Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - nafees_research

Pages: [1] 2 3 ... 23
1
Today (27 August, 2023), IQAC organized a discussion session where Heads of different Departments (HoDs), members of Program Self Assessment Committees (PSACs), Director and Additional Director of IQAC and IQAC officials were present at the event.



Shedding lights on accreditation, Director IQAC interacts with all attendees regarding the progress of Self Assessment Exercise under BAC compliance.

2
এআই আইন পাসে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল ইইউ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই প্রযুক্তির ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ন্ত্রণে গত বুধবার একটি আইনের খসড়া প্রস্তাব পাস করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। খসড়া এই আইনের নাম দেওয়া হয়েছে এআই অ্যাক্ট।

ইইউতে আইনের পাসের প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ দিকে পূর্ণাঙ্গ এই আইন পাস হতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রযুক্তির সফটওয়্যার কীভাবে ব্যবহার করা হবে, কীভাবে এর ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে, এ নিয়ে ইইউতে দুই বছরের বেশি সময় ধরেই আলোচনা চলছে। তবে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ওপেন এআইয়ের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি প্রকাশ্যে আসার পর এ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয় ইইউর আইনপ্রণেতাদের মধ্যে। এর ফলে নতুন এ আইনের পাসের উদ্যোগ নেওয়া হলো।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিভিন্ন দেশ এআই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একটি আইনি কাঠামো দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নই প্রথম, যারা কি না এ-সংক্রান্ত আইনের কোনো খসড়া প্রস্তাব পাস করল। এআই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যেই এই আইন পাসের প্রক্রিয়াটি হাতে নেওয়া হয়েছে।


এদিকে এআই নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি হোয়াইট হাউস একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে। কোনো এআই টুলস প্রকাশের আগে কী কী করতে এবং এর মাধ্যমে যাতে নাগরিক অধিকার খর্ব না হয় সে জন্য এই নীতিমালার পথে হাঁটছে মার্কিন

সরকার। এ ছাড়া চীনও একটি খসড়া তৈরি করেছে। গত এপ্রিলে এটি প্রকাশ করা হয়। চীনের ওই নীতিমালা অনুসারে, কোন এআই টুলস কোন ধরনের তথ্য ব্যবহার করবে, সেটা নিয়ন্ত্রণ করবে চীন সরকার।



তবে আইন করে এআই সফটওয়্যার কিংবা টুলস কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। কারণ, প্রচলিত আইন বা আইনপ্রণেতাদের ভাবনার চেয়েও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এই প্রযুক্তি। যেমন ইইউর এর আগে এ-সংক্রান্ত যে আইনটি ছিল, সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ছবি, ভিডিও কিংবা লেখালেখি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সে-সংক্রান্ত কোনো ধারণা ছিল না। যদিও চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে এখন কৃত্রিমভাবে ছবি, ভিডি ও লেখা তৈরি করা যাচ্ছে।

ইইউর নতুন এই খসড়া আইন অনুসারে, এআই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বা সফটওয়্যারগুলোকে নতুন এক বিধির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানকে আরও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।

সুত্রঃ https://www.prothomalo.com/world/europe/qoyeaaxdzf

3
14-year old Bangladeshi-American boy joins SpaceX as youngest employee

Taking to LinkedIn to share his accomplishment, Quazi exuded excitement at the prospect of joining the Starlink engineering team, which he proudly hailed as the "coolest company on the planet." Starlink represents SpaceX's cutting-edge satellite internet service.

In his LinkedIn post, Quazi shared, "I am overjoyed to embark on this journey as a software engineer with the revered Starlink engineering team at the world's coolest company. SpaceX's refusal to assess my worth based on age, unlike many others, is truly remarkable."

Born to Bangladeshi parents, Mustahid and Julia Quazi, Kairan Quazi astounded those around him by speaking in full sentences at the age of two—an early indication of his exceptional intellect, as reported by the LA Times.

By the time Quazi reached the third grade at nine years old, he reportedly found the standard school curriculum to be a "lackluster challenge" for his advanced capabilities. Just a few months later, he secured an internship as an AI research co-op fellow at Intel Labs. At the age of 11, Quazi embarked on his formal studies in computer science and engineering.

In 2022, Quazi's talents were put to use during a four-month stint as a machine learning intern at the cyber intelligence firm Blackbird.AI. His contributions included designing an "anomaly detection statistical learning pipeline" to identify instances of social media content manipulation, according to his LinkedIn profile.


As he prepares to graduate from Santa Clara University's School of Engineering, Quazi is poised to make history as the institution's youngest-ever graduate.

Earlier this year, the 14-year-old took to Instagram, documenting his preparations for a significant job interview. Weeks later, he proudly shared a screenshot of the job acceptance letter he received from SpaceX.

Julia Chowdhury Quazi, Kairan's mother, is a Wall Street executive. She, along with her son Kairan, resides in the Bay area of San Francisco, USA. Mustahid Quazi, Kairan's father, originally hails from Manikganj and currently works as an engineer.

Reports indicate that the teenager plans to relocate with his mother from Pleasanton, California, to Redmond, Washington, to begin his work at SpaceX.

Source: https://www.thedailystar.net/tech-startup/news/14-year-old-bangladeshi-american-boy-joins-spacex-youngest-employee-3343916

4
Committees / Faculty Quality Assurance Committee (FQAC)
« on: June 10, 2023, 11:28:11 AM »
Faculty Quality Assurance Committee (FQAC)

The link: http://iqac.daffodilvarsity.edu.bd/index.php/committee/fqac

5
Committees / Program-Self-Assessment Committee (PSAC)
« on: June 10, 2023, 11:25:36 AM »
Program-Self-Assessment Committee (PSAC)

The link: http://iqac.daffodilvarsity.edu.bd/index.php/committee/psac

6
Key statistics and trends in trade policy 2022 (UNCTAD)

The link: https://unctad.org/system/files/official-document/ditctab2023d2_en.pdf

International trade is subject to and influenced by a wide array of policies and instruments. Technical measures and requirements regulate about two thirds of world trade, while various forms of sanitary and phytosanitary measures (SPS) are applied to almost all agricultural products. Border measures contribute substantially to trade costs. On average the compliance costs of such measures are generally higher than tariffs. The World Trade Organization (WTO) remains an important arbiter of trade disputes, however the past few years have seen a general decrease in the number of trade defence investigations brought to the WTO, also because of the problems related to the functioning of its appellate body. As of 2021, there is a large number of trade defence measure in force, most of them by developed countries and major emerging economies.

With the notable exception of the increase in bilateral tariffs between the United States of America and China, tariffs have remained substantially stable during the last few years with tariff protection remaining a significant factor in some sectors and markets. Tariffs have been marginally reduced in some of the sectors as to facilitate trade of products related to the COVID-19 pandemic.

