Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Zahir_ETE

Pages: [1] 2 3 ... 8
1
চার্জিং পোর্টকে বিদায় জানাচ্ছে অ্যাপল। নতুন মডেলের আইফোনে আর দেখা যাবে না চার্জিং পোর্ট। এর বদলে ডিভাইসটি হবে সম্পূর্ণ তারবিহীন বা ওয়্যারলেস। এরই মধ্যে চার্জিং পোর্ট ছাড়া আইফোন তৈরিসংক্রান্ত গবেষণা এগিয়ে নিচ্ছে অ্যাপল। ২০২১ সাল নাগাদ আইফোনের নতুন মডেলে সর্বাধুনিক এ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এমনটাই জানিয়েছেন হংকংভিত্তিক টিএফ ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজের অ্যাপলসংক্রান্ত শীর্ষ বিশ্লেষক মিং-চি কুও।

অ্যাপলের নতুন নতুন ডিভাইস ও ব্যবসা কৌশল নিয়ে বিশ্বব্যাপী যারা গবেষণা করেন, তাদের মধ্যে অন্যতম মিং-চি কুও। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ওয়্যারলেস চার্জিং পোর্টের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে অ্যাপল। ২০২১ সাল নাগাদ আইফোনের নতুন মডেলগুলোয় আর চার্জিং পোর্ট থাকছে না। সর্বাধুনিক এ সুবিধা যুক্ত করার কারণে আইফোনের দামও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

মিং-চি কুও আরো জানান, আগামী বছর আইফোনের নতুন পাঁচটি মডেল বাজারে ছাড়তে পারে অ্যাপল। এসব মডেলে যুক্ত হতে পারে পঞ্চম প্রজন্মের ফাইভজি নেটওয়ার্ক ব্যবহারের সুবিধা। এর আগে জেপি মরগ্যানের এক প্রতিবেদনেও একই সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছিল। তবে অ্যাপলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

2
আসুস-এর জেনবুক বাজারের আধুনিক ফিচারসম্পন্ন ল্যাপটপগুলোর মধ্যে অন্যতম। এবার আরও আধুনিক ও উদ্ভাবনী রূপ নিয়ে এসেছে আসুস জেনবুক প্রো ডুও। একটি নয়, ল্যাপটপ খুলে বসলেই চোখ চলে যাবে দুটি পর্দায়, আর দুটোই অত্যাধুনিক ফোরকে প্রযুক্তিসম্পন্ন। দুই পর্দা দিয়ে এক সঙ্গে করা যাবে নানা ধরনের কাজ। বিশেষ করে ‘মাল্টি টাস্ক’ যারা করতে চান, তাঁদের জন্য জেনবুকের নতুন এই সংস্করণ এসেছে বিশাল চমক হয়ে।

ল্যাপটপটির ১৫.৬ ইঞ্চির মূল পর্দা ফোরকে ও এলইডি প্যানেল সম্পন্ন। কি-বোর্ডের ওপরে থাকা স্ক্রিনপ্যাড প্লাসও কম যায় না, সেটিও মূল পর্দার মতো ফোরকে রেজ্যুলেশনের। তাই এতে ছবি ও ভিডিও সম্পাদনা হবে আরও নিখুঁত। ‘মাল্টি টাস্ক’ বা এক সঙ্গে একাধিক কাজ করার সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা। মূল পর্দায় কোনো ছবি বা ভিডিও সম্পাদনা করার সময় একই সময় স্ক্রিনপ্যাড প্লাসে গান চালাতে পারবেন। আবার মূল পর্দায় স্কাইপে কল এলে কথা বলতে বলতেই স্ক্রিনপ্যাড প্লাসে হিসাব-নিকাশ, ছবি আঁকা চালিয়ে যাওয়া যাবে অনায়াসে। কি-বোর্ডের ওপরে থাকা পর্দাটিতে একসঙ্গে চালানো যাবে একাধিক অ্যাপ, যা বাড়িয়ে দেবে কাজের গতি।

স্ক্রিনপ্যাড প্লাস আর মূল পর্দার পাশাপাশি এই ল্যাপটপে আছে টাচপ্যাড ও নাম্বারপ্যাড। টাচস্ক্রিন সেন্সরটিও বেশ বাস্তবসম্মত। অর্থাৎ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পরিচালিত হবে এমন অতি উচ্চমাত্রার সেন্সর নয়, আবার সহজে পরিচালনা করা যাবে না এমন স্থিরও নয়। যথোপযুক্ত সেন্সর ক্ষমতা রয়েছে ল্যাপটপটির প্রতিটি পর্দায়।
কোর আই নাইন প্রসেসর সমৃদ্ধ জেনবুক প্রো ডুওর ভেতরের আটটি হাইপার-থ্রেডেড কোর (২.৬ গিগাহার্টজ বেজ স্পিড) এর গতিকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এই গতি সর্বোচ্চ ৪.৫ গিগাহার্টজ পর্যন্ত যেতে পারে। এর সঙ্গে তো ৩২ জিবি মেমোরি তো আছেই, যা এই ল্যাপটপে উচ্চ রেজ্যুলেশনের ছবি, ফোরকে ভিডিও, বিশাল ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনা আর ক্যাড অ্যাপ্লিকেশনে কাজ করা সহজ করে দেয়।

জেনবুক প্রো ডুও-তে যেকোনো সফটওয়্যার সহজে কাজ করবে, কারণ এর এক টেরাবাইট এসএসডি যেকোনো অ্যাপ্লিকেশনকে দ্রুত পরিচালনা করাতে পারদর্শী। এই ল্যাপটপের ওয়েবক্যাম, হেডফোন জ্যাক আর অ্যারে মাইক্রোফোন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ডিভাইস ও অ্যাপ্লিকেশনকে ধারণ করতে পারে। অ্যালেক্সা ভয়েজ-রিকগনিশন করতে পারবে এই নতুন জেনবুকটি।
জেনবুকের নতুন এই সংস্করণ উত্তাপ আর শব্দ নিয়ন্ত্রণে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে। সর্বোচ্চ গতিতেও এর অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা থাকবে সহনীয়।

3
অনলাইনে তথ্য সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন ক্লাউট স্টোরেজ সাইট রয়েছে। এগুলো, মধ্যে রয়েছে গুগল ড্রাইভ, স্কাই ড্রাইভ, ড্রপবক্স, বক্স, সুগার সিঙ্ক ইত্যাদি। এছাড়া নিজস্ব ওয়েবসাইটেও তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এসব সাইট থেকে অন্য সাইটে তথ্যগুলো (ফাইল/ফোল্ডার) ট্রান্সফার করতে হলে কম্পিউটারে ডাউনলোড করে আপলোড করতে হয়। যদি ডাউনলোড না করেই সার্ভার টু সার্ভার ট্রান্সফার করা যায় তাহলে কেমন হতো।

এমনই সার্ভার টু সার্ভার তথ্য ট্রান্সফার করার সুবিধা দিচ্ছে মাইব্যাকআপবক্স। এর দ্বারা গুগল ড্রাইভ, স্কাই ড্রাইভ, ড্রপবক্স, বক্স, সুগার সিঙ্ক-সহ মাইএসকিউএল, এফটিপি, এসএফটিপি’র ডাটাগুলো অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা যাবে। ফলে, চাইলে ওয়েবসাইটের ফাইল/ফোল্ডার এবং ডাটাবেজ নিয়মিত ব্যকআপ রাখা যাবে। এজন্য www.mybackupbox.com সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন।

ধাপ ১ : এখন Step 1-এ Click to Connect বাটনে ক্লিক করুন এবং কোন সাইট থেকে তথ্য ট্র্যান্সফার করতে চান, তা নির্বাচন করুন। এরপর Display Name-এ নাম লিখে Add this connector বাটনে ক্লিক করুন এবং ওই সার্ভিসে লগইন করে অথেনটিকেশন দিন।

ধাপ ২ : এবার Step 2-এ Click to Connect বাটনে ক্লিক করুন এবং কোন সাইটে তথ্য ট্র্যান্সফার করে নিতে চান, তা নির্বাচন করুন এবং একইভাবে ওই সার্ভিসে লগইন করে অথেনটিকেশন দিন।

ধাপ ৩ : এরপরে Step 3-এ Transfer now ev Schedule this transfer বাটনে ক্লিক করে ট্র্যান্সফার শেষ করুন। ফ্রি অ্যাকাউন্টে প্রতি বারে ১ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য ট্র্যান্সফার করা যাবে,

