Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Muntachir Razzaque

Pages: 1 [2] 3
16
বিভিন্ন ব্লাড গ্রুপের বৈশিষ্ট্য

”O+” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বচ্ছ দৃষ্টি সম্পন্ন, গভীর মনোযোগী, উচ্চাকাঙ্খী, স্বাস্থ্যবান, বাকপটু, বাস্তববাদী, রোমান্টিক এবং অত্যান্ত বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।

”O-” এই গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত অন্যের মতামতকে গ্রাহ্য করে না। সমাজে মর্যাদা বাড়াতে আগ্রহী, বড়লোকের সঙ্গপ্রিয় এবং বড় বেশি বাচাল।

”A+” এই ব্লাডগ্রুপের মানুষেরা গোছগাছ প্রিয়, দক্ষ চাকুরে এবং খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয়ে থাকে। এরা আত্নকেন্দ্রিক, সুবিচারক, শান্ত, নিয়মতান্ত্রিক, বিশস্ত, নিয়মানুবর্তী ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।

”A-” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের এবং কিছুটা অমনোযোগী। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বেশি মনোযোগী। এদের অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার প্রবণতা বেশি। এদের আছে নিজেকে লুকানোর অভ্যাস এবং একঘেয়েমি জীবন।

”B+” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বাধীনচেতা, মেধাবী, নমনীয়, মনোযোগী, স্বাস্থ্যবান, সরল, দক্ষ, পরিকল্পনাবাদী, বাস্তববাদী, আবেগপ্রবণ এবং খুব বেশি রোমান্টিক হয়ে থাকে।

”B-” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা অসংযমী, অপরিনামদর্শী, দায়িত্বহীন, অলস, স্বার্থপর, অগোছালো, অবিবেচক এবং স্বার্থান্বেষী হয়ে থাকে।

”AB+” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত সুবিবেচক, বুদ্ধি সম্পন্ন, হিসেবী, পরিকল্পনাবাদী, সৎ কৌশলী সংবেদনশীল, নিরেট এবং খুব চমৎকার সাংগঠনিক হয়ে থাকে।

”AB-” এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা দুর্বোধ্য, ক্ষমতাহীন, অন্যকে আঘাত করার প্রবণতা বেশি, এনার্জি স্বল্পতা, খুববেশি রক্ষনশীল ও বড় বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন।

Source: http://www.newsevent24.com/2013/09/19/%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A1-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A7%87/

