Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Akter Hossain

Pages: [1] 2 3 ... 6
1
১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত : এর অর্থ বঙ্গোপসাগরের কোন একটা অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বইছে এবং সেখানে ঝড় সৃষ্টি হতে পার। (একটি লাল পতাকা)

২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত : সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে।

৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত : এর অর্থ বন্দর দমকা হাওয়ার সম্মুখীন (দুইটি লাল পতাকা)।

৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত : এর অর্থ বন্দর ঝড়ের সম্মুখীন হচ্ছে, তবে বিপদের আশঙ্কা এমন নয় যে চরম নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫ নম্বর বিপদ সংকেত : এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে (মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক দিয়ে)।

৬ নম্বর বিপদ সংকেত : এর অর্থ হচ্ছে অল্প বা মাঝারী ধরনের ঝড় হবে এবং আবহাওয়া দুযোগপূর্ণ থাকবে। ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। (মংলা বন্দরের বেলায় পশ্চিম দিক দিয়ে)।

৭নং বিপদ সংকেত : এর অর্থ অল্প অথবা মাঝারী ধরনের ঘূর্ণিঝড় হবে এবং এজন্য আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। (তিনটি লাল পতাকা)

৮ নং মহাবিপদ সংকেত : এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় হবে এবং বন্দরের আবহাওয়া খুবই দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষিণ দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে (মংলা বন্দরের বেলায় পূর্ব দিক দিয়ে)।

৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত : এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উত্তর দিক দিয়ে উপকূল অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে (মংলা বন্দরের বেলায় পশ্চিম দিক দিয়ে)।

১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত : এর অর্থ প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকবে এবং ঘূর্ণিঝড়টির বন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

১১ নম্বর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার সংকেত : এর অর্থ ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সাথে সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েগিয়েছে এবং স্থানীয় অধিকর্তার বিবেচনায় চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


2
Thanks for sharing.............

3
পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বসবাস করে আমরা যেমন চারদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ দেখে অভ্যস্ত পৃথিবীর সর্বত্র চিত্রটা কিন্তু এমন নয়। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে আমাদের দেশে প্রায় ১১২০ জন মানুষ বাস করে, আশ্চর্য হলেও সত্য এই পৃথিবীতেই এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ জনের চেয়েও কম! এরকম জনবিরল দেশের কথা শুনতে কার না আগ্রহ জাগে? তাই সারা বিশ্বের সবচেয়ে কম ঘনবসতি পূর্ণ ১০ টি দেশ নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদনটি।

১০) মৌরিতানিয়া
পশ্চিম আফ্রিকায় সাহারা মরুর পাড়ে অবস্থিত মৌরিতানিয়া। বিশ্বের সবচেয়ে কম ঘনবসতি পূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে ১০ম স্থানে। দেশটির পুরো নাম ইসলামিক রিপাবলিক অফ মৌরিতানিয়া। আয়তন ১,০৩০,০০০ বর্গকিমি যা মোটামুটি বাংলাদেশের মত ছয়টি দেশের আয়তনের সমান। কিন্তু জনসংখ্যা মাত্র ৪০ লক্ষ যা প্রায় ঢাকা শহরের মিরপুর এলাকার জনসংখ্যার সমান। মৌরিতানিয়া প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ হলেও পশ্চিমের আটলান্টিক উপকূল টুকু ছাড়া বাকি দেশটুকু যেন পুরোটাই ধু ধু মরুভূমি। তাই মরুকন্যা মৌরিতানিয়ার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ৩.৪ জন! মৌরিতানিয়ায় গেলে উঠের পিঠে করেই আপনাকে পাড়ি দিতে হবে মাইলের পর মাইল।

০৯) সুরিনাম
বাংলাদেশের মানুষের কাছে সুরিনাম দেশটি খুব বেশি পরিচিত নয়। আর হবেই বা কেন দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি প্রতিবেশি ব্রাজিলের মত তো আর ফুটবল পরাশক্তি নয়। সুরিনাম দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে ছোট দেশ। তবে এর আয়তন কিন্তু বাংলাদেশের চেয়েও বেশি! ১৬৫,০০০ বর্গকিমি আয়তনের দেশ সুরিনামের জনসংখ্যা মাত্র ৫৬৬,০০০! জনসংখ্যার ঘনত্ব হিসাব করলে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র ২.৯ জন মানুষ বাস করে সুরিনামে। মূলত দক্ষিণ আমেরিকার আদিবাসীদের নিয়ে গঠিত এই দেশটির উত্তরে আটলান্টিক মহাসাগর আর দক্ষিণে পুরোটাই আমাজন জঙ্গল। সুরিনামের রাজধানীর নামটিও কিন্তু বেশ অদ্ভুত। বলা বাহুল্য দেশের অর্ধেক মানুষই বাস করে রাজধানী “পারামারিবো”তেই।
সুরিনামে গেলে দেখা মিলবে অনেকগুলো সমুদ্র সৈকতের যেখানে একদিকে আটলান্টিক আর অন্যদিকে আমাজন বন।

০৮) আইসল্যান্ড
ইউরোপের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ আইসল্যান্ড। ছোট্ট কিন্তু অপূর্ব সুন্দর এই দশটি রয়েছে তালিকার ৮ম স্থানে। ২০১৬ ইউরোর মূলপর্বে খেলার সুবাদে আমাদের দেশের মানুষের কাছে আইসল্যান্ড এখন বেশ পরিচিত। আয়তন ১০৩,০০০ বর্গকিমি এবং জনসংখ্যা ৩০৯,৬৭২। আইল্যান্ডের জনসংখ্যার ঘনত্ব মাত্র প্রতি বর্গকিমি তে মাত্র ৩.১ জন । আইসল্যান্ডকে বলা হয় বজ্রপাতের দেশ। দেশটি সম্পর্কে আরেকটি কথা না বললেই নয় জনসংখ্যার ঘনত্বে পিছিয়ে থাকলে মাথাপিছু নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্তির হিসাবে আইসল্যান্ড সবার চেয়ে কিন্তু এগিয়ে!
আইসল্যান্ডের থর্সমর্ক পর্বতের উপতক্যা যেখানে সবুজ মিশেছে নীলিমায়।

০৭) অস্ট্রেলিয়া
ক্রিকেট বিশ্বে একচেটিয়া আধিপত্য আর উন্নত জীবন যাত্রার কারণে অস্ট্রেলিয়া আমাদের দেশের মানুষের কাছে খুবই পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার কথা শুনলেই মনের অজান্তে আমাদের চোখে ভেসে ওঠে সিডনি অপেরা হাউজ, এমসিজি কিংবা ক্যাঙ্গারুর ছবি। তবে প্রায় আড়াই কোটি জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া এই তালিকায় জয়গা করে নিয়েছে তার আয়তনের বিশালত্বের কারণে। প্রায় ৭৬,৯০,০০০ বর্গকিমি আয়তনের দেশ অস্ট্রেলিয়া প্রায় ৫০টি বাংলাদেশের আয়তনের সমান। তাই জনসংখ্যার ঘনত্বও মাত্র প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ৩.০৯ জন। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ উপকূল জুড়ে গড়ে উঠেছে মেলবোর্ন, সিডনি বা পার্থের মত শহর তবে উত্তর ও মধ্য অস্ট্রেলিয়ায় কিন্তু লক্ষ লক্ষ বর্গমাইল জুড়ে কেবল ধুধু মরুভূমি!
মধ্য অস্ট্রেলিয়ায় গেলে চোখে পড়বে এ রকম ধু ধু প্রান্তর।

০৬) ফ্রেঞ্চ গায়ানা
এই তালিকায় ৬ষ্ট স্থানে রয়েছে ফ্রেঞ্চ গায়ানা। ফ্রান্সের অধীনের থাকা এই দেশটির আয়তন ৮৩,৫৩৪ বর্গকিমি এবং লোকসংখ্যা আড়াই লাখের মত। প্রতি বর্গকিলোমিটারে এখানে মাত্র তিন জন মানুষ বাস করে। দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত ফ্রান্সের এই উপনিবেশটি কিন্তু সুরিনামের প্রতিবেশী।
অপরূপ রেইনফরেস্টে শোভিত ফ্রেঞ্চ গায়ানা।

০৫) নামিবিয়া
দেশটির সাথে আমাদের অনেকেরই পরিচয় ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ হিসাবে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিবেশী দেশ নামিবিয়ার আয়তন : ৮,২৫,৪১৪ বর্গকিলোমিটার যা প্রায় পাঁচটা বাংলাদেশের সমান তবে জনসংখ্যা : ২,৩০৩,৩১৫ জন। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতিবর্গ কিলোমিটারে তিন জন। নামিব ও কালাহারি মরুভূমির মাঝখানে অবস্থিত দেশটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সাব-সাহারা অঞ্চলের মধ্যে সর্বনিম্ন!

