Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - nusratjahan

Pages: [1] 2 3
5
পরিবারের সদস্য ছাড়াও অসংখ্য মানুষের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। সেই ছোট থেকে আমৃত্যু মানুষকে ঘিরেই আমাদের জীবন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় আর এরপর চাকরিবাকরি—জীবনকে এমন সোজাসাপ্টা হিসেবে পর্যবেক্ষণ করলেও দেখা যাবে, এই দীর্ঘ যাত্রায় হাজারো মানুষের সঙ্গে আমরা পরিচিত হয়েছি। সবার চেহারা, রং একদম আলাদা। প্রশ্ন আসতেই পারে, কতজনের চেহারা আমাদের মনে আছে?

প্রশ্নটা এভাবেও করা যায়, আমাদের মস্তিষ্ক ঠিক কত জনের চেহারা ধারণ করতে সক্ষম? এর উত্তর জানলে বিস্মিত হবেন। সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানিয়েছে, একটা মানুষ গড়ে পাঁচ হাজার চেহারা মনে রাখতে পারে।

ব্যক্তিগত জীবন ও মিডিয়া থেকে অংশগ্রহণকারীরা ঠিক কতগুলো মুখ স্মরণে আনতে পারেন, তার ওপর গবেষণা করেছেন একদল বিশেষজ্ঞ। অনেক বিখ্যাত মুখও তাঁরা দ্রুত চিহ্নিত করতে পেরেছেন।

মানুষ সাধারণত ছোট দলে ভাগ হয়ে বাস করে। তার চারপাশে শ’খানেক মানুষ তো থাকেই। গবেষণা নিবন্ধটি বলছে, মানুষের মুখাবয়ব চিহ্নিতকরণ সক্ষমতা অনেক। হাজারো চেহারা মনে রাখতে পারে মানুষ।

আধুনিক যুগে আমরা শুধু প্রত্যেক্ষ বা মুখোমুখি যোগাযোগই করি না, আন্তর্জালিক যোগাযোগও করি। সেখানে বহু মানুষের সঙ্গে পরিচিত হই। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম... ভার্চুয়াল এ যুগে অনেকের সঙ্গে আমাদের খুব সখ্য, কিন্তু কখনো দেখা হয়নি একটিবারও! তবুও তাঁদের চেহারা চিহ্নিত করতে পারে মানুষ।

চেহারা চিহ্নিতকরণের জন্য একটি সফটওয়্যারও আছে, যা বিমানবন্দর ও পুলিশি তদন্তে ব্যবহার করা হয়।

গবেষক দলটির প্রধান ড. রব জেনকিনস বলেছেন, ‘আমাদের গবেষণার মূল ফোকাস ছিল, প্রকৃতপক্ষে মানুষ কত সংখ্যক চেহারা মনে রাখতে পারে—আমরা এখনো জানি না, আমাদের মস্তিষ্ক ঠিক কী পরিমাণ অবয়ব স্মরণে রাখতে সক্ষম।’ তবে একেকজনের সামর্থ্য একেক রকম, এটাও বলেন তিনি।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা এক ঘণ্টা ব্যয় করেন তাঁদের স্মরণে থাকা মুখগুলোর নাম লিখতে। যেমন স্কুলে যাঁদের সঙ্গে মেশা হয়েছিল, চাকরিতে সহকর্মীরা অথবা পরিবার বা আত্মীয় ইত্যাদি। পরে তাঁরা ধীরে ধীরে বিখ্যাত অভিনেতা-অভিনেত্রী, রাজনীতিকসহ অন্যান্য মাধ্যমের আইকনদের নামও লিখতে থাকেন।

শুরুতে অংশগ্রহণকারীরা ঝটপট নাম লিখতে থাকেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা কঠিন হয়ে পড়ে। এক ঘণ্টা শেষে তা হয় কঠিনতর! এই গতির ওপর গবেষকরা অনুমান করেন, তাঁরা ঠিক কতগুলো অবয়ব স্মরণ করতে পারবেন। অংশগ্রহণকারীদের হাজারটা বিখ্যাত মানুষের ছবিও দেখানো হয় এবং জিজ্ঞেস করা হয়, কাদের চিনতে পারছেন তাঁরা।

