Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - milan

Pages: 1 ... 8 9 [10]
136
বৈধপথে আন্তর্জাতিক কল কমছে কেন

রাশেদ মেহেদী

বৈধপথে আন্তর্জাতিক কল কেন কমছে, তা নিয়ে বেসরকারি আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডবি্লউ) অপারেটরদের ফোরাম আইওএফ এবং মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের বক্তব্য অনেকটাই পরস্পরবিরোধী। অ্যামটবের প্রতিবেদনে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, আইওএফ আন্তর্জাতিক কলের দাম দেড় থেকে দুই সেন্ট বা তার বেশি হারে নির্ধারণ করার কারণেই অবৈধপথে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল উৎসাহিত হচ্ছে। আইওএফের সুইচ ফোরাম আইওএস গঠনের পর থেকেই বৈধপথে কল কমছে এবং সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

 
জানা গেছে, আইওএসের সঙ্গে সরকারি ও বিরোধী দলের প্রভাবশালীরা সরাসরি জড়িত রয়েছেন। তারাই নিয়ন্ত্রণ করছেন আইওএফ। অন্যদিকে, আইওএফের চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা সমকালকে বলেন, ভিওআইপি প্রযুক্তির অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আন্তরিক না হওয়ার কারণেই বৈধপথে কল কমছে। এ ছাড়া ওভার দ্য টপ অ্যাপ (ওটিটি) ব্যবহারের কারণেও কল কমছে। তিনি বলেন, আইজিডবি্লউ অপারেটররা সরকারকে অনেক বেশি কর দিয়ে এবং লোকসানের মুখে থেকেও ব্যবসায় রয়েছেন।


তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতের আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার সিনিয়র ফেলো আবু সাঈদ খান সমকালকে বলেন, যারা গ্রাহকের কাছে কল পেঁৗছে দেয়, তাদের হাতে আন্তর্জাতিক কলের ব্যবসা নেই; ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। ফলে এখানে নয়ছয় হবেই।


অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৫ সালের জুন মাসে প্রভাবশালী সাতটি আইজিডবি্লউ অপারেটরকে নিয়ে সুইচ ফোরাম আইওএস গঠন করা হয়। এই সাতটি অপারেটরের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের রাজনৈতিক নেতাদের আশীর্বাদপুষ্টরা রয়েছেন। আইওএসভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ইউনিক ইনফোওয়ে, মীর টেলিকম, ডিজিকন টেলিকমিউনিকেশনস, রুটস কমিউনিকেশনস, বাংলা ট্র্যাক, নভো টেলিকম ও গ্গ্নোবাল ভয়েস। অনুসন্ধানে একাধিক সূত্র জানায়, ইউনিক ইনফোওয়ের মালিকানায় রয়েছেন এক বিএনপি নেতার স্ত্রী। রুটস কমিউনিকেশনসের মালিকানায় যারা রয়েছেন, তাদের অন্যতম একজন আওয়ামী লীগের সিনিয়র এক নেতার স্ত্রী। বাকি পাঁচটির লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। জানা গেছে, সরকার সমর্থক একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক নেপথ্যে থেকে আইওএফ নিয়ন্ত্রণ করছেন।


আইওএফ গঠন যেভাবে: আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা টেলিজিওগ্রাফির পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় অবৈধ আন্তর্জাতিক কলের সবচেয়ে বড় বাজার ছিল পাকিস্তান। এ সময় সেখানে প্রায় ৫২৪ কোটি রুপি রাজস্ব হারায় সে দেশের সরকার। সেখানে বিপুল পরিমাণ কল অবৈধপথে আসার কারণ হিসেবে সে দেশে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত আইজিডবি্লউ অপারেটরদের সুইচ ফোরাম আইসিএইচকে দায়ী করা হয়। পরে ২০১৪ সালের ১৭ জুন এক আদেশে পাকিস্তানের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আইসিএইচ বাতিল ঘোষণা করে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পাকিস্তানে অবৈধ আন্তর্জাতিক কলের বড় বাজার হাতছাড়া হওয়ার পরপরই আইসিএইচের আদলে বাংলাদেশে আইওএফ গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট নথি অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিটিআরসি বেসরকারি আইজিডবি্লউ, আইসিএক্স এবং মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগির শর্তে পরিবর্তন আনে। প্রতি মিনিট আন্তর্জাতিক কল থেকে আয়ের ক্ষেত্রে বিটিআরসির শেয়ারের পরিমাণ ৫১ থেকে কমিয়ে করা হয় ৪০ শতাংশ। অন্যদিকে, আইজিডবি্লউ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ১৩ দশমিক ২৪ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়।


