Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Saqueeb

Pages: [1] 2 3 ... 26
1
Pharmacy / পালংশাকে শক্তি!
« on: November 11, 2015, 12:19:10 PM »
যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিস্টাল সিটিকে বলা হয় পৃথিবীর পালংশাক রাজধানী। একসময় পৃথিবীর মোট টিনজাত পালংশাকের অর্ধেক সরবরাহ করা হতো এখান থেকে। ক্রিস্টাল সিটির মোড়ে মোড়ে জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র পাপাইয়ের মূর্তি দেখা যাবে। কারণ, কার্টুনে দেখানো হয়, পাপাইয়ের শক্তির মূল উৎস পালংশাক। এই কার্টুন দেখে শিশুরা হুট করে পালংশাকে এতটাই আগ্রহী হয়ে পড়ে যে বিশ্বব্যাপী পালংয়ের চাহিদা এবং উৎপাদনে আকাশচুম্বী ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়। কার্টুনের কথা থাক, গুণাগুণে আসি।

পালংশাকে যেমন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘কে’, ‘এ’, ‘সি’, ‘বি২’ ও ফলিক অ্যাসিড থাকে, তেমনি ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম পালংশাকে ২৩ ক্যালরি, ৩ গ্রাম আমিষ, ৪ গ্রাম শর্করা ও ২ গ্রাম আঁশ থাকে, তবে কোনো চর্বি নেই।

পালংশাকে প্রচুর পানি থাকে। আর তাই রান্নার সময় পরিমাণটা একটু বাড়িয়ে নেবেন, পরে ভাগে যেন কম না পড়ে! পালংশাকে দ্রুত পচন ধরে। সংরক্ষণ করতে হলে বায়ুরোধী পলিব্যাগের ভেতর আঁটি খুলে ছড়িয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। হিমায়িত করেও সংরক্ষণ করা যায়।

শীতকালীন সবজি হলেও বাজারে সারা বছর পালংশাক দেখা যায়। দ্রুত শক্তি ফিরিয়ে আনে পালংশাক। রক্তের গুণাগুণ বাড়ায়। পালংশাকের আয়রন লাল রক্ত কণিকা গঠনে সাহায্য করে, যা সারা দেহে অক্সিজেন সরবরাহ করে শরীরে শক্তি ফিরিয়ে আনে বলে জানালেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ।

•পালংশাকের চেয়ে বেশি ভিটামিন ‘কে’ সমৃদ্ধ সবজি খুঁজে পাওয়া কঠিন। হাড় সুরক্ষায় এই ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
* অকাল অন্ধত্ব এবং রাতকানা রোধে পালংশাকের ভিটামিন ‘এ’ খুব কাজে দেয়।
* ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং চুল পড়া রোধ করতেও পালংশাক কার্যকরী।
* ক্যানসার প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে পালংশাক অপরিহার্য।
* আঁশসমৃদ্ধ খাবার হওয়ায় পালংশাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
* চিনি না থাকায় ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তে পালংশাক খেতে পারেন।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
পালংশাকে প্রচুর অক্সালেট থাকে। কিডনির পাথরে অক্সালেট পাওয়া গেছে এমন কেউ বেশি পরিমাণে পালংশাক খাবেন না, পরিহার
করাই ভালো। এতে অক্সালিক অ্যাসিডের পরিমাণও বেশি। বেশি অক্সালিক অ্যাসিড ক্যালসিয়ামের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান শুষে নেয়। হালকা রান্না করলে এই অ্যাসিডের পরিমাণ কমে যায় বলে ধারণা করা হয়।

2
কেউ গোমরামুখো গোমরাথেরিয়াম। কেউ আবার হ্যাংলাথেরিয়াম, হুঁকোমুখোহ্যাংলা। কেউ কুল তো কেউ হট। কেউ অল্পে খুশি। এত পেলেও কারো আবার মন ভরে না। সবই রক্তের দোষগুণ। ওই যে বলে না রক্তই কথা বলে! সত্যি বলে। আপনার ব্লাড গ্রুপই বলে দেয়, মানুষটি আপনি কেমন। বাজে বকছি? দেখুন মিলিয়ে।

গ্রুপ-এ : আপনার জীবনে কিন্তু চাপ আছে। প্রচণ্ড নিরাশাগ্রস্ত এবং প্রচণ্ড সংবেদনশীল। অল্পেই এত দুঃখ পান কেন বলুন তো? বিশেষত আপনি যখন ভালো ভাবেই জানেন, কোনটা সাদা আর কোনটা কালো। আসলে আপনার সমস্যা হচ্ছে, আপনি সামাজিক নিয়মবিধি, সমাজে নিজের অবস্থান সম্পর্কে অতি-সচেতন। তাতেই কাল হয়েছে। অথচ দেখুন, আপনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন। যে কোনও ধরনের পরিশ্রম করতে সমর্থ। তা ফিজিক্যাল হোক বা মেন্টাল। সহ্য ক্ষমতাও অসীম। কারও কাছে 'একঘেয়ে' লাগবে, এমন ধরনের কাজেও আপত্তি নেই আপনার। কিন্তু ওই যে হুটহাট গোমরাথেরিয়াম-মার্কা মুখখানি, আপনার কাল হয়ে দাঁড়ায়! তখন আপনাকে দিয়ে কোনও কাজই করানো যায় না। আসলে সমস্যা হল, আপনার মতির স্থির নেই। আজ যা 'হবি', কাল তাকেই আপনি 'ছবি' করে দেবেন। অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়ার পক্ষপাতী নন। অতীত দ্রুত ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কী আর করবেন? আপনি তো এমনটাই।

