Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Nazmul Hasan

Pages: [1] 2 3 ... 5
1
Common Forum / প্রেমের সমাধি
« on: May 22, 2018, 10:27:59 AM »



কন্যাপক্ষ সবুর করিতে পারিত, কিন্তু পাত্রপক্ষ সবুর করিতে চাহিল না! ডিমবাবুর জন্য এর চেয়ে ভালো পাত্রী হইতে পারে না। তাহারা সকলে কন্যার ছবি ইনস্টাগ্রামে দেখিল, দেখিয়াই ‘হা’ বলিয়া দিল। পাত্রীর নাম কুসুম। দেখিতে রাঙা। পাত্র দূর থেকে একনজর দেখিয়াই কুসুমের প্রেমে পড়িয়া গেল। অসুবিধা একটাই, পাত্রী ঢাকায় থাকে। বিবাহ করিতে গেলে ডিমবাবুকে ঢাকায় যাইতে হইবে। কিন্তু ঢাকা যাওয়া তো সহজ নহে! মাঝখানে এক মহাসমুদ্র আছে...মহাসমুদ্রের নাম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক! ডিমবাবুকে প্রতিবেশী ডিমেরা কহিল, ‘শোন, তাপ থেকে সাবধান থাকবি, নাহলে ওই রাস্তার মধ্যেই ফুটে যাবি! তোর ভেতর থেকে তখন মোরগ না মুরগি কী বের হয় কে জানে!’

ডিমবাবুর চোখ বড় হইয়া উঠিল। মা অবশ্য অভয় দিলেন। কহিলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রামের রাস্তা খারাপ শুনিয়াছি, কিন্তু তাই বলিয়া নিশ্চয়ই এত খারাপ নয় যে আমার ডিমখানা যাইতে যাইতে ফাটিয়া যাইবে! দেখে-শুনে যা। ঘর আলো করে কুসুমকে নিয়ে আয়।’ ডিমবাবু সকলের দোয়া নিয়া বাহির হইল। একটা লরিতে আরও হাজার হাজার ডিমের সহিত তাহার যাত্রা নিশ্চিত হইল শেষকালে। ডিমবাবু টাইটানিক সিনেমাখানি দেখিয়াছিল। নিজেকে তার জ্যাক মনে হইল। আফসোস, জ্যাকের মতন চুল তাহার নাই। তাহার চান্দি ছিলা!

লরি প্রথম প্রথম বেশ টানিল। গোঁ গোঁ শব্দ তুলিয়া যখন ছুটিতেছিল তখন ডিমবাবু ভাবিল, প্রতিবেশীরা অযথাই তাহাকে ভয় দেখাইয়াছে মাত্র। আসলে ঈর্ষা! কুসুমের মতো এক পাত্রীকে সে বিবাহ করিতে যাইতেছে বলিয়াই এই ঈর্ষা তাদের। সে ঠিক করিল, কুসুমকে বিবাহ করিয়া ফেলামাত্র একখানা সেলফি তুলিয়া তাহা ফেসবুকে দিয়া প্রতিবেশীদের ট্যাগ করিবে, তখন দেখিবে কত মজা! ভাবিতে ভাবিতে ডিমবাবু হাসিয়া উঠিল। আর তখনই লরিখানা ঝাঁকি খাইয়া থামিয়া গেল। তারপর লরিটি থামিয়াই থাকিল, থামিয়াই থাকিল। একচুল পর্যন্ত নড়িল না। ডিমবাবু বারবার মোবাইল ফোন বাহির করিয়া ঘড়ি দেখিল। বিকাল তিনটা রাত তিনটা হইয়া গেল, রাত তিনটা আবার বিকাল তিনটা হইয়া গেল। লরি চলিল না! কেহ একজন গাহিয়া উঠিল, ‘লরি চলে না চলে না, চলে না রে, লরি চলে না!’

ডিমবাবুর মেজাজ খারাপ হইয়া গেলে গায়ককে ঝাড়ি দিয়া লরি হইতে বাহির হইয়া আসিল। দেখিল, হাজার হাজার গাড়ি রাস্তার ওপর একে-অপরের পিঠে নাক ঠেকাইয়া দাঁড়াইয়া আছে। এক ট্রাকভর্তি কাঁচা সবজি, ইতিমধ্যেই তাহারা হাল ছাড়িয়া দিয়া জিব বাহির করিয়া শুইয়া পড়িয়াছে। তরমুজ ফাটিয়া গিয়ে ড্রাকুলার রূপ নিয়াছে। শাকের আঁটিকে মনে হইতেছে শাঁকচুন্নি! রাস্তায় অপেক্ষা করিতে করিতে করলা তার এক জীবনের তেতো হারাইয়া ‘দুশ্চরিত্র’ হইয়া উঠিয়াছে। আর ডিমবাবু? এই সব দেখিয়া তার ঘাম ছুটিবার দশা! একবার সূর্যের পানে একবার লরির পানে তাকাইয়া তাহার প্রেশার বাড়িয়া গেল। প্রতিবেশীদের কথা মনে পড়িল খুব।

ডিমবাবু হাঁপাইতে হাঁপাইতে আবার গিয়া লরিতে উঠিল। কিন্তু মহল্লায় আগুন লাগিলে ক্লাব কি রক্ষা পায়? লরিও যে ভীষণ উত্তপ্ত! যেন এক অগ্নিকুণ্ডের ভেতর পড়িল ডিমবাবু।

এ রকম সময়েই লরি আবার চলিতে শুরু করিল। একটা বাতাস আসিয়া ডিমবাবুকে ছুঁইয়া গেল। আহারে, যেন কুসুমের শীতল আঁচল! কুসুমের কথা মনে করিতে করিতে ডিমবাবু ঘুমাইয়া পড়িল।

কিন্তু এ ঘুম মাত্র লহমার। আরেকটা ঝাঁকি খাইয়া লরি থামিয়া গেল। আর কখনোই চলিল না। ডিমবাবু কুসুমকে ভিডিওকল করিতে বাধ্য হইল। কুসুম তখন অধীর আগ্রহে ডিমবাবুরই অপেক্ষা করিতেছিল। সব শুনিয়া কুসুম কহিল, ‘প্রেমের পথ এত সহজ হইবে তোমাকে কে কহিল! তুমি বরং ওই মানুষদের ধন্যবাদ দাও, যাহারা এই যানজট লাগাইয়া রাস্তার বারোটা বাজাইয়াছে! যদি তুমি ওই পথ পাড়ি দিয়া আসিতে পারো, তাহা হইলে তোমার–আমার নাম কুসুম-রঙে লেখা থাকিবে। আর যদি না পারো...’

