Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Lazminur Alam

Pages: [1] 2 3 ... 18
1
নিজেকে পরিপাটিভাবে প্রকাশ করতে শিখুন। পরিষ্কার পোশাক পরিধানে মনোযোগী হোন। নতুন পরিচয় হওয়া মানুষের মনে আপনার পোশাক-পরিচ্ছদের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

অন্যের কাছে নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য কত প্রচেষ্টাই না থাকে। সুন্দর করে কথা বলা, দারুণ মনোমুগ্ধকর সুগন্ধি কিংবা নান্দনিক বাচনভঙ্গি নিয়ে অন্যদের মন জয় করার চেষ্টা করে যাই। আজ পড়ুন এমনই কয়েকটি পরামর্শ যার মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত অন্যদের মন জয় করে নিতে পারেন।

নিজেকে একটি দক্ষতার পরিচয়ে প্রকাশ করুন
আপনি সব পারেন, সব জানেন—তাহলে আপনাকে কেউ মনে রাখবে না নিশ্চিত থাকুন। বন্ধুমহলে নিজের একটি দক্ষতার মাধ্যমে নিজেকে পরিচিত করুন। একাধারে ক্রিকেট খেলেন, ভালো বেহালা বাজান, দারুণ সাইকেল চালান—এমনই নানা পরিচয়ে সবাই আপনাকে চিনলে কেউই গুরুত্ব দেবে না। খেয়াল করে নিজের জন্য একটি পরিচয় গ্রহণ করে সবার কাছে প্রকাশ করুন।

দেখতে পরিপাটি হোন
আপনি হয়তো সুদর্শন নন, আবার ক্রীড়াবিদদের মতো সুঠাম দেহের অধিকারী নন। নিজেকে পরিপাটিভাবে প্রকাশ করতে শিখুন। পরিষ্কার পোশাক পরিধানে মনোযোগী হোন। নতুন পরিচয় হওয়া মানুষের মনে আপনার পোশাক-পরিচ্ছদের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ২০১২ সালে এক নিবন্ধে জানান, প্রথম পরিচয়ের ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে জুতা ও পোশাকের মাধ্যমে একটি ছাপচিত্র মানুষের মনে তৈরি হয়, যা কয়েক বছর পর্যন্ত মানুষ মনে রাখতে পারে।

দাঁড়িয়ে কথা বলতে শিখুন
শ্রোতাদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়। অফিসে কিংবা ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে কথা বলার অভ্যাস করুন। সবাই আপনার কথা গুরুত্বসহকারে নেবে।

কথা বলুন
আমরা কোথাও নতুন পরিবেশে অবস্থান করলে চুপ থাকার চেষ্টা করি। যা কখনই করবেন না। কোনো নতুন জায়গায় গেলে নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হোন। আপনার নাম-পরিচয় দিয়ে নতুন মানুষটির পরিচয় জানার চেষ্টা করুন। যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে আগে চলে এসে নতুনদের সঙ্গে এভাবে পরিচিত হতে পারেন।

দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করুন
বেশির ভাগ সময়ই আমরা অফিসের মিটিংগুলোয় চুপচাপ থাকি। কথা শুনে, কিছু না বলেই চলে আসি। কোনো গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে আপনি অফিসের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্তাকে নিচু স্বরে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন। সৃজনশীল কিংবা কাজের প্রশ্ন করলে আপনার গুরুত্ব কর্মী হিসেবে বাড়বে।

মুক্তভাবে নিজেকে প্রকাশ করুন
আপনি যা তা প্রকাশ করতে শিখুন। নিজেকে ভ্রান্তভাবে সবার সামনে প্রকাশ করবেন না। আপনি হয়তো সাময়িক মুগ্ধতা ছড়াতে পারবেন, কিন্তু একসময় আপনার আসল পরিচয় সবাই জেনে যাবে। শক্তি নিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে জানুন। আপনার মধ্যে জড়তা থাকলেও তা প্রকাশ করুন। নিজেকে নিয়ে লুকোচুরি করবেন না।

হাসুন
যত কঠিন পরিবেশেই হাজির হোন না কেন, হাসুন। পরিস্থিতি বুঝে হাসতে শিখুন। মনে রাখবেন, হাসি দিয়ে দুনিয়া জয় করা যায়।

নাম মনে রাখা শিখুন
প্রথম পরিচয়ে যেকোনো মানুষেরই নাম মনে রাখুন। নাম ভুলে যাওয়ার বাতিক আছে। এমনটা কখনোই করবেন না। অন্যের মন পেতে প্রথমেই তার নাম শুদ্ধ করে বলা ও উচ্চারণ করতে জানতে হবে।

অন্যকে কথা বলতে দিন
বলা হয় তিনি ভালো কথা বলেন যিনি অন্যকে কথা বলার সুযোগ দেন বেশি। নিজে বলার চেয়ে অন্যকে তার গল্প বলতে উৎসাহিত করুন। কথা শোনার সময় আপনি যে কথা শুনছেন তা প্রকাশের জন্য প্রশ্ন করুন।

শরীরের ভাষা অনুকরণ করুন
নতুন মানুষের মন জিততে তার শরীরী ভাষাকে অনুসরণ করুন। মানুষ স্বাভাবিকভাবে তাকেই পছন্দ করেন যিনি তাঁর মতো, তাই কারও মন পেতে তাঁর মতো শরীরী ভাষা রপ্ত করুন।

তাকানো শিখুন
অনেকে আমরা চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারি না। যেকোনো মিটিং বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যখনই কারও সঙ্গে কথা বলবেন চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে কথা বলতে শিখুন। আবার বিরক্তি তৈরি হয় এমনভাবে তাকাবেন না। আপনার তাকানোর মধ্য দিয়ে যেন আপনার আন্তরিকতা ও কৌতূহলী থাকে তা প্রকাশ পায়।

2
আজকাল স্মার্টফোন ছাড়া চলেই না। কথা বলা, ছবি পাঠানো, ইন্টারনেট ব্যবহার, এমনকি আপনি কয় পা হাঁটলেন, তারও হিসাব দিতে পারে স্মার্টফোন। নিত্যসঙ্গী এই মোবাইল ফোনের ব্যাটারি নিয়ে মাঝেমধ্যেই হয় নানা ঝুটঝামেলা।

অনেক সময় বেশিক্ষণ চার্জ থাকে না। নতুন কেনা মোবাইল ফোনের ব্যাটারি যতক্ষণ চলে, দুই বছরের পুরোনো ফোনের ব্যাটারি স্বাভাবিকভাবেই সেই সেবা দেয় না। এ ক্ষেত্রে নতুন ব্যাটারি কিনে নিতেই পারেন। তবে না কিনে যদি পুরোনো ব্যাটারি থেকেই বাড়তি সুবিধা পেতে চান, তবে চোখ বুলিয়ে নিন এই সাত পরামর্শে—

১. স্মার্টফোনের ব্যাটারি সেভার মোড চালু করে নিতে পারেন। আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েডচালিত বেশির ভাগ স্মার্টফোনে এই অপশন থাকে। কিছু ফোনে ব্যাটারির চার্জ ২০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই মোড চালু হয়ে যায়। ব্যাটারি সেভার মোড চালু রাখলে স্মার্টফোনের কেবল সাধারণ সুবিধাগুলোই পাওয়া যায়; কিন্তু ফোন চালু থাকে দীর্ঘ সময়।

২. অনেক সময় দেখা যায়, ব্যবহার না করা সত্ত্বেও স্মার্টফোনে চালু থাকে ব্লুটুথ ও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক। খেয়াল করে বন্ধ রাখবেন এগুলো। ব্যবহার না করেও ব্লুটুথ ও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু রাখলে তা নতুন সংযোগ খোঁজার কাজটি চালাতে থাকে। এতে ব্যাটারির চার্জ নষ্ট হয়।

