Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Anuz

Pages: 1 ... 5 6 [7] 8 9 ... 47
91
ক্রিকেট বিশ্বকাপকে ‘বিশ্বকাপ’ হিসেইে স্বীকার করতে চাইতেন না সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়াত এই সাহিত্যিক বলতেন, ১২-১৪ দলের একটা খেলা কী করে বিশ্বকাপ হয়! ভাগ্যিস সুনীল বেঁচে নেই! এবার সেই ক্রিকেট বিশ্বকাপ ছোট হয়ে ১০ দলের খেলা হয়ে গেছে। এই ঘটনা শুনলে তো ক্রিকেট বিশ্বকাপকে টুর্নামেন্ট বলেই মানতে চাইতেন না সুনীল। তবে এই ১০ দলের খেলা বলেই এবার অনন্য এক বিশ্বকাপ দেখতে চলেছি আমরা। গত কয়েক আসর ধরে বিশ্বকাপের যে অনিশ্চয়তা দেখে আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম, সেটা শেষ হতে চলল। লিগভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট এবার সত্যিই খুজে বের করবে ‘সেরা’ দলকে। আর এ জন্যই মানতে হবে যে, এই ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে হতে চলেছে স্মরণকালের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী ক্রিকেট বিশ্বকাপ।

১৯৭৫ সালে ৮টি দলকে নিয়ে শুরু হয়েছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এর মধ্যে ৬টি ছিল আইসিসির পূর্ন সদস্য এবং বাকি দুটি সহযোগী সদস্য দেশ। তখন ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ এত কম ছিল যে, এটাই বেশ বড় আকারের টুর্নামেন্ট বলে বিবেচিত হয়েছিল। তাও কিন্তু সব দল সবার সাথে খেলেনি। ৮ দলকে দুই গ্রুপে ভাগ করে হয়েছিল আয়োজন। ১৯৭৯ সালে ঠিক একই ফরম্যাটে আয়োজিত হয় দ্বিতীয় আসর। সবার সাথে সবার দেখা হলো না। ১৯৮৩ সালের তৃতীয় আসরেও ৮টি দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলল। ১৯৮৭ সালের চতুর্থ আসরেও দেখা গেল একই ঘটনা। ১৯৯২ সালে এসে প্রথম বিশ্বকাপের ফরম্যাট বদলায়।

১৯৯২ বিশ্বকাপকে বলা যায় এবারের বিশ্বকাপের প্রকৃত পূর্বসুরী। সেবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল ৯টি দল। সবার সাথে সবার খেলা হলো। এরপর সেরা চারটি দল সরাসরি খেলল সেমিফাইনাল। সেই সময়ই একটা প্রস্তাবনা ছিল যে, ক্রিকেট যেহেতু কম দেশের খেলা, এই ফরম্যাটটাই ধরে রাখা হোক। কিন্তু ১৯৯৬ সালে আবার ফরম্যাটে পরিবর্তন এলো।

ততদিনে জগমোহন ডালমিয়াদের কল্যাণে ক্রিকেটের গায়ে বিশ্বায়নের বাতাস লেগেছে। ফলে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়ার একটা মন্ত্র নিয়ে ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপের আসর বসলো দক্ষিণ এশিয়ার তিন টেস্ট খেলুড়ে দেশে। অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে হলো ১২। দুই গ্রুপে ৬টি করে দল খেললো। ফলে সবার সাথে সবার খেলার যে ধারা ১৯৯২ সালে দেখা গিয়েছিল, সেখান থেকে আবার সরে এলো বিশ্বকাপ। ১৯৯৬ ও ১৯৯৯ সালে ১২ দলকে নিয়ে দুই গ্রুপের খেলা হলো। এরপর ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে দল বাড়লো আরেও দুটো। ১৪ দল এবার দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেললো।

২০০৭ সালে একেবারে আনকোরা, মোড়কভাঙা এক পদ্ধতির বিশ্বকাপ দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব। ১৬ দলের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজে। এবার ৪টি গ্রুপে অনুষ্ঠিত হলো খেলা। প্রত্যেক গ্রুপের সেরা দুই দল গেল পরের রাউন্ডে; নাম দেওয়া হলো-সুপার এইট। এই ‘সুপার এইট’-এর সব দল সবার সাথে খেললো। এখান থেকে সেরা ৪ দল গেল সেমিফাইনালে। সেটা ছিল ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিশ্বকাপ। বিশ্বায়নের পর্বে যারা ছিলেন, তারা বললেন, এটাই বিশ্বকাপের সেরা মডেল। কিন্তু এই মডেল থেকে সরে এলো আইসিসি।

২০১১ সালে আবারও সেই ২০০৩ সালের ফরম্যাটে ফিরে গেল উপমহাদেশের বিশ্বকাপ। ১৪ দল দুই গ্রুপে অংশ নিলো। তবে এবার বাড়তি হিসেবে যোগ হলো কোয়ার্টার ফাইনাল। ২০১৫ সালে, মানে সর্বশেষ আসরটিতেও হলো এই একই ধরনের বিশ্বকাপ। কিন্তু ২০১৯ সালের জন্য আইসিসি হঠাৎ করে দলসংখ্যা কমিয়ে একেবারে নব্বই দশকের শুরুতে চলে গেল। আর ফরম্যাটও করা হলো রবিন লিগ পদ্ধতির।