মাসে ১০ বার ট্র্যান্সেফার করা যাবে এবং একবারে একটি ট্র্যান্সফার করা যাবে।

4
One in all PC tips / বাড়িয়ে নিন ram এর গতি
« on: February 18, 2020, 12:43:38 PM »
উইন্ডোজ বাবহারের ফলে অনেক নিস্ক্রিয় প্রোগ্রাম ram এ জমা হয়, যা পিসির গতি কমিয়ে দেয়। এ রকম হলে আমরা সাধারণত পিসি রিস্টার্ট করে ram পরিস্কার ছাড়াই ram এ আসার প্রোগ্রামগুলো সরিয়ে নিতে পারেন। এ জন্য ডেস্কটপে ফাকা জায়গায় মাউস রেখে ডান ক্লিক করে New–> shortcut এ যান। এখন যে ফাকা বক্সটি আসবে সেখানে নিচের কোডটি হুবহু লিখুনঃ %windir%\system32\rundll32.exe advapi32.dll.ProcessldleTasks
এবার Next নির্বাচিত করে clear ram নামে নতুন একটি শর্টকার্ট আইকন এসেছে। লক্ষ্য করুন, ডেস্কটপে নতুন আইকন এসেছে। এই আইকনটিতে দুই ক্লিক দিলেই ram এ আসার প্রোগ্রাম দূর হয়ে যাবে।

5
বিভিন্ন মিউজিক অ্যাপে গান চালিয়ে ফোনের স্ক্রিন অফ করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মিউজিক প্লেয়ার অ্যাপেও এভাবে গান শোনা যায়। অথবা, অ্যাপটি মিনিমাইজ করেও অন্য অ্যাপ খোলা যায়। কিন্তু ইউটিউবে ভিডিও চলাকালীন গান শোনা গেলেও ফোনের স্ক্রিন অফ করলে বন্ধ হয়ে যায় গান। তাছাড়াও অন্য অ্যাপ খোলার জন্য ইউটিউব থেকে বের হলেও বন্ধ হয়ে যায় গান। ইউটিউব মিউজিকে ব্যাকগ্রাউন্ডে গান শোনা গেলেও কেবল ট্রায়াল পিরিয়ডেই পাওয়া যায় এই সুবিধা। তারপর টাকা দিয়ে পাওয়া যায় এই সুবিধা। কিন্তু এই পদ্ধতিতে বিনামূল্যেই স্ক্রিন অফ করেও গান শোনা যাবে ইউটিউবে।

১) প্রথমে আপনার ফোনের Google Chrome ব্রাউজার থেকে ইউটিউবে আপনার পছন্দের গানের ভিডিও খুলুন। ২) এ বার ব্রাউজারের ডান দিকের কোণে সেটিংস অপশানে যান। ৩) সেখানে Desktop Mode অপশান চালু করুন। ৪) এরপর নতুন করে লোড হবে ইউটিউবের পেজটি। নতুন করে লোড হওয়ার পরে আপনার ফোনে ডেস্কটপের মতো করে দেখাবে ইউটিউবের পেজটি। ৫) এবার আপনার পছন্দের ভিডিওটি প্লে করুন। ভিডিওটি চলতে শুরু করার পর ফোনের হোম বাটনে টাচ করুন। ৬) হোম টাচ করার সঙ্গে সঙ্গে গান বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তাতে কোনও অসুবিধা নেই। ফোনের নোটিফিকেশন বারটি নামান। সেখানে দেখবেন পজ হয়ে আছে গানটি। এ বার সেখান থেকে প্লে করুন। একই অপশান পেয়ে যাবেন আপনার ফোনের লক স্ক্রিনেও। ৭) এর পরে স্ক্রিন অফ করলেও চলতে থাকবে গান। ফোন পকেটে রেখেই হেডফোনে গান শুনতে পারবেন ইউটিউবে। ডেটা খরচের পরিমাণও হবে কম। এভাবে ইউটিউবে গান শোনাকালীনই ব্যবহার করতে পারবেন ফেসবুক-হোয়াটস্যাপের মতো অ্যাপও।

6
ইন্টারনেট আর স্টোরেজ ছাড়া স্মার্টফোন যেন বাজারের সাধারণ কোনো একটি ফোন। কিন্তু স্মার্টফানে ধীরে ধীরে যখন স্টোরেজ ফুল হয়ে আসে তখন কোন কিছু সেভ করতে গেলে অনেক সমস্যা হয়। ফলে নতুন কিছু ডাউনলোড কিংবা স্টোরে জমা রাখতে গেলে আগের কিছু ডিলিট করতে হয়। এন্ড্রয়েড ফোনের স্টোরেজ সমস্যায় ভোগেন অনেক ইউজার। তবে একটু সতর্ক হলে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যেতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক তেমন কিছু উপায়।

অপ্রয়োজনীয় ডাউনলোড ফাইল ডিলিট: বহু অপ্রয়োজনীয় ফাইল যেগুলো আগে প্রয়োজন ছিল কিন্তু এখন নেই। এমন ডাউনলোড করা অনেক ফাইল আমরা ডিলিট করতে ভুলে যাই। এর ফলে ওই ফাইলগুলো জায়গা নিয়ে বসে থাকে। তাই একদিন সময় করে ডাউনলোড ফোল্ডারে যান। পুরনো অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো সিলেক্ট করে দিন ডিলিট করে দিন।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট: অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে আমাদের সবার ফোনেই কম বেশি এমন অনেক অ্যাপ আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকে, যা আদৌ আমাদের প্রয়োজন হয় না বা প্রয়োজন হলেও তার খুব বেশি ব্যবহার করা হয় না। বিশেষ করে নতুন ফোন কেনার সময় এমন অনেক অ্যাপ ইনস্টল করা থাকে যা একজন সাধারণ ব্যবহারকারী কখনও ব্যবহারই করেন না। ফোনেও যদি এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অ্যাপ থাকে তাহলে এখনই উচিৎ সেগুলিকে আনইনস্টল করে ফেলা। যদিওবা পরবর্তীতে কখনও সেগুলির প্রয়োজন হয় তাহলে অ্যাপগুলো আবার ডাউনলোড করে নেওয়া সম্ভব।

লাইট অ্যাপ ব্যবহার করুন: ফেসবুক, মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপগুলোর কিন্তু লাইট ভার্সন রয়েছে। যা আপনার স্মার্টফোনের স্টোরেজে কম জায়গা নেবে। এসডি কার্ডে অ্যাপ ইনস্টল: সবসময় স্মার্টফোনের ওএস-এর ওপর চাপ কমাতে কিছু অ্যাপ মাইক্রো এসডি কার্ডে পাঠিয়ে দিন। এতে জায়গাও বাঁচবে এবং স্মার্টফোনটি দ্রুত কাজ করবে।

গুগল ফটোস: সাধারণ গ্যালারি স্টোরেজ না বাড়িয়ে গুগল ফটোসে ফটো ব্যাকআপ করাই যেতে পারে। এর মাধ্যমে যখন ইচ্ছা ফটো দেখতেও পারবেন পাশাপাশি এডিটও করতে পারবেন। বাড়তি পাওনা গ্যালারি স্টোরেজ কমবে।

ক্যাশ ও ডেটা ক্লিয়ার: ফোনের অ্যাপ ম্যানেজারে যান। সেখানে গিয়ে অ্যাপগুলো সিলেক্ট করুন। তারপর তার ডেটা ও ক্যাশ ডিলিট করুন। এতে পুরনো অ্যাপ মুছে গেলেও একসঙ্গে অনেক জিবি বেঁচে যায়। তবে মনে রাখবেন, অ্যাপ ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাশে বাড়বে এবং আপডেটের সঙ্গে সঙ্গে ডেটা সাইজ বাড়বে।

ইনস্টলকৃত অ্যাপ কার্ডে মুভ করুন: এ বিষয়টি হয়তো কারো অজানা নয় যে আমরা যখন প্রাথমিকভাবে প্লে স্টোর থেকে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করি, তখন সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজে ইনস্টল হয় এবং সেখানেই অ্যাপটি রান করার জন্য যত প্রয়োজনীয় ফাইল রয়েছে সেগুলি জমা হতে থাকে। যার ফলে ফোনের মেমোরী পূর্ণ হতে থাকে। প্রাথমিকভাবে যদিও বা অ্যাপগুলি ইন্টারনাল মেমোরিতে স্পেস দখল করে থাকে কিন্তু পরবর্তীতে অবশ্যই আপনার সেটিকে এসডি কার্ডে মুভ করে নিতে হবে। তা হলে ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজে চাপ কমবে।

7
কিছুদিন ব্যবহার করার পর নতুন স্মার্টফোনেরও গতি কমতে থাকে। তবে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে রোধ করা যায় এই গতি হ্রাস। জানাচ্ছেন রিয়াদ আরিফিন

