Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - mushfiq.swe

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 7
31
আজ উম্মত কোথায়, আর উম্মতের নবী কোথায়! আজ উম্মতের জীবন কোথায়, আর নবীর সুন্নত কোথায়! আজ উম্মতের দিল আর নবীর মুহাববাত কোথায়! জীবন থেকে নবীর সুন্নত হারিয়ে গেছে এবং হৃদয় থেকে মুছে গেছে নবী-প্রেম। এখন শুধু আছে রাজপথের জশনেজুলূস, আছে মিলাদুন্নবী নামের জন্মোৎসব, কিংবা সীরাতুন্নবী নামের আলোচনা। হায়রে উম্মত, তোমার নবী কি এজন্য এসেছিলেন দুনিয়ায়? তুমি কি এজন্যই আসো প্রতিবছর এই পবিত্র ভূমিতে?
হঠাৎ যেন আমার ভিতরের আমি আমাকে প্রশ্ন করে বসলো তিরস্কারের সুরে, তুমি! তুমি কেন এসেছো এ পবিত্র ভূমিতে, এখানে এই পবিত্র ঘরের দুয়ারে?
আমি নির্বাক!
ভিতরের আমি যেন আমাকে বললো, এখানে এই পবিত্র ঘরের দুয়ারে দাঁড়িয়ে আজ শপথ নাও, যত দিন বেঁচে থাকবে নবীর সুন্নতের উপর অবিচল থাকবে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে নবীর সুন্নতকে যিন্দা করার মেহনতে নিবেদিত থাকবে। নবীর শাফা‘আত লাভের এবং আবে কাউছারের পেয়ালা হাছিলের এছাড়া অন্য কোন পথ নেই।
পবিত্র কক্ষের দ্বারপ্রান্তে এসেছিলাম অভূতপূর্ব এক ভাবতন্ময়তা নিয়ে, এখান থেকে বিদায় নিলাম নতুন এক ভাবনা ও চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে।


http://www.alkawsar.com/article/1385

32
Prophet Muhammad SAW / Re: When the Prophet came to the earth
« on: November 26, 2017, 05:02:05 PM »
Thank you for sharing.
Thanks again as the information is authentic.
I think the source should be authentic too.
e.g. An authentic islamic magazine : http://alkawsar.com/

Here, you can read the latest post on this topic
http://forum.daffodilvarsity.edu.bd/index.php/board,644.0.html

33
Prophet Muhammad SAW / Re: The Arab world from the prophet
« on: November 26, 2017, 05:00:56 PM »
Thank you for sharing.
Thanks again as the information source is authentic.

Example of an authentic islamic magazine : http://alkawsar.com/

34
Prophet Muhammad SAW / Re: What was the personal life of Prophet
« on: November 26, 2017, 04:59:04 PM »
Thank you for sharing.
Thanks again as the information source is authentic.
An authentic islamic magazine : http://alkawsar.com/

35
Spring Initializr

Spring Initializr provides an extensible API to generate quickstart projects. It also provides a configurable service: you can see our default instance at https://start.spring.io. It provides a simple web UI to configure the project to generate and endpoints that you can use via plain HTTP.

Spring Initializr also exposes an endpoint that serves its metadata in a well-known format to allow third-party clients to provide the necessary assistance.

Finally, Initializr offers a configuration structure to define all the aspects related to the project to generate: list of dependencies, supported java and boot versions, etc. Check the configuration of our instance for an example. Such configuration is also described in details in the documentation.

https://github.com/spring-io/initializr/
http://start.spring.io
https://run.pivotal.io/

36
টেকটিউন Super Successor গেস্ট:  তৌফিক এলাহী, সহ-প্রতিষ্ঠাতা, Computer Village
টেকটিউন Super Successor হোস্ট: রুবিনা ইয়াসমিন
সময়: রবিবার,১৩ আগষ্ট ২০১৭।দুপুর ১২ টা।
ব্যাপ্তি: প্রায় ১২ মিনিট
স্থান: Computer Village এর অফিস, ঢাকা।

টেকটিউনস Super Successor হিসেবে আজকে আমরা এমন একজন ব্যক্তিকে হাজির করেছি, যিনি কিনা আইটি জগতে Computer Hardware Sector এ যারা অবদান রেখে চলেছেন তাদের মধ্যে নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছেন এবং দেশের আইটি জগতে Computer Hardware Sector  কে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি হচ্ছেন আমাদের সকলের পরিচিত কম্পিউটার ভিলেজের একজন পরিচালক তৌফিক এলাহী।তিনি সবসময় নিজে নিজে নতুন নতুন জিনিস শেখার আগ্রহ নিয়ে সামনে এগিয়ে চলেছেন এবং তাদের প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার ভিলেজকে বাংলাদেশের আপামর গ্রাহকের কাছে আস্থার প্রতিকে রূপান্তরের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।


Computer Village এর শুরুর কথাটা আমাদের বলুন?

তৌফিক এলাহী: Computer Villageএর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। আমরা তখন স্টুডেন্ট ছিলাম। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ঠিক করলাম আমরা আইটি ব্যবসায়ের এই সেক্টরটায় কিছু  একটা কাজ করব। কারণ তখন আইটির এই সেক্টরটা সম্পূর্ণ নতুন একটা সেক্টর ছিল। তখনই আমাদের মাথায় চিন্তা আসে, যদি আমরা এ সেক্টরটাতে innovative কিছু একটা করতে পারি, তাহলে এই সেক্টরটাতে ভালো কিছু দাড় করাতে পারব। আমরা সবাই বন্ধু ছিলাম এবং একজন সিনিয়র ভাই ছিল। আমরা মোট পাঁচজন মিলেই এই Computer Village এর যাত্রা শুরু করি। কিন্তু বর্তমানে আমরা চারজন আছি। একজন বর্তমানে যুক্তরাজ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

আমাদের চলার পথটা খুব সহজ ছিল না।আমরা সবাই চিটাগাং এর বাসিন্দা। তাই কাজটাও সেখান থেকে শুরু করেছিলাম।আমরা  প্রথমে আইটি ট্রেনিং সেন্টার দিয়ে কাজ শুরু করি।এরপর ধীরে ধীরে আমরা আমাদের কাজগুলো কম্পিউটার Hardware সেক্টরের দিকে নিয়ে আসি। চিটাগাং আগ্রাবাদ এর ওয়ালী ম্যানশন থেকে আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করি। এরপর GEC তে আমাদের একটা branch হয়। ২০০৫ সালে ঢাকার বি সি এস কম্পিউটার সিটি আইডিবি-তে আমাদের আরেকটা branch হয়। ২০০৭ সালে ঢাকার Multiplan এ আমাদের আরও একটা branch খোলা হয়। এরপর ক্রমান্বয়ে আমাদের branch বাড়তে থাকে। যেমন, Elephant Road, Mothijheel এবং Chittagong এ ও আমাদের আরও branch হয়ে থাকে। এভাবেই ধীরে ধীরে আমরা এগিয়ে যাওয়া শুরু করি।বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমাদের মোট ৭ টি ব্রাঞ্চ রয়েছে যেগুলোর সাথে আলাদা এক্সক্লুসিভ সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। এগুলো থেকে আমাদের সম্মানীত গ্রাহকদের অতি গুরুত্ব সহকারে সব ধরণের আইটি সম্পর্কিত প্রোডাক্ট সরবরাহ ও যে কোন সমস্যার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করা হয়।


