Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - smsirajul

Pages: 1 2 3 [4]
46
বিশ্বজুড়ে সহজলভ্য একটি ফল হল কলা। সারাবছরই পাওয়া যায় এই ফলটি। জানেন কি, চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্যেও কলা খুবই উপকারি। শুধুমাত্র কলা বা কলার সঙ্গে অন্য কোনও উপাদানের মিশ্রণ চুলের খুশকি দূর করে। পাশাপাশি চুলের রুক্ষতা ও চুল ঝরা নিয়ন্ত্রণেও কলা অত্যন্ত কার্যকরী। কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, প্রাকৃতিক তেল ও ভিটামিন, যা চুলকে মসৃণ ও ঝলমলে করে তোলে। এ বার জেনে নেওয়া যাক চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য কলার নানান ব্যবহার।

(১) কলা, পাতিলেবু ও টকদই:

চুলের খুশকি দূর করতে অর্ধেক পাকা কলার সঙ্গে তিন চামচ টক দই ও এক চামচ পাতিলেবুর রস মেশিয়ে চটকে নিন। মিশ্রণটি শুধুমাত্র চুলের গোড়া ও মাথার তালুর ত্বকে ভাল করে লাগান। খেয়াল রাখতে হবে, এই মিশ্রণটি যাতে কোনও ভাবেই মাথার বাকি চুলে না লাগে। ২০-২৫ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। পাতিলেবু আর টকদই চুলকে খুসকিমুক্ত করতে সাহায্য করে। এই মসৃণ করতে কলার ব্যবহার আসলে কন্ডিশনারের কাজ করে।

(২) কলা, ডিম ও লেবুর রস:

চুলের বৃদ্ধি এবং নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে এই মিশ্রণ খুবই কার্যকরী। সপ্তাহে অন্তত দুদিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করা যেতে পারে। দুটি চটকে নেয়া কলা, একটি ডিমের শুধু কুসুমের অংশটুকু ও এক চামচ লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে এই মিশ্রণটি তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণটি ভাল করে মাথার ত্বকে ও চুলে মাখিয়ে একটি প্লাস্টিক বা ফয়েল জাতীয় কিছু দিয়ে মাথা মুড়ে ফেলুন। এর ওপরে একটি তোয়ালে বা কাপড় জড়িয়ে নিন। এ ভাবে এক ঘণ্টা রাখার পর ভালো করে জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

(৩) কলা ও নারকেলের দুধ:

পাকা কলার সঙ্গে নারকেল দুধ ভাল করে মেখে এই মিশ্রণটি তৈরি করুন। সময় নিয়ে ভাল করে চুলে এই মিশ্রণটি মাখিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন। এই মিশ্রণটির ব্যবহারে রুক্ষ চুলে ময়েশ্চারাইজার ফিরে আসে এবং চুলকে মোলায়েম, ফরফুরে করে তোলে। এই মিশ্রণের সঙ্গে কফির গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে চুলের মধ্যে একটা প্রাকৃতিক বাদামি (ব্রাউন) রং আসবে।

(৪) কলা ও মধুর মিশ্রণ:

চুল যাঁদের রুক্ষ হয়ে গিয়েছে, তাঁরা কলা এবং মধুর মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এর ব্যবহারে চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে আর সেই সঙ্গে চুল হয়ে উঠবে মোলায়ম। দুটি পাকা কলা এবং দুই চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ভাল করে চটকে নিন। এ বার এই মিশ্রণটি চুলে ভাল ভাবে লাগিয়ে নিন। শাওয়ার ক্যাপ বা ওই জাতীয় কিছু দিয়ে মাথা ঘণ্টাখানেক ঢেকে রাখার পর ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে মোটামুটি দু’বার এই মিশ্রণ ব্যবহার করলেই চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে আর উজ্জ্বল।

(৫) কলা আর অলিভ অয়েল:

চুলে অতিরিক্ত রং বা কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে যাঁদের চুল ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছে বা চুল ঝরার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে তাঁদের জন্য এই মিশ্রণটি অত্যন্ত কার্যকরী। এই মিশ্রণ ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত হয়। একই সঙ্গে চুল হয়ে উঠবে মোলায়েম, ফরফুরে। একটি পাকা কলা এবং দুই চামচ অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে ভাল করে চটকে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলে ভাল ভাবে মাখিয়ে শাওয়ার ক্যাপ বা ওই জাতীয় কিছু দিয়ে মাথা মিনিট কুড়ি ঢেকে রাখুন। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ভাল করে ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। তবে এ ক্ষেত্রে অলিভ অয়েলের বদলে নারকেল তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে।

তাহলে, শরীরের সঙ্গে সঙ্গে চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য কলার নানা ব্যবহার আমরা জানলাম। এ বার চুলের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি তার সৌন্দর্য বাড়িয়ে নিন একেবারে ঘরোয়া উপায়ে, সামান্য খরচে।

47
ডায়াবেটিস ধরা পড়লেই জীবনে জুড়ে যায় ‘না’। সব প্রিয় খাবারেই যেন পড়ে যায় দাঁড়ি। মিষ্টি, আইসক্রিম ভুলে তখন ভরসা রাখতে হয় ফলেই। জেনে নিন এমন ১০টা ফল যা ডায়াবেটিস রাখবে দূরে।

বেদানা

সব ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে বেদানায়। এর ফ্রি র‌্যাডিক্যাল ডায়াবেটিসের মোকাবিলায় সাহায্য করে।

আঙুর

আঙুরের মধ্যে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল রেসভারেট্রল রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

আপেল

ডায়াবেটিক হলে অবশ্যই রোজ খান আপেল। এমনকী, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতেও খান আপেল। টাইপ টু ডায়াবেটিস রুখতে দারুণ কাজ করে আপেল।

ব্লুবেরি

অ্যান্থসায়ানিন থাকার কারণে ব্লুবেরি খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।

স্ট্রবেরি

লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হওয়ার কারণে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে স্ট্রবেরি। যার ফলে স্ট্রবেরি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, হজম শক্তি বাড়ে, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

পেয়ারা
লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পাশাপাশি পেয়ারার মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমাণ ফাইবার টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়, কোষ্ঠকাঠিন্য রুখতে সাহায্য করে।

তরমুজ

তরমুজে থাকা প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম রক্তে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ডায়াবেটিসের প্রভাবে হওয়া কিডনির ক্ষতি রুখতে সাহায্য করে তরমুজ। এর মধ্যে থাকা লাইকোপেন নার্ভের সমস্যাও রুখতে পারে।

চেরি
ব্লুবেরির মতোই চেরিতেও রয়েছে অ্যান্থসায়ানিন। যা রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে ডায়াবেটিস রুখতে চেরি খুবই উপকারী।

পেঁপে
পেঁপের মধ্যে থাকা ন্যাচারাল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শুধু ডায়াবেটিস রুখতেই নয়, হার্ট ও নার্ভের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও উপকারী।

কমলালেবু
ফ্লাভনলস ও ফেনোলিক অ্যাসিড রয়েছে কমলালেবুর মধ্যে। এই দুই উপাদান রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী।

48
বাজারে গিয়ে টাটকা শাক-সব্জি, তাজা ফল কিনে খাওয়াই পুষ্টিকর। ফ্রোজেন ফল, সব্জিতে আর সেই উপকারিতা কোথায়? এমনটাই মনে করি আমরা। কিন্তু জানেন কি অনেক ক্ষেত্রেই ফ্রোজেন ফ্রুট, ভেজিটেবল তাজা শাক-সব্জির থেকে বেশি পুষ্টিকর হতে পারে? জেনে নিন যে কারণগুলোর জন্য আপনার ফ্রোজেন ফল, সব্জি কেনা উচিত।

