Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - mahmud_eee

Pages: [1] 2 3 ... 17
1
EEE / Tracking Device
« on: May 12, 2017, 09:32:33 PM »
A new tracking device for daily use....see the below link

http://www.studylifestyle.com/2016/trackr/14/?cid=11&utm_term=bdnews24&sxid=5xr3wcfb7cng

2
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন প্রদর্শনী মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডাব্লিউসি)-এ উজ্জ্বল রঙে নতুন রূপে উন্মোচিত হয় ২০০০ সালের সর্বাধিক বিক্রিত ফোন নোকিয়া ৩৩১০।

নতুন সংস্করণের এই নোকিয়া ৩৩১০ ফোনটি একটি ফিচার ফোন, যার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কথা বলা ও বার্তা আদান প্রদান। ‘ব্যাকআপ ফোন’ হিসেবে এটি জনপ্রিয় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৩৩১০ ফোনটিতে ২.৫জি সংযোগ ব্যবহার করা যাবে। ফলে ৩জি বা ৪জি’র তুলনায় এর ডেটা আদান প্রদানের গতি তুলনামূলক অনেক কম হবে। ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে এস৩০+ অপারেটিং সিস্টেম। ফলে এটি দিয়ে সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা গেলেও অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস-এর তুলনায় অ্যাপ ব্যবহারের পরিসর অনেক কম। এতে রাখা হয়েছে দুই মেগাপিক্সেলের একটি পেছনের ক্যামেরা। এই সেলফি’র যুগে সামনের ক্যামেরার চাহিদা থাকলেও, এতে কোনো সামনের ক্যামেরা রাখা হয়নি।

ফোনটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি। নির্মাতাদের মতে রঙ্গিন পর্দার ফোনটির স্ট্যান্ডবাই সময় এক মাস। আর এটি দিয়ে টানা ২২ ঘণ্টা কথা বলা যাবে। এ ছাড়াও এতে ক্লাসিক গেইম ‘স্নেক’ এর আধুনিক সংস্করণ আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকবে বলে জানানো হয়।

“এই ব্র্যান্ডটির জন্য ভালবাসা অপরিসীম। এটি লাখো মানুষের অনুরাগের স্থান”-এমডাব্লিউসি’তে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন নোকিয়ার প্রধান নির্বাহী রাজিব সুরি।

যুক্তরাজ্যে ভোডাফোন, কারফোন ওয়্যারহাউজ-এর মাধ্যমে ফোনটি ছাড়া হবে- এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানায় নোকিয়া।

3
বাবা-মায়ের অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে পারিবারিক জীবন, এমনটাই উঠে এসেছে ‘ডিজিটাল অ্যাওয়ারনেস ইউকে অ্যান্ড হেডমাস্টার্স’-এর চালানো এক জরিপে।

জরিপে অংশ নেওয়া ২০০০ জন ১৮ বছর বয়সী যুবক যুবতীর এক তৃতীয়াংশের বেশি উল্লেখ করেছেন, তারা তাদের বাবা-মাকে মোবাইল হতে বিরত থাকতে বলেছেন, বলা হয়েছে বিবিসি-এর প্রতিবেদনে।

জরিপে আরও দেখা গেছে ১৪ শতাংশের মতে তাদের বাব-মা খাবারের সময়ও মোবাইল ব্যবহার করেন। যদিও ৩০০০ জন বাবা-মায়ের ওপর চালানো পৃথক একটি জরিপে একথা অস্বীকার করেছেন এর ৯৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।

জরিপে উঠে এসেছে ৮২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন খাবারের সময়টা ডিভাইসহীন হওয়া উচিত। ২২ শতাংশ মনে করছেন মোবাইল ফোনের ব্যবহারে পরিবারে একে অপরের সঙ্গ উপভোগ করা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর ৩৬ শতাংশ তাদের বাবা-মাকে মোবাইল ব্যবহার করতে মানা করেছেন।

যেসব ব্যক্তি বাবা-মাকে ফোন ব্যবহারে বিরত থাকতে বলেছেন তাদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ বলছেন, ৪৪ শতাংশ ক্ষেত্রে তারা যখন বিষন্ন থাকেন বাবা-মা সেটা খেয়াল করে না এবং এড়িয়ে যান।

এ দিকে মাত্র ১০ শতাংশ বাবা-মা মনে করেন তাদের মোবাইল ব্যবহার সন্তানের জন্য চিন্তার বিষয় হতে পারে। আর ৪৩ শতাংশ মনে করেন নিজের সময়ের বেশিরভাগ সময় তারা অনলাইনের ব্যয় করেন।

নতুন আরেক গবেষণায় দেখা গেছে ৭২ শতাংশ ছাত্র দিনে ১০ ঘন্টা অনলাইনে থাকেন। আর ১১ শতাংশ ছুটির দিন এবং সপ্তাহের শেষে দিনে ১৫ ঘন্টা অনলাইনে কাটান। এ ছাড়া তিন শতাংশ ছাত্র বলছেন ছুটির দিনে অনালাইনে কাটানো সময় ২০ ঘন্টাও হতে পারে।

