Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - nmoon

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 10
31
ডিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই কম-বেশি জানি। ডিমের ফলে আমাদের স্বাস্থ্যের অনেক বেশি উপকার হয়। কিন্তু, যাদের ডিমের কারনে শরীরে এলার্জির সৃষ্টি হয়, তাদের ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। কারন, ডিম এর ফলে যে এলার্জি হয় তা মারাত্মক ও প্রাণঘাতী।
আসুন জেনে নেয়া যাক, ডিমের এলার্জির লক্ষণসমূহ-
১. ত্বকের প্রদাহ বা আমবাত- সবচেয়ে সাধারণ ডিম এলার্জির প্রতিক্রিয়া।
২. অনুনাসিক কনজেশন, সর্দি এবং হাঁচি- এলার্জিক রাইনাইটিস।
৩. জারক উপসর্গ। যেমন- বমি বমি ভাব, মাথা ঘুরানো ইত্যাদি।
৪. হাঁপানির লক্ষণ এবং উপসর্গ। যেমন- কাশি, বুকে টান, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি।
# অ্যানাফিল্যাক্সিস
বিভিন্ন ধরণের এলার্জির তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় অ্যানাফিল্যাক্সিস হতে পারে। অ্যানাফিল্যাক্সিস খুবই মারাত্মক রোগ। এর ফলে মৃত্যুও হতে পারে। অ্যানাফিল্যাক্সিস এর লক্ষণ ও উপসর্গ হল-
১. গলা বা শ্বাস ফুলে যাওয়া-
এটি অত্যন্ত কঠিন একটি রোগ। এর ফলে গলায় প্রচুর ব্যথা অনুভূত হয়। গলার আওয়াজ কমে যায়। সলায় সংকোচ এর সৃষ্টি হয়।
২. পেটে প্রচুর ব্যথা।
৩. নাড়ি স্পন্দনের গতি বৃদ্ধি পায়।
৪. রক্তচাপের পরিবর্তন হতে থাকে। যার ফলে মাথা ঘোরা বা চেতনা হ্রাস এর অনুভূতি সৃষ্টি হয়।
এরকম কোন প্রতিক্রিয়া আপনার বা আপনার সন্তানের মাঝে দেখতে পেলে অবশ্যই আপনার ডাক্তারের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করুন। অনেক সময় ডিমের এলার্জির মাত্র এক প্রকার প্রতিক্রিয়া অনেকের মাঝে দেখা যায়। ডিমের এলার্জির তীব্রতা তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা যায় না। যদি হালকা কোন প্রতিক্রিয়া পূর্বে থেকে থাকে তাহলে পরবর্তীতে তা আরও গুরুতর রুপ ধারণ করতে পারে।
আপনার ডাক্তার যদি বলেন, আপনি বা আপনার সন্তানেরা ডিমের এলার্জির ঝুঁকিতে রয়েছে তাহলে তাদের এপিনেফ্রিন এর ডোজ দেয়া হবে অ্যানাফিল্যাক্সিস থেকে মুক্তি পাবার জন্য। এই ডোজগুলো একটি ডিভাইসের মাধ্যমে দেয়া হয়।
# কখন যাবেন ডাক্তারের নিকট-
যখন দেখবেন আপনার সন্তানের ডিম খাবার পরে বা ডিম দিয়ে তৈরি কোন খাবার খাওয়ার ফলে উপরে উল্লেখিত কোন উপসর্গের একটি দেখা যাচ্ছে, তখন ডাক্তারের নিকট যাবেন। এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখতে পেয়ে ডাক্তারের নিকট গেলে আরও ভাল। কারন, তখন তখন এই রোগ নির্ণয় করা তাদের জন্য সহজ হবে।
আপনার বা আপনার সন্তাদের অ্যানাফিল্যাক্সিস এর লক্ষণ দেখা গেলে অবিলম্বে জরুরীভাবে চিকিৎসা নিন। কারন, এই রোগে মারাত্মক ক্ষতি হবার আশঙ্কা রয়েছে।–সূত্র: মায়ো ক্লিনিক।

