Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - chhanda

Pages: 1 [2] 3 4 ... 16
16


স্কুল কলেজের গণ্ডি পার হয়ে ইউনিভার্সিটি ভর্তি, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে উন্নিত হওয়া। ২০ বছর বয়সের থেকেই ছেলে মেয়েরা নিজেদের গড়ে তোলার ব্যাপারটি বুঝতে শিখে থাকে। ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে গড়ে নেওয়ার এটিই মোক্ষম সময়। এই সময়ে কিছু বিষয় হয়তো হাতে কলমে শিখিয়ে দেয়া হবে তাদেরকে। কিন্তু জীবনের বেশ কিছু শিক্ষা শিখে নিতে হবে নিজে থেকেই। সফলতা, উন্নতি এবং সঠিকভাবে জীবন যাপনের জন্য নিজেকে গড়ে নেওয়ার দীক্ষা কেউ শিখিয়ে দিতে পারে না। বুঝে নিতে হয় নিজ থেকেই।

১) জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময় আবার পুনরায় ফিরে পাওয়া সম্ভব নয় একেবারেই। সুতরাং সময়গুলোকে গুরুত্ব দিলে পরবর্তীতে তা নিয়ে আর আফসোস থাকবে না।

২) সৌজন্যতাবোধ তখনই বেঁচে থাকবে যদি আপনি তা অন্য কারো প্রতি প্রদর্শন করেন।

৩) প্রেম-ভালোবাসা শুধুমাত্র সময় কাটানোর কোনো বিষয় নয়। এটি জীবনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার।

৪) আপনি নিজের জীবন এবং পৃথিবীটাকে যেভাবে দেখেন অন্য কারো পক্ষে তা দেখা বা ভাবা সম্ভব নয়। সুতরাং অন্য কারো কাছ থেকে নিজের মতো করে ভাবার আশা করবেন না।

৫) কোনো ব্যাপারে আশার হাল শক্ত করে ধরে রাখলে সে ব্যাপারটিতে সফলতা আসবেই।

৬) অনেক সময় একটি ভুল সিদ্ধান্তের কারণেও সঠিক পথে পরিচালিত হওয়া সম্ভব হয়।

৭) মানুষের চাহিদা থাকবেই এবং সময়ের সাথে সাথে তা বেড়েই চলবে। সব চাহিদা পূরণ হওয়া সম্ভব নয় একেবারেই।

৮) স্বাস্থ্যটাকেই সব চাইতে গুরুত্ব দেয়া উচিত। নতুবা যৌবনেই বার্ধক্য ভর করতে পারে।

৯) জীবন যাপন এবং ধারণের জন্য পানি ব্যতীত অন্যান্য সকল পানীয় না পান করলেও চলবে। বিশেষ করে মদ ও এনার্জি ড্রিংকসগুলো বাদ দিলে জীবনটা ভালোই যাবে।

১০) জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর হবে যদি বর্তমানের সকল দিকে নজর দেয়া সম্ভব হয়। এতে করে ভবিষ্যতটাও আপনাআপনিই সঠিক হয়ে আসবে।

১১) যদি জীবনে সফলতা আনতে চান তবে অবশ্যই গণ্ডির বাইরে চিন্তা করা উচিত এবং সে হিসেবে নিজেকে তৈরি করে নেয়া উচিত।

১২) মানুষ পিছু কথা বলবেই এবং হিংসা বা নিন্দা করে চলবেই। তাই বোলে দমে থাকা বা নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার কোনো অর্থ হয় না। এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে জীবনে।

সূত্র: প্রিয় লাইফ

17
ফর্সা, কোমল ও দাগহীন ত্বক সকলেরই কাম্য। মুখের ত্বকে ব্রণ, মেছতা কিংবা অন্য কোনো কিছুর দাগ থাকলে স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস কমে আসে। সেকারণে দাগহীন কোমল ত্বক পেতে অনেকে ত্বক বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও অনেকে অনেক ধরণের কাজ করে থাকেন। কিন্তু দাগহীন ফর্সা কোমল ত্বক পেতে এতো কিছু করার সত্যিই কোনো প্রয়োজন নেই। প্রকৃতিতেই রয়েছে অনেক কিছুর সমাধান। প্রাকৃতিক উপায়ে খুব সহজেই পেতে পারেন মনের মতো দাগহীন ফর্সা কোমল ত্বক। আর এতে সময়ও ব্যয় হবে খুব কম।

যা যা লাগবেঃ

– ২ টেবিল চামচ বেসন
– ১ চিমটি হলুদ গুঁড়ো
– পরিমাণমতো দুধ
– তৈলাক্ত ত্বক হলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস
– সামান্য মধু

পদ্ধতিঃ

– প্রথমে ত্বক বেশ ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। ফেশওয়াস ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক পরিষ্কার থাকতে হবে।
– এরপর একটি বাটিতে সবকটি উপকরণ (মধু বাদে) ভালো করে মিশিয়ে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে নিতে হবে। এবং পুরো মুখে, ঘাড়ে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন।
– ২০ মিনিট মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর শুকিয়ে গেলে আলতো ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন।
– পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। ত্বক যেনো ভালো করে পরিষ্কার হয়ে যায়। এতে করে হলুদের হলদেটে ভাবও দূর হয়ে যাবে।
– এরপর আঙুলের ডগায় সামান্য মধু লাগিয়ে পুরো মুখে গোল গোল করে ঘুরিয়ে ম্যাসেজ করতে থাকুন। প্রায় ১০ মিনিট ম্যাসেজের পর হালকা গরম পানি দিয়ে ত্বক ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
– ত্বক ভালো করে ধোয়ার পর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ শুকিয়ে নিন। এরপর প্রায় ৪/৫ ঘণ্টা ত্বকে কোনো ধরণের প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না।
– সপ্তাহে মাত্র ২/১ দিন এভাবে মাত্র ৩০ মিনিট ব্যয়ে ত্বক হয়ে উঠবে দাগহীন, ফর্সা ও কোমল। ভালো ফল পেতে রাতে করুন এই ত্বকের যত্ন।

সূত্র: প্রিয় লাইফ

18
স্যুপ কি আপনার ওজন কমায়? নিঃসন্দেহে একটি ভালো প্রশ্ন! তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনি যদি ঠিকঠাক একটু সচেতনভাবে স্যুপ রান্না করতে পারেন তবে তা আপনার পেটের, কোমরের ও দেহের সার্বিক ওজন কমাতেই ভূমিকা রাখে। সেই সাথে আরো ভালো ব্যাপার হলো, শরীরের মেদের সাথে যে রোগগুলো সরাসরি যুক্ত যেমন, হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সেগুলো থেকেও স্যুপ আপনাকে দূরে রাখে আপনার অজান্তেই।

জেনে নিন স্যুপ যেভাবে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ

১। খিদের অনুভুতি কমায়ঃ

এক বাটি স্যুপ খেয়ে দেখুন পরবর্তী বহুক্ষণ ধরে আপনার ক্ষিদে পাবে না।কেননা খানিকটা স্যুপ আপনাকে পেট ভরা বোধ করতে সাহায্য করে। ফলে আপনই ক্যালোরিযুক্ত বা অতিরিক্ত খাবারের জন্যে ক্ষিদেবোধ করেন না। ফলে আপনার ওজন কমাতে এর চেয়ে ভালো কি হতে পারে?

