1
Common Forum/Request/Suggestions / দিবস হৃদয়ে আত্মস্থ করার বিষয়
« on: March 24, 2019, 12:21:21 PM »
একটা সময় ছিল যখন শুনতাম ও জানতাম যে ভাইয়ের প্রতি বোনের দায়িত্ব অনেক বেশি৷ কিন্তু পালের হাওয়া পরিবর্তন হতে শুরু করেছে৷ কারণ এখন দিন বদলের সময়। তাই বলে বলছি না যে বোনেরা তাদের ভাইদের আগের মতো খোঁজখবর নেয় না! হয়তো নিতে চায়৷ কিন্তু ডিজিটাল যুগ তাদের আজ আর আগের মতো সেই সুযোগ হয়তো করে দেয় না৷ আমার বোনেরা আজ শুধু জননী, সহোদরা, দয়িতা অথবা ঘরণি নয় আজ তারা শিক্ষাদাতা, নেত্রী, কর্মজীবী, সহকর্মী ও ব্যবসায়ী। ঘরে-বাইরে সব জায়গায় আজ তারা৷ আগে শুধু দেখা যেত উন্নত দেশগুলোতে মেয়েরা তাদের যোগ্যতার প্রকাশ করতে পারত৷ এখন আমাদের দেশের মেয়েরাও থেমে নেই৷ তারা এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বরং ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে গেছে৷ কিন্তু তার পরও বলব, উন্নত দেশের তুলনায় এখনো অনেক পিছিয়ে।
প্রতিবছর ৮ মার্চ পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী কর্মী দিবস৷ যাকে আমরা সাধারণত বলে থাকি আন্তর্জাতিক নারী দিবস৷ এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আমরা কাছে মনে হয় আমরা সবাই যেকোনো দিবসের মর্ম বুঝি৷ আসলে কি আমরা তা জানি অথবা বুঝি অথবা মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করে থাকি? আমরা কি শুধু একটু লোক দেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের সভা-সমাবেশের মধ্যে ব্যস্ত থাকি না?
আমাদের দেশের দৈনিক পত্রিকাগুলোর দিকে চোখ রাখলে প্রায়দিন কোনো না কোনো একটা আত্মহত্যার ঘটনা চোখে পড়ে৷ সেই আত্মহত্যা ৯০ শতাংশের মতো আমাদের মা-বোনেরা করেন। কিছুদিন আগে দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষবর্ষে পড়ুয়া এক বোন আত্মহত্যা করেছে৷ আমাদের পুরুষশাসিত সমাজের প্রবঞ্চনার আঘতে ঘায়েল হয়েছে একটি ফুটন্ত গোলাপ। আমি পরে খবর নিয়ে জানতে পারলাম, মেয়েটি একটা ছেলের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া করছিল৷ কিন্তু কিছুদিন পর ছেলেটি মেয়েটাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিল না৷ কারণ ছেলেটির জন্য তার বাবা-মা মেয়ে পছন্দ করে রেখেছেন। ছেলেটি কোনোভাবেই তার বাবা-মায়ের কথার অবাধ্য হতে চায় না৷ কিন্তু মেয়েটি এর আগেই তার পছন্দের সেই ছেলের কথা বাসার সবাইকে জানিয়েছে। ছেলেটি যখন চূড়ান্তভাবে না করে দিয়েছে এবং মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে, মেয়েটি তখন থেকে নিঃসঙ্গতা অনুভব করতে শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে।
কেউ যদি কোনো কাজের সফলতা না পান অথবা কাউকে পাওয়ার কথা কিন্তু পেল না, তাহলেই কি জীবনটা শেষ হয়ে গেল! এমনও তো হতে পারত সেই মেয়েটি যে ছেলের জন্য আত্মহত্যা করেছে, তার চেয়ে অনেক ভালো ছেলে অপেক্ষা করছিল তার জীবনের জন্য৷ আমরা কেন একটা কথা বারবার ভুলে যাই যে, সৃষ্টিকর্তা যা করেন তা মঙ্গলের জন্যই করেন। এখন হয়তো বা অনেকে বলে উঠবেন মানুষের জন্মলাভ, বিয়ে ও দেহাবসান—সবকিছু সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার নির্দেশে হয়ে থাকে৷ আমি নিজেও এ কথাটি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে থাকি। কিন্তু তাই বলে আমরা আত্মহত্যাকেও সর্বশক্তিমানের নির্দেশ বলব, নাকি আমাদের জীবনের নিকৃষ্ট ছবি বলব!