০৪) মঙ্গোলিয়া
নামটা শুনে নিশ্চয়ই চোখের সামনে ভেসে উঠছে দুর্ধর্ষ যোদ্ধা চেঙ্গিস খানের ছবি! পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যের মালিক ছিল কিন্তু এই মঙ্গোলরাই। উত্তরে ইউরেশিয়ার স্তেপ এবং দক্ষিণে গোবী মরুভূমির মাঝখানে অনবাদি এই দেশটি প্রাচীনকাল থেকে যাযাবর অশ্বারোহীদের বিচরণক্ষেত্র। বলা হয়ে থেকে মোঙ্গল শিশুদের জন্মই হয় ঘোড়ার উপর আর ঘোড়ার উপরই কাটে তাদের সারা জীবন। ১,৫৬৬,000 বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ত্রিশ লক্ষ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ২ জন যা সার্বভৌম দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম!
তাবু আর ঘোড়া মঙ্গোলিয়ায় জীবনের অপর নাম।

০৩) পিটকেয়ার্ন্স আইল্যান্ড
চার্লস নর্ডহফ এবং জেমস নর্মানহলের বিখ্যাত উপন্যাস “পিটকেয়ার্ন্স আইল্যান্ড” দ্বীপটিকে পরিচিত করেছে লক্ষ পাঠকের কাছে। এই সিরিজের বাকি দুটি উপন্যাস “মেন ইগেনস্ট সি” এবং “মিউটিনি অন বাউন্টি” ( বাংলায় বাউন্টিতে বিদ্রোহ নামেই পরিচিত উপন্যাসটি)। দিগন্ত বিস্তৃত প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখানের এই ছোট্ট দ্বীপটির আয়তন মাত্র ৫০ বর্গকিমি। তবে অবাক করা ব্যাপার হল ইংল্যান্ডের অধীনে থাকা এই দ্বীপের জনসংখ্যা মাত্র ৪৭ জন। তাই প্রতি বর্গ কিলোমিটারে এই দ্বীপের এক জনেরও কম মানুষ বাস করে।
প্রশান্ত মহাসাগরের বুক থেকে তোলা নিঃসঙ্গ পিটকেয়ার্ন্স দ্বীপ।

০২) ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ
বলা হয়ে থাকে ফকল্যান্ড দ্বীপের জন্য ম্যারাডোনার “ঈশ্বরের হাত”এর অবতারণা। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমে তিনি হাত দিয়ে যে বিতর্কিত ম্যাচ উইনিং গোলটি করেন, সেটা আজও “হ্যান্ড অফ গড” নামে জনপ্রিয় হয়ে আছে কোটি ভক্তের মানসপটে। খোদ আর্জেন্টিনায় এই গোলটিকে দেখা হয় ইংল্যান্ডের কাছে ফকল্যান্ড যুদ্ধে হারের বদলা হিসাবে। দীর্ঘ দিন মালিকানা দাবি করে আসা আর্জেন্টিনা ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডের কাছে যুদ্ধে হেরে দ্বীপপুঞ্জটিও হারায়। উল্লেখ্য আর্জেন্টিনার দক্ষিণে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি। তেল সমৃদ্ধ ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের আয়তন প্রায় ১২,২০০ বর্গকিমি। জনসংখ্যা মাত্র তিন হাজার। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতিবর্গ কিলোমিটারে মাত্র ২৬ জন।
ফকল্যান্ডের মাটিতে পত পত করে উড়ছে ব্রিটিশ পতাকা ইউনিয়ন জ্যাক।

০১) গ্রীনল্যান্ড
সবচেয়ে কম ঘনবসতিপূর্ণ দেশের তালিকায় সবার উপরে জায়গা করে নিয়েছে গ্রীনল্যান্ড। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এই দ্বীপটি কিন্তু সার্বভৌম নয়, ডেনমার্কের একটি অঙ্গরাজ্য মাত্র। সাড়ে ২১ লক্ষ বর্গকিমি আয়তনের এই দ্বীপটিতে বাস করে মাত্র ৫৭ হাজার মানুষ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র 0.০৩ জন। যার মানে দাঁড়ায় এই দ্বীপের প্রতি ৩৩ বর্গ কিলোমিটারে মাত্র ১ জন মানুষ বাস করে। পূর্বে আর্কটিক সাগর থেকে পশ্চিমে কানাডা পর্যন্ত বিস্তৃত সুবৃহৎ এ রকম হাজারও নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে লীলাভূমি গ্রীনল্যান্ড।
এই দ্বীপটি বছরের বড় একটা সময় বরফেই ঢাকা থাকে। এই গ্রীনল্যান্ডে গেলে হয়ত মানুষের পরিবর্তে আপনার দেখা হয়েও যেতে পারে শ্বেত ভল্লুকের সাথে!

4
গবেষণা এবং উদ্ভাবণে শীর্ষে বুয়েট ,৫ম অবস্থানে ড্যাফোডিল, গবেষণা এবং উদ্ভাবণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে র‌্যাংকিং এ শীর্ষ তিনে স্থান পেয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি স্পেনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘সিএসআইসি’ পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

সারা বিশ্বের ৪ হাজার ১শ ৮৭তম এবং বাংলাদেশের ৩য় অবস্থানে রয়েছে দেশের একমাত্র এ আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।সংস্থাটি বাংলাদেশের ১৩৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এ গবেষণা পরিচালনা করেন। র‌্যাংকিং এ ১ম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়(বুয়েট)। আর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

এরপর পর্যায়ক্রমে আছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি (৪র্থ ), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (পঞ্চম), ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (ষষ্ঠ), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (৭ম), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৮ম), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (৯ম), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (১০ম), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (১২তম), নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটি (১৩তম), ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি (১৪তম) ও দিনাজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (১৫তম)।

5
খুব বেশি প্রাচীন নয়। মধ্যযুগে সামন্তবাদী সমাজ ব্যবস্থার ফলে পরবর্তীতে বৃটিশ আমলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সমান্তরালে বাঙালির পদবীর বিকাশ ঘটেছে বলে মনে করা হয়। অধিকাংশ ব্যক্তি নামের শেষে একটি পদবী নামক পুচ্ছ যুক্ত হয়ে আছে। যেমন উপাধি, উপনাম কিংবা বংশসূচক নামকে সাধারণ ভাবে পদবী বলা হয়।

বাঙালির জমি- জমা বিষয় সংক্রান্ত কিছু পদবী যেমন- হালদার, মজুমদার, তালুকদার, পোদ্দার, সরদার, প্রামাণিক, হাজরা, হাজারী, মন্ডল, মোড়ল, মল্লিক, সরকার, বিশ্বাস ইত্যাদি বংশ পদবীর রয়েছে হিন্দু -মুসলমান নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের একান্ত রূপ। বাঙালি মুসলমানের শিক্ষক পেশার পদবী হলো-খন্দকার, আকন্দ, নিয়াজী ইত্যাদি। আর বাঙালি হিন্দুর শিক্ষক পদবী হচ্ছে দ্বিবেদী, ত্রিবেদী, চর্তুবেদী ইত্যাদি।

এবার আপনাদের জানাবো বাঙালির কিছু বিখ্যাত বংশ পদবীর ইতিহাস। যেমন-শিকদার, সৈয়দ, শেখ, মীর, মিঞা, মোল্লা, দাস, খন্দকার, আকন্দ, চৌধুরী, ভুইয়া, মজুমদার, তরফদার, তালুকদার, সরকার, মল্লিক, মন্ডল, পন্নী, ফকির, আনসারী, দত্ত ইত্যাদি।

শিকদারঃ সুলতানি আমলে কয়েকটি মহাল নিয়ে গঠিত ছিল এক একটি শিক। আরবি শিক হলো একটি খন্ড এলাকা বা বিভাগ। এর সাথে ফারসি দার যুক্ত হয়ে শিকদার বা সিকদার শব্দের উদ্ভব হয়েছে। এরা ছিলেন রাজস্ব আদায়কারী রাজকর্মচারী। শব্দকোষে যাকে বলা হয়েছে শান্তিরক্ষক কর্মচারী। এরা শিক বন্দুক বা ছড়ি বন্দুক ব্যবহার করতো বলে শিকদার উপাধী পেয়েছিল; সেই থেকে বংশ পরমপরায় শিকদার পদবীর বিকাশ ঘটে।

সৈয়দঃ সৈয়দ পদবী মূলত এসেছে নবী নন্দিনী হযরত ফাতেমা ও হযরত আলীর বংশ ধর থেকে। প্রায় দেড় হাজার বছর আগের এই বংশের সাথে কোনা যোগসূত্র না থাকলেও বাংলাদেশের অনেক মুসলমান পরিবার সৈয়দ বংশ পদবী ব্যবহার করে নিজেদের সম্ভ্রান্ত ও কুলীন মুসলমান বলে দাবি করে থাকেন। বাঙালি মুসলমান সমাজে সৈয়দ পদবীর অপব্যবহার ও পক্ষেপণ ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। প্রকৃত পক্ষে সৈয়দ নন এবং পারিবারিক কোন কুলীন পদবীও নেই, অথবা পূর্ব পদবী ঐতিহ্য পরিত্যাগ করতে ইচ্ছুক এমন অনেক বংশ গোষ্ঠী বা ব্যক্তি বিশেষে বাংলাদেশে সৈয়দ পদবী আরোপিতভাবে ব্যবহার শুরু করেছিলেন।