এখন ক্রিকেট বিশ্ব এই বিশ্বকাপ নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত। এক দল মনে করেন, ক্রিকেটের মতো স্বল্প বিস্তৃত খেলার জন্য এটাই আদর্শ ফরম্যাট। কারণ, এখানে সবার সাথে সবার খেলা বলে অঘটন ঘটার সম্ভাবনা কম। ফলে সত্যিকারের সেরা চারটি দলই সেমিফাইনালে যাবে।

আবার ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যারা কথা বলেন, তারা বলেন, ক্রিকেটের সৌন্দর্যটাই এই ফরম্যাটের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। অঘটন ঘটার সম্ভাবনা শেষ করে দেওয়াতে একটা আয়ারল্যান্ড বা জিম্বাবুয়ের উত্থান দেখা কঠিন হয়ে গেছে বিশ্বকাপে। ২০০৭ বা ২০১১ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড যেভাবে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল পাকিস্তান বা ইংল্যান্ডকে হারিয়ে, সেটা এবার আর দেখা যাবে না। শুধু আয়ারল্যান্ড কেন, জিম্বাবুয়ের মতো ক্রিকেটের পুরোনো দলও এবার রয়ে গেল বিশ্বকাপের বাইরে।

শচীন টেন্ডুলকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটার তাই এই ফরম্যাটের সমালোচনা করেছেন। তবে সমালোচনা থাক আর প্রশংসা থাক; এটা মানতেই হবে যে, এই বিশ্বকাপ অন্য যে কোনো আসরের চেয়ে আলাদা হতে চলেছে। সেটা শুধু ফরম্যাটের জন্য, তা নয়। আরেও কিছু বিচারের জায়গা আছে। এবার বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডে অন্যরকম রান উত্সবের একটা বিশ্বকাপ হওয়ার কথা।

ইংল্যান্ডে এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ হচ্ছে। প্রথম তিন বার বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল ইংলিশরা। তখন ইংল্যান্ড থেকে বিশ্বকাপকে বের করার জন্য এশিয়াভিত্তিক একটা রাজনৈতিক সক্রিয়তাও হয়েছিল, যার অংশ হিসেবেই জন্ম নিয়েছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। এরপর আবর্তন নীতিতে বিশ্বকাপ আয়োজিত হতে থাকে। সেই নীতিতে ১৯৯৯ সালে আবারও বিশ্বকাপ হয়েছিল যুক্তরাজ্যে। কিন্তু এই ক্রিকেটের ‘মাতৃভূমিতে’ কখনোই বিশ্বকাপ ঠিক রান উত্সবের আসর হয়ে ওঠেনি। এবার সেটা হওয়ার খুব সম্ভাবনা আছে।

ইতিমধ্যে বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাজ্যে যেসব ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানে পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, বাংলাদেশ রান উত্সব করছে। ফলে বিশ্বকাপেও যে সেটা হবে, তাতে খুব একটা সন্দেহ নেই। ইংল্যান্ড বলতে এক সময় মনে করা হতো বোলারদের খেলা। বিশেষ করে গ্রীষ্মের এই সময়ে সেখানে বল নড়াচড়া করবে, দারুণ সুইং থাকবে; এগুলোই সত্যি ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি আসার পর থেকে সেখানে উইকেটের সেই মজাটা চলে গেছে। এখন ইংল্যান্ডে টেস্টেও ব্যাটসম্যানদের খেলা হয়। ফলে ওয়ানডে এখন সেখানে রীতিমতো বোলারদের বধ্যভূমি।

বিশ্বকাপে ৩০০ রানটাই বিরাট ব্যাপার। কিন্তু এবার বিশ্বকাপে সাড়ে তিনশো নিয়মিত স্কোর হয়ে উঠলেও তাই অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে মজাটা হলো, সবটাই তো আর কিউরেটরের হাতে নেই। কিছুটা প্রকৃতির হাতেও আছে। এই সময়ে মাঝে মাঝেই ইংল্যান্ডের আকাশ ভারী হয়ে উঠবে। মেঘে ঢাকা আকাশে যতই বোলারদের বিরোধী উইকেট হোক, কিছুটা সুইং তো দেখা যাবেই। তাই ব্যাটসম্যানদের পরীক্ষার জন্যই অপেক্ষা করা যাক। অপেক্ষা করা যাক সত্যিই অনন্য এক বিশ্বকাপের জন্য।

92
২০২০ সালের আইফোনে ফেরানো হতে পারে টাচ আইডি। কিন্তু এই প্রযুক্তি থাকছে না আর আগের মতো। আঙ্গুলের ছাপ শনাক্তকারী ফিচারের নাম টাচ আইডি রাখে অ্যাপল। এর মাধ্যমে হোম বাটনে আঙ্গুল রেখে ডিভাইস আনলক, লেনদেন এবং অন্যান্য সংবেদনশীল ডেটা অ্যাকসেস করতে পারেন গ্রাহক।

