Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Sahadat

Pages: [1] 2 3 ... 19
1
দিন দিন মাত্রা অতিরিক্ত দূষণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফুসফুসের নানা অসুখ। শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করা বিষাক্ত ধোঁয়া, ধূলিকণায় ফুসফুসে ক্যান্সার বেড়ে চলেছে সমান তালে। কিন্তু এই দূষণকে উপেক্ষা করা অসম্ভব। আবার দূষণের ভয়ে কী করবেন?

এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি চাইলে মাত্র দু-দিনেই ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থকে ঝেরে পরিষ্কার করে ফেলতে পারেন। এর জন্য অনেক উপায় রয়েছে। তারা বলেন, ফুসফুসকে সতেজ রাখার তেমনই ১০টি মুশকিল আসান আপনার জন্য। এর মধ্য থেকে সুবিধা মতো যে কোনও দুটো পদ্ধতি বেছে নিন। ভালো থাকবে ফুসফুস।

উপায় ১০টি হলো:-
১. দুই-তিন দিনের জন্য দুগ্ধজাতীয় সব খাবার বাদ দিন। এমনকি কফিও ছোঁবেন না।
২. রাতে শুতে যাওয়ার আগে গরম গরম এক কাপ ‘গ্রিন টি’ খান।
৩. সকালে ঘুম থেকে উঠে উষ্ণ জলে লেবু মিশিয়ে পান করুন। লেবুর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুস পরিষ্কার করে।
৪. সকালে প্রাতঃরাশে যদি সম্ভব হয় আনারসের জুস খান।
৫. এখন বারো মাসই গাজর পাওয়া যায়। প্রাতঃরাশে নিয়মিত গাজরের জুসও খেতে পারেন। এর ফলে রক্ত অ্যালকালাইজড হবে।
৬. দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজনের পর কলা খান। কলা পটাশিয়াম পরিষ্কারের প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে।
৭. রাতে ক্র্যানবেরির জুস পান করুন। ফুসফুসে আশ্রয় নেওয়া ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
৮. ব্যায়াম করলে, ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসের সঞ্চালন দ্রুত হয়। ফুসফুসকে স্বাভাবিক হতে সাহায্য করে।
৯. বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সকালে স্টিম বাথ নিন। ঘামের সঙ্গে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যাবে।
১০. মুখ ঢেকে গরম পানির ভাপ নিন। পারলে পানিতে দু-ফোটা ইউক্যালিপটাসের তেল ফেলে দিন। এই পদ্ধতিতেও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়।

সূত্র: এই সময়

2
আমাদের দেশে গ্যাস্টিকের সমস্যা নেই এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়াই যাবে না। এই সমস্যাটি মূলত ভাজাপোড়া খাবার খেলেই বেশি হয়ে থাকে। অনেকেরই এ সব খাবার খাওয়ার পরে পেট ব্যথা বা বুকে ব্যথা কিংবা বদ হজম হয়।
অথচ এই সমস্যা দূর করার জন্য ওষুধ না খেয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিচের যেকোন একটি নিয়ম মানলেই চলবে।
১। আধা ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা আদা নিন। তারপর অল্প একটু লবন মাখিয়ে খেয়ে ফেলুন। আদা খাওয়ার কিছুক্ষণ পর এক কাপ কুসুম গরম পানি খান। গভীর রাতে আর গ্যস্ট্রিকের সমস্যা হবে না।
অথবা
২। এক গ্লাস পানি একটি হাড়িতে নিয়ে চুলায় বসান। এর আগে এক ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা হলুদ পানিতে দিয়ে দিন। পানি অন্তত পাঁচ মিনিট ফুটতে দিন। তারপর নামিয়ে আনুন। পানি ঠাণ্ডা হলে হলুদসহ খেয়ে ফেলুন। গ্যাস্ট্রিক দৌঁড়ে পালাবে।
অথবা

৩। ওপরের সমস্ত পদ্ধতি ঝামেলার মনে হলে শুধুমাত্র এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন। কখনোই রাতে পেট বা বুক ব্যথা করবে না।

3
শীতকালে আরামের ঘুম ভেঙে ওঠাটা ভীষণ কষ্টের। বিশেষ করে যদি রাত্রে ঘুম না হয় তাহলে তো সকালে বিছানা ছাড়তেই মন চায় না। কিন্তু জীবনের তাগিদেই ঘুম থেকে উঠতে হয়, আর একারণে সকাল সকালই অনেকের মেজাজ বিগড়ে থাকে, সারাটা দিনই খারাপ যায়। আপনার ক্ষেত্রেও যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাবে দেখে নিন রাতের এই অভ্যাসগুলোর কথা। ঘুমাতে যাবার আগে এই কাজগুলো করলে আপনার সকালটা হবে একেবারেই দারুণ।

১) ঘুমের আগে খাবার ও পানীয়
ঘুমাতে যাবার আগে চা কফি একেবারেই নয়। ভালো ঘুম চাইলে লাঞ্চের পর কোনো ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় গ্রহণ করবেন না। রাতের খাবারে চকলেট, ভারী প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার এমনকি খুব ঝাল ও মশলাদার খাবার খেলেও অনেকের সমস্যা হতে পারে। খুব বেশি পেট ভরে খাওয়াটাও অনুচিত। এর চাইতে পান করতে পারেন ঘুমের জন্য উপকারী কিছু পানীয়। খেতে পারেন ঘুমের জন্য উপকারী কিছু স্ন্যাক্স।
 
২) ঘর গুছিয়ে ঘুমান
ঘুমাতে যাবার আগে নিজের ঘর, কাজের জায়গা, অফিসে যাবার ব্যাগ, পোশাক আশাক, কাগজপত্র গুছিয়ে রাখুন। এতে সকালে ঘুম থেকে উঠে যেমন প্রশান্তি লাগবে, তেমনি অফিসে যাবার সময়ে হুড়োহুড়ি করতে হবে না।

