Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Lazminur Alam

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7 8 ... 18
76
Life Science / আম পাড়ার নতুন কৌশল
« on: June 11, 2016, 06:34:11 PM »
প্রচলিত পদ্ধতিতে গাছ থেকে আম নামাতে গেলে বোঁটা ভেঙে আমের সারা গায়ে কষ ছড়িয়ে পড়ে। আমপাড়ুয়ার চোখেমুখেও কষ লাগে। যেখানে লাগে, সেখানে ঘা হয়ে যায়। সহজে সারে না। শুধু তা-ই নয়, কষের কারণে আম ‘অ্যানথ্রাকনোজ’ ছত্রাকে আক্রান্ত হয়। পাকতে না-পাকতেই আম পচে যায়। বোঁটা থেকেই এর পচন শুরু হয়। আবার ঠুসি থেকে বের হয়েও নিচে পড়ে যায়। আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আঘাত লাগা আম পাকার আগেই পচে যায়। আম ঠুসিতে পড়ার কারণে লগি ভারী হয়ে যায়। ধরে রাখতে কষ্ট হয়।  ঠুসির ক্ষেত্রে তা হবে না। আম সরাসরি নিচে চলে আসবে। লগি ভারী হবে না।
ঠুসির মাথায় থাকে একটি কাটার যন্ত্রপ্রচলিত আম পাড়ার ঠুসির মতোই এই ঠুসি তৈরির জন্য একটি বাঁশের লগির প্রয়োজন হয়। প্রচলিত পদ্ধতিতে লগির মাথায় দড়ি দিয়ে তৈরি জালের একটা ঠুসি বাঁধা থাকে। গাছে ঝুলে থাকা আম ঠুসিতে ভরে টান দিয়ে ছিঁড়তে হয়। তখন আম বোঁটা থেকে ছিঁড়ে ঠুসির ভেতরে পড়ে। একসঙ্গে কয়েকটি আম ঠুসিতে ভরে তারপর ঠুসি কাছে এনে আম নামানো হয়।
 
আম পাড়া এত সোজা!তার সঙ্গে একটি রশি বেঁধে নিচ থেকে কাটার যন্ত্রটি নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা করেন। এই ঠুসির ভেতরে গাছে ঝুলে থাকা আম ভরে নিচের রশিতে টান দিলেই বোঁটার ইচ্ছামতো দূরত্ব থেকে কেটে নেওয়া যায়। কাটার সঙ্গে সঙ্গে আম ঠুসি থেকে কাপড়ের পাইপের মধ্য দিয়ে সরাসরি নিচে চলে আসে। লগির গায়ে রেইনকোটের কাপড় দিয়ে আম নিচে নামানোর পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, সাধারণ একটি ঠুসি তৈরি করতে প্রায় ২০০ টাকা খরচ হয়। আধুনিক ঠুসি বানাতে প্রায় ৬০০ টাকা খরচ হবে।

77
১. মশা কামড়ালে আমরা সহজে মারতে পারি না কেন? কারণ, সে প্রথমেই ত্বকের নির্দিষ্ট অংশ অল্পক্ষণের জন্য সামান্য অবশ করে দেয়। রক্ত চুষে নিয়ে উড়ে যাওয়ার পর আমরা ব্যথা অনুভব করে থাপ্পড় মারি, কিন্তু ততক্ষণে মশা চম্পট দিয়েছে!
২. রক্ত চোষার সময় মশা তার শুঁড়ের সাহায্যে লালা ছড়িয়ে দেয় যেন রক্ত জমাট না বাঁধে। তাদের লালায় যে প্রোটিন থাকে তা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধীব্যবস্থা শনাক্ত করে বহিরাগত শত্রু হিসেবে তাকে আক্রমণ করে। এ কারণে আমরা মশার কামড়ে চুলকানি অনুভব করি।
৩. এডিশ মশা সহজেই দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। কারণ ওরা পেছন দিক থেকে এসে হাতের কনুই বা পায়ের গোড়ালিতে হুল ফোটায়।
৪. এসব মশা সাধারণত খুব ভোরে বা সন্ধ্যায় কামড়ায়।
৫. জোরে ফ্যান চালিয়ে ঘুমালে বা ফ্যানের বাতাসে বসে কাজ করলে মশারা সহজে কাছে আসতে পারে না। বাতাসের তোড়ে দূরে সরে যেতে বাধ্য হয়। আর তা ছাড়া, ফ্যানের বাতাসে আমাদের প্রশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে আসা কার্বন ডাই-অক্সাইড দূরে চলে যায়। শরীরও কিছুটা ঠান্ডা থাকে। মশা মূলত কার্বন ডাই-অক্সাইডের গন্ধে ও শরীরের উষ্ণতায় আকৃষ্ট হয়ে কামড়াতে আসে। তাই ফ্যানের বাতাস মশার হাত থেকে বাঁচতে কিছুটা সাহায্য করে। অবশ্য মশারিতেও কাজ হয়।