আর শুনিতে পারিল না ডিমবাবু। তাপে-উত্তাপে-উষ্ণতায় সে ফটাস করিয়া ফাটিয়া গেল। আর তার ভেতর হইতে...থাক তাহার কথা আর নাই-বা বলি। শুধু এইটুকু বলিয়া রাখি, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মধ্যে একটি ক্ষুদ্র প্রেমের সমাধি রচিত হইল।

লরির ভেতর হইতে অনেক মুরগির কক কক আওয়াজ শোনা যাইতে থাকিল! তবু, কী কাণ্ড লরি চলিল না!

আরও সংবাদ
বিষয়:
রস+আলো

2
 
 
১০
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কক্ষপথের অবস্থানে পৌঁছেছে

বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ (বিএস-১) ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণের ১০ দিন পর এটি নিজস্ব অবস্থানে (অরবিট স্লট) পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএসসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বাসসকে বলেন, ‘আমাদের স্যাটেলাইট তার অবস্থান নিয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই কাজ শুরু করেছে।’

১১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বিএস-১ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। স্পেসএক্সের সর্বাধুনিক রকেট ফ্যালকন-৯-এর মাধ্যমে স্যাটেলাইটটি ১১৯.১ দ্রাঘিমাংশে পৌঁছার জন্য এটি উৎক্ষেপণ করা হয়।

বিসিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, তারা এখন বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম শুরু করার আগে আরও বেশ কিছু পরীক্ষা চালাবেন। তিনি বলেন, ‘তিন মাসের মধ্যে আমরা বাণিজ্যিক অপারেশনে যাব।’

সরকারি সূত্র জানায়, বিএস-১ প্রতি ২৪ ঘণ্টায় একবার ৩৬ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় একবার পৃথিবী পরিক্রমণ করবে। ফ্যালকন-৯-এর ব্লক-৫ থেকে উৎক্ষেপণের অব্যবহিত পরই বিএস-১ ৩৫ হাজার সাত শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়। এরপর ১০ দিনে আরও তিন শ কিলোমিটার অতিক্রম করে বর্তমান অবস্থানে যায়।
গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশনের অপারেশন ইঞ্জিনিয়ার তাজুল ইসলাম এর আগে বাসসকে বলেন, বিএস-১ গ্রাউন্ড স্টেশনে সংকেত পাঠাতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, গাজীপুরের জয়দেবপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ার গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে বিএস-১-এর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে।

3
দেশের অন্য অপারেটররা লাইসেন্স পাওয়ার পরপরই গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ফোরজি সেবা শুরু করেছে। লাইসেন্স নিয়ে রাখলেও এখনও এ সেবা শুরু করতে পারেনি টেলিটক।

কবে নাগাদ টেলিটক গ্রাহকরা ফোরজি সেবা পাবেন, তাও নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী গোলাম কুদ্দুস জানিয়েছেন, তারা প্রস্তুতি শুরু করেছেন, তবে গ্রাহকদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, প্রথমে বিভাগীয় শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামে ফোরজি সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তার সব বিভাগীয় শহরে তারা ফোরজি দিতে চান এ বছরের মধ্যেই।

টেলিটকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অন্য অপারেটররা যেখানে হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে, টেলিটক সেখানে মাত্র ২০০ কোটি টাকায় নেটওয়ার্ক উন্নয়ন করে ফোরজিতে যাওয়ার চেষ্টায় আছে।

ফোর-জি লাইসেন্স নিতে গত জানুয়ারিতে আবেদন করে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক ও বন্ধ হয়ে যাওয়া অপারেটর সিটিসেল। ফেব্রুয়ারিতে নিলামে অংশ নিয়ে ফোর-জি তরঙ্গ কেনে কেবল গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক।

নিলামের পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের চার মোবাইল অপারেটর চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি সেবা চালুর লাইসেন্স পায়। সিটিসেল আর সেই লাইসেন্স নেয়নি।

লাইসেন্স পাওয়ার পরপরই গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক তাদের ফোরজি সেবা শুরু করে। রবি তাদের হাতে থাকা তরঙ্গ ‘প্রযুক্তি নিরপেক্ষতায়’ রূপান্তর করে এ সেবা দিচ্ছে। টেলিটকও একই পরিকল্পনা নিয়েছে।

ফোর জি তরঙ্গের নিলাম এবং প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার সুবিধা বিক্রি করে ভ্যাটসহ পাঁচ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা আয় করেছে সরকার।

টেলিযোগাযাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে, দেশে মোট মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ১৫ কোটির বেশি। এর মধ্যে ছয় কোটি ৭৪ লাখের বেশি গ্রাহক রয়েছে গ্রামীণফোনের হাতে।

এছাড়া রবির গ্রাহক সংখ্যা চার কোটি ৫৬ লাখ, বাংলালিংকের তিন কোটি ৩৩ লাখ এবং টেলিটকের মাত্র ৩৯ লাখ। 

4
দেশের পাট থেকে উন্নত মানের ভিসকস সুতা তৈরি ও বাজারজাতের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফিনল্যান্ডে আড়াই শ কেজি শুকানো পাট পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ফল ইতিবাচক হলে প্রতিবছর প্রায় হাজার কোটি টাকা আমদানি সাশ্রয় হবে।

সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ছয় কোটি টাকা ব্যয় করছে সরকার। ২০ সপ্তাহের মধ্যে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাট দিয়ে ভিসকস সুতা তৈরির রাসায়নিক পরীক্ষা, গুণগতমান নির্ধারণ, বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া, কারখানায় উৎপাদনের জন্য নকশা তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোর কাছে সমীক্ষার বিষয়ে শতভাগ সাফল্যের আশা প্রকাশ করেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বিশ্বব্যাপী কাঠ থেকে ভিসকস সুতা তৈরি হয়। ভিসকস অত্যন্ত উন্নত মানের সুতা। এই সুতা দিয়ে তৈরি পোশাক অনেক আরামদায়ক হয়। দামও সুতি কাপড়ের চেয়ে ক্ষেত্র বিশেষে দেড়গুণ বেশি হয়। আখ থেকেও ভিসকস তৈরি হয় স্বল্প আকারে। তবে পাট থেকে বাণিজ্যিকভাবে ভিসকস তৈরি করতে পারলে তা হবে মাইলফলক। বাংলাদেশে এ ক্ষেত্রে এককভাবে সাফল্যের দাবি করতে পারবে। কাঠের মধ্যে যে সেলুলোজ রয়েছে তা পাটেও রয়েছে। পাটের সবুজ বাকলে সেলুলোজ নামক রাসায়নিক উপাদান থাকে। এই সেলুলোজই ভিসকস তৈরির মূল উপাদান। লিগনিন থাকার কারণে পাটের আঁশ শক্ত হয়। ওই পাটের আঁশকে লিগনিনমুক্ত করে ফেলা হয়। অন্যান্য ক্ষুদ্র রাসায়নিক উপাদানও একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বের করে নিয়ে আসা হয়। এতে পাটের আঁশ পেজা তুলার মতো নরম হয়ে যায়। তা থেকে যে সুতা তৈরি হয়, সেটাই ভিসকস সুতা।

দেশে ২০১৫ সালে পাট থেকে ভিসকস তৈরির ব্যাপারে প্রথম আলোচনা হয়। এর পরের বছর ২০১৬ সালে বিজেএমসির ওই সময়ের পরিচালক বাবুল চন্দ্র রায়কে প্রধান করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের ১৪ জন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে পাট থেকে ভিসকস সুতা তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে। এর মধ্যে ফিনল্যান্ডের ভিশন হান্টার লিমিটেড, সাইটেক সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেড ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুইডেনের এ এফ ইন্ডাস্ট্রিজকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ দেওয়া হয়। ফিনল্যান্ডের দুটি প্রতিষ্ঠান কাঁচামাল হিসেবে ল্যাবরেটরিতে পাট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং এর গুণগত মান নির্ধারণ, পরামর্শ দেওয়া, কীভাবে কারখানায় উৎপাদন করা যায়, তা দেখবে। সুইডেনের প্রতিষ্ঠানটি ভিসকস উৎপাদনের জন্য কারখানা স্থাপনের নকশা কেমন হবে, কী ধরনের যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করবে। স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে কীভাবে তা লাভজনক হতে পারে সেটার গবেষণা তথ্যও জানাবে।

দেশে পোশাক শিল্প কারখানা ও বস্ত্র উৎপাদন কারখানা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুতার (স্পিনিং) কারখানা বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভিসকসের চাহিদা।

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যান ড. মো. মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশের বস্ত্র উৎপাদন কারখানাগুলো বছরে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ভিসকস আমদানি করে। এর মূল্য ৭০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকা। এই ভিসকস আমরা নিজেরা উৎপাদন শুরু করলে আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।’ সমীক্ষার বিষয়ে শতভাগ সাফল্যের আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এর আগে ১৯৯৬ সালে চীনে পাট থেকে ভিসকস সুতা তৈরি শুরু হয় পরীক্ষামূলকভাবে। তবে চীনে পাটের স্বল্পতা থাকায় ব্যয়বহুল হয়ে পড়ায় তা বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ পাট থাকায় এ খাতে সাফল্য আশার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাই আশাবাদী। সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে কাজ দ্রুত শুরু করলে বাণিজ্যিকভাবে পাট থেকে ভিসকস সুতা উৎপাদন দেড় বছরের মধ্যে শুরু করা সম্ভব হবে।

বিজেএমসি বলছে, দেশে সুতা তৈরির কারখানা বাড়ছে। কাপড় উৎপাদনও বাড়ছে। পাট দিয়ে ভিসকস তৈরি ও বাজারজাতকরণ সফল হলে প্রতি বছর আমদানি সাশ্রয় হবে প্রায় হাজার কোটি টাকা।কমিটি প্রধান এবং এখন বিজেএমসির উপদেষ্টা বাবুল চন্দ্র রায় প্রথম আলোকে বলেন, গত অর্থ বছরে দেশে ৯১ লাখ বেল (২০/২২ লাখ মেট্রিক টন) পাট উৎপাদন হয়েছে। পাট উৎপাদনে ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। এ ছাড়া চীন, মিয়ানমার ও পাকিস্তানে স্বল্প পরিসরে পাট উৎপাদন হয়। তাই পাট থেকে ভিসকস সুতা তৈরি শুরু হলে এ খাতে বাংলাদেশ রাজত্ব করবে কোনো সন্দেহ নেই। ভারত পাট উৎপাদনে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও ভিসকসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশই কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বিশ্বে যত বস্ত্র তৈরি হয় তার ৩১ ভাগ হয় কটন থেকে। আর ৬৭ ভাগ ভিসকস, সিনথেটিকের মতো সুতা থেকে। কটনের উৎপাদন দিন দিন কমে যাচ্ছে।

বিজেএমসির কারিগরি উপদেষ্টা ও সম্ভাব্যতা যাচাই কমিটির অন্যতম সদস্য প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বাণিজ্যিকভাবে ভিসকস তৈরির জন্য ব্যাপক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়েছে গত মাসে। এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের ল্যাবরেটরির টেস্ট শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পুরো প্রক্রিয়া ২০ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে। এরপরই বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের বিষয়টি আসবে। তিনি বলেন, দেশে যে পাট উৎপাদন হয়, তার ১০ ভাগ দিয়েই বাণিজ্যিকভাবে ভিসকস সুতা তৈরি করা সম্ভব।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হিসাব অনুসারে, প্রতিবছর দেশে ভিসকস আমদানি বাড়ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রায় ২৯২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ১৪ হাজার ৬৪০ মেট্রিক টন ভিসকস আমদানি হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তা বেড়ে ১৯ হাজার ৪০৯ মেট্রিক টনে দাঁড়ায়। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ৩৫৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৬৩৭ কোটি ৮২ লাখ টাকার বেশি মূল্যের ৩৩ হাজার ৭৩৭ মেট্রিক টন ভিসকস আমদানি করা হয়। collected prothomalo

