Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Karim Sarker(Sohel)

Pages: 1 ... 33 34 [35]
511
নিমপাতা অনেক আগে থেকেই সর্বরোগের ঔষধ হিসেবে জনপ্রিয় ছিল। রূপচর্চায়ও নিমপাতার ব্যবহার ছিল অনেক প্রাচীনকাল থেকেই। এখনো বিভিন্ন ঔষধ এবং প্রসাধনীতে নিমপাতার ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। তাই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে রূপ সমস্যার সমাধানে এখনো অনেকেই ব্যবহার করেন এই বহুগুণের নিমপাতা। আজকে চলুন দেখে নিই এমনই ৫ টি রূপ সমস্যা এবং এর ঝটপট সমাধানে নিমপাতার ব্যবহার।

১) ত্বকের যেকোনো সমস্যা সমাধান- নিমপাতার রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকের যেকোনো সমস্যা সমাধানে বিশেষভাবে কার্যকরী। নিমপাতা বেটে দেহের যেকোনো অংশের ত্বকের সমস্যা সমাধানে কাজ লাগানো যায়। চামড়ার ইনফেকশন সহ সকল ধরণের সমস্যা দূর করতে নিমপাতার জুড়ি নেই।

২) ব্রণ সমস্যা সমাধান- ১ লিটার পানিতে ২-৩ মুঠ নিমপাতা দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানি সবুজ রঙ ধারণ করলে তা ছেঁকে ফ্রিজে রেখে বরফ জমিয়ে ফেলুন। প্রতিদিন সকাল বিকাল এই বরফ মুখের ত্বকে ঘষে নিন। ব্রণের সমস্যা বেশ দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।

৩) খুশকি সমস্যা সমাধান- শীতকালে খুশকির সমস্যা যেন একটু বেশিই বেড়ে যায়। এই সমস্যারও সমাধান করবে নিমপাতা। নিমপাতা বেটে মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগিয়ে নিন। ১-২ ঘণ্টা রেখে ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন চুল ও মাথার ত্বক। পরের দিন শ্যাম্পু করে নিন। এতে করে খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। সেই সাথে নতুন করে চুলও গজাতে সহায়তা করবে এই নিমপাতা বাটা।

৪) শীতে ত্বকের সুরক্ষায়- যাদের শীতকালে ত্বকের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য নিমপাতা বেশ ভালো একটি ঔষধ। নিমপাতার তেল ব্যবহারে ত্বকের লাল রযাতাশ উঠার সমস্যা, চুলকোনি এবং ত্বকে ফুলে উঠার সমস্যা দূর করে। অলিভ অয়েলে নিমপাতা ফুটিয়ে নিন। এই তেল ব্যবহার করুন অ্যালার্জির সমস্যায়।

৫) ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে- নিমপাতায় রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং ত্বককে টানটান রাখে। এতে করে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে অনেক ধীরে। এছাড়াও নিমের হাইঅ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং ক্ষতি পূরণেও ভূমিকা রাখে। এতে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।

512
Food Habit / পেস্তা বাদামের গুন
« on: December 28, 2014, 10:12:28 AM »
উজ্জ্বল সবুজ রঙের দারুণ সুস্বাদু বাদামটির নাম যে পেস্তা, এটা মোটামুটি সকলেই জানেন। দামটা বেশ চড়া হলেও বিশেষ উৎসবের পায়েস, সেমাই , পোলাওতে পেস্তার দেখা মেলেই। যারা পেস্তা বাদাম খান না, তাঁরাও কিন্তু চেনেন পেস্তা ফ্লেভারের আইসক্রিম। সব মিলিয়ে সুস্বাদু এই খাবারটির সাথে আমাদের সম্পর্ক কম দিনের নয়।

পেস্তা বাদাম তো খাওয়া হয় প্রায় সবারই, কিন্তু জানেন কি পেস্তার গুণাবলী? পেস্তা নিয়মিত খেলে কী উপকার হয় শরীরের আর দৈনিক কটা বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত? চলুন, জেনে নিই প্রশ্নগুলোর জবাব।

