Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - tahmina

Pages: [1] 2 3 ... 5
1
Biochemistry and Molecular Biology / Re: Amino Acids
« on: July 11, 2020, 05:45:13 PM »
Thanks for sharing

2




Tahmina Afroz
Lecturer,
Department of Pharmacy

3
Pharmaceutical Microbiology / Re: How immune system works?
« on: July 04, 2020, 06:49:02 PM »
Thanks for sharing

4
Thanks for sharing

5





Tahmina Afroz
Lecturer
Department of Pharmacy

7
Inorganic Pharmacy / Re: History of atom and atomic structure
« on: July 01, 2020, 03:12:11 PM »
Thanks for sharing

8
Allied Health Science / Re: Prevention and Treatment of Coronavirus
« on: March 16, 2020, 02:43:40 PM »
Thanks Madam

9
চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বকে চোখ রাঙাচ্ছে। শুধু চোখই রাঙাচ্ছে না, অজস্র মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠেছে এই ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে কোভিড-১৯ নামের এ রোগের সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারি বা প্যানডেমিক ঘোষণা করেছে। শঙ্কার দিন গুনতে গুনতে শেষ পর্যন্ত এটি বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে। ছড়িয়ে দিচ্ছে আতঙ্ক। কিন্তু করোনাভাইরাস শুধু নিজেই সংক্রমিত হচ্ছে না বা শুধু আতঙ্ক ছড়াচ্ছে না, এটি গুজবও ছড়াচ্ছে দেদার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে গুজবের হাত–পায়ের প্রয়োজন হয় না। অনেকটা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এটি ছড়িয়ে পড়ে। নিরুপদ্রব কিছু গুজবকে নিরীহ মনে করে হেসে উড়িয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু এই মহা-আপৎকালে কোনো কিছুই কি আসলে হেসে উড়িয়ে দেওয়া যায়? কোনো কিছুকেই কি আদতে ‘ইগনোর’ করা চলে? না, চলে না। চলাটা উচিত নয়। কারণ, এর সঙ্গে মানুষের জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন জড়িত।


যেকোনো দুর্যোগই মানুষের মধ্যে একধরনের অসহায়বোধ জন্ম দেয়। এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। আর এই অসহায়বোধ থেকে মানুষের পক্ষে এমন অনেক কিছুকে আঁকড়ে ধরা সম্ভব, যা হয়তো সে স্বাভাবিক অবস্থায় বিশ্বাসই করত না। আর এই মানসিক অবস্থার সুযোগটিই নেয় আরেক দল মানুষ। মানুষের ভয় ও সংশয়ই তাদের পুঁজি। এই যেমন, ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানাচ্ছে, হিন্দু মহাসভা করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির উদ্দেশে ‘গোমূত্র’ পার্টি আহ্বান করেছে দিল্লিতে। শুধু তা-ই নয়, মহাসভার সভাপতি চক্রপাণি মহারাজের ভাষ্যমতে, জীব হত্যা মহাপাপ, আর এই পাপের কারণেই নতুন এ ভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে। যারা নিরামিষাশী, তাদের নাকি কোনো ভয় নেই। এ নিয়ে দেশটিতে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

এদিক থেকে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। হালে ইউটিউবের কল্যাণে ‘ওয়াজ’ করে জনপ্রিয়তা পাওয়া অনেকেই যে ভুলভাল তথ্য ছড়াচ্ছেন, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করছেন, তা একরকম সবার জানা। করোনাভাইরাস নিয়েও এমন হাস্যকর নানা তথ্য উপস্থাপন করছেন তথাকথিত ‘ওয়াজের’ মাধ্যমে। উদাহরণ দেওয়া যাক। নতুন করোনাভাইরাস চীনে ছড়িয়ে পড়ার খবরের পর বলা হলো, এটা উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচারের ফল। সরাসরি কেউ কেউ একে ‘আল্লাহর গজব’ বলেও আখ্যা দিলেন। অনেকে বিষয়টি হয়তো বিশ্বাসও করল। ফলে কথাটি জনপরিসরে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ জাতি-ধর্মনির্বিশেষে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে এ ধরনের বক্তব্য কিছুটা থিতিয়ে আসে।

