Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - yousuf miah

Pages: 1 ... 9 10 [11] 12
151
 helpful information.


thanks
Md.Yousuf Miah
Accounts Officer

152
  ‘হে জিন ও মানবকুল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিগম করা
    যদি তোমাদের সাধ্যে কুলোয় তবে অতিগম কর। তবে (আল্লাহ
    তাআলার পক্ষ থেকে) ক্ষমতা ব্যাতিরেকে তোমরা তা অতিগম
    করতে পারবে না। (রহমান, ৫৫ : ৩৩)

এই আয়াতের প্রকৃত অনুবাদ বুঝার জন্যে কিছু ব্যাখ্যার প্রয়োজন। বাংলা
ভাষায় ‘যদি’  শব্দটি এমন একটি শর্ত নির্দেশ করে যা,
হয়তো সম্ভব কিংবা অসম্ভব। আরবি ভাষায় ‘যদি’ বুঝানোর জন্যে
একাধিক শব্দ ব্যবহৃত হয়। যখন ‘লাও’ শব্দ ব্যবহৃত হয়, তা এমন
একটি শর্ত নির্দেশ করে যা অসম্ভব। আর যখন ‘ইন’ শব্দ ব্যবহৃত
হয়, তা এমন একটি শর্ত নির্দেশ করে, যা সম্ভব। উপরিউক্ত আয়াতে
কুরআন মাজিদ ‘ইন’ শব্দ ব্যবহার করেছে। ‘লাও’ শব্দ ব্যবহার
করেনি। অতএব কুরআন মাজিদ ইঙ্গিত করছে, এক্ষেত্রে সম্ভাব্যতা
বিদ্যমান রয়েছে যে, মানুষ একদিন নভোম-ল ও ভূম-লের স্তরসমূহ ভেদ
করতে পারবে। আরও লক্ষণীয় যে, নিম্ন লিখিত আয়াতেও মহাশূন্য ভেদ
করার কথা উল্লেখ করে। কিন্তু তাতে ‘লাও’ ব্যবহৃত হয়েছে


    ‘আর যদি আমি ওদের সামনে আকাশের কোনো দরজাও খুলে দিই, আর
    তারা তাতে দিনভর আরোহনও করতে থাকে, তবুও তারা এ কথাই বলবে,
    আমাদের দৃষ্টির বিভ্রাট ঘটানো হয়েছে, না- বরং আমরা যাদুগ্রস্ত হয়ে
    পড়েছি।’ (হিজর, ১৫ : ১৪-১৫)

এই আয়াতটিতে মক্কার কাফিরদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা
হয়েছে, এমনকি যদি তারা নভোম-ল ভেদ করতেও সক্ষম হয়, তারা
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণীকে বিশ্বাস করবে না।
এই আয়াতে যে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তা হচ্ছে ‘লাও’ যা এমন
সম্ভাবনার কথা বলে, যা বাস্তবায়িত হওয়ার নয়। ইতিহাস দেখিয়েছে,
মক্কার কাফিররা মুহাম্মদ সাল্লাল্ললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
অসংখ্য মুজিজা প্রত্যক্ষ করেছে। তথাপি তারা তিনি যে বার্তা নিয়ে এসেছিলেন
তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে নি।

ইতোপূর্বে উদ্ধৃত আয়াত সম্পর্কে আরো একটি বিষয় লক্ষ্য করার আছে।
তাতে আরবি শব্দ ‘তানফুযু’ ব্যবহৃত হয়েছে, যার ক্রিয়ামূল হল
‘নাফাজা’ যার পরে আরবি শব্দ ‘মিন’ এসেছে। আরবি অভিধান
অনুসারে এই বাকরীতির অর্থ হল, ‘সোজা অতিক্রম করা এবং একটি বস্তুর
একদিকে প্রবেশ করে অন্যদিক দিয়ে বেরিয়ে আসা। অতএব এটি নির্দেশ
করে একটি গভীর অনুগমন এবং একটি বস্তুর অপরপ্রান্ত দিয়ে নির্গমন।
এটি হুবহু তা-ই, যে অভিজ্ঞতা বর্তমানে মহাশূন্য বিজয়ের ক্ষেত্রে মানুষ
লাভ করেছে। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি একটি বস্তু ছেড়ে দেয় এবং তা
মহাশূন্যে তার বাহিরে নির্গমন করে। এভাবে কুরআন মাজিদ মহাশূন্য
বিজয়ের বিস্ময়কর ঘটনা বর্ণনার ক্ষেত্রে সর্বাধিক উপযুক্ত শব্দ ব্যবহার
করেছে। অধিকন্তু এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিকতথ্য, সর্বাধিক উপযুক্ত
শব্দে, চৌদ্দশ বছরেরও পূর্বের এমন একজন নিরক্ষর মানুষের নিছক কল্পনা
বলে আরোপিত হতে পারে না, যিনি তার পুরো জীবন কাটিয়েছেন একটি
মরুময় এলাকায়।

    অতি পারমানবিক কণিকার উপস্থিতি
    আর কাফিররা বলে, ‘কিয়ামত আমাদের কাছে আসবে না’।
    বলুন, ‘অবশ্যই আমার রবের কসম! যিনি অদৃশ্য সম্পকের্ অবগত,
    তা তোমাদের কাছে আসবেই। আসমানসমূহে ও জমীনে অন ু
    পরিমাণ কিংবা তার চেয়ে ছোট অথবা বড় কিছুই তার অগোচরে
    নেই। বরং সব কিছু সুস্পষ্ট কিতাবে (লিপিবদ্ধ) রয়েছে। (সাবা,
    ৩৪ : ০৩)

এই আয়াতে যে আরবি শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে তা হল, ‘যাররাহ’ ।
আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলী ও মারমাডিউক পিকথাল ইংরেজিতে ‘যাররাহ’
শব্দের অনুবাদ করেছেন ‘যাররাহ’ বা পরমাণু শব্দ দ্বারা। যখন এই আয়াত
অবতীর্ণ হয় তখন ‘যাররাহ’ (পরমাণু) ছিল মানুষের জানা মতে সবচেয়ে
ক্ষুদ্র কণিকা। এই আয়াতে কুরআন মাজিদ ‘যাররাহ’র চেয়েও ক্ষুদ্রতর
কণিকার উপস্থিতির কথা বর্ণনা করে।

পদার্থ বিজ্ঞানের সাম্প্রতিক গবেষণা দেখিয়েছে, পরমাণুকে আরও ক্ষুদ্রতর
এককে বিভাজিত করা যেতে পারে। কুরআন মাজিদ এই বিষয়টির স্বীকৃতি
দিয়েছে পদার্থ বিজ্ঞানীরা তা আবিষ্কার করার চৌদ্দশ’ বছরেরও অধিককাল
পূর্বে।

153
 বাল্টিক সাগর পাড়ে ছোট বড় অসংখ্যা লেক আর প্রকৃতি ঘেরা নয়াভিরাম সৌন্দর্য্যের দেশ সুইডেন। সুইডেন হলো পশ্চিম ইউরোপের স্ক্যানডেনেভিয়ান অঞ্চলের একটি দেশ।আয়তনের দিক থেকে এটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তৃতীয় বৃহত্তম একটি দেশ। এর মোট জনসংখ্যা হলো ৯.৫ মিলিয়ন। মাথাপিছু আয়ের দিকে দিয়ে এটি বিশ্বের অষ্টম এবং মানব উন্নয়ন সূচকে বিশ্বের তৃতীয়।
 
 
গ্রীষ্মকালে এখানকার সৌন্দর্য্য চোখে পড়ার মত। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারনে মানুষগুলো অনেক শান্ত, ভদ্র।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সাথে সুইডেনের বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক অনেক দিনের। ১৭ ও ১৮ শতকে অটোমান শাসকদের সাথে সুইডেনের সম্পর্ক ছিলো উল্লেখ করার মতো। অটোমান রাজ্য ছিলো ইউরোপের মধ্যে অনেক শক্তিশালী। সুইডিস রাজারা তাদের আনুকুল্য লাভের জন্য সেই সময়ে তুর্কিতে তাদের রাষ্ট্রদুত নিয়োগ করে। তখন থেকে মুসলিম সংষ্কৃতির সাথে সুইডেনের পরিচয় ঘটতে থাকে। তবে সুইডেনে মুসলিমদের উপস্থিতি সাম্প্রতিক ঘটনা।
 