৩) কাজের লিস্ট তৈরি করুন
সকাল থেকে শুরু করে সারাদিন কী কী করতে হবে সেগুলো মনে রাখার চাইতে লিখে রাখলে সুবিধা হবে বেশি। এতে ভুলে যাবার আশংকা থাকবে না। আর কোনো কিছু ভুলে গেছেন কিনা সেই দুশ্চিন্তাও আপনাকে তাড়া করবে না।

৪)  ইলেকট্রনিক্স বন্ধ করে ঘুমাতে যান
সারারাত ফোন, ল্যাপটপ অন রেখে দিলে ঘুমের ক্ষতিই হবে, কোনো উপকার হবে না। আর ঘুম ঠিকমতো না হলে অবশ্যই সকালটা শুরু হবে খারাপভাবে। বিছানায় কোনো ইলেকট্রনিক্স নিয়ে ঘুমাবেন না। বরং ঘুম না আসলে একটা বই নিয়ে পড়া শুরু করুন।

৫) নিজের শরীরের কথা শুনুন
বারবার চোখ চুলকাচ্ছেন, শরীর ভেঙ্গে ঘুম আসছে এর পরেও আপনি টিভি বা ল্যাপটপের সামনে বসে আছে- এটা ন করাই ভালো। আপনার শরীর ক্লান্ত হয়ে থাকলে ঘুমিয়ে যান। এতে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে অনেক ফ্রেশ মনে হবে।

৬) পর্দা একটু সরিয়ে ঘুমাতে যান
এতে কী হবে? সকালে সুর্য উঠলে আপনার মুখে রোদ পড়বে। সকালের এই রোদ আপনার শরীর থেকে ঘুমঘুম ভাবটা দূর করতে সাহায্য করবে দারুণ।

৭) ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করবেন না
ঘুমানোর আগে হালকা ইয়োগা করাটা ভালো হতে পারে। কিন্তু ঘুমানোর ঠিক আগে কোনো ব্যায়াম, বিশেষ করে ভারী কোনো ব্যায়াম করবেন না। এটা আপনার ঘুম তাড়িয়ে দেবে, আপনাকে জাগিয়ে দেবে আরও বেশি। ফলে আপনি সময়মত ঘুমাতে পারবেন না, সময়মত ঘুম থেকে উঠতেও পারবেন না।

4
পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন। চুল মূলত বিভিন্ন কারণে আপনার মাথা থেকে পড়তে পারে। আপনি চুলপড়া রোধ করতে মাথায় কত কিছুই না ব্যবহার করেছেন। কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। তবে আর চিন্তা নেই। এখন থেকে আপনার মাথায় চুল গজাতে সাহায্য করবে একটি সাধারণ ও অল্প মূল্যের তেল। শুধু চুল নয়, চোখের পাপড়ি আর ভ্রু ঘন করতেও এই তেল দারুণ কার্যকরী!

নতুন চুল গজাতে সাহয্য করা এই তেলের নাম ক্যাস্টর অয়েল। ক্যাস্টর অয়েল কোন অপরিচিত জিনিস নয়, বরং অনেকেই চেনেন। কিন্তু এটা জানেন না যে নতুন চুল গজাতে এই তেল দারুণ উপকারী। ক্যাস্টর অয়েলে আছে রিসিনোলেইক এসিড যা নতুন চুল, ভ্রু, চোখের পাপড়ি গজাতে অত্যন্ত সহায়ক। এছাড়াও চুলের রুক্ষ্মতা দূর করে চুলকে মোলায়েম করে তুলতে সহায়তা করে এই তেল।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?
ক্যাস্টর অয়েল একটানা ব্যবহার করলে হবে না, করতে হবে নিয়ম মেনে। সপ্তাহে একদিন করে টানা ৮ সপ্তাহ ব্যবহার করুন এই তেল। ক্যাস্টর অয়েল মধুর মত ঘন, প্রথম প্রথম একটু অসুবিধা হতেই পারে।

ব্যবহার করার পদ্ধতি বেশ সোজা। ক্যাস্টর অয়েল নিন, এতে যোগ করতে পারেন একটি ভিটামিন’ই ক্যাপসুলের ভেতরকার তরল। চুল লম্বা হলে একাধিক ক্যাপসুল দিন। এরপর এই তেল রাতে ঘুমাবার আগে ভালো করে মাথায় মাখুন। বিশেষ করে চুলের গোঁড়ার ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগান। সারারাত এই তেল চুলে থাকতে দিন। সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন। কোন বাড়তি কন্ডিশনার লাগবে না।

কোথায় পাবেন, কেমন দাম?
যে কোন ফার্মেসীতে ও সুপারশপে ক্যাস্টর অয়েল পাবেন আপনি। দেশি-বিদেশি দুই রকমই পাওয়া যায়। দেশি তেলগুলো দামে বেশ সস্তা। মোটামুটি ১০০ টাকার কমে আপনি এক বোতল পাবেন যা ব্যবহার করতে পারবেন ১ মাস! বিদেশি গুলোর দাম একটু বেশি। মানও একটু ভালো।

তাহলে আর দেরি কেন, চুলের জন্য বাড়তি চর্চা শুরু করে যাক আজই। পাতলা হয়ে যাওয়া চুলগুলো আবার হয়ে উঠুক ঘন।
(যাদের বংশগত কারণে বা কোন অসুখের জন্য টাক পড়ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আসলে কোন চিকিৎসাই কাজে দেবে না। প্রয়োজন আগে অসুখের চিকিৎসা। যাদের চুল পড়ছে স্ট্রেস, যত্নের অভাব, ভুল প্রসাধন ইত্যাদি কারণে; তাঁদের ক্ষেত্রে ক্যাস্টর অয়েল খুব ভালো কাজে দেবে।)