এমন নয় যে নতুন এ বৈশ্বিক মহামারির সময়েই শুধু এমন গুজব ছড়াচ্ছে। মহামারি বা রোগ নিয়ে আগেও এমন গুজব ছড়িয়েছে। বরাবরই দেখা গেছে, যেকোনো রোগ বা দুর্যোগের সময় এক দল মানুষ থাকে, যারা দুর্যোগ থেকে বাঁচতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেন, করেন গবেষণা। আবার আরেক দল মানুষ থাকেন, যারা কোনো ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণের পরিবর্তে রোগটিকেই, দুর্যোগটিকেই পাপের ফল হিসেবে দেখাতে তৎপর থাকেন। একসময় শোনা যেত যে ‘যার হয় যক্ষ্মা, তার নাই রক্ষা।’ বলা হতো, পাপের কারণেই যক্ষ্মা হয়। গল্প, উপন্যাস, গাথাসহ নানা মাধ্যমে মহাপাপীদের পরিণতি হিসেবে কুষ্ঠ রোগে ভোগা তো অবধারিতই ছিল।

মধ্যযুগে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্লেগ, যা দ্য গ্রেট প্লেগ নামে পরিচিত, তা নিয়েও ছিল এমন প্রচার। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ প্লেগে বিশ্বের তখনকার জনসংখ্যার একটি বড় অংশই মারা পড়েছিল। শুধু ইউরোপই হারিয়েছিল তার ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ মানুষ। ১৩৪৭ থেকে ১৩৫১ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া এ বৈশ্বিক মহামারি প্রাচীন সিল্ক রোড ধরে ছড়িয়ে পড়েছিল ইউরোপে। ভয়াবহ সংক্রমণ ঘটেছিল লেবানন, সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। তখনকার ধর্মযাজকদের একাংশ একে ‘স্রষ্টার পাঠানো শাস্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। এক ধর্ম আরেক ধর্মকে দোষারোপ করার ঘটনাও দেখা দেয় সে সময়। এমনও ঘটনা ঘটেছিল যে রোগীদের বাঁচাতে চেষ্টা চালানো মুসলিম চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারও করেছিলেন তৎকালীন কিছু ইসলামি চিন্তক। কারণ, এমন চেষ্টা নাকি স্রষ্টার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যায়। কিন্তু আজকের বিজ্ঞান জানিয়ে দিয়েছে যে এসব প্রচারই ছিল তখনকার মানুষের ভয়কে পুঁজি করে চালানো এবং অজ্ঞানতাপ্রসূত এক মহামিথ্যা।

সর্বশেষ ২০১৪ সালে যখন গিনি থেকে ইবোলাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে, তখনো এমন ভুল ব্যাখ্যা ও গুজবের উদ্ভব হয়েছিল। ইবোলা গিনি থেকে লাইবেরিয়ায় সংক্রমিত হতেই সেখানকার ধর্মীয় নেতারা একে ‘মানুষের অনৈতিক কাজের জন্য ঈশ্বরপ্রদত্ত শাস্তি’ হিসেবে বর্ণনা করতে শুরু করেন। খোদ লাইবেরিয়ান কাউন্সিল অব চার্চেস এমন ঘোষণা দিয়েছিল সে সময়। তারা ইবোলাকে ‘একধরনের প্লেগ’ হিসেবে বর্ণনা করেছিল। তারা এর দাওয়াই হিসেবে টানা তিন দিন ঘরে আবদ্ধ থেকে উপবাস ও প্রার্থনার কথা বলেছিল। কিন্তু সবাই জানে যে ইবোলাভাইরাস কোনো শাস্তি হিসেবে আসেনি। এর বৈশ্বিক মহামারি হওয়া ঠেকিয়েছিল সতর্কতা। পরে এ নিয়ে পরিচালিত গবেষণা মানুষকে এ রোগের চোখে চোখ রাখতে সাহায্য করে। একই কথা কুষ্ঠ, যক্ষ্মা, প্লেগ, সার্স, মার্স—এই সবকিছুর ক্ষেত্রেই সত্য।

এমনকি বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রেও এই ‘পাপ ও পাপের ফল’ তত্ত্বটি হাজির করা হয়। যে যার ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী দুর্যোগের সময় স্রষ্টার শরণ নেবে—এটাই স্বাভাবিক। এতে কোনো সংকট নেই। এই যে বাংলাদেশে বলা হচ্ছে, ‘আতঙ্কিত হবেন না, স্রষ্টার ওপর ভরসা রাখুন’—এটি কিন্তু মানুষকে শান্ত থাকতে সহায়তা করছে, আশ্বস্ত করছে। কিন্তু যখনই কোনো রোগ বা দুর্যোগকে কোনো ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর পাপের ফল হিসেবে বর্ণনা করা হয়, তখনই এক বড় ধরনের সংকটের জন্ম দেওয়া হয়। এ ধরনের প্রচার সংকট সমাধানকে কঠিন করে তোলে দুভাবে। প্রথমত, এমন প্রচারের ফলে সংকট মোকাবিলায় অনুসরণীয় সতর্কতা মেনে না চলতে উৎসাহ দেয় সাধারণ মানুষকে। দ্বিতীয়ত, এটি রোগাক্রান্ত বা দুর্যোগগ্রস্ত মানুষকে সমাজের সামনে ‘অপরাধী বা পাপী’ হিসেবে উপস্থাপন করে। এতে সংকটগ্রস্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী আরেকবার ভিকটিমে পরিণত হয়।

