার কারণ জানতে চাইলে ৮ ও বলল,
.
"আমি বড় তাই মেরেছি!"
.
একই অজুহাত দেখিয়ে, এরপর ৭, ৬-কে;
.
৬, ৫-কে;
.
৫, ৪-কে;
.
৪, ৩-কে;
.
৩, ২-কে;
.
আর ২, ১-কে মারল!
.
হিসাব মত ১-এর শূণ্যকে মারা উচিত...
.
কিন্তু "১" মারল না , মারা তো দূরের কথা,ও ভালোবেসে শূণ্যকে নিজের পাশে বসিয়ে নিল! দু'জনে মিলে "১০" হল!
.
তারা তখন ৯-এর থেকেও বেশী শক্তিশালী।হয়ে গেল! তারপর থেকে "১০" কে সবাই সম্মান করতে শুরু করল!
.
আবশ্যিক হলঃ
.
"ছোট ছোট কারণে, নিজেদের মধ্যে ঝগড়া, লড়াই না করে, ব্যক্তিগত অহঙ্কার দূরে সরিয়ে, আমরা যদি একে অন্যের হাতটা ধরতে পারি, আমাদের শক্তি বহু গুণ বেড়ে যায়।


collected

23
শিক্ষাজীবন শেষ করে চাকরির পেছনে না ঘুরে উদ্যোক্তা হয়ে শিল্প ও কলকারখানা তৈরি করে দেশকে আর্থিকভাবে এগিয়ে নিতে পরবর্তী প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
গতকাল শনিবার সকালে গোপালগঞ্জ সুইমিং পুল ও জিমনেসিয়াম অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, দেশে প্রতিবছর ১৮ থেকে ২০ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানের বাজারে প্রবেশ করছেন। কিন্তু এর মধ্যে অর্ধেকের কম বিভিন্ন ধরনের চাকরি পাচ্ছেন। বাকিরা কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না। কিন্তু কাজহীন অবস্থায় তাঁদের বসে না থেকে তাঁদের উদ্যোক্তা হতে হবে। তিনি আরও বলেন, উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য গ্রামাঞ্চলে ব্যাংকের শাখা বিস্তার ও খোলার জন্য সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর্জা মাহমুদ রফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জোদ্দার, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহম্মদ আলী, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্সে উদ্বোধন করেন গভর্নর।

24


 

এ রকম হতে পারে আইফোন ৮।এ রকম হতে পারে আইফোন ৮।
এ বছরে আইফোন ৮ বাজারে আনতে পারে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। নতুন আইফোন ঘিরে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটগুলোতে নানা গুঞ্জন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী অক্টোবর মাস নাগাদ নতুন আইফোনের ঘোষণা দিতে পারে অ্যাপল।

ব্যবসাবিষয়ক পত্রিকা নিক্কেই সম্প্রতি আইফোন ৮-এর দাম বিষয়ে তথ্য ফাঁস করেছে। নিক্কেইয়ের তথ্য অনুযায়ী, আইফোন ৮-এর দাম হবে এক হাজার মার্কিন ডলার। এযাবৎকালের সবচেয়ে দামি আইফোন হবে এটি।

৫ দশমিক ৮ ইঞ্চি মাপের এ ফোনে ওএলইডি ডিসপ্লে থাকবে। একে আইফোন এক্স নাম দিতে পারে অ্যাপল। নতুন আইফোনে তারহীন চার্জিং সুবিধা থাকতে পারে। এ ছাড়া নকশার দিক থেকে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে অ্যাপল। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

25
একটা ছড়া এ রকম—
দাদু মাকে ‘বৌমা’ ডাকে, বাবা ডাকে ‘শুনছো’
মা-ও কানে ফোনটা তুলে, সোফার পিঠে একটু হেলে
বলেন ‘মিসেস আবুল বলছি, তুমি কে বলছ?