 
সুইডেনে সর্বপ্রথম ১৯৩০ সালে ১৫ জন ব্যক্তি নিজেদের মুসলিম বলে চিহ্নিত করে। তারাই প্রথম মুসলিম যারা প্রাথমিক ভাবে বাল্টিক তাঁতারদের মধ্য থেকে এসেছিলো। বর্তমানে সুইডেনে মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ। সুইডিশ কমিশন ফর স্টেইট গ্রান্ট টু রেলিজিয়াস কম্যুনিটিস এর জরিপ অনুযায়ী প্রাকটিসিং মুসলিমের সংখ্যা হলো মধ্যে ১১০০০ জন । তাদের জরিপ অনুযায়ী  ইসলাম অনুসারীদের  প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হবে। তাদের গণনা অনুযায়ী এর সংখ্যা ১৫০০০০ জন এর কাছাকাছি। সান্ডার স্বীকার করেন যে, মুসলিম শব্দটি সুইডেন এর ক্ষেত্রে সংজ্ঞায়িত করা সমস্যা। তিনি চারটি ক্যাটেগরিতে মুসলিমদের সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেন  এথনিক-,সংষ্কৃতিক-,ধর্মীয়, এবং রাজনৈতিক মুসলিম। একজন এথনিক মুসলিম বলতে যেকোন মুসলিম কে বুঝায়, যারা এমন স্থানে জন্মগ্রহন করেছে যেখানকার পরিবেশ মুসলিম সংষ্কৃতির প্রথার আধিপত্য রয়েছে এবং যারা এমন নাম বহন করে যেটি সেই প্রথার সাথে যুক্ত; এছাড়া এই শ্রেনীর অংশ তারা, যারা নিজেদের এই পরিবেশের অংশ মনে করে বা যারা চিহ্নিত হয়। এই সংজ্ঞাটি সংষ্কৃতিক যোগ্যতা, ধর্মীয় বিশ্বাস, ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী সক্রিয় অংশগ্রহন, এবং ব্যক্তির ইসলামের প্রতি মনোভাব বা চিন্তা হতে মুক্ত। এভাবে তিনি বিভিন্নভাবে মুসলিমদের সংজ্ঞায়িত করেন।
 
 
পশ্চিম ইউরোপ এর মধ্যে সুইডেন হলো একটি মিশ্রিত মুসলিম জনগোষ্ঠির দেশ। ৪০ টির ও বেশি দেশ থেকে মুসলিমরা সুইডেন এ এসেছে। প্রথম গ্রুপটি আসে ১৯৬০ সালে তুর্কি থেকে গেষ্ট শ্রমিক হিসেবে, সম্ভবত সুইডেনে থাকার তাদের কোন ইচ্ছে ছিলোনা। কিন্তু তাদের অনেকেই থেকে যায় এবং তাদের পরিবার আসা শুরু করে ১৯৭০ ও ১৯৮০ সালের দিকে। সংষ্কৃতি এবং ধর্মকে ধরে রাখা এবং সংরক্ষনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন অনুভব শুরু হতে থাকে। ফলে আস্তে আস্তে কিছু মুসলিম স্কুল প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
 
 
১৯৮০ সালে দিকে মুসলিম রিফিউজির সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং তখন থেকে তুর্কি মুসলিমরা আর সংখ্যা গরিষ্ঠ থাকেনা। সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী গ্রুপ আসে ইরাক, ইরান, সোমালিয়া, বলকান এবং পাকিস্তান থেকে। এছাড়াও বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার থেকে অনেক মুসলিম আসা শুরু করে ৭০ এর দশকের পর থেকে।
 
 
মুসলিমদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বর্তমানে ইসলাম দ্বিতীয় অফিসিয়াল ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। অধিকাংশ সূউডিশ মুসলিমরা তিনটি বড় শহরে বসবাস করে -স্টকহোল্ম, মালমো, এবং গোথেনবার্গ এ। তাদের বেশির ভাগ ই আবার বাস করে শহরতলিতে যেমন স্টকহোল্মের রিংকেবি, টেনেস্তা এবং খারহোলমেন, গোথেনবার্গের হাম্মারকুল্লেন এবং ইয়ালবো, এবং মালমোর রোজেনগর্ড।
 
 
ইসলামী সংগঠন
সুইডেনের প্রথম ইসলমাই সংগঠন হলো FIFS (Förenade Islamiska Församlingar i Sverige) যেটি ১৯৭৩-১৯৭৪ সালে যাত্রা শুরু করে। এরপর সংগঠনটি ১৯৮২ ও ১৯৮৮ সালে অন্তর্দ্বন্দ্ব, সংষ্কৃতিক বিভিন্নতা, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও ফান্ডের সমস্যার কারনে দুভাগে বিভক্ত হয়ে SMF (Svenska Muslimska Förbundet) and ICUS, today IKUS (Islamska Kulturcenterunionen i Sverige) নামে দুটি সংগঠন তৈরী করে। এছাড়া আর জাতিয় সংগঠন গুলো হচ্ছে BHIRF (Bosnien-Hercegovinas Islamiska riksförbund), যা বসনিয়ান রিফিউজিদের দ্বারা 1995 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, IRFS (Islamiska Riksförbundet), প্রতিষ্ঠিত হয় 1995 সালে, এবং রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ নুত বার্নস্ট্রম ২০০০ সালে একটি ভবিষ্যত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য SIA (Svenska Islamiska Akademin) গঠন করে, SIA February 2001 থেকে মিনারেত নামে একটি পিরিওডিকাল প্রকাশ করে আসছে।
 
 
এছাড়া আরো কিছু অন্যান্য স্থানীয় ছোট ছোট সংগঠন রয়েছে যেগুলো মূলত কিছু নির্দিষ্ট গ্রুপের মানুষকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এগুলোর মধ্যে SMUF, বর্তমানে SUM (Sveriges Unga Muslimer) নামে পরিচিত। এটি মূলত মুসলিম যুবকদের নিয়ে গড়ে উঠা সবচেয়ে বড় সংগঠন যা ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মহিলাদের নিয়ে গঠিত সংগঠন IKF (Islamiska Kvinnoförbund i Sverige), এছাড়া যবকদের IUF (Islamiska Ungdomförbundet i Sverige) এবং ঈমামদের SIR (Sveriges Imamråd)। সাম্প্রতিক সময়ে সুইডেনে ইসলামিক ফোরাম অফ ইউরোপ এর শাখা চালু করা হয়, ফলে বাঙ্গালীদের দ্বারা গঠিত একমাত্র ইসলামি সংগঠন সুইডেনে কাজ শুরু করে। ধীরে ধীরে এর পরিসর বাড়ছে।
 
 
সরকারিভাবে ধর্মান্তরিত মুসলিমদের কোন সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না, তবে মালমো কলেজের ইতিহাসবিদ আন সোফি রোয়াল্ড এর মতে ১৯৬০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৫০০ জন খ্রীষ্টান মুসলিমে ধর্মান্তরিত হয়েছে। সাম্প্রতিক মসয়ে মুসলিম অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়ার ফলে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার হার এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। তবে অপরদিকে কিছু মুসলিম ও অন্যধর্ম বিশেষ করে খ্রীষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হয়। অভিবাসী মুসলিমদের মধ্যে ইরানী মুসলিমদের অবস্থা খুবই খারাপ। সুইডিস ইরানীদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন নিজেকে মুসলিম বলে অস্বীকার করে। সুইডিশ ধর্মান্তরিত মুসলিমদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন প্রখ্যাত পেইন্টার ইভান আগুয়েলি যিনি তার মুসলিম নামে (আব্দুল হাদি আল মাগরিবি) বেশি পরিচিত, এছাড়া মুহাম্মদ নুত বার্নস্ট্রম যিনি ১৯৮৮ সালে সুইডিস ভাষায় কুরআন অনুবাদ করেন।
শেষে একটি কথায় বলা যায় যে, সুইডেনে মুসলিম ও ইসলামের ভবিষ্যত অনেক উজ্জ্বল।
 
 
মসজিদ
সুইডেনে ছোটবড় প্রায় ২৫০ অনেক মসজিদ আছে। তবে বেশির ভাগ মসজিদই বিল্ডিংয়ের বেইসমেন্টে এক বা দুটি রুম নিয়ে গঠিত। নির্মিত মসজিদ হলো মোট ৭ টি। এর মধ্যে পাচটি সুন্নি মসজিদ স্টকহোল্ম, উপশালা, মালমো ও ভাসতারাসে, একটি শিয়া মসজিদ ট্রলহাত্তানে এবং একটি আহমদিয়া মসজিদ গোথেনবার্গে অবস্থিত। সুন্নি বড় মসজিদ গুলো হলো, মালমো মসজিদ (১৯৮৪), স্টকহোল্ম মসজিদ (২০০০), উপশালা

