Daffodil International University

Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Women => Topic started by: shilpi1 on September 25, 2017, 04:37:05 PM

Title: যে সাতটি প্রাকৃতিক উপাদান আপনার ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে
Post by: shilpi1 on September 25, 2017, 04:37:05 PM
১/ টমেটো

আপনার ক্লান্তিযুক্ত, নিষ্প্রাণ এবং নিষ্প্রভ ত্বকের মাঝে প্রাণশক্তি এবং উজ্জ্বলতা নিয়ে আসার ক্ষেত্রে টমেটো চমৎকার উপকারী একটি উপাদান। ত্বকের লাবণ্য, তারুণ্য এবং নমনীয় ভাব পুনরায় নিয়ে আসার জন্যে খুব পাতলা করে কাটা টমেটো স্লাইস মুখের উপরে ২০ মিনিটের জন্য দিয়ে রাখুন।  এছাড়াও, আপনার যদি মুখের ত্বকে জ্বালাপোড়া ভাব থাকে তবে সেক্ষেত্রে টমেটোর রস মুখে লাগাতে পারেন। সবশেষে, যদি ত্বকের রঙ সুন্দর করতে চান তবে টমেটো এবং অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি ফেসমাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

২/ আলু

আলু খেতে যেমন অনেক দারুণ, তেমন দারুণ আপনার ত্বকের জন্যেও। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্যে আলু খুব উপকারী একটি উপাদান। ত্বকে বয়সের ছাপ কমানোর জন্যে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ মিনিট সময় নিয়ে আলু কুচি দিয়ে তৈরি ফেসমাস্ক অথবা আলুর রস মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন।  এছাড়া ত্বকের নমনীয়তা বাড়াতে চাইলে লেবুর রস দিয়ে তৈরি আলুর মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

৩/ লেবু

মুখের ত্বকের রোদে পোড়াভাব, ব্রণের দাগ এবং বয়সের ছাপ মুছে ফেলার জন্যে লেবুর চাইলে কার্যকরি উপাদান আর নেই। এমনকি, আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেও লেবু অনেক উপকারী একটি উপাদান।

৪/ অ্যালোভেরা

আপনি কি আপনার ত্বকের জন্যে জাদুকরী কোন উপাদান খুঁজছেন? তবে অ্যালোভেরা হবে আপনার সেই কাঙ্ক্ষিত উপাদানটি। অ্যালোভেরা পাতার ভেতরের ঘন এবং আঠালো অংশটি ভালোভাবে তুলে নিয়ে সমানভাবে মুখের ত্বকে লাগিয়ে নিন। অ্যালোভেরা আপনার মুখের ত্বক উজ্জ্বল এবং দীপ্তিময় করতে দারুনভাবে কাজে দেবে। শুধুমাত্র ব্রণের দাগ কিংবা রোদে পোড়াভাব নয়, পুড়ে যাওয়ার ছোটখাটো দাগ পর্যন্ত সারিয়ে তুলতে অ্যালো জেল খুব দারুনভাবে কাজে দেয়। এর জন্যে প্রতিদিন অ্যালোভেরা জেল অন্তত দশ মিনিট মুখের ত্বকে ব্যবহার করুন।

৫/ শসা

ত্বকের যেকোন ধরণের সমস্যার জন্যে শসা খুব চমৎকারভাবে কাজ করে থাকে। বিশেষ করে যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য শসা খুবই উপকারী। চোখের নীচে যাদের ডার্ক সার্কেল এর সমস্যা রয়েছে তারা শসা কুচি করে চোখে দিয়ে রাখতে পারেন। এতে ডার্ক সার্কেল কমে যাবে অনেকখানি। আর মুখের ত্বকের জন্য শসা পাতলা করে কেটে মুখে দিয়ে রাখতে হবে ১৫-২০ মিনিট এর জন্য। ভালো ফলাফল পেতে চাইলে প্রতিদিন এই নিয়মটি মানতে হবে।

৬/ মধু

ত্বকের ময়েশ্চারাইজার বাড়াতে মধু সবচেয়ে উপকারী এবং প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলস এবং বিভিন্ন ধরণের অর্গানিক মাইক্রোএনামেলস, যা ত্বকে নতুন করে কোষ তৈরির প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। যদি নিয়মিতভাবে মধু ব্যবহার করা যায় তবে অনেক গাড় বয়সের ছাপও চলে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। শুধু একটা ব্যাপার মনে রাখতে হবে, আপনার যদি কোন ধরণের এলার্জির সমস্যা থাকে তবে মধু ব্যবহার না করাই ভালো হবে সেক্ষেত্রে।

মুখের এবং ঘাড়ের কালো দাগ এবং বয়সের ছাপ মুছে ফেলার জন্যে মধু লাগিয়ে এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আর বয়স-প্রতিরোধক মাস্ক বানাতে চাইলে সমপরিমাণ মধু ও দারুচিনি গুঁড়া একসাথে ভালমতো মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

৭/ চিনি

চিনি এমন একটি উপাদান যা সকলের বাসাতেই খুব সহজলভ্য। চিনি শুধুমাত্র মিষ্টি কোন খাবার তৈরিতেই নয়, আপনার চেহারার তারুণ্য ধরে রাখার জন্যেও অপরিহার্য একটি জিনিস। চিনি দিয়ে তৈরি প্রাকৃতিক স্ক্রাব ত্বকের পুষ্টি যোগাতে, ত্বকের মরা চামড়া তুলে ফেলতে, ত্বক নরম নমনীয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে চমৎকারভাবে কাজ করে থাকে।

পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার পরে মুখ না মুছে ভেজা মুখেই চিনি দিয়ে খুব ভালোভাবে এবং যত্নসহকারে ঘষুন। সপ্তাহে অন্তত একবার চিনির স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বকের নমনীয়তা আলাদাভাবে টের পাবেন আপনি।