১। এই সব সব্জি, ফল মরসুমের একদম ঠিক সময় তোলা হয়

এর অর্থ হল পুরোপুরি পাকার পরই এগুলো তুলে ফ্রিজ করা হয়। ফলে সব রকম ভিটামিন ও পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ হয়। ফল বা সব্জি তুলে নেওয়ার পরই ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদানের উত্পাদন বন্ধ হয়ে যায়। তাজা যে ফলগুলো বিক্রি করা হয় সেগুলো পুরোপুরি পাকার আগেই তুলে ফেলা হয়। যার ফলে পরিমাণ মতো ভিটামিন ও নিউট্রিয়েন্ট তৈরি হয় না। কিন্তু ফ্রিজ করার জন্য সব্জি ও ফল পুরোপুরি পাকার পর তবেই তোলা হয়। এবং এমন পদ্ধতিতেই ফ্রিজ করা হয় যাতে ভিটামিন ও নিউট্রিয়েন্ট সম্পূর্ণ বজায় থাকে। তোলার পর প্রথমে ধোয়া হয়। এরপর প্রথমে ফুটন্ত জল ও পরে বরফ ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে জীবাণুমুক্ত করার পর প্যাকেজ করে ফ্রিজ করা হয়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই পুরো পদ্ধতি সেরে ফেলা হয়। যাতে পুষ্টিগুণ নষ্ট না হয়

২। কোনও অ্যাডিটিভ থাকে না

সম্পূর্ণ ন্যাচারাল পদ্ধতিতে ফল ও সব্জি প্রিজার্ভ করা হয়। ফলে কোনও অ্যাডিটিভ বা কৃত্রিম প্রিজার্ভেটিভ ব্যবহার করা হয় না। যখন আপনি ফ্রোজেন ফ্রুট বা ভেজিটেবল কিনছেন তখন নিজের অজান্তেই এই সব কৃত্রিম প্রিজার্ভেটিভ এড়িয়ে চলতে পারছেন। তবে ব্র্যান্ডের উপর কিছুটা নির্ভর করে। কিছু কিছু ব্র্যান্ড তাদের ফ্রিজিং ক্যান বা ব্যাগে বিপিএ নামের এক প্রকা রাসায়নিক ব্যবহার করে থাকে। তাই কেনার সময় আপনাকে ব্যাগ ভাল করে পড়ে নিতে হবে।

৩। এই সব ফল বা সব্জি মরসুমি

উপযুক্ত মরসুমেই যে কোনও ফল বা সব্জির ফলন সবচেয়ে ভাল হয়। কোনও ফল যেমন গ্রীষ্মকালে ভাল ফলে, তেমনই কোনও ফল আবার শীতকালে। আপনি যেমন মরসুমি ফল, সব্জি কিনে ফ্রিজ করে সারা বছর খেতে পারেন, ঠিক সে ভাবেই সারা বছর সুপারমার্কেটের ফ্রিজিং সেকশনে গিয়ে ফ্রোজেন ফল ও সব্জি কিনতে পারেন। এগুলো সব সময়ই উপযুক্ত মরসুমে তুলেই ফ্রিজ করা হয়। বরং, মরসুমের অন্য সময় তাজা সব্জি, ফলে সেই গুণ পাবেন না। কারণ, এগুলো কৃত্রিম উপায়ে ফলানো হচ্ছে।

49
দেখতে নিতান্ত ভাল ‘মানুষ’-এর মতো। দিব্যি নিপাট বাদামি পালকের মুরগি। হৃষ্টপুষ্ট। কিন্তু এই পর্যন্ত দেখে তার ভেল্কির কথা ঘুণাক্ষরেও টের পাবেন না আপনি। সাধারণ মুরগির সঙ্গে তুলনা করলে চলবে না মোটেই। ছোট্ট একটা জিনের সামান্য নড়াচড়ায় এখন রীতিমতো তারকা এই মুরগি।

কারণ সে একাই একশ। কী ভাবে? নানা প্রজাতির ডিম একাই পারতে পারে জেনেটিক্যালি মডিফ্যায়েড এই মুরগি। শুনে আকাশ থেকে পরছেন নিশ্চয়ই। কিন্তু শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।