32
আমারা প্রতিদিন এমন অনেক কাজ করে থাকি যা আমাদের কাছে অতি সাধারণ মনে হয়। কিন্তু এই স্বাভাবিক ও নির্দোষ কাজ গুলোর কারণে নিজের অজান্তেই আমরা আমাদের অনেক ক্ষতি করে ফেলি। এই 'নির্দোষ' অভ্যাস এবং রুটিন, আমাদের আসলে কত খানি ক্ষতি করছে তা জানলে আপনি বিস্মিত হবেন। চলুন জেনে নেই আমাদের সেই নির্দোস বদ অভ্যাসগুলো।
বিছানায় যাওয়ার আগে মোবাইল ব্যবহার করা:
এটা কেন খারাপ: মোবাইল থেকে বিকিরণ হয়ে অনিদ্রা এবং মাথাব্যথা হতে পারে। সুইডিশ বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখেছেন, ‘ঘুম cell rejuvenation (পুনরুজ্জীবন) এর জন্য একান্ত জরুরি। যে সকল ব্যাক্তি ঘুমানোর আগে মোবাইল ব্যাবহার করে গভীর ঘুমে পোঁছে যায় এবং সেল পুনরুজ্জীবীত হয়না’।
সহজ সমাধান: এডিনবরা স্লিপ সেন্টারের পরিচালক advises Dr Chris Idzikowski, উপদেশ দিয়েছেন যে, ‘শয়নকাল কলে আপনার ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করুন এবং আপনার বিছানার পাশের টেবিলে মোবাইল রাখবেন না’।
খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ:
এটা খারাপ কেনঃ প্রতিদিন দিনে দুইবার দুই মিনিট করে দাঁত ব্রাশ করা উচিৎ। খাওয়ার আগে কখনোই দাঁত ব্রাশ করা উচিৎ না। ব্রিটিশ ডেন্টাল স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী, ড. নিগেল কার্টার বলেন, খাবারের সুগার প্লেক এর সঙ্গে মিশে অ্যাসিড তৈরি করে, যা দাঁতের এনামেল গলিয়ে দিতে পারে, ফলে দাঁতের ক্ষয় রোগ সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাওয়ার সাথে সাথে দাঁত ব্রাশ করা খাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করার চেয়েও বেশি ক্ষতিকর।
সহজ সমাধান: ড. কার্টার উপদেশ দিয়েছেন, খাওয়ার পরে এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন এবং দাঁত ব্রাশ করুণ। আপনি ব্রেকফাস্ট এর আগে এই ফ্লোরাইড এর সঙ্গে দাঁতের আবরণ মিলিত হয়ে তার দ্বারা দাঁতের ক্ষয় রোধ হবে। খাওয়ার পড় নিঃশ্বাসকে ফ্রেশ রাখতে সুগার ফ্রি গাম চিবোতে পারেন।
নিজের ওজন নিয়ে চিন্তা:
ওজন সবসময় একটি স্বভাবিক পর্যায়ে রাখা ভালো। কিন্তু অনেকে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়, আবার অনেকে সঠিক পুষ্টিকর খাবার খায় না ফলে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের জটিল রোগ। তাই ওজন নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করে পরিমিত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খান ও আপানার বয়স ও হাইড অনুযায়ী ওজন ধরে রাখতে চেষ্টা করুণ।
ভারি হাতব্যাগ বহন:
ভারি হাতব্যাগ বহন, বা অনেক মালপত্র এক সাথে বহন করা স্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর ফলে আপনার শরীরে ব্যাক পেন, হার ক্ষয় সহ নানা ধরনের জটিল রোগ হতে পারে। তাই সব সময় কম ওজনের ব্যাগ বহন করুণ, পারলে চাকা ওয়ালা ব্যাগ ব্যাবহার করুণ। একসাথে অনেক মাল বহন না করে অল্প অল্প করে বহন করুণ।
গরম জল ও লেবুর সঙ্গে দিন শুরু:
ডেন্টিস্ট এটাকে কখনোই দাঁতের জন্য সমর্থন করে না। The London Centre for Cosmetic Surgery ড মারভিন ড্রুইয়ান বলেন, ‘গরম জল ও লেবুর আপনার দাঁত ক্ষয় করে’। তিনি আরও বলেন, ‘দাঁতের এনামেল জোরদার করতে মেন্থল যুক্ত চা পান করতে পারেন’। -সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

33
স্কিনে কোনো না কোনো সমস্যা সবারই থাকে, কিন্তু গ্রীষ্ম কালে এ সমস্যা যেনো একেবারেই বেড়ে যায়। অতিরিক্ত রোদ, ঘাম ও গরমে ত্বক হয়ে যায় তৈলাক্ত। অথবা অতিরিক্ত গরমে ত্বক আর্দ্রতা হারায় এবং শুষ্ক হয়ে পড়ে। ফলে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের র‌্যাশ, ব্রণ ও স্কিন সমস্যা। এখানে ঘরে বসেই চামড়ার বিভিন্ন ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় তুলে ধরা হল:
এ সময় অতিরিক্ত গরমে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের ফুস্কুরি, তাছাড়া মেয়েদের ব্রেস্টের নিচেও হতে পারে র্যা শ। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন যায়গায় ছত্রাক জমে হতে পারে সংক্রমণ, এলার্জি সমস্যাও হতে পারে। গরমে ত্বকের সমস্যা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদেরই বেশি হয়ে থাকে কারণ, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ত্বক অনেক বেশি নাজুক হয়। চলুন জেনে নেই গরমে শরীরের ত্বকের যত্ন নিয়ে কিছু টিপস:
# লাল লাল ফুসকুড়ি পরিত্রাণ পেতে, আপনি একটি কোল্ড কম্প্রেস ব্যাবহার করুণ। আক্রান্ত স্থানে ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে রাখুন। দেখবেন অনেকটাই কমে গেছে।
# শরীরের র‌্যাশি ও ছত্রাক সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে শরীরের অভ্যন্তরীণ পোশাকগুলো আধা বালতি গরম পানিতে আধা কাপ সাদা ভিনেগার মিশ্রিত করে তাতে ধুয়ে ফেলুন।
# আপনার ত্বকে যদি ব্রণ সমস্যা থাকে তাহলে কাচা হলুদ এবং নিম পাতা পেস্ট করে ঘুমানোর আগে মেখে ১৫ মিনিট পড় ধুয়ে ফেলু। এতে যেমন সুস্থ্য ত্বক পাবেন তেমনি পরিষ্কার ত্বকও পাবেন।
# মধু একটি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং এতে রয়েছে এন্টিব্যাক্টিরিয়াল বৈশিষ্ট্য। মধু, দুধ এবং গ্রাম ময়দা মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন এবং মুখের ওপর মাখুন। ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকে প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য এনে দিবে।
# মুলতানি মাটি, চন্দনের গুঁড়া, কাগজিলেবুর রস এবং সর তোলা দুধ বা টকদই একত্রে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন ১০-১৫ মিনিট। এতে ত্বকের বাড়তি তেল ও ময়লা বেরিয়ে যাবে।
গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে পানি, টাটকা শাকসবজি, মৌসুমি ফল খান। ত্বকের যেকোনো সমস্যায় নখ দিয়ে চুলকাবেন না। পাতলা কাপড় বা তুলা দিয়ে চুলকাতে পারেন। সঠিক সময়ে ঘুম এবং খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আর গরমে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করবেন। এ ছাড়া সঙ্গে সানগ্লাস ও ছাতা নিতে ভুলবেন না। -সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

