Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - smsirajul

Pages: 1 2 [3] 4
31
রান্নাঘরে ঢ্যাঁড়শ খুবই পরিচিত সব্জি। ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে ঠাসা ঢ্যাঁড়শে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। খুব কম ফ্যাট থাকায় ওজন কমানোর ডায়াটে এই সব্জি রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
১০০ গ্রাম ঢ্যাঁড়শে ফ্যাটের পরিমাণ মাত্র ০.১৯ গ্রাম। শুধু কম ফ্যাট বলেই নয়, ১০০ গ্রাম ঢ্যাঁড়শ থেকে মেলে অনেকটা ক্যালোরিও। তাই ‘লো ফ্যাট ডায়েট’-এ ঢ্যাঁড়শের বিশেষ ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না।
শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণই নয়, এই সব্জি খাওয়ার উপযোগীতা আরও অনেক। কেন খাবার পাতে এই সব্জি রাখতে হবে জানেন? দেখে নিন তার বিশেষ কয়েকটি কারণ।

32
খাওয়াদাওয়ার পর শেষ পাতে মিষ্টি—প্রাচীন অভ্যাস। বিয়েবাড়ি হোক বা রেস্তরাঁ সব শেষে ডেজার্ট ছাড়া খাওয়া যেন শেষই হয় না।
অনেকের তো আবার শেষ পাতে মিষ্টি খাওয়ার নেশা আছে। তাই বাড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে অন্যতম এই মিষ্টি। আজকাল নবীন প্রজন্ম যদিও চেহারার কারণে মিষ্টি থেকে দূরে থাকতেই ভালবাসে। তবু খাওয়ার পর এক-আধটা মিষ্টিতে অনেকেই আস্থা রাখেন।
গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ভাস্করবিকাশ পাল জানালেন, খাওয়ার পর মিষ্টি খাওয়ার নিয়ম নতুন নয়। আসলে তেল-মশলার খাবার শরীরে রক্তচাপ বাড়ায়। মিষ্টি সেই চাপকে কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ভাজাভুজি বা মশলাদার খাবার অ্যাসিড ক্ষরণের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এ দিকে মিষ্টি সে সব অ্যাসিড ক্ষরণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে হজমজনিত সুবিধা হয়। তাই খাওয়ার পর শেষ পাতে একটা মিষ্টি ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু খেয়াল রাখুন এই মিষ্টির পরিমাণ যেন কখনও মাত্রা না ছাড়ায়, তা হলেই কিন্তু ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকবে।

33
Fruit / ৯টি ‘বিষাক্ত’ খাবার
« on: October 12, 2018, 04:55:01 PM »
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে বেশির ভাগ মানুষ মনে করে যে সব ধরণের ফল ও সবজিই বুঝি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু সত্যি কথা হল, এমন অনেক ফল ও সবজি আছে যাদের বিশেষ কোনও অংশ বিষাক্ত উপাদানে ভরপুর, যা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আসুন এবার সেই সব খাবারগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যেগুলির মধ্যে থাকা বিষাক্ত উপাদানের কথা আমরা হয়তো জানি না।
১) আপেল: কথায় বলে, যদি প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া যায়, তাহলে চিকিত্সকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু আপেলের বীজে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নামের বিষ রয়েছে। আমরা সাধারণত আপেলের বীজ খাই না। কিন্তু আপেলের বীজ যদি কোনও কারণে পেটে চলে যায় তাহলে বিপদ হতে পারে। তাই আপেলের জুস তৈরির সময় আপেলের বীজ যেন না যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

২) চেরি: চেরি জনপ্রিয় একটি ফল। চেরি কাঁচা বা রান্না করেও খাওয়া হয়। মদ তৈরিতেও চেরির ব্যবহার করা হয়। চেরির পাতা এবং বীজে বিষাক্ত উপাদান আছে। চেরির বীজকে চূর্ণ করার সময় প্রুসিক এসিড (হাইড্রোজেন সায়ানাইড) উৎপন্ন হয়। তাই কখনওই চেরির বীজ চুষে খাবেন না।

৩) কাজুবাদাম: মিষ্টি কাজুবাদাম ও তেতো কাজুবাদাম, এই দুই ধরণের কাজুবাদাম পাওয়া যায়। তুলনামূলক ভাবে তেতো কাজুবাদামে প্রচুর হাইড্রোজেন সায়ানাইড থাকে। সাত থেকে দশটা তেতো কাজু বাদাম কাঁচা খেলে প্রাপ্তবয়ষ্কদেরও সমস্যা হতে পারে এবং ছোটদের ক্ষেত্রে তা প্রাণনাশক হতে পারে! নিউজিল্যান্ড, আমেরিকার মতো দেশ এই তেতো কাঁচা কাজু বাদাম বিক্রি করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছ।

৪) জায়ফল: জায়ফল-এ মাইরিস্টিসিন আছে। সাধারণত রান্নায় যে পরিমাণ জায়ফল ব্যবহার করা হয় তা ক্ষতিকর নয়। কিন্তু জায়ফল বেশি পরিমাণে খেলে বমি বমি ভাব, খুব ঘাম হওয়া, মাথাঘোরা, মাথাব্যথা বা হ্যালুসিনেশন-এর মতো সমস্যা হতে পারে।

৫) আলু: এমনিতে আলু খাওয়া নিরাপদ। কিন্তু আলুর পাতা ও কাণ্ডে গ্লাইকোএ্যল্কালয়েড থাকে। বাড়িতে অনেক দিন পর্যন্ত আলু রেখে দিলে এর মধ্যে গ্যাঁজ অঙ্কুর হয়ে যায়। এই গ্যাঁজ বা অঙ্কুরে গ্লাইকোএ্যল্কালয়েড থাকে যা আলোর সংস্পর্শে বৃদ্ধি পায়। এই জন্য আলু সব সময় ঠাণ্ডা ও অন্ধকার জায়গায় রাখতে হয়। সবুজাভ ও গ্যাঁজ হওয়া আলু খেলে ডায়রিয়া, মাথাব্যাথা-সহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৬) কাঁচা মধু: কাঁচা মধুতে গ্রায়ানক্সিন থাকে। তাই এক টেবিল চামচ কাঁচা মধু খেলে মাথাঘোরা, দুর্বল লাগা, অত্যধিক ঘাম হওয়া, বমি বমি ভাব হওয়ার মতো নানা উপসর্গ দেখা দেয়।

