Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Neamat Ullah

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 9
31
রান্নাবান্নার একটি উৎকৃষ্ট উপাদান আদা। তবে মানুষ একে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের ঘরোয়া উপাদান হিসেবে বহুকাল ধরে ব্যবহার করছে। যেমন বমি বমি ভাব, হজমের সমস্যা ও ব্যথা ইত্যাদি।


স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম জানিয়েছে ৩০ দিন একটানা আদা খাওয়ার কিছু উপকারিতার কথা।

১. হজমের সমস্যা রোধে
আদার মধ্যে ডাইজেসটিভ ট্রাক্টের প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। এটি পাচক রস নিঃসরণ করতে সাহায্য করে। এতে খাবার ও পানি খুব সহজে পেটে নড়াচড়া করতে পারে।

২. বমি রোধে
গর্ভাবস্থায় বমি কমাতে আদা খুব উপকারী। এ ছাড়া মর্নিং সিকনেস প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।

৩. ব্যথা কমাতে
পেশি ব্যথায় আদা কার্যকর। আদা ২৫ ভাগ পেশির ব্যথা কমাতে কাজ করে।

৪. প্রদাহ প্রতিরোধে কাজ করে
২৪৭ জনের একদল লোকের ওপর একটি গবেষণা করে দেখা গেছে, আদা খুব দ্রুত গাঁটের ব্যথা কমায় এবং গাঁটের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।

৫. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে
৮৫ জনের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র তিন গ্রাম আদার গুঁড়ো খেলে শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

৬. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
প্রতিদিন মাত্র ২ গ্রাম আদার গুঁড়ো ১২ সপ্তাহ ধরে খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১০ ভাগ কমে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে ১০ ভাগ।

৭. আদা ক্যানসাররোধী
আদার মধ্যে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদান। এটি কোলনের ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

৮. মস্তিষ্কের কার্যক্রম ভালো করে
আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান মস্তিষ্কের অকালবার্ধক্য কমায়। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

32

যারা সফল উদ্যোক্তা হতে চান তাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও ভালো অভ্যাস থাকা চাই। একজন ভালো উদ্যোক্তা টাকা উপার্জন করেন। একজন বড় ভালো উদ্যোক্তা অনেক বেশি টাকা উপার্জন করেন কিন্তু একজন সত্যিকারে সফল উদ্যোক্তা টাকা উপার্জনের চেয়েও বেশি কিছু করেন। তারা শুধু নিজের হিসাবের খাতার মধ্যেই পার্থক্য সৃষ্টি করেন না, তারা নিজের জীবন, কর্মচারীদের জীবন, গ্রাহকদের জীবন, এমনকি দেশ ও পরিবেশের জন্যও অনেক বড় ভূমিকা রাখেন। আজ বিচক্ষণ ও সফল উদ্যোক্তাদের দৈনিক ১০টি ভালো অভ্যাস আলোচনা করব।

অ্যাপল সিইও টিম কুক। সংগৃহীত
১. সূর্যোদয়ের আগে দিনের কাজ শুরু করুন

বিচক্ষণ উদ্যোক্তা ও সফল ব্যক্তিদের অন্যতম অভ্যাস হলো ভোরে ঘুম থেকে ওঠা। এটা শুধু আপনার স্বাস্থ্যেরই উপকার করবে না বরং একটা ভালো সকাল একটি উৎপাদনশীল দিনের জন্ম দেবে। নিচে বর্তমান সময়ের কিছু সফল ব্যক্তিদের ঘুম থেকে ওঠার সময় দেওয়া হলো;
প্রেসিডেন্ট ওবামা—সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট।
ডেভিড ক্যামেরন—সকাল ৬টা।
স্টারবাকস সিইও হাওয়ার্ড শুলজ—ভোর ৪টা ১৫ মিনিট।
অ্যাপল সিইও টিম কুক—ভোর ৩টা ৪৫ মিনিট।
জেনারেল মোটরস সিইও মেরি বাররা—সকাল ৬টা।
এওএল সিইও টিম আর্মস্ট্রং—ভোর ৫টা।
জেরক্স সিইও উরসুলা বার্নস—ভোর ৫টা।
জিই সিইও জেফ ইমেল্ট—সকাল ৫টা ৪৫ মিনিট।
পেপসিকো সিইও ইন্দ্রা নুই—ভোর ৪টা।
ক্রাইসলার সিইও এস মারছিওনি—ভোর ৩টা ৩০ মিনিট।
রিচার্ড ব্র্যানসন—সকাল ৫টা ৪৫ মিনিট।
ভার্জিন আমেরিকা সিইও ডেভিড কুশ—ভোর ৪টা ১৫ মিনিট।
ডিজনি সিইও বব—ভোর ৪টা ৩০ মিনিট।
মিশেল ওবামা—ভোর ৪টা ৩০ মিনিট।

আপনি যদি উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে চান তবে তবে দিন শুরুর সময়টা এখনই ঠিক করে নিন। এটা আপনার ব্যক্তিগত ও পেশাদারি জীবনের জন্য জরুরি।

পেপসিকো সিইও ইন্দ্রা নুই। সংগৃহীত
২. প্রতিদিন নিয়ম করে বই পড়া
বিচক্ষণ উদ্যোক্তা ও সফল ব্যক্তিদের আরেকটি অন্যতম অভ্যাস হলো নিয়মিত বই পড়া। তবে বইগুলো গল্প-কবিতার বই না হয়ে প্রাসঙ্গিক বই হওয়া চাই। আপনি যে কাজে বা ব্যবসায় নিয়োজিত তাতে যদি আপনার গভীর জ্ঞান থাকে তা আপনাকে ওপরের উঠতে সাহায্য করবে। বর্তমান সময়ের বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ থেকে শুরু করে প্রায় সব সফল ব্যক্তিদের এটি নিয়মিত অভ্যাস। উদ্যোক্তাদের বই পড়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অন্য একটি পোস্ট লিখব। তবে এখানে একজন বাঙালি সফল উদ্যোক্তার কথা বলে শেষ করি। তিনি হলেন রুসেল সরদার। আইটি ট্রেনিং কোম্পানি NetCom Learning-এর কর্ণধার। এটি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সফল আইটি ট্রেনিং কোম্পানি, যাদের সেলস ১০ মিলিয়ন ডলারেরও ওপরে। তিনি বলেন, ব্যবসা নিয়ে যত ব্যস্ত থাকেন না কেন, প্রতিদিন নিয়ম করে বই পড়েন। সপ্তাহের কাজের দিনগুলো ১-২ ঘণ্টা এবং বন্ধের দিনগুলো ৮-১০ ঘণ্টা তিনি বই পড়েন।
তার সুপারিশকৃত তিনটি বই, The Five Dysfunctions of a Team-এই বইটি তার দলকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কাজ করার পরিচালনা সাহায্য করেছে। The Four Kinds of Sales People-এই বইটি তাকে তার বিক্রয় প্রতিনিধি থেকে খারাপ লোকদের বাদ দিতে সাহায্য করেছে। Good to Great-এই বইটি তার কোম্পানি পরিচালনার চিন্তাগুলোকে যাচাই করতে সাহায্য করেছে।

৩. নিজের লক্ষ্য ঠিক করুন
নিজের লক্ষ্য ঠিক করাকে প্রতিদিনের কর্তব্য মনে করুন। প্রতিদিনে, মাসে, বছরে, এমনকি এক দশকে আপনি কী অর্জন করতে চান তা লিখে ফেলুন। এমনটি আপনাকে মানসিকভাবে এগিয়ে রাখবে ও বড় কিছু চিন্তা করতে সাহায্য করবে যার মাধ্যমে আপনি ছোট সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবেন। আপনি যদি লক্ষ্য অর্জন করতে চান, তবে আপনার লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কিছু আকাঙ্ক্ষা লিপিবদ্ধ করুন। যেমন পরবর্তী ১০ বছরে আপনার একটি ভালো বাড়ি, একটি ভালো গাড়ি, ব্যক্তিগত সহকারী থাকবে। যদি এমন ধারণাগুলো আপনার মধ্যে নিয়ে আসতে পারেন তবে এটা আপনাকে আপনার জীবনের গতি সম্পর্কে উজ্জীবিত করবে। যদি পরবর্তী ১০ বছরের জীবনকে আপনি এখন দেখতে পারেন, তবে আপনি সেটা করতে পারবেন।

৪. পরিকল্পনা করুন
আপনি সীমাহীন লক্ষ্য ঠিক করতে পারেন কিন্তু আপনাকে সে লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। আপনার ১০ বছরের লক্ষ্যগুলোকে আপনি বছর, মাস ও দিনে ভাগ করে নিন। যখন লক্ষ্যগুলো ছোট ছোট ভাগে ভাগ হবে তখন সেগুলো অর্জন করার জন্য কর্মপন্থা ঠিক করুন। মনে রাখবেন আপনার কর্মপন্থা যেন আপনার কাজের ফলাফলের ওপর দায়িত্ববান করে।
ধরুন কেউ পেশাধারী বক্তা হতে চান। যদিও সে জানে না তার জন্য কীভাবে পরিকল্পনা করবে। সুতরাং আমাকে বলতে হবে, তার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করার জন্য। যদি সে বছরে ১২০টি বক্তৃতা দেয় তবে সে তার লক্ষ্যে পৌঁছাবে। যদি বছরে ১২০টি হয়, তবে মাসিক লক্ষ্য ১০টি, তার মানে প্রতি তিন দিনে তাকে একটি বক্তৃতা করতে হবে। পরিকল্পনা করার পর মনে হবে এটা সহজে অর্জনযোগ্য। সুতরাং আপনার কাজের পরিকল্পনা করুন, পরিকল্পনার ওপর কাজ করুন।

৫. নেটওয়ার্ক স্থাপন করা
এই সময় নেটওয়ার্কের জন্য অনেক পথ রয়েছে, বিশেষভাবে তথ্য প্রযুক্তি এ কাজটিকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। একজন সফল নেটওয়ার্ককারী হতে হলে আপনাকে উৎপাদক হতে হবে, ভোক্তা নয়। তার মানে হলো, আপনাকে সক্রিয় হতে হবে, নিষ্ক্রিয় নয়। কারও কল বা ইমেইল জন্য অপেক্ষা না করে আপনি তাদের কল করুন, ইমেইল না হয় টেক্সট করুন। নেটওয়াকিংয়ের জন্য ১০ নিয়ম ব্যবহার করুন। প্রতিদিন দশজনকে আপনার ব্যবসা, পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ১০ জনকে জানান, ১০ জনের সঙ্গে দেখা করুন, ১০ জনের কাছে বিক্রি করুন। এ জন্য তাদের কল করুন, ইমেইল করুন অথবা মেসেজ দেবেন।