আপনার প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থার কথা আমাদের বলুন।

তৌফিক এলাহী: বর্তমানে আইটি সেক্টরে আমরা আরও ব্যাপকভাবে আমাদের কাজ করে চলেছি এবং অনেক ভালো সাড়াও পাচ্ছি। আমরা ঢাকা ও চিটাগাংসহ সারা বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের বড় মার্কেট গুলোতে আমাদের নিজস্ব branch আছে। সব ধরণের কাস্টমারই আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের ভালমন্দ নিয়ে কাজ করি। বিশ্ববিখ্যাত সব আইটি  ব্র্যান্ড নিয়ে আমরা কাজ করি যেমন-HP,ASUS,DELL,ACER,LENOVO,INTEL,MICROSOFT,TOSHIBA,CANON ইত্যাদি।এক কথায় আমরা আমাদের গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় সব আইটি প্রোডাক্ট আমাদের কাছে রাখার চেষ্টা করি।আমাদের প্রচুর ইউজার আছে, আমাদের নিজস্ব imported product ও আছে।উল্লেখযোগ্য প্রোডাক্টের মধ্যে টেকফাইন ব্র্যান্ডের ইউপিএস,ভিশন ব্র্যান্ডের মাউস,কী-বোর্ড,মনিটর।লংহর্ণ,হেংফ্যাট এবং ইকো-আই ব্র্যান্ডের টোনার,কার্টিজ,রিবন ইত্যাদি। McAfee এর অনেক বড় একটা মার্কেট আমাদের আছে। আমরা McAfee এর এদেশের একমাত্র distributor হিসেবেও কাজ করছি। এছাড়াও আমরা সিঙ্গাপুরের বেশ কিছু প্রোডাক্টও  মার্কেটিং করে যাচ্ছি।আমাদের ইউজার বেসটা অনেক বড়।সারাদেশের কম্পিউটার মার্কেট গুলোতেও আমাদের অনেক ডিলার আছে। আমরা তাদের মাধ্যমে আমাদের প্রোডাক্টগুলো Distribute করে থাকি।


আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস নিয়ে কিছু বলুন।

তৌফিক এলাহী: বাংলাদেশে আইটি খাতের Hardware Sector –এ Computer Village এখন একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। এক কথায় A Complete Computer Service।আমাদের সকল outlet থেকে আমরা সাধারণত Customer কে product সরবরাহ এবং Service, Support দুইটাই দিয়ে থাকি। PC, Laptop, Desktop, Mac product, Gaming product, Official, Business, Corporate Product সহ সব ধরণের আইটি প্রোডাক্ট নিয়েই আমরা সাধারণত কাজ করে থাকি।পাশাপাশি UPS, Anti Virus, Casing, ODD এগুলো নিয়েও আমরা কাজ করে থাকি। প্রতিটা Computer Hardware Product Customer রা আমাদের প্রতিটা Outlet এ পেয়ে থাকবে। আমরা সকল ধরনের Support আমাদের Outlet থেকে দিয়ে থাকি।


বাংলাদেশের computer hardware industry নিয়ে কিছু বলুন।

তৌফিক এলাহী: বাংলাদেশের computer hardware industry তে আমরা এখন অনেক এগিয়ে আছি। এই industry অনেক developing। আমরা তো ১৯৯৮ সাল থেকে কাজ করা শুরু করি। তখন industry টা অনেক ছোট ছিল এবং isolated ছিল। বাংলাদেশে মাসে ৫০ হাজারের ও বেশি PCও Laptop বিক্রি হয়ে থাকে।এই সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।আসলে প্রত্যেকটি সচেতন মানুষই এখন এগুলো ছাড়া চলতে পারেন না।বর্তমানে এগুলোর Potentiality অনেক বেশি।তো সেই ভাবেই আমাদের এই Hardware Industry টা Develop হচ্ছে।


আপনার প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি।

তৌফিক এলাহী: Computer Village কে আমরা এখন আমাদের E-Commerce Trend এর সাথে তাল মিলিয়ে সামনে নিয়ে যেতে চাই।মানুষ এখন E-Commerce এর দিকেই বেশি এগিয়ে যাচ্ছে।আমাদের ওয়েবসাইট হচ্ছে, ‌(www.village-bd.com)। এটা একটি E-Commerce ওয়েবসাইট।
মানুষ এখন ঘরে বসে যেই কোন জায়গা থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের প্রোডাক্ট কিনতে পারবে। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট অর্ডার করার ৩ কর্মদিবসের মধ্যে আমরা প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেবার ব্যবস্থা করে থাকি। আমাদের ঢাকা এবং চিটাগাং এর সকল Outlet সমূহ থেকেই আমাদের ক্রেতারা প্রোডাক্ট অর্ডার করেও পণ্য পেতে পারেন ঘরে বসে। ‌যেহেতু Computer Village এখন বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পরিচিত একটা Brand, অন্যদের তুলনায় আমাদের Experience অনেক বেশি তাই আমরা হয়তো অন্যদের থেকে ভালো বুঝতে পারি User Experience, User Expectation, User Satisfaction, User Behavior এ বিষয় গুলো সম্পর্কে।তাই আমরা আরও বড় পরিসরে, বাংলাদেশের অন্যান্য শহর গুলোতে আমাদের অনলাইন সার্ভিস শুরু করব। যাতে করে বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায়, শহর-নগরে আমরা আমাদের Computer Village এর প্রোডাক্ট সমূহ পৌঁছে দিতে পারি।


Computer Village এর প্রোডাক্ট অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট থেকে কেন ভালো।

তৌফিক এলাহী: Computer Village এর মূল লক্ষ হচ্ছে customer satisfaction। কারণ ক্রেতা সন্তুষ্টি ও সুনামই হল কম্পিউটার ভিলেজের মূল পূজি।customer কি চায়? কোনটা তার জন্য ভালো হবে এবং প্রোডাক্ট এর গুনগত মান নিশ্চিত করা ইত্যাদি। Computer Village এভাবেই এগিয়ে চলেছে সেই ১৯৯৮ সাল থেকে। এ জন্যই হয়তো আমরা আজ এত ভালো জায়গায় আছি।আমরা সব সময় Customer এর চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। এজন্য Customer রাও অন্য সকল Computer Hardware প্রতিষ্ঠানের চেয়ে Computer Village কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
আমার জীবনের সবচেয়ে বড় achievement হচ্ছে আমাদের এই Computer Villageকে বর্তমান পর্যায়ে নিয়ে আসা আর অগণিত সম্মানিত ক্রেতাদের ভালবাসা।


আমাদের তরুণদের জন্য কিছু বলুন। যারা আপনার মত এই ব্যবসায় আসতে চায়।

তৌফিক এলাহী: বাংলাদেশের তরুণদের সুনাম এখন বিশ্ব ব্যাপী ছড়িয়ে রয়েছে। আমাদের তরুণরা এখন আর বসে নাই। সব সেক্টর গুলোতেই এখন তারা কোন না কোন ভাবে এগিয়ে গিয়েছে। কম্পিউটারের এই যুগে এখন আর কোন কিছুই তরুণদের হাতের নাগালের বাহিরে নেই। পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয় কথাটা কিন্তু সত্য। যেহেতু সব কিছুই হাতের কাছে আছে। তাই শিখতে হবে, জানতে হবে, চিন্তা করতে হবে। নিজেকে সব সময় নতুন নতুন জিনিস শিখাবার মাঝে ব্যস্ত থাকতে হবে। চারপাশের খবরা-খবর রাখতে হবে। নতুন Innovative Idea বের করতে হবে। অন্য কেউ করছে বলে আমি করব অথবা অন্যরা করছে না বলে আমি করব না, তা হবে না। অন্যদের থেকে BETTER,DIFFERENT কি আছে বা কি করতে পারব তা চিন্তা করতে হবে।এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে সামনের পথ ধরে। তাহলেই তারা ভালো করতে পারবে।


টেকটিউনস বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে এক বিশাল অবদান রেখেছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কি?