17
এটা তো সবাই জানেন, একটি সুখী, সুস্থ শরীর ও মনের জন্য কোনো না-কোনো ধরনের শরীরচর্চা প্রয়োজন। ব্যায়াম এবং সেই সঙ্গে সুমিত পানাহার হলো দীর্ঘজীবনের রহস্য, শরীর-মন তরতাজা রাখার রহস্য। আদর্শ ওজন বজায় রাখা সবচেয়ে বড় কাজ।
এ ছাড়া আলসে কালক্ষেপণের একটি ভালো উপায় হলো ব্যায়াম করা।
সহজ-সরল একটি ব্যায়াম আছে—তা হলো, হাঁটা। এটি কম পরিশ্রমে উপযুক্ত একটি ব্যায়াম সব বয়সের মানুষের জন্য। নিখরচায় শরীরচর্চা।
যেখানে-সেখানে করা যায় এই শরীরচর্চা। লেকের পাড় ধরে যে পায়ে চলা পথ, সেই পথ ধরে হাঁটার মধ্যে কত আনন্দ! ঝিরিঝিরি বাতাসে বন্ধুর সঙ্গে হাঁটতে বড় আনন্দ! এমনকি বাসার চার ধারে যে ফুটপাত, সেখানে ১০ মিনিট হাঁটলেও কম কী?
ইদানীং গবেষকেরা বলছেন, হূদযন্ত্র ও রক্তনালির সুস্বাস্থ্যের জন্য হাঁটা, জগিং ও দৌড়ানো সমান সুফল আনে। বস্তুত কারও কারও জন্য হাঁটা এর চেয়েও ভালো ব্যায়াম। কারণ, হাঁটলে শরীরের ওপর চাপ পড়ে না।
দৌড়ালে অনেক সময় হাড়ের গিঁটে ব্যথা হয়, আহত হয় পেশি। এটা বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু হাঁটাহাঁটি করে আহত হওয়ার কথা শোনা যায় না।
বড় সহজ এই হাঁটা। বিশেষ কোনো পোশাক পরার দরকার নেই। ঘেমে-নেয়ে ওঠার প্রয়োজন নেই। আরাম-আয়েশেও হাঁটা যায় যত্রতত্র। সপ্তাহে ছয় দিন ৩০ মিনিট জোরে হাঁটাই যথেষ্ট।
জগিং ও অ্যারোবিকসের মতো কঠোর ব্যায়াম হার্টকে ঘোড়ার মতো দৌড়াতে বাধ্য করে—রক্ত জোরে পাম্প করতে থাকে। একপর্যায়ে এটি হিতকরী। তবে পেশি যেহেতু এত কঠোর পরিশ্রম করে, সে জন্য এর প্রয়োজন হয় প্রচুর অক্সিজেন। ব্যায়ামে তৈরি হয় ল্যাকটিক এসিড। অম্লতা রোধের জন্য চাই প্রচেষ্টা। ল্যাকটিক এসিড জমা হওয়ায় পেশি হয় শক্ত ও বেদনার্ত।
হাঁটলে তেমন হয় না। হূৎপিণ্ড জোরে পাম্প করে, বাড়ায় রক্তপ্রবাহ। তবে পেশির ওপর এত কঠোর প্রভাব ফেলে না। শরীরে তৈরি হয় না ল্যাকটিক এসিড।
তাই শরীরের ওপর কম চাপ প্রয়োগ করেও রক্ত সংবহনতন্ত্রের উজ্জীবনে সাহায্য করে। দেহের সঞ্চিত মেদ অবমুক্ত হয়ে বিপাক হয়।
শরীরের ওপর যেহেতু এর চাপ কম, সে জন্য যে কেউ পুরো সপ্তাহ হাঁটলেও খারাপ লাগে না। অনেক অসুস্থ মানুষও এই হাঁটাকে ব্যায়াম হিসেবে নিতে পারেন। শুরু হোক ধীরে ধীরে। প্রথম দিন ১০-১৫ মিনিট। এরপর গতি বাড়ান, সময় বাড়ান। ২০-৩০ মিনিট। এরপর শীতল হন ১০ মিনিট। পাঁচ-১০ মিনিট ধীরে হেঁটে শীতল হন। ভিড়-ভাট্টা ও ব্যয়বহুল জিম থেকে নিখরচায় হাঁটা অনেক ভালো।

অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
পরিচালক, ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস, বারডেম হাসপাতাল
সাম্মানিক অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ১৯, ২০১০

18
প্রতিদিন কিছু না কিছু ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ব্যায়ামের মধ্যে হাঁটা, জগিং করা, ট্রেডমিল, দৌড়ানো, সাইক্লিং, সুইমিং ইত্যাদি রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এক গবেষণায় দেখেছেন যারা নিয়মিত সুইমিং করেন তাদের হার্ট বিট ভালো থাকে, মাংসপেশীর সংকোচন প্রসারণ স্বাভাবিক থাকে এবং শরীরে রক্ত চলাচল অন্যান্য ব্যায়ামের তুলনায় দ্রুততর হয় এবং রক্ত সঞ্চালন সুষমভাবে বিস-ৃত হয়। এছাড়া সুইমিং করলে শরীর থেকে পানি বের হয় না। ফলে খনিজ লবণের ওপর কোন প্রভাব পড়েনা। সুইডিস বিজ্ঞানীরা জগিং, ট্রেডমিল এবং সুইমিং তিন ধরণের ব্যায়ামের তুলনামূলক জরীপ করে দেখেছেন যারা নিয়মিত সুইমিং করেণ তারা অন্যাদের থেকে শারীরিকভাবে অধিক সামর্থ্যবান থাকেন এবং মানসিক চাপ তাদের অনেক কম থাকে। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে।

এছাড়া সুইমিং পেরিফেরাল ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ায়। ফলে সুইমিং করার পর শারীরিক যোগ্যতা অনেক বেড়ে যায়। তবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার কথা বলা হলেও প্রতিদিন কমপক্ষে কত মিনিট সুইমিং করতে হবে তা সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা হয় নি। তবে সুইমিং এর ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে অথবা সন্ধ্যায় অন-ত: ২০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পর্যন- সুইমিং করতে পারেন।

ডাঃ মোড়ল নজরুল ইসলাম
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ডিসেম্বর ১৫, ২০০৯