স্মার্টফোন কেনার সময় করণীয়

স্মার্টফোন কেনার সময় নিজের কাজের ধরন বুঝে প্রয়োজনমাফিক কনফিগারেশনের স্মার্টফোন নির্বাচন করতে হবে। যাঁরা স্মার্টফোনে খুব ভারী মানের কাজ করেন কিংবা হাই-গ্রাফিকস গেম খেলতে চান, তাঁদের অবশ্যই ভালো মানের প্রসেসর ও বেশি র‌্যাম-সংবলিত ফোন কেনা উচিত। বাজারে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৮ গিগাবাইট পর্যন্ত র‌্যামের স্মার্টফোন পাওয়া যায়। তবে চলনসই পারফরম্যান্স পেতে অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ২ গিগাবাইট র‌্যামের নিচে স্মার্টফোন এড়িয়ে চলাই ভালো। আবার যাঁরা স্মার্টফোন দিয়ে ফটোগ্রাফি করতে চান, তাঁদের ফোন কিনতে হবে ভালো মানের ক্যামেরা দেখে। এ ছাড়া ভালো ব্যাকআপ পেতে কেনার আগে অবশ্যই ভালো সক্ষমতার ব্যাটারির বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে।

অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে করণীয়

অনেক ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয় অনেক অ্যাপই ফোনে ইনস্টল করে থাকি। মাত্রাতিরিক্ত অ্যাপ ইনস্টল করার ফলে স্মার্টফোনের গতি কমে যেতে পারে। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ইনস্টল করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ কাজ শেষে ফোন থেকে আন-ইনস্টল করে ফেলতে হবে। এ ছাড়া অ্যাপ ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে সব সময় অনুমোদিত প্ল্যাটফর্ম (গুগল প্লেস্টোর, অ্যাপলের অ্যাপস্টোর) ব্যবহার করতে হবে।

ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ ও ডাটা

স্মার্টফোনে এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো আমরা না চাইলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। এসব ফোনের র‌্যাম ব্যবহার করে এবং ফোনের গতি কমিয়ে দেয়। তাই এ ধরনের থার্ড পার্টি অ্যাপ থেকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে ফোনের সেটিংস থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস সীমাবদ্ধ করে দেওয়া যেতে পারে।

ফোনের স্টোরেজ ফাঁকা রাখা

স্মার্টফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ যতটা সম্ভব ফাঁকা রাখার চেষ্টা করতে হবে। স্টোরেজ ভরে গেলে তা ফোনের গতি কমের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া ব্রাউজার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও চ্যাটিং অ্যাপসহ অন্য থার্ড পার্টি অ্যাপগুলো অনেক ডাটা ও ক্যাশ ফাইল জমা করে। তাই সময়-সুযোগ পেলেই এই অ্যাপগুলোর জমানো ফাইল মুছে ফেলতে হবে। ফোনের অ্যাপ সেটিংসে অপশনটি পাওয়া যাবে। আর ফোনে অতিরিক্ত মেমোরি কার্ড ব্যবহার করলে তা অবশ্যই ভালো মানের হতে হবে। সস্তা ও মানহীন মেমোরি কার্ড ব্যবহারে ফোনের গতি কমে যায়।

অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপ হালনাগাদ রাখা

স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমকে সর্বশেষ সংস্করণে হালনাগাদ রাখতে হবে। স্মার্টফোন নির্মাতা থেকে প্রাপ্ত নিরাপত্তা আপডেট থেকে শুরু করে অন্য সব ধরনের আপডেট যথাসময়ে ইনস্টল করে নিতে হবে। অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার স্মার্টফোনের গতি হ্রাস হওয়া থেকে বাঁচাবে। এ ছাড়া ফোনে ইনস্টল করা অ্যাপগুলোকেও আপডেট রাখা বাঞ্ছনীয়।

ব্যাটারির যত্ন

ব্যাটারি স্মার্টফোনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ। তবে ব্যাটারির জন্য আলাদা করে যত্ন না নিলে খুব কম সময়েই এটির কার্যক্ষমতা কমে যায়।
►স্মার্টফোনের উজ্জ্বলতা যতটা সম্ভব কমিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
►প্রয়োজন ছাড়া ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই, এনএফসি ইত্যাদি চালু রাখা যাবে না।
►অধিক পরিমাণে ব্যাটারি ব্যবহার করে এমন থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার হতে বিরত থাকতে হবে।
ব্যাটারির চার্জ ৪০% থেকে ৮০%-এর মধ্যবর্তী থাকাকালীন স্মার্টফোন সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেয়। এ ছাড়া একটানা ভারী কাজ কিংবা হাই-গ্রাফিকসের গেম খেলতে স্মার্টফোনের ব্যাটারির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এ ক্ষেত্রে স্মার্টফোনটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম হতে পারে। ফলে স্মার্টফোন ধীরগতির হয়ে যায় বা হ্যাং হয়ে যায়। তাই এ ধরনের কাজের মাঝে বিরতি দিতে হবে।

ফোন খুব বেশি ধীরগতির হলে করণীয়
অনেক সময় ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ কিংবা থার্ড পার্টির অ্যাপের কারণে স্মার্টফোন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ধীরগতির হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ফোনটির ‘ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট’ করার মাধ্যমে গতি আবার বাড়ানো যায়। ফ্যাক্টরি রিসেট করার অপশন ফোনের সেটিংসেই পাওয়া যাবে। এই প্রক্রিয়ায় অবশ্য ফোনে রক্ষিত সব তথ্যই মুছে যায়। তাই এটি করার আগে ফোনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল অন্যত্র কপি করে রাখতে হবে। এ ছাড়া রিসেট দেওয়ার আগে ফোনে লগইন থাকা অ্যাকাউন্টগুলো (গুগল অ্যাকাউন্ট, অ্যাপল আইডি, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি) লগ-আউট করে নিতে হবে।

8
One in all PC tips / ল্যাপটপের আয়ু বাড়ান
« on: February 18, 2020, 12:30:54 PM »
ল্যাপটপ মানেই বড়সড় একটা খরচের প্রশ্ন। সেই খরচের পর যন্ত্রটি আপনি যতটা সম্ভব লম্বা সময় ভালোভাবে ব্যবহার করতে চাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক। এটি চাইলে কী কী করা থেকে বিরত থাকতে হবে, তার একটি তালিকা জেনে নিতে পারেন রিডার্স ডাইজেস্টের প্রতিবেদন থেকে।

ল্যাপটপ ‘লেপের’ ভেতর নয়: ল্যাপটপ দীর্ঘ সময় সমতল বিছানায় রাখা ঠিক নয়। এতে তাপ বের হতে পারে না। কম্পিউটার রিপেয়ার ডিরেক্টর অ্যারশন সুলশার বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, ‘প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের ব্রেন। সত্যিকার অর্থে এটি অনেক অনেক গরম। অধিকাংশ সময় ল্যাপটপের ফ্যান নিচের দিকে থাকে, যেখানে ছোট তাপ নির্গমন ব্যবস্থা কিংবা বাতাস চলাচলের সুযোগ থাকে। সেটি যদি আটকানো থাকে, তবে তাপ বের হতে পারে না। তখন অভ্যন্তরীণ ক্ষতি হতে পারে।’

বন্ধ না করা: প্রতিবার ব্যবহার করার পর ল্যাপটপ টার্নঅফ না করলে ক্ষতি হয়। এতে আপনি আপডেট তো পাবেনই না, যন্ত্রটি নিজেও বিশ্রাম পাবে না। যাদের ল্যাপটপ বিশেষ কারণে সবসময় চালু রাখতে হয়, তারা সপ্তাহে কমপক্ষে একবার শাটডাউন করে নেবেন।

স্ক্রিন ধরে বহন করা: খোলা ল্যাপটপের স্ক্রিন ধরে বহন করা খুব সহজ। এই সহজ কাজটি করতে গিয়ে আপনার ল্যাপটপের ক্ষতি হতে পারে। স্ক্রিনের সঙ্গে অনেক ধাতব পদার্থ থাকে, যেগুলো বেশ শক্ত। কিন্তু বহন কিংবা নাড়াচাড়া করলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অনেক প্রোগ্রাম একসঙ্গে চালু রাখা: এটি করলে ল্যাপটপ স্লো হয়ে যায়। আপনার উইন্ডোজ ল্যাপটপ স্লো হয়ে গেলে Ctrl + Shift + Esc প্রেস করে Task Manager’এ যান। স্টার্ট-আপ ট্যাব থেকে দেখুন কী কী অ্যাপ ওপেন আছে, স্টার্টআপ টাইমের সময় সেটি কীভাবে প্রভাব ফেলছে দেখুন। যেটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে না চান সেটি “Disable” এ ক্লিক করে অফ করে দিন। এর মানে এটা না যে আর কাজ করবে না। এর অর্থ হল প্রোগ্রামটি আপনাকে পরে ম্যানুয়াল ওপেন করে নিতে হবে।

