Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Life Style => Art => Topic started by: Anuz on April 06, 2018, 11:41:31 PM

Title: সংগীত সুস্থ রাখতে সহায়ক
Post by: Anuz on April 06, 2018, 11:41:31 PM
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত গান গাইলে শরীর এবং মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ছোট-বড় অনেক রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো। সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেল কমতে থাকার কারণে মন আনন্দে ভরে ওঠে। তাই তো বিখ্যাত আমেরিকান সিঙ্গার রেবা ম্যাকেনটায়ার একবার কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "মন খারাপ থাকলেই আমি গান গাই, নিজের মনে মনেই গাই। কারণ এমনটা করলে আমার দুখি হৃদয় আলোর সন্ধান পায়। ফলে দুঃখ কখন সুখে বদলে যায়, তা বুঝে উঠতেই পারি না।" রেবার বক্তব্য যে কতটা ঠিক, তা একাধিক স্টাডিতেও প্রমাণিত হয়ে গেছে। এই বিষয়ক পরীক্ষা চালাকালীন দেখা গেছে মনে মনে গান গাইতে থাকলে শরীরের অন্দরের শক্তি বাড়তে থাকে। ফলে মেলে অনেক উপকার। যেমন ধরুন...

১. ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: শুনে হয়তো অবাক হচ্ছেন। কিন্তু একথা ঠিক যে নিয়মিত গান গাইলে বাস্তবিকই ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। আসলে গান গাওয়ার সময় সারা শরীরে এবং ত্বকের অন্দরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে ত্বকের বয়স কমতে সময় লাগে না। আর বলিকরেখা যখন মিলিয়ে যেতে শুরু করে তখন ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, গান গাওয়ার সময় মুখের পেশির সচলতাও বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে চোখে পরার মতো।

২. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: গান গাওয়ার সময় ব্রেনে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিভাবেই মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে, সেই সঙ্গে বুদ্ধির বিকাশ ঘটতেও সময় লাগে না।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
ইউনিভার্সিটি অব ফ্রাঙ্কফুর্টের গবষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে গান গাওয়ার সময়, তা জোরে হোক কী আস্তে, শরীরের অন্দরে "ইমিউনোগ্লোবিউলিন-এ" নামক একটি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যে কারণে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

৪. পারকিনসন রোগের চিকিৎসা কাজে আসে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে পারকিনসন রোগে ভুগতে থাকা রোগীরা যদি নিয়মিত অল্প-বিস্তর গান গেয়ে থাকেন, তাহলে শরীররে অনেক উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে রোগের প্রকোপ কিছুটা হলেও কমে। শুধু তাই নয়, কথা বলার ক্ষমতাও বাড়তে থাকে। ফলে দৈনন্দিন জীবনের উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।

৫. গান গাওয়া এক ধরনের শরীরচর্চা: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত গান করলে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে ভোকাল কর্ডের শক্তি বাড়ে। প্রসঙ্গত, বতর্মান সময়ে আমাদের দেশে প্রতিটি মেট্রোপলিটন শহরে যে হারে বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়ছে,, তাতে আরও বেশি করে ফুসফুসের খেয়াল রাখার প্রয়োজন বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাথরুম সিঙ্গারদের যে পোয়া বারো, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

৬. স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কমায়:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গান গাওয়ার সময় মস্তিষ্কের অন্দরে এন্ডোরফিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যার প্রভাবে মানসিক চাপ তো কমেই, সেই সঙ্গে মন খুশিতে ভরে ওটে। তাই এবার থেকে যখনই মন কারাপ করবে, তখনই দু কোলি গান গেয়ে নেবেন, দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে উপকার মিলবে।

৭. একাকিত্ব দূর করে:
গান গাইতে জানলে পাড়ার সংস্কৃতিক অনুষ্টানে গানের সুযোগ এসেই যায়। ফলে লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা বাড়তে থাকে। বাড়ে বন্ধুর সংখ্যাও। ফলে স্বাভাবিকভাবেই একাকিত্ব দূর হয়। প্রসঙ্গত, আপনি যদি বেসুরো বাথরুম সিঙ্গারও হন, তাতেও কোনও ক্ষতি নেই। দেখলেন তো গান গাইলে কত উফপকার পাওয়া যায়। তাই ভুলেও গান গাওয়া বন্ধ করবেন না যেন! প্রয়োজন শুধু বাথরুমে নয়, কাজের ফাঁকে অফিসেও মাঝে মাঝে একটু গান গেয়ে নেবেন। দেখবেন শরীর এবং মন একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

৮. অনিদ্রা দূর করে: স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে রাতে ঘুম আসছে না? তাহলে তো মশাই প্রতিদিন শোয়ার আগে পছন্দের যে কোন একটা গান গাইতেই হবে! এমনটা করলে থ্রোট মাসালের কর্মক্ষমতা বাড়বে। সেই সঙ্গে প্যালেট মাসালের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই নাক ডাকা কমতে শুরু করবে, সেই সঙ্গে অনিদ্রার প্রকোপও যে হ্রাস পাবে, সে কথা হলফ করে বলা যেতে পারে।