৭) টমেটো: আলুর মতোই টমেটোর পাতা ও কাণ্ডে গ্লাইকোএ্যল্কালয়েড থাকে যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। কাঁচা সবুজ টমেটোতেও এই একই উপাদান রয়েছে। তবে অল্প পরিমাণে খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার ভয় নেই।

৮) শিম এর বীজ: শিম এর বীজে ফাইটোহিমাটোগ্লুটানিন নামক বিষ থাকে যা আপনাকে মারাত্মক অসুস্থ্য করে দিতে পারে। তাই শিম রান্নার আগে অন্তত ১০ মিনিট সিদ্ধ করে তারপর রান্না করতে হবে।

৯) ক্যাস্টর অয়েল: রেড়ীর তেল বিভিন্ন ধরণের ক্যান্ডি, চকলেট বা অন্যান্য খাদ্যে ব্যবহার করা হয়। অনেকেই প্রতিদিন একটু-আধটু ক্যাস্টর অয়েল খেয়ে থাকেন। রেড়ীর বীজে রিচিন নামের বিষাক্ত উপাদান থাকে যা খুবই মারাত্মক। রেড়ীর একটা বীজ খেলে একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। চারটা রেড়ীর বীজ খেলে একটা ঘোড়ার মৃত্যু হতে পারে।

34
বেশির ভাগ মানুষই সবচেয়ে বেশি সচেতন নিজের মুখ নিয়ে। মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারলেই বয়স যেন থমকে যাবে আপনার কাছে! মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিয়মিত মুখের ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আর এর জন্য প্রয়োজন ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী উপযুক্ত ফেসিয়াল। তবে ত্বকের প্রকৃতি না বুঝে ফেসিয়াল করলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। আসুন ফেসিয়ালের ভাল আর মন্দ দিকগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
দাগ ও পিম্পল চলে যায়: ফেসিয়ালে ত্বকের অযাচিত দাগ চলে যায়। আবার ব্রোন বা পিম্পলের সমস্যা থাকলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ত্বকে ময়লা থাকলে ব্রোন বা পিম্পল দেখা দেয়। আর ফেসিয়াল ত্বকে সব ময়লা ধুয়ে সাফ করে দেয়। ফেসিয়ালের সময় যদি স্টিম করা হয়, সেক্ষেত্রে মুখের ত্বকের লোমকূপের গোড়া উন্মোচিত হয় এবং সেখানে জমে থাকা ময়লা অনায়াসেই পরিষ্কার হয়ে যায়।
ত্বকের জৌলুস ফেরে: ফেসিয়ালের মূল কাজ হল ত্বকের লোমকূপে জমে থাকা তেল, ময়লা পরিষ্কার করে ত্বকের আদ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখা। এতে ত্বকের হারানো সতেজতা ফিরে আসে। অনেক ফেসিয়ালে ‘এক্সফোলিয়েশন’ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। এতে নতুন কোষ জন্মায় এবং ত্বকের বলিরেখা দূরীভূত হয়। শুধু তাই নয়, পুষ্টি উপাদানে ভরপুর ময়েশ্চারাইজার ত্বকে প্রবেশ করে। ফলে ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
ফেসিয়ালের ভাল-মন্দ: নানা ধরনের ফেসিয়াল আছে। এর মধ্যে কিছু প্রকৃত অর্থেই বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তেমনই একটি ঝুঁকিপূর্ণ ফেসিয়ালের নাম ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল। এই ফেসিয়ালে অতিক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সুঁচ ব্যবহৃত হয়। এগুলি দিয়ে মুখ বা দেহের ত্বক থেকে দূষিত রক্ত বের করে দেওয়া হয়। এ কাজে যদি সুঁচগুলোকে শতভাগ জীবাণুমুক্ত করে না নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীপ হয়ে যেতে পারে। এইচআইভি কিংবা হেপাটাইটিসের মতো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। শুধু ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালই নয়, যে কোনও সাধারণ ফেসিয়ালের ক্ষেত্রেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কারণ, মুখের ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়ার জন্য প্রয়োজন ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী উপযুক্ত ফেসিয়াল। কিন্তু ত্বকের প্রকৃতি না বুঝে ফেসিয়াল করলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। এছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত ফেসিয়ালের ফলে ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ফলে অল্পতেই ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
সুতরাং, আপনার জীবনযাত্রা আর ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী মাসে দু’ থেকে তিন বারের বেশি ফেসিয়াল না করাই ভাল। ফেসিয়াল করার পর সূর্যের আলোয় ঘণ্টা খানেক না বেরতে পারলেই ভাল। তাই মুখের ত্বকের স্বাস্থ ফেরাতে ফেসিয়াল করুন। তবে ফেসিয়াল করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলাও অত্যন্ত জরুরি।

35
পটলের নানা রকম আমরা খেয়েছি। আলু-পটলের তরকারির মতো রোজকার পদ যেমন বানানো যায়, তেমনই দই পটল বা পটলের দোলমার মতো বাহারি পদও বানিয়ে ফেলা যায় অনায়াসে। আজ শিখে নেওয়া যাক একেবারে ভিন্ন স্বাদের পটলের দোপেঁয়াজা তৈরির দুর্দান্ত রেসিপি।

এই রান্নায় উপকরণ লাগবে মাত্র ৩-৪টি, সময় লাগবে ২০-২৫ মিনিট। অল্প তেলেই রান্না করা যাবে এই পদ। গরম গরম ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে অথবা রুটি, লুচি বা পরোটার সঙ্গেও জমিয়ে খাওয়া যাবে মুখরোচক এই পদ।
পটলের দোপেঁয়াজা বানাতে লাগবে:—

পটল ৫০০ গ্রাম

পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ

কাঁচা লঙ্কা কুচি স্বাদ মতো

ধনেপাতা কুচি আন্দাজ মতো

নুন স্বাদ মতো

হলুদ আধা চা চামচ

লঙ্কার গুঁড়ো আধা চা চামচ (স্বাদ মতো)

তেল আন্দাজ মতো (সাদা তেল ব্যবহার করতে পারেন)

পটলের দোপেঁয়াজা বানানোর পদ্ধতি:—

প্রথমে পটলের খোসা ছাড়িয়ে দু’ টুকরো করে কেটে নিন।

এর পর প্যানে আন্দাজ মতো তেল দিন। তেল গরম হলে এতে কাঁচা লঙ্কা লম্বা লম্বা করে চিরে দিয়ে দিন। কাঁচা লঙ্কা থেকে সুন্দর ঘ্রাণ ছড়ালে পেঁয়াজ কুচি ও সামান্য নুন দিয়ে দিন।

