Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - saima rhemu

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 16
46
স্যুপ! অনেকেরই খুব প্রিয় খাবার। সকাল, বিকেল কিংবা দুপুরের লাঞ্চেও অনেকে স্যুপ খান। কিন্তু যদি এই স্যুপ সুস্বাদু ও একই সাথে স্বাস্থ্যকর হয় যা, আপনার মেদ কমাবে তাহলে? সচেতনভাবে কিছু নিয়ম মেনে যদি স্যুপ রান্না করেন তবে তা আপনার পেটের, কোমরের ও দেহের সার্বিক ওজন কমাতেই ভূমিকা রাখে। সেই সাথে আরো ভালো ব্যাপার হলো, শরীরের মেদের সাথে যে রোগগুলো সরাসরি যুক্ত যেমন, হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সেগুলো থেকেও স্যুপ আপনাকে মুক্ত রাখবে।

আসুন জেনে নেই স্যুপের কিছু গুণাবলী যা আপনাকে মেদমুক্ত হতে সহায়তা করবে –

১। চর্বি পোড়ায় স্যুপের মসলা

স্যুপ বানাতে যে সকল মসলা ব্যবহৃত হয় তা দেহের চর্বি পোড়াতে দারুণ কার্যকরী। যেমন, গোলমরিচে থাকা প্রচুর ক্যাপসাইসিন কেবল স্যুপের স্বাদ আর সুগন্ধই বাড়ায় না বরং দেহে জমে থাকা মেদকে পোড়াতে সাহায্য করে।

২। দেহের হজমক্ষমতা বাড়ায় স্যুপ

স্যুপে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। এই প্রচুর পরিমাণের ভিটামিন দেহে দরকারী খাদ্যগুণ সরবরাহ করে এর হজমক্ষমতা বাড়ায়। ফলে অতিরিক্ত চর্বি জমার সুযোগ থাকে না। এবং মেদও বাড়ে না।

৩। খিদে কমায় স্যুপ

এক বাটি স্যুপ খেয়ে দেখুন পরবর্তী অনেকটা সময় ধরে আর ক্ষিদে পাবে না। কেননা খানিকটা স্যুপ পেট ভরা বোধ করতে সাহায্য করে। ফলে ক্যালোরিযুক্ত বা অতিরিক্ত খাবারের জন্যে ক্ষিদে বোধ হয় না। ফলে ওজন কমিয়ে দিয়ে স্বার্থক।

৪। স্বল্প পরিমাণে ক্যালরি

ভেজিটেবল স্যুপ একেবারেই লো ক্যালোরিযুক্ত। ফলে এটি খেলে দেহে ফ্যাট জমাট বাঁধাতে পারে না। লো ক্যালোরি অথচ দারুণ পুষ্টিকর খাবার স্যুপ দেহে পুষ্টি যোগায় প্রয়োজনমত কিন্তু একটুও মেদ বাড়ায় না এতটুকু পরিমাণও।

৫। দেহে সবজির ঘাটতি পূরণ

সাধারণত সবজি কেবল মাত্র সালাদের সাথে খাওয়া হয় যা বেশ একঘেয়েমী হয়ে ওঠে। তাছাড়া সালাদে আর কতই বা সবজি খাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ভেজিটেবল স্যুপে অনেক সবজি থাকে। এই সবজিগুলো স্যুপের সাথে মেশালে হয়ে ওঠে দারুণ উপাদেয় ও সুস্বাদু। আমরা সবাই ই জানি ওজন কমাতে সবজির কোন জুড়ি নেই। তাই সবথেকে কার্যকরি খাবার হলো সবজির স্যুপ।

৬। দেহে পানির চাহিদা পূরণ

স্যুপ সম্পূর্ণই একটি তরল পানি জাতীয় খাবার। স্যুপে থাকা এই প্রচুর পরিমাণ পানি দেহের পানির চাহিদা মেটায় আর সেই সাথে উষ্ণ পানি মেটাবলিজম বাড়ায়। ফলে তা ওজন কমাতে ব্যাপক সহায়তা করে।
লেখাটি পছন্দ হইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
নিয়মিত সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ অ্যাক্টিভ থাকুন।

