Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Tanvir Shifat

Pages: 1 [2]
16
বিবিএ করার পাশাপাশি ঘরে বসেই আমি শিখেছিলাম গ্রাফিক্স  ডিজাইন। তার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। গ্রাফিক্স গুরু আর ৯৯ ডিজাইনে কাজ করে ইনশাল্লাহ অনেকটাই সফল হয়েছি। আজ আপনাদের সাথে শিয়ার করব কিভাবে ঘরে বসেই ইন্টারনেটে শিখবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন।

গ্রাফিক্স জগতটা আসলে বিশাল। বলা যায় শেষ নেই কোন। ওয়েব ডিজাইনার অনেক পাবেন কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইনার সেই তুলনায় অনেক কম! আমি যেভাবে শুরু করেছি তা বলি। সফটওয়্যার হিসেবে শুরু করেছি Photoshop,Illustrator,Inkscape দিয়ে।
এখন কথা হলো বাসায় বসে কিভাবে এসব বড় বড় সফটওয়্যার ব্যবহার শিখবেন? বাংলায় টিউটোরিয়াল পাবেন প্রযুক্তি টিমের ওয়েব সাইটে। এছাড়াও অন্যান্য বাংলা ব্লগেও কিছু টিউন আছে। তবে বাংলা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে চাইলে প্রযুক্তি টিমের সাইটে দেখতে পারেন। নিচে কিছু সাইটের নাম দিয়ে দিলাম :
1. টেকটিউন
2. প্রযুক্তি টিম টিউটোরিয়াল
3. টিউটোরিয়ালবিডি
4. আইটেকবাংলা
5. প্রজন্মফোরাম

Professionally গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে ওয়েব সাইট দেখে দেখে প্রথমেই সম্ভব না। সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হলো ভিডিও টিউটোরিয়াল। ভিডিও  টিউটোরিয়াল বাংলায় খুব একটা ভাল পাবেন না। এজন্য আপনাকে দেখতে হবে ইংরেজি টিউটোরিয়াল।ভয়ের কিছু নেই। এসব দেখতে ইংরেজি তে জিনিয়াস হওয়ার দরকার নেই। তবে হ্যাঁ গ্রাফিক্স ডিজাইন বলি বা যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং জবের ক্ষেত্রে সফল ঠোঁটে হলে আপনাকে ইংরেজি পারদরশী হওয়া খুব দরকার।
ইংরেজি ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখার সময় কিছু সমস্যায় পড়তে পারেন। যেমনঃ 
1. ইংরেজি কথা না বুঝা।
2. ধৈর্য্য না থাকা।
3. টিউটোরিয়াল না পাওয়া।
4. প্রচন্ড ইচ্ছা না থাকা।
5. Software ফিচার না বুঝা

আমি ইংলিশ ভিডিও টিউটোরিয়াল lynda.com এর চেয়ে ভাল পাইনি বললেই চলে। এখানে যারা টিউটোরিয়াল তৈরি করে সবাই এক একজন বস বলা যায়। অনেক বিস্তারিত টিউটোরিয়াল তৈরি করে। এখন কথা হলো এসব টিউটোরিয়াল দেখতে হলেতো টাকা লাগে আপনি কোথায় পাবেন? হুম এক্ষেত্রে আপনাকে পাইরেসিই করতে হবে। 😛 পাইরেসির ইচ্ছা না থাকলে টাকা দিয়া দেখেন।

হুম ইংলিশ টিউটোরিয়াল যখন দেখবেন তখন অবশ্যই তার কথাগুলো বুঝতে হবে। ১০০% না বুঝতে পারলেও কমপক্ষে ৭০%+  বুঝতেই হবে। এছাড়া সামনে আগানো সম্ভব না। আমি কয়েকজনকে ইংলিশ টিউটোরিয়াল দেখিয়েছি তাদের কথা হলো ধুর খালি ইংলিশ প্যাচাল পারে বুঝি না। 😛 আসলে তাদের ঐ রকম শোনার অভ্যাস নেই। আবারও বলছি এই সমস্যা কাটাতে ইংলিশ মুভি দেখার গুরুত্ব অনেক। 😉

