Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - imam.hasan

Pages: [1] 2 3 ... 16
1
কোনো মানুষের পক্ষে পৃথিবীতে একাকী বাস করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রয়োজনে একে অপরের সাহায্য ছাড়া মানুষ চলতে পারে না। এছাড়াও নানা বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতিতে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে। কেননা কোনো মানুষ যখন কোনো বিপদের সম্মুখীন হয়, সে তখন সবচেয়ে বেশি অসহায়ত্ব অনুভব করে। ওই সময় সে আন্তরিকভাবে অন্যের সাহায্য প্রত্যাশা করে।

ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে মুমিনের পারস্পরিক সম্পর্ক হলো- একটি দেহের ন্যায়। দেহের একটি অঙ্গ যেকোনো ধরনের বিপদে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য অঙ্গ তাকে সাহায্যের জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠে। উদাহরণ স্বরূপ- কারো চোখে কোনো কিছু পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহের অন্য সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আপন কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং তারা সবাই কিভাবে চোখকে তার বিপদ থেকে রক্ষা করবে সেদিকে নিমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রয়োজনে অন্যেরও শরণাপন্ন হয়। অনুরূপ কোনো মুসলমান ভাই যখন কোনো প্রকার বিপদে পড়ে, তখন অপর মুসলমান ভাইয়ের কর্তব্য হলো- তাকে সাহায্য করা। কেননা যে মানুষকে সাহায্য করে মহান আল্লাহতায়ালা তাকে সাহায্য করেন।

এ মর্মে হাদিসে অনকে বর্ণনা রয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব দুঃখ-কষ্ট দূর করবে, আল্লাহতায়ালা কিয়ামতে তার দুঃখ-কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো সংকটাপন্ন ব্যক্তির সংকট নিরসন করবে, আল্লাহ তার দুনিয়া ও আখেরাতের যাবতীয় সংকট নিরসন করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত বান্দার সাহায্য করে থাকেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা নিজ ভাইয়ের সাহায্যে রত থাকে। -মুসলিম ও তিরমিজি

অন্য আরেক হাদিসে হজরত রাসূলে কারিম (সা.) বলেন, প্রত্যেক মুসলমানের ওপর সদকা করা ওয়াজিব। একজন প্রশ্ন করলেন, যদি কারো সে সামর্থ্য না থাকে, তবে কি হবে? সাহাবাদের পর্যায়ক্রমিক প্রশ্নের উত্তরে এক পর্যায় নবী (সা.) বলেন, ‘তাহলে কোনো দুঃখে বা বিপদে পতিত ব্যক্তিকে সাহায্য করবে।’-মিশকাত

কোনো মানুষের কঠিন বিপদের মুহূর্তে যখন কেউ তাকে সাহায্য করে, তখন তার সে সাহায্যের কথা সে কখনো ভুলে না। যারা বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্যকারী হয়, তারাই প্রকৃত বন্ধু। প্রবাদে আছে, ‘বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু।’

আমরা জানি যে, দুনিয়ার সব সম্পদের মালিক আল্লাহ। মানুষ যে সম্পদের অধিকারী, তা মূলত আল্লাহর কৃপার ফসল। আল্লাহ যাকে অর্থ-সম্পদ দিয়েছেন তিনি সে সম্পদ থেকে অভাবী মানুষকে সাহায্য করলে তাতে আল্লাহতায়ালা খুব খুশি হন। এ ধরনের মানবিক কর্তব্য পালন রাত জেগে অবিরাম নফল নামাজ আদায় ও অবিরত নফল রোজার সমতুল্য।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি বিধবা, গরিব, অভাবী ও অসহায়দের সাহায্যের জন্য চেষ্টা-তদবির করে, সে আল্লাহর পথে ব্যস্ত ব্যক্তির সমতুল্য। (হাদিস বর্ণনাকারী বলেন) আমার মনে হয়, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সে রাত জেগে অবিরাম নফল নামাজ আদায়কারী এবং অবিরত নফল রোজা পালনকারীর সমতুল্য। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম

যারা বিপদগ্রস্ত ও গরিব-দুঃখীকে দান করেন আল্লাহ তাদের পুরস্কৃত করেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি (আমার অভাবী বান্দাদের জন্য) নিজের উপার্জন থেকে খরচ কর, আমি আমার ভাণ্ডার থেকে তোমাকে দিতে থাকব। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম

সৃষ্টি জগতের সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি। কোনো মানুষের সঙ্গে যখন সদয় ব্যবহার করা হয়, তার বিপদে সাহায্য করা হয়, তখন আল্লাহকেই খুশি করা হয়। সমাজের আশ্রয়হীন, দুর্বল ও অসহায় লোকজনের সাহায্য-সহযোগিতা ইবাদতেরই অন্তর্ভুক্ত।

হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) ও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত; তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, গোটা সৃষ্টিকুল আল্লাহর পরিবার। অতএব যে আল্লাহর পরিবারের সঙ্গে সদয় ব্যবহার করে, সে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয়। -বায়হাকি

আল্লাহ আমাদের সবাইকে বিপদগ্রস্ত ও অভাবী মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার এবং তাদের অভাবের দিনে হাত বাড়ানোর তওফিক দান করুন। আমীন।

2
অ্যান্টলায়ন, অনেকে লেখেন অ্যান্ট-লায়ন অথবা অ্যান্ট লায়ন। প্রায় দুই হাজার প্রজাতির পোকা-মাকড় নিয়ে এ দল। অ্যান্টলায়ন ছোট আকার বা দল ধরে তাদের তুলনায় বড় আকারের প্রাণী শিকার করেই জীবনধারণ করে। এদের প্রিয় খাদ্য পিঁপড়া।

অ্যান্টলায়নের বৈশিষ্ট্য হলো- পিঁপড়া শিকার করার পরে এরা বালুর মধ্যে ত্রিভূজাকৃতির গর্ত করে এবং পিঁপড়াকে বালুচাপা দেয়।

এসব শিকারি প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ট্র্যাপ-জ্যাও অ্যান্টের রয়েছে এক বিশেষ কৌশল। এরা মুখের ওপর ভর করে লাফিয়ে চলতে পারে। ফলে মুহূর্তেই শিকারির সামনে থেকে হাওয়া!

বিপদ বুঝলেই এরা মাথায় ভর দিয়ে উপর দিকে লাফ দেয়। গবেষণায় দেখা যায়, দৌড়ানোর মোট সময়ের মধ্যে এরা শতকরা ১৫ শতাংশ লাফায়।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়-এর গবেষক ফেড্রিক লারাবি দীর্ঘদিন থেকে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তার মতে, একটা বিষয় এখনও পরিষ্কার হয়নি।

ট্র্যাপ-জ্যাও অ্যান্ট সেকেন্ডে লাফিয়ে ৪০ থেকে ৬০ মিটার দূরে সরে যেতে পারে এবং ঘণ্টায় ১০০ মাইলেরও বেশি।

পরীক্ষামূলকভাবে একটি ফাঁদ তৈরি করে দেখা যায়, কৌশলটি তাদের জীবনধারণের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য ভিডিওটি দেওয়া হলো। এটা দেখলেই এদের এই বিশেষ ক্ষমতা এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্রে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

3
এখন চলছে জ্যৈষ্ঠ মাস। বাংলা সনে জ্যৈষ্ঠ মধু মাস হিসেবে পরিচিত। যদিও বাংলা অভিধানে মধুমাস শব্দের অর্থ হলো- চৈত্রমাস। কিন্তু দেশের পত্রপত্রিকায় জ্যৈষ্ঠ মাস নিয়ে কোনো কিছু লিখতে গিয়ে লেখা হয় মিষ্টি ফলের রসে ভরা মধুমাস। এভাবেই জ্যৈষ্ঠ মাসের সঙ্গে মধু মাস বিশেষণটি জড়িয়ে গেছে। এ মাসে থাকে বাহারি রসালো ফলের সমারোহ। ষড়ঋতুর এ দেশে গ্রীষ্মকালের তীব্র দাপদাহের সময় এসব ফল মানুষকে স্বস্তি ও শান্তি দেয়।

আল্লাহতায়ালার বিস্ময়কর এক সৃষ্টি নিদর্শনের নাম ফল। এটি আল্লাহতায়ালার এমন এক নিয়ামত যা সবাই পছন্দ করে।

বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সারা বছর কোনো না কোনো ফলের সমারোহ থাকলেও জ্যৈষ্ঠ মাস আসে নানা প্রজাতির রসালো ফলের সুবাস নিয়ে। বাজারে ফলের দোকানে, রাস্তার ধারে থরে থরে সাজানো আম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, কালোজাম, বাঙ্গিসহ নানা রকম রসালো ফল। মিষ্টি ফলের লোভনীয় গন্ধ। ফল রসে রসনা তৃপ্তির অপূর্ব আনন্দময় মাস এ জ্যৈষ্ঠ। বাঙালির ঘরে ঘরে পুরো জ্যৈষ্ঠ মাস জুড়ে চলে আনন্দ, চলে আত্মীয়-স্বজনদের আনাগোনা ও ফল-ফলাদি আদান-প্রদান।

জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রধান ফল আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু। ফলের রাজা আম। কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। বর্তমান সরকার আমগাছকে দিয়েছে জাতীয় গাছের মর্যাদা। আমের কদর শুধু আজ নয়- পারস্যের কবি আমীর খসরু চতুর্দশ শতাব্দীতে আমকে ‘হিন্দুস্থানের সেরা ফল’ রূপে উল্লেখ করেছেন।

জ্যৈষ্ঠ মাসের আরেক ফল কাঁঠাল। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আকারের মজার ফল এটি। কাঁঠাল শুধু জাতীয় ফল নয়, গরিবের ফল নামেও পরিচিত। কাঁঠাল কাঁচা অবস্থায় সবজিরূপেও মজা করে খায় এদেশের মানুষ। পাকা কাঁঠাল রস করে দুধ দিয়ে খেতে খুব মজা। অবশ্য কাঁঠাল দুধ ভাত ছাড়াও খাওয়া যায়। অন্যদিকে কাঁঠালের বিচি (দানা) বাদামের মতো ভেজে, সিদ্ধ করে সবজিরূপে খাওয়া হয়।

জামের কথা আসলেই মনে পড়ে পল্লী কবি জসীমউদ্দিনের কবিতা, ‘পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ।’ জাম খেয়ে মুখ রঙিন করা সত্যিই এক মজার বিষয়। কে না চায় এটা? আর এ সুযোগ আসে কেবল জ্যৈষ্ঠ মাসেই।

জ্যৈষ্ঠ মাসের আরেক রসানো ফল হলো লিচু। লিচুর বিভিন্ন প্রজাতি থাকলেও দিনাজপুরের মাছুমপুর লিচুর জন্য বিখ্যাত। অন্যদিকে মাদ্রাজী ও বোম্বাই লিচু প্রায় সারা দেশে পাওয়া যায়।

জ্যৈষ্ঠ মাসের রকমারি ফলের মধ্যে আরো রয়েছে তরমুজ, বাঙ্গি, জামরুল প্রভৃতি। এ সবই লোভনীয় ও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।
 
বস্তুত এসব মৌসুমি ফল আল্লাহতায়ালার অপূর্ব নিয়ামত বিশেষ। মানুষ সাধারণত রান্না করে খাবার খায়। কিন্তু ফল এমন একটি নিয়ামত যা রান্না করতে হয় না। খাওয়ার পর পানি পান করার প্রয়োজন হয় না। কারণ অধিকাংশ ফলেই পরিমিত পরিমাণ পানি আছে।

ফলমূলের এ মৌসুমে প্রত্যেকেই চায় ফল খেতে। তবে সাবধান থাকতে হয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দরুন। কারণ তারা আল্লাহর এসব নিয়ামত ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মেশায় দ্রুত পাকানো ও চমক বাড়ানোর জন্য। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে দূরে থাকতে হবে। যারা এমন অন্যায় করছে তাদেরকে সাবধান করতে হবে। সাবধান না হলে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সহযোগিতা করা প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব।

হাদিস শরিফে আছে, ‘প্রকৃত মুসলমান তো সেই, যার জবান ও হস্তদয় থেকে অন্য মুসলমানরা নিরাপদ থাকে।’ অর্থাৎ প্রকৃত মুমিন তো সেই, যার কাছে মানুষ জানমালের নিরাপত্তা বোধ করে। অতএব, সত্যিকার অর্থে মুমিন-মুসলমান হতে হলে খাদ্যে ফরমালিন ইত্যাদি বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে মানুষের জানমালের ক্ষতি সাধন থেকে বিরত হতে হবে।

মৌসুমি এসব ফলের উপকার বলে শেষ করা যাবে না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, মানুষের শরীরে রোগের প্রতিষেধক হিসেবে মৌসুমি ফল-ফলাদির চেয়ে অধিক কার্যকরী ভিন্ন কোনো ওষুধ নেই।

মৌসুমি এসব ফলমূল খেয়ে আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য প্রকাশ করার পাশাপশি নিঃস্ব, অসহায়, দরিদ্রপীড়িত লোক যারা এগুলো কিনে খেতে সক্ষম নয় তাদের দান করাও অনেক বড় সওয়াবের কাজ। মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল শান্তি, সুখ আর সীমাহীন তৃপ্তি।

4
ফুজিতসু, বিশ্বখ্যাত জাপানি প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড। প্রযুক্তিপণ্যের অন্য সব সেক্টরে ব্র্যান্ডটির যেমন নাম ডাক রয়েছে সেই হিসেবে স্মার্টফোনের বাজারে নেই। কিন্তু হঠা করেই ফুজিতসু এমন এক প্রযুক্তি নিয়ে স্মার্টফোনের বাজারে চমক দিল যেটা বিশ্বসেরা অ্যাপল, স্যামসাং’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রেও নজিরবিহীন।

এ মুহূর্তের প্রতিবেদনগুলোতে জানানো হয়, জাপানি এই প্রতিষ্ঠান অ্যারোস এসএক্স এফ-০৪জি নামে নতুন এক স্মার্টফোন প্রকাশ করেছে। যেটা ব্যবহারকারীর চোখ শনাক্ত করে স্মার্টফোন খুলতে সক্ষম।

তথ্য মতে, ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে আইরিশ রিকগনিশন টেকনোলজি যা ব্যবহারকারীদের আলাদা আলাদা আইরিশ প্যাটার্ন সুক্ষভাবে যাচাই করে মূল ব্যবহারকারীকে চিহিৃত করে। নিরাপত্তার দিক থেকে প্রযুক্তিটি অসাধরণ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।

আলোচকরা বলছে, বর্তমানে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লকিং টেকনোলজি নিয়ে বহু স্মার্টফোন এসেছে যেমন স্লাইড, প্যাটার্ন, নাম্বার দিয়ে লক। এ্ররইমধ্যে সেসব পদ্ধতি অনেক যায়গায় পুরনো হয়ে গেছে।

তবে ফুজিতসু পরিকল্পিত এমন প্রযুক্তি আগে কখনও দেখা যায়নি। অবশ্য, কোরিয়ান জায়ান্ট স্যামস্যাংও নাকি আইরিশ-স্ক্যানিং টেক নিয়ে কাজ করছে।

প্রযুক্তিটির ব্যবহার বিষয়ক আরো তথ্য হলো এটি ফোনের ফ্রন্ট ফেসিং ইনফ্রারেড ক্যামেরা এবং ইনফ্রারেড এলইডি লাইট ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর চোখ আলোকিত করে এবং আলাদা আলাদ আইরিশ প্যাটার্ন এর সত্যতা যাচাই করে।

এর পাশাপাশি ফুজিতসু অ্যারোস এনএক্স এফ-০৪জি তে আছে কিছু চমকপ্রদ ফিচার যেমন ৫.২ ইঞ্চি ডিসপ্লে, কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮১০ অক্টা-কোর প্রসেসর, ২০.৭ এমপি ক্যামেরা, ৩১২০ এমএএইচ ব্যাটার এবং অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ ললিপপ ভার্সন।

পণ্যটি বাজারে ছাড়ার সব প্রস্ত্ততি শেষ।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রথমদিকে শুধু জাপানীদের জন্য আনা হলেও এর কিছুসময় পর স্মার্টফোনটি আন্তর্জাতিক বাজারেও আসবে।

এদিকে স্যামসাং’র এ ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার গুজব খবরের উপর ভিত্তি করে বলা হচ্ছে এক্ষেত্রে ফুজিতসুই এগিয়ে।