সন্তান এতো সময় অনলাইনে থাকলেও মাত্র ১০ শতাংশ বাবা-মাকে এ নিয়ে চিন্তিত থাকতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে কেন্ট-এর অ্যাশরড স্কুল-এর প্রধান শিক্ষক এবং এইচএমসি-এর চেয়ারম্যন মাইক বুকানান বলেন, “আমাদের জরিপে দেখা গেছে শিশুরা প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহারের ঝুঁকি বিষয়ে জানে। কিন্তু তাদের জীবনে প্রাপ্তবয়স্কদের দরকার যাতে তারা স্পষ্ট সীমানা বেঁধে দিতে পারে এবং বুদ্ধিমান আচরণের অনুকরণীয় মডেল হতে পারেন।”

4
সৌর জগতের নিকটবর্তী একটি নক্ষত্রকে ঘিরে ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর মতো অন্তত সাতটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন জ‌্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের নতুন এই আবিষ্কার বুধবার জার্নাল ন‌্যাচারে প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি ওয়াশিংটনে নাসার সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনেও এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্রটিকে ঘিরে গ্রহগুলোর সন্ধানকে বিরল হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, গ্রহগুলো পৃথিবীর আকৃতির এবং সেগুলোর পৃষ্ঠে পানি থাকতে পারে, এর আবহাওয়া হতে পারে প্রাণের জন‌্য উপযুক্ত।

গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া বেলজিয়ামের লিজ বিশ্ববিদ‌্যালয়ের জ‌্যোতির্বিদ মাইকেল গালোন বলেন, “এবারই প্রথমবারের মতো একই নক্ষত্র ঘিরে এ ধরনের এতগুলো গ্রহ পাওয়া গেছে।”

অতি শীতল ক্ষুদ্রাকৃতির ওই নক্ষত্রের নাম দেওয়া হয়েছে টিআরএপিপিআইএসটি-১। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তিত গ্রহগুলো শক্ত গঠনের; সেগুলো বৃহস্পতির মতো গ‌্যাসীয় নয়, বরং শিলা দ্বারা গঠিত হতে পারে।

টিআরএপিপিআইএসটি-১ ই, এফ ও জি নামের তিনটি গ্রহ তথাকথিত ‘বাসযোগ‌্য এলাকায়’ এবং সেগুলোতে মহাসাগরও থাকতে পারে।

‘বাসযোগ্য এলাকা’ বলতে কোনো নক্ষত্রের চারপাশে ঘূর্ণায়মান গ্রহগুলোর অবস্থানের এমন একটি এলাকা বোঝানো হয়, যে অবস্থানে থাকলে ওই গ্রহ বা গ্রহদের পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা থাকে। আর তরল পানি থাকলে প্রাণ থাকারও জোরালো সম্ভাবনা থাকে।

গবেষকদের বিশ্বাস, টিআরএপিপিআইএসটি-১এফ প্রাণের জন‌্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এটা পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা শীতল। তবেসঠিক এটমোসফিয়ার ও পর্যাপ্ত গ্রিনহাউজ গ‌্যাসসহ এটা প্রাণের জন‌্য উপযুক্ত হতে পারে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ‌্যালয়ের জ‌্যোতির্বিজ্ঞানী আমাউরি ট্রিউড বলেন, “আমি মনে করি, আর কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না তা খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে আমরা অত‌্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ এগিয়েছি।

“আমি মনে করি এর আগে কখনও আমাদের এমন কোনো গ্রহ আবিষ্কারের ছিল না যেখানে প্রাণ আছে কি না তা খুঁজে দেখার মতো। এখানে যদি কোনো প্রাণের অস্তিত্ব থাকে এবং গ‌্যাস নিঃসরণ করে, যেমনটি আমরা পৃথিবীতে করি, তাহলে আমরা তা জানব।”

5
সামনের একশ’ বছরের মধ্যে অন্য কোনো গ্রহে মানুষকে বসতি স্থাপন করতে হবে, আর তা হলে বিলুপ্ত হওয়ার হুমকি মোকাবেলা করতে হবে- ফের এমন সতর্কতার কথা বললেন খ্যাতিমান পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং।

‘স্টিফেন হকিং: নতুন পৃথিবীর অভিযান’ নামে বানানো বিবিসি’র একটি প্রামাণ্যচিত্র চলতি বছরের শেষে প্রচার হওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রামাণ্যচিত্রে অধ্যাপক হকিং “অন্য গ্রহের বসতি স্থাপন প্রয়োজনের আগে মানবজাতির হাতে একশ’ বছর সময় আছে বলে অনুমান প্রকাশ করবেন তিনি”, চলতি সপ্তাহের শুরুতে এ কথা বলা হয়।

এর আগে হকিং বলেছিলেন, বিলুপ্ত হওয়ার আগে মানুষের হাতে সম্ভবত এক হাজার বছর রয়েছে। তার বলা সময়টা এবার আরও কমে এসেছে। শেষ কয়েক বছরে এ নিয়ে কয়েকবার সতর্ক করেছেন তিনি, বলা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে।

২০১৬ সালের শুরুতে হকিং পারমাণবিক যুদ্ধের ভয়াবহততা, বিশ্ব উষ্ণায়ন, জিন-প্রকৌশলগত ভাইরাস আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে সতর্ক করেন।

বিবিসি’কে তিনি বলেন, “যদিও বলে দেওয়া কোনো বছরে পৃথিবীতে কোনো দুর্যোগ হওয়ার শঙ্কা হয়তো খুবই কম, কিন্তু এটি সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে আর এটি সামনের হাজার বা ১০ হাজার বয়সের মধ্যে প্রায় নিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”

