Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - najim

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 11
46
Telecom Forum / Android phones & tabs - Tips to save
« on: May 24, 2013, 06:32:21 PM »
অ্যান্ড্রয়েড সুরক্ষায় করণীয়

 24 May, 2013
৯৯ দশমিক ৯ শতাংশ নতুন ম্যালওয়্যারের লক্ষ্যই হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের প্রথম তিন মাসে মুঠোফোন লক্ষ্য করে যতো ম্যালওয়্যার ছাড়া হয়েছে তার ৯৯ দশমিক ৯ শতাংশই অ্যান্ড্রয়েডের জন্য। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল।
ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা জানিয়েছেন, অ্যান্ড্রয়েড লক্ষ্য করে বানানো ম্যালওয়্যারগুলোর বেশিরভাগই হচ্ছে এসএমএস ট্রোজান। অ্যান্ড্রয়েডে এই ম্যালওয়্যার প্রবেশ করলে ব্যবহারকারীর অগোচরে বার্তা প্রেরণ করে এবং অর্থ চুরি করতে পারে।
এসএমএস ট্রোজানের পাশাপাশি সব ধরনের মোবাইল ম্যালওয়্যারের আক্রমণ বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা। অ্যান্ড্রয়েড লক্ষ্য করে বানানো ম্যালওয়্যারগুলোর অধিকাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও নেদারল্যান্ডস থেকে।

আক্রমণের ঝুঁকি ট্যাবলেট ও স্মার্টফোনে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি গবেষকেরা জানিয়েছেন, অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর ট্যাবলেট আর মুঠোফোনের জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও। ইন্টারনেট নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ব্লু কোট সিস্টেমসের প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেস্কটপ কম্পিউটারের মতই অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর মুঠোফোন ও ট্যাবলেটে ভাইরাস আক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে গেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কম্পিউটার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফিও তাদের প্রতিবেদনে একই ঝুঁকির কথা জানিয়েছিল। ম্যাকাফি সেসময় জানিয়েছিল, অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমেই ভাইরাস আক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
গবেষকেরা জানিয়েছেন অ্যান্ড্রয়েডের পাশাপাশি অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর মুঠোফোন ব্যবহারকারীদেরও ভাইরাস আক্রমণের কারণ ও প্রতিরোধের বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত। যদি মুঠোফোন বা ট্যাবলেটে ভাইরাস ঢুকে পড়ে তবে তা ব্যবহারকারীর অগোচরেই অ্যাডওয়্যার ইনস্টল করে ফেলতে পারে এবং এসএমএস ট্রোজান সক্রিয় করে ফেলতে পারে। এরপর মোবাইল ফোন থেকে অগোচরে বিভিন্ন কন্টাক্ট নম্বরে বার্তা পাঠাতে থাকে এবং অর্থ হাতিয়ে নিতে থাকে। এ ছাড়াও মোবাইল ফোনে আসা ইমেইল, বার্তা ও ব্রাউজিং তথ্য চুরি করে।
টাইম অনলাইনে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে মুঠোফোনে ভাইরাস আক্রমণের ঝুঁকি ও সে ঝুঁকি নিরাপত্তায় করণীয় তথ্য উঠে এসেছে।

কীভাবে মুঠোফোন বা ট্যাবলেটে ভাইরাস প্রবেশ করে?

অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের সময় মুঠোফোন বা ট্যাবলেটে ভাইরাস প্রবেশ করে। অ্যাপ ডাউনলোডের সময় সচেতন না থাকার ফলে ভাইরাস ভোগান্তির শিকার হতে হয়। মুঠোফোন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, জনপ্রিয় ও প্রয়োজনীয় অনেক অ্যাপ্লিকেশনের ছদ্মবেশে মুঠোফোনে ম্যালওয়্যার ডাউনলোড হয়ে যায়। অনেক সময় সচেতন থাকার পরও ম্যালওয়্যারের ধোঁকায় পড়ে যান অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডকারী। ২০১২ সালে জনপ্রিয় গেম ‘অ্যাংরি বার্ডস’ ও ‘অ্যাসাসিন ক্রিড’ অ্যাপ্লিকেশনের ছদ্মবেশে গুগল প্লে স্টোর থেকে ম্যালওয়্যার ডাউনলোডের হার ছিল বেশি। এতে অনেক অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডকারী তাদের প্রচুর অর্থ খুইয়েছেন।
অ্যাপ্লিকেশন ছাড়াও ওয়েবপেজ থেকেও ট্যাবলেট ও মুঠোফোনে ভাইরাসের আক্রমণ ঘটতে পারে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের স্যানফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত আরএসএ সিকিউরিটি কনফারেন্সে নিরাপত্তা গবেষক ক্রিস অ্যাসটাসিও জানিয়েছিলেন, অ্যাপ্লিকেশনের পাশাপাশি ওয়েবপেজ থেকেও মুঠোফোন ও ট্যাবলেটে ভাইরাস আক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। অ্যান্ড্রয়েড-নির্ভর মুঠোফোন ও ট্যাবলেটের পাশাপাশি কম্পিউটারের জন্য তৈরি ট্রোজান ভাইরাসগুলো আইফোন, আইপ্যাডের জন্যও ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। এখন আক্রমণের ঝুঁকি কম থাকলেও ভবিষ্যতে ওয়েবপেজের মাধ্যমে মুঠোফোন ও ট্যাবলেট ভাইরাস আক্রান্ত হওয়া সম্ভব বলেই জানান ক্রিস।

কীভাবে মুঠোফোন ও ট্যাবলেট নিরাপদ রাখবেন

আপনি যখন কোনো পরিচিত অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করবেন তখনও আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ পরিচিত অনেক অ্যাপ্লিকেশনের ছদ্মবেশে আপনার প্রিয় পণ্যটিতে মারাত্মক ভাইরাস প্রবেশ করে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে সমস্যা তৈরি করতে পারে। আর এ সমস্যা এড়াতে, অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের আগে নির্মাতার তথ্য যাচাই করে নিতে হবে। পরিচিত ও মূল উত্স থেকে প্রকাশিত না হওয়া অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করার সময়ই সতর্ক থাকতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অ্যাংরি বার্ড অ্যাপ্লিকেশনটির প্রকাশক রোভিও। এই প্রকাশকের বাইরে আর কারও প্রকাশিত অ্যাংরি বার্ড ডাউনলোড করবেন না। যদি এরকম ম্যালওয়্যারের সন্ধান পান তবে তা গুগলের কাছে অভিযোগ দিন। যদি কোনো অজানা বা অপরিচিত প্রকাশকের প্রকাশিত কোনো অ্যাপ্লিকেশন আপনার পছন্দ হয় সেক্ষেত্রে ডাউনলোডের আগে অ্যাপ্লিকেশনটির রেটিং ও ব্যবহারকারীদের মন্তব্যগুলো দেখে দিন। অ্যাপ্লিকেশনটিতে কোনো ব্যবহারকারী লাল পতাকা দেখিয়েছেন কী না তা খেয়াল করুন।
অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের আগে যদি মন্তব্য কম থাকে এবং এতে যদি কেউ ভুয়া অ্যাপ্লিকেশন বলে মন্তব্য করেন তবে তা যাচাই করে নিতে হবে। এর জন্য অনলাইনে ওই অ্যাপ্লিকেশনের রিভিউ বা পর্যালোচনা পড়ে নিয়ে তারপর ডাউনলোড করতে হবে। অনেক বেশি নেতিবাচক মন্তব্যযুক্ত অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে।

মুঠোফোন ও ট্যাবলেটের জন্য অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন

মুঠোফোন ও ট্যাবলেটের নিরাপত্তার জন্য বেশ কয়েকটি অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার বাজারে রয়েছে। বিনামূল্যে অ্যাপ্লিকেশন স্টোরগুলোতেও অনেক অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের জন্য পাওয়া যায়। বাজারে থাকা কয়েকটি জনপ্রিয় মুঠোফোন নিরাপত্তা অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড নির্ভর পণ্যের জন্য নর্টন সিকিউরিটি অ্যান্টিভাইরাস, লুকআউট সিকিউরিটি অ্যান্ড অ্যান্টিভাইরাস, ম্যাকাফি মোবাইল সিকিউরিটি, এভিজি অ্যান্টিভাইরাস উল্লেখযোগ্য।
উৎসঃ   Prothom Alo

