Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - sisyphus

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7
76
পৃথিবী থেকে ১৪ আলোকবর্ষ দূরের এক গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা খুঁজে দেখছেন বিজ্ঞানীরা।

অ্যাস্ট্রোফিজিকাল জার্নাল-এর পরবর্তী সংখ্যায় প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাতে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট জানায়, উলফ১০৬১ তারাকে কেন্দ্র করে আবর্তনরত উলফ১০৬১সি নামের এ গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা তরল পানির তাপমাত্রার সমান হওয়ায় এতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা খুবই সম্ভব।

গ্রহটি এর সূর্য থেকে বাসযোগ্য দূরত্বের চেয়েও কিছুটা ভেতরদিকে অবস্থিত হওয়ায় এর পরিবেশের সঙ্গে পৃথিবীর চেয়ে বৃহস্পতি গ্রহের পরিবেশের মিল থাকার সম্ভাবনাই বেশি। তবে, ভিনগ্রহে জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার এ সম্ভাবনাটুকুও যাচাই করে দেখতে চান এমইটিআই (মেসেজিং এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ইন্টারন্যাশনাল-এর বিজ্ঞানীরা।

এমইটিআই ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রেসিডেন্ট ডগলাস ভাকোচ বলেন, "উলফ১০৬১সি-তে প্রাণের অস্তিত্ব থেকে থাকলেও তা আণুবীক্ষণিক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এখন পর্যন্ত আমরা মাত্র ১৪ আলোকবর্ষ দূরের এই এক্সোপ্ল্যানেটে আধুনিক প্রযুক্তির কোনো চিহ্ন খুঁজে পাইনি।"

সিনেট জানায়, প্ল্যানেটারি হ্যাবিট্যাবিলিটি ল্যাবরেটরি-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সৌরজগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এমন সবচেয়ে কাছাকাছি গ্রহগুলোর মধ্যে উলফ১০৬১সি তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। আগের বছর আবিষ্কৃত পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী সম্ভাব্য বাসযোগ্য গ্রহ আলফা সেঞ্চুরি সিস্টেমে অবস্থিত প্রক্সিমা সেন বি-তে জীবনের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শোনা গেলেও গ্রহটির সূর্য থেকে ক্রমাগত নির্গত সোলার ফ্লেয়ার এ সম্ভাবনাকে অনেকটাই নাকচ করে দেয়। উলফ১০৬১সি পৃথিবী থেকে প্রক্সিমা সেন বি-এর তুলনায় প্রায় তিনগুণেরও বেশি দূরত্বে অবস্থিত।

এমইটিআই এ যাবত মোট চারটি পৃথক ঘটনায় পানামায় অবস্থিত এর অপটিকাল টেলিস্কোপের সাহায্যে ভিনগ্রহের কোনো সভ্যতার চিহ্ন পেতে অনুসন্ধান চালালেও এখন পর্যন্ত তেমন কিছুই ধরা পড়েনি। ফেব্রুয়ারির শেষদিকে এ তারাটি আবার পানামা থেকে দেখা যাবে এবং এমইটিআই আরও বিস্তৃত ব্যান্ডউইথ সিস্টেমের সাহায্যে অতীতে নজর এড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে এমন ফ্রিকোয়েন্সির সন্ধানে তৎপরতা চালাবে বলে, জানান ভাকোচ।

২০১৮ সালের শেষদিকে গ্রহটিকে লক্ষ্য করে সিগনাল পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে এমইটিআই-এর উল্লেখ করে ভাকোচ বলেন, "আমরা আশা করছি কোনো ভিনগ্রহবাসী এতোদিন আমাদের নজর এড়িয়ে গেলেও এবার প্রত্যুত্তর পেতে আমরা সক্ষম হবো।"

তথ্যসূত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

77
বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ভিটামিন বি আমাদেরকে কিছুটা সুরক্ষা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

মানুষের উপর ছোট পরিসরে চালানো একটি পরীক্ষার পর গবেষকরা এ তথ্য দেন।

বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন বি গ্রহণ করলে মারাত্মক বায়ুদূষণের কারণে মানবদেহে যে ক্ষতি হয় তা ‘পুরোপুরি পূরণ’ করা সম্ভব হতে পারে।

তারা বলছেন, বায়ু দূষণ জনিত ক্ষতিপূরণে ভিটামিন বি প্রকৃতই প্রভাব ফেলে। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

বেইজিং বা মেক্সিকোর মত মারাত্মক দূষিত নগরের সমস্যা সমাধানে বিষয়ে নিয়ে দ্রুত আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন গবেষকরা।

বিশ্ব জুড়ে বায়ুদূষণ দিন দিন গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বর ৯০ শতাংশ মানুষ দূষিত বায়ুর মধ্যে বাস করে।

১০ জন স্বেচ্ছাসেবী নতুন গবেষণায় অংশ নেন। প্রাথমিকভাবে তাদের বিশুদ্ধ বাতাসে রেখে একটি করে প্ল্যাসেবো ক্যাপসুল খেতে দেওয়া হয় এবং শরীরে এর প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা হয়।

এরপর তাদের মারাত্মক দূষিত বায়ুর মধ্যে রেখে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন বি খাওয়ানো হয়।

এভাবে চার সপ্তাহ চলার পর গবেষকরা দেখেন ভিটামিন বি মারাত্মক বায়ু দূষণজনিত ক্ষতি ২৮ শতাংশ থেকে ৭৬ শতাংশ কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।

গবেষক দলের প্রধান হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেল্থ এর জিয়া ঝং বলেন, “যখন আমরা এর (ভিটামিন বি) প্রভাব পরিমাপ করতে গেলাম তখন দেখা গেল এটি বায়ু দূষণজনিত ক্ষতি প্রায় পুরোপুরি পূরণ করে ফেলতে পারছে।”

তবে এই গবেষণা কাজের বেশকিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে খেদ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে ভিটামিন বি বিভিন্ন মাত্রায় ব্যবহারের সুযোগ নেই। গবেষণায় আমরা খুবই উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন বি ব্যবহার করেছি। গর্ভাবস্থায় যে পরিমান ভিটামিন বি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয় এটি তার তুলনায় অনেক বেশি।”

এছাড়া, গবেষণায় অংশ নেওয়ার মত স্বেচ্ছাসেবী খুঁজে পাওয়াও কঠিন হয়ে যায় বলে জানান তিনি।

তথ্যসূত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

78
বাংলাদেশে মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ার থেকে নিঃসৃত বিকিরণের (রেডিয়েশন) মাত্রা উচ্চ পর্যায়ের এবং তা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে সরকারি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের দিয়ে তৈরি করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই প্রতিবেদন বুধবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাই কোর্ট বেঞ্চে জানানো হয়।

প্রায় পাঁচ বছর আগে আদালতের নির্দেশনার পর গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে জানাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এদিন আদালতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদন তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী জিনাত হক।

পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

মোবাইল ফোন টাওয়ারের রেডিয়েশন নিঃসরণ নিয়ে ২০১২ সালে হাই কোর্টে রিট আবেদন করে এইচআরপিবি। আদালত রেডিয়েশনের মাত্রা এবং এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাব খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেয়।

বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কয়েকটি মোবাইল ফোন টাওয়ার পরিদর্শন করে রেডিয়েশন বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।একইসঙ্গে সাতদিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করতে স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই কমিটিতে বিজ্ঞানী, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অধ্যাপক,স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং আণবিক শক্তি কমিশনের প্রতিনিধিসহ সাতজন সদস্য রাখতে বলা হয়। এই কমিটিকে মোবাইল টাওয়ার থেকে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও পরিবেশগত প্রভাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

এসব অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি আদালত রুলও জারি করে। রুলে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারগুলো থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

আদালতের ওই নির্দেশে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি পৃথক একটি সাব কমিটি গঠন করে। এ সাব কমিটি ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই প্রতিবেদন দেয় বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দেয়।

সাব কমিটির এ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞ কমিটি তিনটি সুপারিশ পাঠায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে।

ওই সুপারিশে বলা হয়- (ক) সাব কমিটি বিকিরণ পরিমাপকালে একটি মোবাইল অপারেটর বেস ট্রান্সিভার স্টেশন (বিটিএস)-এ মাত্রাতিরিক্ত বিকিরণ পেয়েছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৬টি অপারেটর কর্তৃক স্থাপিত বিটিএস সমুহ পরীক্ষাপূর্বক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত নিরাপদ মাত্রার মধ্যে বিকিরণ নামিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিটিআরসিকে বলা যেতে পারে।

(খ) নিয়মিতভাবে সকল মোবাইল ফোন অপারেটরের বিটিএস-এর বিকিরণ মনিটরিং করার জন্য বিটিআরসিকে বলা যেতে পারে। এবং

(গ) বিটিএস স্থাপন ও এর টাওয়ার থেকে বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নীতিমালা বা গাইডলাইন অতিসত্বর প্রণয়ন করার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসিকে বলা যেতে পারে।

ব্যারিস্টার কাজী জিনাত হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ সুপারিশ পাওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিটিআরসিকে বিকিরণের মাত্রা কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। আর বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদনটি আজ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত এটি হলফনামা আকারে দাখিল করতে বলেছে।”

তথ্যসূত্রঃ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর

79
মধ্যাহ্ন ভোজন কিংবা ডিনারে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার থাকে। অনেক সময় খাবারের পর চায়ের ব্যবস্থা থাকে। আবার কেউ কেউ অভ্যাসগতভাবেই লাঞ্চ কিংবা ডিনারের পর চা-পান করেন। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, উক্ত প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণের ঠিক পর পরই চা-পান করা উচিত নয়। এতে করে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। দেখা গেছে, চায়ের মধ্যকার ট্যানিন খাবারের প্রোটিনের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে এক ধরনের জটিল রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে। এই রাসায়নিক যৌগ হজমে সমস্যার সৃষ্টি করে এবং আয়রন শোষণে বাধা দেয়। কাজেই নিয়মিত উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণের ঠিক পর পরই চা-পান করলে অদূর ভবিষ্যতে তা হজমে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আর হজমে সমস্যা হওয়া মানেই শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হওয়া। ফলে এক সময় শরীর অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকে।
 
এ বিষয়ে ইঁদুরের ওপর এক গবেষণায় আমেরিকার একদল গবেষক দেখেছেন, প্রোটিন জাতীয় খাবারের সঙ্গে চা গ্রহণ করলে খাদ্য হজমের প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং ক্রমান্বয়ে তা বাড়তে থাকে। বর্তমানে দীর্ঘদিন ধরে যারা হজমের সমস্যায় (সাধারণের কাছে যা পুরনো আমাশয় বলে পরিচিত) ভুগছেন, তাদের মধ্যে কারো দুপুরের কিংবা রাতের খাবার গ্রহণের পর পরই চা-পানের অভ্যাস থেকে থাকলে ত্যাগ করুন। এতে হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন গবেষকরা। তবে এই সমস্যা যে শুধু লাঞ্চ কিংবা ডিনারে প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করলেই হবে তা নয়, অন্যান্য সময়েও যদি উচ্চ প্রোটিনযুক্ত নাস্তা যেমন- মাংসের কাবাব কিংবা মাংস দিয়ে তৈরি এমন কিছু খাওয়ার ঠিক আগে বা ঠিক পরেই চা-পান করেন তাহলে একই ধরনের বিপত্তি হবে।
 
উল্লেখ্য, মাংস ও মাছের মধ্যেই উচ্চমাত্রায় প্রোটিন থাকে। কিন্তু মাংসের সঙ্গে চা-পানেই সমস্যাটা বেশি হচ্ছে। আবার চায়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ট্যানিনের উপস্থিতির কারণে শুধু লিকার চায়ের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা আরও বেশি হবে। কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে প্রোটিন বা আমিষযুক্ত খাবারের সঙ্গে চা-পানের ফলে তেমন কোনো সমস্যা দেখা না দিলেও নীরব অপুষ্টি তাদেরকে ক্রমান্বয়ে গ্রাস করতে থাকে। তাদের শরীর প্রয়োজনীয় মিনারেল থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। এক পর্যায়ে মিনারেল ঘাটতি (ক্যালসিয়াম) এবং অপুষ্টিজনিত কারণে বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সুতরাং প্রোটিন ভোজনের পর চা-পানের অভ্যাস থেকে থাকলে সেটি ত্যাগ করতে হবে। আর খাবারের পর চা-পান যদি করতেই হয় তাহলে অন্তত ৪-৫ ঘণ্টা বিরতি দিয়ে তারপর করুন।
 
লেখক : ডা. সজল আশফাক, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

সূত্রঃ http://www.risingbd.com/%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%A4%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A6%B0/134055

80
খুলনার চইঝালের ঝাঁঝে ঝরবে চোখের পানি, চিটাগাঙ এক্সপ্রেস ও মেজবান বাড়ি’র খাবারে হবে উদরপূর্তি।

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার পেছন দিকে এই তিন রেস্তোরাঁ মিলছে বাংলাদেশের আঞ্চলিক খাবার। অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে হাতের ডানে কুয়েতি মসজিদ সড়কে পাবেন মেজবান বাড়ি আর চিটাগঙ্গ এক্সপ্রেস, মিলবে চাটগাঁইয়া খাবারের স্বাদ।

যমুনা ফিউচার পার্কের গেট থেকে গ্রামীনফোন অফিসের দিকে যেতে হাতের ডানে গলির ভেতরে পাবেন চইঝাল, এখানকার খাবারে পাবেন খুলনার রান্নাঘরের আবহ।

