Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - syful_islam

Pages: 1 2 [3] 4
31

অধুনা প্রতিবেদক
২৯ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৩৬
আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০১৮, ০৯:৩৮
প্রিন্ট সংস্করণ ৪
ঢ্যাঁড়স নাকি করলা

শাকসবজি খেলে আমাদের শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনি পুষ্টিচাহিদাও পূরণ করে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নানা রকমের সুস্বাদু শাকসবজি থাকা উচিত। ঢ্যাঁড়স ও করলা এমন একটি সবজি যা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। দুটো সবজিই রান্না করতে তুলনামূলক কম সময় লাগে। পুষ্টিগুণে ভরপুর ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ঢ্যাঁরস ও করলা পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ।

ঢ্যাঁড়স

ঢ্যাঁড়সে আঁশ আছে, শরীরের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। একই সঙ্গে শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে রাখে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। রক্তশূন্যতা থাকলে উপকার পাবেন। সবুজ এ সবজিতে রয়েছে হিমোগ্লোবিন, আয়রন ও ভিটামিন কে। এ উপকরণগুলো থাকার কারণে লাল প্লাটিলেট তৈরি করে এবং দুর্বলতা রোধ করে থাকে।Eprothomalo

ঢ্যাঁড়স চুলের জন্য খুব উপকারী। খুশকি ও উকুন রোধ করে। ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করতে বেশ কার্যকর। চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। যাঁদের ওজন বেশি তাঁরা ঢ্যাঁড়স খেতে পারেন। এটি ওজন কমাতে সহায়তা করে। ঢ্যাঁড়সে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম, তাই এটি ডায়েট মেন্যুতে রাখতে পারেন।

যাঁদের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, তাঁরা ঢ্যাঁড়স খেতে পারেন। এতে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হবে। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান।

করলা

করলার তেতো স্বাদের কারণে অনেকে খেতে অপছন্দ করেন। তবে এ সবজিটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। নিয়মিত তিতা করলা খাওয়ার অভ্যাস করলে নানা রকমের রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে পাওয়া যায় প্রচুর পুষ্টি উপাদান যা শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। রক্তের সমস্যা দূর করে।

সকালে করলার রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে খেলে রক্তের দূষিত উপাদান দূর হয়ে যায়। একই সঙ্গে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

করলার রয়েছে এডিনোসিন মনোফসফেট অ্যাকটিভেটেড প্রোটিন কাইনেজ। এটি এনজাইম বৃদ্ধি করে শরীরের কোষগুলোর চিনি গ্রহণের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা নিয়মিত করলার রস খেলে উপকার পাবেন। এর রস শরীরের কোষের ভেতর গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়াও বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের চিনির পরিমাণ কমে যায়। করলায় আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন বা ভিটামিন এ। তাই যাঁদের চোখের সমস্যা আছে, তাঁরা নিয়মিত করলা খেতে পারেন। এতে চোখের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। যাঁরা নিয়মিত করলা খান, তাঁদের সর্দি, কাশি, মৌসুমি জ্বর ও অন্যান্য ছোটখাটো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। এটি একটি রুচিবর্ধক সবজি।
Published on 1st September 2018 in The Daily Prothom Alo

32
 লাইফস্টাইল ডেস্ক ২৯ আগস্ট ২০১৮, ১৮:৩৯ | অনলাইন সংস্করণ
কাঁচা মরিচ , ছবি সংগৃহীত।
কাঁচা মরিচ , ছবি সংগৃহীত।

রান্নার জন্য কাঁচা মরিচের বিকল্প নেই। খাবারের সঙ্গে আবার আলাদা করে গোটা মরিচও চিবিয়ে খান অনেকে। কিন্তু কাঁচা মরিচ দীর্ঘদিন রাখার অনেক সমস্যা। সহজেই শুকিয়ে যায়। ফ্রিজে রাখলে সাময়িক তাজা থাকলেও একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে তা শুকিয়েই নষ্ট হয়ে যায়।

আসুন জেনে নেই কাঁচা মরিচ দীর্ঘদিন তাজা রাখার উপায়।

মরিচের বোঁটা ছিঁড়ে রাখুন

এয়ারটাইট কোনো বক্সে কাঁচা মরিচ রাখুন। রাখার আগে পাত্রের নিচে হালকা নরম কাপড় বিছিয়ে দেবেন। মরিচের বোঁটা ছিঁড়ে রাখুন। এতে সহজে পচে না। এবার বক্সটি অন্য একটি নরম কাপড়ে ঢেকে নিন। বাড়ি থেকে দীর্ঘ দিনের জন্য কোথাও বেড়াতে গেলেও এভাবে রেখে যেতে পারেন কাঁচা মরিচ। এরপর এই পাত্র ফ্রিজেও রাখতে পারেন।

অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল

অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেঁচিয়ে রাখতে পারেন কাঁচা মরিচ। অনেকেই বাড়িতে অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েলে টিফিন প্যাক করেন। তেমন ফয়েলে বোঁটা ছাড়ানো মরিচ রাখুন। দুই প্রান্ত ভালো করে মুড়ে দিন। এরপর ফ্রিজে রেখে দিন। ৫ ঘণ্টা রাখার পর ফ্রিজ থেকে বের করে বায়ুরোধক পাত্রে ঢুকিয়ে ফের রেখে দিন ফ্রিজে। এই উপায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কাঁচা মরিচকে তাজা রাখবে।

দুই সপ্তাহ

চেন টানা ছোট ব্যাগে রাখতে পারেন মরিচ। এক্ষেত্রেও মরিচের বোঁটা ছিঁড়ে নেবেন। ব্যাগটি ফ্রিজে রাখুন। তবে মনে রাখবেন, যে উপায়ই অবলম্বন করুন না কেন, তাতে দুই সপ্তাহের বেশি কাঁচা মরিচ তাজা রাখা যায় না। তাই একবারে দুই সপ্তাহ ধরে খাওয়ার মতো মরিচ কিনুন।
Published on 31st August 2018 in the daily Jugantor.

