Daffodil International University

Bangladesh => Heritage/Culture => Topic started by: Lazminur Alam on September 29, 2016, 04:31:14 PM

Title: Archaeological Architecture of Bangladesh
Post by: Lazminur Alam on September 29, 2016, 04:31:14 PM
We will post here all archaeological architectures of Bangladesh.
Title: ভূঁইয়াপাড়া জামে মসজিদ
Post by: Lazminur Alam on September 29, 2016, 04:35:28 PM
জনপদটি বেশ শান্ত। সড়কে গাড়ি-অটোরিকশার উপস্থিতি তুলনামূলক কম। জায়গাটির নাম বেরাইদ। রাজধানীর বারিধারা নতুন বাজার থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে এই শহরতলি। ৬০ হাজার মানুষের এই ইউনিয়ন সম্প্রতি সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বালু নদ-তীরবর্তী এ জনপদের ভূঁইয়াপাড়ায় একটি প্রাচীন মসজিদ আছে। নাম ‘ভূঁইয়াপাড়া জামে মসজিদ’। মসজিদটির বয়স নিয়ে বিভিন্ন মত প্রচলিত। কারও দাবি এর বয়স ২০০ বছর, কেউ বলেন ৪০০। তবে বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, মসজিদটি সুলতানি আমলে নির্মিত। ঢাকার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরেরও সে রকম মত।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রকাশনা) মোহাম্মদ আতাউর রহমান গত শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মসজিদটির কোনো শিলালিপি পাওয়া যায়নি। শিলালিপি পেলে মসজিদটি প্রতিষ্ঠার তারিখ, প্রতিষ্ঠাতার নাম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা মিলত। তবে গঠনশ্রেণি দেখে মনে হয়, এটি সুলতানি আমলের একটি প্রাচীন স্থাপনা। প্রসঙ্গত, বাংলায় সুলতানি আমল দ্বাদশ শতকে শুরু হয়ে শেষ হয়েছিল ১৫৩৮ সালে।
মোহাম্মদ আতাউর রহমান তাঁর একাধিকবার বেরাইদ এলাকা পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এখানকার কিছু প্রাচীন ভবনের ইটের গাঁথুনি দেখে মনে হয়, এখানে মুসলিম প্রশাসনের কার্যক্রম ছিল।

বেরাইদ মুসলিম হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক ছিলেন আবদুস সালাম। গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের আগ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন তিনি। খ্যাতিমান অভিনেতা আবুল হায়াতের শ্বশুর আবদুস সালাম ছিলেন এই জনপদের এক আলোকিত মানুষ। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ভূঁইয়াপাড়া জামে মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে বংশপরম্পরায় এখানকার বাসিন্দা ও সাংবাদিক এমদাদ হোসেন ভূঁইয়া এই প্রতিবেদককে বলেন, ১৯৮৫ সালে তিনি আবদুস সালামের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। আবদুস সালাম তাঁকে বলেন, তিনি ধারণা করেন, মসজিদটি আলাউদ্দিন হোসেন শাহর (১৪৯৫-১৫১৯) আমলে তৈরি। তাঁর মতে, মসজিদটির নির্মাণশৈলীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় অবস্থিত বাবা সালেহ মসজিদ (১৫০৫) ও সোনারগাঁওর গোয়ালদি শাহি মসজিদের (১৫১৯) মিল আছে।

বেরাইদের মানুষেরা জানালেন, নব্বইয়ের দশকের শুরুতে গোটা মসজিদটি ভেঙে নতুন মসজিদ নির্মাণের কথা ওঠে। কিন্তু ঐতিহাসিক স্থাপনার গুরুত্ব বিবেচনায় অনেকেই দ্বিমত করেন। তখন আদি অংশটি অক্ষুণ্ন রেখে মসজিদটি পূর্ব দিকে সম্প্রসারণ করা হয়।বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদের আদি অংশটুকু সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা দিয়ে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে।

বেরাইদ গণপাঠাগারের প্রকাশিত (২০১৫-এর ১ জানুয়ারি) পুস্তিকা থেকে জানা যায়, এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটির উচ্চতা ১৭ ফুট ৬ ইঞ্চি। আদি গৃহের ভেতরকার আয়তন ১৬ ফুট বাই ১৬ ফুট। এর মেঝে ছিল লাল রঙের। পরবর্তী সময়ে তিন ইঞ্চি পুরু মোজাইক করা হয়। আদি অবস্থার ভেতরে তিন সারিতে একসঙ্গে ৩৩ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন।

ওই পুস্তিকা থেকে আরও জানা যায়, মসজিদের পূর্ব দিকের মূল দেয়াল ভেঙে প্রথম সম্প্রসারণ করা হয় ১৯০৬ সালে। পুব দিকের দেয়ালে মসজিদে প্রবেশের একটিমাত্র দরজা ছিল। প্রথম পর্যায়ে পুব দিকে ১৬ ফুট বাই ১৬ ফুট বাড়ানো হয়। পরে ৫২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪৪ ফুট প্রস্থের টিনের ছাউনির বারান্দা নির্মাণ করা হয়। তৃতীয় পর্যায়ে ১৯৮২ সালে মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণের আদি দেয়াল ভেঙে উভয় দিকে বাড়ানো হয়। পাকা করা হয় পূর্ব দিকের টিনের ছাউনির বারান্দা। আদি দেয়ালের নিচে প্রাচীন আমলের ‘কড়ি’ পাওয়া যায়। চতুর্থ পর্যায়ে ১৯৯৯ সালে পূর্ব দিকের বারান্দা দোতলা করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদের কেবলা দেয়াল ও গম্বুজ অক্ষত আছে। কেবলার দেয়ালে রয়েছে মেহরাব। বর্তমানে মসজিদের পশ্চিম দিক ছাড়া অন্য তিন দিকের আদি দেয়াল অবশিষ্ট নেই।