৬. প্রতিদিন নোট লিখুন
প্রত্যেকেরই চিন্তা করার জন্য সময়ের প্রয়োজন। ফলপ্রসূ চিন্তার জন্য আপনাকে নোট রাখতে হবে। এ ছাড়া যখনই কোনো ভালো চিন্তা বা কৌশল মনে আসে তখনই তা নোট করুন। এটা অনেকটা ডায়েরি লেখার মতো। এটা আপনাকে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর তথা দৈনন্দিন বিষয়গুলোর ওপর সজাগ রাখবে এবং সময়ে সময়ে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর ওপর প্রতিফলন করতে সাহায্য করবে। একটা সময় আপনি যখন আপনার ডায়েরিতে ফিরে তাকাবেন তখন এটা আপনাকে আপনার অতীত জীবনযাত্রা সম্পর্কে অভিভূত করবে। সবচেয়ে বড় কথা, আপনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কিছু নোট রেখে গেলেন।

৭. দৈনিক ব্যায়াম করুন
সফল হওয়ার জন্য আপনার শরীরকে অবশ্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করতে হবে। আপনার মন আপনার শরীরকে প্রতিদিন কিছু অসাধারণ করার জন্য বলবে এবং আপনাকে অবশ্য তার জন্য তৈরি হতে হবে। আর আপনার শরীরকে তৈরির উত্তম উপায় হলো ব্যায়াম। যখন আপনার শরীর সুযোগের জন্য তৈরি হবে তবে আপনি সফলতার সাগর পাড়ি দিতে সমর্থ হবেন। প্রতিদিন নিয়ম করে দৌড়ান, নিয়ম করে (৩-৫ দিন সপ্তাহে এক ঘণ্টা করে) ব্যায়ামাগারে যান। এমনটি আপনাকে শুধু কাজের জন্য অভূতপূর্ব সহনশীলই করে তুলবে না বরং দিন শেষ হওয়ার পূর্বেই সকল কাজ সমাপ্ত করতে সাহায্য করবে।

৮. বিশ্রাম করুন

শুধু শক্তিশালী মানুষেরা জানে কীভাবে বিশ্রাম করতে হয়। এমনকি তারা যখন ক্ষমতার (উন্নতির) সর্বোচ্চ পর্যায়েও থাকেন। কিন্তু কিছু মানুষ সময়ের সঙ্গে চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন যা তাদের ধ্বংস করে দেয়। যখন আপনি অবসন্ন, চিন্তাগ্রস্ত হবেন তখন আপনি মনোযোগ হারাবেন। এমনকি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণও হারিয়ে ফেলবেন। আপনাকে অবশ্যই বিশ্রাম করা শিখতে হবে অন্যথায় আপনার মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট হবে। আমি আমার একজন নিকট আত্মীয়কে দেখেছি দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করতে এবং তিনি ব্যবসায় অনেক টাকার মালিক হলেন। দশ বছরে কখনো দেখিনি নিজের জন্য কখনো ছুটি নিয়েছেন। কিন্তু একটা সময় তার ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হলো এবং তিনি খুব চিন্তাগ্রস্ত হলেন যা তাকে একটা সময়ে মানসিক রোগীতে পরিণত করে।
মাঝে মাঝে নিজকে কাজ থেকে অবমুক্ত করুন। কিছু সময় পরিবার নিয়ে ভ্রমণে যান। আপনজনের সঙ্গে ভালোবাসার কথা বলুন, রান্না করুন, মাছ ধরুন। এমনটি আপনাকে অনেক জটিল অবস্থার মধ্যেও চিন্তা মুক্ত রাখবে।

৯. আগামীকালের কাজের পরিকল্পনা আজই করে ফেলুন
প্রতিদিন সকালে পুরো দিনের কাজের পরিকল্পনা করে নিতে পারেন। আপনি যদি আরও অগ্রগামী হন তবে আগের রাতেই পরের দিনের পরিকল্পনা করে নেবেন। এখানে উদাহরণস্বরূপ একটি দিনের পরিকল্পনা কীভাবে করবেন তার কিছু উপদেশ দেওয়া হলো।
ঘুম থেকে ওঠা—ভোর ৫টা।
পরিচ্ছন্ন হওয়া, পানি পান, সকালের প্রার্থনা—৫টা ৩০ মিনিটের মধ্যে।
আজকের দিনের গুরুত্বপূর্ণ ৩-৫টি কাজের পরিকল্পনা ও সময় ঠিক করুন।
বাচ্চাদের স্কুল ও পরিবারের জন্য সময় ঠিক করুন।
নিজের নাশতা, খাবার সময়, বিশ্রাম ও ব্যায়ামের সময় ঠিক করুন।
দিনকে তিন ভাগে ভাগ করে নিন। বিশেষভাবে সকালে ঘুম থেকে উঠে কী করবেন, সারা দিনের পরিকল্পনা এবং ঘুমানো যাওয়ার আগের কাজগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
ঘুমানো যাওয়ার আগে কিছু সময় বই পড়ার অভ্যাস করতে পারেন।
প্রতিটি পরিকল্পনার আগে তিনটি বিষয় মাথায় রাখবেন। আপনার কাজ, আপনার স্বাস্থ্য ও আপনার জীবন।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বের সূচি আপনার পুরো দিনের কাজের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যায়ামাগারে যাওয়ার জন্য দিন ঠিক করতে পারেন এবং প্রতিদিন নিয়ম করে আধা ঘণ্টা বা এক ঘণ্টা দৌড়াতে পারেন।
মাঝে মাঝে নিজের সূচি পরিবর্তন করুন। বৈচিত্র্যতা আপনাকে স্বতঃস্ফূর্ত রাখবে।

১০. পরামর্শ নিন
কোনো প্রতিষ্ঠানকে সুপ্রতিষ্ঠিত হতে হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে হবে। উপদেশ গ্রহণ ছাড়া সফল হওয়া কঠিন। পৃথিবীর বড় বড় সফল প্রতিষ্ঠানগুলো পরামর্শ গ্রহণ করেই সফল হয়েছে। পরামর্শ ছাড়া সফল, এটা সাধারণত হয় না। কেউই সব বিষয়ে সবজান্তা নয়। প্রতিষ্ঠানের জন্য একজন ভালো পরামর্শক খুঁজুন। আপনার জ্ঞানকে বাড়ান। আপনি জানবেন কীভাবে আপনার ব্যবসা বড় করতে হয়। আবার নিজের জ্ঞানকেও অন্যের সঙ্গে শেয়ার করুন। যখন আপনার জ্ঞানকে প্রকাশ করবেন, এটা বস্তুত কাউকে শিক্ষিত করবে, উদ্দীপ্ত করবে যে, সে আগে বাড়তে পারে। আপনি আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করছেন, যা আপনার প্রতিষ্ঠানকে বড় ও সুপ্রতিষ্ঠিত করবে কারণ কঠিন কাজগুলো আপনি আর একা করবেন না।


link: http://goo.gl/i8mB7V

33
ক্যান্সার-ডায়াবেটিস-গ্যাস্ট্রিকের মহৌষধ আলুর রস!

আলুর রস। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান ও নতুন নতুন সব ঔষধের চাইতে অনেক অনেক বেশি কাজের ও ঔষধি গুণসম্পন্ন এই উপাদানটির কার্যক্ষমতা শুনলে চমকে উঠবেন যে কেউ! ডায়াবেটিস, গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাস্ট্রাইটিস, নিম্ন রক্তচাপ, উত্তেজনা, এমনকি ক্যান্সারের মতো প্রাণঘাতী রোগেও আলুর রসের রয়েছে চমৎকার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। কাঁচা আলুর রসের ঔষধি ক্ষমতা স্বীকৃতি পেয়ে আসছে কয়েকশ’ বছর ধরে। আর বিশ্বের পুরো একটি প্রজন্মের মানুষ অসংখ্য গুরুতর রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করেছেন কাঁচা আলুর রস। তবে এখনো কাঁচা আলুর রস পানের উপযোগিতা নিয়ে খানিকটা সন্দেহ রয়েই গেছে, যাকে মানুষের ইতিহাসে অন্যতম বড় ভুল বললেও কম বলা হবে। কারণ কাঁচা আলুর রসে সত্যিই অসাধারণ সব স্বাস্থ্য গুনাগুন রয়েছে। আলু ব্যবহারের আগে খোসা ছাড়িয়ে নিন, বিশেষ করে যদি আলুর কোনো অংশ সবুজ হয়ে থাকে কিংবা অঙ্কুর বেরিয়ে থাকে, তাহলে সেদিকটা ফেলে দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। কারণ এই অংশটি বিপজ্জনক ও বিষাক্ত। এরপর রস বের করে নিন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা বলছেন, আধুনিক যুগে খুব সাধারণ একটি স্বাস্থ্যসমস্যা গ্যাস্ট্রিটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসা হলো কাঁচা আলুর রস। বিশেষ করে এক টেবিলচামচ তাজা আলুর রসের সঙ্গে খানিকটা পানি মিশিয়ে পান করা গেলে এর প্রভাব হবে অসাধারণ। প্রতিবার মূল খাবারের আধা ঘণ্টা আগে একবার এ পানীয় পান করতে হবে। যদি পাকস্থলীর সমস্যা বা আলসারের মতো রোগে ভোগেন, তাহলে যেকোনোকিছু খাওয়ার বা পান করার আগেই এ পানীয় পান করুন। জাপানের আকিতা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ড. কাগামাইন কাঁচা আলুর রসের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ওপর গবেষণার লেখক। আলুর রসের একটি এমন উপাদানের কথা তিনি জানতে পেরেছেন, যা গবেষণায় ব্যবহৃত ইঁদুরের ক্যান্সারের কোষ মেরে ফেলেছে। অর্থাৎ ক্যান্সার জাতীয় টিউমার ছোট করে আনতে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যন্ত কার্যকর এ উপাদানটি। গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত করেছে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস। বৃক্ক (কিডনি) ও যকৃতের (লিভার) সমস্যায়, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কোমরের ব্যথা, বাতরোগের চিকিৎসায় কাঁচা আলুর রসের কার্যকারিতা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে নিশ্চিত হওয়ায় এই পানীয়টি দিন দিন আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এছাড়া আরো নানা রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি বিপাকক্রিয়া ভালো রাখতে চমৎকার কাজ করে আলুর রস। ওজন বেশি, কিংবা সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন? মাঝারি আকৃতির একটি আলু, কয়েকটি গাজর আর আপেলের রস একসঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার খান। দু’ সপ্তাহে নিজের তারুণ্যকে এক অন্য মাত্রায় দেখতে পাবেন। এছাড়া শরীর থেকে নানারকম বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়া, প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান দেহে সরবরাহ করা, নানারকম চর্মরোগের চিকিৎসায়-ত্বক সুস্থ রাখতে-সৌন্দর্য্য বর্ধন-ব্রন ও ব্ল্যাকহেডসমুক্ত ত্বকের জন্য, তারুণ্য ধরে রাখতে, অকালবার্ধক্য রোধে, রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে এবং কার্ডিওভাস্কুলার যেকোনো রোগে আলুর রস দারুণ কার্যকর। আলুর খোসা ভিটামিন সি ও বি-৬ সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, প্রোটিন, কার্যোহাইড্রেটসহ অসংখ্য পুষ্টি গুনাগুন। নিয়মিত আলুর রস পানের ক্ষেত্রে একটি নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। সবসময় তাজা আলুর রস বের করে নিয়ে তা সতেজ থাকতে থাকতেই পান করে নিতে হবে। এবং বাড়তি পুষ্টি উপাদান যোগ করতে অন্যান্য ফল বা কাঁচা সবজি বা লেবুর রস কিংবা মধুর সঙ্গেও আলুর রস যোগ করে নিতে পারেন। বৌদ্ধ ভিখু তোমিযাওয়া ‘দ্য রোড টু আ হেলদি লাইফস্টাইল: ক্যান্সার ইজ নাথিং টু ফিয়ার’ বইয়ে লিখেছেন, প্রতিদিন দু’ কাপ তাজা আলুর রস পান ক্যান্সার ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের চিকিৎসায় মহৌষধের চেয়ে কম নয়। - See more at: http://www.eurobdnews.com/health/21045/--------#sthash.axuPrCv6.dpuf

