Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Shahrear.ns

Pages: [1] 2 3 ... 27
1
করোনা আর দীর্ঘ লকডাউনে জীবনযাত্রার ধরনই বদলে গেছে। আর এই পরিস্থিতির শিকার ঘরের ছোটো সদস্যরাও। এই পুরো বছরটাই প্রায় ভার্চুয়াল ক্লাস আর ইনডোর গেমে কেটে গেল তাদের। আর এই সূত্রে টেক-গেজেটসগুলির সঙ্গেও তাদের সখ্যতা বেড়েছে। মোবাইল, ভিডিও গেম বা ল্যাপটপ-ডেস্কটপের স্ক্রিনেই অধিকাংশ সময় কাটছে তাদের। যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় বাবা-মায়েরা।  তবে এই পরিস্থিতি সহজে বদলে যাবে বলে বলছে এক সমীক্ষা।

ছেলে-মেয়েরা যদি একটু বেশি সময় ফোন বা কম্পিউটারে কাটায়, তা নিয়ে বেশি ভেবে লাভ নেই। কারণ ছেলে-মেয়েদের এই আকর্ষণ দীর্ঘস্থায়ী নয়। সময়ের সঙ্গে এটিও বদলে যাবে। সামগ্রিক পরিস্থিতিকে খুবই সহজভাবে সামালানো যাবে। সম্প্রতি এমনই জানাচ্ছে এক সমীক্ষা।

মহামারির সময় তথ্য সংগ্রহ করার পর দেখা যায়, নানা ধরনের টেক গেজেটের ব্যবহার বেড়েছে । বেড়েছে ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। স্কুল, কলেজ, টিউশন, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা সব বন্ধ হওয়ার জেরে আপাতত ভার্চুয়াল দুনিয়াতেই বাড়ির ছেলে-মেয়েদের গোটা একটা বছর কেটেছে। এক্ষেত্রে অনেকেই ছেলে-মেয়েদের জন্য একটা টাইম লিমিট বেঁধে দেন। অনেকে খুব বকাবকি করেন। ফোন কেড়ে নেন। কিন্তু প্যানডেমিকে শিশু থেকে শুরু করে যুবকদের এই টেক অ্যাডিকশনের মধ্যেও একটা আশার আলো দেখাচ্ছে এই সমীক্ষা। গবেষকদের দাবি, বাবা-মায়েরা যতটা চিন্তায় রয়েছেন বা যতটা গভীরে ভাবছেন, ততটাও খারাপ প্রভাব পড়েনি তাদের ছেলে-মেয়েদের উপর। অধিকাংশক্ষেত্রেই এই ভয় ভিত্তিহীন।

সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত গবেষকদের কথায়, কমিক বুক, সাইলেন্ট মুভি থেকে শুরু করে রেডিও টিভি কিংবা এই স্মার্ট ফোন। প্রযুক্তির উদ্ভাবন আর ক্রমবিকাশ প্রতিবারই পুরোনো প্রজন্মের মধ্যে একটা ভীতির সঞ্চার করেছে, যা বাস্তবে ততটাও গুরুতর নয়। প্রতিবারই সবাই মনে করেছে, একটি নির্দিষ্ট টেক ডিভাইজের প্রতি সবাই আকৃষ্ট হচ্ছে। এর জেরে যুবকরা শেষ হয়ে যাবে বা ভুল পথে চলে যাবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সব বদলে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে এর ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে, তবে সময়ের নিরিখে সেই প্রবণতা বদলে গেছে। আজকাল নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী নতুন প্রজন্মরা এক ডিভাইজ থেকে অন্য ডিভাইজে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। টিভির বদলে ইউটিউবকে বেছে নিয়েছে। ফোনে কথা বলার বদলে সোশাল মিডিয়া সাইটগুলিতে চ্যাটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই নির্দিষ্ট কোনও ডিভাইজের প্রতি আকর্ষণ স্থায়ী নয়।