ফলাফল আসে, অংশগ্রহণকারীরা এক হাজার থেকে ১০ হাজারের মতো মুখ স্মরণে আনতে পারছেন।   

6
বান্দরবান: ‘হাওয়া বদল’ অতিপ্রাচীন রোগ নিরাময়ের টনিক। মানে জায়গা বদল করে কিছুদিনের জন্য পছন্দের কোনো গন্তব্য থেকে বেড়িয়ে আসা। আর এতেই অসুস্থ শরীরের উন্নতি দেখতেন চিকিৎসক। হালের প্রযুক্তিনির্ভর চিকিৎসা এই ‘হাওয়া বদল’ চিকিৎসা কমে গেলেও বিলুপ্ত হয়নি। মানুষ এখন নিজেই বোঝে কোথায় গেলে সে শারীরিক-মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠবে অনেকটা। বান্দরবানের নীলাচল তেমন এক স্বর্গীয় অনূভূতি ছড়ানো পর্যটন গন্তব্য।
ঈদের ছুটিটা কাজে লাগিয়ে তাই ঘুরে আসতে পারেন বর্ষার অনন্য বান্দরবান থেকে।

পাহাড়ি রাস্তায় বেশি জার্নি করতে না চাইলে তাদের জন্য শ্রেষ্ঠ জায়গা শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের ছোট্ট পাহাড় নীলাচল। যেখান থেকে সকালে সূর্যোদয় ও বিকেলের রোমাঞ্চকর সূর্যাস্ত দেখা যায়। নীল আকাশ যেখানে পাহাড়ে এসে ঘুমায়। আর আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অপূর্ব দৃশ্য চোখে পড়বে দর্শনার্থীদের। কথিত আছে নীলাচলের বিশুদ্ধ শীতল বাতাস যেকোনো পুরনো রোগ নিরাময়ের টনিক হিসেবে কাজ করে। এক কথায় বলা যায় মানসিক প্রশান্তির আরেক নাম নীলাচল।
প্রায় ২ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এ পাহাড়টি। যে দিকে দু’চোখ যায় সেদিকেই সবুজ ও নীল আকাশের হাতছানি। চারপাশে সবুজ পাহাড়ের কোলঘেঁষে আঁকা-বাঁকা রাস্তা চলে গেছে দূর-দূরান্তে। তাছাড়া নীলাচলের সৌন্দর্যে ভিন্নতা এনে দেয় বর্ষা মৌসুমে। এই পাহাড় থেকে পাখির চোখে দেখা যায় বান্দরবান শহর। এসময় কখনো রোদ্দুর কখনো বৃষ্টির পরশ ভ্রমণপিয়াসুদের মনে আনে স্বর্গীয় অনুভূতি।সেখানে নির্মিত হয়েছে ‘ঝুলন্ত নীলা’ ‘নীহারিকা’ ও ‘ভ্যালেন্টাইন’ পয়েন্ট নামে বেশ কিছু স্পট। যেখান থেকে নীলাচলের ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তাছাড়া ভরা পূর্ণিমা রাতে যদি নীলাচলে কাটাতে চান তাহলে সেভাবেই দিনক্ষণ ঠিক করে ঘুরে আসতে পারেন। জোৎস্না রাতে নীলাচলের সৌন্দর্য দেখা না হলে নীলাচলের সৌন্দর্য অবলোকনে অপূর্ণতা রয়েই যাবে।

7
আপনার মোবাইল ফোনটি যদি পানিরোধী না হয় আর হঠাৎ যদি সেটি ভিজে যায় কিংবা পানিতে পড়ে যায় তাহলে আপনার কী করা উচিত? চলুন এই প্রশ্নটির উত্তর জেনে আসি।
ফোনটি বন্ধ করুন
জেমসের সেই গানটা শুনেছেন “আমি তো প্রেমে পড়িনি, প্রেম আমার উপরে পড়েছে”? ব্যাপারটা এরকমও হতে পারে। মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে যাক কিংবা পানি ফোনের উপরে পড়ুক- যেটাই হোক না কেন, সাথে সাথে ফোনটি বন্ধ করে ফেলুন। আর চার্জারে লাগানো থাকলে তো কথাই নেই। সাথে সাথে চার্জার থেকে আলাদা করে ফেলুন। ভেজা অবস্থায় ফোন ভুলেও চার্জে লাগাবেন না।

আপনার ফোনটি যদি পুরনো মডেলের হয় তাহলে হয়তো ব্যাটারি খুলে নেয়ার অপশন থাকবে। সেক্ষেত্রে ব্যটারিটি খুলে ফেলুন।