78
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর থেকে প্রকাশিত আলোকচিত্রে সেকালের ঢাকা অ্যালবামে ১৮৮০ সালের মিটফোর্ড হাসপাতালের এ ছবিটি পাওয়া গেল। তবে কোনো আলোকচিত্রীর নাম নেই। ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম আধুনিক হাসপাতাল এই মিটফোর্ড। জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়ায় বলা হয়েছে, ঢাকার কালেক্টর এবং পূর্ব বাংলা ও আসামের আপিল বিভাগের বিচারক স্যার রবার্ট মিটফোর্ড যখন ঢাকায়, তখন কলেরা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু চিকিৎসা-সুবিধা ছিল অপর্যাপ্ত। রবার্ট মিটফোর্ড জনগণের দুর্দশা দেখে মর্মাহত হন। ইংল্যান্ডে মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর সম্পত্তির বেশির ভাগই একটি হাসপাতাল ভবন নির্মাণের জন্য উইল করে দেন। এর পরেই বর্তমান স্থানে ১৮৫৪ সালে হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর আগে ওই জায়গায় ওলন্দাজ কুঠি ছিল। চার বছর টানা কাজের পর ১৮৫৮ সালের ১ মে মিটফোর্ড হাসপাতাল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ১৯১৭ সালে এটি প্রথম শ্রেণির হাসপাতাল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। মিটফোর্ড হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ১৮৭৫ সালে ঢাকা মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬২ সালে এটি মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হয় এবং নবাব পরিবারের অবদানের কথা বিবেচনা করে নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নামেই মেডিকেল কলেজটির নামকরণ করা হয়। পুরোনো ছবিটি দেখে কেউ যদি এখন বুড়িগঙ্গার তীরে যান, এখনো নদীর পাড়ে বাঁধ ও রাস্তার পাশে মিটফোর্ড হাসপাতাল দেখতে পাবেন। তবে আগের সেই ভবনের বদলে উঠেছে বহুতল ভবন। ৮২টি শয্যা নিয়ে শুরু হওয়া মিটফোর্ড হাসপাতালে এখন প্রতিদিন হাজার খানেক লোক চিকিৎসা নেয়


http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/884326/সেই-ওলন্দাজ-কুঠিই-এখন-মিটফোর্ড-হাসপাতাল

79
র্জ্যপদার্থের মাধ্যমে শরীরের ভেতরে থাকা রোগজীবাণু ও ক্ষতিকর যৌগ বের হয়ে যায়। কোনো কারণে সঠিকভাবে বর্জ্য নিষ্কাশন না হলে বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা তৈরি হয়। এ সমস্যায় আক্রান্ত লোকজনের জন্য পুঁইশাক আদর্শ খাবার।
পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে দেহের বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে নির্গমনে সাহায্য করে। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’, যা ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে। এ ছাড়া শরীরের বৃদ্ধিকেও ত্বরান্বিত করে। পাশাপাশি চোখ ও চুল ভালো রাখে এই শাক।
প্রায় যত্ন ছাড়াই তরতর করে বেড়ে ওঠে পুঁইলতা। অল্প জায়গায় খুব দ্রুত বাড়ে এই শাক। এ কারণে আজকাল ফ্ল্যাট বাড়ির টবেও অনেকে পুঁইলতা লাগান। আর যা–ই হোক, ঘরেই যদি তরতাজা শাক মেলে তবে ক্ষতি কী?
ছোট চিংড়ি দিয়ে পুঁইশাকের চচ্চড়ি কিংবা কেবল ভাজি করে খেতে অতি উপাদেয়। পালংশাকের মতো অভিজাত না হলেও স্বাদে-গুণে এটিও অতুলনীয়। তা ছাড়া সস্তা ও সহজলভ্য বলে সব শ্রেণির মানুষ পুঁইশাক খাদ্যতালিকায় রাখেন। তবে যাদের ইউরিক অ্যাসিড বেশি এবং পিত্তথলি ফেলে দেওয়া হয়েছে তাদের পুঁইশাক বেশি না খাওয়াই ভালো।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত পুঁই বা মিষ্টিকুমড়ার শাক খান, তাঁদের পাইলস, ফিস্টুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুব কম। আর আঁশজাতীয় খাবার পাকস্থলী ও কোলনের ক্যানসারও প্রতিরোধ করে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, ১০০ গ্রাম পুঁইশাকে কোন কোন খাদ্য উপাদান রয়েছে।
১০০ গ্রাম পুঁইশাকে জলীয় অংশ রয়েছে ৯২ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ১ দশমিক ৪ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ২৭ কিলোক্যালরি, আমিষ ২ দশমিক ২ গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক ২ গ্রাম, শর্করা ৪ দশমিক ২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৬৪ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন সি ৬৪ মিলিগ্রাম।