5
মানব পাচারকারী চক্র মালয়েশিয়াতে চাকরি দেয়ার লোভ দেখিয়ে থাইল্যান্ডে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে। গত ৮ বছরে এভাবে আড়াই লাখ লোক সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের কাছ থেকে মানব পাচারকারীরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের কখনো কখনো মাসের পর মাস এমনকি বছর পর্যন্ত থাইল্যান্ডের দুর্গম জঙ্গলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়। সংঘবদ্ধচক্রের চাহিদা মোতাবেক যারা টাকা দিতে অক্ষম তাদের সেখানে ক্রীতদাস হয়ে থাকতে হয়। নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেককেই মৃত্যুবরণও করেছে।

গত শনিবার (২ মে, ২০১৫) থাই কর্তৃপক্ষ যে ২৬ জনের লাশ খুঁজে পেয়েছে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেও হতভাগ্য বাংলাদেশী রয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে থাই রাবার বাগান থেকে যে ১৩৪ জনের লাশ থাই পুলিশ উদ্ধার করে বিবিসির ভাষ্য অনুযায়ী তার বেশিরভাগই ছিল বাংলাদেশী।

মানব পাচার মানবাধিকারবিরোধী জঘন্য অপরাধ। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানব পাচারের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। মানব পাচারকে দাসত্বের আধুনিক রূপ বলে মনে করা হয়। অনেকের মতে, মানব পাচারের যে পরিমাণ খবর পত্রিকায় আসে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মানব পাচার হয় বিভিন্ন দেশে। অর্থ উপার্জনের সহজ মাধ্যম হিসেবে কিছু লোক মানব পাচারের মতো ঘৃণ্য কাজকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে।

শুধু বর্তমান সময়ে নয়, মানব পাচারের মতো জঘন্য অপরাধের প্রবণতা আগেও ছিল। তাই ইসলাম মানব পাচারকে অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখে। ইসলামের দৃষ্টিতে মানব পাচার সংশ্লিষ্ট সব ধরনের কাজ হারাম। দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা ও বেকারত্বের কারণে যে কোনো অসচেতন নারী-পুরুষ পাচারকারীর কবলে পড়তে পারে। অনেক সময় পাচারকারীরা বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়, যাতে নারী বা শিশুর অভিভাবক নিজেদের সন্তানকে স্বেচ্ছায় তাদের হাতে তুলে দেয়, কিন্তু সে আর ফিরে আসে না। এভাবেই পাচারকারীরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষের স্বাধীনতা হরণ করার পাশাপাশি তাদের বিশ্বাসের চরম অবমাননা ও অবমূল্যায়ন করে থাকে। এর চেয়ে প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি আর কী হতে পারে?

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এর চেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা আর কিছুই নেই যে তুমি এমন ব্যক্তির সঙ্গে মিথ্যার আশ্রয় নেবে, যে তোমাকে বিশ্বাস করে।’-আবু দাউদ

পাচার হওয়া নারী ও মেয়েশিশুদের সাধারণত পতিতাবৃত্তি, পর্নোগ্রাফি, গৃহস্থালির কাজসহ নানাবিধ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, উটের জকি, অঙ্গহানি করে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত করা হয়। আর পুরুষদের বিভিন্ন অমানবিক, অপরাধমূলক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে বাধ্য করা হয়। যেমন— মাদক ও অস্ত্র পাচার, চোরাচালান, চুরি-ছিনতাই ইত্যাদি।

পাচারের শিকার হওয়া মানুষগুলোর মানবাধিকার বা কোনো স্বাধীনতা থাকে না। পাচারকারীরা নারী ও শিশুদের সাধারণত যেসব কাজে নিয়োজিত করা হয়, তার অধিকাংশই শরিয়তসম্মত নয়। এসব কাজ ইসলামে অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানব পাচার শারীরিক ও মানসিক বল প্রয়োগের পাশাপাশি নানা ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে হয়ে থাকে। যেমন- বিদেশে বেশি বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন, বিয়ে করে উন্নতমানের জীবনযাপনের আশ্বাস ইত্যাদি। এ থেকে দেখা যায়, এই অপরাধ বেশিরভাগ সময়ই ঘটে দারিদ্র্য, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, অপরাধ সম্পর্কে অসচেতনতা, লোভ, বেকারত্বসহ নানাবিধ কারণে।

পৃথিবীতে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিভিন্ন অপরাধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে ইসলামে। মানব পাচার একটি প্রতারণামূলক কাজ। এ প্রসঙ্গে ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো, প্রতারণার মাধ্যমে মানব পাচারের শাস্তি বিধানে সরকার তার ধরন ও ভয়াবহতার ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড, জেল-জরিমানা, নির্বাসনে দেয়া, মালামাল ক্রোক করা, সামাজিকভাবে বয়কট করাসহ যে কোনো শাস্তি নির্ধারণ করতে পারে। সে হিসেবে বলা যায়, সমাজের শৃঙ্খলা বিধানের জন্য মানব পাচাররোধে প্রচলিত আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের যে বিধান রাখা হয়েছে, তা ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। মানব পাচার রোধ আজ আমাদের সামনে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমরা চাই আইনের কঠোর প্রয়োগ। মানব পাচারের সঙ্গে যারা নানাভাবে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।

ইসলাম যেহেতু মানব পাচারকে সম্পূর্ণ হারাম ঘোষণা করেছে এবং পাচারকারীদের কঠিন শাস্তি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে, সেহেতু পাচারের মাধ্যমে নির্যাতিতদের জীবন রক্ষায় আত্মনিয়োগ করা প্রতিটি মুসলমানের ওপর অবশ্য করণীয়। ইসলাম মানব পাচারকারীদের কোনো অবস্থাতেই ক্ষমা করে না, তাদের অবশ্যই ইহকাল ও পরকালে কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করতে হবে। আমাদের সমাজ থেকে যাতে আর কেউ পাচার না হয়, সে জন্য জনগণকে সচেতন করতে হবে। সেই সঙ্গে কেউ পাচার হয়ে গেলে তাকে মুক্ত করার জন্যও সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এমন অসহায় নারী, পুরুষ ও শিশুদের বিপদ-আপদে পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়ে আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের কী হলো যে তোমরা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করছ না? অথচ দুর্বল নারী, পুরুষ ও শিশুরা চিৎকার করে বলছে যে, হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের জালিমের জনপদ থেকে উদ্ধার করুন। আপনি আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে সাহায্যকারী পাঠান।’ -সূরা আন নিসা : ১৭৫

বলার অপেক্ষা রাখে না, যারা পাচারের শিকার হচ্ছে তারা মূলত কায়িক শ্রমিক। ন্যূনতম মজুরিটুকু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নিয়েই তারা জীবনের ঝুঁকি নেয়। একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বেড়িয়ে পড়ছে অনেকেই। মানবপাচারকারী চক্র অসহায় ও হতাশাগ্রস্ত এসব মানুষকে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে দাস হিসেবে বিদেশে পাচার করছে। এ প্রবণতা দুখঃজনক।

মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে অমানবিক মানবপাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে বহুবার লেখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল তাতে কর্ণপাত করছে বলে মনে হচ্ছে না। এর ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ইমেজ যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাও আমলে নেয়া হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদেরও এ ব্যাপারে অনেক সময়ই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। অবৈধভাবে মানব পাচার বন্ধ করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য। যে চক্র এই অমানবিক ও অবৈধ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেফতার করে শাস্তিমূলক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জাতীয় স্বার্থেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

6
ইসলাম মায়ের প্রতি যে সম্মান প্রদান করেছেন তা পৃথিবীর সকল সম্মানের ঊর্ধ্বে। পবিত্র কোরআনে কারিমে পিতা-মাতার সাথে সদাচার ও সদ্ব্যবহারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘পিতা-মাতার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো এবং তাদের একজন অথবা উভয়ে যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয় তাহলে তাদের সামনে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না।

