Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Anuz

Pages: 1 ... 35 36 [37] 38 39 ... 47
541
গরমে আর ক্লান্তিতে বাইরের খোলা খাবার ও পানীয় গ্রহণের হার বেড়ে যায়। তার ওপর গরমে সহজেই খাদ্যদ্রব্য দূষিত হয়। বাড়ে মাছি ও পোকামাকড়ের বিস্তার, যা রোগবালাই ছড়াতে সাহায্য করে। এসবের ফলে বাড়ে পানি ও খাবারবাহিত রোগের প্রকোপ। এর মধ্যে একটি বড় সমস্যা হলো জন্ডিস।
পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায় হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং হেপাটাইটিস ‘ই’ ভাইরাস। এই ভাইরাস দুটির কারণে সব বয়সের মানুষই জন্ডিসে আক্রান্ত হতে পারে। পানীয় ও খাবারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে অসচেতনতাই জন্ডিসের জন্য মূলত দায়ী।
জন্ডিস থেকে বাঁচতে বিশেষ করে রাস্তার খোলা খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। খাবারে ধুলাবালি, মাছি ও তেলাপোকার মাধ্যমে জীবাণু ঢুকে যেতে পারে। তাই বাড়িতেও সব সময় খাবার ঢেকে রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই পচা-বাসি খাবার খাওয়া চলবে না।
যেকোনো স্থানে পানি বা শরবত খাওয়ার আগে পানির উৎস ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। বাইরে বেরোনোর সময় খাবার ও পানি সঙ্গে নেওয়া উচিত। ফুটানো পানি বা টিউবওয়েলের নিরাপদ পানি পান করতে হবে। ফলমূল ও সবজি খাওয়ার আগে সেগুলোও ফুটানো পানি বা টিউবওয়েলের পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
খাবার খাওয়ার আগে যেমন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, ঠিক তেমনি খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের সময়ও হাত ধুতে হবে। পানি ও খাবার রাখার পাত্রগুলোকেও রাখতে হবে পরিষ্কার। খাওয়ার পরে এঁটো থালাবাসন দীর্ঘ সময় ফেলে রাখা ঠিক নয়। খাওয়ার পরে বাসনগুলো পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, অন্যথায় মাছি আর তেলাপোকার মাধ্যমে জীবাণুর অনুপ্রবেশ হবে সেসবেও। তীব্র অরুচি, বমি ভাব বা বমি, জ্বর, সঙ্গে প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়া জন্ডিসের লক্ষণ। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

542
যুক্তরাজ্যের বড় বড় সব কূটনীতিক ও মন্ত্রীদের কাছে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানা হলো লন্ডনের কিংস চার্লস স্ট্রিট ভবন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান এই কার্যালয়ে সব রথী মহারথীরা সর্বক্ষণ ব্যস্ত থাকেন গুরুত্বপূর্ণ কাজে। আর এই কার্যালয়েই কিনা ইঁদুরের উৎপাত! এমনকি এসব ইঁদুরের উৎপাত ঠেকাতে সেখানে নিযুক্ত কর্মচারীরাও রীতিমতো গলদঘর্ম হয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে শেষ পর্যন্ত সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একটি বিড়ালকে। বিড়ালটির কাজ হবে পররাষ্ট্র কার্যালয়ের ভেতরে থাকা ইঁদুর তাড়ানো। তার পদের নাম ‘প্রধান ইঁদুর শিকারি’। খবর এনডিটিভি অনলাইনের।

দুই বছর বয়সী ওই বিড়ালের নাম পালমারস্টোন। এখন থেকে বিড়ালটি যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত ওই ভবনেই থাকবে। পররাষ্ট্র কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, বিড়ালটি দেশটির কর দাতাদের জন্য মোটেও বোঝা হবে না। বিড়ালটি নিয়োগ দেওয়া হলেও এর খরচের জন্য জনগণের কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হবে না।

পররাষ্ট্র কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পালমারস্টোন এই কার্যালয়ের এক নতুন অতিথি। ‘প্রধান ইঁদুর শিকারি’ হিসেবে তার দায়িত্ব হবে কিং চার্লস স্ট্রিটে অবস্থিত এই কার্যালয়ে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণকারীদের কাজে সহায়তা করা ও ইঁদুরের সংখ্যা কমানো।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিড়ালটিকে লন্ডনের একটি রাস্তায় পাওয়া গিয়েছিল। সে ছিল খুবই ক্ষুধার্ত ও কম ওজনের। খুব সম্ভবত সে তার মালিককে খুঁজে পাচ্ছিল না। যুক্তরাজ্যের অনেক সরকারি ভবনে ইঁদুরের উৎপাত আছে। তাই এসব ভবনে ইঁদুর মোকাবিলায় বিড়ালও বাস করছে।

