Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Nazmul Hasan

Pages: 1 ... 3 4 [5]
61
Common Forum / Social Business
« on: June 18, 2016, 03:59:52 PM »
Social Business Youth Summit (SBYS) is a leading youth forum where youth across borders interact with the most intrigued and knowledgeable persons of Social Business. The main aim SBYA Global is heading for is to help youngsters to connect with the real life hustlers who are in social business scene.This Youth Summit is equipped with the resources in terms of both theoretical knowledge and phases of social business in reality. A participant here comes to know about the dynamics and impacts of social business as well as the necessity of social business in current world.

The Agenda of this year’s Summit is “Business Solutions to Achieve Sustainable Development Goals”.

This summit will visualize all communities of the society specially the people who are contributing in bringing the changes or are in pursuit of development by all good means. Students, Entrepreneurs, Academicians, Working professionals, Activists, CSR practitioners, NGO representatives and any other individuals interested in making a difference for the causes they care most are welcome to join us in this endeavor.

Key features of this year's Summit:
Key Note Speech from Professor Muhammad Yunus
Panel Discussion Sessions
Designed Workshops
Breakout Sessions
Social Business Showcase
30+ Speakers
Networking with Stakeholders of the Social Business Industry

Eligibilty: Any university students or young professionals aged between 18-35 can participate in this summit.

62
ভারতে মোদি সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন তার নির্বাচনের প্রথম অঙ্গীকার ছিল পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত ভারত গড়ে তোলার। কিন্তু ভারতের কোথাও এর ছিটেফোটা না দেখা গেলেও সুদূর ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে দেখা মেলবে এমন একটি গ্রাম যা দেখে মনে হবে মোদির দেয়া প্রতিশ্রুতির অনেক আগেই পূরণ করতে পেরেছে এই গ্রামের বাসিন্দারা। এই গ্রামটি মেঘালয় রাজ্যে অবস্থিত নাম মাউলিনং। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা যেন এই গ্রামের বাসিন্দাদের একটি প্রথা।

ছোট এই গ্রামটিতে প্রায় ৬০০ মানুষের বসবাস। এই গ্রামের শিশুরা বড়দের চেয়ে বেশি পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে। এই গ্রামে ময়লা আবর্জনা কোথাও স্তূপ করে রাখা হয় না। গরুর গোবর থেকে শুরু করে সকল ময়লা আবর্জনা দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করে রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। ২০১৪ সালে মোদি সরকারের পরিচ্ছন্ন ভারতের প্রতিশ্রুতি যেন এই গ্রামের মধ্যে দিয়েই পূরণ হয়েছে।
এই গ্রাম যে শুধু মোদির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে তা কিন্তু নয়। ২০০৩ সালে এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রামের খেতাবও অর্জন করে নিয়েছে। এছাড়া ২০০৫ সালে ডিসকভার ইন্ডিয়া ম্যাগাজিনেও এই গ্রামের নাম আসে। গ্রামটি নিয়ে ২০১৫ সালে একটি রেডিওতে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘এই গ্রামটি হতে পারে পুরো ভারতের আদর্শ।’ এছাড়া ২০১৬ সালের মে মাসে এই গ্রামকে আবারও এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম হিসেবে মনোনয়ন করা হয় এবং সেই সঙ্গে সরকারের সফলতা হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। এই গ্রামে প্রবেশে কোথাও কোন কাঁদা বা ময়লা আবর্জনার স্তুপ চোখে পড়বে না। চারদিকের পরিবেশ এতটাই মনোরম, যা হাটার সময় একটা ভিন্ন অনুভূতির রাজ্যে নিয়ে যায়। ১১ বছরের দেতি বাখরদার তার দিন শুরু হয় ভোর ৬টা বাজে। সে তার প্রতিদিনের টুকিটাকি কাজগুলো ভাগ করে নেয় গ্রামের অন্য ছেলেমেয়ের সঙ্গে। যার মধ্যে গ্রামের রাস্তা পরিষ্কারের কাজ। এই ছেলেমেয়েগুলো ঝরা গাছের পাতা ঝাড়ু দিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় স্তুপ করে রাখে। সব কাজ শেষ হয়ে গেলে তবেই তারা দলবেধে স্কুলের দিকে রওনা হয়। এখানেই শেষ নয়, এই গ্রামের ছেলেমেয়েগুলোর আচার আচরণ আপনাকে মুগ্ধ করবে। কোন প্রকার ময়লা তারা নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া কোথাও ফেলে না। গ্রামের প্রত্যেকটি স্থানে ময়লা ফেলার একটি নির্দিষ্ট স্থান আছে। সারাদিনে জমা ময়লা একটি নির্দিষ্ট জায়গা নিয়ে দিন শেষে পোড়ানো হয়। কিছু ময়লা আবর্জনা সার হিসেবে জমির জন্য ব্যবহার করা হয়। আর কিছু দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করা হয় রান্নার জন্য। এছাড়া গ্রামটির রাস্তার দুধারে সবাই যে যার দায়িত্বে ফুলের গাছ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের গাছ লাগিয়ে রাস্তাগুলোর সৌন্দর্য বর্ধণ করে। তবে গাছ যেই লাগাক না কেন গাছগুলো পরিচর্যার দায়িত্ব সবার। গ্রামের যিনি প্রধান তার ভাষ্যমতে, ‘এই গ্রামে ছোট থেকে শুরু করে বড়রা সবাই পরিচ্ছন্ন থাকতে ও রাখতে ভালোবাসে। তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে কখনোই আমাকে তাদের সচেতন করতে হয় না। এমনকি যে স্কুলগুলোতে তারা পড়তে যায় সেই স্কুলগুলো পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ হলো স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।