33

অনলাইন ডেস্ক২৯ আগষ্ট, ২০১৮ ইং ১০:০২ মিঃ
ডিমের খোসার অবাক করা ৬ ব্যবহার!
ডিমের খোসা আমরা বেশিরভাগ সময়ই ফেলে দিয়ে থাকি। কিন্তু না। ডিমের খোসাও আসতে পারে আপনার উপকারে। আশ্চর্য হলেও সত্য এই ফেলনা জিনিসটির কিছু অদ্ভুত ব্যবহার রয়েছে যা আপনার ধারণারও বাইরে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিমের খোসার ৬টি দারুণ ব্যতিক্রমী ব্যবহার!
 
১. ক্যালসিয়ামের বড় একটি উৎস: ডিমের খোসা মানুষ এবং গৃহপালিত প্রাণীর জন্য ক্যালসিয়ামের অনেক বড় একটি উৎস। এটি ভাল করে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে স্টেরিলাইজ করে নিয়ে গুঁড়ো করে নিয়ে ক্যালসিয়ামের সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। গুঁড়ো করা ডিমের খোসা লেবুর রস কিংবা ভিনেগারে মিশিয়ে সালাদের ড্রেসিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং ৯ মাসের বেশি বয়সী গৃহপালিত প্রাণীর খাবারে মিশিয়ে দিন।
 
২. মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি: নিজের বাসায় শখের বাগান থাকলে ডিমের খোসা ময়লার বালতিতে ফেলে না দিয়ে গাছের গোঁড়ায় দিন। চাইলে এটি ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারেন। ডিমের খোসা থেকে মাটি পুষ্টি সঞ্চয় করে। এতে মাটির উর্বরতা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়।
 
৩. বাগানকে পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচায়: শুধু মাটির উর্বরতাই বৃদ্ধিই নয়। পোকামাকড়ের হাত থেকেও বাঁচায় ডিমের খোসা। বাগানের বিভিন্ন স্থানে ডিমের খোসা ছড়িয়ে রাখুন। দেখবেন নানা ধরণের পোকামাকড়ের হাত থেকে গাছ বেঁচে যাবে।
 
৪. ত্বক নরম করতে সাহায্য করে: ডিমের খোসায় লেগে থাকা ডিমের খোসার লিক্যুইড ত্বকের জন্য অনেক বেশি ভালো একটি বিউটি প্রোডাক্ট হিসেবে কাজ করে। আঙুলের মাথায় এই লিক্যুইড লাগিয়ে তা মুখে ঘষে নিন। দেখবেন ত্বক নরম ও কোমল হয়ে উঠেছে।
 
৫. কাপড়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি: ডিমের খোসা সাদা কাপড়কে উজ্জ্বল করতে বেশ সহায়তা করে। একটি কাপড়ে মুড়িয়ে ওয়াশিং মেশিনের ভেতরে ডিমের খোসা দিয়ে ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় ধুয়ে দেখুন। সাধারনের তুলনায় অনেক ভালো কাজ করবে।
 
৬. গাছের চারা অঙ্কুরিত করতে সহায়তা করে: যদি পছন্দের গাছের চারা তোলার মতো ভালো স্থান না পান এবং বাইরের মাটিতে অনেক বেশি ময়েসচার বেশি থাকে তবে ডিমের খোসা ব্যবহার করবেন। একটি ডিমের ওপরের চিকন অংশ সাবধানে খানিকটা ভেঙে ডিম বের করে নিয়ে এতে সামান্য মাটি দিয়ে বীজ দিয়ে দিন। কিছুদিনের মধ্যেই খুব ভাল চারা উঠে যাবে।
 
ইত্তেফাক/বিএএফ

34

রবিউল হক রুদ্র (১৬), সিরাজগঞ্জ

Published: 2018-08-28 13:42:43.0 BdST Updated: 2018-08-28 14:36:52.0 BdST
জীবনযাপন, পরিচ্ছন্নতাবোধ, কর্মস্পৃহা, আত্মসম্মানবোধ শব্দগুলি কঠিন। মান্য করা আরও কঠিন হয়ত। কিন্তু এবার জাপানে বিশ্বকাপ খেলার প্রতিটা ম্যাচ শেষ হবার পর তাদের গ্যালারির সমস্ত ময়লা নিজ হাতে পরিষ্কার করে তারপর মাঠ ত্যাগ করা দেখে আর কাজগুলি খুব কঠিন মনে হচ্ছে না।

হারুক কিংবা জিতুক, খেলা শেষে সমস্ত ময়লা নিজ হাতে পরিষ্কার করে তারপরেই গ্যালারি থেকে বেরিয়ে যায়। সত্যি কথা বলতে ব্যাপারটা দেখে আমি প্রথমে রীতিমত বিস্মিত হয়েছিলাম। কেনই বা হব না? আমাদের দেশে তো আর এমন সুন্দর চর্চা নেই। কিন্তু সে চর্চা আমরা শুরু করতেই পারি। এতে সম্মান বাড়বে বই কমবে না।   

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পারমানবিক বোমা ফেলা হয়েছিলো জাপানে। এতে দেশটি প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এমনকি সেই পারমানবিক বোমার প্রভাব এখন পর্যন্ত জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বিদ্যমান রয়েছে। সেখান থেকে এখনও তেজস্ক্রিয় রশ্মি বিকরিত হয়। যার প্রভাবে সেখানে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হয়। এমনকি জাপানের মাটিও উর্বর নয়। ভূমির ৭০ শতাংশই পাহাড়ি। আর প্রচুর পরিমানে আগ্নেয়গিরি তো আছেই।

জাপানে প্রতি বছর প্রায় ১৫০০ বার ভূমিকম্প হয়। সাথে আছে সুনামির ভয়ও। খনিজ সম্পদ বলতেও তেমন কিছুই নেই। কিন্তু এতো কিছুর পরও দেশটি অর্থনীতিতে পৃথিবীর প্রথম পাঁচ দেশের মধ্যে একটি। ব্যাপারটি কি বিস্মকর নয়?