47

প্রতি ছয়টি মৃত্যুর একটি তামাকের কারণে


নিউজমিডিয়াবিডি.কম, ঢাকা, ২০ মে :

তামাকজাত দ্রব্য সেবনের কারণে মানুষের শরীরে আটটি রোগের সৃষ্টি হয়। এসব রোগের কারণেই প্রতিবছর বাংলাদেশে ৫৭ হাজার মানুষ মারা যায় এবং প্রতি ছয়টি মৃত্যুর মধ্যে একটি মৃত্যু হয় তামাকের কারণে বলে উঠে এসেছে হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর গবেষণায়।

তামাকের কারণে সৃষ্ট রোগগুলো হলো-ফুসফুসের ক্যানসার, মুখের, স্বরযন্ত্রের ও শ্বাসনালির ক্যানসার, হৃদরোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, পক্ষাঘাত, ফুসফুসের যক্ষ্ম ইত্যাদি।
সোমবার সকালে রাজধানীর রুপসী বাংলা হোটেলে হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টার ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের গবেষণাভিত্তিক প্রস্তাবনা সেমিনারে এ তথ্য দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান। গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাত, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের প্রধান তাইফুর রহমান, নারীনেত্রী ও উন্নয়ন কর্মী ফরিদা আক্তার।

আবুল বারাকাত বলেন, “তামাক ব্যবহারের প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে প্রতিবছর ৩০ বছরের বেশি বয়সের ৫৭ হাজার জন মৃত্যুবরণ করে  এবং কয়েক লাখ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। আবার নিজে ধূমপান না করেও অন্যের ধূমপানের কারণে কর্মক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এক কোটি ১৫ লাখ মানুষ।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ১৫ বছরের বেশি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে তামাক ব্যবহার করে। তামাক সেবন শুরু করে অতি অল্প বয়সে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়।”

বিশেষ করে নারীদের নানা ধরনের প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে, গর্ভবতী নারী সুস্থ শিশু জন্ম দিতে পারছে না বলেও জানান তিনি।

48


কর্ম ও বসবাসে সিঙ্গাপুর চতুর্থ
১৬ মে,২০১৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন
সিঙ্গাপুর: বসবাসের ভালো একটি জায়গার পর মানুষের চাওয়া কর্মক্ষেত্রে কাজের পরিবেশ। আর এই দুটোই যখন কেউ পেয়ে যান, তিনি তো সোনায় সোহাগা।

কাজ ও বসবাসের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় দেশের তালিকায় এবারো চতুর্থ পছন্দের অবস্থানটি ধরে রেখেছে সিঙ্গাপুর। বুধবার প্রকাশিত রিক্রুটমেন্ট ফার্ম হাইড্রোজেন অ্যান্ড বিজনেস স্কুল ইএসসিপি ইউরোপ’র এক জরিপের ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর সিনহুয়া’র।

এশিয়ার এই তিলোত্তমা নগর রাষ্ট্রটি গত বছরও চতুর্থ অবস্থানে ছিল। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং অস্ট্রেলিয়াও বরাবরের মতো তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে। এ তিনটি দেশ এবারো এ তালিকায় ক্রমান্বয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

এমনকি তাদের জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে আরো বেড়ে গেছে বলেও জরিপে জানানো হয়েছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান দখল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর দেশটি ভোট পেয়েছিল ১৩ শতাংশ। তার মানে এ বছর দেশটির জনপ্রিয়তা ১১ শতাংশ বেড়ে গেছে।

আর ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া গত বছর ভোট পেয়েছিল ৯ শতাংশ, যা এ বছর বেড়ে হয়েছে ১৩ শতাংশ।

সিঙ্গাপুর গত বছর ভোট পেয়েছিল ৬ শতাংশ আর এ বছর পেয়েছে ৯ শতাংশ।

জরিপে দেখা যায়, সিঙ্গাপুর একটি নেতৃস্থানীয় প্রযুক্তির আধার এবং অর্থায়নের দিক থেকেও একটি মুখ্য ভূমিকা পালনকারী দেশ হিসেবে উঠে এসেছে।

জরিপকারী সংস্থা হাইড্রোজেনের এশীয় অঞ্চলের পরিচালক সিমন ওয়াকার বলেছেন, ‘প্রযুক্তিগত কর্মকাণ্ডের দিক থেকে সিঙ্গাপুর খুবই উঁচু অবস্থানে রয়েছে। সিঙ্গাপুরের রয়েছে এক অসাধারণ সু-শিক্ষিত জনশক্তি।’

তিনি বলেন, ‘দেশটির রয়েছে উচ্চ উদ্ভাবনী ক্ষমতা। দেশটি এমন সব নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্যোক্তা এবং প্রকৌশলীদের তৈরি করছে যারা আগামী দিনের বিশ্ব প্রযুক্তি শিল্পের নেতৃত্ব দেবে। উদাহরণস্বরুপ জীব বিজ্ঞান ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে নব নব প্রযুক্তির উদ্ভাবন সিঙ্গাপুর করছে, তার উল্লেখ করা যায়।’

49


গরমে যেসব স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে
   

গরমের কারণে শরীরে প্রচুর ঘাম হয়। এই ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায় শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান লবন ও পানি। শরীর থেকে এই লবন ও পানি বেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে দেহের রক্তচাপও কমে যেতে থাকে। সেই সঙ্গে প্রস্রাবের পরিমাণও কমে যেতে থাকে। পাশাপাশি অবসাদ এসে শরীরে ভর করে। সবকিছু মিলিয়ে একপর্যায়ে গরমের কারনে কোনো ব্যক্তি জ্ঞান হারাতে পারেন। তাছাড়া গরমের সময়ে ঘামাচি এবং ঘামের দুর্গন্ধও সমস্যার সৃষ্টি করে।

১ম পর্যায় করণীয়
#    গরমে যতটা সম্ভব রোদে চলাফেরা বন্ধ করতে হবে।


#    মাথায় ছাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।


#    ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরিধান করতে হবে।


#    সিনথেটিক এবং আটসাঁট পোশাক না পরাই ভালো। কারণ সিনথেটিক কাপড়ের মধ্য দিয়ে বাতাস সুবিধাজনকভাবে চলাচল করতে পারে না।


#    পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। যারা কায়িক পরিশ্রমের কাজ করেন এবং যাদের বেশি ঘাম হওয়ার প্রবণতা আছে তাদের ক্ষেত্রে পানি পানের পরিমান পরিমানটা একটু বাড়িয়ে দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবে একজন পূর্ণ বয়স্ক লোকের ক্ষেত্রে ৩ লিটার পানি পান করা দরকার। গরমের সময় সেই পানি পানের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দিতে হবে। মোট কথা যতক্ষণ না প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিক হবে ততক্ষণ ধরে পানি পান করে যেতেই হবে।


#    শরীরে ঘাম বেশি হলে সেক্ষেত্রে পানিতে খানিকটা লবণ মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। তবে খাবার স্যালাইন পান করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।হিটস্ট্রোক গরমের কারণে সৃষ্ট সবচে’ মারাত্মক অবস্থা। হিটস্ট্রোক হলে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়, এমনকি এ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।


#    হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তি অচেতন হয়ে পড়ে।


#    শরীরের ত্বক তখন শুষ্ক ও গরম থাকবে যা দ্বিতীয় পর্যায়ে ঠিক বিপরীতধর্মী উপসর্গ।


#    চোখ দুটো স্থির ও ভাবলেশহীন তাকিয়ে থাকবে।এ অবস্থায় রোগীর খিঁচুনিও হতে পারে।


#    শরীরে অক্সিজেন এর ঘাটতি দেখা দেয়ার ফলে শরীর বিশেষ করে মুখমন্ডল নীলাভ হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থাকে আরো বেশি খারাপ অবস্থা বলে গণ্য করতে হবে।