নিজেদের গবেষণাগারে এমনই হাইব্রিড মুরগির জন্ম দিলেন এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটসের আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স-এর এক সম্মেলনে এই অভিনব বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরেন বিজ্ঞানীরা। এই সম্মেলনেই তাঁরা জানান, জেনেটিক কারিগরির ফলে জন্ম নেওয়া হাইব্রিড এই মুরগি বিভিন্ন প্রজাতির ডিম পারতে পারবে। শুধু তাই নয়, বার্ড ফ্লু’র মতো রোগও অনায়াসেই প্রতিরোধ করতে পারবে এই মুরগি। অর্থাৎ এর ডিম থেকে জন্ম নেওয়া কোনও মুরগিই বার্ড ফ্লু’য়ের বাহক হবে না।
এডিনবরার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পাখিদের প্রজননে মুখ্য ভূমিকা নেয় ডিডিএক্স৪(DDX4) নামক জিনটি। জিন এডিটিং পদ্ধতিতে মডিফাই করা হয়েছে এই জিনটিই। তবে নিজের ডিম পারতে পারবে না হাইব্রিড এই মুরগি। তাহলে কী ভাবে বিভিন্ন প্রজাতির মুরগির জন্ম দেবে সে?

বিজ্ঞানীদলের মুখ্য গবেষক মাইক ম্যাকগ্রিউ জানাচ্ছেন, এই মুরগি আসলে সরোগেট মাদারের ভূমিকা পালন করবে। সেটা ঠিক কী রকম? যদি অন্য কোনও প্রজাতির মুরগির স্টেম সেল এনে হাইব্রিড মুরগির গর্ভে স্থাপন করা হয় তাহলে সেই প্রজাতির ডিম নিজের দেহে তৈরি করবে এই হাইব্রিড মুরগি। এবং সেই প্রজাতির মুরগির ডিম পারবে সে।

কিন্তু হঠাৎ কেন এই ধরনের মুরগি তৈরির কথা মাথায় আসল বিজ্ঞানীদের?

“আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বিলুপ্ত প্রজাতির মুরগি সংরক্ষণ”— জানালেন ম্যাকগ্রিউ। যেহেতু এই মুরগি অন্য প্রজাতির ডিমও পারতে পারে তাই বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি সংরক্ষণ করতে নতুন এই হাইব্রিড মুরগি সাহায্য করবে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

ইতিমধ্যেই ‘রাম্পেল্স গেম’, ‘স্কটস ডাম্পি’, ‘সিসিলিয়ান বাটারকাপ’, ‘ওল্ড ইংলিশ ফেজ্যান্ট ফাউল’ প্রভৃতি বিরল প্রজাতির মুরগির ডিম পেরেছে এই হাইব্রিড মুরগি। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অদূর ভবিষ্যতে বিরল ও লুপ্তপ্রায় প্রজাতিকে ফের নতুন করে বাঁচিয়ে তুলবে এই মুরগি।

50
স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রতি দিনে ডায়েটে বাদাম ও দানা শস্য রাখার কথা চিকিত্সকরা বলে থাকেন। বাদাম ও শস্যে থাকা পুষ্টিগুণ বিভিন্ন ভাবে স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে, তেমনই খিদেও মেটায়। টুকটাক মুখ চালাতে ইচ্ছা হলে ফাস্ট ফুডের বদলে খেয়ে নিন একমুঠো বাদাম। ডায়েটিশিয়ানরা বলে থাকেন এটাই সেরা স্ন্যাকস। জেনে নিন রোজ বাদাম খেলে কী কী উপকার হয় শরীরের।

51
Food Habit / ডিম সালাদে এত পুষ্টি!
« on: November 10, 2016, 06:03:53 PM »
সালাদে আস্ত ডিম দিলে সবজি থেকে শরীরে ভিটামিন ‘ই’ শোষণ করার ক্ষমতা বাড়ে। সম্প্রতি নিউট্রিশন সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। অ্যামিনো অ্যাসিড, অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ‘বি’ ছাড়াও ডিমে সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ‘ই’ আছে। খাদ্যের চর্বির সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করা এই ভিটামিন ‘ই’-এর উৎস বিভিন্ন ধরনের তেল, বীজ ​ও বাদাম। ভিটামিন ‘ই’যুক্ত খাবারের সঙ্গে সেদ্ধ ডিম যুক্ত করলে শরীর কতটা ভিটামিন ‘ই’ গ্রহণ করে, তা পরীক্ষা করে দেখতে এ গবেষণা চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পার্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জুং উন কিম বলেন, সালাদের সঙ্গে যদি তিনটি ডিম আস্ত যুক্ত করা যায়, তবে ভিটামিন ‘ই’ শোষণের পরিমাণ চার থেকে সাত গুণ বেড়ে যায়। একটি খাবারে সঙ্গে আরেক খাবার দিলে পুষ্টিগুণ কতটা বেড়ে যায়, বিষয়টি এ গবেষণায় উঠে এসেছে। পার্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ওয়েন ক্যাম্পবেল বলেন, ভোক্তারা এখন সহজে তাঁদের সালাদে ডিম জুড়ে পুষ্টিমান বাড়াতে পারবেন