52
হঠাৎ করেই ওজনটা কি খুব বেড়ে যাচ্ছে? শরীর ফুলে যাচ্ছে? ডায়েট কন্ট্রোল করছেন নিয়ম মেনে, কিন্তু তাও মোটা হয়ে যাচ্ছেন? নাহলে হয়তো ঠিক মতই খাওয়া-দাওয়া করছেন, কিন্তু তাও রোগা হয়ে যাচ্ছেন? আবার হয়ত দেখা যাচ্ছে ছোটখাট বিষয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ বা সবসময়ই বিষণ্ণতা কাজ করছে মনের ভেতর। কিংবা হয়ত ঋতু পরিবর্তন ছাড়াই শরীরে তাপমাত্রার তারতম্য হয়ে যাচ্ছে। এই শীত লাগছে তো আবার এই গরমে ঘেমে চুপচুপে। তাহলে আর দেরি না করে এক্ষুণি একবার আপনার থাইরয়েড টেস্ট করিয়ে ফেলুন। কেন করাবেন থাইরয়েড টেস্ট? আসুন জেনে নেই এ বিষয়ে বিস্তারিত।

থাইরয়েড কী

থাইরয়েড গ্ল্যান্ড হল একটি অন্তক্ষরা গ্রন্থি। যেটা থেকেই নিঃসৃত হয় থাইরয়েড হরমোন। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা হরমোন। কারণ এটি থেকে শরীরের অন্যান্য প্রয়োজনীয় হরমোন উৎপাদন হয়। এই গ্ল্যান্ড দেখতে অনেকটা প্রজাপতির মত। যেটি গলার একটি অংশে অবস্থিত।
এই থাইরয়েডের ক্ষরণ কিন্তু একটা সঠিক পরিমাণে হয়। মানে শরীরের যতটুকু দরকার তততুকু। কিন্তু শরীরের এই প্রয়োজনের থেকে যখন বেশী বা কম ক্ষরণ হয়, তখনই সমস্যা হয়। এটি একদিনেই হয় না। ধীরে ধীরে হয়। তাই সমস্যাও ধীরে ধীরে দেখা যায়। এটি যেহেতু শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে, তাই শরীরের ভেতরে ক্ষতিও ধীরে ধীরে হয়। যেহেতু এটা খুব ধীরে হয়, তাই বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ভুক্তভোগি বুঝতেই পারেন না তাঁদের এই সমস্যার কথা। শরীরে থাইরয়েড হরমোনের তারতম্য দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে, কমে গেলে তাকে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিজম এবং বেড়ে গেলে তাকে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম। এই দুই ধরনের সমস্যা নিয়েই আজকে আলোচনা করবো।

হাইপোথাইরয়েডিজম

যখন শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে কম থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয়, তখন কিছু কিছু উপসর্গ আছে যা দেখে আপনি সন্দেহ করতে পারবেন যে, আপনি হয়ত হাইপোথাইরয়েডিজম-এ ভুগছেন। তবে উপসর্গের আগে এর কারণ সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। হাসিমটো ডিজিজ, থাইরয়েডাইটিস বা থাইরয়েড গ্ল্যান্ড-এর প্রদাহ, জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম কিংবা কোন কারণে অপারেশন করে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড অপসারণ করলে হাইপোথাইরয়েডিজম দেখা দেয়। পুরুষের চেয়ে ৫০% ক্ষেত্রে নারীরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে বলে-এর লক্ষণ অনেকক্ষেত্রে নজরে আসে না। কিছু সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে-ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি, মুখ ফুলে যাওয়া, ঠাণ্ডা সহ্য করতে না পারা, পেশি ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বকের শুষ্কতা, চুল ভেঙে যাওয়া ও পড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত  ঘাম, ভারী বা অনিয়মিত ঋতুস্রাব, বিষণ্ণতা  ও হৃৎস্পন্দন কমে যাওয়া।

চিকিৎসা

হাইপোথাইরয়েডিজম-এর রুগীদের চিকিৎসকগণ লেভোথাইরক্সিন সোডিয়াম বা থাইরক্সিন সোডিয়াম ঔষধ হিসেবে খেতে বলেন, যা আজীবন খেতে হয়। এছাড়াও এইসব রুগীদের বিভিন্ন খাবার যেমন- ব্রেড, পাস্তা, সিরিয়াল জাতীয় খাবার, ব্রকলি, পালং শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সয়াসস, সিম, কফি, দুধ ও চিনিযুক্ত খাবার ইত্যাদি এড়িয়ে যেতে চিকিৎসকগণ উপদেশ দিয়ে থাকেন।