২০১৭ সালে টাচ আইডি’র বদলে আইফোনে মুখ শনাক্তকারী ফিচার ফেইস আইডি যোগ করে আইফোনের নির্মাতা অ্যাপল। বর্তমানে আইফোন X, Xএস, Xআর এবং তৃতীয় প্রজন্মের আইপ্যাড প্রো’র মূল যাচাই ব্যবস্থা ফেইসআইডি। এবারে অ্যাপলের সাপ্লাই চেইনের কিছু এশিয়ান সরবরাহকারীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বার্কলেইস বিশ্লেষক ব্লেইন কার্টিস দাবি করেছেন নতুন আইফোনে ফেরানো হতে পারে টাচ আইডি-- খবর ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের। কার্টিস এবং তার সহকর্মীদের ধারণা, ২০২০ সালের আইফোনে থাকতে পারে “অ্যাকুয়িস্টিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি যা পুরো পর্দাজুড়ে টাচ আইডির সুবিধা দেবে।” এই প্রযক্তির ফলে পর্দার যেকোনো জায়গায় টাচ করে ডিভাইস আনলক করতে পারবেন ফোনের মালিক।

২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচটি ইন-ডিসপ্লে টাচ আইডি পেটেন্ট আবেদন করেছে অ্যাপল। কিন্তু এখনপর্যন্ত কোনো ডিভাইসে এর ব্যবহার দেখা যায়নি। ২০২০ সালের আইফোনে টাচ আইডি ফেরানোর পাশাপাশি এতে যোগ করা হতে পারে ৫জি নেটওয়ার্ক। এ ছাড়া এতে রাখা হতে পারে ৩ডি সেন্সিং ক্যামেরা। চলতি বছরের আইফোন মডেলেও ৩ডি সেন্সিং ক্যামেরা যোগ করা হতে পারে বলে বাজারে গুজব রয়েছে।

93
টোকিও অলিম্পিককে সামনে রেখে গতির রেকর্ড গড়েছে জাপানের নতুন বুলেট ট্রেন। জেআর সেন্ট্রাল পরিচালিত ট্রেনটি পরীক্ষার সময় গতি তুলেছে ঘন্টায় ৩৬০ কিলোমিটার। নতুন এই ট্রেনের নাম বলা হচ্ছে এন৭০০এস। এখানে ‘এস’ বলতে বোঝানো হচ্ছে ‘সুপার’। প্রায় এক দশকে এবারই প্রথম বুলেট ট্রেনের নতুন মডেলে আনা হলো জাপানের ব্যস্ততম লাইনটিতে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বুলেট ট্রেনের বর্তমান নকশার চেয়ে নতুন মডেলটি হালকা এবং কম শক্তি খরচ করে। এছাড়া ভূমিকম্পের আঘাত থেকে বাঁচতে এতে রাখা হয়েছে বিশেষ সুরক্ষা ব্যবস্থা। জেআর সেন্ট্রালের পক্ষ থেকে বলা হয়, শুক্রবার মাইবারা এবং কিয়োটোর রাস্তায় এই রেকর্ড গড়ে নতুন ট্রেনটি।

বলা হচ্ছে, কোনো বাণিজ্যিক ট্রেনের ক্ষেত্রে এটি সর্বোচ্চ গতির রেকর্ড। যদিও নতুন ট্রেনটি যাত্রা শুরু করলে ওই পথের বর্তমান সর্বোচ্চ অনুমোদিত গতি ২৮৫ কিলোমিটারেই চালানো হবে এটি। ১৯৬৪ টোকিও অলিম্পিকের সময়ই জাপানে প্রথম চালু হয় বুলেট ট্রেন। এরপর থেকেই নির্ভরতা এবং সুরক্ষার জন্য খ্যাতি নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে ট্রেনগুলো।

94
বিশ্বের সেরা প্রযুক্তির স্মার্টফোন ‘অ্যাপল’ ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। অত্যাধুনিক সিকিউরিটি সিস্টেমের এই ফোন থেকেও এখন তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে অ্যাপস ট্র্যাকাররা। জনপ্রিয় ‘আইএসও’ অ্যাপসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য তাদের অজান্তেই ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আইফোন নিরীক্ষণের সফটওয়্যার পর্যবেক্ষণের পর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটি ৫ হাজার ৪০০’র বেশি অ্যাপ ট্র্যাকারস ডিভাইস থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে পাঠানোর খবর জানতে পেরেছে।

এই অ্যাপসের মাধ্যমে একটি বিস্তৃত গন্তব্যের মধ্য থেকে ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যেমন- আইফোন ব্যবহারকারীর ই-মেইল, ফোন নাম্বার, আইপি অ্যাড্রেস এবং ব্যবহারকারীর সুনির্দিষ্ট ঠিকানা ইত্যাদি। অ্যাপ ট্র্যাকাররা রাতে এসব কাজ করে থাকেন। যখন এসব ডিভাইস ব্যবহারকারীরা ঘুমিয়ে থাকেন, বা স্মার্টফোনে কোনো কাজ করছেন না এরকম সময়।

