Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - yousuf miah

Pages: 1 ... 8 9 [10] 11 12
136
Nutrition and Food Engineering / Eat Dates, Remain Healthy
« on: July 01, 2013, 03:24:16 PM »
খেজুর অতি পরিচিত একটি ফল। আর জনপ্রিয় ফলগুলোর মধ্যে খেজুর অন্যতম। আমরা হয়তো অনেকেই জানি মিষ্টি মধুর ছোট এই ফলটির গুণের কথা। সারা দিনের ক্লান্তি দুর করতে প্রতিদিন একটি খেজুর একজনের জন্য যথেষ্ট। আসছে পবিত্র রমজান মাস আর রমজানে ইফতার করা, মুমিন মুসলিমদের জন্য আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। সারাদিন রোজা রাখার পর আমরা খেজুর খেয়ে ইফতার শুরু করি। খেজুর খেয়ে ইফতার করা সুন্নত। তাই রমজানে খেজুরের কদর বেড়ে যায়। খেজুর না থাকলে আমাদের ইফতার যেন পরিপূর্ণ হয়না। কিন্তু এ খেজুরে কী আছে যে, আমরা এতো গুরুত্বের সঙ্গে খেজুর খাই? আসুন চটজলদি জেনে নিই খেজুরের গুনাগুন।

 খেজুরের উপকারিতা:
•    খাদ্যশক্তি থাকায় দুর্বলতা দূর হয়
•    খেজুর স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে
•    রোজায় অনেকক্ষন খালি পেটে থাকা হয় বলে দেহের প্রচুর গ্লুকোজের দরকার হয়
•    খেজুরে অনেক গ্লুকোজ থাকায় এ ঘাটতি পূরণ হয়
•    হৃদরোগীদের জন্যও খেজুর বেশ উপকারী
•    খেজুরের প্রচুর খাদ্য উপাদান রয়েছে
•    খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী
•    হজমশক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক
•    রুচি বাড়ায়
•    ত্বক ভালো রাখে
•    দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
•    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
•    পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী
•    ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে
•    অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্মের সময় খেজুর খেলে জরায়ুর মাংসপেশির দ্রুত সংকোচন-প্রসারণ ঘটিয়ে, প্রসব হতে সাহায্য করে
•    এছাড়াও এ ফল প্রসব-পরবর্তী কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।
•    খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।
•    খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখে।
যে কোনো ফলের চেয়ে খেজুরের পুষ্টিগুণ বেশি। তাইতো বলা হয়ে থাকে বছরে যতোগুলো দিন আছে, খেজুরে তার চেয়েও বেশি গুন রয়েছে। শুধু রমজান মাসের জন্য নয় সারা বছর পরিবারের সবার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমরা এই ফলটিকে রাখতে পারি



Md.Yousuf Miah
Accounts Officer
Daffodil International University

137
বাংলাদেশে এলাচ না জন্মালেও আমাদের দেশের বাজারে সাধারণত দুই রকমের এলাচ মেলে- সবুজ ও কালো। এছাড়াও সাদা এলাচ পাওয়া যায়। এটি পৃথিবীর তৃতীয় মূল্যবান মশলা। দামের দিক দিয়ে জাফরান ও ভ্যানিলার পরেই এলাচের স্থান। কৌষ্ঠকাঠিন্য ও জ্বর কমানো, পেট ফাঁপা দূরীকরণ ছাড়াও এর আছে হরেক ভেষজ গুণ। খেতে বসে দাঁতের নিচে এলাচ দানা পড়লে মুখ বিকৃত হয়ে যায়না, এমন মানুষ কজন আছে বলুন তো? অনেকে অবশ্য বেশ সাধ করেই চিবিয়ে থাকেন এলাচ। নানান রকম ঝাল-মিষ্টি খাবারে তো আছেই, সাথে সাথে এলাচ ব্যবহৃত হয় চা হতে শুরু করে সৌখিন পান পর্যন্ত হরেক রকম খাবারেই।
কেবল সুগন্ধ নয়, এলাচের আছে নানান রকম ভেষজ গুণও। বাংলাদেশে এলাচ না জন্মালেও আমাদের দেশের বাজারে সাধারণত দুই রকমের এলাচ মেলে- সবুজ ও কালো। এছাড়াও সাদা এলাচ পাওয়া যায়। ইংরেজিতে বলা হয়
Cardamom,Elettaria cardamom um Cardamom ।  শব্দটি ল্যাটিন ভাষা থেকে এসেছে। উদ্ভিদবিদ্যার গুরু গ্রিসের থিয়োফ্র্যাস্টাস-এর মতে, এটি গ্রিসেই প্রথম পাওয়া যায়। কিন্তু বেশির ভাগ তথ্যাদি প্রমাণ করে, ভারতই এলাচের প্রকৃত জন্মস্থান। অর্থাৎ এলাচ মূলত দণি পূর্ব এশিয়ার সম্পত্তি। নেপাল, ভুটান, ভারত, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি স্থানে মেলে। এছাড়াও গুয়াতেমালা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বীপগুলিতে পাওয়া যায়। এলাচ আদা জাতীয় বংশের আরেকটি মসলা। এবং এটি পৃথিবীর তৃতীয় মূল্যবান মশলা। দামের দিক দিয়ে জাফরান ও ভ্যানিলার পরেই এলাচের স্থান।
এলাচের মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস প্রভৃতি বিভিন্ন মাত্রায় বর্তমান। চীন,পাকিস্তান, কোরিয়া, ভিয়েতনামের আয়ুর্বেদশাস্ত্রে এলাচের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। চীনে কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমের সমস্যায় এলাচ থেকে তৈরি বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহৃত হতো প্রাচীন কাল থেকে। পৃথিবীর যে কোনও দেশে হজম এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যায় এলাচ থেকে প্রস্তুত ওষুধকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেওয়া হয়েছে।
আসুন জেনে নেই এলাচের কিছু গুনাগুণঃ

ক্ষুধামান্দ্যতে এলাচের সাহায্য নেওয়া হয়। খাওয়ার আগে অল্প এলাচ গুঁড়ো জল দিয়ে খেলে একটু পরেই অত্যন্ত খিদে পায়। যাদের চোখে জ্বালাপোড়া হবার সমস্যা আছে, তারা এলাচের দানার সঙ্গে সম পরিমাণ চিনি মিশিয়ে পিষে ঐ গুড়োটা খেলে উপকার মিলবে। কৌষ্ঠকাঠিন্য ও জ্বর কমায় এলাচ। কয়েকটি ছেঁচা এলাচ, শুকনো বেল, দুধে অল্প পানি মিশিয়ে ভালো করে গরম করুন৷ জ্বাল দিতে দিতে যখন অর্ধেক হয়ে যাবে, তখন নামিয়ে নিন ও উষ্ণ থাকতেই পান করুন। কৌষ্ঠকাঠিন্য কমবে আর জ্বরও সেরে যাবে৷ বমি আটকানোর জন্য এলাচের খোসা পুড়িয়ে তা মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার মিলবে। এলাচ বাড়ায় হজমশক্তি বাড়ায়। শ্বাসকষ্ট ও হৃৎরোগের জন্যও অত্যন্ত উপকারি এই এলাচ। কাশি বন্ধ করতে এলাচ খুবই চমৎকার। চায়ের সাথে এলাচ খান, কাশি নিরাময় হবে। পেটের ফাঁপা দূর করতেও এলাচ তুলনাহীন। পেত ফাঁপলে কয়েকটি সবুজ এলাচ দানা চিবিয়ে খেয়ে নিন। মুখের গন্ধ দূর করতেও এলাচ ম্যাজিকের কাজ করে।