এবার আসি ধৈর্য্যের ব্যাপারে। কথাটা খারাপ লাগলেও বলি আপনার যদি পর্যাপ্ত ধৈর্য্য না থাকে তাহলে এই টিউন পড়া এখানেই বাদ দিন। কারন ফাল মেরে আপনি বাসায় বসে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন না। ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখার সময় অনেক সময়ই ধৈর্য্যের বাধ ভেঙ্গে যাবে যেমনটা আমারও হয়। সেক্ষেত্রে আমি যা করি তাহলো কিছুটা সময় বিরতি দেই। গান শুনি বা গেম খেলি। তারপর আবার শুরু করি। 🙂

টিউটোরিয়াল পাওয়াটা আসলে তেমন কঠিন কিছু না। নেট সম্পর্কে যদি আপনার মোটামুটি ধারণা থাকে তাহলে টিউটোরিয়াল অনেক পেয়ে যাবেন।

প্রচন্ড ইচ্ছা শক্তি থাকতে হবে। আপনি যেহেতু বাসায় বসে শিখছেন তাই কেউ বলেও দিবে না এই মনোযোগ দাও। যা করার নিজেকেই করতে হবে। এছাড়া মাঝপথে ছেড়ে দিলেও হবে না।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য ভাল একটা পিসি অবশ্যই দরকার আছে। নাহলে কাজ করে ভাল লাগবে না। সময় লাগবে বেশি। প্রফেশনাল যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনার তাদের পিসি হাই কনফিগারের হয়ে থাকে। তাই ভাল একটা পিসি জোগাড় করুন।

কিছু সেরা টিউটোরিয়াল::
www.lynda.com/Photoshop-tutorials/279-0.html?author=deke-mcclelland_98

www.lynda.com/Photoshop-tutorials/Photoshop-CS6-Essential-Training/97619-2.html

www.lynda.com/Illustrator-tutorials/Illustrator-CS6-Essential-Training/97951-2.html

উপরের সবগুলো যখন শেখা শেষ হবে তখন প্র্যাক্টিসের জন্য অবশ্যই এই টিউটোরিয়ালটা শেষ করবেন।

https://www.lynda.com/Photoshop-tutorials/dekes-techniques/76067-2.html

দেখার সাথে সাথে এক্সারসাইজ ফাইল দিয়ে নিজে নিজে প্র্যাক্টিস করতেও ভুল করবেন না। সব দেখে শেষ করতে সময় লাগবে অনেক। Happy Learning!!!

17
রমজান মাসের পুরো সময় রোজা রাখা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ বা মৌলিক ইবাদতের অন্যতম।এটি অত্যন্ত পবিত্র মাস, পূণ্যের মাস।
"এই মাসে যে মানুষ আল্লাহর রহমত পেলনা, তার গুণাহ মাফ করিয়ে নিতে পারলনা এবং দোযখ থেকে নাজাতের ব্যবস্থা করে নিতে পারলনা, তার চেয়ে ভাগ্যহীন দুর্ভাগা আর নেই।" -সহীহ হাদিস
এই মাসেই পবিত্র কোরআন মজিদ নাযিল হয়েছে। তাই এই পবিত্র মাসে রোজা বা সিয়াম সাধনাকে আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামীন প্রত্যেক ঈমানদার নরনারীর উপর ফরজ বা বাধ্যতামূলক করেছেন। শুধু আল কোরআনই নয়, অন্যান্য প্রধান প্রধান আসমানি কিতাবও রমজান মাসেই নাযিল হয়েছিল এবং একারণে পূর্ববর্তী উম্মতদের উপরও রমজান মাসে সিয়াম সাধনা বাধ্যতামূলক ছিল। যেমন পবিত্র কোরআন মজিদে আল¬াহ রাব্বুল আ’লামীন স্বয়ং বলেন:

‘হে মু’মিনগণ! তোমাদের তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হইল, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হইয়াছিল, যাহাতে তোমারা মুত্তাকী হইতে পার।’ -[বাকারা : ১৮৩]