২০১১ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ইঁদুর মারতে ল্যারি নামের একটি বিড়ালকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ওই সময় বলেছিলেন, ল্যারি ইঁদুর ধরতে খুবই পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ল্যারি নামের ওই বিড়ালটির টুইটার অ্যাকাউন্টও আছে। টুইটারে তার ফলোয়ার সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫০০ জন।

543
নিজের খামারবাড়িতে ছেলেমেয়েদের জন্য টেবিল টেনিস খেলার বন্দোবস্ত করতে মাটি কাটার কাজ করাচ্ছিলেন লুক আরউইন। মাটি খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে পড়ল প্রায় দুই হাজার বছর আগের এক রোমান ভিলা।
কার্পেট নকশাকার লুক আরউইনের খামারবাড়িটা যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উইল্টশায়ারে। যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক নিদর্শন বিষয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিস্টরিক ইংল্যান্ডের কর্মকর্তা ডেভিড রবার্টস বলেন, সেখানে মাটির নিচে পাওয়া বাড়িটি নির্মিত হয়েছিল ১৭৫ থেকে ২২০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে। চৌদ্দ শ বছর আগে এটি ধ্বংস হয়। তবে এখনো অক্ষত আছে বাড়িটির মোজাইক। খননের কাজে নিয়োজিতরা বলেছেন, অভাবনীয় রকম সুরক্ষিত আছে বাড়িটি। আর এর জন্যই এটি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাচীন বাড়িটির সন্ধান পাওয়ার পর জায়গাটা খনন করতে লেগেছে টানা আট দিন। মনে করা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যে অত আগে নির্মিত বাড়ির মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়। সেখানে মাটি খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া গেছে মাটির তৈজসপত্র, প্রাচীন মুদ্রা, নারীদের পরনের পোশাক আটকে রাখার কারুকাজখচিত পিন। এ ছাড়া পাওয়া গেছে শূকর এবং অন্যান্য বন্য প্রাণীর হাড়গোড়। এসব প্রাণী শিকার করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গবেষক ডেভিড রবার্টস বলেন, বাড়িটিতে যাঁরা বাস করতেন তাঁরা খুব বিলাসী জীবন যাপন করতেন। এর প্রমাণ এখানে পাওয়া গৃহস্থালি নানা ব্যবহার্য সামগ্রীগুলো। তিনি বলেন, ‘গবেষণার দৃষ্টিকোণ থেকে যদি বলি, তবে এর মূল্য অনেক। আমি জীবনে যত প্রাচীন নিদর্শন নিয়ে কাজ করেছি, এটি তার মধ্যে সেরা।’

544
ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।

গতকাল রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে পৃথক তিনটি প্রাক্-বাজেট আলোচনায় এ তিনটি সংগঠন এ প্রস্তাব করেছে। এমসিসিআই ও বিসিআই বর্তমান আড়াই লাখ টাকার করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে তিন লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে। আর ডিসিসিআইয়ের প্রস্তাব হলো সাড়ে তিন লাখ টাকা।

545
১৮ এপ্রিল—ক্যালেন্ডারের সাধারণ একটা তারিখ। কিন্তু এই তারিখের কাছে ক্রিকেটের ঋণ যে অনেক। ক্রিকেট মাঠে এই তারিখে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা তারিখটিকে আলাদা একটা স্থানই দিচ্ছে ক্রিকেট ইতিহাসে। ক্রিকেট ইতিহাসের মনোযোগী পাঠকদের কাছে ১৮ এপ্রিল, বিশেষ রঙে দাগ কেটে রাখা একটা দিন...

মিয়াঁদাদের সেই ছক্কা
১৯৮৬ সালে শারজা কাপের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানকে এক অবিস্মরণীয় জয় উপহার দিয়েছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। ম্যাচের শেষ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৪ রান। বোলিংয়ে ছিলেন চেতন শর্মা। চেতনের সেই বলটিকে সীমানার বাইরে সরাসরি আছড়ে ফেলে মিয়াঁদাদ হয়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় বীর। কেবল শেষ বলে সেই ছক্কাই নয়, পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান সেদিন ১১৪ বলে ১১৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রত্যাবর্তন
বর্ণবৈষম্যের কারণে ২১ বছর নির্বাসনে কাটিয়ে ১৯৯২ সালের ১৮ এপ্রিল টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। বার্বাডোজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই টেস্ট ম্যাচটি ছিল প্রোটিয়া ক্রিকেটের ইতিহাসে অশ্বেতাঙ্গ কোনো দলের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার পুনঃপ্রত্যাবর্তনটা অবশ্য হয়েছিল এর কিছুদিন আগেই—১৯৯১ সালের নভেম্বরে তিন ওয়ানডের সিরিজ খেলতে ক্লাইভ রাইসের নেতৃত্বে ভারত সফর করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা দল। সে সফরের পর ১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো সুযোগ পায় বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলারও।