পেস্তার গুণাগুণ -

-পেস্তাবাদামে রয়েছে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী। ফলে পেস্তা বাদাম হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে কার্যকর।
-প্রোটিনের একটা চমৎকার উৎস হচ্ছে পেস্তা।
-ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়ামের দারুণ উৎস হচ্ছে পেস্তা বাদাম। এদিকে এতে ফ্যাটের পরিমাণ পণ্য বাদামের চাইতে অনেকটাই কম।
-টাইপ-২ ডায়বেটিসে যারা আক্রান্ত, তাঁদের জন্য পেস্তা বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর তেল বিশেষভাবে উপকারী।
-প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান বাদাম খেলে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়।
-পেস্তা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬।
-ডায়াবেটিস টাইপ-২, যা ইনসুলিনের ওপর নির্ভরশীল নয়, এধরনের ডায়বেটিসে যারা আক্রান্ত পেস্তা বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর তেল তাদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
-পেস্তাবাদামে লুটেন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বয়সের কারণে সৃষ্ট নানা শারীরিক সমস্যা যেমন মাংসপেশির দুর্বলতা, চোখের ছানির সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
-অন্য সকম বাদামের চাইতে পেস্তায় রয়েছে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোস্টেরল।
-এতে উপস্থিত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
-দাঁতের রোগ ও লিভারের সমস্যায় পেস্তাবাদাম বেশ উপকারী। পেস্তা বাদাম রক্ত শুদ্ধ করে।

কীভাবে খাবেন-

-রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আগের দিন রাতে দুধে অথবা পানিতে ভিজিয়ে রাখা বাদাম খান। খালি পেটে খেলে বাদামের পুষ্টিগুণ শরীরে তাড়াতাড়ি হজম হবে। দৈনিক ৬/৭ টা বাদাম খেলেই যথেষ্ট।
-লবণ দিয়ে ভাজা বাদাম বা প্রক্রিয়াজাত করা বাদাম খাবেন না।
-বাদামের ওপরের পাতলা খোসাটা ছাড়িয়ে খান। কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারলেই সবচাইতে ভালো। নাহলে ক্ষীর বা মিষ্টি কোন খাবারের সাথে খান। বেটে নিয়ে দুধে মিশিয়েও খেতে পারেন।

513
Food Habit / মাংস খাওয়ার বিপদ
« on: December 28, 2014, 09:25:44 AM »
অতিরিক্ত কোনো কিছুই সুফল বয়ে আনে না। সেটা যদি অপরিহার্য কিছু হয়, তাও নয়। মাংসকে আমরা উত্তম আহার্য হিসেবে বিবেচনা করি। কিন্তু অতিরিক্ত মাংস খেলে তা হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির কারণ। অস্ট্রিয়ার Arnold Lorand তাঁর Old Age Deferred গ্রন্থে পুরো একটি অধ্যায় জুড়ে অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার বিপদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। যারা দীর্ঘজীবী, তাদের খাদ্যতালিকায় মাংসের পরিমাণ থাকে কম। ১০০ বা তার চেয়ে বেশি আয়ু যারা পেয়েছেন এ রকম মানুষের আহার্যের খবর নিয়ে দেখা গেছে যে এদের মধ্যে অতিরিক্ত মাংসাহারী নেই বললেই চলে। বেশির ভাগই একেবারেই মাংস খান না। আর অনেকে আছেন যারা বয়স বাড়তেই মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। জেনে নিন অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার কিছু বিপদ।

    - মাত্রাধিক মাংস খেলে শরীরে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার, কিডনি, প্যানক্রিয়াস ইত্যাদি জরুরি প্রাণরক্ষক অঙ্গগুলো। এছাড়াও ক্ষতি হয় থাইরয়েড গ্রন্থির, সৃষ্টি হয় বাত, আরথ্রাইটিস ও Arteriosclerosis।