“এই সময়ের মধ্যে আমাদের মহাকাশে ছড়িয়ে পড়তে হবে, অন্যান্য গ্রহে, যাতে পৃথিবীতে কোনো দুর্যোগ হলেই মানবাজতির সমাপ্তি টানা না হয়।”

“যাইহোক, আমরা অন্তত সামনের একশ’ বছরের মধ্যে স্বনির্ভর বসতি প্রতিষ্ঠা করব না, এই সময়টায় আমাদেরে সতর্ক থাকতে হবে।”

মানবজাতির অস্তিত্বের হুমকি নিয়ে সতর্ক করেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে হকিংই এমন একমাত্র ব্যক্তি নন। এর আগে মার্কিন ধনকুবের ও প্রকৌশলী ইলন মাস্ক মানুষকে অবশ্যই কোনোভাবে যন্ত্রের সঙ্গে নিজেদের একীভূত করতে হবে, তা না হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর যুগে ঝুঁকি বেড়ে যাবে। টেসলা আর স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে এমনটা করার জন্য নিউরালিংক নামের একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছেন।

এ ছাড়াও, নতুন প্রযুক্তি আর ইন্টারনেটের কারণে সমাজ কয়েক দশকের ‘ঝামেলার’ মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন আলিবাবা প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা।

6
নোনাজল থেকে লবণ সরাতে গ্রাফিন-ভিত্তিক ‘ছাঁকুনি’ বানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক।

বড় পরিসরে এই প্রযুক্তির প্রয়োগ সম্ভব হলে বিশ্বে সুপেয় পানির অভাব দূর করা যাবে।

২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের ১৪ শতাংশ মানুষ পানির ঘাটতিতে পড়বেন বলে ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ প্রযুক্তির উন্নয়ন হলে তা লাখো মানুষের জন্য পরিষ্কার খাবার পানির ব্যবস্থা করবে। যেসব অঞ্চলের মানুষের কাছে সরাসরি বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই তাদের জন্য এটি দারুণ সহায়ক হতে পারে।

নতুন এই গ্রাফিনভিত্তিক ছাঁকুনি নোনাজল থেকে লবণ আলাদা করতে বেশ কার্যকর হতে পারে। বর্তমান বাজারে রয়েছে এমন প্রযুক্তির সঙ্গে এবার এটি তুলনা করে দেখা হবে বলে জানানো হয়।

এর আগে শিল্প খাতে পানি থেকে লবণ আলাদা করতে গ্রাফিনভিত্তিক প্রতিবন্ধক ব্যবহার করা যেত না। ‘নেচার ন্যানোটেকনোলজি’ জার্নালের প্রতিবেদনে এই প্রকল্পের ফলাফল প্রকাশ করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানচেস্টার-এর বিজ্ঞানীরা। এই দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ড. রাহুল নায়ার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তারা কীভাবে গ্রাফিন অক্সাইডের মাধ্যমে বেশ কিছু সমস্যার সমাধান করেছেন। এতে শুধু একটি স্তরে গ্রাফিনকে ঘণীভূত করা হয়েছে, যা গ্রাফিনের সাধারণ আচরণের বাইরে। তবে, বর্তমানে রয়েছে এমন ব্যবস্থায় বড় পরিসরে এক স্তরে গ্রাফিন জমানো কষ্টকর বলে জানানো হয়।

এবার নতুন এ উপাদানটি ভবিষ্যতের জন্য আশাব্যঞ্জক একটি উপাদান হতে পারে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। এটির বর্তমান উৎপাদন খরচও বেশি বলে জানিয়েছেন তারা।

অন্যদিকে ড. নায়ার বলেন, “ল্যাবে সাধারণ অক্সিডেশনের মাধ্যমেই গ্রাফিন অক্সাইড উৎপাদন করা যেতে পারে। তবে, উপাদানের কর্মক্ষমতা এবং খরচের দিক থেকে এক স্তরেরে গ্রাফিনের তুলনায় গ্রাফিন অক্সাইডে সুবিধা আছে।”

প্রতিবেদনে আরও বলা হয় পানিতে সাধারণ লবণ ছাড়লে এটি সবসময় লবণের অণুর চারিদিকে পানির অণুর আস্তরণ তৈরি করে। এ কারণে গ্রাফিন-অক্সাইড মেমব্রেন পানির সঙ্গে লবণকে ছাঁকুনি দিয়ে বের হতে বাধা দিতে পারে।

“পানির অণু সহজেই পার হয়ে যেতে পারে, কিন্তু সোডিয়াম ক্লোরাইড পারে না। এটির সব সময় পানির অণুর সাহায়তা দরকার হয়। লবণের চারিদিকে পানির আস্তরণের আকার চ্যানেলের থেকে বড়, তাই এটি পার হয়ে যেতে পারে না।”

পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য বর্তমানে পলিমার-ভিত্তিক মেমব্রেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর নতুন গ্রাফিন অক্সাইডের উৎপাদন খরচ কমাতে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।

7
বিবিসি জানিয়েছে, রোবট প্লেনটি ১৭টি ফ্লাইট সম্পন্ন করতে পারে। এজন্য ‘জেটস্ট্রিম ৩১’ মডেলের প্লেনকে পরিবর্তন করে স্বয়ংক্রিয় করা হয়েছে।

স্বয়ংক্রিয় হলেও প্লেনটি টেক-অফ এবং ল্যান্ডিংয়ের সময় একজন পাইলট তা নিয়ন্ত্রণ করবেন। তবে, ল্যাঙ্কশায়ার থেকে ইনভারনেস পর্যন্ত ৩০০ মাইল প্লেনটি নিজে থেকেই উড্ডয়ন করবে বলে জানানো হয়েছে।