মেজবান বাড়ি

রেস্তোরাঁর মূল ফটক দিয়ে ঢুকে প্রথমেই চোখ আটকে যাবে রেস্তোরাঁর মাঝখানে একটি তালগাছ আর তার গায়ে লাগানো কাঠের তীরচিহ্নগুলো। আপনি চাটগাঁইয়া না হলে বা চট্টগ্রামের ভাষার সঙ্গে পরিচয় না থাকলে তীরচিহ্নের গায়ে লেখা ‘ঠাডাখানা’, ‘বস খানা’, ‘টাট্টি খানা’, ‘পেটি ঘর’ শব্দগুলো দেখে চোখ কুঁচকে যেতে পারে।

ঠাডাখানা হল আড্ডা দেওয়ার জায়গা, টাট্টিখানা মানে শৌচাগার, পেটি ঘর হল ক্যাশ কাউন্টার আর বস খানা মানে রান্নাঘর- জানালেন রেস্তোরাঁর মালিক আবু সায়েদ কবির আহমেদ।

মেজবান বাড়ির ভেতর চ্টাগ্রামের ভাষায় পথ নির্দেশনা। মেজবান বাড়ির ভেতর চ্টাগ্রামের ভাষায় পথ নির্দেশনা। মেজবান বাড়ির অন্দরসজ্জা। মেজবান বাড়ির অন্দরসজ্জা। গত বছরের অক্টোবরে চালু হয়েছিল মেজবান বাড়ি। খোলামেলা, ছিমছাম পরিবেশের রেস্তোরাঁতে সবমিলিয়ে ৯০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে। প্রতি টেবিলের পাশে আছে টবে লাগানো গাছ। রেস্তোরাঁর কিছু অংশ খোলা আকাশের নিচে হওয়ায় রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে ছাতাও রাখা হয়েছে। প্রধান ফটকের পাশে আছে একটি জুস কর্নার।
খাবারের তালিকায় আছে মেজবানি গোশত, কালাভুনা, আখনি বিরিয়ানি, চানার ডাল, নলা কাঞ্জি, মুরগি, দুরোস, আর পরাটা।

কবির আহমেদ বলেন, “পুরো গ্রামের মানুষকে দাওয়াত করে তিন বেলা খাওয়ানোই হল চট্টগ্রামের মেজবানি। ভাত, গরুর মাংস আর চানার ডাল হল এই মেজবানি খাবারের অংশ। কালাভুনা যোগ হয়েছে কিছু বনেদি পরিবারের কল্যাণে।”

এখানে মেজবানি মাংসের দাম ১৬৫ টাকা, কালাভুনা ২৩০ টাকা, চানার ডালের দাম ৮৫ টাকা আর ভাত ২৫ টাকা। আখনি বিরিয়ানি ১৪০ টাকা। মুরগি ১৩০ টাকা।

“দুরোস হল আস্ত মুরগি। জামাই, বাড়িতে আসলে দুরোস পরিবেশন করাটা চট্টগ্রামের ঐতিহ্য। আমাদের এখানে দাম ৫শ’ টাকা। গরুর পায়ের হাড় থেকে তৈরি হয় নলা কাঞ্জি, দাম ৭৫ টাকা। পরোটা ২৫ টাকা। খাবার পরিবেশন করা হয় মাটির বাসনে।” বললেন আহমেদ।

এছাড়াও চট্টগ্রামের তিন নদী শঙ্খ, সাঙ্গু ও কর্নফূলি নামে রয়েছে তিনটি সেট মেন্যু। দাম ২৪০ টাকা থেকে ৩৫৫ টাকা।

ছাত্রদের জন্য আছে দেড়শ টাকার সেট মেন্যু, পাওয়া যাবে আখনি বিরিয়ানি এবং ড্রিংকস। ডেজার্টে আছে ফালুদা, জর্দা পোলাও, ফিরনি, বরফি, নারিকেলের পুডিং, লাচ্ছি ও ড্রিংকস।

দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই রেস্তোরাঁ। ওয়াইফাই আছে।

চিটাগাঙ এক্সপ্রেস

চিটাগাঙ এক্সপ্রেসের প্রধান ফটক। চিটাগাঙ এক্সপ্রেসের প্রধান ফটক। চিটাগাঙ এক্সপ্রেসে ডালমাংস। চিটাগাঙ এক্সপ্রেসে ডালমাংস। চট্টগ্রামের মেজবানি খাবারের আরেক রেস্তোরাঁ চিট্টাগঙ্গ এক্সপ্রেস।
রেস্তোরাঁর মালিক মফিজুর রহমান বলেন, “শুরু হয়েছিল গত বছরের জুলাই মাসে। বসার ব্যবস্থা আছে একশ জনের। খোলা থাকে দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। দুপুর আর রাতের খাবারের সময় চাপ বেশি থাকে।”

মেজবানি গোশত, প্রতি বাটি ৮শ’ টাকা আর প্লেট প্রতি ১৪০ টাকা। মেজবানি ডাল, প্রতি বাটি ৩শ’ টাকা আর প্লেট প্রতি ৬০ টাকা। কালাভুনা এক বাটি ১ হাজার টাকা আর প্লেট হিসেবে ২শ’ টাকা। পায়া প্রতি বাটি ২শ’ টাকা আর প্লেট প্রতি ৬০ টাকা। আখনি বিরিয়ানি ফুল প্লেট ২শ’ টাকা আর হাফ প্লেট ১৪০ টাকা। মুরগির রেজালা প্রতি প্লেট ১শ’ টাকা। পরোটা ১৫ টাকা। নান রুটি ২০ টাকা।

২২০ টাকায় পাওয়া যাবে সেট মেন্যু। থাকবে মেজবানি গোশত, মেজবানি ডাল, পায়া আর ভাত। এছাড়াও ছাত্ররা ১০টি খাবার অর্ডার করলে একটি পদ পাবেন বিনামূল্যে।

মফিজুর রহমান বলেন, “চট্টগ্রামের খাবারের ‘অথেনটিক’ স্বাদ দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।”

ডেজার্টে আছে ফিরনি, দাম ৪০ টাকা। দই ৬০ টাকা।

চইঝাল

মালিক মহিউদ্দিন মহি বলেন, “এই বছরের জুলাই মাস থেকে ছয় সহকর্মী মিলে যাত্রা শুরু করেছি আমরা। দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে আমাদের রেস্তোরাঁ। বসার ব্যবস্থা আছে ৩৬ জনের। দুপুর এবং রাতের খাবারের সময়ে ভিড় বেশি হয়। ছাত্র আর চাকরিজীবি ক্রেতাই বেশি আসেন।”

খাবারের বৈশিষ্ট বর্ণনা করতে গিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, “আমাদের খাবারের বিশেষত্ব হল মাংস রান্নায় মসলাজাতীয় গাছ চইঝালের ব্যবহার। আসলে খুলনায় রান্নায় এই গাছ ব্যবহার করা হয়। সেই ঐতিহ্যকেই তুলে ধরার চেষ্টা করছি আমরা।”

