Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - deanoffice-fahs

Pages: [1] 2 3 ... 6
1
নভেল করোনাভাইরাস এবং এই ভাইরাসের কারণে হওয়া রোগ COVID -19 (COrona VIrus Disease - 2019)  নিয়ে উৎকণ্ঠিত সারা পৃথিবীর মানুষ। ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটাকে বিশ্বব্যাপি মহামারী বা Pandemic ঘোষণা করেছে।  আমার অফিস থেকে জানিয়ে দিয়েছে খুব জরুরি প্রয়োজন না হলে অফিসের সীমানাতে এসো না, ঘরে বসে কাজ করো। সেটাই করছি। আমি থাকি আমেরিকার লস এঞ্জেলস এর কাছে সান্টা ক্লারিটা শহরে, এখানে সব স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। একসাথে কোথাও ৫০ জনের বেশি একত্রিত হওয়া নিষেধ। বিয়ে বা জন্মদিনের দাওয়াত, কনসার্ট, রাজনৈতিক কিংবা  ধর্মীয় সমাবেশ (গির্জার সম্মিলন, মসজিদের জামাত) সবকিছু বন্ধ।
দুয়েকজন সহকর্মী শুরুতে একটু আধটু গাইগুঁই করছিলেন- একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে নাকি। এখন আমরা সবাই জানি, এটা মোটেই বাড়াবাড়ি নয়, বরং খুবই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত এবং খুবই খুবই জরুরি।

গণিতের ভাষায় বললে এই ভাইরাস ছড়ায় ‘সূচকীয়’ হারে। এর গ্রাফটা খুব ইন্টারেস্টিং। যখন মান কম, বৃদ্ধির হারও কম। শুরুতে খুব ধীরে বাড়ে, তারপর যখন মান বেড়ে যায় বৃদ্ধির হারও বেড়ে যায়। ইতালিতে ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখে আক্রান্ত ছিল ২০ জন, এরপর একমাসও যায়নি- আজ পাই দিবসে (১৪ মার্চ) সংখ্যাটা ২১ হাজার ১৫৭ (উৎস)। শুরুর সময় দেখে মানুষ বিভ্রান্ত হয়, একটা দুইটা কেস দেখে কেউ বোঝে না যে কী আসতে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যত আগে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা শুরু করা যায় তত ভালো। 

ভয় হয় বাংলাদেশ নিয়ে। সাধারণ মানুষ এবং সরকার দুইপক্ষকেই সচেতন হওয়া খুব জরুরি। তার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু উদ্ভট তথ্য আর লেখা দেখে বিরক্ত লাগে। এগুলো মানুষকে আরও বিভ্রান্ত করবে। আমি চেষ্টা করছি যেসব তথ্য এখানে দেবো সবকিছুর নির্ভরযোগ্য সূত্র লিখে দিতে যেন মানুষ যাচাই করে নিতে পারে। কোনো কথাই তথ্য-প্রমাণ ছাড়া বিশ্বাস করার দরকার নাই, আমার এই লেখাও না।
ছড়িয়ে পড়া কিছু ভুল তথ্য- ভুল ভাবনা
দুর্যোগ পরিস্থিতিতে ভুলভাল তথ্যগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করে, আরও বিপদে ঠেলে দেয়। এখানে আমার চোখে পড়া কিছু ভুল তথ্য/চিন্তা খণ্ডন করছি।

১) ইউনিসেফ নাকি বলেছে ভাইরাসটা বড়, মাটিতে পড়ে যায়... - উঁহু, বলে নাই

ইউনিসেফের বরাত দিয়ে খুবই অদ্ভুত কিছু কথা বেশ কিছুদিন ফেসবুকে ঘুরেছে যার অধিকাংশই ভুল। সেগুলোর ভেতরে আছে এমন কিছু কথা- ভাইরাসটা আকারে বড়- মাটিতে পড়ে যায়, আইসক্রিম না খেয়ে গরম পানি খেলে ভাইরাস পেটে চলে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি।  প্রথম কথা হচ্ছে ইউনিসেফ কোথাও এই জাতীয় কথা বলেনি।  এমন কিছু দেখলেই সতর্ক হোন। আপনার কোনো বন্ধু শেয়ার করলে তাকে জানিয়ে দিন ওটা ভুল, তাকে স্পষ্টভাবে মানা করুন- এটা যেন আর না ছড়ায়। এরকম ভুলভাল কথা যে ইউনিসেফের নাম দিয়ে ছড়ানো হচ্ছে এই খবর তাদের কাছেও পৌঁছে গেছে, সেই ব্যাপারে তাদের বক্তব্য পাবেন এখানে । ইউনিসেফ কাজ করে সারা পৃথিবীর শিশুদের নিয়ে। করোনাভাইরাস নিয়ে অবশ্যই তারাও সতর্ক এবং তাদের মূল বক্তব্য পাওয়া যাবে এখানে।

২) গরমের দেশে নাকি ছড়ায় না... -ভুল, সব জায়গায় ছড়াতে পারে

ফেসবুকে একটা পোস্ট চোখে পড়েছে যেখানে তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করে কেউ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে গরমের দেশে এই ভাইরাস বেশি ছড়ায় না- এটা খুবই বিপজ্জনক ভুল তথ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটা ওয়েবপাতা আছে ‘Myth Busters’ বলে। সেখানে  প্রথমেই বলা আছে ‘COVID-19 virus can be transmitted in areas with hot and humid climates’।  এখন পর্যন্ত পাওয়া সমস্ত তথ্য বলছে গরম এবং আর্দ্র এলাকাতেও COVID-19 রোগ ছড়াতে পারে। বাংলাদেশ গরম দেশ, তাতে হাত গুটিয়ে বসে থাকার কিছু নাই। ১৪ মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত সৌদি আরব, মিশরে, ভারত, ইরাক - সব জায়গায় ১০০ এর উপরে আক্রান্ত (সূত্র)। এগুলো কোনোটাই ঠাণ্ডার দেশ না।

৩) শিশুরা নাকি আক্রান্ত হয় না ... -ভুল, সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতে পারে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লিঙ্কে গেলে এটাও পাওয়া যাবে। সব বয়সের মানুষই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে। যতদূর জানা গেছে বৃদ্ধ কিংবা বয়স্করা যদি আক্রান্ত হয় তাদের ক্ষেত্রে রোগের জটিলতা বেশি হবার সম্ভাবনা আছে, শিশুদের ক্ষেত্রে রোগটা মারাত্মক আকার ধারণ করে না (ইউনিসেফের তথ্য)। তাই বলে শিশুদের কিছু হবে না ভেবে অবহেলা করার মানে নেই। তাদের জন্য রোগের ভয়াবহতা হয়তো বেশি হবে না, কিন্তু তারা বাহক হিসেবে এই রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে অসুস্থ কিংবা ঝুকিপূর্ণ মানুষের কাছে।  বয়স্ক যারা এবং যাদের দেহে আগে থেকেই কোনো একটা অসুস্থতা আছে  (যেমন অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ) তাদের ক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

৪) সবাইকে কি মাস্ক পরতে হবে? -না, যারা নিজেরা অসুস্থ, যারা স্বাস্থ্যকর্মী এবং যারা রোগীর দেখাশোনা করছে তাদেরকে মাস্ক পরতে হবে

বাংলাদেশে মাস্কের আকাল পড়ে গেছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা চড়া দামে মাস্ক বিক্রি করছেন এমন খবর চোখে পড়ছে হরহামেশাই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে আপনি যদি সুস্থ হন, বিনা কারণে মাস্ক পরার দরকার নেই (লিঙ্ক এখানে)। একই কথা বলেছে Center for Disease Control - CDC (লিঙ্ক এখানে- Respirators অনুচ্ছেদে দেখুন) আপনি যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিংবা সন্দেহভাজন কোনো রোগীর দেখাশোনা করেন, তাহলে নিজেকে সুরক্ষার জন্য মাস্ক পরুন। যদি আপনি নিজে হাঁচি বা কাশিতে আক্রান্ত হন, তাহলে মাস্ক পরুন, যেন আপনার থেকে জীবাণু আর না ছড়াতে পারে। তারা এটাও বলছে যে শুধু মাস্ক পরে নিজেকে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখা যাবে না। সাথে সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোঁয়া, হাঁচি-কাশি এলে কনুই বা টিস্যু দিয়ে ঢাকা- এগুলোর চর্চাও লাগবে।
যদি মাস্ক ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে সেটা ব্যবহারের সঠিক নিয়মটাও জেনে রাখতে হবে। কী করে পরতে হয়, কী করে খুলতে হয়, কোথায় কীভাবে ফেলতে হয়- এগুলোও জানাটা জরুরি। নিচের ভিডিওতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন কর্মী জানাচ্ছেন মাস্ক ব্যবহারের নিয়মাবলি। 


৫) রসুন খেলে, গরম পানি খেলে, ‘অমুক বলেছে তমুক খেলে’, অ্যান্টিবায়োটিক খেলে এই রোগ কি সেরে যাবে? -উঁহু, না, এই রোগের কোনো ভ্যাকসিন বা ঔষধ এখনও নাই (সূত্র)

অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়ার জন্য, ভাইরাসের জন্য নয়। Covid-19 রোগ ভাইরাসঘটিত। প্রতিরোধক কিংবা প্রতিষেধক কোনো হিসেবেই অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। যদি কোভিডে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়, এবং তার ব্যাকটেরিয়াঘটিত অন্য কোনো রোগ থাকে, তাহলে সেই অন্য রোগের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারেরা অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে Covid-19 রোগের কোনো ঔষধ এখনও নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে ২০ টির বেশি ভ্যাকসিনের কাজ চলছে, কিন্তু নানা ট্রায়াল পার হয়ে মানুষের গণহারে মানুষের ব্যবহার উপযোগী হতে বছরখানেক লেগে যেতে পারে বলে অনুমান করেছে সিএনএন । এই রোগের ঔষধ নিয়েও গবেষণা চলছে। কিন্তু সেখানেও একই ব্যাপার। নানান পরীক্ষাতে প্রমাণ করতে হবে যে ঔষধটা আসলেই কার্যকর এবং মানুষের ব্যবহারের উপযোগী।
শতকরা আশি ভাগ ক্ষেত্রে এই রোগের লক্ষণ  মৃদু থেকে মাঝারি (mild to moderate)। জ্বর, শুকনো কাশির, ক্লান্তি, কফ - এগুলোই বেশি দেখা যায়  (সূত্র-১ , সূত্র-২)। এমনিতে আপনার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাই এই জীবাণুগুলোকে একসময় হটিয়ে দেবে।
এটার আরেকটা মানে আছে। আপনি আক্রান্ত কাউকে একটা ঘাসের মধ্যে বিড়বিড় করে গালিগালাজ করে একটা ফু দিয়ে ধরিয়ে দিন, হোমিওপ্যাথির নামে চিনির দলা দিয়ে দিন, বড় সম্ভাবনা আছে সে কিছুদিন ভুগে সুস্থ হয়ে যাবে (আক্রান্ত হলে বাঁচার সম্ভাব্যতা ৯৬.৬ ভাগ) । সে ভাববে আপনি মনে হয় বিরাট কামেল, আসলে সে বুঝতেও পারবে না যে Placebo Effect ছাড়া ওইসবের আর কোনো মূল্য নাই, সুস্থ তিনি এমনিতেও হতেন।

৬) মানুষ কি শুধু শুধুই করোনাভাইরাস নিয়ে লাফালাফি করছে?... না, সতর্কতার দরকার আছে (প্যানিকের নয়)

একেবারে পাত্তা না দেওয়া এবং ভয়ে উল্টোপালটা কাজ করা- কোনোটাই কাজের কিছু না। অতি-আতঙ্কিত হয়ে নিজের কথা ভেবে অতিরিক্ত কেনাকাটা করে গুদামজাত করে ফেললে সেটা ভালো কিছু নয়, যাদের প্রয়োজন তারা পাবে না।
পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে- এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, মোটেই অবহেলার নয়। কিছু কিছু সময় থাকে যখন ভয় না পাওয়ার থেকে কিছুটা পাওয়া ভালো। এটা তেমন একটা সময়। একেবারে যারা গা করছেন না, তারাই বরং নিজের ও সমাজের জন্য বিপজ্জনক।

সারা চীন, ইতালি, স্পেন লকডাউন অবস্থায়। আমেরিকায় বড় বড় শহরে জনসমাগম নিষেধ। বড় বড় পুঁজিবাদী কোম্পানিগুলো লোকসান গুনে হলেও অফিসে যেতে মানা করছে কর্মীদের। আপনার কি মনে হয় এটা শুধু-শুধুই? যদি তা মনে হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে দোষ দেবো না। গুণোত্তর ধারা কিংবা সূচকীয় ফাংশন অনেকেই অনুভব করতে পারে না।

দাবার আবিষ্কার নিয়ে একটা গল্প প্রচলিত আছে। দাবার আবিষ্কারে খুশি হয়ে রাজা পণ্ডিতকে উপহার দিতে চাইলেন। পণ্ডিত বললেন- বেশি কিছু চাই না- প্রথম ঘরে একটা গমের দানা। দ্বিতীয় ঘরে দুইটা, তিননম্বরে চারটা, এরপর ষোলোটা। এভাবে দ্বিগুণ করে করে সব ঘরে দেবেন। রাজা বললেন, এ আর এমন কী! কিন্তু ব্যাপারটা আসলে মোটেই সামান্য না। একটু হিসেব করলেই দেখবেন এমন করে গম দিতে গেলে মোট দানার সংখ্যা হবে 2⁶⁴-1=18446744073709551615। প্রতি দানা ৬৫ মিলিগ্রাম হলে মোট ওজন হবে 1.2×10¹⁵ কেজি। সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর উৎপন্ন হয় প্রায় 7*10^11 কেজি। অর্থাৎ পণ্ডিত যা চেয়েছেন ঐ পরিমাণ গম উৎপাদন করতে পৃথিবীর 1700 বছর লাগবে! এটা এতটাই বড়ো একটা সংখ্যা।

আপনিও ঐ রাজার জায়গায় আছেন। আপনি একটা, দুইটা গম দেখে ভাবছেন এ তো কিছুই না।
না, মহামারী ঠিক এমনও আবার না। একটা সময়ে গিয়ে যারা সুস্থ হয়ে উঠবে, তারা আর নতুন করে আক্রান্ত হবে না, নতুন করে ছড়াবে না। ফলে সংখ্যাটা কমতে থাকবে। কিন্তু যদি অবহেলা করা হয়, তার আগে আক্রান্ত হবে বহু বহু মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব মতে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার ৩.৪% (সূত্র)। সংখ্যাটা কম না। ১০ লাখ মানুষ আক্রান্ত হলে ৩৪ হাজার মানুষ মারা যাবে।

কিন্তু মানুষ কি শুধু ভয়ের কারণে মাতামাতি করছে? না! এই মাতামাতির ভেতরে একটা আশার কথা আছে। আমরা এটার বিস্তৃতিকে প্রতিহত করতে পারি। সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা কার্যকর করতে পারলে এর বিস্তৃতি রোধ করা যাবে অনেকাংশে।
কীভাবে ছড়ায়

এই রোগ পরিস্থিতি মোকেবেলায় কী করা উচিৎ বুঝতে গেলে প্রথমেই জানতে হবে রোগটা ছড়ায় কীভাবে।

    এই ভাইরাস মূলত মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি আর কাশি দিয়ে বের হয় জীবাণু। সেই  জীবাণুওয়ালা হাঁচি-কাশির ফোঁটা যদি সুস্থ মানুষের নাকে, মুখে বা চোখে পড়ে- জীবাণু ঢুকে যেতে পারে শরীরে। আপনি আক্রান্ত ব্যক্তির ৬ ফুটের ভেতরে থাকলে বাতাসে থাকা সেই ভাইরাস আপনার শ্বাসের সঙ্গেও ফুসফুসে ঢুকে পড়তে পারে। এটাই এই ভাইরাস ছড়ানোর প্রধান উপায়- মানুষের কাছাকাছি সংস্পর্শ (সূত্র)।

    CDC একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছে। যাদের মধ্যে রোগের লক্ষণ স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে (জ্বর, কাশি, হাঁচি ইত্যাদি), যারা সবচেয়ে বেশি অসুস্থ তারাই রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক। যাদের শরীরে জীবাণু রয়েছে কিন্তু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, তারাও রোগ ছড়াতে পারে, তবে সেটার সম্ভাবনা কম, সেটা মূল উপায় নয় (সূত্র)।
    দ্বিতীয় উপায় হলো হাত দিয়ে জীবাণুওয়ালা কোনো তল স্পর্শ করার পর সেই হাত নাকে-মুখে-চোখে স্পর্শ করলে। হয়তো আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশির সময় হাত দিয়ে মুখ ঢেকেছে, সেই হাত আর পরিষ্কার করেনি। এরপর সেই হাত দিয়ে সিঁড়ির রেলিং, দরজার হাতল, বেসিনের কল ধরেছে। জীবাণু লেগে গেছে সেখানে। আপনি সেগুলো ধরেছেন, আপনার হাতেও লেগে গেছে জীবাণু। তারপর আপনিও আর হাত সাবান দিয়ে পরিষ্কার করেননি। এরপর নিজের নাকে, মুখে, চোখে ধরেছেন। জীবাণু ঢুকে যাবে আপনার শরীরেও (সূত্র)। তবে এই দ্বিতীয় উপায়টা রোগ ছড়ানোর মূল উপায় নয়, মূল উপায় কাছাকাছি মানুষের সংস্পর্শ।