গ্রুপ-বি : চরিত্রের দিক দিয়ে আপনি অনেক আকর্ষণীয়। যে কোনও ব্যাপারে চটপট সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। নিয়মটিয়মের ধার ধারেন না। কেউ আপনার উপর খবরদারি করতে এলে- ব্যস, মাথা গরম। অন্যের হুকুম তামিল করা আপনার ধাতে নেই। অথচ দেখুন, চারিত্রিক ভাবে আপনি কতটা নমনীয়। বাস্তবসম্মত বা বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে আপনাকে কেউ যদি কিছু বোঝাতে চান, আপনি বোঝেন। যা নিয়ে লেগে থাকা উচিত বলে আপনি মনে করেন, তা নিয়ে দীর্ঘ দিন লেগে থাকেন। কিছুতেই আপনার উৎসাহ হারায় না। কিন্তু একঘেয়ে কাজে আপনার কোনও আকর্ষণ নেই। শরীরের দিক থেকেও ফিট। রোগবালাইয়ের বালাই নেই। আর আপনার চরিত্রের সবচেয়ে বড় মজাটা হল, আপনি ঝট করে অতীতকে ভুলতে পারেন। পুরনো প্রেম জেগে ওঠে। কিন্তু একবার ভুলে গেলেন তো গেলেন। এটাই আপনার সবচেয়ে প্লাস পয়েন্ট।

গ্রুপ-এবি : রোমিও-জুলিয়েট বা লায়লা-মজনুর ব্লাড গ্রুপ বোধ হয় 'এবি' ছিল। আপনাকে দেখলেই সেটা বোঝা যায়। আপনি তো প্রেমিক মানুষ। প্রচণ্ড রোমান্টিক, সেইসঙ্গে খুবই আবেগপ্রবণ। আবার একই সঙ্গে প্রচণ্ড বাস্তববাদী। অতীত সম্পর্কেও প্রচণ্ড আবেগপ্রবণ। আসলে আপনি অত্যন্ত বাস্তববাদী। হৃদয়ের চেয়েও আপনি অনেক বেশি মস্তিষ্কের কথা শোনেন। হৃদয়ের কথাও আপনি শোনেন, সেটাও যদি আপনার মস্তিষ্ক আপনাকে বলে দেয় তো। সৎ সমালোচনা আপনি পছন্দ করেন। কতটা পারলেন বড় কথা নয়। কিন্তু চেষ্টা করেন চাপ নিয়ে কাজ করতে। বিশ্লেষণী দক্ষতা ধারালো। তবে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে বেলুনে ছুঁচ ফোটানোর মতো আপনি চুপসে যান। সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। এটাই আপনার একমাত্র দুর্বলতা।

গ্রুপ-ও :
আপনার ব্লাড গ্রুপ 'ও'? তা হলে আপনি হচ্ছেন সেই গোত্রের মানুষ, যারা সত্যবাদীদের পছন্দ করেন। অন্যান্য গ্রুপের রক্তের মানুষের তুলনায় আপনি চারিত্রিকভাবে অনেক দৃঢ়। আপনি যদি কিছু করবেন বলে ঠিক করেন, সেই লক্ষ্যে অবিচল থাকেন। আপনার আত্মপ্রত্যয় প্রবল। আপনি সৎ, আশাবাদী এবং উদ্দীপনায় ভরপুর। কোনো কাজ যদি আপনি অর্থহীন বলে ভাবেন, মুহূর্তে সে কাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। আর অতীতের দুঃখজনক ঘটনা সম্পর্কেও আপনি বিন্দুমাত্র নিরাশ নন। অতীত থেকে শিক্ষা নিতেই আপনি ভালোবাসেন। কি ঠিক বললাম তো? সূত্র: এই সময়

3
মানব জীবনে এলার্জি কতটা ভয়ংকর সেটা যে ভুক্তভোগী সেই জানে। উপশমের জন্য কতজন কত কি না করেন। এবার প্রায় বিনা পয়সায় এলার্জিকে গুডবাই জানান আজীবনের জন্য। যা করতে হবে আপনাকে –

১) ১ কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন।

২) শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুড়ো করুন এবং সেই গুড়ো ভালো একটি কৌটায় ভরে রাখুন।

৩) এবার ইসব গুলের ভুষি কিনুন। ১ চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিম পাতার গুড়া ও এক চা চামচ ভুষি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।

৪) আধা ঘন্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।

৫) প্রতি দিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাত্রে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে।

৬) কার্যকারিতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে। আশা করা যায় এলার্জি ভালো হয়ে যাবে এবং এরপর থেকে এলার্জির জন্য যা যা খেতে পারতেন না যেমন- হাঁসের ডিম, বেগুন, গরু, চিংড়ি সহ অন্যান্য খাবার খেতে পারবেন।

4
সারাদিন রোজা রাখার পর শরীরের ক্লান্তি কাটাতে কিছুটা রুচিকর খাবারের দরকার আছে। কিন্তু অনেক সময়েই রুচিকর খাবারের নামে আয়োজনটা অনেকটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায়। আমরা ভুলে যাই রোজার উদ্দেশ্য ও দর্শন। বরং কখনো এমন সব খাবারের আয়োজন করি যা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। 

প্রক্রিয়াজাত ফুড এবং জাংক ফুড হোয়াইট ফুড : এ ধরনের খাবার রোজার সময় এড়িয়ে চলাই বাঞ্ছনীয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। সসেজ, নাগেটস, প্যাটি ইত্যাদি সবই প্রক্রিয়াজাত মাংস। এসব মাংসে থাকে উচ্চমাত্রার নাইট্রেট ও সোডিয়াম। এই নাইট্রেট হজম প্রক্রিয়ার এক পর্যায়ে নাইট্রোসএমাইনে পরিণত হয়, যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ হিসেবে পরিচিত। ফাস্টফুডের অন্যতম উপাদান হচ্ছে প্রক্রিয়াজাত মাংস, বাড়তি লবণ ও সম্পৃক্ত চর্বি। বাড়তি লবণ ও সম্পৃক্ত চবি মিলিত ফল মানেই আয়ুষ্কাল হ্রাস। জাংকফুডের মধ্যে চিপস্, ক্যানডিও শরীরের ক্ষতি করে। চিপস্জাতীয় খাবারগুলোর তৈরি করার সময় যখন আলুকে উচ্চ তাপমাত্রায় তেলে ভাজা হয় তখন তাতে এক্রাইলএমাইড নাম একটি রাসায়নিত যৌগের সৃষ্টি যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান হিসাবে পরিচিত। পোলাও, বিরিয়ানি, অতিরিক্ত মিষ্টি : অতিরিক্ত ঝাল মসলা ও লবণযুক্ত মাংস কিংবা চালের কোনো খাবারই রোজার সময়ের জন্য ভালো খাবার নয়। এগুলো খাওয়ার পর প্রচণ্ড পিপাসার উদ্রেক হতে পারে। ইফতারে ভাজাপোড়া যেন না খেলেই নয়। অথচ এটি কোনোভাবেই ইফতার বা সেহরির সঙ্গে যায় না। এ ধরনের ভাজাপোড়া কিংবা পোলাও-রেজালা জাতীয় খাবার কোনোভাবেই ইফতার ও সেহরিতে খাওয়া উচিত নয়। এসব খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে তেল-চর্বি। যা দীর্ঘ উপবাসের পর হজম হতে চায় না বরং পাকস্থলীকে অসহিষ্ণু করে তোলে। 