    - অধিক মাংস খাওয়া প্রায়ই ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

    - অতিরিক্ত মাংস খাওয়া কখনো কখনো ডায়াবেটিস ডেকে আনে। তাছাড়া ডায়াবেটিক রোগী বেশি মাংস খাওয়া শুরু করলে রোগের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়।

    - অত্যধিক মাংসাহার রক্তের ঘনত্ব বাড়িয়ে দিয়ে রক্ত চলাচল বিঘ্নিত করে। তাছাড়া এর ফলে শরীরে এত অ্যাসিডের সৃষ্টি হয় যে তার প্রভাব সামলাতে হলে খেতে হয় প্রচুর সবজি ও ফল।

    - অতিরিক্ত মাংস খাওয়া অন্ত্রের peristaltic movment-এর জন্য সহায়ক নয় বলে মাংসাহারীদের কোষ্ঠকাঠিন্য ভয়াবহরূপে দেখা দেয়। এবং এর ফলে যে টক্সিন শরীরে জমে তা কিডনির জন্য মোটেও ভালো নয়।

    - দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত মাংস খেল বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যক্তির স্নায়বিক বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।

    - যারা নিরামিষ খান তাদের তুলনায় মাংস খাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নিউয়াসথেনিয়া এবং হিস্ট্রিরিয়া রোগের পরিমাণ বেশি। তাছাড়া নানা রকম স্নায়বিক বিকারে মাংস বর্জন করিয়ে দেখা গেছে রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

    - যারা লিভারের রোগে ভুগছেন অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার ফলে তাদের অবস্থা আরো খারাপ হয়। কিন্তু মাংস খাওয়া ছেড়ে দিলে অবস্থা অনেক নিয়ন্ত্রণে আসে।

514
শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। সেই খাবারে থাকা চাই সঠিক পরিমানে পুষ্টি। কিন্তু খাবার টেবিলে সাজানো প্রিয় সব খাবারে পুষ্টিমান ঠিকঠাক বজায় থাকে কি? আসলে রান্না করতে গিয়েই খাবারের সবচেয়ে বেশি পুষ্টিমান নষ্ট হয়। অথচ একটু সচেতন হয়ে রান্না করলেই আশানুরূপ পুষ্টি পাওয়া সম্ভব। জেনে নেয়া যাক, পুষ্টিমান ধরে রেখে রান্না করার উপায়।

- শাকসবজি কাটার পর ধুতে গেলে তার পুষ্টি চলে যায়। তাই যাদের অভ্যাস কাটার পরে ধোয়া, তারা আজ থেকে অভ্যাস পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন। তাতে শাকসবজির পুষ্টিমান ঠিক থাকবে।

- শাকের ভিটামিন তেলে দ্রবনীয়। অর্থাৎ সেদ্ধ হওয়ার আগে তেল দেয়া যাবে না। সেদ্ধ হওয়ার পরে তেল দিলে পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।

- সবজি খুব ছোট করে না কেটে  একটু বড় টুকরো করুন। টুকরো গুলো একই আকারে রাখলে সেদ্ধ হতে একই সময় লাগবে। তাতে পুষ্টিমানও বজায় থাকবে।

- সবজি কাটার সময় খেয়াল রাখুন যতটা সম্ভব খোসা সহ কাটতে। কারণ খোসার নিচেই বেশিরভাগ পুষ্টিমান থাকে।

- রান্নার সময় ঢাকনা ব্যবহার করুন। এতে যেমন তাড়াতাড়ি রান্না হবে তেমন পুষ্টিগুণও বজায় থাকবে।

- কোন খাদ্যই বেশি সময় নিয়ে রান্না করা উচিত নয়। বেশি সেদ্ধ হলে পুষ্টিমানও বেশি নষ্ট হয়। তাই শাকসবজি, মাছ, মাংস বা ডিম রান্নায় অতিরিক্ত সময় নেয়া যাবে না।