তৌফিক এলাহী: আমি টেকটিউনসকে follow করি। টেকটিউনসকে আমার ভালো লাগে। এখানকার টিউনগুলো পড়তে আমার ভালো লাগে।এখানে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির সকল খবর আমরা পেয়ে থাকি।এখান থেকে অনেক কিছু শিখে থাকি। আমার কাছে সবচেয়ে বেশী যেই জিনিসটা ভালো লাগে তা হলও টেকটিউনসের innovative thinking।
টেকটিউনস আসলেই বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে এক বিশাল অবদান রেখেছে। এতে কোন সন্দেহ নেই।


টেকটিউনসে advertising এবং branding করে আপনি কিভাবে উপকৃত হয়েছেন।

তৌফিক এলাহী: টেকটিউনস marketing strategy সম্পর্কে আমার অনেক ভাল ধারনা রয়েছে। আমি টেকটিউনসের সাথে বহু সময় ধরে কাজ করে চলেছি। টেকটিউনস customer ROI এর কথা মাথায় রেখে সবসময় কাজ করে থাকে। তো তারা যা করে যেভাবেই করে customer এর ভালোর জন্যই করে এটা আমার বিশ্বাস।

https://www.techtunes.com.bd/techtunes/tune-id/511907

37
টেকটিউনস Super Successor গেস্ট:   রুবেল হোসেন , CEO এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা, Dukpion.com
সময়: সোমবার, ২৯ আগষ্ট ২০১৭।দুপুর ১২ টা।
ব্যাপ্তি: প্রায় ১৭ মিনিট
স্থান: Dukpion.com এর অফিস, ঢাকা।

টেকটিউনস Super Successor হিসেবে আজকে  হাজির আছে বাংলাদেশের E-Commerce industry একজন পরিচিত মুখ এবং টেকটিউনসের  একজন নিয়মিত advertisers। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে আছেন টেকটিউনসের সাথে।
E-Commerce industry  এর মাঝে নিজেকে গড়বার প্রচেষ্টা এবং  E-Commerce industry তে নিজের এক ভিন্নধর্মী চিন্তা নিয়ে এগিয়ে চলবার পথ নিয়ে আজকে তিনি আমাদের বলবে তার কিছু কথা।

আজকে আমরা কথা বলব  Dukpion.com এর CEO এবং সহ - প্রতিষ্ঠাতা রুবেল হোসেন ভাইয়ের সাথে।
Dukpion.com এর শুরুর কথাটা আমাদের বলুন?

Dukpion.com নিয়ে ভালো একটি background history আছে। আমি জব করতাম। আমার আরেকটা ভার্সিটির বন্ধু, যখন আমরা ভার্সিটির এমবিএ এর স্টুডেন্ট ছিলাম। ঐ বন্ধুটাও জব করত।আমাদের মাঝে অনেক ভালো একটা সম্পর্ক ছিল। কিছুদিন পরে আমার আরেকটা বন্ধু ছিল। উনি ই-কমার্স এর parttime জব করতেন। আমার বিষয়টা হচ্ছে, যখন আমি জব করতাম তখন থেকেই আমি ই-কমার্স এর প্রতি  অনেক interested ছিলাম। আমি ই-কমার্স সম্পর্কে বিভিন্ন artical পড়তাম, ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করতাম, দেখবার চেষ্টা করতাম আসলে ই-কমার্স জিনিসটা  কি, কিভাবে করে। এক কথায় বলা যায় যে আমি খুবই interested ছিলাম ই-কমার্স নিয়ে।

আমার মাথায় একটা planning ছিল যে আমি এটা শুরু করতে পারি কিনা। তো ঐ সময়টাই আমার ঐ বন্ধু বলে যে চল বন্ধু, আমরা একটা ই-কমার্স এর ব্যবসা শুরু করি। তো এমনভাবেই শুরু করাটা। শুরু দিকেই আমি এটাকে part time হিসেবে নিয়েছিলাম। আমার ক্যারিয়ারের ই-কমার্স টা ছিল part time। এটাকে full time বলা যাবে না। আমি যখন জব করতাম তখন পাশাপাশি এটাতে সময় দিতাম। আমরা এখানে ছোট একটা অফিস, একটা পিসি নিয়ে আমরা শুরু করেছিলাম। যেটা হচ্ছে, আমরা প্রতিদিন আমাদের মার্কেট প্ল্যানিং কিভাবে করব, আমাদের প্রোডাক্ট সোর্সিং কিভাবে হবে, আমরা কিভাবে বিজনেস grow করব এ সবকিছু নিয়েই দিনের পর দিন ২-৩মাস আমাদের প্ল্যানিং এর পিছনেই চলে গিয়েছে, মার্কেট রিসার্চ এ চলে গিয়েছে, প্রোডাক্ট sourcing জায়গা গুলোতে রেগুলার যেতাম। এভাবেই ধীরে ধীরে শুরুটা করা। তো শুরুর কথা এটাই বলব যে, শুরুর দিকে আমাদের প্রচুর effort দিতে হয়েছে, অনেক কিছু শিখতে হয়েছে। তো বলা যায় যে আমরা তিলতিল করে আস্তে আস্তে আমরা এত দূর এসেছি।

আমরা বিজনেস শুরু করেছি, ২০১৫ সালের মার্চ মাসে। All most ২ বছরের মত হয়ে গিয়েছে। আমরা ৩ জন বন্ধু এখনও একসাথে আছি। আমরা ৩জন আলাদা আলাদা ৩টা ডিপার্টমেন্ট চালাচ্ছি। আমি মার্কেটিং সাইটটা সম্পূর্ণ দেখছি। আরেক বন্ধু প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে আছে।প্রোডাক্ট sourcing এবং প্রোডাক্ট প্ল্যানিং everything ও করছে। আমাদের আরেক বন্ধু customer care এবং delivary এই সার্ভিসটা দেখছে।
আমাদের প্রায় ৫০০+ কালেকশন আছে। যদি ক্যাটাগরি বলি, আমাদের ক্যাটাগরি বেশি নাই। আমরা শুরু থেকেই প্ল্যান করেছিলাম, যে আমরা খুব বেশি ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ করব না। কারণ আমরা দেখেছি, আমাদের মত entrepreneurs এবং ছোট ইনভেস্টদের জন্য এত ক্যাটাগরি maintain করা অনেক কঠিন হয়ে যায়।এজন্য আমরা শুধু মাত্র ফোকাস করেছি আমাদের eye care টাকে। আমাদের এখানে sun-glass এর এক বিশাল কালেকশন আছে। এছাড়াও fashion accessories এর মধ্যে বেল্ট, ওয়ালেট, ওয়াচ এর কালেকশন আছে। Dukpion.com আসলে mainly sun-glass এর জন্যই আলাদা একটা নাম। আমরা আসলে এই sun glass নিয়েই আমাদের branding টা করছি।


আপনার প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থার কথা আমাদের বলুন?

Dukpion.com এর বেশির ভাগ প্রোডাক্ট হচ্ছে থাইল্যান্ডের প্রোডাক্ট, চায়না প্রোডাক্ট তো অবশ্যই আছে। কারণ চায়নার প্রোডাক্ট ছাড়া তো এখন বিজনেস এর কথা চিন্তাই করা যায় না এবং ভালো করা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের প্রোডাক্ট Sourcing আরেকটি চ্যানেল হচ্ছে ইন্ডিয়া। এছাড়া দেশে বিদেশের আরও অনেক জায়গা আছে আমাদের প্রোডাক্ট Sourcing করে থাকি।
এখন যদি আমাদের buisness এর পরিস্থিতির কথা বলি, তাহলে বলব আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভাল করছি। আমরা এখন gradually increase করছি, এখন আপনি profit বলেন, branding বলেন, marketing বলেন, আমাদের ডাটাবেস বলেন সব কিছুই নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং প্রতিনিয়ত increase করবার চেষ্টা করছি। তো আমরা gradually এগিয়ে যাচ্ছি step by step।


বাংলাদেশের E-Commerce industry নিয়ে কিছু বলুন?