একটা টিভি রিয়েলিটি শোতে নারীরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। বর্তমানে তাঁরা কে কী করছেন উপস্থাপক জিজ্ঞাসা করলে তাঁদের অধিকাংশই বলেন, একসময় বাইরে কাজ করতেন কিন্তু এখন কেবলই হোম মেকার। কেবলই মিসেস অমুক। কেন? কারণের মধ্যে সন্তানের জন্ম এবং লালন-পালন অন্যতম। অনেক সাহসী নারী বলে দেন তাঁদের স্বামীরা বা শ্বশুরবাড়ির লোকজন পছন্দ করেন না। রবীন্দ্রনাথও একসময় ভেবেছিলেন, ‘ঘরেই নারীর সিংহাসন। সেখানেই তাদের রাজত্ব, প্রকৃতিদত্ত কাজের স্থান।’ নেপোলিয়ান বোনাপার্টও বলে গেছেন, ‘তুমি আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব।’ তাহলে শিক্ষিত মা কি কেবল সন্তানই শিক্ষিত করবেন? ধরে নিলাম জাতি গঠনে নারীশিক্ষার বিকল্প নেই। একজন শিক্ষিত মা তাঁর ছেলে ও মেয়ে দুই সন্তানকেই শিক্ষিত করার হাতেখড়ি দেবেন। ছেলেটি বড় হয়ে দেশ উদ্ধারে নিয়োজিত হবেন আর শিক্ষিত মেয়েটি আবার শিক্ষিত জাতি গঠনে শিক্ষিত মায়ের ভূমিকা পালনে নিয়োজিত হবেন। কারণ, মা যদি তাঁর ‘প্রকৃতিদত্ত কাজের স্থান’ ঘর ফেলে বাইরে কাজ করেন, তবে জাতিকে শিক্ষিত করবেন কারা? আর এই তথাকথিত জাতি কে বা কারা তা নিশ্চয় এতক্ষণে বোধগম্য না হওয়ার কারণ নেই।
ওদিকে আর্থসামাজিক উন্নয়নে শিক্ষিত নারীকে ঘরে বসিয়ে (?) রাখলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না—অর্থনীতিবিদদের সাফ তরিকা। শিক্ষিত নারীও নেপোলিয়ানের কথায় নাচতে নারাজ। শিক্ষা যে একই সঙ্গে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধের জন্ম দেয়, তা মহামতির প্রজেক্ট পরিকল্পনায় ছিল না। তাই আর্থসামাজিক উন্নয়নের আহ্বানে ব্যক্তি-পারিবারিক উন্নয়নও নারীকে উদ্বেলিত করেছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু যৌথ পরিবারের ভাঙন, নাগরিক জীবনের বাস্তবতা, অণু পরিবারের অপরিহার্যতা শ্রমজীবী-পেশাজীবী নারীর ওপর দ্বিগুণ শ্রম চাপিয়ে দিল। কেবল গৃহকর্মীর ওপর নির্ভর করে শ্রমজীবী মা নিশ্চিত হয়ে কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না। তাঁর বেদনার কথা স্বামীর কাছে বা কর্মক্ষেত্রে আলোচনা করলে তাঁদের এককথা, ‘কাজ ছেড়ে দিলেই হয়।’
শিশুরা রাষ্ট্রেরই সম্পদ। রাষ্ট্রই তার ভবিষ্যৎ নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বহন করবে। রাষ্ট্রের উদ্যোগে কর্মস্থলে এবং সুবিধাজনক স্থানে পর্যাপ্ত পরিমাণে মানসম্পন্ন শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে

এ তো হলো মধ্যবিত্তের কড়চা। পোশাকশিল্পে কর্মরত শ্রমশক্তির বিরাট অংশ নারী, তাঁদের সন্তানদের দেখাশোনার অভাবে গ্রামের বাড়িতে মা-শাশুড়ি বা নিকটাত্মীয়ের কাছে রেখে আসেন। মা বছরে দুই ঈদে দুবার তাদের দেখে আসতে পারেন। বলা বাহুল্য, পোশাকশিল্প কারখানায় যেসব নারী কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে অবিবাহিত এবং একক মায়ের সংখ্যা স্বামী আছেন এমন নারীর তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। একক মায়ের সন্তানেরা, বিশেষ করে মেয়েশিশুরা গ্রামের বাড়িতে কতখানি নিরাপদে থাকে, তা আলাদা গবেষণার দাবি রাখে। এ ছাড়া বাসাবাড়িতে কাজ করা, স্বল্প মজুরির চাকরি বা দিনমজুর নারীর সন্তানদের বড় হয়ে ওঠার চিত্রও একই। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বা কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়া থেকে সন্তানদের রক্ষা করার জন্য সমাজবিজ্ঞানীরা পারিবারিক বন্ধনের ওপর জোর দেন। এই যে লাখ লাখ নারী তাঁদের যে সন্তানকে আপন ছত্রচ্ছায়ায় মানুষ করতে পারছেন না, সেসব সন্তান বিপথগামী হলে এর দায়ভার কার?
শিরিন বলছিলেন নিজের কথা। তিনি শ্রমজীবী নন। নিজের পছন্দে বিয়ে করেছিলেন বলে পরপর দুটো বাচ্চা মানুষ করতে গেলে শ্বশুর বা বাবার বাড়ির কেউ তাঁকে সাহায্য করেনি। বিয়ের পর স্বামী অন্য মানুষ। সামর্থ্যও কম। গৃহকর্মী রাখতে পারেননি। শিরিন সেলাইয়ের কাজ জানলেও তাঁর কোনো প্রশিক্ষণ ছিল না। বাসার কাছেই একটা প্রশিক্ষণকেন্দ্র ছিল। ১৫ দিনের একটা প্রশিক্ষণ পেলেই তিনি জীবনটাকে অন্যভাবে শুরু করতে পারতেন। কিন্তু সাড়ে তিন ও দেড় বছরের সন্তান দুটোকে কোথায় কার কাছে রেখে যাবেন? কয়েক দিনের জন্য এক ঘণ্টা করে একটু ছুটি তাঁকে কেউ দেয়নি। পরে সন্তানেরা বড় হলে ওদের স্কুলে পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তাতে কাজের চাপ আরও বেড়েছে। একটু অবসরের জন্য তিনি অস্থির হয়ে উঠছেন।
রেজা ইমতিয়ার একক পিতা। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দুটো সন্তান নিয়ে নাজেহাল। বড়টিকে স্কুলে দিয়েছেন কিন্তু ছোটটিকে কোথায় রেখে কাজে যাবেন? কিছুদিন মা, কিছুদিন বোন, কিছুদিন পাশের বাসা এভাবে চালাচ্ছিলেন। উপায়ান্তর না দেখে বিয়েও করেছিলেন আবার কিন্তু টেকেনি। বাসার কাছেপিঠে বা তার কর্মক্ষেত্রে একটা শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র থাকলে তার এহেন দশা হয় না বলছিলেন।
নারীদের অনেক কারণেই চাকরি ছাড়তে হয়। স্বামীর অমত, বদলি, সহকর্মীদের অসহযোগিতা, কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্ব, ঈর্ষা, আচরণে বৈষম্য, যৌন হয়রানি, বেতন বৈষম্য ইত্যাদি। কিন্তু সবচেয়ে বড় কারণ শিশু দিবাযত্নকেন্দ্রের অভাব। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রথম আলোকে বলেন, দেশে শিক্ষিত নারীর সংখ্যা বাড়ছে, একক পরিবারের সংখ্যাও বাড়ছে। সন্তান কোথায় বা কার কাছে থাকবে, এ চিন্তায় অনেক শিক্ষিত ও যোগ্য নারী চাকরিতে টিকে থাকতে পারছেন না।
দেশে সরকারি, বেসরকারি, পোশাকশিল্পসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নারী শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। অথচ সরকারি হিসাবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ঢাকা ও অন্যান্য জেলা শহরে মাত্র ৪৮টি শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র রয়েছে। আর বেসরকারিভাবে যে কটি আছে তা মধ্যবিত্তের সামর্থ্যের বাইরে।
উন্নত দেশে ব্যক্তি বা রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পর্যাপ্ত শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া যাঁরা বাইরে কাজ করেন না, তাঁরা প্রতিবেশীদের সন্তানদের পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ‘বেবি সিটিং’ করেন। আমরাও পাড়ায়-মহল্লায় এ ধরনের প্রচারণা চালিয়ে শ্রমজীবী নারীদের সাহায্য করতে পারি। এতে করে ঘরে অবস্থান করা নারীরাও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন। এ ছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা থাকলে তঁারা নিজেরা শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিতে পারেন। এতে একদিকে যেমন উদ্যোক্তা হিসেবে নারীর নতুন ব্যবসায়ের দিগন্ত উন্মোচিত হবে, তেমনি শ্রমজীবী মায়েরাও সন্তানদের নিরাপদ আশ্রয় পেয়ে আর কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাববেন না।
শিশুরা মা-বাবা-অভিভাবকের হলেও শেষ পর্যন্ত শিশুরা রাষ্ট্রেরই সম্পদ। রাষ্ট্রই তার ভবিষ্যৎ নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বহন করবে। রাষ্ট্রের উদ্যোগে কর্মস্থলে এবং সুবিধাজনক স্থানে পর্যাপ্ত পরিমাণে মানসম্পন্ন শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। নারীর স্বস্তি ও সৃজনশীলতাকে মানবসম্পদ উন্নয়নের সহায়কশক্তি হিসেবে গণ্য করতে হবে। কবি-দার্শনিক কাহলিল জিবরানও তাঁর দর্শনতত্ত্বানুযায়ী সন্তানকে দেখেছেন এভাবে—
‘তোমার সন্তানরা তোমার সন্তান নয়।
তারা তোমাদের মাধ্যমে আসে, তোমাদের থেকে নয়।
এবং যদিও তারা থাকে তোমাদের সঙ্গে, কিন্তু তাদের মালিক তোমরা নও’।