যখনই কোনো রোগকে ‘শাস্তি’ হিসেবে দেখা হয়, তখনই অসুস্থ ব্যক্তিকে ‘অপরাধী’ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়। এটি সমাজে একটি ভয়াবহ ভুল বার্তা দেয়, যা সংকটগ্রস্তকে আরও গভীর সংকটে ফেলে। এটি একই সঙ্গে সংকট মোকাবিলায় যারা সচেষ্ট, তাদের কাজকেও কঠিন করে তোলে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রশাসন বর্তমানে নতুন বৈশ্বিক মহামারি থেকে মানুষকে রক্ষায় কাজ করছে। নানা দেশের বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের পথ বের করতে। চেষ্টা করছেন এর প্রতিষেধক আবিষ্কারের। এই অবস্থায় অজ্ঞতাপ্রসূত নানা ‘পাপতত্ত্ব’, কাল্পনিক দাওয়াই, অন্য গোষ্ঠীর প্রতি ঘৃণা উৎপাদনকারী বক্তব্য ইতিবাচক চেষ্টাগুলোকে কঠিন করে তুলছে। ভয়ানক ভাইরাস কোভিড-১৯ ছড়ানোর এই কালে এ গুজবের সংক্রমণ কিন্তু কম ভয়াবহ নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে এমন গুজব ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা না নিলে বড় বেশি দেরি হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষেরও কর্তব্য কম নয়। প্রতিটি দেশের প্রশাসন সংকট মোকাবিলায় নিয়মিতভাবে বার্তা দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে, যা সময়ের সঙ্গে হালনাগাদ করা হচ্ছে। এগুলোই অনুসরণ করা উচিত। নিজেকে শুধু ভাইরাসটি থেকেই নয়, গুজব থেকেও সুরক্ষিত রাখুন।

https://www.prothomalo.com/opinion/article/1645125

10



 
যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় ১৬ মার্চ থেকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (ট্রায়াল) শুরু হতে যাচ্ছে। দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (এনআইএইচ) তত্ত্বাবধানে ওয়াশিংটনের সিয়াটলের হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটে এক রোগীর ওপর পরীক্ষামূলকভাবে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।

এনআইএইচ ও মডের্না ইনকের যৌথ সহযোগিতায় এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে, যা ৪৫ জন রোগীর ওপর পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করা হবে। ভ্যাকসিনে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না, সেদিকই বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।


বিশ্বের নানা ল্যাবরেটরিতে বেশ কয়েকটি রিসার্চ গ্রুপ কোভিড-১৯-এর জন্য কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করে যাচ্ছে।

কিছু রিসার্চ গ্রুপ সাময়িক (টেম্পোরারি) ভ্যাকসিনের জন্য কাজ করছে, যা স্থায়ী ভ্যাকসিন তৈরির আগে মাস চারেক পর্যন্ত রোগীকে সুস্থ রাখবে।

যুক্তরাষ্ট্রে একটি পরীক্ষামূলক ওষুধের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে।

দুই শীর্ষ মার্কিন চিকিৎসক জানান, একটি পরীক্ষামূলক ওষুধের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়।

মোট ১৫ জন গুরুতর অসুস্থ রোগীর ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে এবং প্রত্যেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানা গেছে।

এই প্রতিষেধকের গবেষণা দলে ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভিস মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জর্জ থম্পসন। করোনায় আক্রান্ত এক মার্কিন নারীর ওপর প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রতিষেধক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। ওই নারীর শরীরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভিস মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জর্জ থম্পসন গত শুক্রবার এক বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, রোগী (নারী) মারা যাবেন। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি। হাসপাতালে ভর্তির ৩৬ ঘণ্টা পর চিকিৎসকেরা তাঁকে রেমডেসিভির দিয়ে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেন। এই ওষুধ “আইভি” বা ইনজেকশনের মাধ্যমে সরাসরি রক্তে প্রবেশ করানো হয়। এটি শরীরে থাকা “আরএনএ পলিমেরাজ” নামের একটি এনজাইম বিকল করে দেয়। অনেক ভাইরাস নিজেদের অনুলিপি তৈরি করতে এই এনজাইম ব্যবহার করে। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকেরা কোনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ছাড়াই এই প্রতিষেধক ব্যবহারের জন্য এফডিএর কাছ থেকে বিশেষ বিবেচনায় ব্যবহারের অনুমতি পেতে সক্ষম হন। “রেমডেসিভির”র ক্ষেত্রে আরও পরীক্ষা করা দরকার।’

সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জর্জ থম্পসন বলেন, ওষুধটির কারণে নির্দিষ্ট কিছু রোগীর লিভারে বিষক্রিয়া হতে পারে। অন্য সংস্থাগুলো আরও কিছু পরীক্ষামূলক ওষুধ নিয়ে এগিয়ে আসছে, যা বেশি কার্যকর হতে পারে।

চিকিৎসক চাইল্ডস ‘রেমডেসিভির’ সম্পর্কে বলেন, ‘ড্রাগের কোনো ক্ষতিকর প্রভাব আছে কি না, তা নির্ধারণ করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে।’

মার্কিন জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটসের তথ্য অনুসারে, ‘রেমডেসিভির’ সুরক্ষা ও কার্যকারিতা মূল্যায়নের জন্য ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কা যুক্তরাষ্ট্রের নির্ধারিত কিছু হাসপাতালে ভর্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের ওপরে নিয়ন্ত্রিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করেছে।

নিউইয়র্ক কার্যত স্বেচ্ছা-অবরুদ্ধ
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের সংখ্যা এর মধ্যে ৬১ ছাড়িয়ে গেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ জনের বেশি লোকের কোনো সমাবেশ না করার নির্দেশনা জারি হয়েছে। নিউইয়র্ক কার্যত স্বেচ্ছা-অবরুদ্ধ নগরীতে পরিণত হয়েছে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বার-রেস্তোরাঁয় যাতায়াত সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কর্মঘণ্টা বাড়িয়ে টানা ১২ ঘণ্টা কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নগরীর হাসপাতালগুলোয় করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আগে যেমনটা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে বেশি লোক এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে এখন বলা হচ্ছে। নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বলেছেন, এমন পরিস্থিতি আগে কখনো দেখা যায়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিমানবন্দরগুলোতে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল স্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

নিউইয়র্কের মেয়র ডি ব্লাজিওর নির্বাহী আদেশে নগরীর হোটেল-রেস্তোরাঁয় সেবা সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। তবে ডেলিভারি সার্ভিস থাকছে।

নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এই অঙ্গরাজ্যে গতকাল রোববার রাত পর্যন্ত ৭২৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে।

নিউইয়র্কের মতো নিউজার্সি ও কানেকটিকাটে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরো শিক্ষাবর্ষে আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।

নিউইয়র্কের কুইন্স ডিসট্রিক্ট বরো প্রেসিডেন্টের বিশেষ নির্বাচন বাতিল করা হয়েছে। এই নির্বাচন ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পাবলিক অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক ও নিউজার্সির কোনো কোনো এলাকায় সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপে নগরীর চেহারা ভুতুড়ে হয়ে উঠেছে। সর্বত্র বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। লোকজন ঘরে বসে খোঁজ নিচ্ছেন একে অপরের। কী হচ্ছে বা কী হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে সবাই জল্পনাকল্পনা করছেন।

মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ রাষ্ট্রীয় সুদের হার শূন্য ঘোষণা করেছে।

গতকাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন দেশের কোথাও ৫০ জনের বেশি লোকের কোনো সমাবেশ না করার নির্দেশনা জারি করেছে। হোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্লাব, বারের সেবা সীমিত করেছে। সতর্ক করে বলা হচ্ছে, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাস পুরোই তাঁর নিয়ন্ত্রণে আছে। তাঁর এই দাবির সমালোচনা করেছে মার্কিন গণমাধ্যম।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেক্সাস ডিজিসের পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফাউসি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘আমরা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছি। আমরা ভয়াবহ এক জটিল সময় পার করছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের সড়ক-মহাসড়ক থেকে নগরকেন্দ্র পর্যন্ত একদম ফাঁকা। আমেরিকার ভয়াবহতম বিপর্যয় ছিল ২০০১ সালে বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা। করোনাভাইরাসের চলমান বিপর্যয়ের কাছে এখন সেই ঘটনাও ম্লান হতে চলছে। পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা কেউ বলতে পারছেন না। কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে কেউ দেখতেও যেতে পারছেন না। হাসপাতালে যাওয়ার পর করোনাভাইরাস ধরা পড়লে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে নেওয়া হচ্ছে।