বাংলাদেশের E-Commerce industry অনেক বড় একটা প্ল্যাটফরম। এখানে অনেক বড় বড় opportunity আছে। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, এখানে যেই entrepreneur আছে, তাদের যে ধরনের support দরকার, invest দরকার, training দরকার এ সকল ধরনের কোন ধরনের সহায়তা আমরা সরকার থেকে পাচ্ছি না। আর একটা বড় ব্যাপার হচ্ছে logistics support, যা আমরা ঠিক মত দিতে পারছি না। logistics support এর জন্য যেই Patner রা আছে বা delivery যেই company গুলো আছে। আমরা customer commitment ঠিক মত রাখতে পারছি না। ভাল হয়তো অনেকেই করছে, কিন্তু আমি বলব customer service অনেক বড় একটা ব্যাপার। যেমন ধরুন, আপনি customer এর সাথে delivery এর জন্য commitment করলেন। এখন যদি আপনি commitment না রাখতে পারেন তাহলে customer আপনার শপ এ second time আর ঢুকবে না। এজন্য আমরা আমাদের নিজস্ব delivery boy দ্বারা আমাদের প্রোডাক্ট delivery করছি। আমরা চেষ্টা করি on time এ delivery করবার জন্য।
বাংলাদেশে অনেক ই-কমার্স সাইট আছে। কিন্তু customer এর দিক থেকে আমি যদি চিন্তা করে বলি, আমি চাব quality product, ontime services। customer commitment টা অনেক বড় একটা issue ই-কমার্স business এ।
আমি বিশ্বাস করি যদি এই সব গুলো বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখে  আমরা ই-কমার্স business করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমি মনেকরি। এখানে অনেক বড় আরেকটা বিষয় হচ্ছে customer trust টা রক্ষা করা। এক্ষেত্রে customer অনেক সময় complain করে যে, আপনারা অনলাইনে যেটা show করছেন আমরা physical সে প্রোডাক্টটা পাচ্ছিনা। তো এই যে customer এবং company এর মাঝে trust এর যেই ব্যাপারটা সেটাই ফিরিয়ে আনাটা এখন মূল চ্যালেঞ্জ বলে আমি মনেকরি।


আপনার প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

আমাদের future planning হচ্ছে, বাংলাদেশে নিজেদের আলাদা ভাবে একটা পরিচিতি পেতে চাই। যেটা হচ্ছে, specially for eye product বা eyecare। বাংলাদেশে eyecare সার্ভিসটা আমরা door to door পৌঁছে দিতে চাই। কারণ মানুষজন এখনও শপ এ গিয়ে কিনছে। এখন prescription এর মাধ্যমে বাসায় বসে যদি আমরা customer কে home delivery দিতে পারি। যেমন ধরুন, কোন customer এর চোখে সমস্যা। তো তাকে আগে কি করতে হচ্ছে, আগে তাকে ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে।
তারপর prescription নিয়ে অন্য কোন শপ এ গিয়ে তাকে লেন্স তৈরি করতে দিতে হচ্ছে। যেটা অনেক সময় সাপেক্ষ একটা ব্যাপার। তো আমরা চাচ্ছি যে, কোন customer যদি আমাদের কে তার prescription মেইল করে বা মেসেজ করে আমরা সেই অনুসারে তার contact lens বা sunglass তৈরি করে তাকে দিতে পারব। তো আই রিলেটেড যত সমস্যা আছে বা যারা sunglass এর অনেক fan। তো আমরা চাচ্ছি যে আমরা তাদেরকে একটা dedicated service দিব। আর পাশাপাশি আমরা ভাবছি যে আমরা selective কিছু category নিয়ে কাজ করব। যেখানে বাংলাদেশের মধ্যে আমাদের একটা আলাদা পরিচিতি থাকবে সার্ভিস এর দিক থেকে এবং কোয়ালিটির দিক থেকে। আমরা বাংলাদেশের মার্কেটে sunglass নিয়ে আলাদা একটা পরিচিতি পেতে চাচ্ছি।


আমাদের তরুণদের জন্য কিছু বলুন। যারা আপনার মত E-Commerce industry তে আসতে চায়?

তরুণরা যারা এখনও ই-কমার্স ব্যবসায় আসেনি বা আসবেন বলে চিন্তা করছেন তাদের কে বলতে চাই, অবশ্যই আইডিয়াটা ইউনিক হতে হবে। আমরা বর্তমান ই-কমার্স গুলো খেয়াল করলে দেখতে পারব যে, বেশির ভাগই হচ্ছে কাপড়ের বা গেজেট প্রোডাক্ট এর ই-কমার্স সাইট। অবশ্যই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে ইউনিক কিছু আইডিয়া বের করা। এরপর যেটা করতে হবে, আমরা যেই আইডিয়াটা বের করব ঐটা বাস্তবায়ন করবার জন্য যে বিষয় গুলো আছে, সেই বিষয় গুলো অবশ্যই proper channels এবং পলিসির মাধ্যমে শুরু করতে হবে।অনেক গুলো ক্যাটাগরি, অনেক গুলো প্রোডাক্ট নিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করলেন কিন্তু আপনি কাস্টমারকে সঠিক প্রোডাক্ট ও সার্ভিস দিতে পারবেন না, এই যেই বিষয় গুলো, এসকল বিষয়গুলো আপনার capacity এবং দক্ষতা অনুযায়ী আপনি আপনার buisness শুরু করেন। ঠিক আছে, আপনি একটা প্রোডাক্ট নিয়ে শুরু করেন কিন্তু অবশ্যই সেই প্রোডাক্টটা কাস্টমারকে proper way তে পৌঁছে দিতে হবে।
তো যারা buisness এ আসতে চায়, অবশ্যই একটু ভিন্নধর্মী আইডিয়া দিয়ে শুরু করতে হবে। আমাদের দেশে এখনও অনেক বিষয় আছে কাজ করার বাকী, অনেক বিষয় আছে কাজ করবার জন্য।


টেকটিউনস বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে এক বিশাল অবদান রেখেছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কি?

টেকটিউনস বাংলাদেশের এর one of the best platfrom। আমরা দেখেছি আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের সাইট রয়েছে, টেকটিউনস সম্পূর্ণ আলাদা একটা সাইট।এদের artical অনেক helpful। তো টেকটিউনসের সব কিছু মিলিয়ে আমি super satisfied। টেকটিউনস ভালো করুক এবং এগিয়ে যাক এটাই আমি দোয়া করি।


টেকটিউনস এডভারটাইজিং সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ আছে?

টেকটিউনস এডভারটাইজিং সম্পর্কে আমি বলতে চাই, টেকটিউনস এডভারটাইজিং পলিসিটা ভালো আছে, কিন্তু আমার মনে হয় টেকটিউনস ট্রাফিকটা যদি আরেকটু improve করলে মনে হয় আরেকটু ভালো হয়। আমি যেটা মনেকরি, টেকটিউনসের কাস্টমার হচ্ছে young generation। তো আমি যখন এখানে এডভারটাইজিং করব, আমার টার্গেট কাস্টমার যদি হয় ৫০+ তাহলে কিন্তু মনে হয় আমি ঐ পরিমাণ ট্রাফিক এখান থেকে পাব না। এখানে এডভারটাইজিং এবং প্রোডাক্ট এর যেই বিষয়টা এটার সাথে আর একটু ব্যালেন্স থাকা উচিত।

https://www.techtunes.com.bd/techtunes/tune-id/512952

38
টেকটিউন Super Successor গেস্ট:  আসাদ ইকবাল, সহ-প্রতিষ্ঠাতা, Gadget Bangla
সময়: রবিবার,১৩ আগষ্ট ২০১৭।দুপুর ১২ টা।
ব্যাপ্তি: প্রায় ১২ মিনিট
স্থান: Gadget Bangla এর অফিস, ঢাকা।

টেকটিউনস Super Successor হিসেবে আজকে আমরা এমন একজন ব্যক্তিকে হাজির করেছি, যিনি কিনা বাংরাদেশের  E-Commerce এ যারা অবদান রেখে চলেছেন তাদের মধ্যে নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছেন এবং দেশের  E-Commerce কে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি হচ্ছেন আমাদের Gadget Bangla সহ-প্রতিষ্ঠাতা আসাদ ইকবাল সাহেব।

