Daffodil International University
Faculties and Departments => Teaching & Research Forum => Topic started by: Reza. on October 31, 2018, 10:13:44 PM
-
আমাদের চারিপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য জীবাণু। খালি চোখে এদেরকে দেখা যায় না। কেবলমাত্র অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের দেখা যায়। বিজ্ঞানীরাই এই অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিস্কার করেছেন। বিজ্ঞানীরাই এই অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে জীবাণু নিয়ে গবেষণা করেন। তাদের মাধ্যমেই আমরা জীব জগতের এই এক বিশাল একটি অংশ সম্পর্কে জানতে পারি। আমাদের দৃষ্টি শক্তিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় তাদের আবিস্কার।
কবি ও সাহিত্যিকদের কাজ হল আমাদের চারিদিকের মানবিক আবেগ ঘটিত ব্যাপার গুলোকে মাগনিফাই করে আমাদের অনুধাবণ করানো। সে আবিস্কার করেছে ছন্দ কখনোবা কথামালা। যার সাহায্যে আমাদের চারিদিকে জীবাণুর মতই লুকিয়ে থাকা ও ঘটে যাওয়া বিভিন্ন আবেগ গত ব্যাপারকে দেখতে সাহায্য করা।
দার্শনিকের কাজ হল বিভিন্ন জিনিসকে সাধারণ মানুষকে ভিন্ন দৃষ্টি কোণ থেকে দেখতে সাহায্য করা। আর্টিস্টের কাজ হল ছবি আঁকা।
এইবার আসি শিক্ষকের প্রসঙ্গে। তাকে কখনও বা বিজ্ঞানীর মত চিন্তা করতে হচ্ছে। কথা সাহিত্যিকের মত সাবলীল ভাষায় তা বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে। দার্শনিকের মত বিভিন্ন দৃষ্টি কোণ থেকে বুঝাতে হচ্ছে। বোর্ডে একে চলতে হচ্ছে আর্টিস্টের মত যাতে সবাই সহজে বুঝতে পারে। অভিনেতার মতই বহু জনের সামনে চলে তার প্রেজেনটেশন।
এইবার আরেকটি প্রসঙ্গ। রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের একাধারে বিজ্ঞানী, কথা সাহিত্যিক দার্শনিক ও শিক্ষক হতে হয়। এর সাথে তাদের থাকতে হয় সমর বিদ্যা এবং অর্থনৈতিক জ্ঞান। এবং এইখানেই একজন শিক্ষক ও একজন রাজনৈতিক পেশাজীবীদের পার্থক্য হয়। বল প্রয়োগের ও কমার্শিয়াল হওয়ার কোন ব্যাপার নাই শিক্ষক পেশা জীবীদের। এবং এইটাই শিক্ষক পেশাকে মহান করেছে।
(মাই থিওরিটিক্যাল থিংকিং)
(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে।)