অন্যদিকে আমাদের নদীমাতৃক দেশের প্রায় বেশিরভাগ ভূমিই উর্বর। সোনা ফলে আমাদের দেশে। আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদও রয়েছে যথেষ্ট। প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লার মতো খনিজ সম্পদও রয়েছে। অথচ এতো কিছু থাকার পরও আমাদের দেশ এখনও উন্নত দেশগুলোর কাতারে দাঁড়াতে পারেনি।

অনেকেই জাপানের উন্নতির পেছনে তাদের আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে বলবেন। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তিই একটি দেশের অগ্রগতির পেছনে মূল ভূমিকা পালন করে না। আমি এটা বলব না যে উন্নত প্রযুক্তির কোনো ভূমিকা নেই একটি দেশের অগ্রগতির পেছনে, কিন্তু একটি দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক অগ্রগতিতে মূল ভূমিকা পালন করে সে দেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন পদ্ধতি, কাজের প্রতি শ্রদ্ধা, দেশ গড়ায় নিজেকে সম্পৃক্ত করার প্রবণতা। যা সে দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবন ধারায় প্রতিফলিত হয়।

প্রথমেই কথা বলা যাক শিক্ষা নিয়ে। আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থা অনুযায়ি একজন চার থেকে ছয় বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে প্রত্যেক বছর তাকে বেশকটি পরীক্ষা দিয়ে পরবর্তী শ্রেণিতে উঠতে হয়। এমনকি দশ বছর বয়সে তাকে পিএসসি পরীক্ষার মতো বড় একটি পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।

অথচ জাপানের শিক্ষার্থীদের দশ বছর বয়স পর্যন্ত কোনো পরীক্ষাই হয় না। এর কারণ হলো জাপানিরা মনে করে লেখা পড়ার মূল উদ্দেশ্য নৈতিক চরিত্র গঠন, পরীক্ষা নেওয়া নয়। তারা শিশুদের দশ বছর বয়স পর্যন্ত শুধু নৈতিক চরিত্র গঠনের শিক্ষাই দেয়।

পেশা নির্বাচনের বিষয়ে বলতে গেলে আমরা জানি, আমাদের দেশে অনেক যুবক বেকার বসে আছেন। এর মূল কারণ আমরা সবাই সরকারি চাকরি কিংবা বেশি বেতনের চাকরির পেছনে ছুটি। প্রায় কেউই নিজের উদ্যোগ্যে কিছু করার কথা ভাবি না। অনেক কাজকেই আমরা নিচু নজরে দেখি। কিন্তু জাপানিরা এটা করে না। ওরা সব কাজকেই সম্মানের চোখে দেখে। জাপানে যারা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করে তাদেরকেও সম্মানের চোখে দেখা হয়। তাদেরকে হেলথ ইঞ্জিনিয়ার বলা হয়। আর তাদের প্রতি মাসের বেতন সাত থেকে আট হাজার ডলার।   

জাপানের মানুষেরা অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছল হয়েও ঘরে কোনো কাজের লোক রাখেন না। তারা নিজের কাজ নিজেই করেন। এদের অগ্রগতির মূলে যে বিষয়টি কাজ করেছে সেটি হলো তাদের কঠোর পরিশ্রম করার ক্ষমতা। তাদের গড় আয়ুও পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৮৩ বছর।

এমনকি জাপানে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা বলে কোনো শব্দ প্রচলিত নেই। সেখানে কর্মরত চাকরিজীবীরা প্রতিদিন এমনিতেই গড়ে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা অতিরিক্ত কাজ করেন। 

জাপানে প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় অতিরিক্ত কাজের চাপ নেওয়ার জন্য। ডায়াগনোসিসে এসমস্ত মানুষদের মৃত্যুর কারন লেখা হয় ‘কারোশি’। অর্থাৎ, ‘অতিরিক্ত কাজের চাপে মৃত্যু’।

তাই শুধু মাত্র জাপানেই কর্মক্ষেত্রে ঘুমিয়ে পড়লে সেটা দোষ হিসেবে দেখা হয় না। এবং কর্মক্ষেত্রে ঘুমিয়ে বিশ্রাম নেবার সম্পূর্ণ অনুমতি রয়েছে। এ নিয়ম চালু করার পেছনে কারণ একটাই, যাতে কাজের চাপে মৃত্যুহার কমানো যায়।

জাপানিদের সময়ের মূল্য দেয়ার ব্যাপারে বিশেষ সুখ্যাতি আছে। তাদের পাবলিক ট্রেইনগুলো বছরে গড়ে দুই সেকেন্ড বিলম্বে আসে। এবং ১৮ সেকেন্ডের বেশি বিলম্ব করে ট্রেইন আসার কোনো নজির আজ পর্যন্ত নেই।

জাপানিরা খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জাতি। তাদের রাস্তাঘাটে যেমন কোনো ময়লা নেই, তেমনি ময়লা ফেলার জন্য কোনো ডাস্টবিনও নেই। তারা ময়লাগুলোকে রিসাইকেল করে। আর যেসব ময়লা রিসাইকেলের অনুপযুক্ত সেগুলোকে ধ্বংস করে ফেলে।

ওখানে শিশুদের স্কুল জীবন থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার শিক্ষা দেওয়া হয়। এবং প্রতিদিন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক ক্লাসের আগে পনেরো মিনিট ধরে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করার কাজ করেন। তারা রাস্তায় সিগারেটের ছাই পর্যন্ত ফেলেন না। যারা ধূমপান করে্ন তারা সাথে সব সময় ছাইদানি নিয়ে চলাফেরা করেন। এবং সিগারেটের ছাই তাতেই ফেলেন।

জাপানে দুই লক্ষ মানুষের মধ্যে একজন মাত্র মানুষ খুন হয়। আর আমাদের দেশের যে কোনো পত্রিকার অর্ধেকটা অংশ ভরে থাকে খুন, মৃত্যু, দুর্ঘটনার খবরে।

সম্প্রতি আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে আন্দোলন হলো। জাপানে সড়ক দুর্ঘটনায় কারো প্রাণ হারালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সেই দেশের আদালত। অথচ আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় কারো প্রাণ গেলে চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি মাত্র তিন থেকে পাঁচ বছরের কারাবাস। 

জাপানের প্রায় সব মানুষের আত্নসম্মানবোধ খুব বেশি। জাপানে কোনো মন্ত্রী নির্বাচিত হবার পর প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হলে তিনি নিজে থেকে পদত্যাগ করেন।