Gadget Bangla এর শুরুর কথটা আমাদের বলুন।
আমি যখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা করি তখন কথাটা আমার মাথায় আসে। টেকনিকাল যেকোনো কাজে যদি টেকনোলজি এর দরকার হয়, সেটাই best টেকনোলজি। থিওরিটিক্যাল কাজেও যদি টেকনোলজি এর ইমপ্লিমেন্টেশন থাকে তাহলে আরও ভালো হয়। গ্যাজেট হচ্ছে uptodate জিনিস।মানে একই জিনিস ১০ ভাবে ১০টা device থেকে করা যায়, এটা অনেক দারুণ একটা বিষয়। একদিকে গ্যাজেট অনেক পছন্দ, অন্যদিকে টেকনিকাল কিছু জ্ঞান আছে। তাই সব মিলিয়ে এই gadget bangla এর কার্যক্রম শুরু করা।
gadget bangla নিয়ে আমাদের প্ল্যানিং টা আসলে খুব আগে থেকে ছিল না। এই ১০ই আগস্টে gadget bangla এর ৩বছর পূর্ণ হয়েছে। আমার ভাই এবং আমি, আমরা ২জন মিলেই মূলত কিছু একটা করব, এই চিন্তা করেই আমাদের gadget bangla নিয়ে কাজ করা শুরু করা। আমাদের একটা plan ঠিকই ছিল।
কিন্তু নাম সিলেকশন, product সিলেকশন, আবার আমরা কতটুকু টিকে থাকতে পারব এই মার্কেটে এ সব কিছু চিন্তা করতে করতে বেশ কিছু সময় লেগে যায়। প্রায় ৪-৫ মাসের মত সময় লেগেছে। কিন্তু Finally, ৩ বছর আগে ২০১৪ সালের ১০আগস্ট আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম আমরা ছোট একটা shop নিয়ে কাজ শুরু করি।Shop টা 118sqft এর ছিল। এরপর ২ বছর পর আমরা বর্তমানে যেখানে আছি, এখানে এসেছি। এই shopটা 500sqft এর মত। গত বছর রোজার প্রায় ১ মাস আগে এসেছিলাম।

আপনার নিজের সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন।
আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার, বি.এস.সি, এম. এস. সি কম্পিউটার সাইন্স থেকে করা। ইউনিভার্সিটি লাইফে এচিভমেন্ট বলতে ঘরে খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানো এই ধরনের কাজ গুলো বেশী করতাম। ইউনিভার্সিটি লাইফ থেকেই জব করা হয়েছে, ইউনিভার্সিটি থেকে বের হওয়ার একমাস আগে একটি স্বনামধন্য স্কুলে এমআইএস ডিপার্টমেন্টে, ওখানে চাকরি করেছিলাম ২১ মাস ১০ দিন, তার পর আর কোথাও চাকরি করি নি। আমাদের আরও একটি বিজনেস আছে, আমাদের মাদার কোম্পানি যেটি, যেখানে আমরা সফটওয়্যার তৈরি করি তার বয়স হচ্ছে ৮ বছর।
আমাদের আইটি কোম্পানি যেটায় আমরা সফটওয়্যার তৈরি করি তার বেসিস মেম্বারশীপ নেই আমরা ২০১৩ সালে, আর গ্যাজেট বাংলা হচ্ছে এর পরে শুরু করা হয়। এছাড়া এচিভমেন্ট বলতে আমরা গত বছর বিপিএল যা খুব বড় করে হোস্ট করা হয় তার টিকেটিং পার্টনার ছিলাম। ঐ টি আমাদের বেশ বড় এচিভমেন্ট ছিল এই কারণে যে সেখান থেকে আমরা কাস্টমার হ্যান্ডেল করার কেপাসিটি টের পাই, তবে আমরা খুব খুশি ছিলাম এই কারণে যে গত বছর আমরা ভাল ভাবেই এটা ট্যাকেল করতে পেরেছি আমাদের লিমিটেড টিম মেম্বার দিয়ে।
আমাদের সবচেয়ে বড় এচিভমেন্ট এইটাই যে আমাদের সব বিজনেস এই আমাদের রিটার্নিং কাস্টমার আছে এবং এটাই আমাদের সবচাইতে বড় এচিভমেন্ট। সবাই প্রোডাক্ট নেয়ার পরে দ্বিতীয়বার আমাদের সাথে যোগাযোগ করে, হয় তো প্রোডাক্ট আমাদের কাছে নেই কিন্তু আমাদের কাছে সাজেশন এর জন্য যোগাযোগ করে, যে ভাই জিনিসটি তো আপনাদের কাছে নেই কিন্তু জিনিসটি কি রকম হবে? বা এই কোম্পানির হোস্টিং টি কি রকম?
প্রাইস্ট হোস্ট আমরা শুরু করি ২০০৯ এ যখন আমি ইউনিভার্সিটি থেকে বের হই, ডেট টি ঠিক মনে নেই, আর virtuanic solution আমাদের আরেকটি বিজনেস virtuanic solution এর মানে হচ্ছে ভারচুয়াল ক্লিনিক, এটার আইডিয়া হচ্ছে আপনার বিজনেসের প্রয়োজনে যত ধরনের সফটওয়্যার দরকার পরবে সেটা আমরা দিব, এ জন্যই এটি ভারচুয়াল ক্লিনিক বা virtuanic solution, আর গ্যাজেট বাংলা এর পরে আমাদের আরও কিছু প্রজেক্ট আছে কিন্তু ওগুলো এখনো আইডিয়া লেভেলে আছে। একটি একটি করে ইস্টাবলিশ করার পর আমরা অন্যটিতে সুইচ করব। আমার ইউনিভার্সিটির নাম ছিল ইউডা (ইউনিভার্সিটি অফ ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ)

বাংলাদেশের ই-কর্মাস ইন্ডাস্টি নিয়ে কিছু বলুন?
বাংলাদেশের ই-কর্মাস ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আমার কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। আমি আপনাদের সেটা বলি।আমাদের পাশের দেশ ইন্ডিয়াতে বড় বড় কিছু e-commerce বন্ধ হয়ে গিয়েছে এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে। যেমন - Snapdeal। ঐখানে যেই জিনিসটা হয়েছিল। এখানেও একই জিনিসটা হচ্ছে।
আমাদের এখানে বড় বড় কিছু কোম্পানি বিনিয়োগ করবার পরে, আমরা যারা startup কোম্পানি রয়েছি। তাদের বাজেটটা অনেক কম থাকে। বড় কোম্পানি পাগলের মত টাকা ইনভেস্ট করে এগিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। বিজনেস এর কিছু স্ট্রাটেজি আছে। আপনার যদি end of the day কোন লাভ না থাকে, তাহলে সেই ব্যবসাটা sustain করানো খুব কঠিন। যখন কম্পিটিশন টা অসম হয়ে যায়, তখন সেই কম্পিটিশন এ টিকে থাকাটা খুবই কঠিন হয়। আমাদের দেশের e-commerce field এ বর্তমান সময় এ এমন কিছু অসম কম্পিটিশন দেখা যায়। মার্কেট প্লেস ছাড়া, আমাদের মত যারা আছে তাদের অনেক কষ্ট হয়।
মজার আরেকটা বিষয় হচ্ছে, যখন আপনি নিজে ব্যবসা করবেন বলে চিন্তা করেন। তখন আপনি যদি specialist হতে পারেন সেটি শুধু প্রোডাক্ট এ না,  after sale service, customer serviceও support এবং যদি কিছু customer base তৈরি করা যায়, তাহলে ব্যবসা sustain করবার একটা সম্ভাবনা থাকে।

আপনার প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থার কথা আমাদের বলুন?
আমাদের বর্তমানে ১৪২৩টা প্রোডাক্ট আছে। maximun প্রোডাক্ট আমাদের showroom এ রাখা আছে। ঢাকার ভিতরে যারা আছে তাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়। তারা আমাদের শোরুম এসে প্রোডাক্ট গুলো দেখতে পারে। বর্তমানে আমরা নিজেরাই ভিডিও রিভিউ শুরু করেছি।খুবই unprofessional ভাবে। unprofessional ভাবে শুরু করবার ২টা কারণ আছে, একটা হচ্ছে আমাদের কিছু technical সীমাবদ্ধতা আছে।অনেকে আবার অনেক পলিস রিভিউ prefer করে না।
তারা prefer করে in house প্রোডাক্ট রিভিউ। তাদের কাছে এসকল রিভিউ গুলো তখন রিয়েল রিভিউ মনে হয়। অনেক সময় প্রোডাক্ট ততটা ভালো, ছবিতে বোঝা যায় না যতটা ভালো ভিডিওতে বোঝা যায়।আমরা ২৪ঘন্টা সাপোর্ট দেবার চেষ্টা করি। একটা সমস্যা হচ্ছে, মানুষ পড়তে চায় না। প্রোডাক্ট এর দাম দেয়া থাকলেও পড়তে চায় না। রিভিউ দেয়া থাকলেও দেখতে চায় না। আমরা আমাদের মত করে সব ভাবেই সাপোর্ট গুলো দিয়ে থাকি। ফেইসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ সব ভাবেই আমরা সাপোর্ট গুলো সবসময় দেবার চেষ্টা করে থাকি।

