31
BBA Discussion Forum / Re: Business News
« on: July 29, 2011, 07:46:12 AM »
পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনে দুর্বলতা
দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন দিয়েই চলছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি।
কোম্পানিগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করতে ২০০৬ সালে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) একটি নীতিনির্দেশিকা প্রণয়ন করলেও তা যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না।
ফলে সাধারণ শেয়ারধারীরা তাঁদের প্রকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এসইসি গত ফেব্রুয়ারি মাসে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন পরিস্থিতি নিয়ে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
এতে দেখা গেছে, দুই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ২৯৯টি কোম্পানির মধ্যে ১৯২টি কোম্পানি এসইসির নির্দেশিকা অনুসরণ করলেও গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন আছে।
এ ছাড়া ৯৩টি কোম্পানি আংশিকভাবে পরিপালন করলেও ১৪টি কোম্পানি তা একেবারেই মানছে না।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসইসি-প্রণীত প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নির্দেশিকা পালনে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।
‘পালন কর অথবা ব্যাখ্যা কর’ ভিত্তিতে নির্দেশিকাটি অনুসরণ করতে বলায় কোম্পানিগুলো এ ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করছে।
আবার যেসব কোম্পানি নির্দেশিকা শতভাগ অনুসরণ করছে বলে তথ্য দিয়েছে, তা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য, সেটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কারণ, এ ব্যাপারে এত দিন এসইসির তেমন কোনো নজরদারিই ছিল না। কোম্পানিগুলো এসইসির নির্দিষ্ট ফরমে উল্লিখিত বিভিন্ন ছকে ‘টিক’ চিহ্ন দিয়েই পার পেয়ে যাচ্ছে।
যোগাযোগ করা হলে এসইসির সদস্য আরিফ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিত করার বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এটি এসইসির অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। সাধারণ শেয়ারধারীদের সর্বোচ্চ স্বার্থসংরক্ষণ করার বিষয়টি মাথায় রেখেই এসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপারে কাজ করছে।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘পালন কর অথবা ব্যাখ্যা কর’ নীতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নির্দেশিকা পরিপালন বাধ্যতামূলক করা যায় কি না, সে বিষয়টিও এসইসি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এসইসির চেয়ারম্যান থাকার সময় প্রথমবারের মতো প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন-নীতি নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়। যোগাযোগ করা হলে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘সাধারণ শেয়ারধারীদের আস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি কোম্পানিগুলো যাতে দক্ষতার সঙ্গে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে, সে জন্যই প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নির্দেশনা প্রণয়ন করা হয়েছিল। প্রথমবারের মতো হওয়ায় সে সময় এটি পরিপালন বাধ্যতামূলক করা হয়নি। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ নিয়ম রয়েছে। তাছাড়া বাধ্যবাধকতা আরোপ করলে নতুন কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে নিরুৎসাহিত হতে পারে এ বিষয়টিও চিন্তায় ছিল।’
মির্জ্জা আজিজ আরও বলেন, নির্দেশিকা পরিপালনের বিষয়টি বাধ্যতামূলক হলে ভালো। কিন্তু নজরদারি না থাকলে কেবল বাধ্যতামূলক আইন করলে ফল ভালো না-ও হতে পারে। তাই প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন পরিপালনে নজরদারি জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
জানা গেছে, বর্তমান এসইসির নতুন নেতৃত্ব বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। এরই মধ্যে সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট বিভাগে দক্ষ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন ও আর্থিক বিবরণীর স্বচ্ছতা বাড়াতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে পৃথক প্রাতিষ্ঠানিক অর্থায়ন বা করপোরেট ফাইন্যান্স (সিএফ) বিভাগ চালু করার নির্দেশ দিয়েছে এসইসি। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ জুলাই এ বিভাগের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে ডিএসই।