34
৫.সবুজ শাক :
সবুজ শাকে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের দৈনন্দিন অন্যান্য খাবারে থাকা রাসায়নিক পদার্থ এবং কীটনাশকের সামঞ্জস্যতা রক্ষা করে থাকে যা লিভারের জন্য বেশ উপকারি।
৬. আভাকাডো :
আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় আভাকাডোর পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে তা আপনার দেহে গ্লুটাথায়ন নামক এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট তৈরি করে যা লিভারকে বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ দেহ থেকে বের করে দিতে সহায়তা করে।
৭. ব্রোকলি :
ব্রোকলি দেহে গ্লুকোসিনোলেট উপাদানের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় যেটি হজমে সহায়ক এনজাইম তৈরি করে।
৮. লেবু :
এই বিষয়ে আমরা সবাই নিশ্চয়ই জানি যে সাইট্রাস জাতীয় ফল লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা আমাদের দেহের জন্য বেশ উপকারি। কিন্তু এছাড়াও লেবু দেহের বিভিন্ন টক্সিন নির্মূল এবং হজমে সহায়তা করে থাকে।
৯. হলুদ :
মসলা হিসেবে হলুদ খেলে তা আমাদের শরীরে হজমে এবং পিত্তথলী পরিস্কার রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি লিভারের প্রাকৃতিক ডেটক্স হিসেবে কাজ করে। মূল্যবান অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর হলুদ লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে হেপাটাইটিস বি এবং সি এর ভাইরাস নির্মূলেও এই হলুদ অত্যন্ত সহায়ক।
১০. আখরোট :
আখরোটে গ্লুটাথায়ন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা লিভার পরিস্কার রাখতে সহায়তা করে।
১১. আমলকি :
আমলকির অনেক গুণাগুণ রয়েছে। আমলকি লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং হজমে সহায়তা করে।

35
ত্বকের পরে লিভার মানবদেহের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গ যার ওজন প্রায় ৩ পাউন্ডের মত। হজমক্রিয়া পরিচালনা, বিপাকক্রিয়া, অনাক্রম্যতা এবং দেহে বিভিন্ন পুষ্টির সঞ্চয় ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে এই লিভার। বিশেষ এই অঙ্গটি দেহের কোষে প্রয়োজনীয় শক্তি এবং পুষ্টির যোগান দিয়ে থাকে যেগুলো মানবদেহের কোষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করে।
এটি রক্তনালী থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয় এবং খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে বলে জানান মিসিসাউগা থেকে হোলিস্টিক পুষ্টিবিজ্ঞানী হারমিট সিউড়ি। লিভারের এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোকে সচল রাখতে এবং দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতে যে খাবারগুলো খাওয়া প্রয়োজন।
১. রসুন :
রসুন লিভারকে এনজাইম তৈরিতে সহায়তা করে যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এছাড়া রসুনে প্রচুর পরিমাণে অ্যালিসিন এবং সেলেনিয়াম নামক দুটি প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা লিভার পরিপাকে সহায়তা করে।
২. গ্রিন টি :
গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটচিন নামক এক ধরনের উদ্ভিজ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট লিভারের সামগ্রিক কাজ পরিচালনাকে সহায়তা করে থাকে। তাই এই গ্রিন টি খাওয়া লিভারের জন্য বেশ উপকারি।
৩. জাম্বুরা :
জাম্বুরা ফলটি সরাসরি বা জুস করে খেলে তা ক্যান্সার উৎপাদক উপাদান এবং টক্সিন নির্মূলে লিভারকে সহায়তা করে থাকে। এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারি।
৪. শালগম :
শালগমে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা লিভারের সার্বিক কাজে সহায়তা করে থাকে।