দেখা যায়, ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বিটিআরসির এক আদেশে সাতটি বেসরকারি আইজিডবি্লউ প্রতিষ্ঠানের একটি সুইচ ফোরাম গঠন করা হয়। তখন পর্যন্ত আইজিডবি্লউ অপারেটরদের কোনো ফোরাম বা সংগঠনের সঙ্গে বিটিআরসির চুক্তি হয়নি। কিন্তু ওই আদেশে প্রস্তাবিত চুক্তির ৩ দশমিক ৬(এ) অনুযায়ী এই সুইচ ফোরাম গঠনের কথা বলা হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালের ৬ জুন আইজিডবি্লউ অপারেটরদের ফোরামের সঙ্গে চুক্তি অনুমোদন করা হয়। অর্থাৎ, চূড়ান্ত চুক্তির প্রায় নয় মাস আগেই প্রস্তাবিত চুক্তির ধারা উল্লেখ করে সুইচ ফোরাম আইওএস গঠন করা হয়! এরপর ২০১৫ সালের ২৯ জুন বিটিআরসির তৎকালীন চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানে নতুন নেটওয়ার্ক টপোলজির অনুমোদন দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানে বেসরকারি আইজিডবি্লউ প্রতিষ্ঠানগুলোর ফোরামের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়।


২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট থেকে আইজিডবি্লউ অপারেটর ফোরাম আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। ফোরামের সঙ্গে বিটিআরসির চুক্তিতে সরকারের সঙ্গে ১ দশমিক ৫ সেন্ট হারে রাজস্ব শেয়ারিংয়ের কথা বলা হলে আইওএফ কর্তৃপক্ষকে সাড়ে তিন সেন্ট পর্যন্ত কলরেট বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়। এ সুযোগ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর এক মাসের মধ্যে আইওএফ কলরেট ২ সেন্ট করে। এর পর থেকে বৈধপথে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল ক্রমাগত কমতে থাকে।


আইওএফ-পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক কলের চিত্র :অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত বৈধপথে প্রতিদিন গড়ে আন্তর্জাতিক কলের পরিমাণ ছিল প্রায় ১১ কোটি মিনিট। ২৫ আগস্ট থেকে বৈধপথে কলের সংখ্যা কমতে থাকে এবং চলতি বছরের মে পর্যন্ত গড়ে এসেছে সাড়ে ছয় কোটি মিনিটে। অ্যামটবের বিটিআরসিতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ সালের জুলাই থেকে পরের বছরের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল কমেছে প্রায় ৭০০ কোটি মিনিট। এ সময়ে সরকার বছরে রাজস্ব হারিয়েছে এক হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা, মোবাইল ফোন অপারেটরদের ক্ষতি ৮০০ কোটি টাকা এবং ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) অপারেটরদের ক্ষতি ১৩২ কোটি টাকা। তবে একই সময়ে আইজিডবি্লউ প্রতিষ্ঠানের আয়ের পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৪৪ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারের রাজস্ব হারানো এই অর্থ চলে গেছে আইজিডবি্লউ অপারেটরদের পকেটে।


এ ব্যাপারে আইওএফের প্রধান নির্বাহী খন্দকার মাজহারুল হক সমকালকে বলেন, অ্যামটবের ওই হিসাব সঠিক নয়; বরং আইজিডবি্লউ অপারেটররা প্রতিবছর সময়মতো চুক্তির শর্ত অনুযায়ী রাজস্ব দিচ্ছে। এর আগে সরকারকে পুরনো এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। একই সঙ্গে ওটিটি কল বেড়ে যাওয়ার কারণে আইজিডবি্লউ অপারেটরদের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কার মুখে পড়ছে। তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটরদের ভয়েস কল ব্যবসা কমলেও ক্ষতি নেই। কারণ, ওটিটি কল বাড়ার কারণে মোবাইল অপারেটরদের ডাটার ব্যবসা বাড়ছে। কিন্তু মূল ক্ষতি হচ্ছে আইজিডবি্লউ অপারেটরদের।


এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ সমকালকে বলেন, বর্তমানে অবৈধ ভিওআইপির পরিমাণ একবারেই কমে গেছে। টেলিটকের বিরুদ্ধে আগে অভিযোগ ছিল। কিন্তু গত তিন মাসে টেলিটকের ক্ষেত্রেও অবৈধ ভিওআইপি নেই বললেই চলে। এ ছাড়া যখনই তথ্য আসছে, অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তখনই অবৈধ ভিওআইপির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে বিটিআরসি। ফলে আইওএফ অবৈধ ভিওআইপি বাড়ার যে অভিযোগ করেছে, তা ভিত্তিহীন।
http://bangla.samakal.net/2017/06/18/301883

137

শান্তনু কায়সার

সাহিত্যে ও সক্রিয়তায়
পিয়াস মজিদ
২১ এপ্রিল ২০১৭, ০০:৫১
প্রিন্ট সংস্করণ
 
শান্তনু কায়সার (৩০ ডিসেম্বর ১৯৫০—১১ এপ্রিল ২০১৭)। ছবি: প্রথম আলো

সম্প্রতি মারা গেলেন প্রাবন্ধিক-গবেষক শান্তনু কায়সার। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা

প্যারিস নই, একালের রাখাল
দেবীদের সৌন্দর্য বিচারের ভার পাইনি, তাই
ঘুষ নিয়ে হেলেনকে কবজা করব
সে সুযোগও হয়নি
গ্রিক পুরাণ যদি বাদ দেই তাহলে ত নিশ্চিত জানি:
নারী নয়, সমুদ্রের ওপর প্রভুত্ব বিস্তারই ছিল
ট্রোজান যুদ্ধের মূল কারণ।

গরু চরাতে চরাতে বুঝতে পারি, এ নীলিমায়
আমার কোনো অধিকার নেই।
আমি রাখাল, চাষাবাদের জমি গরুসুদ্ধ
খেতে বন্দী ভূমিদাস
তৃণক্ষেত্রে পশুপাল নিয়ে যাই,
কেটে আনি কচুরিপানা
ভেসে চলি ওদেরই মতো অথবা
আটকে থাকি ডালপালার বন্দিশালায়
ফাঁদে পড়া মাছের সঙ্গে ডাঙায় তুলে
আমাকেও বাঁচিয়ে রাখে
|যেন জিয়ানো কই, মাগুর অথবা দশাসই শিং

রাখাল খেতমজুর, ফাই-ফরমাশ
খাটার চাকর—এই ত্রয়ী ভূমিকায়
আমি বেশ মানিয়ে গেছি; খুদকুঁড়ো পেয়ে
গায়ে-গতরে যেমন বাড়তে থাকে মোরগ-মুরগি
আমিও তেমনি খেয়ে খেয়ে তেলতেলে হয়েছি।

খেতে ভালো হবে ভেবেই তো মুরগিগুলোকে
ওরা এন্তার খাওয়াচ্ছে
আমি বাড়ছি গায়ে-গতরে, কারণ, আমার
শ্রম ওদের বড় দরকার
আমাকেও জবাই করবে জানি;
কিন্তু আমি তো মানুষ
জবাই হবার আগে একবারও কি ভাবব না?