#    অজ্ঞান বলে রোগী প্রস্রাব-পায়খানা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই অজ্ঞান অবস্থায় রোগী পায়খানা-প্রস্রাব করে দিতে পারে।


#    তাছাড়া প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গিয়ে তা কিডনির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
হিট স্ট্রোক হলে করণীয়


হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির গায়ে সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ¯েপ্র্র কিংবা ঢেলে শরীর ভিজিয়ে দিতে হবে। রোগী অজ্ঞান হলেও এই কাজটি করতে হবে। রোগীর শরীরে যে পানির প্রদাহ দেয়া হবে তা ঠান্ডা হওয়ার দরকার নেই। পানি খুব ঠান্ডা হলে সমস্যা আছে। ঠান্ডা পানি শরীরের প্রান্তীয় রক্তনালীসমূহকে সংকুচিত করে ফেলে , এতে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। আর কোথাও রক্ত প্রবাহ কম থাকা মানেই সেখানে অক্সিজেন সরবরাহ কম থাকা। যা মোটেও বাঞ্ছনীয় নয়।


এছাড়া রোগীর শরীরের পরিধেয় যতটুক সম্ভব খুলে ফেলতে হবে এবং ঘরের ফ্যান কিংবা এ.সি চালিয়ে দিতে হবে। এসবের ব্যবস্থা না থাকলে পাখা দিয়ে বাতাস দিতে হবে।


ইতি মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে হিট স্ট্রোক একটি মেডিক্যাল ইমারজেন্সি। হিট স্ট্রোকে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোটা খুবই জরুরি।
হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার রোগীকে পরীক্ষা করে , বিশেষ করে নাড়িস্পন্দন (পাল্স) , রক্তচাপ, শ্বাস-প্রশ্বাস ইত্যাদি দেখবেন। সেই সঙ্গে শিরাপথে স্যালাইন চালু করে উপসর্গ অনুযায়ী অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।


ডা. সজল আশফাক, স্বাস্থ্য নিবন্ধকার ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, কমফোর্ট ডক্টরস চেম্বার, গ্রীনরোড, ঢাকা

50
Blood Pressure / Low Blood Pressure
« on: May 17, 2013, 04:50:04 PM »



নিম্ন রক্তচাপ কি ঝুঁকিপূর্ণ


 নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাডপ্রেশার নিয়ে অনেক মানুষই চিন্তিত থাকেন। কিন্তু নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে অযথা বা অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, নিম্ন রক্তচাপ উচ্চ রক্তচাপের চেয়ে কম ক্ষতিকর ও স্বল্পমেয়াদি সমস্যা। শুধু স্বাস্থ্যহীন হলেই যে লো প্রেশার হবে, তা-ই নয়, মোটা মানুষেরও তা থাকতে পারে। সাধারণত সিস্টোলিক রক্তচাপ ১০০ মিলিমিটার পারদ ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ মিলিমিটার পারদের নিচে হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলা হয়।
কারণ
১.   কোনো কারণে পানিশূন্যতা, ডায়রিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়া
২.   খাবার ঠিকমতো বা সময়মতো না খেলে
৩.   হজমে দুর্বলতা
৪.   কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণে হতে পারে
৬.   শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
৭.   রক্তশূন্যতা ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ
লক্ষণ
১.   মাথা ঘোরানো
২.   হঠাৎ বসা বা শোয়া থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে ভারসাম্যহীনতা
৩.   হঠাৎ জ্ঞান হারানো
৪.   অস্বাভাবিক দ্রুত হূৎস্পন্দনও নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ হতে পারে
চিকিৎসা
নিম্ন রক্তচাপের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। যদি শরীরে পানিশূন্যতা ও ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে নিম্ন রক্তচাপ হয়, তাহলে শুধু খাবার স্যালাইন মুখে খেলেই প্রেশার বেড়ে যায়। তবে যাঁদের দীর্ঘমেয়াদি নিম্ন রক্তচাপ আছে, তাঁদের অবশ্যই কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ ধরনের অবস্থায় চিকিৎসক নিম্ন রক্তচাপের কারণ শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। তবে খাবার স্যালাইন সবচেয়ে উপযোগী এবং তাৎক্ষণিক ফলদায়ক।
নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পরামর্শ
১.   অনেকক্ষণ একই স্থানে বসে বা শুয়ে থাকার পর ওঠার সময় সাবধানে ও ধীরে উঠুন।
২.   ঘন ঘন হালকা খাবার খান। বেশি সময় খালি পেটে থাকলে রক্তচাপ আরও কমে যেতে পারে।
৩.   পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
৪.   পাতে এক চিমটি করে লবণও খেতে পারেন।
৫.   দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় গ্লুকোজ ও স্যালাইন রাখুন।
 
 অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ্, ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

 
 
Source:http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-05-13/news/351803


51


শিশুদের প্রতি হযরত মুহাম্মদ (স.) এর ভালবাসা

মাহমুদুর রহমান

শিশুরা হলো আল্লাহর প্রদত্ত আমাদের জন্য নেয়ামত ও বরকত স্বরুপ। অন্য হাদীসে আছে নবী করিম (স.) বলেন "শিশুরা আল্লাহর ফুল" (তিরমিযী)। এই ফুল একদিন প্রস্ফুটিত হয়ে সমাজকে করবে মুখরিত, আলোকিত ও আন্দোলিত। আর এ জন্য শিশু বয়স থেকেই সন্তানের দিকে বিশেষ খেয়াল করা দরকার। আপনার সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে হোক তার দিকে আপনার সমান দৃষ্টি দিতে হবে। আপনার সন্তান কখন, কোথায় এবং কাদের সাথে সময় কাটায় সে দিকে আপনার বিশেষ খেয়াল দেয়া দরকার।
 
 
 
শিশুকাল থেকেই আমাদের সন্তানদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন "সন্তানকে আদব-কায়দা শিক্ষা দেয়া সম্পদ দান করা অপেক্ষা উত্তম" (বায়হাকি)। রসূল (স.) আরও বলেন "তোমরা তোমাদের সন্তানকে উত্তম করে গড়ে তোলো এবং তাদের নৈতিকতা তথা শিষ্টাচার শিক্ষা দাও " (মুসলিম)।
 
শিশুদের প্রতি রসূল (স.) ছিলেন অত্যন্ত স্নেহপ্রবণ। শিশুদের প্রহার করা সম্পর্কে রসূল (স.) অত্যন্ত কঠোর হুশিয়ারি করেছেন। রসূল (স.) শুধু শিশুদের আদরই করতেন না, বরং তাদের সাথে খেলাধুলা, হাসি ঠাট্টা করতেন এবং তাদের সালাম ও দিতেন। হযরত আনাস (রা.) একবার শিশু কিশোরদের কাছে দিয়ে যাবার সময় সালাম দিলেন এবং বললেন রসূল (স.) ছোটদের সালাম করতেন (বুখারী ও মুসলিম)। রসূল (স.) শুধু উপদেশই দেননি বরং বাস্তব জীবনে তার নমুনা পেশ করেছেন।
 
 
হযরত আনাস (রা.) ছোট কাল থেকেই রসূল (স.) এর কাছে থাকতেন। একদিন হযরত আনাস (রা.) বলেন "আল্লাহর কসম করে বলছি দীর্ঘ দশ বছরে আমি রসূল (স.) যতটা খেদমত করেছি তার চেয়ে বেশি খেদমত পেয়েছি এবং দীর্ঘ দশ বছরে তিনি আমার কোন কথা ও কাজে বিরক্তি প্রকাশ করেননি , বরং তিনি ছিলেন আমার প্রতি খুব বেশি সদয়। শিশুদের প্রতি রসূল (স.) এর ভালোবাসা সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করছে। আয়শা (রা.) বলেন" একবার এক বেদুইন রসূল (স.) এর কাছে উপস্থিত হয়। তখন রসূল (স.) একটা শিশুকে চুমু দিচ্ছিলেন। লোকটি বলেন, আপনারা বাচ্চাদের চুমু খান? আমরা তো এমনটা করি না। তখন রসূল (স.) বললেন : আল্লাহ তাআলা যদি তোমার হৃদয় থেকে দয়া ও ভালোবাসা কেড়ে নেন, তবে আমি কি করতে পারি"? (বুখারী ও মুসলিম)।
 
