Daffodil International University

Faculties and Departments => Business & Entrepreneurship => Topic started by: maruppharm on February 23, 2014, 02:53:32 PM

Title: Ctg port increases its capability.
Post by: maruppharm on February 23, 2014, 02:53:32 PM
কনটেইনার রাখার চত্বর সংস্কার ও নতুন চত্বর ব্যবহারের আওতায় আসায় চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা বেড়েছে। পাঁচ বছর পর প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার একক কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। বন্দরের একটি কমিটি কনটেইনার রাখার নতুন এই ধারণক্ষমতা নির্ধারণ করেছে। এর ফলে বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনের সক্ষমতাও বাড়ল।
ধারণক্ষমতা বাড়ানোর কারণে এ বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ীদের আগের চেয়ে বাড়তি সেবা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হলো। কারণ, ধারণক্ষমতা যত বাড়বে পরিচালন কার্যক্রম ততই গতিশীল হবে। বন্দরে কনটেইনার জটের প্রবণতাও থাকবে না।
জানতে চাইলে বন্দর ব্যবহারকারী ফোরামের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর সুফল পাবেন ব্যবহারকারীরা। কারণ কনটেইনার খুলে পণ্য খালাসের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা পাওয়া যাবে। ফলে সময় লাগবে কম।’ বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়ানোর জন্য বেশি জোর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরজুড়ে বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় নতুন ও পুরোনো কয়েকটি চত্বর সংস্কার করে কনটেইনার রাখার নতুন জায়গা তৈরি করা হয়। এ ছাড়া নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের কিছু এলাকা ব্যবহারের আওতায় আনা হয়। এসব নতুন জায়গায় কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা নির্ধারণ করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করে। বন্দরের টার্মিনাল ব্যবস্থাপক এনামুল করিমকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটি সম্প্রতি বন্দর চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।
কমিটির হিসাব অনুযায়ী, কনটেইনার ওঠানো-নামানোর যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ধরনভেদে বর্তমানে বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় ৩৬ হাজার ৩৫৭ একক কনটেইনার রাখা সম্ভব। এর আগে সর্বশেষ ২০০৮ সালের নভেম্বরে বন্দরের কনটেইনার রাখার জায়গা বাড়ানো হয়েছিল। বন্দরের মূল চত্বরের অদূরে ‘নর্থ কনটেইনার ইয়ার্ড’ চালুর মাধ্যমে কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা বেড়ে হয়েছিল ৩০ হাজার ৮৮৬ একক। অর্থাৎ প্রায় পাঁচ বছর পর বন্দরে কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা বাড়ল। চলতি মাস থেকেই তা নিশ্চিত করা গেছে।
বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে বন্দরের সক্ষমতা এখন অনেক বেড়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আরও ছয় হাজার কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা বাড়ানো হবে। এ জন্য পুরোদমে কাজ চলছে।
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা নির্ভর করে জায়গা ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ওপর। বর্তমানে বন্দরে একটির
ওপর একটি করে পাঁচটি কনটেইনার রাখার ব্যবস্থা আছে। তবে পরিচালন কার্যক্রমের সুবিধার্থে চার স্তরে কনটেইনার রাখা হয়।
আবার সাত স্তরে কনটেইনার রাখার যন্ত্রপাতি ব্যবহার হলে ধারণক্ষমতা বাড়বে। এ ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য কমিটি সুপারিশ করেছে।
সনাতন পদ্ধতিতে কনটেইনার পরিচালন কার্যক্রমের কারণে এই বন্দরে কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা বেশি দরকার হয়। কারণ, বন্দর থেকে কনটেইনার খুলে ট্রাকে বা কাভার্ড ভ্যানে তোলা হয়। এই পদ্ধতিতে একটি কনটেইনার খুলে পণ্য সরানোর জন্য তিন-চারটি কনটেইনার রাখায় জায়গা দরকার হয়। অথচ বিশ্বের কোনো বন্দরের মূল সংরক্ষিত এলাকায় এ ধরনের সনাতন ব্যবস্থা এখন নেই। আবার একই কনটেইনার জাহাজ থেকে নামানোর পরে বন্দর চত্বর থেকে সরানো পর্যন্ত কমবেশি ছয়-সাত ধাপে ওঠানো-নামানো হয়। বিশ্বের কোনো বন্দরের চত্বরে এক কনটেইনার এত বেশি ওঠানো-নামানো হয় না।
কমিটির প্রধান এনামুল করিম গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, নতুন সক্ষমতা অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বছরে ২২ লাখ কনটেইনার (প্রতিটি ২০ ফুট দীর্ঘ) ওঠানো-নামানো সম্ভব। তবে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার হলে এবং এক কনটেইনার সর্বোচ্চ তিন ধাপে ওঠানো-নামানো হলে বছরে অন্তত ৩৫ লাখ কনটেইনার ওঠানো-নামানো সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, গত বছর বন্দর দিয়ে সাড়ে ১৫ লাখ একক কনটেইনার পরিবহন হয়।