19
IT Forum / দাঁত সবল রাখার উপায়
« on: November 22, 2012, 01:29:05 PM »
সুস্থ ও সবল দেহের জন্য দাঁত ও মাড়ির তথা মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা একান্ত প্রয়োজন। দাঁত ও মুখের ভেতরের স্বাস্থ্যকে অবহেলা করে নীরোগ জীবন আশা করা যায় না। সৌন্দর্যের জন্য যেমন দাঁতের প্রয়োজন, তেমনি সুস্বাস্থ্যের জন্যও দাঁতের প্রয়োজন।

টুথব্রাশ
নরম থেকে মধ্যম টুথব্রাশ ব্যবহার করাই উত্তম। লক্ষ রাখবেন যে শলাকাগুলোর মাথা শক্তভাবে মেলানো ও সব শলাকা মিলে একটি পরিষ্কার সমতল ভূমির মতো তৈরি আছে। তবে যত ধরনের ব্রাশই থাকুক না কেন, দাঁত ও মাড়ির ওপর থেকে খাদ্যকণা দূর করে ফেলাই দাঁত ব্রাশ করার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।
সব প্লাক পরিষ্কার হয়েছে কি না, জানার একটি সহজ উপায় আছে। কারণ, এটা খালি চোখে নিখুঁতভাবে বোঝা মুশকিল। তাই এর জন্য রয়েছে এক ধরনের ট্যাবলেট, নাম ‘ডিসক্লোজিং ট্যাবলেট’। এই ডিসক্লোজিং ট্যাবলেট মুখে নিয়ে চোষার পর অথবা পানিতে মিশিয়ে কুলকুচি করলে লুকানো প্লাকগুলো রঙিন হয়ে যায়। তখন খালি চোখে প্লাক খুঁজে পেতে অসুবিধা হয় না। একটি টুথব্রাশ কত দিন ব্যবহার করা যুক্তিসংগত? যখন ব্রাশের শলাকাগুলো সমতল ভূমির মতো অবস্থানে না থেকে ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় চলে আসে এবং শলাকার মাথাগুলো সোজা না থেকে বাঁকা হয়ে যায়, তখন সেই ব্রাশটি ব্যবহারের উপযোগী থাকে না। নিয়মিত ব্যবহূত একটি ব্রাশ সাধারণত দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।

কতবার দাঁত ব্রাশ করবেন
প্রতিদিন দুবার দাঁত ব্রাশ করা প্রয়োজন—সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে। প্রতিবারই তিন-চার মিনিট দাঁত ব্রাশের পর প্লাক পরিষ্কার হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হতে হবে।

কীভাবে দাঁত ব্রাশ করবেন
ব্রাশটিকে দাঁতের ৪৫ ডিগ্রি অবস্থানে রেখে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল থেকে শুরু করতে হবে। ব্রাশটিকে দাঁতের গোড়ার দিকে খুব ধীরে অথচ শক্তভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটু ঝাঁকিয়ে সব দাঁতের ফাঁকের কাছে নিতে হবে। এমনভাবে ব্রাশ করতে হবে, যাতে দাঁতের বাইরের অথবা ভেতরের কোনো অংশ বাদ না পড়ে।

দাঁত পরিষ্কারের জন্য ফ্লুরাইডের ব্যবহার
ফ্লুরাইড দাঁতের ক্ষয়রোগ প্রতিরোধ করে। ফ্লুরাইড এনামেলের সঙ্গে মিলিত হয়ে এনামেলকে আরও শক্তিশালী করে এবং এসিডের আক্রমণ থেকে দাঁতকে রক্ষা করে। আমাদের দেশে ফ্লুরাইড অত্যন্ত সহজভাবে পাওয়ার একমাত্র উপায় ফ্লুরাইড টুথপেস্ট। তবে অন্যান্য উপায়েও ফ্লুরাইড পাওয়া যায়। যেমন—বিশেষভাবে প্রস্তুত ফ্লুরাইড ফোঁটা, ট্যাবলেট, জেলি এবং ফ্লুরাইড-মিশ্রিত পানি (১ পিপিএম)।
উদ্গমকালে প্রায় সব দাঁতই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী থাকে। নষ্ট হয় শুধু আমাদের বদ-অভ্যাস এবং অনিয়মিত দাঁত পরিষ্কারের কারণে। বছরে অন্তত দুবার দন্ত চিকিৎসকের কাছে মুখ ও দাঁত পরীক্ষা করানো ভালো। যাঁদের দাঁত ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে, তাঁদের মনে রাখা উচিত, দেহের কোনো অংশের যত্ন নেওয়ার দরকার বা প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় না। স্বাভাবিক দাঁতকে যেভাবেই হোক, চিকিৎসা অথবা যত্নের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখাই শ্রেয়, নিরাপদ। আজকাল বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে দন্ত চিকিৎসার প্রয়োগ ও প্রসার অনেক বেড়ে গেছে। তাই একটি মূল্যবান দাঁত ফেলে দেওয়ার আগে একটু ভেবে দেখা দরকার নয় কি?
ব্রাশ ও পেস্ট ছাড়াও দাঁত পরিষ্কার করা যেতে পারে। যেমন, নিমের ডালকে ব্রাশের মতো ছিলে ব্যবহার করা যায়। লক্ষ রাখতে হবে, দাঁতের ফাঁকে বা দাঁতের গায়ে লেগে থাকা খাদ্যকণা পরিষ্কার হয়েছে কি না। দাঁত পরিষ্কার করার পর একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখে নেওয়া ভালো, সত্যি সত্যি দাঁত পরিষ্কার হয়েছে কি না।