- পরিমাণ মত পানি দিয়ে ভাত রান্না করুন। যেন ভাতের পুষ্টিকর মাড় ফেলে দিতে না হয়। কারণ মাড়ে থাকে ভাতের পুষ্টিগুণ।


515
নোট 24
পবিত্র কোরআন ও বিজ্ঞানের আলোকে মানব ভ্রুণ তত্ব
পবিত্র কোরআন : 1. সূরা হাজ্জ, আয়াত 5 : “ হে মানব জাতি, যদি তোমরা পুনরুত্থান সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে থাক তাহলে দেখ আমরা, তোমাদের ধূলামাটি থেকে সৃষ্টি করেছি। তারপর নূৎফা (শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিশ্রণ) থেকে, তারপর জোঁক সদৃশ জমাট রক্তপিন্ড থেকে, তারপর ছোট মাংসপিণ্ড থেকে- যা কিছুটা আকৃতিপ্রাপ্ত এবং কিছুটা আকৃতিহীন যেনো আমরা তোমাদের কাছে পরিষ্কার করতে পারি। আর আমরা যেভাবে ইচ্ছা মাতৃগর্ভে একটি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত রাখি। এরপর শিশু হিসেবে তোমাদেরকে মাতৃগর্ভ থেকে বের করে আনি। এরপর আমরা তোমাদের বড় করি যাতে তোমরা যৌবনে পদার্পন করতে পার। তোমাদের মধ্যে কয়েকজনকে মৃত্যুর কোলে ডেকে আনি। আর কয়েকজনকে দুর্বল বাধক্যকাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাই যেনো তারা জানার পর কিছুই জানে না (সূরা হাজ্জ : 5)।

