Daffodil International University
Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Ramadan and Fasting => Topic started by: najim on August 23, 2012, 03:36:30 PM
-
শাওয়াল মাসের ৬ রোজা রাখার ফযীলত :
প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.) বলেছন, "যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখার পরে-পরেই শাওয়াল মাসে ৬টি রোযা রাখে, সে যেনো পূর্ণ এক বছর (৩৬৫ দিন) রোযা রাখার সমান সওয়াব লাভ করে।"
(মুসলিম ১১৬৪, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ)
সুবাহানাল্লাহ !! আলহামদুলিল্লাহ !! এই সওয়াব এই জন্য যে, কেউ একটি ভালো কাজ করলে আল্লাহর অনুগ্রহে সে তার ১০ গুণ সওয়াব পাবে। দয়াময় আল্লাহ বলেন ,
, "কেউ কোনো ভালো কাজ করলে সে তার ১০ গুণ প্রতিদান পাবে। " সুরা আল-আন'আম, আয়াত ১৬০।
অতএব, এই ভিত্তিতে ৩০+৬ = ৩৬টি রোযা রাখলে ৩৬×১০ = ৩৬০ অর্থাত চন্দ্র মাস অনুআয়ী সারা বছর রোযা রাখার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে। শাওয়াল মাসের ৬ রোযা ঈদ-উল-ফিতরের পর দিন থেকে মাসের শেষ দিন পর্যন্ত কোনো বিরতি না দিয়ে অথবা ভেঙ্গে ভেঙ্গে রাখা যায়। দুইটাই সমান ও জায়েজ। আমাদের দেশে শাওয়াল মাসের ৬ রোযাকে সাক্ষি রোযা বলা হয়, এটা ভুল। কারণ কোরান হাদীসের কোথাও একে সাক্ষী রোযা বলা হয় নি। আল্লাহ আমাদের সকলকে শাওয়াল মাসের ৬ রোযা রেখে সারা বছর রোযা রাখার সমান সওয়াব পাওয়ার তোওফিক দান করুন, আমীন
-
Nice information I've learnt today!!! I'll try to keep it from the next after EID!!
Thank you.
-
আবু আইয়ুব আনসারি রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখবে অতপর শাওয়ালে ছয়টি রোজা পালন করবে সে যেন যুগভর রোজা রাখল। মুসলিম : ১১৬৪
সাওবান রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, রমজানের রোজা দশ মাসের রোজার সমতুল্য আর (শাওয়ালের) ছয় রোজা দু’মাসের রোজার সমান। সুতরাং এ হলো এক বছরের রোজা।
অপর রেওয়ায়েতে আছে, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে ছয় দিন রোজা রাখবে সেটা তার জন্য পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য। (যে সৎকাজ নিয়ে এসেছে, তার জন্য হবে তার দশ গুণ। সূরা আন‘আম) আহমদ : ৫/২৮০, দারেমি : ১৭৫৫
হাদিস থেকে যা শিখলাম:
এক. শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত জানা গেল যে, যে ব্যক্তি পুরো রমজান সিয়াম পালনের পর এ রোজা ছয়টি করবে সে যেন সারা জীবন রোজা করল। এ এক বিরাট আমল এবং বিশাল অর্জন।
দুই. বান্দার ওপর আল্লাহর কত দয়া যে তিনি অল্প আমলের বিনিময়ে অধিক বদলা দিবেন।
তিন. কল্যণকাজে প্রতিযোগিতা স্বরূপ এ ছয় রোজার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা মুস্তাহাব। যাতে রোজাগুলো ছুটে না যায়। কোনো ব্যস্ততাই যেন পুণ্য আহরণের এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে না পারে।
চার. এ রোজা করা যাবে মাসের শুরু-শেষ-মাঝামাঝি সব সময়। ধারাবাহিক ও অধারাবাহিক যেভাবেই করা হোক না কেন রোজাদার অবশ্যই এর সওয়াবের অধিকারী হবে যদি আল্লাহর কাছে কবুল হয়।
পাঁচ. যার ওপর রমজানের রোজা কাজা আছে সে আগে তার কাজা করবে তারপর শাওয়ালের রোজায় ব্রতী হবে। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে রমজানের রোজা রাখবে অর্থাৎ পুরোপুরি। আর যার ওপর কাজা রয়ে গেছে সে তো রোজা পুরা করেছে বলে গণ্য হবে না যতক্ষণ ওই রোজাগুলোর কাজা আদায় না করে। মুগনি : ৪/৪৪০ তাছাড়া ওয়াজিব আদায়ের দায়িত্ব পালন নফল আদায়ের চেয়ে অধিক গুরুত্ব রাখে।