৩. অনেক ব্যবহারকারী স্মার্টফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা (ব্রাইটনেস) বাড়িয়ে দেন। এতে ব্যাটারির চার্জ শেষ হয় দ্রুত। যদি সারা দিন একটু বেশি সময় স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতে চান, তবে কমিয়ে রাখুন ব্রাইটনেস। এতে একটু বেশি সময় কাজে লাগাতে পারবেন ফোনটি।

অ্যাপের বদলে ব্রাউজার দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করা ভালো। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। ফলে ব্যাটারির চার্জ অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ধরে থাকে। ফাইল ছবি
অ্যাপের বদলে ব্রাউজার দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করা ভালো। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। ফলে ব্যাটারির চার্জ অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ধরে থাকে। ফাইল ছবি
৪. এখনকার স্মার্টফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের অ্যাপ্লিকেশন প্রি-ইনস্টল করা থাকে। এই অ্যাপটি কিছুদিন পরপর হালনাগাদও হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেসবুকের এই অ্যাপে ব্যাটারির চার্জ বেশি খরচ হয়। তাই অ্যাপের বদলে ব্রাউজার দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করা ভালো। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। ফলে ব্যাটারির চার্জ অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ধরে থাকে।

৫. গুগল ম্যাপ বা আরও কিছু অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীর সঠিক অবস্থান জানার প্রয়োজন হয়। এ জন্য চালু রাখতে হয় লোকেশন ট্র্যাকিং। এতে বেশি চার্জ প্রয়োজন হয়। তাই যেসব অ্যাপ্লিকেশনে লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের প্রয়োজন নেই, সেসব ক্ষেত্রে এই সুবিধা বন্ধ রাখা যেতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সেটিংসে গিয়ে লোকেশন ট্র্যাকিং বন্ধ করা যায়।

৬. স্মার্টফোনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ও অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপারের জুড়ি নেই। কিন্তু এসব চালাতে ব্যাটারির চার্জও বেশি পোড়ে। যদি এগুলো বন্ধ রাখতে পারেন, তবে নির্দ্বিধায় একটু বেশি সময় মোবাইল চালু রাখতে পারবেন।

৭. একটি স্মার্টফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে আরও অনেক অ্যাপ্লিকেশন চালু থাকে। এর মধ্যে একটি হলো বিভিন্ন অ্যাপের স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ (অটো আপডেট) হওয়ার ব্যবস্থা। এটি বন্ধ রাখলে ব্যাটারির চার্জ খরচ কম হবে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনের সেটিংসের জেনারেল অপশনে ঢুকে অটো আপডেট বন্ধ করা যাবে। আর হালনাগাদ করার প্রয়োজন হলে ম্যানুয়াল আপডেট করার সুযোগ তো থাকছেই।

3
Feature on Bachelor of Real Estate.

আবাসন শিল্পে আপনার পেশা !!

বাবুই পাখিকে ডাকিয়া বলিছে চড়াই কুঁড়েঘরে থেকে করো শিল্পের বড়াই, আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকার পরে... কষ্ট হোক তবু থাকি নিজের বাসায়। মানুষের মৌলিক চাহিদারগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাসস্থান। More.. https://www.jugantor.com/news-archive/job-search/2017/10/20/164873/%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE

4
Common Forum / হাই-ফাইভ কীভাবে এল?
« on: March 14, 2018, 05:36:05 PM »
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে হরহামেশাই আমরা হাই-ফাইভ করি। কিন্তু একে অপরের হাতের তালু মিলিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশের এই রীতি এল কী করে? সেটা জানতে ১৯৭৭ সালের একটি বেসবল ম্যাচ সম্পর্কে জানতে হবে। সে বেসবল ম্যাচে মাঠে নেমেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বেসবল দল লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্স ও হিউস্টন অ্যাস্ট্রস। খেলার শেষ দিকে তখন টানটান উত্তেজনা। ডজার্সের খেলোয়াড় ডাস্টি বেকার সজোরে ব্যাটটি ঘোরালেন। ব্যাটে-বলে একদম নিখুঁত শট। বল ছুটল ঊর্ধ্বপানে। ছুটলেন বেকার নিজেও। ডাস্টি বেকার তাঁর হোম রান (বেসবলে বল আকাশে থাকা অবস্থায় পুরো চক্র ঘুরে আসা) শেষ করতেই মাঠে থাকা সতীর্থ গ্লেন বার্কে উত্তেজনায় হাত আকাশে তুলে ধরলেন। কিছু না বুঝে বেকারও হাত তুলে দিলেন আকাশে। মিলল দুজনের হাতের তালু। ‘দ্য হাই-ফাইভ’ শিরোনামে ইএসপিএনের প্রতিবেদনে এভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে ইতিহাসের প্রথম হাই-ফাইভ সম্পর্কে। সেদিন থেকেই নাকি বর্তমান সময়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশের এই রীতি চলে আসছে।
অবশ্য ভিন্নমতও তুলে ধরা হয়েছে ওই একই প্রতিবেদনে। অন্য আরেকটি তথ্যসূত্রে বলা হয়েছে, হাই-ফাইভ সংস্কৃতির প্রচলন ১৯২০ সালের দিক থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছিল। কিন্তু বেকার ও বার্কের সেই দিনের হাই-ফাইভটি ছিল রীতিমতো নিখুঁত এবং দর্শনীয়। তাই হয়তো আলাদা মাত্রা পেয়েছিল।
পাওয়ারই কথা। কারণ লস অ্যাঞ্জেলেস ডজার্স দ্রুতই দেশব্যাপী হাই-ফাইভকে ডজার্স স্যালুট হিসেবে প্রচার করা শুরু করেছিল। বিংশ শতকের আশির দশক নাগাদ ছেলে-বুড়ো সবাই সানন্দে গ্রহণ করে হাই-ফাইভকে।

ইএসপিএন ও বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে

5
History / প্রথম শহীদ মিনার
« on: February 18, 2018, 02:09:06 PM »
সে যুগে মুঠোফোন ছিল না, ইন্টারনেট নামের অন্তর্জালের বিস্তারও ছিল না। তবু গোলাগুলি আর শহীদ হওয়ার খবর ঠিকই পৌঁছে গেছে রাজশাহীতে।

২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় খবর পৌঁছামাত্র রাজশাহী কলেজের মুসলিম হোস্টেলের একটি কক্ষে সভা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় শহীদদের স্মরণে হোস্টেল প্রাঙ্গণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হবে। বৈঠকে রাজশাহী মেডিক্যাল স্কুলের এসএমএ গাফ্ফারকে সভাপতি আর রাজশাহী কলেজের হাবিবুর রহমান ও গোলাম আরিফ টিপুকে যুগ্ম সম্পাদক করে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। পরিষদের সিদ্ধান্তে ওই রাতেই শিক্ষার্থীরা রাজশাহী কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে ইট, কাদামাটি ও বাঁশ দিয়ে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে।

রাজশাহী কলেজ হোস্টেলের জনাদশেকের সঙ্গে আরো জনাদশেক মিলে রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণকাজ। অদক্ষ হাতে রাত ১২টায় নির্মিত হলো শহীদ মিনার।
পর দিন ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে ওই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরই তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের পুলিশ সেটি ভেঙে দেয়।

রাজশাহী কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মুসলিম হোস্টেলের ফটকের কাছে ২০০৯ সালে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির সেই স্থানটিতে একটি ফলক নির্মাণ করা হয়। ফলকটি উন্মোচন করেন তৎকালীন মেয়র ও জাতীয় নেতা এ এইচ এম  কামারুজ্জামান হেনার ছেলে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

6
Use of email / ই-মেইল লেখার আদবকেতা
« on: October 29, 2017, 07:24:28 PM »
পড়ালেখা কিংবা পেশাগত জীবনে এখন ই-মেইলের গুরুত্ব অনেক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে ই-মেইল করা থেকে শুরু করে বৃত্তি, ফেলোশিপ, ইন্টার্নশিপসহ নানা কারণে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করতে হয়। কিন্তু অনেকেই ই-মেইল লেখার আদবকেতা জানেন না। সঠিক উপায়ে কার্যকর ই-মেইল লেখার পরামর্শ দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক ও বিজনেস কমিউনিকেশন পরামর্শক.