 
একবার নবী করিম (স.) এর কাছে একটা শিশু আনা হলো। তিনি তাকে চুম্বন করলেন। প্রিয়নবী শিশুদের এত বেশি ভালোবাসতেন যে, শিশুরা তাদের আপনজনদেরও ভুলে যেত। তার বাস্তব নমুনা হলো— রসূল (স.) এর পালিত পুত্র যায়েদের পিতা একদিন তাকে ফেরত নিতে আসলে তিনি পিতার সাথে যাননি বরং পিতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন "প্রিয় আব্বাজান আমি রসূল (স.) এর ভেতর যা দেখেছি এবং তার কাছ হতে যা পেয়েছি এই জগতে আমার আর কিছু পাওয়ার নাই।"
 
 
শিশুদের প্রতি রসূল (স.) এর ব্যবহার ছিল সর্বকালের এবং সর্বযুগের মানুষের জন্য শিক্ষনীয় এবং অনুকরণীয়। তিনি শিশুদের সাথে খেলতেন এবং তাদের পছন্দের বিষয় নিয়ে শিশুদের সাথে শরীক হতেন। আনাস (রা.) বলেন "রসূল (স.) আমাদের সাথে সহজ- সাধারণভাবে মেলামেশা করতেন এবং নিজেকে আলাদা করে রাখতেন না। এমনকি তিনি আমার ছোট ভাই উমায়রকে বলতেন : হে উমায়ের! তোমার নুগায়েরের কি হলো? উমায়রের একটা ছোট নুগায়ের (পাখি) ছিলো। সে পাখিটিকে নিয়ে খেলা করতো। সেই পাখিটি মরে গিয়েছিলো। তখন নবী করিম (স.) তাকে একথা বলেন (বুখারী, মুসলিম)।
 
 
একবার আবিসিনিয়া হতে একদল সাহাবী মদিনায় তাশরিফ আনলেন। তাদের সাথে ছোট শিশুরা ছিল। তখন রসূল (স.) অতি সহজেই মত শিশুদের সাথে মিশে গেলেন, খেলাধুলা করলেন এবং তাদের আদর যত্ন করলেন। এর ফলে শিশুরা অনেক আনন্দ বোধ করলো। রসূল (স.) শিশুদের অনেক বেশি স্নেহ করতেন, যার নমুনা আমরা হাদিস হতে পাই: হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী (স.) হাসান ইবনে আলীকে চুমো খেলেন। তা দেখে আকরা ইবনে হাবিস বললেন, আমার তো দশটি সন্তান আছে, কিন্তু তাদের এক জনকেও চুমো খাইনি। রসূল (স.) জবাবে বললেন, যে অন্যের প্রতি স্নেহ মমতা করেনা তার প্রতিও স্নেহ মমতা করা হয়না" (বুখারী ও মুসলিম)।
 
 
রসূল(স.) সব সময় শিশুদেরকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করতেন এবং তাদের কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতেন। একদিন রসূল (স.) মসজিদের মিম্বরে খুতবা দিচ্ছিলেন, এমন সময় তার দৌহিত্রদ্বয় দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে গিয়ে পা পিছলে পরে যাচ্ছিল এমন সময় রসূল (স.) খুতবা বন্ধ করে তাদের কে কোলে তুলে নিলেন এবং তাদের আদর করলেন। এছাড়াও রসূল (স.) শিশুদের কান্নার আওয়াজ শুনলে নামায সংক্ষিপ্ত করতেন।
 
 
রসূল (স.) এর মত শিশুদের প্রতি এত ভালবাসা কেউ কোন দিন দেখায়নি এবং দেখাতে পারবেও না। তিনি শুধু মুসলিম শিশুদের নয়, অমুসলিম শিশুদেরও ভাল বাসতেন, আদর দিতেন এবং স্নেহ করতেন। তাই রসূল (স.) যথার্থই বলেছেন "ছোট ছেলেমেয়েদের সাথে এমন ব্যবহার কর যাতে তাদের মধ্যে আত্মসম্মান বোধ জাগ্রত হয়।
 
 
অন্য এক হাদীসে প্রিয়নবী (স.) বলেন "যে ছোট ছেলেমেয়েদের প্রতি সদয় নয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়।" রসূল (স.) শিশুদের প্রতি ভালোবাসার বিশ্ব নজির স্থাপন করেছেন। তাই আসুন নবী করিম (স.) এর এই মহান সুন্নতকে আমরা আঁঁকড়ে ধরি এবং এই বিশ্বকে একটা আদর্শ উপহার দেই।

52


মিরপুর চিড়িয়াখানার পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

ঢাকা: বুধবার ভোরে রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানায় পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে। চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর  মাকসুদুল হাসান হাওলাদ মাকসুদুল জানান, গত বছরের এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকা একটি পুরুষ ও একটি নারী গন্ডার আনা হয়। প্রতিটির দাম পড়ে প্রায় ৬০ লাখ টাকা।


গন্ডারটির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে ভেটেরিনারি সার্জন মাকসুদুল জানান, গত ১৩ মে পুরুষ গন্ডারটির মাথা ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। গন্ডারটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিল এবং খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। 
বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে দুটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।


চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ধারণা করছেন, স্ত্রী গন্ডারের সঙ্গে গুঁতোগুঁতির ঘটনায় পুরুষ গন্ডারটি আহত হতে পারে। ময়নাতদন্ত শেষে এটিকে মাটি চাপা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

53
Health Tips / Packed Food Is Harmfull for Childs
« on: May 12, 2013, 06:24:03 PM »




প্যাকেটজাত খাবার শিশু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

12 May, 2013

পাবনার প্রাইমারি স্কুলশিক্ষিকা শিরীন সুলতানার একমাত্র ছেলে আসিফ। ছেলের নাওয়া-খাওয়ার প্রতি যতটা না যত্নবান তার চেয়েও বেশি খেয়াল রাখেন স্বাস্থ্যের দিকে। সামান্য কিছুতেই তিনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। কিন্তু গত তিন দিন ধরে আসিফের পেট ব্যথা ও থেকে থেকে বমি।

ডাক্তারের কাছে গিয়ে জানতে পারলেন তার ফুড পয়জনিং হয়েছে। কি এবং কেমন খাবার থেকে তা হলো ডাক্তার যদিও তা সঠিক করে বলেননি। তবে আসিফের কথা অনুযায়ী বোঝা গেল, যে গত বেশ কয়েকদিন ধরে স্কুলের সামনের দোকান থেকে প্যাকেটকৃত ডালভাজা, বাদাম ভাজা এবং আচার কিনে খেয়েছে।

তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আসিফ বয়স ৮। প্যাকেটকৃত খাদ্য দ্রব্যের প্রতি তার বেশ আগ্রহ কিন্তু এর কুফল সম্পর্কে ধারণা নেই। সন্তানের এ অবস্থাতে পিতামাতা বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েন- কি করে এসব খাদ্য দ্রব্য বাচ্চাদের নাগাল থেকে দূরে রাখা যায়।

আসিফের মতে অসুস্থতার ঘটনা শুধু পাবনাতেই নয়, সারাদেশের প্রতিটি শহর এবং গ্রামের শিশুরা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে বাজারে তৈরি খাবারে প্রতি এবং তা থেকে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন জটিল রোগ।

কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। এসব খাবারে তাদেরই অসুস্থ হবার সম্ভাবনা থাকে বেশি। প্রত্যেক স্কুলের সামনে বসা ফেরিওয়ালা কিংবা দোকান থেকে প্রতিদিন একাধিকবার চকলেট, আইসক্রিম, চাটনি ও বোতলজাত জুস কিনে খায় ওরা। বিশ্বের অনেক দেশে বাচ্চাদের স্কুলের সামনে চটকদার খাবার বিক্রি নিষিদ্ধ রয়েছে। বাংলাদেশে এ নিয়ে কোনো বিধি-নিষেধ নেই। তাই এসব খাদ্য-পণ্য দেদারছে বিক্রি হচ্ছে।

শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এসব খাবারের নামে মেশানো হয় রাসায়নিক রঙ এবং সুগন্ধি, যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। স্বাভাবিক খাবারের চেয়ে শিশুদের এসবের প্রতি আকর্ষণ বেশি। টেলিভিশন ও বিভিন্ন চ্যানেলের চটকদার বিজ্ঞাপনে শিশুরাই বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। মহাখালীস্থ আইসিডিডিআরবি’র ল্যাবরেটারিতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, জুসে ৯৮.৩০ ভাগ ফলের রস থাকে না। এতে রয়েছে বিষাক্ত রঙ, যা পানে কিডনি, পেটের পীড়া এমনকি ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতি রোগ আক্রান্ত হতে পারে।

চকোলেট, চুয়িংগাম, চাটনি, জিলাপি ও কনফেকশনারির তৈরি খাবারের তালিকায় নুডলনস পাউরুটি ও বিস্কুট অন্যতম। এসব খাদ্যসামগ্রী তৈরি হয় অস্বাস্থ্য পরিবেশে কিন্তু এসব খাদ্য সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বস্ত্রকলের ডাই ও একধরনের রঙ। এছাড়াও এসব খাদ্যে মিশ্রণ করা হয় হাইড্রোজ-এসিড সোডিয়াম, স্যাকারিন পারফিউমারি জাতীয় রাসায়নিক। তাছাড়া মিশ্রনটি দীঘদিন রেখে দিলে আরো মারাত্মক বিষ সৃষ্টি হতে পারে।

এ ব্যাপারে ঢাকা সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ডাক্তার জাহিদুজ্জামান বলেন- শিশুদের প্রিয় মিষ্টি, ঘিয়ে ভাজা সেমাই ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত ডাই ও কেমিকেল যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। রঙ ও সুগন্ধির জন্য যেসব রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে তার কোনটিই দেহের জন্য উপযোগী নয়। জিংক অক্সাইড ও হাইড্রোজের মতো রাসায়নিকের মাত্রা কম হলেও এতে শিশুদের কিডনি, ক্যান্সার লিভার, টাইফয়েড, জন্ডিসসহ জটিল রোগ হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাছাড়া বদহজম, ডায়রিয়া, আমাশয়, কৃমি ও ক্ষুধামন্দাসহ নানান রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

শিশুর মানসিক ও শারিরীক বিকাশ পুষ্টির সাথে জড়িত। এজন্য তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সর্তক থাকা বাঞ্চনীয়। কেননা, শিশুরাই দেশের ভবিষ্যত কর্ণধার। তাই একটি বলিষ্ঠ জাতি গঠনের লক্ষ্যে শিশুর যত্নে আমাদের সকলকে সচেষ্ট হতে হবে ।

চাল্স ডিকেন্স- বলেছেন, ‘পৃথিবীতে প্রতিটি নবজাতকের অবয়ব পূর্ববর্তী শিশুর জন্মের চেয়ে আলাদা এবং সুন্দর।’

তাই পরবর্তী প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় বর্জন করতে হবে বাজারের খাবার, শিশুদের বোঝাতে হবে এসব খাবার আসলে অখাদ্য। সূত্র: বাসস

54
Telecom Forum / History of Mobile Phone
« on: May 06, 2013, 05:52:28 PM »


History of Mobile Phone

মোবাইল ফোনের জন্মকথা



ইটের মতো দেখতে আর ভারী বলে নামই পড়ে গিয়েছিল 'ব্রিক'। এখন সে হাতের মুঠোয়। সেই মোবাইল ফোনের ৪০তম জন্মদিন ছিল কাল। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল মোবাইলে বিশ্বের প্রথম ফোনকলটি করেছিলেন এই ফোনের জনক মার্টিন কুপার। তখন মটোরোলার জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী ছিলেন কুপার। খবর বিবিসি অনলাইনের। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের ২০১২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে
মোবাইল ফোনের গ্রাহক ৬০০ কোটিরও বেশি। ওই সময় পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ৭০০ কোটি।
মোবাইল ফোনের জনক ৮৫ বছর বয়সী মার্টিন কুপার বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে জানান, 'চার দশক আগে মোবাইল ফোন উদ্ভাবনের পর এর দাম বেশি ছিল, আর আকার ছিল বড়।' তবে তিনি জানতেন একদিন মোবাইল ফোনের দাম আর আকার দুই-ই মানুষের হাতের মুঠোয় চলে আসবে।
চার দশক আগে কুপারের আবিষ্কৃত সেই মোবাইল ফোনের নাম ছিল ডায়না টিএসি। বর্তমান সময়ের হালকা-পাতলা স্মার্টফোনের মতো ছিল না। সোয়া এক কেজি ওজনের সেই সেলুলার ফোনটি লম্বায় ছিল ১০ ইঞ্চি। বড় ২০টি বাটন বা বোতাম ছিল, সঙ্গে বিশাল একটি অ্যানটেনাও ছিল। একবার ব্যাটারি চার্জ হলে ২০ মিনিট কথা বলা যেত। ব্যাটারি চার্জ করতেও লাগত অনেক সময়। ১৯৮৩ সালে বাজারে আসা ওই মোবাইল ফোনের এক সময় পরিচিতি দাঁড়ায় ব্রিক ফোন বা ইট ফোন নামে। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল কুপার সেই মোবাইল ফোন দিয়ে প্রথম কথা বলেছিলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী বেল ল্যাবসের গবেষক জোয়েল এনজেলের সঙ্গে। নিউইয়র্ক সিটির সিক্সথ অ্যাভিনিউতে হাঁটতে হাঁটতে প্রথমবারের মতো সেলুলার নেটওয়ার্কে ফোনকল করেন কুপার। মোবাইল ফোন তৈরির চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করছিলেন মটোরোলার গবেষক মার্টিন কুপার ও বেল ল্যাবসের জোয়েল এনজেল। শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হেসেছিলেন কুপার। এ ফোনের জনপ্রিয়তার ফলেই সূচনা ঘটেছিল সেলুলার যুগের।
১৯৯১ সালে দ্বিতীয় প্রজন্ম বা টুজি প্রযুক্তির সূচনা ঘটে। টুজির প্রায় এক দশক পর অর্থাৎ ২০০১ সালে বাজারে আসে থ্রিজি প্রযুক্তি। ২০০৯ সাল পর্যন্ত থ্রিজির চাহিদা বাড়তেই থাকে। বর্তমানে উন্নত মাল্টিমিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন আর দ্রুতগতির ইন্টারনেট নিয়ে চালু হয়েছে ফোরজি প্রযুক্তি। গবেষণা চলছে ফাইভজি নিয়েও।
এক সময় যা ছিল প্রায় চার হাজার ডলার দামের আর ব্যবসার উপকরণ, তা এখন মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা হিসাব করে দেখেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখছে মোবাইল ফোন।


মোবাইল ফোনের জনক
মার্টিন কুপারকে মোবাইল ফোনের জনক বলা হয়। বর্তমানে তাঁর বয়স ৮৫ বছর। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মার্টিন কুপার জানিয়েছিলেন, ‘চার দশক আগে মোবাইল উদ্ভাবনের পর এর দামও বেশি ছিল আর আকার ছিল বড়। তবে তিনি জানতেন একদিন মোবাইল ফোনের দাম আর আকার দুইই মানুষের হাতের মুঠোয় চলে আসবে।

