Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Pharmacy => Topic started by: hasanzilani on March 21, 2019, 10:42:45 AM
-
চা একটি জনপ্রিয় পানীয়। হোক সেটা বন্ধুমহলে বা ঘরোয়া আড্ডায়। সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে দিতে চায়ের জুড়ি নেই। চা যদি পানই করতে হয়, তবে গ্রিন টি কেন নয়?
গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা সব দিক থেকে শরীর চাঙা রাখে। এটি রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যানসার প্রতিরোধ করে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বলে প্রচলিত। এ ছাড়া ক্যাটেচিন নামের একটি উপাদান থাকে এই চায়ে, যা ভিটামিন ই এবং সির থেকেও বেশি শক্তিশালী, যা শরীরে একাধিক উপকার করে।
এর মধ্যে গ্রিন টি ওজন কমায়। গ্রিন টি হজমপ্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত ক্যাটেচিন পেটের মেদ ঝরাতে জোরালো ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই অতিরিক্ত ওজন কমাতে নিয়মিত এই চা পান করতে পারেন। ইদানীং ওজন নিয়ন্ত্রণে অনেকেই গ্রিন টিকে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখতে পছন্দ করেন।
তবে সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের ওজন বাড়ে প্রধানত প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বেশি খাবার গ্রহণ ও পরিশ্রমহীন জীবন যাপন করার জন্য। আর ওজন নিয়ন্ত্রণ বা কমে প্রয়োজনীয় বা তার কম ক্যালরি গ্রহণ অথবা ব্যায়াম করলে।
যাহোক, গ্রিন টি সব সময় ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে এক দিনে ২-৩ কাপের বেশি পান করা এবং এর সঙ্গে গুঁড়া দুধ কিংবা চিনি মেশানো উচিত নয়।
আসলেই কি গ্রিন টি দ্রুত ওজন কমাতে কার্যকর?
এক কাপ কফির থেকে এক কাপ গ্রিন টি পান করা বেশি স্বাস্থ্যকর। কফির তুলনায় গ্রিন টিতে ক্যাফেইন কম থাকে, তবু তা শরীরের সতেজতায় যথেষ্ট। আবার বেশি ক্যাফেইন অনেক সময় পানিশূন্য করে ফেলতে পারে। অন্যদিকে, গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, বি, বি৫, ডি, ই, সি, ই, এইচ সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ ও সামান্য ক্যাফেইন।
শরীরে প্রাকৃতিকভাবে তাপ উৎপন্ন হয়, যা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখে। আর এই চা পান করলে শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে থাকে। তাপ বাড়াতে হলে শরীর থেকে ক্যালরি খরচ করতে হয়। আর ক্যালরি পোড়া মানেই তো ওজন কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি শরীরের বিপাকীয় ক্ষমতা বাড়ায়। এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান এই কাজে মুখ্য ভূমিকা রাখে। গ্রিন টি একধরনের হরমোনের পরিমাণ শরীরে বাড়িয়ে তোলে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
যাঁরা গ্রিন টি পান করেন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁদের দ্রুত চর্বি ঝরে। আর যাঁরা ব্যায়াম করেন, কিন্তু গ্রিন টি পান করেন না, তাঁরা এই উপকার থেকে বঞ্চিত হন। আর যাঁরা গ্রিন টি পান করেন, তবে ব্যায়াম করেন না, তাদেরও চর্বি পোড়ে কিন্তু তা কম।
গ্রিন টি পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে পান করলেও সপ্তাহ বা মাস শেষে তা বড় পরিমাণই হয়। তবে যদি ব্যায়াম না করে গ্রিন টি পান করা হয়, এটি তেমন ভালো কাজে দেয় না। ব্যায়াম এবং গ্রিন টি পান একসঙ্গে চালিয়ে গেলে ওজন কমবে দ্রুত হারে।
কখন পান করবেন গ্রিন টি?
সকালের নাশতার পর
সকালের নাশতায় এমন খাবার খাওয়া উচিত, যেন সারা দিন শরীর অনেক ভালো। খালি পেটে গ্রিন টি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। সুতরাং সকালের নাশতায় স্বাস্থ্যকর কোনো খাবার খেতে হবে এবং এরপর গ্রিন টি পান করবেন।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ২ ঘণ্টা আগে
রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে গ্রিন টি ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তবে অনেক সময় তা ঘুম নষ্ট করতে পারে, এ জন্য ঘুমানোর দুই ঘণ্টা আগেই চা পান করতে হবে। এরপরও যদি ঘুমের সমস্যা হয়, তবে তা বাদ দিতে হবে এবং দিনের অন্য সময় তা পান করতে হবে।
ব্যায়াম করার আগে
|ব্যায়াম করার আধা ঘণ্টা আগে গ্রিন টি পান করলে যেমন শরীরের মেটাবলিজম বাড়বে, তেমনি কর্মদক্ষতা বাড়বে। ফলে ওজন এবং মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
খাবার খাওয়ার পরে বা আগে কখন
অনেকেই খাবার খাওয়ার পরপরই চা পান করেন। খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রিন টি পান করা উচিত নয়। খাবার খাওয়ার কমপক্ষে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পরে অথবা আগে গ্রিন টি পান করুন।
কখন গ্রিন টি পান করবেন না
* সকালে খালি পেটে গ্রিন টি পান করবেন না।
* খাওয়ার পরপরই গ্রিন টি পান করবেন না।
* ঘুমের সমস্যা এড়িয়ে যেতে গভীর রাতে গ্রিন টি পান করবেন না।
-
Thank you sir for a nice and informative post :)
-
Thank you for sharing