Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Story, Article & Poetry => Topic started by: Faruq Hushain on August 18, 2019, 11:20:06 AM

Title: মিথ্যা প্রপাগান্ডার গোয়েবলসীয় ও হিটলারীয় নীতিসমূহ
Post by: Faruq Hushain on August 18, 2019, 11:20:06 AM
‘এটি গোয়েবলসীয় মিথ্য’ কিংবা ‘এটি গোয়েবলসীয় মিথ্যাকেও হার মানাবে’ এমন কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। বিশেষত রাজনীতি বা রাজনৈতিক নেতাদের কথায় ও নানানরকম প্রচারণার ক্ষেত্রে আমরা এসব কথা প্রায়ই বলি ও শুনি। কিন্তু এই গোয়েবলসীয় মিথ্যা ব্যাপারটা আসলে কী।

গোয়েবলস কে? যারা রাজনীতি ও দেশকাল সম্পর্কে সচেতন তাদের মধ্যে কেউ ‘গোয়েবলসীয় মিথ্যা’ কথাটা জানেন না বা শুনেননি এমন মানুষ খুব বিরল।
জার্মানির ড. পল জোসেফ গোয়েবলস একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন। হিটলারের সময় নাৎসিদের প্রপাগান্ডামন্ত্রী ও প্রচারণা বিশেষজ্ঞ ছিলেন এই গোয়েবলস। ১৯৩৩ হতে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন। একইসঙ্গে গোয়েবলস ছিলেন এডলফ হিটলারের প্রধান সহযোগী এবং তার একনিষ্ঠ অনুসারী।

বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা এবং ইহুদি বিরোধী তৎরতার জন্য তিনি কুখ্যাত ছিলেন।  বলা হয়ে থাকে, হিটলার জার্মানিতে বিপুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে যার প্রধান ভূমিকা ছিলো তিনি হলেন এই গোয়েবলস। মিথ্যাকে এমনভাবে প্রচার করে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিয়ে গোয়েবলস নাৎসিবাদ ও হিটলারকে জার্মানিতে তুমুল জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। এই গোয়েবলস এখন রীতিমতো প্রবাদ হয়ে গেছে।   

কিন্তু গোয়েবলস কেমন করে প্রচারণা চালিয়ে মিথ্যাকে ব্যাপকসংখ্যক সাধারণ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছিলেন তার কিন্তু কিছু পলিসি ছিলো।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং তার পরবর্তী সময়ে গোয়েবলস ডিক্টেশন দিয়ে একটি ডায়রি লিখিয়েছিলেন। সম্প্রতি ওই ডায়রি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা লুইস লচনার উদ্ধার করেন। পরে ডায়রিটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করে লিওনার্দ ডব্লিউ ডুব। ওই ডায়রিটিতে গোয়েবলস তার প্রপাগান্ডার পলিসি বিস্তারিতভাবে লিখে গেছেন। একইসঙ্গে ডাইরিটিতে হিটলারেরও কয়েকটি প্রপাগান্ডা নীতি রয়েছে।
হিটলারের প্রপাগান্ডা নীতি

১. বিমূর্ত, অস্পষ্ট এবং বুঝতে কষ্ট হয় এবং আবেগকে আকর্ষণ করে এমন আবেদনময়ী যেকোনো চিন্তা ও মতাদর্শকে বর্জন করো।

২. খুব অল্প কিছু কথা ও আইডিয়া বারবার স্থায়ীভাবে প্রচার করো। গৎবাঁধা ও প্রচলিত বাক্য ও কথার ব্যবহার করো। 

৩. কোনো যুক্তি বা বক্তব্যের শুধু একটি দিকই প্রচার করো।

৪. বিরামহীনভাবে বিরোধী পক্ষের সমালোচনা চালিয়ে যাও।

৫. বিশেষ ধরনের নিন্দা ও কুৎসা রটানোর জন্য একটি বিশেষ ‘শত্রু’ ঠিক করে নাও।