২। ক্যালোরি থাকে একেবারেই কমঃ

ভেজিটেবল স্যুপে থাকে একেবারেই লো ক্যালোরি। ফলে আপনার দেহে ফ্যাট জনতে পারে না। লো ক্যালোরি অথচ দারুণ পুষ্টিকর খাবার স্যুপ দেহে পুষ্টি যোগায় প্রয়োজনমত আপনাকে একটুও মোটা না বানিয়ে।

৩। ভিটামিন দেহের হজমক্ষমতা বাড়ায়ঃ

স্যুপে থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আপনার দেহে দরকারী খাদ্যগুণ সরবরাহ করে ও হজমক্ষমতা বাড়ায়। ফলে অতিরিক্ত চর্বি জমার সুযোগ থাকে না।

৪। চর্বি পোড়াতে স্যুপের মশলাঃ

স্যুপে ব্যবহৃত মশলাগুলো কিন্তু দেহের চর্বি পোড়াতে দারুণ কার্যকরী। যেমন, গোলমরিচে থাকা প্রচুর ক্যাপসাইসিন কেবল স্যুপের স্বাদ আর সুগন্ধই বাড়ায় না বরং দেহে জমে থাকা মেদকে পোড়াতে সাহায্য করে।

৫। স্যুপ মেটায় দেহের পানির চাহিদাঃ

স্যুপে থাকা প্রচুর পানি দেহের পানির চাহিদা মেটায় আর সেই সাথে উষ্ণ পানি মেটাবলিজম বাড়ায়। ফলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

৬। সবজি খাওয়ার দারুন উপায়ঃ

সাধারণত সবজি কেবল সালাদের সাথে খাওয়াটা বেশ একঘেয়েমী আর কতটাই বা খাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে স্যুপের সাথে মেশালে এই সবজিই কিন্তু হয়ে ওঠে দারুণ উপাদেয়। আর ওজন কমাতে সবজির যে কোন জুড়ি নেই, তা তো আপনি জানেনই!

তো আর দেরী কেন? হয়ে যাক নিজের ও প্রিয়জনের জন্যে দু বাটি স্যুপ। বিকেলের নাস্তায় এর চেয়ে স্বাস্থ্যকর আর কি-ই বা হতে পারে?

সূত্র: প্রিয় লাইফ

19
বয়সের সঙ্গে ত্বকেরও পরিবর্তন আসে। প্রয়োজন হয় বাড়তি যত্নের।
ত্রিশের পর ত্বকের কোষ গঠন প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। তাছাড়া ত্বকে বলিরেখা, রোদে পোড়া দাগ ইত্যাদিও বেশি দেখা দেয় এই সময় থেকে। তাই ত্বকের তারুণ্য দীর্ঘস্থায়ী করতে চাইলে যত্নশীল হতেই হবে।

জেনে নিন ত্রিশের পরও গ্লামারাস লুক ধরে রাখতে ত্বকের যত্নে নিয়মিত চর্চার কয়েকটি উপায়।

ত্বক পরিষ্কার করা ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার
‘ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং’, ত্বক পরিচর্যার সহজ এবং অপরিহার্য তিনটি ধাপ। প্রতিদিনের কাজের তালিকায় এই তিন কাজ ত্বক পরিষ্কার এবং সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।

ত্রিশের পর এই নিয়ম আরও বেশি কড়াকড়িভাবে পালন করা উচিত। এই সময় হাইড্রক্সিল এসিডযুক্ত ফেইসওয়াশ ব্যবহার করাও দরকার। কারণ এটি ত্বকের কোষ গঠনে সাহায্য করে। এরপর ভালো মানের টোনার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। শেষে ভিটামিন সি যুক্ত সিরাম বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকলে ত্বকে বলি রেখা বেশি পড়ে।

সানস্ক্রিন ব্যবহার
রোদে বের হওয়ার আগে যে কোন বয়সের নারী পুরুষ উভয়েরই সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন রূপবিশেষজ্ঞরা। তবে ত্রিশের পর এই ধাপকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত। কারণ সূর্যের রশ্মি ত্বকে গুরুতর ক্ষতি করে থাকে। আর ত্রিশের পর এ ক্ষেত্রে আরও বেশি নজর রাখা উচিত। ময়েশ্চারাইজার যুক্ত এবং বেশি এসপিএফ-যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।

রাতে বাড়তি যত্ন
রাতে আমাদের পুরো শরীর বিশ্রাম নেয়। আর এ সময় ত্বকের কোষগুলো সারাদিনের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে বেশি কার্যকর হয়। তাই রাতে ময়েশ্চারাইজিং ছাড়াও ত্বকের বাড়তি কিছুটা যত্ন নেওয়া উচিত। বিশেষ করে ত্বকের যে সব অংশে সমস্যা রয়েছে সেখানে কিছুটা বেশি যত্ন নেওয়া যেতে পারে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।

চোখের চারপাশে কালচে দাগ, ত্বকের বলিরেখা ইত্যাদির যত্ন নেওয়া উচিত রাতে। রাতে ক্যাফেইনযুক্ত আই-ক্রিম ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। আর ত্বককে বলি রেখা থেকে বাঁচাতে পারে এমন উপাদান ব্যবহার করতে হবে পুরো ত্বকের জন্য।

মাসে একবার ফেইশল
ফেইশল ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে সতেজ ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। তাই ত্রিশের পর নিয়ম করে প্রতি মাসে অন্তত একবার ফেইশল করাতে হবে।

দাঁতের যত্ন
ধূমপান এবং অ্যালকোহলের কারণে দাঁত হলদেটে হয়ে যায়, তবে বয়সের সঙ্গেও দাঁতে হলদেটে ছাপ পড়ে। তাই ত্রিশের পর ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁত ব্লিচ করিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এতে দাঁতের হলদেটেভাব কেটে যাবে।

শরীরের যত্ন নিন
ত্বকের যত্নে পাশাপাশি এই সময় শরীরের যত্নও নিতে হবে। পুরো শরীরে ত্বকের যত্ন নিতে হবে, শুধু মুখের ত্বকের যত্ন নিলে চলবে না। গোসল করার পর পুরো শরীরে ময়েশ্চারাইজার বা লোশন লাগিয়ে নিতে হবে। পায়ের গোড়ালি, হাঁটু, কনুইয়ের প্রতি বেশি যত্নশীল হতে হবে।

ত্বকের যত্ন বাড়তি পুষ্টি
শুধু বাইরের যত্ন ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন ভিতর থেকে পুষ্টি। তাই ত্রিশের পর খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর খাবার বেশি যুক্ত করতে হবে। খাবারের তালিকায় মাছ, বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ রাখতে হবে। তাছাড়া ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার এই বয়সে বেশি জরুরি। এর সঙ্গে প্রচুর শাক সবজি ও ফলমূল খেতে হবে।

সূত্র: বিডিনিউজ২৪.কম

20
মানসিক চাপ অনেক যন্ত্রণাদায়ক জিনিস। মানসিক চাপে থাকলে কোনো কাজই ঠিকমতো করা সম্ভব হয় না। বরং সব কাজ এবং সব কিছুকেই অনেক বেশি ঝামেলার মনে হয়। সব কিছু অসহ্য লাগতে থাকে। অনেকে এই সময় খিটমিটে মেজাজে আপন মানুষগুলোর সাথে তুমুল ঝগড়া বাঁধিয়ে ফেলেন। এতো কিছু না করে কিছু ছোট্ট কাজ করে নিন। মাত্র ৫ মিনিটেই কিন্তু কমে যাবে যন্ত্রণাদায়ক মানসিক চাপ।

১) একটি কলা বা আলু খেয়ে ফেলুন
মানসিক চাপ কমাতে সব চাইতে বেশি সহায়তা করে পটাশিয়াম। কলা এবং আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা খুব দ্রুত মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।

২) একটি প্রাণী পুষুন
বিড়াল, কুকুর এবং মাছ জাতীয় প্রাণী পুষুন। এটি মানসিক চাপ তাৎক্ষণিকভাবে কমিয়ে দিতে বেশ সহায়তা করে। এদের কর্মকাণ্ড দেখতে দেখতে আপনি ভুলেই যাবেন কোন কারণে আপনি চাপে ছিলেন।