আপনার প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তো অনেক। আমাদের যেই ১৪২৩টার মত প্রোডাক্ট আছে। সেগুলোর মাঝে ৩ টি থেকে সর্বোচ্চ ১০টার মত প্রোডাক্ট থাকতে পারে বাংলাদেশী। বাকী সব প্রোডাক্টই Chinese, কিছু আছে Korean বা American।
কিছু কিছু টেকনোলজি আছে যেটা খুবই দারুণ প্রজেক্ট, সেটা হয়তো আপনি ঘরে তৈরি করতে পারবেন ছোটখাটো setup দিয়েই। সেই সকল জিনিস ও আমরা চায়না থেকে নিয়ে আসি। একটা নিদিষ্ট সময় পরে, আমরা কিছু যদি প্রোডাক্শন করতে পারি হতে পারে ছোটখাটো charger light, Fan এসব। হয়তো ব্যাটারি চায়না থেকে আসলো, Fan এর body টা আমরা কোন এক plastic production house কে বানিয়ে দিতে বললে সে বানিয়ে দিতে পারবে। এ রকম করেও আমরা কিছু দারুণ দারুণ প্রজেক্ট করতে পারি চাইলে।

আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট থেকে কেন ভালো?
প্রোডাক্ট এর কোয়ালিটি অনেক ক্ষেত্রে different কিছু হয় না। একই হয়ে থাকে। কিন্তু customer after sales support এবং যখন প্রোডাক্ট কিনছে তখন কি ধরনের support পাচ্ছে, কি ধরনের information পাচ্ছে। এ সব কিছুই অনেক নির্ভর করে থাকে। এছাড়া এডভার্টাইসিং এবং ব্র্যান্ডিংও আছে। অনেকেই অনেক ধরনের e-commerc করে থাকে। আমরা চেষ্টা করি বিশেষ করে after sale support দেবার জন্য।
আমরা চিন্তা করি, আমরা যখন একটা প্রোডাক্ট কিনব এবং জিনিসটা কেনার পরে যদি কোন প্রবলেম হয়, অনেক প্রোডাক্টেই ওয়ারেন্টি থাকেনা, তার পরও আমরা আমাদের নিজস্ব নলেজ দিয়ে সেটা রিকভারি করার চেষ্টা করে থাকি, আমি ছোট বেলা থেকেই ইলেকট্রনিক্স হবিস্ট ছিলাম, তাই ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট বা গ্যাজেট এগুলো যদি নষ্ট হয় বা ধরেন হাত থেকে পরে গেল বা অন্য কোন ভাবে নষ্ট হয়ে গেলে, দেখা যায় রিপেয়ার বা সোল্ডারিং এর দরকার হয়, যেহেতু আমার এর উপর আগে থেকে নলেজ আছে তাই কাস্টমারকে হেল্প করাটা আমার পক্ষে সহজ হয়। এর পাশাপাশি আমাদের যারা টিম মেম্বার আছে তারা মোটামুটি তিন বছর যাবত আমাদের সাথে আছে এবং তারা মোটামুটি আন্তরিক কাস্টমারদের সাপোর্ট দেয়ার জন্য।
ইদানীং আমরা খেয়াল করেছি আমাদের বেশ কিছু রিটার্নিং কাস্টমার আছে যারা রেগুলার বেসিসে আমাদের কাছ থেকে প্রোডাক্ট নিচ্ছে, অর্ডার হিস্ট্রি চেক করলে আমরা দেখতে পারি যে কোন কাস্টমার হয়তো ১০ বার বা ১৫ বার আমাদের থেকে প্রোডাক্ট নিয়েছে, এটা হচ্ছে আমাদের জন্য ৩ বছর পরে একটা এচিভমেন্ট, কারণ রিটার্নিং কাস্টমার ছাড়া একটা প্রতিষ্ঠানের সামনের দিকে আগানোর কোন উপায় নেই, কারণ আপনি সারাজীবন শুধু মাত্র নতুন কাস্টমার গ্রেপ করতে পারবেন না।

আমাদের তরুণদের জন্য কিছু বলুন। যারা আপনার মত এই ব্যবসায় আসতে চায়?
পরামর্শ প্রথমেই একটা যে, সব কথাই শুনবেন কিন্তু সব কথা শুনলেই যে করতে হবে এমন কোন কথা নেই, ই-কমার্স একটা পুরোপুরি এনালেটিকাল একটা বিজনেস, সো এখানে আপনার অনেক ধরনের টুলস ব্যবহার করতে হয় এবং এগুলোর যে এনালেটিকাল রিপোর্ট, সেই রিপোর্ট টাকে আপনার বিচার করার ক্ষমতা থাকতে হবে, অনেক ধরনের সংগঠন বা অনেক ধরনের ফেইসবুকের গ্রুপ আছে এবং অনেক ধরনের মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম হয়, সেখানে স্টার্ট-আপ শুরু করার মানেই হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে ই-কমার্স, এটা খুব ছোট খাট বিজনেস না, নরমাল দোকানদারির সাথে এটার অনেক পার্থক্য আছে।
আপনি একটা দোকানে কিছু প্রোডাক্ট আনলেন, সেটা বিক্রি করলেন, কিন্তু ই-কমার্স এর একটা লাইফ সাইকেল আছে, আপনার প্রোডাক্ট টা নিয়ে আসা, অর্ডার পরা তারপর সেটি ডেলিভারি তে দেওয়া, ডেলিভারির সময় প্রবলেম হলে সাপোর্ট দেয়া, ডেলিভারি না হলে প্রোডাক্ট টা যখন স্টোরে আসে তখন স্টোরিং করা, আর যদি ডেলিভারি হয় তখন কুরিয়ারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে  আসা, এই যে একটা লাইফ সাইকেল এটা একটা বিশাল ব্যাপার, এটাকে আমি শুভঙ্করের ফাকিই বলব, কারণ হচ্ছে আপনার লিকুইড ক্যাশ যখন চলে যাচ্ছে কুরিয়ারের কাছে এবং কুরিয়ারের কাছ থেকে আসছে এর মাঝে ৫ থেকে ৭ দিনের একটা গ্যাপ আছে এবং এই গ্যাপের একটা হিসেব আছে, যদি এই হিসেব আপনি সঠিক ভাবে ক্যালকুলেট না করতে পারেন তাহলে আপনার স্টার্ট-আপ ফেইল করবে, অথবা আপনি বেশ বিপদে পরবেন।
নতুন প্রজন্ম যারা আছে তাদেরকে প্রথমেই বলব আগে এই ব্যাপারে পড়াশোনা করতে হবে, আমাদের দেশের কেস স্টাডি খুবই কম, আমাদের দেশের না হোক ভারত বা পাকিস্তানের কেস স্টাডি পুরোপুরি ফলো না করে, আমাদের দেশের যতটুকু দরকার ফলো করে ভালমতো বুঝে এই বিজনেসে আসেন। এই ব্যবসাটা একটু কিন্তু কঠিন, যতটা মনে হয় সহজ, যে আমি একটা ওয়েব সাইট খুললাম বা ফেইসবুক পেইজে বুস্ট করলাম প্রোডাক্ট বিক্রি হল, কিন্তু এটা কোন Sustainable আইডিয়া না, তাই বলছি আগে কিছু পড়াশুনা করা প্রয়োজন এই বিজনেস শুরু করতে হলে।