১. কেমন হবে ই-মেইল ঠিকানা?

অনেকে ই-মেইল ঠিকানা তৈরির সময় কিছু শব্দ যোগ করে দেন। যেমন ‘ড্রিম বয়’, ‘ওয়ারিয়র’, ‘সুইট’, ‘ঢাকা’ ইত্যাদি। অনেকে যোগ করেন জন্মসাল। যেমন rahim1998@gmail.com। এ ধরনের ই-মেইল ঠিকানা অপেশাদার আচরণের বহিঃপ্রকাশ। ই-মেইল ঠিকানা তৈরির ক্ষেত্রে নামের আদ্যক্ষর কিংবা পেশার পরিচয় প্রকাশ করুন। যেমন আপনার নাম যদি হয় আহসান আহমেদ খান, আপনার ই-মেইল ঠিকানা হতে পারে aakhan@yahoo.com। কখনো কখনো পেশাও ই-মেইল ঠিকানার অংশ হতে পারে। যেমন hasan. writer@gmail.com বা hasan.doctor@outlook.com। ওয়েব মেইল বা বিনামূল্যের ই–মেইল সেবায় পছন্দমতো ই-মেইল ঠিকানা না পেলে নামের সঙ্গে ২ অঙ্কের সংখ্যা বসিয়ে নিতে পারেন। যেমন aakhan88@gmail.com।

২. সম্ভাষণ গুরুত্বপূর্ণ

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যাঁকেই ই-মেইল করুন না কেন, সম্ভাষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইংরেজিতে লেখার ক্ষেত্রে শুধু ‘হাই’ বা ‘হ্যালো’ লিখে শুরু করবেন না। যাঁকে ই-মেইল করছেন, তাঁর গুরুত্ব বিবেচনা করে ‘ডিয়ার স্যার’ বা ‘ডিয়ার প্রফেসর’-এভাবে লিখতে পারেন। কখনো কখনো যোগ করতে পারেন প্রাপকের নাম, যেমন ‘ডিয়ার প্রফেসর এনামুল হক’। সহকর্মী কিংবা সমবয়সী কাউকে ই-মেইল পাঠানোর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করুন। যদি প্রাপকের নাম না জানা থাকে, তাহলে শুধু ‘ডিয়ার স্যার’ লিখুন। বাংলায় লিখলে ‘জনাব...’ বা ‘প্রিয়...’ দিয়ে শুরু করতে পারেন।

৩. বানান-ব্যাকরণে ভুল নয়

ই-মেইল লেখার পর অবশ্যই বানান পরীক্ষা করবেন। ইংরেজি কিংবা বাংলা যে ভাষাতেই ই-মেইল লিখুন না কেন, বানান শুদ্ধ রাখতেই হবে। ব্যাকরণে ভুল করা চলবে না। ইংরেজি ব্যাকরণে যারা দুর্বল, তারা ইন্টারনেট ব্রাউজারে ‘গ্রামারলি’ কিংবা এ ধরনের অন্য কোনো বানান-ব্যাকরণ সংশোধনের ‘এক্সটেনশন’ যুক্ত করে নিতে পারেন। জিমেইল বা এ ধরনের ওয়েব মেইল সেবায় বানান পরীক্ষক রয়েছে। ইংরেজি বানান ভুল হলে সেটির নিচে লাল দাগ আসে। শব্দের ওপর মাউসের ‘ডান ক্লিক’ করে শুদ্ধ বানান বেছে নিন।

৪. ‘সাবজেক্ট লাইন’ সংক্ষিপ্ত কিন্তু দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখুন

‘সাবজেক্ট লাইন’ অর্থাৎ ই-মেইলের বিষয় দুই বা তিনটি শব্দে এমনভাবে লিখুন, যেন তা দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শুধু ‘ই-মেইল’ বা ‘হাই-হ্যালো’ লিখবেন না। যে কারণে ই-মেইল করছেন, তা স্পষ্ট বোঝা যায় এমনভাবে লিখুন। দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পারলেও কম শব্দে লিখুন।

৫. ‘সিসি’ ও ‘বিসিসি’

কখনো কখনো আমরা একসঙ্গে কয়েকজনকে ই-মেইল করে থাকি। এ ক্ষেত্রে কার্বন কপি (সিসি) বা অনুলিপি কাদের দিচ্ছেন, তা অবশ্যই খেয়াল করুন। ই-মেইলের মূল প্রাপক যিনি, তাঁর নামটি ই-মেইল ঠিকানার ঘরে লিখতে হবে, আর যাদের অনুলিপি পাঠাচ্ছেন তাঁদের নাম ‘সিসি’ ঘরে লিখতে হবে। অনুলিপি আপনি কাদের পাঠাচ্ছেন, সেটা প্রাপকদের না জানাতে চাইলে বিসিসি বা ‘ব্লাইন্ড কার্বন কপি’ ঘরে ই-মেইল ঠিকানা লিখুন।

৬. ‘রিপ্লাই অল’ ক্লিক করার আগে ভাবুন

আমরা অনেক সময় এমন ই-মেইল পেয়ে থাকি, যেখানে সিসি বা অনুলিপি হিসেবে আরও অনেকের ই-মেইল ঠিকানা যুক্ত থাকে। এ ক্ষেত্রে অনেকে কোনো কিছু না ভেবেই ‘রিপ্লাই অল’ চাপেন। অর্থাৎ এর মাধ্যমে ই-মেইলে সম্পৃক্ত সবার কাছেই উত্তরটা পৌঁছে যায়। কিন্তু আপনি হয়তো চাইছেন, ই-মেইলটি যিনি পাঠিয়েছেন, শুধু তাঁর কাছেই উত্তর যাক। এ ক্ষেত্রে ‘রিপ্লাই অল’ সিলেক্ট করা ঠিক হবে না। আপনি আপনার উত্তর ই-মেইলের সঙ্গে সংযুক্ত সবাইকেই জানাতে চান কি না, সেটা ভাবুন।

৭. অল্প কথায় লিখুন

পেশাজীবনে চার থেকে ছয় বাক্যের মধ্যে ই-মেইল লেখার চর্চা করুন। বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা এমনটাই উপদেশ দেন। বলা হয়, আপনি যদি চার থেকে ছয়টি বাক্যের মধ্যে সহজভাবে লিখে প্রকাশ করতে না পারেন, তাহলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখেও আপনার বক্তব্য বোঝাতে পারবেন না। মুঠোফোনে যেমন ১৬০ শব্দ, আবার টুইটারে ১৪০ শব্দের মধ্যে মনের ভাব তুলে ধরতে হয়, সেভাবে চার থেকে ছয় বাক্যে ই-মেইল লেখার চর্চা করুন। বড় আকারের ই-মেইল লিখতে হলে লেখার শুরুতেই প্রাপককে বিষয়টা জানিয়ে নিন। গুরুত্বপূর্ণ বাক্যগুলো ‘আন্ডারলাইন’ করে দিন। আবার বেশি ছোট ই-মেইল লেখাও ভদ্রতার পরিচয় নয়। ই-মেইলের উত্তরে শুধু ‘ধন্যবাদ’ কিংবা ‘গট ইট’ (পেয়েছি), এমন কিছু লিখবেন না। অন্তত দুই থেকে তিনটি বাক্য ব্যবহার করে উত্তর দিন।

৮. ইন্টারনেটের ‘চলতি’ ভাষা এড়িয়ে চলুন

ই-মেইল লেখার সময় বিনা প্রয়োজনে কোনো বাক্য যোগ করবেন না। মেসেঞ্জারে চ্যাট করার সময় আমরা যেমন সংক্ষিপ্ত আকারে লিখি, যেমন ‘অ্যাসাপ’, ‘বিআরবি’, ‘এলওএল’—এ ধরনের শব্দ না লেখাই ভালো। পূর্ণ শব্দ লিখুন। You লিখতে গিয়ে সংক্ষেপে U লিখবেন, এমনটা যেন না হয়।

