Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - shafeisnine

Pages: [1] 2
1
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার গবেষকেরা বলছেন, প্লুটোয় তারা হিমায়িত মিথেনের বালিয়াড়ির প্রমাণ পেয়েছেন। তাঁদের গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ ‘সায়েন্স’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁরা সেখানে বলেছেন, প্লুটো সম্পর্কে আগে যা ভাবা হতো তার তুলনায় এটি আরও বেশি গতিশীল।

আগে ধারণা করা হতো, পৃথিবীর মরুভূমির মতো বৈশিষ্ট্য তৈরির ক্ষেত্রে প্লুটোর আবহাওয়া অনেক বেশি পাতলা। কিন্তু নাসার মহাকাশযান নিউ হরাইজনসের তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে তাঁরা চমক দেওয়া তথ্য পেয়েছেন।

২০১৫ সালের জুলাই মাসে নাসার নিউ হরাইজনস মহাকাশযানটি প্লুটোর খুব কাছ দিয়ে উড়ে যায়।
গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা প্লুটোর স্পুটনিক প্ল্যান্টিয়া নামে পরিচিত একটি সমভূমির ছবি নিয়ে গবেষণা করেন। এ অঞ্চলটির কিছু অংশ বালিয়াড়ির মতো দেখতে। এ বালিয়াড়ি পাঁচ কিলোমিটার উচ্চতার বরফপানির পাহাড়ের পাশে অবস্থিত। বালির দানা বা ২০০ থেকে ৩০০ মাইক্রোমিটার আকারের মিথেন বরফে তৈরি এসব বালিয়াড়ি।

প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ম্যাট টেলফারের নেতৃত্বে একদল গবেষক প্লুটোর ভূতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা নিবন্ধটি লিখেছেন। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের পক্ষে একক কোনো বরফ দানা দেখা সম্ভব হয়নি তবে সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে তা বালিয়াড়ি বলে শনাক্ত করা যায়।

বালিয়াড়ির বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় প্লুটো এখন পৃথিবী, মঙ্গল, শুক্র, শনির চাঁদ টাইটান ও ধূমকেতু ৬৭ পির সঙ্গে যুক্ত হল। গবেষকেরা বলছেন, এ ধরনের আবিষ্কার অন্য সৌরজগতে বালিয়াড়ি আছে কিনা এমন আকর্ষণীয় প্রশ্ন সৃষ্টি করবে।
Source: "http://www.prothomalo.com/technology/article/1500546/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A7%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF"

2
লোথার ম্যাথাউসের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হয়েছিল সেই ১৯৮২ সালে। তখনো বার্লিন দেয়ালের পতন হয়নি। পূর্ব-পশ্চিমে বিভক্ত হয়ে ছিল জার্মানরা। মাত্র ২১ বছর বয়সে ম্যাথাউস প্রথম বিশ্বকাপ খেলেছিলেন পশ্চিম জার্মানির হয়ে। শেষ করেছিলেন ১৯৯৮ সালে অবিভক্ত জার্মানির হয়ে। পাঁচটি বিশ্বকাপে ম্যাথাউস খেলেছেন ২৫টি ম্যাচ। এটিই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড হিসেবে আজও টিকে আছে।

১৯৮২ সালের অভিষেক বিশ্বকাপেই শিরোপা জয়ের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন ম্যাথাউস। শেষ পর্যন্ত অবশ্য হতাশ হতে হয়েছিল ফাইনালে ইতালির কাছে হেরে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপেও একই হতাশা। সেবার ফাইনালে ম্যাথাউসের পশ্চিম জার্মানি হেরেছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনার কাছে। ম্যাথাউসের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয় ১৯৯০ সালে। সেবার আর্জেন্টিনাকে হারিয়েই প্রতিশোধ নিয়েছিলেন ম্যাথাউস। সেই আসরে পশ্চিম জার্মানির অধিনায়কও ছিলেন তিনি। ১৯৯৪ ও ১৯৯৮ সালের শেষ দুটি বিশ্বকাপে ম্যাথাউসের দলকে অবশ্য বিদায় নিতে হয় কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে।

মেক্সিকো বিশ্বকাপের পুরোনো দলগুলোর একটি। ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল তাঁরা। ১৯৭০ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠাই তাঁদের সেরা সাফল্য। আবার ১৫টি বিশ্বকাপ খেলে সর্বোচ্চসংখ্যক ম্যাচ হারের রেকর্ডও মেক্সিকোর। এ পর্যন্ত ২৫ ম্যাচ হেরেছে তাঁরা। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে সবচেয়ে বেশিবার বিদায় নেওয়া দলটাও মেক্সিকো।

আন্তনিও কারবাহল এই মেক্সিকোরই কিংবদন্তি গোলরক্ষক। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টরি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকসের (আইএফএফএইচএস) মতে, কনকাকাফ অঞ্চলে কারবাহল বিশ শতকের সেরা গোলরক্ষক। ১৯৫০ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত মোট পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলেছেন কারবাহল। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট খেলার রেকর্ডটা ৩২ বছর ধরে একার দখলে রেখেছিলেন তিনি। ’৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপে তাঁর এই রেকর্ড ভাগ বসান লোথার ম্যাথাউস। তবে কারবাহল এখনো একটি জায়গায় অনন্য—সেটা অবশ্য ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ রেকর্ড—বিশ্বকাপে যুগ্মভাবে সবচেয়ে বেশি গোল হজম করেছেন তিনি। পাঁচ বিশ্বকাপে খেলে হজম করেছেন ২৫ গোল।
কিন্তু কারবাহল একাই এ রেকর্ডটির মালিক নন। পরবর্তী সময়ে তাঁর এই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন মোহাম্মদ আলী দেয়াইয়ি। চারটি বিশ্বকাপ খেলে কারবাহলের সমান ২৫ গোল হজম করেছেন সৌদি আরবের সাবেক এই গোলরক্ষক।

বিশ্বকাপ তো কোচদেরও। ট্যাকটিস নিয়ে লড়াইয়ের সেরা রণক্ষেত্র। তা এই লড়াইয়ে যিনি সবচেয়ে বেশিবার শিষ্যদের নিয়ে মাঠে নেমেছেন, তিনি হেলমুট শন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৮—এই ১৪ বছরে তাঁর অধীনে চারটি বিশ্বকাপে খেলেছে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি। এর মধ্যে ’৭৪ বিশ্বকাপে দেখেছেন শিরোপার মুখ। এই চার বিশ্বকাপে মোট ২৫ ম্যাচে তাঁর অধীনে খেলেছে পশ্চিম জার্মানি। বিশ্বকাপে এটাই সর্বোচ্চসংখ্যক ম্যাচে কোচিংয়ের রেকর্ড।