ভাজাপোড়া খাবারই ভালো নয় : উল্লেখ্য রোজায় বাজারে তৈরি ভাজাপোড়া খাবারের অধিকাংশই ভাজা হয় পুরনো তেলে। একই তেলে বারবার ভাজা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। একই তেল বারবার ভাজার ফলে তাতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সৃষ্টি হয়। এসব রাসায়নিক পদার্থ ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ হিসাবে পরিচিত। একই ঘটনা ঘটতে পারে জিলিপির ক্ষেত্রে, যেটিও ভাজা হয় পুরনো তেলে। কাজেই ইফতারে ভাজাপোড়া খাওয়া সবচেয়ে ক্ষতিকর। 

সাদা শত্রু : সাদা চিনিকে অনেকেই এক নম্বর শত্রু হিসেবে গণ্য করে থাকেন। কারণ মেদবহুলের জন্য চিনিকে সবচেয়ে দায়ী বলে মনে করে আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন। চিনি প্যানক্রিয়েস, লিভার এবং পরিপাকতন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। 

সেহরিতে চা পান করা ঠিক নয় : ইফতারের পর ঘুমানোর আগ পর্যন্ত শরীরে সারাদিনের পানি স্বল্পতা এবং শরীরকে দূষণমুক্ত করার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি গ্রহণ করা উত্তম। সেহরির পর অনেকই চা পান করে থাকেন। চা অনেক উপকারী এ কথাও প্রায় সবার জানা কিন্তু এই নিবন্ধে গবেষকরা সেহরির পর চা পান থেকে বিরত থাকতে বলেছেন একটি ভিন্ন কারণে। গবেষকরা বলছেন চায়ের মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন। এই ক্যাফেইন প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীরে খনিজ লবণ ও পানিস্বল্পতা দেখা দিয়ে থাকে। 

ভেজাল খাবার : ইফতারে অনেক খাবারই আছে যেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কিন্তু ভেজালের কারণে সেগুলোর অধিকাংশই বদহজম, কিডনি রোগ থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত করতে পারে। এসব খাবারের তালিকা অনেক দীর্ঘ তবে এগুলোর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে ফরমালিনযুক্ত ফল, শাকসবজি, মাছ, দুধ।   

5
Pharmacy / ওজন কমবে ফলে
« on: June 24, 2015, 02:01:52 PM »
ওজন কমাতে মরিয়া হয়ে ওঠা অনেকেই সারা দিন না খেয়ে কিংবা আধপেটা খেয়ে পড়ে থাকেন। শরীরে আলস্য এসে ভর করে এমনিতেই। কাজের গতি নেমে যায় অর্ধেকে। শারীরিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ওজন কমানোর এই চেষ্টায় নিজের অজান্তে ত্বক ও চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়। তাই এবার ফল দিয়েই ডায়েট হোক। ফল শরীরের ত্বক, চুলের সৌন্দর্য ঠিক রেখ সহজেই ওজন কমিয়ে ফেলতে পারে।
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ বলেন, ‘এখন বাজার ভরা ফলে। শক্তি আর পুষ্টির অসাধারণ উৎস। এই ফল দিয়েই যদি ডায়েট করা যায়, তাহলে সহজে ওজন কমবে, শরীরও সুস্থ থাকবে। রক্ত সঞ্চালন-প্রক্রিয়াকে সচল রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দৃঢ় করে, পরিপাকতন্ত্রকে কর্মক্ষম রাখে। ত্বক আর চুলের উজ্জ্বলতাও বাড়ায়।’
প্রাকৃতিকভাবে ওজন ঝরাতে চাইলে ফল ডায়েট করতে পারেন। বেশি পরিমাণে শর্করা আছে, এমন ফলগুলোর মধ্যে আছে আম, কলা, পাম, নাশপতি, আনারস, আঙুর, ডুমুর ইত্যাদি। এ ফলগুলো খেতে পারেন সকালের খাবারে। এগুলো সারা দিনের কাজের শক্তি জোগাবে এবং দীর্ঘ রাত ঘুমিয়ে থাকার পর শরীরকে কর্মক্ষম রাখতে যেটুকু চিনির দরকার, সেই শক্তিও আসবে এ ফল থেকে। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায়ও দেখা গেছে, যাঁরা প্রতিদিন আঙুর খান, তাঁদের ওজন কমার প্রবণতা অন্যদের তুলনায় ঢের বেশি।
কম শর্করাযুক্ত ফলের মধ্যে আছে তরমুজ, আপেল, পেঁপে—এই ফলগুলো। এ ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণ পানি—শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এ ফলগুলো গরমের জন্য খুব উপকারী। এমনকি হৃদ্স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যেমন ভূমিকা রাখে, তেমনি স্নায়ুতন্ত্র সজাগ রাখে। তাই কম শর্করাযুক্ত ফল খান, চর্বি ঝরবে, ওজনও কমবে।
টকজাতীয় ফলে কার্বোহাইড্রেট থাকে অতি অল্প। এই ফলগুলোর মধ্যে লেবু, ব্ল্যাকবেরি, ক্রানবেরি, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি উল্লেখযোগ্য। এগুলো হজম-প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন এবং বর্জ্য বের করে দিতে সহায়তা করে। বছরজুড়েই লেবু পাওয়া যায়। দামেও সস্তা। তাই প্রতিদিন লেবু খান, লেবুতে থাকা উপাদান খাবার দ্রুত হজমে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে চর্বি খরচ করতে সক্ষম।
তরমজু, বাঙ্গি, ক্যান্টালোপ—এই ফলগুলোতে পানি বেশি থাকে। আর কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ থাকে অতি অল্প। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খানিকটা শক্তি তৈরি হয়। অন্যদিকে হজম-প্রক্রিয়া দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। খেতে পারেন ডাব। ডাবের পানিতে থাকা উপাদানগুলো যকৃতের মেটাবলিজমকে প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া ডাবের পানি খেলে পেট ভরে থাকে। অন্য কিছু খাওয়ায় নতুন করে রুচিও হয় না।
এ ছাড়া খেজুরের মতো শুকনো ফলও খেতে পারেন। এগুলো ভিটামিন ও খনিজে পূর্ণ। তাজা ফলের সঙ্গে শুকনো ফলও শরীরের ওজন কমাতে বিশেষ কার্যকর।