তবে তাদের ভালোর মধ্যে মন্দেরও মিশেল আছে, যেমন থাকে। সেখানে এখন একা থাকার প্রবণতা বাড়ছে। তরুণরা বিয়ে বিমুখ হয়ে পড়ছে। দ্বিতীয় বৃহত্তম মাফিয়া গ্যাং জাপানেই। তারা আত্মহত্যাপ্রবণ। তবে আমরা মন্দটা না নিয়ে ভালোগুলি অনুসরণ করতেই পারি।

সত্যি কথা বলতে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে জাপানের কাছ থেকে। জাপান যদি এতো দুর্যোগ মোকাবেলা করেও সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে। অর্থনীতিতে প্রথম পাঁচ দেশের মধ্যে একটি হতে পারে, তাহলে আমরাও পারব নিশ্চয়।

শুধু প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির একটু পরিবর্তন। 

Inspiring and motivational

35
অনলাইন ডেস্ক
২৭ আগস্ট ২০১৮, ১০:১৬
আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০১৮, ১০:২১
 
টিলার ওপর তৈরি খেতে ধরেছে নজরকাড়া ড্রাগন ফল। পাঁচমাইল, খাগড়াছড়ি। ছবি: নীরব চৌধুরীমে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ড্রাগনগাছে ফল হয়। পাঁচমাইল, খাগড়াছড়ি। ছবি: নীরব চৌধুরীড্রাগন ফল সংগ্রহ করছেন চাষি সমর সিংহ রোয়াজা। পাঁচমাইল, খাগড়াছড়ি। ছবি: নীরব চৌধুরীখেতে সারি সারি ড্রাগন ফলের গাছ। পাঁচমাইল, খাগড়াছড়ি। ছবি: নীরব চৌধুরীড্রাগন ফল সংগ্রহের পর তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। পাঁচমাইল, খাগড়াছড়ি। ছবি: নীরব চৌধুরীগাছ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে ড্রাগন ফল। পাঁচমাইল, খাগড়াছড়ি। ছবি: নীরব চৌধুরীআরও ছবি রূপকথা বা কল্পকাহিনির ড্রাগন নয়, এটা জলজ্যান্ত ফল। হ্যাঁ, ড্রাগন ফলের কথাই বলা হচ্ছে। এটি সুস্বাদু ও লোভনীয় ফল। এটি ভিনদেশি ফল হলেও এখন এ দেশেই মিলছে প্রচুর। জুলাই মাসের শেষ দিকে এটি বাজারে আসতে শুরু করে। এখনো বাজারে পাবেন ড্রাগন ফল। বিদেশি ফল হলেও সুমিষ্ট স্বাদ ও পুষ্টিগুণের জন্য বাংলাদেশেও এখন এই ফলের চাষ হচ্ছে।

ড্রাগন ফল রেড পিটায়া, স্ট্রবেরি পিয়ার, কনডেরেলা প্ল্যান্ট ইত্যাদি নামেও পরিচিত। ড্রাগন ফলের গাছ লতানো, মাংসল, খাঁজকাটা। লোহা, কাঠ বা সিমেন্টের খুঁটি বেয়ে দিব্যি বেড়ে উঠতে পারে। পাকা ফল না ধুয়ে পাঁচ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে ভালো রাখা যায়। সচরাচর অন্তত চার রকমের ফল দেখা যায়—লাল বাকল, লাল শাঁস; হলুদ বাকল, সাদা শাঁস; লাল বাকল, সাদা শাঁস; লাল বাকল ও নীলচে লাল শাঁস। রঙের ভিন্নতা অনুযায়ী স্বাদের ক্ষেত্রেও তারতম্য লক্ষ করা যায়। শাঁসের ভেতর ছোট ছোট অজস্র কালো বীজ থাকে।

ড্রাগন ফলের গাছ চিরসবুজ ক্যাকটাস। ফুল লম্বাটে সাদা এবং অনেকটা নাইট কুইনের মতো দেখতে। ড্রাগন ফলের অনেক ভেষজ ও ঔষধি গুণ আছে। জেনে নিন কয়েকটি গুণের কথা:Eprothomalo

কোলস্টেরল কমায়
এ ফল কোলস্টেরল কমিয়ে হৃদ্‌যন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য এটি ভালো উপায়। এর বীজে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা সুস্থ থাকতে কাজে লাগে। ফলের খোসা খুব পাতলা। ফলে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, খনিজ লবণ ও আঁশ থাকে। বহুমূত্র, রক্তচাপ ও শরীরের স্থূলতা কমায়। লাল রঙের ফল থেকে চমৎকার প্রাকৃতিক রং পাওয়া যায়। এই রং শরবত তৈরিতেও ব্যবহার্য। শুকনো ফলও ভক্ষ্য এবং তা কাঁচা ফলের মতোই উপকারী।

ফাইবার বেশি
ড্রাগন ফলে প্রচুর ফাইবার বা তন্তু থাকে। যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি খেলে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা করোনারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমে। ড্রাগন ফল ডায়েটারি ফাইবারের ভালো উৎস। এটি রক্তচাপ কমাতে ও ওজন কমাতে কার্যকর। ড্রাগন ফলের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
ড্রাগন ফলে প্রচুর ফাইটোনিয়ট্রিয়েন্ট থাকে, যা শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জোগাতে পারে। শরীরে ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিকেলসের বিরুদ্ধে লড়তে এটি দারুণ কার্যকর। তাই ক্যানসার বা ত্বকের ক্ষতি ঠেকাতে ড্রাগন ফল খেতে পারেন।

পটাশিয়ামের উৎস
ড্রাগন ফলে প্রচুর প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান থাকে। বিশেষ করে হাড়ের জন্য দরকারি পটাশিয়াম আর ক্যালসিয়ামের দারুণ উৎস এটি। শরীরের স্নায়ুতন্ত্র ঠিক রাখতেও এর ভূমিকা রয়েছে। জাপানের সিগা ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সায়েন্সেসের গবেষণা অনুযায়ী, ডায়াবেটিস রোগীদের পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার হার্ট ও কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ভিটামিন সি
ড্রাগন ফল ভিটামিন সির দারুণ উৎস। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ড্রাগন ফল আয়রনের ভালো উৎস। এটি দাঁত মজবুত করে এবং ত্বক সতেজ রাখে। প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ লবণযুক্ত এই ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এ ছাড়া অ্যাজমা-ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধ করে, মানসিক অবসাদ দূর করে এবং ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
Published on 27th August 2018 in daily the Prothom Alo