৩) জোরে জোরে কবিতা আবৃতি বা পছন্দের গান করুন
নিজের মানসিকচাপ কমাতে অনেক বেশি কার্যকর নিজের পছন্দের জিনিসগুলোই। যখন খুব বেশি অসহ্য মনে হতে থাকবে সবকিছু তখন জোরে জোরে নিজেকে শুনিয়ে পছন্দের গান বা কবিতা আবৃতি করুন।

৪) যে কারণে মানসিক চাপ হচ্ছে সে কারণটিকে কিছুক্ষণ বকে নিন
নিজের মনে মনেই মানসিক চাপের কারণটিকে বকে দিন আচ্ছা মতো। ভাবছেন খুব বেশি ছেলেমানুষি? হতে পারে, কিন্তু এটি অনেক বেশি কার্যকর। কারণ এতে করে আপনার মনের নেতিবাচক প্রভাব কেটে যাবে।

৫) যোগ ব্যায়াম করা চেষ্টা করুন
যোগ ব্যায়ামের ক্ষমতা সম্পর্কে অনেকেই ধারণা রাখেন না। মাত্র ৫ মিনিটের যোগ ব্যায়াম মানসিক প্রশান্তি আনার জন্য যথেষ্ট। নিরিবিলি জায়গা খুঁজে ৫ মিনিটের জন্য বসে যান যোগ ব্যায়ামে। মানসিক চাপ দূরে পালাবে।

৬) শরীরে সমস্ত জোর খাটিয়ে চিৎকার দিন
বলুন তো রোলার কোস্টার কিংবা ভয়ের কোনো রাইডে উঠলে মানুষ চিৎকার করে কেন? চিৎকার এমন একটি ইমোশন যা আমাদের ভেতরের নার্ভাসনেস দূর করতে সহায়তা করে। সেই সাথে মনের ওপর এর প্রভাবও। তাই মানসিক চাপ খুব বেশি অসহ্য হয়ে গেলে চিৎকার করুন।

৭) গাছের দিকে একটানা তাকিয়ে থাকুন খানিকক্ষণ
সবুজ রঙ এবং প্রকৃতি দুটোই আমাদের মস্তিষ্কের নিউরনের জন্য ভালো। এটি আমাদের মস্তিষ্ককে রিল্যাক্স হতে সহায়তা করে। তাই মানসিক চাপ দূর করতে গাছের দিকে তাকিয়ে থাকুন কিছুক্ষণ।

৮) ছবি আঁকার চেষ্টা করুন
আপনাকে বড় কোনো আঁকিয়ে হতে বলা হচ্ছে না। নিজের মনের অনুভূতি নিজের মতো করে প্রকাশ করে ফেললে অনেকটা চাপ কমে যায়। আর সেকারণেই আঁকতে পারেন ছবি।

৯) বেলুন ফোলান
বেলুন ফোলানোর জন্য আপনার একবার জোরে শ্বাস নিতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ছাড়তে হবে। এর ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসের অনেক ভালো ব্যায়াম হয়। এতে করে মাংসপেশি ও মস্তিষ্ক রিল্যাক্স হয়।

সূত্র: প্রিয় লাইফ

21

আপনার ব্যক্তিত্বের যেসব ত্রুটি ধ্বংস করে দিচ্ছে আপনার জীবন ও ভবিষ্যৎ

মানতে একটু কষ্ট হলেও এটাই সত্যি যে অন্য কারো চাইতে অনেক বেশি ক্ষতি করি আমরা নিজেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা স্বয়ং নিজের জীবন ধ্বংসের জন্য দায়ী হয়ে থাকি। হয়তো সবকিছু ঠিক করছি, কিন্তু কিছুতেই উন্নতি আসছে না জীবনে। কিংবা সব আছে, অথচ মনে নেই শান্তি। এমন অবস্থায় খতিয়ে দেখতে হবে নিজের মাঝে। আজ রইলো মানুষের ব্যক্তিত্বের এমন ৮টি দিক, যেটা যে কারো জীবন ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এর মাঝে একটিও যদি আপনার থাকে, জীবনে সুখী ও সফল হয়ে ভীষণ কষ্টের হয়ে দাঁড়াবে।

১) ঈর্ষা ও পরশ্রীকাতরতা
প্রতিযোগী মনোভাব থাকা খারাপ কিছু নয়, কিন্তু সেটা যেন ঈর্ষা না হয়ে যায় কখনোই। ঈর্ষা ও পরশ্রীকাতরতা সেই জিনিস, যা আপনাকে কখনো এখন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে দেয় না এবং উদ্বুদ্ধ করে খারাপ কাজ করতে। একজন ঈর্ষাকাতর মানুষ নিজে উন্নতি করে ভালো করার চাইতে অন্যের ক্ষতি করে উন্নতি করাটাকেই শ্রেয় মনে করেন।

২) লোভ
কোনকিছু চাওয়া খারাপ না, খারাপ হচ্ছে যখন সেই চাওয়া মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। অতিরিক্ত লোভ মানুষকে অসৎ পথে পা বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করে এবং কেড়ে নিয়ে যায় মনের শান্তি।

৩) ঘৃণা ও ক্ষমা করতে না পারা
মানুষ হয়ে জন্ম নিলে ঘৃণার বোধ থাকাটাও খুব স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ঘৃণা যখন কিছুতেই কমে না বরং বুকের মাঝে লালন করা হয় ও ঘৃণার বশবর্তী হয়ে অন্যের ক্ষতি করা হয়, সেটা হয়ে ওঠে ভীষণ খারাপ একটা ব্যাপার। জীবনে চলার পথে ঘৃণা ভুলে মাফ করতে পারাটা ভীষণ জরুরী। আর এই গুনটাই আপনাকে করে তোলে সবার চাইতে আলাদা।

৪) তুচ্ছ বিষয়ে সময় নষ্ট করা
সময় নষ্ট করা সেই খারাপ গুণ, যা সফলতার পথে সবচাইতে বড় অন্তরায়। আপনি কখনোই জীবনে সুখী ও সফল হতে পারবেন না যদি তুচ্ছ জিনিস নিয়ে মাথা ঘামিয়ে , তুচ্ছ ঝামেলায় জড়িয়ে সময় নষ্ট করেন। জীবন একটাই, বুঝে শুনে খরচ করুন নিজের সময়।

৫) বিফলতাকে ভয় পাওয়া
বিফলতাকে ভয় পেতে থাকলে মানুষ হারিয়ে ফেলে নিজের উদ্যম ও জীবনে কিছু একটা করে দেখানোর মানসিকতা। জীবনে বিফলতা থাকবেই, সব কিছুতে সফল হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তাই বলে বিফলতার ভয়ে কাজ করা বন্ধ করে দিলে চলবে না।

৬) আলস্য
কেবল অলীক স্বপ্ন দেখলে হবে? স্বপ্ন দেখার সাথে সাথে সেটা বাস্তবায়ন করার চেষ্টাও করতে হবে। অলস ভাবে বসে থেকে যদি জীবনের সোনালি সময়টা নষ্ট করেন, শেষ বয়সে গিয়ে হায় হায় করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।

৭) সংকীর্ণ চিন্তার মানুষ হওয়া
পৃথিবী খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে। আর সেই সাথে বদলে যাচ্ছে সমাজের রীতিনীতি ও জীবন যাপনের পদ্ধতি। এই পরিবর্তনের প্রতি সহনশীল হতে হবে। পৃথিবীতে চিরকাল সবকিছু একরকম থাকে না আর কখনো থাকবেও না। তাই চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব উন্মুক্ত চিন্তার মানুষ হয়ে উঠতে।

সূত্র: প্রিয় লইফ

22
দেশব্যাপী জেঁকে বসেছে শীত। এই শীতে জ্বর, ঠান্ডা, সংক্রামক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগে ভ‍ুগছে মানুষ। অথচ পর্যাপ্ত ঘুম, সামান্য ব্যায়াম ও নিয়মিত কিছু খাবার গ্রহণ করলেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।     