2. সূরা মুমিনুন , 12-14 : প্রকৃতপক্ষে আমরা মানুষ সৃষ্টি করেছি মাটির সার নির্যাস থেকে। পরে তাকে নুৎফা হিসেবে একটি সুরক্ষিত আধারে (জরায়ু) স্থাপন করেছি। তারপর এ নুৎফাকে জমাট রক্তপিন্ডে পরিণত করেছি। তারপর জমাট রক্তপিণ্ডকে মাংসপিণ্ডে (চর্বন বস্তুর মতো) পরিণত করেছি। এরপর এ মাংসপিণ্ডকে অস্থি বানিয়েছি। এরপর অস্থিকে মাংসপেশী দ্বারা আবৃত করেছি। অবশেষে তাকে একটি ভিন্ন সৃষ্টিতে উন্নীত করেছি। অতএব মহামহিম আল্লাহ পাক সবার উপরে শ্রেষ্ঠ স্রষ্টা (সূরা মুমিনুন : 12-14)।
কানাডার বিখ্যাত টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী প্রফেসর কেইথ মুর মানবভ্রুন তত্ব সম্পর্কে ল্যাবরেটরিতে উচ্চ শক্তিশালী মাইক্রোসকোপের সাহায্যে মানুষের ভ্রুন পরীক্ষা করে তা কোরআনে বর্ণিত জোঁকের ছবির সঙ্গে তুলনা করে দেখে কোরআনের বাণীর সত্যতা খুঁজে পান ।
বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা : প্রথম পর্যায় বলা হয়েছে মাটির নির্যাস থেকে মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে। মাটির সার নির্যাস হিসেবে মাটিতে রয়েছে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, নাইট্রোজেন, আয়রন এবং আরো অন্যান্য উপাদান, বৃক্ষরাজি এবং ক্ষেতের ফসল মূলের সাহায্যে এসব উপাদান চুষে নেয়। এরপর বৃক্ষ ফল (আম, কাঁঠাল, কলা এবং আঙ্গুর, কলা) দেয় এবং ক্ষেতে বিভিন্ন ফসল উৎপন্ন হয়। ফল এবং ফসলগুলো পুষ্টির প্রয়োজনে মানুষ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে এবং খাদ্যের সার নির্যাস রক্তের সাথে মিশে যায় এবং পরবর্তীতে পিতার শরীরে সৃষ্টি হয় sperm এবং মায়ের শরীরে সৃষ্টি হয় Ovum । Sperm দ্বারা Ovum নিষিক্ত হয়ে জাইগোট গঠন করে যা জরায়ুতে (Uterus) স্থানান্তরিত হয়। অতএব পিতা মাতার পুষ্টির প্রয়োজনে মাটির নির্যাস থেকে যেসব উপাদান সংগৃহীত হয় সেসব উপাদান থেকে নুৎফা তৈরি হয়।
নুৎফা দ্বারা মানব ভ্রুণ সৃষ্টি হয়। আরবি নুৎফা শব্দ দ্বারা ‍Sperm ও Ovum এর মিলনের ফলে যে জাইগোট গঠিত হয় তাকেও পবিত্র কুরআনে নুৎফা বলা হয়েছে। Sperm, Ovum- এর ভেতরে প্রবেশ করে জাইগোট তৈরি করে। লক্ষ লক্ষ Sperm- এর মধ্যে একটি Ovum- এ প্রবেশ করে নিষেক (Fertilization) ঘটায়।
জাইগোট বাচ্চা থলির অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সেখানে পার্শ্ব দেয়ালে দৃঢ়ভাবে এঁটে থাকে। এটা তার জন্য বেশ নিরাপদ স্থান।
পরবর্তী পযায়ে জাইগোট বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্ধিষ্ণু জাইগোটের প্রাথমিক অবস্থাকে আরবিতে বলা হয় ‘আলাক’ । একটি জোঁক রক্ত চুষে নিয়ে যে রূপ ধারণ করে আলাক দেখতে অনেকটা সে রকম। 3 থেকে 4 সপ্তাহের মধ্যে উন্নয়নশীল ভ্রুণ জোঁকের মত আকার ধারণ করে। এর মধ্যে থাকে মাথার সম্মুখভাগের উন্নত অংশ। এ পর্যায়ে হৃৎপিণ্ড অথাৎ Cardiovascular system এর উন্নয়ন ঘটে। এরই মধ্যে 15-16 দিনের মাথায় আলাক জরায়ুর দেয়ালে ঝুলন্ত দেহবস্তুর মতো ঝুলে থাকে। অতএব আলাক শব্দটি তিন ধরণের অর্থ বিজ্ঞাসম্মতভাবে গ্রহণযোগ্য। (1) জমাট রক্তপিণ্ড, (2) জোঁক সদৃশ বস্তু, (3) ঝুলন্ত দেহবস্তু।