৯. ই-স্বাক্ষর যুক্ত করুন ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন

ই-মেইল সব সময় পরিচ্ছন্ন ও সাবলীল ভাষায় লিখুন। যে বক্তব্য প্রকাশ করতে চান, তা স্পষ্ট শব্দ ও বাক্যে লিখুন। কঠিন শব্দ বা অতি দীর্ঘ বাক্য ব্যবহার করে প্রাপকের মনোযোগ নষ্ট করবেন না। ই-মেইল লেখা শেষে শুভেচ্ছা জানিয়ে দু-তিনটি শব্দ অবশ্যই লিখবেন। ই-মেইলের শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের নাম ও পরিচয়ের তথ্য যুক্ত করতে পারেন। ই-স্বাক্ষর যোগ করার উপায়ও ই-মেইলে আছে। নাম, পরিচয়, প্রয়োজনে মুঠোফোন নম্বর ‘ই-স্বাক্ষর’ হিসেবে যুক্ত করুন। ‘ই-স্বাক্ষর’ চার লাইনের বেশি না হওয়াই ভালো।

১০. ফাইল সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন

ই-মেইলে ‘অ্যাটাচড ফাইল’ পাঠানোর সময় সতর্ক থাকুন। দুই বা তিনটির বেশি ফাইল পাঠানোর ক্ষেত্রে গুগল ড্রাইভ কিংবা মাইক্রোসফট আউটলুকের ক্ষেত্রে ওয়ানড্রাইভ ব্যবহার করুন। আপনার ড্রাইভে প্রাপকের প্রবেশাধিকার (একসেস) আছে কি না, সেটা নিশ্চিত করুন। অনেকে ই-মেইলের সঙ্গে একগাদা ওয়েবসাইটের লিংক যোগ করে দেন। এ ধরনের আচরণ প্রাপককে বিরক্ত করতে পারে। খুব প্রয়োজন না হলে এমনটা না করাই শ্রেয়।

7
স্নাতকের শেষ পর্যায়ে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন বা শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হয়। পুরোদমে পেশাজীবন শুরু করার আগে এটাই হলো নিজের দক্ষতা বা দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করার কিংবা নিজেকে প্রমাণের সুযোগ। কীভাবে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করার জন্য আবেদন করবেন, কীভাবে কাজ করবেন, কীভাবে সুযোগগুলো কাজে লাগাবেন—এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) অধ্যাপক রিদওয়ানুল হক

১. সময় নিয়ে সিভি তৈরি করুন

বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে অনেকে জীবনবৃত্তান্ত বা সিভি তৈরির কাজে তেমন গুরুত্ব দেন না। ইন্টার্নশিপ কিংবা চাকরি পেতে সিভি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সময় নিয়ে সিভি তৈরি করতে হবে। সাজানো-গোছানো সিভি আপনাকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে। অন্য কারও সিভি হুবহু নকল কিংবা অনুসরণ করা যাবে না। ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের সিভি তৈরির ধরনটা থেকে ধারণা নিতে পারেন। মিথ্যা, অতিরঞ্জিত কিংবা কাল্পনিক তথ্য সিভিতে ব্যবহার করবেন না। সিভি তৈরি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা অভিজ্ঞ কাউকে দেখিয়ে নিতে পারেন। সিভির সঙ্গে ‘কভার লেটার’ও গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কেন শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে চান, কী শিখতে চান, এসব নিজের ভাষায় লিখতে হবে কভার লেটারে।

২. প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানুন

আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন করতে চান, সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোমতো জানুন। সেখানকার পরিবেশ, কাজের ধরন সম্পর্কে খোঁজ নিন। ধরুন, আপনি ফিন্যান্স বিভাগে ইন্টার্ন করতে চান কোনো প্রতিষ্ঠানে, তাহলে ফিন্যান্স বিষয়ের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে কম্পিউটারে যেসব দক্ষতা জানা প্রয়োজন, তা ইন্টারনেট ঘেঁটে শিখে নিন। কোন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের পর চাকরির সুযোগ আছে, এসব খোঁজ খবর নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

৩. ই-মেইল যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ক তৈরি করুন

প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ইন্টার্ন চেয়ে বিজ্ঞাপন দেয় না। এ ক্ষেত্রে আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন করতে চান, তার মানবসম্পদ বিভাগ বরাবর ই-মেইল করে জেনে নিতে পারেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ই-মেইলে কভার লেটারসহ সিভি পাঠিয়ে দিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট কিংবা ‘লিংকডইন’ থেকে যোগাযোগের ই-মেইল ঠিকানা সংগ্রহ করতে পারেন। চলতি শব্দে ই-মেইল লেখার কৌশল রপ্ত করুন। পেশাজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করুন। এখন যেহেতু ডাকযোগে সিভি পাঠানোর চল নেই, তাই ই-মেইল লেখার রীতিনীতি শিখুন।

৪. সাক্ষাৎকারকে গুরুত্ব দিন

ইন্টার্ন হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্ব হচ্ছে সাক্ষাৎকার। প্রচলিত চাকরির ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ধাপ থাকলেও ইন্টার্নে সাধারণত একবারই সাক্ষাৎকার পর্বের মুখোমুখি হতে হয়। সাক্ষাৎকারে প্রচলিত কিছু প্রশ্ন করা হয়। এ ক্ষেত্রে উত্তর মুখস্থ না করে নিজের মতো করে সাজিয়ে বলার চেষ্টা করুন। নিজের সম্পর্কে বাড়িয়ে বলবেন না, মিথ্যা বলবেন না। বাড়িতে সাবলীলভাবে ইংরেজি বলার চর্চা করুন।

৫. নিজেই প্রস্তাব দিন

অনেক প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্ন হিসেবে আবেদন ও সাক্ষাৎকারের পর হয়তো আপনার নিয়োগ না-ও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সেই প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। ই-মেইলের মাধ্যমে কাজের সুযোগ আছে কি না, তা নিয়মিত জানার চেষ্টা করতে পারেন। কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি ইন্টার্নের সুযোগ না-ও থাকে, ই-মেইলের মাধ্যমে আপনি নিজে থেকে প্রস্তাব দিতে পারেন। আপনি যে বিভাগে কাজ করতে আগ্রহী, যে বিষয়ে কাজ করতে চান, আপনার কাজের মাধ্যমে কীভাবে প্রতিষ্ঠান উপকৃত হতে পারে তা লিখে মানবসম্পদ বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে ই-মেইল করুন।

৬. যতটা সম্ভব নিজের সেরাটা দিন

সাধারণত ইন্টার্নে সময় থাকে ৩ থেকে ৬ মাস। এই সময়ের মধ্যেই কাজ শেখার চেষ্টা করুন। নিয়োগদাতা কিংবা তত্ত্বাবধায়ককে আপনার আগ্রহের কথা বলুন। এমনভাবে কাজ শেখা ও জানার চেষ্টা করুন, যা আপনাকে পেশাজীবনে সহযোগিতা করবে। অনেকেই ইন্টার্নের সময় অফিসের আলোচনা সভা, কর্মশালা, প্রশিক্ষণ পর্ব ইত্যাদি এড়িয়ে যান, এমন করবেন না। প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যেভাবে কাজ শেখেন, সেভাবেই নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ নিন। প্রতিষ্ঠান যেন আপনার প্রয়োজন অনুভব করে, সেভাবে নিজেকে গড়ে তুলুন।

৭. বড় পরিসরে ভাবুন

‘ছয় মাস পেরোলেই তো ইন্টার্ন শেষ’, এমন ভাববেন না। আপনি যে পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান, সেখানে কী কী দক্ষতা প্রয়োজন, কী কী কারিগরি বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত, তা ইন্টার্নের সময়ই জানার চেষ্টা করুন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুঁথিগত শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, পেশাগত বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তেমন জানার সুযোগ থাকে না। ইন্টার্নের সুযোগকে পেশাজীবন ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার সংযোগ সেতু হিসেবে ব্যবহার করুন।