প্রত্যেকটি বাড়ির পেছনে রান্নার জন্য আলাদা ঘর আছে। আর পয়ঃব্যবস্থা এখানে বেশ ভালো। আমরা কখনোই বাথরুমের পানি লেকের বা খালের পানিতে পড়তে দেই না। কারণ এতে করে পানি নষ্ট হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সবচেয়ে বড় কথা এই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে কোন হিংসা বিভেদ নেই। তাই সকলে মিলে একে অপরকে সাহায্য করে বলেই এখন পর্যন্ত গ্রামটিকে পরিস্কার রাখা সম্ভব হয়েছে। তবে গ্রামবাসী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার এই মন্ত্র কোথায় পেল এ কথা জানতে গেলে গ্রাম প্রধান বলেন, ‘বহু বছর আগে এই গ্রামে ১০০ জন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বসবাস ছিল। পরিষ্কার থাকা তাদের ধর্মেই যেন একটা অংশ ছিল। পরবর্তীতে তারা এই গ্রাম ছেড়ে চলে গেলেও রয়ে গেছে তাদের এই নিয়মটি।’

63
Common Forum / Bangladesh to face England in Champions Trophy opener
« on: June 02, 2016, 03:28:08 PM »
The eight-team ICC Champions Trophy will begin with Bangladesh taking on hosts England in the tournament opener at Oval on June 1, 2017, reports UNB.

International Cricket Council (ICC) on Wednesday announced the group seeding and fixture of the one-day-format ICC Champions Trophy where Bangladesh were placed in Group-A along with England, Australia and New Zealand.

The tournament schedule was announced at The Oval, exactly a year before the tournament, involving a total of 15 matches that include three knockout matches.

The top eight sides of the ICC ODI Team Rankings as of September 30, 2015 have qualified for this tournament.

Group-B comprises defending champions India, Pakistan, Sri Lanka and South Africa.

In the remaining matches, the Tigers will face Australia at the same venue on June 5 in a day-night affair while complete their group phase battle playing against New Zealand at Cardiff on June 9.

The top two sides from each group will play the semi-finals. The semifinals will be played at Cardiff and Edgbaston on June 14 and 15 respectively.