রোজা শুধু মাত্র সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত না খেয়ে থাকার নাম নয়, বরং এটি রীতিমত একটি সাধনার নাম। অনেককেই দেখা যায়, রোজা রাখা সত্বেও নামাজ পড়ে না, টেলিভিশন ও সিনেমা দেখে সময় কাটায়। রোজার তাৎপর্য তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। মনে রাখতে হবে রোজা আর উপবাস/অনশন এক নয়। রোজা রেখে যদি খোদাভীতি অর্জন করা না যায় তাহলে কোন লাভ নেই। কারণ খোদাভীতি অর্জন করাই রোজার মূল উদ্দেশ্য। মহানবী (সা.) বলেছেন: '‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা এবং মিথ্যা কাজ থেকে বিরত থাকতে পারল না, তার রোজা রেখে পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহ্র কোন প্রয়োজন নেই।’'
রোজা যদি শুধু না খেয়ে থাকার নাম হয় তবে মানুষ ছাড়াও বিশ্বের অনেক প্রাণী রোজা রাখে।রোজার সংজ্ঞায় ইসলামিক স্কলারবৃন্দ বলেছেন, সূর্যোদয়ের পূর্ব থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পাপাচার, কামাচার থেকে বিরত থাকার নামই রোজা।

 সেহরি থেকে শুরু করে ইফতার গ্রহন আবার ইফতার গ্রহন থেকে শুরু করে সেহরি গ্রহন পর্যন্ত প্রতিটি সৎ কাজেই মানুষ আল্লাহর পক্ষ থেকে নেয়ামত প্রাপ্ত হয় । দিনে পানাহার থেকে বিরত এবং রাতে আল্লাহর স্মরণে নামাজে দাঁড়ানোর মধ্যে অসংখ্য ফায়দা লুকায়িত । এ পবিত্র মাসে মহান স্রষ্টার পক্ষ থেকে তাঁর সকল রোজাদার বান্দার প্রতি করুণার ফল্গুধারা বর্ষিত হয়। রমজানের প্রত্যেকটি নেক আমলের সওয়াব স্বয়ং স্রষ্টা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহতায়ালা হাদীসে কুদসীতে ঘোষণা করেছেন-
 ‘রোজা আমার জন্য এবং এর প্রতিদান আমি নিজ হাতে দিব।’
রমজান মাসের মর্যাদার কোন সীমা পরিসীমা নেই। এ মাসে যেমন অতীতের গুনাহ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় তেমনি অগণন সওয়াবের অধিকারি হওয়া যায়। এ মাসের প্রত্যেকটি আমল তার পূর্বেকার আমলের চেয়ে ককেগুণ বেশি তাৎপর্য বহন করে। এ মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়, রহমতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং রমজান মাসে আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদেরকে অবারিত সুযোগ দান করেন।

আত্মসংযম হল রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনার মূল কথা। সমস্ত লোভ, লালসা হারাম থেকে বেঁচে থাকা রমজানের বড় শিক্ষা। এজন্য যথেষ্ট সবর ও ধৈর্য্য প্রয়োজন। প্রয়োজন পরস্পরের প্রতি সহনশীল হওয়া, সহমর্মিতা প্রকাশ করা।
রোজার মাসে যে সকল কাজের মাধ্যমে অধিক সওয়াব হাসিল করা যায় তার মধ্যে অন্য রোযাদারকে ইফতারি করানো অন্যতম । হাদীস শরীফে মানবতার মুক্তির দুত, সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ট রাসূল, নবী-রাসূলদের সর্দার হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ঘোষণা করেছেনঃ
"কোন রোযাদার ব্যক্তি যদি অন্য রোযাদার ব্যক্তিকে ইফতার করায় হোক সে একটি খুরমা দ্বারা কিংবা এক গ্লাস পানি দ্বারা তবে সে ব্যক্তি ঐ রোযাদার ব্যক্তির সমপরিমান সওয়াবের অধিকারী হবে ।"
 তবে যে ব্যাক্তিকে ইফতার করানো হবে তার সওয়াব থেকে সওয়াব কমানো হবে না । সুতরাং সকল রোযদার ব্যক্তি রোযার মাসে অন্য রোযাদারদের ইফতার করানোর মাধ্যমে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ঘোষিত সওয়াবের মালিক হতে চায়।

প্রতিটি মুসলমান রোজাদার নর-নারীর উচিত শরীয়তের বিধানাবলীকে পুঙ্খানূপুঙ্খরূপে পালন করা। আল্লাহ্‌ আমাদের রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করার তওফীক দিন। রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমে যেন আমরা ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তিলাভ করতে পারি। আল্লাহ আমাদেরকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখুন, যেন আমরা রমজান মাস জুড়ে তাঁর সকল আদেশ নিষেধ পালন করতে পারি।

Pages: 1 [2]