As of 2021, trade costs directly related to tariffs were at about 2 per cent for developed countries’ and at about 4 per cent for developing countries. Tariff restrictiveness remains substantial in many developing countries, especially in South Asian and African countries. Moreover, tariffs remain relatively high in some sectors where tariff peaks are present. Those sectors include some of key interest to low-income countries such as agriculture, apparel, textiles and leather products. Tariffs also remain substantial for most South–South trade.

The process of deeper economic integration has remained strong at the regional and bilateral levels, with an increasing number of preferential trade agreements (PTAs) being negotiated and implemented. Most of the recent PTAs address not only goods but also services and increasingly deal with rules beyond reciprocal tariff concessions to cover a wide range of behind the border issues. As of 2021, about half of world trade has occurred under some form of PTA. While the COVID-19 pandemic has severely disrupted international trade, trade under deep trade agreements has been relatively more resilient, increasing the share of trade under deep PTA further in 2021.

This report is structured in two parts.

The first part provides a discussion and statistics on the trade of green (environmentally friendly) goods and of some of the trade policies applied to this trade.

The second part presents and discusses trends in selected trade policy instruments, including illustrative statistics. The second part is divided into four chapters: tariffs, trade agreements, non-tariff measures and trade defence measures. Trade trends and statistics are provided at various levels of aggregation illustrating the use of the trade policy measures across economic sectors and geographic regions.

7
বিশ্ব এখন তিন নয়, চার বলয়ে বিভক্ত, বাংলাদেশ কোথায়

যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া আর চীনের বাইরে নতুন বলয় হচ্ছে বৈশ্বিক দক্ষিণ। দক্ষিণ বলয়ের ওপর আগের মতো কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না কোনো পরাশক্তি। তারা নিজেদের স্বার্থে অর্থপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে চায়।

টুডে উই আর ইন এ ট্রাই-পোলার ওয়ার্ল্ড’ (আমরা এখন তিন বলয়ে বিভক্ত বিশ্বের বাসিন্দা)। কথাটা মার্কিন যৌথ বাহিনী প্রধান জেনারেল মার্ক মিলির। ফরেন অ্যাফেয়ার্স পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি তিনি এ কথা বলেছেন।

৩০ বছর ধরে যারা বিশ্বকে ইউনিপোলার বা এক মেরু ভেবে এসেছে, এই স্বীকারোক্তিতে তাদের ভ্রু কোঁচকাতে পারে বৈকি। তিন বলয় মানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া। জেনারেল মিলির হিসাবে অবশ্য একটা ভুল আছে, তিনি চতুর্থ একটি সম্ভাব্য বলয়ের কথা উল্লেখ করতে ভুলে গেছেন। আর সেটি হলো তথাকথিত তৃতীয় বিশ্ব, যা এখন ‘গ্লোবাল সাউথ’ নামে পরিচিত। বাংলায় আমরা বলতে পারি ‘বৈশ্বিক দক্ষিণ’। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণকে ঘিরে যে মেরুকরণ ঘটেছে, তারই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বিশ্বরাজনীতির এই চতুর্থ স্তম্ভটি জমাট বাঁধতে শুরু করে।

এক থেকে দুই
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আমরা ধরেই নিয়েছিলাম, সারা বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাবলয়ে চলে এসেছে। এর আগে দুর্বল হয়ে গেলেও সোভিয়েত ইউনিয়ন টিকে থাকতে তাকে দ্বিতীয় পরাশক্তি হিসেবে মানা হতো। নব্বই দশকের গোড়ায় নতুন ও খণ্ডবিখণ্ড রাশিয়া সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও তাকে পরাশক্তি হিসেবে কেউ গায়ে মাখত না। তার পারমাণবিক ভান্ডার ছিল বটে, কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিল ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এতটাই কাবু করে ফেলেছিল যে, সে পরাশক্তির মর্যাদা হারিয়ে ফেলে। সোভিয়েত ব্যবস্থার পতনের কারণেই এক মার্কিন পণ্ডিত ‘ইতিহাসের সমাপ্তি’ ঘোষণা করেছিলেন, যার মোদ্দাকথা ছিল, পশ্চিমা মূল্যবোধ ও রাজনীতির বিজয় হয়েছে। ২০ বছর না যেতেই নতুন করে হিসাব কষতে হলো। প্রেসিডেন্ট পুতিন সেই রাশিয়াকে শুধু আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেননি, পশ্চিমের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো অবস্থায় নিয়ে আসেন। ফলে পৃথিবীর কর্তা আর এক নয়, দুইয়ে দাঁড়াল।

কিন্তু গোল বাঁধল রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণে।

এই আগ্রাসী অভিযান শুরুর আগে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোটে প্রচ্ছন্ন বিভক্তি ছিল। কোনো কোনো ইউরোপীয় দেশ, বিশেষত ফ্রান্স, ওয়াশিংটনের ছাতা থেকে বেরিয়ে আন্ত–ইউরোপীয় জোট গঠনে আগ্রহী হয়ে উঠে। গত ২০ বছরে একের পর এক যুদ্ধে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভেতরে-বাইরে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। বিশ্বের ‘পুলিশম্যান’ হতে হলে যে কবজির জোর ও পকেটে ডলার চাই, তাতে টান ধরেছিল। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তাকে আরও দুর্বল করে তোলে। এ অবস্থায় একদিকে রাশিয়া নিজের ঘর গুছিয়ে নেয়, অন্যদিকে নতুন পরাশক্তি হিসেবে চীন বিশ্ব মানচিত্রে নিজের স্থান পোক্ত করে।


চীনের উত্থান ও ইউক্রেন যুদ্ধ
একুশ শতকের বিশ্বব্যবস্থার একটি নতুন উপাদান হলো পরাশক্তি হিসেবে চীনের আবির্ভাব। পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলেই নয়, অর্থনৈতিক সাফল্যের কারণে সে এখন বিশ্বের ২ নম্বর শক্তি। সামরিক শক্তিতেও অন্য দুই পরাশক্তিকে পাল্লা দিতে সক্ষম। দেশটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তা আরও ভালোভাবে ঠাহর হলো ইউক্রেনে রুশ হামলার পর। এই যুদ্ধে পুতিন কার্যত একা, চীনকে পাশে পেলে বোঝাটা কমে, সে জন্য তিনি কম কাঠখড় পোড়াননি। ১৯৪৯-৫০ সালে চীনা নেতা মাও সে-তুং যখন মস্কো সফরে আসেন, সোভিয়েত নেতা স্তালিন তাঁকে চার দিন দেখা না করে বসিয়ে রেখেছিলেন। এখন প্রেসিডেন্ট সি আসবেন, সে জন্য চার দিন আগে থেকে প্রেসিডেন্ট পুতিন লালগালিচা বিছিয়ে অপেক্ষায় থাকেন।