The final of the 18-day long tournament will be held at the Oval on June 18, 2017. There will be a reserve day for the final.
Event schedule:
June 1: England v Bangladesh, The Oval (d)
June 2: Australia v New Zealand, Edgbaston (d)
June 3: Sri Lanka v South Africa, The Oval (d)
June 4: India v Pakistan, Edgbaston (d)
June 5: Australia v Bangladesh, The Oval (d/n)
June 6: England v New Zealand, Cardiff (d)
June 7: Pakistan v South Africa, Edgbaston (d/n)
June 8: India v Sri Lanka, The Oval (d)
June 9: New Zealand v Bangladesh, Cardiff (d)
June 10: England v Australia, Edgbaston (d)
June 11: India v South Africa, The Oval (d)
June 12: Sri Lanka v Pakistan, Cardiff (d)
June 14: First semi-final (A1 v B2), Cardiff (d)
June 15: Second semi-final (A2 v B1), Edgbaston (d)
June 18: Final, The Oval (d)
June 19: Reserve day (d) :)

64
Common Forum / উদ্যোক্তার ইতিহাস
« on: April 06, 2016, 09:32:13 AM »
মা-বাবার একমাত্র ছেলে, তবু পড়ালেখা হলো না শেখ আকিজ উদ্দীনের। পেটে যদি ভাত না জোটে মাথায় বিদ্যা ঢুকবে কী করে? তাই পেট বাঁচাতে পথে নেমে পড়লেন আকিজ উদ্দীন। বয়স তখন মাত্র ১৩। পকেটে ১৬ টাকা নিয়ে নেমে পড়েন রাস্তায়।

১৯৪২ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কাল। চারিদিকে অভাব আর দুর্ভিক্ষ। হাতের মুঠোয় শক্ত করে ১৬ টাকা ধরে রেখে হাঁটা দেন কিশোর আকিজ। খুলনার বামনডাঙা গ্রাম থেকে ফুলতলা স্টেশন-দূরত্বটা নেহাত কম নয়। ঘেমে নেয়ে একসময় স্টেশনে পৌছান। তারপর কলকাতাগামী ট্রেনে চেপে বসেন।

ট্রেন কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনে থামলে তিনি নেমে পড়েন। কী করবেন ভাবতে ভাবতে রাত ঘনিয়ে আসে। তিনি প্ল্যাটফর্মেই রাতটা কাটিয়ে দেন। হাতের মুঠোয় তখনো ১৬ টাকা। সকাল হলে পাশের বাজার থেকে কিছু কমলা লেবু কিনে স্টেশনে ফেরি করে বিক্রি করতে শুরু করেন।

শুরু হয় আকিজ উদ্দীনের ফেরিওলা জীবন। কিছু দিন কমলালেবুর ব্যবসা করার পর একটি ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকান দেন আকিজ। কিন্তু একদিন পুলিশ অবৈধভাবে দোকান দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। কয়েক দিন জেল খেটে মুক্ত হয়ে আকিজ উদ্দিন উদ্ভ্রান্তের মতো কলকাতা শহর ঘুরতে শুরু করেন। এসময় তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় পাকিস্তানের পেশোয়ারের এক ফল ব্যবসায়ীর। আকিজ ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে পেশোয়ারে গিয়ে আবার ফলের ব্যবসা শুরু করেন। বছর দুয়েক ব্যবসা করার পর তাঁর পুঁজি দাঁড়ায় ১০ হাজার টাকা। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আঁচ তখন ভালোভাবেই লেগেছে পাকিস্তানে। ব্যবসা গুটিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন আকিজ উদ্দীন।

দেশে তো ফেরা হলো। এখন কী করবেন? বন্ধুর বাবা বিধু ভূষণ বিড়ির ব্যবসা করেন, তার সঙ্গে আকিজ উদ্দীন এবার বিড়ির ব্যবসা শুরু করেন। পাশাপশি গ্রামগঞ্জ ঘুরে ধান, পাট, নারকেল ও সুপারি কিনে আড়তে আড়তে বিক্রি করতে শুরু করেন। এভাবে সামান্য কিছু টাকা জমা হলে বাড়ির পাশে বেজেরডাঙ্গা রেলস্টেশনের কাছে একটি দোকান দেন। কিন্তু দুভার্গ্য! একদিন দোকানটি আগুনে পুড়ে যায়। আকিজ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন।