5
Beauty Tips / চুলের যত্ন ও চিকিৎসা
« on: December 04, 2015, 06:26:16 PM »
 সঠিক উপায়ে চুলের যতনই সুন্দর চুলের চাবিকাঠি। আপনি যদি সঠিক উপায়ে চুলের যতননেন তাহলে অনেক সমস্যা থেকেইে আপনি মুক্ত থাকতে পারবেন। যেমনঃ- খুশকি, মাথার তালুর ইনফেকশন, চুল পড়া, চুলের অকাল পক্কতা ইত্যাদি। নিচে উল্লেখিত ১১ টি সহজ টিপস যদি আপনি ফলো করেন, তাহলে আপনার চুল ও মাথার তালু হবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান।

১) সপ্তাহে অন্তত তিন দিন আপনার চুল পরিস্কার করুন কোন হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে (যেমন – মডার্ণ হারবাল শ্যাম্পু)।

২) মাথার তালুতে সরাসরি শ্যাম্পু প্রয়োগ করবেন না। প্রথমে শ্যাম্পু অল্প পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন তারপর মাথার তালুতে হালকাভাবে ম্যাসাজ করে
লাগান অনধিক ২ মিনিট।

৩) আপনার যদি খুশকি থাকে তাহলে, এ্যন্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং মাথার তালু পরিস্কার রাখুন চুলের সু-স্বাস্থ্যের জন্য।

৫) কখনোই ভেজা চুল আচড়াবেন না। ভেজা চুল আচড়ানো চুল পড়ে যাবার সহজ পদ্ধতি। চুল প্রথমে টাওয়েল দিয়ে ভালভাবে মুছে নিন, তাপর একটু হালকা শুকিয়ে পরিস্কার চিরুনি দিয়ে আচড়ে নিন।

৬) আপনার যদি লম্বা চুল থাকে তাহলে চুল আচড়াতে প্রথমে হাতের আঙ্গুলি ব্যবহার করুন চিরুনির সাথে।

৭) চুল আচড়াতে ফাকা মোটা দাতের চিরুনি ব্যবহার করুন সবসময়।

৮) সবসময় পরিহার করুন অপ্রয়োজনীয় কসমেটিক সামগ্রী যেমন – চুলের জেল, ক্রিম, হেয়ার কালার ইত্যাদি। এগুলোর প্রভাবে আপনার চুলের স্থায়ীভাবে রাসায়কি ক্ষতি হতে পারে। যা আর নিরাময় সম্ভব না।

৯) যদি একান্তই চুলে রং করতে হয়, তাহলে এ্যামোনিয়া ফ্রি কালার ব্যবহার করুন।

১০) অন্যের ব্যাবহৃত চিরুনি, হেলমেট, ক্যাপ ইত্যাদি ব্যবহার হতে বিরত থাকুণ। কারন এথেকে আপনার মাথায় সংক্রামক রোগ হতে পারে।

১১) খুব শক্ত ভাবে চুল বাধবেন না। এবং একই দিকে প্রতিদিন বাধবেন না, কিছুদিন পর পর স্থান পরিবর্তন করে চুলের গিট বাধবেন।

6
ডায়াবেটিসজনিত জটিলতায় শরীরের যেকোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে, ত্বকও এর ব্যতিক্রম নয়। ডায়াবেটিস থাকলে ত্বকের সুস্থতা রক্ষায় বাড়তি সতর্কতা দরকার।

ত্বকের সমস্যা

১. চোখের পাতার প্রদাহ-ফোড়া, দেহের যেকোনো জায়গায় ফোড়া-ফুসকুড়ি, ত্বক ও ত্বকের নিচে প্রদাহ, নখের গোড়ায় প্রদাহ—এসবই ডায়াবেটিসে বেশি আক্রমণ করে।

২. ছত্রাকের আক্রমণে ত্বকের ভাঁজে, যেমন স্তনের নিচে, কুঁচকি ইত্যাদি স্থানে ফুসকুড়ি-চুলকানি ইত্যাদি হয়।

৩. রক্তের উচ্চ শর্করা ত্বককে পানিশূন্য করে দেয়। ফলে ডায়াবেটিক রোগীর ত্বক বেশি শুষ্ক, ত্বক ফেটে যায় ও চুলকানি হয়।

৪. অ্যাকানথোসিস নেগ্রিকানস একধরনের কালো খসখসে ত্বক আবরণ, যা ডায়াবেটিস ও স্থূল রোগীদের গলার পেছনে, ঘাড়ে, বাহুমূলে, কুঁচকিতে দেখা যায়।

৫. পায়ের সামনের ত্বকে গোলাকৃতি কালো-ছোপ দাগ থাকে।

৬. ত্বকের গভীরতর স্তরে চর্বি ও অন্যান্য স্তর ক্ষয় হয়ে ত্বকে ঘা হতে পারে।

৭. কারও কারও ইনসুলিন অ্যালার্জি, ইনসুলিন দেওয়ার জায়গায় ত্বক মোটা-উঁচু বা পাতলা হয়ে যায়।

ডায়াবেটিসে ত্বকের যত্ন

১. ত্বকে কাটা-ছেঁড়া, প্রদাহ, ফুসকুড়ি বা ঘা ইত্যাদি লক্ষ করলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২. কাটলে বা আঘাত পেলে দ্রুত সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং অ্যালকোহল বা আয়োডিনযুক্ত কিছু না লাগিয়ে বরং অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম ব্যবহার করুন।