154
Zakat / Spend in the way of Allah
« on: June 19, 2013, 10:07:05 AM »
 পবিত্র আল কুরআনে সূরা বাকারার ২৪৫ নাম্বার আয়াতে আছে "এমন কে আছে যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দিতে সম্মত? তাহলে আল্লাহ তাকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেবেন। আর আল্লাহকে ঋণ দিয়ে অভাবে পড়ে যাবে এ ভয় করো না কেননা অভাব ও স্বচ্ছলতা আল্লাহরই দান"। আরও আছে "যদি তোমরা আল্লাহকে ঋণ দাও তাহলে তিনি তোমাদের জন্য সম্পদ বাড়াতেই থাকবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করে দেবেন, আর আল্লাহ তো বড় দানকারী (ইখলাছের সংগে হলে সামান্য দানও তিনি খুশী হয়ে গ্রহণ করবেন)।
 
 
তিনি অতি সহনশীল। তিনি গোপন ও প্রকাশ্য সমস্ত বিষয় সম্পর্কে পূর্ণ অবগত, মহাপরাক্রমশালী, অসীম প্রজ্ঞার অধিকারী (সূরা তাগাবুন-১৭)। একবার দু'বার নয় আল্লাহতায়ালা বিভিন্ন আয়াতে বিভিন্নভাবে তাকে ঋণ দেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। কুরআনে এসব আয়াত আমরা প্রতিনিয়ত তেলাওয়াত করি কিন্তু এর অর্থ বুঝি না। কুরআন শরীফের কোন্ আয়াতে কি বলা হচ্ছে কি আদেশ করা হচ্ছে তা অর্থসহ পড়লে তারপর বুঝতে পারা যায়। অর্থ বুঝে পড়লে কুরআন তেলাওয়াতের সওয়াবও পাওয়া যায় আবার আল্লাহ আমাদের কি আদেশ-নিষেধ করছেন সে সম্পর্কে জানা যায় এবং আমল করা যায়।
 
 
আল্লাহ আমাদের প্রতি অনেকভাবে দয়া করেছেন। আল্লাহ বলেছেন তোমরা আমাকে ঋণ দাও আমি তোমাদের তা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেব। আল্লাহ অভাবমুক্ত, আল্লাহর কোন কিছুর অভাব নেই, তারপরও আল্লাহ বান্দার সুযোগের জন্য তাদের কাছে ঋণ চাইছেন। সৃষ্টি জগতের এবং মানুষের যত রকম চাহিদা রয়েছে এবং সব প্রয়োজন তা তো তিনিই পূর্ণ করেন। তাহলে আল্লাহকে ঋণ দেয়ার অর্থ কি? আল্লাহকে ঋণ দেয়ার অর্থ আল্লাহর দ্বীনের কাজে অর্থ ব্যয় করা উত্তম শিক্ষার জন্য ব্যয় করা, সংগ্রামের জন্য ব্যয় করা, গরীবকে দান করা, অসহায়কে আর্থিক সাহায্য করা।
 
 
 কুরআনের অন্য এক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন 'নি:সন্দেহে আল্লাহ মুমিনদের কাছ থেকে তাদের জান এবং মাল জান্নাতের বিনিময়ে ক্রয় করছেন (সূরা তাওবা ১১২)। মানুষের অর্থ সম্পদ সবই আল্লাহর দান। আল্লাহ যাকে চান তাকে অনেক রিযিক বা অর্থ দান করেন। আল্লাহ তার দেয়া জিনিষ ক্রেতা হয়ে তা আবার মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যয় করছেন। মানুষ তার ক্রয় করা জিনিষ নিজের কাছে নিয়ে নেয়, কিন্তু দেখুন আল্লাহ তার ক্রয় করা জিনিষ বান্দাকে ভোগ করতে বা ব্যবহার কতে দিচ্ছেন। আল্লাহ বলছেন আমি কিনে নিলাম তবে তোমার জান মাল তোমার কাছেই থাক তুমিই তা ব্যবহার করো এবং ভোগ করো তবে আমার হুকুম মতো করো, কিছু কিছু জানমাল আমার খুশির জন্য আমার রাস্তায় খরচ করো।
 
 
 আল্লাহ কত দয়াবান কত মেহেরবান আল্লাহ আমাদের কত সুযোগ দিচ্ছেন আল্লাহর দেয়া জান মাল আমরা নির্ধিদ্বায় ব্যবহার করবো শুধু আল্লাহর খুশির জন্য, নিজেদের কল্যাণের জন্য, অনন্তকালের বেহেশত সবার জন্য, আমরা আমাদের সম্পদ থেকে কিয়দাংশ আল্লাহর রাস্তায় খরচ করবো। মাল খরচ করাতো বুঝা গেল কিন্তু জান খরচ করার অর্থ কি? জান খরচ করার অর্থ হলো ইলমের পেছনে, আমলের পেছনে এবং দাওয়াতের পেছনে সময় ব্যয় করা।
 
 
তাই উচিত্ হলো আল্লাহকে উত্তম ঋণ দিয়ে আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম স্থান বেহেশত ক্রয় করে নেয়া। যার যার সামর্থ অনুযায়ী আমরা সারাজীবন আল্লাহকে উত্তম ঋণ দিতে থাকব। হোক তা সামান্য একটা রুটি, একটা খেজুর বা দুই-পাঁচ টাকা যার কাছে যা থাকে তা দিয়ে গরীবকে সাহায্য করবো। আখেরাতে যখন নিজের চোখে দেখবেন যে, আল্লাহ আপনার এই দুই টাকা বাড়িয়ে অনেক গুণ বৃদ্ধি করে দেবেন এবং সারা বছরের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দান বেড়ে বেড়ে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে যার বিনিময়ে আল্লাহ জান্নাত দান করবেন তখন আনন্দের আর সীমা থাকবে না। আর বলবেন দুনিয়াতে যদি আরও বেশি আল্লাহকে ঋণ দিতাম তবে আল্লাহ আমাদের আরও বেশি নেয়ামত দান করতেন।
 
 
রসূল (স.) বলেন, যে ব্যক্তি খালেস নিয়তে হালাল রুযি হইতে একটি খেজুর পরিমান আল্লাহর রাস্তায় খরচ করলেন আল্লাহ তার ঐ দান নিজে হাতে নিয়ে যত্ন সহকারে বর্ধিত করে থাকেন, এমনকি উহা একটি পাহাড়ের সমানও হতে পারে তবে জেনে রেখো, আল্লাহ তায়ালা পাক পবিত্র ও হালাল জিনিষ ব্যতিরেকে অন্য জিনিষ কবুল করেন না (মুসলিম)। আল্লাহতায়ালা বলেন, বেহেশত সাজিয়ে রাখা হইয়াছে, তাদের জন্য যারা আল্লাহর ভয় অন্তরে রাখে এবং সুখে দু:খে সর্বাবস্থায়ই আল্লাহর রাস্তায় দান বা খরচ করে (সূরা ইমরান-৩৩) অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, মুসলমানগণ অল্প বা অধিক যা কিছু দান করেন বা আল্লাহর রাস্তায় যতটুকু ময়দান অতিক্রম করে সবই আল্লাহ তায়ালা পুরস্কার দেয়ার জন্য লিখে রাখেন (সূরা তওবা-১২১) আল্লাহর কুরআন শরীফে আরও অনেক আয়াত আছে তার রাস্তায় দান করার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে।
 
 
 এসব আমরা তেলাওয়াত করি এবং অর্থসহ বুঝে পড়ে সে অনযায়ী আল্লাহকে উত্তম কর্য বা ঋণ দিয়ে আল্লাহর কাছ থেকে পরম সুখের স্থান অনন্তকালের জন্য জান্নাত কিনে নেব। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার রাস্তায় খরচ করার তাওফীক দিন, আমীন।

155
বাজারে যে লিচু বিক্রি করা হয়, তাতে মেশানো হয় বিষাক্ত রাসায়নিক। এ লিচু মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশুদের জন্য খুবই বিপজ্জনক। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা বলেছেন, বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো লিচু আর বিষ খাওয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এ লিচু খেলে ক্যান্সার, কিডনি ও লিভারে জটিল ব্যাধি বাসা বাঁধতে পারে।