কিন্তু আকিজ তো ফিনিক্স পাখি। ছাইভষ্ম থেকে পুনর্বার উড়তে জানেন। তিনি ঘুরে দাঁড়ানো নায়ক। তাই এলাকাবাসীর সহায়তায় আবার দোকান দেন। পাশাপাশি শুরু করেন ধান, পাট, চাল ও ডালের ব্যবসা। এরপর তিনি সুপারির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। রাত জেগে সেই সুপারি ছিলে দিতেন তাঁর সহধর্মিণী। এই সুপারি তিনি কলকাতায় পাঠাতেন। সুপারির ব্যবসায় তাঁর বেশ লাভ হয়। এরপর তিনি বিধু বিড়ির মালিক বিধু ভূষণের পরামর্শে বিড়ির ব্যবসায় পাকাপাকিভাবে যুক্ত হন। নাভারণের নামকরা ব্যবসায়ী মুজাহার বিশ্বাসের সহায়তায় তিনি ছোট্ট একটি বিড়ি তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন। শুরু হয় আকিজের উত্থান পর্ব।

Akij Groupবিড়ি ফ্যাক্টরির পর ১৯৬০ সালে অভয়নগরে অত্যাধুনিক চামড়ার কারখানা এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ১৯৬৬ সালে ঢাকা টোব্যাকো, ১৯৭৪ সালে আকিজ প্রিন্টিং, ১৯৮০ সালে আকিজ ট্রান্সপোর্ট, নাভারণ প্রিন্টিং, ১৯৮৬ সালে জেস ফার্মাসিউটিক্যাল, ১৯৯২ সালে আকিজ ম্যাচ, ১৯৯৪ সালে আকিজ জুট মিল, ১৯৯৫ সালে আকিজ সিমেন্ট, আকিজ টেক্সটাইল, ১৯৯৬ সালে আকিজ পার্টিকেল, ১৯৯৭ সালে আকিজ হাউজিং, ১৯৯৮ সালে সাভার ইন্ডাস্ট্রিজ, ২০০০ সালে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, একই বছর আকিজ অনলাইন, নেবুলা ইন্ক, ২০০১ সালে আকিজ করপোরেশন, আকিজ কম্পিউটার, আকিজ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড টেকনোলজি, ২০০৪ সালে আফিল এগ্রো, ২০০৫ সালে আফিল পেপার মিলস প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯২৯ সালে খুলনার ফুলতলা থানার মধ্যডাঙ্গা গ্রামে জন্মেছিলেন শেখ আকিজ উদ্দীন। মারা যান ২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর। ৭৭ বছরের দর্ঘী জীবনে ২৩টি শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসার জাদুকরে পরিণত হন শেখ আকিজ উদ্দীন। এ ছাড়া তিনি আদ্-দ্বীন ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাঁর মৃত্যুর পর সন্তানরা আরো অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

আকিজ উদ্দিনের ১৫ সন্তান। ১০ ছেলে পাঁচ মেয়ে। বড় ছেলে ডাক্তার শেখ মহিউদ্দিন আদ্-দ্বীনের নির্বাহী পরিচালক ও আকিজ বিড়ির চেয়ারম্যান, অন্য সন্তানদের মধ্যে শেখ মোমিন উদ্দিন এসএএফ চামড়া ফ্যাক্টরির এমডি, শেখ আফিল উদ্দিন আফিল গ্রুপের এমডি, শেখ বশির উদ্দিন আকিজ গ্রুপের এমডি। এ ছাড়া শেখ নাসির উদ্দিন, শেখ আমিন উদ্দিন, জামিন উদ্দিন, শেখ আজিজ উদ্দিন, শেখ জামিল উদ্দিন সবাই আকিজ গ্রুপের সঙ্গে জড়িত।

65
Common Forum / সংসারের ইস্যু
« on: April 04, 2016, 11:07:43 AM »
অফিস শেষ করে বাসায় ফিরতে না–ফিরতেই বউ বলল, ‘মরিচ এনেছ?’