করোনায় করণীয়
কীভাবে রোগ ছড়ায় জানলে আপনি বুঝবেন কী করলে এই ছড়ানোটা ঠেকানো যায়। নিচের দুটো পয়েন্ট লেখা হয়েছে WHO এর advice for public এবং CDC এর  How to protect yourself অবলম্বনে। লিঙ্কগুলোতে গিয়ে মূল লেখাগুলোও পড়ে আসার অনুরোধ রইল।

    ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা: সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুতে হবে বারবার (বিশেষ করে হাঁচিকাশির পর এবং পাব্লিক প্লেস থেকে ঘরে ফেরার পর)। সাধারণ সাবানই সবচেয়ে দারুণ কার্যকর- সাবানের অণুগুলো ভাইরাসের শরীরের চর্বির দেয়াল ভঙ্গে ফেলে ভাইরাসকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে। সাবান না থাকলে হ্যান্ড- স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে যেখান অ্যালকোহলের পরিমাণ ৬০% এর বেশি। হাত পানিতে ভিজিয়ে এরপর সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধুতে হবে (দুইবার হ্যাপি বার্থডে টু ইউ গান গাইলে প্রায় ২০ সেকেন্ডের একটু বেশি হয়)। নখের নিচে আঙুলের ভাঁজে, হাতের উল্টো পৃষ্ঠে ভালো করে ধুতে হবে।

    হাঁচি-কাশি এলে হাতের তালু দিয়ে না ঢেকে কনুই দিয়ে ঢাকতে হবে। অথবা হাঁচি-কাশি টিস্যু পেপার দিয়ে ঢাকতে হবে, এরপর সাথে সাথে টিস্যু পেপারটা ময়লা ফেলার জায়গায় ফেলে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

    যেখানে সেখানে কফ, থুতু ফেলবেন না।

    নাকে মুখে চোখে হাত দেওয়া থেকে থেকে বিরত থাকতে হবে।

    সামাজিক দূরত্বায়ন (Social Distancing): হাঁচি- কাশি হচ্ছে এমন কারও ৬ ফুটের ভেতর আসবেন না। আমাদের অফিসে বলে দিয়েছে পারলে কারও ৬ ফুটের ভেতরেই আসার দরকার নাই। হ্যান্ডশেক বাদ দিন। অপ্রয়োজনে  বা স্বল্প প্রয়োজনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। জনসমাবেশে যাওয়ার দরকার নেই। যদি আপনি নিজে হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত হন, নিজেকে বাসায় আটকে ফেলুন, কোথাও বের হবেন না। বাসা থেকেই হটলাইনে ফোন দিন।  রাষ্ট্র নিজেও এটাকে কার্যকর করতে পারে। প্রয়োজনে সারা দেশ লক ডাউন করে দিতে পারে। আক্রান্ত এলাকার সঙ্গে সড়ক, নৌ- কিংবা আকাশপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারে। অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ সব বন্ধ করে দিতে পারে। এমন হলে সেই নির্দেশনাকে মেনে চলবেন।

    মানুষ থেকে মানুষে ছড়ানোটাই যে রোগের বিস্তৃতির মূল উপায় তাকে বড় আকারে প্রতিহত করতে গেলে এই দূরত্বায়নের বিকল্প নেই।

    সামাজিক দূরত্বায়ন যে কাজ করে সেটার প্রমাণ ইতিহাসে বহুবার পাওয়া গেছে। চীনের উহানে সব লকডাউন করে ফেলার পর নতুন আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আছে সামাজিক দূরত্বায়ন কার্যকর করার মাধ্যমে। ইতালি দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে- সারা দেশ এখন লকডাউনে। কেউ ঘরে থেকে বেরোবে না খুব খুব জরুরি দরকার নাহলে।

    দূরত্বায়নের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ‘Flattening the curve’। একই সময়ে বহু মানুষ আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থাই ভেঙে পড়ে। সামাজিক দূরত্বায়ন কার্যকর করলে এটার ব্যবস্থাপনা কিছুটা সম্ভব হয়। সামাজিক দূরত্বায়ন কতটা কার্যকরী, তার একটা চমৎকার এনিমেশন প্রকাশিত হয়েছে Washington Post এ, সেটার লিঙ্কটা পাওয়া যাবে এখানে।


শেষ কথা:
এই ভাইরাস নভেল বা নতুন। ডিসেম্বর ২০১৯ এর আগে এমন ভাইরাস মানবজাতির ইতিহাসে কখনও কোথাও দেখা যায়নি। এর জন্য আমাদের শরীর প্রস্তুত নয়, প্রস্তুত নয় আমাদের অবকাঠামো। নেই ভ্যাকসিন, নেই ঔষধ। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে পরিচ্ছন্নতা, সামাজিক দূরত্বায়ন আর রাষ্ট্রীয়ভাবে ভ্রমণ, জনসমাবেশ নিষিদ্ধ, এমনকি প্রয়োজনে অফিস-আদালত, স্কুল কলেজ বন্ধ করার মতো আগ্রাসী কিন্তু কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এই ভাইরাসের ভয়াবহতাকে লাঘব করা সম্ভব।
সারা পৃথিবীর মানুষ সুস্থ থাকুক, রোগমুক্ত জীবন কাটাক এটাই প্রার্থনা।
পুনশ্চ:
মূল নোট লেখার পরে কিছু প্রশ্ন এসেছে। এখানে সেগুলোর উত্তর রেফারেন্সসহ লিখে রাখি।

১. আপনি লিখেছেন - ‘একটা সময়ে গিয়ে যারা সুস্থ হয়ে উঠবে, তারা আর নতুন করে আক্রান্ত হবে না, নতুন করে ছড়াবে না। ফলে সংখ্যাটা কমতে থাকবে।’ কিন্তু শোনা যাচ্ছে একবার আক্রান্ত হওয়ার পর নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
উত্তর: এটার সম্ভাবনা খুবই  খুবই কম। কিছু ক্ষেত্রে হাস্পাতাল থেকে ছাড় দেওয়ার পর আবার ভর্তি  করতে  হয়েছে। একবার আক্রান্ত হওয়ার পর আবার করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে- এমন খবর আমিও  পড়েছি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন- সেটার মূল কারণ হতে পারে যে আগের ইনফেকশন  পুরোপুরি সারেনি। ডায়গোনস্টিক রিপোর্ট ভুল।

২. আপনি লিখেছেন করোনাভাইরাস নতুন ভাইরাস। কিন্তু এর আগেও তো ২০০৩ এ চীনে SARS (Severe Acute Respiratory Syndrome), ২০১২ তে মধ্যপ্রাচ্যে MERS (Middle Eastern Respiratory Syndrome) রোগ হয়েছিল করোনাভাইরাস থেকে।

উত্তর: ভাইরাসের একটা ধরনের নাম হলো করোনাভাইরাস, সেসব ভাইরাসের দেহে রাজমুকুটের (ল্যাটিন ভাষায় Corona মানে মুকুট) মতো প্রোটিন বের হয়ে থাকে। অনেক প্রজাতির করোনাভাইরাস রয়েছে, তার মধ্যে মানুষের শরীরে রোগ তৈরি করতে পারে এমন ছয় রকমের করোনাভাইরাস আগে জানা  ছিল। SARS ভাইরাস, MERS ভাইরাস এগুলো সেই ছয় রকমের মধ্যে দুটো। গত  ডিসেম্বরে উহানে যেটি পাওয়া গেল, সেটাও করোনাভাইরাস কিন্তু সম্পূর্ণ নতুন  প্রজাতির, এটার নাম দেওয়া হয়েছে SARS-CoV-2। এই দিয়ে মোট সাত রকমের Human Coronavirus হলো। এটা একেবারে নতুন বলে  এটাকে Novel Coronavirus বলা হচ্ছে।

৩. আপনি লিখেছেন- সবাইকে গণহারে মাস্ক পরার দরকার নেই। মাস্ক কি কোনোই কাজ করে না?