পরিপালন: এসইসির প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নীতি নির্দেশিকায় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের আকার নির্ধারণ করে দেওয়া, স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ, চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী পৃথক ব্যক্তি হওয়াসহ ১৪টি বিষয় পরিপালনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এসইসির ২সিসি ক্ষমতাবলে প্রণীত এ দিকনির্দেশিকায় বলা হয়, নির্দেশিকা পরিপালন করতে না পারলে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। তবে পরিপালনে ব্যর্থতার জন্য কোনো শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
পর্যালোচনা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন খাতের কোম্পানির মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নির্দেশিকা শতভাগ পরিপালনে এগিয়ে রয়েছে টেলিযোগাযোগ খাত। অবশ্য এ খাতে গ্রামীণফোন একমাত্র কোম্পানি।
এর পরই রয়েছে সিমেন্ট খাত। এ খাতের আটটি কোম্পানির মধ্যে সাতটি নীতিনির্দেশনা পরিপালন করেছে। সিমেন্ট খাতের পরই সিরামিক খাতের অবস্থান। এ খাতের পাঁচটি কোম্পানির মধ্যে নির্দেশনা অনুসরণ করেছে চারটি।
ব্যাংক ও অব্যাংকিং আর্থিক খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে সম্পূর্ণ অনুসরণ করেছে ৩৬টি, আংশিকভাবে করেছে ১৪টি এবং একেবারেই করেনি একটি কোম্পানি।
প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নির্দেশিকা পরিপালনে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো। এ খাতের ৪৪টি কোম্পানির মধ্যে ২৬টি পরিপালন করলেও ১৩টি আংশিক পালন করেছে। আর পাঁচটি একেবারেই করেনি।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৮টি সম্পূর্ণ পরিপালন করেছে। আংশিক করেছে আটটি ও একেবারেই করেনি দুটি কোম্পানি।
বিমা খাতের ৪৪টি কোম্পানির ২৭টি সম্পূর্ণ ও ১৭টি আংশিকভাবে নির্দেশিকা অনুসরণ করছে। খাদ্য ও খাদ্যজাতীয় পণ্য খাতে ৩৪টি কোম্পানির মধ্যে ১৮টি সম্পূর্ণ এবং ১৫টি আংশিকভাবে করলেও একটি একেবারেই পরিপালন করেনি।
সম্প্রতিকালে পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক উত্থান ও তারপর বিরাট ধসের ফলে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সুশাসনের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। নিয়ম পরিপালন না করাসহ নানা ধরণের অনিয়মের কারণে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ওঠে এসইসির যথাযথ নজরদারির অভাব নিয়েও।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-07-29/news/173803
এসইসির নির্দেশিকা পরিপালন করছে না অনেক প্রতিষ্ঠান
ঢাকা, শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০১১,দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন দিয়েই চলছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানি।
কোম্পানিগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করতে ২০০৬ সালে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) একটি নীতিনির্দেশিকা প্রণয়ন করলেও তা যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না।
ফলে সাধারণ শেয়ারধারীরা তাঁদের প্রকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এসইসি গত ফেব্রুয়ারি মাসে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন পরিস্থিতি নিয়ে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
এতে দেখা গেছে, দুই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ২৯৯টি কোম্পানির মধ্যে ১৯২টি কোম্পানি এসইসির নির্দেশিকা অনুসরণ করলেও গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন আছে।
এ ছাড়া ৯৩টি কোম্পানি আংশিকভাবে পরিপালন করলেও ১৪টি কোম্পানি তা একেবারেই মানছে না।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসইসি-প্রণীত প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নির্দেশিকা পালনে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।
‘পালন কর অথবা ব্যাখ্যা কর’ ভিত্তিতে নির্দেশিকাটি অনুসরণ করতে বলায় কোম্পানিগুলো এ ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করছে।
আবার যেসব কোম্পানি নির্দেশিকা শতভাগ অনুসরণ করছে বলে তথ্য দিয়েছে, তা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য, সেটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কারণ, এ ব্যাপারে এত দিন এসইসির তেমন কোনো নজরদারিই ছিল না। কোম্পানিগুলো এসইসির নির্দিষ্ট ফরমে উল্লিখিত বিভিন্ন ছকে ‘টিক’ চিহ্ন দিয়েই পার পেয়ে যাচ্ছে।