১৯৮২ সালে প্রকাশিত শান্তনু কায়সারের (১৯৫০-২০১৭) প্রথম কবিতার বই রাখালের আত্মচরিত-এর নামকবিতায় দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে দূরাগত মিথের ব্যবহারে শ্রেণিবিভক্ত সমাজের চিত্র কবিতায় বাঙ্ময় করতে চেয়েছেন তিনি। প্রাবন্ধিক-গবেষক শান্তনু কায়সার কবিতা দিয়েই শুরু করেছিলেন তাঁর সাহিত্যিক যাত্রা। ২০০৩-এ ৩০ বছর ব্যবধানে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় কবিতার বই শুভ সুবর্ণজয়ন্তী। ভাষা আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তিতে কবিতার বইয়ের এমন উদ্যাপনীয় শিরোনাম নির্বাচন ছিল তাঁর।
কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক লিখেছেন কিন্তু তাঁর সাহিত্যসত্তার পূর্ণাবয়ব প্রকাশ-বিকাশ চিন্তাগাঢ় প্রাবন্ধিক গদ্যে ও ভাবনা-নিবিড় গবেষণায়। মূলত সাহিত্যিক ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্র করেই তাঁর উল্লেখযোগ্য গদ্যকর্মের শাখাবিস্তার। তাঁদের মধ্যে আছেন বঙ্কিমচন্দ্র, মীর মশাররফ হোসেন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ, অদ্বৈত মল্লবর্মণ, জীবনানন্দ দাশ প্রমুখ।
অদ্বৈত মল্লবর্মণের জীবনী প্রকাশের মধ্য দিয়ে যে অদ্বৈতচর্চার শুরু, তা অব্যাহত ছিল ২০১৭-তে তাঁর প্রয়াণের পূর্বপর্যন্ত। শান্তনুর ছেদহীন অদ্বৈতচর্চার ফল—অদ্বৈত মল্লবর্মণ (বাংলা একাডেমি, ১৯৮৭), অদ্বৈত মল্লবর্মণ: জীবন, সাহিত্য ও অন্যান্য (১৯৯৮), জন্মশতবর্ষে অদ্বৈত মল্লবর্মণ: জীবন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি (২০১৪)। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে অদ্বৈত মল্লবর্মণের উপন্যাসসমগ্র এবং কালজয়ী উপন্যাস তিতাস একটি নদীর নাম। তিতাস একটি নদীর নাম-এর নাট্যরূপও দিয়েছেন। শিল্পী ভ্যান গঘের জীবনভিত্তিক আরভিং স্টোনের লাস্ট ফর লাইফ নামে যে উপন্যাস অদ্বৈত অনুবাদ করেছিলেন, তার টীকা-ভূমিকাসংবলিত একটি সম্পাদিত রূপ এবং অদ্বৈত-জীবনীর পরিমার্জিত ভাষ্য তৈরি করে গেছেন তিনি, যা প্রকাশের অপেক্ষায়।
অদ্বৈত-কেন্দ্রিত প্রতিটি বইয়ে তিনি সাম্প্রতিক তথ্য সংযোজন এবং তৎপ্রেক্ষিতে তাঁর বিশ্লেষণ যুক্ত করে গবেষণাকে একটি ধারাবাহিকতায় মালাবদ্ধ করেছেন। তাঁর সশ্রম অদ্বৈত-গবেষণা দেশ-বিদেশের সুধী পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। লেখার মধ্য দিয়ে অদ্বৈতকে স্মরণের পাশাপাশি তাঁর জন্মস্থল এবং তিতাস একটি নদীর নাম-এর কেন্দ্রভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাটের মালোপাড়াকে ঘিরে একটি সাংস্কৃতিক বলয় নির্মাণে তিনি গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে আমৃত্যু একজন সক্রিয় কর্মীর মতো অনলস কাজ করে গেছেন।