ইউক্রেনে রুশ হামলা ন্যাটোভুক্ত ইউরোপীয়দের জন্য বড় ধরনের আঘাত। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে তারা ফের এককাট্টা হয়, ইউক্রেনের পক্ষে এক ‘প্রক্সি’ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিম এক হলেও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো ভিন্ন পথ বেছে নেয়। এই যুদ্ধ তাদের জাতীয় স্বার্থবিরোধী, সেই যুক্তি মাথায় রেখে দক্ষিণের দেশগুলো একক এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্মিলিতভাবে ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থানে আগ্রহী হয়ে ওঠে।

২০ বছর আগে হলে এ প্রশ্নে কোনো বড় বিতর্ক হতো না। আমেরিকার ইচ্ছাই তৃতীয় বিশ্ব মেনে নিত। কিন্তু এখন অবস্থা বদলাচ্ছে। দক্ষিণের দেশগুলোর কেউ কেউ আমেরিকার আগ্রাসী মনোভাব এড়াতে চীনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে আগ্রহী। শুধু ব্রাজিল বা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ নয়, তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়। মস্কোর সমর্থনে চীন তাদের মুদ্রা ইউয়ানকে ডলারের বদলে নতুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি চাইছে। ব্রিকসভুক্ত (BRICS) দেশগুলো তো বটেই, সৌদি আরবও এ ব্যাপারে তাদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করে।

মস্কো ও বেইজিং মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত এক মেরু বিশ্বব্যবস্থা তাদের জাতীয় ও আঞ্চলিক স্বার্থ রক্ষায় বড় কাঁটা। এই কাঁটা তুলতে তারা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলায়। ইউক্রেন আক্রমণের ঠিক আগের সপ্তাহে রাশিয়ার পুতিন ও চীনের সি নিজেদের মধ্যে ‘সীমাবিহীন বন্ধুত্বের’ ঘোষণা দিলেন। এই ঘোষণা থেকে ভাবা হয়েছিল, চীন হয়তো রাশিয়ার প্রতি সামরিক সমর্থন জোগাবে। রাশিয়া তাদের পরিকল্পনামতো দুই সপ্তাহে কিয়েভ দখল করে ইউরোপের রাজনৈতিক মানচিত্র বদলে দিতে পারলে চীন কী করত, তা অনুমান করা কঠিন নয়। কিন্তু যুদ্ধের এক মাস না যেতেই বোঝা গেল, মস্কো অঙ্কে বড় ধরনের ভুল করেছে। এই যুদ্ধে রাতারাতি জয় করা তার পক্ষে অসম্ভব।


এ অবস্থায় চীন একটি আপাত-নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়। আমেরিকার বিরুদ্ধে তার রাশিয়াকে চাই। আবার বাণিজ্যিক কারণে পশ্চিমকেও সে হাতছাড়া করতে রাজি নয়। সেই কারণে নিরপেক্ষতা। তার এই রণনীতির প্রমাণ মিলল জাতিসংঘে, যেখানে রাশিয়ার প্রতি নিন্দাসূচক প্রতিটি ভোটে সে ভোটদানে বিরত থাকল। জাতীয় সার্বভৌমত্বের অখণ্ডতার পক্ষে জোর যুক্তি দিলেও সে ইউক্রেনে পশ্চিমা সামরিক সাহায্যের সমালোচনা করল। পাশাপাশি রাশিয়ার চাপ সত্ত্বেও তাকে কোনো অস্ত্র-বারুদ দিতে অস্বীকার করল।

বৈশ্বিক দক্ষিণ
বৈশ্বিক দক্ষিণ বা গ্লোবাল সাউথের ভূমিকাও বহুলাংশে চীনের মতো। আফগানিস্তান-ইরাক যুদ্ধে অধিকাংশ দক্ষিণি দেশ মার্কিন নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিল। ইউক্রেনের বেলায় নয়। রাশিয়ার হামলা তারা সমর্থন করল না বটে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান সত্ত্বেও নিজেদের এই যুদ্ধে জড়াল না। বৈশ্বিক দক্ষিণের ৫০টির বেশি দেশ জাতিসংঘে ইউক্রেন প্রশ্নে ভোটদানে বিরত থাকে। এই যুদ্ধের ফলে জ্বালানির দাম বেড়েছে, খাদ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। কোভিড–সংকটের সময় তারা দেখেছে, পরাশক্তির ওপর আর নির্ভর করা যায় না। ফলে উভয় পরাশক্তি এড়িয়ে তারা নিজেদের পথ বেছে নিল।

তৃতীয় বিশ্বের এই অবস্থান তাদের পরিপক্বতার প্রমাণ বলে ভাবা যেতে পারে। তবে বাস্তব সত্য হলো, যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়া কেউ এখন আর আগের মতো শক্তিধর নয় যে, তাদের লেজুড় হয়ে থাকলে ফায়দা মিলবে। এই উপলব্ধি থেকেই বৈশ্বিক দক্ষিণের নীতিগত ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থান। এই নয়া কৌশলগত সমীকরণে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

নতুন এই রণকৌশলগত সমীকরণের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব নিরুপমা রাও। তাঁর কথায়, ভারত আমেরিকাকে চায়, পাশাপাশি চীন ও রাশিয়াকেও চায়। ওয়াশিংটন ও মস্কোর লড়াই ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশের জন্য নতুন সুযোগ খুলে দিয়েছে। তারা ‘ডাবল ডিসকাউন্টে’ কেবল রাশিয়ার তেল-গ্যাস কিনতে পারছে তা–ই নয়, সে জ্বালানির মূল্য নিজ মুদ্রায় পরিশোধের ব্যবস্থাও করে নিয়েছে।

ফরেন অ্যাফেয়ার্স পত্রিকার সর্বশেষ সংখ্যায় তিনি লিখেছেন: ‘আজকের যে পৃথিবী, শীতল যুদ্ধের সময়ের সঙ্গে তা তুলনীয় নয়। আজকের পৃথিবী বাণিজ্য, প্রযুক্তি, অভিবাসন, ইন্টারনেট ইত্যাদির কারণে আমাদের একে অপরকে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিক নিকটবর্তী করেছে। ইউক্রেনের ব্যাপারে পশ্চিমের কথা হয়তো ঠিক যে রাশিয়া সেখানে মানবাধিকারের লঙ্ঘন করছে। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বও তো ভিয়েতনাম থেকে ইরাকে কতবার কতভাবে অন্যায় ও সহিংস হস্তক্ষেপ করেছে। আমরা তাই রাশিয়াকে একঘরে করার পশ্চিমা আহ্বানে মোটেই আগ্রহী নই।’

একই সংখ্যায় ব্রাজিলীয় বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মাতিয়াস স্পেকটর লিখেছেন, এই যুদ্ধের ফলে পশ্চিমা জোট ও রাশিয়া উভয়েই কমজোরি হয়ে পড়েছে। এখন এরা কেউ আর দক্ষিণের ওপর নিজের ইচ্ছা জোর করে চাপিয়ে দিতে সক্ষম নয়। ফলে সংহত হচ্ছে চতুর্থ বলয়, বৈশ্বিক দক্ষিণ।