80
Fashion / কীভাবে এল লিপস্টিক
« on: June 04, 2016, 07:22:33 PM »
ঠোঁট রাঙাতে লিপস্টিকের জুড়ি মেলা ভার। সাজ সামগ্রীর মধ্যে নারীদের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রসাধনী তাই লিপস্টিক। কিন্তু জনপ্রিয় এই প্রসাধনী কীভাবে এল? তা জানতে আমাদের নজর দিতে হবে প্রাগৈতিহাসিক কালে। কারণ সৌন্দর্য চর্চা সে সময় থেকেই চলে আসছে। তবে লিপস্টিক তখন ছিল কি না, তার কোনো জোরালো প্রমাণ মেলেনি। তবে তখনকার দিনে ফল ও গাছের রস থেকে ঘরে তৈরি রং ব্যবহার করা হতো সৌন্দর্য চর্চায়।
এরপর উচ্চবিত্ত মেসোপটেমিয়ানরা রত্নচূর্ণ ব্যবহার করত ঠোঁটে। মিসরীয়রা অ্যালজিন, আয়োডিন ও ব্রোমিনের মিশ্রণে লাল রং তৈরি করে ব্যবহার করত। লিপস্টিকের বিবর্তনের ইতিহাসে ফারাও রানি ক্লিওপেট্রার নামও চলে আসে। কারণ তিনি গাঢ় লাল রং ব্যবহার করতেন ঠোঁটে। তবে তখনো লিপস্টিক নামটির প্রচলন ছিল না।
১৮৮০ সালে প্রথমবারের মতো লিপস্টিক শব্দটি ব্যবহার করা হয়। ১৮৮৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিক লিপস্টিক তৈরি করে প্যারিসের একটি সুগন্ধি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। তবে আজকের দিনের মতো ঝকঝকে মোড়ক বা টিউব কিছুই ব্যবহার হতো না তখন। ১৯১৫ সালে প্রথম ধাতব টিউব ব্যবহার করা হয় লিপস্টিক বাজারজাত করতে। প্রথম টিউব আকারে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসে ১৯৩০ সালে। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রসাধন সামগ্রী হিসেবে নারীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

লিপস্টিক তৈরির একক কৃতিত্ব কাউকে দেওয়া যায় না। তবে অনেক ঐতিহাসিক প্রাচীন আরবের প্রসাধন বিশেষজ্ঞ আল জাহরাউয়িকে প্রথম ঘন লিপস্টিক তৈরির স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন।

http://www.prothom-alo.com/life-style/article/877156/কীভাবে-এল-লিপস্টিক

81
ঘুমন্ত মানুষের নাক ডাকার সমস্যাটি খুবই পরিচিত। এটি ওই ব্যক্তির জন্য বিব্রতকর এবং পাশের মানুষের জন্য বিরক্তিকর। নাক ডাকার অর্থ, আপনার শ্বাসনালির ওপরের অংশ সরু হয়ে আছে। এই শারীরিক সমস্যার সমাধান আছে। স্বাভাবিক ঘুমের ঘাটতির কারণেও এ সমস্যা হতে পারে। আর এটা হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
নাক ডাকা দূর করতে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল সম্প্রতি কিছু কৌশল অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে—
১. ওজন কমান: গলা ও ঘাড়ে অতিরিক্ত চর্বি জমলে শ্বাসনালি সরু হয়ে যায়। এ কারণে স্থূলকায় ব্যক্তিদের মধ্যে নাক ডাকার প্রবণতা বেশি। ওজন কমাতে পারলেই তাঁদের নাক ডাকা অনেকটা কমে যায়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, বাড়তি ক্যালরি বাদ দিন।
২. ঘুমের ওষুধ বর্জন করুন: কিছু কিছু ওষুধ গলার মাংসপেশিকে শিথিল করে দেয়, যেমন ঘুমের ওষুধ। এগুলোর প্রভাবে নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে। তাই এ ধরনের ওষুধ বর্জন করতে হবে।
৩. নাক খোলা রাখুন: নাক বন্ধ থাকলে ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার প্রবণতা বাড়ে। যদি সর্দি বা নাক বন্ধ থাকে, ঘুমের আগে লবণ-পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
৪. ঘুমের ভঙ্গি পাল্টান: চিত হয়ে শয়ন করলে অনেক সময় জিভ পেছনে পড়ে বা শ্বাসনালি আটকে যায়। কাত হয়ে ঘুমালে এ সমস্যা কমে। মাথার দিকটা একটু উঁচু করে নিতে পারেন।
৫. ধূমপান ছাড়ুন: ধূমপানের সঙ্গে নাক ডাকার সম্পর্ক রয়েছে। তাই এই ক্ষতিকর অভ্যাস পুরোপুরি ছাড়তে হবে। অ্যালকোহলও বর্জন করুন। এটি মাংসপেশি শিথিল করে এবং শ্বাসনালি সরু করে।
এসব কৌশল প্রয়োগের পরও নাক ডাকার সমস্যা রয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নাক ডাকা রোধে বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবহার এবং প্রয়োজনে শল্যচিকিৎসারও সুযোগ রয়েছে।