Md.Yousuf Miah
Accounts Officer
Daffodil International University

138
Public Health / Brain Stroke
« on: July 01, 2013, 02:25:59 PM »
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ঈষর্ণীয় উন্নতির হলেও কিছু কিছু রোগ আজ ও বিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে যাচ্ছে। সেই সমস্ত ভয়বহ রোগের মধ্যে একটি হল স্ট্রোক (stroke)। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় স্ট্রোক এর অর্থ হল "প্রকট স্নায়ুরোগ"। স্ট্রোক বলতে অনেকেই হার্ট এ্যাটাক মনে করে থাকেন। কিন্তু আসলে তা নয়। স্ট্রোক মানে ব্রেইন স্ট্রোক। এটা মস্তিস্কের এক ভয়াবহ সমস্যা। মস্তিষ্কের কোষগুলোর কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিরবচ্ছিন্ন রক্ত সরবরাহ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মস্তিষ্কই পুরো দেহের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্ক প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং গ্লুকোজের সরবরাহ পায়। কোন কারণে এই সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটলে সে অংশের কোষগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটিই ব্রেইন স্ট্রোক নামে পরিচিত।
স্ট্রোকের কারণে শরীরের কোন একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ঐ অংশ শরীরের যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে চালিত করত তা অবশ হয়ে যেতে পারে। মস্তিষ্কের ডান অংশ শরীরের বাম অংশকে পরিচালিত করে, আর বাম অংশ শরীরের ডান অংশকে পরিচালিত করে। কাজেই স্ট্রোকের কারণে মস্তিষ্কের কোন একটি অংশ পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরের বিপরীত অংশ অবশ হয়ে যেতে পারে। যদি শরীরের এক অংশ অচল হয়ে যায় তখন তাকে হেমিপ্লেজিয়া বলে। আর যখন এক অংশ অবশ হয়ে যায় তখন তাকে হেমিপেরেসিস বলে।
প্রকারঃ স্ট্রোক মোটামুটি দুই ধরনের হয়ে থাকেঃ
 ইসচেমিক(ischemic):এক্ষেত্রে মস্তিষ্কের কোন এক অংশে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হেমোরোজিক(hemorragic): মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহের পরিমাণ আকস্মিকভাবে হ্রাস পাওয়াকেই মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা ব্রেইন স্ট্রোক বলা হয়।
কারণ : বিভিন্ন কারণে মস্তিষ্কে স্ট্রোক দেখা দিতে পারে। মস্তিকের মধ্যস্থ কোন ধমনী বা শিরা সরু হয়ে গেলে অথবা কোন কারণে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়ে রক্তপ্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে যে স্ট্রোক হয় তাকে ‘ট্রানজিয়েন্ট ইসকেমিবা অ্যাটাক’ বলা হয়। বেশির ভাগ রোগী এ ধরনের স্ট্রোকেই আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে কখনও কখনও মস্তিষ্কের মধ্যস্থ কোন অংশ বা মস্তিষ্ক এবং খুলির মধ্যবর্তী কোন অংশ বা শিরা থেকে রক্তপাত ঘটার কারণেও স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এ ধরনের স্ট্রোককে ‘হেমোরেজিক স্ট্রোক’ বলা হয়।
‘ইসকেমিক’ স্ট্রোক ক্ষণস্থায়ী হয় এবং এক্ষেত্রে অল্প সময়ের মধ্যে রোগের লক্ষণ থেকে মুক্তি লাভ করতে দেখা যায়। একবার ‘ইসকেমিক’ স্ট্রোকে আক্রান্তদের আবার একই ধরনের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি থাকে পরবর্তীতে এদের হেমোরেজিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশংকাও বেশি। ‘হেমোরেজিক স্ট্রোকে’ আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার কারণে স্ট্রোকজনিত লক্ষণসমূহ দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে এবং চিকিৎসা লাভের পরও শারীরিকভাবে সুস্থ্য হয়ে উঠতে অনেক ক্ষেত্রেই কিছু সময় লাগে এবং কোনও কোনও সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে দেখা যায়। মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি সাধিত হওয়ার কারণে সাধারণত মাথার যেদিক আক্রান্ত হয় তার বিপরীত দিকের শরীরের অংশ বা অংশ বিশেষ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে বা নড়াচড়ায় নিয়ন্ত্রণহীনতা দেখা দেয়, স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তাশক্তির ক্ষতি সাধিত হয়, ভাষা ব্যবহারে এবং বুঝতে অসুবিধা হয়, আবেগের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকতা এবং ব্যথাসহ স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা দেয়ার আশংকা থাকে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে জটিলতার কারণে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। রোগীর সেরে ওঠার মাত্রা নির্ভর করে মস্তিষ্কের কোন অংশের কতটা কোষকলা ধ্বংসপ্রাপ্ত বা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ওপর।
তবে যে কোনও ধরনের স্ট্রোকই হোক না কেন চিকিৎসা লাভের ক্ষেত্রে যত বেশি কালক্ষেপণ হয় ততই তা জটিল হয়ে উঠতে পারে এবং মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি সাধিত হওয়ার আশংকাও বেশি থাকে। তাই লক্ষণের প্রকাশ দেখা গেলেই তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় এনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসার আওতায় আনা উচিত।
কাদের ঝুঁকি বেশি : বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রেইন স্ট্রোক হওয়ার আশংকা বাড়তে থাকে বিশেষ করে ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে এ রোগের ঝুঁকি বেশি। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তে উচ্চমাত্রার কোলস্টেরল বা হূদযন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত এবং ধূমপায়ীদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা বেশি। কোকেনজাতীয় মাদকসেবনের ফলে ৫০ বছরের চেয়ে কম বয়সীদেরও কখনও কখনও রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়।
লক্ষণ : রোগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে এ রোগের কারণে সৃষ্ট দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক এবং মানসিক কিছু জটিল সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব এবং সেই সঙ্গে মৃত্যু ঝুঁকিও অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। বয়স, লিঙ্গ, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সূচকের ওপর নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষের মধ্যে লক্ষণের পার্থক্য দেখা দেয়।
‘ইসকেমিক’ এবং ‘হেমোরেজিক’ উভয় স্ট্রোকের একই ধরনের লক্ষণ হতে পারে। প্রধান লক্ষণ হল কথা বলার ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়া। তাই হঠাৎ বয়স্ক কারও শব্দ চয়নে অসুবিধা বা কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। হাতের আঙুল, পায়ের পাতা, শরীরের একদিকের হাত বা পা নাড়াতে কষ্ট হওয়া, মুখমণ্ডল নাড়ানোর ক্ষেত্রে অসুবিধা বা মুখের একদিকের মাংসপেশিতে অসাড়তা দেখা দেয়া, আগে কখনও অনুভূত হয়নি হাত বা পায়ে এমন ধরনের ভার বোধ হওয়া, খিল ধরে যাওয়া, অসাড়তা দেখা দেয়া ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ। এ ধরনের সমস্যাগুলোর তীব্রতা মাঝারি থেকে প্রবল হয়ে উঠতে পারে। দৃষ্টিশক্তি ঝাঁপসা হয়ে পড়া, ঝিমুনি ভাব, শরীরের ভারসাম্য অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়া, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, বমি হওয়া, মলমূত্র নিয়ন্ত্রণে সমস্যা ইত্যাদিও এ রোগের লক্ষণ। কারও কারও ক্ষেত্রে মানসিক বিভ্রম বা বিষণ্নতাও দেখা দিতে পারে।
রোগ নির্ণয় : কোন ব্যক্তি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা ঘরে বসে নির্ণয় করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীর হাসতে অসুবিধা হচ্ছে কি না বা হাসতে গেলে গাল বা চোখ বেঁকে বা কুঁচকে যাচ্ছে কিনা, রোগী দু’হাত উপরে ওঠাতে এবং সোজা অবস্থায় ধরে রাখতে পারছে কিনা অথবা রোগী সঠিকভাবে কথা বলতে এবং বুঝতে পারছে কিনা তা পরীক্ষা করা যেতে পারে। যে কোনও একটি লক্ষণের প্রকাশ ঘটলেই রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
হাসপাতালে রোগীর স্ট্রোকের ধরন ও আক্রান্ত স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য সাধারণত ‘কমপিউটেড টমোগ্রাফি (সিটি)’ বা ‘ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) করা হয়। এছাড়া আনুষঙ্গিক আরও বিভিন্ন ধরনের কিছু পরীক্ষা করা হয়।
চিকিৎসা : অসুখের ধরন জেনে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ‘ইসকেমিক’ স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ‘অ্যাসপিরিন’ বা অন্য কোন ধরনের রক্ত পাতলা করার ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। কখনও কখনও শিরায় ইনজেকশনের মাধ্যমে এ ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করা হয় এমনকি ক্যাথেটারের সাহায্যে তা সরাসরি মস্তিকেও প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
কোনও কোনও ক্ষেত্রে জমাট বাঁধা রক্ত অপসারণ করার জন্য বা সরু হয়ে যাওয়া শিরার প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য মস্তিষ্কে অপারেশন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কখনও কখনও হূৎপিণ্ডের ন্যায় এক্ষেত্রেও এনজিওপ্লাস্টি প্রক্রিয়ায় ‘স্ট্যান্টিং’ করার ব্যবস্থাও করা হয়।
‘হেমোজেরিক’ স্ট্রোকের ক্ষেত্রে রক্তপাত বন্ধ ও মস্তিষ্কের চাপ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত শিরা মেরামত করার লক্ষ্যে অপারেশন করার প্রয়োজনীয়তাও দেখা দেয়। জটিল ক্ষেত্রে শিরার কিছুটা অংশ কেটে ফেলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে যতটা সম্ভব রোগী যেন স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারে সেদিকে গুরুত্ব দেয়া হয়।
পুনর্বাসন : চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই রোগী যেন অন্যের সাহায্য ছাড়া নিজস্ব দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্যে বয়স, স্বাস্থ্য এবং ক্ষতির পরিমাণ ভেদে বিভিন্ন মাত্রায় পুনর্বাসন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এগুলোর মধ্যে ‘ফিজিওথেরাপি’, শরীরচর্চা, ভাষা ব্যবহারে সাহায্য করা বা বিকল্প পদ্ধতিতে মনের ভাব প্রকাশের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া মানসিক সুস্থতা লাভের ব্যাপারেও বিশেষ মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজন থাকে।


Md.Yousuf.Miah
Accounts Officer
Daffodil International University

139
Namaj/Salat / Nafol Prayer
« on: June 30, 2013, 02:49:52 PM »
সব ধরনের নফল ইবাদত ঘরে করাই উত্তম। এমনকি মসজিদে হারাম বা মসজিদে নববীর তুলনায় ঘরে নফল ইবাদতের সাওয়াব বেশি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে নফল ইবাদত ঘরে করতেন। ঘরের পাশেই মসজিদ থাকা সত্ত্বেও তিনি মসজিদে না গিয়ে ঘরে নফল ইবাদত করতেন।

আমাদের দেশে শবে বরাত, শবে কদর, শবে মিরাজসহ বিভিন্ন পবিত্র রজনীতে মসজিদে নফল ইবাদতের জন্য মুসলি্লদের ভিড় জমে। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে মসজিদে এসে নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও ইবাদত বন্দেগি করেন। তারা মনে করেন নিজের ঘরের বদলে মসজিদে এসে নফল ইবাদত করলে সওয়াব বেশি হবে। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাসগৃহ থেকে কয়েক পা এগুলেই মসজিদে নববীর মতো মসজিদ ছিল। সেখানে তিনি নিজ গৃহে নফল ইবাদত করেছেন। হাদিস শরিফেও এটির উল্লেখ আছে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত অনুযায়ী নফল ইবাদত ঘরে করা উত্তম। শবে বরাত, শবে কদর, শবে মিরাজ ইত্যাদি পবিত্র রজনীতে যে নফল ইবাদত করা হয় তা ঘরে বসে করাই উচিত। নফল ইবাদতের ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন সেটি অনুসরণই সর্বশ্রেষ্ঠ পথ। তার বদলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে পদ্ধতি অনুসরণ করেননি সেটিকে বেশি সওয়াবের কাজ ভাবা শরিয়তি দৃষ্টিকোণ থেকে দূষণীয়। আল্লাহ আমাদের ইবাদতের ক্ষেত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পথ অনুসরণের তাওফিক দান করুন।


Md.Yousuf Miah
Accounts Officer
Daffodil International University

140
Useful Videos on Islamic Topics / Tree Plantation in Islam
« on: June 30, 2013, 02:29:21 PM »
হে মানবসমাজ, গাছপালা আল্লাহতায়ালার একটি বিশেষ দান এবং তাঁর প্রদত্ত নিয়ামতসমূহের মধ্যে অন্যতম নিয়ামত। আর গাছপালার ছায়া, ফল, শান্তির উৎস, যা ধুলাবালি প্রতিরোধক, চোখ জুড়ানো এবং দর্শকদের কাছে আনন্দদায়ক। হে মুসলমান সমাজ, আল্লাহতায়ালা আরও বলেছেন, আল্লাহই শস্যবীজ মাটিতে অঙ্কুরিত করেন, তিনি সেই সত্তা, যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর এর দ্বারা সব ধরনের উদ্ভিদ উৎপন্ন করে। অতঃপর তা থেকে সবুজ শস্য নির্গত করেন, যা থেকে যুগ্ম বীজ উৎপন্ন করেন এবং খেজুর গাছের মাথি থেকে ঝুলন্ত কাঁদি নির্গত করেন, আঙ্গুরের বাগান সৃষ্টি করেন। জয়তুন, আনার যা পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত এবং সাদৃশ্যহীন। তোমরা বিভিন্ন গাছের ফলের প্রতি লক্ষ্য কর যখন সেগুলো ফলন্ত হয় এবং তার পরিপক্বতার প্রতি লক্ষ্য কর। নিশ্চয়ই এগুলোতে ইমানদারদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। হে মুমিনগণ! আমরা আল্লাহর নিয়ামত গণনা করলে তা শেষ করতে পারব না। আর আল্লাহতায়ালা মানবজাতি ও মাখলুকাতের পানি পানের ব্যবহার নিমিত্তে ও বিভিন্ন ধরনের কৃষি ও ফল-ফলারি উৎপন্ন করার ও জমিনকে কৃষিযোগ্য করার জন্য আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, এ পানি থেকে তোমরা পান কর এবং এ থেকেই উদ্ভিদ জন্মায়, যাতে তোমরা পশুচারণ কর। এ পানি দিয়ে তোমাদের জন্য ফসল, জয়তুন, খেজুর, আঙ্গুর ও সব ধরনের ফল উৎপাদন করেন। আর এতে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। আল্লাহতায়ালা আরও বলেছেন, তারা কি লক্ষ্য করে না যে, আমি উর্বর ভূমিতে পানি প্রবাহিত করে শস্য উদ্গত করি, যা থেকে ভক্ষণ করে তাদের পশুপাল এবং তারা নিজেরাও। তারা কি তবুও লক্ষ্য করে না? হে মানবসমাজ, আপনারা গাছপালার উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। বিশ্বের প্রায় সর্বত্র গাছ তথা কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, আপনার পালনকর্তা মধুমক্ষিকাকে আদেশ দিয়েছেন, পর্বত গাত্রে, বৃক্ষ এবং উঁচু ছাদে গৃহনির্মাণ কর। এভাবে আমরা গাছ, ফল-ফলাদি, ওষুধপত্র এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পণ্যসমূহ পেয়ে থাকি। আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি করে গাছ লাগানোর তৌফিক দান করুক।