প্লেনটিতে পাইলটিং সফটওয়্যারের সঙ্গে আরও সেন্সর রয়েছে যেগুলো মেঘ এবং অন্যান্য প্লেনের উপর নজরদারী করতে পারে। নিজে থেকে ওড়ার জন্য প্লেনটি স্যাটেলাইট এবং নিজস্ব শনাক্তকরণ সিস্টেম ব্যবহার করবে।

নিজে থেকে চলা ফ্লাইটে প্লেনটি ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়বে এবং সেখানে অন্যান্য প্লেন বেশি থাকবে না। প্রতিটি ফ্লাইট ৯০ মিনিট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ব্রিটিশ অ্যারোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স প্রতিষ্ঠান বিএই-এর প্রযুক্তি এবং গবেষণা প্রধান মরেন ম্যাককুয়ে বলেন, “আমরা এমন সম্ভাবনার লক্ষ্যে কাজ করছি যাতে আমাদের মানুষবিহীন সিস্টেম উচ্চমাত্রার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে উড্ডয়ন করতে পারে”

রোবট এই প্লেনটিতে একটি ক্যামেরাও ব্যবহার করা হয়েছে, যা খারাপ আবহাওয়া এবং ভারী মেঘসহ অন্যান্য ‘মোকাবেলাময় পরিস্থিতি’ এড়িয়ে যেতে সাহায্য করবে বলে জানানো হয়।

8
অন্ত্র থেকে উদরের সঙ্গে সংযুক্ত অঙ্গ এই মেসেনটারি। এতদিন এটিকে ভাবা হত পরিপাকতন্ত্রের আলাদা ক্ষুদ্রাংশ হিসেবে। কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, এটি একটি গোটা অঙ্গ। যদিও এ অঙ্গটির কাজ কী সে ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট নন বিজ্ঞানীরা।

অঙ্গটির আবিষ্কারক আয়ারল্যান্ড ইউনিভার্সিটি হসপিটাল লিমারিকের বিশেষজ্ঞ জে ক্যালভিন কফির মতে,  মেসেনটারি অঙ্গ হিসাবে অবিষ্কার হওয়াটা গবেষণার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। পেটের বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে মেসেনটরির কী ভূমিকা আছে তা এখন আলাদাভাবে বোঝা সম্ভব হবে।

ক্যালভিন কফি বলেন, “মেসেনটারির গঠনতন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে। কিন্তু এ অঙ্গের কাজ নিয়ে এখন গবেষণা করা দরকার। মেসেনটারির কাজ কি তা জানতে পারলে এর অস্বাভাবিক কাজগুলোও বোঝা যাবে। ফলে রোগও ধরা পড়বে।”

মেসেনটারি আবিষ্কারের পর মানবদেহে এখন অঙ্গ হয়ে দাঁড়াল ৭৯টি। নতুন এ অঙ্গটি হচ্ছে, পেরিটোনিয়ামের জোড়া ভাঁজের অংশ বা পাতলা আস্তরণ, যেটি ক্ষুদ্রান্তকে ধরে রাখতে সাহায্য করে।

‘দ্য ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নাল’ এ নতুন গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।

9
বৃহস্পতিবার বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে ‘এসেনশিয়াল আসপেক্টস অব এয়ারক্রাফট ডিজাইন অ্যান্ড অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বোয়িংয়ে শিক্ষানবিশ হিসেবে যুক্ত হওয়ার পথও দেখান তিনি।

ঝিনাইদহের সন্তান আশরাফ আলী ১৯৭৯ সালে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেন। দুই বছর পর ১৯৮১ সালে উচ্চতর পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে, সেখানে নিউ ইয়র্কের রেনেসেলার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে এমএস ডিগ্রি নেন ১৯৮৩ সালে।
যুক্তরাষ্ট্রে এএনএসওয়াইএস নামের একটি কোম্পানিতে র‌্যানডম ভাইব্রেশন, হাইপার ইলাস্টিসিটি, ইনফিনিট এলিমেন্টস, কাপলড ইম্পিসিট-এক্সপ্লিসিট এনালাইসিসসহ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেন ১০ বছর (১৯৮৮ থেকে ১৯৯৭)।

সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে ১৯৯৭ সালে যুক্ত হন বিশ্বের ১ নম্বর বিমান উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন শাখায় কাজ করার পাশাপাশি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা বিভাগেও কাজ করেন এই প্রকৌশলী। তবে বর্তমানে বোয়িংয়ের জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী হিসাবেই কর্মরত আছেন আশরাফ।

যুক্তরাষ্ট্রের শতবর্ষী এই প্রতিষ্ঠান যাত্রীবাহী বিমান, যুদ্ধ বিমান ও রকেটসহ অন্যান্য আকাশযানের ডিজাইন, পরিকল্পনা, নির্মাণ ও বিপণন করছে বিশ্বব্যাপী। মহাকাশযান নির্মাণেও অংশীদারিত্ব রয়েছে তাদের।

সেমিনারে বিমান নির্মাণের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ তুলে ধরেন আশরাফ আলী।
ডিজাইন