6
বারোমাসি সবজি বা ফল হিসেবে পেঁপে অনন্য। এটি পাওয়া যায় বছরজুড়ে। কাঁচাবাজার, ফলের দোকান বা ফেরিওয়ালার ঝুড়ি—সবখানেই পেঁপে মেলে। মাছ বা মাংসের ঝোলে সবজি হিসেবে দারুণ কদর পেঁপের। ভাজি, ভর্তা বা সবজির মিশ্র ব্যঞ্জনে পেঁপের দারুণ কদর রয়েছে। কাঁচা ও পাকা পেঁপে দুটোই সুস্বাদু। গুণও আছে বেশ।

কাচা পেঁপের ফলন সবচেয়ে বেশি রাজশাহী, যশোর, মাগুরা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরে। ফল হিসেবে পেঁপের অধিকাংশ আসে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, মধুপুর ও ফরিদপুর থেকে। ফল ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, ফরিদপুর এবং গাজীপুরের পেঁপেই তুলনামূলক বেশি মিষ্টি এবং সুস্বাদু।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম জামালউদ্দিন বলেন, ‘ফলের মিষ্টতা ও স্বাদ আসলে নির্ভর করে ভালো জাতের পেঁপের ওপর। বেলে-দোআঁশ মাটিতে চাষ করা পেঁপে বেশ সুস্বাদু হয়। ফল ধরার ২০ দিনের ভেতরে কাঁচা (সবজি) পেঁপে খাওয়ার উপযোগী হয়। ফল হিসেবে খাওয়ার উপযোগী পেঁপে পাওয়া যায় এক মাসে।’

কারওয়ান বাজারের ফল ব্যবসায়ী মো. নিজামুদ্দিন বলেন, ‘আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে সুস্বাদু পেঁপে পাওয়া যায়। হাইব্রিড জাতের চেয়ে দেশি জাতের পেঁপেই বেশি বিক্রি হয়। এখন পাওয়া যাচ্ছে গাছপাকা পেঁপে। বাজারে ফরমালিনমুক্ত গাছপাকা পেঁপের চাহিদাই বেশি।’

এখানেই কথা হলো ক্রেতা আবুল বাশারের সঙ্গে। জানালেন, পরিবারের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় পেঁপে থাকেই। সবজি এবং ফল হিসেবে খাওয়ার জন্য পেঁপে খুব সহজলভ্য। সামনে রমজান মাস। প্রতিদিনের ইফতারের তালিকায় ফল হিসেবে পেঁপে তো অবশ্যই থাকবে।
সবজি ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘সবজি হিসেবেও হাইব্রিড জাতের পেঁপে নিতে চায় না, সবাই দেশিটাই খোঁজে। আষাঢ় মাসের পেঁপেই সবজি হিসেবে বেশি ভালো। রান্নার উপযোগী হৃষ্টপুষ্ট পেঁপে বছরের শেষ সময় বাজারে আসে।’

পেঁপের পুষ্টি উপাদান শুধু শরীরের চাহিদাই মেটায় না, রোগ প্রতিরোধও করে। ছবি: জাহিদুল করিমপেঁপের আছে নানা পুষ্টিগুণ। ১০০ গ্রাম পেঁপেতে কার্বোহাইড্রেট আছে ৭ দশমিক ২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩২ কিলোক্যালরি, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম, ৬ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, প্রোটিন আছে শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম, ফ্যাট শূন্য দশমিক ১ গ্রাম, মিনারেল শূন্য দশমিক ৫ গ্রাম, ফাইবার শূন্য দশমিক ৮ গ্রাম ও আয়রন শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম।

বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ বলেন, ‘পেঁপের পুষ্টি উপাদানগুলো শুধু শরীরের চাহিদাই মেটায় না, রোগ প্রতিরোধও করে। পেঁপের প্রচুর পরিমাণ আঁশ, ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হৃতস্বাস্থ্য ভালো রাখে। এগুলো রক্তনালিতে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল জমতে দেয় না। তাই হৃদস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও উচ্চরক্তচাপ এড়াতে নিয়মিত পেঁপে খেতে পারেন।’পুষ্টিবিদ বলেন, কোলন ও প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে পেঁপে বিশেষ উপকারী। হজমশক্তি বাড়াতে ও পেটের গোলযোগ এড়াতেও পেঁপে খেতে পারেন।

7
যারা অনেকদিন ধরে কম্পিউটার, ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন তাদের সবারই কমবেশি শর্টকাট ভাইরাসের মুখোমুখি হবার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এটি আসলে কী? কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ একদিন দেখলেন কম্পিউটার শর্টকাট ফাইল-ফোল্ডারে ভরে গেছে। বারবার ডিলিট করছেন, আবার তৈরি হচ্ছে। হুটহাট অনেক ফাইল-ফোল্ডার হারিয়েও যাচ্ছে। ইদানীং এই সমস্যায় প্রায় সবাই পড়ছেন। এটি মূলত কোনো ভাইরাস নয়। এ হলো VBS Script (ভিজুয়াল বেসিক স্ক্রিপ্ট)। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে এ যন্ত্রণা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।

CMD ব্যবহার করে

১. ওপেন CMD (Command Prompt – DOS)