চইঝালের প্রধান দরজা। চইঝালের প্রধান দরজা। চইঝাল দিয়ে রান্না করা মাংস। চইঝাল দিয়ে রান্না করা মাংস। “পাশাপাশি রান্নায় আস্ত রসুন ব্যবহার করি আমরা। এছাড়াও আছে বিশেষ টক ডাল। এটি তৈরিতে তেঁতুল ব্যবহার করে থাকি। তবে ঋতু ভেদে আম, আমড়া, চালতাও ব্যবহার করা হয়।” বললেন মহিউদ্দিন।
এখানে গরুর মাংস প্রতি প্লেট ১২০ টাকা। খাসির মাংস ১২০ টাকা। মুরগির মাংস কোয়ার্টার ১৪০ টাকা। ভাত, দই, ফিরনি ৩৫ টাকা।

রেস্তোঁরায় খাবার পরিবেশনের ধরণটা একটু ভিন্ন। ক্রেতার সামনে মাংসের বড় গামলা এনে দেওয়া হয়। সেখান থেকে নিজের পছন্দ মতো মাংস তুলে নেয় ক্রেতারা।

মূল লেখার লিঙ্ক- http://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1049671.bdnews

81
Life Style / ঠাণ্ডা ও কফ নিরাময়
« on: November 23, 2015, 12:25:37 PM »
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ঘরেোয়া উপায়ে ঠাণ্ডা ও কাশি থেকে মুক্তির কিছু টোটকা উল্লেখ করা হয়।

গরম ভাপ: ঠাণ্ডা এবং কফের সমস্যা হলে ভাপ বেশ উপকারী। একটি বড় বাটিতে গরম পানি নিয়ে ভাপ টেনে নিতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট এই ভাপ নেওয়া গেলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে। গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল বা মেনথল মিশিয়ে দিলে আরও উপকার পাওয়া যাবে।

মধু: ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারইজারের কাজ করে মধু। তাছাড়া ঠাণ্ডা কফ সারাতেও দারুণ ঔষুধি গুণ রয়েছে এই উপাদানের। দিনে তিনবার খানিকটা মধু খেলে উপকার পাওয়া যাবে। পাঁচ বছরের উপরে যাদের বয়স তাদের জন্য মধুর সঙ্গে এক চামচ দারুচিনিগুঁড়া মিশিয়ে খাওয়ালে বেশি উপকার হয়।

মালিশ: দুই বছরের ছোট শিশুদের জন্য মালিশ বেশ উপকারী। সরিষার তেলের সঙ্গে খানিকটা রসুন নিয়ে হালকা গরম করে ওই মিশ্রণ দিয়ে মালিশ করা যেতে পারে। বুকে, পিঠে এবং গলায় এই তেল দিয়ে মালিশ করতে হবে। তাছাড়া শিশুর হাতের তালু এবং পায়ের তালুতেও হালকা মালিশ করতে হবে।

প্রচুর পানীয় পান করতে দিতে হবে: কাশি এবং কফের সমস্যায় শরীরে প্রচুর পানির প্রয়োজন। নিয়ম করে পানি পান করতে হবে। এতে সাধারণ ঠাণ্ডার সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে। তাছাড়া হালকা গরম পানি পানে গলার খুসখুসে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। পানি ছাড়া গরম সুপ, তাজা ফলের রস ইত্যাদিও বেশ উপকারী।

লবণ পানি দিয়ে গারগল করা: গলার ইনফেকশন বা প্রদাহে কুসুম গরম পানিতে খানিকটা লবণ মিশিয়ে গারগল করা বেশ উপকারী। তাছাড়া গলা ব্যথা কমাতেও এটি সাহায্য করে। দিনে দুবার গারগল করলে উপকার পাওয়া যাবে।

হলুদ মিশ্রিত দুধঃ হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা বিভিন্ন ভাইরাস জনিত ইনফেকশন সারাতে কার্যকর। গরম দুধের সঙ্গে খানিকটা হলুদগুঁড়া মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করা যেতে পারে। সর্দি ও গলা ব্যথায় এই দুধ অত্যন্ত উপকারী। তাছাড়া দুধের ক্যালসিয়াম শক্তি জোগাবে এবং সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

তথ্যসূত্রঃ বিডিনিউজ২৪

82
Life Style / ডেঙ্গু নিয়ে সাবধানতা
« on: November 23, 2015, 12:24:17 PM »
প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধের ব্যবস্থাই কার্যকর বেশি। এডিস মশার মাধ্যমে মানুষের শরীরে আসে এবং এডিস মশাই আক্রান্ত রোগীর রক্ত খাওয়ার মাধ্যমে এই রোগ সুস্থ মানুষের দেহে ছড়ায়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ফাস্ট কেয়ার হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ কামরুল হাসান। তিনি বলেন, “শুনতে খটকা লাগলেও ডেঙ্গু জ্বর মূলত অভিজাত শ্রেণির মানুষদের রোগ। বস্তিতে, ডোবার আশপাশে বসবাসকারী মানুষের এই রোগ খুব কম হয়। বরং বাড়ির আশপাশে, বারান্দায় টবে গাছ করেন যারা তাদেরই এই রোগ বেশি হতে দেখা যায়। কারণ গাছের টবে বা অন্যান্য স্থানে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে।”

লক্ষণঃ কামরুল হাসান বলেন, “ডেঙ্গু জ্বরকে সাধারণত তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়, ফ্রেব্রাইল, অ্যাফেব্রাইল ও ক্রিটিকাল।” এই চিকিৎসক জানান, ফেব্রাইল পর্যায়ে রোগীর প্রচণ্ড জ্বর থাকে। সঙ্গে শরীর, হাত, পা, মাথা ও চোখের চারপাশে ব্যথা হতে পারে। রোগী প্রচণ্ড দুর্বল অনুভব করবে। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত এই পর্যায় থাকে। এরপর জ্বর সেরে যায় এবং শুরু হয় অ্যাফেব্রাইল পর্যায়। এই পর্যায় বেশি বিপজ্জনক। জ্বর সেরে যাওয়ার পর রোগীর রক্তের শ্বেতকণিকা, অনুচক্রিকার পরিমাণ কমতে শুরু করে। পাশাপাশি দাঁত মাজার সময় রক্তক্ষরণ, পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া, শরীরে ছোট লাল দানা দেখা দেওয়া ইত্যাদি হতে পারে। অরুচি, প্রচণ্ড দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, পেটে ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদিও থাকতে পারে।

প্রতিরোধঃ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই এর মূল প্রতিরোধ ব্যবস্থা। বাসার আশপাশে কোথাও যাতে পানি জমে থাকতে না পারে সেবিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত মশার ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। মশার বংশবৃদ্ধি রোধ, মশা নিধন ও প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
ঘরের আঙিনা, ফুলের টব, বারান্দা, এসির নিচে জমানো পানি নিয়মিত পরিষ্কার করে রাখতে হবে। দিনের বেলা এডিস মশা কামড়ায় বলে দিনে মশানাশক স্প্রে বা মশারি ব্যবহার করতে হবে। শিশুদের ফুলপ্যান্ট পরানো উচিত। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা বিছানায় মশারির ভেতর রাখতে হবে।