টেকটিউনস বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে এক বিশাল অবদান রেখেছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কি?
টেকটিউনস সম্পর্কে মতামত বলতে, যখন কেউ ছিল না তখন টেকটিউনস ছিল আর এখন অনেকেই আছে কিন্তু টেকটিউনস ঠিক ই আছে, সো কিছু তো আছে টেকটিউনস এর মধ্যে আর না হলে কেন এখনো আছে। নতুন লেআউট সম্পর্কে আমি কিছু কথা বলতে চাই। এটি আমার কাছে মোটামুটি লেগেছে, একটু স্পিল্ট মনে হয় বাড়াতে হবে টেকটিউনস এ। টেকটিউনস ভিডিও টিউন শুরু করেছে এটি খুব ভাল হয়েছে, অনেক তরুন যারা, যাদের ৫ বছর আগে ১৮ থেকে ২০ বছর ছিল এখন হয়তো তাদের ২৫ বছর তারা যারা টিউটোরিয়াল লেখে বা টিউমেন্ট করে এই প্লাটফর্মে বাংলায় কিছু শুরু করা এটা একটা খুব বড় ব্যাপার। বাংলাদেশে এই ধরনের প্লাটফর্ম খুব কম ছিল, ২০০৭ এ আমাদের একটি ফোরাম ছিল প্রজন্ম ফোরাম, কিন্তু বাংলায় হাতে গোনা যে কয়েকটা ব্লগ ছিল তার মধ্যে টেকটিউনস একটি, টেকটিউনস এখনো আছে এবং আশা করি টেকটিউনস থাকবে, এই যে একটি প্লাটফর্ম কে continue করে নিয়ে যাচ্ছে এই জন্য টেকটিউনস কে ধন্যবাদ দিতে হয়।

টেকটিউনসে এডভারটাইসিং করে আপনি কিভাবে উপকৃত হয়েছেন।
আমি টেকটিউনস এর সাথে বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছি, আমি মনে করি টেকটিউনস এ ভিজিটর আছে, এখানে certen লেভেলের ভিজিটর যাচ্ছে, তাদের কথা মাথায় রেখে যদি কেউ এডভারটাইসিং করে বা ব্রান্ডিং করে তাহলে ভাল হবে। এখানে যদি কেউ consumer প্রোডাক্ট নিয়ে এডভারটাইসিং করে বা ব্রান্ডিং করে যেটা তরুণরা পছন্দ করে সেই প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে যদি ব্রান্ডিং বা প্রমোশন করে তাহলে তাদের কাছে আসবে বলে আমি মনে করি।

টেকটিউনস সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ আছে?
পরামর্শ বলতে টেকটিউনস এর এখন যে আউটলুক এটি যদি আরও কিছুটা ইউজার ফ্রেন্ডলি করা যায়, এটি রেসপনসিভ ঠিক আছে। টেকটিউনস এর আ্যাপটা যদি একই ভাবে চলে আসে তাহলে আমরা যা বলি যে মোবাইল থেকে একরকম আর পিসি থেকে অন্যরকম এ ধরনের কনফিউশন দুর হবে। আর আ্যাপটা থাকলে আমাদের সুবিধা হবে, কারণ অনেক সময় দেখা যায় ব্রাউজ করার সময় হয় না আর আ্যাপটা থাকলে যদি নটিফিকেশন দেয়া থাকে তাহলে আমাদের কে জানানো যাবে যে আজকে ১০ টি নতুন টিউন এসেছে আর তখন এগুলো আমরা দেখে নিতে পারবো।

https://www.techtunes.com.bd/techtunes/tune-id/512461

39
টেকটিউন Super Successor গেস্ট: ইউসুপ মিয়া সোহেল,  প্রতিষ্ঠাতা, King of Laptop Solution
টেকটিউন Super Successor হোস্ট: রুবিনা ইয়াসমিন
সময়: মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০১৭।দুপুর ১২ টা।
ব্যাপ্তি: প্রায় ১৫ মিনিট
স্থান: King of Laptop Solution এর অফিস, ঢাকা।

টেকটিউনস Super Successor হিসেবে আজকে আমরা এমন একজন ব্যক্তিকে হাজির করেছি, যে কিনা আইটি জগতে  নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরবার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন এবং দেশের আইটি সেক্টর কে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তার কর্ম জীবনের হাতেখড়ি শুরু করেছে টেকটিউনস থেকে।

তিনি হচ্ছেন আমাদের সকলের পরিচিত ইউসুপ মিয়া সোহেল সাহেব।তিনি সবসময় নিজে নিজে নতুন নতুন জিনিস শেখার আগ্রহ নিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছে।সে আরও advanced technology নিয়ে কাজ শিখবার জন্য এবং জানবার জন্য ইন্ডিয়া থেকে desktop or laptop repairing এর কোর্স করে আসে।
দেশে ফিরে এসে তিনি King of Laptop Solution এর কাজ শুরু করেন। King of Laptop Solution এর মাধ্যমে তিনি আমাদের তরুণ সমাজে  desktop or laptop repairing প্রশিক্ষিন প্রদান করছেন।


আজকে উনার মুখ থেকেই শুনতে পারবেন, আমাদের দেশ এর আইটি সেক্টরের অবস্থা এবং অন্যান্য দেশের আইটি সেক্টরের অবস্থা সম্পর্কে।
King of Laptop Solution এর শুরুর কথাটা আমাদের বলেন?

ইউসুপ মিয়া সোহেল: আমরা ২০১৩ সালে থেকে King of Laptop Solution এর যাত্রা শুরু করি।আমরা King of Laptop Solution এর মাধ্যমে laptop repairing course করিয়ে থাকি। অনেক সময় দেখা যায় কোন ব্যক্তির ল্যাপটপ হঠ্যৎ করে নষ্ট হয়ে গেল, সে নিজে হয়তো laptop repairing এর বিষয়ে তেমন কিছু জানে না বুঝে না।সে তার ল্যাপটপ টা যেকোনো ধরনের laptop repairing এর দোকানে নিয়ে গেল। সেই দোকানের ব্যক্তিরা কোন রকমে তার ল্যাপটপ ঠিক করে দিল আর এতগুলো টাকা চার্জ করল।
কিন্তু ২ দিন পর দেখা গুলো ল্যাপটপ এ আবার সমস্যা দেখা দিল। তো সেই থেকেই আমার মাথায় চিন্তা আসে যে সবারই নিজের কিছু জ্ঞান থাকা দরকার computer hardware এর বিষয়ে।যাতে তাদের প্রোডাক্ট গুলো কোন ভুল মানুষের, ভুল কাজের জন্য নষ্ট না হয়। তারা যাতে নিজেরাই বুঝে বুঝে কাজ করতে পারে। সেই জন্যই আমি King of Laptop Solution এর কাজ ২০১৩ সাল থেকেই ঘরে বসে আস্তে আস্তে শুরু করি।
আমি ইন্ডিয়া থেকে laptop repairing course করে আসি, যাতে করে আমি King of Laptop Solution নিয়ে আরও একটু বড় ভাবে কাজ করতে পারে।আমি যখন ইন্ডিয়ায় কোর্স করতে গিয়েছিলাম, আমি দেখতে পেলাম তারা অনেক updated সব কিছুতে। চায়নার পর টেকনোলজির দিক দিয়ে এগিয়ে আছে ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়ার টেকনোলজি নিয়ে কাজের ধরন দেখে আমি অনেক অনুপ্রাণিত হই যে আমিএ আমার দেশের জন্য কিছু করতে চাই এবং আমার দেশের যুব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
এজন্যই মূল আমি ঐখান থেকে কোর্স শেষ করে এসে এই কাজটি শুরু করি, আমার King of Laptop Solution এর মাধ্যমে।


King of Laptop Solution এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলেন।

ইউসুপ মিয়া সোহেল: বর্তমানে King of Laptop Solution এ আমরা দুইভাবে কাজ করছি। প্রথমত, আমরা যেই কোর্স করাচ্ছি তা হলও laptop and desktop chip level repairing। অর্থাৎ motherboard এর circuit এ প্রতিটা চিপ কিভাবে সহ প্রতিটা জিনিস নিয়ে কিভাবে কাজ করতে হয় তার পূর্নাঙ্গ শিক্ষা সিলেবাস আকারে আমাদের এখানে দেয়া হয়ে থাকে।
এছাড়াও আমরা laptop এর বিভিন্ন accessories বিক্রি করে থাকি। বর্তমানে আমরা কিছু কোম্পানির সাথে dealer হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছি।


বাংলাদেশের আইটি সেক্টর নিয়ে আপনার মতামত কি?