36
Faculty Sections / লবণের ভালো মন্দ দিক
« on: August 27, 2018, 09:56:23 AM »
ডা. সঞ্চিতা বর্মন
১৯ আগষ্ট, ২০১৮ ইং ০৮:৪৩ মিঃ
লবণের ভালো মন্দ দিক
 
খাবারে লবণ অতি জরুরি একটি অংশ। বেশি দিলেও যেমন খাওয়া যায় না, কম বা না দিলও খাবারযোগ্য থাকে না। তেমনি লবণ বেশি খেলে, কম বা না খেলেও শরীরের ক্ষতি হতে পারে। লবণের ভালো-মন্দ দুইটি দিক রয়েছে।
 
লবণ নার্ভ সেলের কার্যকলাপের জন্য খুবই জরুরি। লো ব্লাড প্রেসারের জন্য উপকারী, মাংসপেশি ব্যথা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়াও সর্দি কমানো, সাইনাসের কনজেশন ভাব দূর করতে লবণ সাহায্য করে। শুকনো কাশির সময় মুখে সামান্য লবণ রাখলে ঘন ঘন কাশির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
 
লবণ এক ধরনের স্ট্রেস ফুড। এটি সিমপ্যাথেটিক নার্ভ সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে যা স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ায়। ঘাম বেশি হয়ে লবণ শরীরে পানি ধরে রাখে। তাই লবণ বেশি খেলে হাই ব্লাড প্রেসারের আশঙ্কা থাকে। খাবারে বাড়তি লবণ খাওয়ার ফলে পাকস্থলীর আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ধীরে ধীরে পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয়। লবণ হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নেয়, শরীর থেকে বর্জ্য বের হবার কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। এর জন্য ইউরিক এসিড বৃদ্ধি, বাতের সমস্যা দেখা যায়।
 
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দৈনিক ৪-৫ গ্রামের বেশি লবণ খায় তাদের এ সমস্যা বেশি হয়। তাই প্রতি ১.৫-২ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া যাবে না। রান্নার সময় যতটা প্রয়োজন ততটা লবণ ব্যবহার করতে হবে। খাবার টেবিলে বারবার লবণদানী থেকে কাঁচা লবণ নিয়ে খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে। যেসব খাবারে লবণ বেশি থাকে যেমন- আচার, প্যাকেটজাত স্যুপ, পনীরের বার্গার বা স্যান্ডউইচ, আলুচিপ, পপকর্ন এসব খাওয়া কমাতে হবে। ডিজেনারেটিভ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে লবণ খাওয়া একেবারেই বাদ দিতে হবে।
 
লেখক : ত্বক, লেজার অ্যান্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ
Published in the Daily Ittefaq on 27th August 2018

37
লাইফস্টাইল ডেস্ক ২৮ জুলাই ২০১৮, ১৯:২০ | অনলাইন সংস্করণ
ঘরে পোকামাকড়ের উপদ্রব খু্বই বিরক্তিকর। আর তা যদি হয় তেলাপোকা, তাহলে তো কথাই নেই। এটি শুধু বিরক্তিকরই নয়, নানারকম অসুখের কারণও। বাজারে তেলাপোকা দূর করার জন্য নানা স্প্রে নানা ঔষধ পাওয়া যায়। কিন্তু সবসময় এই স্প্রে বা ঔষধ কাজ করে না।

তবে তেলাপোকা তাড়ানোর জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে।খুব সহজে দূর হবে ঘরের তেলাপোকা।

আসুন জেনে নেই কীভাবে তাড়াবেন ঘরের তেলাপোকা।

তেজপাতা

তেজপাতা তেলাপোকা দূর করতে সাহায্য করে। কয়েকটা তেজপাতা গুঁড়া করে নিন। যেসকল স্থানে তেলাপোকা আসতে পারে সেখানে তেজপাতার গুঁড়া রেখে দিন। তেলাপোকা তেজপাতার গন্ধ সহ্য করতে পারে না। এটি তেলপোকা মারবে না কিন্তু তেলপোকাকে ঘর থেকে দূরে রাখবে।

বেকিং সোডা ও চিনি

সমপরিমাণে বেকিং সোডা এবং চিনি মিশিয়ে নিন। এবার যেসব ঘরে তেলাপোকা আনা গোনা সেখানে ছিটিয়ে দিন। তেলাপোকা এটি খাওয়ার সাথে সাথে মারা যাবে।

শসা

শসা তেলাপোকা দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী। একটি অ্যালুমিনিয়াম ক্যানে শসার কিছু খোসা নিন। এবার এই ক্যানটি তেলপোকা আসার স্থানে রেখে দিন। দেখবেন তেলাপোকা উপদ্রব বন্ধ হয়ে গেছে। শসার খোসা অ্যালুমিনিয়ামের সাথে বিক্রিয়া ঘটিয়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে থাকে। যা তেলাপোকার মৃত্যু ত্বরান্বিত করে থাকে।

প্রেট্রোলিয়াম জেলি

একটি জারে প্রেট্রোলিয়াম জেলি নিন। এবার এতে কিছু ফলের খোসা যেমন আম, কলা, আপেল রেখে দিন। ঘরের যে জায়গা দিয়ে তেলাপোকা প্রবেশ করে সেখানে এই জারটি রেখে দিন। ফলের খোসার গন্ধ তেলাপোকাকে আকৃষ্ট করবে আবার প্রেট্রোলিয়াম জেলী তেলাপোকাকে জারের ভিতরে ঢুকতে বাঁধা দিবে। তেলাপোকা যখন জারের চারপাশে এসে জমে যাবে তখন স্প্রে বা সাবান পানি ছিটিয়ে দিন। দেখবেন তেলাপোকা এক নিমিষে দূর হয়ে গেছে।

গোল মরিচের গুঁড়া

একটি মগে এক লিটার পানি নিন এবং এতে একটি রসুনের কোয়া, একটি পেঁয়াজের পেস্ট এবং এক টেবিল চামচ গোল মরিচের গুঁড়া দিয়ে মিশিয়ে নিন। এবার এটি স্প্রে করে দিন সারা বাড়িতে বা যেসব জায়গায় তেলাপোকা বেশি আসে। দেখবেন তেলাপোকা আপনার বাসা থেকে দূর হয়ে গেছে।
Disclaimer: Information provided has not been verified.