ডেটা না সরানো: অপ্রয়োজনীয় ডেটা কম্পিউটারে রেখে দেওয়া মানে বোকামি। যেটা প্রয়োজন নেই, সেটি ল্যাপটপ থেকে ডিলিট করে দেওয়া ভালো।
অনেক ট্যাব ওপেন রাখা: এক সঙ্গে ৪০-৫০টা লিংকের ট্যাব যাদের খুলে রাখার অভ্যাস, তাদের ল্যাপটপ কম দিন যায়। আপনার প্রসেসর যত লিংকের জন্য কাজ করবে, তত তাকে তাপ উৎপন্ন করে যেতে হয়। এমনটি হলে ল্যাপটপের আয়ু কমে।

9
বিস্ময়কর হলো, এখন আমরা পকেটে করে যে কম্পিউটার নিয়ে ঘুরে রেড়াচ্ছি, ৫০ বছর আগে সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটার এর থেকে কম শক্তিশালী ছিল। আবার সেগুলোর আকারও ছিল একটি বাড়ির সমান। পকেটের মোবাইল থেকেও শক্তিশালী কম্পিউটার রয়েছে, রয়েছে সুপার কম্পিউটার। জটিল ও কঠিন গবেষণা এবং গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহার করা হয় এসব বিশেষ কম্পিউটার। তবে আরও বিস্ময়কর হলো, এমন কিছু গাণিতিক সমস্যা রয়েছে, যেগুলো এই সুপার কম্পিউটার দিয়েও সমাধান সম্ভব হয়নি। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য নানান ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসেছে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ধারণাটি।

জেনে নিন এ সম্পর্কিত ৬ তথ্য:
১. কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ভিত্তি হলো, কোয়ান্টাম মেকানিকস। এটি প্রায় ১০০ বছরেরও আগের, পদার্থবিজ্ঞানের একটি ধারণা। পদার্থের পরমাণু এবং এর থেকেও ক্ষুদ্রতম অংশগুলো নিয়ে কাজ করার সময় বিশেষ বিশেষ আচরণের সন্ধান পাওয়া যায়। যেমন, এই ক্ষুদ্র কণাগুলো একই সঙ্গে একাধিক অবস্থায় থাকতে পারে। কোয়ান্টাম কম্পিউটার পদার্থের এই বিশেষ ধর্মগুলো ব্যবহার করে তৈরির চেষ্টা করা হয়ে থাকে।

২. সম্প্রতি বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক সাময়িকী নেচার-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে গুগল সিকোমোর নামে একটি কোয়ান্টাম প্রসেসর তৈরি করেছে। এটি ব্যবহার করে তারা একটি সমস্যা ২০০ সেকেন্ড সময়ে সমাধান করেছে, যা বর্তমান সময়ের সব থেকে শক্তিশালী কম্পিউটারে সমাধানের চেষ্টা করা হলে ১০ হাজার বছর সময় লাগত। যদিও কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে গবেষণা করছে এমন আরেকটি প্রতিষ্ঠান আইবিএম বলেছে বাস্তবে সুপার কম্পিউটারের এই কাজটি করতে ১০ হাজার বছর নয় বরং আড়াই দিন লাগবে।

৩. বর্তমান সময়ের কম্পিউটারগুলো ০ এবং ১ নির্ভর। কাজ করে দ্বিমিক পাটিগণিতের ধারণার ওপর ভিত্তি করে। আরও সহজ ভাষায় বললে, সাধারণ গণনার জন্য আমরা যেমন ০-৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো ব্যবহার করি, কম্পিউার সেখানে ০ ও ১ ব্যবহার করতে পারে। কম্পিউটারে ২ লিখতে হয় ১০ হিসাবে।

৪. সাধারণ কম্পিউটারের ক্ষুদ্রতম একক হলো বিট, কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ক্ষুদ্রতম হলো, কোয়ান্টাম বিট বা কিউবিট। বিটের ক্ষুদ্রতম মান ০ ও ১ আর কিউবিটের মান ০ এবং ১ এর মধ্যবর্তী যেকোনো সংখ্যা হতে পারে। ফলে একই পরিমাণ স্থানে অনেক বেশি তথ্য সংরক্ষণ ও গণনা করা সম্ভব হবে। যদিও কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির কাজটি খুবই জটিল।

৫. গুগলের তৈরি কোয়ান্টাম কম্পিউটার ঘোষণা দিলেও এটি এখনই কোনো কাজে ব্যবহার করার মতো উপযোগী হয়ে ওঠেনি। সেই পর্যায়ে যেতে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। আর এই গবেষণা যে শুধু গুগল একাই করছে এমন নয় বরং মাইক্রোসফট, আইবিএম, ইন্টেল, রিগেটি, সাইকোয়ান্টাম, আর আয়নকিউর মতো আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

৬. কোয়ান্টাম কম্পিউটার সফলভাবে তৈরি হয়ে গেলেই কিন্তু বর্তমান সময়ের কম্পিউটারগুলো বাতিল হয়ে যাবে বা কেউ আর ব্যবহার করবে না এমন নয়। এটি ব্যবহার করা হবে নতুন ধরনের গবেষণা ও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে। যেমন, এখন সুপার কম্পিউটারগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে এবং অন্যান্য নানান ধরনের কম্পিউটারও একইভাবে চালু আছে।

10
গুগলের এআই কোয়ান্টাম দল কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে। গুগলের সিকামোর প্রসেসর সাড়ে তিন মিনিট সময়ে এমন এক হিসাব করতে সক্ষম হয়েছে, যা প্রচলিত সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটারের করতে লাগে ১০ হাজার বছর। যদিও এটা নিয়ে খানিক তর্কবির্তক রয়েছে, তবে বলা হচ্ছে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বদলে দিচ্ছে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি দুনিয়া। কিভাবে? সেটাই জানাচ্ছেন এস এম তাহমিদ
যেভাবে একদিন কম্পিউটার বা ইলেকট্রনিক প্রসেসর আমাদের সভ্যতাই বদলে দিয়েছিল, সেভাবে আবারও প্রযুক্তি দুনিয়া ও মানবজাতির ভবিষ্যৎ বদলে দিতে আসছে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং। সেটি কিভাবে কাজ করে সেটা বুঝে ওঠা খুবই দুষ্কর; কিন্তু তা কিভাবে সব বদলে দেবে তা আন্দাজ করা খুব কঠিনও নয়।

কম্পিউটিংয়ের কারবার
কম্পিউটার মানেই কিন্তু সিলিকন প্রসেসর, র‌্যাম এবং অন্যান্য হার্ডওয়্যার নয়। তথ্যের ওপর নানা অপারেশন চালিয়ে নতুন তথ্য তৈরি করাকেই বলা হয়ে থাকে ‘কম্পিউটিং’। যেমন-একাধিক তথ্য একত্র করা বা তথ্যের মধ্যে মিল বা তফাত খুঁজে বের করা এবং অপারেশনের ফলাফল ব্যবহারকারীকে জানাতে বা আউটপুট করতে পারে, সেটাই হচ্ছে কম্পিউটার। এই মডেলটি প্রথম তৈরি করেন অয়ালান টুরিং, যার নামে এ ধরনের মেশিনকে ‘টুরিং মেশিন’ও বলা হয়ে থাকে। বাস্তবিক কম্পিউটার অবশ্য পুরোপুরি টুরিং মেশিন নয়। কারণ টুরিং মেশিনের কোনো তথ্য ইনপুট ও অপারেশনগত সীমাবদ্ধতা নেই; কিন্তু বাস্তব যন্ত্রে তা রয়েছে।
বর্তমান সময়ে তথ্য বাইনারি সংখ্যায় পরিণত করে তা কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে থাকি। কম্পিউটারে থাকা র‌্যামের ট্রানজিস্টরগুলো অন বা অফ, দুটি অবস্থানে থাকতে পারে। অন ট্রানজিস্টরগুলোকে ধরা হয় বাইনারি ১, আর অফগুলোকে বাইনারি ০। র‌্যামের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকে প্রসেসর, যার মধ্যে একই সঙ্গে প্রবেশ করানো হয় তথ্য এবং তথ্যগুলো নিয়ে কী করা হবে সে অপারেশন অ্যালগরিদম। প্রসেসরের আউটপুটে প্রসেস করা তথ্য বেরিয়ে এসে আবারও র‌্যামে জমা হয়। প্রসেসর কী কী অপারেশন করতে পারবে সেটা তার ইনস্ট্রাকশন সেটের ওপর নির্ভর করে, আর সেগুলো ব্যবহার করেই তৈরি হয় একটি অ্যালগরিদম। খুবই সংক্ষেপ এবং সহজ ভাষায় কম্পিউটারের কাজ মূলত এটাই।