২. নিচের কমান্ডটি হুবহু লিখুন

attrib -h -s -r -a /s /d Name_drive:*.*

এবার Name_drive লেখাটিতে যে ড্রাইভটি আপনি শর্টকাট ভাইরাসমুক্ত করতে চান সেটি লিখুন। যেমন: C ড্রাইভ ভাইরাসমুক্ত করতে চাইলে লিখুন attrib -h -s -r -a /s /d c:*.*

৩. এন্টার বাটন চাপুন

৪. এবার দেখবেন শর্টকাট ভাইরাস ফাইল ও ফোল্ডারগুলো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এবার ওই ফাইল ও ফোল্ডারগুলো ডিলিট করে দিন।

.bat ব্যবহার করে

Bat ফাইল হলো নোটপ্যাডে লেখা একটি একজেকিউটেবল ফাইল। এতে ডাবল ক্লিক করলেই চালু হয়ে যায়।

১. নোটপ্যাড ওপেন করুন।

২. নিচের কোডটি হুবহু কপি-পেস্ট করুন

@echo off

attrib -h -s -r -a /s /d Name_Drive:*.*

attrib -h -s -r -a /s /d Name_Drive:*.*

attrib -h -s -r -a /s /d Name_Drive:*.*

@echo complete.

৩. এবার Name_Drive এর জায়গায় ভাইরাস আক্রান্ত ড্রাইভের নাম লিখুন। যদি তিনটির বেশি ড্রাইভ আক্রান্ত হয় তাহলে কমান্ডটি শুধু কপি-পেস্ট করলেই চলবে।

৪. removevirus.bat এই নাম দিয়ে ফাইলটি সেভ করুন।

৫. এবার ফাইলটি বন্ধ করে ডাবল ক্লিক করে রান করুন।

৬. এবার দেখবেন আপনার শর্টকাট ভাইরাস ফাইল-ফোল্ডারগুলো সব স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এখন সব ডিলিট করে দিন।

এছাড়া নিচের কৌশলও নিতে পারেন

আক্রান্ত পেনড্রাইভ থেকে বাঁচতে

১. RUN এ যান।

২. wscript.exe লিখে ENTER চাপুন।

৩. Stop script after specified number of seconds: এ 1 দিয়ে APPLY করুন। এবার কারো পেনড্রাইভের শর্টকাট ভাইরাস আর আপনার কম্পিউটারে ঢুকবে না।

আক্রান্ত কম্পিউটার ভাইরাসমুক্ত করতে

১. কী বোর্ডের CTRL+SHIFT+ESC চাপুন।

২. PROCESS ট্যাবে যান।

৩. এখানে wscript.exe ফাইলটি সিলেক্ট করুন।

৪. End Process এ ক্লিক করুন।

৫. এবার আপনার কম্পিউটারের C:/ ড্রাইভে যান।

৬. সার্চ বক্সে wscript লিখে সার্চ করুন।

৭. wscript নামের সব ফাইলগুলো SHIFT+DELETE দিন।

৮. যেই ফাইলগুলো ডিলিট হচ্ছে না ওইগুলো স্কিপ করে দিন।

৯. এখন RUN এ যান।

১০. wscript.exe লিখে ENTER চাপুন।

১১. Stop script after specified number of seconds: এ 1 দিয়ে APPLY করুন।

ব্যাস, আপনার কম্পিউটার শর্টকাট ভাইরাসমুক্ত। এবার পেনড্রাইভের শর্টকাট ভাইরাসও আর আপনার কম্পিউটারে ডুকবে না।

8
অনেকেই ঝাল খাবার একেবারে খেতে পারেন না, আবার অনেকের ঝাল খাবার ছাড়া চলে না। একেক জনের মুখের স্বাদ একেক ধরণের হয়ে থাকে- এটিই স্বাভাবিক। যারা অনেক বেশি ঝাল খাবার খান তাদের ঝাল খাওয়া দেখে হয়তো যারা ঝাল খান না তারা বেশ অবাকই হন। কিন্তু সত্যি বলতে কি যারা ঝাল বেশি খান তারাই কিন্তু বেশ লাভবান। ভাবছেন কী কারণে? তাহলে জেনে রাখুন, ঝাল খাবার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। শুনতে অবাক লাগলেও যারা একটু বেশি ঝাল খাবার খান তারা কিছু কিছু সমস্যা থেকে আপানাআপনি রেহাই পেয়ে যান।
১) হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে
ঝাল খাবার কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা দূরে রাখতে সহায়তা করে থাকে। ঝাল খাবার দেহের খারাপ কলেস্টোরল দূর করতে সহায়তা করে, এতে করে হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে। এছাড়াও ক্যাপসেইসিনের রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা প্রদাহ বন্ধ করতেও সহায়তা করে।

২) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
গবেষণায় দেখা যায় মরিচ ও ঝাল খাবারের যৌগ ক্যাপসেইসিনের রয়েছে দেহের ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করার জাদুকরী ক্ষমতা। এছাড়াও এর আরো রয়েছে সাধারণ সর্দি কাশি ও স্ট্রোক প্রতিরোধের ক্ষমতা।

৩) ওজন কমায় ঝাল খাবার
ওজন কমানোর জন্য যারপরনাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন? তাহলে এক কাজ করুন খাদ্য তালিকায় রাখুন একটু ঝাল খাবার। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, মরিচ যা ঝাল খাবারের মূল উৎস তাতে রয়েছে ক্যাপসেইসিন নামক যৌগ যা দেহে থার্মোজেনিক ইফেক্টের জন্য দায়ী। এই থার্মোজেনিক ইফেক্ট দেহের ক্যালরি ক্ষয় করতে বিশেষভাবে সহায়ক।

৪) উচ্চ রক্তচাপ কমায়
গবেষণায় দেখা যায়, ঝাল খাবার এবং ঝাল মরিচ রক্তের শিরা উপশিরা নমনীয় করতে সহায়তা করে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝামেলা কমিয়ে দেয়।

৫) রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখে
যারা একেবারেই রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারেন তারা ঝাল খাবার খেয়ে রাগ দূর করার চেষ্টা করতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ঝাল খাবার আমাদের দেহে সেরেটেনিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যাতে করে ভালোলাগা উৎপন্ন হয় মস্তিষ্কে। এতে করে রাগও দূর হয়ে যায় খানিক পরেই।-ইন্টারনেট।