আমরা পুরুষশাসিত সমাজ বহু যুগ আগে থেকেই মা-বোনদের একটা বন্দী খাঁচার মধ্যে রেখে দিতে চেয়েছি এবং এখনো চাই৷ আমাদের সমাজে এখনো দেখা যায় চাকরিজীবী মেয়েদের ভালোভাবে নিতে পারে না পুরুষ সমাজ৷ বেশির ভাগ পুরুষ চায় না তার স্ত্রী ঘরের বাইরে চাকরি করবে, তারা চায় স্ত্রী শুধু গৃহকর্মী হিসেবে গৃহ দেখভাল করবে। আবার অনেকে স্ত্রীকে চাকরি করতে দিলেও স্ত্রীর উপার্জনের টাকা খরচ করতে চান না৷ তারা চিন্তা করেন স্ত্রীর উপার্জনের টাকা খরচ করলে সংসারে স্ত্রীর আধিপত্য বেড়ে যাবে৷ এ ছাড়া আমাদের দেশে এখনো কর্মক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সুযোগৎ-সুবিধা অনেক কম৷ বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির সময় দেখানো হয় বিভিন্ন ধরনের অজুহাত। আমাদের দেশের প্রধান শিল্প পোশাকশিল্প৷ এই পোশাকশিল্পকে আজ এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন আমাদের দেশের অক্লান্ত পরিশ্রমী মা-বোনেরা। তার পরও কেন আজও আমরা (পুরুষ সমাজ) ছলচাতুরি-প্রতারণা-ক্ষমতার জোর দেখিয়ে নারীদের মন ভাঙি ও অধিকার দাবিয়ে রাখি৷ তাহলে কী বলতে হয় আমরা শুধু লোক দেখানোর জন্য ঢাকঢোল বাজিয়ে এই আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে থাকি!
আমি দেশের পুরুষ সমাজকে বলতে চাই, জীবন একটাই৷ এই জীবন দিয়ে নিজের জন্য কিছু না করতে পারেন বাবা-মা এবং দেশের জন্য কিছু করুন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস লোক দেখানোর জন্য না পালন করে মন থেকে পালন করতে শিখুন। আমার মা-বোনদের প্রতি অনেক ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের লেখার ইতি টানতে গিয়ে বলতে চাই, আগামী দিনের সংগ্রামী জীবনে পৃথিবী জুড়ে আপনাদের জয়-জয়কার দেখার অপেক্ষায় রইলাম৷
প্রতিবছর ৮ মার্চ পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী কর্মী দিবস৷ যাকে আমরা সাধারণত বলে থাকি আন্তর্জাতিক নারী দিবস৷ এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। আমরা কাছে মনে হয় আমরা সবাই যেকোনো দিবসের মর্ম বুঝি৷ আসলে কি আমরা তা জানি অথবা বুঝি অথবা মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করে থাকি? আমরা কি শুধু একটু লোক দেখানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের সভা-সমাবেশের মধ্যে ব্যস্ত থাকি না?