শীতে সুস্থ থাকতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সেই খাবারের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলানিউজ।

গাজর: সূপ, ভাপে সিদ্ধ খাদ্য এবং পিসোট্টোর মতো চমৎকার খাবার তৈরিতে বিটা-পিঙ্গল পদার্থসমৃদ্ধ গাজর খুবই কার্যকরী। ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ এ গাজর ঠান্ডা ও সংক্রামক রোগপ্রতিরোধে  সাহায্য করে। এছাড়া শীতকালে খুব কমন কিছু সংক্রামক রোগ থেকেও রক্ষা করে গাজর।

সবুজ ও ক্যামোমিল চা: সবুজ চা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ পানীয়। এতে শক্তিশালী সংক্রামক রোগপ্রতিরোধক, ব্যাকটেরিয়ানাশক বৈশিষ্ট্য আছে। তাই প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ কাপ চা পান করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

এছাড়া ক্যামোমিল চা-কেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ পানীয় বলা হয়। আর সুবজ চায়ের মতো এটাও শীতকালে ঠান্ডা ও সংক্রামক রোগপ্রতিরোধে কাজ করে।

মাশরুম: রোগপ্রতিরোধে সহায়তাকারী হিসেবে সুপরিচিত মাশরুম। এটাও শীতকালে ঠান্ডা ও ভাইরাসজনিত অসুস্থতা থেকে ব্যক্তিকে রক্ষা করে। এছাড়া সাদা মাশরুমে রোগপ্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে।   

রসুন: জ্বর ও ঠান্ডা থেকে সুস্থ হতে প্রাথমিকভ‍াবে রসুন একটি মহা-ওষুধ বলে পরিচিত। এদিকে পশ্চিমা ওষুধ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্ব অনুযায়ী দেখ‍া যায়, রসুন এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধিতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা রক্ত ভালো রাখে এবং শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।  কাঁচা রসুন খেলে সর্বোচ্চ পুষ্টি পাওয়া যায়। কিন্তু এতে স্বাদ কম থাকে। তাই এটা খাবারের মধ্যে দিয়ে রান্না করে খাওয়াই ভালো।

মধু: শীতের সময় ঠান্ডা ও জ্বর নিরাময়ের সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজ উপায় হিসেবে পরিচিত মধু। এটা সংক্রামনহীন বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত, যা সংক্রামক ও ভাইরাসজনিত রোগপ্রতিরোধে খুবই কার্যকরী। তাই প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মধু খাওয়া উচিত। এছ‍াড়া আরো সুবিধা পেতে এক কাপ গরম দুধের সঙ্গে এটা মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

23
কোনটি আসলে ভালো, ভাত না কি রুটি – এ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ মাত্রই এ দ্বিধায় পড়ে যান। পুষ্টিবিদরা কিছু ক্ষেত্রে ভাতকে প্রাধান্য দেন, আবার কিছু ক্ষেত্রে রুটি। বিশেষ বিশেষ রোগের ক্ষেত্রে যেমন ডায়াবেটিস, কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার বেশ প্রভাব ফেলে। জেনে নিন ভাত এবং রুটি সম্পর্কে কিছু বিষয়, তারপর আপনিই সিদ্ধান্ত নিন, ভাত খাবেন না রুটি?

খাদ্যগুণ বিচার করতে গেলে একদিক থেকে ভাতের চেয়ে আটার রুটি বেশি ভালো। কারণ রুটি অনেক বেশি তাপশক্তি বা ক্যালরি উত্‍পাদন সক্ষম। যেমন, আধা ছটাক চাল থেকে পাওয়া যায় ১০২.১ ক্যালরি আর আধা ছটাক আটা থেকে পাওয়া যায় ৯৬.৪ ক্যালরি। কিন্তু যখনই রান্না হয়, তখন দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। চাল থেকে যখন ভাত তৈরি হলো তখন চালের ক্যালরি ১০২.১ থেকে নেমে দাঁড়ায় ৫৬.৭। অথচ আটার ক্যালরি ৯৬.৪ রুটি হয়ে দাঁড়ায় ১০১.২।

সাদা ধবধবে চালের প্রতি মানুষের দুর্বলতা রয়েছে। কিন্তু ওই বেশি-ছাঁটা চালে ভিটামিন কম থাকে। আবার যখন ভাতের মাড় বা ফ্যান ফেলে দিয়ে রান্না করা হয় তখন বাদ পড়ে যায় প্রোটিন, খনিজ লবণ ও ভিটামিনের বড় একটা অংশ। গমের তুষের ক্ষেত্রেও একই ভুল করা হয়। আটা চেলে নিয়ে রুটি বানানো হয়। অথচ গমের তুষে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১ বা থায়ামিন থাকে।

সবদিক বিচার করে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, প্রতিদিনই দুই ধরনের খাদ্যশস্য যেমন ভাত-রুটি মিশিয়ে খাওয়া উচিত। এক্ষেত্রে ভাত হলো কম ছাঁটা চালের আর রুটির ক্ষেত্রে তুষযুক্ত আটার রুটি। ভাত-রুটির প্রসঙ্গে এদের অন্তর্গত সবচেয়ে মূল্যবান উপাদান ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সম্বন্ধে জেনে নিন কিছু বিষয় – ভাতে পানি দিয়ে রাখলে অর্থাত্‍ পান্তা ভাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স তৈরি হয়। তবে পান্তা ভাত ধুয়ে নিয়ে খেলে উপকার হবে না, ভেজানো পানিসহই খেতে হবে। রুটি করার সময়ও একটু বেশি পানি দিয়ে আটা মেখে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে তারপর রুটি করতে হয়। এতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স তৈরি হয়। মাখা আটার লেচি অল্প একটু তুলে রেখে পরের দিন আটা মাখার সময় সেটা মিশিয়ে নিতে হয়। আবার সেদিনের একটু লেচি রেখে পরের দিনের ফ্রেশ আটার সঙ্গে মেখে রুটি তৈরি করতে হয়। এ পদ্ধতির সাহায্যেও রুটিতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স তৈরি হয়।

জেনে নিন চাল ও গমের আটার পুষ্টিগুণ

প্রতি ১০০ গ্রাম মেশিনে ছাঁটা চালে রয়েছে -

এনার্জি ৩৪৫ কিলোক্যালরি
প্রোটিন ৬.৪ গ্রাম
ফ্যাট ০.৪ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৭৯.০ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ২৪ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ১৩৬ মিলিগ্রাম
আয়রন ০.৮ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি১ ০.২১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি২ ০.০৯ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন ৩.৮ মিলিগ্রাম

তবে আতপ চালের চেয়ে সেদ্ধ চালে পুষ্টি বেশি। বিশেষ করে সেদ্ধ চালে ভিটামিন বি১ এবং কিছু খনিজ পদার্থ বেশি থাকে।

প্রতি ১০০ গ্রাম গমের আটায় রয়েছে -

এনার্জি ৩৪১ কিলোক্যালরি
প্রোটিন ১২.১ গ্রাম
ফ্যাট ১.৭ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৬৯.৪ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৪১ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ৩৭২ মিলিগ্রাম
আয়রন ৩.৩ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি১ ০.৫৫ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি২ ০.১২ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন ০.৩ মিলিগ্রাম

সূত্র: প্রিয় লাইফ

24
Food Habit / রোগ প্রতিরোধে চিংড়ি
« on: December 12, 2014, 05:03:50 PM »
চিংড়ি মাছ প্রায় সবারই বেশ পছন্দের। কিন্তু এটি শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে যে ভীষণ কার্যকরী, তা হয়ত অনেকের জানা নেই। চিংড়ির আছে আসাধারণ কিছু ক্ষমতা, জেনে নিন সেগুলো।

 