আমার বুকটা ধড়াস করে উঠল। লাঞ্চের সময় বউ ফোনে পইপই করে বলে দিয়েছিল, মরিচ আনতে। আমিও তখন ‘আচ্ছা আচ্ছা’ বলে কথা দিয়েছিলাম—ফেরার সময় কারওয়ান বাজার থেকে ঝাল দেখে মরিচ কিনে আনব। এখন বেমালুম ভুলে বসে আছি। এ থেকে মুক্তির উপায় কী?

মানুষ দেখে শেখে। আমিও চারদিক দেখেই শিখছি। ফলে মরিচ ইস্যুটা এখন ঢাকতে হবে অন্য কোনো ইস্যু দিয়ে। বউয়ের দিকে তাকিয়ে সরল মুখে বললাম, ‘মরিচ তো আনতেই গিয়েছিলাম...কিন্তু একটা ঘটনা ঘটে গেল!’

: কী ঘটনা?

: দেখা হয়ে গেল শিহাবের সঙ্গে।

: শিহাবের সঙ্গে দেখা হয়েছে তো কী হয়েছে! সে কি বলল মরিচ কেনা যাবে না?

: তা বলবে কেন?

: তাহলে?

তাই তো, তাহলে? কিছু একটা বানাতে হবে। শিহাব ইস্যু দিয়ে মনে হচ্ছে পার পাওয়া যাবে না। বললাম, ‘আরে, আর কী বলব, শোনো...শিহাবের সঙ্গে যে-ই না দেখা হলো অমনি কথা উঠল তোমার বান্ধবী রুনাকে নিয়ে!

: কেন? রুনার কথা আবার এল কোথা থেকে?

: শিহাব নাকি রুনার ছোট বোন রাশাকে দেখেছে।

: তাতে কী?

: আরে, শিহাব না তার জন্য পাত্রী খুঁজছে!

পাত্রীর কথা শুনে আমার বউয়ের মুখে এক ধরনের কৌতূহল ফুটে উঠল। যাক, পাত্রী ইস্যুটা বোধ হয় কাজে আসছে! কথা বাড়িয়ে চললাম তাই।

: শিহাব বলল রাশা নাকি দেখতে খুব সুন্দর!

: হবেই তো! কার বান্ধবীর বোন দেখতে হবে না!

: হ্যঁা, সেদিন মার্কেটে নাকি দেখেছে।

: কাকে?

: রাশাকে।

: কিন্তু রাশা তো এক মাস হলো নিউইয়র্কে!

আঁকা: তুলিএই যা! ধরা বোধ হয় খেলাম! কী দারুণ যাচ্ছিল ইস্যুটা। এবার? বললাম, ‘আরে, মার্কেটে দেখেছে মানে মার্কেটে তার এক বন্ধুর ফেসবুকে দেখেছে! নিউইয়র্ক থেকে রাশা নাকি ছবি পোস্ট করেছে!’
: ও, তাই বলো। ছবি তো না সব কটা সেলফি! সেলফি যে এমন তুলেছে...
আমার বউ সেলফি নিয়ে লম্বা বক্তৃতা শুরু করে দিলো। বুঝলাম সেলফিও খুব ভালো ইস্যু। এই ইস্যুতে লম্বা সময় কথা হতে পারে। তাতে মরিচ ইস্যুটা একেবারে ঢাকা পড়তে কোনো বাধা থাকে না! ফলে আমি বউকে নানাভাবে সেলফি বিষয়ে উসকাতে থাকলাম। বললাম, ‘না না, সেলফি কি আর সবাই তুলতে পারে! তা ছাড়া সেলফির আগেও ছবি ছিল এই দুনিয়ায়...সেলফির পরেও ছবি থাকবে, তাই না?’
: ঠিক তাই। রাশার এটা বোঝা উচিত—মানুষ এনেছে সেলফি...সেলফি আনেনি মানুষ কোনো!
: বাহ্‌, কী দারুণ বলেছ! দারুণ!
: কাজী নজরুলের কাছ থেকে কোট করেছি! আমি শুধু সেলফি ঢুকিয়ে দিয়েছি!
: তোমার তুলনা হয় না! ইউ আর গ্রেট!
: কিন্তু শিহাবের ব্যাপারে কী যেন বলছিলে?
: কই? কখন?