৮. প্রশ্ন করতে শিখুন

ইন্টার্ন শুরু করলেই যে শেখার সুযোগ পাবেন, তা কিন্তু নয়। শেখার দায়িত্ব আপনার। যাঁদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পাবেন, তাঁদের কাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করে জানার চেষ্টা করুন। আপনি যেহেতু নবীন, তাই আপনার সেভাবে কাজ না জানাটাই স্বাভাবিক। তাই সংকোচ না করে আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন করুন। ভুল থেকে শেখার মনোভাব গড়ে তুলুন।

৯. শিক্ষকদের সহায়তা নিন

বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে সাধারণত শেষ বর্ষে এসে ইন্টার্ন করতে হয়। কিন্তু আপনি আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন। শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়মিত এ ব্যাপারে আলোচনা করুন, তাঁদের পরামর্শমতো নিজেকে তৈরি করুন।

১০. চাকরির সুযোগ তৈরি করুন

বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই ইন্টার্ন থেকে স্থায়ী কাজের সুযোগ মেলে। এ ক্ষেত্রে প্রথম দিন থেকেই নিজেকে উৎসাহী ও কাজের প্রতি আগ্রহী হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করুন। সবাইকে সব কাজ জানতে হবে, এমন নিয়ম কোনো প্রতিষ্ঠানে নেই। কিন্তু সব কাজে আগ্রহী ব্যক্তিদের সুযোগ থাকে বেশি। তাই নিজের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করুন। চাকরিটা স্থায়ী করার জন্য প্রতিষ্ঠানের করপোরেট রীতিনীতি বুঝে নিন। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করুন।

8
ঘরে-বাইরে এখন দেদার ব্যবহৃত হচ্ছে প্লাস্টিকের বোতল। এক বোতল পানি কিনে খেলেন তো বোতলটা হয়ে গেল বারবার পানি খাওয়ার আধার। যত দিন যায় আর কি। শিশু সন্তানের স্কুলে পানি দেবেন? সেখানও ওই প্লাস্টিকের বোতল বা কনটেইনার দেওয়া হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এসব প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার করা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত বা শরীরের জন্য নিরাপদ?

Details: http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1338666/প্লাস্টিকের-বোতলে-একটু-সাবধান

9
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের নানা পরিবর্তন আসে। এর মধ্যে একটি হলো বিস্মৃতি। আলঝেইমার রোগে আক্রান্ত হয়ে স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছেন, এমন মানুষ কম নন। বিস্মৃতি ছাড়াও এতে বৃদ্ধিবৃত্তির অবনতি, উদাসীনতা, কথা বলতে সমস্যা, কথা জড়িয়ে আসা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। বিস্মৃতির এই রোগের জন্য মস্তিষ্কের বিশেষ ধরনের প্রোটিনকে দায়ী করা হলেও ইদানীং বলা হচ্ছে, কিছু খাদ্যাভ্যাস এই রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।

সিলিকন ও কোলিনযুক্ত খাবার এ ধরনের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। খাবার প্রক্রিয়াজাত ও রান্না করার সময় সিলিকন নষ্ট হয়ে যায়। সিলিকনকে সরাসরি মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়ানো হচ্ছে ইদানীং। গরুর মগজ, কলিজা, লেটুস পাতা, পেঁয়াজ, গাঢ় সবুজ সবজি, দুধ, নারকেল ইত্যাদি খাওয়া ভালো। ময়দার চেয়ে আটায় সিলিকন বেশি।

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। ভিটামিন বি১২, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, বিটা ক্যারোটিন ও ফলিক অ্যাসিড খেতে হবে পর্যাপ্ত। কোলিন নামের অ্যামিনো অ্যাসিড আছে শিম, বরবটি ও বীজ জাতীয় খাবারে, যা মস্তিষ্কে এসিটাইল কোলিন নামের গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সহায়ক। এ ছাড়া বলা হয় ওমেগা ৩ ফ্যাট বিস্মৃতির ঝুঁকি প্রায় ২৫ শতাংশ কমাতে পারে। এই ফ্যাট আছে মাছ, বাদাম ও জলপাই তেলে। দারুচিনি, হলুদ, পেঁয়াজ, ধনেপাতার মতো মসলা নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কে অ্যামাইলয়েড প্রোটিন কম জমে ও প্রদাহ কম হয় বলে প্রাচ্যের লোকেদের পাশ্চাত্যের তুলনায় আলঝেইমার রোগ কম হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেদানা, আনার, আপেল, জাম্বুরা ইত্যাদিও মস্তিষ্কে প্রদাহবিরোধী।

Source: Prothom_Alo, October07,2017

10
Various Useful Links / গুগলের বিকল্প...
« on: September 27, 2017, 06:33:44 PM »
ইন্টারনেটে যেকোনো তথ্য বা উপাদান খোঁজার ক্ষেত্রে এখন যেন একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাতড়িয়ে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট দেখার পর কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায়, যা বেশ বিরক্তিকর। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে তথ্য বা উপাদান খোঁজার ক্ষেত্রে এমন কিছু সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে, যেসব গুগলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। নির্দিষ্টভাবে অর্থাৎ গান, রেসিপি, অনলাইন কোর্স ইত্যাদি শিরোনামে সরাসরি পাওয়া যাবে তথ্যগুলো। সে রকম কিছু সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

ক্লাস-সেন্ট্রাল ডট কম
www.class-central.com
নতুন কিছু শেখার জন্য ইন্টারনেটে বিনা মূল্যে রয়েছে ম্যাসিভ ওপেন অনলাইন কোর্সেস (এমওওসি)। যেখানে কম্পিউটার বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য, ব্যবসা এবং মানবিক-সম্পর্কিত ক্লাস করার সুযোগ থাকছে, যা চাকরির ক্ষেত্রে বেশ ফলদায়ক। আর এই সুবিধা সহজেই ক্লাস সেন্ট্রাল সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে, যেখানে সাত শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কোর্সের তথ্য পাওয়া যাবে। আর এসবে অংশও নেওয়া যাবে। এখানে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, এমআইটি, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, আইআইটিসহ বেশ কিছু নামীদামি প্রতিষ্ঠানের কোর্সও রয়েছে। কিছু কিছু কোর্সে সনদও দেওয়া হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে শুধু একটি অ্যাকাউন্ট খুললেই হবে।

জাস্ট ফ্রি বুক ডট ইনফো
www.justfreebooks.info
যেকোনো ধরনের বই খোঁজার ক্ষেত্রে এই সার্চ ইঞ্জিন ভালো একটি সমাধান। কারণ কিন্ডেল, নুক বা ট্যাবলেটের জন্য ডিজিটাল ও অডিও বই এখানে পাওয়া যাবে। যেখানে গুটেনবার্গ ডট ওআরজি, উইকিবুকস ডট ওআরজি এবং আর্কাইভ ডট ওআরজির মতো সাত শতাধিক ওয়েবসাইটের সমাবেশ রয়েছে। এর সাহায্যে গল্প, উপন্যাস, কাল্পনিক বা রূপকথাসহ যেকোনো ডিজিটাল বই বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে। শুধু বইয়ের বা লেখকের নাম লিখে সার্চ করলেই হয়ে যাবে।

লিসেননোটস ডট কম
www.listennotes.com
লিসেননোট পোডকাস্ট বা ডিজিটাল অডিও ফাইলের জন্য একটি সার্চ ইঞ্জিন। যেখানে ৩ লাখেরও বেশি পোডকাস্ট চ্যানেল এবং ১ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি পর্ব রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পোডকাস্ট পর্ব পাওয়ার জন্য কাঙ্ক্ষিত বিষয় লিখে খোঁজ করলেই পাওয়া যাবে। আবার এলোমেলোভাবেও খুঁজে নেওয়া যাবে। আর বিভিন্ন পর্ব নামিয়ে নেওয়ারও সুযোগ আছে।