5
চীনের গুগল হিসেবে পরিচিত প্রতিষ্ঠানটির এই কিবোর্ড ধীরে ধীরে ভারতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।  এই কিবোর্ডের সঙ্গেই রয়েছে ইমোজি, জিফ, স্টিকার আর ইমোটিকন। কিবোর্ডটি শতাধিক ভাষা সমর্থন করে যার মধ্যে ২২টি ভারতীয় উপভাষা, বলা হয়েছে বাইদু’র বিবৃতিতে।

‘বিশেষায়িত করার সুযোগ থাকা’ এই কিবোর্ডে সহজ স্পিচ-টু-টেক্সট ফাংশন এর জন্য ভয়েস রিকগনিশন ফিচার রয়েছে।

ফেইসমোজি কিবোর্ড ২০০৮ সালে প্রথম ‘সিমেজি’ নামে জাপানে চালু করা হয়েছিল। চলতি বছরের শেষে এই কিবোর্ডের মাধ্যমে তিনগুণ বেশি আয় করার আশা করছে বাইদু।

এদিকে চলতি স্বচালিত গাড়ি প্রকল্প নিয়েও আগাচ্ছে বাইদু। চলতি বছর মার্চে বেইজিংয়ে স্বচালিত গাড়ি পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বেইজিংয়ের রাস্তায় এমন উন্মুক্ত পরীক্ষার লাইসেন্স বাইদু’ই প্রথম পায়। সে সময় এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বেইজিংয়ে তাদেরকে শহরের কম জনসংখ্যার এলাকাগুলোতে মোট প্রায় ১০৫ কিলোমিটারের ৩৩টি রাস্তায় পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। :'(

6
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি এসব পনির রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন ২২০০ লিটার দুধের জোগান দিয়ে আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়েছেন ওই এলাকার অনেক দুগ্ধখামারি। ঠাকুরগাঁওয়ের নিশ্চিন্তপুরের মাসুমা খানম গরুর দুধ থেকে পনির তৈরি করে এভাবেই নিজের স্বচ্ছলতার পাশাপাশি এলাকার দুগ্ধখামারীদের দুঃখ দুর করেছেন।

ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে এই নারী উদ্যোক্তার অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি হিসাবে তাঁকে ‘শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা’ বিভাগে পুরস্কৃত করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের মানবকল্যাণমুখী সংগঠন সিটি ফাউন্ডেশন।

রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আজ শনিবার সিটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘১৩তম সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের হাত থেকে এ পুরস্কারের সাড়ে চার লাখ টাকার চেক ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন মাসুমা খানম।

এ বছর ‘শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা’ বিভাগে প্রথম রানার-আপ পাবনার মো. সিরাজুল ইসলাম এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার-আপ ফেনীর মো. সলিম উদ্দিন এক লাখ টাকা পুরস্কার পান।

এ ছাড়া ‘শ্রেষ্ঠ নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা’ বিভাগে ফরিদপুরের ফার্নিচার শিল্পী খালেদা আক্তার ৩ লাখ ৫০ টাকা, প্রথম রানার-আপ বগুড়ার মিলি খাতুন এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার-আপ হবিগঞ্জের জাকিয়া আফরিন মুক্তা এক লাখ টাকা পুরস্কার পান।

‘শ্রেষ্ঠ তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা’ বিভাগে বিজয়ী কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার পোলট্রি খামারি মো. শাহিনুর রহমান ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, প্রথম রানার-আপ মেহেরপুরের মোছা. সাহিদা খাতুন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার-আপ ঢাকার উম্মে শায়লা রুমকী ১ লাখ টাকা পুরস্কার লাভ করেন।

‘শ্রেষ্ঠ কৃষি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা’ বিভাগে বিজয়ী হিসেবে সাতক্ষীরা কলারোয়ার রঙিন মাছ চাষি মো. সাইফুল্লাহ্ গাজী ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার পান। মাত্র ছয় জোড়া রঙিন মাছ নিয়ে শুরু করা এই হ্যাচারি মালিক স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব রঙিন মাছ বিদেশেও রপ্তানির স্বপ্ন দেখছেন। একই বিভাগে প্রথম রানার-আপ কুষ্টিয়ার বিউটি বেগম ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার-আপ রাঙামাটির শ্যামল বসু ১ লাখ টাকা পুরস্কার পান।

এ ছাড়া সৃজনশীল ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা বিভাগে বিজয়ী হয়েছে নোয়াখালীর বেসরকারি সংস্থা সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা। এ ছাড়া বছরের সেরা ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা বিভাগে বিজয়ী হয়েছে মমতা নামের একটি ক্ষুদ্রঋণদাতা প্রতিষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে আরলিংকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এই পুরস্কারের উপদেষ্টা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন রোকিয়া আফজাল রহমান, সিটি এন এ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও দেশীয় কর্মকর্তা এন. রাজাশেকারান (শেখর), সাজেদা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহিদা ফিজ্জা কবির, ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল, পুরস্কারের উপদেষ্টা পরিষদ এবং বাছাই কমিটির সম্মানিত উচ্চপদস্থ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সিটি ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সিটি ব্যাংক এনএ ২০০৫ সাল থেকে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। সিটিব্যাংক এনএ ছাড়াও সাজেদা ফাউন্ডেশন ও ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (সিডিএফ) উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

7
 
 


ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস কারখানায় নির্মাণপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। ছবি: থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস কারখানায় নির্মাণপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। ছবি: থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসবঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে টেলিমেট্রি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। টেলিকমান্ড পাঠাতে সময় লাগবে আগামী ৮ থেকে ১২ দিন।

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আমেরিকার ফ্লোরিডা স্পেস স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশনে ওই স্যাটেলাইট থেকে আসা টেলিমেট্রি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই স্টেশন থেকে ওই স্যাটেলাইটে টেলিকমান্ড পাঠানো যাচ্ছে না। এটি পাঠাতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১২ দিন। এই কয়েক দিনের মধ্যে মহাকাশের ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার ওপরে ওঠার পর টেলিমেট্রি ও টেলিকমান্ড সমান্তরালে চালানো যাবে। এই কয়েক দিন স্যাটেলাইটটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির কাছেই এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে। পরে গাজীপুর ও বেতবুনিয়ার প্রকৌশলীদের কাছে এর নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশনের ব্যবস্থাপক (স্যাটেলাইট প্রকৌশলী) মো. নাসিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমরা একটি টেলিমেট্রি সংকেত পাচ্ছি। কিন্তু সেটি সরাসরি নয়, ফ্রান্সের কান থেকে বিপিএনার মাধ্যমে। স্যাটেলাইটটি আগামী ১২ দিন ফ্রান্সের কান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ১২ দিন পর গাজীপুর ও বেতবুনিয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’