52
নানা ধরনের অভিনব জিনিসপত্র বানাতে চীনের জুড়ি মেলা ভার। তাই বলে কৃত্রিম সূর্য! এও আবার হয় নাকি? পৃথিবী থেকে ১৫০ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে থাকা একটা নক্ষত্র যার তাপমাত্রা ৫,৫০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অমন একখানা জিনিস বানানো কিভাবে সম্ভব?

অসম্ভবকেই এবার সম্ভব করে ফেলেছে চীনা বিজ্ঞানীরা। নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটরের মাধ্যমে প্রায় ৫০ মিলিয়ন কেলভিন তাপমাত্রা তৈরি করা হয়েছিল। যা সূর্যের আসল তাপমাত্রা ১৫ মিলিয়ন কেলভিনের প্রায় তিনগুণ। তবে এই পুরো বিষয়টার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ১ মিনিট। এই নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটরের নাম  Experimental Advanced Superconducting Tokamak (EAST). এই গবেষণাটি হয়েছে চীনের জিয়াংসুতে ইনস্টিটিউট অফ প্লাজমা ফিজিক্সে।

সূর্যের ভিতরে কি ধরনের পারমাণবিক কার্যকলাপ চলছে, সেটা খুঁজে বের করাই ছিল এই গবেষণার মূল লক্ষ্য। EAST নামের এই নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকটর একটি উষ্ণ গ্যাস তৈরি করে, যার নাম প্লাজমা। সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে প্রচুর পরিমাণ শক্তি। সুতরাং কৃত্রিম সৌরশক্তি পাওয়ার গবেষণায় যে চীন একধাপ এগিয়ে গেল, সেকথা অস্বীকার করা যাবে না।

53
Food Habit / মধুজলে মধুফল
« on: November 02, 2016, 12:41:11 PM »
বিশ্বের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম মনে করা হয় মধুকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রতিদিন সকালে পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর উপকারও অনেক। জেনে নিন মধুজল খেলে যে উপকার পাবেন।
ঠান্ডা লাগা দূর করে
ঠান্ডা বা সর্দি-কাশি থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন সকালে গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার। শুষ্ক কাশি ও গলব্যথা বা স্বরভঙ্গ সারাতেও এর জুড়ি নেই।

শরীর বিষমুক্ত করে
শরীর থেকে বিষাক্ত বর্জ্য দূর করতে মধুজলকে সবচেয়ে কার্যকর বিষনাশক পানীয় মনে করা হয়। শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে হজমে সাহায্য করে। মধুজলের সঙ্গে সামান্য লেবু মিশিয়ে খেলে মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ আরও ভালোভাবে দূর করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
মধুজলে থাকে এনজাইম, ভিটামিন আর বিভিন্ন খনিজ। ক্ষতিকর নানা ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে সুরক্ষা দিয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

অ্যালার্জি কমায়
আবহাওয়ার পরিবর্তন কিংবা পরিবেশগত নানা কারণে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। নিয়মিত মধুজল খেলে পরিবেশগত অ্যালার্জি কম হয়। শরীরকে এ ধরনের অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।

হৃদ্‌যন্ত্রের সুরক্ষা করে
মধুজল শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে এবং হৃদ্‌যন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে মধুর ফলদায়ক মধুজল। তথ্যসূত্র: জিনিউজ।