নিউইয়র্কে একাধিক বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে নিউইয়র্কে সিটিতে স্কুল সোমবার থেকে বন্ধ হবে। কমপক্ষে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। মেয়র বিল ডি ব্লাসিও রোববার এই তথ্য জানিয়েছেন।

মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বলেন, ২০ এপ্রিলের পর স্কুল খোলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে


ইব্রাহীম চৌধুরী, নিউইয়র্ক

11
Allied Health Science / Re: Summer and health
« on: March 15, 2020, 04:55:00 PM »
Thanks for sharing.

12
পৃথিবীর ভয়ংকর ৭ ভাইরাস



সেই আদিকাল থেকে মানুষের জীবনকে বিষিয়ে তুলছে যে ক্ষুদ্র দানব, তার নাম ‘ভাইরাস’। লাতিন শব্দ ‘ভাইরাস’–এর অর্থ ‘বিষ’। আবার মানুষ এই ‘বিষ’কে মানবকল্যাণেও কাজে লাগাচ্ছে ইদানীং। তবে এটা নিশ্চিত যে এই ভয়ংকর ক্ষুদ্র দানবদের পুরোপুরি আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপে বন্দী করতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

অতি ক্ষুদ্র ভাইরাসের আছে ভয়ংকর মারণ ক্ষমতা। শুধু বিশ শতকেই গুটিবসন্ত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে প্রায় ৩০ কোটি মানুষের। প্রথম কে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তা জানা না গেলেও এ পৃথিবীর সর্বশেষ আক্রান্ত ব্যক্তিটি ছিলেন আমাদের বাংলাদেশের রহিমা বানু। বর্তমানে এই দানবটিকে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। আরেকটি বিভীষিকার নাম স্প্যানিশ ফ্লু। ১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সালের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণে প্রাণ হারায় পাঁচ থেকে দশ কোটি মানুষ, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় তিন শতাংশ।


পৃথিবীতে জানা-অজানা বহু ভাইরাস আছে। এর মধ্যে ছয়টি ভাইরাসকে সবচেয়ে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। সে ছয়টি ভাইরাসের সঙ্গে ইদানীং যোগ হয়েছে করোনাভাইরাস।


ইবোলা ভাইরাস
এ পর্যন্ত ঘাতক ভাইরাসের শীর্ষে আছে ইবোলা ভাইরাস। এখন পর্যন্ত এর ছয়টি প্রকরণ শনাক্ত করা গেছে। প্রকরণভেদে ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর হার ২৫ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশের বেশি হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনতে পারলে তাকে বাঁচানো সম্ভব। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রথম দেখা যায় ১৯৭৬ সালে। একই সঙ্গে নাইজার, সুদান, ইয়াম্বুকু ও রিপাবলিকান কঙ্গোতে। ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালে ইবোলা মহামারিতে আফ্রিকার পশ্চিমাংশের দেশগুলোতে ১১ হাজার ৩৩৩ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। ২০১৯ সালে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে ইবোলা ভাইরাসে ২ হাজার ৯০৯ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায় এবং এদের মধ্যে ১ হাজার ৯৫৩ জন প্রাণ হারায়। আজ পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো কার্যকর প্রতিষেধক তৈরি করা যায়নি। ইবোলা ভাইরাস সংক্রামিত মানুষের রক্ত, লালা বা যেকোনো নিঃসৃত রস থেকে কিংবা শরীরের ক্ষতস্থানের মাধ্যমে অপরের শরীরে সংক্রামিত হয়ে থাকে।


রেবিজ ভাইরাস
রেবিজ ভাইরাস নিউরোট্রপিক অর্থাৎ এটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। এ ভাইরাসের সংক্রমণে যে রোগটি হয়, তার নাম জলাতঙ্ক। প্যারিসের পাস্তুর ইনস্টিটিউটের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিবছর পুরো পৃথিবীতে জলাতঙ্কের আক্রমণে প্রাণ হারায় ৫৯ হাজার মানুষ। সংক্রামিত প্রাণীর লালায় রেবিজ বা জলাতঙ্ক রোগের ভাইরাস বিচরণ করে। সেসব প্রাণী মানুষকে কামড়ালে মানুষ সংক্রামিত হয়। কার্যকর ভ্যাকসিন থাকা সত্ত্বেও আক্রান্ত ব্যক্তিকে সময়মতো ভ্যাকসিন না দেওয়ার কারণে জলাতঙ্কের আতঙ্ক থেকে এখনো মুক্ত হওয়া যাচ্ছে না।