৩. বছরে অন্তত দুবার চিকিৎসকের কাছে পা পরীক্ষা করিয়ে নিন। ডায়াবেটিক রোগীদের উপযোগী মোজা-জুতা-স্যান্ডেল ব্যবহার করুন, প্রতিদিন পায়ের যত্ন নিন।

৪. নিজে ফুসকুড়ি বা ফোড়া ফাটানোর চেষ্টা করবেন না।

৫. ত্বক ভেজা বা আর্দ্র রাখবেন না।

৬. গোসল বা ত্বক ধোয়ার জন্য অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করবেন না। মৃদু ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করুন এবং গোসলের পর আর্দ্রতা রক্ষাকারী লোশন ব্যবহার করুন। আঙুলের ফাঁকে লোশন ব্যবহার করবেন না।

৭. প্রচুর পানি পান করুন, পানিশূন্যতা এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহল বা ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পরিহার করুন।

৮. সুষম খাবার গ্রহণ করুন।

ডা. নাজমুল কবীর কোরেশী
মেডিসিন বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল।

7
শাকসবজি
শাকসবজি তো খেতেই হবে। শরীরের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে সবজি খাওয়ার বিকল্প নেই। আর খাওয়ার বেলায় রঙিন সবজিগুলো বেছে নিন। দৃষ্টিনন্দন এ সবজিগুলো পুষ্টিগুণেও অনন্য। ব্রকলি, গাজর, টমেটো ও কুমড়ার মতো রঙিন সবজিগুলো খান তাই নিত্যদিন। তরকারিতে আদা-রসুনের ব্যবহার বাড়িয়ে দিন। আদা, রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

মাছ-মাংস
শরীর গঠনে প্রোটিনও খুব দরকারি। শাকসবজি আর ফলই কিন্তু শেষ কথা নয়। মাছ খেতে নেই কোনো বাধা। অন্তত নিয়ম করে সপ্তাহে তিন দিন মাছ খেতে হবে। মাংসের বেলায় আছে কিছু বিধিনিষেধ। চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়ার তালিকা থেকে ছেঁটে পরিমিত মাংস খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন।

দুধভাত
শিশু-কিশোরদের জন্য দুধ উৎকৃষ্ট খাদ্য হলেও বয়সীদের জন্য কিন্তু নয়। তাই বলে কি তাদের দুধ খাওয়া হবে না? চর্বিবিহীন দুধ পাওয়া যায় এখন বাজারে। তাতেই দুধের তৃষ্ণা মেটাতে পারেন বয়স্ক ব্যক্তিরা। আমাদের সন্তানেরা যেন সব সময় থাকে দুধে ভাতে।

তাজা ফল
এই গরমে ফল আর ফলের রসে গলা ভেজান। পেটভর ফল খেলেও মুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। হাড় আর দাঁত গঠনে রাখে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। হূদরোগের আশঙ্কা কমে যায় প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ। ক্যানসারের শঙ্কাকমে শতকরা ২২ ভাগ। সর্দি-কাশি সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়ে ফল। মৌসুমি ফল তাই যেটাই পাওয়া যায় প্রতিদিন খান, রোগ পালাবেই।

8
Health Tips / শীতে যে ৭ ভুল আমরা করি
« on: December 04, 2015, 05:50:41 PM »
ভোরের কুয়াশা, দিন ছোট হয়ে যাওয়া, ঠান্ডা আবহাওয়া জানান দিচ্ছে শীত আসছে। শীতকাল এলেই এক আলস্য পেয়ে বসে আমাদের। এ সময়ে অনেকেই কিছু ভুল করে থাকেন যেগুলো স্বাস্থ্যে বাজে প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে শীতকালের সাতটি ভুলের কথা।

১. ব্যায়াম না করা

শীতের আলস্যে অনেকেই ব্যায়াম করেন না। সকালের বা বিকেলের জগিং বা হাঁটা থামিয়ে দেন। এটি শীতকালের সবচেয়ে বড় ভুল। যেকোনো ধরনের ব্যায়াম মস্তিষ্ক থেকে সুখী হরমোন নিঃসরণ করে। ব্যায়াম আপনাকে সুখী ও কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। শীত আপনার জন্য বিষণ্ণতার হবে না, যদি ব্যায়ামের অভ্যাস চালিয়ে যান।

২. ঘরে থাকা

শীতে ঠান্ডা এড়িয়ে যেতে অনেকেই ঘরে থাকতে পছন্দ করেন। অনেকেই রয়েছেন সূর্যের আলোর কাছে যাওয়ার চেয়ে ঘরে বসে কম্বলের উষ্ণতায় টেলিভিশন দেখতেই পছন্দ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক নয়। অন্তত কিছুক্ষণের জন্য হলেও ঘরের বাইরে বের হন।

৩. বেশি ঘুম

ঠান্ডা আবহাওয়া এমনি আমাদের অলস করে তোলে। আপনি যদি ঘুমের সময়ও নির্দিষ্ট করেন তবু দেখবেন শীতে গরমকালের তুলনায় একটু বেশিই ঘুমাচ্ছেন। আসলেই শীত যেন আমাদের বিছানার দিকেই টানে। তবে সতর্ক হোন এই আলস্য থেকে। কেননা এটি সব কার্যক্রমের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে।

৪. খাদ্যাভ্যাস

আপনি কি খেয়াল করেছেন শীতকালে আমরা একটু দেরি করে খাই? এই দেরি করে খাওয়া শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে। তাই খাবারের সময় নির্দিষ্ট করুন। সময় অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করুন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খান।