গাজীপুরের তেলিপাড়া এলাকায় পাঁচ একর জমির ওপর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট–১–এর গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি হয়েছে।

নানা কারণে বেশ কয়েকবার পেছানোর পর শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হলো।

এর আগে বাংলাদেশ সময় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৭ মিনিটে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মিনিটে এসেই থমকে যায় সেকেন্ডের কাঁটা। রকেটের যাত্রা (স্টার্টআপ মোড) শুরু হওয়ার সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে আর উড়ছে না বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। ঘোষণা করা হয়, শুক্রবার ফের চালু হবে কাউন্টডাউন। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ২টা ১৪ মিনিট থেকে শনিবার ভোররাত ৪টা ২১ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয় তখন।

স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানোর কাজ করছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স। তাদের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে বঙ্গবন্ধু-১ যাত্রা শুরু করে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাংলাদেশের গাজীপুর থেকে। এ জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুরে তৈরি করা হয়েছে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন। বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে রাঙামাটির বেতবুনিয়া গ্রাউন্ড স্টেশন।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ হবে। স্যাটেলাইটভিত্তিক টেলিভিশন সেবা ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টু হোম) ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজেও এ স্যাটেলাইটকে কাজে লাগানো যাবে।

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। এই কক্ষপথ থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও সার্কভুক্ত সব দেশ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান ও কাজাখস্তানের কিছু অংশ এই স্যাটেলাইটের আওতায় আসবে।

8
মহাকাশের অজানার পানে বাংলাদেশের একটি স্যাটেলাইট ছুটবে—লাল-সবুজের বাংলাদেশ এই স্বপ্নে বিভোর ছিল অনেক দিন থেকে। অবশেষে সেই স্বপ্ন হলো সত্যি। মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) বঙ্গবন্ধু-১। দেশীয় অর্জনের ক্যানভাসে পড়ল তুলির আরেকটি রঙিন আঁচড়।

মহাকাশে যাত্রার জন্য প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছিল আগেই। নানা কারণে বেশ কয়েকবার পেছানোর পর গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হলো।

এর আগে বাংলাদেশ সময় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৭ মিনিটে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মিনিটে এসেই থমকে যায় সেকেন্ডের কাঁটা। রকেটের যাত্রা (স্টার্টআপ মোড) শুরু হওয়ার সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে আর উড়ছে না বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। ঘোষণা করা হয়, গতকাল ফের চালু হবে কাউন্টডাউন। বাংলাদেশ সময় গতকাল দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিট থেকে আজ শনিবার ভোররাত ৪টা ২১ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয় তখন।

সৈকতে বসেই স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ দেখছেন দর্শকরা। ছবি: স্পেসএক্সের টুইটার পেজ থেকে নেওয়াসৈকতে বসেই স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ দেখছেন দর্শকরা। ছবি: স্পেসএক্সের টুইটার পেজ থেকে নেওয়াস্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানোর কাজ করছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স। তাদের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে বঙ্গবন্ধু-১ যাত্রা শুরু করে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাংলাদেশের গাজীপুর থেকে। এ জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুরে তৈরি করা হয়েছে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন। বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে রাঙামাটির বেতবুনিয়া গ্রাউন্ড স্টেশন।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ হবে। স্যাটেলাইটভিত্তিক টেলিভিশন সেবা ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টু হোম) ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজেও এ স্যাটেলাইটকে কাজে লাগানো যাবে।

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। এই কক্ষপথ থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও সার্কভুক্ত সব দেশ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান ও কাজাখস্তানের কিছু অংশ এই স্যাটেলাইটের আওতায় আসবে।

দেশের প্রথম এ স্যাটেলাইট তৈরিতে খরচ ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার ও বাকি ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এ ঋণ দিয়েছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি। তবে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।

স্যাটেলাইট তৈরির এই পুরো কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়িত হয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তত্ত্বাবধানে। তিনটি ধাপে এই কাজ হয়েছে। এগুলো হলো স্যাটেলাইটের মূল কাঠামো তৈরি, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মূল অবকাঠামো তৈরি করেছে ফ্রান্সের মহাকাশ সংস্থা থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। স্যাটেলাইট তৈরির কাজ শেষে গত ৩০ মার্চ এটি উৎক্ষেপণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় পাঠানো হয়। সেখানে আরেক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে যাত্রা শুরু করে।

প্রস্তুত স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু–১। ছবি: স্পেসএক্সের টুইটার পেজ থেকে নেওয়াপ্রস্তুত স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু–১। ছবি: স্পেসএক্সের টুইটার পেজ থেকে নেওয়াপথচলা শুরু যেভাবে
বাংলাদেশে প্রথম স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। সে সময় মহাকাশের ১০২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে কক্ষপথ বরাদ্দ চেয়ে জাতিসংঘের অধীন সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নে (আইটিইউ) আবেদন করে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের ওই আবেদনের ওপর ২০টি দেশ আপত্তি জানায়। এই আপত্তির বিষয় এখনো সমাধান হয়নি। এরপর ২০১৩ সালে রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের বর্তমান কক্ষপথটি কেনা হয়। বাংলাদেশ বারবার আইটিইউর কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হয়ে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত নিজস্ব কক্ষপথ আনতে পারেনি।

জাতিসংঘের মহাকাশবিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর আউটার স্পেস অ্যাফেয়ার্সের (ইউএনওওএসএ) হিসাবে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত মহাকাশে স্যাটেলাইটের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৫। প্রতিবছরই স্যাটেলাইটের এ সংখ্যা ৮ থেকে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এসব স্যাটেলাইটের কাজের ধরনও একেক রকমের। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি বিভিন্ন ধরনের মহাকাশ যোগাযোগের কাজে ব্যবহার করা হবে। এ ধরনের স্যাটেলাইটকে বলা হয় ‘জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট’। পৃথিবীর ঘূর্ণনের সঙ্গে সঙ্গে এ স্যাটেলাইট মহাকাশে ঘুরতে থাকে।