34
কুরআনে শব্দ খোঁজার জন্য ব্যবহার করুন “জিকর” নামে অসাধারণ সফটওয়্যার।


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু

কুরআনে কোন কথাটি রয়েছে, কোনটি নেই, কোন আয়াত কত নং সূরার, তা একজন কুরআন বিশ্লেষক মুমীনের জানা খুব জরুরী। আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব “জিকর” নামের একটি সফটওয়্যারের সাথে যেটি নিমিষেই জানিয়ে দেবে আপনার কাঙ্খিত শব্দটি। সফটওয়্যারটিতে বাংলায় সার্চ করার সুযোগ রয়েছে।
টিউটোরিয়াল
১. প্রথমে এই লিংক থেকে ৭.৭ মেগাবাইটের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন। (এটি একটি ফ্রিওয়্যার তাই সিরিয়ালের দরকার নেই)
২. এই লিংক এ ক্লিক করে বাংলা অনুবাদের ফাইলটি (bn.hoque.trans.zip) সরাসরি ডাউনলোড করুন। তর্জমাটিজহুরুল হকের করা। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।  অন্য ভাষার তর্জমা চাইলে এখানে ক্লিক করেডাউনলোড করে নিন।
৩. আপনার পিসিতে সোলায়মান লিপি বা যেকোন ইউনিকোড বাংলা ফন্ট ইন্সটল থাকতে হবে। না থাকলে এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন।  তারপর কন্ট্রোল প্যানেল থেকে ফন্ট ফোল্ডারে পেস্ট করুন।
[সফটওয়্যারটি চালাতে জাভা রানটাইম ইনভায়রমেন্ট দরকার, যদি পিসিতে না থেকে থাকে তবে এখান থেকে জাভা ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন]
৪. এবার সফটওয়্যারটি চালু করে নিচের স্ক্রিণশট অনুসরণ করুন। প্রথমে Tools>Add>Translation এ ক্লিক করুন

35
Allah: My belief / সুদের ভয়ানক পরিণতি
« on: February 07, 2016, 02:20:33 PM »
সুদের ভয়ানক পরিণতি



وَأَحَلَّ اللَّـهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا
"আল্লা’হ ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।" (সূরা বাকারা: ২৭৫)

বর্তমানে সুদ আমাদের দেশ ও জাতিকে অক্টোপাসের মত বেঁধে ফেলেছে। সুদ ছাড়া আমাদের অর্থনীতির চাকা যেন বন্ধ। যার কারণে পত্রিকা ও বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে মানুষকে এ বিষয়ে উৎসাহিত করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট অংকের লাভের বিনিময়ে অর্থ ডিপোজিট করতে আহবান করা হচ্ছে। বিভ্রান্ত ও সৎ পথ থেকে বিচ্যুত কিছু আলেমের ফতোয়াও প্রচার করা হচ্ছে এই মর্মে যে, সুদী ব্যাংকের সাথে লেন্তদেন করা জায়েয এবং নির্দিষ্ট অংকে ইন্টারেস্ট বা সুদ গ্রহণ করাও জায়েয।
কিন্তু এ বিষয়টি অত্যন্ত ভয়ানক। প্রকাশ্যে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের বিরোধিতা ও তাঁদের প্রকাশ্য নাফরমানী।
আল্লাহ্‌ তা’আলা বলেন:
فَلْيَحْذَرْ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَنْ تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
“যারা তাঁর নির্দেশের বিরোধিতা করে তারা যেন সতর্ক হয়ে যায় যে, তারা ফেতনায় পতিত হবে অথবা তারা যন্ত্রনাদায়ক শাস্তির সম্মুখিন হবে। (সূরা নূর- ৩৬)

ইসলাম ধর্মে একথা সর্বজন বিদিত যে, কুরআন সুন্নাহ্‌র দলীল অনুযায়ী সুদী ব্যাংকে অর্থ রেখে সেখান থেকে নির্দিষ্টহারে ফায়েদা বা ইন্টারেষ্ট গ্রহণ করা নিঃসন্দেহে সুদ। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সুদকে হারাম করেছেন। সুদ কাবীরা গুনাহের অন্তর্ভূক্ত। সুদ অর্থ-সম্পদের বরকতকে মিটিয়ে দেয়, আল্লাহর ক্রোধ বাড়িয়ে দেয়। সুদের কারণে আমল কবূল হয় না।
রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে ছহীহ্‌ সূত্রে প্রমাণিত হয়েছে তিনি বলেন,
“নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ্‌ পবিত্র তিনি পবিত্রতা ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করেন না।
আল্লাহ্‌ তা‘আলা রাসূলদের (আঃ) প্রতি যা নির্দেশ পাঠিয়েছেন, মুমিনদের প্রতিও তাই পাঠিয়েছেন। তিনি এরশাদ করেন: 
( ياَ أيُّهاَ الرُّسُلُ كُلُوْا مِنْ الطَّيِّباَتِ واعْمَلُوْا صاَلِحاً )
“হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস’ থেকে আহার্য গ্রহণ কর এবং সৎ কর্ম কর।“ (সুরা মু‘মেনূন: ৫১)

তিনি মুমিনদেরকে লক্ষ্য করে নির্দেশ দেন: 
(ياَ أيُّهاَ الَّذِيْنَ آمَنُوْا كُلُوْا مِنْ طَيِّباَتِ ماَ رَزَقْناَكُمْ)
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু সামগ্রী থেকে আহার্য গ্রহণ কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসেবে দান করেছি।

অতঃপর রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেই ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন, যে দীর্ঘ সফর করে এলায়িত কেশ ও ধুলায়মান পোশাক নিয়ে অত্যন্ত ব্যাকুলভাবে আকাশের দিকে দুহাত তুলে ডাকতে থাকে, হে আমার প্রতিপালক! হে রব!! অথচ সে ব্যক্তির পানাহার সামগ্রী হারাম উপার্জনের, পোশাক-পরিচ্ছেদ হারাম পয়সায় সংগৃহীত, এমতাবস্থায় কি করে তার দুআ কবূল হতে পারে? (সহীহ্‌ মুসলিম)

অতএব হারাম খেলে দুআ কবূল হবে না, ইবাদত কবূল হবেনা। কামাই-রোজগারে বরকত হবে না। হারাম অর্থে পরিবার-সন্তানদের লালন পালন করলে তারাও সৎভাবে গড়ে উঠবে না। উপরোন্ত ক্বিয়ামতের কঠিন মাঠে জবাবদিহি তো করতে হবেই।

প্রত্যেক মুসলমানের জানা উচিত যে, ক্বিয়ামতের মাঠে আল্লাহ তা’আলা তাকে তার সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন। কিভাবে সম্পদ উপার্জন করেছে? আর কোথায় তা খরচ করেছে?
নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“ক্বিয়ামতের দিন কোন মানুষের পা টলবে না যতক্ষণ সে চারটি প্রশ্নের উত্তর না দিবে। প্রশ্ন করা হবে, তার যৌবনকাল সম্পর্কে কোন কাজের মাঝে এ বয়স অতিবাহিত করেছে? তার জীবন সম্পর্কে কিভাবে তার অয়ু শেষ করেছে? তার সম্পদ সম্পর্কে কিভাবে তা উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে? এবং তার জ্ঞান সম্পর্কে কি আমল করেছে সেই জ্ঞান দ্বারা? (তিরমিযী)

জেনে রাখুন! সুদ একটি অন্যতম কাবীরা গুনাহ। কুরআন ও হাদীছে কঠিনভাবে সুদকে হারাম করা হয়েছে। সুদের যাবতীয় প্রকার-প্রকৃতি ও যে নামেই ব্যবহার করা হোক তা নিষিদ্ধ।
আল্লাহ্‌ বলেন,
হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পার। এবং তোমরা সেই আগুন থেকে বেঁচে থাক, যা কাফেরদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রাসূলের, যাতে তোমাদেরকে দয়া করা হয়। (সূরা আল ইমরান্ত ১৩০-১৩২)

আল্লাহ আরো বলেন,
وَمَا آتَيْتُمْ مِنْ رِبًا لِيَرْبُوَا فِي أَمْوَالِ النَّاسِ فَلَا يَرْبُوا عِنْدَ اللَّهِ
“মানুষের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে বলে তোমরা সুদ হিসেবে যা প্রদান করে থাক আল্লাহর কাছে তা ধন্তসম্পদ বৃদ্ধি করে না। (সূরা রূম- ৩৯)

আল্লাহ বলেন,
যারা সুদ খায়, ক্বিয়ামতে দন্ডায়মান হবে এমন লোকের মত, যার উপর শয়তান আছর করে তাকে মোহাবিষ্ট করে দিয়েছে। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয়ও তো সুদ নেয়ার মতই। অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। (সূরা বাক্বারা ২৭৫-২৭৬)

আল্লাহ আরো বলেন,
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوا فَأْذَنُوا بِحَرْبٍ مِنْ اللَّهِ وَرَسُولِهِ অতঃপর তোমরা যদি সুদ না ছাড়, তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে নিজেদের মূলধন ফেরত পেয়ে যাবে। তোমরা কারো উপর অত্যাচার করো না এবং কেউ তোমাদের প্রতি অত্যাচার করবে না। (সূরা বাক্বারা- ২৭৮-২৭৯)
আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার চাইতে বড় অপরাধ আর কি হতে পারে? (আল্লাহ আমাদের রক্ষা কর।)

নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
তোমরা ধ্বংসকারী সাতটি কাজ থেকে দূরে থাক। তারা বললেন, উহা কি কি হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে শির্ক, যাদু, কোন অধিকার ছাড়া কাউকে খুন করা, সুদ খাওয়া, ইয়াতীমের সম্পদ ভক্ষণ করা, যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা, বিদুষী সতী-সাধী মুমিন নারীদেরকে অপবাদ প্রদান করা। (বুখারী ও মুসলিম)
ছহীহ মুসলিমে জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آكِلَ الرِّبَا وَمُؤْكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وَقَالَ هُمْ سَوَاءٌ
রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অভিশাপ করেছেন সুদখোরকে, সুদ দাতাকে, সুদের লিখককে এবং তার দুই সাক্ষিকে। তিনি বলেন, পাপের ক্ষেত্রে সকলেই এক সমান।

নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন,
সুদের মধ্যে সত্তরটির মত পাপ রয়েছে। তম্মধ্যে সবচেয়ে সহজ পাপটি হচ্ছে নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা। (ইবনু মাজাহ্‌ হা/২২৭৪)
রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন,
دِرْهَمٌ رِبًا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ زَنْيَةً
জেনে-শুনে এক দিরহাম পরিমাণ সুদ খাওয়া আল্লাহর নিকট ৩৬ জন নারীর সাথে ব্যভিচারের চাইতে অধিক গুনাহের কাজ। (আহমাদ, সিলসিলা ছহীহা হা/ ১০৩৩)

জাহান্নামের মধ্যে সুদখোরের শাস্তি সম্পর্কে একটি দীর্ঘ হাদীছে বলা হয়েছে।
নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) স্বপ্নে দু’জন ফেরেশতার সাথে জান্নাত-জাহান্নাম দেখেছেন, জাহান্নামে বিভিন্ন অপরাধীদের শাস্তির ধরণ অবলোকন করেছেন। তিনি দেখেছেন, জনৈক ব্যক্তি একটি রক্তের নদীতে সাঁতার কাটছে। নদীর তীরে পাথর হাতে দাঁড়িয়ে আছে আরেকজন ব্যক্তি। লোকটি সাঁতার কাটতে কাটতে যখনই কিনারে আসছে তখন তীরে দন্ডায়মান লোকটি পাথরটি তার মুখে নিক্ষেপ করছে, তখন সে পূর্বের স্থানে নদীর মধ্যে চলে যাচ্ছে। এভাবে যখনই সে নদী থেকে বের হতে চাচ্ছে, তাকে পাথর মেরে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এভাবে তার শাস্তি চলছেই। নদীর মধ্যের লোকটি হচ্ছে সুদখোর। (বুখারী ও মুসলিম)
এ হচ্ছে কুরআন সুন্নাহ হতে কতিপয় দলীল, যা দ্বারা বুঝা যায় সুদ কত ভয়ানক অপরাধের কাজ। ব্যক্তি ও জাতির জন্য কত মারাত্মক ও ভয়ানক বিষয়। সুদের সাথে লিপ্ত ব্যক্তি বড় ধরণের কাবীরা গুনাহে লিপ্ত এবং এর মাধ্যমে সে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

হে মুসলিম ভাই! আপনি যদি পরকালকে বিশ্বাস করেন, তবে আপনার সম্পদে আল্লাহকে ভয় করুন। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনার জন্য যা বৈধ করেছেন তা যথেষ্ট মনে করুন। কেননা হারাম বস্তু পরিত্যাগ করে আল্লাহর বৈধকৃত ববস্থা গ্রহণ করাই যথেষ্ট।
প্রকৃত পক্ষে যে মুসলমান নিজের কল্যাণ চায়, জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চায় এবং আল্লাহর রেযামন্দী ও করুণা লাভে নিজেকে ধন্য করতে চায় সে অবশ্যই সুদী ব্যাংক থেকে বিরত থাকবে। সুদী ব্যাংকে সুদ নেয়ার ভিত্তিতে অর্থ জমা রাখবে না।

বর্তমানে প্রচলিত সুদের কয়েকটি উদাহরণঃ
* বেতন বিক্রি করাঃ একজন লোক মাস শেষে তিন হাজার টাকা বেতন পাবে। সে অগ্রীম এই বেতন বিক্রয় করে দেয় পঁচিশ শত বা টাকা সুদ হবে।
* বাকী বিক্রয় করে মূল্যের উপর সুদ গ্রহণঃ কোন বস্তু নির্দিষ্ট মূল্যে বাকী বিক্রয় করে সময় মত উহা পরিশোধ করতে না পারলে সেখানে অতিরিক্ত টাকা সংজোগ করা হলে তা সুদের অন্তর্গত হবে।
যেমন বর্তমানে মধ্য প্রচ্যে বিশেষকরে সৌদী আরবে কাজ করতে আসা অনেক মানুষ একশত রিয়াল দাম নির্ধারণ করে এক মাসের মেয়াদে মোবাইল কার্ড বিক্রয় করে। মাস শেষ হলে একশত রিয়াল দিতে না পারলে পরবর্তী মাসের জন্য সেখানে আরো পাঁচ বা দশ রিয়াল বৃদ্ধি করা হয়। এই বৃদ্ধি চক্রহারে বৃদ্ধি সুদের অন্তর্গত। আবার অনেকে পাঁচানব্বই রিয়ালের/টাকার কার্ড একশত রিয়াল/টাকা দাম নির্ধারণ করে বিক্রয় করে এক মাসের মেয়াদে। মাস শেষ হলে গ্রহীতার নিকট থেকে পূর্ণ একশত রিয়াল না নিয়ে কার্ডের দাম ৯৫ রিঃ/টাকা অবশিষ্ট রেখে শুধুমাত্র লাভের পাঁচ রিয়াল/টাকা নিয়ে নেয়। এই পাঁচ রিয়াল/টাকা গ্রহণ করা সুদ। কেননা এখানে রিয়াল/টাকা দিয়ে অতিরিক্ত রিয়াল/টাকা নেয়ার মাধ্যমে সুদ গ্রহণ করাই মূল উদ্দেশ্যে মধ্যখানে কার্ড একটি বাহানা মাত্র।

* দুমন নীচু মানের ধান, গম ইত্যাদির বিনিময়ে একমন উন্নত মানের বস্তু নেয়াও সুদ।
* টাকা-পয়সা কর্য দিয়ে যে কোনভাবে কর্যগ্রহীতার নিকট থেকে উপকার গ্রহণ করা সুদের অন্তর্গত। যেমন তার নিকট থেকে হাদিয়া-উপহার গ্রহণ করা, তার নিকট পানাহার করা ইত্যাদি। তবে যদি আগে থেকেই তাদের মাঝে এসব বিষয় প্রচলিত থাকে তবে কোন অসুবিধা নেই। তা সুদের অন্তর্গত হবে না।
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
তোমাদের কেহ যদি কোন মানুষকে কর্য প্রদান করে, আর কর্যগ্রহীতা তাকে কিছু হাদিয়া-উপহার দেয় অথবা তার বাহনে উঠায়, তবে তার বাহনে উঠবে না, তার হাদিয়া গ্রহণ করবে না। অবশ্য আগে থেকে যদি তাদের মাঝে এসব আদান্তপ্রদানের অভ্যাস থেকে থাকে তবে কোন অসুবিধা নেই। (ইবনু মাজাহ্‌)
অতএব টাকা দিয়ে তার বিনিময়ে অতিরিক্ত টাকা নেয়া যে সুদ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বর্তমানের অধিকাংশ ব্যাংক নির্দিষ্ট হারে মানুষকে ইন্টারেষ্ট (সুদ) দিয়ে থাকে। এজন্য সে সকল ব্যাংকে টাকা জমা রাখা উচিত নয়। কেননা এতে তাদেরকে হারাম কাজে সহযোগিতা করা হয়।
আর আল্লাহ বলেন,
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلا تَعَاوَنُوا عَلَى الإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
তোমরা পরস্পরকে সৎ ও আল্লাহ ভীতির কাজে সহযোগিতা কর এবং গুনাহ ও শত্রুতার কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না। (সূরা মায়েদা- ২)

বৈধ লাভ গ্রহণঃ লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে ব্যবসায় টাকা লাগানো বৈধ ব্যবাসার অন্তর্গত। অর্থাৎ- লাভ হলে লাভের অংশ পাবে লোকসান হলে লোকসান মেনে নিতে হবে এই চুক্তির শর্তে ব্যবসা করলেই তা হালাল হিসেবে গণ্য হবে অন্যথায় নয়। এই ভিত্তিতে কোন ব্যাংক যদি লাভ-লোকসানের শর্ত রেখে আপনাকে মুনাফা নেয়, তবে তা জায়েয হবে।

সবশেষে মুসলিম ভাইদের প্রতি আবেদন, দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সম্পদ অবৈধ উপায়ে সঞ্চয় না করে অন্তরে আল্লাহর ভয় রেখে সৎভাবে উপার্জনের চেষ্টা করা উচিত।
কেননা নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন,
কোন প্রাণী নির্ধারিত জীবিকা গ্রহণ করা ব্যতীত কখনই মৃত্যু বরণ করবে না। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। জীবিকা অনুসন্ধানে সুন্দর পন্থা অবলম্বন কর। জীবিকা উপার্জনের বিলম্ব তোমাদেরকে যেন পাপাচারে লিপ্ত হয়ে উহা অনুসন্ধানে উদ্বুদ্ধ না করে। কেননা আল্লাহর আনুগত্য ব্যতীত তাঁর ভান্ডার থেকে কিছুই পাওয়া যাবে না। (আবু নুআইম হিলইয়াতুল আউলিয়া গ্রনে’ হাদীছটি বর্ণনা করেন পৃঃ ২৭। শায়খ আলবানী হাদীছটি ছহীহ বলেন, দ্রঃ ছহীহুল জামে হা/ ২৮৫। মিশকাত হা/ ৫৩০০। ফিক্বহুস্‌ সিরাহ্‌ হা/ ৯৬।)

হে আল্লাহ আমাদেরকে সৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করার তাওফীক দান কর। সৎ উপায় সমূহ আমাদের জন্য সহজ করে দাও। উপার্জিত সম্পদে বরকত দাও। আর যাবতীয় হারাম পন্থায় উপার্জন করা থেকে রাঁচিয়ে রাখ। আমাদের ইবাদত ও দুআ কবূল কর। আমীন॥

সংকলন ও অনুবাদঃ
মুহাঃ আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ কাফী
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
দাঈ, জুবাইল দা’ওয়া এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সঊদী আরব।
পোঃ বক্স নং ১৫৮০, জুবাইল- ৩১৯৫১
ফোনঃ ০০৯৬৬-০৩-৩৬২৫৫০০ এক্স, ১০১১ ফ্যাক্স:০০৯৬৬-০৩- ৩৬২৬৬০০
Email: mohdkafi12@yahoo.com

36
পুরুষের চুল পড়া প্রতিরোধের উপায়




ঢাকা: আজকাল অনেক পুরুষই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। নারীদের তুলনায় পুরুষদের চুল পড়ার প্রবণতা অনেক বেশি। প্রতিদিন ১০০ টি বা এর কম চুল পড়া স্বাভাবিক। তবে চুল পড়ার পরিমাণ এর চেয়ে বেশি হলে তা চিন্তার বিষয়। সাধারণত বয়স বেড়ে গেলে চুল পড়ে। তবে এখন কম বয়সীদেরও চুল পড়ছে এবং এই প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। রাসায়নিক দ্রব্যের অতিরিক্ত ব্যবহার, মানসিক চাপ এবং দূষণই এর জন্যে দায়ি। এছাড়া চুল পড়ার আরও কিছু কারণ রয়েছে যেমন- পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, হরমোনজনিত সমস্যা, মাথার ত্বকে সংক্রমণ ইত্যাদি। ঘরোয়া কিছু উপায়ে পুরুষের চুল পড়া প্রতিরোধ করা সম্ভব। এসব উপাদান ব্যবহারে নতুন চুলও গজাবে।