এক্ষেত্রে তারা বিশেষ সুবিধা পায় অ্যাপলের ‘ব্যাকরাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ’ ফিচারে। যে অ্যাপসটি ব্যবহার করলে তথ্য বিনিময় করার অনুমতি দেয় ফিচারটি, প্রাথমিকভাবে এটি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে যে তারা অ্যাপে পুনরায় ফিরে যেতে চাইলে ‘আপ টু ডেট’ তথ্য ফিরে পাবেন। যদিও আইফোন ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করতে সাধারণত এটি ব্যবহার করার কথা জানানো হয়েছে। তবে, অ্যাপসের এই প্রক্রিয়াটিতে ব্যবহারকারীরা পুরোপুরিভাবে সক্রিয় হওয়ার পর তারা সেটি বন্ধ করে দেয়। এবং অ্যাপে সংযুক্ত তথ্য ব্যবহার করে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তৃতীয় পক্ষের ট্র্যাকিং কোম্পানিগুলোর কাছে হস্তান্তর করে ট্র্যাকাররা। যেমন অ্যাম্পলিউড, অ্যাপবয় এবং ডেমডেক্স এ ধরনের কাজগুলো করে থাকে। এ পর্যন্ত তৃতীয় পক্ষের এসব কোম্পানির কাছে ১.৫ গিগাবাইট ডাটা সংরক্ষিত এবং শেয়ার করা হয়েছে।

95
হিয়ারিং এইড থেকে দূরে থাকতে চকোলেট খান। শ্রবণশক্তি অটুট থাকবে দীর্ঘদিন। অবাক হচ্ছেন! এমনটাই দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের একদল চিকিৎসক, গবেষকের। জেনে নিন কী বলছেন গবেষকরা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শ্রবণশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসা একটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে ইদানীং নানা কারণে অকালেই অনেকের শ্রবণশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই অকালে হিয়ারিং এইডের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তবে মাঝ বয়সেই হিয়ারিং এইডের এর উপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে না চাইলে চকোলেট খান। জি ২৪ ঘন্টা

৩৫৭৫ জন মাঝবয়সী মহিলা এবং পুরুষকে নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার পর দেখা গিয়েছে, ৪০ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে যাঁরা চকোলেট খান তাঁদের শ্রবণশক্তি বাকিদের তুলনায় প্রখর। চকোলেটে থাকা মূল উপাদান কোকো। আর এই কোকোয় রয়েছে ‘পলিফেনলস’ নামের এক বিশেষ ধরনের রাসায়নিক। এই গবেষকদের দাবি, ‘পলিফেনলস’-এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা শ্রবণশক্তি দীর্ঘদিন অটুট রাখতে সাহায্য করে।

শ্রবণশক্তি দীর্ঘদিন অটুট রাখার ক্ষেত্রে ‘পলিফেনলস’-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। তাই হিয়ারিং এড থেকে দূরে থাকতে চকোলেট খান, শ্রবণশক্তি অটুট থাকবে দীর্ঘদিন। সম্পাদনায়: কায়কোবাদ মিলন

96
বাতের ব্যথা, প্রচুর চুল ঝরে যাওয়া বা ওজন কিছুতেই কমছে না। এমন সমস্যায় হাতের কাছে দারচিনি থাকলে চিন্তার কিছুই নেই শুধু বাতের ব্যথা বা ওজন ঝরাতেই নয়, দারচিনির সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়ে এমন একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করা যায় অবিশ্বাস্য কম সময়ে! তাই মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়ার আগে একবার দেখে নিন দারচিনির ছয়টি আশ্চর্য স্বাস্থ্যগুণ।

১. একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণ মিলেছে, মধু দারচিনির জল খেতে পারলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাতের ব্যথা কমে যায়। এর জন্য ১ গ্লাস গরম জলের সঙ্গে ২ চামচ মধু আর ১ চামচ দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে খেয়ে নিন। এই দ্রবন সকালে ঘুম থেকে উঠে আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত খেতে পারলে দেখবেন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাতের ব্যথা অনেকটাই কমে গিয়েছে।

২. এক গ্লাস উষ্ণ জলের সঙ্গে ২ চামচ মধু আর ১ চামচ দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে রোজ সকালে খেয়ে নিন। এই দ্রবন মুখের দুর্গন্ধ কাটাতে অত্যন্ত কার্যকর!

৩. অনেক চেষ্টার পরও ওজন কিছুতেই কমছে না? শরীরের বাড়তি ওজন কমাতেও মধু-দারচিনির মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকর! একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণ মিলেছে, দারচিনি আর মধু দ্রুত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। রোজ ১ চামচ দারচিনির গুঁড়ো আর ২ চামচ মধু মধু দিয়ে ফোটানো এক গ্লাস জল খালিপেটে খেয়ে নিন। এটি দ্রুত ওজন কমাতে অত্যন্ত কার্যকর!

৪. প্রচুর চুল ঝরে যাচ্ছে? তাহলে অলিভ অয়েলের সঙ্গে ১ চামচ মধু আর ১ চামচ দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে ঘন পেষ্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট চুলের ফাঁকা জায়গায় লাগান (যেখান থেকে চুল পড়ে গিয়েছে সেখানে)। এই পেস্ট দিয়ে চুলের গোড়ায় অন্তত ১৫ মিনিট মালিশ করুন। তার পর উষ্ণ জল দিয়ে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিতে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন চুলের যত্ন নিতে পারলে চুল ঝরার সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে, একই সঙ্গে গজাবে নতুন চুলও।

৫. উর্দ্ধমুখী কোলেস্টরল নিয়ে চিন্তিত? এক কাপ চায়ের (দুধ, চিনি ছাড়া) সঙ্গে ২ চামচ মধু আর ৩ চামচ দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে দেখুন। এই চা রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমেয়ে দিতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকর!