Md.Yousuf Miah
Accounts Officer
Daffodil International University

141
Ramadan and Fasting / Ramzanul Mubarak according to Quran-Hadith
« on: June 30, 2013, 11:23:58 AM »
হিজরীবর্ষের নবম মাসটির নাম রমাযানুল মুবারক। এ মাসের মর্যাদা ও মাহাত্ম্য বলার অপেক্ষা রাখে না। এ মাস আল্লাহ তা’আলার অধিক থেকে অধিকতর নৈকট্য লাভের উত্তম সময়, পরকালীন পাথেয় অর্জনের উৎকৃষ্ট মৌসুম। ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-আযকার এবং তাযকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ভরা বসন্ত। মুমিন বান্দার জন্য রমযান মাস আল্লাহ তা’আলার অনেক বড় নেয়ামত। তিনি এই মাসের প্রতিটি দিবস-রজনীতে দান করেছেন মুষলধারা বৃষ্টির মত অশেষ খায়ের-বরকত এবং অফুরন্ত কল্যাণ। মুমিনের কর্তব্য, এই মহা নেয়ামতের জন্য কৃতজ্ঞ ও আনন্দিত হওয়া।

 

ইরশাদ হয়েছে, ‘(হে নবী) আপনি বলুন! এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর রহমতেই হয়েছে। সুতরাং এতে তারা যেন আনন্দিত হয়। তারা যা কিছু সঞ্চয় করে, এটা তার চেয়ে উত্তম। (সূরা ইউনুস, আয়াত-৫৮)

 

এ মাসে বান্দা পার্থিব সকল চাহিদা বিসর্জন দিয়ে আল্লাহর দয়া ও রহমত লাভ করবে, অতীতের সকল পাপাচার থেকে ক্ষমা চেয়ে নতুনভাবে ঈমানী জিন্দেগীর উত্তাপ গ্রহণ করবে, তাকওয়ার অনুশীলনের মাধ্যমে পুরো বছরের ইবাদত ও ইতাআতের শক্তি সঞ্চয় করবে, চিন্তা-চেতনা ও কর্ম-সাধনায় আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সমর্পিত করবে-এই হচ্ছে মুমিনের আনন্দ।

 

আল্লাহ তা’আলা এই পবিত্র মাসকে যেসব গুণ ও মর্যাদা দ্বারা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছেন, যত রহমত, বরকত এবং দয়া ও অনুগ্রহ দ্বারা একে মহিমান্বিত করেছেন, এ মাসের নেক আমলগুলোর যত সওয়াব ও প্রতিদান নির্ধারিত করেছেন তার হিসাব-নিকাশ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তবুও কুরআন মজীদের বিভিন্ন আয়াতে এবং হাদীস শরীফের বিস্তৃত বর্ণনায় যে গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট বর্ণিত হয়েছে, তার কিছু দৃষ্টান্ত এখানে উল্লেখ করার চেষ্টা করব।

 

১. সিয়াম ও কিয়ামের মাস

মুসলিম উম্মাহর নিকট রমযান মাসের আগমন ঘটে প্রধানত রোযা ও তারাবীহর বার্তা নিয়ে। এটি রমযান মাসের বিশেষ আমল। তাই প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য, পূর্ণ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে এ দুই বিষয়ে যত্নবান হওয়া।

 

আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি; যাতে তোমরা তাক্বওয়া অবলম্বনকারী (মুত্তাকী) হতে পার। (সূরা বাকারা , আয়াত-১৮৩)

 

অন্য আয়াতে ইরশাদ করেছেন, ‘সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস (রমযান) পাবে, সে যেন অবশ্যই তার রোযা রাখে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য সময় সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৫।

 

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘যখন রমযান মাসের আগন ঘটলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, তোমাদের নিকট বরকতময় মাস রমযান এসেছে। আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য এ মাসের রোযা ফরয করেছেন। এ মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানদেরকে শিকলে বন্দী করা হয়। এ মাসে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে এর কল্যান থেকে বঞ্চিত হল, সে তো প্রকৃতপক্ষেই বঞ্চিত। (মুসনাদে আহমদ, হাদীস-৭১৪৮ সুনানে নাসায়ী-হাদীস-২৪১৬, মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদীস ৮৩৮৩ মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস ৮৯৫৯)

 

২. কুরআন নাযিলের মাস

রমাযানুল মুবারকের আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হল তা কুরআন নাযিলের মাস। এই পবিত্র মাসেই আল্লাহ তা’আলা পূর্ণ কুরআন মজীদ লওহে মাহফুয থেকে প্রথম আসমানে অবতীর্ণ করেন। অতপর রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কুরআনের সর্বপ্রথম অহীও এ মাসেই নাযিল হয়। রমযান মাসের অন্য কোনো ফযীলত যদি উল্লেখিত না হত, তবে এই এক ফযীলতই তার মর্যাদা ও বিশেষত্বের জন্য যথেষ্ট হতো। রমযান মাসের পরিচয় ও গুরুত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ তা’আলা সর্বপ্রথম এই বৈশিষ্ট্যের কথাই উল্লেখ করেছেন।

 

ইরশাদ হয়েছে, ‘রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল হয়েছে, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সুপথ প্রাপ্তির সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর হক্ব-বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। সুতরাং তোমাদের যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন অবশ্যই এর রোযা রাখে। (সূরা বাকারা, আয়াত- ১৮৫)

 

শুধু কুরআন মজীদ নয়, হযরত ইবরাহীম আ. এর সহীফা, তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিলসহ সকল আসমানী কিতাব এ মাসে অবতীর্ণ হয়েছে। তাবারানী বর্ণিত একটি সহীহ হাদীসে এই বৈশিষ্ট্যও উল্লেখিত হয়েছে।

 

৩. মুসলমানদের জন্য সর্বোত্তম মাস

হযরত আবু হুরায়রা ((রা.)) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তা’আলার কসম! মুসলমানদের জন্য রমযানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমযান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনগণ এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনীমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৮৩৬৮, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস-৮৯৬৮, সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস-১৮৮৪, তাবারানী হাদীস-৯০০৪, বাইহাকী শুয়াবুল ঈমান, হাদীস-৩৩৩৫)

 

৪. রহমতের মাস

এ মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।

 

ইতোপূর্বে উল্লেখিত একটি হাদীসে এ বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে। এ ছাড়া আরও হাদীসে তা আছে।

 

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যখন রমযান মাসের আগমন ঘটে, তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। (সহীহ বুখারী, হাদীস-১৮৯৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস-১০৭৯ (১), মুসনাদে আহমদ হাদীস-৮৬৮৪, সুনানে দারেমী, হাদীস-১৭৭৫)

 

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘রমযান মাস শুরু হলেই রহমতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানদেরকে শিকলে আবদ্ধ করা হয়। (সহীহ মুসলিম হাদীস-১০৭৯-২)

 

সহীহ বুখারী বর্ণনায় রয়েছে, ‘রমযান আরম্ভ হলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, ...।’ (হাদীস-১৮৯৯)

 

মুহাদ্দিসীনে কেরাম বলেন, মুমিন বান্দাগণ যাতে রমযান মাসের অতি মূল্যবান ও বরকতপূর্ণ সময় নেক কাজে ব্যয় করতে পারে এবং মুনাফিকদের মত খায়ের ও বরকত থেকে বঞ্চিত না থাকে, তাই আল্লাহ তা’আলা এ মাসের শুরু থেকেই সৃষ্টিজগতে এমন আবহ সৃষ্টি করেন, যা পুরো পরিবেশকেই রহমত-বরকত দ্বারা আচ্ছাদিত করে দেয় এবং মুমিনদেরকে ইবাদত-বন্দেগী ও নেক আমলের উৎসাহ-উদ্দীপনা জোগাবে। তাদের পূণ্য ও প্রতিদানের সুসংবাদ দিতে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং পাপাচার ও খারাপ কাজ হতে বিরত রাখতে জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সব ধরনের ফিতনা-ফাসাদ ও অনিষ্ট হতে রক্ষা করতে কুমন্ত্রণাদাতা দুষ্ট জ্বিন ও শয়তানদেরকে শিকল লাগিয়ে আবদ্ধ করা হয়। তারপর কল্যাণের পথে অগ্রগামী হওয়ার ও অন্যায় থেকে নিবৃত্ত থাকার আহবান জানানো হয়।

 

আবু হুরায়রা (রা.) থেকেই বর্ণিত এক হাদীসে আছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যখন রমযান মাসের প্রথম রাতের আগমন ঘটে, তখন দুষ্ট জ্বিন ও শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও খোলা হয় না এবং জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না। আর একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে-হে কল্যাণের প্রত্যাশী! অগ্রসর হও, হে অকল্যাণের প্রার্থী! থেমে যাও। আর আল্লাহ তা’আলা এ মাসের প্রতি রাতে অসংখ্য জাহান্নামীকে মুক্তি দান করেন।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদীস ১৮৭৯৪, ৫; বাইহাকী শুয়াবুল ঈমান, হাদীস-৩৬০১, সুনানে তিরমিযী, হাদীস-৬৮২, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস-১৬৪২ মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস-১৫৭২ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস-৮৯৬০)

 

৫. জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের মাস এবং দুআ কবুলের মাস