ছয়. মহান শরিয়ত প্রণেতা ফরজের আগে-পরে নফল প্রবর্তন করেছেন যেমনঃ ফরজ সালাতের আগে-পরের সুন্নতগুলো এবং রমজানের আগে শাবানের রোজা আর পরে শাওয়ালের রোজা।
সাত. এই নফলসমূহ ফরজের ত্রুটিগুলোর ক্ষতি পূরণ করে। কারণ রোজাদার অনর্থক বাক্যালাপ, কুদৃষ্টি প্রভৃতি কাজ থেকে সম্পূর্ণ বাঁচতে পারে না যা তার রোজার পুণ্যকে কমিয়ে দেয়।
-
Thanks
শাওয়াল মাসের ছয় রোযা সম্পর্কে বিশিষ্ট আলেমদের কিছু ফতোয়াঃ
রামাযানের কাযা রোযা পূরণের পর শাওয়ালের রোযা:
সৌদী আরবের গ্রান্ড মুফতী আল্লামা আবদুল আজীজ বিন আবদুল্লাহ বিন বায(রঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে, রামাযানের কাযা বাদ দিয়ে শাওয়াল মাসের ছয় রোযা রাখা যাবে কিনা? তিনি বলেছেন, এই বিষয় সঠিক কথা হচ্ছে, রামাযান মাসের কাযা রোযাকে শাওয়ালের রোযা এবং অন্যান্য নফল রোযার উপর প্রাধান্য দিবে। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصِيَامِ الدَّهْرِ
“যে ব্যক্তি রামাযান মাসের রোযা রাখবে অতঃপর শাওয়াল মাসের ছয় রোযা রাখবে সে যেন সারা বছরই রোযা রাখলো।” (মুসলিম) সুতরাং যে ব্যক্তি রামাযানের কাযা রোযা আদায়ের পূর্বে শাওয়ালের রোযা প্রাধান্য দিবে সে এ হাদীসের অন্তর্ভূক্ত নয়।
কেননা হাদীসের ভাষ্য হল, যে ব্যক্তি রামাযানের রোযা রাখলো অতঃপর শাওয়ালের রোযা রাখল। রামাযান মাসের রোযা হল ফরয আর শাওয়ালের ছয় রোযা হল নফল, সুতরাং ফরয এর গুরুত্ব অপরিসীম। (মাজমু ফতোয়া বিন বায ৫/ ২৭৩)
শাওয়ালের রোযা কি রামাযান শেষ হওয়ার সাথে সাথে শুরু করতে হবে?
সউদী আরবের ফতোয়া বোর্ডকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে, শাওয়ালের ছয় রোযা কি রামাযান মাসের পর পরই রাখতে হবে নাকি কিছু দিন পর রাখলেও তাতে কোন সমস্যা নেই ? উত্তরে বলা হয়েছে: রামাযান মাস শেষ হওয়ার একদিন, দু দিন বা কয়েক দিন পর শুরু করাতে কোন প্রকার অসুবিধা নেই। ধারাবাহিকভাবে রাখতে পারবে বা বিছিন্ন ভাবে রাখতে পারবে। তবে শাওয়াল মাসের মধ্যেই রাখতে হবে।” (ফতোয়া লাজনা দায়েমা ১০/৩৯১পৃঃ)
পরিশেষে বলব: প্রাণ প্রিয় ভাই, প্রত্যেক মুসলমানের অধিকরূপে ভাল আমল করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করা উচিৎ। প্রত্যেক মুসলমান দ্বীন ও দুনিয়ার কল্যাণ মূলক কাজের চেষ্টা ও সাধনা করবে। ভাল কাজের উক্ত সময়টি দ্রুত চলে যাচ্ছে, তাই এই সময়গুলোকে মূল্যবান মনে করে অধিক ছোয়াব ও সেই সাথে ভাল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে বেশী বেশী প্রার্থনা করা করা সকলের কর্তব্য। আল্লাহর কাছে কামনা করি তিনি যেন আমাদের উত্তম কর্ম সম্পাদনের শক্তি দেন এবং তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার পূর্ণ তাওফীক দান করেন। আমীন।
লেখক: শাইখ জাহিদুল ইসলাম
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদী আরব।
http://islamerahban.wordpress.com/2011/09/04/sawal/
-
Alhamdulillah
-
very helpful information.................
Md.YousufMiah
Accounts Officer
Daffodil International University
-
thanks for this nice post.
-
helpful post
-
Thanks both Najim & Habib sir for their very informative post. I was little bit confused about kaza & nafol Roza. Now this is clear to me. Thanks...
-
আল্লাহ তায়ালা আমাকে সহ আমাদের সবাইকে উক্ত নেকীর কাজগুলো করার তাওফীক প্রদান করুন। আমীন।
-
Thanks.. there are some more information...