চিকিৎসাঃ ডা. কামরুল হাসান বলেন, “ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত পাঁ থেকে সাত দিনের মধ্যেই সেরে যায়। জ্বর হলে পূর্ণ বিশ্রামে থাকুন। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি, স্যালাইন, ডাবের পানি, ফলের শরবত পান করা উচিত। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে বারবার শরীর মুছে দিতে পারেন। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়া যাবে। তবে কোনো অবস্থায়ই ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যাবে না। ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।

তথ্যসূত্রঃ দেহঘড়ি (বিডিনিউজ ২৪)

83
Jokes / ব্র্যান্ড - আল হেলাল
« on: November 23, 2015, 12:17:29 PM »
মেয়েঃ আমি সানসিল্কের শ্যাম্পু ব্যবহার করি । তুমি কিসের শ্যাম্পু ব্যবহার কর ?
ছেলেঃ আল হেলালের ।
মেয়েঃ আমি লাক্সের সাবান ব্যবহার করি । তুমি কিসের সাবান ব্যবহার কর ?
ছেলেঃ আল হেলালের ।
মেয়েঃ আমি olay ক্রিম ব্যবহার করি । তুমি কিসের ক্রিম ব্যবহার কর ?
ছেলেঃ আল হেলালের ।
মেয়েঃ আচ্ছা আল হেলাল কি কোন ইন্টারন্যাশনাল ব্রান্ড ?

. . . . .

ছেলেঃ না । আল হেলাল…….আল হেলাল…… আমার রুমমেটের নাম…..

84
Jokes / মুরগিরা কেন লম্বা হলো না
« on: November 23, 2015, 12:10:05 PM »
শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন পল্টুকে, ‘বল তো পল্টু, মুরগিরা কেন জিরাফের মতো লম্বা হলো না?’

পল্টুর ঊত্তর:
কারণ, তাহলে ডিম মাটিতে পড়েই ফটাস করে ভেঙে যেত।

85
Commerce / 6 PITFALLS EVERY BANGLADESHI E-COMMERCE COMPANY SHOULD AVOID
« on: November 23, 2015, 11:50:20 AM »
Led by an entrepreneurial young generation, the e-commerce industry is expanding fast in Bangladesh. The fact that an e-commerce company can be set up without investing in a traditional a brick and mortar storefront, makes matters all the more exciting! While rushing headfirst into this lucrative business green field might appear enticing, a good idea would be knowing which easy pitfalls to avoid.

1. Leaving All Buzz-creating Activities Till Launch Time
You need to create a buzz around your brand from early on, give or take 3-6 months prior to launching. At least start with a facebook page. Post regular, relevant and meaningful contents to entice viewers. When viewers see your products eventually, they will have a high probability of taking action (i.e. purchasing) if they are familiar with your brand.

2. Losing Hope Too Early On
if you really expected your business's bank account to swell within the first week of operation, you were too optimistic. Business builds up slowly. Buyers need to know you first, before they part with cash to obtain your goods. So don't lose hope and stay put!

3.Not Re-confirming Delivery Request with Buyer
Make sure you call your client and re-re-confirm on the day of delivery as well. Otherwise you run the risk of having to resend your courier guys to the same address with the same package on a different day. It's an additional hassle especially in a cash-on-delivery market like Bangladesh, no matter who foots the bill.

4.Underestimating the Power of Offline
Never miss an opportunity to meet your customers in person! Whether you are selling clothing or book or even food, meeting customers is a must. Newcomers in the e-commerce industry struggle to establish their names. A sure way to establish direct contact with the target market is through participation in fairs or other networking events. Bangladeshi customers are still a long way off from blindly trusting an e-commerce company to deliver as promised (and quite rightly so!). Once they see, touch and feel your product physically, they would be more willing to make a virtual purchase from you afterwards.

5. Ignoring Your Own FnF Circle
If you are planning to take your selling-from-living-room business to the next level, against your traditional-minded family's wish, you might be under a lot of pressure to prove yourself. And fast!At a time like this you might be tempted to step out and seek a greater pool of customers outside the existing circle consisting of your aunts, cousins and mom's friends. A good idea is not to alienate these people who have patronised you even if that was out of sheer camaraderie. Rather encourage them to spread the word for you.

6. Waiting for Perfection
Just go ahead and launch! Even if it's a test launch, just do it. Waiting till you have pressed out all the wrinkles and perfected your service/product is likely to take away your conviction. Kick start early on. Ask your own network to pose as customers and test your prototype. Take their feedback. You'll be amazed at the level of improvements you can bring about.

Source: The Daily Star

86
লেখকঃ শওকত হোসেন মাসুম

বিশ্ব অর্থনীতি এখন যথেষ্ট গোলমেলে অবস্থায় আছে। একদিন হয়তো শেয়ারবাজারে ধস নামল, পরদিনই জ্বালানি তেলের দাম নেমে গেল ৪০ ডলারের নিচে। আরেক দিন হয়তো সোনার দাম কমে নতুন রেকর্ড তৈরি করে ফেলল। আবার দেখা গেল, বিশ্বের বড় বড় মুদ্রার মূল্যমান হারিয়ে যা-তা অবস্থা। বিশ্ব অর্থনীতির এই ওঠানামার সঙ্গে তাল মেলানোই মুশকিল। বড় অর্থনীতির দেশগুলোর নীতিনির্ধারকদের অবস্থা তো আরও খারাপ। মন্দা ঠেকাতেই তারা ব্যস্ত। ইউরোপের অর্থনীতি অনেক দিন ধরেই মন্দায়। সাম্প্রতিক গ্রিস-সংকট ইউরোপের অর্থনীতির দুর্বলতাকে আরও প্রকট করেছে। তবে গ্রিস সারা বিশ্বের অর্থনীতিকে ততটা ধাক্কা দিতে পারেনি, যতটা পেরেছে এশিয়ার দেশ চীন। চীনের চাহিদা ও জোগানের ওপর এখন নির্ভর করছে বিশ্ব অর্থনীতির ওঠানামা। সোনার দাম কেন কমল? কারণ, চীনের চাহিদা কমেছে, তারা সোনা কেনা কমিয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেছে, বিশ্বের সব ধরনের ধাতব পণ্যের দাম ৭ শতাংশ কমে গেছে, কারণ চীনের চাহিদা কম। জ্বালানি তেলের দাম কমার পেছনেও চীনের গতি-মন্দা খানিকটা দায়ী। সুতরাং বলা যায়, বিশ্ব অর্থনীতির সব পথ গিয়ে মিশেছে চীনে। যা কিছু হারায় কেষ্টা বেটাই চোর-এর মতো বিশ্ব অর্থনীতির চোর এখন ‘কেষ্টা’ চীন।