১. চিংড়ি মাছে প্রায় ৫৭% সেলেনিয়াম থাকে। মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছ থেকে অনেকটা সেলেনিয়াম পাওয়া সম্ভব। ইন্সটিটিউট অব ফুড রিসার্চের গবেষকদের মতে, এই সেলেনিয়াম দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে। চিংড়ি মাছের এই সেলেনিয়ামের সঙ্গে ব্রকোলি, পাতাকপি, ফুলকপির সালফোরাফেইনের মিশ্রণ এই প্রতিরোধ আরো বাড়িয়ে তোলে।

 

২. চিংড়ি আমাদের দেহের ভিটামিন বি১২ এর চাহিদা প্রায় ২৫ শতাংশ দূর করে এবং দেহের রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ রক্তের লাল কণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে রক্তস্বল্পতা দূর হয়।

 

৩. অনেকেই বিভিন্ন সময়ে শারীরিক দুর্বলতায় ভোগেন। এর অন্যতম কারণ শরীরে আয়রণের ঘাটতি। চিংড়ি শরীরে প্রায় ১৭ শতাংশ আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। এতে শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায়।

 

৪. চিংড়িতে প্রায় ১৪ শতাংশ  ফসফরাস রয়েছে। এটি দেহের ফসসরাসের চাহিদা পূরণ করে যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে ও হাড়কে মজবুত করতে  বিশেষভাবে কাজ করে।

 

৫. মানুষের মোটা হয়ে যাওয়ার পিছনে অন্যতম দায়ী মেদের পরিমাণ বৃদ্ধি। চিংড়িতে রয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ নিয়াসিন যা ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনকে শক্তিতে পরিণত করে ও শরীরে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়।

 

৬. মাত্র ১০০ গ্রাম চিংড়ি মাছে  রয়েছে  প্রায় ৩৪৭ মিলিগ্রাম ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। গবেষকদের মতে, এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কে সেরেটেনিন উৎপন্ন করে যা বিষণœতা দূর করতে সাহায্য করে।

 

৭. গবেষণায় দেখা গেছে, মূত্রথলি সংক্রান্ত নানা রোগ ও ইনফেকশন থেকে আমাদের রক্ষা করতে সাহায্য করে জিঙ্ক। এমনকি  এটি মূত্রথলির ক্যান্সারের হাত থেকেও রক্ষা করে। চিংড়ি মাছের ১০০ গ্রামে পাওয়া যায় ১০-১৫ মিলিগ্রাম জিঙ্ক যা মূত্রথলিকে সুস্থ রাখে।

 

৮. চিংড়ি মাছে রয়েছে  প্রায় ১০ শতাংশ  কপার যা আমাদের থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

 

৯. চিংড়িতে রয়েছে ৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম। গবেষণায় দেখা যায়, ম্যাগনেসিয়াম টাইপ-২ ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা করে। এটি রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

 

১০. চিংড়ি মাছ আমাদের দেহের প্রায় ৪২ শতাংশ পর্যন্ত প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এতে ত্বক, চুল এবং নখ সুরক্ষিত থাকে।  এই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ না হলে দামি ব্যান্ডের কোনো প্রোডাক্টের মাধ্যমেও ত্বক, চুল ও নখের সুরক্ষা সম্ভব নয়।

 

সূত্র : ইন্টারনেট
- See more at: http://www.dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=OTMyOTQ%3D&s=MzE%3D#sthash.x8B5dIvF.dpuf

25
 পেটের মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তা? সেটা আজকাল কমবেশি সবারই আছে। আর পেটের মেদ এমন একটা বস্তু যে প্রত্যেক ইঞ্চি ইঞ্চিও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ব্যায়াম করে, নানা রকম ওষুধ খেয়েও ফল পাচ্ছেন না? ওজন তো কমছে, কিন্তু পেটের মেদ কমছে না? তাহলে আজ থেকে বদলে ফেলুন আপনার নিজেরই কিছু বদ অভ্যাস। এই অভ্যাসগুলো পেটের মেদ বৃদ্ধি, তথা ভুঁড়ি হবার মূল কারণ। দূর করুন এই অভ্যাসগুলো, মাত্র ৭ দিনেই ফল পাবেন। দেখবেন সুন্দর মত কমতে শুরু করেছে আপনার ভুঁড়ি।

দ্রুত খাওয়ার অভ্যাসটা ছাড়তে হবে
তাড়াতাড়ি খেলে কী হয়? খাওয়া বেশি হয়ে যায়। আপনি যেটুকুই খান না কেন, মূলত খেতে শুরু করার ১৫/২০ মিনিট পর মস্তিষ্ক সিগনাল দেয় ভরপেট খাওয়া হয়েছে। তাই দ্রুত খেলে পেট ভরলেও মন ভরে না, ফলে অনেক খাওয়া হয়। আর বলাই বাহুল্য যে এই বাড়তি খাওয়া একসাথে হজম হতে পারে না, সোজা গিয়ে জমে মেদ হিসাবে। আস্তে আস্তে সময় নিয়ে চিবিয়ে খান।
চা-কফিতে পরিবর্তন

দুধ ও চিনি ছাড়া চা-কফি পান করুন। সবচাইতে ভালো হয় এসব বাদ দিয়ে গ্রিন টি পান করলে। গ্রিন টি ওজন কমাতে ও হজম ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ সহায়ক।
ঘুমের আগে খাওয়া

খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে যান? এই অভ্যাস আজ থেকে একদম বাতিল। খাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টার আগে মোটেও ঘুমাতে যাবেন না।
সাদা তিনটি খাবার একদম বাদ

সাদা চাল, সাদা আটা/ময়দা ও সাদা চিনি- এই তিনটি খাবার একদম বাদ দিয়ে দিন। বদলে খান লাল চা, লাল আটা। চিনির বদলে খান সুগার ফ্রি।
কোমল পানীয় একদম বাদ

যত ধরণের কোমল পানীয় ও শরবত আপনার প্রিয়, সেই সমস্ত কিছু বাদ দিয়ে দিন। বদলে পান করুন তাজা ফলের রস। তবে কেনা নয়, ঘরে তৈরি।
প্যাকেটজাত সবকিছু থেকে দূরে থাকুন

প্যাকেটে ভরা বিস্কুট হোক বা চিপস, বাদাম হোক বা জুস ইত্যাদি সব কিছুই আজ থেকে বাদ দিয়ে দিন খাদ্য তালিকা থেকে। খিদে পেলেই একটা প্যাকেট খুলে বসবেন না।
একটা প্রিয় অনুষ্ঠান বাদ দিন

হ্যাঁ, একদম ঠিক বলছি। সময় নেই ব্যায়াম করার? একটা টিভি অনুষ্ঠান দেখা বাদ দিয়ে সেই সময়টা হাঁটুন আর গান শুনুন। ভুঁড়ি না কমে যাবে কই?