৫. মদ্যপান

অনেকে রয়েছেন এই সময়ে মদ্যপান প্রচুর পরিমাণে বাড়িয়ে দেন। মদ্যপান এমনিতেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আর বেশি মদ্যপান তো শারীরবৃত্তীয় পদ্ধতিকে দুর্বল করে তোলে। তাই এটি এড়িয়ে চলুন।

৬. দীর্ঘক্ষণ গরম পানির গোসল

গরম পানি শরীরকে অবশ্যই উষ্ণ করে। তবে বেশি গরম পানির ব্যবহার ত্বককে শুষ্ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি ত্বককে খসখসে করতে পারে এবং চুলকানোর সমস্যা করতে পারে। তাই গরম পানি দিয়ে গোসল করে এলে শরীরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি শরীরকে আর্দ্র রাখতে বেশ সাহায্য করবে।

৭. ময়েশ্চারাইজার

শীতে ত্বক সব সময় আক্রান্ত হতে থাকে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, খসখসে হয়ে থাকে সব সময়। তাই শরীর পরিষ্কার করার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

9
কাশি হলে আমরা তা বেশিরভাগ সময় অবহেলা করি | বেশিরভাগ সময় অবহেলার কারণেই তা ক্রনিক হয়ে যায় | অনেক সময় আমরা আবার ঘরোয়া টোটকা প্রয়োগ করি কাশি সারাতে | ফলে কাশি আরো বেড়ে যায় | আমরা কিছু সহজ টিপস দিচ্ছি‚ এগুলো মেনে চলুন দেখবেন কাশি অনেক তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে |

১) ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলুন : সমীক্ষা করে জানা গেছে বেশিরভাগ ঠান্ডা লাগার রুগীরা আইসক্রিম বা ঠান্ডা পানীয় খাবার ফলে কাশি বাঁধিয়েছ | যদিও এখনো জানা যায় নি ঠান্ডা খাবার খেলে কীভাবে কাশি বেড়ে যায় | কিন্তু তা হলেও যতদিন না সম্পূর্ণ ঠিক হচ্ছেন ততদিন ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলুন | অবশ্য অনেক ডাক্তার মনে করেন ঠান্ডা খাবার বা পানীয় ফুসফুসের বাইরের স্তরকে খুব তাড়াতাড়ি শুষ্ক করে দেয়‚ ফলে সহজেই ইনফেকশন বেড়ে যায় |

২) রাতে কম খাবার খান : যে ব্যাক্তিরা Gastroesophageal Reflux Disease (GERD) রোগে আক্রান্ত তারা রাতে বেশি খাবার খেয়ে শুলে দেখা গেছে কাশি বেড়ে যাচ্ছে | তাই কাশি হলে যত তাড়াতাড়ি পারবেন নৈশ আহার শেষ করুন আর অন্যান্য দিনের থেকে খাবারের পরিমাণ ও যেন কম হয় সেটা মাথায় রাখুন | নৈশাহার আর শোয়ার মধ্যে যেন অন্তত দু ঘন্টার ব্যবধান থাকে |

৩) বিছানায় এক দিকে ফিরে শোয়ার চেষ্টা করুন : রাতে সঠিক ভাবে শোয়াও খুব দরকারী | একেবারে বিছানার সঙ্গে পিঠ ঠেকিয়ে সোজা হয়ে শুলে কিন্তু কাশি বেড়ে যাবে | আসলে এইভাবে শোয়ার ফলে সারাদিনের জমা হওয়া কফ আর সর্দি গলায় গিয়ে জমা হয় ফলে কাশি আরো বেড়ে যায় | তাই কাশি হলে এক দিকে পাশ ফিরে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন |

৪) ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন : ভাজা খাবার থেকে Acrolein নামের এক রকমের পদার্থ বেরোয় | এই পদার্থ কাশি এবং গলা খুশখুশ বাড়িয়ে দেয় | তাই কাশি হলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন |

৫)ধূমপান এড়িয়ে চলুন : ধুম্রপানকে ব্রাঙ্কাইটিস কাশি হওয়ার একটা কারণ মানা হয় | এই সময় সিগারেট খেলে গলা খুশখুশ বেড়ে যায় | এবং কাশি ঠিক হতেও সময় লাগে অনেক বেশি | এছাড়া ক্যানসার হওয়ার রিস্কও বেড়ে যায় অনেকটা | একই সঙ্গে আপনার বাড়িতে যদি আপনার সামনে কেউ নিয়মিত সিগারেট খায় সেটাও সমান ক্ষতিকারক |

৬) ক্যাফেনেটেড বেভারেজের থেকে দূরে থাকুন : কাশি হলে ক্যাফেন একেবারে এড়িয়ে চলা উচিত | বিশেষত ওই ব্যক্তিদের যাদের অ্যাসিডিটির কারণে কাশি হয় তাদের ক্যাফেন না খাওয়াই উচিত | যদিও গরম কফি খেলে কিছুক্ষণের জন্য হয়তো আরাম পাবেন | কিন্তু পরে আরো বেশি করে কাশি হবে |

৭) অতিরিক্ত খাটাখাটনি করবেন না : কাশি হলে কেউ ছুটি নিয়ে বাড়িতে বসে থাকে না ঠিকই | কিন্তু কাশি হলে অতিরিক্ত খাটাখাটনি না করাই ভালো | কাশি হওয়া মনে আপনার শরীরে নিশ্চই কিছু গণ্ডগোল হয়েছে | তাই যতটা পারবেন এই সময় রেস্ট নিন | এবং আপনার ইমিউন সিস্টেমকে ঠিক হওয়ার সময় দিন |