 

9
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কত শত ঘটনাই ঘটে। এর মধ্যেও কিছু অতি সাধারণ ঘটনা আছে যেগুলো সাধারণ হয়েও বেশ মজার। এসব মজার ঘটনাগুলো নিয়ে আমরা হয়তো কখনো ভাবিও না। নিচে তেমনই কয়েকটি সাধারণ অথচ মজার ঘটনা তুলে ধরা হলো :

১. প্রতিটি মানুষের মাত্র একটা হৃদপিণ্ড থাকে। আর তাতেই আমরা কখনো কখনো নিজেরকে হৃদয়বান বলে দাবি করি বা বলে থাকি।  কিন্তু অক্টোপাস নামে একটি প্রাণীর তিন তিনটি হৃদপিণ্ড আছে। এ হিসাবে তো নিশ্চয় তারা আমাদের চেয়ে ঢের বেশি হৃদয়বান!

২. অন্য কোনো প্রাণীর পক্ষে সম্ভব হলেও মানুষের পক্ষে এক চোখ খোলা রেখে ঘুমানো অবশ্যই কঠিন বা সম্ভব না। তবে ডলফিন প্রাণীর নাম নিশ্চয় শুনেছেন। আর এ প্রাণীটি এক চোখ খোলা রেখেই নির্দ্বিধায় ঘুমাতে পারে!

৩. মানুষের ত্বকের প্রতি বর্গইঞ্চিতে প্রায় ৬২৫টি ঘামগ্রন্থি আছে। ওগুলো এতো সূক্ষ্ম যে গুনে দেখতে চাইলেও সম্ভব না।

৪. পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হলো হিমালয়। এর উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার। মজার তথ্য হলো এর উচ্চতা নাকি প্রতিনিয়তই বাড়ছে। প্রতি বছর প্রায় ৪ মিলিমিটার করে বাড়ে হিমালয়ের উচ্চতা!

৫. মানুষের হাত ও পায়ের নখ প্রতিদিনই বাড়ে এটা সবারই জানা। কিন্তু কতটুকু করে বাড়ে তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। মানুষের নখ নাকি প্রতিদিন ০.০১৭১৫ ইঞ্চি করে বাড়ে!

৬. আমরা নাকের বদলে পা দিয়ে নিঃশ্বাস নিচ্ছি ভাবতে নিশ্চয় কেমন বেখাপ্পা লাগছে! তবে আমরা মানবজাতি এই কাজ করতে না পারলেও স্যান্ড বারলার ক্র্যাব (এক প্রকার কাঁকড়া) নামে ছোট্ট প্রাণীটি কিন্তু তার পা দিয়েই নিঃশ্বাসের কাজ চালিয়ে নেয়। তবে অবশ্য তাদের নাক নেই।

৭. অজ্ঞান হওয়ার পর আমরা কোনো দিকে কিভাবে পড়ছি এ ব্যাপারে অবগত থাকি না। তবে ছোট্ট প্রাণী পিপড়া নাকি অজ্ঞান হওয়ার পরও দিকজ্ঞান থাকে!  অজ্ঞান হয়ে উল্টে পড়ার সময় পিপঁড়া সবসময় তাদের ডান দিকে পড়ে!

৮. কাউকে বোকা বলার সময় আমরা সচরাচর বলে থাকি, তোর মাথায় ঘিলু বা মগজ কম। সে হিসাবে স্টার ফিশগুলো মস্ত বোকা প্রাণী কারণ ওদের কোনো মগজই নেই।

৯. হাসাহাসিতে মেতে থাকা সহজ কোনো ব্যাপার না। মজার ব্যাপার হলো, কেউ মুচকি হা্সেন আর হো হো করে হাসেন, প্রতিবার হাসার সময় মুখের কমপক্ষে ৫ জোড়া মাংসপেশি মানুষকে ব্যবহার করতে হয়। আর বেশি হাসার জন্য ৫৩টা পেশী ব্যবহার করতে হয়!

১০. ইংরেজিতে ছাপা প্রথম বইয়ের নাম ছিল 'দি রেকুইয়েল অব দি হিস্টোরিয়েস অব ট্রয়' (The Recuyell of the Historyes of Troye)। বইটি ছাপা হয়েছিল ১৪৭৫ সালে আর লেখক ছিলেন উইলিয়াম ক্যাক্সটন।

১১. প্রতিটি মানুষের আঙুলের ছাপ ভিন্ন ভিন্ন হয়-এটা হয়তো আমাদের সবাই জানেন। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে  মানুষের ঠোঁটের ছাপও সম্পূর্ণ ভিন্ন ভিন্ন হয়!


10
Pharmacy / তরমুজের যত গুণ
« on: May 10, 2015, 11:24:01 AM »
তরমুজে পানি আর চিনি ছাড়া কিছু নেই—অনেকের এমন ধারণা থাকলেও তা ঠিক নয়। এই ফল নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ।
এই গ্রীষ্মে তৃষ্ণা দূর করতে আর শক্তি জোগাতে তরমুজ হতে পারে আপনার জন্য আকর্ষণীয় খাবার। কেননা এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জলীয় অংশ, যা পানিশূন্যতা রোধ করে; আর আছে বেশ খানিকটা শর্করা, যা বাড়তি শক্তি জোগায়।

এক কাপ তরমুজের টুকরা খেলে আপনি প্রায় ৪৫ ক্যালরি শক্তি পাবেন। পাবেন ১০ গ্রামের মতো চিনি বা শর্করা, এক গ্রাম পরিমাণ আঁশ এবং শূন্য পরিমাণ চর্বি বা ফ্যাট। এটুকু তরমুজ খেয়ে আপনি দৈনিক ভিটামিন ‘এ’-এর চাহিদার ৭ শতাংশ ও ভিটামিন ‘সি’-এর ২১ শতাংশ পূরণ করতে পারবেন। এ ছাড়া তরমুজে পাবেন ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন ‘বি সিক্স’ এবং ফলেট। এই ফলে লাইকোপিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে অনেক, যা কিনা উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ ও প্রদাহ কমায় বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রচুর ভিটামিন ‘এ’-সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও আর্দ্রতা রক্ষায় তরমুজের জুড়ি নেই। এই ফলের ৯২ শতাংশই পানি, তাই এই গরমে ও রোদে নাশতা বা টিফিন হিসেবে প্রতিদিন কিছু তরমুজ খাওয়া ভালো। সূত্র: নিউট্রিশন ফ্যাক্ট