 8)উম্মে মুসলিমা: কথাসাহিত্যিক।
muslima.umme@gmail.com

26
বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপানের মারুবেনি প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সঙ্গে যৌথভাবে মারুবেনি এ টার্মিনাল নির্মাণ করবে। মালয়েশিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করে এটি পরিচালনা করা হবে।
বাংলাদেশ সফররত মারুবেনির এক প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠককালে এই আগ্রহের কথা জানায়। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে বাংলাদেশের শিল্প খাতে মারুবেনির বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় বাংলাদেশে মিশ্র সার, পেপার বোর্ড, বিদ্যুৎ ও এলএনজি শিল্প খাতে বিনিয়োগের ব্যাপারে মারুবেনির কর্মকর্তারা আগ্রহ প্রকাশ করেন।
দেশে গ্যাসের ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার এলএনজি আমদানি করছে। ২০১৮ সালে দেশে এলএনজি আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন কয়েকটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ চলছে।
শিল্পমন্ত্রী মারুবেনির বিনিয়োগ আগ্রহের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোৎকৃষ্ট স্থান। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কর অবকাশসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছে। তিনি এলএনজি টার্মিনাল ছাড়াও পেপার বোর্ড, বিদ্যুৎ ও মিশ্র সার খাতে যৌথ বিনিয়োগের জন্য একটি সমন্বিত প্রস্তাব দিতে মারুবেনির কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন। বিনিয়োগের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন তিনি। শিল্পমন্ত্রী কর্ণফুলী সার কারখানাকে (কাফকো) বাংলাদেশে জাপানে বিনিয়োগের একটি সফল উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, মারুবেনির আশিয়ান ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক নির্বাহী কর্মকর্তা সজি কাওয়াহামা, আঞ্চলিক মহাব্যবস্থাপক তরু কাবিয়া, উপমহাব্যবস্থাপক কুনিও নিগিশি, ঢাকা কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক হাদিহিরু কন্নু ও বিসিআইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

27
আগামী ছয় মাসের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) পরিপূর্ণভাবে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনার আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, তখন ঘরে বসেই বিনিয়োগবিষয়ক সব সেবা পাওয়া যাবে।

রাজধানীর দিলকুশায় বিডা কার্যালয়ে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কাজী আমিনুল এ কথা বলেন। সংস্থাটির দুই নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন ও নাভাস চন্দ্র মণ্ডল, তিন পরিচালক তৌহিদুর রহমান খান, আইয়ুব আলী ও মনির হোসেন এবং জাপান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের (জেডিআই) কোবায়াশি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এমনভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি যে বিনিয়োগবিষয়ক সব সেবা নেওয়ার জন্য কাউকে সশরীরে বিডায় আসতে হবে না। ঘরে বসেই সেবা পেয়ে যাবেন সবাই। শুধু একটি আবেদন করলেই হবে। সেবাগুলো দিতে বিডার ছয় মাস সময় লাগবে।’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পরিবেশ অধিদপ্তর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), জমি নিবন্ধন কার্যালয়—এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিনিয়োগকারীদের যেসব সেবা নিতে হয়, ভবিষ্যতে সেগুলো সহজেই পাওয়া যাবে বলে জানান কাজী আমিনুল।

বিডার চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের ওয়ান স্টপ সার্ভিস পাওয়ার বিষয়ে আইনের একটি খসড়া তৈরি হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে পাস হওয়ার জন্য আইনটি জাতীয় সংসদে যাবে।

উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং পর্যায়ক্রমে উন্নত দেশে পরিণত হতে হলে এখনকার অবস্থা দিয়ে চলবে না বলে মনে করেন কাজী আমিনুল। তিনি বলেন, উন্নত দেশে পরিণত হতে গেলে মাথাপিছু আয় দরকার ১২ হাজার ডলার। এখন মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৫ ডলার। বাকি কাজটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জের।