৬. আমাদের হৃদযন্ত্র সুস্থ্য রাখতে দারচিনি আর মধুর জলের কোনও বিকল্প নেই! রোজ সকালে এক গ্লাস জলের সঙ্গে ২ চামচ মধু আর ১ চামচ দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে ওই জল খেতে পারলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

97
রমজান মাসে রোজা রাখতে গিয়ে আমাদের সাধারণত প্রায় ১৫ ঘণ্টা পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। আর এই সময় পানির চাহিদা প্রধান হয়ে ওঠে। তবে কিছু খাবার আছে যা খেলে পানির চাহিদা অনেকটা পূরণ হয়ে যায়। আমরা যদি ইফতারের পর এসব খাবার খাই তা হলে সারাদিন পানির পিপাসা তুলনামূলক কম লাগবে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে-

তরমুজ
তরমুজে রয়েছে ৯৩ শতাংশ পানি। রমজান মাসে ইফতারের সময় তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এতে মিনারেল, লবণ ও প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে। শুধু তাই নয়, তরমুজ ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়ামসহ আরও অনেক ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে।

শসা
শসাতে রয়েছে ৯৬.৭ শতাংশ পানি। তাই সালাদ, শসার জুস অথবা খাবারের সঙ্গে শসা খেতে পারেন। এক কাপ শসা এক গ্লাস পানির সমান।
শসা শরীরে পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করে থাকে। কারণ শসাতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে ও পটাশিয়াম।

মুলা
মুলা অনেকেই অপছন্দ করে থাকেন। কিন্তু মুলায় রয়েছে ৯৫ শতাংশ পানি। মুলায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটেচিন ও রিবোফ্লাভিন, যা প্রোটিন, চর্বি ও কার্বোহাইড্রেটকে ভাঙতে এবং দেহে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।

টমেটো

টমেটোয় রয়েছে ৯৪.৫ শতাংশ পানি। এতে আছে ভিটামিন, মিনারেল, কারোটিনসাইড, আলফা ও বিটা ক্যারোটিন। টমেটো সালাদ, স্যান্ডউইচে খেতে পারেন।

ধুন্দুল
ধুন্দুলে রয়েছে ৯৫ শতাংশ পানি। আর এই সময় বাজারে এই সবজিটি বেশি দেখা যায়। ধুন্দুল শরীর হাইড্রেটেড করে। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

98
অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগের কারণ। তাই সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। গরমে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরে। তাই এ সময় বেশি বেশি পানি পান করা জরুরি। গরমে ঘাম হয় বেশি, শরীর ক্লান্ত ও পানি শূন্য হয়ে যায় সহজেই। তাই সুস্থ থাকতে হলে পানি পান করতে হবে।

তবে আপনি জানেন কি কিছু পানি রয়েছে যা আপনার ওজন কমাবে। তাই গরমে সুস্থ থাকতে ও ওজন কমাতে এসব পানীয় খেতে পারেন। ওজন কমানোর জন্য সেই পানীয়টি হচ্ছে জিরাপানি। এই জিরাপানি শুধু ওজন কমায় না, এটি অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

আসুন জেনে নিই এই পানীয় থেকে আরও যে উপকার পেতে পারি।

১. গরমে প্রায়ই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। জিরাপানি তৈরি করতে যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হয়, তা হজমের সমস্যা দূর করবে।

২. বুক জ্বালা, অম্বল, গা গোলানো, বমি বমি ভাব দূর হয় এই এক গ্লাস জিরাপানিতে।

৪. ক্যানসার আক্রান্তরা রেডিয়েশন থেরাপি নিয়ে থাকেন। এসব রোগীর জন্য খুবই উপকারি হচ্ছে এই পানীয়।

৫. কনস্টিপেশনের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস জিরাপানি পান করলে উপকার পাবেন।

৬. ওজন কমাতে চাইলে খেতে পারেন জিরাপানি।

আসুন জেনে নেই কীভাবে বানাবেন জিরাপানি

শুকনো কড়াইয়ে জিরে ভেজে নিন। মিহি করে গুঁড়ো করে নিন ভাজা জিরে। ব্লেন্ডারে ঠাণ্ডা পানি, জিরে গুঁড়ো, পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, আদা গুঁড়ো, বিটনুন, তেঁতুলের ক্বাত্থ, লেবুর রস, সামান্য চিনি ও বরফ দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে পরিবেশন করুন।