11


ফ্রাইড চিকেন

স্বাস্থ্যকর ফ্রাইড চিকেন সম্ভব। অবশ্য সে জন্য আপনাকে ঘরেই এই খাবার তৈরির প্রক্রিয়াটা সযত্নে আয়ত্ত করতে হবে। মুরগির চামড়া ছাড়ানো পা ও বুকের অংশ কম চর্বিযুক্ত বাটার মিল্কে চুবিয়ে রাখুন। এরপর জলপাই তেল স্প্রে করে দিন। এরপর মচমচে করতে চাইলে এর ওপর বাদামি রুটির গুঁড়ো বা সুজি ছড়িয়ে দিতে পারেন। এবার ওভেনে ৪৫০ ডিগ্রি তাপে মুরগির টুকরোগুলোকে বেক করে নিন।

স্যান্ডউইচ

আপনি চাইলেই নিজের ঘরেই বিকেল/সন্ধ্যার নাশতা হিসেবে স্যান্ডউইচ তৈরি করে নিতে পারেন। রুটি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাদামি রুটি, বান বা নানও বেছে নিতে পারেন। এবার আপনার স্যান্ডউইচ মেকারের আকার অনুযায়ী প্রয়োজনে রুটি কেটে নিন। স্যান্ডউইচের পুর আগেই তৈরি করে রাখতে পারেন। সেদ্ধ করে রাখা চিকেনের কিমার সঙ্গে মেশাতে পারেন নানা রকমের সবজি। সঙ্গে রাখুন পছন্দসই সস।

পিৎজা
ঘরে বসে স্বাস্থ্যকর পিৎজা বানানোর ক্ষেত্রে এগপ্ল্যান্ট পিৎজা বা মাশরুম পিৎজা বানানোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন। বাজারি পিৎজা সস না কিনে বাড়িতে বানানো টমেটো সস ব্যবহার করতে পারেন। ভালো মানের আঁশ চাইলে কলে ভাঙানো গমের ময়দা ব্যবহার করতে পারেন। সম্ভব হলে এর সঙ্গে খানিকটা তিসির দানাও দিয়ে দিতে পারেন। এতে এটা দারুণ পুষ্টিসমৃদ্ধ ওমেগা-থ্রি উপাদানে সমৃদ্ধ হবে।

মিল্কশেক
স্বাস্থ্যকর মিল্কশেকের জন্য হালকা মাখনের মিশ্রণটা অল্প রাখুন। এবার পছন্দমতো ভ্যানিলা, চকলেট কিংবা স্ট্রবেরির ফ্লেভার যোগ করতে পারেন। পুরোটাই সাধারণ দুধ না দিয়ে সঙ্গে খানিকটা হলেও লো-ফ্যাট মিল্ক বা ফ্যাট কমানো হয়েছে এমন দুধ মেশান। এতে করে কিছুটা ক্যালরি ও ফ্যাট কমবে এবং মিল্কশেকের প্রোটিন উপাদানের পরিমাণ বাড়বে।

চকলেট
ভালো চকলেট স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে গণ্য হলেও অতিরিক্ত খেলে আপনার কোমরের স্ফিতি হয়তো আর নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। খেতে হলে চকলেটের গাঢ় রঙের নানা ধরনের পদগুলো বেছে নিন। চকলেট রক্তচাপ কমিয়ে আপনার মনোযোগ ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করতে পারে। মিষ্টিমুখের জন্য চকলেটের বদলে দই ও দুগ্ধজাত নানা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে চকলেট খাওয়ার নেশাও কমবে, মিষ্টির চাহিদাও মিটবে।

12

খেতে সুস্বাদু লাল শাক লুকিয়ে আছে অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ যা অনেকেরই হয়তো অজানা। দেহের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য লাল শাকের গুরুত্ব অনেক বেশি। জেনে নিন এর নানারকম স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে।

- লাল শাকে থাকা আয়রন দেহের রক্তশূন্যতা রোধ করে।

- কিডনিকে ভালো রাখতে ও কিডনি পরিষ্কার রাখতে লাল শাক খুব ভালো। সদ্য মা হয়েছেন এমন নারীদের জন্য  লাল শাক খুব কার্যকরী।

- লাল শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি' যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির জন্য খুব উপকারী।

13


নতুন উদ্যম তো বটেই, গবেষকেরা বলছেন দিনের বেলায় এমন একটু ভাতঘুম স্মরণশক্তির সক্ষমতা পাঁচগুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। ছবিটি প্রতীকী।আবহমান কাল ধরে বাংলার কৃষকদের মধ্যে মাঠে-ঘাটে কাজের ফাঁকে দু-মুঠো খেয়ে একটু ভাতঘুমের চল রয়েছে। এতে ক্লান্তি দূর করে নতুন উদ্যমে আবারও কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার শক্তি পাওয়া যায়। বাংলার এই ভাতঘুম বা স্পেনের সিয়েস্তার মতোই দুনিয়ার নানা অঞ্চলে ঘুমের এমন চল বহু আগে থেকেই ছিল। আধুনিক সমাজে দিনের বেলায় এই একটু ঘুমিয়ে নেওয়াকে বলা হচ্ছে- পাওয়ার ন্যাপ। নতুন উদ্যম তো বটেই, গবেষকেরা বলছেন দিনের বেলায় এমন একটু ভাতঘুম স্মরণশক্তির সক্ষমতা পাঁচগুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

জার্মানির সারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আক্সেল মেকলিঙ্গার সাম্প্রতিক এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন। নিউরোসাইকোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিনের বেলায় কাজের ফাঁকে ৪৫ থেকে ৬০ মিনিটের ঘুম স্মরণশক্তি প্রায় পাঁচ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে।