অন্যান্য ক্ষেত্রেও তাঁর গবেষণা গতানুগামী নয়। নজরুল-গবেষণায় পরিচিত বৃত্তের বাইরে গিয়ে নজরুলের সৃষ্টিতে ফুলের অনুষঙ্গ নিয়ে লিখেছেন একটি অসাধারণ মিতাবয়ব বই ফুল ও নজরুল, যা প্রয়াত পুষ্পবিশারদ আবদুশ শাকুরকেও মুগ্ধ করেছে। ঐ নূতনের কেতন ওড়ে নামে নজরুলকে নিয়ে একটি উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। বিভূতিভূষণের দেবযান উপন্যাসের প্রায় ৭০ পৃষ্ঠার বিশ্লেষণভাষ্য ‘দেবযান: স্বর্গ ও পৃথিবীর দ্বন্দ্ব’ তাঁর প্রাবন্ধিক নিষ্ঠা ও নতুনতার পরিচয়বহ। কবি জীবনানন্দ দাশের গহন-গভীর গদ্যসত্তার উন্মোচক আলোচনা বিধৃত হয়েছে শান্তনু কায়সারের গভীর গভীরতর অসুখ: গদ্যসত্তার জীবনানন্দ বইয়ে। ভূমিকা থেকে অল্প একটু উদ্ধৃতিতে স্পষ্ট হবে জীবনানন্দ-চর্চায় শান্তনু কায়সারের অন্বিষ্ট:
বাংলার রূপে কবি মুগ্ধ, কিন্তু যুদ্ধ ও মন্বন্তরের ছোবল তাকে ‘রূপসী’ থাকতে দেয়নি, সৌন্দর্যে লেগেছে গ্রহণের ছায়া ও দাগ। তার কবিসত্তার সংবেদনশীল ও প্রতিক্রিয়ায় তীব্র মন ও মনন অত্যন্ত গোপনে গদ্যের চর্চা করেছে। প্রথমে নিশ্চয়ই তিনি নিজের প্রয়োজনেই ঐ গদ্য লিখতে শুরু করেন। যাকে তিনি প্রকাশযোগ্য বিবেচনা করেন তা রচিত হতে থাকে কবিতায়। আর যা প্রকাশযোগ্য নয় বলে তিনি ভাবেন কিন্তু যার দংশন থেকে আত্মরক্ষায়ও সমর্থ নন, সেই গদ্যে নিজের প্রয়োজনে এক মোক্ষণক্রিয়া ঘটিয়ে চলেন। এই সংগ্রাম অথবা সংগ্রামের অন্তর্দ্বন্দ্ব আমৃত্যু তার মধ্যে ক্রিয়া করতে থাকে।
 শান্তনু কায়সারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গবেষণাকর্ম তৃতীয় মীর। ব্যক্তি মীর মশাররফ হোসেনকে ‘প্রথম মীর’, শিল্পী মীরকে ‘দ্বিতীয় মীর’ ধরে, এই দ্বিবিধ সত্তার দ্বন্দ্ব ও প্রতিক্রিয়ায় তিনি ‘তৃতীয় মীর’ নামক একজনকে খুঁজতে চেয়েছেন ‘জগৎ পরাধীন, কিন্তু মন স্বাধীন’, ‘গাজী মিয়ার তৃতীয় নয়ন’, ‘মীরের আত্মজৈবনিক রচনা বিষয়ে সংশয়’-এর মতো দার্শনিক ব্যাখ্যাঋদ্ধ প্রবন্ধসমুচ্চয়ে। দুই পর্বের বঙ্কিমচন্দ্র (১৯৮২ ও ১৯৮৪) তাঁর আরেকটি উল্লেখনীয় গবেষণাকর্ম।
নাটক নিয়ে তিনি বিশেষ উৎসাহী ছিলেন। বাংলা একাডেমির ভাষাশহীদ গ্রন্থমালা সিরিজে লিখেছেন কাব্যনাটক (১৯৮৬, পরিমার্জিত রূপ—কাব্য ও নাট্য: কাব্যনাট্য)। ২০১৪-তে প্রকাশিত বাংলাদেশের নাটক ও নাট্যদ্বন্দ্বের ইতিহাস তাঁর নাট্যালোচনার সংকলন। এখানে দীনবন্ধু মিত্র, লেবেদেফ, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, তৃপ্তি মিত্র, সেলিম আল দীন, সৈয়দ শামসুল হক, জিয়া হায়দার, এস এম সোলায়মান, মামুনুর রশীদ যেমন তাঁর নাট্যলোচনার