82
রক্তদানের শর্তগুলো পূরণ হয়ে থাকলে যেকোনো সুস্থ ব্যক্তি তিন-চার মাস পর এক ব্যাগ (৪৫০ মিলিলিটার) রক্ত দিতে পারবেন। এক ব্যাগ রক্ত শরীরের মোট রক্তের মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ। এই পরিমাণ রক্ত কাউকে দিলে কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই। রক্তদানের ফলে সুস্থ মানুষ কখনো অসুস্থ হয়ে পড়েন না। প্রত্যেক সুস্থ মানুষের শরীরের লোহিত রক্তকণিকাগুলো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ৮০ থেকে ১২০ দিন পরপর ধ্বংস হয় এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রক্তকণিকা তৈরি হতে থাকে।
রক্তের প্রয়োজন হলে আত্মীয়, বন্ধু বা পরিচিত ব্যক্তিদের থেকে নেওয়াই ভালো। পেশাদার রক্তদাতার রক্ত নিরাপদ না-ও হতে পারে। রক্ত দেওয়ার আগে খেয়াল রাখতে হবে—দাতার বয়স যেন ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হয়। শরীরের ওজন হতে হবে স্বাভাবিক (অন্তত ৫০ কেজি)। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে। রক্তচাপ এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে।
যাঁরা রক্ত দিতে পারবেন না: বড় কোনো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, স্নায়ুতন্ত্রের রোগ এবং রক্তচাপ অস্বাভাবিক থাকলে রক্ত দিতে পারবেন না। যাঁরা ইনসুলিন নেন, তাঁদেরও রক্ত দেওয়া উচিত নয়। আগে ব্যবহৃত সুচের মাধ্যমে কোনো ওষুধ বা নেশাদ্রব্য গ্রহণকারী ব্যক্তিও রক্ত দিতে পারবেন না।
রক্তদাতার জন্য পরামর্শ
* একদম খালি পেটে কিংবা একেবারে ভরা পেটে রক্ত দেওয়া উচিত নয়। হালকা খাবার গ্রহণের আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে রক্ত দিতে হবে।
* স্বাভাবিকের চেয়ে দু-তিন গ্লাস বেশি পানি পান করুন, রক্তদানের আগেই।
* রক্ত দেওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট বিশ্রাম নিন। সেদিন গাড়ি বা সাইকেল চালানোসহ যেকোনো ভারী কাজ থেকে বিরত থাকুন।
* ধূমপায়ী ব্যক্তির রক্ত নিলে রোগীর কোনো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে ধূমপায়ী রক্তদাতা যেদিন রক্ত দেবেন, সেদিন তাঁর নিজের নিরাপত্তার জন্য ধূমপান থেকে বিরত থাকা উচিত।
* রক্তসঞ্চালনের আগে রোগী ও রক্তদাতার রক্তের গ্রুপ মেলানোর পাশাপাশি ক্রস ম্যাচিং ও স্ক্রিনিং পরীক্ষা জরুরি। এ পরীক্ষায় জানা যায়, দাতার রক্তে কোনো রক্তবাহিত রোগ আছে কি না।
* তাপে রক্তকণিকা নষ্ট হয়ে যায়। তাই হিমায়িত রক্ত কখনো গরম করা উচিত নয়। ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত আনার ৩০ মিনিটের মধ্যে রক্তসঞ্চালন শুরু করতে হবে এবং ৪ ঘণ্টার মধ্যে শেষ করতে হবে।

83
অনেক কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। ধমনিতে ব্লক সৃষ্টি হলে বা আমাদের জীবনযাত্রা প্রণালির বিশেষ কোনো ত্রুটির জন্য হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার বংশানুক্রমের কারণেও হতে পারে। এর বাইরেও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক ঘটনা বা ত্রুটিপূর্ণ অভ্যাস হার্ট অ্যাটাক ডেকে আনতে পারে। যেমন, অনেকেরই সিগারেটের নেশা আছে। সিগারেটের জন্য ক্যানসার যেমন হতে পারে, তেমনি এটা হার্ট অ্যাটাকেরও একটি কারণ হতে পারে। এ ধরনের আরও কিছু কারণ সম্পর্কে সচেতন হলে হার্টের সমস্যা বেশ কিছুটা কমানো যেতে পারে।