তখন মনে এল, আমি আসলে ইস্যু দিয়ে ইস্যু ঢাকার চেষ্টা করছি। এবং মরিচ ইস্যু আসলে ঢাকছিলাম শিহাব ইস্যু দিয়ে। তাড়াতাড়ি বললাম, ‘শিহাব...শিহাব...হ্যঁা হ্যঁা, শিহাব তো তোমার খুব প্রশংসা করছিল!’

: প্রশংসা করছিল?

: হ্যঁা, বলল, আমি নাকি খুব লাকি...তাই তোমার মতো বউ পেয়েছি!

দেখলাম বউয়ের মুখটা একটু রঙিন হয়ে উঠছে। ভাবলাম আসলেই সব ইস্যুর বড় ইস্যু হলো প্রশংসা! মনে মনে ভাবলাম, এ যাত্রায় বেঁচেই গেলাম তাহলে!

: তা কী নিয়ে প্রশংসা করছিল শিহাব?

বুঝলাম, বউ আমার আরও প্রশংসা শুনতে চায়। আবারও বানিয়ে বানিয়ে বলা শুরু করলাম।

: আরে, একটা প্রশংসা করল যে বলতে পারব? তোমার চিন্তাভাবনা-রান্না...

: রান্না?

: হঁ্যা, ওই যে আমার লাঞ্চে তুমি আলুভর্তা করে দিয়েছিলে। শিহাব তো সেটা খেয়েছিল, একেবারে আঙুল চেটেপুটে খেয়েছিল। বলছিল, তেমন ঠিক পরিমাণের ঝাঁজ আর ঝালের আলুভর্তা নাকি সে অনেক দিন খায়নি...!

বউ হাসছিল আমার কথা শুনে। বোঝাই যাচ্ছিল, তার খুবই আনন্দ হচ্ছে মনে মনে। সে আনন্দ লুকিয়ে রাখার চেষ্টাও করছিল না। কিন্তু ‘ঝাল’ শব্দটা শোনামাত্র হঠাৎই তার মুখটা গম্ভীর হয়ে গেল।

: ঝাল...মানে মরিচ...অ্যাই, তুমি মরিচ আনোনি? কেন আনোনি? আমি মরিচ ছাড়া এখন অত সুন্দর আলুভর্তা কী করে বানাব?

আমার বুকটা আরেকবারের মতো ধড়াস করে উঠল। বউ বলল, ‘যাও, এক্ষুনি মরিচ নিয়ে আসো!’

: কিন্তু শোনো, বাইরে তো বৃষ্টি হচ্ছে...

: বৃষ্টির ইস্যু দিয়ে তুমি আমার মরিচকে আটকে রাখতে পারবে না! বৃষ্টি হোক আর ঝড় হোক, মরিচ আমার লাগবেই! যাও!

ছাতাটা নিয়ে আমি মরিচ আনার উদ্দেশ্যে বের হলাম। বুঝলাম, হায়! ইস্যু দিয়ে আসলে ইস্যু ঢেকে রাখা যায় না!