উত্তর: মাস্ক অবশ্যই কিছুটা সুরক্ষা দেয়, কিন্তু সেটা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে। Covid-19 রোগ ছড়ায় হাঁচি-কাশির ফোঁটা নাকে,  মুখে, চোখে গেলে। মাস্ক ঐ ফোঁটাগুলো আটকাতে পারবে। কিন্তু ভাইরাস যদি বাতাসে থাকে, সেটার আকার এতই ছোট (ব্যাস 125 nm) সাধারণ ফেস-মাস্ক বা Surgical Mask এর ভেতর দিয়ে অনায়াসে ঢুকে যাবে। এটা ঠেকাতে দরকার বিশেষ N95 respirator, যেটা খুবই শক্তভাবে লেগে থাকে। ওটা দিয়ে শ্বাস নেওয়াই কষ্ট। CDC এটাকে গণহারে ব্যবহার করতে মানা করেছে।

আরও কয়েকটা ব্যাপার জরুরি, মাস্ক ব্যবহার করতে হলে নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।  এর সামনের দিকটা জীবাণুতে পূর্ণ থাকে। ওখানে কখনোই হাত দেওয়া যাবে না। পরা কিংবা খোলার সময় রাবার ধরে পড়তে হবে, খুলতে হবে। পরা বা খোলার পর হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। যেখানে সেখানে মাস্ক ফেলে দেওয়া যাবে না। এক মাস্ক বহুক্ষণ পরে থাকা যাবে না। এমনসব নিয়ম না মানতে পারলে লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা বেশি।  এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনের সুরক্ষা উপকরণে স্বল্পতা সারা পৃথিবী জুড়েই। সাধারণ মানুষ গণহারে ব্যবহার করলে এই স্বল্পতা আরো বাড়বে। গার্ডিয়ান পত্রিকা একটা কথা লিখেছে, সেটা মার ভালো লেগেছে মাস্ক মানুষকে একটা ভুল তৃপ্তি বা স্বান্ত্বনা দেয় যে  সে সুরক্ষিত। কিন্তু মাস্ক পরার সাথে সাথে যদি বারবার হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশি কনুই দিয়ে আটকানো, আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে ৬ ফুট দূরে থাকা - এসব নিয়ম না মানা হয়, তাহলে শুধু মাস্ক তাকে সুরক্ষা দেবে না।

আমার ধারণা এসব কারণে WHO এবং CDC দুটো প্রতিষ্ঠানই সুস্থ মানুষের জন্য বিনাপ্রয়োজনে মাস্ক পরাকে নিরুৎসাহিত করেছে। আপনি যদি নিজে অসুস্থ হন তাহলে পরুন, স্বাস্থ্যকর্মী হলে পরুন, অসুস্থ ব্যক্তির দেখাশোনা করেন তাহলে পরুন।

https://www.facebook.com/notes/chamok-hasan/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8-%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%95-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B7-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A7%8B%E0%A6%95-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87/10222152066891057/

2
 আজকাল অনেকেই ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন। লিভারে চর্বি জমে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। মুঠো ভরে ওষুধ খেয়েও এই সমস্যা দমিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যায়। তবে প্রাকৃতিকভাবেও যে লিভার পরিষ্কার করা সম্ভব তা অনেকেরই অজনা।

যেকোনও ধরনের লিভারের সমস্যা মোকাবিলায় উপকারী তেঁতুল। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকর সব পদার্থ বের করে দেয়। সেইসঙ্গে হজম প্রক্রিয়াও তরান্বিত করে। তেঁতুল লিভার সুরক্ষায় বেশ কার্যকর। এটি খারাপ কোলেস্টেরল ধ্বংস করে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।
দুই মুঠো খোসা ছাড়ানো পাকা তেঁতুল নিন, সঙ্গে এক লিটার পানি ও মধু। একটি ব্লেন্ডারে তেঁতুল ও পানি মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। এরপর মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয়টি সারাদিন সংরক্ষণ করতে পারবেন। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এই পানীয়টি পান করতে হবে।

আপনি এই তেঁতুল পানীয়টি প্রতিদিন কেন পান করবেন?

১. তেঁতুলে থাকা ল্যাক্সেটিভ উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকর।

২. এই পানীয় শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে সক্ষম। এজন্য লিভারে জমা ফ্যাট গলে যায়। এতে করে আপনার লিভারের বয়স ২০ বছরের মতোই তরুণ থাকবে।

৩. কোলন ক্যান্সারের সমস্যায় অনেকই ভুগে থাকেন। জানেন কি? তেঁতুলের এই পানীয় আপনার কোলনকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।

৪. উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে তেঁতুলে। এটি আপনার ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।

৫. হৃদরোগের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করবে তেঁতুলের এই পানীয়। কারণ এতে থাকা উপকারী উপাদানসমূহ খারাপ কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে ধ্বংস করে।

https://www.bd-pratidin.com/health-tips/2020/02/18/503109?fbclid=IwAR3H1trVANdWGCQkC3gO1ZJL03nkdf005imTkz2DXTGJ9ApaF_K7QjVvcsc

3

If you like sweetness on a Friday night, something new and exciting, or something that will give you energy and perhaps a little skip in your step, then you are likely someone who likes a good date or even several. And whether we’re talking about a romantic outing with another person or an edible sweet fruit, it mattereth not. Dates out to dessert, or dates for dessert are both as awesome as they are healthy for the body and mind. Yet, for this article, we are talking about the the fruit of the date palm grown in many tropical regions of the world.
Moreover, if you eat three of these soft, squishy fruit everyday for one week, you may consider makin dates a more regular occurrence because the following things will likely happen to your body:

1. Reduced risk of colon cancer
Along with insuring that food moves through the digestive system at a healthy rate, dates also make sure that the gut itself is healthy and free from harmful bacteria. And when the digestive system and gut are working well, then so is the colon, resulting in a reduced risk of colon cancer.
A study conducted by the Department of Food and Nutritional Sciences found that those who consumed dates had enhanced colon health because dates increased the growth of good bacteria, inhibiting the growth of colon cancer cells.

2. You’ll have quick, long lasting energy
Dates contain the natural sugars, glucose, fructose and sucrose that will give you a quick burst of energy when you need it. And unlike energy bars or drinks, dates contain other healthy components like fiber, potassium, magnesium, vitamins and antioxidants that will keep those levels up, and not send you quickly crashing down.

3. Your digestive health will improve
If you want to keep things in your digestive system moving along nice and regularly, dates are just the thing to do that. In just a one cup serving or dates, you will get 12 grams of fiber. That’s 48 percent of your recommended daily intake!
The right amounts and right kinds of fiber can benefit your digestive health by preventing constipation and promoting regular bowel movements. And dates are most definitely the right kind of fiber to do the job. In fact, a study published in the British Journal of Nutrition  found that people who consumed 7 dates per day for 21 days showed improvements in stool frequency and increase in bowel movements compared to when they did not eat dates.

4. You could be smarter
Dates contain Vitamin B6 that has been shown to improve performance of brain by helping the body make serotonin and norepinephrine. Serotonin in turn regulates mood and norepinephrine helps your body cope with stress. Conversely, research has shown that low levels of Vitamin B6 is linked to depression.
So, when your brain is clear from stress, and in a good mood, then it is sharp and ready to learn and retain information.

5. Treatment for hemorrhoids
Hemorrhoids are veins in your anus and rectumthat have become inflamed and swollen. This is often caused by constipation that leads to strain in that area at the far end of the digestive tract. This is a terrible and often very painful condition that fortunately can be treated and even reversed through a change in diet to reduce constipation.
Many doctors recommend a diet high in fiber, and that includes dates to help things move along so that your hemorrhoids can heal.

6. Cure a broken heart, aka, improve your cardiovascular system
Sometimes all it takes is several dates in a row over a long period of time to cure a broken heart.
It’s true. The potassium contained in this seemingly magical little fruit has been found lowering LDL (bad cholesterol) that causes blockages in the arteries that lead to stroke and even heart attack. A study of older women found that high potassium intake is associated with a lower risk of stroke and ischemic stroke and mortality.
So, invest in a date — even several over a long period of time — and you will find long lasting health that could very well lead to your happily ever after.
https://www.foodprevent.com/if-you-eat-3-dates-everyday-for-1-week-this-is-what-happens-to-your-body/4/

4
কখনও ভেবে দেখেছেন কি, কেন বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই স্ত্রী এডিস মশা গায়ে বসলে আমরা বুঝতে পারিনা বা অনেক সময় কামড়ানোর পর কেন বুঝতে পারি? এর কারন, স্ত্রী এডিস মশার Back biting behaviour. অর্থাৎ এরা Host কে পেছন দিক থেকে আক্রমণ করতে পছন্দ করে। যেমন কানের পিছনে, হাতের কনুই বা পায়ের গোড়ালি, যেনো প্রাথমিকভাবে আপনি তাকে Detect করতে না পারেন।

অফিস আদালত বা স্কুল কলেজে স্ত্রী এডিস মশার দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার হার তুলনামূলকভাবে বেশী। কারন- প্রথমত এরা Daytime biter আর দ্বিতীয়ত আমাদের Body position and mind set-up.

টেবিল-চেয়ার ব্যবহার করায় আমাদের শরীরের অর্ধেক অংশই দৃষ্টির আড়ালে থাকে। ছাত্রছাত্রীরা পড়ালেখায় আর আমরা অফিশিয়াল কার্যক্রমে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আর এই Concentration /focus of mind on one thing exclude our feelings or sensation from the surroundings. আর এর সুযোগটাই স্ত্রী এডিস মশা সম্পূর্ণরূপে কাজে লাগিয়ে থাকে।

স্ত্রী এডিসের সবচাইতে Worst বৈশিষ্ট্য হলো intermittent feeding capability এবং একই সময়ে বিভিন্ন Host থেকে রক্ত সংগ্রহের প্রবণতা।এরা কুকুর/বিড়াল/গৃহপালিত পশুপাখি থেকে রক্ত সংগ্রহের পাশাপাশি মানুষ থেকেও রক্ত সংগ্রহ করে ডিম পাড়ার জন্য। আবার অনেক ক্ষেেএ একাধিক মানুষ থেকেও রক্ত সংগ্রহ করে থাকে। এই Host seeking behaviour এদেরকে রোগ সংক্রমণ বা ছড়ানোর ব্যাপারে এতোটা দক্ষ করে তোলে।

তাই এডিস মশার কামড়/দংশন থেকে বাঁচতে আমরা নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করতে পারি...