পূর্বের হাদীসেই বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তা’আলা এ মাসের প্রতি রাত্রে অসংখ্য জাহান্নামীকে মুক্তি দান করেন। সুতরাং আমাদের কর্তব্য, বেশি বেশি নেক আমল এবং তাওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিজেদেরকে এই শাহী ফরমানের অন্তর্ভুক্ত করা।

 

এ প্রসঙ্গে অন্য হাদীসে হযরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা রমযান মাসে প্রতি ইফতারের সময় অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। প্রতি রাতেই তা হয়ে থাকে।’ (সুনানে ইবনে  মাজাহ, হাদীস-১৬৪৩, মুসনাদে আহমদ, হাদীস-২২২০২, তবারানী হাদীস-৮০৮৮. বায়হাকী-৩৬০৫)

 

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) অথবা আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা রমযান মাসের প্রত্যেক দিবস ও রাত্রিতে অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। এবং প্রত্যেক মুমিন বান্দার একটি করে দুআ কবুল করেন।’ (মুসনাদে আহমদ হাদীস ৭৪৫০, মুসনাদে বাযযার, হাদীস-৯৬২)

 

হযরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘রমযান মাসের প্রতিটি দিবস ও রজনীতে আল্লাহ তা’আলা অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম  থেকে মুক্তি দান করেন। প্রত্যেক মুসলিমের একটি দুআ, যা সে করে, কবুল করা হয়।’ (মুসনাদে বায্যার, হাদীস ৩১৪১, মাযমাউয যাওয়াইদ, ১৭২১৫)

 

৬. দানশীলতার মাস

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রা.) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। তাঁর দানশীলতা (অন্য সময় হতে) অধিকতর বৃদ্ধি পেত রমযান মাসে, যখন জিব্রাইল আ. তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। জিব্রাইল আ. রমযানের প্রতি রাত্রে আগমন করতেন এবং তাঁরা পরস্পর  কুরআন শুনাতেন। তো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন কল্যাণবাহী বায়ুর চেয়েও অধিক দানশীল।’ (সহীহ বুখারী, হাদীস-৬, সহীহ মুসলিম হাদীস-২৩০৮, মুসনাদে আহমদ, ২৬১৬)

 

হযরত যায়েদ ইবনে খালেদ আলজুহানী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোযাদারকে ইফতার করাবে, সে তার (রোযাদারের) অনুরূপ প্রতিদান লাভ করবে। তবে, রোযাদারের প্রতিদান হতে বিন্দুমাত্রও হ্রাস করা হবে না।’ (সুনানে তিরমিযী, হাদীস-৮০৭, মুসনাদে আহমদ, হাদীস-১৭০৩৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস-১৭৪৬, সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস-৩৪২৯, সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস-২০৬৪)

 

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোযাদারকে পানাহার করিয়ে ইফতার করাবে, সে তার অনুরূপ সওয়াব লাভ করবে।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস-৭৯০৬)

 

৭. আমলের সওয়াব বহুগুণ বৃদ্ধির মাস

রমযান মাসের আরেকটি বৈশিষ্ট্য এই যে, এ মাস মুমিনের নেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধির মাস এবং আখেরাতের সওদা করার শ্রেষ্ঠ সময়। দুনিয়ার ব্যবসায়ীদের যেমন বিশেষ বিশেষ মৌসুম থাকে, যখন খুব জমজমাট ব্যবসা হয় এবং বছরের অন্য সময়ের তুলনায় আয়-উপার্জন ও মুনাফা বেশি হয়, তেমনি আখেরাতের ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মওসুম হচ্ছে রমযান মাস। এ মাসে আমলের দ্বারা অনেক বেশি মুনাফা লাভ করা যায়।

 

এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, ‘হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আনসারী নারীকে বললেন, তুমি কেন আমাদের সঙ্গে হজ্ব করতে যাওনি? তিনি বললেন, আমাদের পানি বহনকারী দু’টি মাত্র উট রয়েছে। একটিতে আমার ছেলের বাবা (স্বামী) ও তাঁর ছেলে হজ্ব করতে গিয়েছেন, অন্যটি পানি বহনের জন্য আমাদের কাছে রেখে গিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রমযান মাস এলে তুমি উমরা করবে। কেননা এ মাসের উমরা একটি হজ্বের সমতুল্য।’

 

সহীহ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, রমযান মাসের উমরা একটি হজ্বের সমতুল্য। অথবা বলেছেন, আমার সঙ্গে একটি হজ্বের সমতুল্য (সওয়াবের হিসাবে)। (সহীহ বুখারী, হাদীস, ১৭৮২, সহীহ মুসলিম-১২৫৬, মুসনাদে আহমদ, হাদীস-২০২৫)

 

হযরত উম্মে মাকিল (রা.) হতে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘রমযান মাসে উমরা হজ্বের সমতুল্য।’ (সুনানে তিরমিযী, হাদীস-৯৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৯৮৬)

 

অন্য বর্ণনায় রয়েছে, উম্মে মাকিল (রা.) বলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো হজ্ব করতে ইচ্ছুক। কিন্তু আমার উটটি দুর্বল। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি রমযান মাসে উমরা করো। কেননা রমযান মাসে উমরা (সওয়াব হিসেবে) হজ্বের সমতুল্য ‘ ( মুসনাদে আহমদ, হাদীস ২৭২৮৫)

 

৮. পাপ মোচন ও গুনাহ থেকে ক্ষমা লাভের মাস

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুমুআ থেকে আরেক জুমুআ এবং এক রমযান থেকে আরেক রমযান মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহসমূহকে মুছে দেয় যদি সে কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।’ (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৩৩/৩)

 

পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, রমযান মাস হল মাগফিরাত লাভের মাস, যে মাসে সকলের জন্য ক্ষমার দুয়ার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ক্ষমা লাভের এমন সূবর্ণ সুযোগ পেয়ে যে ব্যক্তি নিজের পাপসমূহ ক্ষমা করাতে পারে না সে সত্যিই ক্ষতিগ্রস্ত।

 

হযরত কাব ইবনে উজরা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বললেন, তোমরা মিম্বরের নিকট সমবেত হও। আমরা সকলেই তথায় উপস্থিত হলাম। যখন তিনি মিম্বরের প্রথম সিড়িতে পা রাখলেন, তখন বললেন, আমীন, যখন দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখলেন বললেন, আমীন, যখন তিনি তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখলেন বললেন, আমীন।’

 

হযরত কাব ইবনে উজরা (রা.) বলেন, ‘যখন তিনি (মিম্বর থেকে) অবতরণ করলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজ আমরা (মিম্বরে উঠার সময়) আপনাকে এমন কিছু কথা বলতে শুনেছি, যা ইতোপূর্বে কখনো শুনিনি। উত্তরে তিনি বললেন, জিব্রাইল (আ.) আমার নিকট আগমন করেছিলেন, যখন আমি প্রথম সিড়িতে পা রাখলাম, তখন তিনি বললেন, ধ্বংস হোক ওই ব্যক্তি যে রমযান মাস পেল, তবুও তার গুনাহ মাফ হল না। আমি বললাম, আমীন। যখন দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখলাম তখন বললেন, ধ্বংস হোক ওই ব্যক্তি যার নিকট আপনার (রাসুল সা.) নাম উচ্চারিত হল অথচ সে আপনার প্রতি দরূদ পড়ল না। আমি বললাম আমীন। যখন তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখলাম, তখন বললেন, ধ্বংস হোক ওই ব্যক্তি যে বৃদ্ধ পিতা-মাতা উভয়কে অথবা একজনকে পেল অথচ তারা উভয়ে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারল না। অর্থাৎ তাদের খেদমতের মাধ্যমে নিজেকে জান্নাতবাসী করতে পারল না। আমি বললাম, আমীন।’ (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস - ৭৩৩৮, মাযমাউয যাওয়াইদ, হাদীস-১৭৩১৭)

 

হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমযান মাস লাভকারী ব্যক্তি-যে উত্তমরূপে সিয়াম ও কিয়াম (রোযা, তারাবী ও অন্যান্য আমল) পালন করে-তার প্রথম পুরস্কার এই যে, সে রমযান শেষে গুনাহ থেকে ওই দিনের মতো পবিত্র হয় যেদিন মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদীস-৮৯৬৬)

 

৯. লাইলাতুল কদরের মাস

আল্লাহ রাববুল আলামীনের পক্ষ হতে মুসলিম উম্মাহর জন্য আরেকটি বিশেষ দান হল এক হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম লাইলাতুল কদর। এই রাত এত মর্যাদাশীল ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ যে, এক হাজার রাত ইবাদত করলে যে সওয়াব হতে পারে, এই এক রাতের ইবাদতে তার চেয়েও বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।

 

আল্লাহ তা’আলা এ রাত সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন, ‘লাইলাতুল কদর এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ (জিব্রাইল আ.) তাদের পালনকর্তার আদেশক্রমে প্রত্যেক কল্যাণময় বস্তু নিয়ে পৃথিবীতে অবতরন করেন। যে রাত পুরোটাই শান্তি, যা ফযর হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।’ (সূরা কদর, আয়াত- ৩-৫)

 

এই রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হওয়া চরম দুর্ভাগ্যের বিষয়।

 

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রমযান মাসের আগমন ঘটলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের উদ্দেশে বললেন, তোমাদের নিকট এই মাস সমাগত হয়েছে, তাতে এমন একটি রাত রয়েছে, যা এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যান থেকে বঞ্চিত হল, সে প্রকৃতপক্ষে সকল কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত। একমাত্র (সর্বহারা) দুর্ভাগাই এ রাতের কল্যান থেকে বঞ্চিত হয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস-১৬৪৪)

 

তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত, ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-আযকার, তাসবীহ-তাহলীল ও অন্যান্য নেক আমলের মাধ্যমে এ রাতের খায়ের-বরকত লাভে সচেষ্ট থাকা।




Md.Yousuf Miah
Accounts Officer
Daffodil International University

142
Various Sura & Dua / Monazat-E-Shabania
« on: June 29, 2013, 04:49:11 PM »
হে আল্লাহ্! আপনি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর (পবিত্র) বংশধরগণের ওপর দরূদ ও সালাত প্রেরণ করুন। যখন আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি তখন আমার প্রার্থনা শুনুন এবং যখন আপনাকে আহ্বান করি তখন আমার আহ্বান শুনুন। যখন আপনার কাছে আমি নিভৃতে প্রার্থনা করি তখন আমার দিকে এগিয়ে আসুন। আমি আপনার কাছে ছুটে এসেছি এবং আপনার কাছে একান্ত বাধ্য অবস্থায় বিনয়াবনতভাবে সওয়াবের প্রত্যাশা নিয়ে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আর আমার মনে যা আছে তা আপনি জানেন। আপনি আমার মনস্কামনা সম্পর্কে জ্ঞাত এবং আমার অন্তঃকরণের সাথে পরিচিত। আমার গতি-স্থিতি কোন কিছুই আপনার কাছে গোপন নয়। আর আমি আমার কণ্ঠের মাধ্যমে যা প্রকাশ করতে চাই, আমার যে আকাঙ্ক্ষিত বস্তুর কথা আমি ঠোঁটে ব্যক্ত করি এবং আমার যে পরিণতি আমি প্রত্যাশা করি তাও আপনার কাছে গোপন নয়।
 