আইপিএলের শুরু
ক্রিকেটের নতুন এক দিগন্তের সূচনাটাও হয়েছিল এই দিনে। ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচের মধ্য দিয়ে এদিনই মাঠে গড়িয়েছিল আইপিএলের প্রথম আসর। বেঙ্গালুরুতে সেদিন কলকাতার হয়ে ঝড় তুলেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ৭৩ বলে ১৫৮ রানের ঝড় তুলে।
ভারতের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা হলেও এই আইপিএল অন্য রকম আলোড়ন তুলেই আবির্ভূত হয়েছিল ক্রিকেট দুনিয়ায়। এর আগে ২০০৮ সালেই ভারতের একটি শিল্পগোষ্ঠী ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ (আইসিএল) নামের একটি প্রতিযোগিতা শুরু করে ঝড় তুলেছিল। টাকার হাতছানি দিয়ে তাঁরা টেনে নিয়েছিল বেশ কয়েকটি টেস্ট খেলুড়ে দেশেরই নামীদামি তারকাদের। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে থেকে আয়োজিত আইসিএলের দাপট অবশ্য বেশি দিন থাকেনি। বিসিসিআইয়ের সে সময়কার বড় কর্তা লোলিত মোদী পরে আইপিএল নামের সোনার ডিম পাড়া এই হাঁসটি নিয়ে আসেন।

546
১৮ এপ্রিল—ক্যালেন্ডারের সাধারণ একটা তারিখ। কিন্তু এই তারিখের কাছে ক্রিকেটের ঋণ যে অনেক। ক্রিকেট মাঠে এই তারিখে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা তারিখটিকে আলাদা একটা স্থানই দিচ্ছে ক্রিকেট ইতিহাসে। ক্রিকেট ইতিহাসের মনোযোগী পাঠকদের কাছে ১৮ এপ্রিল, বিশেষ রঙে দাগ কেটে রাখা একটা দিন...

ব্রায়ান লারার ৩৭৫
ব্রায়ান লারা টেস্ট ক্রিকেটে ৩৭৫ রানের ব্যক্তিগত ইনিংসটি খেলেছিলেন ১৮ এপ্রিল। ১৯৯৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টে গ্যারি সোবার্সের ৩৬৫ রানের ইনিংসটিকে পেরিয়ে যাওয়ার এই দিনটি যেকোনো বিচারেই অবিস্মরণীয়। লারার ৩৭৫ রানের সেই ইনিংসটি এরপর দীর্ঘদিনই টিকে ছিল টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড হিসেবে। অ্যান্টিগাতে সেদিন বয়ে গিয়েছিল আনন্দের বন্যা। ক্রিস লুইসের বলে স্কয়ার লেগে ঠেলে সোবার্সের রেকর্ডটি ভেঙে ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই লারাকে অভিনন্দন জানাতে মাঠেই ছুটে গিয়েছিল দর্শক। সোবার্স নিজেও সেদিন মাঠে উপস্থিত থেকে লারাকে অভিনন্দিত করেছিলেন তাঁর অনন্য কীর্তিতে। ৩৭৫ রানের এই ইনিংসের ছয় সপ্তাহ পরেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লারা। টেস্টের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড ম্যাথু হেইডেন ভেঙে দেওয়ার ছয় মাসের মাথায় লারা আবার খেলেছিলেন ৪০০ রানের ইনিংস।