রাজধানীর বাদামতলী, যাত্রাবাড়ী ও কাওরান বাজারের ১০টি ফলের আড়তে গিয়ে ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকদের সঙ্গে ক্রেতা সেজে আলাপকালে তারা জানান, লিচু কিংবা ফলে ফরমালিন না মেশালে বেশিদিন রাখা যায় না। ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা জানান, ফরমালিন মেশানো ড্রামে লিচু একবার চোবালেই আর পচন ধরবে না। লিচু থাকবে তরতাজা ও টাককা। ক্রেতারা মনে করবে এই মাত্র গাছ থেকে লিচু পেড়ে আনা হয়েছে। তারা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারবে না, এ লিচু এক সপ্তাহ কিংবা এক মাস আগে গাছ থেকে পাড়া হয়েছে।

লিচুর জন্য প্রসিদ্ধ দিনাজপুর, পাবনা, ঈশ্বরদী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং রাজশাহী এলাকার বাগান মালিক এবং চাষীরা জানান, ঢাকার ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা লিচু মওসুমের এক বছর আগেই বাগান কিনে ফেলে। আবার গাছে লিচু ধরার পর আরেক দল ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ফড়িয়ারা লিচু বাগান কিনেন। মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা মুকুল আসার পর থেকে ফল পাড়ার আগ পর্যন্ত ভারতীয় বিষ ইতোফোন গ্রুপের বাইজার, হারবেস্ট, প্রমাড ও ক্রমপমেক্স, ম্যালথান গ্রুপের কীটনাশক কট, টিভো, ফাইটার, ম্যানকোজের গ্রুপের ভায়াথেন অথবা কার্বন্ডাজিন গ্রুপের নইন পাউডার, এনটাকল, ব্যাপিস্টিন, ফ্লোরা, টিডো প্রিমিয়ার ও ইন্টারফলসহ ১৬ প্রকার কীটনাশক মেশায়। সর্বশেষ সেই লিচু পচন রোধে ও টাটকা রাখতে ফরমালিন মেশানো হয়।

ফার্মাসিউটিক্যালস সোসাইটির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আবম ফারুক, বিশিষ্ট কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ, ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন ও মহাখালী ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, লিচু ও অন্যান্য ফল খাওয়ার কারণে দেশে মরণব্যাধি আশংকাজনক হারে বাড়ছে। বিষ মেশানো লিচু খাওয়া থেকে মানুষকে বিরত থাকার জন্য তারা আহ্বান জানিয়েছেন। বিষাক্ত ফল কেনা বন্ধ করলে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের টনক নড়বে বলে তারা জানিয়েছেন।

156
কিডনি ফেইলুর বা রেনাল ফেইলুর শরীরের এক নীরব ঘাতক, প্রায় প্রতিটি পরিবারেরই কেউ না কেউ এই ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত। তাই আমরা সকলেই কমবেশী জানি এ রোগের ভোগান্তি কতটা নির্মম; কিন্ত আমরা কি জানি কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে সহজেই এই রোগ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেই কিভাবে সহজেই আপনার কিডনিকে সুস্থ্য রাখা সম্ভব,

১। কর্মঠ থাকুনঃ নিয়মিত হাটা,দৌড়ানো,স্লাইকিং করা বা সাতার কাটার মতো হাল্কা ব্যায়াম করে আপনার শরীরকে কর্মঠ ও সতেজ রাখুন। কর্মঠ ও সতেজ শরীরে অন্যান্য যেকোন রোগ হবার মতো কিডনি রোগ হবার ঝুকিও খুব কম থাকে।

২। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুনঃ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর শতকরা ৫০ জনই কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রনে না থাকলে কিডনি নষ্ট হবার ঝুকি আরো বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুন,নিয়মিত আপনার রক্তের সুগার পরীক্ষা করিয়ে দেখুন তা স্বাভাবিক মাত্রায় আছে কিনা, না থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শুধু তাই নয় অন্তত তিন মাস পরপর হলেও একবার আপনার কিডনি পরীক্ষা করিয়ে জেনে নিন সেটা সুস্থ্য আছে কিনা।

৩। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখুনঃ অনেকেরই ধারনা যে উচ্চ রক্তচাপ শুধু ব্রেইন স্ট্রোক (stroke) আর হার্ট এটাকের (heart attack) এর ঝুকি বাড়ায়,তাদের জেনে রাখা ভালো যে কিডনি ফেইলুর হবার প্রধান কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ। তাই এ রোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। কোন কারনে তা ১২৯/৮৯ মি,মি, এর বেশী হলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নিয়মিত অসুধ সেবন এবং তদসংক্রান্ত উপদেশ মেনে চললেই সহজেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।

৪। পরিমিত আহার করুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুনঃ অতিরিক্ত ওজন কিডনির জন্য ঝুকিপূর্ণ,তাই সুস্থ্য থাকতে হলে ওজন কমিয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে হবে। পরিমিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে কিডনি রোগ হবার ঝুকি অনেক কমে যায়।অন্য দিকে হোটেলের তেলমশলা যুক্ত খাবার,ফাষ্টফুড,প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে রোগ হবার ঝুকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। মানুষের দৈনিক মাত্র ১ চা চামচ লবন খাবার প্রয়োজন আছে -খাবারে অতিরিক্ত লবন খাওয়াও কিডনি রোগ হবার ঝুকি বাড়িয়ে দেয়। তাই খাবারে অতিরিক্ত লবন পরিহার করুন।

৫। ধুমপান পরিহার করুনঃ অধুমপায়ীদের তুলনায় ধুমপায়ীদের কিডনি ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা শতকরা ৫০ গুণ বেশী। শুধু তাই নয় ধুমপানের কারণে কিডনিতে রক্তপ্রবাহ কমে যেতে থাকে এবং এর ফলে কিডনির কর্মক্ষমতাও হ্রাস পেতে শুরু করে। এভাবে ধুমপায়ী একসময় কিডনি ফেইলুর রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়।

৬। অপ্রয়োজনীয় অসুধ সেবনঃ আমাদের মাঝে অনেকেরই বাতিক রয়েছে প্রয়োজন / অপ্রয়োজনে দোকান থেকে অসুধ কিনে খাওয়া। এদের মধ্যে ব্যথার অসুধ (NSAID) রয়েছে শীর্ষ তালিকায়। জেনে রাখা ভাল যে প্রায় সব অসুধই কিডনির জন্য কমবেশী ক্ষতিকর আর এর মধ্যে ব্যথার অসুধ সবার চেয়ে এগিয়ে। নিয়ম না জেনে অপ্রয়োজনীয় অসুধ খেয়ে আপনি হয়তো মনের অজান্তেই আপনার কিডনিকে ধংস করে যাচ্ছেন -তাই যে কোন অসুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই নিবন্ধিত চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন তা আপনার ক্ষতি করবে কিনা।

৭। নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানঃ আমাদের মাঝে কেউ কেউ আছেন যাদের কিডনি রোগ হবার ঝুকি অনেক বেশী, তাদের অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত। কারো যদি ডায়াবেটিস এবং / অথবা উচ্চ রক্তচাপ থাকে,ওজন বেশী থাকে (স্থুলতা / Obesity),পরিবারের কেউ কিডনি রোগে আক্রান্ত থাকে তাহলে ধরে নিতে হবে তার কিডনি রোগে আক্রান্ত হবার ঝুকি অনেক বেশী। তাই এসব কারন থাকলে অবশ্যই নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করাতে হবে।

কিডনি ফেইলুর হয়ে গেলে ভালো হয়ে যাবার কোন সুযোগ নেই, ডায়ালাইসিস কিংবা প্রতিস্থাপন (Renal Transplant) করে শুধু জীবনকে দীর্ঘায়িত করা সম্ভব। তাই এই রোগ এড়িয়ে যাবার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াটা প্রতিটি সুস্থ্য মানুষের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে।