(১) পার্সোনাল প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করা। বাইরে বের হবার পূর্বে বা ঘরে অবস্থানের সময়ও ফুলহাতা জামা ব্যবহার করা (সাদা/হালকা রঙের)

(২) সাদা রঙের প্যান্ট / পায়জামা এবং অবশ্যই পা-মোজা (সাদা রঙের) ব্যবহার করা।

(৩) বিভিন্ন ধরনের মশা তাড়ানোর ক্রিম/তেল শরীরের উন্মুক্ত স্থানে ব্যবহার করা। যেমন- Odomos, Fabric roll on, neem oil, lavender oil. আর যদি এসবের কোনো কিছুই পাওয়া না যায় তবে নিমপাতা বেটে এর রস হাতে-পায়ে ব্যবহার করতে পারেন।

(৪) স্ত্রী এডিস মশা সবচাইতে বেশী active থাকে সূর্যোদয়ের পর থেকে দুই ঘন্টা পর্যন্ত এবং সূর্যাস্তের বেশ কয়েক ঘন্টা আগে থেকে। বাড়িতে এবং স্কুল-কলেজে/ অফিসে (অফিস টাইমের পূর্বেই) কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বা ক্ষেত্রবিশেষে নিজ উদ্যোগে সকাল ৬-৭ টার মধ্যে প্রতিটি রুমে কয়েল জ্বালিয়ে দিন/কীটনাশক স্প্রে করুন (দরজা-জানালা বন্ধ রাখা অবস্থায়)।

এর ২/৩ ঘন্টা পর ফুলস্পিডে ফ্যান চালু করে দিন এবং প্রতিটি রুমের একটি করে জানালা খুলে দিন। এতে করে ক্ষতিকর ধোঁয়া ও মশা দুটোই ইনশাআল্লাহ বেরিয়ে যাবে [আপনার কক্ষটি ১ম/২য় /৩য় তলায় হলে কয়েল বন্ধ না করাই ভালো]।

বাড়িতে বা সান্ধ্যকালীন অফিসে বিকেল ৪ টার সময় উপরোক্ত প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন এবং এক্ষেত্রে ধোঁয়া ও মশা বেরিয়ে যাবার পর দরজা-জানালা একেবারে বন্ধ করে দিন এবং প্রয়োজনে মশার কয়েল নিভিয়ে ফেলুন।

(৫) আমাদের Body odor বা দেহের গন্ধে স্ত্রী মশা সবাচাইতে বেশি আকৃষ্ট হয়। তাই সম্ভব হলে নিমপাতা সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করুন।

(৬) ছাদে বা পানির ট্যাংকের পাশে বা গ্যারেজে যে সমস্ত জায়গায় পানি জমে থাকে সেখানে পানি অপসারণ করা না গেলে প্রয়োজনে ১/২ মুঠো লবণ ছিটিয়ে দিন।

(৭) যানবাহন/প্রাইভেট কার রাতে বন্ধ করার পূর্বে কীটনাশক স্প্রে করুন।

(৮) ঘরে সাদা রঙের পরদা ব্যবহার করুন যেন Aedes মশা সহজে লুকিয়ে থাকতে না পারে।

(৯) সর্বোপরি ঘরে অবস্থানকালে ঘুমানোর সময়(দিনে/রাতে) মশারি ব্যবহার করুন।

কীটনাশক ফগিং করার নিম্নলিখিত নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে :

১. কীটনাশকের low dose /minimum dose ব্যবহার করতে হবে এবং কোন odor বা ঝাঁঝালো গন্ধ থাকা চলবে না।

২. স্ত্রী Aedes দমনে ফগিং করতে হবে সকাল (৫.৩০- ৭.৩০ ) টার মধ্যে এবং বিকেল (৪.৩০-৬.৩০ ) টার মধ্যে। যখন স্ত্রী Aedes host search করতে এর লুকানো জায়গা থেকে বেরিয়ে আসে।

৩. ফগিং সিডিউল প্রতিসপতাহে প্রকাশ করতে হবে যেখানে উল্লেখ থাকবে কোন জায়গায় কবে ফগিং করা হবে।

৪. জনগনকে fogging machine এর চলাচলের route থেকে দূরে থাকতে নিদেশ দেয়া হবে। কোনক্রমেই কোন মানুষকে লক্ষ্য করে spraying/ fogging করা যাবে না।

৫. Sprayman নিজেও নিরাপত্তা পোশাক ও মাসক্ ব্যবহার করতে বাধ্য থাকবেন spraying / fogging করার সময়।

https://www.campuslive24.com/opinion/25266/%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%81-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%8B%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%93-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6

5
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় আছে ‘‌শরীরের নাম মহাশয়, যেমন সয়াবে , তেমন সয়’‌। কথাটা একদম ঠিক। শরীরকে যেভাবে রাখবেন, তার ওপরই নির্ভর করছে আপনার সুস্থতা। শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ–প্রত্যঙ্গকেই তাই সঠিক সময়ে সঠিকভাবে পরিচর্যা করা উচিত। সম্প্রতি ক্যান্সারের পাশাপাশি কিডনির রোগেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকী এই রোগ প্রাণও কেড়ে নিচ্ছে অনেকের। ১৪ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ছিল কিডনি ডে। এই উপলক্ষ্যে ফর্টিস হাসপাতালের রেনাল বিভাগের চিকিৎসক উপল সেনগুপ্ত জানালেন কিভাবে আমরা আমাদের কিডনিকে যত্নে রাখব।
ডাঃ উপল সেনগুপ্ত প্রথমেই জানান যে ক্রনিক কিডনির রোগকে দূরে সরিয়ে রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হল শরীরে রক্তচাপ ও সুগারের স্তর যেন স্বাভাবিক থাকে। নির্দিষ্ট একটি বয়সের পর অবশ্যই নিয়মিত রক্তচাপ–সুগার পরীক্ষা করানো উচিত। আনন্দপুর ফর্টিস হাসপাতালের রেনাল কেয়ার বিভাগের আর এক চিকিৎসক পার্থ কর্মকার জানান, গরমের সময় মানুষের শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। তাই গরমে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে যাতে শরীরে জলাভাব না থাকে। কারণ জলাভাবের জন্য অনেকসময় কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে কিডনিতে পাথরও জমে না। শুধু তাই নয়, যঠিক পরিমাণে জল পান করলে পলিসিস্টিক কিডনির রোগ এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। ডাঃ পার্থ কর্মকার জানালেন কিডনিকে সুস্থ রাখতে কি কি মেনে চলা উচিত।
১)‌ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা। শরীরে যাতে জলাভাব না থাকে।
২)‌ প্রত্যেকের শরীরের নিয়ম আলাদা আলাদা থাকে। তবে নিজের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য যতটা দরকার ততটাই জল পান করুন প্রতিদিন।
৩)‌ তবে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জল খেলে শরীরে সোডিয়াম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ক্ষতিকর হতে পারে।   
৪)‌ ব্যাথার ওষুধ খাওয়ার সময় বেশি করে জল পান করা উচিত।
৫)‌ কিডনি বিকল হওয়া শুরু করলে জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।
চিকিৎসক উপল সেনগুপ্ত জানালেন উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ সুগারের লেভেল শরীরে বেড়ে যাওয়ার ফলে ক্রনিক কিডনি রোগ হয়। তাই সময় থাকতে রক্তচাপ–সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে রাখা দরকার। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এছাড়া,
১)‌ ব্যাথা জাতীয় ওষুধ বা মাদকাদ্রব্য থেকে দূরে থাকা ভাল।
২) ভুলভাল ওষুধের থেকে শরীরকে দূরে রাখা।
৩)‌ গরমের সময় যেন শরীরে জলাভাব না থাকে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া।
৪)‌ ৪০ বছরের পর নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত। কারণ এই সময়েই শরীরে উচ্চ রক্তচাপ ও সুগারের লেভেল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৫)‌ বেশ কিছু মহিলা গর্ভবতী হওয়ার সময় এসএলই ধরা পড়ে, যা পরে গিয়ে ক্রনিক কিডনি রোগে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আগে থাকতেই নেফ্রোলজিস্টকে দেখিয়ে রাখা দরকার। যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।  ‌   

6
আমি তো জানি আপনার ধর্মে বিশ্বাস নাই,তাহলে রোজা রাখছেন যে?’ ভদ্রলোক যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ভার্জিনিয়া টেক থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন, জব করছেন একটা প্রাইভেট ফার্মের উঁচু পদে, তার সাথেই কথা হচ্ছিল ।

তোমরা যাকে রোজা বল, আমি তাকে বলি ‘অটোফেজি’। রোজার মাসে খাবার-দাবারের ঝামেলা, তাই এই মাসটা আমি অটোফেজি করি।

‘অটোফেজি! এটা আবার কি?