বাংলাদেশের অর্থনীতির ঘোষিত নীতি হচ্ছে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে রপ্তানিনির্ভর। আসলে এই নীতির সবচেয়ে সার্থক প্রয়োগ ঘটিয়েছে চীন। আলপিন থেকে শুরু করে হেন কিছু নেই, যা চীন রপ্তানি করে না। বিশ্বের এক নম্বর রপ্তানিকারক দেশ এখন চীন। বিশ্বের মোট রপ্তানির ১৩ দশমিক ৭ শতাংশই চীনের। আবার বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৫ শতাংশ আসে চীন থেকে। সুতরাং এ রকম একটি দেশের যেকোনো ধরনের সংকট যে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে, সেটা বলাই বাহুল্য।
রপ্তানিনির্ভর চীনের প্রবৃদ্ধি কতখানি টেকসই, এ নিয়ে প্রশ্ন আগে থেকেই ছিল। কমছিল দেশটির রপ্তানি। কেবল জুলাই মাসেই কমেছে ৮ শতাংশ। রপ্তানির এই পতন ঠেকাতে অনেকটা আকস্মিকভাবেই বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তি চীন আগস্টে পরপর দুই দিন তাদের মুদ্রা ইউয়ানের অবমূল্যায়ন ঘটায়। এর মধ্যে ১১ আগস্ট অবমূল্যায়ন করা হয় ১ দশমিক ৯ শতাংশ, পরের দিন আরও ১ শতাংশ। চীনের মুদ্রা পুরোপুরি ভাসমান বা ফ্লোটিং নয়। বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্ব অর্থনীতির সুবাতাস বইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপরে। তারাই এখনো বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তির দেশ। ফলে ডলারও এখন তেজি। ডলার হয়তো এখন আরও তেজি হবে। ফলে প্রায় প্রতিটি দেশকেই ডলারের মূল্যমানের সঙ্গে নিজেদের মুদ্রার মানকে বিবেচনায় রাখতে হবে।

ইউয়ানের অবমূল্যায়নের কারণে চীনা রপ্তানিযোগ্য পণ্য আরেকটু সস্তা হবে। দেশটির আশা, এর ফলে রপ্তানিও বাড়বে। বিশ্বের অনেক দেশকেই চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে রপ্তানি-বাণিজ্যে টিকে থাকতে হয়। অবমূল্যায়নের ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এখন অন্য দেশগুলোকেও অনুসরণ করতে হবে চীনকে, তা করেছেও।
কিন্তু অবমূল্যায়নের রেশ না কাটতেই আরও বড় ধাক্কা লাগল বিশ্ব পুঁজিবাজারে। ২৪ আগস্ট, সোমবার বড় ধস নামে চীনের শেয়ারবাজারে। ২০০৭ সালের পর এটাই ছিল সবচেয়ে বড় পতন। চীন সরকারের মুখপত্র দ্য পিপলস ডেইলি এটিকে বলছে আরেক ‘ব্ল্যাক মানডে’। ১৯৮৭ সালের ১৯ অক্টোবরও ছিল সোমবার। ওই দিনের বিশ্ব পুঁজিবাজারের ধসকে এত দিন বলা হতো ‘ব্ল্যাক মানডে’। নতুন কালো সোমবারের রেশ এখনো কাটেনি। এর প্রভাবে সারা বিশ্বে পুঁজিবাজারের নিত্য ওঠানামা লেগেই আছে। কবে তা থামবে, পরিষ্কার করে কেউ বলতে পারছে না।

পুঁজিবাজারের ওই ধস নতুন করে ধাক্কা দিয়েছে মুদ্রাবাজারকে। জ্বালানি তেলের দামও কমে হয়ে গেছে সাড়ে ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, ২২ ধরনের পণ্য নিয়ে যে পণ্যসূচক ব্লুমবার্গ করে, সেটিও এখন ১৯৯৯ সালের পর সর্বনিম্ন। সোনার দাম আরেক দফা কমেছে। কেবল লাভে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি যেসব সরকারি বন্ড বাজারে ছেড়েছে সেগুলো। সামগ্রিকভাবে ১১ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ব পুঁজিবাজার থেকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ স্রেফ বাতাসে হাওয়া হয়ে গেছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এর শেষ কোথায়? বিশ্ব অর্থনীতি কি আবার একটি দীর্ঘস্থায়ী মন্দার দিকে যাচ্ছে? অনেক কিছুই নির্ভর করছে বড় বড় অর্থনীতির নীতিনির্ধারকদের ওপর। তবে অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশ্লেষকেরা কিন্তু আশাবাদী। তাঁরা মনে করেন, অর্থনীতি মন্দার দিকে যাবে না। কারণ, চীনের স্টক মার্কেট সাংহাই কম্পোজিট সূচক কমলেও এটাও মনে রাখতে হবে যে গত এক বছরে এটি বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। সুতরাং বাজার সংশোধনের একটি সুযোগ ছিলই। আবার শেয়ার বা বন্ডের মতো কাগজের তুলনায় চীনা বিনিয়োগ বেশি সম্পদের বাজারে, যা এখনো স্থিতিশীল। এর আগে এশিয়ায় সংকট দেখা দিয়েছিল ১৯৯৭ সালে। প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ইকোনমিস্ট-এর বিশ্লেষণ হচ্ছে, সে সময়ের তুলনায় দেশগুলোর সরকারেরা এখনো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় অনেক ভালো অবস্থানে আছে। দেশগুলোর মুদ্রার মজুত অনেক ভালো, বিনিময় ব্যবস্থাও আগের চেয়ে অনেক বেশি ভাসমান। ব্যাংকিং খাতও ভালো অবস্থায় আছে। ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ এখন খুবই কম। ফলে বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির গোলমেলে অবস্থা হয়তো বেশি দিন আর থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