ভিটামিন বি৭


ভিটামিন বি৭ যা বায়োটিন নামে পরিচিত, চুল পড়া প্রতিরোধ করে। এই ভিটামিন আপনার চুলের গোড়া শক্ত রাখে। ডিম, বাদাম, দই, কলিজা ইত্যাদি খাবারে এই ভিটামিন রয়েছে। এছাড়া বায়োটিন ক্যাপসুলও খেতে পারেন।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং চুল পড়া প্রতিরোধ করতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। শিম, ডাল, মুরগির মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি খাবারে প্রোটিন রয়েছে।

তেল দেয়া

চুলে নিয়মিত তেল দিতে হবে। চুল পড়া প্রতিরোধে এবং নতুন চুল গজাতে তিলের তেল খুবই কার্যকরী। তেল মাথার ত্বকে ঘষে ঘষে দিতে হবে। এতে মাথায় রক্ত সঞ্চালনও বাড়ে।

ডিমের প্যাক

আধা কাপ দইয়ের সঙ্গে একটি ডিম মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন। এটা শুধু চুল পড়া কমাবে না বরং খুশকি ও দূর করবে, যা চুল পড়ার অন্যতম কারণ।

পেঁয়াজের রস

পেঁয়াজের রস নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুলকে মজবুত করে। তিনটি পেঁয়াজ অল্প পানিতে এক ঘণ্টা সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করুন। এরপর পেঁয়াজ সেদ্ধ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়া প্রতিরোধে ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোর মধ্যে এটা সবচেয়ে কার্যকরী। 

রসুনের পেস্ট

কয়েকটা রসুন বেটে পেস্ট তৈরি করে নিন। চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগান। এটা চুল পড়া বন্ধের পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

সবুজ চা

চুল পড়া বন্ধে সবুজ চা দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন। ২০ মিনিট পর হালকা কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

এছাড়া চুল পড়া বন্ধে ধূমপান পরিহার করতে হবে। ধূমপান মাথায় রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়। যার ফলে চুল পড়ে। সপ্তাহে দুই দিন চুল পরিষ্কার করতে হবে। বেশি বেশি চুল ধোয়ার ফলে চুলে প্রাকৃতিকভাবে যে তেল থাকে তা শুকিয়ে যায়। পুরুষদের শ্যাম্পুতে রাসায়নিক দ্রব্য বেশি থাকে যা চুলের জন্যে ক্ষতিকর। চুল ধোয়ার জন্যে বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। আজকাল ছেলেরা প্রায়ই চুলে জেল ব্যবহার করে থাকেন যা চুলকে শক্ত করে ফেলে, এতে চুল ভেঙে যায়। এছাড়া এতে থাকে প্রচুর রাসায়নিক দ্রব্য। তাই চুল সুস্থ রাখতে জেল ব্যবহার করা যাবেনা।

বাংলামেইল২৪ডটকম/এএন/টিটি

37

কারা ভুলেও আদা খাবেন না, জেনে নিন


শরীরের নানা রোগ উপশমে আদার উপকারিতা অপরিসীম। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানো ছাড়াও, আর্থারাইটিস, মাইগ্রেন, কাশি, ডায়েরিয়া, গ্যাস, কনস্টিপেশন, হার্টের সমস্যা, ডায়বেটিস, হাই-কোলেস্টেরলের মতো বিবিধ রোগ প্রতিরোধে আদার জুড়ি মেলা ভার। এমনকি ক্যান্সারের কোষবৃদ্ধিতেও বাধ সাধে মাটির নিচের এই ফসল। রোগ প্রতিরোধে আদার উপকারিতার কথা মাথায় রেখে, বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতেও আদা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

তবে, আদার গুণ জানার পরই যদি কেউ মুড়ি-মুড়কির মতো আদা খেতে শুরু করেন, তাহলেও সমূহ বিপদ। কারণ আদা যেমন অনেক ক্ষেত্রে শরীরের পরম বন্ধু, আবার কিছু ক্ষেত্রে তা শরীরের চরম শত্রুও বটে। তাই আদার গুণাগুণ জানার পাশাপাশি, এটা জানাটাও অত্যন্ত জরুরি যে, কারা আদার ধার-পাশ দিয়েও যাবেন না।
কারা আদা এড়িয়ে চলবেন?

১. অন্তঃসত্ত্বারা : আদা শরীরে কড়া উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। সেজন্য অন্তঃসত্ত্বারা আদা খেলে, প্রিম্যাচিওর শিশু জন্মের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এজন্য গর্ভবতী মহিলাদের অবশ্যই আদা এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষত প্রেগন্যান্সির শেষ সপ্তাহগুলিতে তো আদা নৈব নৈব চ।

২. যাঁরা ওজন বাড়াতে চান : যাঁরা রোগা হতে চান তাঁদের জন্য আদা বিশেষ উপকারী হলেও, যাঁরা শীর্ণকায়, ওজন বাড়াতে উৎসাহী তাঁদের অবশ্যই আদা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ আদা খিদে কমায়। এছাড়াও শরীরের চর্বি গলানোর প্রক্রিয়ায় আদা বিশেষ সহায়ক। সেজন্য যাঁরা ওজন বাড়াতে চান, আদা তাঁদের কোনও কাজে আসবে না।

৩. ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যাঁরা ওষুধ খান : আদা ডায়বেটিসের লেভেল কমাতে কার্যকরী হলেও, যাঁরা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত ওষুধ খান, তাঁদের ডায়েট চার্ট থেকে চিরতরে ডিলিট করে দিতে হবে আদাকে। একই কথা প্রযোজ্য উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্যও। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যাঁরা নিয়মিত ওষুধ খান, তাঁদেরও অবশ্যই আদাকে এড়িয়ে চলা উচিত।

সূত্র: এই সময়

- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/56183#sthash.GpXeNAHs.dpuf

38
কোন ব্যবসার জাকাত দিবেন কীভাবে?


বর্তমানে দুই ধরনের শেয়ারহোল্ডার লক্ষ্য করা যায় : ক. যারা আইপিও-তে অংশগ্রহণ করে শেয়ার খরিদ করে থাকে কোম্পানির বার্ষিক ডিভিডেন্ড (লভ্যাংশ) পাওয়ার উদ্দেশ্যে।

১. শেয়ার : বর্তমানে দুই ধরনের শেয়ারহোল্ডার লক্ষ্য করা যায় : ক. যারা আইপিও-তে অংশগ্রহণ করে শেয়ার খরিদ করে থাকে কোম্পানির বার্ষিক ডিভিডেন্ড (লভ্যাংশ) পাওয়ার উদ্দেশ্যে। খ. যারা ক্যাপিটাল গেইন করে অর্থাৎ শেয়ার বেচা-কেনাই এদের মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে; কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশ নেওয়া এদের মূল উদ্দেশ্য থাকে না। শেয়ারের যাকাতের ক্ষেত্রে উপরোক্ত দুই গ্রুপের হুকুম ভিন্ন। যারা শুধু ব্যবসায়ী পণ্য হিসেবে শেয়ারের কারবার করে থাকে তারা যাকাত আদায় করবে শেয়ারের মার্কেট ভ্যালু হিসাবে। তাদের যাকাতের বছর যেদিন পূর্ণ হবে ঐ দিন শেয়ারবাজারে ওই শেয়ারের যে মূল্য থাকে সে মূল্য হিসাব করেই যাকাত আদায় করবে। আর যারা কোম্পানির ডিভিডেন্ট (লভ্যাংশ) হাসিলের জন্য কোনো কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করে থাকে তারা ওই কোম্পানির ব্যালেন্সশীট দেখে যাকাত পরিশোধ করবে। এক্ষেত্রে ব্যালেন্সশীট দেখে কোম্পানির ফিক্সড এসেট্স (স্থায়ী সম্পদ) এ শেয়ার অনুযায়ী তার যতটুকু অংশ রয়েছে তত টাকা যাকাতের হিসাব থেকে বাদ দিতে পারবে। অবশিষ্ট মূল টাকা ও কোম্পানি ঘোষিত লভ্যাংশ (নগদ, বোনাস শেয়ার ইত্যাদি) এর যাকাত প্রদান করতে হবে। প্রকাশ থাকে যে, এখানে শুধু শেয়ারের যাকাতের হুকুম বলা হয়েছে, শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের শরয়ী হুকুম এখানে বর্ণনা করা হয়নি। কোনো কোম্পানির শেয়ার কিনতে হলে সে সম্পর্কে কেনো বিজ্ঞ মুফতীর নিকট আগেই জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে। বর্তমান স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনের উপর তাত্ত্বিক ও বিশ্লেষণধর্মী এবং শরয়ী হুকুমসহ দুটি প্রবন্ধ মাসিক আলকাউসার এপ্রিল ২০১০ ও ২০১১-এর ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল সংখ্যায় ছাপা হয়েছে। যা পরবর্তীতে মাকতাবাতুল আশরাফ থেকে পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়েছে। তা দেখা যেতে পারে।

২. ব্যাংক একাউন্ট : ব্যাংকের ব্যক্তি মালিকানাধীন সকল প্রকার একাউন্ট যাকাতযোগ্য। একাউন্ট হোল্ডার নেসাবের মালিক হলেই তাকে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকাগুলোর যাকাত প্রদান করতে হবে। চলতি হিসাব, সঞ্চয়ী হিসাব, দীর্ঘ মেয়াদী ও ডিপিএস হিসাবসহ সকল একাউন্ট এ হুকুমের আওতাভুক্ত হবে। ব্যাংক হিসাবের স্ট্যাটমেন্ট দেখে যাকাত প্রদান করা যেতে পারে। যাকাতদাতার হিসাব-বর্ষের শেষে স্ট্যাটমেন্টে যত টাকা পাওয়া যাবে তার যাকাত সে প্রদান করবে। কোনো এক একাউন্ট থেকে সরাসরি ট্যাক্স বা সার্ভিস চার্জ কাটা গেলে যাকাতের হিসাবে এ টাকা অন্তর্ভুক্ত হবে না। একাউন্ট হোল্ডারের জমাকৃত টাকা ছাড়া ব্যাংক থেকে অতিরিক্ত যদি সুদ (বা মুনাফা নামের সুদ) জমা হয় তবে তা যাকাতযোগ্য নয়; বরং সুদ ও হারামের মাল হস্তগত হলে তা পুরোটাই সদকা করে দিতে হবে। অবশ্য যাকাত দেওয়ার সাথে পুরো টাকার হিসাব করে নিলে এ নিয়ত করে নিবে যে সুদের অংশের ২.৫% যাকাত হিসাবে দিচ্ছে না; বরং ঐ অংশের ২.৫% দায়িত্বমুক্তির জন্য আদায় করছে। এরপর যখন সে হারাম টাকা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করবে তখন যাকাতের সাথে প্রদানকৃত ২.৫% বাদ দিয়ে বাকিটা সদকা করতে হবে।