পানির জন্য ফোনের সবচেয়ে দ্রুত যে ক্ষতিটি হয় তা হল, পানি ফোনের মাদারবোর্ডের সার্কিটগুলোকে শর্ট করে দেয়। মানে “শর্ট সার্কিট” হয় আরকি। আপনি বিজ্ঞানের ছাত্র হলে শর্ট সার্কিট কী তা অবশ্যই জানেন। অন্য বিভাগের ছাত্র হয়েও শর্ট সার্কিট জিনিসটা সম্পর্কে ধারণা থাকলে সেটা আপনার ক্রেডিট। এটা ঘটে যদি পানিতে ভেজা অবস্থায় আপনার ফোনে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। (আরো অনেক কারণে হতে পারে)। ভেজা ফোনে শর্ট সার্কিট এড়াতে ফোন বন্ধ করে ব্যাটারি খুলে ফেলাই সবচেয়ে উত্তম।

ফোনটি ধুয়ে নিন
শিরোনাম দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। এটা শুধুমাত্র তখনই করবেন যখন আপনার ফোনটি সমুদ্রের জলে কিংবা স্যুপের বাটিতে পড়ে যায়। কারণ সামুদ্রিক লোনা পানিতে অনেক লবণ থাকে যা আপনার ফোনের মাদারবোর্ডের ক্ষতি করতে পারে। তাই তাড়াতাড়ি ফোনটি পরিষ্কার জলের ধারাতে ধুয়ে ফেলুন। তবে অবশ্য সাবধানে। তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আর ভুলেও বাটিতে পানি নিয়ে তাতে ডুবাবেন না।

ফোন নিয়ে ঝাঁকাঝাঁকি নয় একদম
অনেকে ভয় পেয়ে ফোন পানি থেকে তুলেই নড়াচড়া কিংবা ঝাঁকিয়ে ভিতর থেকে পানি বের করতে চান। ভুলেও এই কাজটি করবেন না। উল্টাপাল্টা ঝাঁকাঝাঁকি করলে পানি তো বের হবেই না, বরং ভিতরে আরো গভীরে পানি চলে যেতে পারে।

সিলিকা জেল ব্যবহার করতে পারেন
অনেক সময় ট্যাবলেটের কৌটাতে পাওয়া সিলিকা জেল আমরা ফেলে দিই। ফেলে না দিয়ে সেগুলো জমিয়ে ঘরে রেখে দিলে এরকম বিপদের সময় কাজে লাগতে পারে। সিলিকা জেল খুব চমৎকার একটি ড্রায়িং এজেন্ট এবং এটি দ্রুত আদ্রতা শুষে নেয়। আর ফোন খুলে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করার সময় তোয়ালে কিংবা টিস্যু পেপার এর উপরে রেখে দিতে পারেন।

হেয়ার ড্রায়ার কিংবা ওভেনের দিকে ভুলেও যাবেন না
ফোন শুকানোর জন্য অনেকে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করে। কিন্তু আনাড়ি হাতে এটা করতে গেলে হেয়ার ড্রায়ার এর তাপ আপনার ফোনের ক্ষতি করতে পারে। আর ভুলেও বোকার মতো মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ফোন রেখে শুকানোর চেষ্টা করে ফোনকে ডাস্টবিনে ফেলার উপযোগী করবেন না যেন!

শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন
আপনার ফোনটি শুকাতে দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকুন। সরাসরি সূর্যের আলোতে না রাখাই সমীচীন। আপনি হার্ডওয়্যার গিক টাইপের হলে আর বাসায় যন্ত্রপাতি থাকলে ফোনটির পার্টস খুলে আলাদা করে শুকাতে দিতে পারেন।

সার্ভিস সেন্টারের দিকে দৌঁড় দিন
আপনি এতকিছু না পারলে বসে না থেকে ফোনটির সুইচ অফ করে, ব্যাটারি খুলে (যদি সম্ভব হয়) সোজা সার্ভিস সেন্টারে কিংবা মোবাইল রিপেয়ার শপের দিকে যান। একটুও সময় নষ্ট করবেন না। খুব বেশি ভাগ্য খারাপ না হলে আপনার ফোনটি আবার আগের মতো চলতে থাকবে।