38
যুগান্তর ডেস্ক ২২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আধুনিক জীবনে অসুখের শেষ নেই। সে অসুখ সারাতে হাজারও ওষুধ। সারাদিনে মনে করে নিয়ম মেনে ওষুধ খাওয়ার চক্করের যেন শেষ নেই!

তবে যদি রোগ প্রতিরোধের উপায় আরও বাড়ানো যায়, তা হলে অসুখ-বিসুখের হাত থেকে খানিক রেহাই পাওয়া সম্ভব। আমাদের চারপাশেই কিন্তু রয়েছে এমন এক প্রাকৃতিক উপাদান যা আপনাকে রাখবে সুস্থ।

জীবনের বেশির ভাগ নাছোড় অসুখের সঙ্গে লড়ে যাওয়ার শক্তি জোগাবে। হুইটগ্রাস বা গমের কচি চারার রস এমনই এক বস্তু। ভরপুর গুণের এ গমের চারার রস বানানো খুব একটা কঠিন নয়।
গমের কচি চারা জোগাড় করুন। চারাগুলো দুই ফালি করে নিন। ভালো করে ধুয়ে জুসারে পুরুন। বাড়তি কিছুই মেশাবেন না। এ রস ফ্রিজে জমিয়ে রাখতে পারেন। উপকার পেতে প্রতিদিন খালি পেটে পান করুন এ রস। আনন্দবাজার পত্রিকা।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক উপাদান থেকে পাওয়া নানা প্রতিরোধকে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। গম চারার রস মানেই সতেজ ক্লোরোফিল। আর এটি সবুজ গাছ ছাড়া অন্য কিছুতেই পাওয়া সম্ভব নয়। নানা খনিজ পদার্থসমৃদ্ধ এ প্রাকৃতিক ঘাসে আছে ভিটামিন এ, সি, ই, বি কমপ্লেক্স ও কে। এছাড়া প্রোটিন ও ১৭ ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে এ চারায়। প্রতি ২৮ গ্রাম রসে রয়েছে ১ গ্রাম প্রোটিন। ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, আলসার, কানের জ্বালাপোড়া, ত্বকের পুনর্গঠন ইত্যাদির চিকিৎসায় ক্লোরোফিল বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

এ রসের ৭০-৭৫ ভাগই হল বিশুদ্ধ ক্লোরোফিল। ক্লোরোফিলে রয়েছে অনেক উপকারী উৎসেচক। এগুলো কোষের সুপার অক্সাইড র‌্যাডিকেলগুলোকে ধ্বংস করতে পারে। ফলে বার্ধক্যজনিত ছাপ শরীরে সহজে বাসা বাঁধতে পারে না। ক্লোরোফিল প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়ালও। শরীরের ভেতরে ও বাইরে তা অপকারী ব্যাক্টেরিয়া নির্মূল করে।

ক্লোরোফিল তৈরি হয় আলোর মাধ্যমে। আলোর ভেতরের শক্তিও এর মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। গমের চারার ক্লোরোফিল সরাসরি মানবদেহে মিশে যায়।

এখনও পর্যন্ত এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। শরীরে জমে থাকা নানা ওষুধের ক্ষতিকারক অবশিষ্টাংশও নির্মূল করতে পারে। এ চারাগমের ঘাসের রস হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিসের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিডনিকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এটি। সাইনোসাইটিস চিকিৎসায় ক্লোরোফিল বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। হাড়ের সমস্যায় কাজ করে এ রস। এতে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম আছে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য তাড়াতে পারে গমের ঘাসের জুস।
Disclaimer: Information provided has not been verified.

39
 অনলাইন ডেস্ক
১১ জুলাই ২০১৮, ১৩:০৭ | অনলাইন সংস্করণ

ঠালের গন্ধ নিতে পারেন না এমন অনেকেই আছেন। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন, যারা আবার কাঁঠালের বিচি খেতে খুব পছন্দ করেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, কাঁঠালের বিচিতে বেশি কিছু পুষ্টিকর উপাদান উপস্থিত যা দেহে শক্তির ঘাটতি দূর করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ত্বককে সুন্দর করে তোলার পাশাপাশি শরীরকে সার্বিকভাবে চাঙ্গা করে তোলে।

চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক কাঁঠালের বিচির আটটি বিশেষ গুণ...

 
কোষ্ঠকাঠিণ্যের প্রকোপ কমায়
কাঁঠালের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার উপস্থিত যা শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের প্রকোপ প্রতিরোধ করে। সেই সঙ্গে কোলোনের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। তাই যাদের প্রতিদিন সকালে বেজায় কষ্ট পোহাতে হয়, তাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কাঁঠালের বিচি অন্তর্ভুক্ত করা জুরুরি।

প্রোটিনের ঘাটতি মেটায়
শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে নিয়মিত কাঁঠালের বিচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁঠালের বিচিতে উপস্থিত প্রোটিন দেহের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পেশী গঠনের কাজ করে। এছাড়া মেটাবলিজম রেট বাড়াতেও এর কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।

সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে
বর্ষাকালে নানাবিধ সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে কাঁঠালের বিচি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এতে উপস্থিত একাধিক অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এলিমেন্ট জীবাণুদের দূরে রাখার মধ্য দিয়ে নানাবিধ খাদ্য ও পানি জাতীয় রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এছাড়া অল্প সময়ে ফর্সা ত্বক পেতে কাঁঠালের বিচির পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।

হজমশক্তি বাজায়
পরিমাণ মতো কাঁঠালের বিচি নিয়ে প্রথমে কিছুটা সময় রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর সেগুলো বেটে নিয়ে গুঁড়ো করে ফেলুন। এই গুঁড়ো পাউডারটি খেলে নিমেষে বদ-হজম ও গ্যাসের মতো সমস্যা কমে যায়।