36
কিছুদিন আগেই মার্কিম গবেষণাকারীরা দাবি করেছিলেন, তারা এমন একটি অ্যাপ আনতে চলেছেন যার সাহায্যে খুব সহজেই জটিল রোগ নির্ণয় করা যাবে৷গবেষণাকারীদের ঘোষণা মতোই আনা হল সেই রোগ নির্ণয়কারী অ্যাপটি৷ নয়া এই অ্যাপটি স্মার্টফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করে ক্যান্সার নির্ণয় করা যাবে বলে গবেষনাকারীদের তরফে জানানো হয়েছে৷
নয়া এই অ্যাপটিপ নাম নাম ডি৩৷গবেষণাকারাদের তরফে জানানো হয়েছে, এই অ্যাপটি কিনতে গ্রাহককে খরচ করতে হবে ১.৮ ডলার৷তবে আপাতত চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই এই অ্যাপটি আপাতত ব্যবহার করতে পারবেন৷জানা গিয়েছে, নয়া এই অ্যাপটি রক্তের সেলের যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে৷বলার অপেক্ষা রাখে না নয়া এই অ্যাপ চিকিৎসা বিজ্ঞানকে এগিয়ে দেবে বেশ কয়েকগুন৷

37
শিশুদের মস্তিষ্ক বড়দের থেকে বেশি অনুভব করে। আগে মনে করা হত শিশুদের অনুভব ক্ষমতা কম। কিন্তু সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীদের এ গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যথা দেওয়ার মতো চাপ বা খোঁচা দেওয়া হলে শিশুর মস্তিষ্কও বড়দের মস্তিষ্কের মতোই একইভাবে 'জ্বলে ওঠে'। অর্থাৎ শিশুরাও এমন ব্যথা অনুভব করে। অনেক ক্ষেত্রে এ ব্যথার অনুভূতি হয়তো আরও তীব্র হয়। ইলাইফ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয় এই গবেষণা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এমআরআই বা ম্যাগনেটিক রিসোনেন্স ইমেজিং এর মাধ্যমে ব্যথার অনুভূতিতে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনাকরেন। এতে দেখা যায়, ব্যথা পেলে প্রাপ্তবয়স্কদের মস্তিষ্কের ২০টির মধ্যে ১৮টি এলাকা যেভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে শিশুদের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই ঘটে।
মস্তিষ্কের এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, ঘুমন্ত শিশুদের পায়ের তলায় একটা বিশেষ রড দিয়ে 'পেনসিল দিয়ে খোঁচা দেওয়ার মতো' করে খোঁচা দিলে শিশুদের মস্তিষ্কে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়।
এই গবেষণায় এক থেকে ছয়দিন বয়সী ১০টি স্বাস্থ্যবান শিশুর মস্তিষ্কে এমআরআই স্ক্যানের মাধ্যমে ব্যথার অনুভূতি পর্যবেক্ষণ করা হয়। অভিভাবক ও চিকিৎসকের উপস্থিতিতে এমআরআই যন্ত্রে প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা চালানোর সময় শিশুরা ঘুমিয়ে পড়ে। পরে ২৩ থেকে ৩৬ বছর বয়সী স্বাস্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্কের ওপর চালানো একইরকম পরীক্ষার সঙ্গে শিশুদের পরীক্ষার ফল তুলনা করা হয়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিকস বিভাগের চিকিৎসক রেবেকা স্টেলার বলেন, 'নিশ্চিতভাবেই শিশুরা আমাদের মতো ব্যথা পাওয়ার কথা বলতে পারে না। আর ওদের দেখে হয়তো আমরা ওদের ব্যথার অভিজ্ঞতা বুঝতে পারি না। তিনি আরও বলেন, 'অনেকে যুক্তি দেখান, শিশুদের মস্তিষ্ক বিকশিত নয় বলে শিশুরা হয়তো বড়দের মতো
অত তীব্র ব্যথা অনুভব করে না। কিন্তু আমাদের এ গবেষণায় জোরালোভাবেই এটা উঠে এসেছে যে, ঘটনাটা তা নয়।'
রেবেকা আরও বলেন, 'আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা কেবল ব্যথাই পায় না, ওরা হয়তো ব্যথার ক্ষেত্রে বড়দের চেয়েও বেশি স্পর্শকাতর। আমরা যে কারণে একটু বেড়ে উঠতে থাকা শিশুদের ব্যথানাশক দিয়ে থাকি সে কারণে আমাদের সদ্যোজাত শিশুদের ব্যথা দূর করা নিয়েও ভাবা উচিত।'
গত বছর আইসিইউ বা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে সদ্যোজাত শিশুদের ব্যথা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এক গবেষণা চালানো হয়। এতে দেখা গেছে, আইসিইউতে শিশুরা দিনে গড়ে ১১ ধরনের ব্যথাযুক্ত চিকিৎসা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলেও ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রেই তাদেরকে কোনো ধরনের ব্যথানাশক দেওয়া হয় না।

38
দীর্ঘ এক গবেষণায় জানা গেছে আমাদের রক্তের গ্রুপের ভিন্নতার কারণে আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্রমের ভিন্নতা ঘটে।