বার্ধক্যে উপনীত হয়ে পিতা-মাতা সন্তানের সেবাযত্নের মুখাপেক্ষি হয়ে পড়ে এবং তাদের জীবন সন্তানের দয়া ও করুণার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তখন যদি সন্তানের পক্ষ থেকে সামান্যতম বিরক্তি প্রকাশ পায়, তবে তাদের তা ক্ষত হয়ে দেখা দেয়। বার্ধক্যের কারণে মানুষের মেজাজ কিছুটা খিটখিটে হয়ে যায়। আবার বার্ধক্যের শেষ প্রান্তে বুদ্ধি বিবেকও অকেজো হয়ে পড়ে, তখন পিতা-মাতার চাহিদা এবং দাবি-দাওয়াও এমন হয়ে যায়- যা পূর্ণ করা সন্তানের পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়ে। আল্লাহতায়ালা এ অবস্থায় পিতা-মাতার মনোতুষ্টি ও সুখ শান্তি বিধানের আদেশ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্তানকে তার শৈশবকাল স্মরণ করিয়ে বলেন, আজ পিতা-মাতা তোমার যতটুকু মুখাপেক্ষি এক সময় তুমিও তদাপেক্ষা বেশি তাদের মুখাপেক্ষি ছিলে। তখন তারা যেমন নিজেদের আরাম-আয়েশ ও কামনা-বাসনা তোমার জন্য ত্যাগ করেছিলেন এবং তোমার অবুঝ আবদার কথাবার্তাকে স্নেহ-মায়া-মমতা সহকারে মেনে নিয়েছিলেন, তেমনি মুখাপেক্ষিতার এই দুঃসময়ে বিবেক ও সৌজন্যবোধের চাহিদা এই যে, তাদের প্রতি বিরক্তি প্রকাশের ছোট শব্দ ‘উহ’ও বলা যাবে না, পিতা-মাতার সামান্য কষ্ট হয় তা বলা নিষিদ্ধ। এরপর বলা হয়েছে, পিতা-মাতার সঙ্গে এই সদ্ব্যবহার যেন নিছক লোক দেখানো না হয় বরং আন্তরিক মমতা ও সম্মানের ভিত্তিতে হওয়া কর্তব্য। বস্তুত তোমরা তাদের জন্য এরুপ দোয়া কর- ‘হে আমাদের প্রতিপালক, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবে লালন-পালন করেছেন।’

পিতা-মাতার সঙ্গে ভালো ব্যবহার
হজরদ আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, পিতা-মাতার সদ্ব্যবহারকারী সন্তান যখন ভালোবাসার দৃষ্টিতে পিতা-মাতার দিকে তাকায়, তখন আল্লাহ তার প্রতি দৃষ্টির বিনিময়ে একটি করে কবুল হজের সওয়াব লিখেন। সাহাবারা আরজ করল, যদি দিনে একশ’বার এভাবে দৃষ্টিপাত করে? নবী (সা.) বললেন, হ্যাঁ; একশ’বার দৃষ্টিপাত করলেও প্রত্যেক দৃষ্টির বিনিময়ে এ সওয়াব পেতে থাকবে।

হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে জিজ্ঞেস করলেন, সন্তানের ওপর পিতা-মাতার হক কি? তিনি বললেন, তারা উভয়ে তোমার জান্নাত অথবা জাহান্নাম। তাদের আনুগত্য ও সেবা-যত্ন জান্নাতে নিয়ে যায় এবং তাদের সঙ্গে বেয়াদবি ও তাদের অসন্তুষ্টি জাহান্নামে পৌঁছে দেয়।

পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া
মুসলিম শরিফে বর্ণিত আছে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) পুনঃপুনঃ বলতে লাগলেন লাঞ্ছিত ও অপমানিত হোক অপদস্থ হোক। লোকেরা আরজ করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! কার ওপর এমন বদদোয়া করছেন? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি পিতা-মাতা উভয়কে বা উভয়ের যে কোনো একজনকে বৃদ্ধবস্থায় পাওয়া সত্ত্বেও তাদের সেবা-যত্ন দ্বারা নিজের বেহেশতে গমন সুনিশ্চিত করে নিতে পারলা না।

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সাহাবাদের লক্ষ্য করে বললেন, কবিরা গুণাহের মধ্যে অধিক বড় গুণাহ কোনটি- তা কি আমি তোমাদের বলব? সাহারা বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই। তিনি বললেন, তা হলো- আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা এবং পিতা-মাতার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ, তাদের অধিকার অনাদায় ও দুর্ব্যবহার করা।

হজরত আবু বকর (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা চাইলে যত গুনাহ এবং যেকোনো গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। তবে পিতা-মাতার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ ও তাদের নাফরমানি করলে তা তিনি কখনও ক্ষমা করবেন না, কেননা এর শাস্তি মুত্যুর পূর্বেই এ দুনিয়ায় শিগগির প্রদানের জন্য আল্লাহ তার আয়ু কমিয়ে দেন। আর যখন কোনো বান্দা তার পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ করে তখন আল্লাহ তার আয়ু বাড়িয়ে দেন, যাতে সে আরো সৎকাজ করে বেশি বেশি নেকি অর্জন করতে পারে।

পিতা-মাতা যাদের জীবিত আছে তাদের উচিত পিতা-মাতার প্রতি সুদৃষ্টি দেয়া এবং তাদেরকে সবসময় খুশি রাখা। তাদের প্রতি কোনো সময় কোনো ধরনের খারাপ আচরণ না করা। পিতা-মাতা সন্তানের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য রহমতবিশেষ। যে সন্তান পিতা-মাতার সন্তুষ্টি অর্জন করতে ব্যর্থ হলো তার চেয়ে দুর্ভাগা এ ধরায় আর কে হতে পারে?

7
আগামীকাল মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার, বিশ্ব মা দিবস। পৃথিবীর সব সন্তানের কাছে ‘মা’ শব্দটি যেমন সবচেয়ে দৃঢ় সম্পর্কের নাম, তেমনি সবচেয়ে পবিত্র ও মধুরতম শব্দের নাম। সন্তানের জীবনের চরম সংকটকালে পরম সান্ত্বনা ও ভরসার স্থল হিসেবে যার কথা প্রথম মনে পড়ে তিনি মমতাময়ী মা। একজন আদর্শ মায়ের অভাবে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতি বিপন্ন হতে বাধ্য। সুতরাং মা হিসেবে ইসলামে একজন নারীর অবস্থান বা মর্যাদা অকল্পনীয়। মা সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে, ‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।’ কম শব্দের এ হাদিসে অত্যন্ত ব্যাপকভাবে বলে দেয়া হয়েছে মা সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি। সুতরাং মায়ের সন্তুষ্টি অর্জন একজন সন্তানের অপরিহার্য দায়িত্ব।

শান্তির ও মানবতার ধর্ম ইসলাম মা’কে দিয়েছে বর্ণনাতীত মর্যাদা ও সম্মান। ইসলামের দৃষ্টিতে বাবার চেয়ে মায়ের মর্যাদা তিন গুণ বেশি। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! মানুষের মাঝে আমার নিকট থেকে সর্বোত্তম সেবা লাভের অধিকার কার? নবী (সা.) বলেন, তোমার মায়ের। লোকটি পুনরায় জানতে চাইলেন, তারপর কার? তিনি বললেন, তোমার মায়ের। লোকটি পুনরায় জানতে চাইলেন, তার পর কার? তিনি বললেন, তোমার মায়ের। লোকটি আবারও জানতে চাইলেন, তারপর কার? তিনি বললেন, তোমার পিতার। -বোখারি ও মুসলিম

পবিত্র কোরআনে কারিমের কয়েক স্থানেও মায়ের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করে মাকে বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তার মা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভধারণ করেছেন এবং দুই বছর দুগ্ধপান করিয়েছেন।’ –সূরা লোকমান : ১৪

‘তার জননী তাকে কষ্ট সহকারে গর্ভধারণ করেছেন এবং কষ্ট সহকারে প্রসব করেছেন। তাকে গর্ভেধারণ করতে ও স্তন্যছাড়তে সময় লেগেছে ত্রিশ মাস।’ -সূরা আহকাফ : ১৫

উল্লেথিক আয়াত দু’টোতে বিশেষতঃ মায়ের কষ্টের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। নয় মাস ধরে গর্ভেধারণ, অপরিসীম কষ্টের সাথে সন্তান প্রসব করণ এবং গর্ভধারণ ও বুকের দুধ খাওয়ানোতে ত্রিশ মাস কাটানো এ ধরনের কষ্টের বদলা দেয়া সন্তানের পক্ষে অসম্ভব।