হাইপারথাইরয়েডিজম

হাইপারথাইরয়েডিজম (অত্যধিক থাইরয়েড) এমন একটি রোগ যেখানে আপনার থাইরয়েড গ্রন্থিটি হতে থাইরক্সিন হরমোন অনেক বেশি উৎপাদন করে। সাধারণত গ্রেভস ডিজিজ (এক ধরনের ইমিউন সিস্টেম ডিজঅর্ডার), অতিরিক্ত থাইরয়েড হরমোন সেবন, অতিরিক্ত আয়োডিন সেবন, থাইরয়েডাইটিস ইত্যাদি কারণে থাইরয়েড হরমোন বেশি উৎপাদন হয়। যাদের হাইপার থাইরয়েডের সমস্যা হয়, তাদের ওজন কমে যায়, বিরক্তবোধ থাকে, ডায়রিয়ার প্রবণতা থাকে, রাগ থাকে, মেজাজ খারাপ থাকে। তারা অনেক খায়, তবে ওজন বাড়ে না, গরম সহ্য করতে না পারা, ঘাম হয় অতিরিক্ত, বুক ধরফর করা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।

চিকিৎসা

হাইপারথাইরয়েডিজম-এর চিকিৎসা হচ্ছে অ্যান্টিথাইরয়েড ওষুধ, যেটি থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতাকে কমিয়ে দেবে। ওষুধের পাশাপাশি সার্জারি করা যেতে পারে। যেহেতু গ্রন্থিটি বেশি কাজ করছে, তাই কিছু অংশ কেটে কার্যকারিতা কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড

গর্ভধারণের প্রথম ১২ সপ্তাহে ভ্রুণের বৃদ্ধি নির্ভর করে মায়ের থাইরয়েড হরমোনের উপর। তাই মায়ের পর্যাপ্ত পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এ হরমোন গর্ভের শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, হাইপোথাইরয়েডিজম-এর কারণে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। এ সমস্যার ফলে গর্ভের বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্থ হয় যার ফলে বাচ্চা কম আইকিউ (IQ- Intelligence Quotient) নিয়ে জন্মাতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিজম-এর সঠিক প্রতিকার না হলে  আরও কিছু সমস্যা, যেমন- গর্ভপাত, সময়ের আগেই প্রসব, গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ, মৃত সন্তান প্রসব ইত্যাদি হতে পারে। এছাড়াও আয়োডিনের অভাবেও এ সমস্যা হতে পারে। বংশগত কারণেও গর্ভাবস্থায় হাইপোথাইরয়েডিজম-এর  ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তবে এ সমস্যাগুলো উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে রোধ করা যেতে পারে।

এতো গেলো কমে যাওয়ার প্রভাব, এবার আসি বেড়ে গেলে কী হয় সে দিকে। গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে থাইরয়েড হরমোনের চাহিদা বেড়ে যায়। গরভকালীন এইচসিজি (Human Chorionic Gonadotropin) নামক হরমোন এবং ইস্ট্রোজেন থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে যাতে থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন করে। এই সমস্যা সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম ট্রাইমেস্টার বা প্রথম তিন মাসে দেখা যায়, দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টার এর দিকে এটি আবার নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যেতে পারে। এ সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যেসব গর্ভবতী মায়েদের নিকট আত্মীয় কারও থাইরয়েডের সমস্যা আছে (মা বা বোন) তাদের গর্ভধারণের আগেই বা গর্ভধারণের পরপরই থাইরয়েড-এর পরীক্ষা করে দেখা উচিত।

থাইরয়েড গ্ল্যান্ড সুস্থ রাখার কয়েকটি টিপস

১) উচ্চ মানের টাইরোসিন আমিষযুক্ত খাবার খান। টাইরোসিন দরকার হয় থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে। এটি পেতে খেতে হবে লাল মাংস, মাছ, মুরগির ডিম ও মাংস, কলা ও মিষ্টি কুমড়ার বিচি।

২) গয়ট্রোজেনাস খাবার যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, চিনাবাদাম, সয়াসস, ইত্যাদি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না। রান্না করে খাবেন, কাঁচা খাবেন না। থাইরয়েড-এ সমস্যা থাকলে এসব খাবার খাওয়া উচিত নয়।

৩) গ্লুটেন প্রোটিনযুক্ত খাবার খাবেন, যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে ঠিক রাখে। এ জন্য গম, শস্যদানা, যব, বার্লি খেতে হবে।