১৯৫৪ বিশ্বকাপে অনেকে মনে রেখেছেন স্যান্ডর ককসিস, ন্যান্দর হিদেকুটি, ফেরেঙ্ক পুসকাসদের সেই হিরণ্ময় দলটার জন্য। বিশ্বকাপ না জেতা সেরা দলগুলোর একটি হিসেবে ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছে ’৫৪-র হাঙ্গেরি। সেবারের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক গোলও (২৭) তাদের। বিশ্বকাপের এক টুর্নামেন্টে এটাই সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়, বিশ্বকাপ জেতা দলগুলোর মধ্যে এক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোল কার? জবাব খুঁজতে ফিরে যেতে হবে সেই ’৫৪-তেই। ঠিকই ধরেছেন, চ্যাম্পিয়ন পশ্চিম জার্মানি সেবার ২৫ গোল করেছিল। বিশ্বকাপজয়ী দলগুলোর মধ্যে এক টুর্নামেন্টে এটাই সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড।
Source: http://www.prothomalo.com/sports/article/1492666/%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A7%81%E0%A6%93-%E0%A6%88%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BE

3
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড এখন মোহাম্মদ সালাহর। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে গোল্ডেন বুট জিতেছেন লিভারপুলের এই মিসরীয় ফরোয়ার্ড। এবার তাঁকে নিয়ে আগ্রহী ব্রিটিশ জাদুঘর। সালাহকে সম্মান দেখাতে তাঁর এক জোড়া বুট প্রদর্শন করবে তাঁরা। মিসরীয় ফারাও রাজাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতত্ত্বের সঙ্গে প্রদর্শন করা হবে সালাহর বুট।

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ-লিভারপুল মুখোমুখি হওয়ার আগে এই প্রদর্শনী হবে। জাদুঘরের অন্যতম কর্মকর্তা নিয়েল স্পেন্সার বলেন, ‘বুট জোড়া একজন আধুনিক মিসরীয় আইকনের কথা বলে যে ইংল্যান্ডে পারফর্ম করছে। ২০ থেকে ২১ শতকে মিসরীয়দের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার গল্প বলার প্রকল্প সফল করতেই এই উদ্যোগ।’

জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই সালাহ নিজের এক জোড়া বুট দিয়েছেন। অ্যাডিডাসের এই বুটটি এক্স-১৭ মডেলের। প্রদর্শনীটি শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। মিসরের ফারাও রাজাদের নানা মূল্যবান এবং ঐতিহাসিক প্রত্নতত্ত্বের পাশেই রাখা হয়েছে সালাহর সেই বুট জোড়া।

4
২৬ সংখ্যাটা কেন যেন খুব পছন্দ করেছে ফুটবলকে। উল্টোও বলা যায়, ফুটবল কেন যেন ২৬ সংখ্যাটা নিয়ে বেশ উঠেপড়ে লেগেছে ইদানীং। বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাই ঘটছে ২৬-কে সঙ্গী করে।

বিশ্বকাপ খেলার দৌড়ে বিজয়ী হয় ৩১টি দল, আর তাদের আতিথ্য দিয়ে বাকি স্থানটা পূরণ করে স্বাগতিক দল। ৩২ দলের এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ সবারই খুব পছন্দ। বিশ্বকাপের দল নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। ১৩ দল নিয়ে শুরু হওয়া বিশ্বকাপ ১৯৯৮ সালে এসে ৩২ দলের রূপ পেয়েছে। এ ফরম্যাটকেই বিশ্বকাপের জন্য সব দিক থেকে সেরা মেনে নিয়েছেন অনেকে। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকেই এ ফরম্যাটকে বিদায় বলে দিতে হবে। কারণ, এখনো স্বাগতিক দল ঠিক না হলেও এটা নির্ধারিত হয়ে গেছে, ২০২৬ বিশ্বকাপের স্বাদ পাবে ৪৮ দল।
সিলভিও গাৎজানিগার অপূর্ব এক সৃষ্টি বিশ্বকাপের ট্রফি। ৩৮ সেন্টিমিটার উচ্চতার ৬ কেজির একটু বেশি ওজনের এ ট্রফিটা হয়তো ২০৩৮ সালেই শেষবারের মতো মাথার ওপর তুলে উদ্‌যাপন করা হবে। কারণ, ১৯৭৪ সাল থেকে প্রত্যেক বিজয়ীর নাম লেখা হয় এ ট্রফিতে। ২৬তম বিশ্বকাপের পর বিজয়ীর নাম লেখার জন্য কোনো স্থান বাকি থাকবে না এ ট্রফিতে।
১৯৭৮ বিশ্বকাপ থেকে পেনাল্টি শুটআউট বা টাইব্রেকিংয়ের পদ্ধতি চালু হয়েছে। ৯০ মিনিটের খেলা অতিরিক্ত সময়েও শেষ না করা গেলে এ ভাগ্য পরীক্ষায় নামে দলগুলো। এখন পর্যন্ত ১০ বিশ্বকাপে মোট ২৬ বার পেনাল্টি শুটআউটে ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে।
২০০৬ বিশ্বকাপটা অনেক কারণেই মানুষ মনে রাখবে। জিনেদিন জিদানের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন কিংবা কান্নাভেজা বিদায় কিংবা ইতালির সবাইকে চমকে দিয়ে বিশ্বকাপ জয়, কেই-বা ভুলতে পারে। এ বিশ্বকাপ দেখার আগ্রহও ছিল তুঙ্গে। ধারণা করা হয়, সারা বিশ্বে ২৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৬০০ কোটি) দর্শক এ বিশ্বকাপ দেখেছে। চিন্তা করা যায়, ২৬ বিলিয়ন!
এত এত দর্শক দেখার উল্টো গল্পেও ২৬ মিশে আছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সবচেয়ে কম দর্শক হয়েছিল ২০০৫ সালে। কোস্টারিকার মাঠে পানামা খেলতে গিয়েছিল বাছাইপর্বের ম্যাচে। এস্তাদিও রিকার্দো সাপ্রিসাতে সেদিন দর্শক ছিল শূন্য! তারিখ কত জানেন? ২৬ মার্চ!
@Source: http://www.prothomalo.com/sports/article/1491961/%E0%A6%8F-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE

5
Chinese scientists have come up with a new membrane material which can efficiently separate salt from water and has other water purification functions.

A research program led by professor Zhang Lin with the Zhejiang University developed the membrane formed by nanoscale bubbles and tubes. The material allows water to permeate three to four times faster than traditional membrane for water purification.
ang likened the function of the membranes to the interior of the mammalian intestine as it absorbs water and nutrition.

Zhang expects the membranes to have a variety of applications in home water purification, industrial waste water treatment and desalination.

The research is ready for commercialization.