সমীক্ষা জুড়ে দেখানো হয়েছে, কিভাবে মার্কিন যুবকদের উপর প্রভাব ফেলেছে মোবাইল ইন্টারনেটের রমরমা। এক্ষেত্রে ১৮-৩০ বছরের যুবকদের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। প্রায় ১,২০০ জনের সার্ভে ডাটার উপর চলেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা । অ্যাডভান্স ইন লাইফ কোর্স রিসার্সে সমীক্ষার লেখক ও  ইনস্টিটিউট অফ বিহেভিয়ারল সায়েন্সের সোসিওলজির অধ্যাপক স্টিফ্যানি মলবর্নও একই কথা জানিয়েছেন। তার কথায়, প্রযুক্তির উদ্ভাবনের পাশাপাশি প্রযুক্তির স্বাদ পরিবর্তনও জারি রয়েছে। তাই বাবা-মায়েদের অধিক চিন্তা করে কোনও লাভ নেই। কারণ কোন কিছুর প্রতিই গুরুতরভাবে আকৃষ্ট হওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই। এই অ্যাডিকশন বা বিশেষ টেকনোলজির প্রতি আকর্ষণও একসময় বদলে যাবে। আর এদিক থেকেই বাবা-মায়েদের স্বস্তি দিতে পারে পুরো বিষয়টি।

Source: https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2020/11/24/978933

2
পানি খাওয়া আর হাইড্রেট থাকা সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে পানির বিকল্প নেই। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। তবে পানি পান খাওয়ারও সঠিক সময় আছে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে:

প্রতিদিন সকালে উঠে অবশ্যই এক গ্লাস পানি খেতে হবে। এটি কেবলমাত্র আপনার অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলি এবং আপনার সংবহনতন্ত্রকে সক্রিয় করে না, তবে ঘুমের সময় আপনি যে পানি শরীর থেকে হারিয়েছিল তা আবার শরীরে যোগ হয়।

ওয়ার্কআউটের পর:

পরিশ্রমের পর স্বাভাবিকভাবেই শরীরে ক্লান্তিভাব আসে। শরীরচর্চার পর পানি খেতে হবে। এতে করে শরীরে শক্তি আবার ফিরে আসবে। সেই সাথে হার্টের রেট স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনে।

খাবারের আগে পানি:

খাবারের আগে পানি খাওয়া কেবল স্বাস্থ্যকরাই নয়, ওজন কমাতেও অত্যন্ত উপকারী এবং কার্যকর। এটি হজম ভালো রাখার সাথে সাথে শরীরকে তৃপ্তি দেয় এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি খাওয়া থেকে বাঁধা দেয়।

গোসলের আগে পানি:

গোসলের আগে পানি খেলে ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক থাকে। পানি গরম হলে রক্তনালী প্রসারিত করে যার ফলে রক্তচাপ কমে।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে:

ঘুমাতে যাওয়ার আগে পানি খেলে শরীর হাইড্রেট থাকে। শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়। যদি আপনি পেটের ব্যাথা নিয়ে ঘুমাতে যান তবে পানি খেলে ব্যাথা রাতের মধ্যে সেরে যাবে।

অসুস্থ বোধ করলে:

হঠ্যাৎ করে অসুস্থ বোধ করলে পানি খাওয়া উচিত। পানি শরীরকে দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করে।

ক্লান্তি মোকাবেলায়:

যদি আপনি ভারী পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে পড়েন সেক্ষেত্রে শরীরের ফ্লুয়িড পূরণ করতে পানির ভূমিকা অনেক বেশি। আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
Source: https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2020/11/24/978936

3
আমাদের খাওয়াদাওয়ার ধরন এবং রকম, দুটোই নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপরে। তার সঙ্গে যুক্ত হয় ব্যক্তিগত পছন্দ আর অপছন্দ। কেউ নিরামিষাশী, আবার কেউ মাংসাশী হন। অনেকে আবার এই দুটোর মেলবন্ধনে বিশ্বাস করেন। তবে একটি গবেষণায় এই নিয়ে উঠে এসেছে যা আমাদের অনেকের অজানা ছিলো। যারা শতভাগ নিরামিষ খাবার খান তাদের হাড়ের সমস্যা বেশি এবং হাড় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাও অনেক বেশি।