আমাদের দেশের দৈনিক পত্রিকাগুলোর দিকে চোখ রাখলে প্রায়দিন কোনো না কোনো একটা আত্মহত্যার ঘটনা চোখে পড়ে৷ সেই আত্মহত্যা ৯০ শতাংশের মতো আমাদের মা-বোনেরা করেন। কিছুদিন আগে দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষবর্ষে পড়ুয়া এক বোন আত্মহত্যা করেছে৷ আমাদের পুরুষশাসিত সমাজের প্রবঞ্চনার আঘতে ঘায়েল হয়েছে একটি ফুটন্ত গোলাপ। আমি পরে খবর নিয়ে জানতে পারলাম, মেয়েটি একটা ছেলের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া করছিল৷ কিন্তু কিছুদিন পর ছেলেটি মেয়েটাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিল না৷ কারণ ছেলেটির জন্য তার বাবা-মা মেয়ে পছন্দ করে রেখেছেন। ছেলেটি কোনোভাবেই তার বাবা-মায়ের কথার অবাধ্য হতে চায় না৷ কিন্তু মেয়েটি এর আগেই তার পছন্দের সেই ছেলের কথা বাসার সবাইকে জানিয়েছে। ছেলেটি যখন চূড়ান্তভাবে না করে দিয়েছে এবং মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে, মেয়েটি তখন থেকে নিঃসঙ্গতা অনুভব করতে শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে।
কেউ যদি কোনো কাজের সফলতা না পান অথবা কাউকে পাওয়ার কথা কিন্তু পেল না, তাহলেই কি জীবনটা শেষ হয়ে গেল! এমনও তো হতে পারত সেই মেয়েটি যে ছেলের জন্য আত্মহত্যা করেছে, তার চেয়ে অনেক ভালো ছেলে অপেক্ষা করছিল তার জীবনের জন্য৷ আমরা কেন একটা কথা বারবার ভুলে যাই যে, সৃষ্টিকর্তা যা করেন তা মঙ্গলের জন্যই করেন। এখন হয়তো বা অনেকে বলে উঠবেন মানুষের জন্মলাভ, বিয়ে ও দেহাবসান—সবকিছু সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার নির্দেশে হয়ে থাকে৷ আমি নিজেও এ কথাটি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে থাকি। কিন্তু তাই বলে আমরা আত্মহত্যাকেও সর্বশক্তিমানের নির্দেশ বলব, নাকি আমাদের জীবনের নিকৃষ্ট ছবি বলব!
আমরা পুরুষশাসিত সমাজ বহু যুগ আগে থেকেই মা-বোনদের একটা বন্দী খাঁচার মধ্যে রেখে দিতে চেয়েছি এবং এখনো চাই৷ আমাদের সমাজে এখনো দেখা যায় চাকরিজীবী মেয়েদের ভালোভাবে নিতে পারে না পুরুষ সমাজ৷ বেশির ভাগ পুরুষ চায় না তার স্ত্রী ঘরের বাইরে চাকরি করবে, তারা চায় স্ত্রী শুধু গৃহকর্মী হিসেবে গৃহ দেখভাল করবে। আবার অনেকে স্ত্রীকে চাকরি করতে দিলেও স্ত্রীর উপার্জনের টাকা খরচ করতে চান না৷ তারা চিন্তা করেন স্ত্রীর উপার্জনের টাকা খরচ করলে সংসারে স্ত্রীর আধিপত্য বেড়ে যাবে৷ এ ছাড়া আমাদের দেশে এখনো কর্মক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সুযোগৎ-সুবিধা অনেক কম৷ বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির সময় দেখানো হয় বিভিন্ন ধরনের অজুহাত। আমাদের দেশের প্রধান শিল্প পোশাকশিল্প৷ এই পোশাকশিল্পকে আজ এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন আমাদের দেশের অক্লান্ত পরিশ্রমী মা-বোনেরা। তার পরও কেন আজও আমরা (পুরুষ সমাজ) ছলচাতুরি-প্রতারণা-ক্ষমতার জোর দেখিয়ে নারীদের মন ভাঙি ও অধিকার দাবিয়ে রাখি৷ তাহলে কী বলতে হয় আমরা শুধু লোক দেখানোর জন্য ঢাকঢোল বাজিয়ে এই আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে থাকি!
আমি দেশের পুরুষ সমাজকে বলতে চাই, জীবন একটাই৷ এই জীবন দিয়ে নিজের জন্য কিছু না করতে পারেন বাবা-মা এবং দেশের জন্য কিছু করুন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস লোক দেখানোর জন্য না পালন করে মন থেকে পালন করতে শিখুন। আমার মা-বোনদের প্রতি অনেক ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের লেখার ইতি টানতে গিয়ে বলতে চাই, আগামী দিনের সংগ্রামী জীবনে পৃথিবী জুড়ে আপনাদের জয়-জয়কার দেখার অপেক্ষায় রইলাম৷