৪) থাইরয়েড ঠিক রাখার জন্য লিভারের সুস্থতা দরকার। লিভারের সুস্থতার জন্য ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খেতে হবে। বিভিন্ন তেলযুক্ত মাছ, কাঁচা বাদাম, অলিভ অয়েল-এ এটা পাওয়া যাবে।

]৫) আয়োডিনযুক্ত লবণ খাবেন।

৬) কীটনাশক ও হেভিমেটাল যেমন মারকারি, ক্যাডমিয়াম, দস্তা ব্যবহারে সতর্ক হবেন।

আমেরিকান থাইরয়েড অ্যাসোসিয়েশন-এর মতে, বয়স ৩৫ হলে, প্রতি পাঁচ বছর পর পর প্রত্যেকের থাইরয়েড পরীক্ষা করানো উচিত। যাদের উপসর্গ বা ঝুঁকি রয়েছে, এদের বারবার পরীক্ষা করানো উচিত। ৬০ উর্দ্ধ মহিলাদের বেশি হয় হাইপোথাইরয়েডিজম। হাইপারথাইরয়েডিজম-ও ৬০ উর্দ্ধ পুরুষ ও মহিলাদের হতে পারে। পারিবারিক ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বাড়ে। তাই এ সম্পর্কে সবার সচেতন থাকতে হবে।

লিখেছেন- ডাঃ মারুফা আক্তার

56
বর্তমান সময়ে খুব সাধারণ একটি রোগ ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। সাধারণত দুই ধরণের ডায়াবেটিস দেখা যায়। একটি হল টাইপ ১ ডায়াবেটিস যেখানে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন হয় না। আরেকটি হল টাইপ ২ ডায়াবেটিস যেখানে ইনসুলিন ঠিকমত কাজ করে না। সাধারণত টাইপ ২ ডায়াবেটিস হতে দেখা যায়। অবসাদ লাগা, ওজন হ্রাস, অতিরিক্ত পানি পিপাসা, প্রস্রাব বা প্রস্রাবের বেগ পাওয়া, ক্ষত দেরীতে শুকানো ইত্যাদি ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ।

ডায়াবেটিসের কোন প্রতিকার নেই। রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকলে আপনি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন। এই প্রাকৃতিক উপায়গুলো আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে।

১। করলা
তেতো করলা সারিয়ে তুলবে ডায়াবেটিস। সকালে খালি পেটে করলার জুস পান করুন। এটি প্রতিদিন করে দুই মাস পান করুন। এছাড়া প্রতিদিনের খাবারে করলা সবজি হিসেবে রাখতে পারেন। এটি প্যানক্রিয়াটিক ইনসুলিন সিক্রেশন বৃদ্ধি করে। করলা দুই ধরণের ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারি।

২। দারুচিনি
এক কাপ গরম পানিতে আধা চা চামচ দারুচিনি মিশিয়ে পান করুন। এটি প্রতিদিন পান করুন। এছাড়া এক কাপ গরম পানিতে দুই থেকে চারটি দারুচিনি দিয়ে জ্বাল দিন ২০ মিনিট। প্রতিদিন এটি পান করুন। যেকোন খাবারে আপনি দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। দারুচিনির গুঁড়ো রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর উপাদান লিভার ড্যামেইজ করা প্রতিরোধ করে।

৩। হলুদের গুঁড়ো
আধা গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো, এক চা চামচ আমলকীর গুঁড়ো এবং আধা টেবিল চামচ মেথির গুঁড়োর মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন।

৪। মেথি
দুই টেবিল চামচ মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন। এটি কয়েক মাস পান করুন। এছাড়া দুই টেবিল চামচ মেথি গুঁড়ো দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন। মেথি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ঠিক রাখে। উচ্চ আঁশযুক্ত হওয়ায় এটি শরীরের কার্বোহাইড্রেইড এবং চিনি শরীরে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে।

৫। অ্যালোভেরা জেল
আধা চা চামচ তেজপাতার গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো এবং এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এটি দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার খাওয়ার আগে নিয়মিত খান। অ্যালোভেরা এবং হলুদের ওষধি গুণাবলী ডায়াবিটস নিয়ন্ত্রণ করে।

৬। ঢেঁড়স
কিছু ঢেঁড়স কেটে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে ঢেঁড়স ফেলে দিয়ে পানি পান করুন। এটি প্রতিদিন করুন। ২০১১ সালে এক জার্নালে দেখা গেছে যে, ঢেঁড়সের অ্যান্টিডাবায়টিক এবং অ্যান্টিহাইপারলিপিডেমিক উপাদান রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