অক্সফোর্ড ও ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় যৌথ ভাবে এই গবেষণা চালিয়েছে। এর জন্য তারা প্রায় ৫৫ হাজার মানুষের উপরে একটি সমীক্ষা করেছিল। সমীক্ষার গভীরে প্রবেশ না করেও এটুকু সহজেই বোঝা যায় যে যারা শুধুই নিরামিষ খান তাদের শরীরে অনেক কিছুর ঘাটতি দেখা যায়। যার ফলস্বরূপ তাদের অস্থি বা হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। তবে, এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ।

 দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তাই এই সমীক্ষায় পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল যে কি ভাবে নিরামিষ ও আমিষ ডায়েট শরীরে তার প্রভাব বিস্তার করছে। দেখা গিয়েছে যে যারা নিরামিষ খান এবং যারা পশুজাত কোনও খাবারই খান না তাদের কবজি, হিপ, গোড়ালি, পা ইত্যাদি জায়গায় বেশি ফ্র্যাকচার হয়েছে বা চিড় ধরেছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নাফিল্ড ডিপার্টমেন্ট অফ পপুলেশন হেল্থ বিভাগের নিউট্রিশনাল এপিডেমিওলজিস্ট ডক্টর ট্যামি টং বলেছেন যে এ রকম হওয়ার কারণ হল ক্যালসিয়াম আর প্রোটিনের অভাব। বিশেষ করে ভেগানদের শরীরে এই দুই উপাদানই এত কম মাত্রায় থাকে যে তাদের হাড় ভঙ্গুর হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।

তবে এই গবেষণায় সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। গবেষকরা বুঝতে পারছেন না যে কোন ফ্র্যাকচার পড়ে গিয়ে হয়েছে আর কোনটা দুর্ঘটনা থেকে হয়েছে। তা ছাড়া আরও একটি বিষয় মাথায় না রাখলেই নয়- সম্পূর্ণ গবেষণাই করা হয়েছে শ্বেতাঙ্গ ইউরোপিয়ানদের উপর। তাই অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে হাড়ে উপস্থিত খনিজের ঘনত্ব এবং হাড় ভাঙার প্রবণতা কতটা সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তাই অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন যে এই গবেষণা বিভিন্ন অঞ্চল ও জাতিভিত্তিক ভাবে এবং নারী ও পুরুষ ভেদে করেই সিদ্ধান্তে আসতে।

Source: https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2020/11/25/979304

4
শীতের সময় স্কিন, চুল দুটোই রুক্ষ হয়ে যায়। শীতে গ্লোয়িং স্কিন ও ঝলমলে চুল পেতে চাই বাড়তি যত্ন। সেই সাথে খাবারের তালিকায়ও আনতে হবে পরিবর্তন। এজন্য বছরের এই সময়টাতে উচিত একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করা এবং খাবার তালিকায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা।

বাদাম:

বাদামের গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না। বাদাম এমন একটি খাবার যা সবাই ডায়েটে যোগ করতে পারে। বাদামে যে উপাদান আছে তা স্কিনকে হাইড্রেট করে। বাদাম আপনার নখ, ত্বক এমনকি চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখে। সেই সাথে বাদামের  ভিটামিন বার্ধক্যের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো প্রতিরোধ করে স্কিন ময়েশ্চারাইজার করে।

গাজর:

গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আর এই ভিটামিন ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে যা স্কিন টানটান রাখে। বলিরেখা প্রতিরোধ করতে, স্কিন টোন বাড়াতে গাজরের বিকল্প নেই।

অ্যাভোকাডো:

অ্যাভোকাডো শুধুমাত্র আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না বরং এতে যে ভিটামিন ই, স্বাস্থ্যকর তেল রয়েছে তা স্কিনকে পুষ্টি জোগায়। অ্যাভোকাডোতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্কিনকে ড্যামেজ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

টমেটো:

টমেটোতে লাইকোপেন নামক একটি রঙ্গক রয়েছে যা ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। টমেটোতে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কোলাজেনের উৎপাদনকে বাড়িয়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। রান্না করা টমেটো খাওয়ার চেষ্টা করুন কারণ লাইকোপিনের দ্রুত শোষণ ক্ষমতা রয়েছে।

গ্রিন টি:

গ্রিন টির উপকারের কথা এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। গ্রিন টির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে পুষ্টি জোগায়। ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধ করে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে ভিতর থেকে ত্বক ভালো হয়ে ওঠে।

Source: https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2020/11/25/979320

5
বাড়তি ওজন অনেক রকম বিপদ ডেকে আনে। একাধিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই বাড়তি ওজন কমানো অত্যন্ত জরুরি। অনেকেই মনে করেন, ওজন কমাতে কম খেলেই চলবে। তবে চিকিৎসকরা বলেন, এমন করলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। শরীর সুস্থ হওয়ার বদলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে মেদ আরও বাড়তে পারে। তাই খাবারে কাটছাঁট না করে, খাবারের উপকরণে কাটছাঁট করলে ভালো থাকা যায়। পাশাপাশি ওজন কমানোর সব চেয়ে সহজ উপায় হলো ওয়ার্ক আউট করা।

কাজের ব্যস্ততার জন্য যারা জিমে গিয়ে ওয়র্ক-আউট করতে পারেন না, তারা হাঁটতে পারেন। হাটলেও খুব সহজেই ওজন কমতে পারে। তবে, এর জন্য কিছু সঠিক নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

১. আরামদায়ক জামা পরা:

যে জামা পরে হাঁটলে অস্বস্তি হবে, তা না পরে যা আরাম দেবে তেমন কিছু পরা ভালো। এতে শারীরিক অস্বস্তি হবে না। একবার অস্বস্তি হলে পরের বার হাঁটতে যেতে কিন্তু ইচ্ছে না-ও করতে পারে। তাই এ বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার। আর অবশ্যই কোনও আরামদায়ক ট্র্যাকপ্যান্ট পরলে ভালো।

২. হালকা স্নিকার্স পরলে ভালো:

শরীরের পুরো ভার যেহেতু পায়ের উপরে পড়ে, তাই জুতো বাছার দিকে একটু নজর দিকে হবে। যে কোনও জুতো পরলে পায়ে সমস্যা হতে পারে। তাই হালকা কোনও স্নিকার্স পরা ভালো। তাতে পায়ে কোনও রকম ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকবে।

৩. পানির বোতল সাথে রাখা:

হাঁটার সময়ে অবশ্যই একটা পানির বোতল সাথে রাখা ভালো। তেষ্টা পেলে হাঁটার মাঝে অল্প অল্প পানি খেলে সমস্যা হয় না। উলটে তা শরীর হাইড্রেটেড রাখে। আর বাড়তি ওজন কমাতে জলের গুরুত্ব রয়েছে।

৪. ধীরে ধীরে হাঁটার গতি বাড়াতে হবে:

হাঁটা শুরু করেই প্রথমে অনেকে ভাবেন যে তাড়াতাড়ি হাঁটলে ভালো হয়। তাতে পায়ে সমস্যা হতে পারে। ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে শুরু থেকেই। তাই হাঁটার স্পিড বা গতি ধীরে ধীরে বাড়ালে ভালো। প্রথমের দিকে একটু কম রেখে, যত দিন যাবে তত গতি বাড়াতে হবে।

৫. হাঁটার ভঙ্গিতে নজর দেওয়া জরুরি:

শিরদাঁড়া সোজা রেখে হাঁটতে হবে। কাঁধ ও হাতও সোজা রাখতে হবে, তবে রিল্যাক্স করে।

Source: kalerkantho.com/online/lifestyle/2020/11/27/979957

6
Good to know. THanks for sharing

7
Good to know. THanks for sharing

9
Good to know. THanks for sharing

10
Good to know. THanks for sharing

12
দেশে ১৮ ধরনের মসলার গুঁড়া, স্লাইস কিংবা পেস্ট, সস–আচার ইত্যাদি তৈরি ও মোড়কজাত করার নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয়েছে।

মসলাগুলো হচ্ছে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, রসুন, আদা ও অলস্পাইসের (চায়নিজ মসলা) গুঁড়া, কাঁচা মরিচের পেস্ট ও আচার, শুকনা মরিচের আচার ও সস, কাঁচা মরিচ খাদ্যজাতকরণ (অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায়), রসুনের আচার, কেচাপ ও চাটনি, আদার আচার ও জ্যাম, হলুদের পেস্ট, অলস্পাইসের পেস্ট এবং অ্যানাটো পাউডার।

https://www.prothomalo.com/business/market/%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%A4%E0%A7%88%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8

13
বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিশ্ববাসী অধীর আগ্রহে করোনার টিকার জন্য অপেক্ষা করছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান করোনার টিকা পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। এখন অপেক্ষা টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিয়ে ফলাফল জানার। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান টিকার ফল জানিয়ে দিতে পারে। করোনার টিকা নিয়ে বেশ কিছু হালনাগাদ তথ্য পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগবিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি বলেছেন, নিরাপদ ও কার্যকর করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ সম্ভবত ডিসেম্বরের শেষের দিকে বা জানুয়ারির শুরুতে কিছু উচ্চ-ঝুঁকিযুক্ত মার্কিনরা পাবেন।

বিজ্ঞাপন

ব্রিটিশ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার পরীক্ষামূলক টিকাটি করোনা টিকার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে। বিশ্বজুড়ে সংস্থা ও সরকারগুলোর সঙ্গে সরবরাহ ও উৎপাদনসংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অক্টোবরে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, টিকাটি বৃদ্ধ, যুবক উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা আশা করছে, তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য আসন্ন সপ্তাহে প্রকাশ করবে।

গত এপ্রিলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষকেরা টিকাটি প্রস্তুত করেন। এরপর থেকে টিকাটি নিয়ে পরীক্ষা চলছে। শিগগির এটি নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে অনুমোদন পেতে পারে।
অক্সফোর্ডের টিকাটির পাশাপাশি ফাইজার ও বায়ো এন টেকের টিকার ফলাফলও শিগগির জানা যাবে। টিকাগুলোও এ বছরের মধ্যেই নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আশা করছেন এর উৎপাদনকারীরা।

এর আগে ৩ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচনের আগেই টিকা আনার কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। চলতি মাসেই কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের টিকার ফল জানাতে পারে।

করোনার টিকা নিয়ে আরেকটি সুখবর দিচ্ছে জার্মান প্রতিষ্ঠান কিওরভ্যাক। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কিওরভ্যাকের পরীক্ষামূলক টিকাটি মানুষের শরীরে প্রতিরোধী সক্ষমতা দেখিয়েছে। গতকাল সোমবার জার্মান প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য জানিয়েছে। এ বছরেই টিকাটির পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে কিওরভ্যাক।

জার্মানির জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ফ্রানজ-ওয়ার্নার হ্যাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, টিকা পরীক্ষার প্রথম ধাপের অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফল আমাদের উৎসাহ জোগাচ্ছে। তারা এমআরএনএ ভিত্তিক যে টিকাটি তৈরি করছে তার নাম সিভিএনকোভ। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই ৩০ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

কিওরভ্যাকের টিকাটি তৈরিতে সহায়তা করছেন বিনিয়োগকারী দিমিতার হপ। তাঁর সঙ্গে রয়েছে গেটস ফাউন্ডেশন ও গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন। টিকাটির পরীক্ষায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ নিউট্রিলাইজিং অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে, তা রোগটি থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের অ্যান্টিবডির সমান।