বিষয় হয়েছেন, তেমনি সংস্কৃত নাটক থেকে গণনাট্যও হয়েছে নাট্যপর্যালোচনার উপজীব্য। মার্কিন তাত্ত্বিক রবার্ট ব্রাস্টেইনের থিয়েটার অব রিভোল্ট তিনি রূপান্তর করেছেন বিদ্রোহী নাট্যতত্ত্ব: ত্রয়ী নাট্যকার শিরোনামে। এই ত্রয়ী নাট্যকার হলেন বার্টল্ড ব্রেখট, জাঁ জেনে এবং লুইজ পিরেন্দেল্লো। এ ছাড়া তিনি অনুবাদ করেছেন শেক্সপিয়ারের সমসাময়িক স্প্যানিশ নাট্যকার লোপে দে ভেগার কৃষকনাট্য ফুয়েন্তে অভিজুনা, যার কয়েক শতাব্দীপূর্ব ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে খুঁজে পেয়েছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের তৃণমূল বাস্তবতার। নিজেও নাটক লিখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জন্মগ্রামের নামে সাজনমেঘ নাটক ছাড়াও লিখেছেন রূপান্তর, আমরা এবং নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলার জীবনের প্রেমপর্ব নিয়ে নাটক তুমি। উল্লেখ্য, সাজনমেঘ নাটকটি শিশির দত্তের নির্দেশনায় চট্টগ্রামের অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়ের প্রযোজনায় মঞ্চস্থও হয়েছে। সাহিত্যিক সূচনাপর্বেই কবিতায় যেমন গণচেতনার শৈল্পিক রূপায়ণ করেছেন, তেমনি নাট্যরচনা, আলোচনা ও অনুবাদেও সমাজ ও জনজীবনলগ্নতাকে কেন্দ্রগুরুত্বে রেখেছেন। তাঁকে প্রায়ই দেখা যেত কুমিল্লা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে—মে দিবস উপলক্ষে আরণ্যকের গণনাট্য প্রদর্শনীতে অংশ নিতে।
সাহিত্যব্যক্তিত্বের প্রতি গবেষক-আগ্রহ ও অভিনিবেশ ক্রমশ বিস্তৃত হয়েছে বৃহৎ পরিসরের অন্য কৃতিমানদের প্রতিও। দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর, একাত্তরের শহীদ চিকিৎসক মোহাম্মদ মোর্তজার জীবনী লিখেছেন। ‘সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা, দেশ মাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা’—এই স্মরণীয় পঙ্ক্তির কবি রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী (১৯০৭-৩৪) কিংবা তাঁর সমকালীন সাহিত্যিক-সংগঠক নাজমা জেসমিন চৌধুরীর (১৯৪০-৮৯) জীবনী রচনায়ও তিনি ছিলেন সমান উৎসাহী। সম্প্রতি তিনি লিখেছেন দুই ভুবনের দুই কথাশিল্পী মীর মশাররফ হোসেন এবং শওকত ওসমানের জীবনী। জীবনীকে তিনি শুধু সুকৃতির গাথায় পরিণত করেননি, বরং জীবনীকে নির্মোহ-নিরাসক্ত-নৈর্ব্যক্তিক আলোচনা-প্রত্যালোচনার কাঠামোয় দাঁড় করিয়েছেন। তাঁর সম্পাদনা-কাজের মধ্যে অকালপ্রয়াত লেখক খান মোহাম্মদ ফারাবীর রচনাসমগ্র অন্যতম। এতে ফারাবীর রচনা সংকলনের পাশাপাশি শান্তনুর মূল্যায়নমূলক দীর্ঘ ভূমিকা পাঠক-গবেষক উভয়ের জন্য মূল্যবান প্রবেশক হিসেবে কাজ করে।