পেঁয়াজ সামান্য হলদেটে হলে পটল দিয়ে দিন, সঙ্গে হলুদ আর লঙ্কা গুঁড়ো। এ বার মাঝারি আঁচে ভাজতে থাকুন। ঢাকনা দেবেন না, শুধু মাঝে মাঝে একটু নেড়ে দিয়ে ভাজলেই হবে। খেয়াল রাখতে হবে, পেঁয়াজ যেন পুড়ে না যায়।

মিনিট খানেক পর পটল সেদ্ধ হয়ে গেলে আর পেঁয়াজও ভাজা ভাজা হয়ে গেলে সামান্য ধনেপাতা ছড়িয়ে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। ব্যস, এ বার গরম গরম পরিবেশন করুন পটলের দোপেঁয়াজা।

36
দাঁতের যত্নে টুথপেস্ট কী কাজ করে, তা তো আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু ত্বকের পরিচর্যাতে টুথপেস্টের ব্যবহার সম্পর্কে কোনও ধারণা আছে?
শুধু দাঁত নয়, ত্বকের পরিচর্যাতেও সমান কার্যকর টুথপেস্ট! ত্বকের যত্নে টুথপেস্ট দিতে পারে এমন কিছু চমকপ্রদ উপকারিতা, যা নামীদামী প্রসাধনীও দিতে পারে না। জেনে নিন ত্বকের কিছু সমস্যার সমাধানে টুথপেস্টের ব্যবহার।

অনুজ্জ্বল ত্বকের সমস্যায়: চটজলদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে টুথপেস্টের জুড়ি মেলা ভার! বাইরে যাবার আগে যদি ত্বকের যত্ন নেবার জন্য যথেষ্ট সময় না থাকে তাহলে ব্যবহার করুন টুথপেস্ট। সাধারণ ফেসওয়াসের মতোই টুথপেস্ট ব্যবহার করুন এবং প্রচুর পরিমাণে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন আর পেয়ে যান উজ্জ্বল ত্বক।

মুখের বলিরেখার সমস্যায়: শুধু যে বয়স বাড়লেই ত্বকে বলিরেখা পড়ে, তা কিন্তু নয়! অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাব, অনিদ্রা ইত্যাদি কারণেও আকালে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে। টুথপেস্টকে জলে মিশিয়ে পাতলা করে নিন। এবার মুখ, গলায়, ঘাড়ে এটির প্রলেপ লাগান। না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। পেস্ট শুকিয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এ ভাবে টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। বলিরেখার সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।

হোয়াইট হেডস-এর সমস্যায়: ধুলো-ময়লা, দূষণ, মেকআপ ইত্যাদির কারণে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে। ফলে দেখা দেয় ব্ল্যাক হেডস। ব্ল্যাক হেডস-এর পূর্ববর্তী অবস্থা হল হোয়াইট হেডস। এতে লোপকূপের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। যে সব জায়গায় এই হোয়াইট হেডস রয়েছে যেমন, নাক, কপাল, চিবুক— সে সব জায়গায় পুরু করে টুথপেস্টের প্রলেপ লাগান। শুকিয়ে গেলে খুঁটে খুঁটে তুলে ফেলুন। এরপর ভাল করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ফলাফল মিলবে চমকে দেওয়ার মতো!

ব্রণ-এর সমস্যায়: ব্রণর সমস্যাতেও টুথপেস্ট দারুন কার্যকরী। বিশেষ করে ব্যথাযুক্ত ব্রণর ক্ষেত্রে। রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণর উপর টুথপেস্টের প্রলেপ লাগিয়ে ঘুমাতে যান। সকালে উঠে দেখবেন ব্রণর ফোলা ভাব অনেক কমে গিয়েছে আর ব্যথাও অনেক কম।

37
বাজারে এখন ইলিশ আর ইলিশ! তাই এখন অন্য মাছ নাই বা খেলেন! আজ শিখে নেওয়া যাক মালাই ইলিশ বানানোর কৌশল।
এই বর্ষার মরশুমে বাজারে এখন ইলিশের ছড়াছড়ি। ইলিশ মাছ দিয়ে কত রকমের মুখরোচক পদ বানানো যায়। ইলিশ ভাপা, ইলিশের ঝাল, ইলিশ মাছের কোর্মা, ইলিশ মাছের কালো জিরা ফোড়নের পাতলা ঝোল...আরও কত কী! আজ শিখে নেওয়া যাক দুর্দান্ত স্বাদের মালাই ইলিশ বানানোর সহজ কৌশল।
মালাই ইলিশ বানাতে লাগবে:
নুন-হলুদ মাখানো ইলিশ মাছ, সাদা সরষে, ১ কাপ পোস্ত বাটা, ১ কাপ নারকেলের দুধ, ১ কাপ টক দই, ২ চামচ কাঁচা লঙ্কা বাটা, আন্দাজ মতো নুন আর চিনি, সরষের তেল।
মালাই ইলিশ বানানোর পদ্ধতি:
কড়ায় তেল গরম করে ইলিশ মাছ হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন।
মাছ ভাজার সেই তেলেই সাদা সরষে, পোস্ত বাটা, নারকেলের দুধ, কাঁচা লঙ্কা বাটা ও টক দই মিশিয়ে কষতে থাকুন।
এর সঙ্গে নুন, হলুদ ও অল্প চিনি দিয়ে নিন। এর পর জল দিয়ে ফুটতে দিন।
জল ফুটে এলে এর মধ্যে ভেজে রাখা ইলিশ দিয়ে দিন। দু’-তিন মিনিট কড়ায় রেখে, নামিয়ে পরিবেশন করুন গরম ভাতের সঙ্গে।