 
হে আমার মাওলা! আমার জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমার গোপন ও প্রকাশ্য যা কিছু আছে সে সব ক্ষেত্রে আপনি যা কিছু নির্ধারণ করেছেন তা বলবত রয়েছে। আর আপনার হাতেই রয়েছে আমার সচ্ছলতা ও দারিদ্র্য, উপকার ও অপকার- অন্য কারো হাতে তা নেই। হে আমার ইলাহ্! যদি আপনি আমাকে বঞ্চিত করেন তাহলে কে আমাকে রিযিক দেবে? আপনি যদি আমাকে সাহায্য করা থেকে বিরত থাকেন তাহলে কে আমাকে সাহায্য করবে? হে আমার ইলাহ্! আমার ওপর আপনার ক্রোধ ও অসন্তুষ্টি অবতীর্ণ হওয়া থেকে আপনার কাছে আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আমার ইলাহ্! আমি যদি আপনার রহমত প্রাপ্তির অযোগ্য হই তাহলে আপনি আপনার প্রাচুর্যের বদৌলতে আমার ওপর অসীম দয়া ও অবারিত দান করার যোগ্য।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আমি যেন আপনার সামনে দণ্ডায়মান এবং আপনার ওপর আমার নির্ভরতা (তাওয়াক্কুল) আমার প্রাণের ওপর সুশীতল ছায়া মেলে ধরেছে। অতঃপর আপনি যে বিষয়ের উপযুক্ত তা আঞ্জাম দিয়েছেন (বলেছেন) এবং আপনার ক্ষমা দিয়ে আমাকে ঢেকে দিয়েছেন।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আপনি যদি আমাকে ক্ষমা করেন তাহলে আপনার চেয়ে এ ব্যাপারে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত আর কে আছে? আর যদি আমার অন্তিম মুহূর্ত ঘনিয়ে আসে এবং আমার কর্ম আমাকে আপনার কাছাকাছি বা ঘনিষ্ঠ না করে তাহলে পাপ কাজের ব্যাপারে আমার স্বীকারোক্তিকে আপনার কাছে আমার উসীলা বা মাধ্যম হিসেবে দাঁড় করিয়েছি। হে আমার ইলাহ্! আমি আমার নাফসের ওপর দেখার ক্ষেত্রে জুলুম করেছি (তথা কামনা-বাসনাকে সীমালঙ্ঘনের সুযোগ দিয়েছি)। তাই আপনি যদি তাকে ক্ষমা না করেন তাহলে তার জন্য আক্ষেপ!
 
 
হে আমার ইলাহ্! আমার জীবদ্দশায় যেমন আমার ওপর আপনার সদাচরণ, দয়া ও উপকার অব্যাহত আছে তেমনি আমার মৃত্যুর সময় আমা থেকে আপনার সদাচরণ, দয়া ও উপকার ছিন্ন করবেন না। হে আমার ইলাহ্! আমার মৃত্যুর পর আমার প্রতি আপনার সুদৃষ্টি থেকে আমি কিভাবে নিরাশ হব অথচ আমার জীবদ্দশায় (আপনি) আমাকে সুন্দর ছাড়া আর কিছুই প্রদান করেন নি? হে আমার ইলাহ্! আপনি যে বিষয়ের উপযুক্ত কেবল সে বিষয়টাই আমার জন্য পরিচালনা করুন। ঐ পাপী যার অজ্ঞতা তাকে আবৃত করে রেখেছে, তার ওপর আপনি যেভাবে অনুগ্রহ করেন সেরূপ অনুগ্রহের মাধ্যমে আপনি আমার পাপগুলো ঢেকেছিলেন অথচ আমি আখেরাতে দুনিয়ার চেয়েও  সে সব পাপ গোপন রাখার ব্যাপারে আপনার কাছে বেশি মুখাপেক্ষী। যেহেতু দুনিয়ায় আপনি আমার পাপগুলোকে আপনার কোন সতকর্মশীল বান্দার কাছে প্রকাশ করেন নি, তাই সকল চোখের সামনে আমাকে কিয়ামত দিবসে অপমানিত করবেন না।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আপনার দান আমার আশা-আকাঙ্ক্ষাকে বাড়িয়ে দিয়েছে এবং আপনার ক্ষমা আমার আমলের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। হে আমার ইলাহ্! যেদিন আপনি আপনার বান্দাদের মাঝে বিচার করবেন সেদিন আপনার সাক্ষাত দিয়ে আমাকে আনন্দিত করুন। হে আমার ইলাহ! আপনার কাছে আমার অজুহাত ঐ ব্যক্তির অজুহাত প্রদর্শনের অনুরূপ যে তার অজুহাত গৃহীত হওয়া থেকে অমুখাপেক্ষী হতে পারেনি। অতএব, হে ঐ সত্তা, যাদের কাছে পাপীরা অজুহাত প্রদর্শন করে থাকে (আপনি) তাদের (সবার) চেয়ে দয়ালু! আমার অজুহাত কবুল করুন। হে আমার ইলাহ্! আমার মনস্কামনা প্রত্যাখ্যান করবেন না। আমার লোভ তথা আপনার দয়া ও অবারিত দান পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষাকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করবেন না। আপনার কাছে আমার আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ছিন্ন করবেন না। হে আমার ইলাহ্! আপনি যদি আমাকে দীন-হীন করার ইচ্ছা করতেন তাহলে আমাকে হেদায়েত করতেন না। আর আপনি যদি আমার অপমান চাইতেন তাহলে আমাকে ক্ষমা করতেন না।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আমি ধারণা করছি না যে, আপনি আমাকে আমার এমন এক মনস্কামনা পূরণ করার ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যাত করবেন যা আপনার কাছ থেকে অন্বেষণ করার জন্য আমি আমার পুরো জীবনটাই শেষ করে ফেলেছি। হে আমার ইলাহ্! আপনি যেমন ভালোবাসেন ঠিক তেমনি সমস্ত প্রশংসা আপনারই জন্য যা সর্বদা, চিরকাল এবং অনাদি-অনন্তকাল ধরে বৃদ্ধি পাবে এবং কখনই নিশ্চি‏‎হ্ন হবে না।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আপনি যদি আমাকে আমার অপরাধের জন্য পাকড়াও করেন তাহলে আমি আপনার ক্ষমাকে আঁকড়ে ধরব। আপনি যদি আমাকে আমার পাপের কারণে পাকড়াও করেন তাহলে আমি আপনার ক্ষমার উসীলায় আপনাকে আঁকড়ে ধরব। আর আপনি যদি আমাকে জাহান্নামে প্রবেশ করান তাহলে আমি জাহান্নামের অধিবাসীদের কাছে ঘোষণা করছি যে, নিশ্চয়ই আমি আপনাকেই ভালোবাসি।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আপনার আনুগত্যের ক্ষেত্রে আমার আমল যদি ক্ষুদ্র হয় তাহলে আপনাকে পাওয়ার ক্ষেত্রে আমার আশা বড় হবে। হে আমার ইলাহ্! কিভাবে আমি আপনার কাছে  বঞ্চিত হব অথচ দয়া ও মুক্তিপ্রাপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আপনার মহানুভবতা সম্বন্ধে আমার সুধারণা জন্মেছে?
 