8
অসির চেয়ে মসি বড়—এ কথা অন্যভাবে প্রমাণ করলেন অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। কারণ, ক্যানসার কোষ শনাক্ত করতে কোনো যন্ত্রপাতি নয়, তাঁরা সাহায্য নিয়েছেন কলমের। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে টাইমের খবরে প্রকাশ, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এমন একটি কলম তৈরি করেছেন, যা মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যে ক্যানসার আক্রান্ত কোষকে শনাক্ত করতে সক্ষম।

শুধু শনাক্তই নয়, ক্যানসারের কোষকে পুরোপরি দূর করতে কোন কোষগুলো কাটা উচিত, তা বলে দেবে এই কলম। আর এই জাদুকরি কলমের নাম ‘মাসস্পেক পেন’। যদিও ক্যানসার কোষ শনাক্তকরণে শতভাগ নিশ্চিত হতে পারছে না কলমটি। তবে এটি প্রায় ৯৬ শতাংশ নির্ভুলভাবে ক্যানসার আক্রান্ত কোষ ও সুস্থ কোষের মধ্যে পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারে।

ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের রসায়নের সহকারী অধ্যাপক লিভিয়া সিচিয়াভিয়ানাতো এবারলিন বলেন, ‘এটি সাধারণ একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া। এতে উচ্চমাত্রার ক্ষমতা রয়েছে, পাশাপাশি এটি বেশ স্পর্শকাতর। সবচেয়ে বড় কথা, ক্যানসার নির্ণয় বা নিরাময়ে অন্যান্য প্রযুক্তির মতো এটি অত ক্ষতিকারক নয়।’

ক্যানসার কোষ শনাক্ত করার জন্য কোষের একটি নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠাতে হয়। পরীক্ষাগারে ফল পেতে অনেক সময় লাগে। তবে শল্যচিকিৎসার সময় কোষ হিমায়িত করেও বিশ্লেষণ করা যায়। এতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। কিন্তু এই কলমটির উদ্ভাবনের ফলে ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই নির্ণয় করা যাবে ক্যানসার। আর তা হবে প্রায় নির্ভুল। ক্যানসার কোষে সামান্য পরিমাণ পানি যোগ করে এই কলমটির সাহায্যে কর্কট রোগ নির্ণয় করা যাবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

গবেষণাকাজে ২৫ জন ক্যানসার আক্রান্ত স্তন, ফুসফুস, থাইরয়েড ও ডিম্বাশয়ের কোষের পাশাপাশি ভালো কোষের নমুনা এ কলম দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। মাসস্পেক পেনটি এ ক্ষেত্রে ৯৬ শতাংশ সফল হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যেই ক্যানসার নির্ণয়ে পুরোদমে এর ব্যবহার চালু করতে চান গবেষকরা।

9
জানার ও কৌতূহলের কোনো শেষ নেই। আচ্ছা, কী হবে যদি এই মুহূর্তে হঠাৎ সূর্যটা গায়েব হয়ে যায়? অনেকে হয়ত ভাববেন এইসব চিন্তা করে সময় নষ্ট করে লাভ কী? কিন্তু কিছু কিছু কৌতূহলী মানুষ সারাক্ষণ এসব নিয়েই চিন্তা করে যাচ্ছেন। আপনারও যদি এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগ্রহ সৃষ্টি হয়ে থাকে তাহলে চলুন দেখা যাক আসলেই এখন সূর্যটা বিলীন হয়ে গেলে কেমন হবে!

সূর্য পৃথিবী থেকে প্রায় ৩,৩৩,০০০ গুন ভারী আর এটা প্রতি সেকেন্ডে ১০০ বিলিয়ন হাইড্রোজেন বোমার সমান শক্তি তৈরি করে। আর এর প্রবল আকর্ষণ বল দিয়েই এটা পৃথিবী সহ আটটি গ্রহকে তাদের কক্ষপথে ধরে রেখেছে। তাহলে চিন্তা করে দেখুন সূর্য না থাকলে আমাদের কী হবার কথা!
বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্য হঠাৎ গায়েব হয় গেলে সৌরজগতের গ্রহগুলো সব ছিটকে মহাশূন্যে হারিয়ে যাবে। পাশাপাশি এদের মাঝে সংঘর্ষ হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়।