১. হঠাৎ রেগে ওঠার অভ্যাস হার্টের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বেশি রাগের লক্ষণ হলো সামান্য কারণে উঁচু গলায় প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা, রাগে শরীর কাঁপা, দুই হাতে আঙুল চেপে ধরা, দাঁত কিড়মিড় করা ইত্যাদি। এগুলো স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি করে। ঘন ঘন রাগ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ায়। অস্ট্রেলিয়ায় ৩১৩ জন রোগীর হার্ট অ্যাটাকের বিষয়ে অনুসন্ধান করে চিকিৎসকেরা দেখেছেন, প্রচণ্ড রাগের ঘণ্টা দু-একের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা সাড়ে আট গুণ বাড়তে পারে।
২. কম্পিউটারে দিনে একটানা চার ঘণ্টারও বেশি কাজ করলে বা এ রকম দীর্ঘ সময় টিভি দেখলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা ১২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। অনেক বেশি সময় বসে থাকলে শরীরে লাইপো প্রোটিন লাইপেজের ঘাটতি দেখা দেয়। এই এনজাইম শরীরের চর্বি ক্ষয় করে এবং ধমনির ভেতরের বাধা (ক্লগড আর্টারি) অপসারণ করে। যদি দিনের বেশির ভাগ সময় বসে থাকতে হয়, তাহলে ২০ মিনিট পর পর সামান্য হাঁটা দরকার। বসে থাকার তুলনায় শুধু দাঁড়িয়ে থাকলেও ৩০ শতাংশ বেশি ক্যালরি পোড়ে।
৩. রাতে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানো সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি। কিন্তু ঘুম যদি নিয়মিত এর চেয়ে কম হয়, তাহলে তা হার্টের জন্য অশুভ হতে পারে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান জার্নাল অব ওয়ার্ক এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হেলথের এক গবেষণায় জানা গেছে, জাপানি ছেলেদের মধ্যে যারা ছয় ঘণ্টারও কম ঘুমায়, তাদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা, যারা সাত-আট ঘণ্টা ঘুমায় তাদের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।
৪. ধোঁয়া ও ধুলায় আচ্ছন্ন পরিবেশে সব সময় থাকলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে। সুস্থ হার্টের জন্য পরিষ্কার বাতাস খুব প্রয়োজন।
৫. খুব বেশি বা খুব কম তাপমাত্রায় থাকলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেশি। আবহাওয়ার তাপমাত্রা হার্টের ওপর প্রভাব ফেলে।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট, অনলাইন

84
ICT / ফেসবুকের নতুন ৯
« on: April 09, 2016, 03:46:10 PM »
ফেসবুকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আগেও ছিল, এখনো আছে। তবে নতুন অ্যালগরিদমের পরে অনেক শব্দই এখন নিজের ইচ্ছামতো লেখার সুযোগ থাকছে না। অপ্রীতিকর শব্দগুলো লেখা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনাকে বাধা তৈরি করবে। ফলাফল অবশ্য কিছুটা ভিন্ন হয়েছে। মনে করুন, আপনি ইংরেজিতে এমন কোনো শব্দ লিখতে চান, যাতে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু শব্দটির মধ্যে অক্ষরের সমন্বয়ে অন্য কোনো শব্দ লুকিয়ে আছে, যা অপ্রীতিকর। আপনি চাইলেও সে শব্দটি লিখতে পারবেন না। ছবির ক্ষেত্রেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভুলের কারণে অনেক ছবি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে। এখানে এমন নয়টি বিষয়ের উল্লেখ করা হলো, যা ফেসবুকে পোস্ট করতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ অনেক ব্যবহারকারীর।

1. বিজ্ঞাপনে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে উল্লেখ করে কিছু লিখতে পারবেন না। মনে করুন, আপনি শার্ট বিক্রি করেন। বিজ্ঞাপনে এই ‘শার্টটি ভালো’ বলার সুযোগ থাকলেও ‘শার্টটি ভালো— গ্রেগ’ লেখার সুযোগ নেই।
2. বাবা-মা শখ করে আপনার নাম মার্ক জাকারবার্গ রাখলেও আপনি সে নামে সহজে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না। ফেসবুকে যোগাযোগ করে প্রথমে আপনাকে বোঝাতে হবে যে আপনার নাম আসলেই মার্ক জাকারবার্গ এবং এ নামেই অ্যাকাউন্ট খুলতে চান। ফেসবুক যদি আপনার সে ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়, তবেই সে নাম ব্যবহারের সুযোগ পাবেন আপনি।
3. একই কথা অন্য তারকাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সেলেনা গোমেজ কারও নাম হলেও ফেসবুকে সে নাম ব্যবহারে অনেক ঝামেলা হয়।
4. একই ব্যবহারকারীর একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলা আগেও নিষিদ্ধ ছিল। তবে খুব একটা কড়াকড়ি ছিল না। এখন এ বিষয়ে ফেসবুক খুব কঠোর নিয়ম মেনে চলছে।
5. ফেসবুকের নিয়মনীতিগুলো অবশ্য ব্যবহারকারীর ভালোর জন্যই। তবু কিছু কিছু বিষয়ে যেন বিরক্তিকর ঠেকে অনেকের কাছে। মাতৃদুগ্ধ পান করানোর ছবি শেয়ার করা যাবে না। কারণ, তা ফেসবুকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একে নগ্নতা বলে গণ্য করে।
6. নারীবাদী হওয়ার সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন অনেকে। দিয়া নামের এক সমাজকর্মীর অ্যাকাউন্ট এ জন্য বেশ কয়েকবার ব্লক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
7. নিজের সন্তানের অদ্ভুত ছবি পোস্ট করা যাবে না। লরেন ফেরারি নামের এক ব্যবহারকারী ফেসবুকে তার পাঁচ বছরের শিশুর ছবি দিয়েছিলেন, যেখানে সে নার্সের ভূমিকায় অভিনয় করছে। এমন নিরীহ ছবি পোস্ট করাও এখন অনেক ঝামেলার।
8. গত বছরের নভেম্বরে প্যারিস হামলার পরে জেসন ম্যানফর্ড নামের এক ব্যবহারকারীর ফেসবুক প্রোফাইল ছবি বেশ কয়েকবার সরিয়ে ফেলা হয়। কারণ, তার সে ছবিতে নানা রঙে বেশ কয়েকটি বাক্য লেখা ছিল।
9. ফেসবুক ব্যবহারের নীতিমালায় উল্লেখ আছে, আপনি এমন কোনো বিষয়বস্তু পোস্ট করতে পারবেন না যাতে ভয়ভীতি, ঘৃণা কিংবা অপ্রীতিকর কিছু প্রকাশ পায়। এমন কোনো ছবি পোস্ট করতে পারবেন না, যা দৃশ্যমান সহিংসতা কিংবা নগ্নতা প্রকাশ করে। ফেসবুকের এই নিয়ম এমনিতে ঠিকঠাক মনে হলেও অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, তাঁরা অনেক ব্যক্তিগত কথাও লিখতে পারছেন না। স্বাধীন মত প্রকাশেও বাধা তৈরি করছে বলে অভিযোগ অনেকের। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট

85
Cricket / এই বল সেই বল !!
« on: March 12, 2016, 02:50:06 PM »
পৃথিবীতে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি মার খাওয়া বস্তুটির নাম বোধ হয় বল! বিশেষ করে ক্রিকেটের বল। চলছে মারকাটারি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মৌসুম, বল তো মার খাবেই। উল্টো দিকে এই বলই আবার বোলারের ‘বল’ বা একমাত্র অস্ত্র। এই অস্ত্রেই ঘায়েল হয়েছেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান থেকে শুরু করে শচীন, রিকি পন্টিং কিংবা হালের তামিম ইকবালরা। নানান বলের কথা বলে যাই আমরা, পড়ুন এবার।

http://www.prothom-alo.com/pachmisheli/article/796099/%E0%A6%8F%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B2

86
উইন্ডোজ বোতাম চাপলে স্টার্ট মেন্যু চালু হয়, এটা সবারই জানা। তবে কম্পিউটারে বারবার করতে হয় এমন অনেক কাজ সহজেই এই বোতামের সাহায্যে করা যায়। এমনই কিছু শর্টকাট কি আজ এখানে দেওয়া হলো। কিছু কিছু কাজ উইন্ডোজ এক্সপির আগের সংস্করণগুলোতে হবে না।
উইন্ডোজ কি + D ডেস্কটপ দেখাবে।
উইন্ডোজ + E ফাইল এক্সপ্লোরার চালু হবে।
উইন্ডোজ + M সব উইন্ডো মিনিমাইজ করবে।
উইন্ডোজ + Tab এক প্রোগ্রাম থেকে আরেক প্রোগ্রামে যাওয়া যাবে।
উইন্ডোজ + F ডেস্কটপে খুঁজে দেখার অপশন দেখাবে।
উইন্ডোজ + Ctrl + F কম্পিউটারে খুঁজে দেখার অপশন দেখাবে।
উইন্ডোজ + R রান ডায়ালগ বক্স চালু হবে।
উইন্ডোজ + Pause/Break সিস্টেম প্রোপার্টিজ উইন্ডো দেখাবে।
উইন্ডোজ + U অ্যাকসেস সেন্টার দেখাবে।
উইন্ডোজ + L কম্পিউটার লক হবে।

87
আঙুলের আকার, আঙুলের ছাপ, নখ বা হাতের অবস্থা দেখে জানা যেতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের ভালো-মন্দ কিছু খবর। কোনটা কোন অসুখের লক্ষণ হতে পারে, সে সম্পর্কে কিছু তথ্য বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে।
১.হাতের মুঠি বা ‘পাঞ্জার’ জোর বেশি হলে বুঝতে হবে আপনার পেশিশক্তি ও সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো। ১৭টি দেশের ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের ওপর পরিচালিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল অনুযায়ী, যাঁদের মুঠির জোর দুর্বল, তাঁদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার বাড়তি আশঙ্কা রয়েছে। তাঁদের হৃদ্রোগে মৃত্যু এড়ানোর সম্ভাবনাও কম।
২.হাতের তালু অতিরিক্ত ভেজা ভেজা থাকলে বুঝতে হবে থাইরয়েড সমস্যা, ঋতুবিরতি (মেনোপজ) বা হাইপারহাইড্রোসিসের লক্ষণ। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩. ভারতে স্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত ১০০ রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, তাদের ৩৬ শতাংশের আঙুলের নিচের অর্ধেক সাদা ও ওপরের অর্ধেক বাদামি রঙের। কিছু হরমোন বেড়ে যাওয়ায় ও স্থায়ী রক্তশূন্যতার কারণে এ রকম হতে পারে। এগুলো স্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণ। আবার সুপ্ত মেলানোমার লক্ষণও হতে পারে, যা চামড়ার ক্যানসার। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা ১৩৯ জনের আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করে দেখেছেন, যাঁদের এক বা একাধিক আঙুলের রেখাগুলো চক্রাকারে সাজানো, তাঁদের উচ্চ রক্তচাপে ভোগার আশঙ্কা বেশি। আঙুলের রেখাগুলো চক্রাকার হওয়ার একটি কারণ হতে পারে ভ্রূণাবস্থায় সৃষ্ট সমস্যা, যা পরবর্তীকালে রক্তচাপের ওপর প্রভাব ফেলে।
৫. সাধারণত পুরুষের অনামিকা তাঁর তর্জনীর চেয়ে লম্বা হয়। এই বৈশিষ্ট্য যেসব নারীর আঙুলের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাঁদের হাঁটুতে অস্টিও আরথ্রাইটিসের আশঙ্কা থাকে। আরথ্রাইটিস অ্যান্ড রিউম্যাটিজমের এক গবেষণায় এটা জানা গেছে। ইস্ট্রোজেনের স্বল্প মাত্রার কারণে এটা হতে পারে। নারী-পুরুষনির্বিশেষে যাঁদের এই বৈশিষ্ট্য থাকে, তাঁদের ক্রীড়া সামর্থ্য ও গলার জোর বেশি হয়।


সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট, এশিয়া, ফেব্রুয়ারি ২০১৬

88
Telecom Forum / Are You a Skilled Smart Phone User?
« on: February 22, 2016, 12:33:16 PM »
To be a skilled smart phone user, there are few strategies you may follow:

1. ফোন যেটাই হোক ভেতরে ভেতরে চলতে থাকে এমন অ্যাপগুলোর দিকে নজর রাখুন।
2. ফোনের জায়গা ও টাকা বাঁচাতে স্পটিফাই, প্যান্ডোরা, গুগল প্লে, আইটিউনস রেডিও ইত্যাদি দিয়ে গান শুনুন।
3. ফোনের সঙ্গে থাকা ই-মেইলের অ্যাপ বাদ দিয়ে মেইলবক্স, ডলফিন, আউটলুক কিংবা জিমেইল অ্যাপ ব্যবহার করুন।
4. ফোনের সব ফটো রাখতে পারে ড্রপবক্স, ফ্লিক্র, ওয়ানড্রাইভ বা আইক্লাউডে। এতে ফোনের মেমোরি বাঁচবে।
5. ব্যাটারি সেভার অ্যাপ নামিয়ে নিন। জানতে পারবেন কোন অ্যাপ চালাবেন, কোনটা চালাবেন না।
6. আপনার ফোনকে তারহীন হটস্পট বানিয়ে ফেলুন। আইফোনে খুব সহজে করা যায়। অন্য ফোনে দরকারে মোবাইল ফোন সেবাদাতার সহযোগিতা নিন।
7. যে অ্যাপগুলো খুব কম ব্যবহার করা হয়, একটি ফোল্ডার করে সেগুলো রাখুন। যেসব অ্যাপ খুব বেশি ব্যবহার করেন, সেগুলো পর্দার এক পাতায় রাখুন। সময় বাঁচবে।
8. একই সময় একসঙ্গে ২, ৩ বা ৪ আঙুল ফোনের পর্দায় রাখুন। দেখুন কী হয়? সময় বাঁচানোর শার্টকাট পাবেন।
9. যখন দরকার নেই তখন চার্জার থেকে ফোন খুলে রাখুন। অন্য যন্ত্রেও এটা মেনে চলুন।
10. ব্যাটারি বেশি সময় চালাতে পর্দার উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখুন।
11. ফোনে ভালো ছবি তুলতে চান? ডিজিটাল জুম ব্যবহার করবেন না। মেঘলা দিনে ছবি তুলুন, সরল পটভূমি খুঁজুন।