অরূপ রতন চৌধুরী
সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় প্রধান,
ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টিস্ট্রি,
বারডেম হাসপাতাল,
ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ২৪, ২০১১

20
Health Tips / কোন সবজি কী কাজে লাগে?
« on: November 22, 2012, 01:26:08 PM »
আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শাকসবজি অনেকখানি অংশ জুড়ে রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা সবজির গুণগত মান না জেনেই ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাওয়ার জন্য খেয়ে থাকি। অথচ কোনো কোনো সবজি স্বাস্থ্যের ওপর ভালো-খারাপ দুটিরই প্রভাব রয়েছে। যদি জানা থাকে কোন কোন সবজি কী কাজে লাগে তাহলে খুবই ভালো হয়। যেমন—
প্রত্যেহ তেতো সবজি—করলা ও তেতো পাটশাক খাবারে রুচি বাড়ায় ও মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কা কমায়। অনেক সময় নিমগাছের কচি পাতা ভেজেও খাওয়া হয়। এতে ত্বকের চুলকানি ও কৃমি রোধে উপকার পাওয়া যায়।
খেতে বসে প্রথম ডিশ হিসেবে যদি তেতো খাওয়া হয়, তাহলে সেটা মুখে লালা ক্ষরণ করে শ্বেতসারকে ভাঙতে সাহায্য করে। এতে হজমের সুবিধা হয় ও লিভারও ভালো থাকে।
আলু ও টমেটোতে প্যান্টোথেনিক এসিড আছে বলে হাতের তালু এবং পায়ের তালু জ্বালা করার উপসর্গ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আবার ধনেপাতা ও পুদিনাপাতার চাটনি এক মাস খেলেও উপকার পাওয়া যাবে। গাঢ় সবুজ ও হলুদ শাক-সবজি রাতকানা রোগ, হাড় ও দাঁত গঠনে এবং স্নায়ুবিক অসুস্থতায় বেশ উপকারী। পালংশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি রক্তে প্রোথ্রোথিন তৈরি হতে সাহায্য করে।
শিম, মটরশুঁটি, বরবটি, পালংশাক, ফুলকপি ইত্যাদিতে পিউরিন বেশি থাকে বলে গেঁটেবাত হলে অবশ্যই বর্জন করা উচিত। আবার ওল, বেগুন খেলেও আমবাতের প্রকোপ বাড়ে।
অজীর্ণ ও ডায়রিয়া হলে সবজি বর্জন করা উচিত। বিশেষ করে আঁশযুক্ত সবজি। কারণ, সেলুলোজ দুষ্পাচ্য বলে হজমের ব্যাঘাত ঘটায়।
বাঁধাকপি, মুলা, শিম, শাক, মটরশুঁটি পরিপাকে অসুবিধা হয় বলে গ্যাসট্রাইটিস বেড়ে যায়। আলসারের রোগীদের খাবারে কাঁচা সবজি, পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, ডাঁটা, কাঁচামরিচ, কাঁচা শসা, বরবটি বাদ দিলে ভালো হয়।
কিডনিতে পাথর হলে অক্সালিক এসিডযুক্ত সবজি যেমন—পালংশাক, পুইশাক, টমেটো, বিট, শজনেপাতা, কচু, কচুর শাক, কলার মোচা, মিষ্টি আলু বাদ দিতে হবে।
পাঁচ-ছয় মাসের শিশুদের গাঢ় সবুজ ও হলুদ সবজি সিদ্ধ করে চালুনি দিয়ে চেলে নরম করে ক্বাথ বের করে খাওয়ানো যেতে পারে।
শিশুর জন্মের পর মায়েদের গাজর, বিট, টমেটো, লেটুসপাতা, বাঁধাকপি, মুলা খাওয়া উচিত। এতে মুখে যে কালো ছোপ পড়ে তা দূর হয়ে যায়। পাকা করলার বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে সাত-আট চা-চামচ পানি মিশিয়ে ছেঁকে খেতে হবে। কিছুদিন খেলে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের অভাব হবে না।
গলাব্যথা ও সর্দি-কাশির জন্য তুলসীপাতার রস খুবই উপকারী। রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য কচুর শাক, লালশাক, পালংশাক, বিট, লেটুসপাতা খুবই উপকারী।
এ ছাড়া ধনেপাতা ও পুদিনাপাতার ভর্তা খাওয়া যায়। গ্রীষ্মকালের সবজি ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দল ও চালকুমড়ায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে বলে শরীরকে শীতল ও সুস্থ রাখে। কাঁচা পেঁপে পরিপাক শক্তির সহায়ক।
সুতরাং সবজি শুধু স্বাদ ও পুষ্টির জন্য নয়। এর বিষয়ে ভালোভাবে জেনে শরীরের প্রয়োজন-অপ্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তবেই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এর স্থান দিতে হবে।