বর্তমানে দেশে প্রায় ৩০টি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। এসব চ্যানেল সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্যাটেলাইট ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে চ্যানেলগুলোর খরচ হয় ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৭ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু হলে এই স্যাটেলাইট ভাড়ার অর্থ দেশে থেকে যাবে। আবার স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার বা সক্ষমতা অন্য দেশের কাছে ভাড়া দিয়েও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ থাকবে। এই স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২০টি ভাড়া দেওয়ার জন্য রাখা হবে।

9
 
বিমান বাংলাদেশের টিকিট এখন থেকে মোবাইলে কেনা যাবে

জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের টিকিট এখন থেকে মোবাইলে কেনা যাবে। বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় গতকাল সোমবার এ সেবার উদ্বোধন করেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) মুহাম্মদ ইনামুল বারী।

বিমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, বিমানের ১৫টি আন্তর্জাতিক ও ৭টি অভ্যন্তরীণ গন্তব্যের যেকোনো টিকিট এখন থেকে ০১৭৭৭৭১৫৬১৩ মোবাইল নম্বরে ফোন করে কেনা যাবে। এ ছাড়া ০২-৮৯০১৬০০ নম্বরে ফোন করে ২৭১০ ও ২৭১১ এক্সটেনশনেও টিকিট কেনা যাবে। টিকিটের মূল্য বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। যাত্রীরা তাঁদের টিকিটের কপি ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার ও ইমোতে পাবেন। আন্তর্জাতিক টিকিট কেনার ক্ষেত্রে যাত্রীরা পাসপোর্টের স্ক্যান কপি ই-মেইল অথবা মোবাইলের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন। এসব সুবিধা সপ্তাহের সাত দিনই সকাল আটটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত পাওয়া যাবে।

মুহাম্মদ ইনামুল বারী বলেন, বিমান তার যাত্রীদের সেবাদানে আরও এক ধাপ এগিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে টিকেটিং সুবিধা চালু করল। যাত্রীরা এখন থেকে সহজেই মোবাইল ফোন বা ল্যান্ড ফোনের মাধ্যমে ফ্লাইটসংক্রান্ত তথ্য, টিকিট বুকিং, টিকিট কেনা ও যাত্রার তারিখ পরিবর্তন করতে পারবেন। অনুষ্ঠানে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

prothomalo

10
বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চ প্যাড থেকে স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের সময় ১১ মে দিবাগত রাত তিনটা।বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মূল অবকাঠামো তৈরি করেছে ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। গত ৩০ মার্চ একটি বিশেষ উড়োজাহাজে করে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চ প্যাডে স্যাটেলাইটটি পৌঁছায়।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি। বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য তৈরি এ স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের জন্য আর বাকি ২০টি বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে। সফলভাবে মহাকাশে গেলে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হবে বাংলাদেশ। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।

11
অনেক সময় চা-কফি বা গরম খাবার খেতে গিয়ে অসতর্কতাবশত অনেক সময় জিহ্বা পুড়ে যায়, এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। আর পুড়ে যাওয়ার পর জিহ্বা জ্বালাপোড়া করে এবং সহজে কমতেও চায় না। তাই গরম খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। আর যদি জিহ্বা পুড়ে যায়, তবে এর জন্য রয়েছে কিছু ঘরোয়া টিপস। আর পুড়ে যাওয়া জিহ্বার জ্বালাপোড়া কমাতে দেরি করলে চলবে না, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
জিহ্বা পুড়ে যাওয়ার কারণে মুখে শুকনো ভাব, পানিশূন্যতা, মুখে দুর্গন্ধ বা দাঁত ক্ষয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে। জিহ্বা জ্বালাপোড়ায় কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।

জিহ্বা জ্বালাপোড়ায় থেকে স্বস্তি পেতে ঘরোয়া পদ্ধতি-

মধু

মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও প্রদাহরোধী উপাদান, যা জ্বালাপোড়া ভাব ও প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি এটি পরবর্তী সময়ে মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিহত করবে।

দই


পুড়ে যাওয়া জিহ্বার জ্বালাপোড়া কমাতে মধু বেশ উপকারী।এ সময় ঠাণ্ডা জিনিস খাবেন। এটি দ্রুত শীতলতা প্রদান করে।

অ্যালোভেরা দেয়া

এই উদ্ভিতটি ব্যথা কমাবে এবং জিহ্বার ভেতরে একটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব আনবে। অ্যালোভেরা জেল মুখের মধ্যে ২৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। দিনে কয়েকবার এটি করা যেতে পারে। তবে এতেও যদি ব্যথা না কমে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

জিহ্বা বরফ দেয়া

পুড়ে যাওয়া জিহ্বা জ্বালাপোড়া কমাতে বরফের টুকরো লাগানো যেতে পারে। এ ছাড়া মুখের মধ্যে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে কয়েকবার কুলিকুচি করা যেতে পারে। এতে জ্বালাপোড়া কমবে। আপনি মুখে আরাম বোধ করবেন।

ঠাণ্ডা পানি মুখে দিয়ে কুলি করা

জিহ্বার জ্বালাপোড়া কমাতে ঠাণ্ডা পানি মুখে নিয়ে কুলি করুন। এটি কয়েকবার করতে হবে। দেখবেন আরাম পাবেন।

12
মজাদার কোনো ফ্রাই খাচ্ছেন? সঙ্গে এক চামচ টমেটো সস বা টাটকা টমেটোর খানিকটা সালাদ? তোফা! স্বাদটা তখন বেড়ে যায় বহুগুণ। একই সঙ্গে শরীরে কিছু ভিটামিন আর পুষ্টিও যোগ হয়। সবজি বা ঝালঝোলেও মুখরোচক সবজি টমেটোর কদর কম নয়। কিন্তু টমেটো খেতে হবে পরিমাণমতো। এর অন্যথা হলেই শরীর-স্বাস্থ্য একটু গড়বড় হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা তা-ই বলছেন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর টমেটোর আছে নানা গুণ। টমেটো হচ্ছে একমাত্র সবজি, যাতে চার রকমের ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ আছে বিপুল পরিমাণে। এই ক্যারোটিনয়েড বা ভিটামিন ‘এ’ ত্বক ও চোখের সুস্থতা এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটিকে ফল হিসেবেও বিবেচনা করা যায়। বিশ্বজুড়ে টমেটোর নানা রকম ব্যবহার রয়েছে। এটি ত্বকের যত্নেও ব্যবহার হতে দেখা যায়। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে এটি মানুষকে রক্ষা করে বলে ধারণা করা হয়। খাবারে স্বাদ আনতেও অনেকে টমেটো ব্যবহার করেন। কিন্তু জানেন কি, টমেটোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, যা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।