এ রকম একটি আশাবাদ দিয়ে লেখাটা এখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু তারপরেও কথা বাকি থেকে গেল। কারণ, সবার চোখ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক বা দ্য ফেড-এর দিকে। ২০০৬ সালের পর এই প্রথম তারা সুদহার বাড়ানোর কথা বলছে। চলতি মাসেই তা করা হবে। সর্বশেষ তারা সুদহার বাড়িয়েছিল ২০০৬ সালের জুনে, ২৫ ভিত্তি পয়েন্ট বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। এরপর ২০০৮ সালের পর তা কমতে কমতে শূন্য থেকে দশমিক ২৫ শতাংশের মধ্যে রাখা হয়। মনে করা হচ্ছে, ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ডিসেম্বরে আরও দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে।
প্রশ্ন হচ্ছে, টালমাটাল এই বিশ্ব অর্থনীতিতে ফেড অজনপ্রিয় এই কাজটি কেন করতে যাচ্ছে। তারা মূলত দুটি লক্ষ্য সামনে রেখে মুদ্রানীতি পরিচালনা করে। একটি হচ্ছে সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান, অন্যটি স্থিতিশীল মূল্যস্তর। সাধারণত অর্থনীতি যখন দুর্বল থাকে, তখন মূল্যস্ফীতিও কমতে থাকে। আবার অর্থনীতি যখন সর্বোচ্চ কর্মসংস্থানের দিকে যায়, তখন মজুরি বাড়ানোর চাপ তৈরি হয় এবং এতে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। অর্থনীতি খুব দ্রুতগতিতে আগাতে থাকলে ফেড তার বেঞ্চমার্ক সুদহার বাড়িয়ে দেয়। তাতে মানুষ খরচ কমিয়ে দেয় এবং সঞ্চয় বেশি করে। এর ফলে অর্থনীতি একটু শ্লথ হয় এবং মূল্যস্ফীতির চাপ কমে যায়। আবার অর্থনীতি বেশি শ্লথ হয়ে গেলে ফেড তখন সুদহার কমিয়ে দেয়। যেমন ২০০৮ সালের মন্দার পর কমাতে কমাতে প্রায় শূন্য হারে নিয়ে আসা হয়েছিল।

দ্য ফেড মনে করছে, সময় হয়েছে সুদহার বাড়ানোর। মূল্যস্ফীতি যদিও এখন কম। তেলসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কম থাকায় হয়তো চাপটি কমই থাকবে। তবে কর্মসংস্থান পরিস্থিতি যথেষ্ট চাঙা। ইকোনমিস্ট বলছে, গত ১২ মাসে ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ফেড মনে করছে, এখন সুদহার কম থাকায় মানুষ হয়তো ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে, যা ভবিষ্যতের জন্য ভালো নয়। সুতরাং যেহেতু এখন মূল্যস্ফীতির চাপ কম, সুতরাং সুদহার অল্প বাড়ালেও তাতে বড় সমস্যা হবে না। এই যে ফেড এখন অর্থনীতি কিছুটা টেনে ধরতে চাইছে, তাতে কিন্তু বাকি বিশ্ব শঙ্কিত। এতে উঠতি অর্থনীতির দেশগুলোর সমস্যা বাড়তে পারে। এতে পুঁজিপ্রবাহ কমে যাবে। ডলারের দাম এতে আরও বাড়বে, কমতে পারে পণ্যের দামও। সুতরাং চীনের হঠাৎ অবমূল্যায়নের হাত ধরে বিশ্ব অর্থনীতির যে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি, এখন দেখা যাক ফেডের সুদহার বৃদ্ধি তাকে কোথায় নিয়ে যাবে।


87
সুইজারল্যান্ডে দাভোস নামে সুন্দর একটা শহর আছে। সেখানে প্রতিবছর অনেক বড় একটা সম্মেলন হয়। নাম হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠক। অর্থনীতি ও আর ব্যবসা-বাণিজ্য জগতের বাইরে বিশ্বের বড় বড় নীতিনির্ধারকেরা সেখানে ভিড় করেন। সাংবাদিক হিসেবে সেখানে যাই ২০০৮ সালে। অভিজ্ঞতাটি বলি। মাত্রই সম্মেলন কেন্দ্রে পৌঁছেছি, ঢুকেই দেখি দাঁড়িয়ে চেরি ব্লেয়ার, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী। তখন তো আর সেলফি ছিল না, তাই রীতিমতো আয়োজন করে অন্যকে দিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ দেখি বার্তা সংস্থা ইউএনবির শামীম আহমেদ ছবি তোলা বাদ দিয়ে উল্টো দিকে যাচ্ছেন। তাকিয়ে দেখলাম লিফটের সামনে হেনরি কিসিঞ্জার। বিশ্ব রাজনীতির অন্যতম আলোচিত ও বিতর্কিত চরিত্র। অনেকেই হয়তো জানবে হেনরি কিসিঞ্জারকে। এই মানুষটি এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো আরও অনেকেই ছিলেন, কিন্তু হেনরি কিসিঞ্জার নিয়ে এত আলোচনা বা বিতর্ক কেনো? সেটি লিখতে গেলে পুরো একটা বই লিখতে হবে। অবশ্য এ কাজটি করাও হয়েছে। আমি বরং আবার দাভোসেই ফিরে যাই।

লিফটে ওঠার আগেই শামীম ভাই কিন্তু হেনরি কিসিঞ্জারের সঙ্গে সেদিন কথা বলতে পেরেছিলেন। হেনরি কিসিঞ্জারকে তিনি প্রশ্ন করলেন, ‘বাংলাদেশকে মনে আছে তো? সেই যে আপনি বাস্কেট কেস বলেছিলেন।’ প্রশ্নটি শুনে বেশ গম্ভীর হয়ে কিসিঞ্জার উত্তর দিয়েছিলেন, ‘বিশেষ এক সময়ের পরিস্থিতিতে এ কথা বলেছিলাম। এখন আর সে বিষয়ে কোনো বলতে চাই না।’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের ইতিহাসের সঙ্গে এই হেনরি কিসিঞ্জারের নামটি বেশ ভালোভাবেই জড়িয়ে আছে। তবে তা মোটেই কোনো সুখস্মৃতি নয়। এই মানুষটি বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিলেন। তবে তাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি যা প্রচারিত তা হচ্ছে, হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন। এর অর্থ হচ্ছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও এমন একটি দেশ, যে দেশকে যাই দেওয়া হোক না কেনো তা থাকবে না। কোনো ঝুড়ির তলা না থাকলে যা হয় আর কি। সেই ঝুড়িতে কোনো কিছুই রাখা যায় না, রাখলেই তলা দিয়ে পরে যায়। বিদেশি সাহায্য দেওয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে এ কথাটি বলা হতো বাংলাদেশকে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে যতই সাহায্য দেওয়া হবে, তা কোনো কাজে আসবে না। তারপরেও সাহায্য দিয়ে বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে হবে।

