Daffodil International University
Faculty of Engineering => Textile Engineering => Topic started by: Reza. on June 12, 2018, 09:30:52 PM
-
আমাদের দেশ গার্মেন্টস শিল্পে প্রথম সারির দেশ। আমাদের গার্মেন্টস আমেরিকা, কানাডা সহ ইউরোপিয়ান দেশ গুলোতে রপ্তানী হচ্ছে। ১০০% শিক্ষিত এই সব দেশ কোয়ালিটির ব্যাপারে সচেতন। তারা নিশ্চয়ই কোন ভাবেই অর্থ দিয়ে ঠকতে চাইবে না। এছাড়াও তারা কর্ম পরিবেশ, নিরাপত্তা ও শ্রমিক অধিকার নিয়ে অনেক শর্ত আরোপ করে। তার পরেও আমরা এই শিল্পে অনবদ্য। সেই হিসেবে আমরা কত অসাধ্য সাধন করতেছি তা কি আমরা জানি?
ভাবতে অবাক লাগে যে আমাদের গার্মেন্টস পড়ে পৃথিবীর প্রথম সারির সব দেশ। সেইখানে আমরা নিজেদের পোশাক বাদ দিয়ে ভীন দেশী নিম্নমানের জামাকাপড় ক্রয় করি। ঈদ, বিয়ে সহ যে কোন উৎসবে এই সব বিদেশী পরিধেয় আমাদের চাইই। মেয়েদের ও মহিলাদের জামা কাপড়ের বাজারের পুরোটাই বিদেশীদের হাতে। এর জন্য স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলকে অনেকটাই দায়ী করা যেতে পারে।
ছোটবেলায় দেখতাম মহিলাদের প্রায় সবাই শাড়ি পড়তেন। সেই সময়ও বিদেশী শাড়ি অনেক বেশী ক্রয় বিক্রয় হত আমাদের দেশে। যদিও বেশীর ভাগ শাড়িই চোরাচালানির মাধ্যমে আমাদের দেশে আসতো। মহিলারাই বলতেন শাড়ি গুলোর ডিজাইন ও রঙে আকর্ষণ থাকলেও সে গুলোর কাপড় ছিল নিম্নমানের। বেশী দিন টিকতো না। অপরপক্ষে দেশী শাড়ি গুলোর কাপড়ের কোয়ালিটি অনেক ভাল থাকতো ও টিকতও বেশী দিন।
আমরা কতটুকু সচেতন আমাদের নিজেদের স্বার্থের ব্যাপারে? আমার মতে - আমরা স্বার্থ বোঝা দূরে থাক - নিরবুদ্ধিতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছি প্রতি পদক্ষেপে।
আমাদের এক্সপোর্ট মার্কেট বা রপ্তানী বাজারে গার্মেন্টস রপ্তানি করে যা আয় করি - আমাদের ডোমেস্টিক মার্কেট বা আভ্যন্তরীণ বাজার তার থেকে কম কিছু নয়।
আমাদের ফেসবুকে ভাইরাল হয় দেশী কোন দোকান কত কম দামে জিনিষ ক্রয় করে কত বেশী দামে বিক্রয় করে সেই খবর। কিন্তু আমার পর্যবেক্ষণ মতে বিদেশী পণ্যের খুটিনাটির খবর করলে এর থেকে বেশী চমকে দেয়া তথ্য বের হয়ে আসবে।
এছাড়াও এর বাইরে আছে পণ্য গুলোর ট্যাক্স ও ভ্যাট। এই ক্ষেত্রেও বিদেশী পণ্য গুলো কতটুকু ন্যায়ের পথে থাকে - তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
আমরা যে সব থেকে ভাল কোয়ালিটির পোশাক তৈরি করি তা আমাদের রপতানীর পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায়। আমরা কেন বিদেশী পোশাক ব্যাবহার করব? - এইটা কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি?