অতিরিক্ত টমেটো খেলে হজমে গন্ডগোল থেকে শুরু করে কিডনির সমস্যা, চুলকানির মতো শরীরে নানা সমস্যা হতে পারে। বেশি টমেটো খাওয়ার কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন:

অম্লের প্রবাহ: টমেটোতে ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড আছে, যা পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড বা অম্লের প্রবাহ তৈরি করতে পারে। তাই বেশি টমেটো খেলে বুক জ্বালা করতে পারে। এমনকি পেটে গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড বেশি হয়ে হজমে গন্ডগোল হয়। যাঁরা প্রায়ই পেটের সমস্যায় ভোগেন বা যাঁদের গ্যাস্ট্রোওফাজাল রিপ্লেক্স রোগ (জিইআরডি) আছে, তাঁদের অতিরিক্ত টমেটো খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত।

অ্যালার্জি: টমেটোতে হিস্টামিন নামের একধরনের যৌগ আছে, যা থেকে ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ বা র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া নানা রকম অ্যালার্জি হতে পারে। যাঁদের টমেটো খেলে অ্যালার্জি হয়, তাঁরা টমেটোর ধারেকাছেও যাবেন না। কারণ, টমেটো মুখে দিলেই মুখের ভেতর চুলকানি, জিব ও গাল ফুলে যাওয়া, সর্দি ও গলা চুলকানোর মতো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

কিডনিতে পাথর: শুনতে আশ্চর্য লাগলেও অতিরিক্ত টমেটো খেলে কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে। কারণ, টমেটোতে আছে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট। শরীরে এর মাত্রা বেড়ে গেলে তা শরীর থেকে সহজে দূর হয় না। এ উপাদান শরীরে জমে কিডনির পাথর তৈরি করতে শুরু করে।

গিঁটে বাত: অতিরিক্ত টমেটো খেলে গিঁটে বাত দেখা দিতে পারে। এমনকি অস্থিসন্ধিগুলো ফুলে উঠতে পারে। কারণ, এতে সোলানিন নামে বিশেষ অ্যালকালয়েড থাকে। এ যৌগ বিভিন্ন কোষে ক্যালসিয়াম তৈরির জন্য দায়ী। এ যৌগের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা প্রদাহ তৈরি শুরু করে।

লাইকোপিনোডার্মিয়া: টমেটোতে লাইকোপেন আছে, এটা সবার জানা। টমেটোর লাইকোপেন প্রোস্টেট ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার রোধে সাহায্য করে। এটি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় ৩১ শতাংশ কমাতে পারে। তবে অতিরিক্ত লাইকোপেন থেকে লাইকোপিনোডার্মিয়া নামের একধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তে লাইকোপেন বেড়ে গেলে ত্বকের রং বদলাতে শুরু করে। চিকিৎসকেরা বলেন, শরীরের জন্য লাইকোপেন ভালো হলেও দৈনিক ৭৫ মিলিগ্রামের বেশি গ্রহণ করা হলে তা লাইকোপিনোডার্মিয়ার দিকে চলে যেতে পারে।

ডায়রিয়া: টমেটোতে সালমোনেলা নামের একধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এটি ডায়রিয়ার জন্য দায়ী। তবে যাঁরা টমেটো সহ্য করতে পারেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে ছাড়া টমেটো খেলে ডায়রিয়া কম দেখা যায়।

পরামর্শ: স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর হলেও টমেটো পরিমিত খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।& prothomalo

13
পরিবেশবিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় পুরস্কার ‘গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ-২০১৮’-তে এবার নারীদের জয়জয়কার। ছয়জনকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে পাঁচজনই হলেন নারী। পরিবেশ রক্ষায় তৃণমূল পর্যায়ে তাঁরা কাজ করেছেন।

গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ কর্তৃপক্ষ বলছে, সুন্দর বিশ্বের জন্য আমাদের সংগ্রাম কখনো কখনো পরাজিত হলেও এই বছর পরিবেশ সুরক্ষায় ছয়টি অসাধারণ উদ্যোগ খুঁজে পাওয়া গেছে। যার মধ্যে পাঁচটির রূপকারই নারী।

গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন ল্যাটিন আমেরিকার পরিবেশবাদী কর্মী ফ্রান্সিয়া মার্কেজ, দক্ষিণ আফ্রিকার নিউক্লিয়ারবিরোধী আন্দোলনকারী মাকোমা লেকালাকালা ও লিজ ম্যাকডাইড, ভিয়েতনামের ক্লিন এনার্জি আইনজীবী নুউ থি খানহ, যুক্তরাষ্ট্রের পরিষ্কার পানি আন্দোলনকারী লিঅ্যান ওয়াল্টস ও ফরাসি সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষার কর্মী ক্লেয়ার নুভিয়ান। একমাত্র পুরস্কার বিজয়ী পুরুষ হলেন ফিলিপাইনের সিসাবিরোধী ক্যাম্পেইনার মানি কালোঞ্জো।

আফ্রিকান-কলাম্বিয়ান কমিউনিটির নেতা ফ্রান্সিয়া মার্কেজ বলেন, নিরাপত্তাহীনতা তার প্রচারাভিযানের একটি অবিচ্ছেদ্য সত্য। ফ্রান্সিয়া মার্কেজের পরিবেশবাদী আন্দোলনের কারণে নদীতীরবর্তী অঞ্চলে অবৈধ খনিমালিকদের অপসারণের জন্য সেনা প্রেরণ করে সরকার। অবৈধ ওই খনি খননের জন্য আশপাশের নদীগুলোতে বিষাক্ত সায়ানাইড ও পারদ ছড়িয়ে পড়ছিল।