মসজিদটির মোতওয়াল্লি হাজি বেলায়েত হোসেন ভূঁইয়া জানান, দূর-দূরান্ত থেকে প্রায়ই মানুষ আসে মসজিদটি দেখতে।
Title: খেলারাম দাতার মন্দির
Post by: Lazminur Alam on December 05, 2016, 06:21:17 PM
ভবনটি খেলারাম দাতার বাড়ি ও বিগ্রহ মন্দির। সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংরক্ষিত একটি পুরাকীর্তি।
গুলিস্তান থেকে বাসে বড়জোর দেড় ঘণ্টার পথ ঢাকার নবাবগঞ্জ। উপজেলা সদর বাসস্ট্যান্ড থেকে দোহারের পথে যেতে একটু এগোলেই কলাকোপা ইউনিয়ন। কলাকোপা থেকে ছোট্ট একটি রাস্তা চলে গেছে বান্দুরার দিকে। সেই পথেই পড়বে খেলারাম দাতার মন্দির।

খেলারাম দাতা সম্পর্কে এলাকায় নানা কথা প্রচলিত। কেউ বলেন, তিনি ছিলেন জমিদার। আবার কারও মতে, তিনি ভয়ানক দস্যু ছিলেন। তবে খেলারামের দানের হাত ছিল বড়। তিনি ধনীদের কাছ থেকে ডাকাতি করে টাকাপয়সা, মালামাল গরিবদের বিলিয়ে দিতেন। শেষ জীবনে তিনি অতিশয় ধার্মিক ব্যক্তিতে পরিণত হন। কথিত আছে, খেলারাম দাতার বাড়ি থেকে ইছামতীর পাড় পর্যন্ত সুড়ঙ্গ পথ ছিল। নদীপথে ধনসম্পদ এনে এ সুড়ঙ্গ পথেই বাড়ি নিয়ে আসতেন তিনি।
নামটি নিয়েও আছে মতভেদ। কেউ বলেন, তাঁর নাম ছিল ‘খেলারাম দত্ত’। কেউ বলেন ‘খেলারাম দাদা’। আর স্থানীয় ব্যক্তিরা বলে থাকেন ‘খেলারাম দাতা’।

বাড়ি ও মন্দিরটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারের তরফে একজন লোক আছেন। যাঁর কাজ পর্যটকেরা এলে খুলে দেওয়া এবং দেখানো। তবে অনেকেরই অভিযোগ, তাঁকে দায়িত্ব পালনে ঠিকমতো পাওয়া যায় না। তাই বাড়ির খোলা ফটক দিয়ে যে যখন খুশি ভেতরে ঢোকে। বিড়ি-সিগারেটের শেষ অংশ, পরিত্যক্ত পানির বোতল পড়ে থাকে যেখানে-সেখানে।

বর্তমানে ভবনের শুধু ওপরের দোতলা টিকে রয়েছে। খাড়া সিঁড়ি বেয়ে ভেতরে গিয়ে কারুকার্যমণ্ডিত মন্দিরটির সৌন্দর্য দৃশ্যমান হয়। ভবনের ভারী দেয়াল ও পিলার দেখে নির্মাণকৌশল সম্পর্কে ধারণা মেলে। দোতলার চারপাশে ও চার কোণে বাংলা ঘরের আকৃতিতে এক কক্ষবিশিষ্ট আটটি ঘর। মাঝে মঠ আকৃতির আরেকটা ঘর।

 মূল মন্দিরের রংটি ছিল লালচে। মন্দিরের গায়ে সাদা রঙের প্রলেপ পড়েছে, বছর খানেক আগে। কিছু কিছু জায়গায় দিতে হয়েছে আস্তর।

মন্দির ভবনটির নকশা সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শাহনওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ঔপনিবেশিক সময়ে নির্মিত ভবনগুলোর নির্মাণকৌশলে মোগল রীতির প্রতিফলন রয়েছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইউরোপীয় ধারা। মোগল যুগে চুন-সুরকির ব্যবহার ছিল। এর সঙ্গে এসেছে বিম-বর্গা। তাঁর মতে, খেলারাম দাতার মন্দিরটি উনিশ শতকের শেষ দিকে অথবা বিশ শতকের শুরুর দিকে নির্মিত।

এম এ করিমের লেখা ইছামতির বাঁকে বইতে খেলারাম দাতার মন্দির নিয়ে যৎসামান্য বর্ণনা রয়েছে।

এটি একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হলেও এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়ে না। এমনকি এটি যে একটি ‘সংরক্ষিত পুরাকীর্তি’, সেই ঘোষণাটিও কোথাও নেই।
Title: Re: Archaeological Architecture of Bangladesh
Post by: fahad.faisal on January 29, 2018, 05:55:34 PM
Thanks a lot for the informative post.