ম্যালকম মার্শালের জন্মদিন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগ তো তৈরিই হয়েছিল ম্যালকম মার্শালদের মতো ক্রিকেটারদের কল্যাণে। ফাস্ট বোলারের শরীর বলতে যা বোঝায়, মার্শাল ঠিক তেমনটি ছিলেন না। ছোটখাটো গড়নের হলেও তাঁর বলের গতি ছিল ভয়ংকর। বিশেষ করে তাঁর দুই দিকে সুইং করানোর ক্ষমতা আর সাপের ছোবলের মতো বাউন্সার তাঁকে পরিণত করেছিল দারুণ এক ফাস্ট বোলারে। যেকোনো মরা উইকেটে, যেখানে ফাস্ট বোলাররা গতির ঝড় তুলতে হিমশিম খেতেন, সেখানেও মার্শাল তুলতে পারতেন গতির ঝড়, কখনো মায়াবী কাটার। ১৯৯৯ সালে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এই মার্শাল যখন পৃথিবী ছেড়ে চলে যান, তখন তাঁর বয়স মাত্র ৪১! ৮১ ম্যাচে ৩৭৬ টেস্ট উইকেট নেওয়া মার্শাল ইতিহাসের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন হিসেবে মনে রাখবে।

547
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইন ও এর আশপাশের দেশের ২০ জন বিদেশির সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাঁদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আজ সোমবার দুপুরে সিআইডির কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান সংস্থার অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শাহ আলম।

সিআইডির এই কর্মকর্তার ভাষ্য, বাংলাদেশে প্রচলিত অর্থপাচার আইনে ওই বিদেশিদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব।

অর্থ চুরির ঘটনায় দেশের কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে শাহ আলম বলেন, তাঁরা কিছু উপাদান পেয়েছেন। এসব উপাদান অনুযায়ী, কয়েকটি ক্ষেত্রের লোকজনের গাফিলতি ছিল। অর্থ চুরির সঙ্গে তাঁরা জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। এর মধ্যে দুই কোটি ডলার যায় শ্রীলঙ্কায়। ওই অর্থ ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ। চুরি হওয়া বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার গেছে ফিলিপাইনে। দেশটির রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) মাকাতি শহরের জুপিটার স্ট্রিট শাখার মাধ্যমে এই অর্থ স্থানান্তর করা হয়।

548
গুণাগুণের দিক থেকে ভাত ও পান্তার মধ্যে তফাত

ভাত
* দেহে শক্তি জোগায়, মাংসপেশিকে বলিষ্ঠ করে।
* রোগ-জীবাণুর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায়।
* ভিটামিন ‘বি’ বেরিবেরি রোগ প্রতিরোধ করে।
* শরীরের স্নায়ুগুলোকে শক্তিশালী করে তোলে।
* ভাতের শর্করা দেহের প্রতিটি রক্তকণিকাকে করে বেশি কার্যকর।

পান্তা
* মানবদেহের জন্য উপকারী বহু ব্যাকটেরিয়া পান্তার মধ্যে বেড়ে ওঠে।
* পেটের পীড়া ভালো হয় এবং শরীরে তাপের ভারসাম্য বজায় থাকে।
* রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে।
* অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সবল হয় এবং মেজাজ ভালো থাকে।
* অ্যালার্জিজনিত সমস্যা প্রশমিত হয় এবং ত্বক ভালো থাকে।
* সব রকম আলসার দূরীভূত হয়।
* শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

549
ক্যালেন্ডারের পাতা ওল্টাতেই বার্সেলোনারও সবকিছু যে উল্টে যাবে, কে জানত! যে দলটা প্রায় ছয় মাস ধরে অপরাজিত ছিল, তাদের কাছেই এখন জয় যেন দূর আকাশের তারা। যে দলটাকে মনে হচ্ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী পরিবার, তাদেরই মনে হচ্ছে বিশ্বজগতের দুঃখীতম মানুষ। যে দলটার মুখে সব সময়ই ছিল হাসি, তাদের চোখেমুখে ধাঁধাগ্রস্ত এক বিহ্বলতা। বার্সেলোনা কাল নিজেদের মাঠে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হেরে গেল ২-১ গোলে, যে হার তাদের গতবার জেতা ত্রিমুকুটের আরও একটি হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা প্রবল করে তুলল।