তুমি ‘অটোফেজি বোঝ না? তোমাদের রোজার উপর গবেষণা করে জাপানি গবেষক ওশিনরি ওসুমি ২০১৬ সালে ‘অটোফেজি আবিষ্কার করে নোবেল নিয়ে নিল! আর তুমি ‘অটোফেজি বোঝ না!

নড়েচড়ে বসলাম, একটু বুঝিয়ে বলেন তো?

অটোফেজি শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ অটো ও ফাজেইন থেকে। বাংলায় এর অর্থ হচ্ছে আত্ম ভক্ষণ বা নিজেকে খেয়ে ফেলা।

কি সাংঘাতিক! বলেন কি ?

উপবাসের সময় আমাদের শরীরের সক্রিয় কোষ গুলো চুপচাপ বসে না থেকে সারা বছরে তৈরী হওয়া ক্ষতিকারক আর নিষ্ক্রিয় কোষগুলোকে খেয়ে ফেলে শরীরকে নিরাপদ আর পরিষ্কার করে দেয়। এটাই ‘অটোফেজি। ‘অটোফেজি আবিষ্কারের পর থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মের বা ধর্ম মানে না অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ সারা বছরে বিভিন্ন সময়ে ‘অটোফেজি করে শরীরটাকে সুস্থ রাখে । জেনে অবাক হবে, অটোফেজি তে ক্যান্সারের জীবণুও মারা যায়!

কিছুটা সময় নিশ্চুপ হয়ে বসে রইলাম। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতায় মনটা খুব নরম হয়ে গেল।

কি হলো চুপ হয়ে গেলে যে ?

আপনার কি মনে পড়ে আমাকে বলেছিলেন ‘তোমাকে অভুক্ত রেখে তোমার স্রষ্টা খুশি হয় কি করে ? সেদিনের আপনার এ কথার জবাব আজ পেয়ে গেছি। আমার আল্লাহ তাঁকে (আল্লাহকে) খুশী করার কথা বলে রোজার মাধ্যমে আমাকে সুস্থ রাখছেন।

কী অবাক করা বিষয়,

‘অটোফেজি আবিষ্কার হলো ২০১৬ তে, অন্য ধর্মাবলম্বীরা এখন ‘অটোফেজি করছে এর উপকারীতা জেনে। আর মুসলিমরা ‘অটোফেজি করে আসছে হাজার বছর ধরে কিছু না জেনে; শুধু বিশ্বাস করে ।

অনেক কিছুতেই হয়তো আপনি মানে খুঁজে পাননা কিন্তু এটাই সত্য যে ইসলামে অকল্যাণের কিছু নেই!

ওসুমি জাপানের ফুকুকায় জন্মগ্রহণ করেন। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে বিজ্ঞানে স্নাতক ও ১৯৭৪ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত নিউইয়র্ক সিটির রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টডক্টরাল ফেলো ছিলেন।[১]

১৯৭৭ সালে সহযোগী গবেষক হিসেবে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। ১৯৮৬ সালে প্রভাষক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ১৯৯৬ সালে ওকাজাকি সিটিতে অবস্থিত জাতীয় বেসিক বায়োলজি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরিত হন।

সেখানে তিনি অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত হেয়ামার গ্র্যাজুয়েট এডভান্সড স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপকের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৪ সালে অবসর নেয়ার পরও ইনোভেটিভ গবেষণা ইনস্টিটিউট ও টোকিও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে অধ্যাপকের দায়িত্ব চালিয়ে যান।


https://www.bdview24.com/2019/05/08/27252/?fbclid=IwAR3dba1xlg4H16wlHRw_MiInOVEflfYmLD8c-2_JjOCsLzJQDheq1Z77gL0

7
ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ দূর করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক সংক্রমণের বৃদ্ধি কমিয়ে দেয় বা বন্ধ করে দেয়। ব্যাকটেরিয়া দিয়ে সংক্রমিত হলে চিকিৎসকরা আমাদের অ্যান্টিবায়োটিক দেন। তবে কিছু প্রাকৃতিক উপাদানও রয়েছে, যেগুলো অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। এই ভেষজ উপাদানগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এসব প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর কথা।

১. হলুদ

হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। এগুলো ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধেও কাজ করে।

২. আদা

আদা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ  প্রতিরোধ করে। শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা প্রতিরোধে আদা খুব ভালো ঘরোয়া উপাদান।

৩. নিম

নিমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। এটি ব্রণ তৈরির ব্যাকটেরিয়াগুলোর সঙ্গে লড়াই করে, মুখগহ্বরের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে, ক্ষয় ও মাড়ির রোগ প্রতিরোধ করে।

৪. মধু

মধুও আরেকটি চমৎকার অ্যান্টিবায়োটিক। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হওয়াকে ব্যাহত করে।

৫. জলপাইয়ের তেল

জলপাইয়ের তেলও ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান। এগুলো ত্বকের সংক্রমণ কমায়।


https://www.ntvbd.com/health/44683/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8

8
কিডনি এমন একটি অঙ্গ, যেটি অবিরত কাজ করতে থাকে। এটি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। অধিকাংশ কিডনি রোগের বেলায় কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। রোগ খুব খারাপ পর্যায়ে চলে গেলে লক্ষণ বোঝা যায়।

কিডনির সমস্যার কিছু লক্ষণের বিষয়ে জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।

১. ত্বকের শুষ্কতা

ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতাসহ চুলকানি ও হাইপার পিগমেন্টেশন কিডনির সমস্যার লক্ষণ প্রকাশ করে।

২. মুখে দুর্গন্ধ

অনেক রোগেই মুখে দুর্গন্ধ হয়। এসব রোগের মধ্যে অন্যতম ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন। কিডনির সমস্যা হলো মেটাবলিজম প্রোডাক্ট (বিপাক পণ্য) রক্ত থেকে সহজে বের হয় না। এ কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়।

৩. শরীর ফোলা

শরীরে পানি আসা কিডনির সমস্যার একটি লক্ষণ। এ ক্ষেত্রে প্রথমে পায়ে পানি আসে, এরপর ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ শরীরে পানি আসতে শুরু করে।

৪. উচ্চ জ্বর

উচ্চ জ্বরসহ পিঠে ভীষণ ব্যথা, প্রস্রাবের সমস্যা হওয়া, বমি হওয়া ইত্যাদি কিডনির সমস্যার লক্ষণ। এ লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

https://www.ntvbd.com/health/248739/%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A7%8B-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87

9
পুষ্টি ও ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস বাড়ন্ত শিশুর জন্য খুব জরুরি। কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেল বাড়ন্ত শিশুর সঠিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

শিশুদের  জন্য জরুরি কিছু খাবারের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট  টপ টেন হোম রেমেডি।   

১. দুধ

দুধ শিশুদের জন্য খুব জরুরি একটি খাবার। দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম  ও ফসফরাস। এই মিনারেলগুলো হাঁড়, দাঁত ও নখের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধিতে উপকারী ।

এ ছাড়া দুধের মধ্যে রয়েছে  প্রোটিন, জিংক, ভিটামিন এ, বি২ ও বি১২। এর মধ্যে আরো রয়েছে আয়োডিন, নায়াসিন ও ভিটামিন বি৬। এগুলো বাড়ন্ত শিশুর বৃদ্ধির জন্য খুব উপকারী।

একটি বাড়ন্ত শিশুকে দৈনিক এক থেকে দুই গ্লাস দুধ খাওয়ান। আপনার শিশু দুধ পছন্দ না করলে দুধের তৈরি অন্যান্য খাবার খাওয়াতে পারেন। যেমন  : পুডিং,  কাস্টার্ড, মিল্ক সেক ইত্যাদি।

২. ডিম

ডিমের মধ্যে উচ্চ প্রোটিন থাকার কারণে এটি বাড়ন্ত শিশুদের জন্য খুব উপকারী। ডিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি, ওমেগা -৩ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ডি, ফোলেট, জিংক, আয়রন ও সিলিয়াম।  এসব উপাদান শিশুর বৃদ্ধিতে সহায়ক। তাই শিশুকে নিয়মিত ডিম খাওয়াতে ভুলবেন না।

৩. মাছ

মাছ প্রোটিনের ভালো উৎস। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি, মিনারেল, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় । এ ছাড়া এটি হার্ট ভালো রাখতে উপকারী।

৪. মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে পুষ্টি ভরপুর রয়েছে। এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বেটা কেরোটিন। এটি দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে। এই আলু ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফোলেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও আঁশের ভালো উৎস।

অধিকাংশ শিশুই এই সবজিটি পছন্দ করে। মিষ্টি আলু সিদ্ধ, গ্রিল ও বেক করে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

৫. দই

দই, বিশেষ করে গ্রিক দই বাড়ন্ত শিশুদের জন্য উপকারী। দইয়ের মধ্যে থাকা ভালো ব্যাক্টেরিয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে এবং হজম ভালো করে। এ ছাড়া নিয়মিত দই খাওয়া হাড় ও দাঁত শক্তিশালী রাখতে কার্যকর।


https://www.ntvbd.com/health/248861/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0

10
জয়েন্টের ব্যথা কমাতে ব্যায়াম খুব গুরুত্বপূর্ণ। জয়েন্টের ব্যথা কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরি। তবে তীব্র ব্যথার সময় কি ব্যায়াম করা ঠিক?