38
গ্রীষ্মের দুঃসহ গরম, দরদর ঘাম, অস্বাভাবিক লু— সব কিছুর পরেও এ ঋতুর জন্য আমজনতার অপেক্ষার অন্যতম কারণ আম। ফজলি থেকে ল্যাংড়া, গোলাপখাস থেকে হিমসাগর— বাংলার এই বিপুল আমসাম্রাজ্য বহু শতক ধরে বয়ে আনছে এর আভিজাত্য। যেমন গন্ধ, তেমনই তার স্বাদ। কিন্তু জানেন কি, প্রত্যেক আমের নামকরণের নেপথ্যে ঠিক কী ইতিহাস লুকিয়ে আছে?
ফজলি: ১৮০০ সালে মালদহ জেলার কালেক্টর রাজভেনশ এই আমের নামকরণ করেন ‘ফজলি’। কথিত, ফজলি বিবি নামক এক প্রৌঢ়া বাস করতেন স্বাধীন সুলতানদের ধ্বংসপ্রাপ্ত গৌড়ের একটি প্রাচীন কুঠিতে। তাঁর বাড়ির উঠোনেই ছিল একটি আমগাছ। ফজলি এই গাছটির খুব যত্ন নিতেন। এলাকার ফকির বা সন্ন্যাসীরা সেই আমের ভাগ পেতেন।
কালেক্টর রাজভেনশ একবার ফজলি বিবির কুঠিরের কাছে শিবির স্থাপন করেন। তাঁর আগমনের খবর পেয়ে ফজলি বিবি সেই আম নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। রাজভেনশ সেই আম খেয়ে খুবই তৃপ্ত হন। জানতে চান, সেই নামের নাম। কিন্তু ইংরেজি না বুঝে শুধু ‘নেম’ শুনেই নিজের নাম বলে দেন ফজলি বিবি। সেই থেকেই এই আমের নাম হয় ‘ফজলি’।
ল্যাংড়া: মুঘল আমলে দ্বারভাঙায় এই প্রকারের আম চাষ শুরু হয়। কিন্তু তখন কেউ এর নাম নিয়ে মাথা ঘামায়নি। পরে আঠারো শতকে এক ফকির খুব সুস্বাদু এই আমের চাষ করেন। সেই ফকিরের পায়ে কিছু সমস্যা ছিল। সেই থেকেই নাকি ওই আমের নাম হয়ে যায় ‘ল্যাংড়া’।
লক্ষ্মণভোগ ও গোপালভোগ: ইংরেজবাজারের চণ্ডীপুরের বাসিন্দা লক্ষ্মণ একটি আম গাছ রোপণ করেন। স্বাদে-গন্ধে সেই আম ছিল তুলনারহিত। লক্ষ্মণ চাষির নাম থেকেই লক্ষ্মণভোগ আমের উৎপত্তি। ইংরেজবাজারে নরহাট্টার গোপাল চাষির নামে আবার নাম হয় গোপালভোগের।
গোলাপখাস: এ আম বিখ্যাত তার গন্ধের জন্য। মিষ্টি গোলাপের গন্ধ বহন করে বলে এই আমকে এই নামে ডাকার চল শুরু হয়ে যায়। প্রাচীন বাংলার আমগুলির মধ্যে গোলাপখাস অন্যতম। এই আমের গায়ে গোলাপের রঙের লালচে আভা থাকে।
গুটি ও আশ্বিনা: চেহারায় ছো়ট এক প্রকারের আম খেয়ে সেই আঁটি নিজের বাগানে পুঁতেছিলেন মালদহের এক দরিদ্র কৃষক। সেই আঁটি থেকেই জন্ম নিয়েছিল আরেক আমগাছ। কাঁচা অবস্থায় টক। কিন্তু পাকলে খুব মিষ্টি। আঁটি বা গুটি থেকে গাছটি জন্মায় বলে আমের নামও হয়ে যায় ‘গুটি’। এ দিকে আশ্বিন মাসে পাকে যে আম তাকে ‘আশ্বিনা’ বলে চেনে বাংলা।

39
খাই খাই তাঁদেরই বেশি হয়, যাঁরা খাওয়া নিয়ে খুব কড়াকড়ি করেন৷ ধরুন, দিনে এক হাজার ক্যালোরির কম খান বা ওজন কম রাখার তাগিদে ভাত–রুটি–আলু তথা সব কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবারকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছেন, আপনার কিন্তু বিপদ আছে৷ ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টোতে হওয়া গবেষণার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র তিনদিন এই রুটিন চালালে শরীরে লেপটিনের (খাওয়ার পর তৃপ্তি আনে যে হরমোন) পরিমাণ প্রায় ২২ শতাংশ কমে যায়৷ ফলে চতুর্থ দিনে কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার তীব্র আকাঙ্খা জাগে৷ এবং সে বাবদ মোটামুটি ৪৪ শতাংশ বেশি ক্যালোরি খাওয়া হয়ে যায়৷ তাহলে যাঁরা নিয়মিত এ রকম করেন, তাঁদের কী হাল হয় বুঝতেই পারছেন৷ হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও ওজন বাড়ে৷ ডায়াবেটিস থাকলে তার হাল খারাপ হয়৷ হাইপ্রেশারের রোগীর প্রেশার বাড়ে৷ কোলেস্টেরল–ট্রাইগ্লিসারাইড, ফ্যাটি লিভার, সবই বাড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে৷মোটা মানুষদের আবার অন্য বিপদ৷ এমনিতে তাঁদের শরীরে লেপটিনের কমতি নেই কিন্তু তার অধিকাংশই অকার্যকর৷ ফলে তাঁদের অনেকের মধ্যেই খাই–খাইভাব প্রবলভাবে বিদ্যমান৷

না, তার মানে এই নয় যে লেপটিনই একমাত্র ভিলেন৷ কর্টিজোল নামে স্ট্রেস হরমোনও আছে এই তালিকায়৷ টেনশন বাড়লে শরীরে এর ক্ষরণ বাড়ে৷ আর ব্রেন তখন রিল্যাক্সড হওয়ার রাস্তা খোঁজে মিষ্টি–চর্বিতে ঠাসা কমফর্ট ফুডের মধ্যে৷ মানুষ দুনিয়া ভুলে খেতে থাকেন৷

সমস্যা বাড়ে যদি ঘুমের সমস্যা থাকে, সে স্ট্রেসের কারণে হোক কি লেট নাইটের কারণে৷ ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো–তে হওয়া এক স্টাডি থেকে জানা যাচ্ছে, মাত্র কয়েক রাত ভাল করে না ঘুমোলেই লেপটিনের পরিমাণ প্রায় ১৮ শতাংশ কমে যায়৷ ৩০ শতাংশ বাড়ে ঘ্রেলিনের পরিমাণ৷ দুইয়ের প্রভাবে খিদে বাড়ে৷ স্টার্চি খাবার, মিষ্টির প্রতি আসক্তি বেড়ে যায় প্রায় ৪৫ শতাংশ৷