সার্চ ডট ক্রিয়েটিভকমনস ডট ওআরজি
www.search.creativecommons.org
ক্রিয়েটিভ কমনসে পাঁচ কোটিরও বেশি ডিজিটাল কনটেন্ট পাওয়া যাবে; যেখানে বই, মিউজিক, বিভিন্ন শিল্প ও ছবি পাওয়া যাবে। ক্রিয়েটিভ কমনস ব্যবহার করার সময় আপনি ঠিক কোন বিষয়টি চাইছেন, তা উল্লেখ করতে হবে। এখান থেকে যেকোনো উপাদান ব্যবসায়িক কাজেও ব্যবহার করা যাবে।

এভরিস্টকফটো ডট কম
www.everystockphoto.com
যেকোনো প্রজেক্ট বা উপস্থাপনায় বিনা মূল্যে ছবি পাওয়ার জন্য এই ইঞ্জিন বেশ সাহায্য করতে পারে। ফ্লিকার, ফ্রিরেঞ্জস্টক, আরজিবিস্টক, উইকিমিডিয়া কমনসের মতো বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ছবিগুলো ব্যবহার করা যাবে। তবে এই সুবিধা পেতে বিনা মূল্যে অ্যাকাউন্ট খুলে এর সদস্য হতে হবে। আরেকটি সুবিধা হলো, বিভিন্ন মাপের বিভিন্ন পর্দার রেজল্যুশনের ছবি এখানে পাওয়া যাবে।

ফন্টস্কুয়ারেল ডট কম
www.fontsquirrel.com
আপনি যদি ওয়েব ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে একজন নকশাকার হয়ে থাকেন, তাহলে ফন্ট স্কুয়ারেল বেশ কাজে দেবে। কারণ এই ইঞ্জিনের মাধ্যমে ভালো মানের ফন্ট বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে। শুধু সার্চ করে নামিয়ে নিলেই হয়ে যাবে। বাণিজ্যিক কাজেও এই ফন্ট ব্যবহার করা যাবে।

জিনিয়াস ডট কম
www.genius.com
গানের কথা ও অর্থ জানার জন্য বেশ সমৃদ্ধ একটি সার্চ ইঞ্জিন। এখানে ১৭ লাখেরও বেশি গানের ভিডিও ও লিরিক রয়েছে। একটি অ্যাকাউন্ট খুলে এই সুবিধা উপভোগ করা যাবে। এখানে ভারতের মোহাম্মদ রফি, লতা মঙ্গেশকর, কিশোর কুমার, এ আর রহমানের গানের ডেটাবেইস রয়েছে।

অলরেসিপিস
www.allrecipes.com
বিশ্বের বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন ধরনের খাবারের রেসিপি এখানে পাওয়া যাবে। সঙ্গে সেই সব রেসিপির ভিডিও টিউটোরিয়ালও রয়েছে। আপনি ঠিক কোন খাবার তৈরি করতে চাইছেন, তার নাম বা উপাদান অনুযায়ী সার্চ করলে সে-সংক্রান্ত রেসিপি আপনার পর্দায় ভেসে ওঠবে।

11
Learning English / Ten Ways of Writing in English Easily.
« on: September 24, 2017, 06:51:51 PM »
টুকটাক ইংরেজিতে কথা বলতে পারলেও আমাদের অনেকেরই লেখার অবস্থা নড়বড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতায় লেখালেখি থেকে শুরু করে গবেষণাপত্র, ভিনদেশে ফেলোশিপ বা বৃত্তির জন্য আবেদনপত্র, ‘স্টেটমেন্ট অব পারপাস’সহ অনেক লেখাই ঠিক মানসম্পন্ন হয় না। দুর্বল বাক্যগঠন আর অসামঞ্জস্যপূর্ণ ভাষারীতি আমাদের পিছিয়ে দেয়। ইংরেজিতে প্রাঞ্জল আর সাবলীল লেখালেখির উপায় নিয়ে কথা হলো একটি আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নাবিরা রহমানের সঙ্গে। তিনি ২০১৪ সালে জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল ইয়ুথ ফোরাম সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। বললেন, কীভাবে ইংরেজি লেখায় প্রাঞ্জলতা আনা যায়।

প্রতিদিন ইংরেজিতে অন্তত ৩০০ শব্দ লিখুন। মডেল: ইশা, ছবি: কবির হোসেন
নিয়মিত লিখুন, প্রতিদিন অন্তত ৩০০ শব্দ
নিয়মিত ইংরেজিতে লেখা হয় না বলেই আমরা অনেকে ইংরেজি লিখতে ভয় পাই। এই দুর্বলতা কাটানোর প্রথম এবং সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো প্রতিদিন লেখা। নিয়ম করে প্রতিদিন অন্তত ৩০০ শব্দে কিছু না কিছু লিখুন। যেকোনো বিষয়ে সকালে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লিখে ফেলুন। প্রথম দিকে লেখালেখির শুরুতে হয়তো কিছুটা জড়তা থাকবে। টানা ১০ দিন লিখুন, দেখবেন ধীরে ধীরে এই জড়তা কেটে গেছে।

ব্যাকরণে মনোযোগ দিন
ইংরেজিতে লেখালেখির সময় প্রথম থেকেই ব্যাকরণে মনোযোগ দিন। দুর্বল ব্যাকরণ-জ্ঞান অনেক সাবলীল লেখাকেও দুর্বোধ্য করে দেয়। প্রতিদিন ইংরেজি ব্যাকরণের দুই থেকে তিনটি নিয়ম আত্মস্থ করতে চেষ্টা করুন। উদাহরণসহ বুঝে ব্যাকরণ পড়ুন, মুখস্থ করবেন না। একটি ভালো ইংরেজি ব্যাকরণ বইকে ‘রেফারেন্স’ হিসেবে কাজে লাগাতে পারেন।

নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন
বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনার বাইরে ইংরেজি দৈনিক পড়ার অভ্যাস করুন। পত্রিকা পড়ার অভ্যাস যেমন আপনার বুদ্ধিবৃত্তিক দক্ষতা বাড়াবে, তেমনি লেখালেখির জন্য অনেক নতুন নতুন বিষয় খুঁজে পাবেন। প্রথম দিকে হয়তো অনেক শব্দের অর্থ বুঝবেন না, বুঝতে সময় লাগবে। টানা দুই সপ্তাহ পড়ুন, দেখবেন এরপর ব্যাপারটা আয়ত্তে এসে যাবে। দু-একটা শব্দের অর্থ না জানলেও বাক্যের ভাবার্থটা আপনি ধরতে পারবেন। নিয়মিত পাঠাভ্যাস আপনার লেখার ওপর ধীরে ধীরে প্রভাব ফেলবে।

বিষয়ভিত্তিক সাময়িকী-নিবন্ধ পড়ুন
টাইম ম্যাগাজিন, রিডার্স ডাইজেস্ট, দ্য ইকোনমিস্টসহ স্বনামধন্য ইংরেজি ম্যাগাজিন বা জার্নালে আপনার পছন্দসই নিবন্ধ পড়ার অভ্যাস করুন। ম্যাগাজিনগুলোতে যে ঢঙে লেখা হয়, তা নিজের লেখার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করুন। টানা চার সপ্তাহ এমন অভ্যাস করলে নিজের লেখার মধ্যে কী কী পরিবর্তন আসছে, তা নিজেই টের পাবেন।