99
থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে সাধারণত দুই ধরনের সমস্যা দেখা যায়– গঠনগত ও কার্যগত। গঠনগত সমস্যায় থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায় যেটাকে গয়টার বলা হয়। কার্যগত সমস্যা দুই রকমের, যথা হাইপারথাইরয়ডিজম ও হাইপোথাইরয়ডিজম। হাইপারথাইরয়ডিজমে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড বেশি মাত্রায় সক্রিয় হয়ে পড়ে ও হাইপোথাইরয়ডিজমে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড কাজ করে না। হাইপোথাইরয়ডিজমের কারণে অবসাদগ্রস্ত, অলসতা, ঘুম ঘুম ভাব, ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, পা অল্প ফুলে যায়, ক্ষুধামান্দ্য শুরু হয়, চুলপড়া শুরু করে, ওজন বেড়ে যায়, স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়, কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, রক্তচাপসহ বিভিন্ন সমস্য দেখা দেয়। হাইপারথাইরয়ডিজম সমস্যা হলে  ক্ষুধা বেড়ে গেলেও ওজন কমতে থাকে, প্রচণ্ড গরম লাগে, বুক ধড়ফড় করে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দেয়, ত্বক কালো হয়ে যায়, হার্টের সমস্যা হতে পারে, হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়, চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসে, বন্ধ্যত্ব হতে পারে।

থাইরয়েডের সমস্যা হলে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হোন। প্রথমে ওষুধ সেবন করুন। ওষুধে সুস্থ না হলে অস্ত্রোপচার করতে হবে। সমস্যার শুরুতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন, চিকিৎসা নিন, ভালো থাকুন।

100
যেকোন ধরণের হেপাটাইটিস ভাইরাসের প্রকোপই অত্যন্ত বিপজ্জনক ও প্রাণঘাতী । মোট পাঁচ ধরণের হেপাটাইসিস ভাইরাস আছে। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই। অনেকের হয়তো জানা নেই, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হেপাটাইটিসের প্রকোপ বাড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’-এর তথ্য অনুযায়ী, বিগত ২৩ বছরে হেপাটাইটিস ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যুর ঘটনা ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পৃথিবীর প্রায় ৩ কোটি মানুষ প্রতি বছর হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত হচ্ছেন। হু-এর মতে, সারা বিশ্বে ২০০ কোটির বেশি মানুষ হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত এবং ৪০ কোটির বেশি মানুষ এই রোগের জীবাণু অজান্তেই বহন করে চলেছেন।

হেপাটাইটিস ভাইরাসের সংক্রমণে লিভার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সময়মতো চিকিৎসা না করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ কারণে হেপাটাইসিসের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত। হেপাটাইসিস প্রতিরোধে যেসব বিষয় অনুসরণ করা জরুরি-

১. কখনও কাটা ফল খাওয়া ঠিক নয়।খেতে ইচ্ছে করলে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ফল কাটিয়ে তবেই খান।

২. রাস্তার খাবার-দাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন। রাস্তার পাশের মশলাদার, তেলেভাজা জাতীয় অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।

৩. রাস্তা ঘাটে বেরিয়ে পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে সঙ্গে পানি নিয়ে বের হওয়া ভাল। পানি শেষ হয়ে বোতলজাত পানি পান করুন। 

৪. অন্যের ব্যবহার করা চিরুনি, দাড়ি কাটার সরঞ্জাম, আইলাইনার, লিপস্টিক, কানের দুল বা ওই জাতীয় কিছু ব্যবহার করা ঠিক নয়।

৫. দাড়ি কাটার সরঞ্জাম নিরাপদে পরিচ্ছন্ন জায়গায় সরিয়ে রাখুন।

৬. বাড়িতে পানি ফুটিয়ে খান।

৭. এক বছর বয়স থেকেই শিশুদের হেপাটাইটিসের প্রতিষেধক বা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

101
দ্রুত বদলাচ্ছে তাপমাত্রা। গরমের মাত্রা এখনও অনেক। বাইরে বের হলেই ঘামে ভিজে একেবারে গোসল হয়ে যায়। অনেকেই রোদ থেকে ঘরে ফিরেই শান্তি পেতে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল সেরে নেন। এতে আরাম পাওয়া গেলেও কিছু দিন পরই জ্বর সর্দি কাশিতে ভুগতে শুরু করবেন আপনি। তাই গরমে যখন তখন গোসলের আগে সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসকেরা বলছেন গরমের সময় শরীরে তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন জ্বর, সর্দি-কাশি ডেকে আনে। তীব্র রোদ থেকে হঠাৎ এসিতে যাওয়া অথবা রোদ থেকে ফিরেই গায়ে ঠাণ্ডা পানি দেয়া শরীরের তাপমাত্রার পরিবর্তন করে। এর ফলে বুকে কফ জমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার সহজেই ভাইরাস জ্বর হতে পারে।যে কোনো তাপমাত্রাতেই শরীরকে অভ্যস্ত করাতে হবে। এসিতে ঢুকে অন্তত ১৫ সেকেন্ড শ্বাস বন্ধ রাখুন। রোদ থেকে ফিরে কখনই সাথে সাথে গায়ে ঠান্ডা পানি দেবেন না। শরীরকে ঘরের তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা করুন। ফ্যানের বাতাসে গায়ের ঘাম শুকিয়ে গেলে গোসলে যান।

শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে খুব সহজেই ঠাণ্ডা লেগে যায়। খেয়াল রাখুন, যাতে প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে যথেষ্ট পরিমানে ভিটামিন ডি থাকে। মুখ থেকে নিজের হাত দূরে রাখুন। কারণ, হাত থেকেই নানা জীবাণু শরীরে ঢোকে। নিজের মোবাইল ফোনটি দিনে এক বার ডিসইনফেকট্যান্ট দিয়ে অবশ্যই পরিষ্কার করুন। শরীরে যথেষ্ট পরিমানে জিঙ্কের প্রয়োজন থাকলে বেশি করে জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। প্রোবায়োটিক-যুক্ত খাবার খেলে ফ্লু কমানো সহজ হয়। তাই টক দই রাখুন প্রতিদিনের খাবারে। জ্বরে আক্রান্ত হলে সারা দিনে অন্তত চার লিটার পানি খান। শুধু পানি খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই, স্যুপ বা ডাল জাতীয় তরলেও ভাল কাজ দেয়। নিজে কিনে কাফ সিরাপ খাবেন না ভুলেও। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

102
Body Fitness / কম ঘুমে যেসব বিপদ...
« on: May 30, 2019, 09:53:53 AM »
প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুমানো জরুরী। এর চেয়ে কম ঘুম হলে শারীরবৃত্তীয় ও মানসিক সমস্যা হতে পারে। আসুন, দেখে নিই, কম ঘুমের কারণে কি ধরনের জটিল সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

১। বিষণ্নতা :
কম ঘুমোচ্ছেন অথচ শরীর তো সুস্থই আছে। কিন্তু কাজে সবসময় মন বসছে না। হাজারো আবোলতাবোল কথা বনবন করে পাক খাচ্ছে মাথার মধ্যে। কোনো কিছুর প্রতি ইচ্ছাশক্তি কমে যাচ্ছে । এরপরেও বলবেন আপনি সুস্থ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম ঘুম সবচেয়ে আগে প্রভাব ফেলে মনে। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে কম ঘুমের ফলে ডিপ্রেশন বা বিষণ্তায় ডুবে যেতে পারেন আপনি।

২। ত্বকের  বয়স বৃদ্ধি :
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বেড়ে যায় ত্বকের বয়স। ঘুম ঠিকমত না হলে কর্টিসল নামের হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এটি নষ্ট করে দেয় ত্বকের কোলাজেনকে। এদিকে কোলাজেনের কাজ হল ত্বকের টানটান বাঁধন ধরে রাখা। তাই কোলাজেন গেল তো ত্বকের যৌবনও গেল। শুধু তাই নয়, চোখের নীচে কালি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডার্ক সার্কেলে'র সংখ্যাও বেড়ে যাবে।

৩। ইচ্ছা হ্রাস :
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কম ঘুমের ফলে শরীরে সেক্স হরমোনের ক্ষরণ কমতে থাকে। শুধু তাই নয় , কমে যায় উত্তেজনা সৃষ্টিকারী হরমোন। এটি কমিয়ে দেয় সেক্স করার ইচ্ছাও। রিল্যাক্স করার সময়ই যদি না মেলে তবে সেক্সের ইচ্ছাই বা আসবে কী করে? ফলে যখন সত্যি সেক্সের প্রয়োজন, তখন আগ্ৰহই মিলবে না কিছুতেই।

৪। হৃদরোগ :
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, কম ঘুম বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের সম্ভাবনা। কম ঘুম হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনে ব্যাঘাত ঘটায়। দীর্ঘদিন কম সময় ঘুমোলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা তো কম নয়ই বরং হার্ট ফেইলিওরও হতে পারে। এ ছাড়াও ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস এর মত বিপজ্জনক রোগগুলোও চিরসঙ্গীর মতো আপনার শরীর বাসা বাঁধবে।

৫।স্থূলতা :
লোকে বলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মোটা হচ্ছে। অথচ কম ঘুমোনো সত্ত্বেও আপনি আগের তুলনায় মোটা হয়ে যাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এর জন্য দায়ী পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। পর্যাপ্ত না ঘুমোলে খিদে বেশি পায়, এমনটাও দেখা গেছে বিভিন্ন গবেষণায়। বেশি খাচ্ছেন অথচ কম ঘুমের জন্য বিএমআর রেট সঠিক নয়। ফলে শরীরে জমছে অতিরিক্ত ফ্যাট যা স্থূলতার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

৬। ভুলে যাওয়ার প্রবণতা :
মস্তিস্কের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিশ্রামও দরকার। নয়তো সে ধীরে ধীরে হারাতে থাকে বিভিন্ন ভাগের শক্তিগুলো। ঘুম পর্যাপ্ত না হলে মস্তিস্কের স্মৃতির অংশটি দুর্বল হতে থাকে যা ভুলিয়ে দিতে থাকে আপনার অতি প্রয়োজনীয় ঘটনা বা কথাগুলোও।

৭। দুর্ঘটনার প্রবণতা বাড়ায় :
কম ঘুমের ফলে মস্তিস্ক ঠিকঠাক নির্দেশ দেওয়া-নেওয়া করতে পারে না। ফলে যা করতে চান, তা না হয়ে অন্য একটা ভুল কাজ হয়ে যায়। এই সমস্যা অত্যন্ত বিপদের। যেমন রাস্তায় বেরিয়ে ঠিকঠাক গাড়ি চালাতে গেলেও মস্তিস্কের ভুলের জন্য হয়ে যেতে পারে বড়সড় ভুল। কম ঘুমিয়ে হয়তো অনেক কাজ সেরে ফেলা যায়। কিন্তু তাতে শরীরের প্রতি অন্যায় করা হয়। শরীর ঠিক না থাকলে কাজগুলোই বা তখন হবে কী করে। তাই সবার আগে নজর দিন নিজের শরীরে।