বিভিন্ন ধরণের রক্তের গ্রুপ মস্তিষ্কের কার্যপ্রণালীর উপর প্রভাব ফেলে। যেমন: মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ যাদের AB গ্রুপের রক্ত রয়েছে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের বিভিন্ন মানসিক সমস্যা দেখা যায়।

ইউনিভার্সিটি অফ ভারমন্টের হেমাটোলোজিস্ট ম্যারি কুশম্যান এবং তার সহকর্মীরা একটি গবেষণার মাধ্যমে কিছু তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন।

২০০৭ সাল থেকে এ গবেষণায় ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ৩০ হাজার ২৩৯ জন আফ্রিকান-আমেরিকান এবং ককেশিয়ান ব্যক্তির ওপর গবেষণা করা হয়।

তবে কুশম্যানের দল এর আগে দু’বার টেলিফোনের মাধ্যমে এ জরিপ চালিয়েছেন। তারা এ জরিপ চালিয়েছেন মানুষের মস্তিষ্কের কয়েকটি দক্ষতার ওপর। যেমন শেখার সক্ষমতা, শর্ট-টার্ম মেমোরি আর এক্সিকিউটিভ ফাংশন।

দুই বা তিনবার ফোন করার মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে এদের ৪৯৫ জনের মস্তিষ্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। তবে ৫৮৭ জনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে তাদের মস্তিষ্ক খুব শক্তিশালী।

যাদের রক্তের গ্রুপ 'O' নয় তাদের হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং রক্ত জমাট বাঁধার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে যেগুলো মানুষের ভাসকুলার বা সংবহনতন্ত্রের সাথে জড়িত। এ রোগগুলো মানুষের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে।
'O' গ্রুপের ক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই। নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম, ডায়েট এবং সচেতনতা এসব সমস্যা থেকে তাদের দূরে রাখতে পারে।

রক্তের গ্রুপের কারণে বিভিন্ন রকম মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে অন্যান্য আরো অনেক কিছুই এতে জড়িত বলে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না, এই রক্তের গ্রুপই একমাত্র মানসকি সমস্যার জন্য দায়ী।

বিজ্ঞানীরা এখনো আশাবাদী যে একদিন তারা রক্তের মলিক্যুল এবং মস্তিষ্কের সমস্যার মধ্যে সম্পর্ক বের করতে পারবেন এবং সেসব সমস্যার সমাধানও বের করতে পারবেন।

'O' গ্রুপের রক্ত যাদের তাদের তুলনামূলক বিষণ্ণতা বেশি থাকে এবং প্রচুর দুশ্চিন্তা হয়। এই গ্রুপের বাচ্চারা কোন কিছুতে সহজে মনোযোগ দিতে পারে না।

'A' গ্রুপের রক্তের অধিকারীরা বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে। এই রক্তের গ্রুপের বাচ্চারা কোন কিছুতে সহজে মনোযোগ দিতে পারে না।

'B' ব্লাড গ্রুপের বাচ্চাদের অমনোযোগী হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলক কম থাকে।

39
প্রিয়জনকে মেসেজ পাঠাতে গিয়ে তা ভুল করে পাঠিয়ে দিয়েছেন অন্য কাউকে। আর তার জেরে চিন্তায় ঘুম চলে যাওয়ার উপক্রম। ভাবছেন সব জেনে গেল। এই রকম ঘটনা অনেকের ক্ষেত্রেই মাঝে মাঝে ঘটে থাকে। এই ভুলের ফলে অনেক সমস্যারও সন্মুখীন হয়েছেন অনেকে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার দিন এসে গিয়েছে৷ এবার ভুল করে অন্যকে মেসেজ বা বার্তা পাঠালেও তা আপনি ডিলিট করতে পারবেন আপনার মোবাইল থেকে। এমনই নয়া অ্যাপ বাজারে আসল। নয়া এই অ্যাপের নাম 'রাকিম'। এই অ্যাপের সাহায্য নিজের ফোন থেকেই ডিলিট করে ফেলতে পারবেন অন্যকে পাঠানো কোনও অপ্রয়োজনীয় SMS।
ডিলিট করা মাত্রই আপনার সেন্ডবক্স ও অন্য ব্যক্তির ইনবক্স থেকে মুছে যাবে আপনার ভুল করে পাঠানো SMS টি।

40
আপনারা পানি দিয়ে গানের সুর তৈরি করা যায় তা কি আগে শুনেছেন ? চলুন দেখে নেওয়া যাক কি ভাবে পানি দিয়ে গানের সুর তৈরি করা যায়।

কি কি লাগবেঃ

৪-৫ টা পানির গ্লাস

একটা পেন্সিল

পরীক্ষাঃ

প্রথমে ৪-৫ টা পানির গ্লাসকে এক লাইনে সাজাবো

তারপর, প্রতিটা গ্লাস ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণের পানি নিয়ে পরিপূর্ণ করি। অর্থাৎ, প্রথম গ্লাসে অল্প পরিমাণ পানি, পরবর্তী গ্লাসে আগের চেয়ে একটু বেশী পরিমাণের পানি নিবো। এভাবে শেষ গ্লাসটিতে সবচেয়ে বেশী পরিমাণ পানি নিয়ে পরিপূর্ণ করবো।