66
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিএস কম্পিউটার সিটি এবং এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকানসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি বাজারে বিক্রি বেশ বেড়েছে। মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের মাল্টিমিডিয়া কিংডমের স্বত্বাধিকারী জিন্নাহ জুয়েল প্রথম আলোকে বলেন, এখন বাজারে বিক্রি বেশ বেড়েছে। ক্রেতাদেরও উপস্থিতি খুব ভালো। স্পিকার, গ্রাফিকস কার্ড, টিভি কার্ডসহ বিভিন্ন ছোট ছোট পণ্য ভালো বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শনিবার ঢাকার একাধিক বাজার ঘুরে পাওয়া প্রযুক্তিপণ্যের দাম নিচে দেওয়া হলো।
প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই থ্রি ৩.৩০ গিগাহার্টজ (গি.হা.) ৯,৫০০; কোর আই থ্রি ৩.১০ গি.হা. ৮,৩০০; কোর আই ফাইভ ৩.২০ গি.হা. ১৬,০০০ ও কোর আই সেভেন ৩.৪০ গি.হা. ২৫,৫০০ টাকা। মাদারবোর্ড: গিগাবাইট জিএ ৭৮ এলটি-এসটুপি এএমডি ৪,৬০০; এসরক এমডি ৯৬০ জিএম-ভিজিএস ৩ ৪,২০০ ও ফক্সকন এইচ ৬১ এমএক্সই-কে ৩,৮০০ টাকা। র্যাম: ডিডিআর-৩: অ্যাপাসার ২ গিগাবাইট (গি.বা.) ১,৭০০; এডেটা ৪ গি.বা. ৩,০০০; ট্রানসেন্ড ৪ গি.বা. ৩,৩৫০ ও ৮ গি.বা. ৬,২০০ টাকা। হার্ডডিস্ক ড্রাইভ: ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল ৫০০ গি. বা. ৪,৫০০; ট্রানসেন্ড এক্সটার্নাল ১ টেরাবাইট (টে.বা.) ৫০০ গি.বা. ৪,৬০০ ও স্যামসাং ৩২০ গি.বা. ৭,০০০ টাকা। এলইডি মনিটর: স্যামসাং ২৭ ইঞ্চি থ্রিডি ৬২,০০০; ডেল ১৭ ইঞ্চি ৯,৬০০; আসুস ১৮.৫ ইঞ্চি ৮,২০০; এলজি ১৬ ইঞ্চি ৬,৫০০; ১৮.৫ ইঞ্চি ৭,৮০০ ও ২১.৫ ইঞ্চি ১২,৮০০ টাকা। গ্রাফিকস কার্ড: জোট্যাক ২১০ টিসি ডিডিআর ৩-১ গি.বা. ২,৭০০; ২১০ ডি৩ ১ গি.বা. ২,৯৫০; ৬১০ ২ গি.বা. ৪,৩৫০ ও ৭৩০ ৪ গি.বা. ৭,৫০০ টাকা। গিগাবাইট এইচডি-৬৪৫০ ১ গি.বা. ৪,১০০; গিগাবাইট-৫৪৫০ ১ গি.বা. ৩,২০০ টাকা। পেনড্রাইভ: ট্রানসেন্ড ৮ গি.বা. ৪৫০; ১৬ গি.বা. ৫৫০; ৩২ গি.বা. ১,০০০ ও ৬৪ গি.বা. ২,১০০ টাকা৷ টুইনমস ৮ গি.বা. ৪৫০; ৮ গি.বা. ৬০০ ও ৩২ গি.বা. ১০৫০ টাকা৷ এডেটা ৮ গি.বা. ৪৫০ ও ৩২ গি. বা. ১,০০০ টাকা। টিভি কার্ড: এভারমিডিয়া ইন্টারনাল ৩,২০০ ও এক্সটারনাল ডব্লিউ ৭ ৪,৬০০; রিয়েলভিউ ১,৬৫০; গেডমি ১,৫০০ ও গেডমি স্পিড ১,৯০০ টাকা। প্রিন্টার: ক্যানন আইপি-২৭৭২ পিক্সমা ৩,০০০; এমপি-২৩৭ ৬,২০০ ও এলবিপি-৩৩০০ ১১,৪০০; এইচপি ডি-১০০০ ২,৬০০ ও লেজার পি-১১০২ ৮,১০০; এপসন এম-১২০০ ৭,২০০ ও স্যামসাং এমএল ১৮৬৬ (লেজার) ৬,৬০০ টাকা। বহনযোগ্য হার্ডডিস্ক: ট্রানসেন্ড ৫০০ গি.বা. ৫,৩০০; ৭৫০ গি.বা. ৬,২০০ ও ১ টে.বা. ৭,৪০০; ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল ৫০০ গি.বা. ৫,৫০০ ও ১ টে.বা. ৭,৪০০; এডেটা ৫০০ গি.বা. ৫,০০০ ও ১ টে.বা. ৭,২০০ টাকা। ইউপিএস: টেকফাইন ৬৫০ ভিএ ২,৫০০ ও ১২ ভিএ ৪,৭০০ টাকা। পাওয়ারভিশন ৬৫০ ভিএ ২,৫০০ টাকা। স্পার্ক পাওয়ার ৬৫০ ভিএ ২,৮০০ ও ১২০০ ভিএ ৫,২০০; অ্যাপোলো ৬৫০ ভিএ ২,৮৫০ ও ১২০০ ভিএ ৫,০০০ টাকা। ডিভিডি রাইটার/রি-রাইটার: আইএসপি (বাল্ক) ১,৩০০; বক্স ১,৪০০ ও ইউএসবি ২,৫০০ টাকা। স্যামসাং ১৬ এক্স ১,৭০০ এবং ২৪ এক্স ১,৬৫০ টাকা। কেসিং: ভিশন-৩০০২ ১,৯০০ টাকা ও মিশন-২৩০২ ১,৬০০ টাকা। স্পেস ১,৯০০ থেকে ৪,০০০; ভ্যালু-টপ কে৬৭ ২,৪৫০; ডিলাক্স ২,১০০ থেকে ৩,৫০০ ও গিগাবাইট ২,১০০ টাকা। মাউস: ভিশন ইউএসবি ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা। নিউম্যান ইউএসবি ৩০০, তারহীন ৭০০ ও গেমিং ১,৫০০; এফোরটেক ৩০০ থেকে ২,০০০ এবং লজিটেক ৪৫০ থেকে ২,৫০০ টাকা। কি-বোর্ড: ভিশন-৮১৫৩ ২৩০ টাকা। বেলকিন ৯০০ থেকে ৪,০০০; ভ্যালু-টপ ডব্লিউ-২৬১৩ ৪০০ ও মাল্টিমিডিয়া ৭৫০ টাকা।