ভাইরাসটি সরাসরি মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে এবং এর স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত করে। সময়মতো টিকা না দিতে পারলে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু অবধারিত। মস্তিষ্কে রেবিজ ভাইরাস যখন ছড়িয়ে পড়ে, তখনই রেবিজের লক্ষণগুলো দেখা দিতে থাকে। লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তীব্র খিঁচুনি ও পক্ষাঘাতে রোগীর মৃত্যু হয়।


এইচ৫ এন ১ (H5 N1) রূপান্তরিত এবং মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস
এই ভাইরাসটি মিউট্যান্ট। ডাচ ভাইরোলজিস্ট রন ফুচিয়ে গবেষণাগারে বার্ড ফ্লু ভাইরাসকে রূপান্তরিত করেন। এ ভাইরাসটি মারাত্মক সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং ভীষণ বিপজ্জনক বিধায় ২০১১ সালে আমেরিকান বায়োসফটি এজেন্সি (এনএসএবিবি) এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা ও প্রকাশনার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। গবেষকেরা আশ্বস্ত করেছেন, এই দানব ভাইরাসটির স্থান হয়েছে গবেষণাগারের অত্যন্ত সুরক্ষিত প্রকোষ্ঠে। সেখান থেকে পালানোর কোনো পথ খোলা নেই। এমনিতেই সাধারণ বার্ড ফ্লু ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা ৬০ শতাংশের ওপরে। এরপরও উচ্চ মারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এ ভাইরাসটি নিজে থেকেই ভোল পাল্টাতে অর্থাৎ রূপান্তরিত হতে পারে। সে জন্য এটি নিয়ে বিশেজ্ঞরা বিশেষ বেকায়দায় আছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ২ লাখ ৯০ হাজার থেকে সাড়ে ৬ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য মৌসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা দায়ী। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে এই মৌসুমে তিন কোটির বেশি মানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছে এবং কমপক্ষে ১৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এ ভাইরাসে ফ্রান্সে ২০১৮-২০১৯ মৌসুমে প্রাণ হারিয়েছে ৮ হাজার ১০০ জন।


মারবুর্গ
জার্মানির একটি শহরের নামে এই ফিলোভাইরাসের নামকরণ করা হয়েছে। যদিও এটি ইবোলা ভাইরাসের চেয়ে কম মারাত্মক। তবে এ দুটি ভাইরাসের অনেক মিল আছে। উচ্চ মারণক্ষমতা অর্থাৎ প্রায় ৮০ শতাংশ আক্রান্ত মানুষ এ ভাইরাসে মারা যায়। মারবুর্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পঞ্চম বা সপ্তম দিনে সংক্রামিত ব্যক্তির প্রচণ্ড জ্বর এবং সেই সঙ্গে রক্তবমি, মলের সঙ্গে রক্ত, নাক, দাঁতের মাড়ি এবং যোনিপথে মারাত্মক রক্তক্ষরণ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ অসুস্থতার পরে পুরুষদের মধ্যে অর্কিটিস নামক অণ্ডকোষের প্রদাহও দেখা দিতে পারে। আশার কথা, এ ভাইরাস খুব সহজে সংক্রামিত হয় না। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে খুব বেশি মেলামেশার কারণে তার মল, প্রস্রাব, লালা বা বমির মাধ্যমে মারবুর্গ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে।


ডেঙ্গু
ডেঙ্গুর আরেকটি নাম আছে, তা হলো ‘ট্রপিক্যাল ফ্লু’। এডিস মশার কামড় দ্বারা সংক্রামিত হয় ডেঙ্গু। অন্যান্য ভাইরাসের চেয়ে কম বিপজ্জনক। ডেঙ্গু ভাইরাস সাম্প্রতিককালে ইউরোপেও হানা দিয়েছে। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ১৪১টি দেশে আনুমানিক ৩৯ কোটি ডেঙ্গু সংক্রমণ ঘটে। বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ডেঙ্গু জ্বরে প্রায় পাঁচ লাখ ব্যক্তি মারাত্মক রক্তক্ষরণকারী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং এর মধ্যে প্রাণ হারায় প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ এবং কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।


এইচআইভি বা এইডস ভাইরাস
এই ভাইরাসটি পোষক কোষে আট থেকে দশ বছর পর্যন্ত ঘাপটি মেরে থাকতে পারে। সক্রিয় হয়ে উঠলে পোষক দেহের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিকল করে দিয়ে তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, এইডস মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে সাত কোটি মানুষ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষ এইচআইভিতে মারা গেছে।

১০ মার্চ ২০২০, ব্রিটিশ মেডিকেল বৈজ্ঞানিক জার্নাল The Lancet খবর দিয়েছে, এইডসে আক্রান্ত একজন ব্রিটিশ ব্যক্তির অস্থি–মজ্জা–কোষ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তাকে পুরোপুরি সরিয়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। তিনি হচ্ছেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, যাকে এইডসের কবল থেকে মুক্ত করা গেছে। এইডসের মোকাবিলায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