স্রেফ লেখার জন্য লেখা নয়
দিস্তাভরা কাগজে লিখলেন, আর কী ভুলভ্রান্তি হলো, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করলেন না, তাহলে হবে না। ভুলগুলো থেকেই যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন যা লিখছেন, তা ভালো ইংরেজি জানেন-বোঝেন, এমন কাউকে পড়ার অনুরোধ করতে পারেন। তাঁর কাছ থেকে মতামত নিয়ে কী কী দুর্বলতা ও ভুল আছে, তা শুধরে নিন। যদি এমন কাউকে না পান, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের শিক্ষককে অনুরোধ করতে পারেন। কী কী ভুল হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখুন, ভুল শুধরানোর চেষ্টা করুন। writeandimprove.com ওয়েবসাইট থেকে উন্মুক্ত লেখালেখির চর্চা ও কী ভুল হচ্ছে, তা জানার চেষ্টা করতে পারেন।

শব্দভান্ডার বিস্তৃত করুন
আমরা লেখালেখির ক্ষেত্রে খুব প্রচলিত শব্দগুলো ব্যবহার করি। ইংরেজিতে সাবলীল লেখালেখির জন্য বহুমাত্রিক শব্দ ব্যবহারের দিকে মনোযোগী হোন। একই বাক্য বা একই গঠনের বাক্য বারবার না লিখে শব্দের বৈচিত্র্য ব্যবহার করে খুব ছোট ও সংক্ষিপ্ত লেখাকেও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। প্রতিদিন চেষ্টা করুন নতুন পাঁচ থেকে আটটি শব্দ আত্মস্থ করতে। শুরুতেই জিআরই-জিম্যাট পরীক্ষার শব্দভান্ডারগুলো না শিখে ইন্টারনেট থেকে কার্যকর শব্দগুলো খুঁজে নিন। টানা দুই মাস শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করার পেছনে সময় দিন। যে শব্দগুলো শিখবেন, তা সকালে ঠিক করে নিন, সারা দিন মনে মনে তা স্মরণ করুন। কয়েকবার সেই শব্দগুলো লিখলে মনে রাখা সহজ হবে।

সুন্দর বাক্য লেখা শিখুন, ভিন্নতা তৈরি করুন
উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনপত্র, স্টেটমেন্ট অব পারপাসসহ বিভিন্ন থিসিস পেপার ও অ্যাসাইনমেন্ট লেখার জন্য সুন্দর বাক্য লেখার অভ্যাস করুন। ইন্টারনেট ঘেঁটে এমন কিছু উদাহরণ (টেমপ্লেট) দেখে বাক্যগঠনরীতি শিখতে পারেন। একই বাক্যকে নানাভাবে লেখার চর্চা করুন। এভাবে ছয় সপ্তাহ অভ্যাস করুন, দেখবেন লেখালেখিতে পরিবর্তন এসে গেছে। owl.english.purdue.edu ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন বাক্যগঠনরীতি সম্পর্কে ধারণা পাবেন।

অনুসরণ করুন, অনুধাবন করুন
আপনি যে লেখকের লেখা পছন্দ করেন, তাঁকে অনুসরণ করে লেখালেখির চর্চা করুন। সেই লেখকের ভাবনাকে অনুধাবন করার চেষ্টা করুন। যতক্ষণ নিজের লেখাটা মনঃপূত না হচ্ছে, ততক্ষণ চর্চা চালিয়ে যান। কোনো কিছু লেখার আগে কী লিখবেন, তার একটি মানচিত্র মাথায় সাজিয়ে নিন। সেইভাবে ভাগ ভাগ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেখার অভ্যাস রপ্ত করুন।

প্রতিদিন যা শিখছেন, প্রতিদিনই তা চর্চা করুন
যা শিখছেন প্রতিদিন, তা প্রতিদিনই চর্চা করুন। ফেসবুকে লেখালেখি থেকে শুরু করে ই-মেইলের লেখার মধ্যেও যা শিখছেন, তা প্রয়োগ করতে চেষ্টা করুন। ফেসবুকে লেখালেখি কিংবা খুদে বার্তা লেখার সময় ‘শর্টকাটে’ লেখার অভ্যাস না করাই ভালো। অনলাইনে লেখালেখির ক্ষেত্রে গ্রামারলি, জিনজার সফটওয়্যারসহ বিভিন্ন অ্যাপস-সফটওয়্যার-ওয়েবসাইটের সহায়তায় নির্ভুল বাক্য লেখায় সহযোগিতা নিন।

ম্যাগাজিনগুলোতে লেখা পাঠান
ইউটিউব ও কোর্সেরার মতো (www.coursera.org) ইংরেজি লেখার উন্মুক্ত কোর্সগুলো থেকেও লেখালেখি শিখতে পারেন। লেখালেখির সময় মনে মনে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ করে লিখবেন না। লেখায় সাবলীলতা আনার জন্য ‘লিঙ্কিং ওয়ার্ডস’ ও ‘ফ্রেজ’ ব্যবহারে গুরুত্ব দিন। বৈচিত্র্যময় লেখালেখির জন্য ভালো মানের দেশি-বিদেশি ম্যাগাজিনগুলোর মতামত পাতায় লেখা পাঠানো শুরু করুন। হয়তো শুরুতে ছাপা হবে না, তবু চেষ্টা চালিয়ে যান। ছাপা হলে সম্পাদক কোন অংশগুলো কীভাবে সম্পাদনা করেছেন, সেটা লক্ষ করুন। বন্ধুবান্ধব বা সহকর্মীদের মধ্যে যাঁরা ভালো ইংরেজিতে লেখালেখি করেন, তাঁদের কাছ থেকে নির্দ্বিধায় পরামর্শ নিন

12
ডিম খাওয়া বেশি ভালো নয়, ডিমের কুসুম খাওয়া যাবে না বা ডিমে কোলেস্টেরল আছে—এসব মিথ সাম্প্রতিক সময়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। ডিম সম্পর্কে অনেক ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হতে শুরু করেছে বিগত দশকে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন বলেছে, যদি সম্পৃক্ত চর্বি খাওয়া কমিয়ে দিতে পারেন, তবে সপ্তাহে ছয়টি ডিম খাওয়া খারাপ কিছু নয়।
একটা ডিমে চর্বি বা ফ্যাটের পরিমাণ ৫ গ্রামের মতো। কিন্তু তাতে সম্পৃক্ত চর্বি কম, মোটে দেড় গ্রাম। বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, চর্বি একেবারে খাওয়া ভালো নয়, কথাটা সঠিক নয়। যা ভালো নয়, তা হলো সম্পৃক্ত চর্বি এবং ট্রান্সফ্যাট। গরু-খাসির মাংসের জমাট চর্বি, ঘি, মাখন, ক্রিম, পেস্ট্রি ও ডিপ ফ্রাই খাবারে আছে এ ধরনের ক্ষতিকর চর্বি। বাদ দিতে হলে এগুলো বাদ দিন। আর স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মানে কেবল অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দেওয়া নয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বরং স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকায় ঢোকানো। ডিম হতে পারে এই তালিকার নতুন সদস্য। কেননা ডিমে আছে উপকারী ওমেগা ৩ চর্বি, যা উল্টো রক্তনালি ও হৃদ্যন্ত্রের জন্য ভালো। তাই পুষ্টি উপাদানহীন খাবার বাদ দিয়ে বরং ডিম খাওয়া ভালো।
এ ছাড়া ডিমে প্রায় ১১ ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান আছে, যা শরীরের জন্য দরকারি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভিটামিন ডি, যা বেশির ভাগ খাবারে অনুপস্থিত। ডিমে বায়োটিন নামের পদার্থও আছে, যা আজকাল অনেকে চুল পড়া কমাতে ক্যাপসুল হিসেবে কিনে খান।
ডিম আমিষেরও চমৎকার উৎস। ডিমের আমিষ সহজে হজম ও শোষিত হয় অন্যান্য আমিষের তুলনায়। এটি প্রাণিজ আমিষ, তাই উচ্চমানের। বিশেষ করে শিশু-কিশোর ও গর্ভবতী নারীদের আমিষের চাহিদা পূরণে ডিম নিয়মিত খাওয়া উচিত।