প্রথম মোবাইল, প্রথম আলাপ
আজ থেকে প্রায় চার দশক আগে মানুষের হাতে এসেছিল প্রথম মোবাইল ফোন সেট। সেটি ছিল মটোরোলার গবেষক মার্টিন কুপারের আবিষ্কৃত ডায়না টিএসি। কুপার সেই মোবাইল ফোন দিয়ে প্রথম কথা বলেছিলেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বেল ল্যাবসের গবেষক জোয়েল এনজেলের সঙ্গে।
মোবাইল ফোন সেট তৈরির জন্য তখন আলাদাভাবে কাজ করছিলেন মটোরোলার গবেষক মার্টিন কুপার ও বেল ল্যাবসের জোয়েল এনজেল। তবে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হেসেছিলেন কুপার।
মটোরোলা কোম্পানিতে কাজ করতেন মার্টিন কুপার। ওই সময় প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন প্রযুক্তিবিদ জন মিশেল। তিনি একদিন কুপারের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, বিশ্বের প্রথম মুঠোফোন তৈরি করবে মটোরোলা আর আবিষ্কারক হবেন কুপার। কুপার সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে জয়ী হয়ে গর্বিত করেছিলেন জন মিশেল ও তাঁর প্রতিষ্ঠান মটোরোলাকে।
মার্টিন কুপার ডায়না টিএসি তৈরিতে সফল হয়েছিলেন ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল। সেটি বর্তমান সময়ের হালকা-পাতলা স্মার্টফোনের মতো ছিল না। সোয়া এক কেজি ওজনের সেই সেলুলার ফোনটি লম্বায় ছিল ১০ ইঞ্চি। একবার ব্যাটারি চার্জ হলে ২০ মিনিট কথা বলা যেত। আর ব্যাটারি চার্জ করতেও লাগত অনেক সময়। একসময় এর পরিচিতি দাঁড়ায় ব্রিক ফোন বা ইট আদলের ফোন।
নিউইয়র্ক সিটির সিক্সথ অ্যাভিনিউতে হাঁটতে হাঁটতে প্রথমবারের মতো সেলুলার নেটওয়ার্কে ফোনকল করেন কুপার। টেলিফোনে বিশ্বের প্রথম ফোনকলটি গ্রহণ করেছিলেন বেল ল্যাবসের প্রধান গবেষক জোয়েল এনজেল। সেসময় সেলুলার নেটওয়ার্কে স্থানান্তরযোগ্য মুঠোফোন তৈরিতে কাজ করছিলেন জোয়েল এনজেল। জোয়েলের অফিসে সরাসরি ফোনকল করার এ ঘটনাটিই বিশ্বের প্রথম সেলুলার ফোন আলাপ।

ডায়না টিএসি
এ ঘটনার প্রায় ১০ বছর পর প্রথমবারের মতো বাজারে আসে মটোরোলার তৈরি ডায়না টিএসি। এ মুঠোফোনটিতে বড় বড় ২০টি বাটন বা বোতাম ছিল, সঙ্গে বিশাল একটি বড় অ্যানটেনাও ছিল। বর্তমান যুগের তারবিহীন চার্জার ছিল না তখন। একবার চার্জ হওয়ার পর কিছুক্ষণ কথা বলেই আবারও ১০ ঘণ্টা চার্জ দিতে হতো।
এখন হয়তো মুঠোফোন, স্মার্টফোনের দাম হাতের নাগালেই। তবে প্রথমবারের মতো সেলুলার ফোন কেনার খরচ কম ছিল না। ডায়না টিএসির দাম ছিল চার হাজার ডলার। এত দাম সত্ত্বেও এ মুঠোফোন দ্য ব্রিক নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর এ ফোনের জনপ্রিয়তার ফলেই সূচনা ঘটেছিল সেলুলার যুগের।
১৯৯১ সালে দ্বিতীয় প্রজন্ম বা টুজি প্রযুক্তির সূচনা ঘটে। ফিনল্যান্ডের রেডিওলিনিয়া এ প্রযুক্তির সূচনা করে। ‘সো দ্যাট ফিনস ক্যান টক মোর’ স্লোগানে বাজারে আসে টুজি প্রযুক্তি।
টুজির প্রায় এক দশক পর অর্থাত্ ২০০১ সালে বাজারে আসে থ্রিজি প্রযুক্তি। ২০০৯ সাল পর্যন্ত থ্রিজির চাহিদা বাড়তেই থাকে।
বর্তমানে উন্নত মাল্টিমিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন আর দ্রুতগতির ইন্টারনেট সম্ভাবনা নিয়ে চালু হয়েছে ফোরজি প্রযুক্তি। গবেষণা চলছে ফাইভজি নিয়েও।
২০০৮ সাল পর্যন্ত ধরা হতো বিশ্বের প্রতি দুজন মানুষের মধ্যে একজন মুঠোফোন ব্যবহার করেন। ১৯৯০ সালে যেখানে এক কোটির মতো মুঠোফোন ব্যবহারকারী ছিল, ২০১১ সালে সে সংখ্যা ৬০০ কোটি পার হয়েছে। ২০১৩ সালে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ৭০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন
মুঠোফোন উদ্ভাবনের পর থেকে ক্রমাগত পাল্টেছে মুঠোফোনের ধরন। একসময় যা ছিল ইটের মতো মোটাসোটা, এখন তা এতটাই হালকা-পাতলা হয়েছে যে সহজেই পকেটে ধরে যায়। এখন সাধারণ কথা বলার মুঠোফোন থেকে উন্নত হয়েছে স্মার্টফোন হিসেবে। একসময় যা ছিল দামি আর ব্যবসার উপকরণ, তা এখন মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণে পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা হিসাব করে দেখেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখছে মুঠোফোন।

একনজরে বিশ্বের প্রথম মুঠোফোন

মুঠোফোনের নাম : ডায়না টিএসি, যা পরে ব্রিক নামে পরিচিতি পায়
উদ্ভাবক: মার্টিন কুপার
নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান: মটোরোলা
উদ্ভাবনের সময়: ৩ এপ্রিল, ১৯৭৩
বাজারে আসে: ১৯৮৪
দাম: প্রায় চার হাজার ডলার
ওজন: ১.১৫ কেজি
চার্জ : ১০ ঘণ্টা
টকটাইম: ২০ মিনিট
উৎসঃ   প্রথম আলো



উৎসঃ   সমকাল


55
ব্রডব্যান্ডের ন্যূনতম গতি ১ এমবিপিএস হচ্ছে



ব্রডব্যান্ড গ্রাহকদের কমপক্ষে ১ এমবিপিএস ব্যান্ডউইডথ দিতে ইন্টারনেট সেবাদানকারীদের নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
জারি করা নতুন নির্দেশনায় গ্রাহকদের পরিচয় নিশ্চিত করে ডাটা বা ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার কথাও বলা হয়েছে।

বিটিআরসির সিস্টেম এন্ড সার্ভিসেস-এর পরিচালক লে. কর্নেল মো. রকিবুল হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে অপারেটরদের মোট পাচটি নির্দেশনা দেয়া হয়।

জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা ২০০৯ এর অনুচ্ছেদ ২-এ উল্লেখিত ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে বলা হয়েছে, “ইন্টারনেটে প্রচলিত গতির চাইতে বেশী গতিকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে অভিহিত করা হবে। এর ন্যূনতম ব্যান্ডউইথ হবে ১ এমবিপিএস। গ্রাহকের জন্য ১ এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ নিশ্চিত করতে হবে এবং এর চেয়ে কম ব্যান্ডউইথকে ‘ন্যারোব্যান্ড’ বলা হবে।”

ব্রডব্যান্ডের নতুন সংজ্ঞা গত ১৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হিসেবে ধরে নিতে আইএসপি ও বিডব্লিউএ অপারেটরদের নির্দেশনা দেয়া হয়।

লাইসেন্সধারী ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) ও ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস (বিডব্লিউএ) অপারেটরদের এপ্রিলের ৩০ তারিখের মধ্যে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

বর্তমানে চালু বিভিন্ন প্যাকেজ, অফার ও মূল্যতালিকা নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন করে সাজাতেও বলা হয়েছে অপারেটরদের।

নির্দেশনায় বলা হয়, বিটিআরসি প্রবর্তিত ‘গ্রাহক নিবন্ধন ফর্ম’ ব্যবহার করে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করার পর ডাটা বা ইন্টারনেট সংযোগ চালু করতে হবে।