এ  বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানেরর ৩৪২১তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক কাজী শহীদুল আলম। বর্তমানে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : জয়েন্ট ভালো রাখতে ব্যায়াম কতটা গুরত্বপূর্ণ?

উত্তর : জয়েন্ট মুচকে গেলে বেশ কিছুদিন এই জায়গাটা নড়াচড়া করানো যায় না। এতে পেশিগুলো কাজ না করার জন্য সরু হয়ে যায়। একে আবার ব্যবহার উপযোগী করার জন্য ব্যায়াম করতে হবে। ফিজিওথেরাপি করা দরকার। অনেক সময় চিকিৎসকরা বাসায় বসে দেখিয়ে দেন, আপনি কী কী ব্যায়াম করবেন। এই ব্যায়ামগুলো করলে আবার পেশিগুলো পুরোপুরি ঠিক হবে। সবসময় মনে রাখতে হবে, যখন একটি পায়ে ব্যথা হয়, তখন অন্য পায়ের ওপর আমরা চাপ দেই।

প্রশ্ন : ব্যায়াম কখন করা ভালো?

উত্তর : আমার মনে হয় যখন বেশি ব্যথা থাকে, তখন ব্যথা না করাই ভালো। ব্যথা কমে গেলে ব্যায়াম শুরু করতে হবে। ব্যায়াম করলে কিছু ব্যথা হতে পারে। এ জন্য ভয় পাওয়ার কোনো দরকার নেই। ব্যায়াম করবেন, একটু ব্যথা হবে। তখন গরম পানি বা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে স্যাঁক দেবেন। দিলে দেখবেন যে ব্যথাটা কমে গেছে। এ ছাড়া ওষুধ খেতে হবে। ওষুধ খেলে ফোলাটা কমবে, ব্যথা কমবে।
https://www.ntvbd.com/health/249289/%E0%A6%9C%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%9F-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%A0%E0%A6%BF%E0%A6%95

11

ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হওয়ার আগে ওষুধ সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্ন করে বিস্তারিত জেনে নিন।
অনেকেরই রোগ সেরে যাওয়ার কিংবা সামান্য সুস্থ বোধ করলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার প্রবণতা আছে।

চিকিৎসকের পরামর্শপত্রকে টেক্কা দিয়ে ডাক্তারি না করে চিকিৎসককেই আরও কিছু প্রশ্ন করে জেনে নিতে হবে তার লিখে দেওয়া ওষুধ সম্পর্কে।

কী সেই প্রশ্ন? স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে সেই বিষয়ে জানানো হল।

কোন ওষুধের কী কাজ?

চিকিৎসকের লিখে দেওয়া ওষুধ অন্ধ-বিশ্বাসে খাওয়া হয়। তবে কী ওষুধ? কেনো খাচ্ছি? এ ব্যাপারে কৌতুহল দেখানো দোষের কিছু নয়। তাই জেনে নিন তার দেওয়া ওষুধগুলো কীভাবে সুস্থ করবে। আর কেনোই বা এই ওষুধগুলো শারীরিক সমস্যার জন্য উপকারী।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি?

যে ওষুধই খান না কেনো, তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা দরকারী। অনেক সময় চিকিৎসকরা নিজেরাই বলে দেন এ সম্পর্কে। তবে আপনার নিজের জানার আগ্রহ থাকা বেশি জরুরি। কারণ চিকিৎসক সবসময় সঙ্গে থাকবেন না, তাই সম্ভাব্য সমস্যাগুলো আগেই জেনে নিতে হবে।

কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিপজ্জনক?

মৃদু থেকে মারাত্বক, ওষুধের সবমাত্রার ও ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। এক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সবাইকে তা আক্রমণও করে না। আবার প্রতিক্রিয়ার ধরনও ভিন্ন হতে পারে। তাই যে ওষুধগুলো দেওয়া হয়েছে তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকলে কোনগুলো বিপজ্জনক সেটাই জেনে নিতে হবে। যাতে এমন কিছু দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে ফিরে যেতে পারেন।

ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলে কী হবে?

কিছু ওষুধ রোগ মুক্তির মাঝ পথে বন্ধ করে দিলে সমস্যা হয় না, আবার কিছু ওষুধ রোগ পুরোপুরি নিরাময় হয়ে গেলেও পুরো কোর্স পূর্ণ করতে হয়। কিছু ওষুধ আবার বিশেষ সমস্যা হলেই খেতে হয়।

তাই পরামর্শপত্রের ওষুধগুলো সম্পর্কে এই বিষয়গুলো জেনে নেওয়া জরুরি। আবার কোনো রোগের উপর কোনো ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব আছে কিনা সেটাও জানতে হবে।

কখন খেতে হবে?

ওষুধ সেবনের নিয়ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেকসময় নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ওষুধ ব্যবহার না করার কারণে রোগ নিরাময়ে দেরি হতে পারে, এমনকি ওষুধ পুরোপুরি বৃথাও যেতে পারে। ডাক্তাররা সবসময়ই ওষুধ খাওয়ার সময় নির্ধারণ করে দেন, তবে আপনি তো ভুলে যেতেই পারেন। তাই ওষুধের সময়ানুবর্তীতা কতটা জরুরি সে বিষয় জেনে নিতে হবে।

কীভাবে খেতে হবে?

অনেক সময় চিকিৎসকরা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে বিশেষ কিছু ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন, যাতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, হজমের সমস্যা, পাকস্থলিতে অস্বস্তি বা আলসার হওয়ার ঝুঁকি কমে। এ বিষয়েও চিকিৎসককে প্রশ্ন করে নিতে হবে।

কতদিন খাওয়া লাগবে?

এটাও চিকিৎসকরা বলে দেন। তবে জানতে হবে ওষুধের প্রভাব চোখে পড়তে কতদিন সময় লাগবে। এতে রোগ নিরাময়ের ধারা নিজেই পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।


https://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1610939.bdnews

12
যুক্তরাজ্যে এইডস আক্রান্ত এক রোগীকে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে এইচআইভি ভাইরাস মুক্ত করতে পেরেছেন চিকিৎসকরা।

খবর > স্বাস্থ্য
স্টেম সেল প্রতিস্থাপনে এক ব্রিটিশ এইচআইভি ‘মুক্ত’

  নিউজ ডেস্ক,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 05 Mar 2019 10:19 PM BdST Updated: 05 Mar 2019 10:19 PM BdST

যুক্তরাজ্যে এইডস আক্রান্ত এক রোগীকে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে এইচআইভি ভাইরাস মুক্ত করতে পেরেছেন চিকিৎসকরা।

বিশ্বে এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা এ সাফল্য পেলেন। বিজ্ঞান বিষয়ক ন্যাচার সাময়িকীর প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।

রোগীর নাম প্রকাশ না করে তাকে বলা হচ্ছে লন্ডন রোগী। বিবিসি জানায়, ২০০৩ সালে তার এইচআইভি সংক্রমণ ধরা পড়েছিল এবং ২০১২ সালে তার হজকিন লিম্ফোমা ক্যান্সার ধরা পড়ে।

ক্যান্সারের চিকিৎসা চলার মাঝেই চিকিৎসকরা তাকে এইচআইভি মুক্ত করলেন।কেমোথেরাপি দিয়ে ক্যান্সারের চিকিৎসা করার পাশাপাশি এইচআইভি প্রতিরোধী একজনের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে পাওয়া স্টেম সেল ওই রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।

এরপর তার শরীরে ক্যান্সার এবং এইচআইভি দুয়েরই বিস্তার কমে আসে।খুঁজে পাওয়া যায়নি ভাইরাসের অস্তিত্ব। অন্তত ১৮ মাস ধরে তিনি এইচআইভি মুক্ত আছেন এবং আর এইচআইভি প্রতিরোধক ওষুধও নিচ্ছেন না।

তবে গবেষকরা বলছেন, রোগী এইচআইভি ভাইরাস মুক্ত হলেও সুস্থ হয়ে গেছেন—তা বলার সময় এখনো আসেনি।

রোগীর চিকিৎসায় জড়িত ছিলেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন,ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন, কেমব্রিজ ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।

তারা জানান, দ্বিতীয়বারের মত কোনো রোগীকে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং ফলস্বরূপ এইচআইভি থেকে তিনি আপাতত রেহাই পেয়েছেন।

১০ বছর আগে বার্লিনে এক রোগীকে প্রাকৃতিকভাবে এইচআইভি প্রতিরোধে সক্ষম এক দাতার কাছ থেকে বোন-ম্যারো নিয়ে তা প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল।ওই রোগী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক টিমোথি ব্রাউন; যিনি ‘দ্য বার্লিন পেশেন্ট’ নামেও পরিচিত।