কোনো ব্যক্তি মাকে পিঠে বহন করে হজ সম্পাদন করালেও তার বদলা পরিশোধ হবে না। এ বিষয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, জনৈক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর দরবারে হাজির হয়ে অভিযোগ করল যে, তার মা বদমেজাজের। রাসূল (সা.) বললেন, নয় মাস পর্যন্ত অব্যাহতভাবে যখন তিনি পেটে ধারণ করে ঘুরছে তখন তো তিনি বদমেজাজের ছিলেন না। লোকটি বলল, হুজুর আমি সত্যই বলছি, তিনি খারাপ মেজাজের। হুজুর (সা.) বললেন, তোমার জন্য যখন তিনি রাতের পর রাত জাগ্রত থেকেছেন এবং তোমাকে দুধ পান করিয়েছেন তখন তিনিতো বদমেজাজের ছিলেন না। সে ব্যক্তি বলল, আমি আমার মায়ের প্রতিদান দিয়ে ফেলেছি। রাসূল (সা.) বললেন, সত্যিই কি তার প্রতিদান দিয়ে ফেলেছো? জবাবে লোকটি বলল, আমি আমার মাকে কাঁধে চড়িয়ে হজ করিয়েছি। তখন রাসূল (সা.) এবার সিদ্ধান্তকারী রায় দিয়ে বললেন, ‘তুমি কি তার সে কষ্টের বদলা বা প্রতিদান দিতে পার যা তোমার ভূমিষ্ট হওয়ার সময় স্বীকার করেছেন? অর্থাৎ মাকে পিঠে করে হজ সম্পাদন করালেও ভূমিষ্ট হওয়ার সময়ে তার যে কষ্ট হয়েছে সেটার ন্যূনতম বদলা হবে না।

হাদিস থেকে আরো জানা যায় যে, নামাজ চালিয়ে যাওয়া থেকে মায়ের ডাকে সাড়া দেয়া উত্তম কাজ। ইসলামে মা হিসেবে নারীকে যে সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে দুনিয়ার অপর কোনো সম্মান বা মর্যাদার সাথে তার তুলনা চলে না।

মায়ের সেবা-যত্ন না করলে, মাকে কষ্ট ও দুঃখ দিলে সন্তান যতই ইবাদত-বন্দেগি আর নেকের কাজ করুক না কেন, তার পক্ষে বেহেশত লাভ করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করিম (সা.)-এর সময় ‘আলকামা’ নামক এক যুবক কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। তার রোগ ক্রমশঃ বৃদ্ধি পেতে থাকে। শয্যাপাশে উপস্থিত সেবা-শুশ্রুষাকারীরা জীবনের অন্তিম সময় ভেবে তাকে কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করার উপদেশ দিতে থাকে। কিন্তু শত চেষ্টা করেও সে তা উচ্চারণ করতে পারে না। রাসূল (সা.) এ আর্শ্চয ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে জিজ্ঞাসা করলেন, তার মা কি জীবিত আছে? বলা হলো তার পিতা মারা গেছে তার মা জীবিত আছে। অবশ্য সে খুবই বয়োবৃদ্ধ। তখন তাকে রাসূল (সা.)-এর দরবারে উপস্থিত করা হলো। তার নিকট তার ছেলের কথা উল্লেখ করে এর কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাস করা হলো। সে বলল, আলকামা বড় নামাজী, বড় রোজাদার ব্যক্তি এবং বড়ই দানশীল। সে যে কত দান করে তার পরিমাণ কারো জানা নেই। রাসূলুল্লাহ (সা.) জিজ্ঞাস করলেন, তোমার সাথে তার সম্পর্ক কেমন? উত্তরে বৃদ্ধা মা বলল, আমি ওর প্রতি খুবই অসন্তুষ্ট। তার কারণ জিজ্ঞাসা করায় সে বলল, সে আমার তুলনায় তার স্ত্রীর মন যোগাত বেশি, আমার ওপর তাকেই বেশি অগ্রাধিকার দিত এবং তার কথা মতো কাজ করতো। রাসূল (সা.) বললেন, ঠিক এ কারণেই আল্লাহতায়ালা তার মুখে কালেমার উচ্চারণ বন্ধ করে দিয়েছেন। অতঃপর রাসূল (সা.) হজরত বিলাল (রা.)কে আগুনের একটি কুণ্ডুলী জ্বালাতে বললেন এবং তাতে আলকামাকে নিক্ষেপ করার আদেশ করলেন। আলকামার মা এ কথা শুনে বলল, আমি মা হয়ে তা কেমন করে হতে দিতে পারি! সে যে আমার সন্তান, আমার কলিজার টুকরা। এবার রাসূলে কারিম (সা.) বললেন, তুমি যদি চাও যে, আল্লাহ তাকে মাফ করে দিন তাহলে তুমি তার প্রতি খুশি হয়ে যাও। অন্যথায় আল্লাহর শপথ, তার নামাজ, রোজা ও দান-খয়রাতের কোনো মূল্যই হবে না আল্লাহর দরবারে। অতঃপর আলকামার মা বলল, আমি আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি তাকে মাফ করে দিলাম। এরপর খবর নিয়ে জানা গেল যে, আলকামা অতি সহজেই কালেমা উচ্চারণ করতে সমর্থ হয়েছে। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এ হাদিস প্রমাণ করে মায়ের মনে এতটুকু কষ্ট কত বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। হাদিসের এ ঘটনা মায়ের মর্যাদাকে বাড়িয়ে আরো শক্তিশালী করেছে।

মায়ের সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নবী করিম (সা.)-এর ভূমিকা বিশ্বের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। তিনি মায়ের স্নেহ-মমতার সুযোগ না পেলেও দুধ মা হালিমার স্নেহ-মমতা ভুলেননি। নবী করিম (সা.)-এর অন্তরের মণিকোঠায় ছিল মা হালিমার স্থান। তাই চল্লিশ বছরের বেশি বয়সেও তাকে মা, মা বলে ডাকতে শুনা যেত। নিজের গায়ের চাদরটি খুলে বিছিয়ে তার বসার স্থান করে দিতে দেখা যেত।

বস্তুত মা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত। ইসলাম মাকে যথাযথ মর্যাদা ও মূল্যায়ন করেছেন। ইসলাম মনে করে মায়ের মর্যাদা ও সম্মানকে বিশেষ দিনে আবদ্ধ না করে ইসলাম প্রদত্ত মর্যাদা ও সম্মানের আলোকে সারা জীবন প্রত্যেকেই নিজ নিজ জন্মদাত্রী মায়ের সেবা-যত্ন ও সম্মান করুক, মর্যাদা দিক।

8
Cricket / Tamim, Imrul showed you can think big - Mushfiqur
« on: May 04, 2015, 03:57:34 PM »
Every time Imrul Kayes returned to and headed out from the dressing-room during breaks on the fourth day of the first Test, his teammates reminded him how his idol Kumar Sangakkara used to balance the tough job of keeping wicket and batting in the top order. It was an unusually exasperating assignment for Kayes, one that he would almost certainly never have to repeat.

Imrul kept wicket for 120 overs after Mushfiqur Rahim sprained his right ring finger while dropping Azhar Ali on the second day, before partnering with Tamim Iqbal for a record-breaking 312-run opening stand in the second innings. They became the first opening pair to add more than 300 in the second innings of a Test, and in the process saved the game for Bangladesh after they had conceded a first-innings lead of 296.

Both Imrul and Tamim got to their highest Test scores, 150 and 206 respectively. Tamim now holds the highest score for Bangladesh in all three formats, and the double-hundred was a continuation of his heavy scoring against Pakistan, after two hundreds and a fifty in the ODI series.

Bangladesh captain Mushfiqur said he was happy that Tamim overtook his individual highest Test score but added that Imrul deserved more recognition because he did it under physical and circumstantial pressure.

"You have to give Imrul more credit," Mushfiqur said. "He wasn't playing in the ODIs and neither did he score in domestic cricket. He was under pressure and to play such an innings is an achievement. He had a lot of extra work as a keeper in this game. We gave them support during the break.

"We tried to remind him that just like his idol Sangakkara keeps wicket and bats for 200 overs, you have to do it. They batted for so long in this heat. Hats off to them for their concentration. I hope we can remain like this consistently. We believed that we could bat four or five sessions if our ball selection was mostly correct. I didn't think their partnership would be this big. It was outstanding."

Mushfiqur said that the pair's mentality helped the team. Tamim and Imrul raced to their hundreds in the last session on day four. Typically Bangladesh batsmen are prone to be dismissed soon after a milestone or when approaching the end of a session or a day. But they kept going at the same tempo and hit Pakistan out of the game by the end of the fourth day, as admitted later by captain Misbah-ul-Haq.