বাইনারি সিলিকন কম্পিউটারের সীমাবদ্ধতা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং
বর্তমান কম্পিউটারগুলোর গতি হার্জে কিংবা মিপসেও মাপা হয়। একটি প্রসেসর প্রতি সেকেন্ডে কয়টি অপারেশন করতে পারে, তারই একক এটি। অর্থাৎ কোনো জটিল প্রসেস যদি করতে হয়, তাহলে প্রগ্রামারদের সেটি ভেঙে ছোট ছোট ধাপ বা অপারেশনে পরিণত করে তারপর সেগুলো একত্র করে একটি চেইন বা অ্যালগরিদমে পরিণত করতে হয়। এ ছাড়া স্টোরেজ থেকে তথ্য র‌্যামে রেখে তারপর সেটি অল্প অল্প করে প্রসেসরের ক্যাশে নিয়ে তার ওপর অপারেশন করে সেটি আবারও র‌্যামে নিয়ে আসা লাগে। পুরো সিস্টেম সেকেন্ডে যত অপারেশন (তথ্য সাপ্লাই থেকে আউটপুট পর্যন্ত) করতে পারে, সেটাই তার গতি।
কোয়ান্টাম কম্পিউটার এমন নয়। কিছু বিশেষ বস্তুর কোয়ান্টাম অবস্থানের মাধ্যমে তথ্য সেখানে সংরক্ষণ করা হয়, সেটি বাইনারি হতে হবে তারও কথা নেই। কোয়ান্টাম অবস্থানের সুপারপজিশনের মাধ্যমে তথ্যের একক মাপা হয়, আবার সুপারপজিশন বদলের মাধ্যমে করা হয় তার প্রসেস। আর একেকটি তথ্যের ইউনিটকে বলা হয় ‘কিউবিট’। এই কিউবিট এক ধাক্কায় একাধিক বাইটের সমান তথ্য রাখতে পারে, করতে পারে একাধিক অপারেশন। এখানে প্রয়োজন নেই তথ্য একখানে রেখে তা আরেকখানে নিয়ে গিয়ে প্রসেস করার। কিউবিটগুলো একই সঙ্গে র‌্যাম, প্রসেসর ও আউটপুট। আর একেকটি কিউবিট একাধিক সিলিকন কম্পিউটারের সমান কাজ করতে পারে এক অপারেশনেই। ফলে এই প্রযুক্তির কম্পিউটার শুরু থেকেই সিলিকন কম্পিউটারের চেয়ে শত শত গুণ দ্রুত কাজ করতে সক্ষম।

কোয়ান্টাম কম্পিউটারের সীমাবদ্ধতা
কোয়ান্টাম দুনিয়া আমাদের চেনাজানা দুনিয়ার মতো কাজ করে না। সেটা কী রকম, তার আলোচনা এ পরিসরে সম্ভব নয়। তাই শুধু মনে রাখতে হবে, আমরা সরাসরি কিউবিটগুলো তৈরি করতে এবং সরাসরি রিড-রাইটও করতে পারি না। এমনকি তথ্য ও অ্যালগরিদম প্রবেশ এবং আউটপুটও সরাসরি দেখা যায় না। ফলে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি ও ব্যবহার এখনো কষ্টসাধ্য। এর ওপর আছে কোয়ান্টাম ফিজিকসের সীমাবদ্ধতা। যার ফলে সব ধরনের প্রসেসিং কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মাধ্যমে করাও সম্ভব নয়। এখনো পর্যন্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোয়ান্টাম কম্পিউটার শুধু বিশেষায়িত কিছু অঙ্কের সমস্যা সমাধান ছাড়া আর কোনো কাজেই সিলিকন কম্পিউটারকে টেক্কা দিতে পারবে না।

কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি
বর্তমানে প্রতিটি ব্যাংক, সামরিক বাহিনী থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং স্মার্টফোন প্ল্যাটফর্ম-সবাই তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহার করে আসছে ক্রিপ্টোগ্রাফি। এই বিশেষায়িত অ্যালগরিদমগুলো তথ্য নিয়ে সেগুলোকে একটি পাসওয়ার্ড বা কি ব্যবহার করে তালাবদ্ধ করে দেয়। ফলে ব্যবহারকারী ছাড়া আর কেউ সেগুলো পড়তে বা ব্যবহার করতে পারে না। পাসওয়ার্ড কতটা জটিল ও লম্বা, কী ধরনের এনক্রিপশন অ্যালগরিদম ব্যবহৃত হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করেই বলা যায়, সে তথ্য কতটা নিরাপদ। যদি না এনক্রিপশন কি বা পাসওয়ার্ড কেউ চুরি করতে পারে, তাহলে তথ্য হাতিয়ে নিলেও লাভ নেই। অনেকটা তালাবদ্ধ সিন্দুক চুরির মতো।
তালা-চাবির উপমা ব্যবহার করে অবশ্য কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ক্ষমতা বোঝা কিছুটা সহজ। একটি তালা কেমন দেখতে, তার ভেতরের কলকবজা যদি কারো জানা থাকে, তাহলে চাবি কেমন হতে পারে সেটিও অনুমান করা সম্ভব। ঠিক তেমনই এনক্রিপশন অ্যালগরিদম পরীক্ষা করে তার চাবি কেমন হতে পারে তা আন্দাজ করা যায়। এরপর বাকি রইল যতগুলো কি বা চাবি তৈরি সম্ভব। সেগুলো একে একে পরীক্ষা করে দেখা তালা খোলা বা ডিক্রিপশন করা যায় কি না।
বর্তমানের কম্পিউটারগুলো এভাবে ডিক্রিপশন কি অনুমান করে তথ্য ডিক্রিপ্ট করতে সময় নিয়ে থাকে কয়েক শ থেকে কয়েক হাজার বছর। অতএব বলে দেওয়া যায়, তথ্য আসলে ডিক্রিপ্ট করা অসম্ভব। কারণ কয়েক শতাব্দী ধরে তা নিয়ে পড়ে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু কোয়ান্টাম কম্পিউটার সহজেই এই ডিক্রিপশন কি কয়েক শ সেকেন্ডে বের করে দিতে পারবে।
একটি কাজে সিলিকন কম্পিউটারের চেয়ে কোয়ান্টাম কম্পিউটার যদি এগিয়ে থাকে, আর সে কাজ করতে পারার মতো কোয়ান্টাম কম্পিউটার যদি কারো কাছে থাকে, তাহলে তাকে বলা হয় কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি। সে ব্যক্তি বা সংস্থার কাছে দুনিয়ার সব তালাই অকেজো, কোনো গোপনীয় তথ্যই আর গোপন নয়। আর ঠিক এ কাজটিই করতে পেরেছে বলে সম্প্রতি দাবি করেছে গুগল। যদিও আইবিএম এবং অন্যান্য সংস্থা তাদের দাবি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে সেদিন বেশি দূরে নয়, যখন দুনিয়ার সব ক্রিপ্টোগ্রাফারের আবার নতুন করে গোড়া থেকে সব নিরাপত্তাব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।

ভবিষ্যৎ
শুধু ক্রিপ্টোগ্রাফি নয়, জটিল সব পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং অন্যান্য তথ্যভিত্তিক মডেলগুলো সহজেই কোয়ান্টাম কম্পিউটারে করা যাবে। এর ফলে দুনিয়া এভাবে বদলে যাবে, যা এখনো কল্পনা করা যায় না।
ভ্রূণের ডিএনএ নিয়ে তা পরীক্ষা করে বলে দেওয়া যাবে তার চেহারা কেমন হবে, তার বুদ্ধিবৃত্তি কেমন হবে, মৃত্যুর সম্ভাব্য সময় কখন। বিশাল পরিমাণ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অর্থনীতিবিদরা ১০০ বছরে বিশ্বের অর্থনীতি কিভাবে পরিবর্তন হবে, তা আন্দাজ করতে পারবেন। এমন বিপুল পরিমাণ চিন্তাশক্তিসম্পন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করা যাবে, যা মানুষের সমপর্যায়ের চেতনা হয়তো বহন করতে পারে।
আসলে কোনো কিছুই আপাতত আমরা সঠিকভাবে আন্দাজ করতে পারব না। শুধু এটুকুই বলা যাবে, কোয়ান্টাম যুগ আসছে এবং আমাদের চেনা বিশ্বের অনেক কিছুই বদলে যাবে।