‘যুক্তরাষ্ট্র চায় এককৌণিক বিশ্ব। তার কাছে বহুকৌণিকতা (মাল্টিপোলারিটি) মানেই সংঘর্ষ ও অস্থিরতা। কিন্তু বৈশ্বিক দক্ষিণ মনে করে, বহুকৌণিকতা একুশ শতকের উপযোগী একটি স্থিতিশীল বিশ্বব্যবস্থার ভিত হিসেবে কাজ করতে পারে।’

বৈশ্বিক দক্ষিণের ভবিষ্যৎ
বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ এখন বৈশ্বিক দক্ষিণের বাসিন্দা। তাদের সম্মিলিত সম্পদ মোট বৈশ্বিক উৎপাদন ক্ষমতার (জিডিপি) এক–তৃতীয়াংশ। বামঘেঁষা ফরেন পলিসি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক রাভি আগারওয়ালের কথায়, বৈশ্বিক দক্ষিণ জেগে উঠছে, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই।

মানতেই হবে, স্বার্থের অভিন্নতা সত্ত্বেও বৈশ্বিক দক্ষিণ কোনো অখণ্ড বা ‘মনোলিথিক’ গ্রুপ নয়। কোনো কৌশলগত রাজনৈতিক ও সামরিক জোটও তারা গড়েনি। ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশের সবল উপস্থিতির কারণে এই নয়া দক্ষিণি জোটকে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন মনে হতে পারে, কিন্তু অবস্থা এখন সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরত্বে আগ্রহী হলেও এই গ্রুপের কোনো কোনো দেশ নিজ স্বার্থে বৃহৎ শক্তির সঙ্গে লাভজনক মৈত্রী গড়েছে। যেমন ভারত তার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে ঠেকাতে মার্কিন নেতৃত্বে চারদেশীয় ‘কোয়াড’ সামরিক কৌশলগত আঁতাতে যোগ দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে রাশিয়ায় অস্ত্র পাঠাচ্ছে। অন্য বৃহৎ দেশ ব্রাজিল চীনের নিকটবর্তী হতে চেষ্টা চালাচ্ছে। বৈশ্বিক দক্ষিণের এই সিদ্ধান্ত জাতীয় স্বার্থ ও বাস্তবধর্মিতা দ্বারাই পরিচালিত।

আমরা বলব, একটি অর্থপূর্ণ বহুমেরু বা মাল্টিপোলার বিশ্ব গঠিত হলে তা বিশ্বশান্তির জন্য ইতিবাচকই হবে। গত এক শতকের অভিজ্ঞতা থেকে স্পষ্ট, এক বা দুই পরাশক্তিনির্ভর বিশ্ব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য মোটেই সহায়ক নয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর গঠিত বিশ্বব্যবস্থার কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক আইনের কথা যতই বলা হোক, সে ব্যবস্থায় ছড়ি ঘোরানোর একচ্ছত্র অধিকার শুধু পরাশক্তিগুলোর। নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতার জোরে তারাই নিজেদের পছন্দমতো আইন বানাচ্ছে, আইন ভাঙছে। দক্ষিণের দেশগুলো দাবি তুলেছে, নিরাপত্তা পরিষদে তাদেরও ভেটো ক্ষমতা চাই।

পৃথিবী বদলাচ্ছে, পুরোনো শক্তিবলয় ভেঙে পড়ছে। নতুন শক্তিবলয় গড়ে উঠছে। নতুন যে দক্ষিণ, তার ন্যায্য পাওনা চুকিয়ে দেওয়ার সময় আসছে।

বাংলাদেশ কোথায়
অর্থনৈতিকভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হলেও ভূরাজনীতিতে বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব কম নয়। জাতীয় স্বার্থ মাথায় রেখে দেশটি যেভাবে মস্কো ও ওয়াশিংটনের বৈরিতা মোকাবিলা করছে, তা বেশ লক্ষণীয়। দুই দেশকেই তার প্রয়োজন। রাশিয়া তার দীর্ঘদিনের বন্ধু, আমেরিকা তার প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। ভারতের মতো সে–ও ইউক্রেন প্রশ্নে ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থান নিয়েছে। জাতিসংঘে ইউক্রেন প্রশ্নে তার অবস্থান সেটাই বলে। পাশাপাশি অনেক দক্ষিণি দেশের মতো সে–ও মস্কো ও ওয়াশিংটনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এড়িয়ে চীনের দিকে হাত বাড়িয়েছে।

বাংলাদেশের জন্য অতিরিক্ত মাথাব্যথা আঞ্চলিক পরাশক্তি ভারত। শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, রাজনৈতিক ক্ষমতা বণ্টন প্রভাবিত করার ক্ষমতাও সে রাখে। সে বিবেচনা মাথায় রেখে বাংলাদেশ তার ‘চীনা তাস’ প্রয়োগ করছে। এই নীতির লক্ষ্য, একদিকে চীনের অর্থনৈতিক শক্তি ও কারিগরি দক্ষতার ব্যবহার, অন্যদিকে ভারতকে এ কথা বোঝানো, নয়াদিল্লি ছাড়াও অন্যত্র যাওয়ার রাস্তা তার সামনে খোলা।

গত বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে দিল্লি যাওয়ার ঠিক আগে পিরোজপুরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করেন। এটি ছিল চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মিত অষ্টম সেতু। ভাষ্যকার অনির্বাণ ভৌমিকের কথায়, দিল্লি সফরের ঠিক আগে এই উদ্বোধন যে দিল্লির কাছে বাংলাদেশের একটি ‘বার্তা’, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

লেখকঃ
হাসান ফেরদৌস, প্রাবন্ধিক

সূত্রঃ https://www.prothomalo.com/opinion/column/xjj8224mei



8
সাগরতলে শস্য ফলে

ভবিষ্যতে আর কোথায় কোথায় ফসল চাষাবাদ করা যেতে পারে? এ প্রশ্ন করলে কেউ কেউ আকাশচারী পরিকল্পনার কথা বলতে পারেন। বলতে পারেন, মঙ্গল গ্রহে ভবিষ্যতের চাষের কথা ভাবা যেতে পারে। কিন্তু ইতালির একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মনে করছে, এই পৃথিবীতেই আবাদযোগ্য বিস্তৃত অব্যবহৃত জায়গা রয়ে গেছে। ভবিষ্যৎ চাষাবাদের সেই জমি হচ্ছে সমুদ্রের তলদেশ।

ইতালির ওশান রিফ গ্রুপ এ উদ্দেশ্যে শুরু করেছে নিমো’স গার্ডেন নামের একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় তারা পানির নিচে খামার করেছে। পানির নিচে এটিই সম্ভবত বিশ্বের প্রথম খামার, যেখানে স্থলভূমির গাছপালার আবাদ করা হচ্ছে।