আখতারুন নাহার আলো
বিভাগীয় প্রধান, পুষ্টি বিভাগ, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ২১, ২০১১

21
অধ্যাপক, মেডিকেল অনকোলজি, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা

ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফুসফুস ক্যানসার পুরুষদের এক নম্বর ক্যানসার হলেও নারীদের মধ্যে এ রোগীর সংখ্যা কম নয়। ক্যানসারজনিত মৃত্যুর প্রধান কারণও ফুসফুস ক্যানসার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে এ রোগ শনাক্ত হয়ে থাকে। তখন বিভিন্ন প্রকার উপসর্গ থাকে। ক্যানসার নিরাময় করার মতো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। চিকিৎসার বিভিন্ন আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করেও ফুসফুসজনিত মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই দেশে দেশে ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধে জোর প্রচারণা চলছে। এ রোগের প্রতিরোধ অনেক সহজ, কার্যকর, সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘমেয়াদি। সাধারণত ৪৫ বছরের পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে এ রোগের হারও বাড়তে থাকে।

ফুসফুস ক্যানসারের কারণ
ধূমপান ফুসফুস ক্যানসারের প্রধান কারণ। ১৯৫০ সাল থেকে অসংখ্য গবেষণায় প্রাপ্ত, এটি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য।
 ফুসফুস ক্যানসারের ৯০ শতাংশ কারণ প্রত্যক্ষ ধূমপান।
 যিনি দিনে এক প্যাকেট সিগারেটের ধূম পান করেন, তাঁর ফুসফুস ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অধূমপায়ীর চেয়ে ২৫-৩০ গুণ বেশি। ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর ৯০ শতাংশ ধূমপায়ী। তবে সব ধূমপায়ীই ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হন না। প্রতি ১০ জন ধূমপায়ীর মধ্যে চারজনের ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
 ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকির পরিমাণ ততই বেশি হয়; যত অল্প বয়সে ধূমপান শুরু করা হয়, যত বেশি পরিমাণে ধূমপান হয়, যত দীর্ঘদিন ধূমপানে অভ্যস্ত থাকা হয়।
 সিগারেটের ধোঁয়ায় প্রায় ৪০০ রকমের রাসায়নিক পদার্থ আছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান (কার্সিনোজেন)।
 ধূমপানে ঝুঁকির মাত্রা আরও বেড়ে যায় যদি অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ কারণ থাকে।