"You won't give your best if you don't want to win," Mushfiqur said. "The draw mentality doesn't give you a chance to improve. Tamim and Imrul showed that you can think big. They could have stopped it at a 100-run stand but they just kept pushing themselves. They played for the team."

Tamim echoed Mushfiqur's words later, saying that they had to bat longer to make sure the Pakistan bowlers had less time to bowl them out and chase a target.

"Our own job was over after we made hundreds," Tamim said. "We went to bat thinking now we have to do the team's job. We have to kill time despite remaining positive.

"Imrul's batting was unbelievable. I am lucky that we bat well together. The manner in which he is batting, anyone would enjoy batting with Imrul. Getting to the record is unbelievable. We are both very happy.

Tamim said that he was thinking about the double hundred when he was 30-odd runs away from the mark. On 182, he struck two sixes off Yasir Shah over long-on and on 195, his straight blast over bowler Junaid Khan got him to 201.

"I have never been able to reach the standards I have set. I am happy that I have been able to fulfill a dream of making a double hundred. I started thinking about the double hundred when I was on 169. Then a few sixes happened. I knew he would bowl at that spot when I was on 195. It was always going to be good for me if I made it out quickly.

"I think Mushfiqur has the best chance to surpass this record within the next year. I am sure Mushfiqur is very happy; he has been helping me a lot in my bad times."

This is now the mother of all opening partnerships for Bangladesh, and also a milestone for second-innings rearguard action in Tests. Coach Chandika Hathurusingha was moved to say that he had not seen anything like this before.

"I have never seen a fightback like that," Hathurusingha said. "Pakistan's bowling attack is arguably the best on this type of wicket at the moment. Under pressure of 300 runs behind, (it) is a hell of an achievement."
Source: https://cricket.yahoo.com/news/tamim-imrul-showed-think-big-020000585.html

9
Throughout my 18-year corporate life, I would find myself staying late in the office more often than not. If I’m brutally honest with myself, I did it for two reasons – to try to stay caught up with what I felt was a massive workload, but also, to show management that I was a very hard worker. One day, a senior vice president who noticed my habitual late hours said, “If you’re staying late so often, Kathy, you’re just not prioritizing and managing your work effectively.” And boy did that make me mad.

At that time, I didn’t see myself as the problem – it was my boss and the never-ending chaos on my plate each day that was the culprit. Today, in my coaching work with emerging women leaders, one of the chief complaints I hear is, “I simply cannot balance my other life priorities with the number of hours I have to work.” It’s truly an epidemic.

To understand how we can turn this around, both in corporate and other workplaces, I caught up with Joe Staples, chief marketing officer at Workfront, a cloud-based Enterprise Work Management solution designed to help enterprise teams—from IT to marketing to company leadership—eliminate the typical chaos of work and gain greater visibility company wide. In his role, Joe focuses on helping teams eliminate the unending chaos of work that kills productivity, drains motivation and stifles creativity.

Kathy Caprino: Joe, how many Americans work overtime, and what are the key reasons for it?

Joe Staples: A recent Gallup poll found that the average American workweek, which has traditionally been 40 hours, now spans more than 47. That means each week on average we end up clocking an entire extra day of work. Salaried workers are hit the hardest, with a full 25% saying they log a grueling 60 hours per week, which equals working 12-hour days from Monday to Friday, or slightly shorter weekdays with much of the weekend also on the clock.

What makes today’s workplace successful, however, is not the total number of hours worked: instead, it’s about getting the job done. That means there are days when 10 hours are required. There are also other times with 7 hours are all that is needed. The problem is that many companies focus only on the “hours worked” component, and that’s not the best metric for productivity.

Still keeping in mind that the focus should be on the work to be accomplished, not the hours worked, this move toward working longer hours has several contributing factors.

Source: forbes.com/sites/kathycaprino/2015/04/30/5

10
Story, Article & Poetry / Did Tesla Just Kill Nuclear Power?
« on: May 04, 2015, 03:47:11 PM »
It would be almost three hours until Tesla’s big announcement, but inside a Northwestern University classroom near Chicago Thursday night, the famed nuclear critic Arnie Gundersen had the inside scoop:

Tesla Motors TSLA -0.04% CEO Elon Musk was about to announce an industrial-scale battery, Gundersen said, that would cost about 2¢ per kilowatt hour to use, putting the final nail in the coffin of nuclear power.

Thus Tesla’s big news broke first not amongst the throng of reporters gathered under swirling colored lights at the carmaker’s Hawthorne, Calif. headquarters, but in the middle of a debate on the future of nuclear power sponsored by students agitating for a “Fossil Free NU.” It was Gundersen vs. Jordi Roglans-Ribas, the director of the Nuclear Engineering Division of Argonne National Laboratory.

Roglans-Ribas had just finished arguing that any future free of fossil fuels would need nuclear power, which provides carbon-free energy 24 hours a day, supplying the reliability lacking in renewables like solar and wind.

Gundersen called that claim a “marketing ploy.”

“We all know that the wind doesn’t blow consistently and the sun doesn’t shine every day,” he said, “but the nuclear industry would have you believe that humankind is smart enough to develop techniques to store nuclear waste for a quarter of a million years, but at the same time human kind is so dumb we can’t figure out a way to store solar electricity overnight. To me that doesn’t make sense.”

Then Gundersen told the audience of about 80 students and visitors that it was a momentous day in history—because of something that was about to happen in California. He evoked Elon Musk, the founder of PayPal , chairman of SpaceX and SolarCity SCTY +2.6%, and the product architect for Tesla Motors:

“At about ten ‘o’clock tonight he’s going to hold a press conference and he’s going to announce that he’s going to build industrial scale storage batteries. While the announcement is still two hours away, it appears that they’ll be able to produce these large batteries for about 2¢ per kilowatt hour. That’s an enormous breakthrough,” Gundersen said.

“So the nuclear argument that they’re the only 24-7 source is off the table now because  Elon Musk has convinced me that industrial scale storage is in fact possible, and it’s here.”

And a few hours later Musk announced the launch of Tesla Energy, ”a suite of batteries for homes, businesses, and utilities fostering a clean energy ecosystem and helping wean the world off fossil fuels.” Many had anticipated the batteries—but not the price.

Tesla will sell the home battery, the Tesla Powerall, for $3,500, a fraction of the $13,000 price observers had expected, and perhaps more importantly, a fraction of the cost of the $10,000 battery announced earlier this week by European competitors Sungevity and Sonnenbatterie.

Musk did not describe the cost of the utility-scale battery, but the prospect of a cheap new battery powered Gundersen’s economic argument as he collegially set out to demolish the nuclear claim:

The UK government just signed an agreement guaranteeing a price of 16 cents per kilowatt hour for power generated by a reactor proposed for Hinkley Point, on the coast at Somerset, England. That fresh contract represents an example, Gundersen argued, of the market price of new nuclear power.

Solar power costs six to seven cents, he said, and wind costs four or five cents.  Add 2¢ for the cost of a utility-scale Tesla battery, and renewables with reliable storage are still at half the price of new nuclear power.

They’re also approaching the price of existing nuclear power.

“Here in Illinois you know it’s true because Exelon EXC +0.29% is threatening to close five nuclear plants because they can’t compete with wind anymore.”

The real cost of various sources of energy is a topic of debate. Last year the U.S. Dept of Energy said the cost of wind power had reached a new low of 2.5 cents per kilowatt hour (pdf). The cost of solar is typically pegged much higher, but the UN Energy Information Agency estimates solar is on a path to a cost of about 4 cents per kilowatt hour in coming decades.

Gundersen is a former nuclear engineer and executive who lost his job in 1990 after reporting safety violations to his employer. He testifies and campaigns against nuclear power for Fairewinds Energy Education, a non-profit founded by his wife, Maggie Gundersen, also a former nuclear industry employee.

Gundersen’s debate opponent, Roglans-Ribas, did not address the Tesla battery development. He based his argument largely on reliability before Gundersen played that card, and he suggested that reliability alone would not sustain nuclear power—that it would need regulatory help to compete.

“To actually be able to incentivize reliability in the electric grid will be the key,” Roglans-Ribas said. “And that is where nuclear power can play a key role.”

Each kilogram of uranium burned in a reactor saves “thousands or millions of tons of CO2 emissions,” he said, conceding that “renewables can do the same thing.” But if the U.S. depends entirely on renewables, he predicted, a point will come when the supply cannot meet the demand.

