Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - irin parvin

Pages: 1 2 [3]
31
যোগাযোগ ও কাজের জন্য স্মার্টফোন বা ট্য​াবলেট এখন জনপ্রিয়। নিরাপত্তার জন্য কাজ শেষে এগুলোর ওয়াই–ফাই, ব্লুটুথ বন্ধ রাখুন। এগুলোতে থাকে কাজের নানা সফটওয়্যার, দৈনন্দিন কাজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইত্যাদি। এসবের নিরাপত্তা এখন বেশ বড় সমস্যা। এসব যন্ত্রপাতি প্রয়োজনেই যুক্ত হয় নানা নেটওয়ার্কে। ফাইল আদান-প্রদান হয়ে থাকে পেনড্রাইভ, বহনযোগ্য হার্ডডিস্ক, সিডি-ডিভিডির মাধ্যমে। ফলে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম—ভাইরাস, ওয়ার্ম, ক্ষতিকর ই-মেইল নিজের যন্ত্রটিতে আক্রমণ করতে পারে যেকোনো সময়ই। তাই তথ্যপ্রযুক্তির যন্ত্রগুলো ব্যবহারের সময় ভার্চুয়াল নিরাপত্তা জরুরি। প্রাথমিকভাবে সচেতন থাকলে নিজের কম্পিউটার, স্মার্টফোন থাকবে নিরাপদ।

কম্পিউটার ও ল্যাপটপের নিরাপত্তা

    ইন্টারনেট সিকিউরিটিসহ অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত হালনাগাদ করুন।
    ইন্টারনেট থেকে অপ্রয়োজনীয় ডেটা বা সফটওয়্যার না নামানোই ভালো।
    ইন্টারনেট থেকে ডেটা নামালে তা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে স্ক্যান করে নিন।
    ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে উইন্ডোজের ফায়ারওয়াল খোলা রাখা উচিত।
    অপরিচিত কোনো ই-মেইল ঠিকানা থেকে ফাইল এলে সেটি না খোলাই ভালো।
    অপরিচিত কোনো ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি না করা।
    মোবাইল ফোনের মতো ল্যাপটপ কম্পিউটারের জন্য ট্র্যাকিং সফটওয়্যার পাওয়া যায়। এ কাজে চাইলে বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারেন ‘দ্য ল্যাপটপ লক’। বাজারে আছে যেসব নিরাপত্তা সফটওয়্যার

নরটন: কম্পিউটারের ফাইলের নিরাপত্তার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ওয়েবসাইটগুলো নিরাপদ কি না, তা দেখিয়ে দেবে নরটন অ্যান্টিভাইরাস। মুছে ফেলা কঠিন—এমন ভাইরাস ডিলিট করতেও সক্ষম নরটন।
ক্যাস্পারস্কি: ক্যাস্পারস্কি অ্যান্টিভাইরাসের কিছু পণ্য একই সঙ্গে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও নোটবুক কম্পিউটারের সুরক্ষা দেয়।
প্যান্ডা: জরুরি সময়ে সেফ মুডে কম্পিউটার চালিয়ে ভাইরাস মুছে ফেলতে পারে প্যান্ডা অ্যান্টিভাইরাস।
এভিরা: কম মেমোরি খরচ করায় দ্রুত কম্পিউটার চালু করে এভিরা অ্যান্টিভাইরাস।
বিটডিফেন্ডার: আপনার কম্পিউটারে আপনার সন্তানেরা কী করছে কিংবা তারা কী কী করতে পারবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া যায় বিটডিফেন্ডার অ্যান্টিভাইরাসের সাহায্যে।
ই-স্ক্যান: এতে রয়েছে ক্লাউড নিরাপত্তা সুবিধা, ফায়ারওয়াল, সিস্টেম পারফরম্যান্স, ওয়েব প্রটেকশন, ইউএসবি ও এসডি কার্ড প্রটেকশন ইত্যাদি সুবিধা।
বাজারে এই অ্যান্টিভাইরাসগুলো পাওয়া যাবে ৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকায়।
বিনা মূল্যে নিরাপত্তা
নরটন, কাস্পারস্কি, প্যান্ডা, এভিরা, বিটডিফেন্ডারসহ প্রায় সব অ্যান্টিভাইরাস ১ থেকে ৩ মাস বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়।