জিততে থাকলে যেমন সবকিছু দারুণভাবে টায়ে টায়ে লেগে যায়, হারলেই আবার ছবিটা উল্টো। এখন যেমন কিছুই যাচ্ছে না বার্সার পক্ষে। না হলে কাল কিন্তু দল খেলেছে দারুণ। তৈরি করেছে একের পর এক গোল-সম্ভাবনা। কিন্তু ওই যে বার্সা এখন ভূতে পাওয়া এক দল। না হলে ২৬ মিনিটে ইভান রাকিতিচ কেন কাল আত্মঘাতী গোল করবেন! যে গোলটা শোধ দিতে মরিয়া বার্সা প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পাল্টা আক্রমণে খেয়ে বসবে আরও এক গোল। ২-০–তে পিছিয়ে পড়ার পর ফিরে আসা কঠিন। বার্সা সেই কঠিন চ্যালেঞ্জে নুয়ে না পড়ে উজ্জীবিত লড়াই করল। কিন্তু লড়াইটাই শেষ কথা নয়। ভাগ্যটা পাশে না থাকলে লিওনেল মেসির মতো খেলোয়াড়কেও কখনো কখনো বড্ড সাদামাটা লাগে।
মেসি অবশ্য অনেক দিন পর যেন ধুলো ঝেড়ে উঠতে শুরু করেছেন। ফ্রি কিকগুলো এখনো ওয়ালে গিয়ে লাগলেও কাল ৬৩ মিনিটে দারুণ এক গোলে তিনিই ২-১ বানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ‘আত্মঘাতী’ রাকিতিচের প্রায় প্রায়শ্চিত্ত করে ফেলা দুর্দান্ত শটটা ভ্যালেন্সিয়া গোলরক্ষক ডিয়েগো আলভেস ​অমন অবিশ্বাস্যভাবে সেভ না করলে, গোলমুখের এক গজ সামনে থেকে শট নিয়েও জেরার্ড পিকে অবিশ্বাস্য মিসটা না করলে ফল অন্য রকম হতো। কিংবা প্রথমার্ধে মেসির বিরল হেডারটাও খুঁজে পেতে পারত ঠিকানা। কিন্তু এখন যে বার্সার কোনো কিছুই ঠিকমতো হবে না!
লিগে এর আগে টানা ২৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকা বার্সাই এবার হারল টানা ম্যাচে। শেষ কবে বার্সা টানা তিন ম্যাচ হেরেছে বলা মুশকিল। লিগে সর্বশেষ চার ম্যাচে জয় নেই। রেকর্ড টানা ৩৯ ম্যাচে অপরাজিত থাকার পর ২ এপ্রিল এল ক্লাসিকো হেরেছে। তখন থেকেই শুরু বার্সার এই পরাজয়ের বৃত্তে আটকে থাকা। এর মাঝে চ্যাম্পিয়নস লিগে এক ম্যাচে ১০ জনের দলের অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় পেলেও ফিরতি লেগে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে চ্যাম্পিয়নদের বিদায়। লিগ শিরোপাও তারা ধরে রাখতে পারবে কি না, সেটি বোঝা যাবে সামনের কয় ম্যাচে।
বার্সা এখনো শীর্ষেই আছে। তাদের সমান ৭৬ পয়েন্ট অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের, স্প্যানিশ লিগের নিয়ম অনুযায়ী মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাবে এগিয়ে থাকায় সমান পয়েন্ট নিয়েও একে বার্সা। তিনে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৭৫। লা লিগার রেসকে বলা হচ্ছিল ‘ওপেন’। এখন বলা হচ্ছে ‘ওয়াইড ওপেন’। অথচ মাদ্রিদের দুই দলের বিপক্ষে গত মাসেও বার্সা এমন ব্যবধানে এগিয়ে ছিল, পারলে যেন অনেকেই তখনই কাতালান ক্লাবটির হাতে লা লিগার ট্রফি ধরিয়ে দেয়! কিন্তু সিনেমার ক্লাইম্যাক্স যে তখনো বাকি!
এখন শেষ দৃশ্যে গুলিটা কার বুকে লাগে, সেটাই দেখার!

550
মানুষের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক আছে কি না, তা পর্যবেক্ষণের জন্য জাপানের বিজ্ঞানীরা নতুন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। তাঁরা এমন এক অতি-পাতলা (আলট্রা থিন) ইলেকট্রনিক ত্বক তৈরি করেছেন, যা দিয়ে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ আবৃত করলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা জানা যাবে। কৃত্রিম এই ত্বকে স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ফলাফল সংখ্যা ও বর্ণের আকারে দেখা যাবে। এ ধরনের ত্বক উদ্ভাবনের জন্য কাজ করছেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।