-
ভেবে দেখলাম আমাদের ডোমেস্টিক মার্কেট বা আভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ে আমাদের উদাসীনতাই এর জন্য দায়ী। আমরা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পোশাকের রপ্তানী বাজারে নিজেদের স্থান করে নিয়েছি। একই ভাবে মনযোগী হয়ে আমাদের ডোমেস্টিক বাজারে আমরা স্থান করে নিতে পারি। এরসাথে সাধারণ মানুষের মন্মানুশিকতারও পরিবর্তন আনতে হবে। বিশেষতঃ মেয়েদের।
-
আমাদের দেশেও এখন অনেক ক্রেতা আছেন। আমরা ঢাকা কলেজের মার্কেটে বা অন্যান্য মার্কেটে এক্সপোর্টের আইটেম খুজি। কিনিও। ছেলেদের মানসম্মত দেশীয় পোশাক পাওয়া যায়। কিন্তু তার পুরোটাই রপ্তানিকে টার্গেট করেই তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের মেয়েদের পোশাকের ডোমেস্টিক বা দেশীয় বাজার পুরোটাই বিদেশীদের দখলে। ১. আমরা নিট কাপড়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও ওভেন কাপড়ে অনেক পিছিয়ে আছি। ২. জেন্টস বা ছেলেদের পোশাক কিছু পাওয়া গেলেও মেয়েদের পোশাকের পুরোটাই বিদেশীদের দখলে। অথচ আমাদের দেশীয় ইন্টারনাল মার্কেটে ব্যাবসার পরিমাণ রপ্তানীর মার্কেটের তুলনায় কম নয়।
এইখানে কালচারের কিছু ব্যাপার আছে। ইউরোপিয়ান বা আমেরিকান মহিলারা যে রকম পোশাক পড়েন আমাদের দেশের মহিলারা সেই রকম ডিজাইনের পোশাক পড়েন না। তাদের ক্ষেত্রে নিট পোশাক অনেক বড় জায়গা দখল করে রেখেছে। অপরপক্ষে আমাদের দেশের মহিলারা অনেক রঙের ও ভিন্ন ডিজাইনের ওভেন পোশাক পড়েন।
আমাদের দেশে কিছু ইন্ডাস্ট্রি মহিলাদের পোশাক তৈরি করেন। একেবারেই কুটির শিল্পের পর্যায়ে। মহিলাদের বিদেশী পোশাকের ব্যাপারে আমার পর্যবেক্ষণ হল সেগুলো রঙ বা ডিজাইনে যতটা সুন্দর তাদের ফ্যাব্রিক বা কাপড়ের মানে ততটা নয়। আমাদের দেশে তৈরি মেয়েদের পোশাক পিছিয়ে আছে রঙ ও ডিজাইনের জন্য। তবে সেগুলোও বেশ মান সম্মত। এর বাইরে আমাদের বিদেশী জিনিসের প্রতি দুর্বোধ্য আকর্ষণকে দায়ী করা চলে।
বিদেশী চ্যানেল আমরা কেন দেখি? আমাদের দেশের চ্যানেল গুলো কি দেখার মত নয়? আমরা এইগুলোর উত্তর জানি। ফেসবুকেও লিখি এই চ্যানেল গুলোর অপকারিতা নিয়ে। ফেসবুকে লিখে বা তাতে লাইক দিয়ে আবারও ওই সব বিদেশী চ্যানেল দেখতে বসে যাই। এইটার সাথে আমাদের বিদেশী পোশাকের ব্যাবহারের ব্যাখ্যা নিহিত আছে। আমাদের বিদেশী পোশাকের প্রতি আগ্রহ কেন তার উত্তরের একটি অংশ - উপরের উদাহরনে আছে।
-
Nice writting...
-
Thank you.
-
NICE
-
Thank you.
-
Very good, sir....
-
our mind set need to be changed regarding this matter
-
That is the main point.
-
Good write up Sir... thanks for sharing
-
Thank you.
-
:)