এবার, একটা পেন্সিল দিয়ে যে গ্লাসটিতে সবচেয়ে কম পরিমাণ পানি নেওয়া হয়েছে ও যে গ্লাসটিতে বেশী পরিমাণ পানি নেওয়া হয়েছে তা আঘাত করে দেখি আচ্ছা, আপনি যে দুইটা গ্লাসে আঘাত করেছেন তা কি একই শব্দ উৎপন্ন করছে?
এবার, পেন্সিল দিয়ে বাকি গ্লাসগুলোতে আঘাত করুন। মজার বিষয় হচ্ছে, আপনি প্রতিটা গ্লাস থেকে ভিন্ন ভিন্ন শব্দ শুনতে পারবেন। এবার একটা ক্রম(Sequence) বজায় রেখে গ্লাসে আঘাত করতে থাকুন, দেখবেন শব্দের ভিন্নতার কারণে একটা সুন্দর সুর আপনি শুনতে পারবেন।


ফলাফলঃ প্রতিটা গ্লাসের শব্দের ভিন্নতা গ্লাসের পানির পরিমাণের উপর নির্ভর করে। যে গ্লাসটিতে সবচেয়ে কম পরিমাণ পানি রয়েছে তার শব্দের তীক্ষ্ণতা সবচেয়ে বেশী ও যে গ্লাসে সবচেয়ে বেশী পরিমাণ পানি রয়েছে তার তীক্ষ্ণতা সবচেয়ে কম।

41
USDA এর একদল গবেষক ১০০ খাবারের উপর গবেষণা করে পেয়েছে যে, প্রতিদিন আপেল খেলে হার্টের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়| গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে, প্রতিদিন অন্তত একটি আপেল খেলে রক্তের ক্ষতিকর এল ডি এল কলেস্টরলের মাত্রা কমে আসে| সেই সাথে আরো পাওয়া গেছে যে, আপেল রক্তের চিনির মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, বিভিন্ন রকম ক্যান্সার ও স্বাস্থ ঝুঁকি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। আপেল অত্যান্ত পরিচিত একটি ফল, যা প্রায় সব ঋতুতেই সব দেশেই পাওয়া যায়|
১। দাঁত ভালো রাখে:
দাঁত দিয়ে আপেল কামড়ে খেলে দাঁতের গোঁড়া শক্ত হয় ও দাঁত পরিষ্কার হয়ে যায়। আপেলের রস দাঁতের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। ফলে দাঁত ভালো থাকে।
২। অ্যালঝেইমার্স প্রতিরোধ:
নতুন গবেষণায় পাওয়া গেছে, প্রতিদিন আপেলের জুস খেলে অ্যালঝেইমার্স রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। আপেল Neurotransmitter acetylcholine এর একটি ভালো উৎস যা ডাইট ম্যামরির জন্য অত্যন্ত উপকারী।
৩। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
আপেল ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে । আপেলের মধ্যে পেকটিন জাতীয় একটি উপাদান থাকে যা শরীরকে কোলন ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে। ফুসফুসের ক্যান্সার ও লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধেও আপেলের ভূমিকা আছে।
৪। কোলেস্টেরল কমায়:
আপেলে কোন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেই এবং যতটুকু আছে তাও মাত্রায় খুব কম। যেহেতু সবুজ আপেলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার উপাদান আছে তা দেহের কোলেস্টেরল মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রতিদিন গড়ে ৩টি আপেল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ সহজ হয়।
৫। হার্ট ভালো রাখে:
আপেল কোলেস্টেরল কমায় কিন্তু স্কিনের যত্ন ন্যায়। আপেলে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট উপাদানসমূহ, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে, প্রতিদিন আপেল খেলে হার্টের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়|
৬। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে:
সবুজ আপেলের জৈব এসিড উপাদান আমাদের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রনে রাখে। তাই যদি আপনার বার বার ক্ষুধা লেগে থাকার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সবুজ আপেল খেয়ে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারবেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেঃআপেলে পেকটিন নামের একটি উপাদান থাকে। পেকটিন ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
৭। সহজেই হজম হয়
আপনি খুব ভারী কোন খাবার খেয়েছেন। চিন্তা করছেন হজম হবে কিনা ঠিকমত। কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই ,আপনি একটি সবুজ আপেল খেয়ে নিন। কারণ সবুজ আপেলে আছে এনজাইম উপাদান যা খুব দ্রুত খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে।
আপেল আমাদের দেহের লিভারের যে কোন সমস্যা দূর করে ও পাশাপাশি খাদ্য নালী, পরিপাক নালী ও অন্যান্য নালীর সমস্যা দূর করে। সবুজ আপেল ডায়রিয়ার সমস্যা রোধ করে ও পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য ও বাতের সমস্যা দূর করে এবং বদ হজমের সমস্যাও দূর করে। তাই আপেল যে কোনো সময় খেতে পারেন পেট ভরে। -তথ্যসূত্র: বেস্টহেলথ।