ভাবছেন, এ সব ঝামেলা নেই, তাই আপনি বিপন্মুক্ত? তা না-ও হতে পারে৷ হরমোন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক সতীনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের শরীরে লুকিয়ে আছে কিছু কঞ্জুস (থ্রিফ্টি) জিন৷ আদিকালে যখন অত কথায় কথায় খাবার পাওয়া যেত না, তখন এর কাজ ছিল, যত কম ক্যালোরিই খাওয়া হোক না কেন, তার থেকে ভবিষ্যতের জন্য কিছুটা জমিয়ে রাখা৷ সে স্বভাব এখনও আছে তার৷ তাই সে ক্রমাগত মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে হাই ক্যালোরি খাবার খেতে, যাতে ভাল করে ক্যালোরি সঞ্চয় করা যায়৷ ইচ্ছাশক্তি প্রবল না হলে বা আসক্তি কাটানোর ট্রিক যথাস্থানে প্রয়োগ করতে না পারলে মিষ্টি, চর্বিসমৃদ্ধ বা নোনতা খাবারের সামনে তাই প্রতিরোধ হারিয়ে যাওয়া কোনও বড় ব্যাপার নয়৷’’
আসক্তি কাটানোর ট্রিক

১) প্রবল খিদের মুখে হাই ক্যালোরি ভাজা বা প্রসেস্ড ফুডের আসক্তি বাড়ে৷ কাজেই খিদে মাত্রা ছাড়ানোর আগেই স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নিন কিছুটা৷ কখন কী খাবেন তার মোটামুটি একটা প্ল্যান যেন থাকে৷

২) খাবারে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকে৷ ওবেসিটি জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধ থেকে জানা যাচ্ছে, খাবারের মোট ক্যালোরির ২৫ শতাংশ প্রোটিন থেকে এলে ভুলভাল খাবার খাওয়ার প্রবণতা প্রায় ৬০ শতাংশ কমে যায়৷ গভীর রাতে বসে বসে ভাজাভুজি খাওয়ার প্রবণতাও হয়ে যায় প্রায় অর্ধেক৷

৩) চিউয়িং গাম মুখে রাখলে মিষ্টি এবং নোনতা খাবারের আসক্তি কিছুটা কমে বলে জানা গিয়েছে৷ তবে তা যেন সুগার–ফ্রি হয়৷ নাহলে আবার কিছু ক্যালোরির ধাক্কা৷

৪) শরীরে জলের ঘাটতি না হলে খাই খাইভাব একটু কমই হয়৷ কাজেই কী ধরনের কাজ করেন তার উপর নির্ভর করে দিনে কম করে আড়াই–তিন লিটার জল খান৷

৫) ঘুম কম হলে ভাজা বা মিষ্টির প্রতি আসক্তি বাড়তে পারে৷ সে বিপদ এড়াতে কাজে আসে ক্যাফেইন৷ কাজেই চিনি ছাড়া কালো চা বা কফি খান দু’–চার কাপ৷ তবে এ হল কুইক ফিক্স, কোনও স্থায়ী সমাধান নয়৷ স্থায়ী ফল পেতে ঘুমের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করুন৷

৬) রাগ, দুঃখ, স্ট্রেস বাড়লে গ্লুকোজসমৃদ্ধ কমফর্ট ফুড খেয়ে ফেলার চান্স প্রতি পদে৷ সে বিপদ এড়াতে গান, ব্যায়াম, আড্ডা বা পছন্দের কোনও বিষয়ে ডুবে যান৷ এক–একটা ক্রেভিংয়ের মুহূর্ত থাকে ৩–৫ মিনিট৷ সে সময়টুকু কাটিয়ে দিতে পারলে বিপদ কমে যায়৷

৭) যা খেতে ইচ্ছে করছে তা না খেলে যদি অসহ্য লাগে ও অন্য উল্টোপাল্টা খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা বাড়ে, ঠিক করুন, ১৫ মিনিট হাঁটা বা ব্যায়ামের পর পছন্দের জিনিসটি অল্প করে খাবেন৷ এতে দু–ভাবে কাজ হয়৷ হয় মিনিট ১৫–র মধ্যে ক্রেভিং চলে যায়৷ আর না গেলে হাইক্যালোরি খাবার খাওয়ার আগে কিছুটা অন্তত ক্যালোরি ঝড়ে৷ তবে যাঁরা পছন্দের জিনিস খেতে শুরু করলে আর থামতে পারেন না, তাঁদের এ পথে না হাঁটাই ভাল৷

৮) চারদিকে পছন্দের খাবার ছড়ানো থাকলে নিজেকে সামলানো খুব কঠিন ব্যাপার৷ কাজেই ঘরে হাইক্যালোরি খাবারের স্টক করবেন না৷ চলাফেরা করার চেষ্টা করবেন এমন এলাকায় যেখানে সেই সব খাবারের নামগন্ধও নেই৷ পার্টিতে যাওয়ার আগে কিছু প্রস্তুতি নিয়ে যাবেন৷

পার্টির প্রস্তুতি

ড্রিঙ্ক করুন ধীরে ধীরে৷ সঙ্গে রোস্টেড বাদাম, স্যালাড, চিজ–পাইন্যাপেল খান অল্প করে৷ বাদাম–চিজের প্রোটিন ও স্যালাড–ফলের গ্লুকোজ ক্রেভিং কম রাখতে সাহায্য করে৷ মাঝেমধ্যে দু’–এক সিপ করে জল খান৷ যে খাবারে সবচেয়ে বেশি আসক্তি, সেটা খান সবার শেষে, যখন আর খুব বেশি খাওয়ার মতো জায়গা থাকবে না পেটে৷

‘‘বুফের লাইনে ঠেলাঠেলি না করে অপেক্ষা করুন৷’’বললেন চিকিত্সক মুখোপাধ্যায়৷‘‘কম ক্যালোরির একটা পদ, স্যালাড বা স্যুপ অল্প করে নিয়ে ৫–৭ মিনিট ধরে খান৷ পরের পদের জন্য আবার লাইন দিন৷ এই করে মোটামুটি ৩০ মিনিট কাটিয়ে দিন৷ ব্রেনে তৃপ্ত হওয়ার সিগন্যাল পৌঁছতে ২০–৩০ মিনিট সময় লাগে৷ সেটুকু সময় দিলে ওভারইটিং এড়ানো সহজ হয়৷ বসে খাওয়ার সুযোগ থাকলে আরও ভাল৷ কারণ একটার পর একটা পদ আসতে যে সময় যায় তাতে ২০–৩০ মিনিট এমনিতেই লেগে যায়৷’’