11
সিঙ্গাপুর। বিশ্বের ‘স্মার্টেস্ট সিটি’। সিঙ্গাপুরের এই অবস্থান আনুষ্ঠানিক। হ্যাঁ, সুইস বিজনেস স্কুল আইএমডি এবং সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের প্রকাশকেরা নতুন এক জরিপ-সমীক্ষায় সিঙ্গাপুরকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট সিটি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই সমীক্ষা জরিপ শেষে প্রকাশ করা হয়েছে ‘আইএমডি স্মার্ট সিটি ইনডেক্স’। এই ইনডেক্সে তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন নগরী কী করে গ্রহণ করছে ডিজিটাল টেকনোলজি এবং এর মাধ্যমে সেখানে বসবাসকারী নাগরিকদের জীবন-মান উন্নীত করে চলেছে।

আইএমডি স্মার্ট সিটি ইনডেক্সে সেরা দশ স্মার্ট সিটির মধ্যে আছে : প্রথম সিঙ্গাপুর, দ্বিতীয় জুরিখ, তৃতীয় অসলো, চতুর্থ জেনেভা, পঞ্চম কোপেনহেগেন, ষষ্ঠ অকল্যান্ড, সপ্তম তাইপে সিটি, অষ্টম হেলসিঙ্কি, নবম বিলবাও এবং দশম ডুসেলডর্ফ।

স্মার্ট সিটি আসলে কী?

পাবলিক সেফটি, মোবিলিটি, গভর্ন্যান্স ও হেলথ ইত্যাদি বিষয় পর্যালোচনার পর এই ইনডেক্সে পরিমাপ করা হয় সিটিগুলোতে গ্রিন স্পেস ব্যবস্থাপনা করছে কীভাবে, কী করে উন্নীত করছে বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলো এবং কর্মসংস্থানে প্রবেশের কাজটিকে ডিজিটালাইজ করছে। আর এসব করা হচ্ছে সর্বোপরি নাগরিক সাধারণের নিরাপত্তা বজায় রেখে। স্মার্ট সিটির কোনো সার্বজনীন সংজ্ঞা নেই। এটি একটি ধারণা। আর এই ধারণার উদ্ভব ইন্টারনেট অব থিংসের সূচনার পর। স্মার্ট সিটিগুলোর প্রতিশ্রæতি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শহুরে প্রবিধান ও সেবাসমূহের উন্নয়ন : The smart city movement aims to transform the way we live, move and work.

গড়পড়তা বিশ্বের অন্যান্য সিটির তুলনায় সিঙ্গাপুর তিনটি উপায়ে বেশি স্মার্ট।

এক : উন্নততর নাগরিক স্বাস্থ্য
উন্নততর নাগরিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার অপর অর্থ সুষ্ঠুতর সিটি। একটি সিটির নেতৃত্ব আগামী দিনের স্বাস্থ্যসেবা কীভাবে সাজাবেন, তার ওপর নির্ভর করে নাগরিক সাধারণের ও একই সাথে এই নগরীর সমৃদ্ধি। একটি হেলথকেয়ার ইকোসিস্টেম নিশ্চিত করে লার্নিং ও ইনোভেশন, গড়ে তোলে সমাজ এবং সুযোগ দেয় প্রয়োজনীয় নির্ভরযোগ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা। অধিকন্তু উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নির্ভর করে নগর শাসকেরা স্বাস্থ্যসেবা অকাঠামোকে কতটুকু আন্তরিক ও সহমর্মিতার পরিবেশে পরিচালনা নিশ্চিত করছেন।

সিঙ্গাপুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হচ্ছে ঐবধষঃযপরঃু ঘড়াবহধ গড়ে তোলা। এটি কমিউনিটি-ফোকাসড মাস্টরপ্ল্যান। এই পরিকল্পনার অধীনে পথচারীদের জন্য হাঁটার রাস্তা বা ওয়াকওয়ে, আন্ডারগ্রাউন্ড কার পার্ক ও আউটডোর গ্রিনস্পেসের মতো অবকাঠামো গড়ে তোলা। সেই সাথে নিশ্চিত করা নগরীর রোগীদের জন্য পরিপূরক সেবা, যা রোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর জন্য সহায়ক। সিঙ্গাপুরের নগর-নেতৃত্ব ইতিবাচকভাবে স্বাস্থ্যসেবার এসব বিষয় নিয়ে ভাবেন।

দুই : হাউজিং ডেভেলপমেন্ট বোর্ড
সিঙ্গাপুরের হাউজিং ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (এইচডিবি) সব নাগরিককে সুযোগ দেয় বিনামূল্যে সরকারি বাড়িতে থাকার। অধিকন্তু দেশটির নেতারা ব্যবস্থা করেছেন পাবলিক হাউজিংয়ের। এই বাসাবাড়িগুলো একটি অ্যাপার্টমেন্টের চেয়ে বেশি কিছু। এগুলো বৃহত্তর সমাজ পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এসব বাসাবাড়িতে সমন্বিত করা হয়েছে তিনটি বিষয় : লিভেবিলিটি, সাসটেইনেবিলিটি ও গ্রোথ (বসবাসযোগ্যতা, টেকসই সক্ষমতা ও প্রবৃদ্ধি)। দেশটির ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ বসবাস করে সরকারি বাড়িতে। দেশটির নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ কমিউনিটি জেনারোসিটিই শুধু সমন্বিত করছেন না, বরং সেই সাথে গড়ে তুলছেন পারিবারিক বন্ধন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এখানে অবশ্যই আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যেগুলো ইনক্লুসিভ হাউজিংয়ের জন্য প্রয়োজন : ফিন্যান্সিয়াল প্ল্যানিং, বরাদ্দকরণ ও বীমা। সিঙ্গাপুরে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করায় সিটির নেতারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেন।

তিন : ল্যান্ড ট্র্যানজিট অথরিটি

একটি স্মার্ট সিটিতে এর নাগরিক সাধারণের জীবনমান পরিস্থিতি কেমন, তা নির্ধারণ করার একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে এর পরিবহন ব্যবস্থা। গত নভেম্বরে সিঙ্গাপুর নগরীর ‘ল্যান্ড ট্র্যানজিট অথরিটি’ (এলটিএ) অটোনোমাস ভেহিকলের জন্য সম্প্রসারণ করা হয়েছে একটি পাইলট এরিয়া। এই পাইলট এরিয়ার মধ্যে রয়েছে পুরো পশ্চিম সিঙ্গাপুর। এই নগরীর নেতারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন একটি স্থিতিস্থাপক কর্মীবাহিনী ও নাগরিক সমাজ পেতে হলে মোবিলিটি তথা চলাচল ব্যবস্থাকে অবশ্যই এমনভাবে সাজাতে হবে, যা শুধু ভ্রমণের শেষ মাইলটিকেই অন্তর্ভুক্ত করবে না, বরং এ ব্যবস্থা সুযোগ করে দেবে নগরবাসী সবাইকে তাতে অংশ নেয়ার।

সিঙ্গাপুরে এলটিএ গড়ে তুলছে পরিবহন অবকাঠামোর এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে প্রতিদিনের যাতায়াতকারীরা সমন্বিত হতে পারেন হাঁটা ও সাইকেলে চড়ার মতো সক্রিয় মোবিলিটির সাথে। এর মাধ্যমে একটি স্মার্ট সিটি এর নাগরিকদের সক্ষম করে তোলে ‘মাস র‌্যাপিড ট্র্রান্সপোর্ট’ (এমআরটি)-এর মতো সহজতর ও সহনীয় খরচের পরিবহন ব্যবহার করে সক্রিয় জীবনযাপন করতে। ‘ওয়াক সাইকেল রাইড’ উদ্যোগটি জাতির জন্য উপকার বয়ে আনে বসবাসযোগ্য রিক্রিয়েশন স্পেস বাড়িয়ে তোলায় উৎসাহিত করতে, উন্নত করে টেকসই জ্বালানি পরিস্থিতি ব্যবহার এবং কমিয়ে আনে দূষণ। মোবিলিটির ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ করে সিঙ্গাপুর নগরী নাগরিক সাধারণকে সক্ষম করে তোলে অধিকতর সক্রিয় জীবনযাপনে। নাগরিকেরা সুযোগ পান সস্তায় সহজতর পরিবহন ব্যবহারে।