42
উপকরণ:

টকদই ৩ কেজি, মিষ্টিদই ১ কেজি, মালাই দেড় কাপ, আমন্ড বাদাম (কাঠবাদাম) ৪ টেবিল-চামচ, পোস্তদানা বাটা ১ টেবিল-চামচ, সরিষা গুঁড়া ২ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, বিট লবণ ১ টেবিল-চামচ, পুদিনাপাতা বাটা ২ টেবিল-চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ২ চা-চামচ বা পরিমাণমতো, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া দেড় চা-চামচ, জিরা (টালা গুঁড়া) দেড় চামচ, ধনে (টালা গুঁড়া) দেড় চামচ, টকদই (টক বুঝে) আন্দাজমতো, পানি (দইয়ের ঘনত্ব বুঝে) আন্দাজমতো, বোরহানি বেশি পাতলা হবে না, তেঁতুলের মাড় (বোরহানির টক বুঝে) আন্দাজমতো।

প্রণালি:

দুই কাপ পানির সঙ্গে সব মসলা মিশিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। পাতলা কাপড় দিয়ে দই ছেঁকে নিতে হবে। সব উপকরণ একসঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে।

43
দূর্বাঘাসকে প্রকৃতির প্রিজারভেটিভ হিসেবে শনাক্ত করেছেন একদল বিজ্ঞানী। তারা এটিকে ইকো-ফ্রেন্ডলি ফুড প্রিজারভেটিভ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

এই গবেষণা দলের যৌথ ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতের শাস্ত্র ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ন্যানোটেকনোলজি অ্যান্ড অ্যাডভান্স বায়োম্যাটেরিয়ালস এবং সেন্টার ফর অ্যাডভান্স রিসার্স ইন ইন্ডিয়ান সিস্টেম অব মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞরা। ড. পি মিরা এবং ড. পি ভিন্দার তত্ত্বাবধানে এই গবেষণা পরিচালিত হয়।

গবেষকদল জানান, তারা গরুর দুধের দই নিয়ে গবেষণা করেছেন তারা। তারা দেখতে পেয়েছেন দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমানে প্রিজারভেটিভ রয়েছে। এরপর গবেষকদল দূর্বাঘাস নিয়ে গবেষণা করেছেন। দইয়ের মতো দূর্বাঘাসেও পিজারভেটিভ রয়েছে। যা খাবার অনেকদিন সংরক্ষণ করতে পারে।

গবেষকদল দূর্বাঘাসের পাশাপাশি লেমন গ্রাস ও ব্যাম্বু গ্রাস গবেষণার জন্য নিয়েছিলেন। কিন্তু দূর্বাঘাসের মতো আশানুরূপ ফল পাননি। দূর্বাঘাসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক এবং হাইড্রো প্রোবাইসিটি আছে। যা খাবার সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে।

প্রাচীন যুগে মানুষ খাবার সংরক্ষণ এবং ঔষধি গুণের জন্য নানা কাজে দূর্বাঘাস ব্যবহার করতো। দূর্বাঘাসের বৈজ্ঞানিক নাম Cynodon dactylon Pers। এটি Gramineas পরিবারভুক্ত।

44
বিশ্বের বেদনাদায়ক যে কোনও রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম ব্যাথা নিরাময়ক হিসেবে প্যারাসিটামল সবচেয়ে জনপ্রিয়। এটা এখন জ্বরে আক্রান্ত ব্যবহারকারীরা তাদের পছন্দ মতো সিরাপ হিসেবেও খেয়ে থাকে, কারন এটা শরীরের তাপমাত্রাকে কমিয়ে দেয়। তাই, ইহা সত্য হতে পারে, যেমনটা একটা বাতগ্রস্ত রোগ কাহিনী প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সুপারিশ করেছে যে, ইহা যদি উচ্চ মাত্রায় দীর্ঘ সময় সেবন করা হয় তাহলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া এবং স্ট্রোক এর ঝুকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

লেখক পর্যায়ক্রমে ১,৮৮৮ বিষয়ে গবেষনা এবং পর্যালোচনা করে পেয়েছেন যে ৮টি বিষয় তার অবস্থানে সঠিক আছে। তাদেরকে ঠিক এভাবে তুলনা করা যেতে পারে যেমনঃপ্রাপ্ত বয়স্ক অথবা বৃদ্ধ কোনও ব্যক্তি(০.৫গ্রাম-১গ্রাম থেকে ৪গ্রাম ১ দিনে)যে কিনা পরিমিত প্যারাসিটামল সেবন করে, তার সাথে যে কিনা কোনও ওষুধ সেবন করে না। আমেরিকাতে একটি মহিলা সেবিকাদের উপর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে তারা এক সপ্তাই ১৫ টি প্যারাসিটামল গ্রহন করেছিল এবং এর ফলে ৬৮% হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি বেড়েছে। সুতরাং, আমাদের কি প্যারাসিটামল সেবন করার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত নয় কি?