10
গরম রসগোল্লা খেতে কার না ভালো লাগে বলুন? কিন্তু ওজন বাড়ার ভয়ে এক পা এগুলে, দুপা পিছুতে হয়।এসব দোনামোনা ঝেড়়ে ফেলুন। জানেন কি গরম রসগোল্লার কত গুণ? প্রতিদিন গরম রসগোল্লা খেলে ওজন তো বাড়েই না, বরং নিয়ন্ত্রণে থাকে। জেনে নিন গরম রসগোল্লার ১০ গুণ।

দাঁত ও হাড়ের যত্নে- রসগোল্লা ছানা দিয়ে তৈরি হওয়ায় রসগোল্লায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় হাড় ও দাঁত সুস্থ থাকে। হাড় বা দাঁতের ক্ষতও রোধ করতে পারে রসগোল্লা। অস্টিওপরেসিস বা গাঁটে ব্যথা সারাতেও উপকারি গরম রসগোল্লা।

তাৎক্ষণিক শক্তির যোগান- দেহের প্রয়োজনীয় ক্যালরি মিটিয়ে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় রসগোল্লা। সারা দিনের খাটুনি অথবা ওয়ার্কআউটের পর গরম রসগোল্লা খান।

ব্যথা উপশমে- ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড গাঁট ও বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে ও ম্যাগনেশিয়াম হাড়ের ঘনত্ব ধরে রাখে।

দাঁতের ক্যাভিটি- রসগোল্লায় ল্যাকটোসের পরিমাণ কম থাকায় দাঁত ক্ষতিকারক সুগারের হাত থেকে রক্ষা পায়। ভিটামিন ডি ক্যাভিটি রোধ করতে সাহায্য করে।

ওজন- রসগোল্লা হাই প্রোটিন ডায়েট। মোনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট ওজন কমাতে সাহায্য করে। রসগোল্লার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার থাকার কারণে হজম ভাল হয়। ফলে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।

ক্যান্সার- উচ্চমাত্রায় ও উচ্চমানের প্রোটিন থাকার কারণে পেট, স্তন, প্রস্টেট বা কোলন ক্যানসার রুখতে পারে রসগোল্লা।

হার্ট- ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

ইউরিনারি- রসগোল্লা ইউরিনারি সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বজায় রাখে। ফলে সহজে কিডনি স্টোন হতে পারে না।

রোগ প্রতিরোধ- রসগোল্লা রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধরে রাখে। সর্দি, কাশি, ব্রঙ্কিয়াল অ্যাস্থমা সারাতে উপকারি রসগোল্লা।

শিশুদের জন্য- রসগোল্লা পুষ্টিগুণে ভরপুর। শিশুদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে শারীরিক ও মানসিক গঠনে সাহায্য করে গরম রসগোল্লা।

11
ঘুম থেকে উঠে অনেকে অনেক কাজ করে থাকেন। কেউ খালি পেটে পানি পান করেন কেউ বা চা আবার কেউ খালি পেটে কফি পান করে থাকেন। কিন্তু আপনি কি জানেন খালি পেটে কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত আর কোন খাবারগুলো খাওয়া একেবারেই উচিত নয়? খালি পেটে লেবু পানি বা রসুনের কোয়া খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তা আমরা জানি। এমন কিছু খাবার আছে যা দারুন স্বাস্থ্যকর, কিন্তু খালি পেটে খাওয়া একদমই উচিত নয়।

১। সোডা জাতীয় পানি পান : খালি পেটে কোক, মিরিন্ডা, বা সোডা জাতীয় খাবার খেলে কি হবে? এই খাবারগুলো অ্যাসিড লেভেল বৃদ্ধি করে দেয়, যার কারণে অ্যাসিডিটি সমস্যা, বমি বমি ভাব এমনকি জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।

২। কলা : স্বাস্থ্যকর এই ফলটি খালি পেটে খাওয়া বেশ ক্ষতিকর। আমরা সবাই জানি কলা ম্যাগনেসিয়ামের একটি বড় উৎস। কিন্তু খালি পেটে কলা খেলে শরীরের ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেয়। যার কারণে শরীরে ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। যা হৃদয় ও রক্ত ধমনী জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে।

৩। টমেটো : টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন এবং ট্যানিক অ্যাসিড রয়েছে। টমেটো খালি পেটে খেলে, ট্যানিক এবং পেকটিন অ্যাসিডের সাথে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের বিক্রিয়া ঘটিয়ে থাকে। যা পাকস্থলীতে পাথর সৃষ্টি করে।

৪। টক দই : স্বাস্থ্যকর টকদই ও খালি পেটে খাওয়া অস্বাস্থ্যকর। এটি আপনার হজম শক্তি নষ্ট করে দেয়। এমনকি টকদইয়ে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় খালি পেটে এটি খাওয়ার কারণে।

৫। মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলুতে টমেটোর মত পেকটিন এবং ট্যানিক অ্যাসিড রয়েছে। যার কারণে খালি পেটে খেলে পাকস্থলীতে পাথর হতে পারে। এমনকি এটি বুক জ্বালাপোড়া, গ্যাসিটের ব্যথার কারণও হয়ে দাঁড়ায়।

৬। মশলা জাতীয় খাবার : অতিরিক্ত ঝাল মশলা জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খালি পেটে ঝাল মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে গ্যাস সৃষ্টি হয়ে থাকে, যা অ্যাসিডিটিসহ পেটে ব্যথার কারণ হয়ে থাকে।

12
অনেকেই হঠাৎ করে অবসাদে আক্রান্ত হতে পারেন। নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় নানা চাপের কারণে এ অবসাদ আসতে পারে। এছাড়া রয়েছে নানা পরিবেশগত বিষয়ও। আপনার যদি হঠাৎ অবসাদ শুরু হয় তাহলে কারণ জেনে তা প্রতিরোধের চেষ্টা করুন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