সূত্র: ডেইলি জিনিয়াস ডটকম

89
সাম্প্রতিক সময়ে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের তথ্য চুরি করে ব্যাংকের এটিএম থেকে টাকা চুরির ঘটনায় সারা দেশেই তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কার্ডের তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়টি তাই দিনে দিনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। কার্ডের তথ্য যাতে চুরি না হয়, সে জন্য বেশ কিছু সতর্কতার পরামর্শ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:
১. ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড এমন স্থানে রাখুন, যেন সহজে কারও তা চোখে না পড়ে। নারীরা যদি পার্স বা ভ্যানিটি ব্যাগে ক্রেডিট কার্ড রাখেন, তাহলে চেইন বন্ধ রাখুন।
২. জনবহুল এলাকায় কেনাকাটার ক্ষেত্রে ছোট ব্যাগে ক্রেডিট কার্ড রাখুন। যার যত ক্রেডিট কার্ডই থাকুক, সর্বোচ্চ দুটির বেশি কার্ড নিয়ে ঘর থেকে বের হবেন না। যে কার্ডটি ব্যবহার করা প্রয়োজন, সেটি নিয়ে বের হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
৩. মুঠোফোন বা ক্যামেরায় কেউ যাতে আপনার কার্ডের ছবি তুলতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে এর জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় যাতে কার্ড কোথাও দেখাতে না হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে।
৪. মূল্য পরিশোধের পর কার্ড ফেরত নেওয়া হয়েছে কি না, সেটি নিশ্চিত হতে হবে। কার্ডে বিল পরিশোধের পর যে রসিদটি পাবেন, সেটি সরাসরি ফেলে না দিয়ে কুচি কুচি করে কেটে ফেলুন অথবা পুড়িয়ে ফেলুন। অকেজো হয়ে যাওয়া বা নষ্ট কার্ড কখনো সরাসরি আবর্জনার পাত্রে ফেলে দেবেন না।
৫. কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধে বিলের রসিদ ঠিকমতো পড়ে স্বাক্ষর করুন। ক্রেডিট কার্ডের বিলের কোনো ঘরই ফাঁকা রাখবেন না এবং কোনো অবস্থাতেই ফাঁকা রসিদে স্বাক্ষর করবেন না।
৬. ক্রেডিট কার্ডের নম্বর বা এ-সম্পর্কিত স্পর্শকাতর তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। ব্যাংকের অনুমোদিত বা নির্ধারিত ব্যক্তি ছাড়া কার্ডের তথ্য অন্য কেউ চাইলে জিজ্ঞেস করে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হোন। সাধারণত ক্রেডিট কার্ডের তথ্য আদান-প্রদানে ব্যাংকের নির্দিষ্ট ফোন নম্বর থাকে। এর বাইরে কোনো নম্বর থেকে ফোন করে কার্ডের তথ্য চাইলে তা নির্ধারিত ব্যাংকে নিশ্চিত হোন।
৭. অনলাইনে কেউ আপনার কার্ডের তথ্য চাইলে তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন। ই-মেইলে কার্ড-সংক্রান্ত তথ্যের অনুরোধ জানিয়ে কোনো মেইল পেলে তা এড়িয়ে চলুন। অনলাইনে কেনাকাটা করে মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে। স্বীকৃত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে মূল্য পরিশোধে কার্ডের নম্বর দেবেন না। অনলাইন কেনাকাটার ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ইন্টারনেট ব্রাউজারের সহায়তা নিতে পারেন।
৮. কার্ড হারিয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন। দ্রুত সময়ে কার্ডটি লক হলে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকাংশে কমানো সম্ভব হয়। ক্রেডিট কার্ড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সেবাকেন্দ্র সব সময় সংরক্ষণ করুন অথবা মনে রাখুন, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়।
৯. প্রতি মাসে কার্ডের মাধ্যমে কত অর্থ খরচ হলো, সেটির হিসাব রাখুন। কোনো লেনদেন, যেটি আপনি করেননি এমন সংশয় থাকলে খোঁজ নিন। আপনার যেকোনো সংশয় বা প্রশ্নের উত্তর দিতে ক্রেডিট কার্ড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আইনত বাধ্য।
১০. যে এটিএম ব্যবহার করে আপনি নিয়মিত টাকা তোলেন, চেষ্টা করুন সেসব স্থান থেকেই অর্থ তুলতে। ব্যাংকের ভেতরে বা কাছাকাছি জায়গায় স্থাপিত এটিএমের চাইতে অপরিচিত স্থানের এটিএম থেকে টাকা না তোলাই উত্তম।
১১. মূল্য পরিশোধের জন্য অন্য কোনো ব্যক্তির হাতে কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব খেয়াল করার চেষ্টা করুন। অন্যের হাতে কার্ড যত বেশি সময় থাকবে, সেখান থেকে তথ্য চুরি হয়ে অন্যের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা ততই বাড়বে।
১২. কার্ডের পিন এটিএমে প্রবেশ করানোর সময় আরেক হাত দিয়ে তা ঢেকে রাখুন, যাতে গোপন কোনো ক্যামেরা বা যন্ত্রে পিন নম্বরটি দেখা না যায়।

90
Telecom Forum / Cell phone registration begins 9 Feb 2016
« on: February 13, 2016, 06:28:56 PM »
The registration of mobile phone sets will begin in the country on 9 February, reported UNB news agency on Tuesday.
State minister for posts and telecommunications Tarana Halim will inaugurate the registration activities at a programme to be organised by Bangladesh Mobile Phone Importers’ Association at Westin Hotel in the capital on the day.
The government has taken the step to register the handsets in order to detect the mobile phone sets if lost or stolen and curb crimes, said sources at the Posts and Telecommunications Division.
Talking to UNB, Tarana Halim recently said work to create a database with International Mobile Equipment Identity (IMEI) numbers of cell phones is underway.
The mobile importers’ association has already built their own database in this regard and their database software will be launched on 9 February.
Though it is a private initiative, the Bangladesh Telecommunication Regulatory Communication (BTRC) will preserve the database of IMEI numbers, she said.
Once the database is completed, illegal handsets will be closed, the junior minister added.
Earlier, the re-registration of subscriber identity modules (SIMs) through biometric system began on 16 December last which will continue till April next.


Source: http://www.en.prothom-alo.com/science-technology/news/93961/Cell-phone-registration-begins-9-Feb

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7 8 ... 18