শেখঃ শেখ আরবি থেকে আগত পদবী। সম্ভ্রান্ত মুসলমানদের সম্মানসূচক বংশ পদবী শেখ। যিনি সম্মানিত বৃদ্ধ অথবা যিনি গোত্র প্রধান, তাকেই বলা হতো শেখ। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) সরাসরি যাকে বা যাঁদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেছিলেন, তিনি বা তার বংশ ধরও শেখ নামে অভিষিক্ত হতেন অথবা শেখ পদবী লাভ করতেন। বাঙালি মুসলমান সমাজে যারা শেখ পদবী ধারণ করেন, তারা এ রকম ধারণা পোষণ করেন না যে, তারা বা তাদের পূর্ব পুরুষরা এসেছিলেন সৌদী আরব থেকে। বাঙালি সৈয়দ পদবী ধারীদের থেকে শেখ পদবীধারীদের এখানে একটা মৌলিক তাৎপর্যগত পার্থক্য রয়েছে। শেখ পদবী গ্রহণের নেপথ্যে রয়েছে ঐ পূর্বোক্ত চেতনা। নবীর হাতে মুসলমান না হলেও বাংলায় ইসলাম ধর্ম আর্বিভাবের সাথে সাথে যারা নতুন ধর্মকে গ্রহণ করে নেন; নও মুসলমান’ হিসেবে প্রাচীন ও মধ্যযুগে তারাই শেখ পদবী ধারণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে তাদের বংশের উত্তর সূরীরাই শেখ পদবী ব্যবহার করে এসেছেন। এমনিতে অন্য ধর্মের লোকের কাছে মুসলমান মানেই শেখ বা সেক। কেউ কেই শেখ কেউ সেক কিংবা কেউ বা শেখ এর রূপান্তর শাইখও ব্যবহার করে থাকেন।

মীরঃ মির বা মীর শব্দটি এসেছে আরবি থেকে। আরবি শব্দ আমীর’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে মীর। সেই অর্থে মীর অর্থ দলপতি বা নেতা, প্রধান ব্যক্তি, সরদার ইত্যাদি। জিতে নেয়া বা জয়ী হওয়া অর্থে মীর শব্দের ব্যবহার হতো। তবে মীর বংশীয় লোককে সম্ভ্রান্ত এবং সৈয়দ বংশীয় পদবীধারীর একটি শাখা বলে গাবেষকরা মনে করেন।

মিঞাঃ মিঞা মুসলিম উচ্চ পদস্থ সামাজিক ব্যক্তিকে সম্বোধন করার জন্য ব্যবহৃত সম্ভ্রম সূচক শব্দ। এক অর্থে সকল মুসলমানের পদবীই হচ্ছে মিঞা। বাঙালি হিন্দুর মহাশয়’ এর পরিবর্তে বাঙালি মুসলমান মিয়া শব্দ ব্যবহার করে থাকে। মিঞা’ শব্দটি এসেছে ফারসি ভাষা থেকে। প্রভু বা প্রধান ব্যক্তি বুঝাতেও মিয়া শব্দের প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। তবে গ্রামীন প্রধান বা সর্দার অর্থের মিঞা পদবী হিসেবে বাঙালি মুসলমান সমাজে ঠাঁই পেয়েছে।

মোল্লাঃ মোল্লা এবং মুন্সী বাঙালির দুটো জনপ্রিয় পদবী। তাদের প্রসার প্রায় দেশব্যাপী। বঙ্গীয় শব্দকোষ এ মোল্লা শব্দের অর্থ করা হয়েছে মুসলমান পুরোহিত। বস্তুত এভাবে মসজিদে নামাজ পরিচালনার কারনেও অনেকে মোল্লা উপাধি পেয়েছিল। প্রকৃত পক্ষে, মোল্লা হচ্ছে তুর্কি ও আরবি ভাষার মোল্লা থেকে আগত একটি শব্দ যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে পরিপূর্ণ জ্ঞান বিশিষ্ট মহাপন্ডিত ব্যক্তি। অন্য অর্থে মুসলিম পন্ডিত বা ব্যবস্থাপক বা অধ্যাপক হলেন মোল্লা। পরবর্তী কালে মসজিদে নামাজ পরিচারলনাকারী মাত্রই মোল্লা নামে অভিহিত হতে থাকে। এখান থেকেই সাধারণত বংশ পদবী হিসেবে তা ব্যবস্থার হওয়া শুরু হয়। তাঁরা সকল জ্ঞানের জ্ঞানী না হওয়া সত্ত্বেও মোল্লা পদবী ধারণ করে। যার ফলে মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত’ প্রবাদের উৎপত্তি হয়েছে।

দাসঃ বাঙালি হিন্দু সমাজে দাস বা দাশ বংশ পদবীর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। যে সমস্ত হিন্দু সম্পদায়ের মানুষ পদবীতে দাশ লিখেন তাদের পেশা ধীবর থেকে এসেছে বলে গবেষকরা মনে করেন। আর যারা দাস লেখেন তাদের পদবী স্রষ্টার ভূত্য চেতনা থেকে এসেছেন।

খন্দকারঃ মুসলিম সমাজের ফারসি শিক্ষক হিসেবে খোন্দকার বা খন্দকারের পরিচয় পাওয়া যায় । অন্য দিকে খোন্দকারের ‘ পদবী এসেছে সামন্ত সমাজ থেকে পেশাজীবী হিসেবে। সাধারণ ভাবে খোন্দকার বা খন্দকার অর্থ হচ্ছে কৃষক বা চাষাবাদকারী । মনে করা হয় ফারসি কনদহ ‘ এর যার অর্থ কৃষি’সাথেকার যুক্ত হয়ে কনদহকার> খনদহকার>খন্দকার হয়েছে। ভিন্ন মতে, খন্দকারের মূল উৎপত্তি সংস্কৃত কন্দ> খন্দ যার অর্থ ফসল বলা হয়েছে। এই খন্দ এর সাথে কার যুক্ত হয়েও খন্দকার> খোন্দকার হতে পারে। এবং এতেও পূর্বের খন্দকার’ শব্দের উৎসের অর্থের তারতম্য ঘটছে না। আবার ফারসি ভাষায়, খোন্দকার বলে একটি শব্দ আছে যার অর্থ শিক্ষক। সেখান থেকেও খোন্দকার পদবী আসা বিচিত্র কিছু নয়। অথবা খোন্দকার শব্দের যে ভিন্নভিন্ন অর্থ তার সবগুলো মিলিত তাৎপর্য থেকেই বিভিন্নভাবে খন্দকার পদবীর উৎপত্তি হয়েছে।

আখন্দঃ খন্দকার ও আখন্দ বা আকন সমার্থক। আখন্দ ও আকন নামে যে সব পদবী তাও সম্ভবত খন্দকার পদবীরই রূপভেদ। খন্দকার>আখন্দ> আকন হয়ে থাকতে পারে। আবার ফারসি আখুন্দ থেকেও আখন্দ এসে থাকতে পারে। যার অর্থ শিক্ষক। তবে আকন্দ এসেছে আখন্দ থেকেই।

চৌধুরীঃ সংস্কৃত চতুধারী শব্দ থেকে এসেছে বাংলা চৌধুরী শব্দ। এর অর্থ চর্তুসীমানার অন্তগর্ত অঞ্চলের শাসক। বাংলাদেশের বেশির ভাগ জমিদারদের পদবী হচ্ছে চৌধুরী। আবার অনেকে মনে করেন চৌথহারী’ যার অর্থ এক চতুথাংশ রাজস্ব আদায়কারী, সেখান থেকে উচ্চারণ পরিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে চৌধুরী’। সেদিক থেকে চৌথ আদায়কারী বা রাজস্ব আদায়কারী পদ সৃষ্টি হয়েছিল বাংলার রাষ্ট্র ব্যবস্থার। বঙ্গীয় শব্দকোষ বলছে, চতুর’ যার অর্থ তাকিয়া বা মসনদ, তার সাথে যুক্ত হয়েছে ধর’ (অর্থ ধারক) এবং এই দুয়ে মিলে হয়েছে চৌধরী’ আর তার থেকেই চৌধুরী’। তবে তা মূলত হিন্দী ও মারাঠি শব্দ। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে চৌধুরী বংশ পদবী ব্যবহার করা হয় এদেশে। বৃটিশ-ভারতের প্রায় সর্বত্র এ পদবীর অস্তিত্ব ছিল। কারণ চৌধুরী ছিল সামন্ত রাজার পদবী।