অন্যান্য কারণ
 পরোক্ষ ধূমপান। ব্যক্তি নিজে ধূমপান করেন না। তবে দীর্ঘদিন পাশে থেকে অন্যের ধূমপানের ধোঁয়া গ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে ফুসফুস ক্যানসারজনিত মৃত্যুর হার কম নয়। তাই পরোক্ষ ধূমপায়ীও এ রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
 বায়ুদূষণ, গাড়ি, কলকারখানা, জ্বালানি হিসেবে ব্যবহূত কাঠ, কয়লা ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ পোড়ানো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া বায়ুকে দূষিত করে। দীর্ঘদিন এ ধরনের দূষিত বায়ুতে বসবাস করলে ফুসফুস ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, দীর্ঘদিন দূষিত বায়ুতে বাস করা আর দীর্ঘদিন পরোক্ষ ধূমপান করা ফুসফুস ক্যানসারের জন্য অনেকটা সমান ঝুঁকিপূর্ণ।
 কলকারখানায় ব্যবহূত হয়অ্যাসবেস্টোস। অ্যাসবেস্টোস এক প্রকার আঁশ-জাতীয় পদার্থ, যা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। অ্যাসবেস্টোস ফুসফুসের ক্ষত সৃষ্টি করে এবং ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি নয় গুণ বাড়িয়ে দেয়। ধূমপায়ীরা এ পরিবেশে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলে এ রোগের ঝুঁকি ৫০ থেকে ৯০ গুণ বেড়ে যায়। অ্যাসবেস্টোস থেকে সৃষ্ট হয় মেজোথেলিওমা নামক অন্য আরেক ধরনের ক্যানসার।

ফুসফুসের অন্যান্য রোগ
দীর্ঘদিন ফুসফুসের প্রদাহ স্থায়ী হলে ফুসফুসের বিভিন্ন নালি-প্রণালিতে পরিবর্তন হয়। ফুসফুসের বাতাস সহসা বের হয়ে আসতে পারে না এবং বিভিন্ন রোগ বা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিস (সিওপিডি), এমফাইজেমা ইত্যাদি। যক্ষ্মা রোগ। এসব রোগী ধূমপায়ী হলে ফুসফুস ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
 ফুসফুস ক্যানসারে আরও একটি ঝুঁকি র‌্যাডোন গ্যাস। তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম ভেঙে এর বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে র‌্যাডন গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে যায়। ঘরে ও বাইরের বায়ুদূষণ ঘটায়। র‌্যাডন গ্যাস তেজস্ক্রিয়, ফুসফুসের ক্ষতি করে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
 আর্সেনিক, ক্রোমিয়াম, নিকেল, অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বনস, ইথার ইত্যাদি রাসায়নিক পদার্থ থাকা পরিবেশের মধ্যে দীর্ঘদিন অবস্থান করলে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
 পারিবারিক ফুসফুস ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে।
 একবার এক ফুসফুসে ক্যানসার হলে অপরটিতে আবার ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধের উপায়
কিছু কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে, জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক কমে আসে।
 কখনো ধূমপান না করা। পরিবারের অন্যরাও যাতে ধূমপান করতে না পারে, সে রকম পরিবেশ গড়ে তোলা।
 ধূমপায়ী হলে, এখনই তা বন্ধ করে দেওয়া। ধূমপান বন্ধ করতে নিজে সক্ষম না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
 পরোক্ষ ধূমপানের শিকার না হওয়া। ধূমপায়ীদের সঙ্গে বসবাস বা কর্মক্ষেত্রে অবস্থান করলে তাদের খোলা জায়গায় ধূমপান না করার জন্য অনুরোধ করা। যেসব জায়গায় সব সময় ধূমপান চলে, সেসব জায়গায় অবস্থান না করা।
 কর্মক্ষেত্রের কার্সিনোজেন এড়িয়ে চলা। কর্মক্ষেত্রে যদি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে, তাহলে চাকরির বিধিতে শারীরিক সুরক্ষার জন্য যেসব সতর্ক নিয়মকানুন আছে তা ঠিক ঠিকভাবে মেনে চলা। সুরক্ষার জন্য মুখে মাস্ক দেওয়া হলে, কাজের সময় তা ব্যবহার করাই উচিত।
 বাড়ির পরিবেশের প্রতি যত্নশীল হওয়া। ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধে বাড়ির পরিবেশ ভালো রাখাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কর্মক্ষেত্রে যেমন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থাকে, বাড়িতেও বিভিন্ন কিছুতে এসব পদার্থ অগোচরে থাকতে পারে। বিশেষ করে রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহূত কাঠ, পাতা, কয়লা, পাটখড়ি, ময়লা কাগজ ইত্যাদি পোড়ানোর ধোঁয়া ঘরের ভেতরে গিয়ে ঘরের পরিবেশ দূষণ ঘটায়। ঘরের ভেতরের বাতাস যাতে বাইরে চলাচল করতে পারে, সে ধরনের ব্যবস্থা রাখা।
 নিয়মিত ব্যায়াম করা। এমনকি সপ্তাহে দুই দিন হালকা ধরনের ব্যায়ামও ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
 খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা। প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাকসবজি খাওয়া। বিভিন্ন প্রকার ফল ও শাকসবজিতে যে পরিমাণ ভিটামিন থাকে তা প্রক্রিয়াজাত ওষুধে পাওয়া যায় না। খুব সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে বিভিন্ন প্রকার ফল ও শাকসবজি খেলে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায়। পরিমাণের চেয়েও বিভিন্ন প্রকার ফল ও শাকসবজির গুরুত্ব অনেক বেশি।
অন্যদিকে ইনরগানিক ফসফেটযুক্ত খাবার ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ইনরগানিক ফসফেটযুক্ত খাবারের মধ্যে আছে প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন: মাংস, ফাস্টফুড, বেকারি খাবার, পনির এবং বিভিন্ন কার্বোনেটেট কোলা ড্রিংক ইত্যাদি। অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবারও ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ধরনের খাবার কম খাওয়ার অভ্যাস করা।
 গ্রিন-টি পান করার অভ্যাস করা। নিয়মিত গ্রিন-টি পান করলে ধূমপানে সৃষ্ট কোষের ক্ষতি কিছুটা কম হয়। এর ফলে ফুসফুসে ক্যানসারের ঝুঁকি কম থাকে।