টিপস:
১। নিয়মিত ডায়াবেটিস চেক করুন।

২। প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

৩। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন।

৪। ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন।

৫। স্বাস্থ্যকর নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করুন।

57
জ্যাম কিংবা জেলি সাধারণত কিনেই খাওয়া হয়। তবে বাড়িতেও সহজে বানাতে পারেন এসব।

আনারস জ্যাম

উপকরণ: আনারসের পাল্প ৩ কাপ, অ্যাগার অ্যাগার দেড় চা-চামচ, সাইট্রিক অ্যাসিড আধা চা-চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, চিনি সাড়ে তিন কাপ, সোডিয়াম বেনজয়েট সিকি চা-চামচ, আনারস এসেন্স ১ চা-চামচ, লবণ আধা চা-চামচ।

প্রণালি: আনারস দুই ভাগ করে কাঁটা চামচ দিয়ে কেচে নিন। অথবা ব্লেন্ড করে নিন। এবার চিনিসহ চুলায় সেদ্ধ দিন। সঙ্গে আদা ও লবণ দিয়ে দিন। অ্যাগার অ্যাগার গরম পানি দিয়ে ১০ মিনিট ভিজিয়ে আনারসের মিশ্রণে ঢেলে দিন। আনারস যখন ঘন থকথকে হয়ে আসবে, তখন চুলা থেকে নামিয়ে সোডিয়াম বেনজয়েট, সাইট্রিক অ্যাসিড ও পাইনঅ্যাপল এসেন্স দিয়ে মিশিয়ে দিন। এবার নামিয়ে বয়ামে ঢেলে সংরক্ষণ করুন।

মেস্তার জ্যাম

উপকরণ: মেস্তা ফল ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, পানি ৪ কাপ।

প্রণালি: মেস্তার পাপড়িগুলো ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ৩ কাপ গরম পানি দিয়ে চুলায় বসান। ফুটে উঠলে পানি ঝরিয়ে আবার ১ কাপ পানি দিয়ে চুলায় অল্প আঁচে বসান। গলে গেলে চিনি দিয়ে জ্বাল দিন। মেস্তা গলে না গেলে আরও একটু পানি দিন। চিনি গলে ঘন জ্যামের মতো হলে নামিয়ে বোতলে সংরক্ষণ করুন।
প্রিজারভেটিভ না দিলে এটি ৪/৫ দিন ভালো থাকবে। অনেক দিন সংরক্ষণ করতে চাইলে আধা চা-চামচ করে সোডিয়াম বেনজয়েট ও পটাসিয়াম মেটাবাইসালফাইট দিতে হবে।

সিনথেটিক জেলি

উপকরণ: চায়না গ্রাস এক কাপ, সোডিয়াম বেনজয়েট সিকি চা-চামচ, অরেঞ্জ ইমালশন পৌনে এক চা-চামচ, অরেঞ্জ ওয়েল ১ চা-চামচ, অরেঞ্জ সুইট এসেন্স আধা চা-চামচ, পানি ১ লিটার, চিনি ১ কেজি, সাইট্রিক অ্যাসিড দেড় চা-চামচ।

প্রণালি: চায়না গ্রাস কুচি করে ১ কাপ মেপে নিন। ২ কাপ পানি দিয়ে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে চুলায় বসান মৃদু আঁচে। যখন চায়না গ্রাস গলে যাবে, তখন পাত্রটি গরম পানির বাটিতে আবার ডুবিয়ে রাখতে হবে। না হলে এই মিশ্রণ আবার জমে যাবে। অন্য পাত্রে পানি ও চিনি মেপে চুলায় জ্বাল দিন। এই পানি জ্বাল দিতে দিতে এক-তৃতীয়াংশ হয়ে গেলে চায়না গ্রাসের মিশ্রণ দিয়ে আবার জ্বাল দিন। চায়না গ্রাসের মিশ্রণ যখন শুকিয়ে প্রায় অর্ধেক হলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর এ থেকে আধা কাপ নিয়ে তাতে বাকি সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে পুরোটা জেলির পাত্রে ঢেলে দিন। খুব ভালোভাবে নেড়ে মিশিয়ে গরম-গরম বোতলে ভরে রাখুন। ঠান্ডা হলে মোম গলিয়ে দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে দিতে হবে।