ই-স্কিন উদ্ভাবন দলের প্রধান গবেষক টময়উকি ইয়োকটা এবং তাঁর সহ-গবেষকেরা জানিয়েছেন, আঙুলে লাগালে এই যন্ত্র রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করে। ইয়োকটা আরও যোগ করেন, ‘এই যন্ত্রের আলোকসংবেদী সেন্সরগুলো শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ওপর সরাসরি রাখা যায় এবং অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মাপা যায়।’
স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশেষ এই ত্বক রক্তে অক্সিজেনের ঘনমাত্রার এমন পরিমাপ জানায়, যা স্থিত। নতুন এই যন্ত্রে আছে অতি ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিকস যন্ত্রাংশ, যা শরীরের উপরিভাগে লাল, নীল এবং সবুজ আলো জ্বালানোর মাধ্যমে সংখ্যার আকারে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা প্রদর্শন করবে।
পরিধেয় যন্ত্র এখন গবেষণার উর্বর এক ক্ষেত্র। গ্লুকোজের মাত্রা নিরূপণকারী কন্টাক্ট লেন্স, স্মার্ট গ্লাসের পর এবার রক্তে অক্সিজেন-মাত্রা বের করার নতুন এই বিশেষ ধরনের ত্বক সেই ক্ষেত্রে সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

551
মাল্টিমিডিয়া সিরিজের জেড ৫১৭০ মডেলের ল্যাপটপ বাজারে এনেছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড। ল্যাপটপটিতে ইন্টেল রিয়েল সেন্স থ্রিডি প্রযুক্তির ওয়েবক্যাম, পঞ্চম প্রজন্মের ইনটেল কোর আই ৭ প্রসেসর, ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক, ৮ গিগাবাইট সলিড স্টেট হাইব্রিড ডিস্ক, ৮ গিগাবাইট ডিডিআর ৩ র্যা ম, ৪ গিগাবাইট এএমডি রেডিওন আর ৯ গ্রাফিকস কার্ড ও ১৫ দশমিক ৬ ইঞ্চি পর্দা আছে। দাম ৮২ হাজার ৫০০ টাকা।

552
রক্তের চাপ নির্ণয়ের বর্তমান পদ্ধতিটি যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য হলেও এটি খুব বেশি দ্রুত নয়। আরেকটি দুর্বলতা হলো, এই যন্ত্র দিয়ে রক্তচাপের পরিমাণ নিরবচ্ছিন্নভাবে পাওয়া যায় না। নতুন প্রযুক্তি উদ্যোগ (স্টার্টআপ) ‘ব্লুমিও’ এবার নতুন এক উপায়ে রক্তচাপ পরিমাপের চেষ্টা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিষ্ঠানটি এমন যন্ত্র তৈরি করছে, যা হাতের ওপর চাপ না দিয়ে সহজে কম সময়ে নির্ভুল এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে রক্তচাপ মেপে দেবে। এ যন্ত্রে রাডারের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যা বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে রক্তের চাপ পর্যবেক্ষণ করবে।
ব্লুমিওর সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথেরিন লিয়াও জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে বাহুবন্ধনীর আকারে এটি বানানোর চেষ্টা চলছে, যা হৃৎপিণ্ডের সমান উচ্চতায় হাতের ওপরের অংশে পরা যাবে। ২০১৭ সালের গ্রীষ্ম বা শরৎকালে যন্ত্রটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করার আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এর দাম ২০০ থেকে ৪০০ ডলারের মধ্যে থাকতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদ্রোগের রোগীদের মধ্যে যাঁরা নিরবচ্ছিন্নভাবে রক্তচাপের পরিমাপ জানতে চান, তাঁদের মধ্যে পণ্যটি ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আশা করছে এই প্রতিষ্ঠান।
যদি সত্যিই নিখুঁতভাবে এমন এক যন্ত্র উদ্ভাবনে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি, তাহলে এটা হবে জীব-পদার্থবিজ্ঞানের জগতে বড় এক অগ্রগতি। ব্লুমিও এমন এক সেন্সর তৈরি করছে, যা রক্তচাপের গতিপথ বের করতে পারবে। লিয়াও জানান, এই যন্ত্রে দুটি রাডার অ্যানটেনা ব্যবহার করা হবে। এগুলোর কাজ হবে প্রতিটি হৃৎস্পন্দনের (হার্টবিট) চাপ-তরঙ্গ লিপিবদ্ধ করা এবং দুটি অ্যানটেনার মধ্যবর্তী দূরত্বে তরঙ্গের গতি বিবেচনায় এনে রক্তচাপকে বীজগাণিতিক আকারে রূপ দেওয়া। এরপর রক্তচাপের পরিমাপ এবং হৃৎস্পন্দনের তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ চলে যাবে আইফোনের পর্দায়। প্রথম ২৪ ঘণ্টায় যন্ত্রটি সময়ের সঙ্গে ব্যবহারকারীর রক্তের চাপের একটা প্রাথমিক ধারণা নিয়ে নেবে। এরপর মাঝেমধ্যে এটি ব্যবহার করে রক্তচাপের পরিবর্তনটা দেখা যাবে।
তবে যন্ত্রটি তৈরির কাজ এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির চিকিৎসা যন্ত্রের স্বীকৃতি চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক রিচ ফ্লেচার জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তির সাহায্যে সর্বোচ্চ নিখুঁত মান পাওয়া না গেলেও রাডার ব্যবহার করে রক্তচাপ নির্ণয়ের দরকারি যন্ত্র তৈরি করা খুবই সম্ভব।