প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় ও এর উপায়
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে প্রায় সব ধরনের ক্যানসারই নিরাময় করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করতে হলে এ রোগ সম্পর্কে জানতে হবে এবং প্রতিরোধেও সচেতন হতে হবে। ফুসফুস ক্যানসারের জন্য নিজে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, তা জানা জরুরি। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগের তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না। তবে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলোকে ফুসফুস ক্যানসারের সংকেত হিসেবে গণ্য করা হয়।
 দীর্ঘস্থায়ী কাশি। কাশির জন্য চিকিৎসা করা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কাশি আর সারছে না। কাশির মাত্রা বেড়েই যাচ্ছে। প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ফুসফুস ক্যানসার রোগীর কাশি উপসর্গ থাকে।
 কাশির সঙ্গে রক্ত পড়া।
 বুকে, পিঠে বা হাতে ব্যথা অনুভব করা বা অস্বস্তি বোধ হওয়া। কাশি বা শ্বাসকষ্ট হওয়ার আগেও এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বুকে-পিঠে কোনো ধরনের আঘাত পাওয়ার ঘটনাও ঘটেনি।
 প্রায়ই জ্বরে আক্রান্ত হওয়া। অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পর জ্বর সেরে গেল, কিছুদিন পর আবার জ্বরে আক্রান্ত হওয়া।
 এমনিতে তেমন কোনো শ্বাসকষ্ট নেই। তবে কাজকর্ম করতে গেলে বা সামান্য পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট বোধ হওয়া।
 খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া
 প্রায়ই ফুসফুসে প্রদাহ (ব্রংকাইটিস) হওয়া।
 ওজন কমে যাওয়া
 দুর্বলতা
 আথ্রাইটিস বা হাড়ের জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা।
 ক্লাবিং অর্থাৎ আঙুলের মাথার বিশেষ পরিবর্তন (ফুলে যাওয়া) ক্যানসার শরীরের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে গেলে আরও অনেক উপসর্গ ও চিহ্ন দেখা দিতে পারে।
ফুসফুসের অন্যান্য রোগ, বিশেষ করে যক্ষ্মা হলে উল্লিখিত উপসর্গগুলো হয়ে থাকে। ‘যক্ষ্মা হয়েছে’ নিশ্চিত না হয়ে শুধু লক্ষণ দেখে অনেকের যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা শুরু হয়ে যায়। অনেক ক্যানসার রোগীই তাই পাঁচ-সাত মাস দেরি করে আসেন। রোগ দেরিতে শনাক্ত হয়।

ফুসফুস ক্যানসার স্ক্রিনিং
ফুসফুস ক্যানসারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু কোনো ধরনের রোগের উপসর্গ এখনো দেখা দেয়নি তাদের ফুসফুস ক্যানসার হয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখা। এ জন্য চিকিৎসক বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা করার জন্য পরামর্শ দিতে পারেন। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত হলে রোগ নিরাময় করা সহজ হয়। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্যানসার সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ক্যানসার স্ক্রিনিং বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা: যেমন বুকের এক্স-রে, কফের প্যাথলজি পরীক্ষা (সাইটোলজি) ও বুকের লো ডোজ সিটি স্ক্যান তুলনামূলক গবেষণা করে দেখা হচ্ছে। উদ্দেশ্য, ফুসফুস ক্যানসারজনিত মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা।