26
Body Fitness / দ্রুত মেদ কমানোর উপায়
« on: December 09, 2014, 03:36:13 PM »
আমাদের অনেকের-ই খুব দ্রুত ফ্যাট বার্ন করার ইচ্ছে হয়। মনে হয়, ইশ! যদি তাড়াতাড়ি মেদ কমাতে পারতাম, তাহলে কতই না ভালো হতো। শরীরের অতিরিক্ত মেদটুকু ঝরাতে পারলে ঐ শাড়িটা বা এই পোশাকে আরও ভালো লাগতো, নিজের কাছেও এবং অন্যের কাছেও। কথায় বলে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। তাহলে এর- ও নিশ্চয়ই কোন না কোন উপায় রয়েছে। এই বিষয়টাই আজ আপনাদের জানাবো।

ফ্যাট বার্ন করার বিষয়টাকে দুটো শিরোনামে ভাগ করতে পারি। একটি হলো ব্যায়াম বা এক্সারসাইজ,অপরটি খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা। এ দুটো যদি নিয়মিত করা যায়, তবেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।

ক) ব্যায়ামঃ

প্রতিদিন-ই ব্যায়াম করা কাজের কথা নয়। সপ্তাহে ৪ দিন করাই যথেষ্ট। ছোটখাটো ব্যায়াম, যেগুলো কোন রকম যন্ত্রপাতি ছাড়াই করা সম্ভব-এই ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ গুলো খুব উপকারী।

১) দ্রুত হাঁটাঃ

হাঁটার কথা তো সবসময়ই শোনা যায়। কিন্তু দ্রুত মেদ কমাতে হাঁটায় একটু বৈচিত্র্য আনতে হবে। প্রথমেই ওয়ার্ম আপ করে নিয়ে ৫ মিনিট দ্রুত হাঁটুন, তারপর ৩০ সেকেন্ড এর বিরতি, এই ৩০ সেকেন্ড আস্তে আস্তে হাঁটুন। এভাবে কয়েকবার করতে হবে। প্রথম প্রথম ২০ মিনিট করুন, তারপর আস্তে আস্তে ৫০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত করতে পারেন। এই ব্যায়ামে ১ মাসে ১৩ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমতে পারে।

২) পুশ আপঃ

এই ব্যায়ামটাও আমাদের খুব পরিচিত। উপুড় হয়ে দেহের ভার হাত আর পায়ের পাতার উপর দিয়ে, একবার নীচে নামুন, আরেকবার উপরে তুলুন। এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এক পা উপরে তুলে তিনবার করুন, পরবর্তী তিনবার অপর পা উপরে তুলে পুশ আপ করুন।

৩) স্ট্যান্ডিং বার্ড ডগ ব্যায়ামঃ

নাম দেখেই বুঝতে পারছেন, ব্যায়ামটা কেমন হবে। প্রথমে ডান পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ান, তারপর বাম পা টি ধীরে ধীরে বুকের কাছে তুলে আনুন। ২ সেকেন্ড পর বাম পা পেছন দিকে, আর দুই হাত উপরে তুলে ধরুন। এটা শেষ হলে বাম পায়ে ভর দিয়ে ডান পা দিয়ে ব্যায়ামটি করুন।

২ আর ৩ নং ব্যায়াম এর মাধ্যমে ২ মাসে ২২ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমতে পারে।

৪) বারপি ব্যায়ামঃ

দুই পা একসাথে রেখে দুই হাত মাথার উপরে তুলুন। তারপর ধীরে ধীরে হাত নামিয়ে মাটিতে রাখুন, দুই হাত দুই পায়ের দুই পাশে। এবার প্রথমে বাম পা পেছনে বর্ধিত করুন, তারপর বাম পা আগের অবস্থায় এনে ডান পা পেছনে বাড়ান। তারপর আবার দাঁড়িয়ে দুই হাত মাথার উপরে তুলুন। এভাবে কয়েকবার করুন।

৫) সাইড প্লাঙ্ক ব্যায়ামঃ

ডান হাত এবং ডান পায়ের কিনার এর উপর ভর দিয়ে আপনার দেহটি শুন্যে তুলে ধরুন, যেন কাঁধ, কোমর আর পা একই লাইনে থাকে। এবার বাম হাতটি উপরে তুলে ধরুন। কিছুক্ষণ পর পার্শ্ব বদল করে নিন।

side-plank

খ) খাদ্যাভ্যাসঃ

১) গ্রিন টিঃ

গ্রিন টি সম্পর্কে সবাই কম বেশি জানেন। অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে এর কোন জুড়ি নেই। মেটাবোলিজমের হার বাড়িয়ে বাড়তি মেদ জমতেও দেয় না।


২) আয়রনঃ

আয়রন এর অভাব হলে অক্সিজেনের অভাব হয়। তখন মেটাবোলিজমের হার-ও কমে যায়। এজন্য আয়রন খাওয়া খুব-ই জরুরী। কচু শাকে, কলায় প্রচুর আয়রন আছে। প্রয়োজনে আয়রন ট্যাবলেট-ও খাওয়া যেতে পারে।

৩) পানিঃ

পানি পান না করে তো বাঁচা যায় না, কিন্তু পানি যে ওজন-ও কমায়, এটা হয়তো অনেকেই জানি না। এখন দিনে আপনি যতটা পানি পান করেন তার চেয়ে যদি দেড় লিটার প্রতিদিন বেশি পান করেন, তবে বছরে ১৭,৪০০ অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন করা সম্ভব।

৪) দুধ জাতীয় খাবারঃ

দুধ এবং দইজাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। এতে যে ক্যালসিয়াম থাকে, তা ফ্যাট বার্ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে চিনি এড়িয়ে চলুন।

৫) মাছঃ

বেশি করে মাছ খান, কারণ মাছ খাওয়ার দরুন লেপ্টিন নামক হরমোন এর লেভেল কমে যায়। লেপ্টিন হরমোন বেশি থাকলে মেদ বাড়ার প্রবণতা থাকে।

৬) পিনাট বাটারঃ

অবাক হয়ে ভাবছেন,বা টার কেন খাবেন? ব্যাপারটা হলো এই বাটারে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আর এ কারণে আপনার মেটাবোলিজমের হার-ও বাড়িয়ে দেয়। ইচ্ছে করলে আপনি শুধু চিনাবাদাম-ও খেতে পারেন। ৩২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম-ই প্রতিদিন যথেষ্ট।

৭) সকালের নাস্তাঃ

অনেকেই মেদ ঝরাতে সকালে না খেয়ে থাকেন। এটা কখনোই করবেন না। সকালে না খেলে মেটাবোলিজমের হার অনেক কমে যায়। তাই ফ্যাট-ও বার্ন হয় না।

৮) প্রোটিনঃ

প্রোটিন জাতীয় খাবার প্রতি বেলাতেই কিছু না কিছু খেতে হবে। এতে করে মেটাবোলিজমের হার বেড়ে যায়।

৯) স্টার্চঃ

স্টার্চ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। রিফাইন্ড ময়দা, সাদা চাল, আলু এগুলো এড়িয়ে চলুন। ব্রাউন আটা খেতে পারেন। কার্বোহাইড্রেট বাদ দেয়া যাবে না। কার্বোহাইড্রেট এর চাহিদা পূরণ করবেন শাকসবজি, ডাল, ব্রাউন আটা এগুলো থেকে।

গ) অন্যান্যঃ

আরও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে দ্রুত মেদ ঝরাতে আর বাড়তি মেদ না জমতে দিতে। যেমন-

১) আপনার মেটাবোলিজমের হার কম মনে হয় যদি, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাহায্য নিন। আপনার থাইরয়েড গ্রন্থির পরীক্ষা করে নিশ্চিত হোন।

২) যতটা পারেন স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন। স্ট্রেস কন্ডিশনে করটিসল হরমোন বাড়ে। ক্ষুধা বাড়ে, মেটাবোলিজমের হার কমে। তাহলে মেদ তো জমবেই। তাই সবসময় হাসিখুশি থাকুন, দরকার হলে ম্যাডিটেশন করতে পারেন।

৩)  দৈনিক যে খাবারগুলো খাবেন, সেগুলো একবারে না খেয়ে বার বার করে অল্প অল্প করে গ্রহণ করুন। এতে করে আপনার ব্রেনকে ফাঁকি দেয়া হবে, তখন আপনার মেটাবোলিজমের হার-ও বাড়তেই থাকবে। একটি রুটিন করে নিয়ে তা ফলো করতে পারেন। যেমন-

সকাল ৮টা – নাস্তা

সকাল ১১ টা – হালকা স্ন্যাকস

দুপুর ১টা – দুপুরের খাবার

বিকাল ৪টা – হালকা খাবার

রাত ৯টা – ডিনার

রাত ১০/১১টা – এক গ্লাস দুধ।

এভাবে আপনার রুটিন আপনার পছন্দ অনুজায়ী বানিয়ে নিতে পারেন। লক্ষ্য করুন, এই রুটিনে সকালের দিকে বেশি খাবারের তালিকা দেয়া হয়েছে। কেননা সারা রাত ঘুমের পর মেটাবোলিজমের হার খুবই কম থাকে।