কমলা মারমালেড

উপকরণ: কমলার রস ২ কাপ, মালটার রস ২ কাপ, চায়না গ্রাস কুচি ১ কাপ, সাইট্রিক অ্যাসিড ১ চা-চামচ, চিনি ৪ কাপ, কমলার খোসা ২ টেবিল চামচ, সোডিয়াম বেনজয়েট সিকি চা-চামচ, অরেঞ্জ ইমালশন আধা চা-চামচ, অরেঞ্জ অয়েল আধা চা-চামচ।

প্রণালি: চায়না গ্রাস ২ কাপ পানি দিয়ে ১৫ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর মৃদু আঁচে গলিয়ে নিন। কমলার খোসা লম্বা পাতলা কুচি করে সেদ্ধ করতে দিন। পানি ঝরিয়ে অল্প চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে শুকিয়ে নিন। কমলা ও মালটার রস চিনি দিয়ে চুলায় বসান। কমলা ও চিনির শিরা ঘন হয়ে এলে চায়না গ্রাসের মিশ্রণ ঢেলে জ্বাল দিন। মোটামুটি ঘন হয়ে এলে কমলার খোসাগুলো দিয়ে নামিয়ে নিন। বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে গরম-গরম বয়ামে ভরে ঠান্ডা করে নিন। ওপরে মোমের স্তর দিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন।

মিশ্র ফলের জ্যাম

উপকরণ: পছন্দের নানা রকম ফলের পাল্প (আম, পেঁপে, আনারস, কমলা, মালটা, আপেল, আঙুর ইত্যাদি) ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, অ্যাগার অ্যাগার দেড় চা-চামচ, সাইট্রিক অ্যাসিড দেড় চা-চামচ, ম্যাঙ্গো ইমালশন সিকি চা-চামচ, ম্যাঙ্গো সুইট এসেন্স আধা চা-চামচ, অরেঞ্জ ওয়েল ১ চা-চামচ, অরেঞ্জ ইমালশন ১ চা-চামচ, পটাশিয়াম মেটাবাইসালফাইট সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: ফলের পাল্প হাঁড়িতে ঢেলে দিয়ে চিনি দিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন। অ্যাগার অ্যাগার আধা কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। চিনি গলে গিয়ে ফলের রসের সঙ্গে মিশে গেলে ভেজানো অ্যাগার অ্যাগার দিয়ে নাড়ুন। ঘন হয়ে জমে এলে নামিয়ে সাইট্রিক অ্যাসিড ও অন্য উপকরণগুলো আধা কাপ জ্যামের মিশ্রণে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার এটি পুরো জ্যামের মধ্যে দিয়ে নাড়ুন। এবার গরম-গরম বোতলে সংরক্ষণ করুন।

পেয়ারার জেলি

উপকরণ: পাকা পেয়ারার রস ৪ কাপ, চিনি ৪ কাপ, অ্যাগার অ্যাগার আড়াই চা-চামচ, সাইট্রিক অ্যাসিড ১ চা-চামচ, পটাশিয়াম মেটাবাইসালফাইট সিকি চা-চামচ।

প্রণালি: পাকা পেয়ারা কেটে সেদ্ধ করে ছেঁকে নিন। নাড়া দেওয়া যাবে না। অ্যাগার অ্যাগার আধা কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। পেয়ারার রস আবার ছেঁকে চিনি দিয়ে জ্বাল দিন। শিরা ঘন হলে ভেজানো অ্যাগার অ্যাগার দিয়ে জ্বাল দিন। রস যখন এক-তৃতীয়াংশ শুকিয়ে যাবে, তখন সাইট্রিক অ্যাসিড ও পটাশিয়াম মেটাবাইসালফাইট দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে গরম-গরম বোতলে সংরক্ষণ করুন।

মিশ্র ফলের জেলি

উপকরণ: আম, আনারস, পেঁপে, কমলা, মালটা, আপেল ইত্যাদি ফলের রস দেড় কেজি, চিনি দেড় কেজি, অ্যাগার অ্যাগার আড়াই চা-চামচ, পটাশিয়াম মেটাবাইসালফাইট সিকি চা-চামচ, সাইট্রিক অ্যাসিড দেড় চা-চামচ, অরেঞ্জ ওয়েল ১ চা-চামচ, ম্যাঙ্গো ইমালশন সিকি চা-চামচ, সুইট ম্যাঙ্গো এসেন্স আধা চা-চামচ, অরেঞ্জ ইমালশন আধা চা-চামচ, সুইট অরেঞ্জ এসেন্স আধা চা-চামচ।