১. মানসিক চাপ
মানসিক নানা চাপের কারণে হঠাৎ অবসাদ আসতে পারে। মূলত মানসিক চাপের কারণে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়। এতে হৃৎস্পন্দন যেমন বাড়ে তেমন মাংসপেশির চাপ ও শ্বাস-প্রশ্বাসও বেড়ে যায়। আর এতেই সৃষ্টি হতে পারে অবসাদ। আর আপনার যদি এমন অবসাদ আসে তাহলে তার পেছনে কোনো মানসিক চাপ কাজ করছে কি না, খেয়াল করুন। মানসিক চাপ দূর করলে এ অবসাদ চলে যেতে পারে।

২. দূষিত পরিবেশ
বায়ু দূষণ আমাদের অজান্তেই বহু ক্ষতি করে। বায়ু দূষণ শুধু ঘরের বাইরেই যে হয়, তা নয়। এটি ঘরের ভেতরেও হতে পারে। মূলত বাইরের আবহাওয়ায় ধূলোবালি, যানবাহনের পেট্রল-ডিজেল পোড়ানো ধোঁয়া কিংবা বদ্ধ আবহাওয়ায় কম্পিউটার ও টিভিসহ নানা যন্ত্রপাতি থেকে এ দূষণ হতে পারে। আর বায়ু দূষণের কারণে শুধু ফুসফুসের নানা রোগই যে হয় তা নয়, এতে শরীরের কর্মক্ষমতা নষ্ট হয় এবং অবসাদে আক্রান্ত হয় মানুষ।

৩. রক্তস্বল্পতা
রক্তের হিমোগ্লোবিন অক্সিজেন পরিবহন করে দেহকে সচল রাখে। আর অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা হলে দেহে অক্সিজেনের অভাব সৃষ্টি হয়। এতে ফুসফুস থেকে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে হিমোগ্লোবিন পৌঁছানো বাধাগ্রস্ত হয়। এতে অনেকেই অবসাদে আক্রান্ত হতে পারে।

৪. বিষণ্ণতা
মানসিক একটি রোগ বিষণ্ণতা। এ রোগের কারণে অবসাদে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। মূলত মানসিক সমস্যার কারণে দেহের উদ্যমের অভাব দেখা দেয়। আর এতেই অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। বিষণ্ণতা দূর করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। আর বিষণ্ণতা দূর হলে অবসাদও দূর হতে পারে।

৫. ক্রনিক অবসাদ
সাধারণ অবসাদ ছাড়াও নানা শারীরিক কারণে ক্রনিক অবসাদ হতে পারে। এক্ষেত্রে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা, পুষ্টির অভাব, কোনো কোনো ভাইরাসের আক্রমণ ও হজমের সমস্যার কারণেও ক্রনিক অবসাদ হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অবসাদের পাশাপাশি মাথাব্যথা, মাংসপেশি ও অস্থিসন্ধীর ব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।

13
বাইরে বের হলে সঙ্গে পানি বহন বা ফ্রিজে রাখার জন্য প্লাস্টিকের বোতলই ভরসা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একই বোতল দীর্ঘদিন ব্যবহার চলে। আলাদা করে  পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ে না। আমরা ভেবে থাকি, বোতলে পানিই তো ছিল, ময়লা হওয়ার সুযোগ কোথায়। কিন্তু আসলেই কি তাই?

ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের বোতলের কথা ভিন্ন, কিন্তু সাধারণ যেসব বোতল পানি রাখার জন্য ব্যবহার করি সেগুলো মোটেই বেশিদিন ব্যবহারের উপযোগী নয়। এসব ডিসপোজেবল বোতল বারবার ব্যবহারের ফলে সহজেই ক্ষয় হয়ে যেতে থাকে। বোতলে প্লাস্টিকের দেয়ালে তৈরি হয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফাটল। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এসব ফাটলে বাসা বাধে ব্যাকটেরিয়া। ব্যাকটেরিয়া থেকে বিসফেনল নামের এক ধরণের রাসায়নিক উপাদান আমাদের শরীরে ঢুকে যায় সহজে, যা খুবই স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ।

শুধু ডিসপোজেবল বোতলই নয় ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের যেসব বোতল আমরা ব্যবহার করি সেগুলোকেও নিয়মিত পরিষ্কার না রাখলে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। বিশেষ করে স্কুলের বাচ্চারা যে বোতলে দিনের পর দিন না ধুয়ে ব্যবহার করতে থাকে, তার মাঝে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় দীর্ঘদিন না ধুয়ে রাখার ফলে এসব ব্যাকটেরিয়া বেড়ে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায়।

একটি পরীক্ষায় বোতলের গলা এবং যে অংশে অনেকে মুখে লাগিয়ে খান, সে অংশ থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ এতো বেশি পাওয়া গেছে যে, তা থেকে ফুড পয়জনিং এর মতো অসুস্থতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই প্লাস্টিক যদি ব্যবহার করতেই হয় তবে সাদা প্লাস্টিকের বোতল সুবিধাজনক। এ ধরণের প্লাস্টিকের বোতল ল্যাবরেটরিতেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ ধরনের বোতল থেকে রাসায়নিক উপাদান শরীরে আসার সম্ভাবনা কম। তবে যে ধরণের বোতলই ব্যবহার করুন না কেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

14
“আমি প্লাষ্টিক সার্জারি ছাড়াই আমার চেহারার যৌবন ধরে রাখব”- এমনটি বলেছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত হলিউড তারকা মেরেলিন মনরো। আদতে সকলেই চায় তার ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ত্বকে বলিরেখা, বয়সের ছাপ পড়ে যায়। বয়সের ছাপ বা বলি রেখা একবার পড়ে গেলে তা দূর করা বেশ কষ্টসাধ্য। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে ত্বকে রিংকেল বা বলিরেখা পড়া রোধ করা সম্ভব।