ভূঁইয়াঃ এই বংশ পদবীটি এসেছে খোদ ভূমির মালিকানা অর্থ থেকে। বাঙালি হিন্দু-মুসলিম উভয় এর মধ্যে এ পদবীর প্রচলন আছে। বাঙালি হিন্দু সমাজে যাঁরাই ভৌমিক’ বাঙালি মুসলমান সমাজে তারা ভূঁইয়া’ হিসেবে পদবী ধারণ করেছেন। মূল সংস্কৃত শব্দ ভৌমিক > (প্রাকৃত) ভূমিকা > (বাংলা) ভূঁইয়া > থেকে ভূঁইয়া বা ভূঁঞা এসেছে। প্রাচীন বড় জমিদার বা সামন্ত রাজার উপাধিও ছিল ভূঁইয়া। প্রকৃত পক্ষে কুলীন বংশ পদবীই ছিল তা। আবার যে সব মানুষ আগে স্থান বিশেষে বনজঙ্গল পরিষ্কার করে বসতি ও চাষাবাদের পত্তন করেছে তারা স্থানীয় জমিদার রাজার কাছ থেকে ভূঁইয়া নামে অভিহিত হয়ে ঐসব জমি জমার স্বত্ব লাভ করেছে।

মজুমদারঃ মজুমদার’ পদবী মূল আসলে মজুনদার’। এর মূল ফারসি শব্দ হচ্ছে মজমু আনদার’। রাষ্ট্রের ও জমিদারির দলিল পত্রাদির রক্ষক রাজকর্মচারীর জন্যে এই পদবী সংরক্ষিত ছিল। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সমগ্র বাংলাদেশে মজুমদার’ পদবীর ব্যবহার লক্ষনীয়।

তরফদারঃ আরবি তরফ’ এবং ফারসি দার’ মিলে তরফদার শব্দের সৃষ্টি। রাজ্যের খাজনা আদায়ের মহালে তদারককারী বা খাজনা
আদায়কারীর উপাধী ছিল তরফদার। এই পদবী ব্যবহারকারী গোষ্ঠীর পূর্ব পুরুষরা রাজকার্য পরিচালনার কাজে নিয়োজিত ছিলেন,
সেখান থেকেই এই বংশ পদবী উৎপত্তি ও প্রচলন। অন্যমতে তরফদার তরফের রাজস্ব আদায়কারী লোক; তরফের মালিক; পদবী বিশেষ।

তালুকদারঃ আমাদের দেশে পরিচিত একটি বংশ পদবী। বাংলাদেশে জমিদারির পরই তালুক ভূ-সম্পত্তির একটি বিভাগ। মোগল ও বৃটিশ আমলে রাজস্ব ও ভুমি সংক্রান্ত বিষয়াদি থেকে যে সমস্ত পদবীর উৎপত্তি ও বিস্তার তার মধ্যে তালুকদার’ হচ্ছে অন্যতম পদবী। তালুক’ শব্দ থেকেও এই পদবীর মর্মাথ উপলব্ধি করা সম্ভব। আরবি শব্দ তা’ আল্লুক’ যার অর্থ ভূ-সম্পত্তি এবং এর সাথে ফারসি দার’ যুক্ত হয়ে (তা’আল্লুক+দার) তালুকদার’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। প্রকৃত পক্ষে, যিনি তালুকদার, তিনি জমি ও ক্ষুদ্র ভূ-সম্পত্তি বন্দোবস্ত নিতেন সরকারের কাছ থেকেও যেমন, তেমনি জমিদারের কাছে থেকেও। ফলে তিনি হতেন উপজমিদার সেই অর্থেই এসেছে তালুকদার’।

সরকারঃ সরকার’ শব্দটি ফারসি থেকে আগত। এর অর্থ প্রভূ, মালিক, ভূস্বামী, শাসনকর্তা, রাজা। অর্থ আদায় ও ব্যয় সংক্রান্ত কর্মচারি ও সরকার। মোগল আমলে এদেশের স্থানীয় রাজকর্মচারিদের এ পদবী দেয়া হতো। মোট কথা প্রধান কর্মচারি এবং সম্পত্তি দেখাশুনার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিকে সরকার বলা হতো। বাঙালি হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যেই এ পদবীর ব্যবহার আছে।

মল্লিকঃ আরবি মালিক’ বা মলিক’ শব্দ থেকে এসেছে মল্লিক’ বংশ পদবী। ফারসি মালিক শব্দজাত মল্লিক ভূম্যাধিকারী বা জোতদারের উপাধি। গ্রাম প্রধান বা সমাজের প্রধান ব্যক্তি মালিক। আবার লিপিকুশল রাজকর্মচারিকে মোগল আমলে মল্লিক বা সুলেখক আখ্যা দেয়া হত বলেও আমরা জানতে পারি। হয়তোবা সেই থেকে মল্লিক বংশ পদবী এসেছে।

মন্ডলঃ বাঙালি হিন্দু-মুসলিম সমাজে সমান ভাবে ব্যবহৃত হয় মন্ডল পদবী। বাংলাদেশে অতীত কাল থেকে গ্রামের অনানুষ্ঠানিক এবং সাধারণ ভাবে গ্রাম- প্রধানকে বলা হয় মন্ডল। বাংলা মন্ডলরা আগে অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। মন্ডলীয় কাজ করে তারা অনেক অধিকার ভোগ করতেন। খাজনা আদায়কারী ও রায়তদের মধ্যস্থতা করা কিংবা গ্রামীন বিবাদ আপোস মীমাংসা করতে মন্ডলরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতেন। কোন কোন সময় তাদের অধীনে পাটোয়ারি, তহসিলদার, চৌকিদার ইত্যাদি কর্মচারী কাজ করতেন। সরকার ও রায়তদের মধ্যবর্তী মানুুষ হিসেবে মন্ডলরা অধিক পরিচিত ছিল।

ফকিরঃ মুসলমানদের মধ্যে সন্ন্যাসবৃত্তি’ থেকেই এসেছে ফকির’ পদবী। মরমী সাধকরা গ্রহণ করতেন ফকির’ পদবী। এটি আরবি শব্দ, যার মূল অর্থ নি:স্ব। আবার আরবি ফকর শব্দের অর্থ দারিদ্র। এ থেকে ফকির শব্দের উৎপত্তি। ফকির এবং পার্শি দরবেশ ব্যক্তিগণ সাধারণত এদেশে ফকির নামে পরিচিত। বিশেষ কোন ধর্ম মতের একান্ত অনুসারী না হয়ে যারা সকল ধর্মের মূলনীতি নিয়ে আত্মতত্ত্বের সন্ধান করেন তাদেরকেও ফকির বলা হয়। আবার সুফি বা বাউল তত্বের ধারকরাও ফকির।

ঠাকুরঃ বাংলা শব্দের বিশেষজ্ঞ হরিচরণ বন্দ্যোপধ্যায়ের মতে- ঠাকুর শব্দের মূল হচ্ছে (সংস্কৃত) ঠাক্কুর’ তার থেকে > (প্রকৃত) ঠকুর > (বাংলা) ঠাকুর এসেছে। পদবীগত দিক থেকে তা ব্রাক্ষণের পদবী বিশেষ, এমনকি ক্ষত্রিয়েরও উপাধি এটি। মধ্য যুগের কাব্য চৈতন্য ভাগবত’ উদ্ধৃত করে লেখক বলেছেন, তা বৈঞ্চবেরও উপাধি। যেমন, হরিদাস ঠাকুর। পাচক ব্রাক্ষণও এক প্রকার ঠাকুর বলে পরিচিত। তবে আহমদ শরীফ সম্পাদিত সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান’ বলছে, সংস্কৃত ঠক্কুর থেকে ঠাকুর আসলেও এর মূলে ছিল তুর্কী শব্দ। বাঙালি হিন্দু-মুসলমান উভয়েই এই পদবী ব্যবহার করে।
এরকম শতাধিক বংশ পদবী রয়েছে আমাদের দেশে। বাঙালির পদবীর ইতিহাস বৈচিত্র পথ ও মতের এক অসাধারণ স্মারক হিসেবে চিহিৃত।

6
প্রবাস জীবন শুরুর একটি দিন। সৌদি আরবের জেদ্দায় এক ঝলমলে সন্ধ্যায় টেক্সি এসে থামে 'বাব-মক্কা'য়।


ততোদিনে 'বাব' মানে 'দরজা বা তোরণ'- এতটুকু আরবি শিখেছি। 'বাব-মক্কা'য় দাঁড়িয়ে তখন আমি পুলকিত!

প্রাচীন জেদ্দার নগর দেয়ালের একটি তোরণ 'বাব-মক্কা' তথা 'মক্কা-তোরণ'। এখান থেকে শুরু হয়েছে মক্কা যাওয়ার সড়কপথ। আগে জেদ্দাবাসী এবং জলপথে আসা হাজিরা 'বাব-মক্কা' থেকেই রওনা দিতেন মক্কার উদ্দেশ্যে।

সেই প্রাচীন 'বাব-মক্কা' এখনও আগের মতো আছে, অবকাঠামো অবশ্য সামান্য পরিমার্জন হয়েছে। জেদ্দায় আমার প্রবাস জীবনের দেড় যুগ পরও 'বাব-মক্কা'র স্মৃতি এতটুকু মলিন হয়নি।

মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র স্থান মক্কা। আমার অন্তরের অনেকখানি জায়গা অধিকার করে আছে মক্কা তথা কাবা। সেই যুবক বয়সে বাব-মক্কার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নিজেকে তখন ভাগ্যবান মনে হয়েছিল। আন্দোলিত হয়েছি, কারণ মক্কা-তোরণ থেকে ৭০-৭৫ কিলোমিটার দূরেই মক্কা। মাত্র এক ঘণ্টার পথ!