অনেকেই প্রশ্ন করেন, যদি শাওয়াল মাসে সময় পাওয়া না যায়, তাহলে ভাঙতি রোজা পূর্ণ না করে আগে শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখার অনুমতি ইসলামে আছে কি-না। শুরুতে বর্ণিত হাদিসটিতে ‘সুম্মা’ শব্দের প্রয়োগই এ প্রশ্নের জবাব বলে মন্তব্য করেন শায়খ আল মুনাজ্জিদ। সুম্মা অর্থ অতঃপর। অর্থাৎ কেউ রমজানের রোজা পূর্ণ করল, অতঃপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছর ধরেই রোজা করল। এখানে ধারাবাহিকতার কথাই বলা হয়েছে। কাজেই হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী রমজান মাসে কারো রোজা ভাঙতি হলে শাওয়াল মাসে সেই ভাঙতি রোজা আগে পূর্ণ করতে হবে। যদি ভাঙতি রোজা পূর্ণ করতে শাওয়াল মাস পুরোটাই লেগে যায় (বিশেষ করে অসুস্থতা, সফর বা মহিলাদের বিশেষ কোনো শারীরিক অবস্থায়), তাহলে তিনি জিলকদ মাসে ওই ছয়টি রোজা রাখলেও শাওয়ালের ছয়টি রোজার অনুরূপ সওয়াব পাবেন। রমজানের কোনো ফরজ রোজা ভাঙতি হলে প্রথমে সেই ফরজ রোজাই রাখতে হবে। পরে শাওয়ালের ছয়টি রোজা করতে হবে। রোজা কাজা করার যথাযথ ও অনুমোদিত ওজর যার রয়েছে, তাকে অবশ্যই কাজা রোজা করতে হবে আগে। কেননা রমজানের রোজা হলো ইসলামের একটি স্তম্ভ। আর শাওয়ালের ছয়টি রোজা হলো মুস্তাহাব। যে এই মুস্তাহাব পালন করল না, সে তিরস্কৃত হবে না। কেননা এটা ফরজ ইবাদত নয়।
একটি বর্ণানায় পাওয়া যায়, প্রিয় নবী (সা.) আরও এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা শাওয়াল মাসের ৬ দিনে আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি ওই ৬ দিন রোজা রাখবে আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক সৃষ্টি জীবের সংখ্যা হিসাবে তার আমলনামায় নেকি লিখে দেবেন, সমপরিমাণ বদি দূর করে নেবেন এবং পরকালে তার দরজা বুলন্দ করে দেবেন। হজরত সুফিয়ান ছাওরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মক্কায় তিন বছর ছিলাম। মক্কাবাসীর মধ্য থেকে জনৈক ব্যক্তি প্রত্যহ জোহরের সময় মসজিদে হারামে এসে বাইতুল্লাহ তওয়াফ করে, নামাজ পড়ে আমাকে সালাম দিয়ে চলে যায়। ফলে তার ও আমার মাঝে হৃদ্যতা ও সম্প্রীতি সৃষ্টি হলো। হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে ডাকল এবং বলল, আমি মারা গেলে তুমি আমাকে নিজ হাতে গোসল দেবে, নামাজ পড়বে এবং দাফন দেবে। ওই রাতে তুমি আমাকে কবরে একাকী রেখে চলে আসবে না। তুমি আমার কবরের কাছে রাত যাপন করবে এবং মুনকার নকিরের সওয়ালের সময় আমাকে সহায়তা করবে। সুতরাং আমি তাকে নিশ্চয়তা দিই। আমি তার আদেশ মোতাবেক তার কবরের কাছে রাত যাপন করি। আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলাম। হঠাৎ ঘোষকের ঘোষণা শুনলাম, হে সুফিয়ান। তোমার রক্ষণাবেক্ষণ ও তালকিনের প্রয়োজন নেই। আমি বললাম, কিসের জন্য? তিনি বললেন, রমজানের রোজা এবং রমজান-পরবর্তী শাওয়ালের ৬টি রোজার কারণে। আমি ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে কাউকে দেখতে পেলাম না। অজু করে নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। অতঃপর আমি আবার একই স্বপ্ন দেখলাম। সুতরাং আমি উপলব্ধি করলাম যে, এটা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে, শয়তানের পক্ষ থেকে নয়। সুতরাং আমি চলে গেলাম এবং বলতে লাগলাম, হে আল্লাহ! আপনি আমাকে রমজানের রোজা এবং শাওয়ালের ৬টি রোজা রাখার তৌফিক দান করুন। অতএব, শাওয়ালের ৬টি রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত উপলব্ধি করে প্রত্যেক মুসলমানের উচিত এ পুণ্যময় নেক আমলে নিজেকে মশগুল রাখা। মহান আল্লাহ্ সবাইকে সেই তৌফিক দান করুন।
Writer: মাওলানা মিরাজ রহমান
-
Informative. Thanks for sharing....
-
Thank you for sharing.
-
Informative post
-
Nice sharing
-
Informative post
-
Informative
-
Important information for us