৩. ব্যাংক গ্যারান্টি মানি : বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিকিউরিটি হিসেবে ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান ও গ্রহণের রেওয়াজ চালু আছে। এক্ষেত্রে ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা একাউন্ট হোল্ডারের মালিকানাধীন থাকে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সে এর সুদ/লাভও পায়। তবে গ্যারান্টির মেয়াদ-কালে সে ওই টাকা উত্তোলন করতে পারে না। এ কারণেই অনেকে এ টাকার যাকাত আসবে কি না সে বিষয়ে দ্বিধায় ভোগে। অথচ ব্যাংক গ্যারান্টির টাকা সন্দেহাতীতভাবে যাকাতযোগ্য। যতদিন এ টাকার উপর একাউন্ট হোল্ডারের মালিকানা থাকবে ততদিন অন্যান্য টাকার মতোই এ টাকার যাকাত প্রদান করতে হবে।

৪. ব্যাংক লোন : সাধারণত যাকাতযোগ্য কোনো কর্জ থাকলে তা যাকাতের হিসাব থেকে বিয়োগ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু শিল্পবিপ্লবের এ যুগে কর্জের ধরনই বদলে গেছে। এখন বড় বড় ধনাঢ্য ব্যক্তিরাই সবচেয়ে বেশি ঋণী। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মোটা অংকের ঋণ দেওয়ার জন্য তাদেরকেই বাছাই করে থাকে। তারা বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিশাল বিশাল অট্টালিকা নির্মাণের জন্য কোটি কোটি টাকার লোন গ্রহণ করে থাকে। পরিভাষায় এগুলো হল ডেভেলেপমেন্ট বা উন্নয়নমূলক লোন। যাকাতের হিসাবের সময় ডেভেলপমেন্ট লোন বিয়োগ হবে না।

৫. বায়নানামার টাকা : জমি, ফ্ল্যাট বা অন্যকিছু কিনে প্রাথমিকভাবে যে আংশিক টাকা প্রদান করে বায়নানামায় চুক্তি হয় সে টাকার মালিক বিক্রেতা। সুতরাং এর যাকাত বিক্রেতা প্রদান করবে। ব্যবসায়িক পণ্যের কোন মূল্য ধর্তব্য : টাকা-পয়সা ও স্বর্ণাংলকারের মতো ব্যবসায়িক পণ্য এবং ব্যবসার মূলধনেরও যাকাত দিতে হয়। ব্যবসায়ী যাকাত দেওয়ার সময় তার অবিক্রিত পণ্যের কোন মূল্যটি হিসাব করবে, খরিদমূল্য, পাইকারি মূল্য, খুচরামূল্য নাকি অন্য কোনো মূল্য? এ প্রশ্নের জবাব হল, লোকটি তার অবিক্রিত পণ্যের বর্তমান বাজার দর হিসাব করে যাকাত আদায় করবে। অর্থাৎ যেদিন তার যাকাত-বর্ষ পুরো হয়েছে সেদিন তার ব্যবসায়িক পণ্যগুলো একত্রে বিক্রি করে দিলে যে দাম পাওয়া যেত সে মূল্যের হিসাবে যাকাত প্রদান করবে।

৬. বিক্রিত পণ্যের বকেয়া টাকার যাকাত : ব্যবসায়ীরা তাদের যে সকল পণ্য বাকিতে বিক্রি করে থাকে সে বকেয়া টাকার যাকাতও তাদেরকে আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে তারা এ টাকার যাকাত বিক্রির পর থেকে নিয়মিত আদায় করতে পারে অথবা টাকা হস্তগত হওয়ার পর পেছনের বছরগুলোর যাকাত একত্রেও পরিশোধ করতে পারে। অবশ্য যদি কোনো পাওনা টাকার ব্যাপারে এমন আশঙ্কা প্রবল হয় যে, ওই টাকা আর পাওয়া যাবে না তবে সে টাকার যাকাত দিতে হবে না। এরপর যদি ওই টাকা হস্তগত হয়ে যায় তাহলে তখন থেকে তা যাকাতের নেসাবভুক্ত হবে।

৭. ঋণ দিয়ে পরে তা যাকাত বাবদ কর্তন করা : কোনো যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তিকে ঋণ দেওয়ার পর সে তা আদায়ে গড়িমসি করলে বা আদায়ে অক্ষম হলে কেউ কেউ যাকাত হিসেবে তা কর্তন করে দিতে চায়। এটা সঠিক পন্থা নয়। এভাবে যাকাত আদায় করা যায় না। এ ব্যক্তি বা তার মনোনীত প্রতিনিধিকে যাকাতের টাকা প্রদান করে পরে তার থেকে ওই টাকা নিজ পাওনা বাবদ নিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

৮. যাকাতের টাকা দ্বারা কর্মসংস্থান করে দেওয়া : কেউ কেউ অল্প পরিমাণে যাকাতের টাকা বণ্টন না করে কোনো এক বা একাধিক দরিদ্র ব্যক্তিকে স্বাবলম্বী করার জন্য মোটা অংকের টাকা দেওয়া পছন্দ করে। আবার কেউ ঘর বা দোকান ইত্যাদি নির্মাণের খরচেও যাকাতের বড় অংকের টাকা দিয়ে থাকে। এভাবেও যাকাত আদায় হয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে একজন দরিদ্র ব্যক্তিকে একত্রে অনেক টাকা না দিয়ে তার প্রয়োজনীয় মালামাল কিনে দেওয়া উচিত। যেন সাথে সাথেই সে যাকাতের নেসাবের মালিক না হয়ে যায় এবং তার প্রয়োজনও পুরো হয়। যদিও একজনকে যাকাতের এত অধিক টাকা দেওয়া সাধারণত মাকরূহ। আর এ ধারাটি খুব ব্যাপক হওয়া উচিত নয়। কারণ যে দেশে যাকাত গ্রহণকারী দরিদ্রের সংখ্যা অনেক বেশি সেখানে অল্প কিছু লোককে যাকাতের বড় অংকের টাকা দিয়ে দিলে অন্যদের বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়।

৯. চিকিৎসা খরচে যাকাত : মাঝে মাঝেই এমন মাসআলা জিজ্ঞাসা করা হয় যে, একজন রোগী যাকাতের নেসাবের মালিক, তার জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা (উদাহরণস্বরূপ) প্রয়োজন। লোকটির নিকট আছে ২ লক্ষ টাকা। অবশিষ্ট ৩ লক্ষ টাকা তাকে যাকাত দেওয়া যাবে কি না? এ যুক্তিতে যে, চিকিৎসা শুরু করলে তো এক পর্যায়ে সে যাকাত গ্রহণ করার উপযোগী দরিদ্র হয়ে যাবে। এ প্রশ্নের জবাব হচ্ছে, বিত্তবান লোকদের উচিত এ সকল খাতে যাকাত ছাড়া সাধারণ অনুদান প্রদান করা। যাতে যাকাতের বড় অংকের টাকা সীমিত খাতে লেগে না যায়। অবশ্য যদি এক্ষেত্রে যাকাতের টাকাই কেউ দিতে চায় তবে সে ওই রোগীর নিজস্ব টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার পর (সে দরিদ্রের অন্তর্ভুক্ত হলে) তাকে প্রদান করবে অথবা রোগীর এমন কোনো অভিভাবককে প্রদান করবে যে যাকাত গ্রহণের উপযোগী। পরে লোকটি ওই টাকা স্বেচ্ছায় উক্ত রোগীর চিকিৎসায় ব্যয় করতে পারবে।

১০. যাকাত ট্যাক্স নয় : এ কথা স্মরণ রাখা জরুরি যে, যাকাত কোনো ট্যাক্স নয়; বরং ইসলামের অন্যতম একটি রোকন, ধনীর উপর গরীবের হক। তাই সরকার কোনো মালের ট্যাক্স (শরীয়তের দৃষ্টিতে ওই ট্যাক্সের হুকুম যাই হোক) নিয়ে নিলেও অবশিষ্ট মাল নেসাব পরিমাণ হলে তার যাকাত দিতে হবে।

১১. টিভি চ্যানেলে যাকাত : কেউ কেউ ধর্মভিত্তিক টিভি চ্যানেল প্রতিষ্ঠা বা পরিচালনার জন্যও যাকাত চেয়ে থাকে, অনেক লোক আবার তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে তাদেরকে যাকাতের অর্থ প্রদানও করে থাকে। মনে রাখতে হবে এটি যাকাতের কোনো খাত নয়। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম যাকাত। তা আদায় করা যেমন ফরয তেমনি যথাস্থানে উপযুক্ত পাত্রে দেওয়াও ফরয। কেউ কোনো আহবান করলেই তাতে সাড়া দেওয়ার আগে বিজ্ঞ আলেমদের থেকে মাসআলা জেনে নেওয়া খুবই জরুরি। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি যাকাত বোর্ড, দাতব্য সংস্থা ইত্যাদির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

১২. যাকাত থেকে বাঁচার অপকৌশল : অনেকে যাকাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন অপকৌশল (নাজায়েয হীলা) গ্রহণ করে থাকে। শরীয়তের দৃষ্টিতে তা সম্পূর্ণ নাজায়েয এবং আল্লাহ তাআলাকে ধোঁকা দেওয়ার শামিল। চিকিৎসাবিজ্ঞান, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিশ্ব অর্থনীতির পরিবর্তিত বর্তমান প্রেক্ষাপটে রোজা ও যাকাতের আরো বহু নতুন মাসআলা সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক।

লিখেছেন : মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ
সৌজন্যে : মাসিক আল-কাউসার

- See more at: http://bangla.uttaranews24.com/2015/07/07/69107#sthash.dyOJ7m8E.dpuf

39
২০১৫ সালের বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী

নিউ ইয়র্ক, ০৮ জুলাই- বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে ২০১৫ সালের বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকা। তালিকায় ৭৯.২ বিলিয়ন ডলার নিয়ে শীর্ষে আছে মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। আর তারপরেই আছেন গত বছরের তালিকায় ১ নম্বরে থাকা মেক্সিকো’র কার্লোস স্লিম হেলুর নাম। জেনে নিন প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর নাম ও তাদের সম্পর্কিত কিছু তথ্য।

১. বিল গেটস


সম্পদের পরিমাণ: ৭৯.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বয়স: ৫৯

সম্পদের উৎস: মাইক্রোসফট

অধিবাসী: মেডিনা, ওয়াশিংটন ডি.সি.