অন্য যে কোনো যন্ত্রাংশের নির্মাণ প্রক্রিয়ার মতোই বিমানের ডিজাইন ও পরিকল্পনাকে প্রাথমিক কর্মযজ্ঞ বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে বাজারে বিমানটির সম্ভাব্য মূল্য ও ক্রেতাদের বিভিন্ন চাহিদা থাকে বিবেচনায়।

প্রাথমিক পরিকল্পনা শেষে প্রয়োজনীয় ম্যাটেরিয়াল বা কাঁচামালের ওজন, বিমানের ডানার প্রয়োজনীয় বিস্তৃতি নিয়ে হিসাব-নিকাশ করা হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় চলতি অবস্থায় বিমানের শব্দ ও কম্পন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা। এভাবে প্রাথমিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে স্তরে স্তরে ঘটা সব ঘটনার বিশ্লেষণ ফেডারেল এভিয়েশন এডমিনিস্ট্রেশনে জমা দেওয়া হয়।

উইন্ড টানেল টেস্টিং

নতুন একটি মডেলে বিমান নির্মাণ শেষে তা ‘উইন্ড টানেল টেস্টিং’ নামে এক ধরনের পরীক্ষার মুখে পড়ে। টানেলে বাতাসের গতি বাড়িয়ে বিমানের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও আচরণ জেনে নেওয়া যায় এই পরীক্ষার মাধ্যমে।

তত্ত্বে বা বইপুস্তকে যাই থাকুক না কেন- এই পরীক্ষায় মাধ্যমে বিমানটির যে আচরণ বা সমস্যা পাওয়া যায় তাই প্রকৃত অবস্থা বলে মনে করেন প্রকৌশলীরা।
জিএজি সাইকেল

জিএজি বা গ্রাউন্ড-এয়ার-গ্রাউন্ড সাইকেল হলো বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের সক্ষমতা পরীক্ষা। অর্থাৎ একটি বিমান কত ডিগ্রি কোণ নিয়ে আকাশে উড়তে পারবে, অবতরণের জন্য কতটুকু ভূমির প্রয়োজন হবে, উড়ন্ত অবস্থায় ডানে বাঁয়ে কতটুকু বাঁক নেওয়ার সক্ষমতা রাখে তা পরীক্ষা করা হয়। বিমানের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের ভর, আকাশে উড্ডয়মান অবস্থায় অতিরিক্ত যে চাপ ও কম্পন তার মাত্রা হিসাব করা হয়।

ডাইনামিক বাফেট লোড
আকাশে দ্রুতগতির ফলে বিমানে যে শক্তিশালী কম্পন সৃষ্টি হয় তাকে ডাইনামিক বাফেট বলে। সাধারণত এর পুরো প্রভাব বিমানের পেছনের অংশে গিয়ে পড়ে। অনেক সময় সামনের অংশও কম্পনে আক্রান্ত হয়, যার চূড়ান্ত প্রভাবও গিয়ে পড়ে পেছনের অংশে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি কম্পন হলে বিমান সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস হয়ে পড়ে যাবে। সে কারণে চলাচলকারী পথের সম্ভাব্য বাতাস প্রবাহের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ডাইনামিক বাফেট লোড দেওয়া হয় বিমানে।

উইং বাফেট বাউন্ডারি

কম্পনের একটা প্রভাব দুই পাশের দুই পাখাতে গিয়েও পড়ে। সে ক্ষেত্রে পাখায় একটা ‘বাফেট বাউন্ডারি’ স্থাপন করা হয়, যাতে এর প্রভাব না পড়ে।

10

সৌর জগতের নিকটবর্তী একটি নক্ষত্রকে ঘিরে ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর মতো অন্তত সাতটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন জ‌্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের নতুন এই আবিষ্কার বুধবার জার্নাল ন‌্যাচারে প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি ওয়াশিংটনে নাসার সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনেও এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্রটিকে ঘিরে গ্রহগুলোর সন্ধানকে বিরল হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, গ্রহগুলো পৃথিবীর আকৃতির এবং সেগুলোর পৃষ্ঠে পানি থাকতে পারে, এর আবহাওয়া হতে পারে প্রাণের জন‌্য উপযুক্ত।

গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া বেলজিয়ামের লিজ বিশ্ববিদ‌্যালয়ের জ‌্যোতির্বিদ মাইকেল গালোন বলেন, “এবারই প্রথমবারের মতো একই নক্ষত্র ঘিরে এ ধরনের এতগুলো গ্রহ পাওয়া গেছে।”

অতি শীতল ক্ষুদ্রাকৃতির ওই নক্ষত্রের নাম দেওয়া হয়েছে টিআরএপিপিআইএসটি-১। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তিত গ্রহগুলো শক্ত গঠনের; সেগুলো বৃহস্পতির মতো গ‌্যাসীয় নয়, বরং শিলা দ্বারা গঠিত হতে পারে।

টিআরএপিপিআইএসটি-১ ই, এফ ও জি নামের তিনটি গ্রহ তথাকথিত ‘বাসযোগ‌্য এলাকায়’ এবং সেগুলোতে মহাসাগরও থাকতে পারে।

‘বাসযোগ্য এলাকা’ বলতে কোনো নক্ষত্রের চারপাশে ঘূর্ণায়মান গ্রহগুলোর অবস্থানের এমন একটি এলাকা বোঝানো হয়, যে অবস্থানে থাকলে ওই গ্রহ বা গ্রহদের পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা থাকে। আর তরল পানি থাকলে প্রাণ থাকারও জোরালো সম্ভাবনা থাকে।