অল্পদিনের মধ্যেই মক্কায় যাওয়ার সৌভাগ্য হয় আমার। সেলাইবিহীন সাদা থানের 'ইহরাম' পরে উমরাহ্‌ পালন করতে উপস্থিত হই মক্কায়। মক্কা ইসলামের প্রাণকেন্দ্র, এখানে অবস্থিত কাবা, মুসলিম ধর্মমতে আল্লাহর ইবাদতের জন্য তৈরি প্রথম ঘর।

এখানে মুসলমানরা হজ পালনের জন্য আসেন।

মক্কার উদ্দেশ্যে বাব-মক্কা থেকে রওনা দিয়ে জেদ্দা নগরীর প্রান্ত-সীমানায় দেখা মিলবে আরব ঐতিহ্যের অনুরূপ একটি তোরণ। আরও এগিয়ে গেলে মক্কা নগরীর উপকণ্ঠে চেকপোস্ট পার হয়ে মিলবে একটি তোরণ, যা 'হারাম সীমানা তোরণ' হিসেবে পরিচিত।

মক্কার আরেক নাম 'হারাম'। কাবা ঘরের চারপাশ ঘেরা মসজিদ হচ্ছে 'মসজিদুল হারাম'।
'হারাম সীমানা তোরণ' পার হওয়ার পর আরেকটি সুদৃশ্য তোরণ রয়েছে, যা কোরআন শরীফ রাখার কাঠের রেহাল সদৃশ। এর উপরে কোরআনের নমুনা স্থাপিত রয়েছে। এরপর মক্কা নগরীর ঠিক প্রবেশমুখে সড়কদ্বীপে রয়েছে বেশকিছু আলোকিত অভ্যর্থনা যা সহজেই নজর কাড়ে।

গাড়ি থেকে নেমে সামনেই 'মসজিদুল হারাম', সুউচ্চ মিনার। কিং আবদুল আজিজ দরজা দিয়ে ঢুকেছিলাম মসজিদে। বর্তমানে নির্মাণ কাজের জন্যে এই দরজাটি বন্ধ রয়েছে। কিং ফাহাদ দরজা বর্তমানে প্রধান দরজা হিসেবে ব্যবহৃত। মসজিদুল হারামে এমন অসংখ্য দরজা রয়েছে। এর যে কোন একটি দিয়ে প্রবেশ করা যায়।

মসজিদুল হারামের ভেতরে রয়েছে বড় প্রাঙ্গণ, এটা 'মাতাফ' বা তাওয়াফের জায়গা। প্রাঙ্গনের মাঝখানে অবস্থিত কাবা। সিল্কের তৈরি ঘনকালো 'কিসওয়া' বা গেলাফ দিয়ে ঢাকা কাবা।
সেই প্রথমবার কাবা শরীফের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম পার্থিব জগৎ থেকে। তখনকার সে অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার নয়, কেবল অন্তর দিয়ে অনুভব করার।

তারপর থেকে সময় সুযোগ হলেই ছুটে যাই মক্কায়। কাবা ঘরের একটি মাত্র দরজা, উত্তর পাশের দেয়ালের পূর্বকোণে। আর এই কোণেই স্থাপিত 'আসওয়াদ পাথর'। মেঝে থেকে প্রায় সাত ফুট উঁচুতে কাবা ঘরের দরজা। স্বর্ণনির্মিত, কোরআনের আয়াত কারুকাজ খচিত দরজায় রয়েছে সুদৃশ্য আচ্ছাদন, স্বর্ণ-রৌপ্য সুতোয় বোনা কারুময় কোরআনের আয়াত।

কাবার দরজা সাধারণত বন্ধ থাকে। বিশেষ দিনে কাবা ঘর ধোয়া বা বিশিষ্টজনের ভেতরে প্রবেশের জন্য কাঠের উঁচু সিঁড়ি ব্যবহার করে দরজা খোলা হয়।

কাবা ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে 'সুরা ফিল' পাঠ করেছিলাম।

শোনা যায়, আবরাহা বাদশাহ কাবা ঘর ধ্বংস করতে এসেছিলেন হস্তি-বাহিনী নিয়ে। নবী মুহম্মদের জন্মের আগের ঘটনা। নবীর দাদা কোরাইশ গোত্রপতি আবুদল মুত্তালিব আমন্ত্রিত হয়ে আবরাহার তাবুতে উপস্থিত হয়ে দাবি পেশ করেছিলেন, "আমি আমার সম্পদ ফেরত চাই, দুইশ' উট, যা আমার এবং আপনি তা নিয়ে এসেছেন।"
আবরাহা আশ্চর্য হয়ে বললেন, "আপনি বলছেন আপনার দুইশ' উটের কথা। কিন্তু আপনি কিছুই বলেননি আপনার ও আপনার পিতা-পিতামহের ধর্মীয় উপাসনাঘরের কথা, যা আমি ধ্বংস করতে এসেছি!"

জবাবে আবদুল মুত্তালিব বললেন, "আমি উটের মালিক। ঘরের মালিক আছেন, যার ঘর তিনিই তা রক্ষা করবেন।"

আবরাহা দম্ভ করে বললেন, "কেউ আমাকে সেখানে পৌঁছনো থেকে আটকাতে পারবে না।"

আবদুল মুত্তালিব বললেন, "আপনি তা দেখবেন।"

তারপর আবদুল মুত্তালিব ও কোরাইশের অন্যান্য গোত্রের লোকেরা নাকি কাবা শরীফের দরজা ধরে দাঁড়িয়ে আবরাহা ও তার সেনাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন।

সেদিন রক্ষা পেয়েছিল কাবা ঘর এবং মক্কাবাসী। পরাজিত ও ধ্বংস হয়েছিল আবরাহা ও হস্তি-বাহিনী। এমনি করে প্রচলিত আছে মুসলিম ঐতিহ্যের কাহিনী।

সেই কাবা ঘরের দরজার নিচে দাঁড়িয়ে, কাবা ছুঁয়ে, দরজার চৌকাঠ ছুঁয়ে, হাজিরা দোয়া-দরুদ পড়েন, চোখের জলে বুক ভাসান।

প্রতিবার ছুটিতে বাংলাদেশে যাওয়ার আগে উমরাহ্‌ ও বিদায় তওয়াফ করি। কাবার দরজায় চোখ রেখে এক অজানা আবেগে হৃদয় তোলপাড় করে ওঠে। মনে শঙ্কা জাগে, এমন সৌভাগ্য আর কতোদিন পাব এ জনমে!

লেখক: প্রবাসী বাংলাদেশি

7
Nice Book, Thanks for sharing link
 

9
পাহাড়ী প্রকৃতির অপরুপ অভয়ারণ্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিননন্দন সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ শাটল ট্রেন। দেশের বৃহত্তম এই বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করে চলে যাওয়া সাবেক শিক্ষার্থীদের সর্বপ্রথম যে স্মৃতি তাড়া করে ফেরে তা হল- রঙীন শাটল।

বিশ্বের মাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব ট্রেন ব্যবস্থা আছে। উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো ইউনিভার্সিটি কয়েকবছর আগে তাদের শাটল ট্রেন সার্ভিস বন্ধ করে দেয়ায় বর্তমানে এর এককভাবে দাবিদার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৮১ সাল থেকে নিত্যসঙ্গী হিসেবে চির পরিচিতি পাওয়া শাটল ট্রেনকে ঘিরেই রচিত হয় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নার কথকতা।অনেকে শাটল দুটিকে ‘চলন্ত বিশ্ববিদ্যালয়’ বলেন, কেউবা বলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রাণভোমরা’।

চবি ক্যাম্পাসে এই শাটল ট্রেনকে ভিত্তি করেই যাত্রা করে প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতি।বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চবি শাখার উদ্যোগে শাটল ট্রেনে গড়ে উঠে বগিভিত্তিক বেশ কিছু সংগঠন।

সিক্সটি নাইন,বিজয়,সিএফসি,ভিএক্স,একাকার, কনকর্ড,এপিটাফসহ বিভিন্ন নামে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করত ছাত্রলীগ। শুরুটা সংগঠনের ঐক্যের স্বার্থসংশ্লিষ্ট হলেও পরবর্তীতে বগিভিত্তিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন উপগ্রুপে পরিণত হয়। ফলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে বারবার সংঘর্ষের ফলে সারাবছরই সমালোচিত হত ক্ষমতাসীন দলের ভাতৃপ্রতিম এ ছাত্রসংগঠন। বর্তমান কমিটি ঘোষনার পর ক্যাম্পাসকে অভ্যন্তরীণ কোন্দলমুক্ত করতে কাজ শুরু করে চবি ছাত্রলীগ। গতবছর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের হস্তক্ষেপে বগিভিত্তিক রাজনীতি পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।

সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে গিয়ে বগিভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের সুফল পায় সবাই, তথাপি রঙীন শাটলের ঐতিহ্যে ভাটা পড়ে অনেকাংশে। কারণ মূলত শাটল ট্রেনের মাধ্যমেই গড়ে উঠত চবি’র শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ভিত। নিজেদের মত করে বিভিন্ন রঙে রাঙানো সেই শাটল আজ গতানুগতিক ট্রেনগুলোর মতই বিবর্ণ। ‘রঙহীন’ শাটলে আসা যাওয়ার পথে আগের আমেজ আর নেই। শাটলকে নতুন রূপ দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়নি তেমন কোন উদ্যোগ।

বর্ণহীন শাটল নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের।”শাটলের পূর্বের রঙীন রূপ ফিরিয়ে না দিলে পরবর্তী নবীন ব্যাচগুলো এর ঐতিহ্য সম্পর্কে কিছুই জানবে না। ফলে তারা বঞ্চিত হবে বিশ্ববিদ্যালয় শাটলের আবেগ-অনুভূতির অন্যতম অংশ থেকে” এমনটিই মন্তব্য করেন চবি ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী কনক। কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রনি বলেন, “শাটল অন্য ৫-১০টা ট্রেনের মত না।বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক একমাত্র শাটল ট্রেন হিসেবে অবশ্যই এর আকর্ষণীয় ও স্বতন্ত্র রূপ থাকা উচিত।”

তাদের মত অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও আশা করেছিল, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে সদ্য রাজনীতিমুক্ত শাটল ট্রেনের রূপে থাকবে নতুন চমক। কিন্তু আশাহত হতে হয় শিক্ষার্থীদের।

অথচ প্রশাসনের উদ্যোগেই ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শাটল ট্রেনকে একটি ভিন্ন দৃষ্টিনন্দন রূপ দেয়া হয়েছিল। তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আবু ইউসুফ এর ইচ্ছায় বিভিন্ন বগিতে নিপুণভাবে ফুঁটে উঠেছিল বাংলাদেশের প্রকৃতি,ভাষা আন্দোলন,মহান মুক্তিযুদ্ধ আর আবহমান সংস্কৃতির রঙীন চিত্রপট। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিক পদক্ষেপে আবারো রঙীন রূপ ফিরে পেতে পারে গর্বের শাটল,যা হবে দেশ তথা বিশ্বে অনন্য।

10
এলার্জিজনিত রোগের লক্ষণ ও করণীয়:

এলার্জি বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের কাছে এক অসহনীয় ব্যাধি। এলার্জি হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য ও ওষুধের ভীষণ প্রতিক্রিয়া ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জি সামান্যতম অসুবিধা করে, আবার কারো ক্ষেত্রে জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।

ঘরের ধুলাবালি পরিষ্কার করছেন? হঠাৎ করে হাঁচি এবং পরে শ্বাসকষ্ট অথবা ফুলের গন্ধ নিচ্ছেন বা গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ ও গরুর দুধ খেলেই শুরু হলো গা চুলকানি বা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠা।

এগুলো হলে আপনার এলার্জি আছে ধরে নিতে হবে।

মানব জীবনে এলার্জি কতটা ভয়ংকর সেটা ভুক্তভোগী যে সেই জানে। উপশমের জন্য কতজন কত কি না করেন। এবার প্রায় বিনা পয়সায় এলার্জিকে গুডবাই জানান আজীবনের জন্য। যা করতে হবে আপনাকে –

১) ১ কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন।

২) শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুড়ো করুন এবং সেই গুড়ো ভালো একটি কৌটায় ভরে রাখুন।

৩) এবার ইসব গুলের ভুষি কিনুন। ১ চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিম পাতার গুড়া ও এক চা চামচ ভুষি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।

৪) আধা ঘন্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।

৫) প্রতি দিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাত্রে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে।

৬) কার্যকারীতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে। ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে যাবে এবং এরপর থেকে এলার্জির জন্য যা যা খেতে পারতেন না যেমন- হাঁসের ডিম, বেগুন, গরু, চিংড়ি সহ অন্যান্য খাবার খেতে পারবেন।

চিকিত্সা :- তবে অনেক দিন যাবৎ চুলকানি এবং এলার্জির সমস্যায় ভুগতে থাকলে অভিজ্ঞ এবং নিবন্ধনকৃত হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ মত কিছুদিন প্রপার ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন, আশা করি আপনার এলার্জির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

11
হঠাৎ বন্ধুরা মিলে প্লান করলেন দেশের বাইরে ঘুরতে যাবেন। মুশকিল হল পাসপোর্টটাই নেই। ঝক্কি-ঝামেলার ভয়ে পাসপোর্ট অফিসেই হয়তো যেতে চান না। তবে এখন অনলাইনেই করে ফেলা যায় পাসপোর্টের ‘কর্ম’। তবে এজন্য আপনাকে বাইরেও যেতে হবে। প্রথমত টাকা জমা দিতে। অবশ্য চাইলে এটাও আপনি অনলাইনেই জমা দিতে পারেন। সম্প্রতি কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্যাংকেও অনলাইনে পাসপোর্টে টাকা জমা দেয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। যা এ প্রক্রিয়াকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। আসুন জেনে নেয়া যাক পাসপোর্ট করতে গেলে অনুসরণীয় কয়েকটি ধাপ-

১ম ধাপ : টাকা জমা
অনলাইনে পাসপোর্ট করতে হলে প্রথমে টাকা জমা দিতে হবে। কেননা অনলাইনে ফর্ম পূরণ করার সময় টাকা জমা দেওয়ার তারিখ এবং জমা দানের রিসিটের নম্বর উল্লেখ করার প্রয়োজন হয়। তাই ফর্ম পূরণের আগে টাকা জমা দিতে হবে। রেগুলার ফি ৩ হাজার টাকা এবং জরুরি পাসপোর্ট করতে হলে তার ফি ৬ হাজার টাকা। রেগুলার ফিতে পাসপোর্ট পেতে সময় লাগবে এক মাস। জরুরিভিত্তিতে করতে চাইল ১৫ দিনের মত সময় লাগবে।

২য় ধাপ : অনলাইনে ফরমপূরণ
এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। খুব মনোযোগ দিয়ে অনলাইনের ফরম পূরণ করতে হবে। যেন কোনো ভুল ত্রুটি না হয়। অনলাইনে ফরম পূরণের জন্য প্রথমে পাসপোর্ট অফিসের এ সাইটে যেতে হবে।

তারপর ‘I have read the above information and the relevant guidance notes’ টিক চিহ্ন দিয়ে ‘continue to online enrollment’ এ ক্লিক করতে হবে।

আপনার নাম ও ব্যক্তিগত তথ্যাদি- যেমন : আপনার নাম, পিতা-মাতার নাম। এই নামগুলো যেন শিক্ষাগত সার্টিফিকেট কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো একই হয়। কোনো তথ্য ভুল হলে পাসপোর্টে হতে সমস্যা হবে। মেইল অ্যাড্রেস ও মোবাইল নম্বার দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই যেটি ব্যবহৃত হচ্ছে সেটি দেয়া উচিত।

টাকা জমা দেয়ার তারিখ এবং রিসিট নম্বর দিতে হবে। পাসপোর্ট টাইপ সিলেক্ট করতে হবে ‘ordinary’। যে অংশগুলো লাল স্টার মার্ক দেয়া রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

Delivery Type অংশে ৩০ দিনের জন্য হলে Regular এবং ১৫ দিনের জন্য হলে Express সিলেক্ট করতে হবে।

সম্পূর্ণ ফরমটি পূরণ হলে পুনরায় এটি চেক করতে হবে। সব তথ্য টিক আছে কি না, তা যাচাই করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

৩য় ধাপ : ফর্মের প্রিন্ট এবং সত্যায়ন
এবার মেইলে আসা পিডিএফ কপির ২ কপি কালার প্রিন্ট করতে হবে। এতে আবেদনকারীর স্বাক্ষর করার স্থনে সই করতে হবে। এবার নিজের চার কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট ফর্ম নিয়ে পরিচিত কোনো প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে। পরিচিত কাউকে দিয়ে সত্যায়ন করালে ভাল। কারণ ওই কর্মকর্তার নাম, যোগাযোগ ও ফোন নম্বর এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ফরমে লিখতে হয়।

৪র্থ ধাপ : পুরো ফরম রিচেক
সত্যায়িত ছবি এবং ব্যাংকের রিসিট আঠা দিয়ে ফরমের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপিটিও প্রিন্ট করা ফরমটির সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হবে। শিক্ষার্থী হিসেবে আবেদন করলে অবশ্যই স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি সত্যয়িত করে ফরমের সঙ্গে যুক্ত করতে দিতে হবে। এসব ধাপ শেষ করলে ফর্মটি জমা দেয়ার জন্য প্রস্তুত।