পরবতী পযায়ের রুপান্তরকে আরবিতে বলা হয় মুদগাহ বা মাংসপিণ্ড । এ অবস্থা চলতে থাকে 23-42 দিন পযন্ত। এ অবস্থায় ভ্রুণকে প্রকৃতপক্ষে চর্বন বস্তুর মতো (Chewed-like substance) দেখায় ।
পরবর্তী পর্যায়টি হলো হাঁড় তৈরির স্তর । প্রথমে যে হাঁড়গুলো দেখা দেয় সেগুলো হলো উপরিভাগের কচি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। প্রাথমিক 6 সপ্তাহে কচি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মেসেনচিমাল টিশুগুলো ( Mesenchymal tissue) কোমল অস্থিতে পরিণত হয়ে ভবিষ্যৎ অস্থির একটি স্বচ্ছ মডেল গঠন করে। 12 সপ্তাহের মধ্যে ভ্রুণের একটি পূর্নাঙ্গ কঙ্কাল (Skeleton) গঠিত হয়।
ভ্রুণ বিকাশের পরবর্তী স্তর হলো পেশী গঠনের স্তর। সপ্তম সপ্তাহ থেকে কঙ্কাল দেহে বিস্তার লাভ করে এবং হাঁড়গুলো পরিচিত আকার ধারণ করে। এ সময় ভ্রুণটি একটি মানব চিত্র লাভ করে। সপ্তম সপ্তাহ শেষ হলে অষ্টম সপ্তাহের সময় পেশীগুলো হাঁড়ের চারপাশে আবৃত হতে থাকে। যদিও হাঁড় গঠনের সঙ্গে সঙ্গে পেশী গঠন শুরু হয় তবুও পরবর্তী সময় না আসা পর্যন্ত পেশী তার সঠিক অবস্থান গ্রহণ করে না। সুতরাং পেশী হাড়ের উপর আচ্ছাদন কথাটি খুবই তাৎপর্যবাহী।
অষ্টম সপ্তাহ শেষ হলে নির্দিষ্ট পেশীকাণ্ড, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং মাথা খুব ভালোভাবে দেখা যায় এবং এ সময় ভ্রুণটি নড়াচড়া করতে থাকে।
এরপর ভ্রুণটি একটি সময়কাল ধরে বড় হতে থাকে। আরবি শব্দ ‘খালকান আখারা’ যে অর্থ প্রকাশ করে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন। ‘খালকান আখারা’ অর্থ ভিন্ন সৃষ্টি। গর্ভে থাকার পূর্ণ সময় পরে শিশু জন্মলাভ করে অর্থাৎ নতুন এক সৃষ্টি আপন অস্তিত্বে মূর্ত হয়ে ওঠে।
আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে, আল্লাহ পাক ‘আহসানুল খালেকীন’ অর্থাৎ সর্বশ্রেষ্ঠ স্রষ্ঠা । এ অর্থ যথোপযুক্ত। প্রকৃতপক্ষে মানুষ কোনো কিছু সৃষ্টি করতে পারে না। শুধু আল্লাহ পাক প্রদত্ত বস্তুসমূহের রূপান্তর করতে পারে। অর্থাৎ সৃষ্টির উপজীব্য উপাদান তা’আলারই সৃষ্টি । তাছাড়া মানব সৃষ্টি সকল সৃষ্টির মধ্যে সর্বোত্তম এ কারণে মানুষকে বলা হয় আশরাফুল মাখলুকাত।
জন্মলাভের পরপরই শিশু পার্থিব আলো, বাতাস, আর্দ্রতা ও উষ্ণতার সংস্পর্শে আসে। তখন তার মধ্যে আশ্চযজনক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তারপর আমরা দেখতে পাই যে, শিশু বিকশিত হয়ে কিভাবে কৈশোর এবং যৌবনে পদার্পন করছে। এ আয়াতে বলা হয়েছে কেউ কেউ বার্ধক্যে পৌছার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। আল্লাহ পাক বিশেষভাবে কিছু মানুষের বৃদ্ধাবস্থার কথাও উল্লেখ করেছেন। মানুষ যৌবনকালেই শক্তিশালী থাকে এবং পরবর্তী পর্যায়ে পুনরায় বৃদ্ধাবস্থায় দুর্বল হয়ে পড়ে। অল্পসংখ্যক লোক দেখা যায় যারা অধিক বয়স পযন্ত বাঁচে। এভাবে বাঁচার কারণে তারা শিশুর মতো শিশুসুলভ আচরণ করে এবং তারা তাদের অতীতের সবকিছু ভুলে যায়। এ অবস্থায় দৈহিক দুবলতার কারণে মস্তিস্কের কঠিন পরিবর্তন সাধিত হয় যার ফলে তার চিত্তভ্রম ঘটে।
সপ্তম শতাব্দিতে যখন পবিত্র কোরআনে এসব স্তরের কথা উল্লেখ করা হয় তখন ভ্রণবিদ্যার (Embryology) জন্মলাভ ঘটেনি।