বলা হয়, ব্রাউনই প্রথম ব্যক্তি যিনি এইডস’কে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ব্রাউনের শরীরে দুইবার বোন-ম্যারো প্রতিস্থাপন করা হয় এবং লিউকোমিয়ার জন্য তার সারা শরীরে রেডিও থেরাপি দেওয়া হয়।

গবেষকদের একজন অধ্যাপক রবীন্দ্র গুপ্তা বলেন, “দ্বিতীয় রোগীকে একই চিকিৎসা দিয়ে তার রোগের উপশম করতে সক্ষম হওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা দেখাতে পেরেছি দ্য বার্লিন পেশেন্টের ঘটনা ব্যতিক্রম ছিল না। সত্যিকার ভাবে ওই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে দুই ব্যক্তির শরীর থেকে এইচআইভি ভাইরাস দূর করা গেছে।”

স্টেম সেল প্রতিস্থাপন এইচআইভি ভাইরাস নির্মূলের লড়াইয়ে নতুন আশা জাগিয়ে তুলেছে বলেই মনে করেন ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক এদুয়ার্দো ওলাভারিয়া।

তবে তিনি বলেন, “এ পদ্ধতিকে এখনই এইচআইভি চিকিৎসায় মানসম্মত পদ্ধতি বলা যাবে না। কারণ, এখানে লিম্ফোমার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির মত বিষাক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহারের প্রয়োজন পড়েছে।”

https://bangla.bdnews24.com/health/article1599535.bdnews

13
রক্তের প্রধান দুটি উপাদান হলো রক্তকোষ ও রক্তরস। লোহিত রক্তকণিকায় থাকে হিমোগ্লোবিন নামের রঞ্জক পদার্থ, যা দেহের বিভিন্ন কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে। তাই হিমোগ্লোবিন কমে গেলে সারা শরীরে দেখা দেয় বিরূপ প্রতিক্রিয়া। আর রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার নাম হলো অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা।

কেন হয় অ্যানিমিয়া?

নানা কারণে রক্তশূন্যতা হতে পারে। রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরির কাঁচামাল আয়রন কমে গেলে আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা হতে পারে। এ ছাড়া ভিটামিন বি ও ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি, দীর্ঘমেয়াদি রোগ (যেমন কিডনি বিকল), দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ (যেমন যক্ষ্মা), ক্যানসার, থাইরয়েডের সমস্যা, অস্থিমজ্জায় সমস্যা, সময়ের আগে রক্তকণিকা ভেঙে যাওয়া, রক্তক্ষরণ ইত্যাদি হতে পারে রক্তশূন্যতার কারণ। তবে সব ধরনের কারণের মধ্যে আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে এর হার বেশি। এতে বিরূপ প্রভাব পড়ে শিশুর ওপর, মাতৃমৃত্যুর হারও যায় বেড়ে।

কেন আয়রনের ঘাটতি?

প্রধান কারণ অপুষ্টি। খাদ্যে পর্যাপ্ত আয়রন না থাকলে বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের আয়রনের ঘাটতি হয়। আরেকটি কারণ নারীদের অতিরিক্ত মাসিকে রক্তক্ষরণ। অন্য কোনো কারণে দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষরণ থাকতে পারে, যেমন পেপটিক আলসার, কৃমি, পাইলস, অন্ত্রে বা পাকস্থলীতে ক্যানসার, দীর্ঘদিন ব্যথানাশক সেবন ইত্যাদি।

কীভাবে বুঝবেন?

চোখ-মুখ ফ্যাকাশে মনে হওয়া, দুর্বলতা, ক্লান্তি, অবসাদ, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, মুখে-ঠোঁটে ঘা ইত্যাদি রক্তশূন্যতার সাধারণ লক্ষণ। রক্তশূন্যতার মাত্রা তীব্র হলে শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ লাগা এমনকি হার্ট ফেইলিউরও হতে পারে। রক্তশূন্যতা সন্দেহ করা হলে রক্তের একটি কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট করা জরুরি। এটি দেখে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ও লোহিত কণিকার পরিমাণ, আকার, রঞ্জক পদার্থের ঘনত্ব ও মান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক আরবিসি ইনডেক্স দেখে রক্তশূন্যতার কারণ অনুমান করতে পারেন। তবে প্রকৃত কারণ শনাক্ত করার জন্য পরে অন্যান্য পরীক্ষারও প্রয়োজন হয়।

চিকিৎসা কী?

রক্তশূন্যতা হলে আয়রন বড়ি কিনে খেলেই হলো—এ ধারণা ঠিক নয়। রক্তশূন্যতার চিকিৎসার মূল বিষয় কারণটি খুঁজে বের করা। যেমন পেপটিক আলসার, পাইলস বা ক্যানসার শনাক্ত করা বা কেন মাসিকে বেশি রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তা খোঁজা। রোগীকে আয়রনের ঘাটতি পূরণে মুখে বড়ি দেওয়া হবে, না শিরাপথে আয়রন দেওয়া হবে, তা রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেন।

https://www.prothomalo.com/life-style/article/1587666/%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B6%E0%A7%82%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8

14
প্রতি বছর হৃদরোগে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এ ছাড়া বহু মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে এই রোগ বহন করে আছেন। একটু সতর্কতা ও নিয়ম মেনে চলা এ রোগ থেকে বাঁচতে পারেন আপনিও। হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য ২০টি পরামর্শ দিয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. দেবী শেঠি।

ভারতের এ সার্জন দেশটির নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেসের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশে বিশেষভাবে পরিচিত। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতার সময় ঢাকায় আসেন তিনি। তার পরামর্শেই ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ডা. দেবী শেঠি হার্টের রোগীদের জন্য ২০টি পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো তুলে ধরা হলো-

১. মাদক পরিহার করতে হবে।

২. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

৩. রক্তচাপ ও সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

৪. শর্করা ও চর্বিজাতীয় খাবার কম খেতে হবে।

৫. খাবারে আমিষের পরিমাণ বাড়াতে হবে।

৬. সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন আধাঘণ্টা করে হাঁটতে হবে।

৭. শাকজাতীয় নয়, এমন খাবার খাওয়া কমাতে হবে।

৮. অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস পরিহার করতে হবে।

৯. হৃদযন্ত্রের জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার ফল ও সবজি।

১০. হৃদযন্ত্রের জন্য যেকোনো তেলই খারাপ। এটি পরিহার করতে হবে।

১১. নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করতে হবে।

১২. সুগার ও কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

১৩. নিয়মিত রক্তচাপ পরিমাপ করতে হবে।

১৪. ত্রিশোর্ধ্ব সবার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।

১৫. জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে।

১৬. জগিং করার চেয়ে হাঁটলে ভালো থাকা যায়।

১৭. জগিং করলে মানুষ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায় এবং জয়েন্টে ব্যথা হয়।

১৮. হার্ট অ্যাটাক হলে রোগীকে প্রথমে শুইয়ে দিতে হবে।

১৯. জিহ্বার নিচে একটি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট রাখতে হবে।

২০. অ্যাসপিরিনের পাশাপাশি একটি সরবিট্রেট ট্যাবলেটও রাখতে হবে।

http://www.sharenews24.com/article/15726/index.html?fbclid=IwAR2cNQRYTwJ2LTdfAx-Tyy5ZdFf934Rdtrby7eqBWjDejtlGw-5DcqQGuMM

15
ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ দূর করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক সংক্রমণের বৃদ্ধি কমিয়ে দেয় বা বন্ধ করে দেয়। ব্যাকটেরিয়া দিয়ে সংক্রমিত হলে চিকিৎসকরা আমাদের অ্যান্টিবায়োটিক দেন। তবে কিছু প্রাকৃতিক উপাদানও রয়েছে, যেগুলো অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। এই ভেষজ উপাদানগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এসব প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর কথা।

১. হলুদ

হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। এগুলো ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধেও কাজ করে।

২. আদা

আদা বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ  প্রতিরোধ করে। শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা প্রতিরোধে আদা খুব ভালো ঘরোয়া উপাদান।

৩. নিম

নিমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। এটি ব্রণ তৈরির ব্যাকটেরিয়াগুলোর সঙ্গে লড়াই করে, মুখগহ্বরের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে, ক্ষয় ও মাড়ির রোগ প্রতিরোধ করে।

৪. মধু

মধুও আরেকটি চমৎকার অ্যান্টিবায়োটিক। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হওয়াকে ব্যাহত করে।

৫. জলপাইয়ের তেল

জলপাইয়ের তেলও ব্যাকটেরিয়ার কারণে হওয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান। এগুলো ত্বকের সংক্রমণ কমায়।
https://www.ntvbd.com/health/44683/%E0%A6%85%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%A8

Pages: [1] 2 3 ... 6