 
হে আমার ইলাহ্! আমি আমার সমগ্র জীবনকে আপনার প্রতি অমনোযোগিতার অনলে ধ্বংস করে ফেলেছি। আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার যন্ত্রণায় আমার যৌবনকে বার্ধক্যে রূপান্তরিত করে ফেলেছি। হে আমার ইলাহ্! আপনার প্রতি আমার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ প্রদর্শনের এবং আপনার অসন্তুষ্টির পথে আমার দৃঢ়ভাবে অবস্থানের দিনগুলোতে আমি জাগ্রত হইনি।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আমি আপনার বান্দা এবং আপনার বান্দার সন্তান যে আপনার সামনে দণ্ডায়মান এবং আপনার দয়া ও মহানুভবতার উসীলায় আপনার দ্বারস্থ হয়েছি এবং আপনার কাছে তাওয়াসসুল করছি তথা আপনার দয়া ও মহানুভবতাকেই উসিলা হিসেবে পেশ করছি। হে আমার ইলাহ্! আমি এমন এক বান্দা যে আপনার দৃষ্টিতে আমার লজ্জাহীনতার দরুন যা দিয়ে আপনার বিরোধিতা করেছি তা থেকে নিজেকে এখন পৃথক বলে গণ্য করছি। আমি আপনার কাছ থেকে ক্ষমা অন্বেষণ করছি। কারণ ক্ষমা হচ্ছে আপনার মহানুভবতারই একটি বৈশিষ্ট্য। হে আমার ইলাহ্! আমার কোন শক্তি ছিল না যাতে করে আমি তা দিয়ে আপনার বিরুদ্ধাচরণ থেকে বিরত থাকতে পারি, তবে সেই সময় ছাড়া যে সময় আপনি আমাকে আপনার ভালোবাসায় এবং আপনার ব্যাপারে অমনোযোগী থাকার দূষণ থেকে আমার অন্তঃকরণকে পবিত্র করার জন্য জাগ্রত করেছেন। আর আপনি যেমন আমার অস্তিত্বের ইচ্ছা করেছিলেন তদ্রূপ আমি অস্তিত্ব লাভ করেছি। তাই আমাকে আপনার দয়ার মাঝে প্রবেশ করানো এবং স্থান দেয়ার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আমার দিকে আপনি দৃষ্টি দিন ঐ ব্যক্তির প্রতি  দৃষ্টি দানের মতো যাকে আপনি আহ্বান করেছেন; অতঃপর সে আপনার আহ্বানে সাড়া দিয়েছে এবং যাকে আপনার সাহায্যের মাধ্যমে কর্মে নিয়োজিত করেছেন; অতঃপর সে আপনার আনুগত্য করেছে। হে নিকটবর্তী সত্তা! যিনি তাঁর প্রতি দাম্ভিক আচরণকারী থেকেও দূরে সরে যান না; হে অত্যন্ত দানশীল, মহানুভব সত্তা! যিনি কার্পণ্য করেন না ঐসব ব্যক্তির প্রতি যারা তাঁর কাছে সওয়াব প্রত্যাশা করেছে।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আমাকে এমন এক হৃদয় দিন যার আগ্রহ তাকে (আমাকে) আপনার নিকটবর্তী করবে, এমন এক জিহ্বা দিন যার সত্যবাদিতা আপনার কাছে উন্নীত হবে, এমন দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন চক্ষু দান করুন যার অধিকার (সুষ্ঠু ব্যবহার) যাকে  আপনার সান্নিধ্যে নিয়ে যাবে। হে আমার ইলাহ্! যে আপনাকে চিনেছে সে বিস্মৃত ও উপেক্ষিত হয় না। আর যে আপনার কাছে আশ্রয় নিয়েছে সে কখনই আপনার সাহায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় না। আর যার দিকে আপনি এগিয়ে আসেন সে কখনই অস্থির বা পেরেশান হয় না। হে আমার ইলাহ্! নিশ্চয়ই যে আপনার মাধ্যমে পথ চলেছে সে-ই আলোকপ্রাপ্ত। আর যে আপনার রজ্জুকে আঁকড়ে ধরে আসলে সে-ই মুক্তিপ্রাপ্ত।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আমি আপনার আশ্রয় নিয়েছি। অতঃপর আপনার রহমতের ব্যাপারে আমার যে সুধারণা আছে তা ব্যর্থ করে দেবেন না। আপনার অনুগ্রহ প্রাপ্তি থেকে আমাকে বাধাগ্রস্ত করবেন না। হে আমার ইলাহ্! আপনার বন্ধুদের মাঝে যারা আপনার বেশি ভালোবাসা প্রত্যাশা করেছে তাদের স্থানে আমাকে অধিষ্ঠিত করুন।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আপনাকে স্মরণ করার মাধ্যমে আপনার স্মরণকে জাগরূক রাখার জন্য আমাকে আগ্রহ-উদ্দীপ্ত করুন। আর আপনার পবিত্র নামসমূহের মাধ্যমে নাজাত-প্রাপ্তি এবং আপনার পবিত্র সান্নিধ্যে অবস্থান লাভ করার উচ্চ সংকল্প দিয়ে আমাকে অনুপ্রাণিত করুন। হে আমার ইলাহ্! আপনার কাছে আপনার মাধ্যমেই আমি দলিল পেশ করছি যাতে করে আপনি আমাকে আপনার অনুগত বান্দাদের পর্যায়ে অধিষ্ঠিত এবং আপনার সন্তুষ্টি আনয়ন করার যোগ্য স্থানে প্রবেশ করান। কারণ আমি নিজকে সুরক্ষা করতে সক্ষম নই এবং আমি নিজের উপকার করারও অধিকারী নই।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আমি আপনার দুর্বল, অপরাধী এবং আপনার কাছে অনুশোচনাকারী পাপী বান্দা। সুতরাং আমাকে ঐ সব ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত করবেন না যাদের থেকে আপনি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এবং যাদের ভুল-ত্রুটি তাদেরকে আপনার ক্ষমা থেকে বাধাগ্রস্ত করেছে। হে আমার ইলাহ্! আপনি আমাকে সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একমাত্র আপনার দিকে পুরোপুরি রুজু হওয়ার তওফিক দিন। আমাদের অন্তরের চোখগুলোকে আপনার দিকে দৃষ্টি দেয়ার মাধ্যমে আলোকিত করে দিন যাতে করে অন্তঃচক্ষুর দৃষ্টিসমূহ আলোর পর্দাগুলো ভেদ করে মহত্ত্বের খনিতে গিয়ে উপনীত হয় এবং আপনার পবিত্র সত্তার সম্মানের সাথে আমাদের আত্মা সংযুক্ত হয়।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আমাকে ঐ সব ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত করে দিন যাদেরকে আপনি আহ্বান করেছেন; অতঃপর তারা আপনার আহ্বানে সাড়া দিয়েছে, যাদের ওপর আপনি শুভ দৃষ্টি দিয়েছেন; অতঃপর তারা আপনার মহিমা ও গৌরব দর্শন করতঃ চিৎকার করে উঠেছে। অতঃপর আপনি তাদের সাথে সংগোপনে কথোপকথন করেছেন এবং তারা আপনার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে কর্ম সম্পাদন করেছে।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আমি আমার সুধারণার ওপর হতাশাব্যঞ্জক চিন্তাকে কর্তৃত্বশীল করিনি এবং আপনার অনুপম দয়া ও দানের ব্যাপারে আমার আশা ছিন্নভিন্ন ও কর্তিত হয়ে যায় নি। হে আমার ইলাহ্! যদি আমার অপরাধগুলো আপনার কাছে আমাকে অধঃপতিত করে দেয় তাহলে আপনি আমাকে আপনার উপর নির্ভরতার বদৌলতে মার্জনা করে দিন। হে আমার ইলাহ্! যদি পাপ ও অপরাধ আমাকে আপনার মহান কৃপার পর্যায় থেকে নিচে ফেলে দিয়ে থাকে তাহলে আপনার মহান দয়া ও করুণার প্রতি আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাকে জাগ্রত করবে।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার যোগ্যতা অর্জন করা থেকে অমনোযোগী হবার কারণে আমি যদি অসচেতনতার নিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে যাই তাহলে আপনার সুমহান নেয়ামতসমূহ সংক্রান্ত (আমার) পরিচিতি (জ্ঞান) আমাকে জাগ্রত করুক। হে আমার ইলাহ্! যদি আপনার ভয়ঙ্কর শাস্তি আমাকে জাহান্নামের আগুনের দিকে আহ্বান করে তাহলে আপনার মহান পুণ্য ও পুরস্কার আমাকে জান্নাতের দিকে আহ্বান করে।
 
 
হে আমার ইলাহ্! একমাত্র আপনার কাছেই আমি চাচ্ছি, একমাত্র আপনার কাছেই প্রার্থনা এবং প্রত্যাশা করছি। আপনার কাছে প্রার্থনা করছি যাতে করে আপনি হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর বংশধরগণের ওপর দরূদ ও সালাত প্রেরণ করেন। আমাকে ঐ সব ব্যক্তির অন্তর্ভুক্ত করুন যারা সর্বক্ষণ আপনার যিকির করে, আপনার সাথে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে না, আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা থেকে বিন্দুমাত্র গাফেল হয় না এবং আপনার নির্দেশকে তুচ্ছ জ্ঞান করে না।
 
 
হে আমার ইলাহ্! আপনার সর্বোচ্চ সৌন্দর্য্যমণ্ডিত সম্মানের আলোর সাথে আমাকে সংযুক্ত করে দিন যাতে করে আমি আপনার সঠিক পরিচিতি পাই এবং আপনি ছাড়া সব কিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিই এবং আপনার ব্যাপারে ভীত ও সতর্ক হই। হে সকল মহিমা ও সম্মানের অধিকারী! হে আল্লাহ্! হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর পবিত্র বংশধরগণের ওপর দরূদ ও সালাত অবতীর্ণ করুন এবং তাঁদেরকে বেশি বেশি  শান্তি ও নিরাপত্তা প্রদান করুন।
 
 
[এ দোয়াটি বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র পবিত্র আহলে বাইতের মহান ইমামগণ থেকে বর্ণিত প্রসিদ্ধ দোয়াসমূহের একটি। শেখ আব্বাস কুমী সংকলিত ‘মাফাতিহুল জিনান’ গ্রন্থে এ দোয়াটি বর্ণিত হয়েছে।


Md.Yousuf Miah
Accounts Officer
Daffodil International University

143
রাতে পবিত্র শবেবরাত। পরম রহমত ও ফজিলতের রাত। মহান আল্লাহর কাছ থেকে কোনো কিছু চেয়ে নেওয়ার এই যে অদম্য বাসনা, সেটি এরাতে অর্জন করা সম্ভব।
এ রাতটি মুসলমানদের কাছে ইবাদতের রাত হিসেবে পরিচিত। এ রাতে ইবাদতের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মুসলমানরা পরম করুণাময় আল্লাহর দরবারে তাঁদের আকুতি জানান। শবেবরাত অর্থ 'সৌভাগ্যের রজনী'। মর্যাদাপূর্ণ এ রাতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালা সবার ভাগ্য নির্ধারণ করেন বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন।
হিজরি ক্যালেন্ডার অনুসারে মধ্য শাবানের মধ্যরাত বা ১৪ তারিখের রাতটিকেই শবেবরাত বা মুক্তির রাত হিসেবে গণ্য করা হয়। আরবিতে এ রাতকে বলা হয় লাইলাতুল বরাত। পাপকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে গুনাহ থেকে মুক্তিলাভ ও আগামীর সৌভাগ্যময় প্রস্তুতির রাতও বলা হয় শবেবরাতকে।
এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে বলা হয়েছে, বরকতময় এ রজনীতে মুমিনদের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ বর্ষিত হয়। আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করা হয় মানুষের আমলনামা। নির্ধারিত হয় সব মানুষের আগামী এক বছরের রিজিক।
এই রাত প্রত্যেক মুসলমানের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। রমজান মাসের আগের মাস শাবান। রমজানের সিয়াম সাধনার প্রস্তুতি হিসেবে শাবান মাসকেও বরকতময় মাস বলে অভিহিত করা হয়েছে হাদিস শরিফে। এ রাতকে ইবাদতের জন্য উত্তম সময় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ক্ষমাপ্রার্থীদের এ রাতে আল্লাহতায়ালা ক্ষমা করেন। যাঁরা আল্লাহর কাছে রহমত ও বরকত প্রার্থনা করেন, তাঁরা তা পান। মহান আল্লাহ চান, মানুষ পাপ-কাজ থেকে মুক্ত হয়ে সুখ-সমৃদ্ধিতে জীবন যাপন করুক। তিনি চান মানুষ সত্য ও কল্যাণের পথে এসে সৌভাগ্য লাভ করুক।
এই রাত মানুষের মধ্যে শুভবোধের উন্মেষ ঘটায়, শুভচিন্তা ও সৎকর্মের আদর্শে তাকে নতুন করে উজ্জীবিত করে। শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে যা কিছু শুভ ও সুন্দর, তার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা হয়। সমাজে যে অন্যায়-অবিচার-অনাচার, তা দূর করা এবং সাধারণ মানুষের কষ্ট ও দুঃখ লাঘবের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে আকুতি জানানো হয়।
পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
শবে বরাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ সব মসজিদে ওয়াজ মাহফিল, ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার, আত্মীয়স্বজনের কবর জিয়ারত ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
তাৎপর্যপূর্ণ এ রাতের বিশেষ বরকত হাসিলের উদ্দেশ্যে বিশ্বের মুসলমানরা রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগি করেন।

144
বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্কের হাই-রেজ্যুলেশন থ্রিডি ডিজিটাল মডেল তৈরী করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন। গবেষকরা এর নাম দিয়েছেন ‘বিগ ব্রেন’।
 
শিগগিরই থ্রিডি মডেলের ডিজিটাল এই ব্রেনের মডেল স্নায়ুবিজ্ঞানীদের গবেষণার জন্য সহজলভ্য করে দেওয়া হবে। সম্প্রতি জার্নাল সায়েন্স ম্যাগাজিনে মস্তিষ্কের এই মডেল প্রকাশিত হয়েছে।
 