স্মার্টফোনের নিরাপত্তা

• পিন, পাসওয়ার্ড অথবা প্যাটার্ন লক ব্যবহার করে নির্দিষ্ট যন্ত্রটি লক করে থাকুন।
• সব সময় নিরাপদ সাইট থেকে অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) নামিয়ে ব্যবহার করুন। এ কাজে স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম নির্মাতা অ্যাপ স্টোর ব্যবহার করুন। যেটা শুরু থেকেই ফোনে থাকে।
• অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার করুন।
• কাজ শেষ হলে ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ বন্ধ রাখুন।
• ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ ব্যবহার করুন।
• ইনস্টল করা অ্যাপগুলো আপনার ফোনের কী কী ব্যবহারের অনুমতি (পারমিশন) চাইছে, তা বুঝে নির্দেশনা দিন।
• ই-মেইল বা লিখিত মেসেজে আসা লিংকগুলো সাবধানতার সঙ্গে খুলুন।
• স্মার্টফোনের সব ডেটার ব্যাকআপ রাখুন।
• স্মার্টফোনের মাধ্যমে কোনো লেনদেন করলে সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং কাজ শেষে লগ-আউট করুন।
• রিমোট ক্লিন-আপ ফিচার ব্যবহার করুন, এটির মাধ্যমে ফোন হারিয়ে গেলেও ফোনের সব ডেটা মুছে ফেলা যাবে।

অনুলিখন: রাহিতুল ইসলাম
http://www.prothom-alo.com/technology/article

32
জর্জ ক্লুনি, মেরিল স্ট্রিপ, নাটালি পোর্টম্যান এবং লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও- এরা সবাই হলিউড তারকা এবং দারুণ জনপ্রিয়। কিন্তু তাদের আরেকটি বিষয়ে অদ্ভুত মিল রয়েছ। তা হলো, বসবাসের স্থানটিকে পরিবেশবান্ধব করে নিয়েছেন তারা। তাদের মতো আপনার বাড়িটাতেও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তুলতে পারেন। এখানে নিন ৭টি পরামর্শ।

১. ইনডোর গার্ডেন গড়ে তুলুন : যদি গাছপালায় পরিপূর্ণ একটি স্থানের মাঝখানে আপনার বাড়িটি থাকে, তবে কথা আলাদা। আর যদি শহরের যান্ত্রিক পরিবেশের মধ্য হয়, তবে ঘরে ভেতরেই ছোট বাগানের চেহারা দিতে পারেন। এ জন্যে ঘরে রাখা যায় এমন ছোট ছোট পাত্রে করে ছোট আকারের গাছ ঝুলিয়ে দিন দেওয়ালে।

২. আয়োজনকে পরিবেশবান্ধব করুন : পরিবেশের জন্যে ক্ষতিকর জিনিস ব্যবহার করবেন না। এমনকি বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও পরিবেশবান্ধব জিনিসপত্র ব্যবহার করুন। ওয়ান টাইম প্লাস্টিক প্লেট না ব্যবহার করে বারবার ব্যবহার্য বাসন ব্যবহার করুন। তা ছাড়া বাড়ির সবুজের মাঝে মাঝে নকশাখচিত প্লেস বা তৈজস সৌন্দর্য বর্ধনে ব্যবহার করতে পারেন।

৩. পানির অপচয় কমান : টয়লেট থেকে শুরু করে যেকোনো কাজে অযথা পানির অপচয় করবেন না। পানির কল কাজের ফাঁকে খুলে রাখবেন না।

৪. স্মার্টদর্শন ট্যাপ ব্যবহার করুন : পুরনো আমলের ট্যাপ খুলে ফেলে আধুনিক ট্যাপ ব্যবহার করুন। আগের ট্যাপগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি পড়ে। এতে অপ্রয়োজনীয় পানির অপচয় ঘটে। কিন্তু আধুনিক কলগুলো পরিবেশবান্ধব এবং পানির সাশ্রয় হয়।

৫. বিদ্যুত সাশ্রয়ী বাতি ব্যবহার করুন : বাড়িতে এনার্জি সেভিং বাতি ব্যবহার করুন। এগুলো দেখতেও বেশ সুন্দর এবং রুচিশীল।