৪) পর্যাপ্ত ঘুমঃ

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্ট্রেস হরমোন আর ইনসুলিন লেভেল বাড়ে। মেটাবোলিজমের হার-ও কমে। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন।

এভাবেই আপনি খুব সহজে বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারবেন।

27
জীবনে চলার পথে আর্থিক সংকট দেখা দিতেই পারে। জীবন সবসময় একইরকম ভাবে চলেনা। খারাপ ও ভাল দুটি সময়ই আমাদের জীবনে আসতে পারে। আর জীবনে ভাল করে চলতে গেলে প্রয়োজন অর্থের। কিন্তু জীবনে চলার পথে যদি দেখা দিয়ে থাকে আর্থিক সংকট, তখন বিষণ্ণতায় ডুবে না গিয়ে পজিটিভ মানসিকতা নিয়ে মোকাবেলা করুন এই দুঃসময়ের। অবশ্যই জয়ী হবেন। জেনে নিন এমন সময়ে কী করতে পারেন আপনি।

১। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় খরচের একটি তালিকা বানিয়ে ফেলতে পারেন। তালিকা বানানোর সময় পরিবারের সকলকে সেখানে উপস্থিত থাকতে বলুন। অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে দিতে সবাইকে বলুন, তবে উত্তেজিত হয়ে না ঠাণ্ডা মাথায়। যারা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন তাঁরা আর্থিক সংকট চলাকালীন সময়ে কার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম কাজ হবে।

২। আপনার যদি ব্যাংকে কোন ডিপিএস থাকে সেই ক্ষেত্রে ব্যাংকের কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে নিন আপনার সমস্যা সম্পর্কে। কারণ যেহেতু আপনি এখন আর্থিক সমস্যায় আছেন স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাংকের একাউন্টটে টাকা জমা রাখতে আপনার সমস্যা হবে, তাই আগেই ব্যাংক কতৃপক্ষকে জানিয়ে রাখলে আপনার জন্যই ভাল। চেষ্টা করবেন একেবারে ঠেকায় না পড়লে সঞ্চয়টি না ভাঙার জন্য।

৩। বাড়িতে চুপচাপ বসে না থেকে নিজেকে কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখুন। যদি চাকরি হারিয়ে থাকেন তখন সেই সময়টুকু পরিবারকে সঙ্গ দিন। অযথা মন খারাপ করে বসে থাকলে তা আপনার জন্য ক্ষতিকর এবং এই সময়টিতে উচিত পুরো পরিবারের উচিত মিলেমিশে একে অপরকে যতটা সম্ভব সাহায্য করা।

৪। মনে রাখবেন, আর্থিক সমস্যা জীবনে হতেই পারে। তাই সঞ্চয়ী হওয়া খুব প্রয়োজন। তাহলে যখন যে মুহূর্তে আপনি কোন আর্থিক সমস্যায় পড়বেন, তখন সঞ্চয়ের টাকাই আপনাকে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

৫। খুব সমস্যায় পড়লে আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নিতে পারেন। তবে খুব সত্যি কথাটি হল বিপদের সময় অনেক আত্মীয়ই পিছিয়ে যান। তাই বলে সবাই না, কাউকে না কাউকে ঠিকই পাশে পাবেন। আপনাকে যে সাহায্য করবে তাঁর অর্থ যতটা দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করুন যেন আপনার প্রতি আত্মীয়ের সহানুভূতি থাকে এবং অন্য কোন সময় বিপদে তাঁর কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন।

সূত্র: প্রিয় লাইফ

28
এক রাতের মধ্যে কেউ স্মার্ট হয়ে যান না। সচেতনভাবে প্রতিদিনের চর্চার মাধ্যমে আপনি স্মার্টনেসকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলতে পারেন আপনি। প্রতিদিনই কীভাবে নিজেকে একটু স্মার্ট করে তুলতে পারেন তা নিয়ে ২৩টি পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো একটু দেখে নিন।

১. যেকোনো নতুন ১০টি বিষয় প্রতিদিন চিন্তা করে বের করুন। মূলত যতক্ষণ নিজের মস্কিষ্কের কোষগুলোকে এসব চিন্তায় ব্যস্ত রাখবেন আপনার ততোই লাভ।

২. প্রতিদিনই পত্রিকা পড়ুন। পৃথিবীর চারদিকে কোথায় কী ঘটছেন তার খবর রাখুন। এটা আপনাকে জ্ঞান দেবে।

৩. সম্প্রতি যা শিখেছেন তা নিয়ে চিন্ত-ভাবনা করুন। এর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরুন এবং বিশদ ব্যাখ্যার চেষ্টা করুন।

৪. ফিকশন বা নন-ফিকশন বইয়ের যেকোনো একটি অধ্যায় পড়ার চেষ্টা করুন। এর মাধ্যমে প্রতি দিনই নতুন কিছু শিখছেন এবং একইসঙ্গে নতুন পাঠকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠবে।

৫. শুধু বিনোদনমূলক টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখার চেয়ে শিক্ষামূলক ভিডিওচিত্র দেখুন। তাতে শেখার অনেক বিষয় রয়েছে।

৬. মজার এবং অদ্ভুত বিষয়ে তথ্য দেয় এমন ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করুন। বিজ্ঞান, সমাজ, প্রকৃতি ইত্যাদি বিষয়ে এসব তথ্য দেখুন।

৭. প্রিয় জ্ঞান-বিজ্ঞান বিষয়ে তথ্যের উৎসগুলো পর্যবেক্ষণ করুন। প্রতিদিন এক পলক চোখ বুলান।

৮. যা শিখছেন তা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন। যদি এমন কাউকে পান যিনি আলোচনা করতে চান, তবে তা মিস করবেন না।

৯. দক্ষতা অর্জনে দুটো তালিকা করুন। একটি বর্তমান কাজের প্রয়োজনে এবং অপরটি ভবিষ্যতে যে সব বিষয়ে শিখতে চান।

১০. যা যা করেছেন তার একটি তালিকা করুন। এতে নিজের জ্ঞান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবেন আপনি। আরো শেখার উৎসাহ বাড়বে।

১১. যা যা শিখছেন তথ্য আকারে তা লিখে ফেলুন। তাহলে তথ্যটি স্থায়ীভাবে মাথায় ঢুকে যাবে। এগুলো যেকোনো ব্লগে বা নোটপ্যাডে লিখে রাখতে পারেন। অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।

১২. মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রতিদিন মেডিটেশন করুন এবং ব্যায়াম করুন। এতে যেকোনো কঠিন বিষয়ে মনটাকে শান্ত এবং সবল রাখতে সহজ হবে।

১৩. অনলাইনে যেকোনো জরপ্রিয় কোর্স করুন। দক্ষতা বৃদ্ধিসহ সিভি বেশ ভারী হবে। মনের মতো চাকরি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন কোর্স করতে পারেন।

১৪. এমন কারো সঙ্গে কথা বলুন যার সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ রয়েছে আপনার। তাদের চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।

১৫. আপনার চেয়ে স্মার্ট এবং বিজ্ঞ মনে হয় এমন মানুষের সঙ্গ লাভের চেষ্টা করুন। তাদের কাছে থেকে নিজের স্মার্টনেসকে ঝালাই করে নিতে পারবেন।

১৬. নিজের মনের যে সব প্রশ্ন রয়েছে সেগুলো নিয়ে চিন্তা করুন। নিজেই উত্তর বের করার চেষ্টা করুন।

১৭. ভোকাবুলারি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন কিছু নতুন শব্দ শিখুন। এগুলো এক সময় আপনাকে আইএলটিএস বা এসএটি বা জিআরই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করে দেবে।