516
Food Habit / সবজিতে স্বস্তি
« on: May 04, 2013, 09:52:14 AM »

:: সুস্বাস্থ্য ডেস্ক ::
আমদের সবার মধ্যেই একটি বদ্ধমূল ধারণা আছে জুস এবং অন্যান্য পানীয়ই শুধু আমাদের শরীরকে চাঙা করে। তবে শুধুমাত্র এসবের উপর নির্ভর করলে নিজের বারোটা বাজবে। তবে ভরসা রাখতে পারেন সবজির ওপর। শুধু সুস্বাস্থ্য নয় আমাদের স্বাস্থ্যকর ডায়েট চার্টেও জায়গা করে নিতে পারে সবজি। তাছারা গরমে দেহকে ঠান্ডা রাখতেও সবজিকে প্রাধান্য দিতে পারেন সমানতালে।

চিচিঙ্গা
চিচিঙ্গা শরীর ঠান্ডা রাখে, রোগ প্রতিষেধক হিসেবে চিচিঙ্গা বেশ উপকারী। শারীরিক কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে চিচিঙ্গা পুষ্টি উৎপন্ন করে। দেহের শুষ্কতাও রোধ করে চিচিঙ্গা। হার্টের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে চিচিঙ্গা ঘরোয়া সমাধান। চিচিঙ্গা পাতার রস হার্টের সমস্যায় উপশমকারী।

মিষ্টিকুমড়ো
দেহকে শীতলিকরণ প্রক্রিয়ায় মিষ্টিকুমড়োর জুড়ি মেলা ভার। এতে আছে পটাশিয়াম ও ফাইবার যা ব্লাড প্রেশার ও সুগারও নিয়ন্ত্রণ করে। চর্মরোগ কমাতেও কুমড়ো বেশ কাজে দেয়। তাছাড়া কুমড়ো হজম প্রক্রিয়া বাড়াতেও সাহায্য করে ।

তিতা করলা
চামড়ায় বের হওয়া র্যা শ, ফ্যাঙ্গাসের সংক্রমণসহ গোল কৃমি প্রতিরোধে সাহায্য করে করলা। তেঁতো হলে কি হবে, দুঃচিন্তা ও ডায়াবেটিক রোধে অসাধারণ কার্যকর করলা। এছাড়াও করলা শারীরিক ইমিউনিটি বাড়ায়।

লাউ
নাম যতই নিরীহ হোক না কেন শরীরকে শীতল করতে যথেষ্ট এই লাউ। লাউয়ের বেশিরভাগ অংশে পানি থাকে বলেই এটা দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়াও গ্রীষ্মকালীন গরমে এসিডিটি কমাতে লাউ বেশ উপকারী।

ঝিঙে
গ্রীষ্মকালীন এই সবজি রক্ত পরিশোধনে বড় ভূমিকা রাখে। তাছাড়া রক্তে সুগারও নিয়ন্ত্রণে রাখে ঝিঙে। এই গরমে পাকস্থলিকে স্থিতিশীল রাখতে ঝিঙের দ্বারস্থ আপনাকে হতেই হবে।

শশা
ফাইবার ও ফ্লুইডে সমৃদ্ধ শশা শরীরে ফাইবার ও ওয়াটার ইনটেক বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি, সিলিকা, পটাশিয়াম, ম্যাগনোশিয়াম ও ফাইবার হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে এই সবজিটি। হজম ও কনস্টিপেশনের সমস্যার সমাধানে ডায়েটে রাখতে পারেন শশা। শশা বা শশার রস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও বেশ উপকারী।