54
মাথার তালুর সংক্রমণ দূর করতে, চুল পড়া কমাতে ও চুলের রুক্ষতা দূর করতে পেঁপে খুবই উপকারী। কারণ, এই ফলে রয়েছে পেপেইন নামক উপাদান, যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। পেঁপেতে আরো রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ফ্ল্যাভোনয়েড ও বিটা-ক্যারোটিন, যা মাথার ত্বকের মরা কোষ দূর করে, চুলের গোড়া মজবুত করে ও চুল ঝলমলে করে। চুলে কোন উপায়ে পেঁপে ব্যবহার করবেন, সে সম্বন্ধে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের জীবনধারা বিভাগে। একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন। পেঁপে ও টক দই এ দুটি উপাদান দিয়ে তৈরি প্যাক মাথার তালুর সংক্রমণ দূর করে এবং চুল ঝলমলে করে। আধা কাপ চটকানো পেঁপের সঙ্গে দুই চা চামচ টক দই মিশিয়ে নরম প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক চুলে ও মাথার তালুতে লাগিয়ে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এ সময় গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। নারকেলের দুধ, পেঁপে ও মধু এই প্যাক চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া কমায়। দুই টেবিল চামচ চটকানো পেঁপের সঙ্গে এক টেবিল চামচ নারকেলের দুধ ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নরম মিশ্রণ তৈরি করুন। এই প্যাক চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এবার শ্যাম্পু করে ফেলুন। মধু, কলা ও পেঁপে এই প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে। সাত টুকরা পেঁপে ও একটি পাকা কলা ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। এবার এর সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক মাথায় ও চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

55
অতটুকু শিশু, তার শরীরে হয়তো আর বার বার ছুরি, কাঁচি চালাতে হবে না! একটা শিশুকে হয়তো আর বিঁধতে হবে না অস্ত্রোপচারের হাজারো ধারালো ‘অস্ত্রে’! ধমনী দিয়ে রক্ত বয়ে যাওয়ার সময় বাধা পাচ্ছে বলে যাঁদের হার্ট অ্যাটাক হয়, তাঁদেরও বোধহয় দুশ্চিন্তার দিন ফুরলো!