১৮. ভয়ের কিছু করুন। যে সব পরিস্থিতিতে আমরা ভড়কে যায় সে সব পরিবেশের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে দেবে। এ ছাড়া রোমাঞ্চকর অনুভূতি পাবেন এসবের মাধ্যমে।

১৯. নতুন কোনো এলাকা বা স্থানে ঘুরতে যান। অন্তত আপনার বাসস্থানের আশপাশের কোনো স্থান একটু দেখে আসুন।

২০. স্মার্ট গেম খেলুন। দাবা বা এ ধরনের গেম খেলুন। চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসব গেম খেলুন।

২১. কিছু সময় বাঁচিয়ে বিশ্রাম করুন। এ সময়টিতে কিছুই করবেন না। এতে মানসিক শান্তিসহ দৈহিক শক্তি ফিরে পাবেন।

২২. উৎপাদনশীল কোনো শখ গড়ে তুলুন। প্রতিদিন এর পেছনে কাজ করতে পারেন। সেলাই থেকে শুরু করে মাছ ধরাও এর মধ্যে পড়তে পারে।

২৩. যা শিখেছেন যা বাস্তবজীবনে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করুন। নতুন যন্ত্র বাজানো বা নির্দিষ্ট কোনো কাজ করার পদ্ধতি বই বা অনলাইনে শিখে থাকলে তা নিজে করে দেখার চেষ্টা করুন।

সূত্র: কালেরকণ্ঠ

29
কর্মক্ষেত্রে থেকে ক্লান্ত-অবসন্ন হয়ে আমরা বাসায় ফিরি। গোটা দিনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা, বসদের চাহিদা পূরণ করা অথবা সহকর্মীদের সঙ্গে মানিয়ে চলার পেরেশানির পর আপনার আর কী অবশিষ্ট থাকে? স্ট্রেস কমানোর জন্য বহু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ইতিমধ্যে নিয়েছেন নিশ্চয়ই। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দম্পতিদের মধ্যে কর্মজীবী মানুষটি বাড়ি ফেরার সঙ্গী বা সঙ্গিনীই তার স্ট্রেস কমিয়ে দিতে পারেন।

ইউনিভার্সিটি অব মন্ট্রিল এর স্কুল অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস এর প্রফেসর অ্যালাইন মারচান্ড বলেন, প্রতিদিনের কর্মজীবনের স্ট্রেস আরো বেড়ে যাবে নাকি কমবে তা নির্ভর করে কর্মস্থল থেকে ফেরার পর অন্য মানুষের সঙ্গে তিনি কেমন সময় কাটাবেন তার ওপর। তাই দিনের কাজের স্ট্রেস কমিয়ে উৎপাদনশীলতা আরো বাড়াতে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখাই যথেষ্ট।

ইউনিভার্সিটি অব মন্ট্রিল এবং কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ৫৩টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৯৫৪ জন কর্মীর ওপর গবেষণা চালিয়েছেন। তারা এ সব মানুষের বৈবাহিক অবস্থা, উপার্জন, সমাজে তাদের অবস্থান, বয়স, স্বাস্থ্য এবং আত্মবিশ্বাসের মাত্রা ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য নেন। এসব উপাদানের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের দক্ষতা, মানসিক চাহিদা, পরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা ইত্যাদির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেন।

মারচান্ড বলেন, যারা তার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখেন, কর্মক্ষেত্রে তাদের স্ট্রেস বেশ কম দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে যার আর্থিক অবস্থা, সন্তানের বিষয়ে সন্তুষ্টি এবং সামাজিকতায় অংশগ্রহণ যত বেশি, তার কর্মক্ষেত্রে স্ট্রেসও তত বেশি কম।

সূত্র: কালেরকণ্ঠ

30
আপনি একলা মানুষ পৃথিবীতে সবাইকে খুশি রাখতে পারবেন না আর এটা খুবই স্বাভাবিক। মানুষ হয়ে জন্মেছেন যখন, তখন পৃথিবীতে কাউকে ভালো লাগবে আবার কাউকে খারাপ। কারো আপনাকে ভালো লাগবে, কেউ আবার আপনাকে খুবই অপছন্দ করবে। সমস্যা হচ্ছে, কেউ যদি আপনাকে অপছন্দ করে থাকেন তাহলে বিনা কারণেই আপনার সাথে ঝামেলা করার চেষ্টা করবেন। পিঠ পিছে শত্রুতা করবেন, ষড়যন্ত্র করবেন, আবার অকারণে ঝগড়া বাঁধাবার চেষ্টা করবেন। আর এমন মানুষ আপনি আত্মীয়স্বজন হতে শুরু করে বন্ধু বান্ধব, কর্মক্ষেত্র ইত্যাদি সব স্থানেই পাবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আপনাকে অপছন্দ করে এমন কেউ অপমান করার চেষ্টা করলে কী করবেন?

১)মেপে কথা বলুন
কথা হচ্ছে এমন একটা জিনিস যেটা একবার বলে ফেললে ফিরিয়ে নেয়ার কোন উপায় নেই। যারা আপনাকে অপছন্দ করেন, তারা কিন্তু এই অপেক্ষাতেই থাকেন যে কখন আপনি কী বলবেন। তাই মুখ খুলুন খুব বুঝেশুনে।

২)অন্যের আচরণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নেই, কিন্তু নিজের আছে
যারা আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে চায়, তাঁদেরকে আপনি ভালো বানাতে পারবেন না। কিন্তু হ্যাঁ, নিজের আচরণ অবশ্যই আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। যত যাই হোক, উত্তেজিত হবেন না। মাথা খুবই ঠাণ্ডা রাখুন। তারা যেমন আচরণ করবে আপনার সাথে ঠিক তাঁর বিপরীত আচরণ করুন।

৩) কিছু ব্যাপার দেখেও না দেখা
কেউ আপনাকে অপমান করার চেষ্টা করছে, কিংবা অকারণেই ঝামেলা করার চেষ্টা করছে? তাঁদের এই আচরণগুলো দেখেও না দেখার ভাব করুন। কেউ আপনাকে তখনই অপমান করতে পারবে যখন তাঁর কৌশল বা চেষ্টা আপনি দেখবেন এবং প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। যা আপনি দেখতেই পান নি, সেই জিনিস কীভাবে আপনাকে আঘাত করবে? এমন ভাব করুন যেন তাঁদের অপমান করার চেষ্টা আপনি দেখতে পাচ্ছেন না।

৪) সবকিছু ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না
একজন ভালো মানুষ কখনো অন্যকে অপমান করার কথা চিন্তা করে না। এগুলো কেবল তাঁরাই চিন্তা করে যাদের মন খুবই ছোট। তাই কেউ আপনাকে অপমান করার চেষ্টা করছে বলে নিজেকে দোষী ভাববেন না, বা তাঁর কোন কাজ ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। জানবেন যে সমস্যা তাঁদের।

৫) বড় হাতিয়ার ভালো ব্যবহার
কেউ খারাপ ব্যবহার করলেই কি পাল্টা খারাপ ব্যবহার করতে হবে? আপনি তো তাঁদের মত নন, আর তাই তাঁদের মত আচরণও করবেন না। বরং সম্ভব হলে খুবই ভালো ব্যবহার করুন। এতে হয়তো তারা একটু হলেও লজ্জা পেতে পারেন আর অন্যায় চেষ্টা থেকে সরে আসার চেষ্টা করতে পারেন।

৬) নিজের কাজ কিংবা দায়িত্ব নিখুঁতভাবে করুন
যারা অপমান করার সুযোগ করছেন, তাঁদেরকে নিজের কোন দুর্বলতা বা ত্রুটির খোঁজ দেবেন না। নিজের কাজ ও দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন, তারা আপনার দোষ খুঁজে না পেলে অপমান করাটা একটু শক্তি হয়ে দাঁড়াবে।



Pages: 1 [2] 3 4 ... 16