553
IT Forum / আইফোনের আয়ু তিন বছর!
« on: April 18, 2016, 10:38:02 AM »
বিশ্বের সবকিছুরই একটা মেয়াদ আছে। প্রযুক্তি দুনিয়ার ক্ষেত্রেও এ কথাটি খাটে। সাম্প্রতিক এক ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল কর্তৃপক্ষ বলেছে, আইফোনে আয়ু বা মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন বছর। অ্যাপল ওয়াচের ক্ষেত্রেও তা-ই। তবে অ্যাপল টিভির মেয়াদ চার বছরের।
ফোর্বস ডটকমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, অ্যাপলের পণ্যের কোন মডেল গ্রাহকেরা ব্যবহার করছেন, এর ভিত্তিতে ওই যন্ত্রটি কতটা শক্তি খরচ করছে তা বিবেচনায় ধরি আমরা। প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে দৈনিক ব্যবহারের হার নির্দিষ্ট করা থাকে। অ্যাপল পণ্যের মেয়াদকাল বিবেচনা করে পুরোনো পণ্যের জন্য নতুন অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ বা হার্ডওয়্যার উন্মুক্ত করা হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সম্প্রতি বাজারে ছাড়া আইফোন এসই মডেলটি আইফোন ৫ এসের মতো হলেও আইওএস ৯-এর পরবর্তী তিন বছর আইওএস অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ পাওয়া যাবে। কিন্তু পুরোনো মেডলের আইফোন ৫ এসে সে হালনাগাদ পাওয়া যাবে না।

554
Fruit / কোন রঙের ফল-সবজি খাব?
« on: April 18, 2016, 10:34:31 AM »
ফল বা সবজি কেন ভিন্ন ভিন্ন রঙের হয়, তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন? এর একটি কারণ হচ্ছে, ফল ও সবজিতে ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ পেতে বিভিন্ন রঙের খাবার বেছে নেওয়া তাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

সবুজ পাতা সবুজ রাখে
সবুজ পাতাযুক্ত সবজির মধ্যে পালং, বিভিন্ন সবুজ শাক, পাতাকপি, ফুলকপি, মটরশুঁটির মতো খাবার প্রতিদিন খাওয়া উচিত। কারণ এতে প্রতি ক্যালরিতে অন্যান্য খাবারের চেয়ে বেশি পুষ্টি থাকে। সবুজ সবজি ভিটামিন এ, সি, ই, কে ও কয়েক ধরনের ভিটামিন বি-এর উৎস। এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লৌহ ও পটাশিয়াম থাকে। সবুজ পাতাযুক্ত সবজির রং যত গাঢ় হয়, এতে তত বেশি পুষ্টি থাকে। রোগ প্রতিরোধে সবুজ শাকসবজির কোনো বিকল্প নেই। সবুজ পাতাযুক্ত সবজিতে লুটেন নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা চোখের জন্য ভালো। স্তন ও প্রোস্টেট গ্রন্থির ক্যানসার প্রতিরোধে সবুজ সবজি গুরুত্বপূর্ণ।

কমলা-হলুদে হৃদয় ভালো থাকে
মিষ্টি আলু, গাজর, মিষ্টি কুমড়ায় বিটা ক্যারোটিন নামের ফাইটোকেমিক্যাল থাকে। এটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ক্যানসার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া ঠান্ডার সমস্যা দূর এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে হলুদ রঙের ফল ও সবজি। ফলের মধ্যে কমলা ও আঙুরে বায়োফ্লেভোনয়েড থাকে, যা ভিটামিন সি-র সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো ছাড়াও হাড় ও দাঁত শক্ত করে, দ্রুত জখম সারায় ও ত্বক সুন্দর করে।
আম, পেঁপে, আনারসেও এ উপকার পাওয়া যায়।