“The solution to moving way from fossil fuels, moving away from greenhouse gas emissions, the solution is a mix that includes nuclear and includes also renewables and also other sources, including for example gas turbines that provide peaking power,” Roglans-Ribas concluded.

But Gundersen dismissed the nuclear contribution as too expensive and too slow—even if the U.S. could license and afford new reactors, they could not come online before 2023—and he replaced the nuclear contribution with batteries and conservation.

“The operative word in this discussion tonight is now. What are we going to do now to reduce the amount of carbon dioxide going into the atmosphere?”  he said. “These things can be implemented immediately. We know how to insulate a building. We know how to put double and triple-pane windows in them. We know how to build windmills and put solar cells up. These are immediate things. We don’t have to invest $50 trillion and wait 15 years for that to come to fruition.

“Producing our way out of the problem with renewables is half the solution. Conserving our way out is the other half.”
Source: forbes.com

11
Jiangsu and Anhui provinces did not attract sufficient buyer interest last month for their bond offerings. As a result, Beijing’s heralded debt-for-bond swap program failed to launch.

The unexpected withdrawals suggest central government technocrats are running out of options to rescue the faltering economy.

On April 16, Jiangsu announced a plan to offer 64.8 billion yuan ($10.5 billion) of bonds with maturities of three, five, seven, and ten years. The five- and seven-year debt was slated to make up more than half the total.

As the South China Morning Post notes, it is not clear whether the Jiangsu offering was part of the trillion-yuan swap program, as widely reported, or an allocation of the 600 billion yuan quota for regional and local government debt contained in the national budget for this year. In any event, Jiangsu’s bonds would have been the first issued since the Finance Ministry announced the debt swap on March 8 and were therefore a crucial test of sentiment.

The central government, with its swap program, sought to help provinces and lower-tier governments by turning bank debt into bonds, thereby lowering interest payments and lengthening maturities. Many of the existing obligations had been incurred by LGFVs, the notorious local government financing vehicles, in arrangements intended to avoid Beijing’s now-modified prohibition on debt issuance.

Despite the strict rule against borrowing, local governments had managed to incur, by June 30, 2013, 17.9 trillion yuan of debt according to the National Audit Office. The actual sum was probably in excess of that, and the amount has undoubtedly increased since then as municipal and city tax collections and other revenue have recently plummeted.

The land-sale revenue of Nanjing, Jiangsu’s capital, fell 39% in 2014, for instance. This revenue, which until recently was the primary source of cash for many local governments, will almost certainly drop this year. Land sales declined 32% in the just-completed quarter for the country as a whole. In the second week of April, revenue from such sales fell 57% in 40 Chinese cities.

No wonder the underwriting team for the Jiangsu deal, led by seven banks, had problems marketing the paper. Apparently, banks, the primary takers of bonds in China, thought the offered interest was too low.
Source : forbes.com/sites/gordonchang/2015/05/03/in-chinas-bond-market-something-worse-than-a-default/

12
Chevrolet announced pricing for the redesigned 2016 Volt on Sunday.  Will it get more buyers interested in the plug-in hybrid?

The pricing, which includes delivery, starts at $33,995, according to an email sent out by Chevrolet on Sunday. That’s a price cut of more than $1,000 compared to the outgoing 2015 model.   $34,345

“The price may…disappoint Volt fans who had hoped the price would fall to a level closer to $30,000,” wrote John Voelcker of Green Car Reports. But it does get the Volt closer to the average price of a new vehicle. “The $34,000 price puts the Volt very close to the average price of a new vehicle: According to KBB, last month the estimated average transaction price for a light vehicle sold in the U.S. was $33,560,” Voelcker wrote.

The 2016 Chevy Volt, however, does qualify for the $7,500 federal income-tax credit for electric vehicles, as well as a $1,500 rebate from the state of California.  “Pricing will be as low as $26,495 after the full federal tax credit of $7,500,” Chevrolet said.

And the 2016 Volt offers greater range on a single battery charge. “Volt lets you drive up to 50 EV miles on a single charge, nearly 30 percent greater range than the previous model,” Chevrolet said in the release.  The first-generation Volt, which includes the 2015 model, gets anywhere from 35 to 40 miles on a single charge.

The Volt is a plug-in hybrid, which means it comes with a range-extending gasoline powered internal combustion engine (ICE).  With first-generation models, the ICE typically adds about 300 miles on top of the EV (electric vehicle) miles.

In April, Volt posted sales of 905 vehicles, its best month since December.  But sales, overall, have trended downward in the past 12 months while GM readies the redesigned 2016 model.  In total, GM has sold 76,136 Volts since the car’s introduction in December 2010. The Nissan Leaf, a pure electric car, with an average rated range of 84 miles, saw April sales of 1,553 units.  In the U.S., Nissan has sold a total of 77,960 Leafs since its introduction.

Source: .forbes.com/sites/brookecrothers/2015/05/04/2016-chevrolet-volt-pricing-announced-will-it-move-the-needle/

13
রাতের পাখি পেঁচা। অনেকের কাছে পেঁচা ভূতুড়ে পাখি বলেও পরিচিত। কিন্তু কেন? রাতের আঁধারে সব পশুপাখি যখন গভীর ঘুমে নিমগ্ন থাকে, তখন জেগে থাকে পেঁচার জ্বলজ্বলে চোখ। রাতের বেলায় পেঁচার রক্ত হিম করা ডাক শুনে ভয় পেয়ে যায় সাহসী মানুষেরাও। আর তাই বুঝি সে ভূতুড়ে পাখি।

পেঁচার বিষয়ে মানুষের মনে রয়েছে নানা কৌতূহল। এই যেমন পেঁচা অন্ধকারে দেখে কী করে! দিনের আলোতেও পেঁচা দেখতে পায় কি-না। নিশ্চয়ই তোমাদের মনেও রয়েছে এই একই প্রশ্ন, তাই না!
 
আচ্ছা, তবে একে একে বলছি। তোমরা অনেকেই হয়তো সত্যিকারের পেঁচা দেখেছো। যারা দেখোনি, তারা নিশ্চয়ই ছবি দেখেছো। ভালো করে খেয়াল করলে দেখবে, পেঁচার চোখ দু’টো অন্যান্য প্রাণীর চোখের চেয়ে অনেক বড়। ফলে পেঁচার চোখে মানুষের চোখের তুলনায় অনেক বেশি আলো প্রবেশ করে।

আমাদের চোখের ভেতরে আলো প্রবেশের পর তা চোখের পেছনদিকে রেটিনায় পৌঁছে সামনের বস্তুর ছবি তৈরি করে। আর সেজন্যই আমরা দেখতে পাই।

পেঁচার চোখের ভেতরে যেহেতু আমাদের চোখের চেয়ে বেশি আলো প্রবেশ করে, তাই পেঁচার জন্য দেখাটা অনেক সহজ হয়ে যায়। এছাড়া পেঁচার চোখে রড সেল নামে এক ধরনের বিশেষ কোষ থাকে। আর এই কোষ পেঁচাকে রাতের অন্ধকারে দেখতে সাহায্য করে। অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় পেঁচার চোখে রড সেলের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই এদের জন্য অন্ধকারে দেখা খুব সহজ।
 
পেঁচার চোখের পেছনদিকে ট্যাপেটাম লুকিডাম নামে এক ধরনের কাঠামো থাকে। চোখে আলো পড়ার পর তা রড সেলে লেগে ট্যাপেটাম লুকিডামে পড়ে এবং সবশেষে আবার রড সেলে আঘাত করে। ফলে পেঁচা একবার নয় বরং দুইবার আলো দেখতে পায়। সেজন্য রাতটাও ওদের কাছে দিনের মতোই আলোকিত হয়ে যায়।

আরেকটা কথা, আমাদের অনেকেরই ধারণা পেঁচা দিনে চোখে দেখতে পায় না। আর তাই সারাদিন ঘুমায় আর রাতে জেগে থাকে। কথাটা কিন্তু ভুল বন্ধুরা। পেঁচা দিনের আলোতেও দেখতে পায়। কিন্তু তীব্র আলোয় ওদের চোখের পিউপিল আমাদের চেয়ে কম সঙ্কুচিত হয়। তাই তীব্র আলো ওরা সহ্য করতে পারে না। সেজন্য দিনের আলোয় ওরা চোখের পাতা অর্ধেক বন্ধ রাখে। তার মানে বুঝলে তো বন্ধুরা, পেঁচা দিনের আলোতেও দেখতে পায়।

এবার থেকে কখনও যদি দিনের বেলায় পেঁচাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখো, তাহলে বুঝে নেবে সে মোটেও ঘুমিয়ে নেই। বরং চোখ অর্ধেক বন্ধ রেখেই সবকিছু দেখছে সে।

14
পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষের দিনটি বাঙালিদের জন্য সবচেয়ে আনন্দময়, সবচেয়ে রঙিন উৎসব। এই দিন বাঙালি জাতি পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে। পুরনো সব হিসাব-নিকাশ, চাওয়া-পাওয়ার তালিকা দূরে ঠেলে সবাই নতুন উদ্যমে নতুন বছরের দিনপঞ্জি খোলে।

অন্য সবার মতো নিশ্চয়ই তুমিও খুব আগ্রহ নিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অপেক্ষায় থাকো, আনন্দ আর খুশিতে বরণ করে নাও নতুন বছর। আচ্ছা, এই যে আমরা পহেলা বৈশাখের জন্য এত প্রস্তুতি নিই, কখনো কি জানতে ইচ্ছে হয়েছে, কেন পহেলা বৈশাখই নববর্ষ হলো? অন্য কোনো দিন কেন হলো না?

এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে অবশ্য অনেক অনেক আগের কথা বলতে হবে। আসলে সম্রাট আকবরের আমল থেকে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। সেসময় সম্রাট খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। প্রাচীন কিছু বর্ষপঞ্জিকার সাহায্যে তৈরি করা হয় বাংলা বর্ষপঞ্জিকা।

আকবরের আমল থেকেই চৈত্র মাসের শেষদিনের মধ্যে খাজনা দিতে হতো। এর পরদিন জমির মালিকেরা নিজেদের এলাকার অধিবাসীদের মিষ্টি খাওয়াতেন। এছাড়াও ব্যবসায়ীরা ‘হালখাতা’ করত, অর্থাৎ নতুন হিসাবের খাতা খুলত। তখন মূলত হালখাতারই উৎসব ছিলো পহেলা বৈশাখ। এরপর ধীরে ধীরে নানা সংস্কার ও সংযোজনের পর বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয় এটি।

এখন কিন্তু বাংলা একাডেমি পহেলা বৈশাখের দিন নির্ধারণ করে দিয়েছে। আগে দু-একদিন আগে পরে হলেও এখন ইংরেজি বর্ষের ১৪ এপ্রিল বাংলা বছর শুরু হয়।

বিভিন্ন দেশে নববর্ষ উদযাপনের বিভিন্ন রীতি আছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনেরও আছে নিজস্ব ঐতিহ্য। পহেলা বৈশাখে লাল-সাদা পোশাক পরার প্রথা প্রচলিত রয়েছে। এছাড়া এদিন পান্তা-ইলিশ খাওয়া আমাদের ঐতিহ্যের অংশে পরিণত হয়েছে।

নানা আয়োজনের মাধ্যমে আমরা প্রতিবছর বাংলা নববর্ষ উদযাপন করি। বৈশাখী মেলা নববর্ষের একটি অন্যতম প্রধান আয়োজন। বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকম আয়োজনের মাধ্যমে নববর্ষ বরণ করা হয়। এসব ঐতিহ্যবাহী আয়োজনের মধ্যে রয়েছে নৌকাবাইচ, ষাঁড়ের লড়াই, কুস্তিখেলা ইত্যাদি।

এছাড়া প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠান বাংলা নববর্ষ উদযাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে নানা রঙের মুখোশ নিয়ে বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয় পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রহরে। এই শোভাযাত্রা ছাড়া বর্ষবরণ পূর্ণতা পায় না। এছাড়াও আরো নানা আয়োজনের মাধ্যমে বাঙালি বরণ করে নেয় নতুন বছরকে।

আজ বৈশাখ মাসের প্রথম দিন। বাংলা নববর্ষ। ১৪২১ সালকে বিদায় দিয়ে দুয়ারে পা রেখেছে ১৪২২। নতুন বছর সবার জন্য বয়ে আনুক শান্তি, সমৃদ্ধি আর আনন্দ। বছরের প্রতিটা দিন হোক আনন্দময়, কল্যাণময়। তোমাদের সবাইকে নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

15
অহংকার একটি খারাপ গুণ। এটা শয়তানের বৈশিষ্ট্য, আল্লাহতায়ালা যাদের অন্তর আলোহীন করে দিয়েছেন; তাদের অন্তরে অহংকার জায়গা করে নেয়। সর্বপ্রথম আল্লাহতায়ালা ও তাঁর সৃষ্টির ওপর যে অহংকার করেছিল সে হচ্ছে, অভিশপ্ত ইবলিস। তাই অহংকার ইবলিসি চরিত্র।

অহংকার প্রসঙ্গে হাদিসে আছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ অহংকার আছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। একলোক বলল, যে কোনো লোক পছন্দ করে তার জামাটা ভালো হোক, তার জুতাটা ভালো হোক? তিনি বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ সুন্দর; তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। অহংকার হচ্ছে, সত্যকে উপেক্ষা করা এবং মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা।’ -সহিহ মুসলিম

সত্যকে উপেক্ষার অর্থ, সত্য জেনেও সেটাকে প্রত্যাখ্যান করা। আর মানুষকে তুচ্ছ করার অর্থ, মানুষকে ছোট মনে করা, মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা। অহংকারী ব্যক্তিকে আল্লাহ ধ্বংস করে দেন, তার প্রভাব-প্রতাপ নস্যাৎ করে দেন ও তার জীবনকে সংকুচিত করে দেন। আলেমরা বলেন, যে ব্যক্তি অহংকার করতে চায় ও বড়ত্ব দেখাতে চায় আল্লাহ তাকে নিচে ছুড়ে ফেলে দেন ও বেইজ্জত করেন।

যে ব্যক্তি মানুষের ওপর অহংকার করে কিয়ামতের দিন তাকে মানুষের পায়ের নিচে মাড়ানো হবে। এভাবে আল্লাহতায়ালা অহংকারের কারণে তাকে অপমানিত করবেন।

অহংকারের নানান রূপ রয়েছে—

১. সত্যকে গ্রহণ না করা; অন্যায়ভাবে বিতর্ক করা।

২. নিজের সৌন্দর্য্য, দামী পোশাক ও দামী খাবার ইত্যাদি দ্বারা অভিভূত হয়ে পড়া এবং মানুষের ওপর দাম্ভিকতা ও অহংকার প্রকাশ করা।

৩. আত্মীয়স্বজন ও বংশধরদের নিয়ে গৌরবের মাধ্যমেও অহংকার হতে পারে। অহংকার হকে পারে, নিজের সম্পদ, মেধা ইত্যাদিরও।

অহংকার প্রতিরোধ করার উপায়—

নিজেকে অন্য দশজন মানুষের মতো স্বাভাবিক মানুষ মনে করা। অন্যসব লোককে নিজের সমতুল্য মনে করা।

অহংকারীর জানা উচিত যে, সে যতই বড় হোক না কেন- পাহাড় সমান তো আর হতে পারবে না; জমিন ছিদ্র করে তো বেরিয়ে যেতে পারবে না! যেমনটি আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেছেন, ‘অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোনো দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন করো এবং কণ্ঠস্বর নীচু করো। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।’-সূরা লোকমান : ১৭-১৮

অহংকার, প্রত্যাখান, দাম্ভিকতা এবং কোনো বিষয়ে কোনো মানুষের তার সীমা অতিক্রম করাই অহংকার, অহংকারের সঙ্গে অবাধ্যতার একটি বিশাল সংযোগ রয়েছে।

অহংকার প্রতিরোধ করার আরেকটি উপায় হলো—

সব সময় এ কথা মনে রাখা যে, অহংকারী ব্যক্তি মানুষের নিকট অপছন্দীয় এমনকি আল্লাহতায়ালার নিকটও সে অপছন্দনীয়। সুতরাং আমি তো মানুষের কাছে ঘৃণার পাত্র! এই ঘৃণা নিয়ে আমি কীভাবে চলব?

মনে রাখবেন, সমাজের লোকেরা সব সময় বিনয়ী, নম্র-ভদ্র, সহজ-সরল মানুষকে ভালোবাসে। পক্ষান্তরে কঠিন ও রুঢ় স্বভাবের মানুষকে ঘৃণা করে।

Pages: [1] 2 3 ... 16