শেখার ক্ষমতার ক্ষেত্রে মনে রাখা বা স্মরণশক্তির সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মেকলিঙ্গার বলেন,‘মানুষ যেকোনো শিক্ষার পরিবেশে থাকলে ঘুমের ইতিবাচক প্রভাবের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে আমাদের।’

এ গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের দুটি দলে ভাগ করা হয়। একদলকে কাজের ও পড়ালেখার ফাঁকে ঘুমাতে দেওয়া হয়, আরেক দলকে না ঘুমিয়ে অন্য কিছু করতে বলা হয়। গবেষকেরা অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাস অংশটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। মস্তিষ্কের এই অংশই পাঠ বা অভিজ্ঞতা থেকে শেখা বিষয়গুলো দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত হয় বা এখানে স্মরণশক্তি তৈরি হয়।

গবেষক সারা স্টাডটে বলেন,‘স্লিপ স্পিন্ডল নামে মস্তিষ্কের বিশেষ একটা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছি আমরা। এটা ঘুমের সময় স্মৃতি সমন্বয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে।’

জার্মানির এই গবেষকদের পরামর্শ হলো শেখা ও মনে রাখার মতো কাজে লাগাতার সময় দেওয়ার পর কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে নিন, এতে আপনার স্মরণশক্তি বাড়বে, আপনি সময়মতো প্রয়োজনীয় তথ্য মনে করতে পারবেন। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি অফিসেও কাজের ফাঁকে এমন একটু ভাতঘুম ঘুম দারুণ উপকারী হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।


14
স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির আধিক্য বা হৃদ্রোগ ইত্যাদি সমস্যার কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এই বাড়তি ওজন। এটি আরও নানা রোগব্যাধির জন্য দায়ী।

শরীরের ওজন যদি উচ্চতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়, তখন মানুষের সুস্থতা বা সৌন্দর্য বলতে কিছুই থাকে না। মানসিক ও শারীরিকসহ নানা রোগে দৈনন্দিন কাজেও তখন নানা রকমের ব্যাঘাত ঘটে। অল্প পরিশ্রমে ক্লান্তি আসে, সক্ষমতাও যায় কমে। কোনো কাজ সহজভাবে করা কঠিন হয়ে পড়ে। আর তখন দেখা দিতে পারে নানাবিধ শারীরিক সমস্যা। এ রকম কয়েকটি উদাহরণ:

অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত: অস্থিসন্ধি আমাদের শরীরের ওজন বহন করে। দীর্ঘদিন অতিরিক্ত ওজন বহন করার জন্য অস্থিসন্ধিতে পরিবর্তন দেখা দেয়। ফলে নানা রকমের বাত ব্যথা হয়। মেরুদণ্ড, কোমর ও হাঁটুতে ব্যথা বা প্রদাহ হতে পারে। গেঁটে বাতের ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ব্যাপারটিও স্থূলতার সঙ্গে জড়িত।

যকৃতের অকার্যকারিতা:
যকৃতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো ফ্যাটি লিভার বা যকৃতে চর্বি জমে যাওয়া। এ থেকে যকৃতের নানা সমস্যা, এমনকি লিভার সিরোসিস পর্যন্ত হতে পারে।
পিত্তথলির সমস্যা: স্থূলকায় মানুষের পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সাধারণ দেহের লোকজনের তুলনায় তাদের, বিশেষ করে যদি ৪০ বছরের বেশি বয়সী নারী হন, পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ক্যানসার: স্থূলতার সঙ্গে ইদানীং নানা ধরনের ক্যানসারের সম্পৃক্ততাও মিলেছে। খাদ্যনালি, অন্ত্র, যকৃৎ ও স্তন ক্যানসার এবং লসিকা গ্রন্থির ক্যানসারের সঙ্গেও স্থূলতার সম্পর্ক আছে।
পায়ের শিরায় সমস্যা: স্থূলকায় মানুষের পায়ের শিরা অনেক সময় ফুলে ওঠে। একে বলে ভ্যারিকোস ভেইন। জটিলতা বেড়ে গেলে এ থেকে পরিত্রাণের জন্য অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন হয়।
শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা: নাক ডাকা ও ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার (স্লিপ এপনিয়ার) বড় কারণ—স্থূলতা। স্লিপ এপনিয়ায় রোগীর হৃদ্রোগ, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

বন্ধ্যাত্ব: স্থূলতার কারণে অনেক সময় সন্তান ধারণে সমস্যা হয়। স্থূল কিশোরী ও তরুণীদের ডিম্বাশয়ে সিস্ট ও অনিয়মিত মাসিক থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্ব ও শরীরে অবাঞ্ছিত লোম ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
তাই শুধু হৃদ্রোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপই নয়, বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলে আপনি নানাবিধ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বিএসএসএমইউ

15

উপকরণ

হাঁস ১টি, মেথি আধা চা-চামচ, কাসুরি মেথি ১ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজ মোটা কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজবাটা ২ টেবিল-চামচ, সয়াবিন তেল আধা কাপ, তেজপাতা ২টি, গরম মসলা ৫-৬টি, আদাবাটা ১ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল-চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা-চামচ, জিরাগুঁড়া ১ চা-চামচ, পেস্তাবাদাম বাটা ১ টেবিল-চামচ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ ভেজে গুঁড়া করা ২ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো

প্রণালি


হাঁসটি পছন্দমতো টুকরা করে ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। পাত্রে তেল দিয়ে মেথি, তেজপাতা ও গরমমসলার ফোড়ন দিয়ে হাঁসের টুকরা দিয়ে নেড়ে নিতে হবে। কাটা পেঁয়াজ ও কাসুরি মেথি বাদে বাকি সব উপকরণ একে একে দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ১ কাপ পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে মৃদু আঁচে রান্না করতে হবে। পানি শুকিয়ে হাঁস সেদ্ধ হয়ে এলে কাটা পেঁয়াজ দিয়ে আরও ১ কাপ পানি দিতে হবে। সঙ্গে ভাজা মরিচগুঁড়াও দিতে হবে। ঝোল মাখা মাখা হলে কাসুরি মেথি ছড়িয়ে দিয়ে মৃদু আঁচে ২/৩ মিনিট রেখে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। পাঁচ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।

Pages: [1] 2 3 ... 26