বাগানটি করা হয়েছে ইতালির নোলি উপকূলে সাগরের তলদেশে। ভাসমান, স্বচ্ছ ও গম্বুজ আকারের গ্রিনহাউসের বিন্যাসে নানা প্রজাতির গাছগাছালি আর খাদ্যশস্যের উদ্ভিদ নিয়ে বানানো হয়েছে বাগানটি। বাগানকে সমুদ্রের তলদেশে নোঙর করে রাখা হয়েছে।

বাগানের সহপ্রতিষ্ঠাতা লুকা গাম্বেরিনি বলছেন, এই প্রযুক্তির লক্ষ্য হলো কৃষিতে পরিবর্তন নিয়ে আসা; পরিবেশের ক্ষতি না করে স্থিতিশীলভাবে পৃথিবীর বিশাল উপকূলরেখায় চাষাবাদের একটি বাড়তি সম্ভাবনা তৈরি করা।



ডাইভিং সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক ওশান রিফ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সার্জিও গাম্বেরিনি। তিনি লুকার বাবা। পানির নিচে বাগান করার ধারণাটি প্রথম আসে সার্জিওর মাথা থেকে।

২০১২ সালে প্রথমে এ প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল পানির নিচে একটি বেলুনের ভেতর পুদিনাগাছ লাগানোর মাধ্যমে। গত এক দশকে এই বাগানের পরিসর অনেক বেড়েছে।

ধারণা করা হয়, ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১ হাজার কোটিতে। এই বিপুল জনতার খাদ্যের চাহিদা মেটাতে উৎপাদন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে হবে বলে জাতিসংঘের ধারণা।

লুকা বলেন, ‘আমাদের ভূমি ও সম্পদ সীমিত। এই সম্পদ সংগ্রহে আমাদের ব্যবস্থাপনা স্থিতিশীল নয়। আমরা বিশ্বাস করি, প্রথাগত কৃষির বদলে পানির নিচে চাষাবাদ আমাদের কিছু বাড়তি সুবিধা দেবে।’

৬ থেকে ১০ মিটার পানির নিচে বাগানটি ভাসমান থাকে বলে জানান লুকা। তিনি বলেন, এই বাগানের সবচেয়ে বড় সুবিধা, গাছপালা বাইরের সব রকম রোগজীবাণু ও কীটপতঙ্গ থেকে মুক্ত থাকে। এ ছাড়া সমুদ্রের পানির তুলনামূলক স্থিতিশীল তাপমাত্রা উদ্ভিদের জন্য বেশ আদর্শ।


পানির নিচের এই বাগান হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে করা হয়। এই কৌশলে উদ্ভিদ মাটির বদলে পানি থেকে পুষ্টি আহরণ করে। এই পদ্ধতিই বেশির ভাগ ইনডোর ভার্টিক্যাল খামারে ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে সূর্যের আলো গাছপালা পর্যন্ত পৌঁছায়। প্রয়োজনে সম্পূরক আলো ব্যবহার করা হয়।

লুকা বলেন, বাগানের সবকিছু ক্যামেরা ও সেন্সরের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়। বাগানের ব্যবস্থাপনা বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে দূরনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে করা সম্ভব। ফসল কাটার সময় হলে একজন ডুবুরি তা কেটে থলেতে রাখবেন, পরে সাগরের তলদেশ থেকে ভাসিয়ে ওপরে নিয়ে আসবেন।

জলতলের এই বাগানের ব্যাস মাত্র দুই মিটার বলে জানান লুকা। তিনি বলেন, এ কারণে এখন এখানে ভুট্টা বা গমের মতো বড় আকারের ফসল চাষ করা যায় না। তবে এখানে ৭০ থেকে ১০০টি ছোট আকারের গাছের চাষ করা যায়।

লুকা বলেন, ‘আমরা স্ট্রবেরি থেকে টমেটো, মটরশুঁটি এবং অবশ্যই ভেষজজাতীয় বিভিন্ন প্রজাতির শত শত উদ্ভিদ চাষের বিষয়টি এখানে পরীক্ষা করেছি।’

নিমো’স গার্ডেনের ফার্মাসিউটিক্যাল থেকে রান্নাবান্না নিয়ে প্রকৃতির ওপর একাধিক গবেষণা হয়েছে। ২০২০ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, এই বাগানের পুদিনায় তেলের ঘনত্ব বেশি। এতে অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।

লুকা বলেন, এই জলজ খামার সমুদ্রের প্রাণীকে বিরক্ত করে না, বরং তাদের আকৃষ্ট করে। তাঁদের গবেষণায় দেখা গেছে, আশপাশের তুলনায় এই বাগানের আশপাশে মাছের উপস্থিতি ৫৮ শতাংশ বেশি।

লুকা বলছিলেন, অধিকাংশ প্রযুক্তি ভবিষ্যৎ পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, সমুদ্র উপকূল ধরে ভবিষ্যতে নিমো’স গার্ডেনের অনেক বাগান হবে। এই অঞ্চলের মানুষ এসব বাগান থেকে অনেক সুবিধা পাবেন।’

লুকা আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বের মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা আমরা যেভাবে করতে পারি, সাগরের তলদেশে এ ধরনের খামার তার উত্তর নয়। তবে আমরা প্রত্যাশা করছি, এই অঞ্চলের মানুষের প্রয়োজনের কথা ধরলে এটি তো অবশ্য একটি সূচক হতে যাচ্ছে।’

সুত্রঃ https://www.prothomalo.com/world/europe/arzur8p7g4

9
Dear all:

As-salamua'lykum.
Greetings of IQAC, DIU!

Please find herewith the 'Accreditation Manual', published by Bangladesh Accreditation Council (BAC) which may be seen at the below link:

http://www.bac.gov.bd/sites/default/files/files/bac.portal.gov.bd/files/023d6d4d_3f78_4803_8c9f_eea65e8d34ae/2022-08-28-09-14-5c2c41f75481502dfc08bd376f1f73a0.pdf

Regards,
nafees/IQAC

10
Dear all:

As-salamua'lykum.
Greetings of IQAC, DIU!

Please find herewith the 'Bangladesh Accreditation Council (BAC) Rules_2022' at the below link:

http://www.bac.gov.bd/sites/default/files/files/bac.portal.gov.bd/files/77c5a32f_3abd_4910_a7eb_53d7b2ed7501/2022-11-22-07-14-9e144b0175240a4d4316ad92c9dc539f.pdf

You may also see the document at the attachment.