গবেষণার কাজে ৬৫ বছর বয়সী মৃত এক নারীর ব্রেনকে ৭ হাজার ৪শ ক্ষুদ্রতম ভাগে বিভক্ত করা হয়। এর প্রতিটি ভাগের অর্ধেকের পুরুত্ব হচ্ছে মানুষের একটি চুলের পুরুত্বের সমান।
 
তারপর গবেষকরা প্রতিটি ভাগকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটারে স্ক্যান করেন।
 
অবশেষে কম্পিউটারে স্ক্যান করা ব্রেনের ক্ষুদ্রতম ভাগগুলোকে একত্রিত করার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হয়।
 
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলা জটিল এই গবেষণা প্রক্রিয়ায় ৮০ বিলিয়ন নিউরোর উপর এই পরীক্ষা চালানো হয়।
 
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল ফ্লেচার বলেন, ডিজিটাল ব্রেনের মডেল আবিষ্কারের ফলে মস্তিষ্কের কটেক্সের প্রতিটি স্তর নিয়ে গবেষণার পথ সহজ হলো।

145
IT Forum / ভয়ে থাকতেন স্টিভ জবস!
« on: June 24, 2013, 10:45:14 AM »
অ্যাপেল কোম্পানির কর্ণধার স্টিভ জবসের উদ্ভাবিত পণ্যগুলোই বাজারে সেরাদের তালিকায় আছে। তবে ‘ডেইলি মেইল’-এর এক প্রতিবেদনে সম্প্রতি বলা হয়েছে, জীবনকালে স্টিভ জবস সব সময় এটা ভেবে ভয় পেতেন যে, তাঁর উদ্ভাবিত পণ্যগুলো খুব সহজেই পুরোনো হয়ে যাবে এবং লোকে সেগুলোকে আর মনে রাখবে না।
 
স্টিভ জবস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যে দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে, তাতে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্রগুলো অচল হয়ে যাবে।
 
১৯৯৪ সালে ৩৯ বছর বয়সে দেওয়া ওই সাক্ষাত্কারে জবস বলেন, ‘যখন আমার বয়স ৫০ বছর হয়ে যাবে, তখন আমার সব কাজ সেকেলে হয়ে যাবে।’
 
জবসের ওই সাক্ষাত্কার গত সপ্তাহে ইউটিউবে পোস্ট করা হয়েছে। ২০১১ সালে মৃত্যুর আগে তিনি আইপড, আইফোন ও আইপ্যাডের মতো জনপ্রিয় যন্ত্র উদ্ভাবন করে যান। তিনি বলেন, ‘এটি (প্রযুক্তির বাজার) এমন কোনো ক্ষেত্র নয় যেখানে কোনো একজন শিল্পী এমন এক চিত্র আঁকবেন, যা মানুষ শত শত বছর ধরে দেখবে বা এমন কোনো গির্জাও কেউ তৈরি করবে না, যেটিকে মানুষ কয়েক শতাব্দী পরে প্রশংসা করবে।... এটি এমন এক ক্ষেত্র যেখানে প্রত্যেকে নিজের কাজটুকু করে এবং বছর দশেকের মধ্যে তা হারিয়ে যায় এবং সত্যিই ১০ বা ২০ বছর পর সেগুলোকে আর ব্যবহার করা যায় না।’
 
জবস বলেন, ‘পলি জমে জমে যেমন পাহাড় হয়, এটিও তেমন। আপনারা সবাই মিলে এক পাহাড় গড়ে তুলছেন, সেখানে আপনি আপনার পলিটুকু দিলেন। এভাবে ওই পাহাড়টিকে আপনি একটু উঁচু করলেন। ... কেউ যদি নিখুঁত চোখে না দেখে, তবে আপনার অবদানটি তাঁর চোখেই পড়বে না। কেবল বিরল ভূতাত্ত্বিকদের চোখেই আপনার পলিটুকু ধরা দিতে পারে।’

146
জন্ম থেকেই পৃথিবীর আলো দেখেনি তারা। ছোটবেলা থেকেই কোরআন শোনার প্রতি আগ্রহ ছিল দু’জনের। যেখানেই কোরআন তেলাওয়াত হতো সেখানেই ছুটে যেত। চোখে না দেখলেও মন দিয়ে শুনতো কোরআনের সূরাগুলো। আর সেই আগ্রহ থেকেই কোরআনে হাফেজ হলো ৭ বছরের দু’সহোদর।
 
যেমন কণ্ঠস্বর, তেমন মায়াবী চেহারা তাদের। যেন একই বৃন্তে দু’টি ফুটন্ত গোলাপ। দু’ভাইয়ের কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত শুনে মুগ্ধ ফরিদগঞ্জবাসী। জন্মান্ধ হয়েও শুনে শুনে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করেছে ৭ বছরের জমজ দু’ভাই হাসান-হোসাঈন।
 
শনিবার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের মাহফিলে দু’ভাইয়ের কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত শুনে মুসলিমরা শুধু মুগ্ধই হননি, পুরস্কৃতও করেন তাদের।
 
ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সাহেবগঞ্জ গ্রামের কামিন উদ্দিন ছৈয়াল বাড়ির মো. আলমগীর হোসেনের জমজ এ দু’সন্তান হাসান-হোসাঈন।
 
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয়ার পর যখন তারা সমাজের চোখে অবহেলিত ছিল, তখন বাবা-মা তাদের কোরআনে হাফেজ করে সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য করার স্বপ্ন দেখলেন।
 
গত এক মাস আগে হাসান-হোসাঈনের বাবা মো. আলমগীর হোসেন তাদের ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের ইমাম আলহাজ মো. নজরুল ইসলামের কাছে কোরআন শিক্ষার জন্য ভর্তি করিয়ে দিয়ে যান।
 
মাত্র এক মাসে আলহাজ মো. নজরুল ইসলামের নিরলস প্রচেষ্টায় তারা এখন কোরআনে হাফেজ। তারা শুধু কোরআনের সূরাগুলো মুখস্ত বলতেই পারে না। শুদ্ধ তেলাওয়াতও করতে পারে।
 
এ ব্যাপারে আলহাজ মো. নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওরা দু’জনই আমার ছাত্র। ইচ্ছাশক্তি থাকলে অন্ধ থেকেও যে আল্লাহর কালাম শরীফ পবিত্র কোরআন যে কেউ মুখস্ত করতে পারে হাসান-হোসাঈন তার বাস্তব উদাহরণ। আমি আশাবাদী, ওরা আগামীতে আরো ভালো করবে।

147
জৈষ্ঠ্য মাসকে আমাদের দেশে মধুমাস বলা হয়। কারণ এ সময় বাজার নানা রকম দেশীয় ফলে পরিপূর্ণ থাকে, আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু আরো কতো কি। এতো ফলের ভিড়ে কেন যেন একটু আড়ালেই থেকে যায় আমাদের অতি চেনা কালো জাম। যদিও বাজারে জামের স্থায়ীকাল অন্যান্য মৌসুমি ফলের তুলনায় কম তারপরও পুষ্টিগুণে এর তুলনা অতুলনীয়।
কালো জামের পুষ্টিগুণ:
       •    ভিটামিন ‘সি’ গরমে ঠান্ডাজনিত জ্বর, কাশি ও টনসিল ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে। দূর করে জ্বর জ্বর ভাব। আর দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করতেও এর অবদান অপরিসীম। জামের ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তিকে করে শক্তিশালী।
       •    ক্যানসারের জীবাণু ধ্বংস করার জন্য জামে রয়েছে চমকপ্রদ শক্তি। জাম মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। জামে যে উপাদান রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে -এমনটাই জানালেন আমেরিকার একদল গবেষক।
       •    বৃদ্ধ বয়সে চোখের অঙ্গ ও স্নায়ুগুলোকে কর্মময় করতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মা, বাড়ন্ত শিশুদের জন্যও এই ফল ভীষণ উপকারী।
       •    জামে গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ রয়েছে, যা মানুষকে জোগায় কাজ করার শক্তি।
       •    বয়স যত বাড়তে থাকে, মানুষ ততই হারাতে থাকে স্মৃতিশক্তি। জাম স্মৃতিশক্তি  প্রখর রাখতে সাহায্য করে।
       •    উচ্চ রক্তচাপ বা হাইব্লাড প্রেসার ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম ভীষণ উপকারী। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে জাম।
       •    দীর্ঘ দিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মলদ্বারে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জামের বাইরের আবরণে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ। আঁশজাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।  জাম মলদ্বার বা কোলনের ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
       •    জামে মধ্যে পাওয়া গেছে ইলাজিক এসিড নামের এক ধরনের এসিডের উপস্থিতি, যা ত্বককে করে শক্তিশালী। তিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বক ও চুলকে রা করে। এই ইলাজিক এসিড তিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।   জাম লড়াই করে হৃৎপিন্ডের অসুখ, জরায়ু, ডিম্বাশয়, মলদ্বার ও মুখের ক্যানসারের বিরুদ্ধে।
       •    জামের কচিপাতা পেটের পীড়া নিরাময়ে সাহায্য করে। জামের বীজ থেকে প্রাপ্ত পাউডার বহুমুত্র রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। পাকা জাম বিট লবন মাখিয়ে ৩-৪ ঘন্টা রেখে হাত দিয়ে মেখে নরম কাপড়ে ছেঁকে যে রস বের হয় তা পাতলা পায়খানা, অরুচি ও বমিভাব দূর করে।
এছাড়াও আমরা জাম থেকে রস, স্কোয়াশ ও অন্যান্য সংরক্ষিত খাদ্য তৈরি করে সংরক্ষণ করতে পারি।