কোনটার বদলে কোনটা

ক্রেভিংয়ের ক্ষতি এড়াতে কোনটার বদলে কোনটা খাবেন সেটা জানা খুব জরুরি৷ যেমন ধরুন, চিনির বদলে সুগার সাবস্টিটিউট খেয়ে ভাবলেন হাই ক্যালোরির ধাক্কা সামলেছেন, আসলে হল ঠিক এর উল্টো৷ চিনির গ্লুকোজ ব্রেনের স্যাটাইটি সেন্টারে উদ্দীপনা নিয়ে আসে বলেই মিষ্টি খেয়ে তৃপ্তি হয়৷ কিন্তু সুগার সাবস্টিটিউটে তো গ্লুকোজ নেই, ফলে তা খাওয়ার পরেও আপনি অতৃপ্ত থেকে গেলেন৷ মিষ্টি খাওয়ার আকাঙ্খা সারাদিন ধরে তাড়া করে বেড়ালো৷ সেই ক্রেভিংয়ের তাড়নায় উল্টোপাল্টা ক্যালোরি শরীরে ঢুকল অনেক৷‘‘সে জন্যই যাঁরা চিনি ছাড়া চা–কফি খেতে পারেন না, তাঁদের আমরা সুগার সাবস্টিটিউটের বদলে অল্প করে চিনি দিয়েই খেতে বলি৷ খুব মোটা মানুষ বা ডায়াবেটিকদেরও৷ এতে দিনভর মিষ্টির প্রতি ক্রেভিং কম থাকে৷’’বললেন সতীনাথবাবু।

অন্য খাবারের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার প্রযোজ্য৷ এমনভাবে চলতে হয় যাতে খাওয়ার আকাঙ্খাও মেটে, ক্ষতিও হয় না শরীরের৷ যেমন,পট্যাটো চিপ্সের বদলে খান স্বাস্থ্যকর কাজু, চিনেবাদাম বা আখরোট৷ তাতে মন না ভরলে অল্প করে পপকর্ন খেতে পারেন৷

চকোলেট আসক্তি মাত্রা ছাড়ালে ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ অ্যামন্ড খেয়ে দেখুন৷ কাজ না হলে মিল্ক চকোলেটের বদলে খান ৭০ শতাংশ কোকসমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট৷ অল্প খেলেই ক্রেভিং মিটবে৷

ক্যান্ডি বা পেস্ট্রির বদলে খান টাটকা মিষ্টি ফল৷ কিসমিস, প্রুন বা খেঁজুর খেলেও কাজ হবে৷

কোল্ডড্রিঙ্কের তেষ্টা মেটাতে জিরো ক্যালোরি ভারসান খেলে হবে না৷ সাধারণ কোল্ডড্রিঙ্কের সঙ্গে জিরো ক্যালোরি অর্ধেক অর্ধেক মিশিয়ে খান৷ ক্যালোরি কিছুটা কম ঢুকবে, ব্রেনও তৃপ্ত থাকবে৷ ফলের রস মেশানো স্পার্কলিং ওয়াটার খেতে পারলে তো কথাই নেই৷

40
ওজন কমানোর কথা মাথা এলেই আমরা আমরা প্রথমে ডায়েট আর এক্সারসাইজের কথাই ভাবি। কিন্তু, প্রতি দিন স্ট্রেস ও কাজের চাপে প্রায়শই রুটিন এক্সারসাইজে ভাটা পড়ে। আর রোজকার ডায়েট? সে তো কিছু দিনের মধ্যেই ভ্যানিশ।
রেজোলিউশন ভেঙে ফের আমরা ঝুঁকে পড়ি পিৎজা, পাস্তা, মিষ্টি, চিপস, প্রসেসড ফুডসের দিকে। ফল হয় যে কে সেই। তাই খাই খাই মনকে বশে এনে কী ভাবে কমাবেন ওজন? ডায়েটে স্বাস্থ্যকর খাবারও থাকবে, আবার বাঙালির রসনাও পরিতৃপ্ত হবে, সেই সঙ্গে কমবে ওজন—এই তিনের কম্বিনেশন যদি কাজ করে যায় তাহলে তো কেল্লাফতে! চলুন দেখেনি অতিরিক্ত পরিশ্রম ছাড়াই বাড়িতে বসে কী ভাবে ঝরাবেন মেদ? রইল কিছু ঘরোয়া টোটকা।
টোম্যাটোর জুস: টোম্যাটোয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তা যেমন ত্বকের জন্য ভাল, তেমনি পুষ্টিকর ডায়েট। টোম্যাটোতে ক্যালরির মাত্রা খুব কম থাকে, পাশাপাশি থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড লাইকোপিন যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন টোম্যাটোর জুস বানিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকেও রেহাই মেলে। এর ফাইবার অনেকক্ষণ অবধি পেট ভর্তি রাখে, ফলে বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমে। নিউট্রিশনিস্টদের মতে টোম্যাটোর কারনিটিন ৩০ শতাংশ অবধি ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে।
টোম্যাটো ভালভাবে পেস্ট করে নিন। দু’কাপ জলে লেবুর রস, নুন আর টোম্যাটোর পেস্ট মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ভাল করে মিক্স করে নিন। প্রতিদিন নিয়ম করে এই জুস খান আর তফাৎ দেখুন।
লাউয়ের জুস: লাউয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা শুধু হজম শক্তি বাড়ায় না, পেটের যাবতীয় রোগ নির্মূল করতেও সাহায্য করে। গরমের সময় নিয়মিত ডায়েটে লাউ রাখলে ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে রেহাই মেলে। ভিটামিন এ সি, কে-র পাশাপাশি লাউতে থাকে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম, ক্যাসলসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক ও ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোলেস্টেরল দূর করে।
লাউয়ের খোসা ছাড়িয়ে ভিতর থেকে বীজগুলো বার করে নিন। এ বার মিক্সারে ছোট ছোট টুকরো করা লাউয়ের সঙ্গে অল্প আমলা, আদা, মিন্ট পাতা, নুন ও জিড়ে গুঁড়ো মিশিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এ বার ওই মিশ্রণে লেবুর রস মিশিয়ে নিয়মিত খেলে মেদ ঝড়তে বাধ্য।
শশার জুস:  শশার রয়েছে বহুবিধ গুণ। এর উপকারিতা আলাদা করে বলার কিছু নেই। শশাতে ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় নেই বললেই চলে, তাই ওবেসিটি থেকে ডায়াবিটিস যে কোনও রোগেরই উপযুক্ত পথ্য হল শশা।শশা ভালভাবে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এ বার মিক্সারে ছোট ছোট টুকরো দিয়ে ভালভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এ বার ওই মিশ্রণ ভাল করে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে শশার জুস।