সূর্য কিন্তু আমাদের আলোরও প্রধান উৎস। কিন্তু আলোর ব্যাপারটি একটু ভিন্ন। কারণ এত বেশি গতিতে চলার পরেও বিশাল দূরত্ব পাড়ি দিয়ে সূর্য থেকে আলো পৃথিবীতে পৌঁছাতে প্রায় ৮ মিনিট লেগে যায়। তাই মজার ব্যাপার হল ঠিক এই মুহূর্তে সূর্য বিলীন হয়ে গেলে তা আমাদের চোখে দেখে বুঝতে ৮ মিনিট সময় লেগে যাবে। মানে ৮ মিনিট পর বুঝবো যে সূর্য নেই। অবশ্য তার আগেই গ্রহগুলো ছিটকে গিয়ে একটা হুলস্থূল কান্ড ঘটে যাবে।

তবে অন্য কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে শুধুমাত্র আলোর অভাবে আমাদের তৎক্ষণাৎ কোন সমস্যা হবে না। কারণ ইলেকট্রিসিটি থাকবে এবং পাশাপাশি তারাগুলো তখনও কিছুটা আলো দিবে। এমনকি বৃহস্পতি গ্রহকেও প্রায় ১ ঘণ্টার মত দেখা যাবে (কারণ বৃহস্পতি থেকে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে আসতে আসতে কিছুটা সময় নেবে। এই সময়ের পার্থক্যের কারণে সূর্য হারিয়ে গেলেও ঠিক আগের মুহূর্তের আলোটুকু এই পথ ঘুরে আসতে যে সময় দরকার সেই সময়টা বৃহস্পতিকে দেখা যাবে )।

10
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি’র হ্যারোডসবার্গ-এ অবস্থিত কর্নিংয়ের পুরানো কাঁচ কারখানা। পঞ্চাশের দশকে চশমার জন্য কাঁচ বানাতো প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে ব্যবসা বদলে আশি’র দশকে এলসিডি গ্লাস প্যানেল বানানো শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

এরপর ২০০৭ সালে প্রথম আইফোন উন্মোচনের ছয় মাস আগে কর্নিং প্রধানকে ফোন করেন সেসময়কার অ্যাপল প্রধান স্টিভ জবস। জবস কর্নিং প্রধানকে বলেন আইফোনের জন্য এমন কাঁচ বানাতে যা সহজে ভাঙবে না এবং দাগ পড়বে না।

অ্যাপল প্রধানের কথা মতোই দ্রুত গরিলা গ্লাস বানায় কর্নিং। ফলে কারখানাটিও পুরোপুরি নতুনভাবে সাজানো হয়। এর আগে সাধারণত প্লাস্টিক দিয়ে স্মার্টফোন ঢাকা হতো।

১৮৭৯ সালে এডিসন বাল্বের কাঁচও তৈরি করেছিল কর্নিং।

এখন অ্যাপল, স্যামসাং, এলজি, সনি হুয়াওয়েসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তৈরি বিশ্বের প্রায় ছয়শ’ কোটি স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, পর্দা ও পরিধেয় ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের তৈরি গরিলা গ্লাস।

গরিলা গ্লাসের জন্য অবশ্য কর্নিংকে প্রাপ্য স্বীকৃতিও দিয়েছিলেন স্টিভ জবস। আইফোনের অভাবনীয় সাফল্যের পর কর্নিং প্রধানকে একটি চিঠি লেখেন তিনি যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে- আপনারা এই গ্লাস তৈরি না করলে আমরা আইফোন বানাতে পারতাম না।

স্টিভ জবসের লেখা সেই চিঠি এখন কোথায়? না, কোনো জাদুঘরে নয়, রয়েছে ফ্রেমে বাঁধাই করা অবস্থায় কর্নিং প্রধানের খাস কামরার দেওয়ালে।

11
প্রথমবারের মতো বিশ্বের ৭৯ টি দেশের প্রায় ২৭২৯টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের দুইটি বিভাগে শীর্ষ চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। আজ ছয়টি বিভাগে শীর্ষ ২৫টি দলের নাম ঘোষণা করেছে নাসা, এর মধ্যে দুটি বিভাগের সেরা চারে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
বেসিস-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর আগে পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিলেও, এই প্রথমবারের মতো মূল বিভাগের শীর্ষ চারে জায়গা করে নিলো বাংলাদেশ।

‘বেস্ট ইউজ অব ডেটা’ বিভাগে ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর আর জাপানের সঙ্গে শীর্ষে উঠে এসেছে সিলেট থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া দল ‘টিম অলিক’।