The study was published in Science magazine on Friday.
Source: https://www.thedailystar.net/science/innovation/chinese-scientists-develop-new-material-salt-water-purification-industrial-waste-zhejiang-university-china-1572754

6
গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে ডেভেলপারদের নিয়ে গুগলের আইও এবং মাইক্রোসফটের বিল্ড ডেভেলপার সম্মেলন। দুটি সম্মেলনেই প্রযুক্তিপ্রেমীদের চোখ থাকে, কারণ নতুন সুবিধার ঘোষণা আসে এখান থেকেই। আর গুঞ্জনও শুরু হয় অনেক দিন আগে থেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গুগল আইও-র আসর বসেছিল ৮ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত। আর ৭ মে থেকে ৯ মে পর্যন্ত দেশটির সিয়াটলে অনুষ্ঠিত হয় মাইক্রোসফটের ডেভেলপার সম্মেলন বিল্ড ২০১৮। দুটি সম্মেলনে দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের ঘোষণায় এক জায়গায় মিল ছিল। তাঁরা দুজনেই জোর দিয়েছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর। আর এই প্রযুক্তির সঙ্গে দুটি সম্মেলনে নতুন যেসব ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তা-ই থাকছে এখানে।

গুগল আইও
গুগল ডুপ্লেক্স
ব্যবহারকারীর হয়ে যেকোনো সেবার জন্য নিজেই সাক্ষাৎকারের সময় নির্ধারণ (অ্যাপয়েন্টমেন্ট) করতে পারবে গুগলের ডিজিটাল সহকারী গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট। ডুপ্লেক্স নামের সুবিধায় নির্ধারিত সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কল করে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট। আর কথা বলার ধরনও হুবহু মানুষের মতো।

জিমেইলে স্মার্ট কম্পোজ
মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কোন শব্দের পর কোন শব্দ ব্যবহার করা হতে পারে, তা দেখাবে জিমেইল। এভাবে পুরো বাক্য তৈরির পরামর্শও দেবে।

উন্নত হবে গুগল নিউজ
মানসম্মত সংবাদ যেন গুরুত্ব পায়, সে জন্য গুগলের নিউজ অ্যাপ উন্নত হচ্ছে। শীর্ষ পাঁচ খবরের সংক্ষিপ্ত আকারে দেখাবে। আর গুরুত্ব পাবে স্থানীয় সংবাদ।

আসছে নতুন অ্যান্ড্রয়েড
স্মার্টফোনের নতুন অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ‘পি’ দেখানো হয়েছে। ব্যাটারি বাঁচাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের পাশাপাশি সহজ নেভিগেশন পদ্ধতি, ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ মোডের মতো সুবিধা যুক্ত হচ্ছে এতে।

বাড়বে কম্পিউটার ভিশনের ব্যবহার
গুগল ম্যাপসে অগমেন্টেড রিয়েলিটির (এআর) অভিজ্ঞতা দিতে নতুন কম্পিউটার ভিশন প্রযুক্তি আনছে গুগল। আর নতুন যন্ত্র হিসেবে যুক্ত হচ্ছে গুগল লেন্স।

মাইক্রোসফট বিল্ড
উইন্ডোজের সঙ্গে ফোন সিনক্রোনাইজ
‘ইয়োর ফোন’ নামে একটি অ্যাপ দেখিয়েছে মাইক্রোসফট। এতে আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড-চালিত স্মার্টফোন সহজে উইন্ডোজের সঙ্গে সিনক্রোনাইজ করতে পারবে। অ্যাপ ব্যবহার করে বার্তা পাঠানো, ছবি দেখা ও কম্পিউটার থেকে স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন দেখা যাবে।

একসঙ্গে কাজ করবে অ্যালেক্সা ও করটানা
নিকট ভবিষ্যতে আমাজনের স্মার্ট স্পিকার ‘ইকো’ ব্যবহার করে মাইক্রোসফটের ডিজিটাল সহকারী ‘করটানা’র সঙ্গে কিংবা উইন্ডোজ-চালিত কম্পিউটার থেকে আমাজনের ডিজিটাল সহকারী ‘অ্যালেক্সা’র সঙ্গে কথোপকথন বা নির্দেশ দেওয়া যাবে। সম্মেলনে এগুলোর নমুনাও দেখানো হয়েছে।

আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েডের টাইমলাইন
উইন্ডোজ টেনের হালনাগাদে টাইমলাইন-সুবিধা এনেছে মাইক্রোসফট। টাইমলাইনে ব্যবহারকারী যে সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করেছেন, সময়ের ক্রম অনুযায়ী তা দেখাবে। অ্যাপ ব্যবহারের ইতিহাস দেখে আগের কাজে ফেরা যাবে। সুবিধাটি এবার অ্যাপের মাধ্যমে আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েডের জন্যও আনছে মাইক্রোসফট।

ডেভেলপারদের জন্য সুখবর
উইন্ডোজ স্টোরে অ্যাপ বিক্রির জন্য ডেভেলপাররা আরও বেশি অর্থ পাবেন। অন্যান্য অ্যাপ স্টোরে যেখানে ৩০ শতাংশ টাকা কেটে রাখা হয়, মাইক্রোসফট সেখানে ৫ শতাংশ চার্জ কাটবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও নির্বাচিত ডেভেলপারদের জন্য এই নিয়ম, তবে অন্যান্য অ্যাপ স্টোরের চেয়ে উইন্ডোজ স্টোরে অ্যাপ বিক্রির চার্জ কম করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

শক্তিশালী ট্যাব
উইন্ডোজের পরবর্তী সংস্করণে বড় পরিবর্তন আসবে বলে জানানো হয়েছে। এক উইন্ডোতে একটি অ্যাপ দেখানোর বদলে একাধিক উইন্ডো করা যাবে। আবার সেখানে বিভিন্ন অ্যাপের ট্যাব রাখা যাবে। এতে কাজের ব্যবস্থাপনা আরও সহজ হবে।

Source: http://www.prothomalo.com/technology/article/1487886/%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%AD%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8E

7
দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট গত শুক্রবার দিবাগত রাতে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। এ স্যাটেলাইটের সবকিছু জানাতে তৈরি হয়েছে একটি মোবাইল ফোনের অ্যাপ্লিকেশন। এটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। বেসিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ওই অ্যাপের নাম ‘বেসিস বিবি-স্যাট-১’। আজ সোমবার রাজধানী আগারগাঁওয়ে কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) সভাকক্ষে অ্যাপের উদ্বোধন করবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

বেসিস সূত্রে জানা গেছে, অ্যাপটির সাহায্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর বিভিন্ন বিষয়, এর অবস্থান, কর্মক্ষমতা, উপকারিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার দিবাগত রাতে আমেরিকার ফ্লোরিডা স্পেস স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশনে ওই স্যাটেলাইট থেকে আসা টেলিমেট্রি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই স্টেশন থেকে ওই স্যাটেলাইটে টেলিকমান্ড পাঠানো যাচ্ছে না। এটি পাঠাতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১২ দিন। এই কয়েক দিনের মধ্যে মহাকাশের ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার ওপরে ওঠার পর টেলিমেট্রি ও টেলিকমান্ড সমান্তরালে চালানো যাবে। এই কয়েক দিন স্যাটেলাইটটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির কাছেই এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে। পরে গাজীপুর ও বেতবুনিয়ার প্রকৌশলীদের কাছে এর নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
Source: http://www.prothomalo.com/technology/article/1488561/%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%9F-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%A4%E0%A7%88%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B8

8
Football / বিশ্বকাপ শুরুর গল্প
« on: May 15, 2018, 01:46:08 PM »
প্রতি চার বছর পর পুরো বিশ্বই মেতে ওঠে এক মহাযজ্ঞে। পুরো বিশ্বের আনাচকানাচে ছড়িয়ে পড়ে ফুটবল বিশ্বকাপের উন্মাদনা। এই সবকিছুর শুরুটা হয়েছিল ১৯৩০ সালে। উরুগুয়েতে বসেছিল প্রথম বিশ্বকাপের আসর।