নাগরিকতা: যুক্তরাষ্ট্র

বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত

সন্তান: ৩ জন

শিক্ষা: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (বাদ পড়া)

২. কার্লোস স্লিম হেলু


সম্পদের পরিমাণ: ৭৭.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বয়স: ৭৫

সম্পদের উৎস: টেলিকম।

অধিবাসী: মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো।

নাগরিকতা: মেক্সিকো।

বৈবাহিক অবস্থা: বিপত্নীক।

সন্তান: ৬ জন

শিক্ষা: ব্যাচেলর অব আর্টস/ সায়েন্স, ইউনিভার্সিদাদ ন্যাসিওনাল অটোনোমা ডি মেক্সিকো।

৩. ওয়ারেন বাফেট


সম্পদের পরিমাণ: ৭২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বয়স: ৮৪

সম্পদের উৎস: বার্কশায়ার হাথাওয়ে।

অধিবাসী: ওমাহা, নেবরাস্কা।

নাগরিকতা: যুক্তরাষ্ট্র।

বৈবাহিক অবস্থা: বিপত্নীক, পুন: বিবাহিত।

সন্তান: ৩ জন

শিক্ষা: ব্যাচেলর অব আর্টস/ সায়েন্স, ইউনিভার্সিটি অব নেবরাস্কা লিঙ্কন; মাস্টার অব সায়েন্স, কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি।

৪. আমানসিয়ো ওর্তেগা


সম্পদের পরিমাণ: ৬৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বয়স: ৭৯

সম্পদের উৎস: জারা

অধিবাসী: লা্ কোরুনা, স্পেন।

নাগরিকতা: স্পেন।

বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত।

সন্তান: ৩ জন

৫. ল্যারি ইলিসন


সম্পদের পরিমাণ: ৫৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বয়স: ৭০

সম্পদের উৎস: ওরাকল।

অধিবাসী: উডসাইড, ক্যালিফোর্নিয়া।

নাগরিকতা: যুক্তরাষ্ট্র।

বৈবাহিক অবস্থা: তালাক প্রাপ্ত।

সন্তান: ২ জন

শিক্ষা: ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো (অসম্পূর্ণ), ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েস (অসম্পূর্ণ)

৬. চার্লস কোচ



সম্পদের পরিমাণ: ৪২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বয়স: ৭৯

সম্পদের উৎস: বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা

অধিবাসী: উইচিতা, কানসাস।

নাগরিকতা: যুক্তরাষ্ট্র।

বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত

সন্তান: ২ জন

শিক্ষা: ব্যাচেলর অব আর্টস/সায়েন্স, ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি; মাস্টার অব সায়েন্স, ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি।

৭. ডেভিড কোচ


সম্পদের পরিমাণ: ৪২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বয়স: ৭৫

সম্পদের উৎস: বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা

অধিবাসী: নিউ ইয়র্ক, নিউ ইয়র্ক।

নাগরিকতা: যুক্তরাষ্ট্র।

বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত

সন্তান: ৩ জন।

শিক্ষা: ব্যাচেলর অব আর্টস/সায়েন্স, ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি; মাস্টার অব সায়েন্স, ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি।

৮. ক্রিস্টি ওয়ালটন


সম্পদের পরিমাণ: ৪০.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বয়স: ৬০

সম্পদের উৎস: ওয়াল মার্ট।

অধিবাসী: জ্যাকসন, নিউ ইয়র্ক।

বৈবাহিক অবস্থা: বিধবা

সন্তান: ১ জন।

৯. জিম ওয়ালটন


সম্পদের পরিমাণ: ৪০.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বয়স: ৬৭

সম্পদের উৎস: ওয়াল মার্ট।

অধিবাসী: বেনটনভিলে, আরকানসাস

নাগরিকতা: যুক্তরাষ্ট্র।

বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহিত

সন্তান: ৪ জন।

শিক্ষা: ব্যাচেলর অব ফাইন আর্টস/ সায়েন্স, ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাস।

১০. লিলিয়ান ব্যাটার্নকুট


সম্পদের পরিমাণ: ৪০.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বয়স: ৯২

সম্পদের উৎস: লরিয়েল

অধিবাসী: প্যারিস, ফ্রান্স।

নাগরিকতা: ফ্রান্স।

বৈবাহিক অবস্থা: বিধবা

সন্তান: ১ জন।

- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/53698#sthash.qc7rxeXv.dpuf

40
৫০০ ধনীর গোপন মন্ত্র, ধনাঢ্য হতে অব্যর্থ ১৩টি উপায়
[/size]

একজন ব্যবসায়ী অ্যান্ড্রু কার্নেগি। তার ক্যারিয়ারে একজন সাংবাদিকের অভিজ্ঞ পরামর্শ পেয়েছিলেন যার নাম নেপোলিয়ন হিল। আজ থেকে ৭৮ বছর আগে এই সাংবাদিক ৫০০ জন ধনী মানুষের জীবনের ওপর গবেষণা করে একটি বই লিখেছিলেন। 'থিঙ্ক অ্যান্ড গ্রো রিচ' বইটি ছিলো ১৯৩৭ সালে বেস্ট সেলারদের মধ্যে একটি। তার এই ফর্মুলা মেনে নিয়ে দেখতে দেখতে দারুণ ধনী হয়ে ওঠেন কার্নেগি। এই ব্যবসায়ীর মতে, ধনী হওয়ার অব্যর্থ উপায় এগুলো। আপনিও জেনে নিন ধনীদের গোপন সেই মন্ত্র।

১. প্রথমেই আপনাকে ধনী হতে চাইতে হবে। বড় হওয়ার স্বপ্ন, ইচ্ছা এবং পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে আপনার। একে নেশায় পরিণত করতে হবে। ধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে কখনো সরে আসা চলবে না।
২. লক্ষ্য পূরণে নিজের ওপর বিশ্বাস থাকতে হবে। যারা নিজের প্রচেষ্টায় ধনী হয়েছেন তাদের মতে, ধনী হওয়ার বিষয়টাকে কঠিন ভাবলে চলবে না। একে নিজের অধিকার বলে মনে করতে হবে।
৩. মনে ধনী হওয়ার ইচ্ছাটাকে স্বয়ংক্রিয় রাখতে হবে। অবচেতন মনেও বিষয়টিকে কার্যকর রাখতে হবে। লক্ষ্যের প্রতি আপনার অদম্য আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে।
৪. ধনী হতে শিখে যেতে হবে। এই প্রক্রিয়া সব সময় চলমান রাখতে হবে। শিক্ষণীয় বিষয় ক্যারিয়ারে কাজে লাগিয়ে যেতে হবে।
৫. নতুন আইডিয়া বের করতে হবে কল্পনা ও চিন্তাশক্তি থেকে। কাজেই চিন্তার চাকা সব সময় চালু রাখতে হবে। নতুন নতুন ধারণাই নতুন পথের সন্ধান দেবে।
৬. লক্ষ্য স্থির হলে পরিকল্পনা প্রয়োজন। পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে পারলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়।
৭. সঠিক পরিস্থিতিতে দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত আপনাকে দারুণ ফলাফল এনে দিতে পারে। কাজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারদর্শী হতে হবে।
৮. ধৈর্য্য এ ক্ষেত্রে বড় সহায়ক হয়ে ওঠে। যা চাইছেন তা না অর্জন করা পর্যন্ত থামবেন না। ইচ্ছাশক্তি অদম্য হতে হবে। সফলতা হাতের মুঠোয় না আসা পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই ধৈর্য্যহীন হওয়া যাবে না।
৯. এগিয়ে যেতে বন্ধু ও পরিচিত মহলের সহায়তা প্রয়োজন হয়। কাজেই আপনার চারপাশে সফল ব্যক্তিদের আনগোনা থাকা চাই। অর্থাৎ, আপনি নিজেই সফল ব্যক্তিদের আশপাশে থাকবেন। ১০. স্বাস্থ্যকর যৌনজীবন মানুষকে সুস্থতা দিতে পারে। তাকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায়। তাই একজন আদর্শ সঙ্গী-সঙ্গিনী লক্ষ্য অর্জনে জরুরি বলে মনে করেছেন সাংবাদিক। 
 ১১. এটা দারুণ এক চর্চা। অবচেতন মনে ইতিবাচক বিষয়গুলোকে গ্রহণ করে নেওয়া এবং নেতিবাচক আবেগকে ত্যাগ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। মানুষের অবচেতন মন কিন্তু বেশ কাজের হয়ে উঠতে পারে। তাই একে কাজে লাগানোর চর্চা করুন।
১২. মস্তিষ্ককে উর্বর করতে স্মার্ট মানুষদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন। স্মার্ট মানুষদের আশপাশে থাকুন। তাদের চলাফেরা ও কাজের ধরন লক্ষ্য করুন। তাদের অনুসরণ করার চেষ্টা করুন।
 ১৩. সিক্সথ সেন্স বলে একটা কথা আছে। ষষ্ঠেন্দ্রিয়ের ইশারা ধরার চেষ্টা করুন। এর ওপর বিশ্বাস রাখুন। আপনার চেতন মনের ভুলও সিক্সথ সেন্স ধরিয়ে দিতে পারে। ধনীরা নিজের চরম মুহূর্তে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের ওপর ভরসা করেন।

সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার - See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/53644#sthash.VBSsat3T.dpuf

41
উন্নত বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট উদ্ভাবন করলেন ক্ষুদে বিজ্ঞানী আবদুর রহমান


যশোর জেলা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আবদুর রহমান উন্নতমানের দাহ্য গ্যাস ও জৈবসার উদ্ভাবনে সাফল্য দেখিয়েছে। 'প্রযুক্তি করতে পারে দারিদ্র্য বিমোচন'- এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সে উন্নত প্রযুক্তির বায়োগ্যাস প্লান্ট উদ্ভাবন করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন হাজার হাজার টন বর্জ্য ফেলে দেওয়া হয়। এই বর্জ্যই তার উদ্ভাবিত বায়োগ্যাস প্লান্টের কাঁচামাল। বর্জ্যরে এই ব্যবস্থাপনায় পরিবেশ থাকবে দূষণমুক্ত।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী আবদুর রহমানের উদ্ভাবিত উন্নত প্রযুক্তির এই বায়োগ্যাস প্লান্ট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে, ফেলে দেওয়া প্রতিদিনের বিপুল পরিমাণ বর্জ্য দেশের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে। অত্যন্ত কম খরচে উন্নতমানের দাহ্য গ্যাস পাওয়া যাবে। পাওয়া যাবে উন্নতমানের জৈবসার। উপরি পাওনা হিসেবে পরিবেশ দূষণও কমে যাবে অনেকাংশে। তার প্লান্টে নতুন সংযোজন হয়েছে তিনটি অংশ। ক্রাশিং চেম্বার, গ্যাস সাকশন ও কমপ্রেসর ও কমপ্রেসড গ্যাস চেম্বার।
প্রকল্পে ব্যবহৃত গ্যাস সাকশন অ্যান্ড কম্প্রেসর ইউনিটের কারণে উৎপাদিত গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে সহজ পদ্ধতিতে বাড়িতে বাড়িতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। গ্যাস সাকশন অ্যান্ড কম্প্রেসর ইউনিটের সাহায্যে সিএনজি আকারে উৎপাদিত গ্যাস যানবাহনে ব্যবহার করা যাবে।
এই প্রকল্পের উপকারিতা হচ্ছে- প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়, পরিবেশ দূষণ রোধ, প্রচুর পরিমাণে উন্নত জৈবসার উৎপাদন এবং গ্রামে সাধারণ মানুষের দ্বারপ্রান্তে রন্ধন গ্যাস সরবরাহ সুলভকরণ।
যশোর জিলা স্কুলের মেধাবী ছাত্র আবদুর রহমান সমাপনীতে ও জেএসসি-তে জিপিএ-৫ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। আবদুর রহমান স্কুলের অষ্টম শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষায় চার সেকশনের ভিতর সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার পাশাপাশি নবম শ্রেণিতে ক্লাস ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হয়েছে।
'প্রযুক্তি করতে পারে দারিদ্র্য বিমোচন'- এই চেতনায় দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন এক প্রযুক্তি উন্নত প্রযুক্তি বায়োগ্যাস প্লান্ট উদ্ভাবন করে আবদুর রহমান জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত ও প্রশংসিত হয়েছে। ঢাকায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুর রহমানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। আবদুর রহমান ডা. এস এম আবদুল্লাহর পুত্র।