নভেল করোনা (Covid-19)
ইদানীং যে ভাইরাসটি সারা বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করছে, তা হলো করোনাভাইরাসের একটি প্রকরণ নভেল করোনা (Covid-19)। এ পর্যন্ত যে তথ্য আমাদের হাতে আছে, তাতে দেখা যায়, এ ভাইরাসে আক্রান্ত ১০০ জনে প্রাণ হারিয়েছে ৪ জনের কম ব্যক্তি এবং অর্ধেকের বেশি ইতিমধ্যে সেরে উঠেছে। করোনা নামের ভাইরাসের নতুন রূপটি এখনো পুরোপুরি উন্মোচন করেনি। বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন এর মতিগতি বুঝতে এবং উঠেপড়ে লেগেছেন এর প্রতিষেধক উদ্ভাবনের। এ ব্যাপারে প্যারিসের পাস্তুর ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা অচিরেই বিশ্ববাসীকে সুখবর দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

(তথ্যসূত্র: ব্যানিয়ার্ড এসি ও ট্রুডো এন, ‘রেবিজ প্যাথজেনেসিস অ্যান্ড ইমিনোলজি’, ২০১৮)

লেখক: মইনুল হাসান
অণুজীববিজ্ঞানী এবং ফরাসি বিচার বিভাগে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত।
১৩ মার্চ ২০২০, ০৮:৩০



13
শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনের জন্য এখন নানা ধরনের ডায়েট পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। কেউ মোটা হতে চান, কেউ হতে চান রোগা, আবার কেউ–বা বডি বিল্ডার। প্রত্যেকের জন্যই রয়েছে আলাদা আলাদা ডায়েট পদ্ধতি। এ রকম একটি ডায়েট পরিকল্পনা হলো, হাই প্রোটিন ও লো কার্ব। ওজন কমানো নিয়ে পুরো বিশ্বে হাই প্রোটিন ও লো কার্বোহাইড্রেট থাকা খাবারের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ ছাড়া কী খাবার খাওয়া উচিত এবং কী খাওয়া অনুচিত, সেটা নিয়ে অনেক দ্বন্দ্ব আছে। এটা মনে রাখা প্রয়োজন, সব শরীর এক রকম নয়। তার মানে আপনার শরীরের ধরন হিসাবে তার লক্ষণ আলাদা হবে। তাই ডায়েট করার আগে একজন পরীক্ষিত পুষ্টিবিদের (সার্টিফায়েড নিউট্রিশনিস্ট) পরামর্শ নেওয়া উচিত, যিনি আপনার ডায়েট চার্ট তৈরি করবেন আপনার শরীর বুঝে।

এই ডায়েটে যেভাবে ওজন কমে


এই ডায়েটের পেছনে মূল ভাবনাটি হলো, কার্ব কমানোর মাধ্যমে ইনসুলিন লেভেলও নামতে থাকে। তার ফলে শরীর বেশি করে গ্লুকাগন উৎপন্ন করে, যা জমে থাকা ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে। ফলে খাবার খেয়েও ওজন কমে।

প্রোটিন দরকার কতটুকু?

না জেনে বেশি পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করে লাভ হবে না। জানতে হবে যে কতটুকু প্রোটিন আপনার শরীরের জন্য দরকার এবং বর্তমানে আপনি কী পরিমাণে ভোগ করছেন। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাগ্রিকালচার অনুসারে, ১৯ বছর বয়সের ওপরের ব্যক্তিদের প্রতিদিন নিজের শরীরের প্রতি ১ কেজির জন্য ০.৪ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া উচিত। প্রথমত বিএমআর থেকে প্রতিদিন কত ক্যালোরি প্রয়োজন, তা বের করতে হবে, আর হাই প্রোটিনে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ ক্যালোরি প্রোটিন থেকে গ্রহণ করা যাবে। এর চেয়ে বেশি প্রোটিন গ্রহণ করলে শরীরে কিটোনের মাত্রা কমে যাবে এবং ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যাবে। এতে শরীরে ভারসাম্য কমে যাওয়ার দরুন দুর্বলতা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যেতে পারে।

প্রোটিনসমৃদ্ধ ডায়েটের উপকারিতা

আমাদের অর্গান, টিস্যু, মাংসপেশি ও হরমোন—সব প্রোটিন দিয়ে তৈরি। সব প্রোটিন অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি। ২২টি প্রোটিনের মধ্যে ৯টি অ্যাসেনশিয়াল অ্যামিনো অ্যাসিড, যা আমাদের শরীর নিজে থেকে তৈরি করতে পারে না, ফলে খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের শরীরকে তা দিতে হয়। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের অনেক উপকারিতা আছে, যেমন: শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করা ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