১৯৩০ সালের আগে অলিম্পিকই ছিল ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা। কিন্তু ১৯৩২ সালের অলিম্পিকে ফুটবল আর থাকবে না বলে ঘোষণা আসে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির পক্ষ থেকে। এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েই ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল ফিফা।

১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল উরুগুয়েকে। কারণ, তারাই ছিল সে সময়ের ফুটবল-বিশ্বের সবচেয়ে সফল দল। ১৯২৪ ও ১৯২৮ সালের দুটি অলিম্পিকেই সোনা জিতেছিল উরুগুয়ে। তবে ফিফার এ সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেনি ইউরোপের দেশগুলো। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে লাতিন আমেরিকায় গিয়ে বিশ্বকাপে অংশ নিতে রাজি হয়নি ইংল্যান্ড, ইতালি, জার্মানি ও স্পেনের মতো দেশগুলো। জাহাজে করে আটলান্টিক সাগর পাড়ি দিয়ে কেউ খেলতে যেতে রাজি হচ্ছিল না।

ফিফার তখনকার সভাপতি জুলে রিমে অনেক কষ্টে রাজি করিয়েছিলেন বেলজিয়াম, ফ্রান্স, রোমানিয়া ও যুগোস্লাভিয়াকে। কেবল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে অংশ নিয়েছিল সাতটি দেশ, আর কোনো বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এতগুলো দল কখনো খেলেনি। এ ছাড়া উত্তর আমেরিকা থেকে ছিল মেক্সিকো আর যুক্তরাষ্ট্র।

১৩টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করে শুরু হয়েছিল প্রথম পর্বের লড়াই। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন চারটি দল খেলেছিল সেমিফাইনালে। ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল উরুগুয়ে।
বিশ্বকাপের প্রথম গোলটি করেছিলেন ফ্রান্সের লুসিয়েন লরেন্ত। নিজের প্রথম গোলটি সম্পর্কে পরে তিনি বলেছিলেন, ‘মেক্সিকোর সঙ্গে ম্যাচ ছিল আমাদের। দক্ষিণ গোলার্ধে তখন শীত চলছিল বলে তুষার পড়ছিল। আমার এক সতীর্থ সেন্টার করল। আমি সতর্কতার সঙ্গে বলটার পথ অনুসরণ করলাম। ডান পায়ে ভলি করলাম। গোলটা হয়ে সবাই বেশ খুশি হয়েছিল, তবে আমরা তেমন একটা উদ্‌যাপন করিনি। কেউ বুঝতে পারেনি, ইতিহাস গড়া হয়ে গেল। দ্রুত কিছু করমর্দন করে আবার খেলায় নেমে পড়লাম সবাই। কোনো বোনাসও ছিল না। আমরা আসলে সবাই তখন অপেশাদার ফুটবলার ছিলাম, ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত।’

তখনকার বিশ্বকাপ কেমন ছিল, তা বোঝা যাবে এই তথ্যেও। ফাইনালে কোন দলের বল নিয়ে খেলা হবে, এ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিল বিবাদ। আর্জেন্টিনা আর উরুগুয়ে প্রতিবেশী দুই দেশ। ফুটবলে তাদের সম্পর্ক তখন থেকেই সাপে-নেউলে। আর্জেন্টিনা রাজি নয় উরুগুয়ের দেওয়া বল দিয়ে খেলার জন্য। পরে আপস হলো। দুই অর্ধে খেলা হবে দুই দলের বল দিয়ে।
প্রথম অর্ধে খেলা হয়েছিল আর্জেন্টিনার বল দিয়ে। প্রথমার্ধ শেষে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে এগিয়েও ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তিনটা গোল হজম করে বসে তারা।

একনজরে প্রথম বিশ্বকাপ
স্বাগতিক : উরুগুয়ে
তারিখ : ১৩-৩০ জুলাই (১৮ দিন)
দল : ১৩টি
ভেন্যু : এক শহরের তিনটি মাঠে
মোট ম্যাচ : ১৮টি
গোল : ৭০ (প্রতি ম্যাচে গড়ে ৩.৮৯)
সর্বোচ্চ গোলদাতা : গিলের্মো স্তাবিল (আর্জেন্টিনা, ৮টি)
চ্যাম্পিয়ন : উরুগুয়ে
Source: http://www.prothomalo.com/sports/article/1489086/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A8

9
মানুষ এখন অ্যাপ ব্যবহার করে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বেশি। ইতিমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের মতো ইনস্ট্যান্ট মেসেজিংয়ের অ্যাপগুলো অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। চ্যাটিং অ্যাপের ক্ষেত্রে আরেকটি নাম যুক্ত হতে যাচ্ছে। ইয়াহু সম্প্রতি গ্রুপ চ্যাটিং অ্যাপ্লিকেশন ‘স্কুইরেল’ উন্মুক্ত করেছে।

বর্তমানে অ্যাপটি পরীক্ষামূলকভাবে উন্মুক্ত করেছে ইয়াহু। গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপ স্টোরে শুধু আমন্ত্রিতরাই অ্যাপটি পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।

অ্যাপটিতে মূলত গ্রুপ চ্যাটকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গ্রুপ চ্যাট ব্যবস্থাপনার নানা ফিচার আছে এতে।

গুগল প্লেতে যুক্ত করা বর্ণনা অনুযায়ী, স্কুইরেল অ্যাপটি ‘ডিসকর্ড’ ও ‘স্ল্যাক’ অ্যাপের সঙ্গে প্রতিযোগিতার জন্যই তৈরি করেছে ইয়াহু। এর বিশেষত্ব হচ্ছে প্রচলিত হোয়াটসঅ্যাপ বা উইচ্যাটের ফিচারগুলোর জায়গায় নির্দিষ্ট বিষয় ও মানুষ নিয়ে চ্যাট ‘রুম’ তৈরি করা যাবে। একটি মূল ‘রুম’ ফিচার থাকবে, যেখানে পুরো গ্রুপকে একসঙ্গে করার ও কোনো ঘোষণা দেওয়া যাবে। এ ছাড়া নোটিফিকেশন বন্ধ করার জন্য মিউট সুইচ থাকবে।

ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কোম্পানির ব্যবহারের জন্য এ অ্যাপ তৈরি করেছে ইয়াহু। এতে ব্যক্তিগত গোপন চ্যাটের জন্য ‘সিক্রেট রুম’ থাকবে।

এতে প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ থাকবে। অন্যান্য অ্যাপের মতো ছবি, ডকুমেন্ট, লিংক শেয়ার করা যাবে এতে।

ইয়াহু বর্তমানে ভেরিজনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ওথের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। গত বছরে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলারে ইয়াহুকে কিনে নেয় ভেরিজন। ইয়াহু বিক্রি হওয়ার পর এটাই তাদের সাম্প্রতিক পণ্য।

ওথের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়, অ্যাপটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।

ওথের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘ওথ থেকে আমাদের সদস্যদের জন্য সব সময় সৃজনশীল উপায়ে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রতিনিয়ত নতুন সেবা পরীক্ষা করছি। দৈনন্দিন কাজের উপযোগী গ্রুপ চ্যাট অ্যাপ নিয়ে কাজ হচ্ছে।’
Source:
 http://www.prothomalo.com/technology/article/1485816/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%AA-%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%81