গ্রাহক নিবন্ধনে কোনো ধরনের ভুল/অসত্য/ক্রটিযুক্ত তথ্য থাকার পরও ডাটা বা ইন্টারনেট সংযোগ চালু করলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার অপারেটরদের বহন করতে হবে বলেও নির্দেশনায় জানানো হয়।
পহেলা এপ্রিল থেকে নতুন সংজ্ঞা অনুসারে নতুন করে সাজানো প্যাকেজ/অফার/ট্যারিফ এর মাধ্যমে ডাটা/ইন্টারনেট সার্ভিস ব্যবহার বা ক্রয় করার জন্য ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করা হয়েছে।

ব্রডব্যান্ড সংযোগের স্থলে ‘ন্যারোব্যান্ড’ ব্যবহার/ক্রয়/পেমেন্ট না করার জন্যও গ্রাহকদের অনুরোধ করা হয়।
উৎসঃ   bdnews24.com


56
IT Forum / Li-Fi more fast than Wi-Fi
« on: May 06, 2013, 05:39:35 PM »

ওয়াই-ফাই ডিঙিয়ে ‘লাই-ফাই’

সম্প্রতি জার্মানির গবেষকেরা দ্রুত গতিতে তথ্য স্থানান্তরের নতুন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। তাঁদের দাবি, ‘লাই-ফাই’ নামের তথ্য স্থানান্তর পদ্ধতিতে বর্তমানের ওয়াই-ফাইয়ের তুলনায় শত গুণ দ্রুত গতিতে তথ্য স্থানান্তর করা সম্ভব। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টেলিগ্রাফ অনলাইন।
বার্লিনের ফ্রানহফার ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা জানিয়েছেন, লাইট এমিটিং ডায়োড বা এলইডি ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে তাঁরা ৮০০ মেগাবিট গতিতে তথ্য স্থানান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন। এ পদ্ধতিতে এলইডি ব্যবহার করে ডিজিটাল তথ্যের সংকেত পাঠানো হয়। একটি লাইট সেন্সর এলইডি থেকে পাঠানো তথ্য শনাক্ত করতে পারে, যা পরে কম্পিউটারে প্রসেসিং করা সম্ভব হয়। গবেষকেরা এ পদ্ধতিটির নাম দিয়েছেন ‘লাই-ফাই’।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, লাই-ফাই ব্যবহার করে হাই-ডেফিনেশন মানের চলচ্চিত্রও এক মিনিটেই ডাউনলোড করা সম্ভব। আর বাড়ির প্রতিটি বৈদ্যুতিক বাতিকে লাই-ফাই প্রযুক্তির রাউটার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটে তারবিহীন প্রযুক্তির ইন্টারনেট হিসেবে কাজ করতে পারে।
জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য ফাইবার অপটিকস এক্সপোতে লাই-ফাই প্রযুক্তি প্রদর্শন করতে পারেন জার্মানির গবেষকেরা।
উৎসঃ   প্রথম আলো


57
Common Forum / Solar Biman
« on: May 06, 2013, 05:33:34 PM »


প্রথম  সৌর বিমান

জ্বালানির বোঝা নয়, এবার উড়বে সৌর শক্তির বিমান। আগামী ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের এপাশ-ওপাশ উড়বে অতি হাল্কা ওজনের সম্পূর্ণ জ্বালানিবিহীন এবং সৌরশক্তিচালিত এই উড়োজাহাজ। তবে আপাতত যাত্রী বহনের আশা করতে পারছেন না বিমানটির প্রস্তুতকারকরা। এটিই হচ্ছে বিশ্বের প্রথম সৌর শক্তিচালিত বিমান। খবর দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের। সম্পূর্ণ সৌরশক্তিচালিত প্লেনটির বডি তৈরি করা হয়েছে কার্বন ফাইবার
দিয়ে। ৭৪৭ জেটলাইনারের মতো পাখা, এর ওজন একটি স্টেশন ওয়াগনের সমান। আর এটি চলতে লাগবে স্কুটারের চাহিদার সমপরিমাণ শক্তি। প্লেনটির পাখার সঙ্গে সোলার প্যানেল যুক্ত থাকবে। ভেতরে থাকবে লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। বিমানটি দিনে সূর্য থেকে শক্তি নেবে আর রাতের জন্য শক্তি সঞ্চয় থাকবে ব্যাটারিতে। প্লেনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে এমন সৃষ্টিশীল প্রকৌশল, যা সূর্য ডুবে গেলেও সৌরশক্তি গ্রহণের ক্ষমতা রাখে।
উদ্বোধনী দিনে ক্যালিফোর্নিয়ার সিভিল-সামরিক বিমানবন্দর মফেট ফিল্ড থেকে উড়ে প্লেনটি নিউইয়র্ক সিটি পর্যন্ত যাবে। মাঝে যাত্রাবিরতি নেবে টেক্সাসের ডালাস শহরে। তবে জুলাই নাগাদ অ্যারিজোনার ফিনিক্স, ওয়াশিংটন ডিসি, টেনেসির ন্যাশভিল ও জর্জিয়ার আটলান্টা পর্যন্ত রুট হবে প্লেনটির। ১০ বছরের প্রচেষ্টার ফসল প্লেনটির আপতত দায়িত্ব দুই সুইস পাইলট বার্ট্রান্ড পিকার্ড ও আন্ড্রি বরশবার্গের হাতে।
বার্ট্রান্ড পিকার্ড জানান, প্লেনটি একজন পাইলট বহন করতে পারবেন, তবে কোনো যাত্রী নয়। যাত্রী বহন না করলেও এটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে। তিনি বলেন, এখনই আমরা ২০০ যাত্রীসহ সৌরশক্তিচালিত প্লেনের আশা করতে পারছি না। যেমনটি ১৯০৩ সালের আগে আশা করা যায়নি, মানুষ নিয়ে প্লেন আকাশে উড়বে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কী হবে আমরা বলতে পারি না। শুরু করেছি, দেখা যাক প্রযুক্তি আমাদের কোথায় নিয়ে যায়।
উৎসঃ   সমকাল

58


২০২৩ সালে মঙ্গলে গড়ে উঠবে মানববসতি!


পৃথিবীর বাইরে চাঁদে বসতি গড়ার স্বপ্ন মানুষের অনেক দিনের। এবার মঙ্গলে মানববসতি গড়ে তোলার উদ্যোগ হাতে নেওয়া হচ্ছে। নেদারল্যান্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘মার্স ওয়ান’ এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

কিংবদন্তি মার্কিন জ্যোতির্বিদ কার্ল সাগানের স্বপ্নেরই বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে ‘মার্স ওয়ান’। ১৭ বছর আগে মঙ্গলে মানুষের পদচিহ্ন রাখার স্বপ্নটি দেখেছিলেন সাগান।

সাগানের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ২০২৩ সাল নাগাদ চার জন নভোচারীকে মঙ্গল গ্রহে পাঠানোর পরিকল্পনা সম্বলিত একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে মার্স ওয়ান।

মার্স ওয়ান এক বিবৃতিতে মঙ্গল গ্রহে একটি মানুষের উপনিবেশ গড়ে তোলার কথা জানিয়েছে। মঙ্গলকে মানুষের বাসের উপযোগী করে তোলার সব প্রস্তুতি সেরে ফেলার জন্যই সৌরজগতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম গ্রহটিতে পাঠানো হবে ওই চারজন নভোচারীকে।

মানববসতি গড়ে তোলার জন্য নভোচারীদেরকে দিতে হবে অগ্নিপরীক্ষা । কেননা বেশ বিরূপ পরিবেশে টিকে থাকতে হবে তাদের।

প্রথমত, মঙ্গল গ্রহে থাকাকালীন সময়ে মানব দেহকে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় সেখানকার মধ্যাকর্ষণের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে যা পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণের ৩৮ শতাংশ।

ধারনা করে হচ্ছে, এতে মানব দেহের অস্থি-ঘনত্ব, পেশীর শক্তি আর যাবতীয় সঞ্চালনে আমূল পরিবর্তনে ভ্রমণকারীদের দৈহিক অবস্থা পৃথিবীর পরিবেশে বসবাসের যোগ্য থাকবে না।

দ্বিতীয়ত, প্রথম অবস্থার কারণেই পৃথিবীতে বসবাসরত তাদের পরিবার পরিজনদের কাছ থেকে চিরবিদায় নিতে হবে। কেননা, এই ভ্রমণের কোনোরকম ফিরতি-টিকেট নেই।