শিক্ষকতার সূত্রে দেশের নানা প্রান্তে বসবাস করেছেন; যে প্রান্তেই গেছেন, সেখানেই নতুন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বিনির্মাণ করেছেন। আশির দশকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অধ্যাপনাকালে ‘ঋত্বিক’, ‘সাহিত্য একাডেমি’—এসব সংগঠনের মাধ্যমে স্থানীয় রক্ষণশীল পরিস্থিতি অতিক্রম করেছেন, সেখানে আয়োজন করেছেন ‘ইবনে সিনা-আইনস্টাইন-কার্ল মার্কস স্মরণোৎসব’। কুমিল্লা মহিলা কলেজে থাকাকালে তাঁর নির্দেশনায় কলেজের ছাত্রীরা মঞ্চস্থ করেছে টি এস এলিয়টের মার্ডার ইন দ্য ক্যাথিড্রাল, জামালপুরের এক কলেজে অধ্যক্ষতার সময় সেখানকার সন্তান হাসান হাফিজুর রহমানকে নিয়ে গবেষণা করেছেন। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে তাঁর তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত কলেজ ম্যাগাজিনের পাতা ওল্টালে দেখা যাবে মফস্বলের কলেজ ম্যাগাজিনের জন্য কাইয়ুম চৌধুরী কিংবা হাশেম খানের প্রচ্ছদ সংগ্রহ করেছেন, দেশের বিশিষ্ট লেখকদের লেখার সঙ্গে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনাময় লেখার সমাবেশ ঘটিয়েছেন। এভাবে কলেজ ম্যাগাজিনকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে একটি সাধারণ সাহিত্যপত্রে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।
অধ্যাপনা থেকে অবসরের পর স্ত্রী সালেহা বেগমসহ প্রবাসী পুত্রদের কাছে গিয়েছিলেন কিছুটা সময় অবকাশ কাটাতে। কিন্তু প্রকৃত লেখকের তো কোনো অবকাশ যাপন হয় না। তাই প্রবাসযাপনে অসুস্থাবস্থায়ও স্থানীয় কুমিল্লার কাগজ পত্রিকায় নিয়মিত লিখে গেছেন ‘তিরিশ ছাড়িয়ে’ শিরোনামে আধা আত্মজৈবনিক-আধা প্রবন্ধধর্মী মুক্তরচনা। দ্রুত দেশে ফিরেছেন ‘মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস: কুমিল্লা’ শীর্ষক গবেষণাকর্ম শেষ করার তাগাদায়।
চাঁদপুরে জন্ম নেওয়া শান্তনু কায়সার দীর্ঘ বসবাসের শহর কুমিল্লায় ‘সমতট’ নামে যে সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন, তার সর্বশেষ সভায় এ সংগঠন থেকে চালু হওয়া ‘শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মারক বক্তৃতা’র বিষয় নির্বাচন করেছিলেন ২০২১-এ ‘মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে স্বদেশ ও সমাজভাবনা’। অকস্মাৎ মৃত্যু এসে অনতি-সত্তরে তাঁকে এসব কিছু থেকেই ছিনিয়ে নিয়ে গেল। কিন্তু জীবন হ্রস্ব হলেও শিল্প তো দীর্ঘ। আমাদের সে দীর্ঘ শিল্পযাত্রায় এক জীবনের সাহিত্যকর্ম ও সক্রিয়তার গুণে শান্তনু কায়সার স্মরণীয় হয়ে থাকবেন নিঃসন্দেহে।
Link:http://www.prothom-alo.com/art-and-literature/article/1152346/