এসব অনুশীলন দেখিয়ে দেয় কী করে সিটি লিডারেরা কতটুকু করতে পারেন, যখন নেতারা জোর দেন শক্তিশালী শাসন ও নাগরিক সাধারণের কর্মযজ্ঞে মিথস্ক্রিয়া সমন্বিত করা ও অগ্রাধিকারগুলোর প্রতি। যদি এসব নীতিমালা গ্রহণ করা হয় অন্যান্য দেশের প্রেক্ষাপটেও এবং এর সাথে যুক্ত হয় সঠিক পরিমাণের বিনিয়োগ, তবে অতি শিগগিরই আমরা বিশ্বব্যাপী দেখতে পাব আরো স্মার্ট সিটির একটি দীর্ঘ তালিকা। নাগরিকেরা যেভাবে তাদের নিজ নিজ নগরে বসবাস করেন, তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও মোবিলিটিতে রূপান্তর ঘটিয়ে বিশ্বে স্মার্ট সিটির প্রবৃদ্ধি ঘটানো সম্ভব। সোজা কথায় বিশ্বে স্মার্ট সিটির সংখ্যা বাড়িয়ে তোলা যাবে।

স্মার্ট হতে শেখা

চলতি বছরের শরতে ‘দ্য ফোরাম অব ইয়ং গ্লোবাল ইয়ং লিডার্স’ প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছিল এর নিজস্ব ‘এক্সিকিউটিভ এডুকেশন মডেল’ প্রদর্শনের। এদের সদয় সহায়তা জুগিয়েছিল সিঙ্গাপুরের নানইয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এনটিইউ)। স্মার্ট সিটির ধারণার ওপর আলোকপাত করে সেখানে আয়োজন করা হয় বিশেষজ্ঞ-পরিচালিত বেশ কয়েকটি সেমিনার, কর্মশালা ও ৩০ জন ইয়ং গ্লোবাল লিডারের জন্য স্থান পরিদর্শন কর্মসূচি। এটি ছিল একটি কেস স্টাডি হিসেবে তাদের জন্য সিঙ্গাপুর সম্পর্কে জানার একটি অপূর্ব সুযোগ। তারা এর মাধ্যমে জানতে পারেন সিঙ্গাপুর শহুরে উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তি প্রয়োগ করছে। এক সপ্তাহের এই কোর্সের সময় ইয়ং গ্লোবাল লিডারেরা সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন খাতের শহুরে অর্থনীতি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানার সুযোগ পান। জানতে পারেন সিঙ্গাপুরকে আরো এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রের উদ্ভাবন ও আরো নতুন নতুন পদক্ষেপ সম্পর্কে। জানতে পারেন বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পর্কেও। কেমন করে সিঙ্গাপুর নিজেকে আসীন করেছে স্মার্টেস্ট সিটির আসনে, আইনি ও বিধিবিধানিক পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি ফিউচারিস্টিক পলিসি অবলম্বন করে

12
উইন্ডোজ ঘরানার অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে উইন্ডোজ ১০ সম্ভবত বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আস্থাশীল অপারেটিং সিস্টেম। লক্ষণীয়, রেডমন্ড কখনই পুরোপুরি পারফেক্ট অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করতে পারেনি। উইন্ডোজ ১০ উইন্ডোজ ঘরানার সেরা অপারেটিং সিস্টেম হলেও কিছু কিছু ইস্যু আছে, যা সত্যিকার অর্থে বিরক্তিকর; যেমন অপ্রত্যাশিতভাবে রিবুট হওয়াসহ আরো অনেক সমস্যা। এসব সমস্যার কিছু খুব সহজেই সংশোধন করা যায়। এ লেখায় ব্যবহারকারীর উদ্দেশে উইন্ডোজ ১০-এ উদ্ভ‚ত হওয়া বিভিন্ন সমস্যা ও তা ফিক্স করার কৌশল তুলে ধরা হয়েছে, যা ব্যবহারকারীর কমপিউটিং জীবনকে বহুলাংশেই স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলবে।

অটো রিবুট হওয়াকে থামিয়ে দেয়া

উইন্ডোজ ১০ নিয়মিতভাবে আপডেট হয় এবং যতদূর মনে হয় তা কখনই শেষ হওয়ার নয় এবং মোটামুটিভাবে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে যদি না আপনি আপডেট বন্ধ করে রাখেন, যা এক খারাপ অভ্যাস। একটি আপডেটের পর পিসি যদি রিবুট করা না হয়, তাহলে সবচেয়ে খারাপ ব্যাপারটি ঘটতে পারে। আর এ কারণেই উইন্ডোজ ১০ আপডেটের পর নিজেই পিসি রিবুট করে। কিন্তু এতে ওপেন অ্যাপের ডাটা হারানোর এক ভালো কারণ হতে পারে।

উইন্ডোজ ১০-এ সম্পৃক্ত করা হয়েছে অ্যাক্টিভ আওয়ার (অপঃরাব ঐড়ঁৎং) নামে এক ফিচার যার সুবিধা নিতে পারেন। এ ফিচার পিসি রিবুট করার জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেয়ার সুযোগ দেয়। বিস্ময়করভাবে, উইন্ডোজ ১০-এর মে ২০১৯ আপডেট (ভার্সন ১৯০৩) দিয়ে শুরু করে মাইক্রোসফট এই আপডেটগুলো ব্যবহারকারীর উপর চাপিয়ে দেয়নি। স্বয়ংক্রিয়ভাবে বড় ধরনের ফিচার আপডেট করার পরিবর্তে উইন্ডোজ আপডেট সেটিংয়ে এর বিকল্প দেখতে পাবেন আপনি আপনার অবসর সময়ে আপডেট ডাউনলোড এবং ইনস্টল করার জন্য।

ইউজার অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রণ করা

উইন্ডোজ ভিস্তার পর ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার জন্য রয়েছে ইউজার অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোল (UAC) ফিচার, যাতে তারা প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার প্রোগ্রামগুলোতে দ্রুতগতিতে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অধিকার সরবরাহ করতে পারে বিশেষত সফটওয়্যার ইনস্টল অথবা আনইনস্টল করার সময়। পুরনো দিনে যখনই কোনো কিছু ইনস্টল করা হতো তখন হঠাৎ করে স্ক্রিন মলিন হয়ে পড়ত এবং সব কিছু সাময়িকভাবে থেমে যায় বলে মনে হতো। উইন্ডোজে এখনো ইউজার অ্যাকাউন্ট ফিচার বিদ্যমান এবং এখনো ডেস্কটপকে মলিন করে। তবে এ ফিচার বন্ধ রাখার অপশন আছে। ইচ্ছে করলে তা ব্যবহার করতে পারেন অথবা ন্যূনতম স্ক্রিনকে মলিন হওয়া থেকে প্রতিহত করতে পারবেন।

উইন্ডোজ ১০-এ Change User Account Control Settings স্ক্রিন পাওয়ার জন্য সার্চ বক্সে টঅঈ টাইপ করুন। এ স্ক্রিন নিরাপত্তার চারটি লেভেলসহ একটি স্লাইডার উপস্থাপন করে। এগুলো হলো নেভার নোটিফাই (খারাপ) থেকে শুরু করে অলওয়েজ নোটিফাই (বিরক্তিকর সতর্কবার্তা দেয় যখন কোনো কিছু পরিবর্তন করা হয়) পর্যন্ত সব। এখান থেকে মাঝের অর্থাৎ নিচ থেকে দ্বিতীয় অপশন ভীতিকর মলিন কৌশল ছাড়াই আপনাকে নোটিফাই করবে। যখন কোনো কিছু ইনস্টল করতে যাবেন তখন ুবং/হড় অপশন সংবলিত একটি ডায়ালগ বক্স পাবেন।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট করা

কমপিউটিং বিশ্বের বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই জানেন না উইন্ডোজ ১০-এ সম্পৃক্ত করা হয়েছে এৎড়ড়াব গঁংরপ নামে এক প্রোগ্রাম আছে। কমপিউটিং বিশ্বে অন্যান্য সার্ভিস ইতোমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তাই উইন্ডোজ ১০-এর এৎড়ড়াব গঁংরপ প্রোগ্রাম ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন না। আমাদের ভাগ্য ভালো যে, কিছু প্রি-ইনস্টল উইন্ডোজ অ্যাপ নিরাপদে ডিলিট করা যায়।
এ জন্য Settings ® Apps ® Apps & Features-এ নেভিগেট করে মেইল, ক্যালেন্ডার, গ্রুভ মিউজিক, ওয়েদার এবং ম্যাপস ইত্যাদি প্রোগ্রাম থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।
যদি আনইনস্টল অপশন ধূসর হয়ে যায়, তাহলে উঙঝ রুট ধরে এগিয়ে যেতে পারেন। এ কাজটি একটু জটিল ধরনের। সুতরাং আপনি যা করছেন সে সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে নিন।
উইন্ডোজ সার্চ বক্সে চড়বিৎ ঝযবষষ টাইপ করুন, যখন এটি দেখতে পাবেন। এতে ডান ক্লিক করে Run as Administrator হিসেবে চালু করুন।
এবার কোট ছাড়া Get-Appx Package–AllU seers টাইপ করুন। এর ফলে আপনার সিস্টেমে ইনস্টল করা সব উপাদানের এক বিশাল লিস্ট পাবেন, যেগুলো এসেছে মাইক্রোসফটের স্টোর থেকে। এছাড়া অন্যান্য কিছু উপাদানও আবির্ভূত হবে।