ইউসুপ মিয়া সোহেল: আমাদের দেশ এমন একটি জায়গা।যেখানে অনেক সহজেই ভালো কিছু করা সম্ভব। যেমন, আমাদের garments industry দিকে খেয়াল করলেই আপনি দেখতে পারবেন যে, বাহির থেকে মানুষ এসে কম খরচে অনেক ভালো ভালো প্রোডাক্ট তৈরি করে নিয়ে যায়।
বাহিরের কোম্পানী গুলো আমাদের দেশে এসে কম পুঁজি বিনিয়োগ করে, ভাল মানের পণ্য তৈরি করে নিয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের দেশের garments industry এর চাহিদা অনেক।
টেকনোলজির দিক দিয়ে হয়তো সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে চায়না তাই সকলে হয়তো এখন modern technology এর জন্য চায়নার উপর আস্থা রাখে। আমাদের দেশের আইটি সেক্টর গুলোকে আরও দক্ষ জনবল নিয়োগ দিতে হবে, আরও প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করতে হবে।নিজের পণ্য তৈরিতে নিজেরাই কাজ করতে হবে। বড় বড় কোম্পানি গুলো যেমন Symphony,Samsung এরা এখন তাদের কাজের জন্য চায়নাকে বেছে নিয়েছে। চায়নার সাথে এখন জাপান ও টিকে থাকতে পারছে না।আমাদের দেশের কর্মদক্ষতা কম থাকায় আমাদের শ্রমের সঠিক মূল্যায়নটা এই আইটি  সেক্টরে  হচ্ছে না।
আমি চাচ্ছে আইটি এর laptop repairing সেক্টরে কর্মদক্ষতা বাড়াবার জন্য। কর্মদক্ষতা বাড়াতে পারলে তখন আর আমাদের ইন্ডিয়া বা চায়নার উপর আর নির্ভর করতে হবে না।তখন আমাদের দেশে  আইটি সেক্টররে আর কাজের এবং দক্ষ জনবলের ও অভাব হবে না।


আপনাদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

ইউসুপ মিয়া সোহেল: আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে আরও বড় করতে চাই, latest technology এর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চাই। নতুন নতুন প্রোডাক্ট আনতে চাই মার্কেটে।আমাদের laptop repairing course কে আরও বড় পরিসরে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।এটাকে Polytechnical Institute হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যাতে করে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান বাড়াতে আমি ভূমিকা রাখতে পারি।


আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য কিছু বলুন, যারা আপনার মত এই buisness এ আসতে চায়।

ইউসুপ মিয়া সোহেল: আমাদের সমাজে শিক্ষিত মানুষ অনেক আছে কিন্তু কর্মক্ষম মানুষ এর সংখ্যা অনেক কম। যার জন্য বেশিভাগ সময়ে দেখা যায় বেকার মানুষের হার একটু বেশি। তাই পড়ালেখা শেষ হবার আগেই নিজেকে কিছু কাজের সাথে জড়িত করলে বা প্রশিক্ষণ নিলে হয়তো career গড়তে খুব বেশি সমস্যা হবার কথা নয়। তাই আমি চাই মানুষ নিজেকে শিক্ষিত করবার পাশাপাশি, নিজেকে কর্মক্ষম হিসেবে গড়ে তুলুক।
বিল গেটস যেমন নিজেকে প্রযুক্তির সাথে জড়িত রেখে আজ এত বড় হতে পেরেছে। আমাদের দেশ এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। অনেক অনেক বড় বড় কোম্পানি গড়ে উঠেছে। আমাদের তরুণ সমাজের জন্য এখন অনেক বড় বড় opportunity রয়েছে নিজেকে অনেক ভাল অবস্থানে নিয়ে যাবার।


টেকটিউনস বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে এক বিপ্লব সৃষ্টি করেছে, এ ব্যাপারে আপনার মতামত কি।

ইউসুপ মিয়া সোহেল: সর্বপ্রথম আমি আমার মনের গভীর থেকে টেকটিউনসকে জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের কে এত এত সাহায্য করবার জন্য।
কারণ টেকটিউনস এমন একটা platform যেখানে আমরা সকল আইটি জগতের খবরা-খবর পেয়ে থাকি, সকল সমস্যা সমাধান ও পেয়ে থাকি।আমাদের মধ্যে যারা ইংরেজিতে অনেক দুর্বল তাদের শেখার জন্য এটা একটা best  platform। এতে কোন সন্দেহ নাই যে টেকটিউনস আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে কত বড় অবদান রেখেছে। আমরা সবাই অনেক অনেক কৃতজ্ঞ টেকটিউনসের কাছে।


টেকটিউনস এ এডভারটাইসমেন্ট এবং ব্যান্ডিং করে আপনি কিভাবে উপকৃত হয়েছেন।

ইউসুপ মিয়া সোহেল: আমি একজন টেকটিউনার। আমি আগে জানতাম না টেকটিউনস নীতিমালা সম্পর্কে। আমি যখন আমাদের King of Laptop Solution নিয়ে কাজ করতে চাইলাম টেকটিউনসের সাথে, তখন আমি প্রথম নীতিমালা সম্পর্কে জানতে পারলাম।
এখানে এডভারটাইসমেন্ট এবং ব্যান্ডিং করবার পর আমি প্রচুর সাড়া পেয়েছি। আমি প্রচুর viewer পেয়েছি। এই platform এর মাধ্যমে মানুষ King of Laptop Solution সম্পর্কে জেনেছে, চিনেছে। King of Laptop Solution মানুষের কছে পরিচিত হয়েছে।


টেকটিউনস এ এডভারটাইসমেন্ট এবং ব্যান্ডিং নিয়ে আপনার কোন পরামর্শ আছে।

ইউসুপ মিয়া সোহেল: আমি চাই টেকটিউনস এখন আরও ভালো ভালো কিছু কাজ করুক। এখন ইউজাররা শুরু পড়তে চায়না। ইউজাররা চায় দেখে দেখে শিখতে। টেকটিউনসের টিউনগুলো এখন ভিডিও টিউন করা অনেক জরুরি। আমি মনে কি, বাংলাদেশে টেকটিউনস যেমন বাংলা ভাষার প্রথম টিউটোরিয়াল সাইট। তেমনি ভাবে একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল সাইটও আমাদের ইউজারদের জন্য অনেক জরুরি। আমাদের ইউজারদের জন্য এই platform কে আরও কাজ করতে হবে। যাতে মানুষ যখন কিছু শিখবে টেকটিউনস ভিজিট করে, তখন কোন কিছু শিক্ষাটা যেন তার জন্য আরও সহজ হয়।

টেকটিউনস আমাদের জন্য আছে, আমাদের জন্য থাকুক সবসময়। এটাই আশা করব। ধন্যবাদ টেকটিউনসকে, ধন্যবাদ টেকটিউনসের সকল সদস্যকে। আপনাদের সকলের কাছে আমি দোয়া প্রার্থী। আপনারা আমাদের জন্য অনেক দোয়া করবেন। যাতে করে আমরা আমাদের King of Laptop Solution কে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আর আমাদের দেশের জন্য কিছু করতে পারি।

https://www.techtunes.com.bd/techtunes/tune-id/508882

40
Any list for 2017? and Could you please give the link of the info?

42
কৃত্রিম গোয়েন্দা - কি আসলে মানুষ নাকি AI based program/app?
Could you please give the link?

43
Important information & Good suggestions. Thanks for sharing.

44
Thank you for sharing such important information & such Good suggestions.

45
Java Forum / Re: What’s new in Java EE 8
« on: November 25, 2017, 01:54:07 PM »
Latest information on Updated java. Thanks for sharing.

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 7