কাজী আমিনুল বলেন, সেই চ্যালেঞ্জটা নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত। শুধু পোশাক খাতের ওপর নির্ভর করলে হবে না, উচ্চ মানের বিনিয়োগ দরকার এবং সেই মানের বিনিয়োগ আনার জন্যই কাজ করছে বিডা।

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিডার চেয়ারম্যান নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা এবং দেশি, বিদেশি ও যৌথ মালিকানার বিনিয়োগ চান।

বিডার চেয়ারম্যানের অনুরোধে জেডিআই চেয়ারম্যান কোবায়াশি ১৯৭০ সালে নিজ দেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) ধারণা দেওয়া এবং পরে তা বাস্তবায়ন করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। জেডিআই ১৯৭৮ সালে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা এবং বর্তমানে ২০টি দেশে ৪০টি এসইজেড প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত বলেও জানান কোবায়াশি।

কোবায়াশি বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা হিসেবে জ্বালানি ঘাটতিকে চিহ্নিত করেন। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ডুয়িং বিজনেস মানে (র‍্যাঙ্কিং) বাংলাদেশের অবস্থান এখনো ১৯০ দেশের মধ্যে ১৭৬তম। এই মানের উন্নয়ন দরকার।

প্রশ্নোত্তর পর্বে কাজী আমিনুল ইসলাম আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যা কেটে যাবে বলে জানান। বিডা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আগে বিনিয়োগকারীদের সেবাটা নিশ্চিত করতে চাই এবং দেশি-বিদেশি সব বিনিয়োগকারীর জন্যই সেবা পাওয়ার সমান সুযোগ তৈরি করতে চাই।’

বিডার সেবার মান উন্নত হলে বিনিয়োগকারীরা অবশ্যই বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য বেছে নেবেন বলে নিজের বিশ্বাসের কথা জানান কাজী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যে ১০০টি এসইজেডের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, এগুলো করতে পারলেই বাংলাদেশের চেহারা অনেকটা বদলে যাবে।

28
উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ দরকার। স্থানীয় বিনিয়োগ না হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। এক দশক ধরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভারতের শ্রমিকের মজুরি বাড়ছে। তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ আছে।
গতকাল সোমবার আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজসভায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এই মধ্যাহ্নভোজসভায় ্বিশেষ বক্তা ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট ফারুক সোবহান এবং সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যামচেমের সভাপতি নুরুল ইসলাম। এবারের সভার বিষয় বৈশ্বিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশের পরিবর্তনের মধ্যে বাংলাদেশ।
এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ভালো। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি আরও ভালো। এমনকি চীন ও ভারতও ভালো করছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে আরও বিনিয়োগ দরকার।
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়লেও কী পরিমাণ অর্থ এ দেশ থেকে রেমিট্যান্স হিসেবে চলে যাচ্ছে—এই প্রশ্ন তোলেন মির্জ্জা আজিজ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক বিদেশি কাজ করেন। কী পরিমাণ অর্থ তাঁরা দেশে পাঠান, কতসংখ্যক বিদেশি কাজ করেন, এর কোনো হিসাব নেই। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এ বিষয়ে কাজ করতে পারে। তাঁর মতে, বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। কেননা, বাংলাদেশে মাথাপিছু রেমিট্যান্স শ্রীলঙ্কার চেয়ে কম। শুধু দক্ষতার কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না।
বিশ্ব অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন ও ব্রেক্সিট প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন মির্জ্জা আজিজ। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কেমন—এর উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সব রাগ যেন চীনের ওপর। এই রাগ যদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে; তবে বিশ্ববাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে। তাঁর রাগ দেখে বোঝা যায় না, ভবিষ্যতে কখন কী করবেন তিনি। ব্রেক্সিটের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ব্রেক্সিটের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানিতে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পাউন্ডের বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়েছে। এর ফলে পাউন্ডের বিপরীতে টাকা শক্তিশালী হয়েছে। রপ্তানি বাড়াতে শ্রমিকের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। এতে মূল্য প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থেকে কম দামে বেশি পণ্য বিক্রি করতে হবে।
মোহাম্মদ জমির মনে করেন, সরকারের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। আবার বিদেশি বিনিয়োগ ছাড়া সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করতে হবে। আমলাতান্ত্রিক মনমানসিকতা বদলাতে হবে। ব্যবসা করার পরিবেশ ও প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।
রপ্তানি খাতে বৈচিত্র্য আনার সুপারিশ করে মোহাম্মদ জমির আরও বলেন, বাংলাদেশকে এখন উচ্চমূল্যের পণ্য উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে। এ ছাড়া রপ্তানির ক্ষেত্রে অশুল্ক ও আধা শুল্ক বাধাগুলো দূর করতে হবে।
ফারুক সোবহান বলেন, বিনিয়োগ বাড়লে বাণিজ্যও বাড়বে, কর্মসংস্থান হবে। বেসরকারি বিনিয়োগ বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগ আনতে সড়ক, রেল, বন্দরসহ অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। এ ছাড়া শ্লথগতির আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে বড় উদাহরণ হলো কোরিয়ান ইপিজেড। এ থেকে বাংলাদেশ শিক্ষা নিতে পারে।
ফারুক সোবহান মনে করেন, গত ১৭ বছরে কোনো গ্যাসক্ষেত্র পাওয়া যায়নি। অর্থনীতির জন্য জ্বালানি দরকার। এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা পেতে কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া উচিত।