41
আয়নার সামনে দাঁড়ালেই চোখের নীচে অসংখ্য বলিরেখা, কানের কাছে পাক ধরা চুল, এসব দেখলে কার না মন খারাপ হয়। ‘বুড়ো হয়ে গেলাম’— ভেবে মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। ফলে, খাদ্য তালিকা থেকে একে একে বাদ দিতে হয় প্রায় প্রতিটি প্রিয় মুখোরোচক পদ। কিন্তু মন তো মানতে চায় না! আর তাই মন ভালো করতে চকোলেট খেতে পারেন। ঠাট্টা নয়, জানেন কি চকোলেট আপনার চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেবে না। আর শুধু চকোলেটই নয়, এমন বেশ কিছু খাবার বা পানীয় আছে যেগুলি প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতে পারলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়বে না দীর্ঘদিন। আসুন সেরে নেওয়া যাক সেই সব খাবারের সুলুক সন্ধান
ক) টক দই: পঁয়ত্রিশ পেরোলেই হাড় দুর্বল হতে থাকে। বাত বা অস্টিওপরেসিসের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা রোধে সব থেকে দরকারি উপাদান হল ক্যালসিয়াম। কারণ, বাত বা অস্টিওপরেসিসের মতো সমস্যায় শরীরে বুড়োটে ছাপ পড়ে যায়। হাড় সুস্থ রাখতে তাই প্রতি দিন ডায়েটে রাখুন এক বাটি টক দই। টক দইয়ের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম।
খ) বাদাম: শরীর ও ত্বকের স্বাস্থ্যের পক্ষে বাদাম খুবই উপকারী একটি উপাদান। বাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজ, ফাইটোকেমিক্যাল ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। তাই রোজ ঘুম থেকে উঠে তিন-চারটে আমন্ড বা কাজু বা বিকেলে এক মুঠো চিনে বাদাম খেতে পারলে তা আপনার বয়স বাড়ার গতি কমিয়ে দিতে পারে। এ ছাড়াও বাদাম বেটে ফেশিয়াল বা বাদাম তেল দিয়ে চুলে মাসাজ করলে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
গ) চকোলেট: প্রতিদিন ডায়েটে চকোলেট, কোকো বা ওই জাতীয় কিছু খেতে পারলে উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা এমনকি ডিমেনশিয়ার মতো অসুখ থেকে নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব হবে। শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে চকোলেট। আর ত্বকের বলিরেখা রুখতে চকোলেট ফেশিয়ালের কথা তো অনেকেই শুনেছেন।
ঘ) মাছ: মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। রোজ ডায়েটে মাছ থাকলে বয়সকালে চোখে ছানি পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। মাছের তেল হার্ট ভাল রাখে একই সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই মাছে-ভাতে বাঙালিরা কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবেনই।

42
গ্রিন টি শরীর-স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী এ কথা আমরা কম বেশি অনেকেই জানি। কিন্তু কী ভাবে এটি আমাদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে তা কি জানেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক গ্রিন টি’র থেকে কী কী উপকার পাওয়া যায়।

• গ্রিন টি’র পলিফেনল শরীরের ফ্যাট অক্সিডেশন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে খাবার থেকে ক্যালোরি তৈরির প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, এটি এক দিনে ৭০ ক্যালোরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিয়মিত গ্রিন টি খেতে পারলে বছরে ৭ পাওন্ড পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব।
• গ্রিন টি রক্তের গ্লুকোজ-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গ্রিণ টি প্রত্যক্ষ ভাবে সাহায্য করে। তাই এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী।
• হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে গ্রিন টি খুবই কার্যকরী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গ্রিন টি শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, গ্রিন টি রক্ত জমাট বাধতে দেয় না। পাশাপাশি, গ্রিন টি শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা অনেকটাই কমে যায়।
• দাঁত ভালো রাখতে হলে গ্রিন টি খেতে পারেন। কারণ, গ্রিন টি’র ‘ক্যাটেকাইন’ নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মুখের ভিতরের ব্যাকটেরিয়াকে বাড়তে দেয় না। যার ফলে গলার সংক্রমণ-সহ দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে তা মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
• অবসাদ বা ডিপ্রেশন দূর করতে গ্রিন টি খুবই কার্যকরী। চা পাতায় ‘থিয়ানিন’ নামের অ্যামাইনো এসিড থাকে। এই উপাদান অবসাদ কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে অবসাদ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এই প্রতিবেদনটি থেকে গ্রিন টি’র নানা উপকারী দিক সম্পর্কে আমরা ধারণা পেলাম। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে। যখন তখন গ্রিন টি খেলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। যেমন, খাবার খাওয়ার আগে বা পরে গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়। এতে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্রিন টি ভুলেও খাবেন না। এতে ঘুমের বারোটা বেজে যাবে। তাই গ্রিন টি থেকে উপকার পেতে হলে সঠিক সময় পরিমাণ মতোই খাওয়া উচিত।