গবেষকদের বিশ্বাস, টিআরএপিপিআইএসটি-১এফ প্রাণের জন‌্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এটা পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা শীতল। তবেসঠিক এটমোসফিয়ার ও পর্যাপ্ত গ্রিনহাউজ গ‌্যাসসহ এটা প্রাণের জন‌্য উপযুক্ত হতে পারে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ‌্যালয়ের জ‌্যোতির্বিজ্ঞানী আমাউরি ট্রিউড বলেন, “আমি মনে করি, আর কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না তা খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে আমরা অত‌্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ এগিয়েছি।


খবর > বিজ্ঞান

9689

Shares
পৃথিবীর মতো সাত গ্রহ আবিষ্কার

  নিউজ ডেস্ক,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2017-02-23 01:54:30.0 BdST Updated: 2017-02-23 03:14:08.0 BdST

সৌর জগতের নিকটবর্তী একটি নক্ষত্রকে ঘিরে ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর মতো অন্তত সাতটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন জ‌্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের নতুন এই আবিষ্কার বুধবার জার্নাল ন‌্যাচারে প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি ওয়াশিংটনে নাসার সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনেও এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্রটিকে ঘিরে গ্রহগুলোর সন্ধানকে বিরল হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, গ্রহগুলো পৃথিবীর আকৃতির এবং সেগুলোর পৃষ্ঠে পানি থাকতে পারে, এর আবহাওয়া হতে পারে প্রাণের জন‌্য উপযুক্ত।

গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া বেলজিয়ামের লিজ বিশ্ববিদ‌্যালয়ের জ‌্যোতির্বিদ মাইকেল গালোন বলেন, “এবারই প্রথমবারের মতো একই নক্ষত্র ঘিরে এ ধরনের এতগুলো গ্রহ পাওয়া গেছে।”

অতি শীতল ক্ষুদ্রাকৃতির ওই নক্ষত্রের নাম দেওয়া হয়েছে টিআরএপিপিআইএসটি-১। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তিত গ্রহগুলো শক্ত গঠনের; সেগুলো বৃহস্পতির মতো গ‌্যাসীয় নয়, বরং শিলা দ্বারা গঠিত হতে পারে।

টিআরএপিপিআইএসটি-১ ই, এফ ও জি নামের তিনটি গ্রহ তথাকথিত ‘বাসযোগ‌্য এলাকায়’ এবং সেগুলোতে মহাসাগরও থাকতে পারে।

‘বাসযোগ্য এলাকা’ বলতে কোনো নক্ষত্রের চারপাশে ঘূর্ণায়মান গ্রহগুলোর অবস্থানের এমন একটি এলাকা বোঝানো হয়, যে অবস্থানে থাকলে ওই গ্রহ বা গ্রহদের পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা থাকে। আর তরল পানি থাকলে প্রাণ থাকারও জোরালো সম্ভাবনা থাকে।

গবেষকদের বিশ্বাস, টিআরএপিপিআইএসটি-১এফ প্রাণের জন‌্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এটা পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা শীতল। তবেসঠিক এটমোসফিয়ার ও পর্যাপ্ত গ্রিনহাউজ গ‌্যাসসহ এটা প্রাণের জন‌্য উপযুক্ত হতে পারে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ‌্যালয়ের জ‌্যোতির্বিজ্ঞানী আমাউরি ট্রিউড বলেন, “আমি মনে করি, আর কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না তা খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে আমরা অত‌্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ এগিয়েছি।

“আমি মনে করি এর আগে কখনও আমাদের এমন কোনো গ্রহ আবিষ্কারের ছিল না যেখানে প্রাণ আছে কি না তা খুঁজে দেখার মতো। এখানে যদি কোনো প্রাণের অস্তিত্ব থাকে এবং গ‌্যাস নিঃসরণ করে, যেমনটি আমরা পৃথিবীতে করি, তাহলে আমরা তা জানব।”

11
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তিমালিকানাধীন রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স ২০১৮ সালের শেষ দিকে ওই দুই পর্যটককে মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা জানিয়েছে।

স্পেসএক্স এর প্রধান নির্বাহী এলোন মাস্ক বলেন, মহাকাশ ভ্রমণে আগ্রহী দুই পর্যটক ‘এরই মধ্যে ভ্রমণ খরচ দিয়েছেন’।

“গত ৪৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম সাধারণ মানুষ মহাকাশ ভ্রমণ শেষে পৃথিবীতে ফেরার সুযোগ পাচ্ছে।”

তবে ওই দুই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি স্পেসএক্স কর্তৃপক্ষ। তারা যে মহাকাশযানে করে মহাকাশে যাবেন সেটিকে পরীক্ষার জন্য এ বছরের শেষ দিকে প্রথমে মানুষ্যহীনভাবে যানটি মহাকাশে পাঠানো হবে।

মাস্ক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার সহযোগিতায় এই পরিকল্পনা সফল করা সম্ভব।

দুই পর্যটকের পরিচয় প্রকাশ না করলেও মাস্ক বলেন, তারা একে অপরের পরিচিত এবং তারা হলিউডের কেউ নন।

“অ্যাপলো মহাকাশচারীদের মত তারাও মানবতার আশা ও স্বপ্ন নিয়ে মহাকাশে পাড়ি জমাবেন। মানব মনের সার্বজনীন অনুসন্ধানী মন নিয়ে এ অভিযান পরিচালিত হবে।”