Regards,
nafees/IQAC

11
IQAC-DIU Organized the Workshop for the Readiness of the Compliance of Bangladesh Accreditation Council (BAC) for the programmes

(Please see the attachment)

12
Very good to know that and congratulations!!!!!!!!!!

13
ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন কেনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

এখন ব্যাংকের কার্ড দিয়েই কেনা যাচ্ছে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা। আবার বিটকয়েন কেনা যাচ্ছে মুঠোফোনে আর্থিক সেবা (এমএফএস) ব্যবহার করে। ক্রিপ্টোকারেন্সি ও বিটকয়েন কেনা যাচ্ছে দেশে বসে। কিন্তু এমন যেকোনো লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ। এতে ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, এমএফএস প্রতিষ্ঠানসহ বৈদেশিক মুদ্রাসংশ্লিষ্ট সবাইকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের মাধ্যমে যেন এ ধরনের লেনদেন করা না যায়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ভার্চ্যুয়াল অ্যাসেট, ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা ও বিটকয়েন কেনাবেচা করা যাবে না। কারণ, এসব লেনদেনের আইনগত ভিত্তি নেই। আবার রপ্তানি আয় দিয়েও এমন লেনদেন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।



এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন থেকে বিরত থাকতে বলেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সংস্থাটি বলেছিল, ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে আর্থিক ও আইনগত ঝুঁকি রয়েছে।

Reference: https://www.prothomalo.com/business/4e2opd35n8




14
From robotic dogs to magnetic slime: 7 ways robots are helping humans

Workplace robots are often associated with pushing human workers out of their jobs.

But in numerous settings around the world, robots and related technology, like artificial intelligence, are helping humans with a range of work. This includes jobs that are high-risk and complex – and work in places where humans can’t go.

Here are seven examples.

Robots like Spot are helping humans navigate dangerous workplaces. Image: Archaeological Park of Pompeii
Pompeii’s robot dog
In the ancient Roman ruins of Pompeii, a robot dog called Spot has been enlisted to carry out safety patrols.

The four-legged robot can inspect “even the smallest of spaces in complete safety,” says the Archaeological Park of Pompeii, which looks after conservation for the site near Naples in Italy.

Spot will also help inspect underground tunnels dug by illegal relic hunters that are being uncovered around Pompeii. The city and around 20,000 people were buried when Mount Vesuvius erupted in AD79. The data Spot records will help his human colleagues manage the safety of the site and its workers.


Robot deliveries
In Zurich, Switzerland, a company called Swiss-Mile has developed a robot on four wheels that can speed up the delivery of goods in cities.

As well as being able to drive itself around, the “humanoid-quadruped transformer” can climb stairs and stand on its two back wheels. This means it can call an elevator, and “in future, grab packages and open doors,” the company says.

Deliveries typically get caught up in traffic as they near their destination. The idea is to let the robot handle these “final mile” delivery challenges in a faster, more energy-efficient way.



Robotics in social care
In Scotland, a big area of focus is the use of robotics and artificial intelligence in social care settings. An assisted living lab that looks like a real home has been created at the National Robotarium, a new centre for robotics and AI.

Scientists there are using robotics, AI and sensor technologies to carry out functions like monitoring long-term health conditions. Technology can also help people with tasks like making phone calls, switching on lights, opening doors and watching TV.

The aim is to help people live more independently, and also to give carers a break. Scotland has 1.1 million unpaid carers, the National Robotarium says, and a fifth of them say they haven’t had a break in more than five years.


Assisted living robots could partner with carers in social care settings. Image: National Robotarium


Soft robots for tight spots
Robots come in all shapes and sizes. At the Chinese University of Hong Kong, scientists are discovering new uses for a robot made from slime, the New Scientist reported.

The robot is described as the consistency of custard. But it has been mixed with magnetic particles that can be moved and controlled using external magnets. Because it’s soft, the slime can squeeze through narrow spaces with a 1.5mm diameter and grasp solid objects by wrapping around them.

In machines, the slime can perform functions like repairing circuits, the researchers say in the journal Advanced Functional Materials. In humans, the slime can potentially “swallow and transport harmful things” – like a dangerous object ingested by mistake.


Search and rescue robots
In disaster zones that are hard to reach and a danger to life, robots provide invaluable support to human search and rescue teams.

These include rugged small vehicles with tracks, cameras and sensors that can search inside rubble and climb over obstacles. Teledyne FLIR, a sensing technology specialist based in Oregon in the United States, used robots like these in June 2021 when a tower block partially collapsed in the Miami suburb of Surfside in Florida.

In Japan, university teams are developing another type of search and rescue robot – a hose-like robot with a video camera called the Active Scope Camera that can search inside collapsed buildings. Drones also help search and rescue teams see disaster sites from above.

Have you read?
This is the impact robots will have on developing economies
Greece has introduced a fleet of postal robots to speed up its service
Robot workers are being hired at record rates in US companies - here’s why
Underground robots
Sewers are another setting where robots are helping humans tackle tough jobs.

Fatbergs – big lumps of fat, nappy wipes and other items that have been flushed down drains – are a growing problem. They clog up water pipes and can cause floods.

Sewer Robotics, a company in the Netherlands, specializes in making crawler robots that inspect, clean, cut and maintain underground pipes. Its robots are armed with high-pressure water jets that can break up fatbergs, reported Wired.


Green robots
Green technology needs maintenance and inspection - but imagine the challenge of checking all the bolts on wind turbines?

Thankfully, a new project has developed a six-legged robot to take the job on for us. The robot can autonomously inspect the bolts, taking away the need for humans to loosen and retighten them, reports Marine Technology News.

The project, which brought together multiple partners, could save hundreds of millions of dollars in Europe each year alone, while also extending turbine life spans and reducing the risks faced by human workers.

Automation at work
Alongside specialist robots like these, other types of automation are changing the nature of work.

In its Future of Jobs Report 2020, the World Economic Forum predicts that 97 million new roles may emerge by 2025 as automation accelerates. This is more than the 85 million jobs globally that technology is predicted to displace.

In a blog for the Forum, automation expert Pascal Bornet says intelligent automation will free up workers to take on more creative elements of their work.

“It helps employees to do work faster, better, but also to have more time to focus on what really matters,” he says.

Reference: https://www.weforum.org/agenda/2022/04/robots-ai-help-humans-at-work?utm_source=linkedin&utm_medium=social_video&utm_term=1_1&utm_content=26330_robot_parking_car&utm_campaign=social_video_2022

15
স্বাস্থ্য: চেনাজানা যেসব ওষুধ আপনার জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে

জাহানারা বেগমের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে। ভাজা পোড়া বা তৈলাক্ত খাবার খেলেই তিনি পেটে ব্যথা বা গ্যাসের তৈরি হয়। যখনি এরকম সমস্যা হয়, মোড়ের ফার্মেসি থেকে ওষুধ এনে খান।

''এর জন্য আর ডাক্তারের কাছে কী যাবো? অনেকদিন আগে ডাক্তার দেখিয়েছিলাম, তিনি একবার ওই ওষুধ লিখে দিছেন। সমস্যা তো একই হয়, এখন হলে ওষুধটা কিনে এনে খাই,'' বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন জাহানারা বেগম।

বাংলাদেশে কোনরকম প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ কেনা নতুন কিছু নয়।

আইনে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধের বিক্রি বন্ধে নানারকম নির্দেশনা থাকলেও বেশিরভাগ ফার্মেসিগুলোই আর সেটা অনুসরণ করে না।

কিন্তু শারীরিক কোন সমস্যা তৈরি হলেই যারা নিজের ইচ্ছেমত ওষুধ কিনে খান, এসব ওষুধ তার স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলতে পারে?