157
বাঙ্গালির অতিপ্রিয় ফল আমের পচন রোধে ফরমালিন মেশানো হচ্ছে! গাছে মুকুল আসার পর থেকে পাকা পর্যন্ত বাগানে, আড়তে দফায় দফায় আমে দেয়া হচ্ছে সায়ানাইড, ফরমালিনসহ নানা ধরনের কেমিক্যাল। আমের রাজধানী বলে খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়াও মেহেরপুর, রাজশাহী, নাটোর ও অন্যান্য জেলায় এই অসাধু কার্যক্রম চালাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট বাগান মালিক, চাষী থেকে শুরু করে স্থানীয় ফল ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে কোথায়, কখন, কিভাবে আমে বিষ মেশানো হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, মধ্যস্বত্বভোগী, অতি মুনাফালোভী, ফড়িয়া, ব্যবসায়ী ও বাগান মালিক এবং আড়তদাররা আমে বিষাক্ত কেমিক্যাল ও ফরমালিন মিশিয়ে বছরের পর বছর বাজারজাত করছে। মূলত তাদের হাতেই দেশের ফল ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হয়। বাজারে ৯৫ ভাগ আমের মধ্যেই বিষাক্ত কেমিক্যাল রয়েছে। তার বাস্তব প্রমাণও মিলছে। প্রায় প্রতিদিনই মোবাইল কোর্ট অভিযানে নেমে টনে টনে কেমিক্যাল যুক্ত আম ধ্বংস করে সংশ্লিষ্টদের জরিমানা করছেন। কিন্তু অজানা কারণে আমে বিষ মেশানো বন্ধ হচ্ছে না।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার কাওরান বাজারে ১০টি আমের আড়তে র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেটের আনোয়ার পাশার নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসব আড়তে সরাসরি আম আনা হয় বলে দাবি করা হয়। বিশেষজ্ঞরা ৬টি আড়তে মালিকদের উপস্থিতিতে আম পরীক্ষা করে তাতে মাত্রাতিরিক্ত কেমিক্যাল থাকার প্রমাণ পান। এ কারণে প্রত্যেক আড়ত মালিককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা এবং ৪ হাজার টন আম জব্দ করে মোবাইল কোর্ট। পরে সেই আম ধ্বংস করা হয়।

মহাখালীর ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফাও জানান, ‘সায়ানাইড’ দিয়ে আম পাকানো হয়। দীর্ঘদিন রেখে বিক্রির জন্য সে আমে মেশানো হয় ফরমালিন। এই দুটি কেমিক্যালেই মানবদেহে মরণব্যাধি ক্যান্সার হওয়ার আশংকা শতভাগ। দেশে ক্যান্সার রোগ আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে বিষাক্ত আমসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী দায়ী। ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক রোগী চিকিত্সার জন্য আসেন। তা সামাল দেয়া চিকিত্সকদের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে বলে তিনি জানান।
- See more at: http://dhakanews24.com/?p=176421#sthash.OeBNzgME.dpuf

158
জাবির বিন সামুরা [রা:] থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ [সা:] আমাদের কাছে এসে বলেলেন: ফেরেশতা মন্ডলী যেমন তাদের প্রভুর সামনে কাতারবদ্ধ হয় তোমরা কি তেমন কাতারবদ্ধ হবে না ? আমরা জিজ্ঞাসা করলাম: হে আল্লাহর রাসুল ! ফেরেশতা মন্ডলী তাদের প্রভুর সামনে কিভাবে কাতারবদ্ধ হয় ? তিনি বললেন: তারা আগের কাতারগুলো পূর্ণ করে এবং মাঝখানে ফাঁক না রেখে মিলিতভাবে দাড়ায় । [মুসলিম-৪৩০]

159


আমীরুল মু’মিনীন আবূ হাফস উমার বিন খাত্তাব (রা:) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন: আমি রাসুলুল্লাহ (সা:) কে বলতে শুনেছি যে, সকল কাজের পরিণাম নিয়ত অনুযায়ী হবে । প্রত্যেক ব্যক্তি যে নিয়ত নিয়ে কাজ করবে সে তাই পাবে । সুতরাং যার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হয়েছে, তার হিজরত আল্লাহর ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হয়েছে বলেই ধরা হবে । পক্ষান্তরে যার হিজরত দুনিয়া লাভ বা কোন মেয়েকে বিয়ে করার নিয়তে হয়েছে তার হিজরত উক্ত উদ্দেশ্যে হয়েছে বলেই পরিগণিত হবে । [ বুখারী-৬৬৮৯. মুসলিম-১৯০৭ ]

আবু হুরাইরা আবদুর রাহমান বিন শাখর (রা:) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন: মহান আল্লাহ তোমাদের শরীর এবং আকৃতির দিকে দেখেন না, বরং তোমাদের অন্তর ও কর্মের দিকে দেখেন । [ মুসলিম-২৫৬৪ ]

160
very helpful information.................


Md.YousufMiah
Accounts Officer
Daffodil International University

161
 আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার দান করা মাসগুলোর মধ্যে কিছু মাস বিশেষভাবে মর্যাদাপ্রাপ্ত। তার মধ্যে রমজান সবার ওপরে। এ সময় তার পরে জিলহজ্ব। তারপর রমজানের প্রস্তুতির মাস হিসাবে শাবান মাসকে রসূল (স.) বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। তাঁর ইবাদত বন্দেগীতে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে। রসূল (স.) বলেছেন, রমজান হলো আল্লাহর মাস আর শাবান হলো আমার মাস। যার দৃষ্টান্ত স্বরূপ তিনি প্রচুর ইবাদত করতেন। প্রত্যেক আরবি মাসের (রমজান ছাড়া) ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ানে বীজের রোজা রাখতেন প্রিয় নবী (স.)। কিন্তু যখন শাবান মাস আসতো রসূল (স.) প্রায় পুরো শাবান মাস সংযমব্রত পালন করতেন। আর নফল ইবাদত বন্দেগী করতেন সবই অধিক পরিমাণ। তাছাড়া একটি দোয়া বারবার তার মুখে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হতো। তাহলো "আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা রমজানা অর্থাত্ হে আল্লাহ, রজব ও শাবানে আমাকে বরকত দিন এবং আমাকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন।
 
হযরত আয়শা (রা.) বলেন, যখন শাবান মাস আসতো তখন রসূল (স.) অন্যান্য মাসের তুলনায় অধিক গুরুত্ব দিতেন ও রোজা রাখতেন। মাঝেমধ্যে একাধারে রোজা পালন করে শাবানের শেষ দিনটি বিরতি দিয়ে আবার রমজানের রোজা পূর্ণাঙ্গভাবে পালন করতেন। সেই কারণে যারা রসূল (স.) এর সত্যিকারের উম্মত হতে চায় তাদের প্রত্যেকের উচিত হলো রসূলের (স.) এই সুন্নতের সম্পূর্ণরূপে পরিপালন করা। কেননা রসূল (স.) বলেছেন, মান তামাসসাকা সুন্নাতি ইন্দা ফাসাদান উম্মাতি ফালাহু আজরুহু মিয়াতাশ শাহিদ অর্থাত্ যদি কেউ আমার কোনো হারিয়ে যাওয়া সুন্নতকে উজ্জীবিত করে তাহলে তাকে একশত শহীদের দরজা দান করা হবে। অন্যস্থানে বলেছেন, মান তরাকা সুন্নতি ফালাইছা মিন্না অর্থাত্ যে ব্যক্তি (ইচ্ছাকৃতভাবে) আমার কোনো সুন্নতকে পরিহার করবে সে আমার উম্মত নয়, আর রসূলের উম্মত না হলে বেহেশত পাওয়া আদৌ সম্ভব নয়। কারণ রসূল (স.) বলেছেন, কুল্লু উম্মাতুই ইয়াদ খুলুনাল জান্নাহ ইল্লা মান আবা কিলা মান আবা ইয়া রসূলুল্লাহ (স.)? মান আতাআনি ফাদাখালাল জান্নাহ, অমান আসানি ফাক্বদ আবা অর্থাত্ আমার প্রত্যেক উম্মত বেহেশতে যাবে কেবল মাত্র অসম্মত ছাড়া।
 
সাহাবীরা বললেন, কে অসম্মত হে রসূল (স.)? তিনি বললেন, যারা আমার অনুসরণ করবে তারা বেহেশতে যাবে। আর যারা আমার সুন্নতের অবজ্ঞা করবে তারাই অসম্মত। সেই কারণে যারা রসূল (স.) এর উম্মত হয়ে জান্নাত হাসিল করতে চায়, তাদের প্রত্যেকের উচিত হলো রসূলের প্রতিটি সুন্নতের অনুসরণে দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করা। আর সেই লক্ষ্যে এই শাবান মাসেই নিজেকে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ জামায়াতে আদায় করা, সুন্নত নামাজ, নফল নামাজ ও ইবাদত বন্দেগী করা অতীব প্রয়োজন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সেই তাওফীক দান করুন, আমীন।

