Daffodil International University

Career Development Centre (CDC) => Career Planning => Career Guidance => Career Tips => Topic started by: Fahmi Hasan on May 13, 2018, 11:38:20 AM

Title: কর্মক্ষেত্রের ইতিবাচক মনোভাব ফেরাতে
Post by: Fahmi Hasan on May 13, 2018, 11:38:20 AM
ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করলে মেজাজ থাকবে খিটখিটে। তাই কর্মক্ষেত্র যেন আনন্দদায়ক হয় সেই প্রচেষ্টা করতে হবে নিজেকেই।

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আর অফিস যেতে ইচ্ছে করে না। অথচ মাস শেষে বেতনটাও দরকার। এমন দোটানায় থাকা চাকরিজীবীদের জন্য মানসিক চা তৈরি করে।

এই পরিস্থিতি যদি আপনার সঙ্গে মিলে যায় তবে লাইফস্টাইলবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে এখানে কয়েকটি উপায় দেওয়া হল। যেগুলো হয়ত কর্মক্ষেত্র আনন্দদায়ক করে তুলতে সহায়তা করবে।

আত্নতৃপ্তি: যখনই অফিসের উপর বিতৃষ্ণা আসবে, তখনই একটা লম্বা দম নিয়ে আপনার চারপাশের সেই মানুষগুলো কথা ভাবুন, যারা নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা শেষ করে এখনও একটা চাকরির সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিংবা ভাবতে পারেন সেই মানুষগুলোর কথা, যারা ভাগ্য দোষে যোগ্যতা থাকার পরেও নিম্নমানের কাজে যোগ দিয়ে অমানবিক পরিবেশে কাজ করছে অল্প পারিশ্রমিকের বিনিময়ে। সংগ্রাম সবার জীবনেই আছে। তাই আপনার যা আছে তাকে মূল্যায়ন করতে হবে। কারণ কারও হয়ত ততটুকুও নেই।

নিজেকে গোছান: প্রতিদিনের কাজ শুরু করার আগে সেগুলোকে সুপরিকল্পনার মাধ্যমে ছকে সাজিয়ে নেওয়ার অভ্যাস করতে পারলে মানসিক চাপ কমে যাবে অনেকাংশে। কোন কাজগুলো করা বেশি জরুরি, কোনটা শেষ করার সময় নিকটবর্তী্ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে কাজগুলোকে সাজিয়ে নিতে পারেন। আবার খেয়াল রাখতে হবে সময়ের সদ্ব্যবহারের দিকেও।

কাজ শুধু কাজের সময়েই: অফিসের কাজ যদি ঘর পর্যন্ত টেনে আনেন তবে নিজের কর্মজীবন আর ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য নিজেই নষ্ট করছেন। কাজের সময় মনযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে, আর ওই সময়ের পর কাজকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলার অভ্যাস করতে হবে। ঘরে ফিরে অফিসের মেইল না পড়া, কাজবিষয়ক সবধরনের আলাপ এড়িয়ে চলা কিংবা কাজ সংক্রান্ত ফোনালাপ থেকে বিরত থাকার অভ্যাস গড়ে তোলা এক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। তবে জরুরি অবস্থার কথাও মাথায় রাখতে হবে।

বিশ্রাম বিরতি: ঘণ্টার পর ঘণ্টা একটানা কাজ করতে থাকলে একসময় পারদর্শীতা কমে যাবে, কমবে কাজ করার আগ্রহ। তাই কাজের ফাঁকে চা-কফি পান কিংবা একটু হাঁটাহাঁটির বিরতি নেওয়া জরুরি। তবে খেয়াল রাখতে হবে বিরতিটা যেন অতিদীর্ঘ না হয়।

চোখের সামনে অনুপ্রেরণা: কর্মস্থলের আশপাশে অনুপ্রেরণামূলক বাণী রাখতে পারেন। কিংবা ভবিষ্যত লক্ষ্য এবং তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা চোখের সামনে রাখতে পারেন। প্রিয় মানুষগুলোর ছবিও অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে। কঠিন সময়গুলোতে এগুলোই আপনাকে নতুন উদ্যোমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যোগাবে।