43
এক কাপ দইয়ের সঙ্গে ২ চামচ আমলা, ২ চামচ রিঠা ও ২ চামচ শিকাকাই পাউডার মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করে। চুলের রুক্ষ ভাব দূর হয়ে অনেক তরতাজা দেখায়।
খুস্কি রোধ করতে বাজার চলতি নানা হেয়ার মাস্ক আমরা ব্যবহার করি। জানেন কী, এই সব মাস্কে রয়েছে রাসায়নিক উপাদান যা চুলের ক্ষতি করে। তার থেকে বাড়িতেই বানান দইয়ের মাস্ক। এক কাপ দই, পাঁচ চামচ মেথি গুঁড়ো, এক চামচ লেবুর রস দিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে ব্রাশ দিয়ে চুলে লাগান। ৪০ মিনিট রেখে হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
প্রতিদিন গোছা গোছা চুল উঠছে? রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে বানিয়ে ফেলুন এই মাস্ক। এক কাপ দই, ২০টির মতো জবা ফুল, ১০টি নিম পাতা ভাল করে ব্লেন্ড করে তার সঙ্গে কমলালেবুর রস মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে চুলে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে ফেলুন। কয়েক সপ্তাহ পরেই তফাতটা বুঝতে পারবেন।
সঠিক ভাবে চুলের যত্ন না নিলে অচিরেই গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে দেখা দেয় স্‌প্লিট এন্ড। সমস্যা রুখতে এক কাপ দই, ১টা ডিম, ২ চামচ ওলিভ তেল, ৩ চামচ অ্যালোভেরা জেল, ২ চামচ তুলসি পাতার রস, ২ চামচ কারি পাতার পেস্ট মিশিয়ে মাস্ক বানান। এক ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত একদিন ওই মাস্ক লাগালে উপকার পাবেন।
শ্যাম্পু করার পর সঠিক ভাবে কন্ডিশনিং না করলে স্ক্যাল্পে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। ফলে স্ক্যাল্পে ইচিং-এর মতো নানা সমস্যা হয়। এক কাপ দইয়ের সঙ্গে ২ চামচ মধু মিশিয়ে ২০ মিনিট চুলে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক চুলের পুষ্টি যোগায়, ন্যাচারাল কন্ডিশনারের কাজ করে।
এক কাপ দইয়ের সঙ্গে ২ চামচ আমলা, ২ চামচ রিঠা ও ২ চামচ শিকাকাই পাউডার মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করে। চুলের রুক্ষ ভাব দূর হয়ে অনেক তরতাজা দেখায়।

44
গোলাপ ফুলের পাপড়ি জলে ভিজিয়ে রেখে তৈরি করা হয় গোলাপ জল। ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী এই জল। আর সে জন্যই সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয় গোলাপ জল। তবে, শুধু আজকের দিনে নয়, প্রাচীনকাল থেকেই গোলাপ জলের ব্যবহার হয়ে আসছে। সব রকমের ত্বকের জন্যই উপকারী প্রাকৃতিক এই উপাদান। সব ধরনের ত্বকের সমস্যা সমাধানে, ত্বককে সিক্ত (হাইড্রেট), নরম এবং মসৃন রাখতে সাহায্য করে গোলাপ জল। এছাড়া সৌন্দর্য বাড়াতে আর কীভাবে সাহায্য করে গোলাপ জল? জেনে নিন-
১) অনুষ্ঠান বাড়ি হোক কিংবা সাধারণ দিন, রোজকার জীবনে অল্পবিস্তর হলেও মেকআপ প্রায় সকলেই ব্যবহার করে থাকেন। আপনার ত্বক তৈলাক্ত হোক কিংবা শুষ্ক অথবা সেনসিটিভ, সব রকমের ত্বকেই আপনি মেকআপ তোলার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এই গোলাপ জল। অন্যান্য মেকআপ তোলার প্রসাধনীতে অ্যালকোহল জাতীয় এমন কিছু পদার্থ থাকে, যা ত্বককে শুষ্ক করে দেয়। তাই মেকআপ তোলার জন্য আদর্শ হল গোলাপ জল। দু চামচ গোলাপ জলের সঙ্গে এক চামচ আমন্ডের তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। মেকআপ তোলার সঙ্গে সঙ্গে ত্বককে ময়শ্চারাইজও করবে এই মিশ্রণ।
২) ত্বকের ফোলাভাব কমাতে আদর্শ ঘরোয়া উপাদান গোলাপ জল। অনেকেরই চোখের নিচের অংশ ফোলা থাকার সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তুলোয় অল্প করে গোলাপ জল নিন। আর গোটা মুখে ভালো করে লাগিয়ে দিন। মিনিটের মধ্যে দেখবেন চোখ মুখের ফোলাভাব ভ্যানিশ।
৩) ত্বকের নোংরা, ময়লা দূর করতে অনেকেই টোনার ব্যবহার করেন। কিন্তু ত্বক পরিস্কারের জন্য গোলাপ জলের থেকে ভালো কিছু আর নেই। গোলাপ জল শুধু ত্বক পরিস্কারই করে না, ত্বকের pH লেভেল বজায় রাখতেও সাহায্য করে। তার জন্য তুলোয় গোলাপ জল নিয়ে দিনে দুবার লাগান। প্রত্যেকদিন গোলাপ জল ব্যবহার করলে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস নিমেষে ভ্যানিশ হয়ে যাবে।
৪) ৬ চামচ গোলাপ জলের সঙ্গে ২ চামচ নারকেল তেল এবং ২ চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে প্রত্যেকদিন ২ বার করে ব্যবহার করুন। ময়শ্চারাইজারের কাজ করবে।
৫) গরমকাল বা শীতকাল, ত্বকের সমস্যা চিরকালীন। ত্বকের অ্যালার্জি বা যেকোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গোলাপ জলের সঙ্গে পরিমাণ মতো তুলসী পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

45
বাইরে চাঁদিফাটা রোদ, নাজেহাল করে দেওয়া গরম, ঘরের মধ্যেও গরমে টেকা যাচ্ছে না। বারবার স্নান করেও কিছুতেই গরম কমছে না। রোদে বেরোলেই শরীরের খোলা অংশ পুড়ে কালো হয়ে যাচ্ছে। আর না বেরোলেও ডিহাইড্রেশন এবং আরও অন্যান্য উপসর্গ তো লেগে আছেই।

রোজ খাবারের সঙ্গে শশা স্যালাড নিশ্চয়ই খাচ্ছেন? কিন্তু জানেন কি, রোজকার খাবারের তালিকায় থাকা শশাই হয়ে উঠতে পারে রোদ গরমের অসুখের হাত থেকে মুক্তি দেওয়া একমাত্র ম্যাজিক খাবার।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শশায় রয়েছে ৯৫ শতাংশ জল। যা আমাদের শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। শশায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্যও দারুণ উপকারী শশা। প্রত্যেকদিন ত্বকে শশার রস লাগালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর হয়ে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আসে।

আপনার ত্বক যদি রোদে পুড়ে কালো হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে শশার রসের সঙ্গে দই এবং লেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ রোজ ব্যবহার করলে সানবার্ন মুহূর্তে ভ্যানিশ হয়ে যাবে।
শশার বীজও মোটেই ফেলে দেওয়ার নয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং পটাশিয়াম। যা রিঙ্কল মুক্ত করতে সাহায্য করে, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

Pages: 1 2 [3] 4