“আমরা তাদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার পরীক্ষা নেব। এ বছরের শেষ দিকে তাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শুরু হবে।”

12
বাংলাদেশের সোনালী আঁশ খ‌্যাত পাটের তিনটি জিনোম কোড বাংলাদেশের হয়েছে বলে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংসদে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় তিনি বলেন, “পাটের গবেষণায় উৎসাহিত করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে পাটে এসেছে যুগান্তকারী সাফল্য। পাটের জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। আমেরিকায় অবস্থিত এনসিবিআই (ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন) কর্তৃক তিনটি জিনোমের কোড নম্বর পেয়েছে।”

বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের ওই গবেষণার ফলাফল গত ৩০ জানুয়ারি বিশ্বখ্যাত জার্নাল ন্যাচার প্লান্টে প্রকাশিত হওয়ার কথা জানান তিনি।

বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় ২০১০ সালে তরুণ একদল বিজ্ঞানীকে নিয়ে তোষা পাটের জিন নকশা উন্মোচন করেন বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞানের অধ্যাপক মাকসুদুলের নেতৃত্বে পরে ম্যাক্রোফমিনা ফাসিওলিনা নামের এক ছত্রাকের জিন-নকশা উন্মোচন করেন, যা পাটসহ প্রায় ৫০০ উদ্ভিদের স্বাভাবিক বিকাশে বাধা দেয়।
২০১৩ সালের ১৮ অগাস্ট মাকসুদুলকে পাশে নিয়েই বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের আরেকটি বড় সাফল্যের খবর জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার আসে দেশি পাটের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনের খবর।

জিনোম হলো প্রাণি বা উদ্ভিদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের বিন্যাস বা নকশা। এই নকশার ওপরই নির্ভর করবে ওই প্রাণি বা উদ্ভিদের বৈশিষ্ট‌্য। গবেষণাগারে এই জিনবিন্যাস অদল বদল করে উন্নত জাতের পাট উদ্ভাবন সম্ভব। এ কারণে সহজ ভাষায় পাটের জিনোম সিকোয়েন্সকে পাটের জীবন রহস্য বলা হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পাটের জিন-নকশা উন্মোচনের ফলে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও প্রয়োজন অনুযায়ী পাটের নতুন জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি পাটের গুণগত মান ও উৎপাদন বিপুল পরিমাণে বাড়ানো সম্ভব।

আর নতুন জাত উদ্ভাবন করা হলে পাট পঁচাতে কম সময় লাগবে, আঁশ দিয়ে জৈব জ্বালানি ও ওষুধ তৈরি করা সম্ভব হবে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম।

13
পৃথিবীর মতো সাত গ্রহ আবিষ্কার

বিজ্ঞানীদের নতুন এই আবিষ্কার বুধবার জার্নাল ন‌্যাচারে প্রকাশিত হয়। পাশাপাশি ওয়াশিংটনে নাসার সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনেও এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্রটিকে ঘিরে গ্রহগুলোর সন্ধানকে বিরল হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, গ্রহগুলো পৃথিবীর আকৃতির এবং সেগুলোর পৃষ্ঠে পানি থাকতে পারে, এর আবহাওয়া হতে পারে প্রাণের জন‌্য উপযুক্ত।

গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া বেলজিয়ামের লিজ বিশ্ববিদ‌্যালয়ের জ‌্যোতির্বিদ মাইকেল গালোন বলেন, “এবারই প্রথমবারের মতো একই নক্ষত্র ঘিরে এ ধরনের এতগুলো গ্রহ পাওয়া গেছে।”
অতি শীতল ক্ষুদ্রাকৃতির ওই নক্ষত্রের নাম দেওয়া হয়েছে টিআরএপিপিআইএসটি-১। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তিত গ্রহগুলো শক্ত গঠনের; সেগুলো বৃহস্পতির মতো গ‌্যাসীয় নয়, বরং শিলা দ্বারা গঠিত হতে পারে।

টিআরএপিপিআইএসটি-১ ই, এফ ও জি নামের তিনটি গ্রহ তথাকথিত ‘বাসযোগ‌্য এলাকায়’ এবং সেগুলোতে মহাসাগরও থাকতে পারে।

‘বাসযোগ্য এলাকা’ বলতে কোনো নক্ষত্রের চারপাশে ঘূর্ণায়মান গ্রহগুলোর অবস্থানের এমন একটি এলাকা বোঝানো হয়, যে অবস্থানে থাকলে ওই গ্রহ বা গ্রহদের পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা থাকে। আর তরল পানি থাকলে প্রাণ থাকারও জোরালো সম্ভাবনা থাকে।
গবেষকদের বিশ্বাস, টিআরএপিপিআইএসটি-১এফ প্রাণের জন‌্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এটা পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা শীতল। তবেসঠিক এটমোসফিয়ার ও পর্যাপ্ত গ্রিনহাউজ গ‌্যাসসহ এটা প্রাণের জন‌্য উপযুক্ত হতে পারে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ‌্যালয়ের জ‌্যোতির্বিজ্ঞানী আমাউরি ট্রিউড বলেন, “আমি মনে করি, আর কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না তা খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে আমরা অত‌্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ এগিয়েছি।

“আমি মনে করি এর আগে কখনও আমাদের এমন কোনো গ্রহ আবিষ্কারের ছিল না যেখানে প্রাণ আছে কি না তা খুঁজে দেখার মতো। এখানে যদি কোনো প্রাণের অস্তিত্ব থাকে এবং গ‌্যাস নিঃসরণ করে, যেমনটি আমরা পৃথিবীতে করি, তাহলে আমরা তা জানব।”