৬. পরিবেশবান্ধব রং : কম ভিওসি (ভোল্টেজ অর্গানিক কম্পাউন্ড) ব্যবহার করুন। তা ছাড়া বাড়িতে ব্যবহার্য এসব রংয়ের বৈচিত্র্যের শেষ নেই এবং এতে কোনো বিষক্রিয়া নেই।

৭. যত কম আলো : এটা বহু পুরনো কথা, যে জন দিবসে মনের হরষে....। যেকোনো অপচয় রোধে এর চেয়ে ভালো উপদেশ আর নেই। অপ্রয়োজনে কখনো আলো জ্বালিয়ে রাখবেন না। ইলেকট্রনিক যেকোনো পণ্য যতটা কম পারা যায় ব্যবহার করুন।

সূত্র : কালের কণ্ঠ অনলাইন

34
Animals and Pets / Re: Stranger Creatures
« on: January 31, 2015, 04:26:39 PM »
good post

35
good post

36
জীবনে চড়াই-উতরাই থাকে। কখনো কখনো নানা ঘটনায় মানুষের আত্মবিশ্বাস কমে যায়। কিন্তু নতুন করে আত্মবিশ্বাসী না হয়ে উঠলে সামনে এগিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে কীভাবে আত্মবিশ্বাসী হবেন, আত্মবিশ্বাস অটুট রাখবেন?
অনেকে মনে করেন, প্রকাশ্যে নিজেকে সমর্থন করা এবং ইতিবাচক চিন্তার মধ্য দিয়ে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা যায়। এটা অনেকাংশেই সঠিক। তবে লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তা অর্জনের মধ্য দিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করা আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কীভাবে বাস্তবসম্মত আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলব?
এই প্রশ্নের সহজ কোনো উত্তর নেই। সহজেই আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারি, যদি আমরা অটুট লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে যাই। তা ছাড়া, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার জন্য যা করতে হয়, তা সাফল্য বয়ে আনে। আর সেই সাফল্য হবে স্থায়ী।
আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াটিকে একটা অভিযানের সঙ্গে তুলনা করা যায়। যার কতগুলো পর্ব রয়েছে—
প্রথম ধাপ—অভিযানের জন্য প্রস্তুতি
এই পর্বে আপনি প্রস্তুত হবেন। ভেবে নিন আপনি কোথায় আছেন, কোথায় যেতে চান। এবার মনস্থির করুন, অভিযানে বেরিয়ে পড়া এবং এগিয়ে চলার সংকল্প গ্রহণ করুন।

 ভেবে দেখুন আপনি এ পর্যন্ত কী অর্জন করেছেন।
 আপনার শক্তির দিকটি ভাবুন।
 ভাবুন আপনার জন্য কোনটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কোথায় পৌঁছাতে চান।
 এবার সাফল্যের লক্ষ্যে সংকল্প নিন।

দ্বিতীয় ধাপ—বেরিয়ে পড়া
এই ধাপে আপনি বেরিয়ে পড়বেন। খুব ধীরে। সঠিক কাজগুলো করে, ছোট ছোট সহজ জয়ের মধ্য দিয়ে নিজের সাফল্যের যাত্রাপথ ঠিক করবেন। আর এভাবেই গড়ে তুলতে থাকবেন আপনার আত্মবিশ্বাস।
 সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করুন।
 মূল বিষয়ে মনোযোগ দিন।
 ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেগুলো অর্জনের চেষ্টা করুন।
 মনটাকে গুছিয়ে রাখুন।

তৃতীয় ধাপ—সাফল্যের দিকে দ্রুত এগিয়ে চলা
এই ধাপে বোঝা যাবে, আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। এই অভিযাত্রায় কিছুদূর এগিয়েছেন এবং উদ্যাপন করার মতো বেশ কিছু সাফল্য আপনার ভান্ডারে জমা হয়েছে।
এখন আপনার সময় হয়েছে নিজেকে কিছুটা প্রসারিত করার। আপনি আরও বড় লক্ষ্য স্থির করুন। নিজের দক্ষতার উৎকর্ষ ঘটান। যতক্ষণ পর্যন্ত পরিমিতি বজায় রেখে নিজেকে বিস্তৃত করতে থাকবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকবে, ভাটা পড়বে না।

লেখক: মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। সহকারী অধ্যাপক, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ
খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ

37
good post

Pages: 1 2 [3]