103
শুক্রবার আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে রোমাঞ্চকর রান তাড়ায় মাশরাফি বিন মর্তুজার দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে ৫ উইকেটে। এর মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপার স্বাদ পেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে জয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে ক্রিকেট দলকে সরকার প্রধানের অভিনন্দন জানানোর খবর সাংবাদিকদের দেওয়া হয়।

অভাবনীয় ব্যাটিং ঝড়ে রেকর্ড গড়া অপরাজিত ফিফটিতে দলকে জিতিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। কঠিন রান তাড়ায় বাংলাদেশের উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়ে জয়ের আরেক নায়ক সৌম্য সরকার। বৃষ্টিবৃঘ্নিত ম্যাচে জয়ের জন্য ২৪ ওভারে ২১০ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। ডাবলিনে শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ওভার ১ বলে বিনা উইকেটে ১৩১ রান করার পর নেমেছিল বৃষ্টি। পরে ম্যাচ নেমে আসে ২৪ ওভারে। রান তুলেছে তারা ১ উইকেটে ১৫২। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে নির্ধারিত হয়েছে বাংলাদেশের লক্ষ্য।

মোসাদ্দেকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সাত বল বাকি থাকতেই বহু কাঙিক্ষত জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ দল।

104
অনেকেই লিভার ও কিডনির সমস্যায় ভুগতে থাকেন। কিন্তু রোগের লক্ষণ বুঝতে না পেরে চিকিৎসকের কাছে যেতে অনেক সময় দেরি করে ফেলেন। এতে সমস্যা আরও জটিল হয়ে পড়ে। চিকিৎসকদের মতে, আমাদের হাত-পায়ের নখ মাঝে মধ্যেই কঠিন রোগের ইঙ্গিত দিতে থাকে। তবে অনেক সময়ই সেই উপসর্গগুলোকে আমরা এড়িয়ে চলি।

চিকিৎসকেরা বলছেন, হঠাৎ যদি দেখেন আপনার হাতের, পায়ের নখের রং হলুদ হয়ে পড়ছে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার লিভার ও কিডনির সমস্যা হয়েছে। এরকম অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ দরকার। নখের ওপর সাদা সাদা ছোপ থাকলে পেটের সমস্যা হতে পারে আপনার। দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস, অম্বলে ভুগলে নখে এই ধরণের ছাপ হতে পারে। নখের রং কালচে বা নীলচে হয়ে পড়লে সাধারণত, ফুসফুসের সমস্যার লক্ষণ। এই সমস্যা হলে এ ধরনের উপসর্গ দেখা যায়।

নখ ভঙ্গুর হয়ে পড়লে সাধারণ আর্থারাইটিস হওয়ার লক্ষণ। অনেক সময় ফাঙ্গাল ইনফেকশনের জন্যও এরকম ঘটতে পারে।নখের চারপাশ থেকে চামড়া উঠলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব রয়েছে। কিংবা ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণেও ঘটতে পারে এই সমস্যা।

105
এই প্রচণ্ড গরমে অনেকেই ধোঁয়া ওঠা চায়ের চেয়ে ঠান্ডা কিছু দিয়ে গলা ভেজাতে ভালবাসেন। আর সে ক্ষেত্রে কচি ডাবের জল যেন অমৃত! এই গরমের তীব্র দাবদাহে ডাবের জলের মতো শান্তি ও তৃপ্তি বোধহয় আর কিছুতেই নেই! তবে শুধু তেষ্টা মেটাতেই নয়, গরমে শরীর ভাল রাখতেও ডাবের জল অত্যন্ত উপকারী। আসুন প্রচণ্ড গরমে ডাবের জল খাওয়ার কয়েকটি আশ্চর্য সুফল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...

১) প্রচণ্ড গরমে শরীরে ঘামের সঙ্গে অনেকটা জল বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। একই সঙ্গে ডি-হাইড্রেশনের সমস্যাও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। শরীরকে ডি-হাইড্রেশনের হাত থেকে বাঁচাতে ডাবের জল অত্যন্ত উপকারী। ডাবের জলে থাকা কার্বোহাইড্রেড শরীরে শক্তির ঘাটতিও পূরণ করে।

২) গরমের তীব্র দাবদাহে রক্তচাপ মারাত্মক বেড়ে যেতে পারে! অনেকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে অনেকটা জল বেরিয়ে যাওয়ায় রক্তচাপ অস্বাভাবিক ভাবে কমে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডাবের জল অত্যন্ত কার্যকরী! ডাবের জলে থাকা ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম আর পটাশায়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৩) গরমে কচি ডাবের জল শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি শরীরে পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

৪) ডাবের জলে যেহুতু চিনি খুব কম পরিমাণে থাকে, তাই সহজেই ওজন কমাতে সাহায্য করে। ফাইবারে ভরপুর ডাবের জল খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে।

৫) ডাবের জল রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই এই গরমে ডায়াবিটিক রোগীদর জন্য ডাবের জল খুবই উপকারী!

Pages: 1 ... 5 6 [7] 8 9 ... 47