29
he ADB Country Operations Business Plan (COBP) 2015-2017 for Bangladesh describes the consistency of the business plan with the country partnership strategy, including grants and projects in the pipeline.

The Bangladesh country operations business plan is consistent with the country partnership strategy, 2011–2015 and the strategic directions of the Strategy 2020 midterm review. During 2015–2017, ADB will continue to support inclusive growth, environmentally sustainable growth, and regional integration. Inclusive economic growth will be supported through the creation and expansion of and provision of better access to economic opportunities. The assistance pipeline maintains sector selectivity and focus, supporting fewer but more strategic projects.

30
অনেক সময় হঠাৎ নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়। তখন দ্রুত কী করবেন? এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৪৮তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. নাজমুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নাক, কান, গলা বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

প্রশ্ন : হঠাৎ করে নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হলে আতঙ্কিত হওয়ার মতো বিষয় ঘটে। নাক দিয়ে হঠাৎ রক্ত পড়তে থাকলে কী করতে হবে?

উত্তর : নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করলে ভীষণ রকম আতঙ্ক শুরু হয়। নাক দিয়ে ঝড় ঝড় করে রক্ত পড়ছে, সাদা কাপড় লাল হয়ে যাচ্ছে। আশপাশে যারা থাকে, এরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আমি বলব, এখানে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। খুব সাধারণভাবে আমরা নাককে যদি একটু চেপে ধরি, নাক চেপে ধরে মাথাকে একটু সামনের দিকে নিচু করে রেখে, একটি শান্ত নীরব ঘরে যদি রোগীকে সরিয়ে নিয়ে যাই, আশপাশটা একটু খোলামেলা করে রাখি, লোকজনের ভিড়টা কমিয়ে দেই, তাকে আমরা আশ্বস্ত করতে থাকি, ‘তোমার ভয় পেয়ে যাওয়ার কিছু নেই’- তাহলে ভালো হয়। নাক চেপে রোগীকে ধরে রাখতে পারেন।

অন্তত মিনিট দশেক চেপে ধরে রাখতে হবে। এর মধ্যে যেটা করতে হবে একজন ভালো ফিজিশিয়ান যদি থাকে বা অন্য কেউ যার ন্যূনতম মেডিক্যাল জ্ঞান আছে তারা দেখলে ভালো হয়। পালস একটু ধরে দেখার চেষ্টা করলেন, রোগী ঘামছে কি না, শকে চল যাচ্ছে কি না- এগুলো দেখতে হবে। এই রকম কোনো পরিস্থিতি যদি না হয়, তাহলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘরে বসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দেওয়া সম্ভব।

কিন্তু এমন যদি হয় যে শিরার গতি খুব দ্রুত হয়ে গেছে, ভলিয়্যুমটা কম আসছে, ঘাম হচ্ছে, রক্তচাপ কমে যাচ্ছে, সেসব ক্ষেত্রে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ হচ্ছে সঠিক জায়গা। অবশ্যই নাক কান গলার একটি ব্যবস্থা আছে। এই রকম জায়গায় দিতে হবে। ১০ মিনিট নাক চেপে রাখার পর ছেড়ে দিয়ে দেখতে হবে রক্তক্ষরণ হচ্ছে কি না। যদি থেমে যায় তাহলে ভালো। এর মধ্যে রোগীর কাছ থেকে ইতিহাসটা শুনতে হবে। তার আগে কখনো হয়েছে কি না, এবারই প্রথম হলো কি না, কতক্ষণ আগে শুরু হলো, যেখানে হলো সেখানের আশপাশটা কেমন ছিল, সব কিছু জেনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

Pages: 1 [2] 3 4 5