এমন ডায়েটে যেমন খাবার

দুধ, ডিম, মাংস, মাছ—সবকিছুতেই আছে হাই প্রোটিন ও লো কার্ব। মাছের মধ্যে সামুদ্রিক টুনা, স্যামন ও নানা রকম ছোট মাছ কোনোটাই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া চলবে না। মুরগির বুকের মাংসেও মিলবে হাই প্রোটিন। প্রতি সিকি কাপ বাদামে আছে ৯ গ্রাম প্রোটিন আর ৬ গ্রাম কার্ব। কিন্তু যেসব মাংসে মাটন স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, তা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়। মাটন ও চিংড়ি পারলে বাদ দিন।

লো কার্ব ডায়েট মানে কি ভাত বাদ?

বাঙালির ডায়েট চার্ট কি ভাত বাদ দিয়ে করা উচিত? ভাত খাবেন। তবে অল্প পরিমাণে। কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট খাবেন, যাতে ফাইবার বেশি; যেমন: লাল রুটি (ব্রাউন ব্রেড), ওটস, লাল চাল (ব্রাউন রাইস) ইত্যাদি। সন্ধ্যা সাতটার পর কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একদমই খাবেন না। নাশতায় (স্ন্যাক্সে) তো আর মাছ বা মাংস ভালো লাগে না, তখন চাই হালকা কিছু। তাই থাকুক নানা রকম বাদাম, কুমড়া, ফ্লাক্স সিড, সানফ্লাওয়ার সিড। তবে বাদামের পরিমাণ কিন্তু খুব বেশি হবে না এবং বীজও যেন ছোট ছোট হয়, কারণ তাতেও প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। আর চা পানের অভ্যাস থাকলে চিনি ছাড়া গ্রিন টি চলতে পারে।

কিছু হাই প্রোটিন ও লো কার্বোহাইড্রেট থাকা খাবার

দুধ ও দুধের তৈরি খাবার

দুধের পাশাপাশি চিজ, দই, ছানাতেও খুব ভালো প্রোটিন থাকে। বিশেষ করে দই আপনার হজমশক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করে এবং চিজের মধ্যে থাকা ক্যালশিয়াম হাড় ভালো রাখে। ১০০ গ্রাম দইয়ে পাবেন ১০ গ্রাম প্রোটিন। এ ছাড়া দুধে রয়েছে প্রচুর ক্যালশিয়াম। তাই বিশেষ করে নারীদের হাড়ের ক্ষয় রোধ করার জন্য দুধ খাওয়াটা খুব দরকার। আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে একটি ডেইরি প্রোডাক্ট যেন অবশ্যই থাকে।

ওটস

লো কার্বের মধ্যে ওটস বেশ জনপ্রিয়। হাই ফাইবার হওয়াতে অল্প পরিমাণ গ্রহণ করলেও অনেকক্ষণ ক্ষুধা লাগে না। এ ছাড়া ১০০ গ্রাম ওটস থেকে পাওয়া যাবে ১৭ গ্রাম প্রোটিন।


ডিম

প্রোটিনসমৃদ্ধ প্রাতরাশের প্রিয় খাবারের তালিকায় আছে সেদ্ধ ডিম, যাতে কোনো কার্ব থাকে না, তবে প্রায় ১৬ গ্রাম প্রোটিন আছে।


টফু

নিরামিষ যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁদের অন্যতম প্রিয় খাবার টফু। প্রতি ১০০ গ্রাম টফুতে থাকে ৯ গ্রাম প্রোটিন ও শূন্য কার্ব।


মাশরুম

এখনকার দিনে মাশরুম খুবই প্রিয় একটি খাবার। দিনের যেকোনো সময় খাওয়া যায়। মাশরুম প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনসমৃদ্ধ একটি খাবার।

নিজের জন্য ডায়েট তৈরি করতে হলে বিএমআর ও এই ডায়েট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। নইলে হিতে বিপরীত ঘটবে মানে, দুর্বলতাসহ যেকোনো অসুখও দেখা দিতে পারে। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট তৈরি করে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো উপায়।

লেখক: পুষ্টিবিদ
https://www.prothomalo.com/life-style/article/1638142

15
Pharmaceutical Technology / Problems and Remedies for Tablet Coating
« on: January 28, 2020, 12:29:56 PM »

Pages: [1] 2 3 ... 5