পরিবেশবাদী আন্দোলন খুব সহজ কোনো বিষয় নয়। আন্দোলন করতে গিয়ে বহু সময় বহুজন প্রাণ দিয়েছেন। এমনকি এখন পর্যন্ত গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ বিজয়ী দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। ২০১৬ সালের ২ মার্চ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী কাসেরেসকে তাঁর নিজ বাড়ির ভেতরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। কাসেরেস একটি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০০৫ সালে পুরস্কার বিজয়ের মাত্র নয় মাস পর প্রাণ হারান ম্যাক্সিকান পরিবেশবাদী কর্মী ইসিদো বালদিনিগ্রো লোপেজ। তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

14
 
 
ইন্টারনেট গতিতে পাকিস্তান ও ভারতের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ
• জিএসএমএর গবেষণা
• অ্যামটব বলছে, দেশে ফোর-জি চালু হয়েছে
• আগামী বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এমন অবস্থান থাকবে না


বাংলাদেশে মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গড় গতি দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় সবচেয়ে কম। ভারত ছাড়া প্রতিবেশী সব দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি ১০ এমবিপিএসের (মেগা বিটস প্রতি সেকেন্ড) বেশি। আর বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি মাত্র ৫ এমবিপিএস। অর্থাৎ ইন্টারনেটের গতিতে পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমারের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএম অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) ‘বাংলাদেশ: কান্ট্রি ওভারভিউ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতির এ দুরবস্থার চিত্র উঠে এসেছে। গত রোববার এ প্রতিবেদন বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি খারাপ হওয়ার কারণ হিসেবে কয়েকটি বিষয়কে প্রতিবেদনে সামনে আনা হয়েছে। একটি হলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে দেরিতে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোর-জি) ইন্টারনেট সেবা চালু হওয়া।

বাংলাদেশে ফোর-জি সেবা চালু হয়েছে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে, আর এ প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্তের জন্য ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ফোর-জি সেবা চালুর ফলে আগামী বছর বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গড় গতির উন্নতি হতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের (অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ) মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, এই প্রতিবেদন এক বছর আগের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে। এক বছর আগে বাংলাদেশে ফোর-জি ছিল না। প্রতিবেদনে থ্রি-জি ইন্টারনেটের গতির সঙ্গে অন্য দেশের ফোর-জি ইন্টারনেটের গতির তুলনা হওয়ায় বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে। আগামী বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এমন অবস্থান থাকবে না।

তরঙ্গের স্বল্পতা ও দুর্বল অবকাঠামোর ব্যবস্থাকেও বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি কম হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রি-জি) ইন্টারনেট সেবা চালুর সময়েও মোবাইল ফোন অপারেটেরদের হাতে যথেষ্ট তরঙ্গ ছিল না। ফোর-জি সেবা চালুর পরেও এই অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। এ জন্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নিলামে তরঙ্গের উচ্চ মূল্যকে দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

দুর্বল অবকাঠামোর বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবার প্রসারে সবচেয়ে বড় বাধা হলো দুর্বল অবকাঠামো। প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক না হওয়ায় অপারেটররা এ বিষয়ে খুব একটা আগ্রহী হয় না। অপারেটররা নিজেদের মধ্যে বিটিএস (বেস ট্রানসিভার স্টেশন), ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের মতো অবকাঠামো ভাগাভাগি করে ব্যবহার করলে এ সমস্যার অনেকটা সমাধান সম্ভব।

টেলিযোগাযোগ-বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার জ্যেষ্ঠ গবেষক আবু সাইদ খান বলেন, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর সংজ্ঞা এখন কোনো ভৌত সীমাবদ্ধতায় বন্দী নেই। বিশ্বব্যাপী অবকাঠামো ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা এখন একটি বাস্তবতা। কিন্তু একে অপরের ফাইবার অপটিক অবকাঠামো ভাগাভাগি করে ব্যবহার করার বিষয়টি বাংলাদেশে আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিদেশি মোবাইল ফোন কোম্পানির উপনিবেশে পরিণত করা হয়েছে।

জিএসএমএর হিসাবে বাংলাদেশে প্রকৃত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন সাড়ে ৩ কোটি। এ হিসাবে বাংলাদেশে প্রতি ৫ জনে একজন ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। যদিও সরকারের হিসাবে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৮ লাখ।

15
আগামী মে মাসে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে শিশু-কিশোরদের জন্য ‘জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৮’। এর অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ (TOT) শেষ হয়। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।

দুই দিনের কর্মশালায় অংশ নেন ১৮০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং ইয়ং বাংলা, সিআরআই যৌথভাবে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে আজ মঙ্গলবার প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি এই কর্মশালায় বলেন, ‘সরকার আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৮ সালে আট লাখ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করত। এখন ১০ বছরের ব্যবধান ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে আট কোটিতে পৌঁছেছে।
 

জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৮-এর অংশ হিসেবে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনের প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি: সিআরআইজাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৮-এর অংশ হিসেবে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনের প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ছবি: সিআরআইআগামী মে মাসে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে শিশু-কিশোরদের জন্য ‘জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৮’। এর অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ (TOT) শেষ হয়। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।

দুই দিনের কর্মশালায় অংশ নেন ১৮০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং ইয়ং বাংলা, সিআরআই যৌথভাবে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে আজ মঙ্গলবার প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি এই কর্মশালায় বলেন, ‘সরকার আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৮ সালে আট লাখ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করত। এখন ১০ বছরের ব্যবধান ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে আট কোটিতে পৌঁছেছে।

জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৮-এর অংশ হিসেবে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া প্রশিক্ষণার্থীরা। ছবি: সিআরআইজাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০১৮-এর অংশ হিসেবে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া প্রশিক্ষণার্থীরা। ছবি: সিআরআইইয়াং বাংলার সেক্রেটারিয়েট সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) সহকারী সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ জানান, এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছে এলাকাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করবেন। তিনি বলেন, বাছাই করা ১৮০টি ল্যাবের প্রশিক্ষক হিসেবে ওই সব বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও ইয়াং বাংলার একজনকে বাছাই করা হচ্ছে।

আজ প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ সাঈদ সিদ্দিক।

Pages: [1] 2 3 ... 5