138

ভালো থেকো তুমি
প্রিয় জন্মভূমি, ভালো থেকো তুমি। মঙ্গল হোক তোমার
আহাদ আদনান
১৬ এপ্রিল ২০১৭, ০৮:১৮
প্রিন্ট সংস্করণ

৮ এপ্রিল সৈয়দপুরে (নীলফামারী) মাদকবিরোধী সাইকেল শুভাযাত্রা ও মাদকবিরোধী শপথ গ্রহণের আয়োজন করে প্রথম আলো বন্ধুসভা৮ এপ্রিল সৈয়দপুরে (নীলফামারী) মাদকবিরোধী সাইকেল শুভাযাত্রা ও মাদকবিরোধী শপথ গ্রহণের আয়োজন করে প্রথম আলো বন্ধুসভা
মানিক থাকবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ২০ বছর হয়ে গেছে, আমাকে ভোলেনি। ঠিক বের করে ফেলেছে ফেসবুকে। ‘দোস্ত, একটিবার আয় না দেশে। সামনের পয়লা বৈশাখটা গ্রামে ঘুরে যা।’ সুদূর কানাডায় বসে আমি পারিনি এই আকুতি অবহেলা করতে।
পদ্মার তীর ঘেঁষে ছিল আমাদের গ্রাম। ভাঙনে একবার কেড়ে নিল ঘরবাড়ি এই নদী। আজ অবাক হয়ে দেখি মহাসড়ক থেকে গ্রাম পর্যন্ত পাকা রাস্তা। বৈশাখের প্রথম দিন। চারদিকে সাজ-সাজ রব। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখি মানিক রোগী দেখছে। গ্রামের সেই বন্ধুটা এখন চিকিৎসক। আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরে পাগল ছেলেটা।
মানিক আমাকে নিয়ে যায় অতীতের স্মৃতিগুলোতে। খেলার মাঠটা চারদিকে দেয়ালে আটকা পড়ে ছোট হয়ে গেছে। কোনায় কিছু মুঠোফোন কোম্পানির টাওয়ার। ‘দোস্ত, সবার হাতে এখন মোবাইল এসে গেছে।’ মনে মনে বলি, ভালো থেকো প্রিয় মাঠ।
‘এখানে আমাদের পুকুরটা ছিল না?’ একটা পাঁচতলা দালানের সামনে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করি। ‘মোবারক চাচার বাড়ি এটা। তার ছেলে দুবাই কাজ করে। গ্রামের আরও ১৫-১৬ জন বাইরে থাকে। টাকা পাঠায় দেশে।’ দুই বন্ধু যাই ঘোষ কাকুর মিষ্টির দোকানে। মানিক পরিচয় করিয়ে দেয়। কাকু জড়িয়ে ধরেন আমাকে। ২০ বছর পর সেই মিষ্টি মুখে দিয়ে তাকিয়ে দেখি কাকুর সজল চোখের ভাষা, ‘ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুক।’
চৌধুরী চাচাকে দেখলাম চায়ের দোকানে। চিনতে সময় লাগেনি এতটুকু। আমাদের বাড়ি যেদিন তলিয়ে গেল পদ্মায়, সেদিন জানতে পারলাম, বাকি সম্পত্তি সব অবৈধ দখল করে নিয়েছেন এই চৌধুরী। আমার শিক্ষক বাবা দিনের পর দিন পরাজিত হতে হতে বাধ্য হন গ্রাম ছাড়তে। তারপর পরিশ্রম, অধ্যবসায়, লড়াই করে পড়ালেখা চালিয়ে নেওয়া, বুয়েটে পড়া, কয়েকটা বৃত্তি, কানাডা, এইতো আমার ইতিহাস। আমি ভেবেছিলাম লোকটাকে আবার কখনো পেলে হয়তো খুন করে ফেলব। অথচ কী আশ্চর্য, আমি ধীরে ধীরে তাঁকে কদমবুসি করতে এগিয়ে যাই, আর মানিক যখন বলে, ‘চাচা, ও আব্বাস মাস্টারের ছেলে’, তখন লোকটা আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
মেলায় ঘুরতে ঘুরতে দিন পার হয়ে যায়। হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো নতুনভাবে ফিরে আসে। কত পাল্টে গেছে এই গ্রাম। কোনো বাড়িতে কাচা পায়খানা নেই, প্রত্যেকটা মেয়ে পড়ালেখা করে, চাষ হয় ট্রাক্টর দিয়ে, মানিকেরা নতুন দিন গড়ে। পদ্মা নদীর মাঝিরা পর্যন্ত সেলফি তুলতে শিখে গেছে।
একসময় ফিরে আসতে হয়। গ্রামের শেষ মাথায় দাঁড়িয়ে দেখি মানিকের জলে ভেজা বিদায়। নিজের অজান্তে বলে উঠি, প্রিয় জন্মভূমি, ভালো থেকো তুমি। মঙ্গল হোক তোমার।
Link: http://www.prothom-alo.com/pachmisheli/article/1146291/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%AD%E0%A7%82%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8B-%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A5%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%95-%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0

139
একটা গোটা লঙ্কা চিবিয়ে খান, নিজেই দেখুন কি উপকার পাচ্ছেন
উত্তরবঙ্গ সংবাদ পোর্টালঃ আমাদের রোজকার খাবারে লঙ্কার উপস্থিতি তো অবধারিত। কিন্তু রান্না করা লঙ্কা না খেয়ে কাঁচা লঙ্কা খেলে যে কত উপকার পাওয়া যায় তার খবর আমরা রাখি না। চলুন দেখে নেই কি কি উপকারে আসে এই ছোট্ট লঙ্কা-
১) দ্রুত ক্যালেরি ঝরাতে বেশ কাজে দেয় লঙ্কা।
২) রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে জুড়ি নেই লঙ্কার।
৩) নিয়মিত লঙ্কা খেলে হজমের সমস্যার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৪) মারণব্যাধি ক্যানসার ঠেকাতে সাহায্য করে লঙ্কা।
৫) নিয়মিত লঙ্কা খেলে মানুষের কন্ঠস্বরের বিকৃতি কমে।
৬) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে লঙ্কা। বিশেষত ঋতুপরিবর্তনের সময় লঙ্কা খেলে সর্দি কাশির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৭) যে সমস্ত জিন মানুষের বার্ধক্যের জন্য দায়ী, তাদের কর্মক্ষমতা অনেকাংশে কমিয়ে দেয় লঙ্কা।
৮) মাথাব্যথা হলে একটা গোটা লঙ্কা চিবিয়ে খান, দেখুন মাথাব্যথা পালিয়ে যাবে।


Link: http://www.allbanglanewspaperlist24.com

Pages: 1 ... 8 9 [10]