এ লিস্ট থেকে ওইসব অ্যাপ খুঁজে পাওয়া কঠিন হলেও অন্তত একটি অ্যাপ স্পষ্টভাবে রিড করা যায়। আর সেটি হলো Microsoft. Zone Music, যা আসলে গ্রুভ মিউজিক। এবার Package Full Name লাইনের পাশে যা কিছু আছে কপি করুন।
এবার নিচে বর্ণিত কমান্ডটি টাইপ করুন “Remove-Appx Package Microsoft.ZuneMusic_10.16122.10271.0_x64__8weïb3d8bbwe”
এবার চেপে কমান্ডটি কার্যকর করুন। এরপর যদি কোনো এরর মেমেজ আবির্ভূত না হয়, তাহলে ধরে নিতে পারেন সিস্টেম থেকে গ্রুভ মিউজিক দূর হয়ে গেছে। অন্যান্য অ্যাপে এটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।

একটি লোকাল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করুন

মাইক্রোসফট সত্যিই চায় আপনি মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্টসহ উইন্ডোজ ১০-এ সাইন ইন করবেন। এটি মাইক্রোসফটের সব কিছুর সাথে যুক্ত। হতে পারে এটি আপনার এক্সবক্স, অফিস ৩৬৫ অথবা ওয়ান ড্রাইভ অ্যাকাউন্ট, উইন্ডোজ স্টোর থেকে কেনা অ্যাপস অথবা মিউজিক অথবা ভিডিও, এমনকি স্কাইপেতে কথা বলাসহ আরো অনেক কিছু। যখন উইন্ডোজ সেটআপ করবেন, তখন মাইক্রোসফট ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সাইন ইন করতে বলবে।

সেটআপের সময় ঝশরঢ় ঃযরং ংঃবঢ়-এ ক্লিক করুন। আপনি যদি ইতোমধ্যেই মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করে থাকেন, তাহলে ঝবঃঃরহমং ® অপপড়ঁহঃং ® ণড়ঁৎ রহভড়-এ অ্যাক্সেস করুন। এরপর ঝরমহ রহ রিঃয ধ ষড়পধষ ধপপড়ঁহঃ রহংঃবধফ-এ ক্লিক করুন। এবার একটি লোকাল অ্যাকাউন্ট নেম এবং একটি নতুন পাসওয়ার্ড এন্টার করুন।
এর নেতিবাচক দিক হলো আপনাকে প্রতিবার মাইক্রোসফটে লগইন করতে হবে যখন কোনো সার্ভিস বা সাইটের জন্য মাইক্রোসফটের প্রশংসাপত্রের দরকার হবে। আপনি যদি কোনো মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট দিয়ে উইন্ডোজে লগইন করেন, তখন এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাইন ইন করবে না।

পাসওয়ার্ড নয় বরং পিন ব্যবহার করুন

যদি মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, কিন্তু অপছন্দ করেন সুদৃঢ় পাসওয়ার্ড টাইপ করতে, তাহলে এটিকে সংক্ষিপ্ত পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বারে (PIN) রিসেট করুন, যা শুধু পিসিতে ব্যবহার হয়। চওঘ হলো শুধু সংখ্যা, এতে কোনো মিক্সড কেস লেটার অথবা বিশেষ ক্যারেক্টার নেই, তারপরও খুব সুরক্ষিত মনে হয় না। কেননা এটি শুধু পিসির জন্য। আশা করা যায়, আপনিই একমাত্র ব্যবহারকারী এবং এটি অন্য কোথাও আপনার মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্টের সাথে আপস করে না। এছাড়া পিন যত খুশি তত ডিজিটের হতে পারে।

এবার Settings ® Accounts ® Sign-in options-এ অ্যাক্সেস করুন এবং চওঘ-এর অন্তর্গত অফফ ক্লিক করুন। এবার আপনার কাক্সিক্ষত পিন এন্টার করে পিসি রিস্টার্ট করে দেখুন। যদি ইতোমধ্যে পিন পেয়ে থাকেন, তাহলে এটি পরিবর্তন করার অপশন দেখতে পাবেন। এটি অপসারণ করুন অথবা এটি রিকোভার করার জন্য “I forgot my PIN”-এ ক্লিক করুন।

পাসওয়ার্ড লগইন এড়িয়ে যাওয়া

আপনি কী আপনার পিসির একমাত্র ব্যবহারকারী? যদি তাই হয়, তাহলে আপনি সম্ভবত পাসওয়ার্ড লগইন স্ক্রিন এড়িয়ে যেতে পারেন, যা প্রতিবার রিবুট করার পর আবির্ভূত হয় অথবা কখনো কখনো স্ক্রিনসেভার থেকে ফিরে আসার পরও আবির্ভূত হয়।

এ কাজ করার জন্য সার্চবারে টাইপ করে ইউজার অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোল প্যানেলে অ্যাক্সেস করুন। এবার অ্যাকাউন্ট সিলেক্ট করে “Users must enter a username and password to use this computer” অপশনের পাশে বক্স আনচেক করুন। এর ফলে একটি কনফারমেশন বক্স আবির্ভূত হবে, যা আপনাকে পাসওয়ার্ড এন্টার করার জন্য বলবে। এবার পরপর দুবার ঙক করুন। এরপর পিসি রিবুট করলে ডেস্কটপে পাসওয়ার্ডের জন্য রিকোয়েস্ট না করেই রান করবে। যদি পিসি শেয়ার্ড হয়, তাহলে এ কাজ না করা উচিত। লক্ষণীয়, যদি দূর থেকে পিসিতে লগইন করে থাকেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হবে অথবা টাইমভিউয়ার ব্যবহার করতে পারেন।

রিসেটের পরিবর্তে রিফ্রেশ করুন

উইন্ডোজ ১০-এ সম্পৃক্ত করা হয়েছে এক চমৎকার ফিচার, যা আপনার কমপিউটারে অপরিহার্যভাবে উইন্ডোজ ১০ রিইনস্টল করে এবং কমপিউটারকে একেবারে নতুনের মতো করে দেয় কোনো রকম ডাটা ডিলিট না করে। অবশ্য আপনাকে সফটওয়্যার এবং ড্রাইভার রিইনস্টল করতে হবে। যখন আপনার পিসি রিপেয়ারের বাইরে চলে যাবে, তখন এতে অ্যাক্সেস করুন Settings ® Update & Security ® Recovery-এ ক্লিক করে। এবার Reset this PC-এর অন্তর্গত Get Started-এ ক্লিক করুন। এরপর সেটিংস যেমন “কববঢ় গু ঋরষবং” অথবা “Remove Everything” বেছে নিন। এজন্য আলাদা কোনো মিডিয়ার দরকার হয় না যেমন একটি ডিস্কে অথবা ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভে উইন্ডোজ ১০-এর কপি।
কখনো কখনো উইন্ডোজের দরকার শুধু একটি রিসেটের, যা সফটওয়ার এবং ড্রাইভার সমূলে উৎপাটন করে না। এ কাজটি করা সহজ, তবে এর জন্য দরকার হয় আলাদা মিডিয়াতে উইন্ডোজ ১০-এর একটি কপি। এটি রান করুন এবং ওঝঙ সমন্বিত ফাইল ইনস্টল করুন ৪ জিবি অথবা তদুর্ধ ধারণক্ষমতার ইউএসবি ড্রাইভে, যাতে এই রিসেট বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে ব্যবহার করা করা যায়। অথবা শুধু ভার্চ্যুয়াল ড্রাইভ হিসেবে এটি উইন্ডোজ ১০-এ মাউন্ট করতে পারবেন।

13
Research / Re: How Higher Education Can Close America’s Skills Gap
« on: October 18, 2018, 02:34:19 PM »
Very informative post.

14
A Good CV/Resume / Re: How to make an effective video CV
« on: October 14, 2018, 02:16:43 PM »
Thank you very much.

15
Faculty Forum / How to join online class in Moodle
« on: July 25, 2018, 12:34:20 PM »
Here you can find how to join online class in moodle.

Pages: [1] 2 3 ... 8