বিভিন্ন দেশের এবং বিভিন্ন বিষয়ের দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল এবং ফলাফল ছারা গবেষনাগুলোকে বিভক্ত করা হয়েছিল। আপনি যদি সব বিষয় না জানতে পারেন, যে কি কারনে কি হচ্ছে? তাহলে এর ফলাফল বিবেচনা করা যাবে না সঠিকভাবে। কিছু মানুষ যারা সর্বদা প্যারাসিটামলের উপর সর্বদা নির্ভরশীল তাদের ক্ষেত্রে হৃদরোগ এবং স্ট্রোক এর ঝুকি বাড়বে যেটা চিকিৎসার ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল। লেখক বলেছে এক্ষেত্রে আরও গবেষনার প্রয়োজন।

প্যরাসিটামল আজকাল ড্রাগ হিসেবে অতিমাত্রায় সেবনের জন্য ব্যবহিত হচ্ছে, যেটা কিনা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার যা কিনা তোমার মৃত্যুর খুব ভালো কারন-ইহা প্রতি বছর ৯০ এবং ১৫০ লোকের লিভারের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে মৃত্যুর কারন ঘটায়। এই লিভারের কার্যক্রম প্যরাসিটামলের কারনে কমে আসে, কিন্তু স্বাভাবিক পথ অতিরিক্ত লোড হয়, আর অন্যদিকে অন্য পথে অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করতে বাধা দেয়।

তবে এক্ষেত্রে আই রাসায়নিক পদার্থ যদি শরীরে সঠিকভাবে প্রতিরোধ করা না যায়, তখন প্যরাসিটামলের উপাদানগুলো লিভারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোগ্রাম প্যরাসিটামল সেবন করলে লিভার নষ্ট হয়ে যায়। অতিমাত্রাই প্যরাসিটামল গ্রহন করলে নিদ্রাচ্ছন্ন ভাব অনুভুত হই না বরং ২৪ ঘণ্টায় খুব ভালো অনুভুত হয়।

সবশেষে বলা যায়, আমাদের যখন তখন জ্বর, যেকোনো ব্যাথা নিরাময়ের ক্ষেত্রে প্যরাসিটামল খাওয়ার অভ্যাস এখন থেকে তাগ করতে হবে। সূত্র: গার্ডিয়ান।

45
বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিক এর সমস্যা অনেক প্রকট রূপ ধারণ করেছেন। এর জন্য বিভিন্ন ধরণের ঔষধ আবিষ্কার করা হচ্ছে। বিভিন্ন খাদ্য তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। তবে কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চললে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই, ডায়াবেটিককে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিচের খাবারগুলো খাওয়া শুরু করেন-

১. খেজুর:
খেজুর একটি কালো ও আঠালো ফল যার স্বাদ মিষ্টি। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারনে ডায়াবেটিকের রোগীরা স্বাচ্ছন্দ্যে এই খাদ্য খেতে পারেন। একটি সমীক্ষায় পাওয়া গেছে, আঙ্গুর, কমলা ও মরিচের তুলনায় এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বেশী। তাই, নিশ্চিন্তে ডায়াবেটিক এর রোগীরা খেজুর খেতে পারেন।


২. দুধ:
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস হল দুধ। রক্তের শর্করার জন্য সবচেয়ে ভালো দুধ। দুধের তৈরি বিভিন্ন খাবার গ্রহণ করলেও কোন সমস্যা নেই। তবে তার উপাদান ও উপকরনের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখুন। কুটির পনির ও কম চর্বিযুক্ত দই খেতে পারেন। এতে কোন সমস্যা হবে না। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় দুধ, পনির অথবা দই খেতে পারেন।

৩. শণের বীজ:
শণের বীজ এ ফাইবার ও আলফা লিনলেনিক এসিড রয়েছে। যা শরীরের প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সরবরাহ করে। এছাড়া শণের বীজ রক্তের শর্করা কমায়, কোলেস্টেরল কমায়, হার্টের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায় ইত্যাদি। সকালে ওটমিল এর সাথে বা পনিরের সাথে শণের বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন।

৪. শিম:
শিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এতে আপনি নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করবেন। আমরা আগেই জেনেছি, ফাইবার রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে ফেলে ও কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়াও এতে ক্যালসিয়াম থাকার কারনে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলে। প্রতিদিন সালাদ এর সাথে বা স্যুপ এর সাথে শিম খেতে পারেন।

৫. ওটমিল:
ওটমিল রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু, ওটমিলকে মিষ্টিজাতীয় খাদ্যে রূপান্তর করে খাওয়া যাবে না। ওটমিল একটি ভালো কার্বোহাইড্রেড খাদ্য।

আমেরিকার এক সমীক্ষায় দেখা যায়, এতে ভালো ফাইবার রয়েছে, যা হজম এর গতি ধীর করে রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
শুধু ভালো কার্বোহাইড্রেড এর জন্যই নয়, এতে থাকা ফাইবার এর কারনে শরীরের ওজন হ্রাস পায়।

উপরের এই পাঁচটি খাদ্য আপনি যেকোনো সময়, যেকোনো পরিমাণে খেতে পারেন। তাই, এখন থেকে কম কম খাওয়ার চিন্তা ছেড়ে দিন।–সূত্র: টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া।


Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 10