517
Islam / Shahabi Gach
« on: April 13, 2013, 11:57:39 AM »
ছবিতে আপনারা যে গাছটি দেখতে পাচ্ছেন তা কোনো সাধারণ গাছ নয়। আজ থেকে প্রায় ১৪৫০ বছর আগের ঘটনা এটি। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর বয়স যখন ১২ বছর ছিল তখন এই গাছটি তাঁকে আল্লাহ তা’আলার ইশারায় নিরাপদ আশ্রয় দান করেছিল। আজও সেই গাছটি বেঁচে আছে। সুবাহানাল্লাহ। এই গাছটি "একমাত্র জীবিত সাহাবী গাছ" হিসাবে পরিচিত!! গাছটি জর্ডানের এক মরুভূমী এলাকায় অবস্থিত। আরেকটি অবাক করার মত ব্যপার হল গাছটির শত বর্গ কিলোমিটার এলাকায় এটি ছাড়া আর কোনো গাছ নেই।
এই গাছটির নিচে কখনো কেহ বসতে পারেনি! তখন গাছটিতে কোন পাতা ছিলনা! নবী করিম (সাঃ) ছেলেবেলায় ওঁনার চাচার সাথে জর্ডানে যান এবং পথ চলতে চলতে এই গাছটির নিচে বসেন। বসার সাথে সাথে গাছটিতে পাতা বাহির হয়। সুবাহানাল্লাহ।

518
Islam / Hadish
« on: April 13, 2013, 10:34:06 AM »
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বলেন, রাসুলুল্লাহ
ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: 'আমার
সকল উম্মতই বেহেশতে যাবে,
তবে যে বেহেশতে যেতে অসম্মত সে ব্যতীত' ।
জিজ্ঞাসা করা হল, কে অসম্মত ?রাসুলুল্লাহ
ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, 'যে আমার
বাধ্যতা স্বীকার
করেছে সে বেহেশতে যাবে এবং যে আমার অবাধ্য
হয়েছে সে বেহেশতে যেতে অসম্মত' ।
--বুখারী

519
"" সুস্বাদু গ্রীষ্মকালীন ফল পেঁপে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিষয়টি নিয়ে গবেষণার পর করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী এমনটাই দাবি করেছেন।
“অকার্যকর কিডনিকে সচল করতে পেঁপে... বীজের রস একটি অপরিহার্য উপাদান। পেঁপের বীজে ফ্লাভোনোইডস ও ফিনোটিক নামক যে উপাদান রয়েছে তা কিডনি রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এই পেঁপের বীজ দেহকে যেকোনো ধরনের জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে ও পাকস্থলীকে সংক্রামক মুক্ত রাখে।”
বিষয়টি নিয়ে নাইজেরিয়ার কিছু শিশুর ওপর পরীক্ষা চালানো হয়, এ সময় দেখা যায়, নাইজেরিয়ার প্রায় ৭৬.৭ শতাংশ শিশু সাত দিন একনাগাড়ে পেঁপে বীজের রস পান করে পাকস্থলীর সংক্রামক রোগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পায়।
“জাপানের জনগণ বিশ্বাস করে, প্রতিদিন এক চা চামচ পেঁপে বীজের রস খেলে যকৃতের রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ও কাঁচা পেঁপে কাটার পর যে সাদা রস বের হয় শরীরের ক্ষতস্থানে তা লাগালে প্রাকৃতিকভাবে ক্ষত সেরে যায়।”
পেঁপে বীজের রস প্রতিদিন খেলে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পায়, ওজন কমে, উচ্চরক্তচাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থাকে স্বাভাবিক রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এছাড়া ধূমপায়ীদের শরীরে এমফিসেমা রোধে পেঁপে রক্ষা করে বলে . ....!!!

520
Telecom Forum / New Symphony Mobile W125
« on: March 31, 2013, 07:06:48 PM »
Just few Days left to grab your own Symphony Xplorer W125

1. Operating System: Android 4.1Jelly Bean
2. 4.5" Capacitive Full Touch
3. qHD Display
4. Camera:8 MP+1 MP
5. 1.2 GHz Processor (Quad Core)
6. RAM 1 GB & ROM 4 GB
7. 3G Network,EDGE,WiFi,GPS
8. Android Market, One Browser
9. Accelerometer sensor, Proximity-Sensor, Magnetic sensor, SNS Application

Coming Soon................!!!!!!!

Pages: 1 ... 33 34 [35]