162
চান্দ্রবর্ষের অষ্টম মাস পবিত্র শাবান মাস। এ মাস অত্যন্ত ফজিলত ও তাৎপর্যপূর্ণ। বিভিন্ন হাদিসে এ মাসের বিশেষ ফজিলত ও তাৎপর্য বর্ণিত হয়েছে। এ মাসে মুসলিম উম্মাহর কিছু করণীয়ও রয়েছে। পবিত্র শাবান মাসের পরের মাসই হচ্ছে মহিমান্বিত রমজান মাস। রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও নাজাতের মহান মাস রমজান। অধিক ইবাদতের মাস রমজান, এ জন্য পবিত্র শাবান মাস থেকেই রমজানের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া প্রত্যেক মুসলমানেরই কর্তব্য। হজরত মুহাম্মদ (সা.) শাবান মাস থেকেই পবিত্র রমজানের জন্য প্রস্তুতি নিতেন বলে হাদিসে উল্লেখ পাওয়া যায়। হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র শাবান মাস থেকেই রমজানের জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতেন। আর এ কারণেই তিনি পবিত্র শাবান মাসের দিন-তারিখের খুব গুরুত্ব দিয়ে হিসাব রাখতেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র শাবান মাসের দিন-তারিখের এত হিসাব রাখতেন যতটা হিসাব অন্য মাসের রাখতেন না, (আবু দাউদ ১/৩১৮)। সুতরাং পবিত্র শাবান মাসের দিন-তারিখের হিসাব রাখা সুন্নাত। মুসলমানদের করণীয়। পবিত্র শাবান মাসে অধিক হারে নফল রোজা রাখা উত্তম। হজরত উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি জানান, আমি হজরত নবী করিম (সা.)-কে শাবান ও রমজান ব্যতীত দুই মাস একাধারে রোজা রাখতে দেখিনি। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শাবান মাসের মতো এত অধিক নফল রোজা রাখতে অন্য কোনো মাসে আর দেখিনি। এ মাসের অল্প কিছু দিন ব্যতীত বরং বলতে গেলে সারা মাসই তিনি নফল রোজা রাখতেন। (তিরমিজি-১/১৫৫)পবিত্র শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ ১৫ শাবান রাত হচ্ছে শবেবরাত। এ রাতের অশেষ ফজিলতও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বছরের পাঁচটি শ্রেষ্ঠ রজনীর অন্যতম এ শবেবরাত। এ রাতের করণীয় সম্পর্কে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, ১৫ শাবান রাতে তোমরা জেগে থেকে ইবাদত কর এবং পরদিন রোজা রাখ। এ জন্য শবেবরাতে জেগে থেকে ইবাদত করা এবং পরদিন রোজা রাখা বিশেষ সওয়াবের কাজ। সর্বোপরি পবিত্র শাবান মাসের পরই যেহেতু পবিত্র রমজান মাস তাই শাবান মাসেই পবিত্র রমজানের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে।

163
 তাওয়াক্কুল আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো,আল্লাহর ওপর নির্ভরতা,আল্লাহর কাছে নিজেকে সোপর্দ করা এবং তারই ওপর ভরসা করা। ঈমানদার মানুষের একটি বড় গুণ হচ্ছে, আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করা। সব কাজের ক্ষেত্রেই আল্লাহর ওপর নির্ভরতা অর্থাৎ চূড়ান্ত ফয়সালার ক্ষমতা যে আল্লাহর হাতে, তা মনেপ্রাণে স্বীকার করাই হচ্ছে, আল্লাহর ওপর তাওয়াককুল করা। আরেকটু ব্যাখ্যা করে বলা যায়, একজন ঈমানদার ব্যক্তি, ভালো ও কল্যাণকর বিষয় অর্জনের জন্য নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করবে এবং ফলাফলের জন্য আল্লাহতাআলার উপর ভরসা করবে ও  তাঁর প্রতি দৃঢ় আস্থা রাখবে। আর এর মধ্যেই রয়েছে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ।
 
 
আল্লাহর ওপর ভরসার নানা পর্যায় রয়েছে। অনেকেই কেবল মুখে আল্লাহর ওপর নির্ভর করার কথা বলেন। আবার কেউ কেউ সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে আল্লাহর ওপর ভরসা করেন। আল্লাহর ওপর নির্ভরতার ক্ষেত্রে কারো কারো মনে দ্বিধা-সন্দেহ ও উদ্বেগও কাজ করে। এগুলো সর্বোচ্চ পর্যায়ের তাওয়াক্কুল নয়। আল্লাহর ওপর সর্বোচ্চ পর্যায়ের তাওয়াক্কুলকে মায়ের প্রতি শিশুর নির্ভরশীলতার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। যেমন- একটি শিশু শুধু তার মাকেই একান্ত আপন বলে জানে, মায়ের ওপরই সে ভরসা করে, তার যত আবদার মায়ের কাছেই। সে কখনোই মা থেকে আলাদা হয় না। মায়ের অনুপস্থিতিতে কোনো বিপদ ঘটলে শিশুর মনে প্রথমেই যে বিষয়টি আসে এবং যে শব্দটি মুখে উচ্চারিত হয়, তাহলো- মা। কারণ শিশু তার মাকেই একমাত্র আশ্রয়স্থল বলে জানে। তাওয়াক্কুলের সর্বোচ্চ পর্যায় হচ্ছে- মানুষের জীবনের সব কিছুর শৃঙ্খলা বিধানকারী হিসেবে আল্লাহকে স্বীকার করে নেয়া। এভাবেই আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুলের মাধ্যমে মানুষের মাঝে কাজের শক্তি ও স্পৃহা সৃষ্টি হয় এবং চিন্তাগত প্রতিবন্ধকতা দূর হয়। পার্থিব ভয়-ভীতির অবসান ঘটে। কারণ ঈমানদার ব্যক্তির শতভাগ বিশ্বাস হলো- আল্লাহই হচ্ছে শক্তির একমাত্র উৎস।
 
 
নবী-রাসূলরা ছিলেন আল্লাহর ওপর নির্ভরতার ক্ষেত্রে সর্বোত্তম আদর্শ। হজরত ইব্রাহিম (আ.)’কে আগুনে নিক্ষেপের ঘটনা এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। মূর্তি ভাঙার পর হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেয় জালিম রাজা নমরুদ। এ পরিস্থিতিতে হজরত ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করেন এবং একমাত্র আল্লাহকেই স্মরণ করতে থাকেন। আর আগুন হজরত ইব্রাহিম (আ.)-র জন্য ফুলের বাগানে পরিণত হয়। আল্লাহর ওপর নির্ভর করাটা মানুষের জন্য এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বারবারই তার অনুসারীদেরকে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করার কথা বলেছেন। সবাইকে তিনি এ জন্য উৎসাহিত করেছেন। ইমাম জাফর সাদেক  (আ.) এ সম্পর্কে বলেছেন, যেখানে তাওয়াক্কুল থাকে, সেখানে সম্মান-মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পায়। অন্যভাবে বলা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে, সে সম্মান ও প্রাচুর্য্যের অধিকারী হয়।
 
 
তবে তাওয়াক্কুল বস্তুবাদীদের জন্য একটি অভাবনীয় বিষয়। কাজ-কর্ম সম্পন্ন করার পর ফলাফলপ্রাপ্তির জন্য আল্লাহর ওপর নির্ভর করতে হবে, এটা বস্তুবাদীদের কাছে বোধগম্য নয়। চর্মচক্ষু দিয়ে যে আল্লাহকে দেখা যায় না, তাকেই সব ক্ষমতার উৎস হিসেবে মেনে নিতে হবে- এমন বক্তব্য বস্তুবাদীদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো- অদৃশ্যের ওপর বিশ্বাসই ঈমানদারদের জীবনের চলিকাশক্তি। আর এ কারণেই তাওয়াক্কুলের ফজিলতও সীমাহীন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, 'যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে, আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।’
 
 
তাওয়াক্কুলের নীতি অবলম্বনকারী ব্যক্তি কখনো হতাশ হয় না। আশা ভঙ্গ হলে মুষড়ে পড়ে না। বিপদ-মুসীবত, যুদ্ধ-সংকটে ঘাবড়ে যায় না। যে কোনো দুর্বিপাক, দুর্যোগ, সঙ্কট ও বিপদ-মুসীবতে আল্লাহর উপর দৃঢ় আস্থা রাখে। জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়নের যে ঝড়ই উঠুক না কেনো, ঈমানদার ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না। এ ধরনের মানুষ সব সময়ই ভবিষ্যতের বিষয়ে আশাবাদী।
 