যোগাযোগ করা হলে এসইসির সদস্য আরিফ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিত করার বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এটি এসইসির অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। সাধারণ শেয়ারধারীদের সর্বোচ্চ স্বার্থসংরক্ষণ করার বিষয়টি মাথায় রেখেই এসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপারে কাজ করছে।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘পালন কর অথবা ব্যাখ্যা কর’ নীতি থেকে বেরিয়ে এসে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নির্দেশিকা পরিপালন বাধ্যতামূলক করা যায় কি না, সে বিষয়টিও এসইসি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এসইসির চেয়ারম্যান থাকার সময় প্রথমবারের মতো প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন-নীতি নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়। যোগাযোগ করা হলে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘সাধারণ শেয়ারধারীদের আস্থা বাড়ানোর পাশাপাশি কোম্পানিগুলো যাতে দক্ষতার সঙ্গে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে, সে জন্যই প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নির্দেশনা প্রণয়ন করা হয়েছিল। প্রথমবারের মতো হওয়ায় সে সময় এটি পরিপালন বাধ্যতামূলক করা হয়নি। পৃথিবীর অনেক দেশেই এ নিয়ম রয়েছে। তাছাড়া বাধ্যবাধকতা আরোপ করলে নতুন কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে নিরুৎসাহিত হতে পারে এ বিষয়টিও চিন্তায় ছিল।’
মির্জ্জা আজিজ আরও বলেন, নির্দেশিকা পরিপালনের বিষয়টি বাধ্যতামূলক হলে ভালো। কিন্তু নজরদারি না থাকলে কেবল বাধ্যতামূলক আইন করলে ফল ভালো না-ও হতে পারে। তাই প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন পরিপালনে নজরদারি জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
জানা গেছে, বর্তমান এসইসির নতুন নেতৃত্ব বিষয়টিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। এরই মধ্যে সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট বিভাগে দক্ষ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন ও আর্থিক বিবরণীর স্বচ্ছতা বাড়াতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে পৃথক প্রাতিষ্ঠানিক অর্থায়ন বা করপোরেট ফাইন্যান্স (সিএফ) বিভাগ চালু করার নির্দেশ দিয়েছে এসইসি। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ জুলাই এ বিভাগের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে ডিএসই।
পরিপালন: এসইসির প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নীতি নির্দেশিকায় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের আকার নির্ধারণ করে দেওয়া, স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ, চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী পৃথক ব্যক্তি হওয়াসহ ১৪টি বিষয় পরিপালনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
এসইসির ২সিসি ক্ষমতাবলে প্রণীত এ দিকনির্দেশিকায় বলা হয়, নির্দেশিকা পরিপালন করতে না পারলে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। তবে পরিপালনে ব্যর্থতার জন্য কোনো শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
পর্যালোচনা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন খাতের কোম্পানির মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নির্দেশিকা শতভাগ পরিপালনে এগিয়ে রয়েছে টেলিযোগাযোগ খাত। অবশ্য এ খাতে গ্রামীণফোন একমাত্র কোম্পানি।
এর পরই রয়েছে সিমেন্ট খাত। এ খাতের আটটি কোম্পানির মধ্যে সাতটি নীতিনির্দেশনা পরিপালন করেছে। সিমেন্ট খাতের পরই সিরামিক খাতের অবস্থান। এ খাতের পাঁচটি কোম্পানির মধ্যে নির্দেশনা অনুসরণ করেছে চারটি।
ব্যাংক ও অব্যাংকিং আর্থিক খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে সম্পূর্ণ অনুসরণ করেছে ৩৬টি, আংশিকভাবে করেছে ১৪টি এবং একেবারেই করেনি একটি কোম্পানি।
প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নির্দেশিকা পরিপালনে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো। এ খাতের ৪৪টি কোম্পানির মধ্যে ২৬টি পরিপালন করলেও ১৩টি আংশিক পালন করেছে। আর পাঁচটি একেবারেই করেনি।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৮টি সম্পূর্ণ পরিপালন করেছে। আংশিক করেছে আটটি ও একেবারেই করেনি দুটি কোম্পানি।
বিমা খাতের ৪৪টি কোম্পানির ২৭টি সম্পূর্ণ ও ১৭টি আংশিকভাবে নির্দেশিকা অনুসরণ করছে। খাদ্য ও খাদ্যজাতীয় পণ্য খাতে ৩৪টি কোম্পানির মধ্যে ১৮টি সম্পূর্ণ এবং ১৫টি আংশিকভাবে করলেও একটি একেবারেই পরিপালন করেনি।
সম্প্রতিকালে পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক উত্থান ও তারপর বিরাট ধসের ফলে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সুশাসনের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। নিয়ম পরিপালন না করাসহ নানা ধরণের অনিয়মের কারণে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ওঠে এসইসির যথাযথ নজরদারির অভাব নিয়েও।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-07-29/news/173803