প্রণালি: সব ফল খোসা ছাড়িয়ে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। পাতলা মার্কিন কাপড়ে দুই দফা ছেঁকে নিন। অ্যাগার অ্যাগার আধা কাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ফলের রস ও চিনি চুলায় ফোটান। চিনি গলে গেলে অ্যাগার অ্যাগার দিন। জ্বাল দিতে দিতে যখন অর্ধেক হয়ে আসবে, তখন নামিয়ে বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। এবার নামিয়ে গরম-গরম বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন।

59
একেক ঋতুতে চুলে একেক সমস্যা হয়ে থাকে। গরমের সময় ঘামের জন্য চুল নষ্ট হয়ে যায়। বর্ষার সময় ভিজে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার জন্য চুল নষ্ট হয়। আবার শীতের সময় বেশি শুষ্কতার কারণে চুলের ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই সব ঋতুতে চুলের নিতে হয় আলাদা আলাদা বিশেষ যত্ন। এই শীতে আপনার চুলে যেন সবসময় ঝলমলে থাকে সে জন্য আজ জেনে নিন কিছু টিপস।

অন্য সময়ের তুলনায় শীতকালে আমাদের ত্বক ও চুল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে চুল হয়ে যায় নিষ্প্রাণ, শুষ্ক। সঠিকভাবে যত্ন না নিলে চুল পড়া বেড়ে যায় অনেকখানি। তাই শীতকালে চুলের নিতে হয় বাড়তি যত্ন। জেনে রাখুন কিছু টিপস, যা শীতকালেও আপনার চুল রাখবে স্বাস্থ্যোজ্বল এবং সুন্দর।

চুল কাভার করুন:

. বাতাসের আর্দ্রতা থেকে চুলকে রক্ষার জন্য মাথায় স্কার্ফ বা হ্যাট ব্যবহার করুন।

. এটি আপনার চুলকে বাইরের ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে থাকবে।

. সিল্কের স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার চুল রক্ষা করার সাথে সাথে ফ্যাশনও করা হবে।

চুল ধোয়ার নিয়ম:

. চুলে গরম পানি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

. আমাদের মাথার ত্বক সাধারণত শুষ্ক থাকে, গরম পানি ব্যবহারে ত্বক আরো বেশি শুষ্ক করে তোলে। . গরম পানি ব্যবহার করার পরিবর্তে গরম এবং ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করুন।

. গরম এবং ঠাণ্ডা পানি চুলের ত্বকের ময়োশ্চারাইজ ধরে রেখে চুল পরিষ্কার করে থাকে।

শ্যাম্পু/কন্ডিশনার:

. শ্যাম্পু করার ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই শীতকালে যতবার শ্যাম্পু করবেন ততবার কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।

. বিশেষ করে এই সময় ক্রিমি কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।

. কন্ডিশনার হিসেবে আপনি ডিমের কসুম ব্যবহার করতে পারেন।

তেলের ব্যবহার:

. শ্যাম্পু করার আগে তেল ম্যাসাজ করুন।

নারকেল তেল, বাদাম তেল বা সরিষার তেল যেকোনো তেল হালকা গরম করে মাথার তালুতে ম্যসাজ করে নিন।

. তেল মাথার তালুর রক্ত সঞ্চালন বজায় রাখে।

. আপনি চাইলে যেকোনো এসেনশিয়াল অয়েল যেমন ল্যাভেন্ডার অয়েল, ব্যবহার করতে পারেন।

. নারকেল তেলের সাথে অ্যাসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

. চা গাছের তেল বেশ উপকারী।

হেয়ার প্যাক:

. শীতে চুলের যত্নে নিয়মিত প্যাক ব্যবহার করুন। তা যেকোনো কিছুর প্যাক হতে পারে। কলা, মধু, অ্যাডোকোডা, নিম পাতা এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।

. এটি মাথায় ভালো করে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট রাখুন। কলা এবং মধু চুল ময়োশ্চারাইজ করে থাকে।

. অ্যাডোকোডাতে আছে ভিটামিন এ যা চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গোঁজাতে সাহায্য করে।