Dr.Sharbindu Shekhar Ray
হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

13
যেসব টিউবওয়েল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ডুবে গিয়েছিল, সেগুলোর পানি ডিসইনফেকশন না করে কোনো অবস্থাতেই পান করবেন না। নিজেরাই করতে পারেন এই কাজ। ১০০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে দেড় থেকে দুই লিটার পরিমাণ পানি একটি জগ বা পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর টিউবওয়েলের মূল অংশটি পাইপ থেকে খুলে পাইপের মধ্যে সেই মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এবার ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর টিউবওয়েলের মূল অংশটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট, প্রয়োজনে আরও বেশি সময় ধরে হাতল চাপতে থাকুন। তাহলে সেই টিউবওয়েলের পানি পানের জন্য নিরাপদ হবে। মনে রাখবেন, কোনো ক্রমেই বন্যায় ডুবে গিয়েছিল এমন টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো শোধন না করে পান করবেন না। এতে পানিবাহিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি।

14
হৃদ্‌রোগীদের সাধারণভাবে বলা হয় ঝাল মসলাযুক্ত খাবার কম খেতে। আসলেই কি মসলা বা ঝাল তাদের জন্য খারাপ? তেল–চর্বিযুক্ত খাবার বা রিচ ফুড খারাপ তো বটেই। কেননা, এগুলো রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ায়, যা রক্তনালিতে ব্লক বা বাধা তৈরি করে। কিন্তু ঝাল তো আর চর্বি বা তেল নয়। ২০১৫ সালে হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক একটি গবেষণায় দেখান যে যাঁরা মোটেও ঝাল খান না, তাঁদের তুলনায় যাঁরা প্রতিদিন বা সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ঝাল খান, তাঁদের হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস ও ক্যানসারজনিত রোগে মৃত্যুহার কম।

ঝালের মূল উপাদান হলো ক্যাপসেইসিন। এর নানামুখী উপকারিতা আছে। যেমন-

এক. এটি পরিপাকতন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সরিয়ে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে ও বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে।

দুই.  ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে ক্যাপসেইসিনের ভূমিকা আছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ভালো।

তিন. ক্যাপসেইসিন একধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও রক্তনালিতে চর্বি জমতে বাধা দেয়।

চার. হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালির স্নায়ুগুলো ক্যাপসেইসিনে সংবেদনশীল। এই স্নায়ুগুলোর সুস্থতায় ভূমিকা রাখে এই উপাদান।

কী ধরনের ঝাল ভালো?

শুকনো বা গুঁড়া মরিচের তুলনায় কাঁচা মরিচে ক্যাপসেইসিনের পরিমাণ বেশি। কাঁচা মরিচে ভিটামিন সি অনেক। তাই রান্নায় বা সালাদে কাঁচা মরিচ থাকলে ভালো। আবার দেখা গেছে, সবুজ কাঁচা মরিচের চেয়ে লাল রঙের তাজা কাঁচা মরিচ আরও ভালো। এই গুণ পাওয়া যাবে ক্যাপসিকামেও।

তাই ঝাল মানেই খারাপ, এ ধারণা ভুল। তেলবিহীন বা ভাজাপোড়া ছাড়া খাবার যেমন চটপটি, কাঁচা ছোলা, সালাদ, ফল ইত্যাদিতে কাঁচা মরিচের টুকরা দিয়ে খাওয়া হৃদ্‌রোগীদের জন্য বেশ ভালো একটি নাশতা।

ডা. শরদিন্দু শেখর রায়
হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

Source: ProthomAlo

15
এটিএম কার্ড প্রতারণার ঘটনা শুধু যে বিদেশেই হচ্ছে তা নয়, দেশেও হচ্ছে। দেশেও কার্ড প্রতারণার বিষয়টি উঠে এসেছে অনেক আগে। তবে সম্প্রতি একাধিক চক্রকে কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করলে তা আরও বেশি আলোচনায় আসে। বেশ কয়েকটি উপায়ে ডিজিটাল চোর বা হ্যাকাররা হাতিয়ে নিতে পারে আপনার এটিএম কার্ডের তথ্য। সে উপায়গুলো জেনে নিয়ে সতর্ক থাকাটা অনেকটাই জরুরি হয়ে উঠেছে এটিএম কার্ড ব্যবহারকারীদের।

কার্ড স্কিমার:
স্কিমিং হলো একটি ম্যাগনেটিক ছোট চিপযুক্ত যন্ত্র, যা এটিএম কার্ডের গোপন নম্বর ও তথ্য পড়তে সক্ষম। এই ডিভাইস এটিএম মেশিনের ভেতরেও তথ্য সংগ্রহের জন্য দেওয়া থাকে। তবে এটিএম জালিয়াত চক্র এটিএম মেশিনের সঙ্গে তাদের নিজস্ব স্কিমিং ডিভাইস যুক্ত করে দেয়। এতে কোনো এটিএম কার্ড এটিএম মেশিনে প্রবেশ করালে মূল স্কিমিং যন্ত্রের সঙ্গে জালিয়াত চক্রের স্কিমিং যন্ত্রেও কার্ডের তথ্য চলে যায়। তাই এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করানোর আগে এ বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে।

নকল কার্ড স্লট:
এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করাতে গিয়ে যদি কার্ড স্লট দেখতে অস্বাভাবিক বা বেমানান কিংবা নড়বড়ে মনে হয়, তবে সাবধান! কেননা, জালিয়াত চক্র মূল কার্ড প্রবেশের স্লটের ওপর তাদের নিজস্ব কার্ড স্লট লাগিয়ে থাকতে পারে। এতে কার্ডের সব তথ্য চুরি যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কার্ড ট্র্যাপিং:
অনেক এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করাতে গেলে সেটা খুব শক্ত মনে হয়। সে ক্ষেত্রে অনেকাংশেই কার্ডটি চুরি যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কার্ডটি ভেতরে আটকে যায় এবং পরবর্তী সময়ে তা আর ফেরত পাওয়া যায় না। তাই কার্ড মেশিনে আটকে গেলে তা সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারের চেষ্টা করুন। এ ছাড়া এটিএম বুথে নিযুক্ত থাকা সহকারী ছাড়া আর কারও সহায়তা গ্রহণ না করাই শ্রেয়।

নকল এটিএম মেশিন:
শুনে অবাক হবেন, আপনি যে এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করাচ্ছেন, তার সামনের পুরো অংশটাই নকল হতে পারে। এটিএম জালিয়াত চক্র কোনো আসল এটিএম মেশিনের ওপর তাদের নকল অংশ লাগিয়ে রাখতে পারে আপনার কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিতে। সে ক্ষেত্রে অবশ্য নকল অংশ শনাক্তকরণ বেশ দুষ্কর।

নকল কি-প্যাড:
নকল মেশিনের মতো এটিএম মেশিনের নম্বর বা কি-প্যাডও নকল হতে পারে। জালিয়াত চক্র আসল কি-প্যাডের ওপর নকল কি-প্যাড বসিয়ে দিতে পারে। ফলে এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করিয়ে সেই নকল কি-প্যাডে গোপন নম্বর চাপলেই তা চলে যাবে চোরের কাছে। তাই গোপন নম্বর প্রবেশ করানোর আগে দেখে নিতে হবে, কি-প্যাডটা দেখতে অস্বাভাবিক লাগছে কি না।

গোপন ক্যামেরা:
এটিএম জালিয়াতির সবচেয়ে আদি পদ্ধতি হলো গোপন ক্যামেরা। জালিয়াত চক্র এটিএম মেশিনে বা আশপাশের এমন কোনো অবস্থানে ক্ষুদ্রাকৃতির এমন গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রাখতে পারে, যা কি-প্যাডমুখী। অর্থাৎ কি-প্যাডে গোপন নম্বর প্রবেশ করালে তা ধারণ হবে সেই ক্যামেরায়। তাই এটিএম মেশিনে গোপন নম্বর প্রবেশ করানোর সময় যতটা সম্ভব হাত বা অন্য কিছু দিয়ে আড়াল করে রাখুন।

Pages: [1] 2 3 ... 18