স্পিকার: ইডিফায়ার (২: ১) ১,৬০০ থেকে ৩,২০০; মাইক্রোল্যাব (২: ১) ১,৫০০ থেকে ২,৬০০; ক্রিয়েটিভ এসবিএস (২: ১) ৯০০ থেকে ২,১০০ ও অ্যালটেক ল্যানসিং ১,৪০০ থেকে ৬,০০০ টাকা। অ্যান্টিভাইরাস: ইন্টেল সিকিউরিটি ১ ইউজার ১,০০০ ও ৩ ইউজার ২,০০০ টাকা৷ ই-স্ক্যান ১ ইউজার ৩০০ ও ৩ ইউজার ৯০০ টাকা৷ ট্রেন্ড মাইক্রো ১ ইউজার ৯৯০ ও ৩ ইউজার ১৭৯০ টাকা৷ ক্যাস্পারস্কি ১ ইউজার ১০৯৯ ও ৩ ইউজার ২১৯৯ টাকা৷

67
Common Forum / Keep ADDING fresh, relevant, useful content
« on: January 20, 2016, 09:54:15 AM »
According to Google, about half the 2.5 billion searches done a day at Google are for unique, one-off phrases. The more pages you build full of on-topic material, the better the chances your site will be found.

When it comes to keywords, think big. You want your site to be found via THOUSANDS of different phrases every month. Then you can lure that traffic to your best money-generating pages or to your newsletter sign-up page. Also, search engines prefer fresh sites which keep gradually adding new
content. Don't let your site go stale.

Super affiliate James Martell says:
"My own rule of thumb is this: Add a minimum of 1 article per week, 2 preferably. Adding an article daily is euphoria and adding 1 every six hours, well, that's the best." :'(

Pages: 1 ... 3 4 [5]