লাল-গোলাপিতে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে
লাল ও গোলাপি রঙের ফল ও সবজিতে লাইকোপেন নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই লাইকোপেনের নানাবিধি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। ক্যানসার, হৃদরোগ ছাড়াও বিভিন্ন ক্রনিক রোগ সারাতে পারে লাল ও গোলাপি রঙের ফল ও সবজি। এ ছাড়া লাল রঙের ফলে অ্যান্থোসায়ানিন নামের যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তাতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। টমেটো, তরমুজ, চেরি, পেয়ারা, স্ট্রবেরি, আঙুর, আপেল, লাল বাঁধাকপি, শিম—এসবে থাকে লাইকোপেন ও অ্যান্থোসায়ানিন।

তরুণ রাখে নীল-বেগুনি
নীল ও বেগুনি রঙের ফল ও সবজিতে রোগ প্রতিরোধক্ষম ফাইটোকেমিক্যাল অ্যান্থোসায়ানিন ও ফিনোলিকস থাকে, যা রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। বিভিন্ন ধরনের বেরি, কিশমিশে অ্যান্থোসায়ানিন ও ফেনোলিকস থাকে। ক্যানসার, হৃদরোগ, আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় বিভিন্ন নীল ও বেগুনি রঙের ফল ও সবজি।

সাদায় বিষ দূর
সাদা রঙের ফল বা সবজিতে অ্যালিসিন নামের শক্তিশালী ফাইটোকেমিক্যাল থাকে। পেঁয়াজ, রসুনে যে অ্যালিসিন থাকে তা ক্যানসার ও হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াবিরোধী ক্ষমতা আছে সাদা সবজি কিংবা ফলে। সাদা রঙের রসুনে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তা শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে পারে।

555
রুদ্ররূপ মাত্র দেখাতে শুরু করেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। বিরাট কোহলিও যে খুব একটা সৌম্য-শান্ত, তা বলা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় আবারও ডাক পড়ল মুস্তাফিজের। আগের দুই ওভারে আশীষ নেহরা ও ভুবনেশ্বর কুমারকে কচুকাটা করা এই দুই ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় ওভারে রান নিতে পারলেন মাত্র ৩টি বলে। ট্রেন্ট বোল্ট থাকার পরও মূল একাদশে কেন মুস্তাফিজের অগ্রাধিকার, তা বোঝার জন্য ওই একটি ওভারই ছিল যথেষ্ট।
এর আগে নিজের প্রথম ওভারে ৩টি ডট বল, মাত্র ৪ রান। তখন খুব একটা আহামরি মনে হয়নি। ইনিংসের চতুর্থ ওভার থেকেই ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে ঝড়, আর ওই ঝড়ের মাঝেই মুস্তাফিজের ওই ওভার। ‘মুস্তাফিজ কেন মুস্তাফিজ’ এত দিন জেনেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, কাল প্রথম জানল আইপিএল।
নিজের তৃতীয় ওভার যখন করতে এলেন, ততক্ষণে ম্যাচের রং বদলে গেছে। ডি ভিলিয়ার্স-কোহলির ব্যাটে প্রায় ছিটকে গেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম বলেই ধোঁকা খেলেন ডি ভিলিয়ার্স, বেঁচে গেলেন বোল্ড হতে হতে। দ্বিতীয় বলেই আর কোনো ‘একটু’ নেই, কাটারে আউট এবি। পরের বলেই ফেরালেন শেন ওয়াটসনকে। পঞ্চম বলে আরেকটা ‘একটু’, সরফরাজ খানের ক্যাচটি ফিল্ডারের হাতে পৌঁছাল না।
শেষ ওভারে ১৩ রান দেওয়ার পরও ৪ ওভারে মাত্র ২৬! যেখানে ওভার প্রতি ৯.৬৯ রান দিয়ে নেহরাই অন্যদের মাঝে সবচেয়ে ‘কৃপণ’! মুস্তাফিজের ওই বোলিংয়ের পরও তাই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর রান ২২৭! হায়দরাবাদকে ১৮২ রানে থামিয়ে দিয়ে পরে ম্যাচটাও তারা জিতে নিয়েছে ৪৫ রানে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই ম্যাচ জেতানো বোলিং করে যাঁর অভিষেক, আইপিএল অভিষেক নিয়ে তাঁর খুব একটা স্নায়ুচাপে ভোগার কথা ছিল না। কিন্তু এই প্রথম ভিন্ন পরিবেশে প্রায় অপরিচিত সতীর্থদের মাঝে কী করেন মুস্তাফিজ, তা নিয়ে আগ্রহ ছিলই। কীভাবেই না সে আগ্রহের জবাব দিলেন ‘কিং অব কাটারস্’!

Pages: 1 ... 35 36 [37] 38 39 ... 47