148
কাঁঠাল গ্রীষ্মকালীন ফল। আমাদের দেশের সর্বত্র কাঁঠাল গাছ পরিদৃষ্ট হয়। কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল হলেও এই সুস্বাদু ফলের পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে অনেকেরই সঠিক ধারণা নেই। পাকা কাঁঠালের ক্যালরি মূল্য প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৯০ কিলোক্যালরি এবং মোট খনিজ লবণের পরিমাণ প্রায় ০.৯। কাঁচা কাঁঠালের ফাইবারের পরিমাণ পাকা কাঁঠালের চেয়ে বেশ কয়েক গুণ বেশি। তাই ডায়াবেটিক মানুষের জন্য কাঁচা কাঁঠাল উপকারী। রক্তের চিনির মাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য কাঁচা কাঁঠালের জুড়ি নেই। কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে মাছ অথবা মাংসের মজাদার রেসিপি তৈরি করা যায় যা একদিকে যেমন মুখরোচক তেমনি অন্যদিকে স্বাস্থ্যকর। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পাকা কাঁঠালের কোয়া পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো।
কাঁঠাল কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়। বসন্তকাল থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত কাঁচা কাঁঠাল ইচোড়’ সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। পাকা ফল বেশ পুষ্টিকর, কিন্তু এর গন্ধ অনেকের কাছে ততটা আকর্ষণীয় নয়। তবু মৃদু অম্লযুক্ত সুমিষ্ট স্বাদ ও স্বল্পমূল্যের জন্য অনেকে পছন্দ করেন। কাঁঠালের আঁটি তরকারির সাথে রান্না করে খাওয়া হয় অথবা পুড়িয়ে বাদামের মত খাওয়া যায়। মূলত পাকা কাঁঠালে কোষ খাওয়া হয়, এই কোষ নিঙড়ে রস বের করে তা শুকিয়ে আমসত্বের মত ‘কাঁঠালসত্ব’ও তৈরি করা যায়। এমনটি থাইল্যান্ডে এখন কাঁঠালের চিপস্ তৈরি করা হচ্ছে। কাঁঠালের কোষ খাওয়া পর যে খোসা ও ভুতরো অমরা থাকে তা গবাদি পশুর একটি উত্তম খাদ্য। ভুতরো বা ছোবড়ায় যথেষ্ট পরিমাণে পেকটিন থাকায় তা থেকে জেলি তৈরি করা যায়।
কাঁঠালের পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালের থাকে খাদ্যআঁশ ২ গ্রাম, আমিষ ১ গ্রাম, শর্করা ২৪ গ্রাম, চর্বি ০.৩ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ৩৭ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৩০৩ মিলিগ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ ০.১৯৭ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ২৯৭ আই.ইউ, ভিটামিন সি ৬.৭ মিলিগ্রাম, থায়ামিন (ভিটামিন বি১) ০.০৩ মিলিগ্রাম, রিবোফেবিন (ভিটা বি২) ০.১১ মিলিগ্রাম, নায়াসিন (ভিটা বি৩) ০.৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬০.১০৮ মিলিগ্রাম ।
কাঁঠালের উপকারীতা
কাঁঠাল পুষ্টি সমৃদ্ধ। এতে আছে থায়ামিন, রিবোফাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিনসহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। অন্যদিকে কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন থাকায় তা মানব দেহের জন্য বিশেষ উপকারী।
কাঁঠালে চর্বিও পরিমাণ নিতান্ত কম। এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশংকা কম।
কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। যারা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্যে কাঁঠালে উচ্চরক্তচাপের উপশম হয়।
কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ আছে যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
কাঁঠালের অন্যতম উপযোগিতা হল ভিটামিন সি। প্রাকৃতিকভাবে মানবদেহে ভিটামিন “সি” তৈরি হয় না। রোগ প্রতিরোধ মতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে ভিটামিন “সি”।
কাঁঠালে বিদ্যমান ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস- আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সক্ষম।
কাঁঠালে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির‌্যাডিকেলস থেকে রা করে। এছাড়াও আমাদেরকে সর্দি-কাশি রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল বেশ কার্যকরী।
বদহজম রোধ করে কাঁঠাল।
কাঁঠাল গাছের শেকড় হাঁপানী উপশম করে। শেকড় সেদ্ধ করলে যে উৎকৃষ্ট পুষ্টি উপাদান নিষ্কাশিত হয় তা হাঁপানীর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।
চর্মরোগের সমস্যা সমাধানেও কাঁঠালের শেকড় কার্যকরী। জ্বর এবং ডায়রিয়া নিরাময় করে কাঁঠালের শেকড়।
কাঁঠালে আছে বিপুল পরিমাণে খনিজ উপাদান ম্যাঙ্গানিজ যা রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কাঁঠালে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মত হাড়ের গঠন ও হাড় শক্তিশালী করণে ভূমিকা পালন করে।
কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি৬ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
কাঁঠালে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম কেবল হাড়ের জন্য উপকারী নয় রক্ত সংকোচন প্রক্রিয়া সমাধানেও ভূমিকা রাখে।
ছয় মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয়। অন্যদিকে তার প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।
চিকিৎসা শাস্ত্র মতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মহিলা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়। গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থসন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়। দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
এই ফল আঁশালো বিধায় কোষ্ঠকাঠিণ্য দূর করে।
কাঁঠালে রয়েছে খনিজ উপাদান আয়রন যা দেহের রক্তাল্পতা দূর করে।
এছাড়া কাঁঠাল গাছের পাতা গবাদি পশুর একটি মজাদার খাদ্য। আবার এ গাছ থেকে তৈরি হয় মুল্যবান আসবাবপত্র। কাঁঠাল ফল ও গাছের আঁঠালো কষ কাঠ বা বিভিন্ন পাত্রের ছিদ্র বন্ধ করার কাজে ব্যবহৃত হয়।

149
Food / শসার আছে নানা গুণ
« on: June 23, 2013, 04:41:20 PM »
শসা খাওয়া সুন্নত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি শসা খুব পছন্দ করতেন। তাইতো শসার এত গুণ। পচন্ডে গরমে শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন মনে হয় ঠান্ডা কিছু খেতে যদি সেটা হয় শসার তাহলে তো জুড়ি নেই। শসা খেলে শরিরের পানি চাহিদা পুরণ হয় শতকরা ৯৫ভাগ। এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীর শীতল রাখতে সহায়তা করে। শসায় ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। প্রতি ১০০ গ্রাম শসায় আছে মাত্র ১৫ ক্যালরি। এতে কোনো সম্পৃক্ত চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই।
সাদাসিধে এই শসার খোসার গুণও খুব একটা কম নয়। খোসাসহ শসা কোষ্ঠকাঠিন্য কে কমিয়ে দেবে অনেক খানি এবং অন্ত্র থেকে দেহের জন্য ক্ষতিকর পদার্থগুলোকে বের করে দিয়ে অন্ত্রের ক্যান্সারের মত রোগ থেকে কিছুটা রক্ষা করে । শসায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। কারণ এই আয়নটি রক্তচাপ কমিয়ে আনতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শসায় পানি এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি মৃদু মাত্রার মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। যার দরুণ উচ্চরক্তচাপ ও ওজন কমাতে শসার ভূমিকা বেশ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া খাদ্যতালিকায় শসাকে নিয়মিত রেখে দেহের ইউরিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কিডনি ও মূত্রথলির কতিপয় পাথর থেকে পেতে পারেন। শসায় বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ল্যুটেইন প্রভৃতি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের সুরায় বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। দেহযন্ত্রের নানাবিধ ক্রিয়া-বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন হওয়া ক্ষতিকর মুক্তআয়নগুলো থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো। তারুণ্য ধরে রাখতেও এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর জুড়ি নেই।
শুনতে একটু আজব হলেও একথা সত্যি যে শসায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে। ভিটামিন কে আমাদের দেহের হাড়গুলোকে সুস্থ রাখতে সব সময় অনবদ্য। শুধু তাই নয় স্নায়ুর ক্ষতিগ্রস্ততাকে কমিয়ে ‘আলঝেইমার ডিজিজ’-এর মত রোগেও নিরীহ শসা ভূমিকা রাখতে পারে বলে সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা মতপ্রকাশ করেছেন। সৌন্দর্য চর্চায়ও আপনার সঙ্গী হতে পারে এই শসা। ত্বকের নানাবিধ সমস্যা, চোখের চারপাশের ফোলাভাবসহ ত্বকের সকল প্রকার ক্লান্তি দূর করে ত্বককে প্রাণবন্ত করে তুলতে শসার ভূমিকা খুব একটা কম নয়। নানারকম গুণে ভরপুর এই শসাকে আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শসা রাখুন।

শসার গুণাগুণ সম্পর্কে জানি
* শসা হল কিউকারবিটা সি ফ্যামিলির অন্তর্গত। শসায় প্রায় ৯৫% পানি আছে। এছাড়াও আছে সিলিকা, ম্যাগনেশিয়াম, লিগনেন, পটাশিয়াম, লাইপোজ ইম ইত্যাদি উপাদান। তাই শুধু গরমেই নয়, বছরের যে কোনও সময়ই শসা খাওয়া উচিত।
* শসায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকার জন্য তা রিহাইড্রেট করার পাশাপাশি শরীরকে টক্সিনমুক্ত করে। গরমের সময় শরীর থেকে ঘাম হয়ে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। এই রিহাইড্রেশন তাই খুবই জরুরি। শসায় থাকা প্রতিটি ভিটামিন ও মিনারেলস প্রতিদিন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।
* শসায় থাকে এরিপসিন নামে এনজাইম। এই এনজাইম প্রোটিন ব্রেক ডাউন করে। ইউরিক এসিড মেটাবলিজমে সাহায্য করে।
* সিলিকা নামে যে উপাদান শসায় থাকে তা আমাদের হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে হাড়-সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের সমস্যা যেমন-আর্থারাইটিস, গাউট প্রতিরোধ-নিয়ন্ত্রণ দুই-ই করা যায়।
* শসায় থাকে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদানগুলো রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতেও এই দুই উপাদানের বড় ভূমিকা আছে। কাজেই হাইপ্রেশার এবং লোপ্রেশার-দুই ধরনের রোগীই নিশ্চিন্তে শসা খেতে পারে।
* শসার ম্যাগনেশিয়াম এবং সিলিকা স্কিনের জন্যও ভালো। সিলিকা ও ম্যাগনেশিয়াম থাকার জন্যই শসা প্যাক হিসেবে নেওয়া হয়। এতে স্কিনের ইরিটেশন কমে, ত্বকের উজ্বল করতে সাহায্য করে।
* শসার প্যাক নিলে ত্বক পানি ধরে রাখতে পারে। ত্বক সজীব রাখার জন্য শসায় থাকা ক্যাসেইক এসিডের ভূমিকাই প্রধান।
* অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি লাইপোজ ইম থাকার জন্য এক টুকরা শসা মুখে রেখে দিলে জীবাণু নষ্ট হয়, দূর হয় মুখের দুর্গন্ধ।
* শসার মধ্যে থাকে ৩ ধরনের লিগনেন। যেমন-ল্যারিসায়ারেসিনল, পাইনোরেসিনল এবং সেকয়সোলারিসায়ারসিনল ইত্যাদি। এই লিগনেনগুলো নানা ধরনের ক্যানসার যেমন-ব্রেস্ট প্রস্টেট, ইউটেরাইন এবং ওভারিয়ান ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
* ডায়বেটিক রোগীদের জন্য শসা খুবই উপকারী। শসার মধ্যে থাকা পলিপেপটাইড সি প্যাংক্রিয়াসের ইনসুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে।
* শসার জল ও ফাইবার কনটেন্টের জন্য কিডনি-স্টোন প্রতিরোধ করে।  ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও।
* ফাটা দাগ বা ভঙ্গুর নখের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে শসার সিলিকা উপাদান।
* আর সালাদ হিসেবে তো সবারই প্রিয় । তরকারিতেও চমৎকার। -

150
Health Tips / Re: ব্যায়ামের সময়
« on: June 20, 2013, 05:12:30 PM »
good tips...............


Md.Yousuf
Accounts Officer

Pages: 1 ... 8 9 [10] 11 12