৫ম ধাপ : ফরম জমা এবং ছবি তোলা
অনলাইনে ফর্ম পূরণের জন্য ১৫ দিনের মধ্যে ফর্মের প্রিন্ট কপি, সত্যায়িত ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে পাসপোর্ট অফিসে।

পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় অবশ্যই সাদা পোশাক পরবেন না। সকালের দিকে পাসপোর্ট অফিসে গেলে ভালো হয়। তখন লাইনে ভিড় কম থাকে। সরাসরি মেইন গেইট দিয়ে মূল অফিসে ঢুকতে হবে। সেখানে দায়িত্বরত সেনা সদস্যকে জিজ্ঞেস করুণ কোন রুমে যেতে হবে। সাইন শেষে জানিয়ে দেয়া হবে ছবি তোলার জন্য কোন রুমে যেতে হবে।

এরপর নির্দিষ্ট রুমে গিয়ে সিরিয়াল আসলে ছবি তোলার জন্য ডাক পড়বে। ছবি তোলার পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে। এবার পাসপোর্ট রিসিভের একটা রিসিট দেয়া হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন সাপেক্ষে, রিসিট পাওয়ার একমাস বা ১৫ দিনের মধ্যেই আপনি পাসপোর্ট পাবেন।

12
ধরুন আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলেছেন কিংবা এখনও উত্তোলন করেননি। কিন্তু আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র এখন অতি জরুরি। এ ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন? বিষয়টি খুব চিন্তার হতে পারে। আদতে যদি কয়েকটা বিষয় জানা থাকা তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এ ক্ষেত্রে আপনি একদিনেই, বলতে গেলে মাত্র এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যেই জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়ে যেতে পারেন। কিভাবে?

* জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য আপনাকে চলে যেতে হবে নির্বাচন কমিশন অফিসের জাতীয় পরিচয়পত্র সেকশনে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে পরিচয়পত্র প্রদান অফিস।

* ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিচতলার তথ্যকেন্দ্রে গিয়ে বিনামূল্যে শুধু একটি ‘হারানো ফর্ম’ নিন। জানা না থাকলে স্লিপ দেখিয়ে জেনে নিন আপনার এনআইডি নম্বর।

* এরপরে ভবনের বাইরে এসে ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এর দোকান থেকে ৩৬৮ টাকা এনআইডি নম্বরে প্রেরণ করুন। ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এর TRX (টাকা পাঠানোর পর মেসেজে নম্বর আসে)  ফরমে লিখে দিন।

* ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি পূরণ করুন।

* সাথে যুক্ত করে দিন আপনার সাথে থাকা নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া স্লিপ অথবা হারিয়ে গেলে তার জিডি কপি।

* যেকোনো দিন অফিস চলাকালীন ফরমটি ওই নিচতলাতেই বেলা ১২টার আগে জমা দিন। দুপুর ১টার মধ্যেই পেয়ে যাবেন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র।

* জরুরি ভিত্তিতে প্রাপ্তির জন্য খরচ ৩৬৮ টাকা। তবে বিনামূল্যে সব নিয়ম পালন করে জাতীয় পরিচয়পত্র তুলতে ১০ থেকে ৩০ দিন লাগবে।

