Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Sports Zone => Football => Topic started by: Faruq Hushain on March 28, 2019, 07:32:43 PM

Title: ফুটবলে জেমি ডের দুটি ইতিহাস
Post by: Faruq Hushain on March 28, 2019, 07:32:43 PM
বাংলাদেশের ফুটবল এক বছরের মধ্যে দুটি ‘প্রথম’ দেখেছে। দুটিরই নেপথ্যে কোচ জেমি ডে। দুটিই অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কল্যাণে। গত আগস্টে এশিয়ান গেমসে সবাইকে অবাক করে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে বাংলাদেশ। পরশু পাওয়া এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলে নিজেদের ১৩তম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে। জয়টি যদিও প্রত্যাশিতই ছিল।

এশিয়ান গেমসে থাইল্যান্ডের সঙ্গে ড্রর পর কাতারের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়। এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্টে জয় এসেছে বাহরাইন ও ফিলিস্তিনের কাছে ৯ গোল খাওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেই জয় নিয়ে বাহরাইন থেকে কাল রাত দুইটায় বাংলাদেশ দলের ঢাকায় ফেরার কথা। ফেরার আগে দুপুরে টেলিফোনে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটা জয় নিয়ে ফিরতে পারাটা আমাদের জন্য দারুণ। আমি খুব খুশি। ছেলেরা ভালো ফুটবল খেলেছে।’

টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে ২ হার, ১ জয় বাংলাদেশের। দক্ষিণ এশিয়ার শুধু বাংলাদেশই জিতেছে এবার এই টুর্নামেন্টে। ভারত গ্রুপের দুটি ম্যাচেই হেরেছে। উজবেকিস্তানের কাছে ৩ ও তাজিকিস্তানের কাছে ২ গোলে। গ্রুপের তিনটি ম্যাচেই হার নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপের। ভুটান খেলেনি।

বাংলাদেশ ২ গোল খেয়ে ২ গোল করেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অবশ্য গোল হতে পারত আরও। যদিও কোচ বলেন, ‘গোলের সংখ্যার চেয়ে জয়টাই আমার কাছে বড়।’ বাহরাইনের বিপক্ষে ১ গোলে পিছিয়ে থেকে ৭০ মিনিটে মতিন মিয়া ফাঁকা পোস্টে গোল করতে পারেননি। জেমি ডে এর কারণটা জানেন, ‘বাংলাদেশ দলের গোল করার ব্যর্থতা চলতেই থাকবে, যদি লিগের অবস্থা না বদলায়।’ ক্লাবগুলো ঘরোয়া ফুটবলে আক্রমণে বিদেশি খেলোয়াড়ই বেশি রাখে। ঘরের ছেলেরা সুযোগ তেমন পায় না। এই ধারার বদল চান জেমি ডে।

তবে এএফসির এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সাফল্য বেশি গোল আটকানোয়। শক্তিশালী বাহরাইন ও ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্ষণ দুর্দান্ত লড়েছে। দুটি ম্যাচেই হার ১-০ গোলে। জেমি ডে বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে তিন ব্যাক খুবই ভালো খেলেছে (রহমত, ইয়াসিন, বাদশা)।’ তাঁর চোখে ধরা পড়ছে বড় পরিবর্তন, ‘১২ মাসে আমরা কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পেরেছি। এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা, এএফসির টুর্নামেন্টে প্রথম জয়, দুটিকেই আমি ইতিহাস বলব। জাতীয় দল আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের ৪টি জিতেছে। যথেষ্ট ভালো ফল।’


জেমি ডে বাংলাদেশ ফুটবল দলের কোচ। ফাইল ছবিজেমি ডে বাংলাদেশ ফুটবল দলের কোচ। ফাইল ছবি
বাংলাদেশের ফুটবল এক বছরের মধ্যে দুটি ‘প্রথম’ দেখেছে। দুটিরই নেপথ্যে কোচ জেমি ডে। দুটিই অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কল্যাণে। গত আগস্টে এশিয়ান গেমসে সবাইকে অবাক করে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে বাংলাদেশ। পরশু পাওয়া এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলে নিজেদের ১৩তম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে। জয়টি যদিও প্রত্যাশিতই ছিল।

এশিয়ান গেমসে থাইল্যান্ডের সঙ্গে ড্রর পর কাতারের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়। এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ টুর্নামেন্টে জয় এসেছে বাহরাইন ও ফিলিস্তিনের কাছে ৯ গোল খাওয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেই জয় নিয়ে বাহরাইন থেকে কাল রাত দুইটায় বাংলাদেশ দলের ঢাকায় ফেরার কথা। ফেরার আগে দুপুরে টেলিফোনে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটা জয় নিয়ে ফিরতে পারাটা আমাদের জন্য দারুণ। আমি খুব খুশি। ছেলেরা ভালো ফুটবল খেলেছে।’

টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে ২ হার, ১ জয় বাংলাদেশের। দক্ষিণ এশিয়ার শুধু বাংলাদেশই জিতেছে এবার এই টুর্নামেন্টে। ভারত গ্রুপের দুটি ম্যাচেই হেরেছে। উজবেকিস্তানের কাছে ৩ ও তাজিকিস্তানের কাছে ২ গোলে। গ্রুপের তিনটি ম্যাচেই হার নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপের। ভুটান খেলেনি।

বাংলাদেশ ২ গোল খেয়ে ২ গোল করেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অবশ্য গোল হতে পারত আরও। যদিও কোচ বলেন, ‘গোলের সংখ্যার চেয়ে জয়টাই আমার কাছে বড়।’ বাহরাইনের বিপক্ষে ১ গোলে পিছিয়ে থেকে ৭০ মিনিটে মতিন মিয়া ফাঁকা পোস্টে গোল করতে পারেননি। জেমি ডে এর কারণটা জানেন, ‘বাংলাদেশ দলের গোল করার ব্যর্থতা চলতেই থাকবে, যদি লিগের অবস্থা না বদলায়।’ ক্লাবগুলো ঘরোয়া ফুটবলে আক্রমণে বিদেশি খেলোয়াড়ই বেশি রাখে। ঘরের ছেলেরা সুযোগ তেমন পায় না। এই ধারার বদল চান জেমি ডে।

তবে এএফসির এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সাফল্য বেশি গোল আটকানোয়। শক্তিশালী বাহরাইন ও ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্ষণ দুর্দান্ত লড়েছে। দুটি ম্যাচেই হার ১-০ গোলে। জেমি ডে বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টে তিন ব্যাক খুবই ভালো খেলেছে (রহমত, ইয়াসিন, বাদশা)।’ তাঁর চোখে ধরা পড়ছে বড় পরিবর্তন, ‘১২ মাসে আমরা কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পেরেছি। এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা, এএফসির টুর্নামেন্টে প্রথম জয়, দুটিকেই আমি ইতিহাস বলব। জাতীয় দল আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের ৪টি জিতেছে। যথেষ্ট ভালো ফল।’

বাহরাইনে দারুণ ফুটবল খেলেছেন যুবারা। সৌজন্য ছবিবাহরাইনে দারুণ ফুটবল খেলেছেন যুবারা। সৌজন্য ছবিকম্বোডিয়াকে জাতীয় দল তাদেরই মাঠে ফিফা প্রীতি ম্যাচে কদিন আগে হারিয়ে এসেছে ১-০ গোলে। তারপর বাহরাইনে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের প্রশংসনীয় খেলা। জেমি ডের অধীনে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। বিপলু, রবিউল, সুফিলরা ওপরে গতি আর ফিটনেস কাজে লাগিয়েছেন। অন্যদের ফিটনেসও ভালো। তাই ৯০ মিনিট লড়াই করতে শিখেছেন। আরামবাগের কোচ মারুফুল হকের কাছে এটা ‘অতুলনীয়’। বাংলাদেশ দলের খেলাও ভালো লেগেছে তাঁর, ‘খেলোয়াড়দের সামর্থ্য অনুযায়ী কোচ পরিকল্পনা নিয়ে সেটা বাস্তবায়নও করেছেন। শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে আটকাতে “ব্লক” তৈরি করে তারপর প্রতি আক্রমণে গেছেন, যেহেতু ওপরে গতিময় ফুটবলার আছে।’ মারুফ বলেন, ‘বাহরাইনে প্রথম দুটি ম্যাচ দেখে মনে হয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলারদের গতি ও ফিটনেস ঠিক আছে। সমস্যা টেকনিক্যাল সামর্থ্যে।’

জেমি ডে এটিকেই ভবিষ্যতের জাতীয় দল বলেন। তাই আরও আন্তর্জাতিক ম্যাচ চান। তবে সামনের পরিকল্পনা কী তা জানেন না। দেশে এসে ফেডারেশনের সঙ্গে বসতে চান। সেই বসাটা অর্থপূর্ণ হলেই ভালো।
Title: Re: ফুটবলে জেমি ডের দুটি ইতিহাস
Post by: Anuz on April 05, 2019, 10:59:10 PM
Great Achievement. All the Best.............