14
নতুন গ্রহে প্রাণ খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা

অ্যাস্ট্রোফিজিকাল জার্নাল-এর পরবর্তী সংখ্যায় প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাতে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট জানায়, উলফ১০৬১ তারাকে কেন্দ্র করে আবর্তনরত উলফ১০৬১সি নামের এ গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা তরল পানির তাপমাত্রার সমান হওয়ায় এতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা খুবই সম্ভব।

গ্রহটি এর সূর্য থেকে বাসযোগ্য দূরত্বের চেয়েও কিছুটা ভেতরদিকে অবস্থিত হওয়ায় এর পরিবেশের সঙ্গে পৃথিবীর চেয়ে বৃহস্পতি গ্রহের পরিবেশের মিল থাকার সম্ভাবনাই বেশি। তবে, ভিনগ্রহে জীবনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার এ সম্ভাবনাটুকুও যাচাই করে দেখতে চান এমইটিআই (মেসেজিং এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ইন্টারন্যাশনাল-এর বিজ্ঞানীরা।

এমইটিআই ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রেসিডেন্ট ডগলাস ভাকোচ বলেন, "উলফ১০৬১সি-তে প্রাণের অস্তিত্ব থেকে থাকলেও তা আণুবীক্ষণিক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এখন পর্যন্ত আমরা মাত্র ১৪ আলোকবর্ষ দূরের এই এক্সোপ্ল্যানেটে আধুনিক প্রযুক্তির কোনো চিহ্ন খুঁজে পাইনি।"

সিনেট জানায়, প্ল্যানেটারি হ্যাবিট্যাবিলিটি ল্যাবরেটরি-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সৌরজগতের বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এমন সবচেয়ে কাছাকাছি গ্রহগুলোর মধ্যে উলফ১০৬১সি তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। আগের বছর আবিষ্কৃত পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী সম্ভাব্য বাসযোগ্য গ্রহ আলফা সেঞ্চুরি সিস্টেমে অবস্থিত প্রক্সিমা সেন বি-তে জীবনের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শোনা গেলেও গ্রহটির সূর্য থেকে ক্রমাগত নির্গত সোলার ফ্লেয়ার এ সম্ভাবনাকে অনেকটাই নাকচ করে দেয়। উলফ১০৬১সি পৃথিবী থেকে প্রক্সিমা সেন বি-এর তুলনায় প্রায় তিনগুণেরও বেশি দূরত্বে অবস্থিত।

এমইটিআই এ যাবত মোট চারটি পৃথক ঘটনায় পানামায় অবস্থিত এর অপটিকাল টেলিস্কোপের সাহায্যে ভিনগ্রহের কোনো সভ্যতার চিহ্ন পেতে অনুসন্ধান চালালেও এখন পর্যন্ত তেমন কিছুই ধরা পড়েনি। ফেব্রুয়ারির শেষদিকে এ তারাটি আবার পানামা থেকে দেখা যাবে এবং এমইটিআই আরও বিস্তৃত ব্যান্ডউইথ সিস্টেমের সাহায্যে অতীতে নজর এড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে এমন ফ্রিকোয়েন্সির সন্ধানে তৎপরতা চালাবে বলে, জানান ভাকোচ।

২০১৮ সালের শেষদিকে গ্রহটিকে লক্ষ্য করে সিগনাল পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে এমইটিআই-এর উল্লেখ করে ভাকোচ বলেন, "আমরা আশা করছি কোনো ভিনগ্রহবাসী এতোদিন আমাদের নজর এড়িয়ে গেলেও এবার প্রত্যুত্তর পেতে আমরা সক্ষম হবো।"

15
সেলফোন ছবিতে শনাক্ত হবে জীবাণু

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া (ইউএসসি) -এর বিজ্ঞানীদের বানানো এই ‘হাইপার-স্পেট্রাল ফাসোর’ বিশ্লেষক বা এইচওয়াইএসপি- এ কোনো ছবি অতিক্রমকালে একবারে অনেকগুলো অণু পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।

ইউএসসি-এর বিজ্ঞানী ফ্রান্সিসকো কাটরেল বলেন, “এ থেকে সময়ের সঙ্গে একাধিক লক্ষ্য পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জটিল জীবগুলোর মধ্যে আসলে কী ঘটছে তার ভালো দৃশ্য পাওয়া যাবে।” এমনকি একদিন চিকিৎসকরা সেলফোনে ক্ষত চামড়ার ছবি বিশ্লেষণ করে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি নির্ধারণ করতে এইচওয়াইএসপি ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন বলেও জানা গেছে এই গবেষণায়।

এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পরবর্তীতে রোগীকে আরও পরীক্ষা করে উপযুক্তভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন চিকিৎসকরা। তা ছাড়াও, গবেষকরা ফ্লুরোসেন্ট ইমেজিং ব্যবহার করে কোষে প্রোটিন এবং অন্যান্য অণু খুঁজতে পারেন।

“ক্লিনিকে ডাক্তার এবং বিজ্ঞানীরা এই ফলাফলে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দ্রুত তাদের কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম হবেন”, নেচার মেথডস- এ প্রকাশিত এই গবেষণায় কারটেল বলেন।

Pages: [1] 2 3 ... 17