42

কিবোর্ড থেকে সিম্বল লিখবেন কিভাবে



এমএসওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, নোট প্যাড কিংবা ফেসবুকে প্রতিদিন কিছু না সিম্বল লিখতে হয়। ড্রাফটে এসব সিম্বল আনতে ঝক্কি কম নয়। অফিসের ইনসার্ট সিম্বল থেকে আনতে হয় এগুলো। কিন্তু সেখানেও সব সিম্বল মেলে না। ফলে ইন্টারনেট ঘেঁটে নিয়ে আসতে হয় কাঙ্খিত সিম্বল। এই ঝামেলা এড়িয়ে কতগুলো শর্টকার্ট মনে রাখলেই কিবোর্ড চেপেই পেতে পারেন আপনার পছন্দসই সিম্বল। আসুন জেনে নেই শর্টকার্ট গুলো।

Alt+0153…TM…trademark symbol

Alt+0169…©…copyright symbol

Alt+0174…®…registered trademark symbol

Alt+0176…°…degree symbol

Alt+0177…±…plus or minus symbol

Alt+0182…¶…paragraph mark

Alt+0190…¾…fraction, three-fourth

Alt+0215…×…multipliction sign

Alt+0162…¢…the cent sign

Alt+0161…¡…upside down excalmation point

Alt+0191…¿…upside down question mark

Alt+1…☺…smile face

Alt+2…☻…black smile face

Alt+15…☼…sun

Alt+12…♀…female sign

Alt+11…♂…male sign

Alt+6…♠…spade

Alt+5…♣…club

Alt+3…♥…heart

Alt+4…♦…diamond

Alt+13…♪…eighth nite

Alt+14…♫…beamed eighth note

Alt+8721…∑…nary summation (auto sum)

Alt+251…√…square root check mark

Alt+24…↑…up arrow

Alt+25…↓…down arrow

Alt+26…→…right arrow

Alt+27…←…left arrow

Alt+18…↕…up down arrow

Alt+29…↔…left right arrow

43
রোজ ১টি আমলকীর সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ২০টি উপকারিতা




আমলকী হল আমাদের দেহের জন্য সবচাইতে উপকারি ভেষজের মাঝে একটি। এটি আপনি প্রতিদিনই খেতে পারেন এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বরং আছে দারুণ সব উপকার। প্রতিদিন এক গাদা ভিটামিন ট্যাবলেট না খেয়ে খান একটি করে আমলকী। কিংবা আমলকীর আচার। খেতে পারেন আমলকীর মোরব্বা কিংবা আমলকীর পাউডার ব্যবহার করতে পারেন রান্নায়। এই সামান্য আমলকী আপনার দেহের করবে বিস্ময়কর সব উপহার। কীভাবে জানতে চান?


 
আসুন জানি প্রতিদিন একটি আমলকী খাওয়ার ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে।

১) আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

২) এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।

৩) আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।

৪)এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।

৫) আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে।

৬) প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

৭) আমলকীর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়।

৮) আমলকী চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৯) এছাড়াও প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে।

১০) আমলকীর টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।

১১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।

১২) কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।

১৩) ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।

১৪) শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।

১৫) এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকীর আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে।

১৬) শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।

১৭) লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।

১৮) এর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র‌্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র‌্যাডিকালস।

১৯) সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে।

২০) ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

44
রমজানে মাত্র ৩ টি কাজ করলে কখনোই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে না আপনার

মনিতেই আমাদের দেশে গ্যাস্টিক জনিত সমস্যার মানুষ বেশি। রোজাদার ব্যক্তির মূলত সারাদিন পেট খালি থাকে, অন্যদিকে ইফতারে ভাজা পোড়া খাওয়া সবমিলিয়ে সমস্যাটি বেশি হয় এই পবিত্র মাসেই প্রকট আকার ধারণ করে। তাই চলুন এখনই জেনে নিই পবিত্র রমজান মাসে কোন তিনটি কাজ করলে আর কখনো আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকবে না।

১। আধা ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা আদা নিন। তারপর অল্প একটু লবন মাখিয়ে খেয়ে ফেলুন। আদা খাওয়ার কিছুক্ষণ পর এক কাপ কুসুম গরম পানি খান। গভীর রাতে আর গ্যস্ট্রিকের সমস্যা হবে না।
অথবা
২। এক গ্লাস পানি একটি হাড়িতে নিয়ে চুলায় বসান। এর আগে এক ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা হলুদ পানিতে দিয়ে দিন। পানি অন্তত পাঁচ মিনিট ফুটতে দিন। তারপর নামিয়ে আনুন। পানি ঠাণ্ডা হলে হলুদসহ খেয়ে ফেলুন। গ্যাস্ট্রিক দৌঁড়ে পালাবে।
অথবা
৩। ওপরের সমস্ত পদ্ধতি ঝামেলার মনে হলে শুধুমাত্র এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন। কখনোই রাতে পেট বা বুক ব্যথা করবে না।

45
শুরু হল জান্নাত লাভের মাস
[/b]



শুরু হল জান্নাত লাভের মাস
খোশ আমদেদ মাহে রমজানুল মোবারক। শাবান মাস বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে আকাশে এক ফালি চাঁদ ওঠার মাধ্যমে রহমত, বরকত আর নাজাতের সওগাত নিয়ে ধনী-গরিব, ছোট-বড়, আরব-অনারব- সবার কাছে ফিরে এসেছে মহিমান্বিত তাকওয়ার মাস রামাদান। এ মাসে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মুমিন মুসলমান তাদের ঈমানী চেতনা জাগ্রত করে নেবে। আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে অর্জন করে নেবে মহান আল্লাহর ক্ষমা আর মেহেরবানি।
‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পার।’ (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৩)।
পবিত্র কোরআনের এ আয়াতে রমজান মাসে রোজা ফরজ করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়েছে। কোরআনে ব্যবহৃত ‘সওম’-এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা। শরিয়তের পরিভাষায় সুবেহ সাদেক হওয়ার আগ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজার নিয়তে পানাহার ও যৌনকর্ম থেকে বিরত থাকার নাম ‘সওম’ বা রোজা।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাজিয়াল্লাহু আনহু বলেন, মদিনা মুনাওয়ারায় হিজরতে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখতে পেলেন, ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা পালন করে। আল্লাহর রাসূল (সা.) তাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা আজকের দিনে রোজা পালন করছ কেন? ইহুদিরা বলল, আল্লাহপাক বনি ইসরাইলকে তাদের দুশমনদের কবল থেকে এমন দিনে নাজাত দান করেছিলেন। যার কারণে নবী মূসা (আ.) আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে এই দিনে রোজা পালন করেছিলেন। এ জন্য আমরাও মূসা (আ.)-এর অনুসরণ করে এদিন রোজা পালন করে থাকি। তখন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমরা তোমাদের চেয়ে মূসা (আ.)-এর অধিক নিকটবর্তী। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দিনে নিজেও রোজা পালন করলেন এবং সাহাবাদেরও রোজা রাখতে নির্দেশ দিলেন। ইসলামের সেই যুগে আশুরার এ রোজাটি মুসলমানদের ওপর ফরজ ছিল। তবে ইহুদিদের সঙ্গে যাতে মিল না থাকে এজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশুরার এ রোজার সঙ্গে আগের দিন বা পরের দিন আরেকটি রোজা রাখার নির্দেশ যুক্ত করে দিলেন।
হিজরতের ২য় বছর ৬২৪ খ্রি. শাবান মাসে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মুসলমানদের এক মাস রোজা রাখার হুকুম দিয়ে আয়াত নাজিল করেন এবং মাহে রমজানকে সিয়াম পালনের মাস হিসেবে নির্ধারণ করে দেন। তখন থেকেই রমজানের এক মাস রোজা রাখা মুসলমানদের ওপর ফরজ হয়ে গেল। আর রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার পর আশুরার রোজার ফরজিয়ত রহিত হয়ে গেল। অর্থাৎ আশুরার রোজা নফল রোজা হিসেবে প্রচলিত হল। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন- ‘রমজান মাসই হল সেই মাস, যে মাসে নাজিল করা হয়েছে সত্যের দিশারী, সুস্পষ্ট নিদর্শন এবং হক-বাতিলের পার্থক্যকারী আল কোরআন। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে এ মাসটি পাবে সে এ মাসে রোজা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিন গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা চান না- যাতে তোমরা গণনা পূরণ করো এবং হেদায়েত লাভ করে আল্লাহর মহত্ত্ব বর্ণনা করতে পার, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও।’ (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৫)।
যেসব ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় কিংবা সফরে যে ক’টি রোজা রাখতে পারবে না সেসব রোজা অন্য সময় হিসাব করে আদায় করা ওয়াজিব। উপরোক্ত আয়াতে এ ইঙ্গিতও করা হয়েছে যে, রুগ্ন ও মুসাফিরদের অপরিহার্য রোজার মধ্যে শুধু সে পরিমাণ কাজা আদায় করাই ওয়াজিব রোগী সুস্থ হওয়ার পর এবং মুসাফির বাড়ি ফেরার পর যে ক’দিন সুযোগ পাবে। কিন্তু সে ব্যক্তি যদি এতটুকু সময় না পেয়ে এর আগেই মৃত্যুবরণ করে তার ওপর ফিদইয়ার জন্য ওসিয়ত করা জরুরি নয়।
আলহামদুলিল্লাহ, বছর ঘুরে আবার উপস্থিত হয়েছে পবিত্র বরকতময় রমজান মাস। রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের রমজানের পুরো হক আদায় করার তৌফিক দান করেন। আমরা যেন রমজানজুড়ে কামিয়ে নিতে পারি খোদার মেহেরবানি। এ রমজানে খোদা যেন গোটা দুনিয়ায় তার রহমতের চাদর বিছিয়ে দেন। তাবৎ মুসলমান যেন সেই চাদরের ছায়ায় দাঁড়িয়ে রোনাজারি করতে পারে- হে আল্লাহ আমাদের খাঁটি মুমিন মুসলমান বানিয়ে মুসলমান হিসেবেই জান্নাতুল ফেরদাউসে জায়গা করে দিয়েন। এ রহমতের মাস যে জান্নাত কামানোর মাস।


- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/52958#sthash.T6uhzlA4.dpuf

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 9