22
আপনার ই-মেইল বেদখল বা হ্যাকড হয়েছে, এটা হয়তো আপনি বুঝেছেন, কিন্তু হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড জানে? কীভাবে জানবেন যে হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড জানে কি না?
ইয়াহুর ক্ষেত্রে: প্রথমে ইয়াহু মেইলে ঢুকে (লগ-ইন) আপনার নামের ওপর ক্লিক করে Account Info নির্বাচন করুন। পাসওয়ার্ড দিতে বললে আবার পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করুন। এখন নতুন পেজ এলে বাম পাশ থেকে Sign-In and Security-এর সবার নিচের View your recent login activity-এ ক্লিক করুন।
নতুন পেজ এলে দেখতে পাবেন আপনার কম্পিউটারের বর্তমান আইপি ঠিকানা এবং গত কয়েকবার কোন দেশ থেকে, কত তারিখ, কতটার সময়, ব্রাউজার না ইয়াহু মেসেঞ্জার দিয়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছে এবং তখন কী কী কাজ করা হয়েছে। ডান পাশে Location থেকে IP Address নির্বাচন করে দিলে দেখতে পাবেন কোন কোন আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা হয়েছে। আপনি যদি সব সময় একই কম্পিউটার থেকে লগ-ইন করে থাকেন এবং একই সংযোগদাতার ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আইপি ঠিকানার চারটি অংশের মধ্যে প্রথম দুটি অংশ একই থাকবে। তখন যদি দেখেন ভিন্ন কোনো আইপি থেকে বা ভিন্ন কোনো সময়ে আপনার মেইলে প্রবেশ করা হয়েছিল এবং ওই আইপি ঠিকানা সম্পর্কে যদি বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আইপি ঠিকানাটি কপি করে www.ip-adress.com/whois ঠিকানায় গিয়ে টেক্সটবক্সে পেস্ট করে IP Whois বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে জানতে পারবেন ওই আইপি ঠিকানাটি কোন সংযোগদাতার, তাদের ঠিকানা, মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি। এমনকি একটি মানচিত্রের সাহায্যেও দেখানো হবে কোন জায়গা থেকে ওই আইপি ঠিকানার সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।
ইয়াহু মেইলের বিভিন্ন সংস্করণ আছে। যেমন—ক্লাসিক, বেটা ইত্যাদি। তাই বিভিন্ন সংস্করণে এই অপশনগুলো বিভিন্ন জায়গায় থাকতে পারে।

23
অধ্যাপক ডা. এম. আমজাদ হোসেন:
ডাক্তার না হয়েও দুর্ঘটনাস্থলেই আঘাতপ্রাপ্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া যায়। যারা আশঙ্কাজনকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত তাদের আগে উদ্ধার করতে হবে। যদি মাথায় আঘাত পায়, তবে রোগীকে কাত করে মুখ নিচের দিক করে রাখতে হবে; যাতে নিজের বমি ও রক্ত শ্বাসনালিতে গিয়ে মৃত্যুর কারণ না হয়। তারপর দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আর হাতভাঙা রোগীদের হাত শরীরের সঙ্গে বেঁধে, পা ভাঙা হলে অন্য পায়ের সঙ্গে বেঁধে রেখে, কোমর ভাঙা হলে যাতে মোচড় না খেয়ে আবার আঘাত না লাগে সে জন্য তাকে সোজা তক্তার ওপর শুইয়ে হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হবে। শরীরের কোনো স্থানে রক্তপাত হলে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চেপে ধরে রাখতে হবে, যাতে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়।

বিভাগীয় প্রধান, অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগ
ল্যাবএইড হাসপাতাল

24
Self Improvement / Re: A Simple Self-Improvement Technique
« on: November 22, 2012, 12:55:13 PM »
Good post. Carry on brother............

25
Common Forum / Re: Be Careful Live Safe
« on: November 22, 2012, 12:49:40 PM »
Thanks for your awareness.

26
Thanks for your Innovative Information.............

27
English / Re: English Language & Usage
« on: November 22, 2012, 12:36:57 PM »
Good links............

28
Thanks for your Information.

29
Very good posts....................

30
DIU 3rd Convocation just a day after tomorrow....................   :o

Pages: 1 [2] 3