প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ কেনেন ঢাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ

২০১৯ সালে ঢাকা শহরের বাসিন্দাদের ওপর কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের চালানো একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৭ শতাংশের বেশি নাগরিক নিজেরা দোকান থেকে ওষুধ কিনে খেয়ে থাকেন।

ঢাকার একটি আবাসিক এলাকার ওষুধ দোকানের কর্মী হারুন উর রশিদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''অনেকেই এসে ওষুধ চায়, কিন্তু প্রেসক্রিপশন দেখাতে বললে বলেন আনেন নাই, বা বাসায় রয়ে গেছে। আমরাও চাই সবাই প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ওষুধ নিবেন, অনেকে নেনও। এখন আমরা যদি সেটা ছাড়া ওষুধ বিক্রি না করি, তাহলে আমাদের ব্যবসাই বন্ধ হয়ে যাবে।''

প্রেসক্রিপশন ছাড়া মানুষ অ্যান্টিবায়োটিক খায় কেন?
রোগীদের কি প্রয়োজনের বেশি ওষুধ দেয়া হচ্ছে?
আবাসিক এলাকার দোকান হওয়ায় ক্রেতাদের অনেকেই পূর্ব পরিচিত বলে তিনি জানান। ফলে তাদের অনেকেই প্রায় নিয়মিতভাবে ভাবে কিছু রোগের ওষুধ কিনে থাকেন।

''তবে ক্ষতিকর বা সমস্যা তৈরি করতে পারে এমন ওষুধ আমরা প্রেসক্রিপশন ছাড়া দেই না। যেমন ঘুমের ওষুধ, মানসিক রোগের ওষুধ আমরা প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করি না,'' তিনি বলছেন।

কিন্তু সব ফার্মেসির কর্মীরাই কোনরকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই সাধারণ সর্দি-কাশি, গা বা মাথা ব্যথা, জ্বর বা গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যার ওষুধ বিক্রি করে, সেটা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।


বাংলাদেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ কেনা অনেকটা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে উঠেছে বলে চিকিৎসকরা বলছেন

ইউনাইটেড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ড. কানিজ মওলা বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''আমাদের দেশে ওভার দ্যা কাউন্টার ওষুধ কেনার প্রবণতা খুব বেশি। কারণ একে তো জনসংখ্যার তুলনায় ডাক্তার অনেক কম, ইকোনমিক অবস্থা, অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়া, যাতায়াত করা- ইত্যাদি কারণে অনেকে গুরুতর অসুস্থ না হলে ডাক্তারের কাছে যান না। ওষুধের দোকানে গিয়ে সমস্যার কথা বলে ওষুধ চান। ফার্মেসির লোকজনও হাসিমুখে তাদের একটা ওষুধ দিয়ে দেন। কিন্তু এতে অনেক রকম সমস্যার তৈরি হতে পারে।''

''কারণ যেকোনো ওষুধের নিজস্ব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তো থাকেই, সেই সঙ্গে সেই রোগী অন্য কোন ওষুধ খেলে সেটার সাথে সমস্যা তৈরি করতে পারে। পাশাপাশি নিয়ম অনুযায়ী না খেলে ওষুধে উল্টো ক্ষতি হয়ে যেতে পারে,'' বলছেন অধ্যাপক ড. কানিজ মওলা।

বাংলাদেশের ওষুধের দোকানগুলো থেকে অনেকটা নিয়মিতভাবে বিনা প্রেসক্রিপশনে কেনা হয়, এমন কয়েকটি ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব তিনি তুলে ধরেছেন।

প্যারাসিটামল
অনেকে ব্যথা বা জ্বর হলে জন্য এসিটামিনোফেন বা প্যারাসিটামল খেয়ে থাকেন।

জ্বর বা শরীর ব্যথার কারণে অনেক সময় চিকিৎসকরা প্যারাসিটামল লিখে থাকেন। বিভিন্ন কোম্পানি এটি নানা নামে বিক্রি করে থাকে।

''কীভাবে, কতদিন খেতে হবে, সেটা আমরা উল্লেখ করে দেই। কিন্তু পরে রোগীরা জ্বর বা গা ব্যথা হলেই এটা কিনে খেতে থাকেন। ফলে একসময় এটা কার্যক্ষমতা হারায়।

প্যারাসিটামল বা এসিটামিনোফেন দীর্ঘদিন খেলে যকৃতের ক্ষতি হতে পারে।

অ্যাসপিরিন
অ্যাসপিরিন খুব প্রয়োজনীয় একটি ওষুধ আবার একই সঙ্গে এটা বিপদজ্জনকও। বয়স্ক মানুষ, যাদের হার্টের অসুখ আছে, ডায়াবেটিস আছে- তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা, সেটাও পর্যবেক্ষণ করা হয়।

কিন্তু ইচ্ছেমত এই ওষুধটি খাওয়া হলে একপর্যায়ে আমাদের খাদ্য থলি ছিঁড়ে যায়। তখন রক্তক্ষরণও হয়। অনেক সময় আমরা দেখি, রোগীরা নিজে নিজে ওষুধটি খেয়ে খেয়ে একসময় পায়খানার পথে বা মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ নিয়ে আমাদের কাছে আসেন।

কোভিড ১৯: ঔষধ কিনে বাড়িতে মজুদ রাখলে যে বিপদ
অতিমাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক খেলে কী ক্ষতি হয়

ওষুধের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার বা কোর্স শেষ না হলে শরীরের জন্য মারাত্মক বিপদ তৈরি করতে পারে

ওমিপ্রাজল বা গ্যাসের ওষুধ

ড. কানিজ মওলা বলছেন, বাংলাদেশে মুড়ি-মুড়কির মতো যে ওষুধ খাওয়া হয়, সেটি হলো গ্যাসের ওষুধ। সাধারণত রেনিটিডিন বা ওমিপ্রাজল গ্রুপের বিভিন্ন নামের ওষুধ বিক্রি হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়াই, পেটে কোন সমস্যা হলেই মানুষজন এই ওষুধ কিনে খেতে শুরু করেন।

''অনিয়ন্ত্রিতভাবে এই ওষুধটি খেলে তাৎক্ষণিকভাবে গ্যাসের কষ্ট হয়তো কমে, কিন্তু অনেকের লুজ মোশন হয়। তখন শরীরের পুষ্টি বেরিয়ে যায়, আয়রন গ্রহণের ক্ষমতা কমে যায়, শরীর প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি পায় না। রোগীদের শরীরে রক্তশূন্যতারও তৈরি হতে পারে।''