 
রাসুলুল্লাহ (সা.)’র পুরো জীবনকাল এবং তার পরিবারের সবার জীবন ছিল আল্লাহর প্রতি নির্ভরতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। খোদাদ্রোহীদের অত্যাচার-নির্যাতনে, ক্ষুধা-দারিদ্র্য মোকাবিলায় এবং অনুসারীদের অভিযোগ-অনুযোগে সর্বাবস্থায় তিনি তাওয়াক্কুলকে একমাত্র অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করেছেন। পবিত্র কুরআনের সূরা আত-ত্বালাকের ৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, 'যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে, আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ সম্পন্ন করে দেবেন, তিনি সব কিছুর একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।'
 
 
আসলে তাওয়াক্কুল হলো, মহান আল্লাহর দ্বায়িত্বাধীন হওয়ার সর্বোত্তম উপায়। এ প্রসঙ্গে ইরানের বিখ্যাত লেখক ও চিন্তাবিদ ড. হোসেইন এলাহি কুমশেয়ির একটি দোয়া এখানে তুলে ধরা যেতে পারে। তিনি তার কিমিয়া বা পরশমনি শীর্ষক বইয়ে লিখেছেন, ‘আমি শক্তিহীন এক পরগাছা। আমার নিজের কোনো শেকড় নেই। কোনো গাছকে অবলম্বন না করে গজিয়ে ওঠার ও পল্লবিত হওয়ার ক্ষমতাও আমার নেই। কিন্তু হে আল্লাহ, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার সঙ্গে নিজেকে জড়াই ও আপনার ওপর তাওয়াক্কুল করি, ততক্ষণ আমার ভেতর কোনো ভয়-ভীতি থাকে না।’
 

164
 সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হজরত মুহাম্মদ (স.)  এর ২৩ বছরের নবুয়তি জীবনের অন্যতম অলৌকিক ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হলো মেরাজ। মেরাজ গমন করে হজরত মুহাম্মদ (স.) আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছ থেকে উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশসহ ইসলামী সমাজ পরিচালনার বিধিবিধান নিয়ে আসেন। পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কে সূরা বনি ইসরাইলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

বিশ¡ মানবতার মুক্তির ল্েয ইসলামকে একটি পূর্ণাঙ্গ ও সর্বজনীন জীবন ব্যবস্থা হিসেবে রূপ দেওয়ার জন্য তিনি বিশ¡ পালনকর্তা আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা পেয়েছিলেন মেরাজ রজনীতে। এ জন্য এ রাতটি মুসলমানের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সব মুজিযার মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুজিযা হলো মেরাজ। এ রাতে তিনি বায়তুল মোকাদ্দাসে নামাজে সব নবীর ইমাম হয়ে সাইয়িদুল মুরসালিনের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ফলে এ রাতটি নিঃসন্দেহে তার শ্রেষ্ঠত্বের গৌরবোজ্জ্বল নিদর্শন বহন করে।

মেরাজ রজনীতে (২৬ রজব) হজরত রাসূলুল্লাহ (স.) উম্মে হানী বিনতে আবু তালিবের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। হঠাৎ হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম এসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে মসজিদুল হারামে নিয়ে যান। যেখানে তার বুক বিদীর্ণ করে জমজম কূপের পানি দিয়ে সীনা মোবারক ধৌত করে শক্তিশালী করেন। এ ঘটনাকে  ’'শাক্কুস সদর’ বলে। নবী (স.)-এর জীবনে অন্তত তিনবার এমনটা হয়েছে। তারপর সেখান থেকে তিনি ‘বোরাক’' নামক এক ঐশী বাহনে চড়ে বায়তুল মোকাদ্দাসে এসে সব নবীর ইমাম হয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। তারপর তিনি বোরাকে চড়ে ঊধর্্েব গমন করতে থাকেন। একের পর এক আসমান অতিক্রম করতে থাকেন। পথিমধ্যে মূসা (আ.)সহ অনেক নবী-রাসূলের সঙ্গে সাাৎ হয়। সপ্তম আসমানের পর হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)কে বায়তুল মামুর পরিদর্শন করানো হয়। বায়তুল মামুরে দৈনিক ৭০ হাজার ফেরেশতা প্রবেশ করেন।
ফেরেশতাদের সংখ্যা এত বেশি যে, যারা একবার এই বায়তুল মামুরে প্রবেশ করেন কেয়ামত পর্যন্ত তাদের সেখানে প্রবেশ করার পালা আসে না। সেখানে হজরত রাসূলুল্লাহ (স.) স্বচে জান্নাত ও জাহান্নাম প্রত্য করেন। এরপর হজরত রাসূলুল্লাহ (স.)-এর সামনে একপাত্র মদ, একপাত্র দুধ এবং একপাত্র মধু আনা হয়। তিনি এর মধ্য থেকে দুধের পাত্রটি গ্রহণ করেন। তখন হজরত জিবরাইল (আ.) বললেন, এটা ফিৎরত বা স্বভাব ধর্মের নিদর্শন। আপনি এবং আপনার উম্মত এই স্বভাবধর্ম ইসলামের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবেন।

বায়তুল মামুরে হজরত জিবরাইল (আ.)-কে রেখে তিনি ‘'রফরফ’' নামক আরেকটি ঐশী বাহনে চড়ে বিশ¡ স্রষ্টা আল্লাহতায়ালার দরবারে হাজির হন। কোনো কোনো বর্ণনায় আছে, মেরাজ রজনীতে হজরত রাসূলুল্লাহ (স.) আল্লাহতায়ালার এতটা কাছাকাছি গিয়েছিলেন যে দু’জনের মধ্যখানে মাত্র এক ধনুক পরিমাণ ব্যবধান ছিল। এখানে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর উম্মতের ওপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হলো। পরবর্তী সময়ে পুনঃ পুনঃ আবেদনের প্রেেিত আল্লাহপাক দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উম্মতে মুহাম্মদির ওপর ফরজ করেন, যা ইসলামের পাঁচটি রুকনের অন্যতম রুকন বা ভিত্তি। আর এই নামাজই মানুষকে যাবতীয় পাপাচার ও অনাচার থেকে রা করে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে তৈরি করে।

হজরত রাসূলুল্লাহ (স.)-এর মেরাজ গমনের বিষয়ে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। এ ছাড়া মুফাসসীররাও এ সম্পর্কে ব্যাপক তথ্য-প্রমাণাদি পেশ করেছেন। যদিও মেরাজের ঘটনা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয়-সন্দেহ নেই। আমাদের সমাজের অনেকেই মেরাজের ঘটনার েেত্র কোরআন-হাদিসের রেওয়ায়েতের চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে মেরাজের বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিশেল্গষণ। এটা এক ধরনের হীনম্মন্যতা। কারণ মেরাজ সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসের প্রচুর বর্ণনা এসেছে; এটাকে পাশ কাটিয়ে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ নিয়ে মেতে থাকা ঠিক না। তবে হ্যাঁ, বৈজ্ঞানিক বিশেল্গষণ হতে পারে কোরআন হাদিসের সহায়ক।

কারণ কোরআন ও সহীহ হাদিসের অকাট্য তথ্য একজন মুসলমান মানতে বাধ্য। একজন খাঁটি মুসলমানের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে মেরাজের সত্যতা প্রমাণের অপো না করে এ বিষয়ে মনেপ্রাণে বিশ¡াস স্থাপন করার নামই ইমান। তাই হজরত রাসূলুল্লাহ (স.)-এর মেরাজ গমনের কথা একজন অবিশ¡াসীর মুখে শুনে হজরত আবু বকর (রা.) তৎণাৎ বিশ¡াস করেছিলেন বলেই হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে (সিদ্দিক)' উপাধি দিয়েছিলেন। মেরাজের মাধ্যমে মহানবী (সা.)কে আধ্যাÍিক অভিজ্ঞতা দান করা হয়, যেন মানুষ আল্লাহর নিদর্শন উপলব্ধি করতে পারে এবং স্বচ্ছ ধারণা অর্জন করতে পারে।

মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবনে ’'মেরাজ’' এমন সময় সংঘটিত হয়েছিল যে সময়টি ছিল তার জীবনের সবচেয়ে দুর্যোগময় মুহূর্ত। কুরাইশদের দ্বারা মহানবী (সা.) এবং তার অনুসারীদের সামাজিকভাবে বয়কট, প্রিয় স্ত্রী হজরত খাদিজা (রা.) ও একমাত্র অভিভাবক চাচা আবু তালিবের ইন্তেকাল, তায়েফবাসীর লাঞ্ছনা মহানবীকে মানসিকভাবে মর্মাহত করে। আর এমনই সময়ে মহান আল্লাহর কাছ থেকে আমন্ত্রণ এলো মেরাজের। মেরাজের রাতে মহান আল্লাহতায়ালা তার প্রিয় বন্ধুকে একান্ত সান্নিধ্যে নিয়ে আসেন। আল্লাহ রাসূল (সা.)কে ইসলামের বাস্তবায়ন রূপরেখা, ভবিষ্যতের কর্মপন্থা এবং মুমিনদের জন্য সর্বোত্তম ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ামতস্বরূপ দান করেন। সে জন্য বলা হয়েছে, ‘'আস্সালাতু মিরাজুল মুমিনিন’' নামাজ মুমিনদের জন্য মিরাজস্বরূপ। ইসলামের প্রত্যেকটি ইবাদতের বিধান আল্লাহতায়ালা হজরত জিবরাঈল (আ.)-এর মাধ্যমে মহানবী (স.)-এর কাছে প্রেরণ করেন। কিন্তু নামাজই একমাত্র ইবাদত যা কোনো মাধ্যম ছাড়াই আল্লাহতায়ালা সরাসরি মহানবী (স.)-এর ওপর ফরজ করেছেন। সুতরাং আমাদের উচিত হলো সমাজে নামাজ কায়েম করতে সচেষ্ট হওয়া। আর এটাই হোক এবারের শবেমেরাজের অঙ্গীকার।

165
ওজন কমাতে অনেকে অনেক কিছু পান করেন বা খান। যেমন : ওজন কমানোর চা, সোনাপাতা, ওজন কমানোর ওষুধ ইত্যাদি। এগুলোর কোনো কার্যকারিতা আছে কিনা তা সন্দেহ আছে। থাকলেও এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান মধু ও লেবু আসলেই যে কার্যকরী, তা পরীক্ষিত এবং সারা বিশ্বে সমাদৃত ও স্বীকৃত । ওজন কমাতে দুটি প্রাকৃতিক উপাদান লেবু ও মধুর পানীয় সম্পর্কে অনেকেই জানেন । ওজন কমানো ছাড়াও লেবু ও মধুর অনেক গুণাগুণ আছে।

কেন ওজন কমায়?
মধুতে যদিও চিনি থাকে, কিন্তু এতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি সাধারণ চিনির মতো ওজন না বাড়িয়ে কমায়। কারণ সাধারণ চিনি হজম করতে আমাদের শরীর নিজের থেকে ভিটামিন ও মিনারেল খরচ করে, ফলে এসব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়। এসব উপাদান ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কমাতে বা ভাঙতে সাহায্য করে। ফলে যখন আমরা বেশি চিনি খাই, তখন অধিক ক্যালরি শরীরে জমা ছাড়াও এসব পুষ্টি উপাদানের চিনি হজম করতে অতিরিক্ত খরচ হওয়ায় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়। তাই ওজন বাড়াতে পারে। কিন্তু মধুতে এসব উপাদান থাকার ফলে এগুলো হজমে সহায়ক এবং ফ্যাট ও কোলেস্টেরল কমায়। তাই এই পানীয় ওজন কমায়। তাছাড়া সকালে উঠেই শরীর যদি পানি জাতীয় কিছু পায়, তবে তা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে একই রকম শারীরিক পরিশ্রম করেও আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধির কারণে ওজন কমতে পারে।

লেবু-মধু পানীয় বানানোর প্রণালী
এক গ্লাস হালকা বা কুসুম গরম পানি, আধা চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু। গরম পানিতে লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করুন লেবু-মধু পানীয়। আপনি চাইলে এর সঙ্গে সবুজ চা মেশাতে পারেন।

যা লক্ষ্য রাখবেন
—আগে পানি হালকা গরম করে তারপর লেবু ও মধু মেশাবেন। মধু কখনোই গরম করতে যাবেন না।
—যদি ঠাণ্ডা পানিতে এটি পান করেন, তবে বিপরীত ফল হবে, মানে আপনার ওজন বাড়বে।

লেবু-মধু পানীয়ের উপকারিতা
এই পানীয় শরীর থেকে টক্সিন বের করে। শরীরের ভেতরের নালীগুলোর সব ময়লা বের করে দেয়।
—মেটাবলিজম/হজম শক্তি বাড়ায়, ফলে ওজন কমে। ঠাণ্ডা লাগলে এই পানীয় কফ বের করতে সাহায্য করে এবং ঠাণ্ডা লাগলে গলাব্যথা করলেও এটি উপকারী ।
—এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
—শরীরে শক্তি বাড়ায়, অলসতা কমায়।
—কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

মধুর উপকারিতা
মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ আলাদাভাবে থাকে, কিন্তু চিনিতে তা একসঙ্গে থাকে। ফ্রুকটোজ তাড়াতাড়ি গ্লুকোজের মতো শরীরে ক্যালরি হিসেবে জমা হয় না। তাই চিনির মতো মধু সহজে ক্যালরি জমা করে না। ফলে অল্প মধু খেলেও ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম।
মধু শরীরকে রিলাক্স করে, মনকে প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে এবং সহজে ঘুম আনতে সাহায্য করে।
মধু একটি প্রাকৃতিক এন্টি বায়োটিক, যা শরীরের সব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে ইনফেকশন দূর করে। ফলে শরীরের কাজ করার প্রণালী উন্নত হয় এবং হেলদি থাকে।
মধু হজমে সহায়ক। তাই বেশি খাবার খাওয়ার পরে অল্প মধু খেতে পারেন
—মধু ফ্যাট কমায়, ফলে ওজন কমে।
—মধু প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি। তাই মধু সহজে হজম হয়।
—চোখের জন্য ভালো।
—গলার স্বর সুন্দর করে।
—শরীরের ক্ষত দ্রুত সারায়।
—আলসার সারাতে সাহায্য করে।
—নালীগুলো পরিষ্কার করে।
—ঠাণ্ডা লাগলে জ্বর, গলাব্যথায় ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
—মধু এন্টি অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
—বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ায়।
—শরীরের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায় ও তারুণ্য বাড়ায়।

লেবুর উপকারিতা
লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা এন্টিসেপটিক ও ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করে
এছাড়া লেবুতে থাকে ঈধষপরঁস, চড়ঃধংংরঁস, চযড়ংঢ়যড়ত্ঁং, গধমহবংরঁস, যার কারণে হাড় ও দাঁত শক্ত হয়।
—লেবুর এই উপাদানগুলো টনসিল ও ঁত্রহব রহভবপঃরড়হ প্রতিরোধ করে
—এছাড়া লেবুর ভিটামিন সি ক্যান্সারের সেল গঠন প্রতিরোধ করে।
—লেবু বুক জ্বালা প্রতিরোধ করতে ও আলসার সারাতে সাহায্য করে।
—লেবু আর্থাইটিসের রোগীদের জন্য ভালো । কারণ লেবু ফরঁত্বঃরপ ।
—লেবু শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে।
—লেবু এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ধহঃর-ধমরহম
তাই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বক পরিষ্কার রাখে, অপহব দূর করে। ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে। কালোদাগ ও ত্বকের ভাঁজ পড়া কমায়।
—লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে।
—লেবু হজমে সহায়ক ও হজমের সমস্যা দূর করে।
—কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
—শরীরের ভেতরের টক্সিন দূর করে, অন্ত্রনালী, লিভার ও পুরো শরীরকে পরিষ্কার রাখে।
—পেট ফোলাজনিত সমস্যা কমায়।
—রক্ত পরিশোধন করে।
—ঠাণ্ডা লাগলে জ্বর, গলাব্যথায় ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
—শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি হলে ভালো কাজ করে।
—শ্বাসনালীর ও গলার ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করে।
কখন খাবেন?
সাধারণত সকালে উঠেই প্রথম পানীয় হিসেবে খালি পেটে এটি খাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরে সকালের নাস্তা খেতে পারেন।
সাবধানতা
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা অবশ্যই এটি খালি পেটে খাবেন না। কারণ লেবু এসিডিক। তাই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে এটি খাবেন।
তাছাড়া লেবুর এসিড দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকর, তাই এই পানীয় খাবার সঙ্গে সঙ্গে কুলি করবেন, অথবা পানি খাবেন।
একটা কথা মনে রাখবেন, ওজন কমানোর জন্য এই পানীয় শুধুই সহায়কমাত্র। সম্পূর্ণ ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে অবশ্যই থাকতে হবে স্বাস্থ্যকর/ব্যালেন্সড ডায়েট, নিয়মিত শরীর চর্চা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা।


Pages: 1 ... 9 10 [11] 12