10
লিগ শিরোপা আগেই নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। কাল ব্রাইটনকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দুটি রেকর্ডও গড়েছেন পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। সত্যিই এবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ সিটির জন্য যেন ‘সোনায় সোহাগা।’

ব্রাইটনের বিপক্ষে এবার লিগে ৩১তম জয়ের মুখ দেখল সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এক মৌসুমে এটাই সর্বোচ্চসংখ্যক ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। তবে এই টুর্নামেন্টের পুরোনো সংস্করণ (প্রথম বিভাগ) বিবেচনায় নিলে সিটি ভাগ বসিয়েছে টটেনহামের ৫৮ বছর আগের এক রেকর্ডে। ১৯৬০-৬১ মৌসুমে টটেনহামও জিতেছিল ৩১ ম্যাচ।

গোল করায় এবার রেকর্ড গড়েছেন গার্দিওলার শিষ্যরা। ব্রাইটনের জালে গোল করেছেন দানিলো, বের্নাদো সিলভা ও ফার্নান্দিনহো। এই তিন গোল নিয়ে এবার লিগ সিটির মোট গোলসংখ্যা ১০৫। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এক মৌসুমে এটাই কোনো দলের সর্বোচ্চ গোল। এ পথে তাঁরা টপকে গেল ২০০৯-১০ মৌসুমে চেলসির ১০৩ গোলের কীর্তিকে।

কিন্তু সিটির এখানেই শেষ নয়। তাঁদের সামনে রয়েছে আরও একটি মাইলফলক। ৩৭ ম্যাচে দলটির সংগ্রহ দাঁড়াল ৯৭ পয়েন্ট। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে এটাই সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনের নজির। তবে টুর্নামেন্টটির পূর্বের সংস্করণ বিবেচনায় নিলে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে লিভারপুলের ৯৮ পয়েন্ট থেকে তাঁরা পিছিয়ে। কিন্তু তারপরও অনন্য এক রেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে সিটির।

আর এক ম্যাচ জিতলেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম দল হিসেবে ১০০ পয়েন্ট অর্জনের রেকর্ড গড়বে সিটি। রোববার নিজেদের শেষ ম্যাচে সাউদাম্পটনকে হারাতে পারলেই এই মাইলফলক গড়বে গার্দিওলার দল। কিন্তু সেই ম্যাচে ইয়া ইয়া তোরেকে দেখা যাবে না। ইংলিশ ক্লাবটির জার্সিতে কাল নিজের শেষ ম্যাচটা খেলে ফেলেছেন মৌসুম শেষে ইতিহাদ ছাড়া ঘোষণা দেওয়া এই মিডফিল্ডার।
Source: http://www.prothomalo.com/sports/article/1485976/%E0%A6%9C%E0%A7%9F-%E0%A6%93-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1-%E0%A6%97%E0%A7%9C%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1

11
১১ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেছে লিভারপুল। তাঁদের প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ এ নিয়ে ফাইনালে উঠল টানা তিনবার। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে টানা তিন শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে মাদ্রিদের ক্লাবটি। রিয়ালের এই স্বপ্নভঙ্গ করতে ফাইনালে কাকে বোতলবন্দী রাখতে হবে লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ তা ভালো জানেন। তিনি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর জুড়ি মেলা ভার। টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা (১২০)। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আছে তিন ফাইনালে গোলের রেকর্ড। অর্থাৎ ২৬ মে কিয়েভের ফাইনালে রোনালদোকে নিয়ে লিভারপুলের শঙ্কাটা সবচেয়ে বেশি থাকার কথা। সে জন্য অলরেড কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ নিশ্চয়ই এখন ‘হোমওয়ার্ক’ করছেন। রোনালদোকে বোতলবন্দী রাখতে না পারলে যে ১৩ বছর পর লিভারপুলের ইউরোপসেরা হওয়ার স্বপ্ন মাটি হতে পারে!
ফাইনালে রোনালদোকে আটকানোর কৌশল বের করার ক্ষেত্রে ক্লপ কিন্তু অতীত থেকে সাহায্য নিতে পারেন। আসুন, জেনে নিই রোনালদোকে সফলতার সঙ্গে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে পেরেছেন যে পাঁচ কোচ—

বার্সার কোচ থাকতে রোনালদোকে ভালোই ভুগিয়েছেন গার্দিওলা। ছবি: এএফপিবার্সার কোচ থাকতে রোনালদোকে ভালোই ভুগিয়েছেন গার্দিওলা। ছবি: এএফপিপেপ গার্দিওলা
বার্সেলোনার কোচ হিসেবে লা লিগায় ছয়বার রোনালদোর মুখোমুখি হয়েছেন গার্দিওলা। লা লিগায় তাঁর মতো আর কোনো কোচই রোনালদোর বিপক্ষে এত সফল নন। লিগে ছয়বার গার্দিওলার মুখোমুখি হয়ে চারবারই হেরেছেন রোনালদো। জিতেছেন মাত্র একবার আর গোল করেছেন মাত্র দুটি।
গার্দিওলার বার্সার বিপক্ষে প্রথম ‘ক্লাসিকো’য় রোনালদোর সামনে ‘দেয়াল’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেজ। দ্বিতীয় ম্যাচে মাঝমাঠে বার্সার জাভি হার্নান্দেজের দাপটে রিয়ালের মিডফিল্ডাররা রোনালদোকে সেভাবে বলের জোগানই দিতে পারেনি। তৃতীয় ম্যাচটা ৫-০ গোলে জিতেছিল বার্সা। এই ম্যাচে সারাক্ষণ রোনালদোকে চোখে চোখে রেখেছিলেন বার্সার এরিক আবিদাল। গার্দিওলা আবিদালকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেকোনো মূল্যে রোনালদোকে রোখার।

২০০৪ ইউরোয় রোনালদোকে দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছিলেন রেহাগেল। ছবি: রয়টার্স২০০৪ ইউরোয় রোনালদোকে দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছিলেন রেহাগেল। ছবি: রয়টার্সঅটো রেহেগেল
গ্রিক সম্রাট অটোর নামের সঙ্গে মিলিয়ে গ্রিকরা তাঁকে ভালোবেসে ‘কিং অটো’ নামে ডাকে। তা তিনি গ্রিক সম্রাট হওয়ার যোগ্য তিনি বটে। গ্রিসকে তিনি যে রূপকথার এক শিরোপা এনে দিয়েছিলেন, ২০০৪ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে। পর্তুগালের ঘরের মাঠে সেই ইউরোতে রোনালদোকে দুবার সফলতার সঙ্গে আটকে রাখতে পেরেছিলেন রেহাগেল।
পর্তুগালের দুই বড় তারকা লুই ফিগো ও রুই কস্তা সেবার তেমনভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। কিন্তু রোনালদো উঠতি খেলোয়াড় থেকে হয়ে উঠেছিলেন পর্তুগিজ আক্রমণভাগের মূল অস্ত্র। গ্রুপপর্বে গ্রিসের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছিলেন রোনালদো। দারুণ রক্ষণকৌশলে নির্ধারিত সময়ে তাঁকে নিষ্ক্রিয় রেখেছিলেন রেহেগেল। যোগ করা সময়ে রোনালদো গোল পেলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। গ্রিসের কাছে পর্তুগাল হারে ২-১ গোলে।
এরপর ফাইনালে রোনালদোকে আর গোল পেতে দেননি রেহেগেল। রক্ষণভাগ দিয়ে তাঁকে বোতলবন্দী রেখে ১-০ গোলের ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছিলেন এ জার্মান কোচ।