আর দু’-তিন বছরের মধ্যেই হয়তো বাজারে আসতে চলেছে কৃত্রিম ধমনী। আমার, আপনার শরীরে যে কৃত্রিম ধমনীর মধ্যে দিয়ে কোনও বাধা, বিপত্তি ছাড়াই তরতরিয়ে বইতে পারবে রক্তস্রোত। আর যেটা আরও চমকে দেওয়ার মতো তথ্য তা হল, একটা ছোট্ট টিউবের মতো কৃত্রিম ধমনী আমার, আপনার শরীরে বসিয়ে দেওয়া হলে, তা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাড়তে পারবে গায়ে-গতরে। একবারে প্রাকৃতিক নিয়মেই। বাইরে থেকে ‘গায়ের জোর’ খাটাতে হবে না। নিতে হবে না কোনও কৃত্রিম উপায়। যার শরীরে বসানো হল ওই ছোট্ট টিউবের মতো ধমনী, তার শরীরের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কোষ, কলাগুলি যখন, যতটা সময়ের সঙ্গে বাড়ে, সেই গতিতেই সেগুলি শরীরের ভেতরে বসানো কৃত্রিম ধমনীকে ঠেলেঠুলে বাড়িয়ে নিয়ে যেতে পারবে, দিতে পারবে তার পূর্ণাঙ্গ রূপ।
একেবারে হালে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দেওয়া এই আবিষ্কারটি করেছে আমেরিকার মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অফ সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বায়োমেডিক্যাল ই়ঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রবার্ট ট্রাঙ্কুইল্লোর নেতৃত্বে একটি গবেষকদল। যে দলে রয়েছেন এক অনাবাসী ভারতীয় বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অনিতা কুলকার্নিও। একেবারে কচি ভেড়ার শরীরে ওই কৃত্রিম ধমনী বসিয়ে দেখা গিয়েছে তা ওই ভেড়ার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার শরীরের কোষ, কলাগুলি যেমন একটু একটু করে বেড়েছে, তেমনই তা ভেড়ার শরীরে বসানো কৃত্রিম ধমনীটিকে একটু একটু করে বাড়িয়েছে, আড়ে ও বহরে। শরীরের ভেতরে বসানো কোনও কৃত্রিম অঙ্গের এই ভাবে শরীরেই আপনাআপনি বেড়ে ওঠার ঘটনা রীতিমতো অভিনব। গত সেপ্টেম্বরে গবেষণাপত্রটি ছাপা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার-কমিউনিকেশন্স’-এ। সাড়াজাগানো ওই গবেষণাপত্রটির শিরোনাম- ‘টিস্যু ইঞ্জিনিয়ারিং অফ আসেলুলার ভাসকুলার গ্র্যাফ্টস কেপাব্‌ল অফ সোম্যাটিক গ্রোথ ইন ইয়ং ল্যাম্বস’।
আমেরিকার মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অনিতা কুলকার্নির কথায়, ‘‘আমরা কচি ভেড়ার গায়ের চামড়ার কোষের সঙ্গে জিল্যাটিনের মতো একটা রাসায়নিক পদার্থ (ফাইব্রিন) মিশিয়ে ওই কৃত্রিম ধমনীর টিউবটাকে বানিয়েছি। তার পর টানা পাঁচ সপ্তাহ ধরে কচি ভেড়ার শরীরের কোষ, কলাগুলিকে একটু একটু করে গায়ে-গতরে বাড়িয়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর পদার্থ (নিউট্রিয়েন্টস) আমরা বায়ো-রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে ওই টিউবে ঢুকিয়েছি। তার পর ওই টিউবটিকে একটি বিশেষ ধরনের ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে তার গায়ে লেগে থাকা ভেড়ার চামড়ার কোষগুলিকে সরিয়ে দিয়েছি। কারণ, ওই কোষগুলির স্বাভাবিক বাড়-বৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম ধমনীতে রক্তস্রোত বাধা পেতে পারে। তা আটকে যেতে পারে। বায়ো-রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে আদতে দু’টি কাজ করেছি আমরা। প্রথমত, কোষ, কলাগুলিকে বাড়ানোর জন্য পুষ্টিকর পদার্থ ঢুকিয়েছি। দ্বিতীয়ত, টিউবটাকে শক্তপোক্ত করে তোলার জন্য ওই বায়ো-রিঅ্যাক্টর দিয়ে খানিকটা যেন ‘ব্যায়াম’ করিয়েছি আমরা। যাতে শরীরের মধ্যে রক্তস্রোতের জন্য তা ফেটে না যায়, সে জন্য স্বাভাবিক ধমনীর চেয়ে কৃত্রিম ধমনীকে করা হয়েছে দ্বিগুণ শক্তিশালী। মানুষের শরীরে বসিয়ে তার কার্যকারিতা প্রমাণের পরীক্ষানিরীক্ষাও শুরু হবে খুব শিগগিরই। তবে ভেড়ার ওপর যে পরীক্ষা সফল হয়েছে, মানুষের ক্ষেত্রে তা ব্যর্থ হওয়ার কোনও বিজ্ঞানসম্মত কারণ রয়েছে বলে আমাদের মনে হয় না।’’
মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অফ সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বায়োমেডিক্যাল ই়ঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মূল গবেষক রবার্ট ট্রাঙ্কুইল্লো ই মেলে আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন, ভেড়ার শরীরে ওই কৃত্রিম ধমনী বসানোর পাঁচ সপ্তাহের মধ্যেই দেখা গিয়েছে, ওই ভেড়ার শরীরের কোষগুলি নিজেরাই বেড়ে উঠে কৃত্রিম ধমনীটিকে বাঁকিয়ে দিয়েছে, কোনও একটি নির্দিষ্ট অঙ্গের অভিমুখী করে তোলার জন্য। এও দেখা গিয়েছে, একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত কোষগুলি বেড়ে উঠে ওই কৃত্রিম ধমনীটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পেরেছে

Pages: 1 2 3 [4]