মানসিক চাপ কমায়
কাঁঠালের বিচি মানসিক চাপ কমাতে সক্ষম। আসলে এতে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন ও অন্যান্য উপকারি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস যেমন- জিঙ্ক, আয়রন, ক্যালসিয়াম, কপার, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম উপস্থিত, যা মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্য ঠিক রাখার মধ্য দিয়ে স্ট্রেস কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে
কাঁঠালের বিচিতে উপস্থিত ভিটামিন এ, দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি একাধিক চোখ সম্পর্কিত সমস্যাকে দূরে করে।

ত্বকের বয়স কমে
খাতায় কলমে বয়স বাড়ালেও ত্বককে যদি আজীবন তরতাজা ও সুন্দর রাখতে চান, তাহলে আজ থেকেই ব্যবহার শুরু করুন কাঁঠালের বিচি। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো বিচি নিয়ে প্রথমে গুঁড়ো করে নিন। তারপর সেটি অল্প পরিমাণ দুধের সঙ্গে মিশে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি প্রতিদিন মুখে লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়। চাইলে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য আরও বৃদ্ধি পায়।

রক্তশূন্যতার প্রকোপ কমে
অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীর মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু। গবেষণায় দেখা গেছে, এই রোগের বিষয়ে সচেতনতার অভাব, ঠিক মতো খেতে না পাওয়া দায়ী। কাঁঠালের বিচিতে প্রচুর মাত্রায় আয়রন উপস্থিত, যা খুব অল্প দিনেই রক্তাস্বল্পতার মতো কঠিন সমস্যা দূর করতে পারে।
Disclaimer: Information provided has not been verified.

40
 লাইফস্টাইল ডেস্ক ১৫ জুলাই ২০১৮, ১৯:২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কলা খেয়ে খোসাটা ফেলেই দেন সবাই। মজার ব্যাপার হলো কলার খোসার খাওয়া যায় এটা আমরা অনেকেই জানি না।কলার খোসার রয়েছে অনেক উপকারিতা। যা জানলে আর কখনোই খোসা ফেলে দিতে চাইবেন না!

কলার খোসা কেন খাবেন?

কলার খোসায় রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান, অ্যান্টি-বায়োটিক প্রপাটিজ, ফাইবার এবং একাধিক পুষ্টিকর উপাদান যা শরীরের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেইসঙ্গে নানাবিধ সংক্রমণ এবং পেটের রোগকেও দূরে রাখে।

আসুন জেনে নেই কলার খোসা কেন খাবেন?

ব্রণের প্রকোপ

নিয়মিত কলার খোসা খাওয়ার পাশাপাশি যদি কম করে পাঁচ মিনিট খোসাটা সারা মুখে ঘষা যায়, তাহলে একদিকে যেমন ব্রণের প্রকোপ কমতে শুরু করবে। এছাড়া ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে চোখে পরার মতো।

দাঁতের হলুদ ভাব

নিয়মিত কলার খোসা খাওয়া শুরু করলে দাঁতের হলুদ ভাব কেটে যেতে সময় লাগে না। সেইসঙ্গে মুখ গহ্বরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে যে মুখগহ্বর সম্পর্কিত কোনো রোগই মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না।

অবসাদের প্রকোপ

কলার খোসায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় সেরোটনিন, যা নিমেষে মন ভালো করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সম্প্রতি তাইওয়ান ইউনিভার্সিটির তত্ত্বাবধানে হওয়া একটা গবেষণা অনুসারে টানা তিন দিনে যদি ২টি করে কলার খোসা খেলে শরীরে সেরোটনিনের মাত্রা প্রায় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ফলে অবসাদের প্রকোপ কমতে শুরু করে।
অ্যানিমিয়ার শরীরে যাতে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা হ্রাস না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখে কলার খোসা। ফলে অ্যানিমিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

ওজন কমায়

ফাইবার শুধু কোলেস্টেরল কমায় না। সেই সঙ্গে ওজন হ্রাসেও সাহায্য করে। আসলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরে পেট অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভর্তি থাকে। ফলে বেশি মাত্রায় খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যারা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। এইভাবে কলার খোসা ওজন কমাতে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।

অনিদ্রা

ট্রাইপটোফেন নামে এক ধরনের রাসায়নিক থাকে কলার খোসায়, যা ঘুম আসতে সাহায্য় করে। তাই তো যারা অনিদ্রার শিকার, তারা আজ থেকেই কলার খোসা খোয়া খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

ছানি প্রতিরোধ

কলার খোসায় রয়েছে লুটিন নামে একটি উপাদান, যা দৃষ্টি শক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ছানি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

যেকোনো ধরনের যন্ত্রণা কমাতে

যেকোনো ধরনের যন্ত্রণা কমাতে কলার খোসার বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই প্রকৃতিক উপদানাটির অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, শরীরে প্রবেশ করার পর যন্ত্রণা কমে যেতে সময় লাগে না। যন্ত্রণার জায়গায় কম করে ৩০ মিনিট কলার খোসা ঘষলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়।
Disclaimer: Information provided has not been verified.

41
লাইফস্টাইল ডেস্ক ০৮ জুলাই ২০১৮, ১৮:৫১ | অনলাইন সংস্করণ
রতিদিন সকালে গরম পানিতে হলুদ গুলিয়ে খেলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাবেন আপনি।তবে শুধু পানির সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেতে কোনো সমস্যা হলে স্বাদের জন্য মেশাতে পারেন সামান্য লবণ, লেবু ও মধু। তবে মনে রাখবেন আসল গুণ কিন্তু হলুদের।

আসুন জেনে নেই হলুদ কমাবে যেসব রোগের ঝুঁকি।

হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া

হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াকে বাধাহীন রাখতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। ধমনীকে অবাধ রাখে হলুদ। ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে।

ক্যান্সার

নিয়মিত হলুদের পানি সেবনে ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমে।

মস্তিষ্কের ধূসর কোষ

মস্তিষ্কের ধূসর কোষগুলিকে সরল রাখতেও সাহায্য করে প্রতিদিন এই পানীয় সেবন। হলুদে যে কারকিউমিন থাকে, তা অ্যালঝাইমারের মতো রোগকে প্রতিরোধ করে।

সুন্দর ত্বক

ত্বকের জৌলুসে হলুদের ব্যবহার অতি প্রাচীন। নিয়মিত গরম জলে হলুদ মিশিয়ে পান করলে তার মধ্যস্থ অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলি ত্বকের জৌলুসকে স্থায়ী করে।