টিম অলিকের “লুনার ভিআর প্রজেক্ট”টি মূলত একটি ভার্চুয়াল রিয়ালিটি অ্যাপ্লিকেশন যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী চাঁদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাবেন। টিম অলিক নাসা প্রদত্ত বিভিন্ন রিসোর্স থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করে, নাসা আপোলো ১১ মিশন এর ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমণ , চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আবর্তন করা এই তিনটি ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চুয়ালভাবে তৈরি করেছে।

বেস্ট ইউজ অফ হার্ডওয়্যার বিভাগে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া আর তাইপের সঙ্গে শীর্ষ চারে উঠে এসেছে ঢাকা থেকে রানার্স-আপ হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘প্ল্যানেট কিট’। ‘প্ল্যানেট কিট’ যে ডিভাইসটি তৈরি করেছে সেটি মঙ্গল গ্রহে বেঁচে থাকার জন্য সহায়তা করবে। "প্ল্যানেট কিট" পরিবেশের ডেটা প্রদান, প্রাথমিক স্তরের রাসায়নিক পরীক্ষা, জরুরী সতর্কতা এবং বিপত্তি থেকে সহায়তা, মাটির গঠন মূল্যায়ন, পানীয়যোগ্য পানি সংগ্রহ, পথ পরিকল্পনা ,থ্রিডি ভার্চুয়ালাইজেশন ইত্যাদি কাজে সাহায্য করবে। এই ডিভাইসটি নিকট ভবিষ্যতে ঘন ঘন মহাকাশ যাত্রা, স্থান ভ্রমণের খরচ হ্রাস, মূল্যবান গবেষণা তথ্য সংরক্ষণ, এমনকি পৃথিবীতে বিভিন্ন গবেষণার কাজে সাহায্য করবে।

এবছরের ১৯ থেকে ২০ অক্টোবর শীর্ষ ৪০টি প্রকল্প নিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে টানা ৩৬ ঘন্টার হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে শীর্ষ ৮টি প্রকল্পকে নাসার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়।

২০১৯ সালের ফেব্রুরিতে প্রতিটি বিভাগের চ্যাম্পিয়নের নাম ঘোষণা করা হবে। ছয়টি বিভাগের ছয়টি চ্যাম্পিয়ন দল নাসায় যাওয়ার এবং শিক্ষানবিশ হিসেবে কিছুদিন কাজ করার সুযোগ পাবে।

12
প্রথমবারের মতো ঘুম ট্র্যাকিং ডিভাইস উন্মোচন করেছে অ্যাপল।
নতুন এই ডিভাইসটির নাম বলা হয়েছে ‘বেডিট’। রাতে বিছানার চাদরের নিচে রাখা যাবে বেডিট ৩.৫ স্লিপ মনিটর, যা পাতলা একটি সেন্সর স্ট্রিপ। ব্যবহারকারীর শরীরের নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করবে ডিভাইসটি-- খবর প্রযুক্তি সাইট ভার্জের।

অ্যাপল ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যেই বিক্রি শুরু হয়েছে ডিভাইসটির। নতুন এই বেডিটের দাম রাখা হচ্ছে ১৫০ মার্কিন ডলার।

দুই মিলিমিটার পাতলা এই ঘুম ট্র্যাকিং ডিভাইসটি ঘুমের সময়, হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাস, নাক ডাকা পর্যবেক্ষণ এবং ঘরের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা মাপতে পারবে।

অন্যান্য ফিটনেস ট্র্যাকারের চেয়ে এটির সুবিধা হলো গ্রাহককে এটি শরীরে পড়তে হবেনা বা এটি ব্যবহারের কথা মনেও রাখতে হবে না। গ্রাহক চাইলে তার অ্যাপল ওয়াচে এটি সংযুক্ত করতে পারবেন। ফলে অ্যাপল ওয়াচে নোটিফিকেশন দেখতে পারবেন গ্রাহক।

আইওএস ১২ বা এর পরের সংস্করণের ‘হেলথ’ অ্যাপ থেকেও ঘুম এবং হৃদস্পন্দনের ডেটা বিশ্লেষণ করা যাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

13
চলতি বছর মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলকে টপকে স্মার্টফোন খাতে দ্বিতীয় শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে জায়গা করে নেওয়া হুয়াওয়ে’র নতুন এই স্মার্টফোন সিরিজে আনা হয়েছে লাইকা ক্যামেরার প্রযুক্তি।

নতুন এই প্রিমিয়াম লাইন-আপে চারটি মডেল রয়েছে। বর্তমানে ‘জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ’-এর কারণ দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে হুয়াওয়ে’র পণ্য বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। যুক্তরাষ্ট্র বাদে বিশ্বের সব দেশেই নতুন এই স্মার্টফোনগুলো পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে। 