রাশিয়ার করোনার টিকা নিয়েও সুখবর পাওয়া গেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস নাগাদ রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকাটির এক কোটি ডোজ নিচ্ছে আর্জেন্টিনা। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।

আর্জেন্টিনা সরকার বলছে, আগামী মাসের শুরুতেই দুই ডোজের টিকাটি দেশে আসবে। আর্জেন্টিনার জন্য পাঠানো টিকাটি তৈরি হচ্ছে ভারত, কোরিয়া ও চীনে। আর্জেন্টিনার পাশাপাশি ব্রাজিলেও টিকাটি দেওয়ার জন্য প্রাথমিক নথিপত্র জমা দিয়েছে টিকায় অর্থায়ন করা রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)।

14
এখনকার দিনে কাশি শুনলে একটু দুশ্চিন্তা হওয়ারই কথা। কোভিড-১৯–এর উপসর্গ হিসেবে কাশি থাকতে পারে। কিন্তু এ কাশি শুনেই কি করোনা শনাক্ত করা যায়? শিগগিরই এর উত্তর জানা যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) গবেষকেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই) প্রোগ্রাম তৈরি করেছেন, যা করোনায় সংক্রমিত রোগীর কাশি শনাক্ত করতে সক্ষম। কেউ যদি উপসর্গহীন রোগীও থাকেন, তবে তাঁর কাশি শুনেও এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে করোনা শনাক্ত করা সম্ভব।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, গবেষকেরা এআইভিত্তিক প্রোগ্রাম তৈরিতে একাধিক নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছেন। প্রোগ্রামে গবেষকেরা একটি নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছেন, যা কণ্ঠস্বরের শক্তিমত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। আরেকটি নিউরাল নেটওয়ার্ক স্নায়ুতান্ত্রিক পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে। তৃতীয় আরেকটি নেটওয়ার্ক শ্বাসতন্ত্রের পারফরম্যান্স বিবেচনা করতে পারে। এসব বিশেষ অ্যালগরিদমে ফেলে কারও স্বাস্থ্য–সম্পর্কিত পূর্ণ চিত্র পাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষকেরা।

গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘আইট্রিপলই ওপেন জার্নাল অব ইঞ্জিনিয়ারিং ইন মেডিসিন অ্যান্ড বায়োলজি’ সাময়িকীতে।

গবেষকেরা দাবি করেছেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় তাঁদের তৈরি এআই প্রোগ্রাম নিখুঁত ফলাফল দেখিয়েছে। গবেষকেরা তাঁদের তৈরি মডেলটিকে হাজারো কাশি ও কথোপকথনের নমুনা শিখিয়েছেন। এ প্রযুক্তি এখন সাড়ে ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রে কোভিড রোগীর কাশি শুনে তা শনাক্ত করতে পারে। উপসর্গহীন রোগী শনাক্তে শতভাগ সফল হয়েছে এআই মডেলটি।

অবশ্য গবেষকেরা বলছেন, এই প্রযুক্তির কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। প্রযুক্তিটি লক্ষণগত রোগীদের জন্য রোগ শনাক্তের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য নয়।

গবেষকেরা এ প্রযুক্তি ব্যবহারের উপযোগী করতে ব্যবহারবান্ধব একটি অ্যাপ তৈরি করছেন, যা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার আগে প্রাথমিক শনাক্তের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করতে স্মার্টফোনের অ্যাপটি চালু করে কাশি শোনাতে হবে। এতে বাইরে যাওয়া ঠিক হবে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

15
অনলাইনে আয়োজিত গ্লোবাল ই-কম্পিটিশন অন অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকসে (জিইসিএএ) বাংলাদেশ পেয়েছে সাতটি পদক।

https://www.prothomalo.com/feature/shapno/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A7%AD%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95

Pages: [1] 2 3 ... 27