হাঁটু, কনুই

হাঁটু, কনুই বা অন্যান্য জয়েন্টে প্রদাহ, জ্বালা ভাব বা বাতের মতো অসুখকে প্রতিহত করে গরম জলে হলুদের মিশ্রণ।

ওজন কমায়

খালি পেটে এই পানীয় সেবন ওজন কমায়। হলুদের কারকিউমিন অ্যাডিপোজ টিস্যুতে মেদ জমতে বাধা দেয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

শরীরে সুগার লেভেল ঠিক রাখতেও পান করুন এই মিশ্রণ। এছাড়া পানিতে হলুদের মিশ্রণ পান করলে সারা দিনের মতো হজমের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকা সম্ভব। এছাড়া এই পাণীয় নিশ্চিত ভাবে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
Disclaimer: Information provided has not been verified by initiator.

42
জিমেইলে পাঠানো ব্যক্তিগত ই-মেইল বিভিন্ন সময় তৃতীয় কোনো ব্যক্তি পড়ে থাকে বলে নিশ্চিত করেছে গুগল। থার্ড পার্টি অ্যাপ ডেভেলপাররা এসব ব্যক্তিগত ই-মেইল পড়ে থাকে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব ব্যক্তি তাদের অ্যাকাউন্টে থার্ড পার্টি অ্যাপ ডেভেলপারদের অ্যাপ যুক্ত করেন তারাই এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। ব্যবহারকারীরা নিজেদের অজান্তে থার্ড পার্টি অ্যাপ ডেভেলপারদের ই-মেইলে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়ে থাকেন।

একটি বেসরকারি কোম্পানি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলে, এটি খুবই সাধারণ ঘটনা। বিষয়টিকে ‘গোপনীয় নোংরা’ হিসেবে উল্লেখ করেন তারা।

গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ডেভেলপাররা ই-মেইলে প্রবেশ করলেও তা নিয়ে ব্যবহারকারীদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ গুগুলের নীতি মেনেই তারা ব্যক্তিগত ই-মেইলে প্রবেশ করে।

তবে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা গুগলের এ ধরনের নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন। একজন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেন, এটা খুবই অবাক হওয়ার বিষয় যে, গুগল এসব অনুমোদন করেছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় ই-মেইল সেবা জিমেইল। ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন। গুগল বিভিন্ন সময় তৃতীয় পক্ষের অনেক অ্যাপ ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে যুক্ত করার জন্য বলে। যখন এসব সেবা জিমেইলে যুক্ত করা হয় তখন অ্যাপগুলো ই-মেইল পড়া, পাঠানো, মুছে দেওয়া এবং ই-মেইল ব্যবস্থাপনা করার অনুমতি চায়।

বিষয় : জিমেইল

Pl. note that  the information provided is not verified; copied and posted form the Daily Shamokal on 5th July.

43
Departments / Usefulness of Onion
« on: July 05, 2018, 11:47:22 AM »
**
রান্নার অন্যতম প্রধান উপকরন হচ্ছে পেঁয়াজ। এটা শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না খাবারের পুষ্টি মানও বাড়ায়। অনকেরই হয়তো জানা নেই কাঁচা পেঁয়াজেরও জাদুকরী কিছু স্বাস্থ্য গুণ রয়েছে।

এ কাপ কাটা পেঁয়াজে ৬৪ ক্যালরি,১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩ গ্রাম ফাইবার, ২ গ্রাম কোলেস্টেরল,৭ গ্রাম শর্করা, দিনের চাহিদার প্রায় ১০ ভাগ বা তারও বেশি ভিটামিন সি,বি, বি৬ এবং ম্যাগাঙ্গিজ রয়েছে। এছাড়া এতে অল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম,আয়রন,ম্যাগনেশিয়াম,ফসফরাস,পটাশিয়াম, সালফার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।

১.কাঁচা পেঁয়াজ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং শরীর সুস্থ রাখে।

২.এতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৩.পাকস্থলী এবং কলোরেক্টাল কান্সার প্রতিরোধে কাঁচা পেঁয়াজের জুড়ি নেই।

৪. শাকসবজির মতো এতেও ক্রমিয়াম উপাদান আছে যা রক্তচাপ স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।

৫.পেঁয়াজের রস এবং মধু একসঙ্গে খেলে তা জ্বর, ঠান্ডা এবং অ্যালার্জি সারাতে সাহায্য করে।

৬. পেঁয়াজে থাকা ভিটামিন সি ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী।

৭. কাঁচা পেঁয়াজে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের যেকোন ধরনের প্রদাহ সারাতে ভূমিকা রাখে।

৮. প্রতিদিন কাঁচা পেঁয়াজ চিবিয়ে খেলে তা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

সূত্র : এনডিটিভি

**Copied and pasted from the Daily Shamokal on 5th July (online version). Initiator does not bear the responsibility/ authenticity of the information provided.

44
Faculty Sections / Not Oppsing Flattery
« on: July 04, 2018, 04:51:26 PM »
How do you feel about a celebrity who is overpraised or admired/ exaggerated  for a quality/ degree that is not achieved by him, but the admired person does not protest it?
What would you do if he is the boss; humiliate own soul by going against fact?

45
Faculty Sections / Suggestion for Exam Conduction
« on: March 07, 2018, 03:14:07 PM »
At present usually two different questions are distributed in alternate columns, where students writing the same exam sit in a column. This prevents copying side-wise, but cannot do so from one sitting on the front or one behind. Sometime, invigilators sign scripts or get busy with other activities. The situation becomes worse when a single invigilator perform his exam duty. Two persons are assigned in a room, but the presence of only one invigilator physically is not uncommon. In order to maintain proper the quality, avoiding plagiarism in the exam hall is a must.
This can easily be avoided/ minimized by using 4 different question sets in a room, and ensuring that no two students sitting either on front, back or side answer the same question set. In odd no. col. (1, 3, 5..) say a, b, a, b... and in even no. col. (2,4,6.. ) c, d, c, d.. arrangement just takes 2/3 minutes more during dispatching question sets only in the beginning of exam. 

Pages: 1 2 [3] 4