স্পেনের কোচ হিসেবে রোনালদোর বিপক্ষে সফল দেল বস্ক। ছবি: এএফপিস্পেনের কোচ হিসেবে রোনালদোর বিপক্ষে সফল দেল বস্ক। ছবি: এএফপিভিসেন্তে দেল বস্ক
২০১০ বিশ্বকাপ ও ২০১২ ইউরোয় ভিসেন্তে দেল বস্কের স্পেনের সামনে অসহায় ছিলেন রোনালদো। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল স্পেন। এ ম্যাচে দু-একটি সুযোগ পেলেও স্পেনের জমাট রক্ষণভাগের জন্য তা কাজে লাগাতে পারেননি রোনালদো। ২০১২ ইউরো সেমিতেও তিনি স্প্যানিশ রক্ষণ ভাঙতে পারেননি। গোলশূন্য ড্র ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে জয় তুলে নিয়েছিল স্পেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে রোনালদোর বিপক্ষে পুয়োল-পিকে-রামোস রক্ষণজুটি দারুণভাবে ব্যবহার করেন ভিসেন্তে দেল বস্ক। দুই বছর পর ইউরোয় স্প্যানিশ রক্ষণভাগে যোগ দেন ফুল ব্যাক আলভারো আরবেলোয়া। আরও শক্তিশালী হয় স্প্যানিশ রক্ষণভাগ। দেল বস্কের এই জমাট রক্ষণ ভাঙা সম্ভব হয়নি রোনালদোর পক্ষে।

কার্লো আনচেলত্তিকার্লো আনচেলত্তিকার্লো আনচেলত্তি
চ্যাম্পিয়নস লিগে ২০০৬-০৭ মৌসুমের সেমিফাইনাল। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এসি মিলানের বিপক্ষে প্রথম লেগ ৩-২ গোলে জিতল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। জোড়া গোল করলেন ওয়াইন রুনি। ইউনাইটেডের অন্য গোলটি রোনালদোর। এই দুজন সেই মৌসুমে ডিফেন্ডারদের সামনে রীতিমতো ত্রাসের সঞ্চার করেছেন। দুজন মিলে ৪৬ গোল করে ইউনাইটেডকে জিতিয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ।
আনচেলত্তি তখন মিলানের কোচ। প্রথম লেগ থেকে নেওয়া শিক্ষাটা তিনি কাজে লাগালেন ফিরতি লেগে। রোনালদোকে নিষ্ক্রিয় রাখতে তাঁর পেছনে লাগিয়ে দিলেন শিষ্য জেনারো গাত্তুসোকে। আনচেলত্তি এই কৌশলের ফল পেয়েছিলেন হাতেনাতে। গোটা ম্যাচে রোনালদো একটি শট নিতে পেরেছিলেন কি না সন্দেহ! গাত্তুসোর পেছনে ছিলেন আলেসান্দ্রো নেস্তা ও মাসিমো ওডোর মতো পরীক্ষিত ডিফেন্ডার। ইউনাইটেডকে এই ম্যাচে গোলবঞ্চিত রেখে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ ব্যবধানের জয়ে মিলানই উঠেছিল ফাইনালে।

গত ইউরোয় রোনালদোকে ভুগিয়েছেন হলগ্রিমসনগত ইউরোয় রোনালদোকে ভুগিয়েছেন হলগ্রিমসনহেইমির হলগ্রিমসন
গত ইউরোর আইসল্যান্ডকে মনে আছে? প্রথম ম্যাচে পর্তুগালকে ১-১ গোলে আটকে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন আইসল্যান্ডের এ কোচ। রোনালদোকে আটকাতে হলগ্রিমসন এ ম্যাচে রেহাগেলের পথ অনুসরণ করেন। পাঁচজনের বেশ জমাট রক্ষণভাগ সাজান তিনি। এ ছাড়া রোনালদোর জন্য আলাদা করে একজন মার্কারও নিযুক্ত করেছিলেন। রিয়াল তারকা এতে গোল করা দূরে থাক, তেমন সুযোগও সৃষ্টি করতে পারেননি। ম্যাচ শেষে আইসল্যান্ডের প্রতি ‘নেতিবাচক ফুটবল’ খেলার অভিযোগ তুলেছিলেন রোনালদো।
Source: http://www.prothomalo.com/sports/article/1484931/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9A

12
লিভারপুল এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। দলটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলেও তিনে। ইংলিশ ক্লাবটির এই দারুণ পারফরম্যান্সে মোহাম্মদ সালাহর অবদান যে–কারও চেয়ে বেশি। দলটির হয়ে এবার অভিষেক মৌসুমেই চল্লিশের বেশি গোল করেছেন। কিন্তু লিভারপুলের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময়েই কি সালাহ ফিকে হতে শুরু করলেন?

গোল করায় মৌসুমজুড়েই মেসি-রোনালদোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সালাহ। কিন্তু এখন মৌসুমের শেষ অঙ্কে এসে সালাহ যেন হঠাৎ করেই ফর্ম হারিয়ে ফেলেছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে তিনি সর্বশেষ গোল করেছিলেন। কিন্তু মিসরীয় ফরোয়ার্ড এরপর টানা তিন ম্যাচে গোলের মুখ দেখেননি। তা, কয়েক ম্যাচে গোল না পেতেই পারেন। কিন্তু লিভারপুলের জন্য দুশ্চিন্তার ব্যাপার হলো, এই তিন ম্যাচে সালাহ তাঁর নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।

রোমার বিপক্ষে প্রথম লেগের সেই ম্যাচের পর লিগে স্টোক সিটির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে লিভারপুল। এই ম্যাচে সালাহ মৌসুমের অন্যতম বাজে মিস করেন। গোলপোস্টের সামনে স্টোক গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে রাখতে পারেননি। অথচ এই একই ফরোয়ার্ড কিনা মৌসুমজুড়ে গোলের পাল্লা দিয়েছেন মেসি-রোনালদোর সঙ্গে!

চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগেও গোল পাননি সালাহ। খুব যে ভালো খেলেছেন, সেটাও নয়। সাদিও মানে আর রবার্তো ফিরমিনো মিলে লিভারপুলকে তুলেছেন ফাইনালে। এরপর রোববার চেলসির বিপক্ষে লিভারপুলের ১-০ গোলের হারেও ঠিক পুরোনো ছন্দে দেখা যায়নি ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে। বরং এই ম্যাচে রেফারিকে বোকা বানাতে গিয়ে সমালোচনা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছেন।

চেলসি ডিফেন্ডার গ্যারি কাহিলের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে পরিষ্কার ‘ডাইভ’ দেন সালাহ। রেফারির চোখ এড়ায়নি। পরিণামে মৌসুমের প্রথম কার্ড দেখতে হয়েছে সালাহকে। আর সংবাদমাধ্যমের মতে, সালাহর ‘ডাইভ’টি এই মৌসুমের অন্যতম বাজে। এই তিন ম্যাচে সালাহর ফর্ম হারিয়ে ফেলার ইঙ্গিতটা কিন্তু লিভারপুলের জন্য সত্যি দুশ্চিন্তার।

প্রথমত, সামনেই চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল। ২৬ মে কিয়েভে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে লিভারপুল। ১৩ বছর পর লিভারপুলের চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্নপূরণের এই ম্যাচে সালাহই তো ভরসা। কিন্তু তার আগে সালাহ যে ফর্ম দেখাচ্ছেন, সেটা তো অ্যানফিল্ডের ক্লাবটির জন্য অশনিসংকেত।
দ্বিতীয়ত, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে শীর্ষ চারের সমীকরণ। স্টোক সিটির বিপক্ষে সেই ম্যাচে সালাহ নিশ্চিত গোলটা মিস না করলে লিভারপুলকে এই সমীকরণের জালে পড়তে হতো না। এমনও হতে পারে, এখন টেবিলের তিনে থাকলেও মৌসুম শেষে লিভারপুলকে দেখা যেতে পারে শীর্ষ চারের বাইরে!

৯৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ আগেই নিশ্চিত করা ম্যানচেস্টার সিটি কারও ধরাছোঁয়ার মধ্যে নেই। ৩৬ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর ৩৭ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় লিভারপুল। তাঁদের চেয়ে ১ ম্যাচ কম খেলা টটেনহাম ৭১ পয়েন্ট নিয়ে চারে। পঞ্চম চেলসির সংগ্রহ ৩৬ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট। অর্থাৎ লিভারপুল তাঁদের শেষ ম্যাচে ব্রাইটনকে হারাতে না পারলে শীর্ষ চারের বাইরে ছিটকে পড়তে পারে। কারণ, তখন টটেনহাম ও চেলসি তাঁদের শেষ দুই ম্যাচ জিতলে লিভারপুলকে টপকে যথাক্রমে তিনে ও চারে উঠে যাবে।

ব্রাইটনের বিপক্ষে তাই সালাহকে জ্বলে উঠতেই হবে। নইলে এমনও হতে পারে, চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে না পারলে লিভারপুলকে আগামী মৌসুমে দেখা যাবে না এই টুর্নামেন্টে!
Source: http://www.prothomalo.com/sports/article/1485121/%E0%A6%B9%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A7%8E-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AB%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B9

13
টি-টোয়েন্টি এমন এক ফরম্যাট, যেখানে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে। সব শেষ প্রকাশিত আইসিসির টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিং তা-ই বলছে। সেখানে ১০ নম্বরে থাকা বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ ওপরের আফগানদের অবস্থান ৮ নম্বরে। জুনের প্রথম সপ্তাহে উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে এই পিছিয়ে থাকাটা তাহলে কী বার্তা দিচ্ছে?

নানাজনের বক্তব্যে যদিও মনে হচ্ছে সেটি একেকজন একেকভাবে নিচ্ছে। কারো কাছে মনে হচ্ছে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকা দলের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বাংলাদেশকে। আবার অনেকের মতে র‌্যাংকিংয়ের অবস্থান নিয়ে ভাবনার অত কিছু অন্তত নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান প্রথম মতের অনুসারী। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন পরের মত প্রতিষ্ঠায় দেখাচ্ছেন অনেক যুক্তিও।

এ সফর যখন চূড়ান্ত হয়নি, তখন এই রকম একটি আলোচনা শোনা গিয়েছিল যে আফগানদের বিপক্ষে পুরো শক্তির দল পাঠাবে না বাংলাদেশ। পরে অবশ্য সেই অবস্থান থেকে সরে এসে পুরো শক্তির দলই এখন পাঠানোর অপেক্ষা। সেই সিরিজের দল ঘোষণার আগে ১৩ মে থেকে ৩১ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের অনুশীলন শিবিরও শুরু হয়ে যাচ্ছে। এখান থেকেই প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতা বুঝে দল গড়বেন নির্বাচকরা। কিন্তু যে দলই তাঁরা গড়ুন না কেন, সেই দলের পক্ষে আফগানদের সামলানো কঠিন হবে বলে গত পরশু এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন বিসিবি সভাপতি, ‘টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে কিন্তু আফগানিস্তান আমাদের চেয়ে এগিয়ে। কাজেই আমাদের পুরো শক্তির দলের জন্যও ওদের বিপক্ষে জেতাটা চ্যালেঞ্জিং হবে।’

সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের খেলায় ছোট দলেরও যখন-তখন বড় দলকে ঝামেলায় ফেলার অসংখ্য নজির আছে, তখন কেউ চ্যালেঞ্জটি অস্বীকার করেন কী করে? করছেন না মিনহাজুলও। তাই বলে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকার সুবাদে আফগানদের নিরঙ্কুশ প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষপাতীও তিনি নন। তাঁর যুক্তি, ‘এটাও মানতে হবে যে আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি কিন্তু টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে বেশি খেলেনি। ওরা নিচু সারির দলের সঙ্গে প্রচুর ম্যাচ খেলেছে। এই যেমন নেদারল্যান্ডস, ইউএই বা এ ধরনের দলের সঙ্গে। ওদের সঙ্গে জিতেই ওরা র‌্যাংকিংয়ে কিছুটা এগিয়ে গেছে। আমার মতে এই র‌্যাংকিং নিয়ে অন্তত ভাবিত হওয়ার খুব বেশি কিছু নেই। আমরা আমাদের দিক থেকে সেরাটাই দিতে যাব।’

আর এমন সময়ে সাকিব আল হাসানরা আফগানিস্তানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন, যখন পেছনে আছে শ্রীলঙ্কায় স্বাগতিকদের বিদায় করে ভারতের বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল খেলে আসার টাটকা স্মৃতিও। ওই আসরের আগ পর্যন্ত নিজেদের টি-টোয়েন্টি সামর্থ্য নিয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা ছিল না এমনকি বাংলাদেশ শিবিরেরও। সে জন্যই নিদাহাস ট্রফি খেলতে যাওয়ার আগে একাধিক ক্রিকেটারের মুখেই শোনা গেছে যে ওই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে একটা বার্তা তাঁরা দিয়ে আসতে চান। ফাইনাল খেলার মাধ্যমে সেটি দেওয়া গেছেও। এমনকি লঙ্কানদের বিপক্ষে ২১৪ রান তাড়া করে জেতার অবিশ্বাস্য ঘটনাও আছে। সব মিলিয়েই সংশ্লিষ্টদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি নিয়ে বিশ্বাসও বেড়েছে। সে কথা স্বীকারে দ্বিধা নেই মিনহাজুলেরও, ‘এটা সত্যি যে নিদাহাস ট্রফি টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমাদের বিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।’