দীর্ঘদিন ধরে এসব ওষুধ খেলে শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা কমে যায়। তখন অ্যাসিডের কারণে যেসব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যেতে, সেটা আর হয়না। ফলে শরীরে সংক্রমণ বেড়ে যায়। আবার অ্যাসিডের অভাব ক্যালসিয়াম দ্রবীভূত হয় না, ফলে হাড়ের ক্ষয় বাড়ে।

ডাইক্লোফিনাক বা ব্যথানাশক ওষুধ
গা ব্যথা, হাত-পা ব্যথা বা মাথা ব্যথার জন্য অনেকে নানা ধরণের ব্যথা নাশক ওষুধ খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে কোন কারণে ব্যথা পেলে ফার্মেসি থেকে আইবুপ্রোফেন অথবা ডাইক্লোফিনাক জাতীয় ওষুধ কিনে খেতে শুরু করেন।

''এটা পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে, পাকস্থলীর ক্ষতি করতে পারে, রক্তক্ষরণ হতে পারে। অনেকের হাতে-পায়ে পানি চলে আসে, ফুলে যায়,'' বলছেন ড. মওলা।

এসব ওষুধ দীর্ঘদিন খেলে অ্যানালজেসিক নেফ্রোপ্যাখি, গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল ব্লিডিং হতে পারে। অনেকের হজম শক্তি কমে যায়, আলসার হয়, ওষুধে নেশাগ্রস্তও হয়ে পড়তে পারেন।

ব্যবহৃত মাস্ক-গ্লাভস যত্রতত্র ফেলে যে ক্ষতি করছেন

মাস্ক ব্যবহার থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন - সবকিছুতেই নানা বিতর্ক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল ব্যবহার ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৩০ কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে

অ্যান্টিবায়োটিক
অধ্যাপক ড. কানিজ মওলা বলছেন, প্রতিটা অ্যান্টিবায়োটিকের একেক ধরনের প্রতিক্রিয়া আছে। লুজ মোশন হতে পারে, র‍্যাশ উঠতে পারে, পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা, ঝাপসা দেখার মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই ওষুধটি কখনোই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত না।

প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, তা মানা হয়না।

ড. কানিজ মওলা বলছেন, ''নিয়ম মেনে না খেলে, মাঝপথে বন্ধ করে দিলে তার শরীরে ওই ওষুধের বিরুদ্ধে একটা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। সারা জীবনেও আর এই ওষুধে তার শরীরে কোন কাজ হবে না। তখন দেখা যায়, চিকিৎসকরা ওষুধ দিলেও সেটা কাজ করে না।''

সেই সঙ্গে একটা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের সঙ্গে অন্যান্য আরও রোগের সম্পর্ক আছে। ফলে এ ধরনের ওষুধ দেয়ার আগে আরও অনেক বিষয় বিবেচনার দরকার রয়েছে।

মেট্রোনিডাজল
অধ্যাপক ড. কানিজ মওলা বলছেন, বাংলাদেশের আরেকটি খুব কমন ওষুধ হলো মেট্রোনিডাজল গ্রুপের ওষুধ। পেট খারাপ হলেই এটা কিনে খেয়ে ফেলেন। এটি এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক।

এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় র‍্যাশ ওঠার পাশাপাশি রোগীর কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তখন তিনি আরেকটা সমস্যায় পড়বেন। তার রক্তক্ষরণ, পেটে ব্যথার সমস্যা হতে পারে। বেশি শক্ত পায়খানা হলে মলদ্বার ফেটেও যেতে পারে।

আবার অনেকে অনেকে পায়খানা নরম করার জন্য ল্যাক্সেটিভ জাতীয় ওষুধ খান। কিন্তু বেশি খেয়ে ফেললে শরীরের ইলেট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়ে যেতে পারে।

ক্লোরফেনিরামিন ম্যালেট
জেনেরিক নাম ক্লোরফেনিরামিন ট্যাবলেট হলেও সবার কাছে হিস্টাসিন নামেই বেশি পরিচিত। এটি একপ্রকার অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ। অ্যালার্জি বা সর্দি-কাশির জন্য অনেকে খেয়ে থাকেন।

ড. মওলা বলছেন, এই ওষুধ ওভার দ্যা কাউন্টার খেলে হয়তো তেমন ক্ষতি নেই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে খেলে এটার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।

প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, তা মানা হয়না।

প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, তা মানা হয়না।

আরও কিছু বিপজ্জনক ওষুধ
অনেক সময় অনেকে গলার সমস্যায় ফার্মেসি থেকে থাইরয়েডের বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ কিনে খান। কিন্তু থাইরয়েডের সমস্যায় হাইপো বা হাইপার-দুই রকমের সমস্যা হতে পারে।

''দেখা গেল, হাইপার সমস্যায় তারা হাইপোর ওষুধ দিয়ে দিলো বা হাইপোর সমস্যায় হাইপার ওষুধ। তখন রোগীর ক্ষেত্রে উল্টো রিঅ্যাকশন ঘটবে, '' বলছেন ড. মওলা।

স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খেলে শরীরের নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। মোটা হওয়ার জন্য অনেকে এসব ওষুধ খেলে সারাজীবনের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। আবার এটা হঠাৎ বন্ধ করে দিলে এডিসনিয়ান ক্রাইসিস তৈরি হতে পারে, যাতে রোগীর মৃত্যুও ঘটতে পারে।

অধ্যাপক ড. কানিজ মওলা বলছেন, বাংলাদেশে দেখা যায় ঘুমেরও ওষুধও প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করে। সেটা একেবারেই ঠিক নয়।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এড়াতে অনেকে বাড়িতে বসে আইভি ইনজেকশন নেন। এটা একেবারেই ঠিক না। কারণ স্যালাইনে মারাত্মক রিঅ্যাকশন হতে পারে।

চিকিৎসকরা যে পরামর্শ দিচ্ছেন
প্রচলিত ও সাধারণ এসব ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।


ব্যথার মতো খুব জরুরি সমস্যা হলে একটি বা দুইটি জরুরি ওষুধ দোকান থেকে কিনে খেলেও, খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।[/li][/list]
অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় কোন ওষুধ নিজে থেকে বা ফার্মেসির কর্মীদের পরামর্শে খাওয়া যাবে না।[/li][/list]
জ্বর, পেটে ব্যথা বা শারীরিক যেকোনো সমস্যায় নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও মেয়াদ দেখে নিন।
ওষুধ কেনার সময় প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ওষুধ কিনুন।


Source: https://www.bbc.com/bengali/news-61017228?fbclid=IwAR0mxeDjrbPxETlc0QQqvURtOGQMSraWATUMkPq5APQQhMUBMPhJMMskPos

Pages: [1] 2 3 ... 23