পাঠক মনে করতে পারেন, মঙ্গলে পা রাখার স্বাদ মনেই থাক। যাওয়ার দরকার নেই। শুনলে অবাক না হয়ে পারবেন না-মঙ্গলে পা রাখার জন্য প্রথম চার নভোচারী হতে ইতোমধ্যে ১০ হাজার জন আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন র্মাস ওয়ানের মেডিক্যাল পরিচালক নরবার্ট ক্রাফট।

তিনি জানিয়েছেন, আবেদনকারীদের বয়স ১৮ থেকে ৬২ বছর। যদিও তারা পুরুষদেরকেই নেবেন তবু আবেদনকারীদের মধ্যে নারীরাও রয়েছেন।

মার্স ওয়ান জানিয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের পক্ষে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তারা মার্চে মার্কিন প্রতিষ্ঠান প্যারাগন স্পেস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের সঙ্গে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম আর মিশনের জন্য স্পেসস্যুট তৈরি করতে একটি চুক্তি সাক্ষর করেছে।

২০১০ সালে প্রকৌশলী বাস ল্যান্সডোর্প মার্স ওয়ান প্রতিষ্ঠা করেন। ল্যান্সডোর্প জানান, তাদের এই স্বপ্নকে রূপ দিতে খরচ পড়বে প্রায় ৬শ কোটি মার্কিন ডলার। প্রচারের স্বত্ব বিক্রি করে এই খরচের কিছু অংশ সংগ্রহ করা যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
উৎসঃ   বাংলানিউজ২৪



59
Fruit / Benifits of Pineapple
« on: May 06, 2013, 04:53:19 PM »


আনারসের রস কথন

ঢাকা টাইমস ডেস্ক

ঢাকা: আনারস বিশ্বের অন্যতম সেরা ফল। পুষ্টিগুণে আনারস অতুলনীয়। এতে ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ১০০ গ্রাম আনারসে ০.৬ ভাগ প্রোটিন, শ্বেতসার ৬.২ গ্রাম, ০.১ ভাগ সহজপাচ্য ফ্যাট, ০.৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১২.০ গ্রাম শর্করা, ০.১১ গ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৪ মি. গ্রাম ভিটামিন-২, ভিটামিন সি ২১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ০.০২ গ্রাম এবং ১.২ মিলি গ্রাম লৌহ রয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি ফল থেকে ৫০০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। কাঁচা আনারস স্বাদে অম্ল এবং পাকা আনারস মধুরাম্ল।
 
 
সাধারণত আনারস খেলে যেসব উপকার পাওয়া যায় তা হলো:
 
১. গরম-ঠাণ্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাব দূর করে এই ফল। এতে রয়েছে ব্যথা দূরকারী উপাদান। তাই শরীরের ব্যথা দূর করার জন্য এর অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
২. আনারস কৃমিনাশক। কৃমি দূর করার জন্য খালি পেটে (সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে) আনারস খাওয়া উচিত।
 
৩. দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল। ফলে শিরা-ধমনির (রক্তবাহী নালি) দেয়ালে রক্ত না জমার জন্য সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত যেতে পারে। হৃদপিন্ড আমাদের শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করে। আনারস রক্ত পরিষ্কার করে হৃদপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে।
 
৪. এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। জিহ্বা, তালু, দাঁত, মাড়ির যে কোনো অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আনারস।
৫. এতে রয়েছে খনিজ লবণ ম্যাঙ্গানিজ, যা দাঁত, হাড়, চুলকে করে শক্তিশালী। গবেষণা করে দেখা গেছে, নিয়মিত আনারস খান এমন ব্যক্তিদের ঠাণ্ডা লাগা, গলা ব্যথা, সাইনোসাইটিসজাতীয় অসুখগুলো কম হয়।
 
৬. এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি, যা আমাদের শক্তি জোগায়। প্রোটিন খাবার এ ফলটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। আনারস টাটকা খাওয়াই ভালো।
৭. আনারস জ্বরের ও জন্ডিস রোগের জন্য বেশ উপকারী।
৮. দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপলাবণ্যে আনারসের যথেষ্ট কদর রয়েছে।
 
মোট কথা, দেহের পুষ্টি সাধন এবং দেহকে সুস্থ-সবল ও নিরাময় রাখার জন্য আনারসকে একটি অতুলনীয় এবং কার্যকরী ফল বলা চলে।

60
Hair Loss / Hair Maintenance / Wrong Concept on Hair Maintenance
« on: May 06, 2013, 04:44:49 PM »

চুল নিয়ে ৭টি তথ্য-জেনে

নিন ঠিক না ভুল

নতুন বার্তা ডেস্ক

কুঁচ বরণ কন্যা তার মেঘ বরণ চুল-- ফেয়ারিটেলের রাপুনজেলই হোক অথবা আজকের এলইডি টিভির যুগে ঝাঁ চকচকে বিজ্ঞাপন, সবেতেই ঘুরে ফিরে আসে চুলের কথা। আর শুধু মেয়েরাই কেন, এখন তো চুলের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন পুরুষমহলও। কিন্তু আমাদের মনে এখনও থেকে গিয়েছে চুল সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা। কী সেই ভুল ধারণা? সত্যিটাই বা কী? জেনে নিন।

ভুল ধারণা ১: বেশিক্ষণ এসি ঘরে থাকলে চুল পড়া বেড়ে যায়। সত্যিটা কি? এসি-তে বেশিক্ষণ থাকলে চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। তবে চুল পড়া বেড়ে যায় কি না তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই।

ভুল ধারণা ২: প্রতিদিন চুল পড়া মানেই মাথায় টাক পড়তে শুরু করবে। সত্যিটা কি? প্রতিদিন ১০০টা করে চুল পড়া স্বাভাবিক। তবে যদি তার থেকে বেশি হয় তাহলে নিশ্চয়ই চিন্তার ব্যাপার। তার মানে এই নয়, আপনি সারাদিন ধরে গুনতে থাকবেন আপনার কটা চুল পড়ল। মাথায় হাত দিলেই বা আঁচড়ালেই যদি মুঠো মুঠো চুল উঠতে থাকে, তাহলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেয়াই ভালো।

ভুল ধারণা ৩: স্মুদনিং বা স্ট্রেটনিং করালে চুল পড়া বেড়ে যায়। সত্যিটা কি? সাধারণত ভালো কম্পানির হেয়ার কেয়ার প্রডাক্ট ব্যবহার করলে চিন্তার কোনও কারণ থাকে না। তবে নিয়মিত স্ট্রেটনার বা হেয়ার ড্রায়ার অথবা হেয়ার স্টাইলিং প্রডাক্ট ব্যবহার করলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। সেই সময়ে সঠিক যত্ন না নিলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে।

ভুল ধারণা ৪: স্ক্যাল্প মাসাজ করলে চুল পড়া বন্ধ হয়। সত্যিটা কি? খুব জোরে জোরে স্ক্যাল্প ঘষলে চুলের গোড়ায় ফ্রিকশন হয়। ফলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে।

ভুল ধারণা ৫: বার বার চুল কাটলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয়, গোড়া মোটা হয়। সত্যিটা কি? বার বার চুল কাটার সঙ্গে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। সাধারণত চুলের গোড়া সবার মোটা হয়। ফলে চুল ছোট করে কাটলে গোছ বেশি লাগে।

ভুল ধারণা ৬: ব্লো ড্রাই করলে চুল পড়ে। সত্যিটা কি? ব্লো ড্রাই করলে অবশ্যই সাময়িক ক্ষতি হয়। তবে সঠিক যত্ন নিলে খুব তাড়াতাড়িই চুলের স্বাস্থ্য ফিরে আসে।

ভুল ধারণা ৭: চুল পড়ার কোনো প্রতিকার নেই। সত্যিটা কি? সব থেকে বড় ভুল ধারণা। এখন বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে চুলের যেকোনো সমস্যা এমনকি হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টও খুব সহজেই সম্ভব। সূত্র: ওয়েবসাইট।

নতুন বার্তা/এসএফ
[/size]

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 11