তাই জুনে দেরাদুনের প্রচণ্ড গরমও খুব একটা ভাবাচ্ছে না সংশ্লিষ্টদের। ওই সময় সেখানকার তাপমাত্রা থাকবে ৩৬-৩৮ ডিগ্রির মধ্যে। তবে খেলা যে সময় হবে, তখন তাপমাত্রাও নেমে যাওয়ার কথা। কারণ রোজার মাসে রাত সাড়ে ৮টায় খেলা শুরুর সময় নির্ধারিত হয়েছে বলে জানা গেছে। মিনহাজুল তাই অন্য কিছু নিয়ে না ভেবে থাকতে চান নিদাহাস ট্রফির ইতিবাচক দিকগুলো নিয়েই, ‘নিদাহাস ট্রফি প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের খেলোয়াড়রা এখন ভালোমতোই আয়ত্ত করতে পেরেছে ফরম্যাটটি। ডেথ ওভারে রান করা, শুরুর ওভারগুলোতে উইকেট বাঁচানো...এগুলোতে আগের সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে অনেকটাই।’

তাই র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে থেকেও আফগানিস্তান আসলে তেমন এগিয়ে নয়!
Source: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sports/2018/05/09/634068

14
সবচেয়ে বড় ই-কমার্স ওয়েবসাইট আমাজন। এই আমাজনই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোসকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিতে পরিণত করেছে। কীভাবে আমাজন এত সফল? উত্তরটা হলো পিৎজা!

আমাজনের শুরুর দিকে জেফ বেজোস একটি নিয়ম চালু করেন। নাম দেন ‘টু পিৎজা রুল’ বা দুই পিৎজা তত্ত্ব। মূল বিষয় হলো আমাজনের প্রতিটি অভ্যন্তরীণ দল এতটাই ছোট হতে হবে, যেন দুটি পিৎজার মাধ্যমে গোটা দলের উদরপূর্তি করানো যায়। জেফ বেজোসের এই নিয়ম চালুর পেছনের উদ্দেশ্য খাবারের খরচ কমানো নয়। বেজোস মূলত দুটি উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন-কার্যকারিতা ও কর্মপরিধি।

প্রথমত, ছোট দল যেকোনো কাজ সম্পাদনে অনেক কম সময় নিয়ে থাকে। একটি ছোট দল পরিচালনা করাও অনেক সহজ এবং খুব সহজেই দলের সদস্যদের যেকোনো নির্দেশনা ও তথ্য সম্পর্কে হালনাগাদ রাখা যায়। এতে দলের সদস্যরাও কাজে বেশি সময় ধরে মনোনিবেশ করতে পারেন।

তবে বেজোসের দ্বিতীয় উদ্দেশ্যটিই আমাজনের সফলতার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হয়। কারণ, ছোট ছোট দল তৈরি করার পেছনে বেজোসের দ্বিতীয় উদ্দেশ্যটি ছিল যেন সব দলের সদস্য একসঙ্গে বসে কাজ করতে পারেন এবং তাঁদের বড় বড় লক্ষ্য অর্জন করার জন্য প্রতিষ্ঠানের যেকোনো সম্পদ একসঙ্গে সবাই ব্যবহার করতে পারেন। আর এই টু-পিৎজা নিয়মটি প্রবর্তনের ফলেই আমাজন আজ বিশ্বের এক নম্বর ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
Source:http://www.prothomalo.com/technology/article/1482746/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%9C%E0%A6%BE

15

অ্যাকসেলেরেটর কর্মসূচির মাধ্যমে ৫ স্টার্টআপকে বাছাই করেছে গ্রামীণফোন। ছবি: সংগৃহীতদেশীয় স্টার্টআপ বা উদ্যোগগুলোকে তুলে আনতে ২০১৫ সাল থেকে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর নামের বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এ কর্মসূচির আওতায় গতকাল রোববার দেশীয় পাঁচটি স্টার্টআপকে বাছাই করেছে তারা। বাছাই করা এ স্টার্টআপগুলো ফান্ডিং বা ব্যবসা পরিচালনা করার তহবিল, কাজ করার জায়গা ও বিভিন্ন দিকনির্দেশনা পাবে।

গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যাকসেলেরেটর এমন একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফরম, যেখানে প্রতিটি ব্যাচের স্টার্টআপদের চার মাস ধরে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নির্বাচিত স্টার্টআপগুলোর উদ্যোক্তারা ৮ শতাংশ শেয়ারের বিপরীতে দেড় হাজার ডলার সিড ফান্ড পান। এ ছাড়া আমাজন ক্রেডিট ও চার মাসব্যাপী জিপি হাউসে কাজ করার জন্য জায়গা পান তাঁরা। এ সময় প্ল্যাটফরমগুলোকে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়।

গ্রামীণফোনের চিফ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন অফিসার কাজী মাহবুব হাসান বলেন, অ্যাকসেলেরেটরের পঞ্চম ব্যাচে অংশ নিতে এক হাজারের মতো আবেদন জমা পড়ে। এগুলোর মধ্যে থেকে বাছাই করে ৩৫টি উদ্যোগের উদ্যোক্তাদের বুট ক্যাম্পে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর মধ্যে ১৫টি উদ্যোগের উদ্যোক্তারা প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সুযোগ পান। সেখান থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে পাঁচটি উদ্যোগ। উদ্যোগগুলো হচ্ছে সার্চ ইংলিশ, সিওয়ার্ক মাইক্রোজব লিমিটেড, অনুসার্ভার, ডিজিটাল মানুষ ও পার্কিং কই। জেনে নিন উদ্যোগগুলো সম্পর্কে :

সার্চ ইংলিশ
নির্বাচিত উদ্যোগগুলোর মধ্যে সার্চ ইংলিশ হচ্ছে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা প্ল্যাটফরম। এটি ফেসবুকভিত্তিক উদ্যোগ। ১০ লাখ সদস্যকে ফেসবুক, ওয়েবসাইট ও অনলাইনের মাধ্যমে ইংরেজিভীতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করছে।

সিওয়ার্ক মাইক্রোজব
সিওয়ার্ক মাইক্রোজব লিমিটেড হচ্ছে একটি ক্রাউড সোর্সভিত্তিক মাইক্রো জব প্ল্যাটফরম। এখানে নিয়োগদাতারা সহজে কর্মী খুঁজে পান। সিওয়ার্ক গুগল প্লে স্টোরে বাংলাদেশি অ্যাপ হিসেবে সপ্তম স্থানে আছে।

অনুসার্ভার
অনুসার্ভার হচ্ছে একটি অ্যাপ। এটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনকে ক্ষুদ্র সার্ভারে পরিণত করে বিভিন্ন এসএমএস ও কলভিত্তিক সেবা প্রদানে সহায়তা করে।

ডিজিটাল মানুষ
ডিজিটাল মানুষ হচ্ছে সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মানুষের সংযোগ ঘটানোর বা লিড জেনারেশন প্ল্যাটফরম। বাংলাদেশ ও ভারতে এটি কাজ করছে।

পার্কিং কই
পার্কিং কই হচ্ছে গাড়ি রাখার জায়গা খোঁজার একটি উদ্যোগ। এটি চালকদের অব্যবহৃত পার্কিং খুঁজে পেতে সাহায্য করে এবং এর মাধ্যমে বাড়ির মালিকেরা পার্কিং ভাড়া দিতে পারেন।

Source: http://www.prothomalo.com/technology/article/1484186/%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80%E0%A6%A3%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8-%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%AB-%E0%A6%89%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97

Pages: [1] 2