সব দোষ হেনরি কিসিঞ্জারের ওপর চাপালেও কথাটি কিন্তু প্রথমে তিনি বলেননি। তারপরেও তাঁর সঙ্গেই কথাটি চালু হয়ে যায়। আর তিনিও সম্ভবত বাংলাদেশকে ‘বাস্কেট কেস’ বলতে পছন্দ করতেন। যদিও ‘বাস্কেট কেস কথাটির অর্থ কিন্তু অন্য। আগেই এর ব্যবহার ছিল। ‘বাস্কেট কেস’ শব্দ দুটি প্রথম ব্যবহার হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়। আহত যে সৈনিকের পা কাটা গিয়েছিল, ছিল না হাত, অপরের কাঁধে ছাড়া চলার শক্তি ছিল না, তাদের বলা হতো বাস্কেট কেস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আবার তা ব্যবহার হয়। তারও পরে আহত সৈন্য বাদ দিয়ে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বলা শুরু হলো। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছিল সেটা বলি। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। বোঝা যাচ্ছিল স্বাধীন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ওয়াশিংটনে দক্ষিণ এশিয়া পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জারের সভাপতিত্বে সেই দিন বসল ওয়াশিংটন স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের সভা। সেখানে আলোচনা হচ্ছিল বাংলাদেশ নিয়ে। বলা হলো পরের মার্চেই বাংলাদেশে বড় ধরনের খাদ্য সংকট হবে, দুর্ভিক্ষও হবে। শেষ তিনটি কথা এ রকম-
মরিস জে. উইলিয়ামস (ইউএসআইডির উপ-প্রশাসক) : মার্চের মধ্যে বাংলাদেশের সব ধরনের সহায়তা লাগবে উরাল এলেক্সিস জনসন (আন্ডার-সেক্রেটারি অব স্টেট) : তারা হবে একটি আন্তর্জাতিক বাস্কেট কেস হেনরি কিসিঞ্জার: কিন্তু অবশ্যই আমাদের বাস্কেট কেস না।

ওই বৈঠক থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে তলাবিহীন ঝুড়ির কথাটি জুড়ে দেওয়া হয়। অনেক বছর বাংলাদেশ সে রকমই ছিল। কারণ দেশটির আয় ছিল কম, খরচ ছিল বেশি। ফলে নির্ভর করে থাকতে হতো বিদেশি সাহায্যের ওপর। যত দিন গেছে পরিস্থিতি ততই খারাপ হয়েছে। একটা সময়ে তো প্রায় পুরো উন্নয়ন বাজেটের বড় অংশই এসেছে বৈদেশিক ঋণ থেকে। সময়টা ছিল এরশাদের আমল। অধ্যাপক রেহমান সোবহান একজন খুব বড় অর্থনীতিবিদ। ১৯৮২ সালে তিনি লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশ আজ চরম অনিশ্চয়তার সম্মুখীন। তার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা দুর্যোগের মুখোমুখি। মনে হয়, সমাজ যেন আজ ঋণের টাকায় এবং ধার করা সময়ের ওপর বেঁচে আছে।’ এটাও ঠিক যে স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে। আবার আন্তর্জাতিক অর্থনীতির সংকটও ছিল প্রকট। যেমন, ১৯৭২ ও ৭৩ সালে খরা এবং ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে বড় বন্যা হয়। এর মাঝে ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের জ্বালানি তেলের দাম দ্রুতগতিতে বেড়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল পাট। কিন্তু সিনথেটিক পণ্যের প্রসার বাড়লে পাট রপ্তানিও ধাক্কা খায়। এসব কারণে সাহায্য নির্ভর হয়েই থাকতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ১০ বছর আগেও বাংলাদেশকে সাহায্য দেওয়ার জন্য প্যারিসে দাতাদের বিশেষ বৈঠক হতো। সেখানে বাংলাদেশকে হাত পাততে হতো, আর দাতারা ঘোষণা দিত কে কত অর্থ দেবে। কোন সরকার কতখানি সফল তা মাপা হতো বৈদেশিক সাহায্য পাওয়ার পরিমাণের ওপর।

তবে শেষ বিচারে হেনরি কিসিঞ্জার কিন্তু ভুল প্রমাণিত হয়েছেন। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ তলাবিহীন ঝুড়ি বলে না। আমরা এখন আর মোটেই সাহায্যনির্ভর দেশ নই। আমরা এখন বাণিজ্য নির্ভর। আমরা সাহায্য চাই না, বাণিজ্য করতে চাই। এই বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের জন্য উদাহরণ। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন বারবার বলেন, অনেক সামাজিক সুচকে ভারত থেকেও এগিয়ে থাকার কথা। এখন আর প্যারিস বৈঠক হয় না। বরং বাংলাদেশই এখন সাহায্য নেওয়া না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। পরিস্থিতি কিন্তু পাল্টেছে ৯০ এর পর। এরপর থেকে অর্থনীতি অনেক সংহত হয়েছে। এই বাংলাদেশে এখন গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। আমরা এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ। আপাতত লক্ষ্য আরেক ধাপ উঠে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়া। বাংলাদেশকে নিয়ে এখন বিদেশি গণমাধ্যমে লেখা হয়, ‘‘বাংলাদেশ, ‘বাস্কেট কেস’ নো মোর।’ ’

মূল লেখকঃ শওকত হোসেন মাসুম (কৃতজ্ঞতা)

88
Faculty Sections / Five of my favorite Kahlil Gibran's quotes
« on: November 23, 2015, 11:35:47 AM »
- Every man loves two women;the one is the creation of his imagination and the other is not yet born.

- Generosity is giving more than you can, and pride is taking less than you need.

- Say not, 'I have found the truth,' but rather, 'I have found a truth.'

- To understand the heart and mind of a person, look not at what he has already achieved, but at what he aspires to do.

- Out of suffering have emerged the strongest souls; the most massive characters are seared with scars.

89
অচিরেই দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হবে । ‘তথ্য-প্রযুক্তিতে শিক্ষা নয়, বরং শিক্ষায় তথ্য-প্রযুক্তি’- এই স্লোগান সামনে রেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণি কার্যক্রম আরও আকর্ষণীয়, আনন্দময় ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ‘মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম’ স্থাপন করা হয়। একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের কারিগরি সহযোগিতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের ২৩ হাজার ৩৩১টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪ হাজার ৫০০টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করেছে। পাশাপাশি প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষক প্রশিক্ষকগণকে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও ডিজিটাল কনটেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
 
শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের উপযোগী  কনটেন্ট তৈরি করে ক্লাসে ব্যবহার করছেন। শিক্ষকদের তৈরি কনটেন্টগুলো ডিজিটাল কনটেন্ট, ভিডিও, অ্যানিমেশন  ‘শিক্ষক বাতায়ন’ (teachers.gov.bd) নামের শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করা হয় এবং একজন শিক্ষকের কনটেন্ট অন্য শিক্ষকরা সহজেই সংগ্রহ ও ব্যবহার করছেন। শিক্ষক বাতায়নে ৬০ হাজারেরও বেশি সদস্য শিক্ষক এবং ৪০ হাজারের বেশি ডিজিটাল কনটেন্ট রয়েছে। এছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম অনলাইনে ম্যানেজমেন্ট, মনিটরিং ও মেনটরিং করার জন্য ‘মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামে একটি অনলাইন ড্যাশবোর্ড (mmc.e-service.gov.bd) তৈরি করা হয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ বাংলানিউজ২৪

90
Departments / একটি নিরিহ কৌতুক
« on: November 23, 2015, 11:24:33 AM »
বাইরে থেকে দরজা নক করছে...

ভেতর থেকে : কে?
বাইরে থেকে : আমি।
ভেতর থেকে : আমি কে?
বাইরে থেকে : আরে আপনি কে, আমি কী করে বলব?

 :o

Pages: 1 ... 4 5 [6] 7