১। অতিরিক্ত মুখ ধোয়া
নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করা আপনার ত্বকের জন্য ভাল। কিন্তু অতিরিক্ত মুখ ধোয়া ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। প্রাকৃতিকভাবে ত্বকে তেল রয়েছে যা ত্বক নরম এবং ময়েশ্চারাইজড রাখে। অতিরিক্ত মুখ ধোয়ার ফলে মুখের তেল নষ্ট হয়ে যায়। যা ত্বককে রুক্ষ এবং বয়স্ক করে তোলে। তাই অতিরিক্ত মুখ ধোয়া থেকে বিরত থাকুন।

২। পানি পান
ত্বক সুস্থ রাখতে পানি পানের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এটি ত্বক সুস্থ রাখার পাশাপাশি দেহ হতে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। ত্বক সুস্থ, হাইড্রেড, উজ্জ্বল রাখতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত- এমনটি মনে করেন dermatologist Jeanette Jacknin, M.D., author of "Smart Medicine for Your Skin." 

৩। ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বক এবং শরীরের জন্য অনেক বেশি দরকারী একটি উপাদান। সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল ইত্যাদি খাবারে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি রয়েছে। এছাড়া আপনি ওমেগা থ্রি সাপ্লিমেন্টরী খেতে পারেন। ওমেগা থ্রির সাথে অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্র খাবার খেতে হবে। কমলা, আঙ্গুর, পেয়ারা, গাজর, মিষ্টি আলু, টমেটো, আম, মিষ্টি কুমড়া, কাঠ বাদাম, ক্যাপসিকাম, পালং শাক ইত্যাদি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার। প্রতিদিনাকার খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো রাখার চেষ্টা করুন।

৪। সান্সক্রিনের ব্যবহার
সানস্ক্রিনের ব্যবহার ছাড়া রোদে বের হওয়া উচিত নয়। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি ইউভি আপনার ত্বকের কোষের ক্ষতি করে থাকে। যা ত্বকে বলিরেখা সৃষ্টি করার পাশাপাশি স্কিন ক্যান্সার মত রোগও সৃষ্টি করতে পারে। প্রতিদিন ঘর থেকে বের হওয়ার আগে এসপিএফ-১৫ বা তার বেশি এসপিএফ ব্যবহার করুন। 

৫। ম্যাসাজ
নিয়মিত ম্যাসাজে আপনার ত্বকে বলিরেখা, চোখের নিচে কালি দূর করে থাকে। যে সকল স্থানে বলি রেখা পড়ার সম্ভাবনা থাকে (ঘাড়, চোখের নিচ, কপাল) সেখানে ভাল করে ম্যাসাজ করুন।  রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মুখে ম্যাসাজ করে একটি নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। এটি ত্বক নরম কোমল করে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখবে। সপ্তাহে ২ বার কোন ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করুন।

বলিরেখা প্রতিরোধ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা আজই পরিত্যাগ করুন।

15
খুব সাধারণ একটি শারীরিক সমস্যা হল পা ব্যথা। ছোট বড় সব বয়সীদের পা ব্যথা হয়ে থাকে। কখনও কখনও এই ব্যথা ব্যাপক আকারে রূপ নিয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণে পা ব্যথা করতে পারে। বৃদ্ধ বয়স, শিরায় টান পড়া, আরামদায়ক জুতো না পরা, অনেক বেশি হাঁটা, দু’পায়ের ওপর ভর করে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা, বিভিন্ন ধরণের ফ্রাকচার , দেহে খনিজের অভাব, পুষ্টির অভাব ইত্যাদি নানা কারণে পা ব্যথা হয়ে থাকে। পা ব্যথা হলে সব সময় ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া উচিত নয়। ব্যথানাশক ঔষধ শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই পা ব্যথা দূর করা সম্ভব।

১। ম্যাসাজ
অলিভ অয়েল, নারকেল তেল বা সরিষা তেল হালকা গরম করে নিয়ে হালকা ভাবে ব্যথার স্থানে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এটি দিনে ২-৩ বার করুন। ২০১২ সালের Science Translational Medicine journal এর মতে ১০ মিনিটের এই ম্যাসাজ পেশির প্রদাহ রোধ করে পা ব্যথা কমিয়ে দেবে।

২। হলুদ
১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং তিলের তেল গরম করে নিন। এবার এটি ব্যথার স্থানে ভাল করে ম্যাসাজ করে নিন। ৩০ মিনিট পর কসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুই বার করুন।এছাড়া এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটিও আপনার পা ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান পায়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। আপনি যদি রক্ত বৃদ্ধির কোন ঔষধ গ্রহণ করে থাকেন, তবে হলুদ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

৩। আদা
ব্যথার স্থানে দিনে ২-৩ বার আদার তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। এর সাথে দিনে ২-৩ বার আদা চা পান করুন। আদার উপাদান ব্যথা দূর করে পেশীর প্রদাহ দূর করে দিবে। এটি পেশির রক্ত চলাচল সচল করে দেয়।

টিপস:

    ব্যথার স্থানে ঠান্ডা বা গরম পানির সেঁক দিতে পারেন, এটি ব্যথার স্থানে আরাম দিবে।
    রাতে পায়ে মোজা পরে ঘুমাতে যান। অনেক সময় পা ঠাণ্ডা হয়ে পা ব্যথা করতে পারে। মোজা আপনার পাকে গরম রাখবে।
    প্রতিদিন ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করুন।
    উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্লোস্টোরেল নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
    ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন।

Pages: [1] 2 3 ... 19