. নিম পাতা ত্বকের সকল প্রকার জীবাণু দূর করে চুলাকানি রোধ করে থাকে।

. শীতে কাবু হয়ে শ্যাম্পু করা বন্ধ করা যাবে না।

. সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার শ্যাম্পু করা উচিত।

. এই সময় চুলে বেশি ময়লা হয়ে থাকে, তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করা উচিত।

. ১টি ডিমের কসুম, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ কাপ পানি মিশিয়ে নিন। এটি কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। ঘরোয়া কন্ডিশনার হিসেবে এটি বেশ কার্যকরী।

60
প্রাচীন পদ্ধতি তবে খুবই কার্যকর আর সহজ।

মুখে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোম খুব অস্বস্তিকর। বিশেষ করে মেয়েদের মুখে, পিঠে, পায়ে অতিরিক্ত লোম সৌন্দর্য নষ্ট করতে যথেষ্ট।

আর লোম দূর করার বিভিন্ন পদ্ধতি বেশ কষ্টসাধ্য এবং ব্যয় সাপেক্ষও বটে। তবে দীর্ঘ দিন ধরেই লোমমুক্ত ত্বক সকলরই কাম্য।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রাচীন মিশরের প্রায় সকল নারীই সৌন্দর্য সচেতন ছিলেন। আর সেই সময়ের সৌন্দর্য চর্চার কিছু বিষয় এখনও ব্যবহৃত হয়।

বর্তমানে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হল ওয়াক্সিং। প্রাচীন মিশরে এই ধরনেরই একটি পদ্ধতি প্রচলিত ছিল যাকে বলা হতো ‘বডি সুগারিং’। এটি ওয়াক্সিংয়ের একটি পুরাতন ঘরোয়া পদ্ধতি এবং নিরাপদ।

এই পদ্ধতিতে গোড়া থেকে লোম দূর করা হয়, আর পুনরায় যখন লোম গজায় তখন আগের চাইতে পরিমাণে কম থাকে। শেইভিং এবং ওয়াক্সিংয়ের বিকল্প হিসেবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।

তাছাড়া ওয়াক্সিংয়ে গরম তরল ব্যবহার করা হয় বলে ত্বক পুড়ে যাওয়ার একটি সম্ভাবনা থাকে। তবে এক্ষেত্রে তরলটি ঠাণ্ডা করে নিতে হয় বলে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কী সেই পদ্ধতি!

উপকরণ

দুই কাপ চিনি। এক কাপের চারভাগের একভাগ লেবুর রস। এক কাপের চারভাগের একভাগ পানি। তাপ মাপার জন্য একটি ‘ক্যান্ডি থার্মোমিটার’।

পদ্ধতি

সব উপকরণ একটি সসপ্যানে নিয়ে অল্প তাপে গরম করতে হবে। এর মাঝে একটি ‘ক্যান্ডি থার্মোমিটার’ বসিয়ে দিতে হবে তাপ পরিমাপের জন্য। খেয়াল রাখতে হবে যেন তাপ আড়াইশো ফারেনহাইটের উপর না যায়।

পুরো পদ্ধতিতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।

সব উপকরণ ভালোভাবে মিশে গেলে ঠান্ডা করে একটি বয়ামে ভরে রাখতে হবে। এই মিশ্রণ পরে ব্যবহার করার জন্য গরম করার প্রয়োজন হবে। তাই এমন বয়ামে রাখুন যেন পরে মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা প্যানে গরম করা যায়।

এরপর খুব মিহি বুননের সুতি কাপড় নিতে হবে। কাপড়টি এক ইঞ্চি মোটা ফালি করে কেটে নিতে হবে।

এবার আগের মিশ্রণটি ঠান্ডা করে নিতে হবে যেন তা ত্বকের কোনও ক্ষতি করতে না পারে। চাইলে হাতের উল্টা পিঠে অল্প একটু নিয়ে সেটি ত্বকের জন্য সহনীয় কিনা যাচাই করা যেতে পারে।

এরপর একটি পাতলা কাঠি বা প্লাস্টিকের পাতের সাহায্যে পুরো অবাঞ্চিত লোমের জায়গায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। এরপর সুতি কাপড়টি উপরে ভালোভাবে বিছিয়ে ওয়াক্সিংয়ের সময় যেভাবে টেনে তোলা হয় সেভাবে টেনে তুলতে হবে।

এভাবে ত্বকের অবাঞ্ছিত লোম উঠে আসবে. এবং পরে পরিমাণও কমে আসবে।

Pages: 1 2 3 [4] 5 6 ... 16