নতুন এই লাইন-আপে থাকা মেইট ২০--এর দাম রাখা হবে ৭৯৯ থেকে ৮৪৯ ইউরো এবং মেইট ২০ প্রো-এর দাম পড়বে ১০৪৯ ইউরো।

নতুন এই স্মার্টফোনগুলোতে থাকবে আল্ট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ৩এক্স টেলিফোটো লেন্স আর একটি ম্যাক্রো লেন্স। এই ম্যাক্রো লেন্স দিয়ে আড়াই সেন্টিমিটার পর্যন্ত কাছের বস্তুর ছবি তোলা যাবে।


Source: প্রযুক্তি ডেস্ক,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম.

14
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নতুন এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য।

ডায়াবেটিস, স্থুলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ আছে এমন ব্যক্তিদের ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

দূষিত বায়ুতে সীসা, পারদ ও ক্যাডমিয়ামের মত ভারী ধাতু থাকে। যা কিডনিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের প্রধান গবেষক জেনিফার ব্রাগ-গ্রেশাম বলেন, “এটি ধুমপানের মত ক্ষতিকর, দূষিত বায়ুতে থাকা বিষাক্ত পদার্থ সরাসরি কিডনিতে প্রভাব ফেলে।”

“কিডনি রক্তের দূষিত পদার্থ ছাঁকার কাজ করে। যে কারণে শরীরে বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি কিডনিতেই প্রথম প্রভাব ফেলে।”

এর আগের গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, বায়ু দূষণের কারণে হাঁপানি, অঙ্গে প্রদাহ, ডায়াবেটিসসহ প্রাণঘাতী নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

‘প্লস ওয়ান’ জার্নালে নতুন গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ পায়।

15
Faculty Sections / ঘুম না হলে!
« on: September 20, 2018, 10:51:29 AM »
রাতে ঘুমানোর চেষ্টা করেও ঘুমাতে না পারা, দারুণ বিরক্তিকর একটি বিষয়। তবে ঘুম না পেলে কিছু কাজ করা যেতে পারে। নারী বিষয়ক একটি সাইটে রাতে ঘুম না পেলে করণীয় কিছু বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বিছানা ছেড়ে উঠে যান

অনেক্ষণ চেষ্টার পরও ঘুম না আসলে বিছানা থেকে উঠে যাওয়াই ভালো। কারণ ঘুম না আসলে বিছানায় শুয়ে থাকলে ঘুম তো হবেই না বরং আরও অস্বস্তি বাড়ে। তাই বিছানা থেকে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করে নিলে অস্বস্তিভাবটা কমে আসবে। কিছুক্ষণ অন্য কাজে ব্যস্ত থেকে মন শান্ত করে, আবারও ঘুমানোর চেষ্টা করলে ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

অতীত নিয়ে চিন্তা না করা

রাতে ঘুম না আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অতীত এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা মাথায় আসতে থাকে। আর সে কারণে ঘুম আসতে আরও বেশি সময় লাগে। কারণ কখনও কখনও অতীত বা ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তার কারণে আরও বেশি দুশ্চিন্তা কাজ করে। তাই ঘুম না আসলেও যতটা সম্ভব অতিরিক্ত চিন্তা করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

ঘড়ির দিকে না তাকানো

রাতে ঘুম না আসলে সব থেকে বেশি নজর যায় ঘড়ির কাঁটার দিকে। আর বার বার যদি ঘড়ির কাঁটার দিকে চোখ যায় তখন মনোযোগ সেদিকেই বেশি থাকবে তখন ঘুম আরও দ্রুত পালাবে চোখ থেকে। তাই ঘুম না আসলেও ঘড়ির দিকে লক্ষ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

নোট লেখুন

অনেক সময় পরের দিন গুরুত্বপূর্ণ কোনও কাজ থাকলে সেই চিন্তায় ঘুম আসতে চায় না। পরদিন কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে, এগুলো নিয়েই বেশি চিন্তা কাজ করে। এমন হলে বিছানা থেকে উঠে, পরের দিনের কাজের একটি তালিকা তৈরি করে নেওয়া ভালো। এতে কাজ ভুলে যাওয়ার দুশ্চিন্তা কমে আসবে।


Pages: [1] 2 3