13
১. আল্লাহ্ (الله) – আল্লাহ্‌ (The Greatest Name)
২. আর রহিম (الرحمن) – পরম দয়ালু (The Exceedingly Merciful)
৩. আর রহমান (الرحيم) – পরম দয়াময় (The Exceedingly Compassionate, The Exceedingly Beneficent, The Exceedingly Gracious)
৪. আল জাব্বার (الملك) – পরাক্রমশালী (The Irresistible, The Compeller)
৫. আল ʿআজিজ (العزيز) – সর্বশক্তিমান, বলশালী (The Almighty, The Invulnerable, The Honorable, The Victorious)
৬. আল মুহায়মিন (المهيمن) – রক্ষণ ব্যবস্থাকারী (The Guardian)
৭. আল মুʿমিন (العزيز) – নিরাপত্তা বিধায়ক (The Guarantor, The Affirming, The Inspirer of Faith)
৮. আস সালাম (السلام) – শান্তি বিধায়ক (The Peace, The Source of Peace and Safety)
৯. আল কুদ্দুস (القدوس) – নিষ্কলুষ (The Holy, The Divine, The Pure One, The Purifier)
১০. আল মালিক (الملك) – সর্বাধিকারী (The King, The Sovereign, The Absolute Ruler)
১১. আল ওয়াহহাব (الوهاب) -মহা বদান্য (The Bestower, The Giver of All)
১২. আল কাহহার (القهار) -মহাপরাক্রান্ত (The Subduer)
১৩. আল গাফফার (الغفار) – মহা ক্ষমাশীল (The Repeatedly Forgiving, The Forgiving)
১৪. আল মুসাওবির (المصور) – রূপদানকারী (The Fashioner, The Shaper, The Designer, The Shaper of Beauty)
১৫. আল বারী (البارئ) – উন্মেষকারী (The Evolver, The Developer, The Maker of Order)
১৬. আল খালিক (الخالق) – সৃষ্টিকারী (The Creator)
১৭. আল মুতাকাব্বির (المتكبر) -অহংকারের ন্যায্য অধিকারী (The Majestic, The Supreme, The Greatest)
১৮. আল রাফিʿ (الرافع) – উন্নয়নকারী (The Exalter)
১৯. আল খাফিদ (الخَافِض) – অবনমনকারী (The Abaser, The Humiliator)
২০. আল বাসিত (الباسط) -সম্প্রসারণকারী (The Extender / Expander, The Reliever)
২১. আল কাবিদ (القابض) -সংকোচনকারী (The Restrainer, The Straightener, The Constrictor)
২২. আল আলীম (العليم) – মহাজ্ঞানী (The All-Knowing, The Knower of All, Omniscient)
২৩. আল ফাত্তাহ (الفتاح) – মহাবিজয়ী, বিজয়দানকারী (The Opener, The Victory Giver)
২৪. আর রাজ্জাক (الرزاق) – জীবিকা দাতা (The Provider, The Sustainer)
২৫. আল লাতিফ (اللطيف) – সুক্ষদক্ষতাসম্পন্ন (The Gentle, The Subtly Kind, The Subtle One)
২৬. আল ʿআদল (العدل) – ন্যায়নিষ্ঠ (The Utterly Just)
২৭. আল হাকাম (الحكم) – মিমাংসাকারী (The Judge, The Arbitrator)
২৮. আল বাসির (البصير) – সর্ব দ্রষ্টা (The All Seeing)
২৯. আস সামীʿ (السميع) – সর্বশ্রোতা (The All Hearing)
৩০. আল মুযিল (المذل) – হতমানকারী (The Giver of Dishonor, The Humiliator)
৩১. আল মুʿইয্ (المعز) – সম্মানদাতা (The Giver of Honor, The Bestower of Honors)
৩২. আল কাবীর (الكبير) – বিরাট, মহৎ (The Greatest)
৩৩. আল ʿআলী (العلي) – অত্যুচ্চ (The Sublime, The Highest)
৩৪. আশ শাকুর (الشكور) – গুণগ্রাহী (The Grateful, The Rewarder of Thankfulness)
৩৫. আল গফুর (الغفور) – ক্ষমাশীল (The Much-Forgiving, The Forgiver and Hider of Faults)
৩৬. আল ʿআজীম (العظيم) – মহিমাময় (The Magnificent)
৩৭. আল হালীম (الحليم) – সহিষ্ণু (The Forbearing, The Indulgent)
৩৮. আল খাবীর (الخبير) – সর্বজ্ঞ (The All Aware)
৩৯. আল মুজিব (المجيب) – প্রার্থনা গ্রহণকারী (The Responsive, The Answerer, The Responder to Prayer)
৪০. আর রাকীব (الرقيب) – নিরীক্ষণকারী (The Watchful One)
৪১. আল কারীম (الكريم) – মহামান্য (The Bountiful, The Generous)
৪২. আল জালীল (الجليل) – প্রতাপশালী (The Majestic, The Mighty)
৪৩. আল হাসীব (الحسيب) – মহাপরীক্ষক (The Bringer of Judgment, The Accounter)
৪৪. আল মুকিত (المقيت) – আহার্য দাতা (The Nourisher)
৪৫. আল হাফীজ (الحفيظ) – মহারক্ষক (The Preserver)
৪৬. আল হাক্ক (الحق) – সত্য (The Truth, The Reality)
৪৭. আশ শাহীদ (الشهيد) – প্রত্যক্ষকারী (The Witness)
৪৮. আল বাইছ (الباعث) – পুনরুত্থানকারী (The Resurrector)
৪৯. আল মাজীদ (المجيد) – গৌরবময় (All-Glorious, The Majestic One)
৫০. আল ওয়াদুদ (الودود) – প্রেমময় (The Loving One)
৫১. আল হাকীম (الحكيم) – বিচক্ষণ (The All-Wise, The Perfectly Wise)
৫২. আল ওয়াসিʿ (الواسع)- সর্বব্যাপী (The Vast, The All-Embracing, The All-Comprehending, The Omnipresent, The Boundless)
৫৩. আল মুবদী (المبدئ)- আদি স্রষ্টা (The Originator, The Producer, The Initiator)
৫৪. আল মুহসী (المحصي) – হিসাবগ্রহণকারী (The Accounter, The Numberer of All, The Appraiser)
৫৫. আল হামিদ (الحميد) – প্রশংসিত (The All Praiseworthy, The Praised One)
৫৬. আল ওয়ালী (الولي) – অভিভাবক (The Friend, Patron and Helper)
৫৭. আল মাতীন (المتين) – দৃঢ়তাসম্পন্ন (The Firm, The Steadfast, The Forceful One)
৫৮. আল কায়ুয়ী (القوي) – শক্তিশালী (The Strong, The Possessor of All Strength)
৫৯. আল ওয়াকীল (الوكيل) – তত্বাবধায়ক (The Trustee, The Dependable, The Advocate)
৬০. আল মাজিদ (المجيد) – মহান (All-Glorious, The Majestic)
৬১. আল ওয়াজিদ (الواجد) – অবধারক (The Perceiver, The Finder, The Unfailing)
৬২. আল কায়্যুম (القيوم) – স্বয়ংস্থিতিশীল (The Subsisting, The Self-Existing One)
৬৩. আল হায়্যু (الحي) – জীবিত (The Living, The Ever Living One)
৬৪. আল মুমীত (المميت) – মরণদাতা (The Bringer of Death, The Taker of Life)
৬৫. আল মুহয়ী (المحيي) – জীবনদাতা (The Giver of Life)
৬৬. আল মুʿঈদ (المعيد) – পুনঃসৃষ্টিকারী (The Restorer, The Reinstater Who Brings Back All)
৬৭. আল আওয়াল (الأول) – অনাদী (The First, The Beginning-less)
৬৮. আল মুʾয়াখখীর (المؤخر) – পশ্চাদবর্তীকারী (The Delayer, He Who Puts Far Away)
৬৯. আল মুকাদ্দিম (المقدم) – অগ্রবর্তীকারী (The Expediter, He Who Brings Forward)
৭০. আল মুকতাদীর (المقتدر) – প্রবল, পরাক্রম (The Creator of All Power)
৭১. আল কাদীর (القادر) – শক্তিশালী (The All-Powerful, He Who is able to do Everything)
৭২. আস সামাদ (الصمد) – অভাবমুক্ত (The Eternal, The Absolute, The Self-Sufficient, The Satisfier of All Needs)
৭৩. আল ওয়াহিদ (الواحد) – একক (The One, The Unique, The All Inclusive, The Indivisible)
৭৪. আত তাওয়াব (التواب) – তওবা গ্রহণকারী (The Ever Returning, Ever Relenting, The Guide to Repentance)
৭৫. আল বার্র (البر) – ন্যায়বান (The Good, The Beneficent, The Doer of Good)
৭৬. আল মুতাʿআলী (المتعالي) – সুউচ্চ (The Supremely Exalted, The Most High, The Supreme One)
৭৭. আল ওয়ালী (الوالي) – কার্য নির্বাহক (The Patron, The Protecting Friend, The Friendly Lord, The Governor)
৭৮. আল বাতিন (الباطن) – গুপ্ত (The Hidden One, The Unmanifest, The Inner)
৭৯. আল জাহির (الظاهر) – প্রকাশ্য (The Manifest One, The Evident, The Outer)
৮০. আল আখির (الأخر) – অনন্ত (The Last, The Endless)
৮১. আল মুকসিত (المقسط) – ন্যায়পরায়ণ (The Requiter, The Equitable One)
৮২. যুল জালাল ওয়ালইকরাম (ذو الجلال والإكرام) – মহিমান্বিত ও মাহাত্ম্যপূর্ণ (The Lord of Majesty and Generosity, The Lord of Majesty and Bounty)
৮৩. মালিকুল মুলক (مالك الملك) – রাজ্যের মালিক (The Owner of all Sovereignty, The Owner of All)
৮৪. আর রাʾউফ (الرؤوف) – কোমল হৃদয় (The Kind, The Pitying, The Clement)
৮৫. আল আʿওউফ (العفو) – ক্ষমাকারী (The Pardoner, The Effacer, The Forgiver)
৮৬.আল মুনতাকীম (المنتقم) – প্রতিশোধ গ্রহণকারী (The Avenger)
৮৭. আল হাদী (الهادي) – পথ প্রদর্শক (The Guide, The Way)
৮৮. আন নাফীʿ (النافع) – কল্যাণকর্তা (The Propitious, The Benefactor, The Source of Good, The Creator of Good)
৮৯. আদ দারর (الضار) – ( তাগুতের) অকল্যাণকর্তা (The Distressor, The Harmer, The Afflictor, The Creator of The Harmful)
৯০. আল মানিʿ (المانع) – প্রতিরোধকারী (The Withholder, The Shielder, The Defender, The Preventer of Harm)
৯১. আল মুগনী (المغني) – অভাবমোচনকারী (The Enricher, The Emancipator)
৯২. আল গানী (الغني) – সম্পদশালী (The Rich One, The Independent)
৯৩. আল জামিʿ (الجامع) – একত্রীকরণকারী (The Gatherer, The Unifier)
৯৪. আস সাবুর (الصبور) – ধৈর্যশীল (The Timeless, The Patient One)
৯৫. আল রশীদ (الرشيد) – সত্যদর্শী (The Guide to the Right Path, The Righteous Teacher)
৯৬. আল ওয়ারিছ (الوارث) – উত্তরাধিকারী (The Heir, The Inheritor of All)
৯৭. আল বাকী (الباقي) – চিরস্থায়ী (The Immutable, The Infinite, The Everlasting One)
৯৮. আল বাদীʿ (البديع) – অভিনব সৃষ্টিকারী (The Incomparable, The Unattainable, The Originator)
৯৯. আন নূর (النور) – জ্যোতি (The Light)

14
১. বুক ব্যথা
হার্ট অ্যাটাক হলে সবচেয়ে পরিচিত যে লক্ষণটি দেখা যায় তা হলো, বুক ব্যথা। এছাড়াও বুকে প্রচণ্ড অসুবিধা বোধ হবে। অনেকেই এ ব্যথার সঙ্গে গ্যাস সমস্যাকে গুলিয়ে ফেলেন। এ কারণে বুক ব্যথা হলে সতর্ক হতে হবে। এক্ষেত্রে বুক ব্যথার মাত্রা যদি বেশি হয় তাহলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা যাচাই করতে হবে।
২. বুকে চাপ বোধ হওয়া
বুকে ব্যথার পাশাপাশি যদি প্রচণ্ড চাপ বোধ হয় তাহলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এক্ষেত্রে ৩০ সেকেন্ডের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। অর্থাৎ ৩০ সেকেন্ড ধরে যদি বুকে চাপ অনুভূত হয় এবং প্রচণ্ড অস্বস্তি হয় তাহলে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না, এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
৩. কাঁধে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকে অনেকের বুকের বদলে কাঁধেও ব্যথা হতে পারে। এরপর সে ব্যথা বাহু, ঘাড়, চোয়াল, পেট ও পিঠে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে ব্যথা খুব মারাত্মক হবে এবং রোগী অসুবিধা বোধ করবে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ব্যথা খুব মারাত্মক নাও হতে পারে।
৪. পেটে অস্বস্তি ও জ্বালাপোড়া
পেটে প্রচণ্ড অস্বস্তি ও জ্বালাপোড়াও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। এছাড়া মাথাব্যথা, বমিভাব ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ ধরনের লক্ষণগুলো দেখা গেলে তাই হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে কি না তা দ্রুত পরীক্ষা করতে হবে।
৫. ঘাম ও শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা
গরম পরিবেশ কিংবা ঘেমে যাওয়ার কারণ না থাকা সত্বেও যদি আপনার দেহ ঘামতে থাকে তাহলে হার্ট অ্যাটাক কি না, নিশ্চিত হোন। এছাড়া আরও যে লক্ষণগুলো এর সঙ্গে প্রকাশ পাবে সেগুলো হলো হালকা বোধ হওয়া, বুকে অস্বস্তি ও শ্বাস বন্ধ হয়ে আসা।
৬. অচলাবস্থা
অনেক সময় কোনো নির্দিষ্ট লক্ষণ ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে দেহে অচলাবস্থা দেখা দেবে। এ সময় নড়াচড়া করায় অস্বস্তি হবে এবং শরীর খারাপ বোধ হবে।

15
ACADEMIC PROGRAMS AT DIU / Re: Student Attendance System Guide
« on: September 28, 2016, 11:36:00 AM »
Thanks Sir

Pages: [1] 2 3 ... 6